Tag: Supreme court

Supreme court

  • Jai Shri Ram: ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া কীভাবে অপরাধ হতে পারে? প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট

    Jai Shri Ram: ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া কীভাবে অপরাধ হতে পারে? প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জয় শ্রীরাম’ (Jai Shri Ram) স্লোগান দেওয়া অপরাধ কীভাবে? ১৬ ডিসেম্বর, সোমবার এক মামলার শুনানিতে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র কোনও ধর্মীয় শব্দ বা নাম বলাটা কোনও অপরাধ নয়।

    জয় শ্রীরাম স্লোগান (Jai Shri Ram)

    ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কর্নাটকের এক মসজিদের ভিতরে ঢুকে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কর্নাটক হাইকোর্ট সেই ফৌজদারি কার্যধারা খারিজ করে দিয়েছিল। হাইকোর্টের সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানিতেই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চের। এদিন শুনানিতে বেঞ্চের প্রশ্ন, তারা একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় বাক্যাংশ বা একটি নাম ধরে স্লোগান দিয়েছিল। এটা কোন ধরনের অপরাধ? অভিযোগকারী হায়দার আলি সিএমের উদ্দেশে বেঞ্চের প্রশ্ন, ‘আপনি কীভাবে অভিযুক্তদের শনাক্ত করছেন? আপনি বলছেন, ওদের সবাইকে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে। যারা ভিতরে ঢুকেছিল, তাদের কে শনাক্ত করেছে?’

    কর্নাটক হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    গত ১৩ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যধারা বাতিল করেছিল কর্নাটক হাইকোর্ট। হাইকোর্ট বলেছিল, কেউ জয় শ্রীরাম বলে স্লোগান দিলে, তা কীভাবে কোনও সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে, তা বোঝা যাচ্ছে না। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, এতে জনসাধারণ খেপে গিয়েছে বা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে এমনও কেউ দাবি করেনি। তার ওপর অভিযোগকারী নিজেই জানিয়েছেন যে, তিনি অপরাধীদের দেখেননি। অভিযুক্তদের (Jai Shri Ram) বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিল করে হাইকোর্ট বলেছিল, ‘যে অপরাধের অভিযোগ করা হয়েছে, তার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই এই আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে আরও আইনি কার্যক্রমের অনুমতি দিলে, আইনের অপব্যবহার করা হবে। তাতে ন্যায় বিচারের গর্ভপাত হবে।’

    আরও পড়ুন: মাওবাদী নির্মূল কবে? সময়সীমা বেঁধে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    সোমবারের (Jai Shri Ram) শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী দেবদত্ত কামাত জানান, তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই হাইকোর্ট এই কার্যধারা বাতিল করেছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার দায় তিনি চাপিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ঘাড়ে। আবেদনকারী রাজ্যের কাছে যে আবেদন করেছেন, তার একটি অনুলিপি চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Places of Worship Act: মন্দির-মসজিদের সমীক্ষা আপাতত স্থগিত, কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Places of Worship Act: মন্দির-মসজিদের সমীক্ষা আপাতত স্থগিত, কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সমস্ত উপাসনালয় অর্থাৎ মন্দির-মসজিদ-গির্জায় সমীক্ষায় (Places of Worship Act) স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মন্দির বা মসজিদ নিয়ে নতুন করে কোনও মামলাও করা যাবে না এখনই। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আগে এই সংক্রান্ত মামলাগুলির নিষ্পত্তি হবে, তার পর নতুন মামলা গৃহীত হবে আদালতে।  নিম্ন আদালতগুলিতে এই সংক্রান্ত মামলায় এখনই তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিতে নিষেধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। 

    কেন স্থগিতাদেশ

    ১৯৯১ সালের ‘প্লেসেস অফ ওয়ারশিপ (স্পেশাল প্রভিশনস) অ্যাক্ট’-এর (Places of Worship Act) সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হয়েছে একাধিক আবেদন। বর্তমানে সেই সমস্ত আবেদনেরই শুনানি চলছে দেশের শীর্ষ আদালতে। এদিকে বর্তমান আইন বলছে কোনও মন্দির-মসজিদ বা গির্জার চরিত্র পাল্টানো যাবে না। স্বাধীনতার সময় থেকে যে মন্দির-মসজিদ-গির্জা যেখানে ছিল সেখানেই রাখতে হবে। কিন্তু আইনে বদল চেয়ে মামলা হয়। মামলাকারীদের তরফে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২২৬ অনুযায়ী, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে আদালতের কাছে তাঁদের ক্ষোভ জানাতে পারছেন না। ওই আইনের জন্য ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্টের আগে ‘দখলীকৃত’ হিন্দু ধর্মস্থানের ধর্মীয় চরিত্র পুনরুদ্ধার করা যাচ্ছে না। সাড়ে তিন বছর ধরে এই মামলাগুলির কোনও শুনানিই হয়নি। বৃহস্পতিবার ছিল এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির দিন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে উপসনাস্থল আইন মামলার শুনানি হয়। 

    আরও পড়ুন: চালিয়ে খেলছে শীত! কলকাতায় ১৩ ডিগ্রির ঘরে পারদ, বঙ্গে তাপমাত্রা নামল ১০-এর নিচে

    কী বলল শীর্ষ আদালত

    আদালত জানিয়েছে, এই মুহূর্তে দেশে মন্দির, মসজিদ বা অন্য উপাসনাস্থল (Places of Worship Act) নিয়ে যত মামলা চলছে, যত সমীক্ষা চলছে, তা আপাতত স্থগিত থাকবে। নিম্ন আদালত, এমনকি হাইকোর্টগুলিকেও এই সংক্রান্ত মামলায় আপাতত তাৎপর্যপূর্ণ কোনও নির্দেশ দিতে নিষেধ করা হয়েছে। নিম্ন আদালতগুলি এই সংক্রান্ত নতুন কোনও মামলাও শুনবে না। সুপ্রিম কোর্টে উপাসনাস্থল আইন মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে। উপাসনাস্থল আইনের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলিতে বৃহস্পতিবারও কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট আকারে তা জানাতে হবে। কেন্দ্রকে এই জন্য চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: সরে দাঁড়ালেন বৃন্দা গ্রোভার, এবার অভয়ার হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়বেন করুণা নন্দী

    RG Kar: সরে দাঁড়ালেন বৃন্দা গ্রোভার, এবার অভয়ার হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়বেন করুণা নন্দী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতা অভয়ার হয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা লড়বেন আইনজীবী করুণা নন্দী। এতদিন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার এই মামলা লড়ছিলেন। অভয়ার হয়ে তিনি আর সওয়াল জবাব করবেন না। এবার এই মামলায় আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভারের পরিবর্তে করুণা নন্দীকেই ভরসা করছেন অভয়ার বাবা-মা।   

    কেন আইনজীবী বদল? (RG Kar)

    জানা গিয়েছে, আদালতে আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ছিলেন অভয়ার বাবা-মা। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পর নিজেদের অসন্তোষের কথা বৃন্দা গ্রোভারকে ফোনে জানান তাঁরা। এছাড়া অভয়ার (RG Kar) বাবা-মায়ের কথা আদালতে সঠিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। তাতেই আইনজীবীর ওপর তাঁরা সন্তুষ্ট ছিলেন না। এর পাশাপাশি, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে দাবি করেছিলেন, তদন্ত সংক্রান্ত সব তথ্য সিবিআই জানাচ্ছেন অভয়ার পরিবারকে। অথচ আরজি করের নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মা জানান, তাঁদের কিছুই জানানো হচ্ছে না। আদালতে যে স্টেটাস রিপোর্ট জমা পড়ছে, সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্যও তাঁদের হাতে আসছে না। এই বিষয়টি কেন বৃন্দা গ্রোভার আইনজীবী হিসেবে তুলে ধরলেন না, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলে অভয়ার পরিবার। এরপরই মামলা থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বৃন্দা গ্রোভার। এতদিন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলায় ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স’ অর্থাৎ চিকিৎসকদের তরফে আইনজীবী হিসেবে সওয়াল করছিলেন করুণা নন্দী। তাঁকেই বেছে নিলেন অভয়ার বাবা-মা।

    আরও পড়ুন: চালিয়ে খেলছে শীত! কলকাতায় ১৩ ডিগ্রির ঘরে পারদ, বঙ্গে তাপমাত্রা নামল ১০-এর নিচে

    কী বললেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার?

    সুপ্রিম কোর্টের পাশাপাশি শিয়ালদা আদালত, কলকাতা হাইকোর্টেও নতুন আইনজীবী নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন অভয়ার (RG Kar) বাবা-মা। অন্যদিকে, বৃন্দা গ্রোভারের দফতরের তরফে মামলা ছাড়ার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, “কিছু নির্দিষ্ট কারণ এবং পরিস্থিতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। বিগত তিন মাসে যাবতীয় নিয়ম মেনেই আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সিবিআইয়ের সঙ্গেও সহযোগিতা করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ডিভোর্স মামলায় খোরপোশ নির্ধারণে ৮ দফা গাইডলাইন, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ডিভোর্স মামলায় খোরপোশ নির্ধারণে ৮ দফা গাইডলাইন, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়র অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় (Bengaluru Techie Suicide) তোলপাড় দেশ। এই আবহেই এবার বিবাহ বিচ্ছেদর পর খোরপোশ (Alimony Amount) বাবদ কত টাকা পাওয়া উচিত, সে বিষয়ে আট দফা গাইড লাইন দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  

    ইঞ্জিনিয়ারের সুইসাইড নোটে তোলপাড় দেশ

    আত্মহত্যার আগে ২৪ পাতার সুইসাইড নোটে অতুল অভিযোগ করে যান যে, টাকা হাতানোর জন্য একাধিক মিথ্যে মামলা করেছিল তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিচার ব্যবস্থাকেও দুষেছেন তিনি। মৃত্যুর আগে (Bengaluru Techie Suicide) তাঁর রেকর্ড করা শেষ ভিডিওতে নিজের মানসিক নির্যাতনের কথা প্রকাশ করেন ওই ইঞ্জিনিয়ার। তরুণের পরিবারের অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই ঘটনার আবহে, বুধবারই শীর্ষ আদালত (Supreme Court) মহিলাদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতা সংক্রান্ত আইনের ৪৯৮(এ) ধারার অপব্যবহার নিয়ে সতর্ক করে।

    সেই ঘটনার রেশ মেলানোর আগেই নয়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় ভরণপোষণের (Alimony Amount) নির্দেশ দেওয়ার সময় সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্ন নেওয়ার জন্য বাবার দায়িত্বের ওপরও বেশি জোর দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত অন্যান্য সমস্ত আদালতকে এই নির্দেশিকা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে।

    ৫ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ (Supreme Court)

    ক্ষতিপূরণের আর্থিক পরিমাণ কী হবে, তা নির্ধারণ করার জন্য কতগুলি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছে শীর্ষ আদালত। যদিও, একটি বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার রায়ে স্ত্রীকে এককালীন ভরণপোষণের জন্য ৫ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি এই নির্দেশ দেওয়ার সময় বিবাহবিচ্ছিন্ন দম্পতির বড় ছেলের ভরণপোষণ ও আর্থিক নিরাপত্তার জন্য এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলেছে।

    ৮ ফ্যাক্টর

    আদালতে শুনানি হচ্ছিল প্রবীণ কুমার জৈন ও অঞ্জু জৈন নামে এক দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার। এই মামলায় বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি প্রসন্ন ভি বরালের ডিভিশন বেঞ্চ আটটি ফ্যাক্টর বিবেচনার নির্দেশ দেয়। এগুলি হল, বাদী ও বিবাদী দুপক্ষের সমাজিক ও আর্থিক অবস্থা, স্ত্রী ও নির্ভরশীল সন্তানদের যুক্তিসঙ্গত চাহিদা। বাদী ও বিবাদীর স্বতন্ত্র যোগ্যতা, কর্মসংস্থানের অবস্থা (Supreme Court)। দুজনের আয়, আবেদনকারীর মালিকানাধীন সম্পত্তি ও সম্পদ, বিয়ের পর স্ত্রী যে জীবন কাটিয়েছে, তার মান। পারিবারিক দায়িত্বের জন্য যে কোনও কর্মসংস্থান ছেড়ে আসা। স্ত্রীর মামলা চালানোর খরচ এবং স্বামীর আর্থিক সামর্থ্য, তাঁর আয়, ভরণপোষণের বাধ্যবাধকতা ও দায়।

    আরও পড়ুন: এনআরসির আবেদন না করলে, বাতিল হবে আধার কার্ডের আবেদন, বড় সিদ্ধান্ত হিমন্তর

    বিচ্ছেদ মামলার রায় ঘোষণার সময় বেঞ্চ জোর দিয়ে বলেছে, এই দম্পতি বিয়ের পর ছ’বছর একসঙ্গে বসবাস করেছিলেন। পরবর্তী ২০ বছর আলাদা জীবনযাপন করেছেন। তাঁদের বিবাহে অসামঞ্জস্যতা ও তিক্ত সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে। প্রবীণের অভিযোগ, অঞ্জু অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং তাঁর পরিবারকে উপেক্ষা করতেন। অঞ্জুর অভিযোগ, প্রবীণের আচরণ তাঁর প্রতি ভালো ছিল না। এত দীর্ঘ সময় আলাদা থাকায় এই দম্পতি তাঁদের বৈবাহিক দায়িত্ব (Alimony Amount) পালনের কোনও সুযোগ পাননি (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: আক্রোশ মেটাতে ৪৯৮-এ ধারা ব্যবহার করা যাবে না, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Supreme Court: আক্রোশ মেটাতে ৪৯৮-এ ধারা ব্যবহার করা যাবে না, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৯৮-এ ধারার (Section 498A) অপব্যবহার হচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠেছে। এবার সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিল, কোনও সমস্যা হলেই ব্যক্তিগত শত্রুতা বা আক্রোশ মেটাতে বধূ নির্যাতন বিরোধী আইনের ৪৯৮-এ ধারাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না (Supreme Court)। মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর বধূ নির্যাতনের একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই পর্যবেক্ষণ দেশের শীর্ষ আদালতের।

    ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহার (Supreme Court)

    সুপ্রিম কোর্ট সতর্ক করে জানিয়েছে, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহারও করা হচ্ছে। স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে স্ত্রীর দায়ের হওয়া ওই মামলাও খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে দেশের সব হাইকোর্ট ও পুলিশকে সুপ্রিম কোর্ট একাধিকবার এই মর্মে সতর্ক করেছে যে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহার করা হচ্ছে (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছিল, অকারণে কাউকে হেনস্থা করার জন্য যেন ৪৯৮-এ ধারা ব্যবহৃত হয়। বধূ নির্যাতনের ওই মামলায় মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে – এই যুক্তিতে মামলা খারিজের পাশাপাশি অভিযোগকারীকে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ভারতের স্নাতকদের মধ্যে বেড়েছে কর্মসংস্থানের উপযোগিতা, বলছে রিপোর্ট

    গার্হস্থ্য হিংসা থেকে বাঁচানোর জন্য আনা হয়েছিল আইন

    এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ৪৯৮-এ ধারা আনা হয়েছিল বিবাহিত মহিলাদের গার্হস্থ্য হিংসা থেকে বাঁচানোর জন্য। এই প্রসঙ্গেই আদালতের পর্যবেক্ষণ, সম্প্রতি দেশের সর্বত্র বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যার ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। এর সঙ্গেই দেখা যাচ্ছে, ৪৯৮-এর মতো ধারার অপব্যবহার হচ্ছে। ব্যক্তিগত শত্রুতা চরিতার্থ করতেই স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এই আইন ব্যবহার করছেন স্ত্রী। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, নির্যাতনের সারবত্তাহীন অভিযোগের ভিত্তিতে এই ধরনের মামলা হলে আদতে তা আইনের অপব্যবহার। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে কোনও স্পষ্ট প্রমাণ না থাকলে এই ধরনের মামলা দায়েরের আগে সতর্ক হতে হবে।

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই পর্যবেক্ষণ এমন একটা সময়ে প্রকাশ্যে এল, যখন গার্হস্থ্য সমস্যা নিয়ে বেঙ্গালুরুর এক আইটি কর্মী অতুল সুভাষের মৃত্যুকে ঘিরে (Section 498A) তোলপাড় দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • OBC Certificate Case: ‘শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’, ওবিসি মামলায় রাজ্যকে সুপ্রিম-ধাক্কা

    OBC Certificate Case: ‘শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’, ওবিসি মামলায় রাজ্যকে সুপ্রিম-ধাক্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কারও সংরক্ষণ পাওয়া উচিত নয়। ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate Case) বাতিল মামলায় হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের দেওয়া কয়েক লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। শীর্ষ আদালত ওই নির্দেশে এখনও পর্যন্ত কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। ‘ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’, সোমবার মামলা গ্রহণ করে এই মৌখিক পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। কীভাবে ৭৭টি সম্প্রদায়, যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত, তাঁদের ওবিসি বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে? এই মর্মে রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা চাইল শীর্ষ আদালত। 

    ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ কেন

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ওবিসি শংসাপত্র বাতিল (OBC Certificate Case) মামলার শুনানি ছিল। সেখানে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করে জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে। এই রাজ্যে মোট বাসিন্দার ২৮ শতাংশ সংখ্যালঘু। তার মধ্যে ২৭ শতাংশ মুসলিম। রঙ্গনাথ কমিশন মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের সুপারিশ করেছিল। কলকাতা হাইকোর্ট অন্ধ্রপ্রদেশের একটি রায়কে সামনে রেখে ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। অথচ অন্ধ্রে ওই রায় স্থগিত রয়েছে। এর পরেই বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে কারও সংরক্ষণ পাওয়া উচিত নয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    রাজ্যকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    গত ২২ মে হাইকোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি রাজ্যের সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল (OBC Certificate Case) করে দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে এদিন বিচারপতি বিআর গাভাই ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে মামলার শুনানির সময় রাজ্যের আইনজীবী জানায়, পিছিয়ে পড়া অংশকে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার মধ্যে মুসলিম ছাড়াও অন্য সম্প্রদায় রয়েছে। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) রাজ্যের তৈরি সংরক্ষণের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের পর্যবেক্ষণ, কমিশন গঠন না-করে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কী ভাবে সংরক্ষণের তালিকা তৈরি করতে পারে। বিচারপতি গাভাই জানিয়েছেন, হাইকোর্ট বলেছে শ্রেণিবিন্যাস করে রাজ্য বিধানসভায় পেশ করুক। রাজ্য কেন নিজের ক্ষমতায় তা করতে পারবে না? রাজ্য পাল্টা দাবি করে, হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তারা এখনই কোনও নির্দেশ দেবে না। আগামী জানুয়ারিতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: উপাসনাস্থল আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখতে বিশেষ বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: উপাসনাস্থল আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখতে বিশেষ বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ বিধান) আইনটির বৈধতার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব রিট পিটিশন শুনানির জন্য (Places Of Worship Act) বিশেষ বেঞ্চ গঠন করলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না (Supreme Court)। এই আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের আগে যেসব ধর্মীয় স্থানের চরিত্র এবং পরিচয় যেমন ছিল, তা রক্ষা করে।

    বেঞ্চ গঠন (Supreme Court)

    তিন বিচারপতির বেঞ্চটি প্রধান বিচারপতি খন্নার নেতৃত্বে গঠিত। বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং কেভি বিশ্বনাথনও। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ ডিসেম্বর, দুপুর সাড়ে তিনটায়। মামলাটি ১৯৯১ সালের আইনের বৈধতা নিয়ে পিটিশনগুচ্ছের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলা। পিটিশনগুলির মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ও। তাঁদের অভিযোগ,  ১৯৯১ সালের আইনটি হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখদের আদালতে তাদের উপাসনাস্থল রি-ক্লেইমের সুযোগ দেয়নি। এই উপাসনাস্থলগুলি মৌলবাদী বর্বর আক্রমণকারীরা অধিগ্রহণ করেছিল।

    মুসলিম সংগঠনের বিরোধিতা

    এই আবেদনগুলির বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন। এর মধ্যে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এবং জামিয়াত উলামা-ই-হিন্দ-ও। তাদের যুক্তি হল, জনস্বার্থ মামলার ছদ্মবেশে এই আবেদনগুলো এমন একটি কেন্দ্রীয় আইনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে না, যা ভ্রাতৃত্ব এবং ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা, সংবিধানের প্রস্তাবনার মূল্যবোধ এবং মৌলিক কাঠামোর অংশগুলো রক্ষার মাধ্যমে ধর্মীয় স্থানগুলোর ধর্মীয় চরিত্র সংরক্ষণ করেছে।

    আরও পড়ুন: বধ্যভূমি বাংলাদেশ! নেত্রকোনায় হামলা কালী মন্দিরে, রাজশাহীতে হিন্দুর জমি জবরদখল

    অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এও উল্লেখ করেছে যে, অযোধ্যা রায়ে ১৯৯১ সালের আইনের গুরুত্ব স্বীকৃত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে (Supreme Court), এই আইন আমাদের ইতিহাস এবং জাতির ভবিষ্যতের সঙ্গে সম্পর্কিত জনসাধারণের উপাসনার স্থানগুলোর চরিত্র সংরক্ষণে, সংসদ সুস্পষ্ট ভাষায় নির্দেশ দিয়েছে যে ইতিহাস এবং তার ভুলগুলো বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে দমন করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে না।

    জ্ঞানবাপী মসজিদের পরিচালনা কর্তৃপক্ষও মামলায় হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছে। জ্ঞানবাপী মসজিদের প্রতিনিধিত্বকারী আনজুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ বারাণসী যুক্তি দিয়েছে যে, মুঘল আমলের শাসকদের কারণে সৃষ্ট কথিত অভিযোগ ও অভিযোগপূর্ণ দাবি আইন প্রণয়ন, যেমন উপাসনাস্থল (বিশেষ বিধান) আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করার ভিত্তি হতে পারে না।

    প্রসঙ্গত, জ্ঞানবাপী মসজিদটি কয়েকটি দেওয়ানি মামলার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, যেখানে হিন্দু মামলাকারীরা মসজিদের নীচে মন্দিরের অস্তিত্ব দাবি করছেন (Places Of Worship Act) এবং সেখানে পুজোর অধিকার দাবি করেছেন (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ‘আপনার লজ্জা পাওয়া উচিত’, জামিন চেয়ে সুপ্রিম দুয়ারে ভর্ৎসিত পার্থ

    Partha Chatterjee: ‘আপনার লজ্জা পাওয়া উচিত’, জামিন চেয়ে সুপ্রিম দুয়ারে ভর্ৎসিত পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম দুয়ারেও (Supreme Court) ধাক্কা খেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরাসরি একজন দুর্নীতিবাজ বলে উল্লেখ করলেন বিচারপতি। এই ধরনের দুর্নীতিবাজদের জামিন দিলে সমাজে কী প্রভাব পড়বে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাকি সবাই জামিন পেলে পার্থ কেন পাবেন না, শীর্ষ আদালতে প্রশ্ন তোলেন পার্থর আইনজীবী। এই প্রশ্ন শুনেই তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি সূর্যকান্ত শর্মা। জানিয়ে দেন, বাকিরা কেউ শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন না। তাই অন্যদের সঙ্গে নিজের তুলনা করা উচিত নয় পার্থর।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়ে আদালতে সওয়াল করছিলেন পার্থর আইনজীবী। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যরা জামিন পেলে পার্থ কেন পাবেন না, আদালতে পার্থর হয়ে সওয়াল করেন তিনি। এতেই কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি সূর্যকান্ত। পার্থর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনি নিজেকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করবেন না। সবাই শিক্ষামন্ত্রী ছিল না, আপনি ছিলেন। অন্যদের সঙ্গে তুলনা করার আগে আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত। এঁরা সবাই আপনার সঙ্গেই কাজ করেছেন। আপনি মন্ত্রী ছিলেন।’’ বিচারপতি বলেন, ‘‘একজন মন্ত্রী হয়েও একাধিক লাভজনক সংস্থায় যুক্ত ছিলেন। তাঁর ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মালিকানাধীন সংস্থার নামে সম্পত্তি কেনা হয়েছে। তিনি ভুয়ো সংস্থা খুলে তাতে ভুয়ো ডিরেক্টর নিয়োগ করেছেন। উনি খুব ভালো করে জানতেন যে তিনি নিজেই মন্ত্রী। তাই এর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা আর কারও নেই। আর তিনি নিজে তো নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেবেন না। আদালত ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতায় এই সব তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।’’ এদিন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, গোটা মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা খতিয়ে দেখে জামিনের ব্যাপারে বিবেচনা করা হোক।

    আরও পড়ুন: ‘‘নৌসেনার অঙ্গীকার দেশের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করে’’, নৌ-দিবসে কুর্নিশ মোদি-শাহের

    রায়দান স্থগিত

    কলকাতা হাইকোর্টে জামিন না পেয়েই সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন পার্থ। তাঁর আইনজীবীর যুক্তি ছিল, পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর আড়াই বছর কেটে গিয়েছে। অথচ এখনও চার্জশিটই জমা পড়েনি। এই মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছর জেল হতে পারে, যার এক তৃতীয়াংশের বেশি সময় জেলে কাটিয়ে ফেলেছেন পার্থ। এ প্রসঙ্গে পার্থর বয়স, শারীরিক অসুস্থতার কথাও আদালতে তুলে ধরেন পার্থর আইনজীবী। কিন্তু জামিনের সেই শুনানিতেই এদিন পার্থকে ভর্ৎসনা করল আদালত। এদিন এই মামলার শুনানি শেষ হলেও, রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: “আমরা জামিন দিই, আর আপনি মন্ত্রী হয়ে যান” মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: “আমরা জামিন দিই, আর আপনি মন্ত্রী হয়ে যান” মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা জামিন দিই এবং পরদিন আপনি মন্ত্রী হয়ে যান!” তামিলনাড়ু মন্ত্রিসভায় সেন্টিল বালাজির (Senthil Balaji)  নিয়োগ নিয়ে এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ক্যাশ-ফর-জবস কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অর্থপাচারের মামলায় জামিন পাওয়ার পরপরই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছে সেন্টিলকে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এমনতর মন্তব্য শীর্ষ আদালতের।

    কী বললেন বিচারপতি? (Supreme Court)

    ২ ডিসেম্বর, সোমবার, বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হচ্ছিল বালাজিকে জামিন দেওয়ার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য করা একটি আবেদনের। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে বালাজির মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ সাক্ষীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। শুনানির সময় বিচারপতি ওকা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “আমরা জামিন দিই এবং পরদিন আপনি মন্ত্রী হয়ে যান! যে কেউ মনে করবে যে, একজন সিনিয়র মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হিসেবে এখন আপনার পদমর্যাদার কারণে সাক্ষীরা চাপে থাকবে। এটা কী চলছে?”

    কী বলছে বেঞ্চ?

    তবে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বেঞ্চ ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা পূর্বের জামিন সংক্রান্ত রায়ে হস্তক্ষেপ করবে না। ২৬ সেপ্টেম্বর ওই রায় দেওয়া হয়েছিল। আদালত স্বীকার করে যে বালাজির নতুন পদমর্যাদা সাক্ষীদের ওপর অযথা প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এটি পূর্ববর্তী রায়ের সারমর্ম পুনর্বিবেচনা করবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। এর আগে বালাজির জামিন মঞ্জুর করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যদিও অর্থপাচার মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। কোর্ট তাঁর দীর্ঘ কারাবাস এবং দ্রুত বিচার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই দেখে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ‘‘কলকাতার এক দিনের ময়লা ফেলে এলেই চাপা পড়ে যাবেন’’, ইউনূসকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মামলাটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে বালাজির দ্রুত রাজনৈতিক নিয়োগের কারণে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার মাত্র তিন দিন পর, ২৯ সেপ্টেম্বর, তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিনের প্রশাসনে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেন। তিনি বিদ্যুৎ, অপ্রচলিত জ্বালানি উন্নয়ন, এবং মদ্যনিষেধ ও আবগারি বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এই দ্রুত উন্নতি বালাজির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এমন নিয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

    বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা আপাতত মামলায় কোনও নোটিশ জারি করছে না। তবে বালাজির আইনজীবীদের নির্দেশ পাওয়ার জন্য (Senthil Balaji) সময় চেয়েছে। মামলাটি পরবর্তী শুনানি ১৩ ডিসেম্বর (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘ভোটে হারলেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ’! ব্যালটে ফেরার দাবি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ‘ভোটে হারলেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ’! ব্যালটে ফেরার দাবি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটে হারলেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। জিতলে নয় কেন? মঙ্গলবার এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এমনই প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি পিবি ভারালের ডিভিশন বেঞ্চ (Supreme Court)। ব্যালট পেপারে (Ballot Paper) ভোট করানোর আর্জিও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চ।

    ব্যালট পেপারে ভোটের দাবি (Supreme Court)

    কোনও নির্বাচনে হারলেই বিরোধীরা ব্যালট পেপারে ভোট করানোর দাবিতে সরব হন। ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিকবার ব্যালট পেপারে ভোট করানোর দাবিতে সুর চড়িয়েছেন। ব্যালট পেপারে ভোট করানোর দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন কোনও কোনও রাজনৈতিক দল। তার পরেও অবশ্য ব্যালট ফেরেনি। ভোট হচ্ছে ইভিএমেই। নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ইভিএমে ভোট করানো নিয়ে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা অসত্য। এবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে ব্যালট ফেরানোর দাবি জানালেন জনৈক কেএ পাল।

    কী বললেন আবেদনকারী?

    ২৬ নভেম্বর শুনানি হয় এই মামলার। শুনানিতে আবেদনকারী বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষা করতে ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনা উচিত।” সওয়ালের সময় তিনি ইলন মাস্কের প্রসঙ্গও টানেন। বলেন, “মাস্ক বলেছেন ইভিএম হ্যাক করা সম্ভব। চন্দ্রবাবু নাইডু এবং জগন্মোহন রেড্ডির মতো নেতারাও জানিয়েছেন ইভিএমে কারচুপি সম্ভব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এখনও ব্যালটেই ভোট হয়।”

    আবেদনকারীর দাবি (Supreme Court), দেশের ১৮টি রাজনৈতিক দল ব্যালটে ভোট করানোর পক্ষপাতী। আবেদনকারী বলেন, “বিশ্বের ১৯৭টি দেশের মধ্যে ১৮০টি দেশই এখনও ব্যালট পেপারে ভোট করে। আমাদের দেশেও সেই প্রথা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ নাগরিক! ভারতীয় নাগরিকত্ব খারিজের দাবি, তদন্তে সিবিআই

    এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি বিক্রম নাথ বলেন, “যখন চন্দ্রবাবু নাইডু বা জগন্মোহন রেড্ডিরা ভোটে হেরে যান, তখনই তাঁরা ইভিএমে কারচুপির কথা বলেন। কিন্তু ভোটে জিতলে এ ব্যাপারে কোনও কথাই বলেন না। তখন আর তাঁদের ইভিএমে কোনও ত্রুটি চোখে পড়ে না।” শুনানি শেষে আবেদনকারীর পিটিশন খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। খারিজ করে দেয় ব্যালট পেপারে (Ballot Paper) ভোট করানোর আর্জিও (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share