Tag: Supreme court

Supreme court

  • Religious Conversion: জোর করে ধর্মান্তকরণ অপরাধ! নয়া আইন প্রণয়নে সুপ্রিম দুয়ারে গুজরাট সরকার

    Religious Conversion: জোর করে ধর্মান্তকরণ অপরাধ! নয়া আইন প্রণয়নে সুপ্রিম দুয়ারে গুজরাট সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকলেই স্বচ্ছন্দে নিজেদের ধর্ম পালন করতে পারেন। কিন্তু সেই স্বাধীনতার অপব্যবহার করে জোর করে অন্যদের ধর্মান্তকরণের অনুমতি দেওয়া যায় না। সুপ্রিম কোর্টে এই কথা জানাল গুজরাট সরকার। ইতিমধ্যেই ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন কার্যকর করেছে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকার। এই আইনের বলে শাস্তিও দিয়েছে যোগী প্রশাসন। এবার এই ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন কার্যকর করতে সক্রিয় গুজরাটের (Gujarat) বিজেপি সরকার।

    গুজরাট সরকারের আনা আইন

    ‘লাভ জেহাদ’ আটকাতে রাজ্যে ধর্মান্তকরণ-বিরোধী আইন পাশ করিয়েছে গুজরাটের বিজেপি সরকার। সেই আইনের যে ধারায় ধর্মান্তকরণের কাজ করার আগে ধর্মগুরুদের জেলাশাসক বা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল, সেই ৫ নম্বর ধারাটির উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে গুজরাট হাইকোর্ট। কিন্তু ওই ধারাটি বাদ গেলে আইন থাকা না-থাকা সমান, বলে মনে করে গুজরাট সরকার। তাই হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় মোদির রাজ্য।

    আরও পড়ুন: রাজীব হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, কেন জানেন?

    সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়ে দেয়, ধর্মপালনের স্বাধীনতা রয়েছে সকলের। কিন্তু ধর্মান্তকরণ অপরাধ। গুজরাটে আনা নতুন আইনে বলা হয়েছে, ধর্ম বদল করে ভিন ধর্মে বিয়ে করতে হলেও সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের অনুমতি নিতে হবে। তিনি দুই পক্ষের মত আছে কিনা জেনে সেই বিয়ের অনুমতি দেবেন। কিন্তু গুজরাট সরকারের সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে রাজ্য। এই মামলায় সোমবার আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের আবেদনে শুনানির সময়ে কড়া বার্তা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এই বিষয়টি বেশ উদ্বেগজনক। সংবিধানের বিরোধী। ভারতে থাকতে গেলে, এই দেশের সংস্কৃতি মেনে চলতে হবে। ধর্ম পরিবর্তনের জন্য কাউকে বাধ্য করা যাবে না। 

    সুপ্রিম বার্তা

    এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, জোর করে ধর্মান্তকরণ করা অসাংবিধানিক। সেই সঙ্গে ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন (Anti Conversion Law) প্রসঙ্গে কেন্দ্রের কাছে হলফনামা তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কেন্দ্রকে তথ্য সংগ্রহ করার কথাও বলা হয়। আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতের কাছে সমস্ত তথ্য পেশ করতে হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Abhijit Ganguly: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    Abhijit Ganguly: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharyee) আমলে দুর্নীতির আখড়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দুর্নীতি এবং মানিক ভট্টাচার্যের ছটা থেকে এখনই মুক্ত হতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে পর্ষদের আরও ২-৩ বছর সময় লাগবে। অভিমত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের (Abhijit Ganguly)। দুর্নীতির তদন্তের জন্য প্রয়োজনে মানিককে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথাও বলেন বিচারপতি। সেই মতো বৃহস্পতিবারই মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় সিবিআই।

    কী বললেন বিচারপতি

    টেট দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharyee) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আপাতত রয়েছেন জেল হেফাজতে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশেই তাঁকে পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করা হয়। তার পর ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “দুর্নীতি ও মানিক ভট্টাচার্যের ছটা মুক্ত হতে পর্ষদের আরও ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগবে।” নিয়োগ দুর্নীতিতে যে মানিক ভট্টাচার্যের ভূমিকা অনেকটাই এদিন ফের তা বুঝিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন,  “আমাকে কি আবার সিট পুর্নগঠন করতে হবে?” দ্রুত নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছনোর কথা বলেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডি-র, জানেন কী?

    এদিন শুনানির সময় এক মামলাকারী দাবি করেন, টেটে নিয়োগের একটি নির্দিষ্ট পরীক্ষায় কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে কেবলমাত্র হাজিরা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের পরীক্ষা নেওয়াই হয়নি। তার পরেও তাঁরা ওই পরীক্ষায় পুরো নম্বর পেয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) এই অভিযোগ শুনে মন্তব্য করেন, ‘‘কেউ আর্জেন্টিনার জার্সি পরে আছে বলে নম্বর পেয়ে যাবে, ব্রাজিলের জার্সি পরলে নম্বর পাবে না, এটা হতে পারে না।’’ এই মন্তব্য করে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারপতি। 

    সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই

    মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharyee) হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানানো হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে  জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই আবেদনই জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতে। তবে মানিকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় রক্ষাকবচের কথা শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, ‘রক্ষাকবচ খারিজ করার আবেদন জানান।’ 

  • Religious Conversion: ‘দাতব্য স্বাগত, তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Religious Conversion: ‘দাতব্য স্বাগত, তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর করে ধর্মান্তকরণ (Religious Conversion) করা একটি গুরুতর বিষয়। সোমবার সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। জোর করে ধর্মান্তকরণ অসাংবিধানিক বলেও অভিমত আদালতের। দেশের শীর্ষ আদালত এও জানায়, দাতব্য (Charity) স্বাগত। তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়। সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে, তার নেতৃত্বে রয়েছেন বিচারপতি এমআর শাহ। বেঞ্চ বলে, যদি কেউ কাউকে সাহায্য করতে চান, তাহলে সাহায্য করা উচিত। তারা এও জানায়, মানুষ বিভিন্ন কারণে ধর্মান্তরিত হন। তবে প্রলোভন বিপজ্জনক।  

    ধর্ম পরিবর্তন…

    দেশের নানা প্রান্তে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন (Religious Conversion) করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণা করে ধর্ম পাল্টে দেওয়া হচ্ছে মানুষের। এহেন অভিযোগ জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। সোমবার হয় সেই মামলার শুনানি।

    সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এদিন বেঞ্চের সামনে হাজির হন। তিনি বলেন, খাদ্যশস্য, ওষুধ নাকি হৃদয় থেকে মানুষ ধর্ম পরিবর্তন করছেন, তা স্থির হওয়া প্রয়োজন। তখনই বিচারপতি শাহ বলেন, বিষয়টি গুরুতর। আমরা একে সিরিয়াসলি নিচ্ছি। তিনি বলেন, কাউকে কিছু সাহায্য দিয়ে… যিনি সাহায্য চান, তাঁকে আপনি সাহায্য করতে চান…দাতব্যের উদ্দেশ্য ধর্মান্তকরণ হতে পারে না। তিনি বলেন, প্রতিটি দান, ভাল কাজ স্বাগত। কিন্তু দেখতে হবে, তার উদ্দেশ্যটা কী। এর পরেই তিনি বলেন, এটি আমাদের সংবিধান বিরোধী। বিচারপতি শাহ বলেন, যিনি ভারতে বাস করতে চাইবেন, তাঁকে এ দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে।

    আরও পড়ুন: জোর করে ধর্মান্তকরণ অপরাধ! নয়া আইন প্রণয়নে সুপ্রিম দুয়ারে গুজরাট সরকার

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ধর্মান্তকরণ (Religious Conversion) বিরোধী আইন কার্যকর করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। এই আইন বলে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে সে রাজ্যে। এই একই আইন কার্যকর করতে উঠেপড়ে লেগেছে গুজরাট সরকারও। দেশের শীর্ষ আদালতে তারা জানিয়েছে, ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে সকলের। কিন্তু সেই স্বাধীনতার অপব্যবহার করে অন্যদের ধর্মান্তকরণের অনুমতি দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুন: ‘যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে’, শেষনের তুলনা টেনে বলল সুপ্রিম কোর্ট 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • DY Chandrachud: মহিলা বিচারপতিদের নিয়ে পৃথক ডিভিশন বেঞ্চ গঠন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

    DY Chandrachud: মহিলা বিচারপতিদের নিয়ে পৃথক ডিভিশন বেঞ্চ গঠন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সুপ্রিম কোর্টে ফের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। তৃতীয়বারের মতো দেশের শীর্ষ আদালতের ইতিহাসে বৃহস্পতিবার এমন একটি ডিভিশন বেঞ্চ বসল যেখানে সকলেই মহিলা বিচারপতি, অর্থাৎ সম্পূর্ণ মহিলা বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বুধবার বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ গঠন করেছেন। সুপ্রিম কোর্টে বর্তমানে মাত্র তিনজন মহিলা বিচারপতি রয়েছেন –বিচারপতি কোহলি, বিভি নাগরত্ন এবং বেলা এম ত্রিবেদী। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ২০২৭ সালে দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি পদ অলংকৃত করবেন।

    আরও পড়ুন: “দেশের সমস্ত নাগরিকদের রক্ষা করব…”, প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়

    ইতিহাসে মহিলা বিচারপতিদের বেঞ্চ

    এই নিয়ে তিনবার সুপ্রিম কোর্টে মহিলা বিচারপতির ফুল বেঞ্চ (all women bench) বসল।  আদালত সূত্রের খবর, ২০১৩ সালে প্রথম সুপ্রিম কোর্টে মহিলা বিচারপতির বেঞ্চ বসে। বিচারপতি জ্ঞানসুধী মিশ্র এবং বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাই তখন বেঞ্চের সদস্য ছিলেন। ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি আর ভানুমতী এবং বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহিলা বেঞ্চ বসেছিল। বৃহস্পতিবার বিচারপতি কোহলি এবং বিচারপতি ত্রিবেদির বেঞ্চে ৩২টি বিষয় রয়েছে। তার মধ্যে বিবাহ সংক্রান্ত দশটি এবং জামিন সংক্রান্ত দশটি মামলা আছে। বিচারপতি কোহলির মেয়াদ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বিচারপতি ত্রিবেদী জুন, ২০২৫ পর্যন্ত পদে থাকবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে বিচারপতি নাগরত্ন ২০২৭ সালে দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন।

    আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রে কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়’, বললেন প্রধান বিচারপতি

    ১৯৮৯ সালে প্রথমবারের মতো শীর্ষ আদালতে একজন মহিলা বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছিল। কেরালা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে অবসর নেওয়ার পর বিচারপতি এম ফাতিমা বিবি যখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। তাঁর পরে বিচারপতি সুজাতা মনোহর, বিচারপতি রুমা পাল, বিচারপতি জ্ঞান সুধা মিশ্র, বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাই, বিচারপতি আর ভানুমতি, বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা, বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জি, বিচারপতি কোহলি, বিচারপতি নাগরত্ন এবং বিচারপতি ত্রিবেদী সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid Vaccine: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    Covid Vaccine: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডে মৃত্যুর দায় নিতে পারে না সরকার। সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানাল কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টকে এদিন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, কোভিডের ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) নেওয়া নিয়ে কোনও আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। শুধু তাই নয়, ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কোনও মৃত্যু হলে তার জন্য দায়ী সরকার নয়। কেন্দ্র জানিয়েছে, সরকার শুধু জনস্বার্থে ভ্যাকসিন নিয়ে উৎসাহ প্রদান করছে।  

    প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিনের (Covid Vaccine) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এক কিশোরীর মৃত্যুতে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় আদালতে। সেই মামলার নিরিখেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, “যেকোনও মৃত্যুই মর্মান্তিক। তবে তাতে সরকারকে দোষী করা ঠিক নয়।” কেন্দ্রের তরফে দায়ের করা ২৩ নভেম্বরের হলফনামায় জানানো হয়, “যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিনেশনে উৎসাহ দিচ্ছে মাত্র। এটাও জানানো হচ্ছে যে, ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে কোনও আইনি বাধ্যতা নেই।”

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের পথে শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) সংক্রান্ত মৃত্যু মামলায় গত ২৯ অগাস্ট কেন্দ্রকে একটি নোটিস পাঠায় শীর্ষ আদালত। এই মৃত্যুতে একটি নিরপেক্ষ কমিটি গড়ে তার দ্বারা তদন্তের কথা বলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে অটোপসির রিপোর্টও পেশ করতে বলে আদালত।

    কী বলেছে আদালত? 

    মামলায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ভ্যাকসিনের জেরে মৃত্যু হয় এক বালিকার। এই কেন্দ্রের তরফে মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণের দাবি করে মৃতের বাবা-মা। এছাড়াও ভ্যাকসিনের (Covid Vaccine) পার্শ্বপ্রক্রিয়ায় অসুস্থতা ঘিরে সরকারের গাইডলাইনও সামনে আনার দাবি করেছেন মামলাকারী। কেন্দ্র উত্তরে জানিয়েছে, AEFI- এর তথ্য অনুযায়ী, মেডিসিনের মতো সমস্ত ভ্যাকসিনেরও কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে গ্রহীতার কাছে এমন অপশনও রয়েছে যেখানে তিনি ভ্যাকসিন সম্পর্কে সম্পূর্ণ খোঁজ নিয়ে তারপরে তা গ্রহণ করার। এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলে কেন্দ্র। কেন্দ্র বলে, “কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে সমস্ত তথ্য ‘পাবলিক ডোমেনে’ রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Same Sex Marriage: সমলিঙ্গ বিয়ের স্বীকৃতি ইস্যুতে অবস্থান জানাতে কেন্দ্রকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    Same Sex Marriage: সমলিঙ্গ বিয়ের স্বীকৃতি ইস্যুতে অবস্থান জানাতে কেন্দ্রকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিয়ে (Same Sex Marriage) নিয়ে কেন্দ্র ও অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটারামানিকে নোটিশ পাঠাল দেশের শীর্ষ আদালত। আজ, শুক্রবার পাঠানো হয় নোটিশ। সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে দুটি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে তাঁদের বিয়ে নিবন্ধীকৃত হোক। এ ব্যাপারেই কেন্দ্র ও অ্যাটর্নি জেনারেলের অভিমত জানতে চেয়ে নোটিশ (Notice) পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।

    সময় মাত্র চার সপ্তাহ…

    সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চে সমলিঙ্গ বিয়ের (Same Sex Marriage) স্বীকৃতি চেয়ে করা আবেদনের শুনানি চলছে, ওই বেঞ্চে রয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলি। কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠানোর আগে তাঁরা প্রবীণ আইনজীবী মুকুল রোহতোগির কাছে এই আবেদনের নির্যাস শোনেন। তার পরেই পাঠানো হয় নোটিশ। চার সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে কেন্দ্রকে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    সমলিঙ্গ বিয়ের (Same Sex Marriage) স্বীকৃতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে দুটি আবেদন জমা পড়েছিল, তার একটি করেছিলেন জনৈক সুপ্রিয় চক্রবর্তী ও অভয় ঢ্যাং। এঁরা হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা। আর দ্বিতীয় আবেদনটি করেছিলেন পার্থ ফিরোজ মেহরোত্রা এবং উদয় রাজ। আবেদনে বলা হয়েছে, সমলিঙ্গ বিয়েকে স্বীকৃতি না দিলে সংবিধানের ১৪ ও ২১ নম্বর ধারায় সাম্যের অধিকার এবং জীবনের অধিকার লঙ্ঘিত হয়।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে দেশের শীর্ষ আদালত এক ঐতিহাসিক রায়ে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারাটি বাতিল বলে ঘোষণা করে। ওই ধারায় সমলিঙ্গ মানুষের যৌন সম্পর্ককে অপরাধ বলে গণ্য করা হত। ১৮৬৫ সালে ব্রিটিশ সরকারের চালু করা ওই ধারা ব্রিটেনেই বাতিল হয় তার ঠিক ১০২ বছর পরে। তবে ভারতে তা চালু ছিল। সুপ্রিম কোর্টের যে সাংবিধানিক বেঞ্চ ওই ধারাটি বাতিল করেছিলেন, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

    দেশের শীর্ষ আদালত ধারাটি বাতিল করলেও, সরকার এখনও এ ব্যাপারে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। সেই কারণেই থমকে রয়েছে সমলিঙ্গ বিয়ের স্বীকৃতি। যার জেরে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে সুপ্রিয় চক্রবর্তী ও অভয় ঢ্যাংকে। একই কারণে সুপ্রিম কোর্টের শরণ নিতে হয়েছে পার্থ ফিরোজ মেহরোত্রা ও উদয় রাজকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • West Bengal Government: আরও জোরদার ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন, গণছুটির পথে রাজ্য সরকারি কর্মীরা!

    West Bengal Government: আরও জোরদার ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন, গণছুটির পথে রাজ্য সরকারি কর্মীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) বিরুদ্ধে আরও জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। নয়া বছরের প্রথমেই কোমর বেঁধে আন্দোলনে নামছেন তাঁরা। ২৭ জানুয়ারি গণ ছুটির (Mass Holiday) ডাক দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে। কলকাতায় ডাক দেওয়া হয়েছে গণ অবস্থানের। এদিকে, বৃহস্পতিবার দিনভর সওয়াল জবাব শেষে ডিএ (DA) আন্দোলনে অংশ নেওয়া ধৃত ৪৭ জনের জামিন মিলল। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এদিন তাঁদের হয়ে সওয়াল করেন দুঁদে আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।  

    বকেয়া ডিএ-র দাবিতে বুধবার লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে বিধানসভা পর্যন্ত অভিযানের ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মীদের তিরিশটি সংগঠন। তিরিশটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিধানসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। বকেয়া ডিএ চাওয়ায় পুলিশ কয়েকজনকে ঘুষিও মারে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত হন কয়েকজন। টেনে হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে আন্দোলনকারীদের তোলা হয় গাড়িতে। পুলিশের ধাক্কাধাক্কি থেকে রেহাই পাননি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরাও। ওই ঘটনায় ৪৭জনকে গ্রেফতারও করা হয়। এদিন তাঁদেরই জামিন মেলে।

    আন্দোলনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ…

    তবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে (West Bengal Government) এই আন্দোলনে যে এখানেই দাঁড়ি পড়ছে, তা নয়। নতুন বছরের শেষের দিকে জোরদার আন্দোলনে নামছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মঞ্চের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার যদি দ্রুত বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবি না মেনে নেয়, তাহলে আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে। বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে এবং যাবতীয় শূন্যপদে স্বচ্ছভাবে নিয়োগের দাবিতে ১৯ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযান করা হবে। ২৭ জানুয়ারি দেওয়া হয়েছে গণছুটির ডাক। কলকাতায় হবে লাগাতার অবস্থান।

    আরও পড়ুন: ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বুধবার আন্দোলন চলাকালীন যে ৪৭জনকে গ্রেফতার করা হয়, তাঁদের হয়ে এদিন আদালতে সওয়াল করেন বিকাশরঞ্জন। সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা অভাবনীয়। পুলিশ ছেড়ে দেবে বলেও, ছাড়েনি। আন্দোলনকারীরা কি বোমা ছুড়েছে, নাকি অন্য কিছু করেছে? কলকাতায় ১৪৪ ধারা হামেশাই ভাঙে। কী দোষ এদের? হেফাজতে রাখার যুক্তি কী? ডিএ দেবে না আবার আন্দোলনও করতে দেবে না?  এর পরে পরে এদিন সন্ধের দিকে জামিন দেওয়া হয় ধৃতদের। এদিকে, ডিসেম্বরের ২ তারিখে সুপ্রিম কোর্টে হবে ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। তারই শুনানি হবে ওই দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • T N Seshan: ‘যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে’, শেষনের তুলনা টেনে বলল সুপ্রিম কোর্ট

    T N Seshan: ‘যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে’, শেষনের তুলনা টেনে বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের (CEC) ‘ভঙ্গুর ঘাড়ে’র ওপর সংবিধান প্রচুর ক্ষমতা চাপিয়েছে। তাই এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাতে হবে শক্ত চরিত্রের কাউকে। মঙ্গলবার একথা জানাল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মতে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এবং তাই প্রয়াত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টিএন শেষনের (T N Seshan) মতো একজন কাউকে প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আসীন ছিলেন শেষন। তাঁর আমলে নির্বাচনী নানা সংস্কার হয়। এদিন সেই প্রসঙ্গই টেনেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    সাংবিধানিক বেঞ্চ…

    পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের মাথায় রয়েছেন বিচারপতি কে এম জোসেফ। এই বেঞ্চেই এদিন শুনানি হচ্ছিল একটি পিটিশনের। এই পিটিশনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতির সংস্কার সাধনের কথা বলা হয়েছিল। জোসেফ ছাড়াও এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস, বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমার। পাঁচ বিচারপতির এই সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রশ্ন, কেন ২০০৭ সাল থেকে সমস্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ কমানো হয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে, আমরা এই প্রবণতা ইউপিএ এবং বর্তমান সরকারের আমলেও লক্ষ্য করেছি।

    এই মামলার শুনানিতে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, গণতন্ত্র সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। এ নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। আমরা সংসদকে কিছু করতে বলতে পারি না। এবং আমরা তা করবও না। দেশের শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের সদস্য নিয়োগে সংসদকেই সংস্কার সাধন করতে হবে। কারণ এর প্রভাব পড়ে নির্বাচন কমিশনের কর্যক্রমে।

    আরও পড়ুন: রাজীব হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, কেন জানেন?

    দেশের শীর্ষ আদালতের বলে, এটি নির্বাচন কমিশনারের স্বাধীনতাকেও প্রভাবিত করে। আদালতের প্রশ্ন, ১৯৯১ সালের আইনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কার্যকাল ছিল ছ’ বছর। তাহলে কোন যুক্তিতে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ কমানো হচ্ছে? এর পরেই আদালতে বলে, সংবিধান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং দুই নির্বাচন কমিশনারের কাঁধে অনেক দায়িত্ব অর্পণ করেছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে টিএন শেষনের (T N Seshan) মতো শক্তশালী চরিত্রের এক ব্যক্তির প্রয়োজন। আদালত বলে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আমাদের যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: অমরাবতীকে রাজধানী করতে হবে, হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

    Supreme Court: অমরাবতীকে রাজধানী করতে হবে, হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ছয় মাসের মধ্যে অমরাবতীকে অন্ধ্রপ্রদেশের নতুন রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত সোমবার অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

    অন্ধ্র হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ

    গত মার্চ মাসে হাইকোর্ট অন্ধ্র সরকারকে নির্দেশ দেয়, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন রাজধানী অমরাবতী তৈরি করতে হবে। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় জগন্মোহন রেড্ডি সরকার। সেই মামলার শুনানিতেই সোমবার শীর্ষ আদালত (Supreme Court) হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়।

    হাইকোর্টের রায়ে প্রশ্ন বিচারপতির

    সোমবার বিচারপতি (Supreme Court) কে এম জোসেফ ও বি ভি নাগরত্নের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে বলে, ‘আদালত টাউন প্ল্যানার বা চিফ ইঞ্জিনিয়ার নয়। আর ছয় মাসে একটি শহর নির্মাণের দাবি অগ্রহণযোগ্য।’ বিচারপতি নাগারত্ন প্রশ্ন করেন, “হাইকোর্ট কী ধরনের নির্দেশ দিয়েছে? হাইকোর্ট কি টাউন প্ল্যানার বা চিফ ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে? আদালতের এই ধরণের বিষয়ে কোন দক্ষতা নেই, তাই আমরা হস্তক্ষেপ করি না। বিশেষজ্ঞ ছাড়াই হাইকোর্ট চায় পুরো শহর দুই মাসের মধ্যে তৈরি হোক?”

    আরও পড়ুন: এবার দুর্নীতি নার্সিং নিয়োগে! অভিযোগের তির মন্ত্রী অখিল গিরির ভাইঝি সাইনার দিকে

    রাজ্য সরকার, কৃষক, সমিতি এবং তাদের কমিটিগুলির দায়ের করা পিটিশনগুলির শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে বিষয়টিকে বিশদভাবে বিবেচনা করা দরকার। আগামী ৩১ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে (Supreme Court)।

    প্রসঙ্গত, এক্সিকিউটিভ ক্যাপিটাল বিশাখাপত্তনম, লেজিসলেটিভ ক্য়াপিটাল অমরাবতী ও জুডিশিয়াল ক্য়াপিটাল কুর্নুলে, সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অমরাবতী অঞ্চলের কৃষকরা মামলা দায়ের করে ও অমরাবতীকে রাজধানী করার আবেদন জানায়। পরে এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট অমরাবতীকে রাজধানী করার নির্দেশ দেয়। এরপর হাইকোর্টের সেই নির্দেশেকেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিল অন্ধ্র সরকার। তারপর সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল। রাজধানী সংক্রান্ত ব্যাপারে পরবর্তীতে কী সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সেটাই এখন দেখার। 

    আরও পড়ুন: পূর্ণমানের চেয়ে বেশি প্রাপ্ত নম্বর! ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নম্বরের ব্রেক আপ নিয়ে বিতর্ক

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • DY Chandrachud: ‘গণতন্ত্রে  কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়’, বললেন প্রধান বিচারপতি  

    DY Chandrachud: ‘গণতন্ত্রে  কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়’, বললেন প্রধান বিচারপতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রে (Democracy) কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়। এমন কী কলেজিয়াম সিস্টেম, যারা বিচারক নিয়োগ করে, তারাও এর বাইরে নয়। শুক্রবার একথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। আজ, শনিবার সংবিধান দিবস (Constitution Day)। এই উপলক্ষে শুক্রবার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন দেশের প্রধান বিচারপতি। সেখানেই তিনি বলেন, এই সমস্যার সমাধান হল, যে সিস্টেম রয়েছে, তার মধ্যে থেকে কাজ করাই একমাত্র পথ।

    চন্দ্রচূড় বলেন…

    সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) বলেন, আমি ভেবেছিলাম, আমি সেরাটাকে সংরক্ষণ করব। এর পরেই তিনি বলেন, গণতন্ত্রে কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়। যে পরিকাঠামো রয়েছে, তার মধ্যে থেকেই কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বস্ত সৈনিক, যারা সংবিধানকে কার্যকর করব। দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা যখন অপূর্ণতার কথা বলি, তখনও আমাদের সমাধান হল, যে সিস্টেম রয়েছে, তার মধ্যে থেকেই কাজ করা। চন্দ্রচূড় আরও বলেন, কেবল কলেজিয়াম সিস্টেম সংস্কার করলে কিংবা বিচারকদের বেতন বাড়িয়ে দিলেই ভাল এবং যোগ্য মানুষ বেঞ্চে যোগ দেবেন, তা নিশ্চিত হয় না।

    দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)  বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ভাল মানুষের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এর পরেই তিনি বলেন, ভাল মানুষদের বিচার ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা, ভাল আইনজীবী তৈরি করেই কলেজিয়াম ব্যবস্থার সংস্কার সম্ভব নয়। টাকা কিংবা বেতন দিয়ে বিচারকের মান নির্ণয় করাও সম্ভব নয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, একজন বিচারককে আপনি যতই বেতন দেন না কেন, তা একজন সফল আইনজীবীর দিনের শেষের উপার্জনের একটা ছোট অংশ হবে। তিনি বলেন, বিচারক হওয়া আসলে বিবেকের ডাক, পাবলিক সার্ভিসের প্রতি দায়বদ্ধতা।

    আরও পড়ুন: “দেশের সমস্ত নাগরিকদের রক্ষা করব…”, প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়

    প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয়েছিল ভারতীয় সংবিধান। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। তার পরের বছর থেকে ফি বছর এই দিনটিকে সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আগে এই দিনটি পালিত হত আইন দিবস হিসেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share