Tag: Supreme court

Supreme court

  • Burqa: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    Burqa: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজে রয়েছে ড্রেস কোড (Dress Code)। তা লঙ্ঘন করেই বোরখা (Burqa) পরে কলেজে এসেছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন ছাত্রী। স্বাভাবিকভাবেই কলেজে ঢুকতে বাধা পান ওই পড়ুয়ারা। কলেজ গেটে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরাই তাঁদের বাধা দেন। উত্তর প্রদেশের মোরদাবাদের (Moradabad) হিন্দু কলেজের ঘটনা। বোরখা পরিহিত ওই ছাত্রীদের অভিযোগ, বোরখা পরে আসার কারণে কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। কলেজের গেটেই বোরখা খুলতে বাধ্য করা হয় তাঁদের। এনিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমাজবাদী ছাত্রসভার কর্মীদের বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। কলেজ কর্তৃপক্ষ ড্রেস কোড পরে কলেজে আসার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অনড় থাকেন। ওই কলেজের অধ্যাপক এপি সিং বলেন, কলেজের পড়ুয়াদের জন্য ড্রেস কোড চালু হয়েছে। সেই ড্রেস কোড কেউ না মানলে তাকে কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পরে সমাজবাদী ছাত্র সভার তরফে কলেজ কর্তৃপক্ষকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, ড্রেস কোডের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বোরখাকেও (Burqa)।

    হিজাব বিতর্ক…

    ২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল কর্নাটকে। উদুপির একটি সরকারি মহিলা কলেজে হিজাব (Hijab) পরে এসেছিলেন কয়েকজন ছাত্রী। তাঁদেরও ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এনিয়ে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ। যদিও সেক্ষেত্রেও হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের কাছে নতি স্বীকার করেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পরে পরেই বিজয়পুরার একটি কলেজে গেরুয়া উত্তরীয় পরে আসেন কয়েকজন পড়ুয়া। একইভাবে তাঁদেরও কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পড়ুয়াদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কলেজে আসতে হবে ড্রেস কোড মেনেই। এর পরেই ওই রাজ্যের প্রি-ইউনিভার্সিটি এডুকেশন বোর্ড রীতিমতো সার্কুলার জারি করে জানিয়ে দেয়, নির্দিষ্ট ড্রেস কোড পরেই আসতে হবে স্কুল-কলেজে।

    আরও পড়ুুন: সিএএ লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না, আশ্বাস সুকান্ত, মিঠুনের

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও ধর্মীয় আচরণও করা যাবে না। বিতর্কের রেশ গড়ায় কর্নাটক হাইকোর্ট পর্যন্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হয় একাধিক পিটিশন। হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, হিজাব ইসলামে বাধ্যতামূলক নয়। হিজাব কখনও বাধ্যতামূলক নয়। কোরানে উল্লেখ থাকলেই যে সেই প্রথা জরুরি হবে এমন নয়। ইসলামিক দেশগুলিতেই হিজাব পরা নিয়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন মেয়েরা। ইরানের রাজপথে হিজাব না পরার পক্ষে সওয়াল করেছেন সেখানকার স্বাধীনচেতা মেয়েরা। সুপ্রিম কোর্টে কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ের পক্ষে সওয়াল করে একথাই জানিয়েছিলেন আইনজীবী তুষার মেহতা। ভারতের সলিসিটর জেনারেল তথা কর্নাটক সরকারের আইনজীবী তুষার মেহতা জানিয়েছিলেন, দেশে হিজাব-বিতর্ক তৈরি করা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার চক্রান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • SIMI: সিমি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র

    SIMI: সিমি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও সংগঠন যারা ভারতে (India) ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের অনুমোদন দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে সিমিকে (SIMI) নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। সেই সংক্রান্ত মামলায় দেশের শীর্ষ আদালতে এদিন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র।

    সিমি…

    এদিন সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে কেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছে, সিমি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে। এরা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক ইসলামি অর্ডার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাদের যে লক্ষ্য, তা আমাদের দেশের আইনের পরিপন্থী। বিশেষত, তাদের মূল লক্ষ্য হল ভারতে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা। ২০০১ সালেই এ দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিমিকে (SIMI)। কারণ ওই সংগঠন আইনবিরুদ্ধ নানা কার্যকলাপ করছিল। এ দেশে তাদের ৩৬টিরও বেশি শাখা সংগঠন রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নামে তারা তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল।

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাখিল করা হলফনামায় বলা হয়েছে, ৩৬টিরও বেশি ফ্রন্ট অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে এদেশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সিমি। এই ফ্রন্ট অর্গানাইজেশনগুলো নানাভাবে সিমিকে সাহায্য করছে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থ সংগ্রহ, পুস্তিকার মাধ্যমে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া, ক্যাডারদের সংগঠিত করা ইত্যাদি। সিমি বিভিন্ন রকম বেআইনি কাজকর্মও করছিল। এই সব কাজ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পক্ষে ভয়ঙ্কর হুমকি স্বরূপ।

    আরও পড়ুুন: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ২৫টি আসন পাবে বিজেপি! দাবি সুকান্তর

    বুধবার কেন্দ্রের দাখিল করা হলফনামা নিয়ে শুনানি হবে বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউলের এজলাসে। সুপ্রিম কোর্টেই সিমির (SIMI) এক প্রাক্তন সদস্য পিটিশন দাখিল করেছিল। ২০১৯ সালে ইউএপিএ ধারায় সিমিকে যে অভিযুক্ত করা হয়েছিল, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দাখিল করা হয় ওই পিটিশন। এদিন কেন্দ্রের তরফে দাখিল করা হলফনামায় এও বলা হয়েছে, সিমিকে (SIMI) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সত্ত্বেও বিভিন্ন সংগঠনের নামে বেআইনি কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এর প্রতি যারা সহানুভূতিশীল, তারা। এই সব সংগঠন মুসলিম তরুণদের মনে জেহাদির ধারণা ঢুকিয়ে দিচ্ছে, তাদের ব্রেইন ওয়াশ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kiren Rijiju: কলেজিয়ামে সরকারি প্রতিনিধি রাখতে চায় কেন্দ্র, প্রধান বিচারপতিকে চিঠি রিজিজুর

    Kiren Rijiju: কলেজিয়ামে সরকারি প্রতিনিধি রাখতে চায় কেন্দ্র, প্রধান বিচারপতিকে চিঠি রিজিজুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে ফের কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু চিঠি লিখলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে। কিরেন রিজিজু ধারাবাহিক ভাবে সুপ্রিম কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ফলে তিনি ফের চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, কলেজিয়াম ব্যবস্থায় কেন্দ্রের প্রতিনিধিকেও যুক্ত করা উচিত। অর্থাৎ হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের অভিমত জানাতে চায়। এ জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিচারপতি নিয়োগের জন্য গঠিত কলেজিয়ামে তাদের প্রতিনিধি রাখতে আগ্রহী। জানা গিয়েছে, কলেজিয়াম ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু ফাঁক ফোঁকড় রয়েছে, তাই কেন্দ্রের এই পরামর্শ।

    বিচারপতি নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে চিঠি আইনমন্ত্রীর

    এদিন চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রুমা পালের ২০১১ সালের এক বিবৃতি উল্লেখ করে সুপ্রিম কলেজিয়ামে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং হাইকোর্ট কলেজিয়ামে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার ‘পরামর্শ’ দেন রিজিজু। আইনমন্ত্রীর চিঠিতে দাবি করেন, ২৫ বছরের পুরনো কলেজিয়াম ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্যই তাঁর এই সুপারিশ। গতমাসে আইনমন্ত্রী রাজ্যসভায় জানিয়েছিলেন, বর্তমান কলেজিয়াম ব্যবস্থায় বিচারপতি নিয়োগে সামাজিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। এমনকী কলেজিয়ামের বিচারপতি বাছাইয়ে দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: কীভাবে কাজ করবে রিমোট ইভিএম? সর্বদলীয় প্রতিনিধিদের ডেমো দেখাল কমিশন

    এছাড়াও কিছু দিন আগেই কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও। বিচারপতি নিয়োগে সরকারের ভূমিকা বাড়ানোর জন্য জোরদার সওয়াল করেছিলেন তিনি। ফলে কলেজিয়ামে সরকারি প্রতিনিধি রাখার জন্য বারংবার চিঠি দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতে। ফলে এবারও একই দাবি নিয়ে ফের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় আইনমন্ত্রীর চিঠির জবাবে কী যুক্তি হাজির করেন সেটাই এখন দেখার। কেন্দ্রের দাবি, ভারত ছাড়া আর কোনও দেশে বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সরকারকে বাদ রাখা হয় না।

    প্রসঙ্গত, দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এবং অন্যান্য উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয় কলেজিয়াম। দেশের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের ৪ প্রবীণ বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত হয় এই কলেজিয়াম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • West Bengal DA: সুপ্রিম কোর্টের নতুন বেঞ্চে গেল রাজ্যের ডিএ মামলা, শুনানি কবে জানেন?

    West Bengal DA: সুপ্রিম কোর্টের নতুন বেঞ্চে গেল রাজ্যের ডিএ মামলা, শুনানি কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নতুন বেঞ্চে গেল রাজ্যের ডিএ (West Bengal DA) মামলা। বকেয়া ডিএ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই লড়ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন। গত বছর ডিসেম্বরে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। তার প্রায় এক মাস পর নতুন বেঞ্চে গেল রাজ্যের ডিএ মামলা। মামলাটি গিয়েছে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চে। আগামী ১৬ জানুয়ারি, সোমবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    কলকাতা হাইকোর্ট…

    গত বছর মে মাসে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। তাদের যুক্তি, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ডিএ দিতে গেলে খরচ হবে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। যা তাদের পক্ষে বহন করা দুঃসাধ্য। এর পরেই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্যের কর্মচারী সংগঠন।

    আরও পড়ুুন: মোদি মন্ত্রিসভায় রদবদল! ঠাঁই পেতে পারেন কারা, জানেন?

    বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্যের এই ডিএ মামলা (West bengal DA), প্রথমে সেটি সেখানেই ছিল। এই বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চেই ছিল এই মামলা। পরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে বেঞ্চ বদলের কথা জানানো হয়েছিল। পরে নয়া বেঞ্চ গঠন নিয়ে অভিযোগ তোলে আইনজীবীদের একটি পক্ষ। আইনজীবীদের এই অভিযোগে অসন্তুষ্ট হয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই শুনানি বাতিল করা হয়।

    প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক ক্রমশ বেড়েছে। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের তরফে ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই একটি রায় দেওয়া হয়েছিল। পরে হাইকোর্টে সেই মামলা হলে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের রায়ই বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে ডিএ (West bengal DA) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। এদিকে, তিন মাসের মধ্যে ডিএ না দেওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে হাইকোর্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recuitment Scam: সুপ্রিমকোর্টে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ফিরল হাইকোর্টে

    Recuitment Scam: সুপ্রিমকোর্টে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ফিরল হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recuitment Scam) মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। দুর্নীতি মামলাটি গ্রহণ করল না সুপ্রিম কোর্ট। ফেরত পাঠানো হল হাইকোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানাল, যা বলার হাইকোর্টে বলুন, এখানে কেন?

    ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির (Recuitment Scam) অভিযোগ ওঠে। টাকার নিয়ে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়। একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সেই মামলার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সুপ্রিমকোর্টে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “৮ বছর পর জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এই মামলা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তাই এই মামলা খারিজে দেশের শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করুক চায় রাজ্য।”

    কী বলে সুপ্রিম কোর্ট?

    কিন্তু রাজ্যের আবেদন উড়িয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Recuitment Scam)। রাজ্যকে পরামর্শ দিয়ে বিচারপতি বলেন, “যা বলার হাইকোর্টে বলুন।” বিচারপতি এস এস কৌল ও এ এস ওকার ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি পুনরায় হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন।

    আরও পড়ুন: ফের ৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    হাইকোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় (Recuitment Scam) অভিযোগ করা হয়, ২০১৪-র টেট দুর্নীতি মামলায় কমপক্ষে ৪২,৮৯৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। মেধা তালিকা প্রকাশ না করেই অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে অনেক বেশি নম্বর পেয়েও অনেকে নিয়োগপত্র পাননি বলে অভিযোগ।   

    অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে বহু নিয়োগ করা হয়েছে। তার ফলে বঞ্চিত হয়েছেন যোগ্য প্রার্থীরা। এই কারণেই জনস্বার্থ মামলা করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে (Recuitment Scam) মামলা করে রাজ্য। ২০১৪ সালের ঘটনায় ২০২২-এ জনস্বার্থ মামলার কোনও গুরুত্ব নেই বলে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করে রাজ্য। তবে দেরিতে করা এই মামলা খারিজ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। পুনরায় হাইকোর্টে মামলা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে যে চাপ বেড়েছে রাজ্যের, তা বলাই বাহুল্য।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Same Sex Marriage: সমলিঙ্গ বিবাহ সংক্রান্ত মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টেই! কেন্দ্রের মতামতও চাইল শীর্ষ আদালত

    Same Sex Marriage: সমলিঙ্গ বিবাহ সংক্রান্ত মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টেই! কেন্দ্রের মতামতও চাইল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সমলিঙ্গ বিবাহ সংক্রান্ত হাইকোর্টে যে আবেদনগুলি করা হয়েছে, সেই সমস্ত মামলাগুলিকে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত করা হল। এছাড়াও সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে কেন্দ্রের মতামত জানতে চাইল দেশের শীর্ষ আদালত। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মতামত জানাতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসীমা এবং বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার সমন্বয়ে গঠিত এক বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

    সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কী নির্দেশ?

    সমলিঙ্গ বিবাহের আইনি বৈধতা নিয়ে মামলা শুনতে সম্মত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন বেঞ্চ বলেছে, “দিল্লি, কেরল এবং গুজরাট হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে। আমাদের মতে এই মামলাগুলি এই আদালতে (সুপ্রিম কোর্টে) স্থানান্তর করা উচিত এবং এই আদালতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তাই আমরা সমস্ত পিটিশনগুলি এই আদালতে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনার তালিকায় নাম দোতলা বাড়ির মালিকের! ঘুরে দেখল কেন্দ্রীয় দল

    বিশেষ বিবাহ আইনে দেশের বিভিন্ন আদালতে সমলিঙ্গ বিয়ের আইনি বৈধতা নিয়ে মামলার শুনানি চলছে। সেই সব মামলা আগামী ১৩ মার্চ শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগেই কেন্দ্রকে তার মতামত দিতে বলা হয়েছে শীর্ষ আদালত থেকে। জানা গিয়েছে, মামলার আবেদনকারীরা সুপ্রিম কোর্টকেই এই মামলাগুলি শোনার আর্জি জানিয়েছিলেন। ফলে সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলাগুলি শুনতে রাজি হয়েছে ও এই মামলার সমস্ত আবেদনকারীর নাম নথিভুক্ত করার জন্যও কেন্দ্রকে নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানিয়েছে, যে আবেদনকারীরা আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন না, তাঁরা আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিতে পারবেন। এছাড়া লিখিতভাবেও তাদের আবেদন জমা দিতে পারবেন।

    কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নোডাল কাউন্সেল হিসেবে কানু আগরওয়াল এবং আবেদনকারীদের তরফে অরুন্ধতী কাটজুকে নিয়োগ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

    প্রসঙ্গত, গত বছর ২৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট দুই সমকামী যুগলের দায়ের করা দু’টি মামলা সম্পর্কে অবহিত হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠান করে বিয়ে করেন সুপ্রিয় চক্রবর্তী এবং অভয় ডাং। এখন বিশেষ বিবাহ আইনের স্বীকৃতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই যুগল। এমনই অনেক মামলা রয়েছে আদালতে, যার শুনানি হবে আগামী ১৩ মার্চ।

  • Supreme Court: সিনেমা হলে দর্শক বাইরের খাবার নিয়ে যেতে পারবে কি? কী রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট?

    Supreme Court: সিনেমা হলে দর্শক বাইরের খাবার নিয়ে যেতে পারবে কি? কী রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিনেমা হলে দর্শকরা বাড়ির তৈরি বা বাইরে থেকে খাবার কিনে ঢুকতে পারবেন কিনা তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। খাবার নিয়ে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়েই পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পি.এস নরসিনহার ডিভিশন বেঞ্চে। ফলে শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, সিনেমা হলে দর্শকরা বাড়ির তৈরি বা বাইরে থেকে খাবার কিনে ঢুকতে পারবেন কিনা তা সম্পূর্ণভাবে হল মালিকের ইচ্ছা। এই ব্যাপারে সরকার, আদালত, ক্রেতা সুরক্ষা আদালত কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

    মামলাটি কী?

    ২০১৮ সালে সিনেমা হল বা মাল্টিপ্লেক্সে খাবার নিয়ে প্রবেশ করায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট। এরপর জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন পড়ে। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টকে কার্যত ভৎর্সনা করল শীর্ষ আদালত।

    আরও পড়ুন: নতুন বছরে রেলমন্ত্রকের উপহার পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন ট্রেন

    জম্মু হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, “সিনেমা হলের সম্পত্তি হল মালিকদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। যতক্ষণ না এই ধরণের শর্তাবলী জনস্বার্থ, নিরাপত্তা এবং কল্যাণের বিরোধী না-হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত মালিক শর্তাবলী স্থির করতেই পারেন। সিনেমা হল জিম নয়, যে সেখানে স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন আছে। এটা একটা বিনোদনের জায়গা। সিনেমা হল ব্যক্তিগত সম্পত্তি। সুতরাং এই বিষয়টি মালিক সিদ্ধান্ত নেবে। আর হলের দর্শকরাও সেই খাবার-পানীয় কিনবেন কি না, সেটা তাঁদের পছন্দের ব্যাপার।” তাই গতকাল সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, হল মালিক এবং মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের পূর্ণ অধিকার রয়েছে, বাইরের খাবার বা পানীয় নিয়ে প্রবেশ করা যাবে কি যাবে না, সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।

    আবার সিনেমা হলের অন্দরে জল এবং শিশুদের জন্য খাদ্য নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, সেটা অতিরিক্ত বলেও পর্যবেক্ষণ দেশের শীর্ষ আদালতের। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানায়, দর্শক সিনেমা দেখবেন কিনা সেটা ঠিক করা তাঁদের অধিকার এবং সিনেমা হলে প্রবেশের পর কর্তৃপক্ষের নিয়মই চূড়ান্ত। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় আরও বলেন, “যদি কেউ খাবার নিয়ে সিনেমা হলে প্রবেশ করে এবং সিট নোংরা করে, তাহলে সেটা পরিষ্কার করার জন্য কে টাকা দেবে?” 

  • Supreme Court: মন্ত্রীদের রাজনৈতিক বক্তব্যের দায় সর্বদা সরকারের নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: মন্ত্রীদের রাজনৈতিক বক্তব্যের দায় সর্বদা সরকারের নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রীদের রাজনৈতিক বক্তব্যের দায় সর্বদা সরকারের ওপর চাপানো যায় না।মঙ্গলবার এই মর্মে রায় দিল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। বিচারপতি (Justice) এএস নজিরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, কেউ মন্ত্রী কিংবা জনপ্রতিনিধি বলেই তাঁর বাক স্বাধীনতা খর্ব করা বা বিধিনিষেধ আরোপ করা যায় না। আদালত এও জানিয়েছে, সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখিত বাক স্বাধীনতা দেশের সব নাগরিকের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য।

    মামলার নেপথ্যে…

    প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশের তৎকালীন মন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির প্রবীণ নেতা আজম খান বুলন্দ শহর গণধর্ষণ মামলাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও সমাজবাদী পার্টিকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে বলে বিবৃতি দেন। তার পরেই দায়ের হয় মামলা। সেই মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী, সাংসদ এবং বিধায়কদের মতো উচ্চ সরকারি অধিকর্তাদের বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকারের সীমা সংক্রান্ত আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘কোনও ভুল করেননি নরেন্দ্র মোদি’’, নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে সিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) যে সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে, তার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি এএস নাজির। বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন, বিচারপতি বিআর গাভাই, এএস বোপান্না, ভি রামাসুব্রহ্মনিয়ম এবং বিচারপতি নাগরত্না। প্রসঙ্গত, একদিন আগেই মোদি সরকারের পুরানো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের ওই সাংবিধানিক বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় বিষয়ে একজন মন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি সরকারের সুরক্ষার স্বার্থে হলেও সরকারের দায়িত্ব আছে, এ কথা মাথায় রেখে সেই বিবৃতির জন্য সরকারকে দায়ী করা যায় না। একই সঙ্গে আদালত (Supreme Court) জানিয়েছে, ১৯ নম্বর ধারা বা মত প্রকাশের অধিকার এবং ২১ নম্বর ধারা বা জীবনের অধিকার ভঙ্গ হলে কোনও নাগরিক আদালতের শরণাপন্ন হতেই পারেন। তবে কোনও মন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি নাগরিকের অধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। কিন্তু যদি এটা কোনও সরকারি আধিকারিকের অপরাধ হয়, তবে তার বিরুদ্ধে আদালতের কাছে প্রতিকার চাওয়া যেতে পারে।

    এদিকে, বিচারপতি নাগরত্ন পৃথক রায়ে জানিয়েছেন, যে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অধিকার। এই অধিকারের দৌলতে নাগরিকরা শাসন সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত ও শিক্ষিত হন। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৬ সালে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মামলায়ও ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Demonitisation: ক্ষমা চান রাহুল গান্ধী! নোটবন্দি নিয়ে সুপ্রিম রায়ের পর কংগ্রেসকে কটাক্ষ রবি শঙ্কর প্রসাদের

    Demonitisation: ক্ষমা চান রাহুল গান্ধী! নোটবন্দি নিয়ে সুপ্রিম রায়ের পর কংগ্রেসকে কটাক্ষ রবি শঙ্কর প্রসাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোট বন্দির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সোমবার জানিয়েছে, কী ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শুধু তার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের রায় বদলে দেওয়া যায় না। নোট বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা অবশ্যই রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে ছয় মাস ধরে আলোচনার পরেই নোট বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এটা শুধু কেন্দ্রের এক তরফা সিদ্ধান্ত তা বলা যায় না। তাই নোট বাতিলের প্রক্রিয়াও অবৈধ নয়। সুপ্রিম এই রায়ের পর বিরোধীদের একহাত নিয়েছে বিজেপি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ” নোট বন্দি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কি রাহুল গান্ধী সরি বলবেন? গত ছয় বছর ধরে মিথ্যে প্রচার চালিয়েছে কংগ্রেস। দেশের মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নোট বন্দির সিন্ধান্ত যে সঠিক ছিল সেটা আজ সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে স্পষ্ট। কারণ ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল হওয়ার ফলে জঙ্গিদের রসদে টান পড়েছে। কমেছে জঙ্গি কার্যকলাপ। সেটা সহ্য হচ্ছিলো না কংগ্রেসের। রাহুল গান্ধী ভুল বলছিলেন। শুধু দেশে নয় দেশের বাইরেও। আজকের পরে নিশ্চয়ই ভুল স্বীকার করা উচিত রাহুল গান্ধীর “

    চিদাম্বরকেও কটাক্ষ

    নোট বন্দি মামলায় পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ভোটাভুটির মাধ্যমে রায় দিয়েছে। যেখানে চারজন বিচারপতি স্বপক্ষে রায় দিয়েছেন। একজন বিচারপতি নোট বন্দির সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে জানিয়েছেন। শুধু রাহুল গান্ধী নয়, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমকেও এ প্রসঙ্গে তুলোধোনা করেছেন রবি শঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেছেন, ” সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়কে উপেক্ষা করে বদনাম করার মতো বিবৃতি দিয়েছেন চিদাম্বরম। যা মেনে নেওয়া যায় না।” 

    আরও পড়ুন: ‘‘কোনও ভুল করেননি নরেন্দ্র মোদি’’, নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে সিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ভারতের ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ হয়ে ওঠার বিষয়টিও স্পষ্ট করেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “নোটবন্দির পর ডিজিটার পেমেন্টের ক্ষেত্রে ভারত সারা বিশ্বের নেতা হতে চলেছে।” পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান, কেবল গত বছরের অক্টোবরে ভারত ১২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ৭৩০ কোটির বেশি ডিজিটাল পেমেন্ট হয়েছে, যা কোনও দেশে হয়নি। নোটবন্দির উদ্দেশ্য যে মহৎ ছিল,  সেটা বিচারের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি দেখা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Demonetisation: ‘‘কোনও ভুল করেননি নরেন্দ্র মোদি’’, নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে সিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের

    Demonetisation: ‘‘কোনও ভুল করেননি নরেন্দ্র মোদি’’, নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে সিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও ভুল করেনি কেন্দ্র সরকার। সঠিক পথে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার নোটবন্দি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা খারিজ করে দিয়ে এই অভিমত প্রকাশ করল শীর্ষ আদালত (supreme Court)। ২০১৬ সালে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নোটবন্দির (Demonetisation) সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্টের ৫ জন বিচারপতির বেঞ্চ। 

    আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত

    পুরনো ১০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলাগুলি হয়েছিল, সোমবার তার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, বৈধ পথেই নোটবন্দির (Demonetisation) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে ছ’মাস ধরে আলোচনা করেই কেন্দ্র নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বিচারপতি আবদুল নজিব, বিচারপতি বিআর গবাই, বিচারপতি এএস বোপান্না, বিচারপতি বি রামসুব্রাহ্মণ্যম এবং বিচারপতি বিবি নাগরত্নার সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল ছিল না। আদালত সূত্রে খবর, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দেন চার বিচারপতি, বিরুদ্ধে মত দেন এক জন।

    আরও পড়ুন: বছরের প্রথমেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ! জোড়া সভা বীরভূম ও আরামবাগে

    ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর আচমকাই ডিমনিটাইজেশন (Demonetisation) তথা নোটবন্দির কথা ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার। কালো টাকা উদ্ধার করতে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট রাতারাতি বাতিল করার এই সিদ্ধান্তকে সরকারের বৈপ্লবিক পদক্ষেপ বলে দাবি করেছিল বিজেপি। কিন্তু নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ৫৮টি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। আবেদনকারীদের যুক্তি, সরকার সঠিক পরিকল্পনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা উচিত। সরকারের পাল্টা যুক্তি ছিল, বাস্তবে এই সিদ্ধান্তকে বাতিল করা সম্ভব নয়। নোটবন্দির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হলে ‘সময়ের পিছনে গিয়ে’ বাতিল করতে হবে বলেও দাবি করেন কেন্দ্রের আইনজীবী।

    এই মামলায় মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তিনি বলেন, সরকারের চাপের কাছে আদালতের চুপ করে যাওয়া ঠিক হবে না। আদালত এখন নোটবন্দির (Demonetisation) সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিতে পারবে না ঠিকই। কিন্তু ঠিক হয়েছিল না ভুল হয়েছিল সে ব্যাপারে স্পষ্ট মত দেওয়া আদালতের কর্তব্য। এই প্রেক্ষিতেই সোমবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল সরকারের এই সিদ্ধান্তে কোনও ত্রুটি ছিল না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share