Tag: Supreme court

Supreme court

  • Anubrata Mondal: আরও বিপাকে অনুব্রত! ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই, কী রায় দেবে আদালত?

    Anubrata Mondal: আরও বিপাকে অনুব্রত! ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই, কী রায় দেবে আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো কেটেছে জেলে। কালীপুজোর আগে আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় (Post Poll Violence Case) তাঁকে হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন জানাল সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি, আবেদন হাইকোর্টে

    গরু পাচার কাণ্ডে গরাদেই রয়েছেন কেষ্ট।  ৫৭ দিনের মাথায় গরু-পাচার মামলায় চার্জশিটও জমা দেয় সিবিআই অফিসাররা। সেখানে উঠে এসেছে অনুব্রতর একাধিক সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, জমিজমা ইত্যাদির কথা। আদালতের নির্দেশে একদা বীরভূমে তৃণমূলের বেতাজ বাদশা অনুব্রতের ঠিকানা এখন আসানসোল জেল। এবার আরও চাপে তিনি। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে  ইলামবাজারের খুনের তদন্তে নেমে সিবিআই অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিক বার তলব করে। কিন্তু  তখন অসুস্থতার অজুহাতে হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের থেকে রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন অনুব্রত। সেই সময় নিজের শারীরিক অবস্থা ভাল নয় বলে হাইকোর্টে আবেদন জানান তিনি। হাইকোর্টের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়, এখনই এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন: জেলের ভেতরেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার ইডির, চাপ বাড়ল কেষ্টর?

    সিবিআই সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ১০টায় বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ধূলিয়ানের বেঞ্চে শুনানি রয়েছে এই মামলার। এই মামলায় বেশ কিছু নতুন তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা। তাদের বক্তব্য, অনুব্রতকে যে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে তার জেরে তিনি আগাম জামিন পেতে পারেন। এই রক্ষাকবচের ফলে তদন্ত থমকে গেছে। তাই শীর্ষ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।  ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) করে সিবিআই। তাঁদের যুক্তি, অনুব্রতের রক্ষাকবচ আগাম জামিনের অনুরূপ। এর ফলে তদন্ত থমকে যেতে পারে। তদন্তে সহযোগিতা না-ও করতে পারেন অনুব্রত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Karnataka hijab row: ‘সুপ্রিম’ দুয়ারেও সমাধান অধরা! হিজাব পরা নিয়ে ভিন্নমত দুই বিচারপতির, মামলা গেল উচ্চতর বেঞ্চে

    Karnataka hijab row: ‘সুপ্রিম’ দুয়ারেও সমাধান অধরা! হিজাব পরা নিয়ে ভিন্নমত দুই বিচারপতির, মামলা গেল উচ্চতর বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো তথা দশেরার (Dusshera) ছুটির আগেই কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক (Hijab Row) নিয়ে মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। তবে সেই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আজ, বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায় দিল শীর্ষ আদালত। এই মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ ‘স্প্লিট’ রায় দিয়েছেন। অর্থাৎ, এখনও হিজাব মামলার প্রকৃত ফলাফল স্পষ্ট নয়। রায়দান করে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত (Justice Hemant Gupta) বলেছেন যে ‘মতের ভিন্নতা’ ছিল। তাই মামলাটি উচ্চতর বেঞ্চের কাছে পাঠানোর দায়িত্বভার প্রধান বিচারপতিকে দিল বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়ার (Sudhanshu Dhulia) বেঞ্চ। 

    আরও পড়ুন: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে, এটা চলতে পারে না, হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট

    গত ১৫ মার্চ কর্নাটক হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, হিজাব পরাকে ধর্মাচরণের প্রয়োজনীয় অঙ্গ হিসেবে দেখা ঠিক নয়। এই মামলার রায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সেই রায় বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত। তিনি মুসলিম ছাত্রীদের আবেদন খারিজ করে দিলেও  বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়া বলেন, হিজাব পরা নিজের পছন্দের বিষয়। সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার উল্লেখ করে বিচারপতি ধুলিয়া মুসলিম ছাত্রীদের আবেদনের যৌক্তিকতা মেনে নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ ‘খণ্ডিত রায়’ দিয়েছে। রায় দিতে গিয়ে দুই বিচারপতি ভিন্নমত হওয়ায় এই মামলায় এবার সিদ্ধান্ত নেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে থাকা উচ্চতর বেঞ্চই এই মামলার রায় দেবেন।

    আরও পড়ুন: হিজাব না পরায় গ্রেফতার, পরে মৃত্যু তরুণীর, প্রতিবাদে উত্তাল ইরান

    কর্নাটক সরকারের হয়ে আদালতে সওয়াল-জবাব করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, কর্নাটক সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিং কে নাভাগলি এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজ। অন্যদিকে মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেছেন সিনিয়র আইনজীবী দুষ্মন্ত দাবে এবং সলমন খুরশিদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • GN Saibaba: বন্দিদশা ঘুঁচল না সাইবাবার, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে থাকতে হবে জেলেই

    GN Saibaba: বন্দিদশা ঘুঁচল না সাইবাবার, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে থাকতে হবে জেলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত জেলেই থাকতে হবে জিএন সাইবাবাকে (GN Saibaba)। শনিবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই নির্দেশ দিয়েছে। জিএন সাইবাবা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব অধ্যাপক। কেবল সাইবাবা নন, নকশাল সংস্রব থাকার মামলায় অভিযুক্ত তাঁর পাঁচজন সঙ্গীকেও থাকতে হবে জেলেই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৮ ডিসেম্বর। ততদিন পর্যন্ত নাগপুর সেন্ট্রাল জেলেই বন্দি থাকতে হবে প্রতিবন্ধী সাইবাবা ও তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে। এদিন এই মামলায় স্পেশাল শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। দেশের শীর্ষ আদালত বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ ওই মামলায় জিএন সাইবাবা (GN Saibaba) ও তাঁর সঙ্গীদের মুক্তি দিয়েছিল।

    এর পরেই শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডের সরকার। বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানায় শিন্ডে সরকার। তার পরেই শনিবার হয় বিশেষ শুনানি। বেড়ে যায় সাইবাবা (GN Saibaba) ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোদের বন্দিদশার মেয়াদ। হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্র সরকারের আবেদন সম্পর্কে অভিযুক্তদের নোটিশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন এই মামলার শুনানি হয় দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এমআর সাহা এবং বেলা এম ত্রিবেদির এজলাসে।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে চন্দ্রচূড়ের নাম প্রস্তাব ললিতের

    ২০১৭ সালে ট্রায়াল কোর্ট সাইবাবা (GN Saibaba) ও তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়। তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে আপিল করেন অভিযুক্তরা। প্রসঙ্গত, সাইবাবা ও তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। হাইকোর্টে আপিল করার পরে পরেই তাঁদের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন হাইকোর্টের সেই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বাড়ানো হল অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের মেয়াদ।

    ২০২০ সালের ২৮ জুলাই বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে সাইবাবার (GN Saibaba) জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। ২০২০ সালের ২২ মে সাইবাবার প্যারোলের আবেদনও খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট। অসুস্থ শরীর এবং মাকে দেখতে যাবেন বলে প্যারোলে আবেদন করেছিলেন সাইবাবা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • DY Chandrachud: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে চন্দ্রচূড়ের নাম প্রস্তাব ললিতের

    DY Chandrachud: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে চন্দ্রচূড়ের নাম প্রস্তাব ললিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসরের সময় হয়ে গিয়েছে তাঁর। তাই উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit)। মঙ্গলবার দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে তিনি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নাম প্রস্তাব করেন। রাষ্ট্রপতির সিলমোহর পড়লে প্রবীণ বিচারপতি চন্দ্রচূড়ই হবেন দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি।

    কিছুদিন আগেই দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিয়েছিলেন ইউইউ ললিত। তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন, তাঁরই পূর্বসূরি এনভি রামানা। ললিতের কার্যকালের মেয়াদ মাত্র ৭৪ দিনের। প্রথা অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রস্তাব করতে হয় পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নাম। সেই মতো দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ললিত প্রস্তাব করলেন চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নাম। রাষ্ট্রপতি তাঁর নামে শিলমোহর দিলে চন্দ্রচূড় শপথ নেবেন নভেম্বরের ৯ তারিখে। প্রধান বিচারপতি পদে তিনি থাকবেন ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি পদে অবসরের বয়স ৬৫ বছর।

    এই মুহূর্তে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ই (DY Chandrachud)  সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় প্রবীণ বিচারপতি। তাঁর বাবাও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের শীর্ষ আদালতের ১৬তম প্রধান বিচারপতি। ১৯৭৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮৫ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন : বৈবাহিক ধর্ষণ ও গর্ভপাত নিয়ে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    ১৯৫৯ সালের ১১ নভেম্বর জন্ম বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud)। ২০১৬ সালের ১৩ মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন তিনি। ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে সুপ্রিম কোর্টে আসার আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি ছিলেন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন। ২০০০ সালের ২৯ মার্চ থেকে ওই পদে ছিলেন তিনি। ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের দায়িত্বও সামলেছেন চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। ১৯৯৮ সাল থেকে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়ার আগে পর্যন্ত ওই পদে আসীন ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালের জুন মাসে তাঁকে সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে মনোনীত করে বম্বে হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: সুপ্রিম কোর্টেও রক্ষা মিলল না! আগামী কয়েকদিন ইডির হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য

    Manik Bhattacharya: সুপ্রিম কোর্টেও রক্ষা মিলল না! আগামী কয়েকদিন ইডির হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জোর ধাক্কা খেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টচার্য  (Manik Bhattacharya)। আপাতত তাঁকে ইডির (ED) হেফাজতেই থাকতে হবে। মঙ্গলবার তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গতকালই তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদলতে তোলা হয়েছিল। ইডির গ্রেফতারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিকের আইনজীবী। কিন্তু আবেদেন সাড়া দিল না দেশের সর্বোচ্চ আগালত। মানিকের আইনজীবী মুকুল রোহতগি মামলার দ্রুত শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিসন বেঞ্চ তাতে সাড়া দেয়নি। ইডিকে এই মামলায় নোটিস দিতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। আগামী সোমবার শুনানি হতে পারে।

    আরও পড়ুন: মহিষবাথানে মানিক ভট্টাচার্যের গোপন অফিসের খোঁজ! কী হত সেখানে?

    রাজ্যে শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যাতে তাঁকে এই মামলায় গ্রেফতার করতে না পারে, তার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিকের আইনজীবী। রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন তিনি। যা বহাল ছিল পুজো পর্যন্ত। কিন্তু ইডির ক্ষেত্রে এই নির্দেশ বলবত হয়নি। তাই মঙ্গলবার ম্যারাথন জেরায় মানিক ভট্টাচার্য তদন্তে অসহযোগিতা করছে, এই অভিযোগ তুলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করে ইডি। তখন মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁর মক্কেলকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করেছে। মানা হয়নি সুপ্রম কোর্টের রায়। এই যুক্তি সামনে রেখেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও জোর ধাক্কা খেলেন মানিক ভট্টাচার্য।

    আরও পড়ুন: কিংপিন মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির

    তদন্তে ইতিমধ্যেই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধ আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার বহু প্রমাণ পেয়েছে ইডি। তাঁর ছেলেও এই কুকর্মের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। কারণ, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার সময় ইডি আধিকারিকরা বিপুল পরিমাণ টাকার বেশি হদিশ পেয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জাল মানিক ভট্টাচার্যের মাধ্যমেই বিছানো হয়েছিল বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। কারণ, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে পাঁচশোর বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গ যুক্ত ছিলেন। যার বিনিময়ে তিনি ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাকি উপাচার্যরাও পদত্যাগ করুন! সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণের ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের পর বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাকি উপাচার্যরাও পদত্যাগ করুন! সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণের ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের পর বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Calcutta University VC) পুনর্নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনেই  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অপসারিত হবেন সোনালী চক্রবর্তী (Sonali Chakraborty)। এই রায়ের পরই রাজ্য সরকারকে এক হাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়া রাজ্যের অন্যান্য উপাচার্যদের অবিলম্বে পদত্যাগের কথা বলেন। 

    ট্যুইটবার্তায় শুভেন্দু জানান, ‘সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অরসারণের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে। তাই, এই রাজ্যে বেআইনিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সমস্ত উপাচার্যদের অবিলম্বে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা জরুরি। এটা ওই উপাচার্যদের নৈতিক দায়িত্ব।’ তিনি তাঁর ট্যুইটে  ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, যেভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে সেইভাবেই যেসব উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে তাদের আদালতের কোপে পড়ার আগেই মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে সরে আসার পথ বেছে নেওয়া উচিৎ।

    আরও পড়ুন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    গত বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর পুনরায় নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকার জারি করেছিল সেপ্টেম্বর মাসে সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতও সেই রায় বহাল রাখল। মঙ্গলবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যপালের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সোনালী চক্রবর্তীকে পুনর্নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। পদ্ধতিগত ত্রুটি হয়েছে। তাই কলকাতা হাইকোর্টের রায় একদম সঠিক ছিল। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি  হয়। গত বছর তৎকালীন রাজ্যপাল ও আচার্য জগদীপ ধনকড় কোনওরকম বাছাই ছাড়াই সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগকে স্বজনপোষণের অনন্য নজির বলে উল্লেখ করেছিলেন। রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াই বেআইনি ভাবে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন ধনকড়। এবার সেই উপাচার্যদেরই সময় থাকতে সসম্মানে সরে যাওয়ার কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sonali Chakraborty: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Sonali Chakraborty: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Calcutta University VC) পদে সোনালি চক্রবর্তীর (Sonali Chakraborty) পুনর্নিয়োগ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদ থেকে তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে আদালত জানায়, রাজ্যপালের এক্তিয়ারে হাত দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। যা সংবিধান মান্যতা দেয় না। তাই এটা কখনওই করতে দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন সোনালি চক্রবর্তী ও রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। ওই মামলার শুনানির পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর রায় দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলি। চূড়ান্ত রায়ে তাঁরা বলেন, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ‘ডিফিকাল্টি ক্লজ’-এর অপব্যবহার করতে পারে না। সরকারের এহেন পদক্ষেপ মেনে নেওয়া মানে আইনবিরুদ্ধ কাজ করা। তাই শীর্ষ আদালত সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণকেই মান্যতা দিচ্ছে।

    আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগেও বেনিয়ম? শিক্ষার সর্বস্তরের লজ্জা প্রকট আদালতে!

    ২০১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন অস্থায়ী উপাচার্য সুরঞ্জন দাস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে যোগ দেন। ফলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে শূন্যস্থান তৈরি হয়। সেই শূন্যপদেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা সোনালি চক্রবর্তীকে স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করে রাজ্য। এরপর ২০২১ সালে তাঁকে ফের উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ করে সরকার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর নিয়োগে আচার্য তথা রাজ্যপালের কোনও সই ছিল না। সেই থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। তৎকালীন রাজ্যপাল ও আচার্য জগদীপ ধনকড় কোনওরকম বাছাই ছাড়াই সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগকে স্বজনপোষণের অনন্য নজির বলে উল্লেখ করেন। রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াই বেআইনি ভাবে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ তুলে সরব হন ধনকড়।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Supreme Court: “স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া স্বামীর কর্তব্য…”, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: “স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া স্বামীর কর্তব্য…”, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) থেকে এবারে সরাসরি জানানো হল যে, স্ত্রী-সন্তানের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিতে হবে স্বামীকে। প্রায়ই এমন ঘটনা দেখা গিয়েছে যে, বিবাহ-বিচ্ছেদের পরে স্বামী, তাঁর স্ত্রী-সন্তানের দায়িত্ব নিতে চান না ও আর এই ঘটনা ঘিরেই একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়। এবার একটি মামলার শুনানিতে রায় জানানোর সময় এই ঘোষণা করা হল যে, শারীরিক পরিশ্রম করেও হোক, কিন্তু স্ত্রী-সন্তানের ভরণ-পোষণের সব দায়িত্ব স্বামীকেই নিতে হবে। কারণ এটি তাঁর কর্তব্য ও দায়িত্ব।

    এদিন শীর্ষ আদালত (Supreme Court) থেকে জানানো হয়েছিল যে, যেসব মহিলারা তাঁর স্বামীর বাড়িতে অত্যাচারিত হয়ে বাড়ি ছেড়েছেন, ফলে তাঁদের আর্থিক সাহায্য ও তাঁদের সন্তানের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য যাতে কোনও ব্যবস্থা করা যায়, বিশেষভাবে নারী ও শিশুদের সুরক্ষার জন্যই সিআরপিসি-এর ১২৫ ধারাটি তৈরি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আসল শিবসেনা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    যাদের মামলা নিয়ে গতকাল রায় দেওয়া হয়েছে, তাঁরা ১৯৯১ সালে ৭ ডিসেম্বর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁদের একটি মেয়ে ও একটি ছেলে আছে। মহিলাটি অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁর ওপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার পরেই তিনি তাঁর স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তিনি আরও অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বাবার কাছ থেকে ১ কোটি টাকা পণের দাবিও করা হয়েছিল। এমনকি তাঁর চরিত্রের ওপর প্রশ্ন তুলেছিলেন ও তাঁদের ছেলেকেও তাঁর স্বামী নিজের সন্তান বলে মেনে নিতে রাজি হননি। এর পাশাপাশি তাঁর ছেলের ডিএনএ টেস্ট করার কথা বলেছিলেন। অন্যদিকে তাঁর স্বামী এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাঁর এখন কাজ নেই ও তাই তাঁর স্ত্রী তাঁদের সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন।

    এরপর গতকাল বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে এই মামলার রায় দেওয়ার সময় এই দায়িত্বহীন স্বামীকে নির্দেশ দেন যে, তাঁদের ছেলের জন্য প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা ও তাঁর পরিবারের জন্য ১০০০০ টাকা দিতে হবে। আরও বলা হয় যে, “স্ত্রী এবং নাবালক সন্তানদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা স্বামীর কর্তব্য। স্বামীকে শারীরিক শ্রম দিয়েও অর্থ উপার্জন করতে হবে, যদি সে সক্ষম হয়, এবং আইনগতভাবে তিনি এই বাধ্যবাধকতাকে এড়াতে পারে না।“

  • Real Shiv Sena tussle: আসল শিবসেনা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Real Shiv Sena tussle: আসল শিবসেনা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসল শিবসেনা (Shiv Sena) কারা? সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার নির্বাচন কমিশনকেই দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) এবং একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) এই লড়াইয়ে রেফারির ভূমিকায় থাকবে কমিশন। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, শিবসেনার প্রতীক নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পারবে কমিশন। কে প্রকৃত শিবসেনা, তা বাছাইয়ের দায়িত্ব যাতে নির্বাচন কমিশন না পায়, সে জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের গোষ্ঠী।  

    আরও পড়ুন: ইয়াকুবের কবর সৌন্দর্যায়ন, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস শিন্ডের          
      
    মঙ্গলবার উদ্ধবদের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রকৃত শিবসেনা হিসেবে স্বীকৃতি এবং শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক প্রদানের যে দাবি জানিয়েছে শিন্ডে শিবির, তা যাতে কমিশন না শোনে, সেই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিল উদ্ধব শিবির। মঙ্গলবার সেই পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।   

    শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, “নির্বাচন কমিশনে সওয়াল-জবাবে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না বলে নির্দেশ দিচ্ছি আমরা।” যে বেঞ্চে আছেন বিচারপতি এমআর শাহ, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারী, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসীমা। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উদ্ধব, তাঁর শিক্ষা পাওয়া প্রয়োজন, জানালেন শাহ

    মঙ্গলবার শুনানির সময় উদ্ধব পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল দাবি করেন, বহিষ্কৃত হওয়ার পরে শিবসেনার প্রতীক প্রদানের দাবি জানিয়ে কমিশনের কাছে যেতে পারেন না শিন্ডেরা। শিন্ডে পক্ষের আইনজীবী নীরজ কিষান কৌল পাল্টা দাবি করেন, কমিশনের কাছে শিন্ডে শিবিরের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ১.৫ লক্ষ শিবসেনা সমর্থক। ভোটের আগে দুই শিবিরের সমস্যা হয়েছিল। বিধানসভায় আস্থা ভোটের একদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন উদ্ধব। এ থেকে ধরেই নেওয়া যায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তাই উদ্ধবদের পিটিশনের কোনও ভিত্তি নেই।     
     
    একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা বিধায়কদের একাংশের বিদ্রোহের জেরে মহারাষ্ট্রে তিন মাস আগেই উদ্ধভ ঠাকরের সরকারের পতন হয়েছে। তারপর বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে গত ৩০ জুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শিন্ডে। শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহ পরই, সংযুক্তিকরণ, বহিষ্কারের মতো বিষয়গুলিতে একনাথের বিরুদ্ধে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় উদ্ধব শিবির। সেইসময় উদ্ধবের আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, শুধুমাত্র অপর কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিশে গেলে সংবিধান দশম তফসিলের আওতায় শিবসেনা থেকে বহিষ্কারের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন শিন্ডেরা। যে বিষয়টি নিয়েও মঙ্গলবারও সওয়াল-জবাব হয় আদালতে।      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SC on Hijab Row: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে, এটা চলতে পারে না, হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট

    SC on Hijab Row: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে, এটা চলতে পারে না, হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে। এটা চলতে পারে না। হিজাব বিতর্কে (Hijab Row) সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বলছে দ্রুত শুনানি শেষ করতে। ধৈর্য হারাচ্ছে। তাই দ্রুত শেষ করতে হবে সওয়াল পাল্টা সওয়াল।

    চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারি কর্নাটক সরকার নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই রাজ্যে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। কর্নাটকের উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছিল। বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। কেবল কর্নাটক নয়, দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যেও শুরু হয় অশান্তি। মামলা হয় কর্নাটক হাইকোর্টে। হিজাব পরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে কর্নাটক আদালতও। তার বিরুদ্ধে আবেদন জমা পড়ে দেশের শীর্ষ আদালতে।

    সেই থেকে এ পর্যন্ত হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছেই। বুধবার ফের শুনানি হয় ওই মামলার। এদিনও হয় সওয়াল পাল্টা সওয়াল। পরে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ঢুলিয়া প্রবীণ আইনজীবী হুজাফে আহমদিকে বলেন, আমরা আপনাদের সবাইকে এক ঘণ্টা সময় দিলাম। আপনারা শেষ করুন। এটা অতিরিক্ত শুনানি হয়ে যাচ্ছে। হুজাফে আহমদি এক আবেদনকারীর হয়ে সওয়াল করছেন। এদিন বেঞ্চ জানিয়েছে, হিজাব মামলায় বিভিন্ন আইনজীবী ইতিমধ্যেই তাঁদের যুক্তি প্রদর্শন করেছেন। আমরা আমাদের ধৈর্য হারাচ্ছি। বেঞ্চ যে অসীম ধৈর্য নিয়ে সওয়াল পাল্টা সওয়াল শুনছেন, এদিন তা স্বীকারও করেন হুজাফে। তিনি বলেন, আমি স্বীকার করি আপনারা অসীম ধৈর্য নিয়ে এই মামলার সওয়াল পাল্টা সওয়াল শুনছেন। এর পরেই বেঞ্চ হালকা রসিকতার ছলে বলেন, আপনি কি মনে করেন এছাড়া অন্য উপায় রয়েছে?  

    এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, কর্নাটকের অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিঙ্গ কে নাভাদগি এবং অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজ রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন। প্রবীণ আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে এবং সলমান খুরশিদ সওয়াল করেন মুসলিম আবেদনকারীদের হয়ে।

     

LinkedIn
Share