Tag: Supreme court

Supreme court

  • Supreme Court: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    Supreme Court: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া দলিতদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়া হবে না। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা জমা দিয়ে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুসলিম এবং খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া ব্যক্তিদের সংরক্ষণের আওতায় আনার জন্য জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামালার শুনানির দিন কেন্দ্র এমন কথা জানিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি চলতি নভেম্বর মাসের শেষের দিকে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল তাঁদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়েই স্পষ্ট জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা পেশ করে এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বলে, ‘খ্রিস্টধর্ম ও ইসলামে কোনও অস্পৃশ্যতা নেই’। তার ফলেই তাদের সংরক্ষণের আওতায় ধরা হবে না।

    দলিত খ্রিস্টানদের জাতীয় পরিষদ এবং অন্যান্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে স্পষ্ট জানাতে বলেছিল। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল হলফনামা পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    আরও পড়ুন: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    সুপ্রিম কোর্টে কী জানাল কেন্দ্র

    কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতকে (Supreme Court) হলফনামা পেশ করে জানিয়েছে, ১৯৫০ সালের সাংবিধানিক আদেশ অনুসারে তফসিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছিল। আর ইসলাম বা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের তফসিলি জাতিভুক্তরা কখনও অন্যায়ের শিকার হননি। অন্যায়ের শিকার যাতে না হন, তার জন্যই তাঁরা ইসলাম বা খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন বলে মনে করছে কেন্দ্র। এছাড়াও অস্পৃশ্যতার মত নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা খ্রিস্টান বা ইসলামি সমাজে প্রচলিত ছিল না বলেই এই দুই ধর্মকে সংরক্ষণের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র।

    উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের সাংবিধানিক আদেশ অনুসারে, শুধুমাত্র হিন্দু, শিখ বা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তফসিলি জাতিদের জন্য চাকরি এবং শিক্ষায় সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছে। কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, সমস্ত ধর্মান্তরিত ব্যক্তিদের তাঁদের সামাজিক দিক না দেখেই যদি সবাইকে সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া হয়, তবে এটি আইনের বিরুদ্ধে হবে ও আইনের অপব্যবহারও করা হবে। এতে তফসিলি উপজাতির অধিকারও কমে যাবে বলে কেন্দ্রের পক্ষে জানানো হয় (Supreme Court) ।

    সরকারের তরফে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সামাজিক-রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে ১৯৫৬ সালে বি আর আম্বেদকর স্বেচ্ছায় বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই ক্ষেত্রেও সংরক্ষণের আওতায় আনার অধিকার রয়েছে। তবে খ্রিস্টান এবং মুসলিমদের ক্ষেত্রে একই কথা বলা যায় না, কারণ এরা অন্য কারণেও তাঁদের ধর্ম পরিবর্তন করতে পারেন।

  • Ram Temple: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    Ram Temple: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনবছর আগে আজকের দিনেই রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণের ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ৯ই নভেম্বর ২০১৯ সালে সুপ্রিম রায়ে নিষ্পত্তি হয়েছিল রামমন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের। ইতিমধ্যে রামমন্দির নির্মাণের কাজ চলছে। এরমধ্যে , এই মেগা মন্দির প্রজেক্টের উদ্বোধনের দিনক্ষণও স্থির হয়ে গিয়েছে। ১৪ই জানুয়ারি ২০২৪ এই মন্দির উদ্বোধনের কথা রয়েছে।  প্রসঙ্গত , ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর ভেঙে ফেলা হয়েছিল বিতর্কিত ধাঁচা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস ছিল, ওই স্থান ভগবান রামচন্দ্রের জন্মস্থান এবং জোরপূর্বক তা দখল করে ওখানে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা হয়।

    ১৫২৭ সালে ওই মসজিদ নির্মাণ করেন বাবরের সেনাপতি মীর বাকি। এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল , কিন্তু বিবাদ সব থেকে প্রকট আকার ধারণ করে স্বাধীনতার ঠিক দুই বছর পরে, ১৯৪৯ সালে যখন বিতর্কিত ধাঁচা থেকে পাওয়া যায় রামলালার মূর্তি। দেশের প্রধানমন্ত্রী তখন জওহরলাল নেহেরু। তিনি তৎকালীন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দ বল্লভ পন্থকে ওই রামলালার মূর্তি অপসারণের নির্দেশ দেন।  দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ ছিল যে “ওখানে একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হচ্ছে”। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর এ নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেন তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত ওখানে রিসিভার বসিয়ে দেয়। পুলিশি নিরাপত্তায় রামলালার মূর্তি পূজা চলতে থাকে ওখানে। মন্দিরের পূজারীকেও নিয়োগ করে আদালত। দেশে রাম মন্দির (Ram Temple) আন্দোলন তখন থেকেই বিস্তৃত হতে থাকে।

    রাম মন্দির আন্দোলন

    ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিতর্কিত এলাকার তালা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কেন্দ্রে তখন রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে সরকার চলছে। আদালতের এই নির্দেশের প্রতিবাদ জানায় বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি। তখন থেকেই শুরু হলো আইনি লড়াই। এতদিন যে মামলার পর্যবেক্ষণ করছিল জেলা আদালত ,সেই মামলা এবার পৌঁছলো লখনউ হাইকোর্টে। এর মধ্যে আবার , নির্বাচনে লাভ হতে পারে, এই সমীকরণকে মাথায় রেখে ,রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্লোগান দিয়ে ,বিতর্কিত এলাকার খুব কাছেই রাম মন্দিরের শিলান্যাস করিয়ে দেন রাজীব গান্ধী। ১৯৮৯ এর লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেলেন তিনি। এই সময় সর্বোচ্চ গতি ধারণ করল রাম মন্দির (Ram Temple) আন্দোলন।   এরপর ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ঘটলো বিতর্কিত ধাঁচার ধ্বংসকাণ্ড।

    আরও পড়ুন: ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের লোগো, থিম এবং ওয়েবসাইটের প্রকাশ! জানেন কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    ২০০২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে শুরু হল মামলা। ২০০৩ সালে কোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইণ্ডিয়াকে দায়িত্ব দেওয়ার পর  তারা যে রিপোর্ট জমা দিল তাতে বলা হল ‘বিতর্কিত স্থানে একটি পরিকাঠামো রয়েছে। যার সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে অতি প্রাচীনকালের হিন্দু মন্দিরের।’  মুসলিমরা এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত জমিকে তিনভাগে ভাগ করে দেয়। যার একটি ভাগ দেওয়া হয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। একটি অংশ পায় নির্মোহী আখড়া। বাকি অংশ দেওয়া হয় রামলালাকে। যদিও এই রায়ে তিন বিচারপতি সহমত পোষণ করেননি। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় হিন্দু মহাসভা ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।

    সুপ্রিম নির্দেশ

    এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ের ৯ বছর পরে, ৯ নভেম্বর ২০১৯। রাম জন্মভূমি মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ছিলেন রঞ্জন গগৈ। অযোধ্যার যে ২.৭৭ একর জমিকে বিরোধের মূল কেন্দ্র বলে গণ্য করা হয়, তার মালিকানা দেওয়া হয় ‘রামলালা’কে। বলা হয় , “কোটি কোটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস রয়েছে যে ওই স্থান রামলালার”। আদালত এই বিশ্বাসকে মর্যাদা দিচ্ছে। অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় মুলসিমদের মসজিদ নির্মাণের জন্য। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়া বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা ছিলেন এস এ বোড়বে, চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ ও এস আবদুল নাজির। এই মন্দির ও মসজিদ বানানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠনেরও নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

     

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত জেলে, তাই রক্ষাকবচ গুরুত্বহীন! ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় শীর্ষ আদালত

    Anubrata Mondal: অনুব্রত জেলে, তাই রক্ষাকবচ গুরুত্বহীন! ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) রক্ষাকবচ কার্যত প্রত্যাহার করল সুপ্রিম কোর্ট। ‘অন্য মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। তাই রক্ষাকবচের এখন খুব একটা গুরুত্ব নেই’, মন্তব্য সর্বোচ্চ আদালতের। অনুব্রতকে কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। যদিও শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ইতিমধ্যেই গরু-পাচার মামলায় জেলে রয়েছেন অনুব্রত তাই এই রক্ষাকবচের কোনও মানে হয় না। হাইকোর্টকে মামলার দ্রুত শুনানির নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।

    কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচ

    ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের থেকে রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। সেই নির্দেশকেই একপ্রকার চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে এই মামলায় অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় তারা, এই দাবি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মূলত হাইকোর্টের নির্দেশেই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এই মামলায় একাধিকবার অনুব্রতকে ডেকে পাঠানো হলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছিলেন বীরভূমের এই দাপুটে নেতা। ভারতীয় অপরাধ আইনের ১৪০ ধারায় অনুব্রতকে নোটিসও পাঠানো হয়। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। সেখানে অনুব্রতকে রক্ষাকবচ দেয়  আদালত।

    আরও পড়ুন: নেতার পরিচারক থেকে কাউন্সিলর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে দিল্লিতে তলব ইডির

    শুক্রবারে শীর্ষ আদালতে শুনানি

    অবনুব্রতর (Anubrata Mondal)আইনজীবী এদিন জানান, অনুব্রতর নামে ভুল এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ৬০ কিলোমিটার দূরে তাঁকে ডাকা হয়।  তাই রক্ষাকবচ দিয়ে ঠিকই করেছে হাইকোর্ট। এর পাল্টা সিবিআই জানায়, অনুব্রত ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন। আদালতের রক্ষাকবচ এখন কার্যকর নয়। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে আদালত জানায়, অন্য একটি মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। সিবিআই-এর হেফাজতে রয়েছেব তিনি। তাই রক্ষাকবচ ভিত্তিহীন।  আাদালতের তরফে জানানো হয়, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও  তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই। এদিন শীর্ষ আদালতে অনুব্রতর আইনজীবী আরও জানান,অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। তা নিয়ে ইতিমধ্যে আবেদনও জমা পড়েছে হাইকোর্টে। শীর্ষ আদালত দ্রুত সেই পিটিশনের শুনানির নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Education Business: শিক্ষা কোনও ব্যবসা নয়, টিউশন ফি সাশ্রয়ী হতে হবে, মন্তব্য শীর্ষ আদালতের

    Education Business: শিক্ষা কোনও ব্যবসা নয়, টিউশন ফি সাশ্রয়ী হতে হবে, মন্তব্য শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা কোনও মুনাফা অর্জনের ব্যবসা নয় (Education Business)। তাই টিউশন ফি সাধ্যের মধ্যেই রাখতে হবে। এমনটাই সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) সরকার ডাক্তারি শিক্ষার (MBBS) বার্ষিক ফি ২৪ লক্ষ টাকা করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতেই গতকাল এমন মন্তব্য করল শীর্ষ আদালত।

    শীর্ষ আদালতের রায়

    এর আগেই অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার এমবিবিএস পড়ার খরচ ৭ গুণ বাড়িয়ে বছরে ২৪ লক্ষ টাকা করেছিল (Education Business)। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট। তারপর হাইকোর্টের রায়কে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। আর সেই মামলার রায় ঘোষণার সময়, এই বিশেষ পর্যবেক্ষণ করেছে বিচারপতি এম আর শাহ এবং সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে টিউশন ফি বার্ষিক ২৪ লক্ষ টাকা করার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।

    “দেশের সমস্ত নাগরিকদের রক্ষা করব…”, প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়

    গতকাল বিচারপতি এমআর শাহ বলেন, “২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭-২০২০ সালের টিউশন ফি বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার, তা হাইকোর্ট বাতিল করেছিল (Education Business)। এই রায়ে কোনও ভুল নেই। খরচ ৭ গুণ বাড়িয়ে ডাক্তারি পড়ার ফি ২৪ লক্ষ টাকা করার কোনও যুক্তি নেই। এটি ন্যায্য নয়। শিক্ষা কোনও ব্যবসা নয়, যা মুনাফা বাড়াতে কাজে লাগানো হবে। টিউশন ফি সবসময় সাশ্রয়ী হওয়া উচিত।”

    প্রসঙ্গত, আজ থেকে প্রায় ৫ বছর আগে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ডাক্তারি শিক্ষার খরচ বছরে ২৪ লক্ষ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেয় (Education Business)। এর ফলে একলাফে এই খরচ ৭ গুণ বেড়ে যায়। এরপরই সিদ্ধান্তটির বিরোধিতা করে মামলা দায়ের হয়। অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট সিদ্ধান্তটির বিরুদ্ধেই রায় দিয়েছিল। কিন্তু এই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। আর এখন পূর্ববর্তী রায়ই বহাল রাখল বিচারপতি এম আর শাহ ও সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: ‘১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে…’, শেষ দিনে আর কী বললেন প্রধান বিচারপতি

  • Abhijit Vinayak Banerjee: প্রাক-নির্বাচনী খয়রাতি গরিব মানুষকে সাহায্য করার সেরা পন্থা নয়, জানালেন অভিজিৎ

    Abhijit Vinayak Banerjee: প্রাক-নির্বাচনী খয়রাতি গরিব মানুষকে সাহায্য করার সেরা পন্থা নয়, জানালেন অভিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে খয়রাতি (Pre-poll Give Away) করে জনগণের সমর্থন আদায়ের মরিয়া চেষ্টা করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) একে ‘রেউড়ি সংস্কৃতি’ তকমা দিয়েছেন। মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court)। এহেন আবহে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhijit Vinayak Banerjee) সাফ কথা, প্রাক নির্বাচনী খয়রাতি গরিব মানুষকে সাহায্য করার সেরা পন্থা নয়। বরং তাঁদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে সাহায্য করতে হবে।

    শনিবার দিল্লিতে ভাল অর্থনীতি, খারাপ অর্থনীতি শীর্ষক এক আলোচনাসভায় যোগ দেন অভিজিৎ (Abhijit Vinayak Banerjee)। সভার উদ্যোক্তা ছিলেন অর্থনীতিবিদ শ্রায়ানা ভট্টাচার্য। এই সভায় যোগ দিয়ে অর্থনীতির নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন অভিজিৎ। অর্থনীতি কীভাবে মানুষের জীবন ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে প্রভাবিত করছে, তারও ব্যাখ্যা দেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। উন্নয়নমূলক অর্থনীতি, অর্থনীতির ব্যবহারিক মডেল, জীবনযাত্রার সংকট, সামাজিক সুরক্ষা, মূল্যের বণ্টনমূলক প্রভাব ইত্যাদি নানা বিষয়ও উঠে আসে তাঁর আলোচনায়।

    অভিজিতের (Abhijit Vinayak Banerjee) বক্তৃতায় উঠে আসে মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব সহ নানা সমস্যার কথা, যেগুলি এই মুহূর্তে ভারতেরও সমস্যা। সেই প্রসঙ্গ টেনেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, ভারতে একটি প্রচলিত রেওয়াজ আছে। যে কোনও নির্বাচনের আগে গরিবদের সামান্য কিছু উপহার দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা হয়। এই প্রবণতা অত্যন্ত খারাপ। তাঁর মতে, এই সামান্য উপহারে গরিবের কোনও উপকার হয় না। পরন্তু, স্তব্ধ হয়ে যায় দেশের উন্নয়ন। তিনি বলেন, বিষয়টিতে একটি শৃঙ্খলা থাকা দরকার। কারণ এই মুহূর্তে এই রেওয়াজ থেকে বেরিয়ে আসাও কঠিন। প্রসঙ্গত, অভিজিতের ঢের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই জানিয়েছিলেন, খয়রাতি সংস্কৃতি দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

    আরও পড়ুন: খয়রাতি নয়, মর্যাদার সঙ্গে রোজগার করাই বেশি পছন্দ ভোটারদের, মত সুপ্রিম কোর্টের

    দেশের অর্থ-সংকট কাটানোর দাওয়াইও বাতলেছেন অভিজিৎ (Abhijit Vinayak Banerjee)। বলেন, আমাদের সমাজে যে অসাম্য রয়েছে, তা বেলুনের মতোই ফুলে চলেছে। এই অসাম্য দূর করতে ধনীদের কাছে থেকে ভাল মতো কর নেওয়া যেতে পারে। সেই করের টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলে জমা হবে। পরে সেই টাকা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভাগ করে দেওয়া যেতে পারে গরিবদের মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: ইভিএম থেকে রাজনৈতিক দলের প্রতীক সরানোর আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ইভিএম থেকে রাজনৈতিক দলের প্রতীক সরানোর আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইভিএম (EVM) থেকে রাজনৈতিক দলের প্রতীক সরানোর (Removal of Party Symbol) আবেদন খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে দেয়। অ্যাডভোকেট জেনারেল এই পিটিশনের বিরোধিতা করেছেন। অ্যাডভোকেট জেনারেলের বক্তব্য, একজন ভোটার ভোটকেন্দ্রে আসার আগেই নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেন। ইভিএম-এর সামনে দাঁড়ানো অবধি কেউ অপেক্ষা করেন না। 

    আরও পড়ুন: অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা উচিত এসসিও বৈঠকে চিনকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের  

    মামলাকারী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের পক্ষে থেকে আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী বিকাশ সিং এবং গোপাল শঙ্করনারায়ণ। তাঁদের দাবি, ইভিএম-এ রাজনৈতিক দলের প্রতীক থাকায় সংবিধানের ১৪ এবং ২১ নং অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন হয়। অশ্বিনী বলেন, “ইভিএমে দলীয় প্রতীক থাকলে তা ভোটারদের পছন্দকে প্রভাবিত করে। নির্বাচনে লড়াই করা প্রার্থীদের বিশ্বাসযোগ্যতার ভিত্তিতে ভোট দেওয়াই ভোটারদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। কিন্তু ইভিএম-এ প্রতীক থাকার কারণে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন ভোটাররা।”

    আরও পড়ুন: লোক পাঠিয়ে ২১ কোটি টাকার তোলাবাজি করেছেন মানিক, বিস্ফোরক তাপস

    মামলাকারীর আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ বলেন, “কেন দলগুলি এমন প্রার্থীদের বেছে নিচ্ছেন না, যাদের অপরাধে জড়িত থাকার কোনও ইতিহাস নেই। শুধুমাত্র একটি স্ট্যান্ডার্ড হলফনামা দাখিল করা হয়। প্রতিটি রাজনৈতিক দলই তা করছে। এলাকায় জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই করা হচ্ছে।” সওয়াল জবাব শোনার পর প্রধান বিচারপতি পর্যবেক্ষণ জানিয়ে বলেন, “নির্বাচন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। আর  তার মূল ভিত্তিই হলেন ভোটাররা। তাঁরাই প্রার্থী বেছে নিচ্ছেন। সুতরাং ভোটাররা যাকেই নির্বাচিত করুক না কেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিকে রাজনৈতিক দলের থেকে আলাদা করা যাবে না।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

        

  • Employee Pension Scheme: ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে ইপিএফও পেনশন প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ল আরও চার মাস

    Employee Pension Scheme: ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে ইপিএফও পেনশন প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ল আরও চার মাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের লক্ষ লক্ষ বেতনভোগী কর্মীদের স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ইপিএফও পেনশন প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ানো হল আরও চার মাস। এই সময়ের মধ্যেই যোগ দিতে হবে ওই পেনশন প্রকল্পে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জেরে উপকৃত হবেন বহু কর্মী। যাঁরা এখনও এমপ্লয়িজ পেনশন প্রকল্পে (Employee Pension Scheme) যোগ দিতে পারেননি, তাঁদের মুখে হাসি ফোটাবে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়। 

    এদিন যে বেঞ্চে এই রায়দান হয়েছে, সেই বেঞ্চে ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit), বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সুধাংশু ঢুলিয়া। এনিয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) কর্তৃপক্ষ। কেরল, রাজস্থান এবং দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে তাঁরা আবেদন করেছিলেন। এই তিন আদালতই এমপ্লয়িজ পেনশন সংশোধনী স্কিম, ২০১৪ বাতিল করে দিয়েছিল। অগাস্ট মাসের ১১ তারিখে মামলাটি ফের একবার ওঠে এই বেঞ্চে। সেদিন এই মামলার রায়দান স্থগিত রাখে দেশের শীর্ষ আদালত। তার আগে অবশ্য হয়ে গিয়েছে ছ’দিন ধরে শুনানি।

    আরও পড়ুন: ইভিএম থেকে রাজনৈতিক দলের প্রতীক সরানোর আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন দেশের শীর্ষ আদালত সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের পর্যবেক্ষণ, কাট-অফ ডেট নিয়ে হাইকোর্টের এমপ্লয়িজ পেনশন সংশোধনী স্কিম, ২০১৪-র রায়ে বিশ্লেষণের অভাব রয়েছে। তাছাড়া, সুপ্রিম কোর্ট ২০১৪-র স্কিমে থাকা এই শর্তকে নিয়মবিরুদ্ধ বলে উল্লেখ করে। এই স্কিমে বেতন ১৫ হাজার ছাড়ালেই ১.১৬ শতাংশ হারে কর্মীদের অনুদান দিতে বলা হয়েছিল। 

    আরসি গুপ্তা বনাম রিজিয়নাল প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিল, এদিন তাও স্থগিত করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তারা রুল জারি করে জানিয়ে দেয়, এই স্কিমে সুযোগ পেতে গেলে কোনও কাট-অফ ডেট থাকতে পারে না। সুপ্রিম কোর্ট এও জানায়, যেসব কর্মী এই স্কিমের ১১ (৩) প্রভিশনের অধীন এবং ২০১৪ সালের ১ সেপ্টম্বর পর্যন্ত চাকরি করেছেন, তাঁদের গাইড করতে হবে এই স্কিমের ১১ (৪) প্রভিশনস সংশোধনী অনুযায়ী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CJI: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ আবেদন, ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ই

    CJI: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ আবেদন, ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি (CJI) পদে বসছেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud)। তাঁর মনোনয়নকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। বিচার বিভাগীয় আদেশের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ ও স্বার্থের সংঘাতের কারণে প্রধান বিচারপতি পদে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ভ্রান্ত ধারণার ভিত্তিতে ওই আবেদন করা হয়েছে। আদালত এও জানিয়েছে, এই আবেদনের শুনানি হওয়ার কোনও মানেই হয় না। প্রসঙ্গত, ৮ নভেম্বর দেশের প্রধান বিচারপতি পদে অবসর নেবেন বিচারপতি ইউইউ ললিত। তার পরের দিনই দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নেবেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। এই চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধেই আদালতে আবেদন করেছিলেন এক আইনজীবী। মামলা ওঠে বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এবং বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে। সেখানেই খারিজ করে দেওয়া হয় মামলা।

    এদিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত বলে, আবেদনকারীর আবেদনপত্র দেখে আমরা মনেই করি না যে এই আবেদনপত্র গ্রহণ করতে হবে। আদালত বলে, এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণার ভিত্তিতে করা হয়েছে।  প্রসঙ্গত, ১১ অক্টোবর তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে কেন্দ্রের কাছে চন্দ্রচূড়ের নাম সুপারিশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি (CJI) ইউইউ ললিত। মুরসালিন আসজিথ শেখ নামে এক আইনজীবী বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মনোনয়নকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এর আগে রাষ্ট্রপতির কাছে চন্দ্রচূড়কে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না করার আবেদন করেছিলেন রশিদ খান পাঠান নামে এক ব্যক্তিও। তাঁর অভিযোগ ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যল মিডিয়ায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই করা হয়েছিল আবেদন।

    আরও পড়ুন: ইভিএম থেকে রাজনৈতিক দলের প্রতীক সরানোর আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি (CJI) পদে ঘোষণা করেছিলেন চন্দ্রচূড়ের নাম। আগামী দু বছরের জন্য ওই পদে বসতে চলেছেন তিনি। বিচারপতি চন্দ্রচূড় দেশের দীর্ঘ সময় ধরে থাকা বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের ছেলে। ১৯৭৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮৫ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত দেশের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন ছিলেন তিনি। আর বিচারপতি চন্দ্রচূড় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত হন ২০১৬ সালের ১৩ মে। তিনি অবসর নেবেন ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Two finger test: ‘অপমানজনক ও অবৈজ্ঞানিক’! ধর্ষণের ঘটনায় ‘টু-ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট

    Two finger test: ‘অপমানজনক ও অবৈজ্ঞানিক’! ধর্ষণের ঘটনায় ‘টু-ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণের প্রমাণ পেতে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ (Two Finger Test) – এ না সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চ এই পদ্ধতিটিকে ‘অবৈজ্ঞানিক এবং অপমানজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এই পদ্ধতিতে ধর্ষিতার পরীক্ষা হলে তা ‘অশোভন আচরণ’ বলে ধরা হবে। বহুদিন আগেই ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশে। তবে এখনও নিয়মের কোনও তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন জায়গায় করা হয় এই পরীক্ষা। ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।           

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে বলে, “ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ক্ষেত্রে বারবার দুই আঙুলের পরীক্ষার ব্যবহার বন্ধ করতে বলেছে এই আদালত। এই পরীক্ষার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এর ফলে  নির্যাতিতারা ফের  বিভীষিকার শিকার হন। দুই আঙুলের পরীক্ষাটি একটি ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়। আগে মনে করা হত যে, যৌন সম্পর্কে সক্রিয় মহিলাকে ধর্ষণ করা যায় না। কিন্তু এই ধারণার কোনও ভিত্তি নেই।”

    আরও পড়ুন: রেলে নিয়োগ, শূন্যপদ ৫৯৬, জানুন বিস্তারিত 

    সুপ্রিম কোর্ট বলে, “একজন মহিলা যৌন সম্পর্কে কতটা সক্রিয় তার ওপর তাঁর ধর্ষণের সাক্ষ্য নির্ভর করে না। এটা পুরুষতান্ত্রিক এবং যৌনতাবাদীদের প্রস্তাব করা পরীক্ষা। কারণ তারা মনে করত, একজন মহিলা যৌন সক্রিয় হলে  তাঁর ধর্ষণের অভিযোগ বিশ্বাস করা যায় না।” আর সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে যাতে যৌন হেনস্থা এবং ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতাদের ওপর টু ফিঙ্গার টেস্ট না করা হয় তা নিশ্চিত করতে।  

    উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট সেই সময় পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল যে, ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতার উপর ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ করা মানে তাঁর গোপনীয়তার অধিকারকে লঙ্ঘন করা। সরকারকে ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে অন্য উন্নত পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করার পরামর্শ দেয় আদালত। সেই সময় বিচারপতি বিএস চৌহান এবং বিচারপতি এফএমআই কালিফউল্লার বেঞ্চ বলেছিল, ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ – এর রিপোর্টে ধর্ষণ বিষয়ক কিছুই প্রমাণ হয় না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Citizenship Ammendment Act: সিএএ মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে, কবে থেকে জানেন?

    Citizenship Ammendment Act: সিএএ মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act), সংক্ষেপে সিএএ (CAA) মামলার শুনানি হবে ৬ ডিসেম্বর। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit)। তিনি অবসর নেবেন ৮ নভেম্বর। তার ঠিক দু দিন আগেই শুরু হবে শুনানি। সিএএ-র বিরুদ্ধে আবেদনপত্র জমা পড়েছে ২৫০টি। এর মধ্যে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ২৩২টি। এই আবেদন নিয়ে কেন্দ্র, অসম, ত্রিপুরা সরকার ও আবেদনকারীদের অবস্থান জানাতে তিন সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। যেহেতু ললিত অবসর নেবেন ৮ তারিখে, তাই শুনানি হবে অন্য বেঞ্চে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে জানান, সিএএ ক্ষতিকর নয় বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে সময় চাওয়া হয়েছে রাজ্যগুলির স্বার্থে।

    ২০১৯ সালে তৈরি হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act)। এই আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন এবং পার্শি সম্প্রদায়ের মানুষকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই তালিকায় রাখা হয়নি মুসলমানদের। তার জেরেই শুরু হয় সমালোচনা।

    এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে মূল আবেদন হিসেবে ধরা হয়েছে ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগের আবেদনপত্রটি। তাদের দাবি, আইনটি সমতার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। ধর্মের ভিত্তিতে অবৈধভাবে আসা নাগরিকদের একটি অংশকে নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এর পর দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, চার সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানাতে। হাইকোর্টগুলিকেও নির্দেশ দিয়েছিল সেখানে চলা এ সংক্রান্ত শুনানি স্থগিত রাখতে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে শীঘ্রই চালু হবে সিএএ! নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে আশার আলো দেখালেন শুভেন্দু

    মুসলিম লিগের পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (Citizenship Ammendment Act) বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মনোজ ঝা, তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র, এআইএমআইএমের আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও। আবেদন করেছিল জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ, অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, পিস পার্টি, সিবিআই, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রিহাই মঞ্চের মতো কয়েকটি সংগঠনও। আইনজীবী এমএল শর্মা এবং আইনের বেশ কিছু পড়ুয়াও আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।

    প্রসঙ্গত, সোমবারই গুজরাটের দুই জেলায় বসবাসকারী তিন দেশের সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এদিন এই মর্মে জারি হয়েছে নির্দেশিকাও। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর না হওয়ায় ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share