Tag: Supreme court

Supreme court

  • SC on Hijab Row: ইউনিফর্ম চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির, হিজাব বিতর্কে ‘সুপ্রিম’ পর্যবেক্ষণ

    SC on Hijab Row: ইউনিফর্ম চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির, হিজাব বিতর্কে ‘সুপ্রিম’ পর্যবেক্ষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনিফর্ম (Uniform) চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির। হিজাব বিতর্ক (Hijab Row) মামলার শুনানিতে একথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnatak High Court)। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের যুক্তি, ইউনিফর্ম পরার ওপর জোর দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির।

    চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারি কর্নাটক সরকার নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই রাজ্যে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। কর্নাটকের উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছিল। বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। কেবল কর্নাটক নয়, দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যেও শুরু হয় অশান্তি। মামলা হয় কর্নাটক হাইকোর্টে। হিজাব পরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে কর্নাটক আদালতও। তার বিরুদ্ধে আবেদন জমা পড়ে দেশের শীর্ষ আদালতে।

    আরও পড়ুন : বাধ্য হয়ে কোরানের প্রসঙ্গ আনতে হয়েছে কর্নাটক হাইকোর্টকে, হিজাব মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

    বৃহস্পতিবার আবেদনকারীদের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তাঁর যুক্তি, সরকারি স্কুলগুলি পোশাক বিধি চালু করতে পারে। তবে তারা হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে না। এর পরেই বিচারপতি সুধাংশু ঢুলিয়া বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ইউনিফর্ম চালু করার ক্ষমতা রয়েছে। হিজাব এর থেকে আলাদা। ভূষণ বলেন, হিজাব পরা কোরানে বাধ্যতামূলক নয়। তবে বহু মুসলিম মহিলা এই প্রথা মেনে আসছেন। তাই এটা নিষিদ্ধ করা যায় না। আইনজীবী সোয়েব আলম বলেন, সরকার যদি হিজাব রেস্ট্রিক্ট করতে চায়, তবে তাকে তা করতে হবে আইনের পথেই।

    ওই মামলায় রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, এর (হিজাব বিতর্কের) একটা পথ হল কোরানের ব্যাখ্যা দেওয়া। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ঢুলিয়ার বেঞ্চ জানায়, আমরা কোরানের ব্যাখ্যাকর্তা নই। আমরা এটা করতে পারি না। ধর্মীয় কোনও শাস্ত্রের ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কোর্টের নেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Karnataka Hijab Row: হিজাব-বিতর্ক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ! সুপ্রিম কোর্টে কী বলল কর্নাটক সরকার?

    Karnataka Hijab Row: হিজাব-বিতর্ক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ! সুপ্রিম কোর্টে কী বলল কর্নাটক সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজাব (Hijab) কখনও বাধ্যতামূলক নয়। কোরানে উল্লেখ থাকলেই যে সেই প্রথা জরুরি হবে এমন নয়। ইসলামিক দেশগুলিতেই হিজাব পরা নিয়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন মেয়েরা। ইরানের (Iran) রাজপথে হিজাব না পরার পক্ষে সওয়াল করেছেন সেখানকার স্বাধীনচেতা মেয়েরা। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কর্নাটক হাইকোর্টের (Karnataka High Court) রায়ের পক্ষে সওয়াল করে একথাই জানালেন আইনজীবী তুষার মেহতা। ভারতের সলিসিটর জেনারেল তথা কর্নাটক সরকারের আইনজীবী তুষার মেহতা জানিয়েছেন, দেশে হিজাব-বিতর্ক তৈরি করা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)-এর চক্রান্ত।

    আরও পড়ুন: খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজে লাগানো হবে বেসরকারি সংস্থাকেও, কেন জানেন?

    তুষার মেহতা দাবি করেন, কর্নাটকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করেছে যে ছাত্রছাত্রীরা তাঁরা চরমপন্থী সংগঠন পিএফআই দ্বারা প্রভাবিত। এটা একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ। হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করার জন্য এই চক্রান্ত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে  বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে মঙ্গলবার সওয়াল করেন তুষার। তিনি  বলেছেন যে ২৯ মার্চ, ২০১৩ উদুপিতে সরকারি প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় গার্লস কলেজ একটি রেজোলিউশন পাস করেছিল যে একটি নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরা হবে। ইউনিফর্মে হিজাব অন্তর্ভুক্ত ছিল না এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থী ইউনিফর্মই পড়ত। যারা ২০২১ সালে পিইউ কলেজে ভর্তি হয়েছিল, তারা প্রাথমিকভাবে ইউনিফর্মের নিয়ম মেনে নিয়েছিল। 

    আরও পড়ুন :কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার মন্তব্যে মমতাকে মোক্ষম জবাব মালব্যর

    মেহতা বলেন, হিজাব নিয়ে কর্নাটক হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, তা ধর্মনিরপেক্ষ। গেরুয়া উত্তরীয় হোক বা হিজাব -কোনওটাই স্কুলে পরে আসার অনুমতি ছিল না। তিনি  দাবি করেন, যে পড়ুয়ারা পিটিশন দাখিল করেছেন, তাঁরা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজ্যে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। সুপ্রিম কোর্ট আগে জানিয়েছিল, জরুরি ধর্মীয় প্রথার বিষয়ে যাওয়া উচিত হয়নি কর্নাটক হাইকোর্টের। এর বিপক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে সলিসিটার জেনারেল জানান, ‘এটা আমার কাছে একেবারেই ধর্মীয় বিষয় নয়, বরং এটা পড়ুয়াদের ইউনিফর্মের বিষয়।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CAA Supreme Court: পেছাল সিএএ মামলার শুনানি, রায় ঘোষণা ১৯শে সেপ্টেম্বর

    CAA Supreme Court: পেছাল সিএএ মামলার শুনানি, রায় ঘোষণা ১৯শে সেপ্টেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ মামলার শুনানি পেছাল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Amendment Act) নিয়ে রায় মুলতুবি রাখল দেশের প্রধান বিচারপতির ইউ ইউ ললিতের (Chief Justice U U Lalit) ডিভিশন বেঞ্চ। ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মামলা মুলতুবি রাখা হয়েছে। সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে।

    আরও পড়ুন: শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিল পিএফআই-এসডিপিআই! আদালতকে জানাল দিল্লি পুলিশ

    নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে রাজ্যগুলির। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে চ্যালেঞ্জ করে দেশজুড়ে প্রায় ২০০-র বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। দেশের একাধিক রাজনৈতিক দল এবং সংগঠন কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। মামলাকারীরা দাবি জানায়, নতুন আইনের মাধ্যমে সংবিধানে দেওয়া সমানাধিকারের মৌলিক বিষয়টি খর্ব করা হয়েছে। যদিও বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার খারিজ করেছে। কেন্দ্রের মতে, এই নতুন আইন ভারতে আসা সংখ্যালঘুদের সুবিধা করে দেবে। সেই সিএএ (CAA) মামলাগুলির আজকে ছিল শুনানি। কিন্তু শীর্ষ আদালতে এই মামলার রায় দান আজ মুলতবি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ শে সেপ্টেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণা হবে। 

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে। তখনও এই আইনে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে কেন্দ্রকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে এই আইন কার্যকর করার প্রক্রিয়া স্থগিত ছিল। এদিকে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি একাধিক সংগঠন এই আইনের বিরোধিতায় মামলা দায়ের করে। সুপ্রিম কোর্টে দু’শোটিরও বেশি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাগুলিরই শুনানি হওয়ার কথা ছিল সোমবার। যা আপাতত আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতুবি রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: উমর খলিদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতায় উঠল সার্জিল ইমাম প্রসঙ্গ 

    ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হয় সংসদে। এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয় গোটা দেশজুড়ে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। এদিকে, সিএএ দ্রুত কার্যকর করার। যদিও এখনও তা কার্যকর হয়নি। নতুন আইন অনুসারে পাকিস্তান, বাংলাদেশ,আফগানিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি শরণার্থীদের ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় কেন্দ্র সরকার।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

     

     

     

  • Justice Dipankar Dutta: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হচ্ছেন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত?

    Justice Dipankar Dutta: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হচ্ছেন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বম্বে হাইকোর্টের (Bomby High Court) প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) দীপঙ্কর দত্ত (Dipankar Dutta) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি হতে চলেছেন। কারণ তাঁর পদোন্নতির জন্য সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। গত ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের (U U Lalit) নেতৃ্ত্বে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম (Collegium) এক বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয় ও সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বম্বে হাইকোর্টে নিযুক্ত হওয়ার আগে দীর্ঘদিন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি ২০০৬ সালের ২২ জুন এই দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এরপর ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। এবার কলেজিয়াম তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি করার সুপারিশ করল।

    আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের জন্ম ১৯৬৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। ১৯৮৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Calcutta) থেকে তিনি এলএলবি ডিগ্রি (LLB Degree) নেন। সেই বছরের ১৬ নভেম্বরে তিনি আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি প্রয়াত সলিল কুমার দত্তের ছেলে এবং বিচারপতি অমিতাভ রায়ের শ্যালক, যিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ছিলেন।

    এছাড়াও তিনি ২০০২-এর মে থেকে ২০০৪-এর জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। তার আগে তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাউন্সেল ছিলেন। এরপর ২০০৬ সালে কলকাতা হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ২০২০ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্ব সামলানোর পর বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। আবার তিনি ১৯৯-৯৭ থেকে ১৯৯৯-২০০০ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ ল-এ গেস্ট লেকচারার ছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Supreme Court: ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি ৫ হাজারেরও বেশি মামলার!

    Supreme Court: ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি ৫ হাজারেরও বেশি মামলার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর কার্যকালের বয়স মাত্র ১৩ দিন। সপ্তাহ দুয়েকেরও কম সময়ের মধ্যে গতি এসেছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কাজে। এনভি রমানার (NV Ramana) অবসরের পরে দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit)। তার পরেই কার্যত কাজের জোয়ার এসেছে সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালকে উদ্ধৃত করে দেশের শীর্ষ আদালতের (Apex Court) প্রধান বিচারপতি ললিত জানান গত ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হয়েছে ৫ হাজার ২০০ মামলার। এই সময় সীমার মধ্যে তালিকাভুক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৩৫টি নতুন মামলা।

    কিছু দিন আগেই দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন ললিত। তাঁর তিন প্রজন্মই রয়েছেন আইনি পেশায়। অবসর গ্রহণের আগে প্রধান বিচারপতি পদে ললিতের নাম প্রস্তাব করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। রামানার প্রস্তাবে সিলমোহর দেয় কেন্দ্র। প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নেন ললিত। তিন মাসেরও কম সময়ের জন্য ওই পদে থাকবেন তিনি। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টে অবসরের বয়স ৬৫ বছর। এই সময়ের মধ্যেই যে তাঁর লক্ষ্য যত বেশি সম্ভব মামলার নিষ্পত্তি করা, শপথ গ্রহণের দিনই তা জানিয়ে দিয়েছিলেন ললিত। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টের কাজে যে জোয়ার এসেছে, তা স্পষ্ট তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যানেই।

    আরও পড়ুন : ইউনিফর্ম চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির, হিজাব বিতর্কে ‘সুপ্রিম’ পর্যবেক্ষণ

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আয়োজন করা হয় সংবর্ধনা সভার। সভার আয়োজন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট চত্বরেই। যোগ দিয়ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি। বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সমস্ত বিচারপতি এবং আইনজীবীদের সমবেত প্রচেষ্টা ছাড়া এ কাজ (এত মামলার নিষ্পত্তি) সম্ভব হত না। প্রধান বিচারপতি জানান, অনেক বিষয় ফলপ্রসূ হয়েছে এবং প্রচুর মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। কিছু মামলা শেষ মুহূর্তে তালিকাভুক্ত হয়েছে। সেগুলি আমার বিচারপতি ভাইয়েরা দক্ষ হাতে সামলেছেন। নয়া ব্যবস্থায় বিচারপতিদের একাংশ খুশি নন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে ললিত বলেন, বিচারপতিরা অখুশি, এটা ঠিক নয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sourav Ganguly: সুপ্রিম কোর্টে নিয়ম বদল! ২০২৫ সাল পর্যন্ত বোর্ডের দায়িত্বে থাকতে পারবেন ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’

    Sourav Ganguly: সুপ্রিম কোর্টে নিয়ম বদল! ২০২৫ সাল পর্যন্ত বোর্ডের দায়িত্বে থাকতে পারবেন ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিসিসিআই-এর (BCCI) সভাপতি পদে থেকে গেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। একইসঙ্গে সচিব হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন জয় শাহ (Jay Shah)। আরও তিন বছর বোর্ডের সভাপতি এবং সচিব পদে থাকতে পারবেন তাঁরা। অর্থাৎ ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের সভাপতি থাকছেন মহারাজ।

    আরও পড়ুন: অন্য অনন্য রেকর্ড! বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ট্যুইটারে ৫ কোটি ফলোয়ারের গণ্ডি পার বিরাটের

    বুধবার দুপুর দু’টো থেকে বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলীর বেঞ্চে শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সংস্থায় ছ’বছর এবং বোর্ডে ছ’বছর দায়িত্বে থাকতে পারবেন এক জন আধিকারিক। তারপর তাঁকে যেতে হবে ‘কুলিং অফ’-এ। কিন্তু এবার সে নিয়মের বদল আনতে চলেছে শীর্ষ আদালত। ৩+৩ এর বদলে এবার করা হবে ৬+৬। অর্থাৎ দুই টার্মে ছ’বছর কাটানোর পর আর কুলিং অফে যেতে হবে না বোর্ডের কোনও আধিকারিককে। রাজ্য সংস্থায় ৬ বছর কাটানোর পর বিসিসিআইয়েও আরও ছ’বছর কাটাতে পারবেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিক।

    আরও পড়ুন: এক সেঞ্চুরিতেই বাজিমাত! কী কী রেকর্ড গড়লেন বিরাট, জানেন?

    লোধা কমিটির ‘কুলিং অফ’নিয়ম অনুযায়ী, বছর দুই আগেই শেষ হয়েছে বোর্ড সচিব জয় শাহ এবং সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কার্যকাল। কিন্তু বোর্ডের তরফে আগেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়, যাতে ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’ বাতিল করে দেওয়া হয়। বিসিসিআই-এর যুক্তি ছিল, এত কম সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটে কোনও বৈপ্লবিক পরিবর্তন করা কারোর পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া সৌরভ ও জয় শাহের কার্যকালের বেশিরভাগ সময়টা করোনার  আবহে কেটেছে। এই পরিস্থিতিতে যদি তাঁরা দায়িত্ব ছেড়ে দেন, তাহলে এই স্বল্প সময়ে যোগ্য ব্যক্তি পাওয়া মুশকিল। তাই সব দিক ভেবেচিন্তে ‘কুলিং অফ’ তুলে দেওয়া হোক। এদিন শেষ পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের আর্জি মেনে নেয় সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Supreme Court: অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ সংবিধানের সাম্যের অধিকার খর্ব করে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট  

    Supreme Court: অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ সংবিধানের সাম্যের অধিকার খর্ব করে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির (Economically Weaker Section ) জন্য সংরক্ষণ (Quota) সংবিধানের সাম্যের (Equality) অধিকার খর্ব করে। এই সাম্যের অধিকার সংবিধানের হৃদয় স্বরূপ। চাকরিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ রয়েছে। সেই মামলা সম্পর্কে রায় দিতে গিয়ে মঙ্গলবার এই মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। একে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার রায় দিতে গিয়েই দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়ে এটা সংবিধানের হৃদয়কে নষ্ট করে দেয়।

    এদিন আদালতে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। এই পাঁচ বিচারপতি হলেন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, এসআর ভাট, বেলা ত্রিবেদী এবং জেবি পার্দিওয়ালা। এই বেঞ্চেই শুনানির জন্য জমা পড়েছিল ৩৯টি আবেদন। এর মধ্যে আবেদন করছিলেন জনৈক জনহিত অভিয়ানও। সংবিধানের ১০৩ নম্বর সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। সংবিধানের এই সংশোধনীতেই সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। আগে এই মামলার শুনানি হচ্ছিল তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি বিআর গাভাই। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট মামলাটি পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। এদিন সেখানেই হয় শুনানি।

    আরও পড়ুন : পথ-কুকুর কাউকে কামড়ালে চিকিৎসার দায়িত্ব তাঁদের যাঁরা খেতে দেন, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে অধ্যাপক মোহন গোপাল সংবিধানের সংশোধনীকে আক্রমণ করে বলেন, সংরক্ষণের এই ব্যবস্থা সংবিধানের প্রতি প্রতারণা। তিনি বলেন, সংরক্ষণ পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধিত্বের জন্য একটা হাতিয়ার মাত্র। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করছেন সমাজের অগ্রসর শ্রেণিও। এর পরেই সওয়াল করতে ওঠেন প্রবীণ আইনজীবী মিনাক্ষী অরোরা। তিনিও বলেন, এটা সমাজের একটি বিশেষ অংশকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। এবং এভাবে সাম্যের অধিকারকে খর্ব করে। প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় পারিখও বলেন, সংবিধানের এই সংশোধনী সাম্যের অধিকারকে খর্ব করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court : বৃহত্তর বেঞ্চের রায় সবসময় প্রাধান্য পাবে, অভিমত শীর্ষ আদালতের

    Supreme Court : বৃহত্তর বেঞ্চের রায় সবসময় প্রাধান্য পাবে, অভিমত শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারকের সংখ্যা যাই হোক উচ্চতর বেঞ্চ অর্থাৎ হায়ার বেঞ্চের রায় প্রাধান্য পাবে, সম্প্রতি এই অভিমত ব্যক্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  কোর্টের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে বিচারকের সংখ্যা নির্বিশেষে একটি বৃহত্তর বেঞ্চের দেওয়া রায়ই সবসময় গ্রহণ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের মত অনুযায়ী, কোনও মামলা চলাকালীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে একরকম রায় দিল। তখন সেই মামলায় হেরে  যাওয়া পক্ষ  বৃহত্তর বেঞ্চে অর্থাৎ সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে আবেদন করতে পারে। সাত বিচারপতির বেঞ্চে যদি ওই মামলার রায় ৪:৩ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে দেওয়া হয় তাহলে ৭ বিচারকের বেঞ্চের রায় সর্বসম্মতভাবে ৫ বিচারপতির বেঞ্চের উপর প্রাধান্য পাবে। 

    আরও পড়ুন: ন্যায্যমূল্যের দোকানে ওষুধ পাওয়া যায় না, জীবনদায়ী ওষুধ চুরি হয় হাসপাতাল থেকে, ওষুধ কিনতে হিমশিম সাধারণ মানুষ

    বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমন্ত গুপ্ত, সূর্য কান্ত, এম এম সুন্দ্রেশ এবং সুধাংশু ধুলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ একটি মামলা চলাকালীন এই মত ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য,  অনুচ্ছেদ ১৪৫(৫) অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের সম্মতিই আদালতের রায় হিসাবে দেখা হয়। ২০১৭ সালে বিচারপতি আরএফ নরিমান এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌলের সমন্বয়ে গঠিত দুই বিচারপতির বেঞ্চের রায় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে কী খারিজ হয়ে যাবে?

    আরও পড়ুন: ভারতে চিতার বংশবৃদ্ধিতে ভূমিকা নেবে ‘আশা’, বাকিদের নাম কী রাখা হল জানেন?

    যদি সর্বসম্মতিক্রমে ৫ বিচারপতির বেঞ্চের সিদ্ধান্ত ৭ বিচারপতির বেঞ্চ দ্বারা বাতিল করা হয়, যেখানে চারজন বিজ্ঞ বিচারক সংখ্যাগরিষ্ঠতার পক্ষে কথা বলেন এবং তিনজন বিজ্ঞ বিচারক বিপক্ষে তাহলে দুজন বিচারপতির বেঞ্চের রায়ও পাঁচজন বিচারপতির রায়ের কাছে বাতিল হতে পারে। অর্থাৎ সবসময় যে কোনও মামলায় হায়ার বেঞ্চের রায়ই প্রাধান্যপাবে বলে মত প্রকাশ করল শীর্ষ আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে চাই নির্দেশিকা, সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে চাই নির্দেশিকা, সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও দেশে চালু রয়েছে মৃত্যুদণ্ড (Death Penalty)। কারও কারও মতে, প্রথাটি বর্বরোচিত। কেউ আবার বলেন, দোষী ব্যক্তিকে এমন সাজাই দেওয়া উচিত। তবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরির জন্য এবার পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ (Constitution Bench) গঠনের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সোমবার ওই বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে কোন মানদণ্ডে, সেটাই স্থির করবে দেশের শীর্ষ আদালতের এই বেঞ্চ। 

    কেন হঠাৎ প্রয়োজন হয়ে পড়ল এহেন বেঞ্চ গঠনের? দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই বেঞ্চ গঠনের প্রয়োজন ছিল কারণ এতদিন মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কোনও নির্দিষ্ট মাপকাঠি ছিল না। বিভিন্ন জনের নানা দোষের মাপকাঠি ছিল আলাদা। তা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে নানান সময়। সেই প্রশ্ন যাতে না ওঠে, তাই প্রয়োজন একটা সমতা। দেশের শীর্ষ আদালতের মতে, সেই মাণদণ্ড তৈরি করতেই গঠন করা হয়েছে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। 

    এদিন যে তিন বিচারপতি পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং সুধাংশু ঢুলিয়া। কোনও ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় বিরলের মধ্যে বিরলতম কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে। এদিন ললিতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ জানায়, ১৯৮৩ সালে বচ্চন সিং মামলায় আলাদা একটি বেঞ্চে শুনানি হয়েছিল। সেখানে বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছিল বচ্চনের। 

    আরও পড়ুন : ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি ৫ হাজারেরও বেশি মামলার!

    দেশের শীর্ষ আদালতের যুক্তি, মৃত্যু দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত কোনও অপরাধীর ক্ষেত্রে মামলার পৃথক শুনানি হওয়া প্রয়োজন। বেঞ্চ এও জানায়, ১৯৮৩ সালের বচ্চন সিং মামলার রায় পৃথক শুনানির সেফগার্ড স্বরূপ। বিশেষত মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত অপরাধীর ক্ষেত্রে। সেই সময় আদালত বলেছিল, এই সেফগার্ড একটি মূল্যবান অধিকার। এটা অপরাধীকে বুঝিয়ে দেয়, কেন এবং কোন পরিস্থিতিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: পথ-কুকুর কাউকে কামড়ালে চিকিৎসার দায়িত্ব তাঁদের যাঁরা খেতে দেন, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: পথ-কুকুর কাউকে কামড়ালে চিকিৎসার দায়িত্ব তাঁদের যাঁরা খেতে দেন, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসতি এলাকায় রাস্তায় কুকুরদের (Stray Dogs) যাঁরা খেতে দেন বা যাঁরা পথ-কুকুরদের ভালবাসেন, তাঁরাই পথ-কুকুরদের দায়িত্ব নিক। তাঁদের নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। ওই কুকুর কোনও সাধারণ ব্যক্তিকে কামড়ালে বা আঁচড়ালে তাঁদের চিকিৎসার দায়ভার নিক। এমনই অভিমত শীর্ষ আদালতের (Supreme Court)। কেরলে (Kerala) কুকুরের কামড়ে এক ১২ বছরের ছেলে মৃত্যু নিয়ে একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই অভিমত ব্যক্ত করে সুপ্রিম কোর্ট

    আরও পড়ুন: চিতা বাঁচাতে কুনো ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় হাজার কুকুরকে অ্যান্টি র‌্যাবিস প্রতিষেধক

    বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও জে কে মাহেশ্বরীর বেঞ্চে কেরলে পথকুকুরের হামলা নিয়ে মামলার পিটিশন চলাকালীন এই কথা উল্লেখ করা হয়। বিচারপতি খান্না জানান, তিনি নিজে পশু প্রেমী, তাই তার মনে হয়, পথ কুকুরদের সমস্যা দূর করতে একটি বিশেষ পদক্ষেপ করা উচিত। তিনি বলেন, যাঁরা রাস্তায় কুকুরদের খেতে দেন তাঁরাই নিজেদের অঞ্চলে কুকুরদের চিহ্নিত করে ভাগ করে নিন। এক এক জন কয়েকটি কুকুরের দায়িত্ব নিক। সেই নির্দিষ্ট কুকুরদের শুধু খেতে দেওয়াই নয় উপযুক্ত টিকাকরণের ব্যবস্থাও করতে হবে ওই ব্যক্তিকেই। সেই কুকুরের দ্বারা কেউ আহত হলে তাঁর চিকিৎসাও করাতে হবে। 

    আরও পড়ুন: পেয়ারা পাতার চা কমাবে ওজন! এর গুণাগুণ জানলে চমকে যাবেন আপনিও

    আদালতের তরফে বলা হয়, দায়িত্ব নিলে পথ-কুকুরদের (Street Dogs) নিয়ে সমস্যা অনেকটা কমানো যাবে। বেঞ্চ জানায়, শুধু পশুদের ভালবাসলেই হবে না, দায়িত্বও নিতে হবে। নইলে সাধারণ মানুষ বা নিরীহ পথচারীরাও বিপদে পড়তে পারেন। এর ফলে অসহায় পশুদের উপরও ক্ষুব্ধ হতে পারেন বাসিন্দারা। তাই যাঁরা পশু ভালবাসেন তাঁরাই উদ্যোগী হন। অনেক সময়ই দেখা যায়, কুকুররা হিংস্র হয়ে ওঠে। খাবারের অভাবে বা কোনও অসুখের কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এর ফলে ছোট বাচ্চা, নিরীহ পথচারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। যা কখনওই কাম্য নয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ সেপ্টেম্বর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share