Tag: Supreme court

Supreme court

  • Uniform Civil Code: বিঘ্নিত হচ্ছে জাতীয় ঐক্য, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় জানাল কেন্দ্র

    Uniform Civil Code: বিঘ্নিত হচ্ছে জাতীয় ঐক্য, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) প্রথম হলফনামা পেশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। হলফনামার স্বপক্ষে নানা যুক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, বিভিন্ন আইনের জেরে বিঘ্নিত হচ্ছে জাতীয় ঐক্য। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ব্যক্তিগত আইন পরিত্যাগ করে।

    বিভিন্ন আবেদনকারী ব্যক্তিগত আইনের (Personal Law) অভিন্নতা জানতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন দেশের শীর্ষ আদালতে। সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দেয় কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে ছটি আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়, আবেদনকারী লুবনা কুরেশি এবং ডোরিস মার্টিন আইন কার্যকর করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেন জনস্বার্থ মামলা।

    এদিন কেন্দ্রের তরফে পেশ করা হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, দেশে একাধিক আইন জাতীয় ঐক্য বিঘ্নিত করছে। ফলে ঐক্যের প্রশ্নে দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (Uniform Civil Code) প্রয়োজন রয়েছে। সংবিধানের ৪৪ নম্বর ধারার অধীনে রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। এখানে ধর্ম, লিঙ্গ নির্বিশেষে ডিভোর্স, দত্তক, অভিভাবকত্ব, উত্তরসূরি নির্বাচন, উত্তরাধিকার, বিয়ের বয়স, ভরণপোষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বলা হয়েছে।

    এর আগে গোটা দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) লাগু করা যায় কিনা, তা জানতে চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আদালতে যেসব আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলির উত্তর দেওয়ার জন্যও আবেদন জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে বরাবরই ধর্মীয় তুষ্টির চশমায় দেখা হয়।

    আরও পড়ুন: বন্দিদশা ঘুঁচল না সাইবাবার, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে থাকতে হবে জেলেই

    ভারতে চালু রয়েছে ব্যক্তিগত আইন। এই আইন বলে কয়েকটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ আলাদা আলাদা  সুবিধা ভোগ করেন। সেই কারণেই গোটা দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালুর ওপর জোর দেয় কেন্দ্র। সেই কারণেই এদিন হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, একাধিক আইন বিঘ্নিত করছে জাতীয় ঐক্যকে। তাই প্রয়োজন রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর। আদালত সংসদকে কোনও আইন তৈরি কিংবা কার্যকর করার নির্দেশ দিতে পারে না বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রকের তরফে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Web Series XXX: ওয়েব সিরিজ নিয়ে একতা কাপুরকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট, কী আছে XXX-এ?

    Web Series XXX: ওয়েব সিরিজ নিয়ে একতা কাপুরকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট, কী আছে XXX-এ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় বেশ কিছুদিন ধরেই একতা কাপুরের (Ekta Kapoor) ওয়েব সিরিজ (Web Series) ‘এক্স এক্স এক্স’কে (Web Series XXX) ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ওয়েব সিরিজে আপত্তিকর দৃশ্য দেখানোর জন্য নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল আগেই। এছাড়াও ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অপমানের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আর এইসব বিতর্কের জল এবার গড়াল আদালত পর্যন্ত। অবশেষে সেই মামলায় নিজের মত জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার শুনানিতে ওয়েব সিরিজ ‘এক্স এক্স এক্স’-এর নির্মাতা একতা কাপুরকে চরম ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত।

    প্রসঙ্গত, ‘এক্স এক্স এক্স’ -এর (Web Series XXX) কনটেন্ট নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন বেগুসরাইয়ের এক বাসিন্দা। তাঁর নাম শম্ভু কুমার ও তিনি একজন প্রাক্তন সেনাকর্মী ছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, এই ওয়েব সিরিজে ভারতীয় সেনা আধিকারিকদের স্ত্রী-দের নিয়ে অসম্মানজনক দৃশ্য দেখানো হয়েছে। যা সকলের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। আর এর ফলেই বিহারের বেগুসারাই আদালত থেকে একতা কাপুর ও তাঁর মা তথা প্রযোজক শোভা কাপুরের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছিল যে, এই সিরিজ নিয়ে অভিযোগ ওঠার পরেই সিরিজ থেকে ওই দৃশ্যগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে মামলা শেষ হয়ে যায়নি। এরপরেই তাদের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

    আর এই গ্রেফতারির পরোয়ানার পালটা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একতা। আর এই মামলার আবেদন করতে এসেই আর ফেঁসে গেলেন তিনি। গত ১৪ অক্টোবর অর্থাৎ শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয়। আর সেখানেই একতা কাপুরকে চরম ভর্ৎসনা করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম বিচারপতি অজয় রোস্তাগি ও সিটি রবিকুমারের ডিভিশন বেঞ্চ তিরস্কারের সুরে জানায়, ‘কিছু একটা করা দরকার। আপনারা দেশের তরুণ প্রজন্মের মন কলুষিত করছেন। এটা তো সবার কাছেই উপলব্ধ। ওটিটি কনটেন্ট তো সবাই দেখতে পায়। আপনারা ঠিক কোন ধরণের চয়েসের কথা বলছেন? …. অন্যদিকে আপনারা তরুণ প্রজন্মকে নষ্ট করছেন’।

    অন্যদিকে একতার পক্ষ রেখে তাঁর আইনজীবী মুকুল রোহাতগি বলেন, এই দেশে প্রত্যেকের ‘ফ্রিডম অফ চয়েস’ রয়েছে। অর্থাৎ কে কী দেখবেন তার স্বাধীনতা রয়েছে। পাশাপাশি ওই বিতর্কিত ভিডিও যে প্ল্যাটফর্মে দেখা গেছে তা সাবস্ক্রিবশন নির্ভর। ফ্রি-টু এয়ার নয়।

    আবার এর উত্তরে আরও ক্ষোভ উগরে দেয় বিচারপতি, আর জানান, শুধুমাত্র বেশি টাকা দিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করার ক্ষমতা রাখলেই আদালত তার হয়ে কথা বলবে না। ভবিষ্যতে এই ধরণের পিটিশন দাখিলের জন্য আদালত একতার বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা আরোপ করবে বলে সাফ জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত।

  • Recruitment Scam: ইডি হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য, মঙ্গলবার ফের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    Recruitment Scam: ইডি হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য, মঙ্গলবার ফের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তত আরও একদিন ইডি (ED) হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্যকে। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে এই মামলার। সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, সিবিআই তদন্তের থেকে ইডি তদন্ত সম্পূর্ণ আলাদা। ইডি তদন্তে মানি ট্রেল উঠে এসেছে। কিন্তু রাজ্যের সওয়াল অভিযুক্তদের মতো মনে হচ্ছে। এদিকে, ওই মামলায় রক্ষাকবচ থাকলেও, কেন গ্রেফতার করা হল মানিককে, তা নিয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিল ইডি। ইডির তরফে ওই হলফনামা জমা দেন তুষার।

    গত সপ্তাহেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। তার পর থেকে এ পর্যন্ত তিনি রয়েছে ইডি হেফাজতেই। গ্রেফতারি এড়াতে রক্ষাকবচের জন্য সুপ্রিম কোর্টের শরণ নিয়েছিলেন মানিক। তবে গ্রেফতারির পর তাতে হস্তক্ষেপ করেনি দেশের শীর্ষ আদালত। তাই ইডি-দশাও ঘোঁচেনি। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা শুনানি শেষে এই মামলার রায়দান স্থগিত রাখে দেশের শীর্ষ আদালত। আজ, সোমবার রায় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিনও স্থগিত হয়ে যায় রায়দান। এদিন সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কাছে আরও এক দিন সময় চান। বেঞ্চ তা মঞ্জুর করে। তার জেরেই ইডি হেফাজত বাড়ল মানিকের। মঙ্গলবার ফের হবে এই মামলার শুনানি। তবে এদিনই রায়দান হবে কিনা, তা জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: মানিক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ইডি! ভাঙা হল তালা, জানেন কী মিলল?

    প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক। পুজোর আগেই সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি শেষ হয়। যদিও রায় ঘোষণা হয়নি। তখনই মানিককে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেয় আদালত। যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারেনি সিবিআই। এদিকে, ইডি হেফাজতে থাকলেও, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে মানিকের। সোমবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকার ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয় মানিকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Dharam Sansad: ঘৃণাভাষণ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    Dharam Sansad: ঘৃণাভাষণ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘৃণাভাষণ (Hate Speech) বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এক পর্যবেক্ষণে সোমবার এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। দেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘণাভাষণ চলছে বলে আবেদন জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে। এরই শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ, প্রকাশ্যে ঘৃণাভাষণের জেরে পরিবেশ বিষিয়ে উঠছে। তাই ঘৃণাভাষণ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এদিকে, পৃথক একটি মামলায় গত বছর ধর্ম সংসদ (Dharam Sansad) এবং দিল্লিতে ঘৃণা ভাষণের জেরে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে উত্তরাখণ্ড ও দিল্লির সরকারের কাছে তাও জানতে চাইল দেশের শীর্ষ আদালত।

    জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট এমন সময় এই পর্যবেক্ষণের কথা জানাল যখন দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে দিল্লির ঘটনায়  তারা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও অন্য উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। দিল্লির এক অনুষ্ঠানে কয়েকজন বক্তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘৃণাভাষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যেদিন দিল্লি পুলিশ ঘৃণাভাষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানাল, সেদিনই সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূ্র্ণ।

    দেশের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত ও বিচারপতি এসআর ভাট মামলাকারী এইচ মনসুখানিকে ঘৃণাভাষণ এবং তদন্ত করার পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ জানানোর নির্দেশ দেয়। ইউইউ ললিত এবং ভাটের বেঞ্চ বলে, আবেদনে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে ঘৃণাভাষণের জেরে বিষিয়ে উঠছে সামাজিক পরিমণ্ডল। এবং আপনি যথার্থভাবেই বলতে পারেন ঘৃণাভাষণ বন্ধ হোক। অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য মামলাকারীকে সময় দিয়েছে বেঞ্চ। এবং তদন্ত চলাকালীন সময়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, মামলাকারীকে তাও জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীকেও জানাতে হবে অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে কিনা। সন্দেহভাজন দোষী কারা, তাও জানাতে হবে। বেঞ্চ এও জানিয়েছে, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে দাখিল করতে হবে তথ্য সম্বলিত হলফনামা। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১ নভেম্বর।

    আরও পড়ুন : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    এদিন শুনানি চলাকালীন মামলাকারী ঘৃণামূলক কাজকর্ম এবং ঘৃণাভাষণে যে সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে, তা তুলে ধরেন। তাঁর মতে, ইদানিং ঘৃণাভাষণ ‘লাভজনক ব্যবসা’ হয়ে উঠছে। মামলাকারী এদিন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলসে’র প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ঘৃণাভাষণ জ্যা-মুক্ত তিরের মতো, যা কখনও ফেরানো যায় না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: আরও বিপাকে অনুব্রত! ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই, কী রায় দেবে আদালত?

    Anubrata Mondal: আরও বিপাকে অনুব্রত! ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই, কী রায় দেবে আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো কেটেছে জেলে। কালীপুজোর আগে আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় (Post Poll Violence Case) তাঁকে হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন জানাল সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি, আবেদন হাইকোর্টে

    গরু পাচার কাণ্ডে গরাদেই রয়েছেন কেষ্ট।  ৫৭ দিনের মাথায় গরু-পাচার মামলায় চার্জশিটও জমা দেয় সিবিআই অফিসাররা। সেখানে উঠে এসেছে অনুব্রতর একাধিক সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, জমিজমা ইত্যাদির কথা। আদালতের নির্দেশে একদা বীরভূমে তৃণমূলের বেতাজ বাদশা অনুব্রতের ঠিকানা এখন আসানসোল জেল। এবার আরও চাপে তিনি। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে  ইলামবাজারের খুনের তদন্তে নেমে সিবিআই অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিক বার তলব করে। কিন্তু  তখন অসুস্থতার অজুহাতে হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের থেকে রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন অনুব্রত। সেই সময় নিজের শারীরিক অবস্থা ভাল নয় বলে হাইকোর্টে আবেদন জানান তিনি। হাইকোর্টের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়, এখনই এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন: জেলের ভেতরেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার ইডির, চাপ বাড়ল কেষ্টর?

    সিবিআই সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ১০টায় বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ধূলিয়ানের বেঞ্চে শুনানি রয়েছে এই মামলার। এই মামলায় বেশ কিছু নতুন তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা। তাদের বক্তব্য, অনুব্রতকে যে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে তার জেরে তিনি আগাম জামিন পেতে পারেন। এই রক্ষাকবচের ফলে তদন্ত থমকে গেছে। তাই শীর্ষ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।  ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) করে সিবিআই। তাঁদের যুক্তি, অনুব্রতের রক্ষাকবচ আগাম জামিনের অনুরূপ। এর ফলে তদন্ত থমকে যেতে পারে। তদন্তে সহযোগিতা না-ও করতে পারেন অনুব্রত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Karnataka hijab row: ‘সুপ্রিম’ দুয়ারেও সমাধান অধরা! হিজাব পরা নিয়ে ভিন্নমত দুই বিচারপতির, মামলা গেল উচ্চতর বেঞ্চে

    Karnataka hijab row: ‘সুপ্রিম’ দুয়ারেও সমাধান অধরা! হিজাব পরা নিয়ে ভিন্নমত দুই বিচারপতির, মামলা গেল উচ্চতর বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো তথা দশেরার (Dusshera) ছুটির আগেই কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক (Hijab Row) নিয়ে মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। তবে সেই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আজ, বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায় দিল শীর্ষ আদালত। এই মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ ‘স্প্লিট’ রায় দিয়েছেন। অর্থাৎ, এখনও হিজাব মামলার প্রকৃত ফলাফল স্পষ্ট নয়। রায়দান করে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত (Justice Hemant Gupta) বলেছেন যে ‘মতের ভিন্নতা’ ছিল। তাই মামলাটি উচ্চতর বেঞ্চের কাছে পাঠানোর দায়িত্বভার প্রধান বিচারপতিকে দিল বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়ার (Sudhanshu Dhulia) বেঞ্চ। 

    আরও পড়ুন: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে, এটা চলতে পারে না, হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট

    গত ১৫ মার্চ কর্নাটক হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, হিজাব পরাকে ধর্মাচরণের প্রয়োজনীয় অঙ্গ হিসেবে দেখা ঠিক নয়। এই মামলার রায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সেই রায় বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত। তিনি মুসলিম ছাত্রীদের আবেদন খারিজ করে দিলেও  বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়া বলেন, হিজাব পরা নিজের পছন্দের বিষয়। সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার উল্লেখ করে বিচারপতি ধুলিয়া মুসলিম ছাত্রীদের আবেদনের যৌক্তিকতা মেনে নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ ‘খণ্ডিত রায়’ দিয়েছে। রায় দিতে গিয়ে দুই বিচারপতি ভিন্নমত হওয়ায় এই মামলায় এবার সিদ্ধান্ত নেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে থাকা উচ্চতর বেঞ্চই এই মামলার রায় দেবেন।

    আরও পড়ুন: হিজাব না পরায় গ্রেফতার, পরে মৃত্যু তরুণীর, প্রতিবাদে উত্তাল ইরান

    কর্নাটক সরকারের হয়ে আদালতে সওয়াল-জবাব করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, কর্নাটক সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিং কে নাভাগলি এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজ। অন্যদিকে মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেছেন সিনিয়র আইনজীবী দুষ্মন্ত দাবে এবং সলমন খুরশিদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • GN Saibaba: বন্দিদশা ঘুঁচল না সাইবাবার, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে থাকতে হবে জেলেই

    GN Saibaba: বন্দিদশা ঘুঁচল না সাইবাবার, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে থাকতে হবে জেলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত জেলেই থাকতে হবে জিএন সাইবাবাকে (GN Saibaba)। শনিবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই নির্দেশ দিয়েছে। জিএন সাইবাবা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব অধ্যাপক। কেবল সাইবাবা নন, নকশাল সংস্রব থাকার মামলায় অভিযুক্ত তাঁর পাঁচজন সঙ্গীকেও থাকতে হবে জেলেই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৮ ডিসেম্বর। ততদিন পর্যন্ত নাগপুর সেন্ট্রাল জেলেই বন্দি থাকতে হবে প্রতিবন্ধী সাইবাবা ও তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে। এদিন এই মামলায় স্পেশাল শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। দেশের শীর্ষ আদালত বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ ওই মামলায় জিএন সাইবাবা (GN Saibaba) ও তাঁর সঙ্গীদের মুক্তি দিয়েছিল।

    এর পরেই শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডের সরকার। বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানায় শিন্ডে সরকার। তার পরেই শনিবার হয় বিশেষ শুনানি। বেড়ে যায় সাইবাবা (GN Saibaba) ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোদের বন্দিদশার মেয়াদ। হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্র সরকারের আবেদন সম্পর্কে অভিযুক্তদের নোটিশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন এই মামলার শুনানি হয় দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এমআর সাহা এবং বেলা এম ত্রিবেদির এজলাসে।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে চন্দ্রচূড়ের নাম প্রস্তাব ললিতের

    ২০১৭ সালে ট্রায়াল কোর্ট সাইবাবা (GN Saibaba) ও তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়। তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে আপিল করেন অভিযুক্তরা। প্রসঙ্গত, সাইবাবা ও তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। হাইকোর্টে আপিল করার পরে পরেই তাঁদের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন হাইকোর্টের সেই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বাড়ানো হল অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের মেয়াদ।

    ২০২০ সালের ২৮ জুলাই বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে সাইবাবার (GN Saibaba) জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। ২০২০ সালের ২২ মে সাইবাবার প্যারোলের আবেদনও খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট। অসুস্থ শরীর এবং মাকে দেখতে যাবেন বলে প্যারোলে আবেদন করেছিলেন সাইবাবা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • DY Chandrachud: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে চন্দ্রচূড়ের নাম প্রস্তাব ললিতের

    DY Chandrachud: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে চন্দ্রচূড়ের নাম প্রস্তাব ললিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসরের সময় হয়ে গিয়েছে তাঁর। তাই উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit)। মঙ্গলবার দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে তিনি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নাম প্রস্তাব করেন। রাষ্ট্রপতির সিলমোহর পড়লে প্রবীণ বিচারপতি চন্দ্রচূড়ই হবেন দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি।

    কিছুদিন আগেই দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিয়েছিলেন ইউইউ ললিত। তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন, তাঁরই পূর্বসূরি এনভি রামানা। ললিতের কার্যকালের মেয়াদ মাত্র ৭৪ দিনের। প্রথা অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রস্তাব করতে হয় পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নাম। সেই মতো দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ললিত প্রস্তাব করলেন চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নাম। রাষ্ট্রপতি তাঁর নামে শিলমোহর দিলে চন্দ্রচূড় শপথ নেবেন নভেম্বরের ৯ তারিখে। প্রধান বিচারপতি পদে তিনি থাকবেন ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি পদে অবসরের বয়স ৬৫ বছর।

    এই মুহূর্তে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ই (DY Chandrachud)  সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় প্রবীণ বিচারপতি। তাঁর বাবাও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের শীর্ষ আদালতের ১৬তম প্রধান বিচারপতি। ১৯৭৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮৫ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন : বৈবাহিক ধর্ষণ ও গর্ভপাত নিয়ে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    ১৯৫৯ সালের ১১ নভেম্বর জন্ম বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud)। ২০১৬ সালের ১৩ মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন তিনি। ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে সুপ্রিম কোর্টে আসার আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি ছিলেন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন। ২০০০ সালের ২৯ মার্চ থেকে ওই পদে ছিলেন তিনি। ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের দায়িত্বও সামলেছেন চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। ১৯৯৮ সাল থেকে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়ার আগে পর্যন্ত ওই পদে আসীন ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালের জুন মাসে তাঁকে সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে মনোনীত করে বম্বে হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: সুপ্রিম কোর্টেও রক্ষা মিলল না! আগামী কয়েকদিন ইডির হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য

    Manik Bhattacharya: সুপ্রিম কোর্টেও রক্ষা মিলল না! আগামী কয়েকদিন ইডির হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জোর ধাক্কা খেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টচার্য  (Manik Bhattacharya)। আপাতত তাঁকে ইডির (ED) হেফাজতেই থাকতে হবে। মঙ্গলবার তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গতকালই তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদলতে তোলা হয়েছিল। ইডির গ্রেফতারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিকের আইনজীবী। কিন্তু আবেদেন সাড়া দিল না দেশের সর্বোচ্চ আগালত। মানিকের আইনজীবী মুকুল রোহতগি মামলার দ্রুত শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিসন বেঞ্চ তাতে সাড়া দেয়নি। ইডিকে এই মামলায় নোটিস দিতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। আগামী সোমবার শুনানি হতে পারে।

    আরও পড়ুন: মহিষবাথানে মানিক ভট্টাচার্যের গোপন অফিসের খোঁজ! কী হত সেখানে?

    রাজ্যে শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যাতে তাঁকে এই মামলায় গ্রেফতার করতে না পারে, তার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিকের আইনজীবী। রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন তিনি। যা বহাল ছিল পুজো পর্যন্ত। কিন্তু ইডির ক্ষেত্রে এই নির্দেশ বলবত হয়নি। তাই মঙ্গলবার ম্যারাথন জেরায় মানিক ভট্টাচার্য তদন্তে অসহযোগিতা করছে, এই অভিযোগ তুলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করে ইডি। তখন মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁর মক্কেলকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করেছে। মানা হয়নি সুপ্রম কোর্টের রায়। এই যুক্তি সামনে রেখেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও জোর ধাক্কা খেলেন মানিক ভট্টাচার্য।

    আরও পড়ুন: কিংপিন মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির

    তদন্তে ইতিমধ্যেই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধ আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার বহু প্রমাণ পেয়েছে ইডি। তাঁর ছেলেও এই কুকর্মের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। কারণ, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার সময় ইডি আধিকারিকরা বিপুল পরিমাণ টাকার বেশি হদিশ পেয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জাল মানিক ভট্টাচার্যের মাধ্যমেই বিছানো হয়েছিল বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। কারণ, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে পাঁচশোর বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গ যুক্ত ছিলেন। যার বিনিময়ে তিনি ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাকি উপাচার্যরাও পদত্যাগ করুন! সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণের ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের পর বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাকি উপাচার্যরাও পদত্যাগ করুন! সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণের ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের পর বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Calcutta University VC) পুনর্নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনেই  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অপসারিত হবেন সোনালী চক্রবর্তী (Sonali Chakraborty)। এই রায়ের পরই রাজ্য সরকারকে এক হাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়া রাজ্যের অন্যান্য উপাচার্যদের অবিলম্বে পদত্যাগের কথা বলেন। 

    ট্যুইটবার্তায় শুভেন্দু জানান, ‘সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অরসারণের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে। তাই, এই রাজ্যে বেআইনিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সমস্ত উপাচার্যদের অবিলম্বে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা জরুরি। এটা ওই উপাচার্যদের নৈতিক দায়িত্ব।’ তিনি তাঁর ট্যুইটে  ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, যেভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে সেইভাবেই যেসব উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে তাদের আদালতের কোপে পড়ার আগেই মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে সরে আসার পথ বেছে নেওয়া উচিৎ।

    আরও পড়ুন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    গত বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর পুনরায় নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকার জারি করেছিল সেপ্টেম্বর মাসে সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতও সেই রায় বহাল রাখল। মঙ্গলবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যপালের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সোনালী চক্রবর্তীকে পুনর্নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। পদ্ধতিগত ত্রুটি হয়েছে। তাই কলকাতা হাইকোর্টের রায় একদম সঠিক ছিল। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি  হয়। গত বছর তৎকালীন রাজ্যপাল ও আচার্য জগদীপ ধনকড় কোনওরকম বাছাই ছাড়াই সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগকে স্বজনপোষণের অনন্য নজির বলে উল্লেখ করেছিলেন। রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াই বেআইনি ভাবে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন ধনকড়। এবার সেই উপাচার্যদেরই সময় থাকতে সসম্মানে সরে যাওয়ার কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share