Tag: Supreme court

Supreme court

  • Constitution Day 2024: মঙ্গলে সংবিধান দিবস, সুপ্রিম কোর্টে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    Constitution Day 2024: মঙ্গলে সংবিধান দিবস, সুপ্রিম কোর্টে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস (Constitution Day 2024)। দিনটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে। এই উপলক্ষে এদিন সুপ্রিম কোর্টে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় সংবিধান। ২০১৫ সাল থেকে ২৬ নভেম্বর দিনটিকে ‘সংবিধান দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এদিন সেন্ট্রাল হলে সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

    সুপ্রিম কোর্টে বক্তব্য রাখবেন যাঁরা (Constitution Day 2024)

    সুপ্রিম কোর্টের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল, ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বি.আর. গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত, এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কপিল সিবাল। এদিকে, বিরোধী জোটের বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য (Constitution Day 2024) লোকসভার স্পিকারের কাছে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছেন যে সংবিধান দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উভয় কক্ষের বিরোধী দলের নেতাদের বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুন: “অফিসিয়ালি শুরু হয়ে গিয়েছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ”, দাবি ইউক্রেনের প্রাক্তন কমান্ডারের

    কী বলছেন বিরোধীরা

    স্পিকারকে লেখা বিরোধীদের চিঠিতে লেখা হয়েছে, “আমরা সংবিধান সভা ভবনের সেন্ট্রাল হলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গে এই চিঠি লিখছি, যা ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে। আমরা জানি যে এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন। আমরা মনে করি যে সংসদীয় গণতন্ত্রের সেরা ঐতিহ্য এবং স্বার্থ বজায় রাখতে উভয় কক্ষের বিরোধী দলের নেতাদের এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া (PM Modi) উচিত।” বিরোধীদের লেখা এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন টিআর বালু, তিরুচি শিবা, কানিমোঝি, সুপ্রিয়া সুলে, রাঘব চাড্ডা, পি সন্তোষ কুমার, ইটি মোহাম্মদ বশির, কে রাধাকৃষ্ণন, রামজি লাল সুমন এবং এনকে প্রেমচন্দ্রন (Constitution Day 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Delhi Pollution: দিল্লিতে বায়ু দূষণের জের, সব শ্রেণির ক্লাস অনলাইনে করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Delhi Pollution: দিল্লিতে বায়ু দূষণের জের, সব শ্রেণির ক্লাস অনলাইনে করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি দূষণের (Delhi Pollution) মাত্রা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। শীতের মরশুমের আগেই স্বাভাবিক জনজীবন বিশেষ ভাবে ব্যাহত হয়ে পড়েছে। সোমবার ছিল দিল্লিতে বছরের দুষিততম দিন। সেদিনই, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, রাজধানীর স্কুলগুলিতে সব শ্রেণির ক্লাস অনলাইনে করতে হবে। মঙ্গলবার থেকেই এই নিয়ম কার্যকর করা হয়। একই ভাবে দিল্লি এবং রাজধানী-লাগোয়া তিন রাজ্যের একাংশে স্কুল বন্ধ রাখার কথা বলে প্রশাসনকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

    কেন দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস খোলা? সুপ্রিম-প্রশ্ন  (Delhi Pollution)

    নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী রাজধানীতে (Delhi Pollution) কেবলমাত্র একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্কুল খোলা রাখার নির্দেশ জারি করেছিল দিল্লির আপ সরকার। বাকি শ্রেণির জন্য অনলাইন ক্লাসের নির্দেশ জারি হয়েছিল। কিন্তু দিল্লি আপ সরকারের এই নির্দেশ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ে। বিচারপতি অভয় এএস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহর বেঞ্চ-এর প্রশ্ন তোলেন, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির (School) পড়ুয়াদের ফুসফুস কি আলাদা? এর পরই, সব শ্রেণির ক্লাস অনলাইনে করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

    স্কুল বন্ধ মানে পড়াশুনা বন্ধ নয়

    সুপ্রিম কোর্ট, দিল্লি ছাড়াও জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের মধ্যে থাকা হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের বেশ কিছু অঞ্চলেও স্কুল (School) বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পড়ুয়াদের দূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে স্কুল বন্ধ মানে পড়াশুনা বন্ধ এমন কিছু ভাবনা নয়। সশরীরে স্কুলে উপস্থিত না থাকলেও অনলাইনে বাড়িতে বসে ক্লাস করতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (গ্র্যাপ-৪) চালু করেছে দিল্লি সরকার (Delhi Pollution)। আট দফা বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়েছে। প্রথমে প্রাথমিক স্কুলগুলির ক্লাস অনলাইনে করানোর নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির আপ সরকার। পরে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস করানোর কথা বলা হয়।

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    কোর্টের প্রশ্ন

    সোমবারের শুনানিতে আপ সরকারকে ধমক দেন বিচারপতিদ্বয়। তাঁরা জানতে চান, দূষণ (Delhi Pollution) নিয়ন্ত্রণের জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে এত বিলম্ব কেন করছে প্রশাসন? সেই সঙ্গে আরও বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চতুর্থ পর্যায়ের ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (গ্র্যাপ-৪) বহাল রাখতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া তা তোলা যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindu Sabha Temple: মন্দিরে হামলা, ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডার কোর্টে আবেদন ভারতীয় আইনজীবীর

    Hindu Sabha Temple: মন্দিরে হামলা, ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডার কোর্টে আবেদন ভারতীয় আইনজীবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও গাড্ডায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দল কানাডার সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছেন। পিটিশনে ব্রাম্পটনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হিন্দু মন্দিরে আক্রমণের (Hindu Sabha Temple) সঙ্গে জড়িত সকলের, বিশেষ করে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

    কানাডায় পিটিশন দায়ের (Hindu Sabha Temple)

    জিন্দল কানাডার প্রধান বিচারপতি রিচার্ড ওয়াগনারের কাছে ডিজিটালি এই পিটিশন জমা দেন। পিটিশনে হিন্দু ভক্ত ও হিন্দু সভা মন্দিরে আক্রমণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পিটিশনে জিন্দল কানাডিয়ান সুপ্রিম কোর্টকে এই ঘটনার তদন্তের তত্ত্বাবধান করার আহ্বান জানান। বিশেষ করে পিল পুলিশের কর্মকর্তাদের আচরণ এবং ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র মতো খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীর কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করতে, যারা হিংসায় ইন্ধন জোগানোয় দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। পিটিশনে এমন পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয় যাতে অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হয়। কানাডার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনাস্থলগুলিতে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে পিটিশনে। জিন্দল এও উল্লেখ করেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনাস্থলগুলির (Hindu Sabha Temple) ওপর ক্রমবর্ধমান হিংসার ঘটনায় ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় জরুরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।

    কী বলছেন আইনজীবী

    সংবাদ মাধ্যমে (Justin Trudeau) সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবী বলেন, “বর্তমান জাস্টিন ট্রুডো সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অনুরোধের কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হচ্ছে, তাও এখন সুপরিচিত। ৩ নভেম্বর, খালিস্তানপন্থীরা হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায়। ভক্তদের মারধরও করা হয়। এই ঘটনার সময় পিল পুলিশের (এই অঞ্চলেই ঘটনাটি ঘটেছিল) কর্মকর্তারাও হিন্দু ভক্তদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল (এ সংক্রান্ত ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। এরপর থেকে কানাডায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্র-সহ সব দিক থেকেই হিন্দুরা হামলার শিকার হচ্ছে। এই মুহূর্তে কানাডায় আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে।’’

    ট্রুডো সরকারের মদত!

    তিনি বলেন, “খালিস্তান টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিসের মতো খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনগুলি ট্রুডো সরকারের মদত পাচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জেরে হিন্দু যুবকদের মিথ্যে হিংসা ও ঘৃণার মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে খালিস্তানপন্থী ওই সংগঠনের সদস্যরা।” জিন্দল বলেন, “আমি এই পদক্ষেপটি নিচ্ছি যাতে কানাডার সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায় এবং সেখানে বসবাসকারী প্রতিটি হিন্দুর জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানানো যায়।” জিন্দলের আশা, কানাডার বিচার ব্যবস্থা সঠিক বিচার করবে। তাঁর পিটিশনটিও গৃহীত হবে। কানাডায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।

    হামলার ভিডিও ফুটেজ

    গত ৩ নভেম্বর কানাডার ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরের (Hindu Sabha Temple) বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন বেশ কয়েকজন খালিস্তানপন্থী। প্রত্যক্ষদর্শী ও হিন্দু-কানাডিয়ান ফাউন্ডেশনের শেয়ার করা ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা খালিস্তানের ঝান্ডার ডান্ডা নিয়ে মন্দির উপস্থিত হিন্দু ভক্তদের মারধর করে। খালিস্তানপন্থীদের এই ভিড়ে কানাডা পুলিশের এক কর্মীকেও দেখা গিয়েছে খালিস্তানপন্থী ঝান্ডা হাতে (যদিও কানাডা পুলিশের দাবি, ওই কর্মী তখন ডিউটিতে ছিলেন না)। জানা গিয়েছে, মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং ভারতীয় কনস্যুলেটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভক্তরা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। আচমকাই তাঁদের ওপর হামলা করে খালিস্তানপন্থীরা। তাদের মারের হাত থেকে রেহাই পাননি মহিলা, শিশু এবং প্রবীণরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কীভাবে উগ্রপন্থীরা অনুষ্ঠানটি বিঘ্নিত করছে। কীভাবেই তারা উপস্থিত ভক্তদের মারধর করছে।

    আরও পড়ুন: কুর্সি যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, জিতছে বিজেপি, ইঙ্গিত জনমত সমীক্ষায়

    তীব্র নিন্দা ভারতের

    কানাডার ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারত। কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে সে দেশে ভারতীয় নাগরিক ও ধর্মীয় কাঠামোগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছিল ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা হিন্দু সভা মন্দিরে চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের করা উস্কানিমূলক হিংসার নিন্দা করছি। আমরা কানাডা সরকারকে অনুরোধ করছি এমন আক্রমণ থেকে যেন (Justin Trudeau) সে দেশের সব উপাসনালয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয় (Hindu Sabha Temple)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

       

  • Chief Justice Of India: দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন সঞ্জীব খান্না, জেনে নিন তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড

    Chief Justice Of India: দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন সঞ্জীব খান্না, জেনে নিন তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি (Chief Justice Of India) হিসেবে সোমবার শপথ নিলেন সঞ্জীব খান্না (Sanjiv Khanna)। এদিন  সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। মাত্র ৬ মাসের জন্য প্রধান বিচারপতির পদে বসছেন তিনি। ২০২৫ সালের ১৩ মার্চ নেবেন অবসর। 

    সঞ্জীব খান্নার পরিচয়

    প্রধান বিচারপতি (Chief Justice Of India) হিসাবে রবিবার সুপ্রিম কোর্টে শেষদিন ছিল চন্দ্রচূড়ের। আজ থেকে সঞ্জীব খান্না এই পদে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। গত ২৪ অক্টোবরই ডিওয়াই চন্দ্রচুড় (DY Chandrachud)-র উত্তরসূরী হিসেবে সঞ্জীব খান্নার নাম ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ৬৪ বছর বয়সি বিচারপতি সঞ্জীব খান্না দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দেব রাজ খান্নার ছেলে। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এইচআর খান্নার ভাইপো তিনি। ১৯৮৩ সালে প্রথম দিল্লি বার অ্যাসোসিয়েশনে আইনজীবী হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করেন সঞ্জীব খান্না।  দিল্লির তিস হাজারির স্থানীয় কোর্টে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস শুরু করেন। ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদে আসীন হলেন তিনি।

    সঞ্জীব খান্নার কাজ

    বারাখাম্বা রোডের মডার্ন স্কুল থেকে পড়াশোনা, সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে স্নাতক এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ল সেন্টার থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন বিচারপতি খান্না (Sanjiv Khanna)। এরপর ১৯৮৩ সালে আইনজীবী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন। কর্মজীবনে একাধিক ক্ষেত্রে কাজ করেছেন তিনি। ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সিলে কাজ করেছেন তিনি। ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে নিজের যাত্রা শুরু করেন। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায়, যা দেশজুড়ে সাড়া ফেলেছিল, তার অংশ ছিলেন বিচারপতি খান্না। ইভিএমের বৈধতা থেকে শুরু করে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির মামলায় রায় দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি খান্নার বেঞ্চই ইলেকটোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার ৯ নভেম্বর। ২০১৯ সালের এই দিনেই ঐতিহাসিক অযোধ্যা (Ayodhya) মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামলালাকে (Ram Mandir) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমি ঘিরে কেন্দ্রের অধিগৃহীত ৬৭ একর জমিও পেয়েছিল হিন্দু পক্ষ।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান (Ram Mandir)

    আর মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলমান পক্ষকে অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের পরেই অযোধ্যায় গড়ে উঠেছে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের ‘ইমারত’। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ‘স্বগৃহে’ প্রতিষ্ঠিত হন রামলালা। তার পর সেখানেই চলছে পূজার্চনা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাম মন্দির কেবল একটি ধর্মীয় কাঠামো নয়, এটি লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের ঐক্য, অধ্যবসায় এবং যৌথ আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এই দেবালয়ের দিনের আলো দেখার নেপথ্যে রয়েছে বহু মানুষের আত্মত্যাগ। এটি এমন একটি কাহিনি যা পুরাণ, ইতিহাস, আইনি সংগ্রাম এবং একটি পুরো দেশের আত্মাকে একত্রিত করে।

    হিন্দুদের বিশ্বাস

    অযোধ্যা, ভারতের অন্যতম প্রাচীন নগরী। ভারতীয় সভ্যতায় এই নগরী একটি অনন্য স্থান অধিকার করে রয়েছে। কারণ হিন্দুদের বিশ্বাস, এটি ভগবান রামের জন্মস্থান। প্রাচীন গ্রন্থে অযোধ্যার ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব ভালোভাবে নথিভুক্ত রয়েছে। এই জায়গায় যে এক সময় মন্দির ছিল, তার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও মিলেছে। বাল্মীকি রামায়ণেও অযোধ্যার উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানে একে ইক্ষ্বাকু বংশ-শাসিত একটি সমৃদ্ধ ও দৈব শহর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ভগবান রাম, যিনি মর্যাদা পুরুষোত্তম হিসেবে পূজিত হিন্দুদের ঘরে ঘরে, সেই তিনিই এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ধর্ম অর্থাৎ ন্যায় ও পুণ্যের প্রতীক। কালিদাসের মতো কবি এবং তুলসীদাসের রামচরিতমানসেও স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে অযোধ্যার নাম।

    পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ

    রাম মন্দিরের খোঁজে এই এলাকায় খননকার্য চালায় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল বলে দাবি করা হচ্ছিল, সেখানে একটি বিশাল মন্দিরের কাঠামোর অস্তিত্বের (Ram Mandir) প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই খননকার্যের সময় উদ্ধার হওয়া স্তম্ভ, শিলালিপি ও স্থাপত্যের উপাদানগুলি বৈষ্ণব ঐতিহ্যের বৈশিষ্ট্যযুক্ত, যা এই জায়গাটাকে রামের জন্মস্থান হিসেবে পবিত্র বলে যে ঐতিহাসিক বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে, তাকে সমর্থন করে। রাম মন্দির মামলার আইনি যাত্রা এক শতাব্দীরও বেশি (Ayodhya) সময় ধরে চলেছে। এই মামলা একাধিক মামলা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ জুডিশিয়াল সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত। এই জটিল আইনি লড়াইয়ের কাহিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের বিস্তৃত সংগ্রামের প্রতিফলন ঘটায়।

    প্রথম আইনি উদ্যোগ

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান ঘটাতে প্রথম আইনি উদ্যোগ শুরু হয় ১৮৮৫ সালে, যখন মহন্ত রঘুবর দাস রাম চবুতরার ওপর একটি মন্দির নির্মাণের অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করেন আদালতে। ব্রিটিশ আদালত অস্বীকৃত হওয়ায় দীর্ঘ আইনি সংগ্রামের সূচনা হয়। তার পর থেকে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চলছিল। ১৯৪৯ সালে বাবরি মসজিদের ভেতরে হঠাৎ করেই রামলালার মূর্তি (Ram Mandir) আবির্ভূত হলে সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে। সরকার ওই জায়গাটা সিল করে দেয়, যা হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষের দাবি ও পাল্টা দাবির সূত্রপাত ঘটায়। পরবর্তীকালে, এই বিবাদ পরিণত হয় একটি জাতীয় ইস্যুতে। রাম জন্মভূমি আন্দোলন গতি লাভ করে আটের দশকে। মাঠে নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো সংগঠন। আন্দোলন সমর্থন করেন লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও। ১৯৯০ সালে আডবাণীর নেতৃত্বে রথযাত্রা হয়। শমিল হন লাখ লাখ মানুষ। জোরালো হয় রাম মন্দিরের দাবি। দেশ তো বটেই, এই আন্দোলন নজর কাড়ে তামাম বিশ্বেরও। 

    বাবরি মসজিদ ধ্বংস

    ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদের কাঠামো। করসেবকরাই ধ্বংস করে ফেলেন মসজিদের কাঠামো। গোটা দেশে তৈরি হয় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তার সঙ্গে সঙ্গে হয় শতাব্দীভর ধরে চলা মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান। গড়ে ওঠে হিন্দুদের স্বপ্নের রাম মন্দির। রাম মন্দির (Ram Mandir) আজ শুধুমাত্র আর একটি পুজোস্থল নয়, বরং ভারতের সমষ্টিগত চেতনা ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রতীক। এটি লাখ লাখ মানুষের দৃঢ়তা, ঐক্য ও বিশ্বাসের প্রতীক, যারা নানা বাধা সত্ত্বেও তাঁদের বিশ্বাসে অবিচল ছিলেন। মন্দিরের নির্মাণ বহু প্রজন্ম ধরে লালিত একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন, যা ভারতের সভ্যতাগত মূল্যবোধের মর্মকে সযত্নে ধারণ করে।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    অযোধ্যার রাম মন্দির বিশ্বাসের শক্তি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁদের কথা যাঁরা এই ঐতিহাসিক দীর্ঘ যাত্রায় কোনও না কোনও ভাবে তাঁদের ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের এই অবদান ভারতের ইতিহাসে একটি (Ayodhya) নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। যে অধ্যায় চোখের সামনে ভেসে উঠবেই অযোধ্যায় (Ram Mandir) আসা দর্শনার্থীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Aligarh University: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু তকমা! ঐকমত্যে না পৌঁছানোয় ঝুলে রইল সুপ্রিম কোর্টে

    Aligarh University: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু তকমা! ঐকমত্যে না পৌঁছানোয় ঝুলে রইল সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে (Aligarh University) সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল। সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারল না প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। যদিও সাত সদস্যের এই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি-সহ চার সদস্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের আগের রায় খারিজ করে দিয়েছেন।

    ঠিক কী হয়েছে? (Aligarh University)

    আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে (Aligarh University) সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার সাংবিধানিক বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের রায়টি লেখেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। অন্যদিকে, বিরুদ্ধমত পোষণ করে স্বতন্ত্র রায় দেন বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র। সংখ্যাগরিষ্ঠের মতানুসারে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু তকমা ফেরার পথ প্রশস্ত হলেও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নতুন বেঞ্চ নেবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। চারজন পক্ষে এবং তিনজন বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। তবে এই রায়ে এখনই সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাচ্ছে না আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। এর জন্য তিন বিচারপতির আলাদা একটি বেঞ্চ গঠিত হবে। সেই বেঞ্চই যাবতীয় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে যে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাবে কি না। প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির সংখ্যালঘু তকমা খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। ইন্দিরা গান্ধীর আমলে ১৯৮১-তে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করে এই প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণ চালু হয়েছিল। ২০০৬-এ ওই আইন খারিজ করে দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    সংখ্যালঘু তকমা পেলে কী সুবিধা মিলবে?

    কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু তকমা পেলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে। যদিও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (Aligarh University) বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সংরক্ষণ নীতি মেনে চলে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ স্কুল-কলেজের পড়ুয়ার জন্য সেখানে ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকে। মোদি সরকার প্রথম থেকেই আলিগড় এবং দিল্লি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ তকমা দেওয়ার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিরোধিতার মুখে পড়লেও মোদি সরকারের যুক্তি হল, এই তকমা অসাংবিধানিক। সংসদের আইনের মাধ্যমে যে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে, পরে তাকে ধর্মের ভিত্তিতে বিশেষ তকমা দেওয়া দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরুদ্ধে। তাছাড়া, সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধেক আসন সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত থাকায় তফসিলি জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়াদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কারণ, সেখানে জাতপাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণ থাকে না।

    সলিসিটর জেনারেল কী বললেন?

    এর আগে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্রের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তাঁর সওয়ালে বলেন, “১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় (Aligarh University) প্রাক্- স্বাধীনতা যুগেও জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। তাই তাকে কেবলমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্য বলা যেতে পারে না।”

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “আদালতকে দেখতে হবে কে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভাবনার নেপথ্যে কে আছেন। যদি দেখা যায় এই প্রতিষ্ঠান নেপথ্যে সংখ্যালঘু কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ছিল, তাহলে ৩০(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সেই প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পেতে পারে।” ১৯৬৭ সালের প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করতেই এবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলা পাঠালেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ল সিবিআই স্টেটাস, জাতীয় টাস্ক ফোর্স নিয়ে রিপোর্ট

    RG Kar: সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ল সিবিআই স্টেটাস, জাতীয় টাস্ক ফোর্স নিয়ে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর দুদিন আরজি কর (RG Kar) মামলা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। অবশেষে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি শেষ হল। আগামী ১০ নভেম্বর অবসর নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। অর্থাৎ তিনি আর এই মামলার শুনানি করবেন না। পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এই মামলার শুনানি হবে। 

    সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ (RG Kar)

    হাসপাতাল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলানোর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। নির্দেশ মেনে সেই প্রশ্নের জবাব হলফনামা আকারে জমা দিয়েছে রাজ্য। যদিও বিষয়টি বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য ওঠেনি। আদালতে এদিন রাজ্যের তরফে উপস্থিত ছিলেন কপিল সিব্বল। তিনি দ্রুত তদন্ত এবং দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করার আর্জি জানান। আদালতে এদিন দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর চিকিৎসকদের আইনজীবী তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ৯০ দিন ধরে তদন্ত (RG Kar) চলছে, কিন্তু কিছু হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর পাল্টা প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর্যাপ্ত ক্ষমতা রয়েছে নিম্ন আদালতের। যদি তথ্যপ্রমাণ দেখে তাঁদের মনে হয়, তেমন নির্দেশ দিতে পারেন তাঁরা।” পাশাপাশি,  আদালতে এদিন সিবিআইয়ের ষষ্ঠ স্টেটাস রিপোর্ট জমা পড়ে। রিপোর্টে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে কী জানিয়েছে, তা যদিও খোলসা করেনি আদালত। তবে, ঘটনা নিয়ে সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সপ্তম স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে আগামী চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন হাসিনার, কৌশলী বার্তা আওয়ামী লিগের

    জাতীয় টাস্ক ফোর্স নিয়ে রিপোর্ট পেশ

    রাজ্যের বাইরে আরজি কর (RG Kar) মামলার বিচারপ্রক্রিয়া সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে আবেদন জমা পড়ে আদালতে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, রাজ্যের বাইরে বিচার প্রক্রিয়া সরিয়ে নিয়ে গেলে, নিম্ন আদালতের কার্যক্রম নিয়ে সন্দেহের পরিবেশ তৈরি হবে। বৃহস্পতিবার আদালতে জাতীয় টাস্ক ফোর্স নিয়ে রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকারও। দু’টি ক্যাটেগরিতে টাস্ক ফোর্সের অন্তর্বর্তী রিপোর্ট পেশ করা হয়। যৌন হিংসা ও শারীরিক হিংসা বন্ধের প্রস্তাব পেশ করা হয় রিপোর্টে। সমস্ত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলি যাতে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে, তা বলা হয়। সমস্ত কৌঁসুলি, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের কাছে রিপোর্টের কপি পাঠাতে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি জানান, রাজ্যের সচিবরা রিপোর্ট নিয়ে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি করতে বলা হয়। কী ভাবে একটি স্বাধীন নজরদারি ব্যবস্থা ভারতজুড়ে প্রয়োগ করা যায়, তা নিয়ে মতামতও চান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jet Airways: জেট এয়ারওয়েজের ওড়ার স্বপ্ন শেষ, সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ শীর্ষ আদালতের 

    Jet Airways: জেট এয়ারওয়েজের ওড়ার স্বপ্ন শেষ, সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ শীর্ষ আদালতের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর আকাশ ছোঁয়া হবে না জেট এয়ারওয়েজের (Jet Airways)। বৃহস্পতিবার দেশের এক সময়ের অন্যতম বড় বিমান সংস্থা জেট এয়ারওয়েজের সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত এদিন জানিয়ে দেয়, এছাড়া আর রাস্তা নেই। সংবিধানে উল্লিখিত ১৪২ ধারা প্রয়োগ করে জেটের সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Supreme Court)। ঝুলে থাকা ওই মামলায় ‘সম্পূর্ণ ন্যায়’ যাতে মেলে, তার জন্যই সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগ করেছে আদালত।

    শীর্ষ আদালতের নির্দেশ

    গত বছর জুলাই মাসে এয়ার অপারেশন সার্টিফিকেট পেয়েছিল জেট এয়ারওয়েজ (Jet Airways)। ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালের তরফে এর আগে বিমান সংস্থাকে পুনরুজ্জীবনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ না করলেও, যাতে মালিকানা হস্তান্তর করা যায়, তার স্বপক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালের সেই সিদ্ধান্ত এদিন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল, তা প্রয়োগ করা যেহেতু আর সম্ভব নয়, তাই সম্পত্তি বিক্রিতে বিনিয়োগকারীদেরও রাখতে হবে, শেষ অবলম্বন হিসেবে। বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক-সহ যারা সংস্থাকে ঋণ দিয়েছিল, তাদেরও এতে যুক্ত করতে বলেছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে চালু হয়েছিল জেট এয়ারওয়েজ। বিগত কয়েক দশকে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল এই উড়ান সংস্থা। ২০১৯ সালে যাত্রী পরিষেবা বন্ধের আগে ৬৫টি ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক রুট বিমান চালাত সংস্থাটি।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দুর্নীতি! হাইকোর্টে ব্যর্থতা মেনে নিল রাজ্য

    কেন এই অবস্থা

    প্রসঙ্গত, জেট এয়ারকে (Jet Airways) ফের আকাশে ওড়াতে ৪৭৮৩ কোটির প্যাকেজের দর হেঁকেছিল জালান-কালরক কনসোর্টিয়াম। পাঁচ বছরে দফায় দফায় সেই টাকা দেওয়ার কথা ছিল জালান-কালরকের। এদিকে এসবিআই-এর নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম জানায়, জালান-কালরকের সেই দর গৃহীত হওয়ার দুই বছর পরও প্রথম দফার ৩৫০ কোটি পায়নি তারা। পরে সেই মামলা গড়িয়েছিল আদালতে। এরই মাঝে গত মার্চ মাসে ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল নির্দেশ দিয়েছিল, পারফরম্যান্স ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি বাবদ ১৫০ কোটি টাকা দিতে হবে জালান-কালরক কনসোর্টিয়ামকে। আর ৯০ দিনের মধ্যে সম্পত্তি হস্তান্তরেরও নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইবুনাল। তবে ট্রাইবুনালের নির্দেশ খারিজ করে দিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, জেট এয়ারওয়েজের লিকুইডেশন করতে হবে এবং সম্পত্তি নিলাম করে দিতে হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে একদিন পিছিয়ে গেল আরজি কর মামলা, শুনানি হবে বুধবারই

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে একদিন পিছিয়ে গেল আরজি কর মামলা, শুনানি হবে বুধবারই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই মামলা পিছিয়ে গেল। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধবার সকালে মামলাটি শুনবেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ।

    বুধবার প্রথম শুনানি আরজি কর মামলার! (Supreme Court)

    মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্দেশনামা দিয়ে জানিয়েছে, বুধবার শুনানির তালিকায় প্রথম থাকবে আরজি কর মামলা। অর্থাৎ, বুধবার আদালত বসলে সবার প্রথম এই মামলাটি শুনানির জন্য ডাকা হবে। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক-পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই কাণ্ডে দু’টি বিষয়ে মামলা চলছে। একটি হল, মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের মামলা। অন্যটি আর্থিক দুর্নীতির মামলা। এই দু’টিরই তদন্ত করছে সিবিআই। মঙ্গলবার ওই দু’টি বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    শেষ বার আরজি কর মামলা শুনতে চলেছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচৃড়!

    ১০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করবেন চন্দ্রচূড়। আগামী ৯ এবং ১০ তারিখ যথাক্রমে শনি ও রবিবার হওয়ায় শুক্রবারই শেষ বারের মতো তাঁর বেঞ্চ বসবে। সেই হিসেবে দেখলে, বুধবারই শেষ বার আরজি কর মামলা শুনতে চলেছেন প্রধান বিচারপতি, যদি না বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারও মামলা শুনতে চান তিনি। উল্লেখ্য, আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর প্রধান বিচারপতিই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা গ্রহণ করেছিলেন। বুধবার সেই মামলা শুনতে চলেছে তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে।

    হলফনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল কার?

    সিবিআইয়ের পাশাপাশি হলফনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারেরও। হাসপাতাল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলানোর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগকে ‘রাজনৈতিক স্বজনপোষণের সুন্দর পন্থা’ আখ্যা দিয়ে আগের শুনানিতে ছ’টি প্রশ্ন তুলেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই প্রশ্নগুলির জবাব মঙ্গলবার হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের। আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি পুনর্গঠন করছে তারা। সেই ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে অনলাইনে ওপিডি টিকিট বুকিং, ই-প্রেসক্রিপশন, অনলাইন রেফারেল সিস্টেম। সেই প্রক্রিয়া কত দূর এগোল, তাও মঙ্গলবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে জানানোর কথা ছিল রাজ্য সরকারের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    RG Kar: ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল, স্কুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলিতে কীভাবে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হত? আরজি কর (RG Kar) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। গত শুনানিতেই রাজ্যের কাছে এনিয়ে হলফনামা তলব করেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই শুনানিতে রাজ্যের কাছে নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। এগুলি হল- সিভিক ভলান্টিয়ারদের কীভাবে নিয়োগ করা হয়? তাঁদের যোগ্যতার মান কী? কী পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়?  তাঁদের আগে কোনও অপরাধের ইতিহাস রয়েছে কি না, তা কীভাবে যাচাই করা হত? ইত্যাদি। এনিয়ে এদিন হলফনামা জমা করে রাজ্য। সেখানেই দেখা যাচ্ছে ধৃতকে নিয়োগ করেছিলেন খোদ পুলিশ সুপারই। রাজ্যের তরফে বলা হয়, সিভিক নিয়োগে রয়েছে কমিটি। কমিশনারেট এলাকায় সেই কমিটির প্রধান পুলিশ কমিশনার। জেলাস্তরে কমিটির চেয়ারম্যান হন পুলিশ সুপার। এছাড়া রাজ‍্য স্তরে ডিজি, আইজিপি’কে শীর্ষে রেখে রয়েছে অ‍্যাপেক্স কমিটি।

    উঠছে প্রশ্ন (RG Kar) 

    রাজ্যের জমা দেওয়া এই হলফনামা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। নিয়োগের এত কমিটি, এত ধাপ থাকা সত্ত্বেও ধৃতদের মতো সিভিক ভলান্টিয়ার কীভাবে নিয়োগ পেল? কারণ নিয়ম বলছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের স্থানীয় থানারই বাসিন্দা হতেই হবে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা জনিত কোনও কাজে সিভিকদের ব‍্যবহার করা হয় না। আরও নিয়ম হল, রাজ‍্যের কোনও থানায় সিভিক প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকা যাবে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক অভিযোগ ছিল। সেকথা তার পরিবারের সদস্যরাও জানিয়েছেন। তারপরও কীভাবে নিয়োগ করা হল এমন একজন অপরাধীকে? এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    সুপ্রিম শুনানি (RG Kar) হল না আজ মঙ্গলবার

    অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আজ মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানি হল না। প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবন যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধান বিচারপতির। আর সেই কারণেই শুনানি এদিন পিছিয়ে দেওয়া হয় আরজি কর মামলার। তবে, রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতে সিভিকদের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে হলফনামা (RG Kar)  জমা করেছে মঙ্গলবার। সেখানেই এই কথা উঠে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share