Tag: Supreme court

Supreme court

  • Justice DY Chandrachud: সহনশীল হও, তবে ‘হেট স্পিচ’কে স্বীকৃতি দিও না! জানুন কী বললেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়

    Justice DY Chandrachud: সহনশীল হও, তবে ‘হেট স্পিচ’কে স্বীকৃতি দিও না! জানুন কী বললেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্যের মতামত গ্রহণ এবং সহনশীল হওয়ার অর্থ এই নয় যে একজনকে ঘৃণামূলক বক্তব্যও (Hate Speech) মেনে নিতে হবে। সম্প্রতি এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (dy chandrachud)। গুজরাটের গান্ধীনগরে গুজরাট ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির (GNLU) সমাবর্তন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। স্নাতক শিক্ষার্থীদের তাঁদের “নিজের বিবেক এবং ন্যায়সঙ্গত কারণ” দ্বারা পরিচালিত হওয়ার আহ্বান জানান চন্দ্রচূড়। স্নাতকস্তরের আইনি পড়ুয়াদের তিনি  বলেন, ”নিজের বিবেক এবং নিরপেক্ষ যুক্তির উপর ভিত্তি করে চলতে হবে।”

    সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্ট নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ “সামাজিক মাধ্যমে মানুষের মনোযোগ সীমাবদ্ধ ৷ এটাও মনে করিয়ে দেয় যে, আমরা এমন অনেক কাজ করি, যার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রয়েছে ৷ প্রতিদিনের ঝঞ্ঝাট নিয়ে দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়”, বলেন দেশের ভাবী প্রধান বিচারপতি ৷ উল্লেখ্য, দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা অবসর নিলে বিচারপতি ইউইউ ললিত প্রধান বিচারপতি হবেন ৷ তারপর বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের সেই আসনে বসার কথা ৷

    আরও পড়ুন: স্থায়ী রাজ্যপাল নেই, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে রাজভবনের অ্যাট-হোম কি বাতিল?

    তিনি ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের (Voltaire) একটি উক্তি তুলে বলেন, “তুমি যা বলছো, আমি তা নাও মানতে পারি ৷ কিন্তু তোমার বলার অধিকারের জন্য আমি মৃত্যু পর্যন্ত লড়ব ৷” এই উদ্ধৃতিটি নিজেদের জীবনে কার্যকর করতে বলেন সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি ৷ ভুল করা, কোনও কারণ ছাড়া নিজেকে গ্রহণযোগ্য ও সহনীয় করে তোলার অর্থ অন্ধের মতো আচরণ ৷ এর মানে এটা নয় যে, হেট স্পিচের বিরুদ্ধে গলা তোলা যাবে না, জানান বিচারপতি ৷

    বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে “বাড়তে থাকা কোলাহল এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনৈতিক ধন্দ, সামাজিক এবং নৈতিক সংঘাতে”র মধ্যে গিয়ে পড়বেন তাঁরা ৷ সেখানে তাঁদের নিজের বিবেক, বিচারবুদ্ধি দিয়ে চলতে হবে, ভবিষ্যৎ আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বার্তা বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের ৷

     

  • Pegasus Spyware: পেগাসাস বিতর্কে স্বস্তি কেন্দ্রের! মাত্র ৫টি ফোনে ম্যালওয়ারের অস্তিত্ব মত শীর্ষ আদালতের

    Pegasus Spyware: পেগাসাস বিতর্কে স্বস্তি কেন্দ্রের! মাত্র ৫টি ফোনে ম্যালওয়ারের অস্তিত্ব মত শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেগাসাস মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করল বিশেষজ্ঞ কমিটি। ফোনে আড়িপাতা সংক্রান্ত মামলায় বিশেষজ্ঞ কমিটির দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়, কমিটি যে ২৯টি ফোন পরীক্ষার জন্য নিয়েছিল, তার মধ্যে ৫-টিতে মিলেছে সন্দেহজনক ম্যালওয়ারের অস্তিত্ব। তবে তা পেগাসাস স্পাইওয়্যার কিনা তার নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি।

    পেগাসাস ইস্যুতে লোকসভা থেকে রাজ্যসভা-সহ একাধিক জায়গায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণে কিছুটা স্বস্তি পেল কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টের মনোনীত কমিটি জানিয়েছে, জমা দেওয়া ২৯টি মোবাইল ফোন পরীক্ষা করা হয়েছিল। মাত্র পাঁচটি ফোনেই ম্যালওয়ার পাওয়া গিয়েছে। তবে তা আদৌ পেগাসাস কি না তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেএদিন প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণ নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: ৯ অগাস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে ২৫টি সাংবিধানিক বেঞ্চের মামলার শুনানি শুরু

    এদিকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি এন ভি রমণ জানিয়েছেন, কমিটির দাবি অনুযায়ী এই তদন্তে কেন্দ্রীয় সরকার সহযোগিতা করেনি। এই কমিটি পেগাসাস ইস্যুতে তদন্তের পর একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্ট যাচাই করা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। তিনটি ভাগে এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। দুটি রিপোর্ট টেকনিক্যাল কমিটির। বাকি একটি রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আরভি রবীন্দ্রণের তদারকি কমিটির। এই তৃতীয় রিপোর্টটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে বলেও জানিয়েছেন রমণ। তবে কিছু আবেদনকারী বাকি দুটি রিপোর্ট প্রকাশের কথা বলেন। সেই বিষয়ে ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আপাতত চার সপ্তাহের জন্য এই মামলার মুলতুবি ঘোষণা করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সালের জুলাই মাসে বিশ্বব্য়াপী অনুসন্ধান মূলক একটি তদন্তে দেখা যায় যে, পেগাসাস, একটি শক্তিশালী স্পাইওয়্যার যা ইসরায়েলি সাইবারসিকিউরিটি কোম্পানি এনএসও গ্রুপ দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই স্পাইওয়্যারকে কাজে লাগিয়ে ভারত সহ বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত একাধিক ব্যক্তির মোবাইলে আড়িপাতা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court on Freebies: খয়রাতির রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court on Freebies: খয়রাতির রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় আসতে ফি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে থাকে নিখরচায় নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। এবার বিষয়টিকে ‘গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালতে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার (NV Ramana ) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, জনকল্যাণ কর্মসূচি আর বিনামূল্যে দেওয়া (Freebies) এক বিষয় নয়।

    বিজেপি ঘনিষ্ঠ জনৈক অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, যাঁরা বিনামূল্যে পাচ্ছেন, তাঁরা তা পেতে চান। আবার অনেকে বলেন, তাঁদের করের টাকা প্রকৃত উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ব্যবহার করতে হবে। তাই দু পক্ষের বক্তব্যই শোনা প্রয়োজন। এদিকে, পলিটিক্যাল ফ্রিবিজ নিয়ে নিয়ম নির্ধারণ করতে আদালতকে অনুরোধ করল কেন্দ্র। তার প্রেক্ষিতে সরকারি কোষাগারের খয়রাতি বন্ধের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করার কথা বলেছে ওই বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন : মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে তামাম ভারত!

    দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ভারতের মতো দেশে এখনও দারিদ্র রয়েছে। তাই ক্ষুধার্তদের খাদ্য দেওয়ার মতো কর্মসূচি প্রয়োজন। কিন্তু বিনামূল্যে পাইয়ে দেওয়ার প্রবণতা যাতে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। দরকার খয়রাতির রাজনীতি বন্ধ করা। আদালতের তরফে এও বলা হয়, সুবিধাবঞ্চিতদের আর্থ-সামজিক কল্যাণমূলক পরিকল্পনাগুলিকে বিনামূল্যের পরিষেবা বলা যায় না। সমাজের কিছু মানুষকে নিখরচায় বিদ্যুৎ, জল এবং পরিবহণের সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ অগাস্ট।

    আরও পড়ুন : ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    দোরগোড়ায় গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। গত মাসেই আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গুজরাতে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আপ ক্ষমতায় এলে তাঁরা বিনামূল্যে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ দেবেন। বকেয়া বিলে ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি গোটা রাজ্যে দেওয়া হবে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা। একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাঞ্জাবের ক্ষমতা দখল করেছে অরবিন্দের পার্টি।

     

  • Chief Justice of India: উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করলেন এনভি রমানা, কে হবেন প্রধান বিচারপতি?   

    Chief Justice of India: উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করলেন এনভি রমানা, কে হবেন প্রধান বিচারপতি?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে সরকারের কাছে বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের (UU Lalit) নাম সুপারিশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা (NV Ramana)। রমানা অবসর নেবেন চলতি মাসের ২৬ তারিখে। তাই তাঁর উত্তরসূরির নামের সুপারিশ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয় ভারতের প্রধান বিচারপতিকে (CJI)। সেই চিঠির জবাবেই বিচারপতি ললিতের নাম সুপারিশ করেন রমানা।

    প্রথা অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের সব চেয়ে প্রবীণ বিচারপতিই বসেন প্রধান বিচারপতির চেয়ারে। সেই মতো ললিতই হলেন রমানার পরে সব চেয়ে প্রবীণ বিচারপতি। রমানার প্রস্তাব  আইনমন্ত্রী অনুমোদন করলে দেশের ৫৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন ললিত। তবে এই পদে তিনি থাকবেন মাত্র ৭৪ দিন। ওই পদে তাঁকে বসানো হলে অবসর গ্রহণের দিন হবে ৮ নভেম্বর। তাঁর পরে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ওই পদে বসার কথা।

    আরও পড়ুন : ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি হিসেবে ললিতই হবেন দেশের দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি যিনি বার কাউন্সিল থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে যাবেন। তাঁর আগে এভাবে প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন বিচারপতি এসএম সিক্রি। ১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসে দেশের ১৩তম প্রধান বিচারপতি পদে বসেছিলেন।

    আইনজীবী হিসেবে বম্বে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন ললিত। পরে চলে আসেন দেশের শীর্ষ আদালতে। এখানেই একের পর এক সাড়া জাগানো মামলায় অংশ নেন তিনি। সিবিআইয়ের হয়ে টু-জি স্পকট্রাম মামলায় স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হয়েছিলেন ললিত। ২০১৪ সালের ১৩ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয় ললিতকে। তাঁর বাবা বিচারপতি ইউআর ললিত ছিলেন প্রবীণ অ্যাডভোকেট এবং দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি। তাঁর উল্লেখযোগ্য রায়গুলি মধ্যে রয়েছে তিন তালাককে অসাংবিধানিক ঘোষণা। অযোধ্যার বাবরি মসজিদ মামলা থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। বম্বে হাইকোর্টের বিতর্কিত স্কিন টু স্কিন রায় খারিজ করে দেন ললিতের বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন : উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নতুন কোনও আবেদন নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

  • Supreme Court on Freebies: ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট 

    Supreme Court on Freebies: ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বার নির্বাচনের আগে ভোটারদের নিখরচায় নানা সুবিধা (Freebies) দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজনৈতিক দলগুলি (Political Parties)। তাদের এহেন ঘোষণায় আদতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অর্থনীতি, বুধবার এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই বিষয়টি বিশদে বিবেচনা করার জন্য প্রয়োজন কমিটি গঠন করার। রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank), নীতি আয়োগ, অর্থ কমিশন ছাড়াও সরকার এবং বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে গঠন করতে হবে ওই কমিটি। তারাই খতিয়ে দেখবে বিষয়টি। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল। তাঁকেও পরামর্শ দেওয়ার অনুরোধ জানান প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, বিনামূল্যে সুবিধা প্রদানের কথা বলে আদতে লাভবান হয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই।

    কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দায়ের করা একটি মামলায় বলা হয়েছিল, নির্বাচনের আগে ভোটারদের সমর্থন পেতে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তাদের দেওয়া সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির জেরে প্রভাবিত হন ভোটাররা। ক্ষমতার আসার পর প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়ে নেমে আসে আর্থিক বিপর্যয়। এ ব্যাপারে সরকার কিছু করতে পারে না। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই।

    আরও পড়ুন : ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট

    এই মামলায় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, এভাবে (বিনামূল্যে সামগ্রী বিতরণ) আমরা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি। তিনি বলেন, এসব জনপ্রিয় প্রতিশ্রুতি ভোটারদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

    সরকারের এই বক্তব্যের পরে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রামানা বলেন, ভারতের সব করদাতা মনে করেন উন্নয়নূলক কাজে ব্যয় করার জন্য তাঁরা সরকারকে কর দেন। কিন্তু তাঁদের মতামত প্রকাশ করা এবং আলোচনা করার জন্য একটি ফোরাম তৈরি করা প্রয়োজন। এর পরেই তিনি বলেন, মানুষকে বিনামূল্যে সুবিধা দেওয়ার কথা বলে আসলে লাভবান হয় রাজনৈতিক দলগুলি।

    আরও পড়ুন : পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন, সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই উত্তর প্রদেশে গিয়ে বিনামূল্যে সুবিধা দেওয়ার বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের রায় প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্যকেই সমর্থন করছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

     

  • Supreme Court on PMLA: সুপ্রিম জয় ইডি-র! পিএমএলএ আইনে সংস্থার অধিকাংশ ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

    Supreme Court on PMLA: সুপ্রিম জয় ইডি-র! পিএমএলএ আইনে সংস্থার অধিকাংশ ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ মামলায় গ্রেফতার, তল্লাশি বা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও জামিন সহ যাবতীয় আইনি সংস্থানকে যথাযথ উল্লেখ করে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)। পিএমএলএ ( PMLA: আইনের আওতায় কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল একাধিক মামলা। বুধবার বিচারপতি এএম খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে খারিজ হয়ে যায় তার সিংহভাগই। এই রায়ে বুধবার দেশের শীর্ষ আদালতে বড় জয় পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সংক্ষেপে ইডি (ED)। 

    মামলাকারীদের দাবি ছিল, এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট বা সংক্ষেপে ইসিআইআর হল অনেকটা এফাআইআর-এর মতো। ফলে, আটক হওয়া ব্যক্তিকে তার কপি দেওয়া উচিত। এদিন সেই যুক্তি খারিজ করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, প্রতি ক্ষেত্র বা ব্যক্তিকে ইসিআইআর দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। কারণ, এটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট। আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডি আধিকারিকরা কাউকে গ্রেফতার করলে সেই সময় গ্রেফতারির ভিত্তি দেখালেই তা যথেষ্ট। আবেদনকারীদের যুক্তি ছিল, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতারির কারণনা জানিয়ে অথবা প্রমাণ ছাড়া গ্রেফতার করা অসাংবিধানিক। এটাও খারিজ হয়ে যায় ওই বেঞ্চে। 

    আরও পড়ুন : ইডি দফতরে হাজির মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ-অর্পিতার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা?

    মামলাকারীদের দাবি ছিল, এই আইনে জামিনের শর্তগুলি কঠোর, বেআইনি এবং যুক্তি মানে না। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই আইনের জামিনের যে কঠোর শর্তগুলো রয়েছে তা যথাযথ। শর্তগুলো প্রয়োগের ক্ষেত্রে যথেষ্ট আইন অনুসরণ করা হয়েছে। শীর্ষ আদালত এদিন তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, আর্থিক তছরুপ শুধুমাত্র যে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোকে প্রভাবিত করে তাই নয়। এধরনের কার্যকলাপ উল্টে সন্ত্রাসবাদ, এনডিপিএস আইন (দি নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্সেস অ্যাক্ট) ইত্যাদির মতো অন্যান্য জঘন্য অপরাধকেও প্রচার করে। এটা সন্ত্রাসবাদের চেয়ে কম বিপজ্জনক নয়।

    মামলাকারীদের আরেকটি দাবিও এদিন খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অভিযোগ ছিল, ২০০২ সালে প্রথম কার্যকর হয় পিএমএলএ আইন। অথচ, তার আগে দায়ের হওয়া মামলাগুলোও এই আইনে জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা অসাংবিধানিক। জবাবে কেন্দ্রের কৌঁসুলি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে এটিকে ন্যায়সঙ্গত বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন,  অর্থ পাচার একটি ক্রমাগত ঘটে চলা অপরাধ। এটি কোনও একক বিচ্ছিন্ন অপরাধ নয়, বরং একটি চেইন। হতে পারে অপরাধের সূত্রপাত ২০০২ সালের আগে হতে পারে। কিন্তু, তা ২০০২-এর পরেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

    আরও পড়ুন : ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট

    প্রায় আড়াইশোর মতো আবেদনপত্র জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন অনিল দেশমুখ, কার্তি চিদম্বরম এবং মেহবুবা মুফতিও। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে আর কাউকে গ্রেফতার করতে বাধা রইল না ইডির সামনে।  প্রসঙ্গত, পিএমএলএ আইনটি তৈরি হয়েছিল ২০০২ সালে। যদিও কার্যকর হয় ২০০৫ সালের ১ জুলাই।

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আর্থিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ২০১৪ সালে। তার আগে ন’ বছরে ১১২টি তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত আট বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১০টিতে। গত ৮ বছরে, ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অ্যাটাচ করা হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি।

  • Supreme Court: ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট 

    Supreme Court: ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভোটের (Election) সময় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল দেশের শীর্ষ আদালত। এ ব্যাপারে কী করা যায় তা কেন্দ্রকে খতিয়ে দেখতেও বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    প্রতিবার ভোটের সময় অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি (Irrational Freebies) দেয় বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলি। সে পঞ্চায়েত হোক কিংবা পুরসভা, বিধানসভা অথবা লোকসভা সব ক্ষেত্রেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া একটা রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ দেশে। ভোটারদের প্রভাবিত করতেই এটা করা হয় বলে অভিযোগ। এই অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধ হওয়া উচিত বলেই দাবি উঠেছিল দীর্ঘদিন। এটা বন্ধেই এবার কেন্দ্রকে পথ খুঁজতে বলল দেশের শীর্ষ আদালত। প্রাধান বিচারপতি এনভি রামানা বিষয়টিকে সিরিয়াস আখ্যা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজের কাছে যথাযথ উত্তর না পেয়ে প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রকে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বন্ধ করা হবে কিনা, সে ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানাতে বললেন।

    আরও পড়ুন : কমিশনের তরফে দু পক্ষকেই স্ব স্ব দাবির সমর্থনে ৮ আগস্টের মধ্যে নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ…

    এদিন শুনানি চলাকালীন কোনও কারণে কোর্টরুমে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। প্রধান বিচারপতি তাঁকে বলেন, সিবাল একজন বর্ষীয়ান সাংসদ। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী? সিবাল জানান, অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি একটা গুরুতর বিষয়। তবে একে নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন। সিবাল বলেন, কেন্দ্র এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা জারি করতে পারে না। তিনি বলেন, অর্থ কমিশনই এই ইস্যুটি খুঁটিয়ে দেখার ব্যাপারে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলে, আমরা কেন্দ্রকে নির্দেশ দিচ্ছি এ ব্যাপারে তাদের মতামত জানাতে। আগস্টের ৩ তারিখে মামলাটি ফের উঠবে আদালতে।

    আরও পড়ুন : নিম্ন আদালতের অবস্থান জেনেই রায় ঘোষণা, জ্ঞানবাপী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলের গোড়ায় ভারতীয় নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টকে ভোটের আগে কিংবা পরে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বিষয়টি জানিয়েছিল। এফিডেভিট দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ভোটের আগে কিংবা পরে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এগুলি রাজ্যের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রভাব ফেলে ভোটারদের ওপরও। এগুলি তাঁদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।

     

  • Maharasthra Crisis: নির্বাচন কমিশনকে রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে শিবির

    Maharasthra Crisis: নির্বাচন কমিশনকে রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে প্রকৃত শিবসেনা (Shiv Sena), তা নিয়ে লড়াই অব্যাহত মহারাষ্ট্রে (Maharasthra)। প্রকৃত শিবসেনা কে, তা বাছাইয়ের দায়িত্ব যাতে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) হাতে না যায়, সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) গোষ্ঠী। শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধর ঠাকরে খাতায় কলমে শিবসেনার নেতা। তবে দলের মধ্যে বিদ্রোহ করে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন একনাথ শিন্ডে। বর্তমানে তিনিই নিজেকে দলের নেতা ঘোষণা করেছেন। তাঁর অনুগতদের দাবি, শিন্ডে শিবিরই আসল শিবসেনা। বিধানসভার সিংহভাগ বিধায়ক এবং সাংসদদেরও বেশিরভাগের সমর্থন একনাথের দিকে রয়েছে বলেও দাবি শিন্ডে শিবিরের। স্বীকৃতির জন্য শিন্ডে শিবির দ্বারস্থ হয় নির্বাচন কমিশনের। এর পরেই কমিশনের তরফে দু পক্ষকেই স্ব স্ব দাবির সমর্থনে ৮ আগস্টের মধ্যে নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্র মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ১ অগাস্ট

    এ সংক্রান্ত চিঠিও পৌঁছে যায় উদ্ধব ঠাকরে ও শিন্ডে শিবিরের কাছে। চিঠি পেয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের অনুগামীরা। তাঁদের যুক্তি, দলীয় বিধায়কদের একাংশকে প্রথমে গুজরাট ও পরে আসামে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। এভাবে দলবিরোধী কাজ করেছেন তিনি। শিন্ডে নিজেকে নেতা ঘোষণার আগেই শিবসেনার কয়েকজন বিধায়ককে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করেছেন শিবসেনা নেতৃত্ব। সেই শাস্তিকে ধর্তব্যের মধ্যে আনলে শিন্ডে আর নিজেকে সংখ্যাগরিষ্ঠের নেতা বলতে পারেন না। উদ্ধব অনুগামী তথা শিবসেনার সাধারণ সম্পাদক সুভাষ দেশাই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে জানিয়েছেন, বিষয়টি আপাতত বিচারাধীন হওয়ায় কেউই নিজেকে আসল শিবসেনা বলে দাবি করতে পারবেন না।  

    আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে লড়া উচিত মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের, মত পাওয়ারের

    এদিকে, বিধানসভার স্পিকারকে শিন্ডে শিবির জানিয়েছে, উদ্ধবের অনুগামী বিধায়কদের বহিষ্কার করে দিতে। ১১ জুলাই শুনানির পরে সুপ্রিম কোর্ট স্পিকারকে নির্দেশ দিয়েছে, আপাতত উদ্ধব শিবিরের বিধায়কদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যেন না নেন তিনি। শিন্ডে শিবিরের দাবি, উদ্ধব অনুগামী বিধায়কদের বহিষ্কার হতেই হবে। কারণ আস্থাভোটের সময় দলীয় হুইপ অমান্য করেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে শিবসেনার তরফে পাঁচটি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। একটি আবেদনপত্র জমা করা হয়েছে শিন্ডে শিবিরের তরফে। আর পাঁচটি উদ্ধব শিবিরের তরফে।

     

  • Supreme Court: মা স্বাভাবিক অভিভাবক, তিনিই ঠিক করবেন সন্তানের পদবি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: মা স্বাভাবিক অভিভাবক, তিনিই ঠিক করবেন সন্তানের পদবি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা-ই সন্তানের একমাত্র স্বাভাবিক অভিভাবক (Natural Guardian)। তাই সন্তানের পদবি (Surname) কী হবে তা ঠিক করার অধিকার মায়ের আছে। এমনই যুগান্তকারী রায় দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। 

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। এই রায়ে উঠে আসে কোনও মহিলার দ্বিতীয় বিবাহের প্রসঙ্গ। বেঞ্চ রায় দেওয়ার সময় জানায়, “একজন মহিলা দ্বিতীয় বিবাহের পরে যদি তাঁর প্রথম বিবাহের সন্তানকে দ্বিতীয় স্বামীর পদবি দিতে চান, তাহলে তা তিনি করতেই পারেন। পদবি শুধু মাত্র কোন বংশের ইঙ্গিত নয়, এর আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এটি শিশুদের অনুভূতির সঙ্গেও জড়িয়ে থাকে।”

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে বরাদ্দ চেম্বার ছাড়লেন জগদীপ ধনখড়, কেন জানেন? 

    শীর্ষ আদালত এও জানায়, “দ্বিতীয় স্বামীর নাম সন্তানের সৎ পিতা হিসেবে উল্লেখ করার উচ্চ আদালতের রায় নিষ্ঠুর। এতে শিশু মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে।” 

    উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৪ সালের অন্ধপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়। যেখানে বাবার পদবি যেন শিশু ব্যবহার করেন তা নিশ্চিত করতে মামলা করেছিল এক মহিলার প্রথম স্বামীর পরিবার। ওই মহিলার প্রথম স্বামী ২০০৬ সালে মারা যান। তখন তাঁর সন্তানের বয়স ছিল মাত্র আড়াই বছর। তিনি পুনরায় বিয়ে করেন ২০০৭ সালে। কিন্তু ওই শিশুটির জৈবিক পিতার পরিবারের তরফ থেকে আদালতে আবেদন করা হয় যেন শিশুটি তার জৈবিক পিতার পদবি ব্যবহার করে। আদালত রায় দেয়, “ওই শিশুটির পিতার নামের জায়গায় তার জৈবিক পিতার নাম লিখতে হবে।  আর তা না করলে ওই মহিলার দ্বিতীয় স্বামীর নাম সৎ পিতা হিসেবে উল্লেখ করতে হবে।”  

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম জয় ইডি-র! পিএমএলএ আইনে সংস্থার অধিকাংশ ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত   

    তখন শিশুটির মা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন। ২০১৯ সালের শিশুটির সৎ বাবা শিশুটিকে দত্তক নেন। এবার এই বিষয়ে রায় দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট  জানায়, “একজন সৎ বাবা হিসেবে ওই মহিলার স্বামীর নাম অন্তর্ভুক্ত করার হাইকোর্টের এই রায় নিষ্ঠুর। এটি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। যেহেতু মা সন্তানের স্বাভাবিক অভিভাবক। তাই এক্ষেত্রে তিনিই ঠিক করবেন তাঁর সন্তান কোন পদবি নেবেন।”   

  • Uddhav vs Shinde: শিন্ডে বনাম উদ্ধবের লড়াই পৌঁছল সাংবিধানিক বেঞ্চে

    Uddhav vs Shinde: শিন্ডে বনাম উদ্ধবের লড়াই পৌঁছল সাংবিধানিক বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলবিরোধী কার্যকলাপ, বহিষ্কার, একত্রীকরণ এবং আসল শিবসেনা (Shiv Sena) কে — নানা সাংবিধানিক প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। সেই মামলাই এদিন পাঠানো হল পাঁচ বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার ওই বেঞ্চেই হবে এই মামলার শুনানি।   
    আসল শিবসেনার রাশ কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে বিবাদ গড়িয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত অবধি। মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের দাবি, তাঁরাই আসল শিবসেনা। আর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) দাবি তাঁরাই আসল।

    বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার চালাতে আগ্রহী ছিলেন শিন্ডে। সেকথা তিনি জানিয়েওছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে। তবে তাতে রাজি হননি উদ্ধব। এর পরেই অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে উড়ে যান বিজেপি শাসিত গুজরাটে। পরে সেখান থেকে রাতের অন্ধকারে তাঁদের নিয়ে শিন্ডে উড়ে যান বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য  অসমে। পরে বিজেপির সঙ্গে শিন্ডে হাত মেলানোয় পতন হয় উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের। মহারাষ্ট্রের তখতে বসেন একনাথ। পরে নিজেদের আসল শিবসেনা দাবি করে শিন্ডে শিবির দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টের। পরে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় উদ্ধব ঠাকরে শিবিরও।  

    আরও পড়ুন : আসল শিবসেনা প্রমাণ করতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন শিন্ডে?
    প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার বেঞ্চের নির্দেশ, বৃহস্পতিবার সাংবিধানিক বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হবে। তার আগে পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যেন শিন্ডে শিবিরের আবেদনের ওপর ভিত্তি করে তাদের আসল শিবসেনা ঘোষণা না করে। প্রতীকও যেন না দেওয়া হয়।  বৃহত্তর বেঞ্চে বিষয়টি পাঠানোর ব্যাপারে বলতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ উল্লেখ করেন, ডিসকোয়ালিফিকেশন সংক্রান্ত বিষয়ে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের ক্ষমতা কী হবে, তা আগে স্থির করতে হবে। সেই কারণেই মামলাটি পাঠানো হয়েছে বৃহত্তর বেঞ্চে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

LinkedIn
Share