Tag: Supreme court

Supreme court

  • SC on Freebies: খয়রাতি ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে বিভাজন রেখা প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    SC on Freebies: খয়রাতি ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে বিভাজন রেখা প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খয়রাতি (Freebies) ইস্যুটি জটিল। তাই খয়রাতি ও জনকল্যাণমূলক (Welfare Schemes) প্রকল্প এবং অন্য নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন রেখা টানা প্রয়োজন। মঙ্গলবার এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ জানান, খয়রাতির বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং এজন্য বিতর্কের প্রয়োজন।

    ক্ষমতায় আসতে প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতির (Election Freebies) বন্যা বইয়ে দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে থাকে নিখরচায় নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। বিষয়টিকে ‘গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশের শীর্ষ আদালতও। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার (NV Ramana) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সম্প্রতি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, জনকল্যাণ কর্মসূচি আর বিনামূল্যে দেওয়া এক বিষয় নয়। বিজেপি ঘনিষ্ঠ জনৈক অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, যাঁরা বিনামূল্যে পাচ্ছেন, তাঁরা তা পেতে চান। আবার অনেকে বলেন, তাঁদের করের টাকা প্রকৃত উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ব্যবহার করতে হবে।

    আরও পড়ুন :খয়রাতি নয়, মর্যাদার সঙ্গে রোজগার করাই বেশি পছন্দ ভোটারদের, মত সুপ্রিম কোর্টের

    মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সব রাজনৈতিক দলই ভোটের সময় খয়রাতির প্রতিশ্রুতি দিতে চায়। তারা এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দেয়ও। প্রধান বিচারপতি রামানা বলেন, কিছু জিনিস যেমন মেয়েদের সাইকেল কিংবা কৃষকদের গবাদি পশু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এগুলিকে জনকল্যাণ মূলক কাজকর্মের সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা যায়। তিনি বলেন, এই ইস্যুতে বিতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এবং বিষয়টি বিবেচনার জন্য সংসদে উত্থাপনের প্রয়োজন। রামানা বলেন, গ্রামাঞ্চলে গরু-ছাগল পালন মানুষের জীবিকা। তাই এগুলিকে খয়রাতি হিসেবে দেখলে চলবে না। কেউ কেউ মেয়েদের সাইকেল দেয় শিক্ষা কিংবা ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে। প্রশ্ন হল এখানেই, কোনটা খয়রাতি, কোনওটাই বা জনকল্যাণ?  সুপ্রিম কোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ, গ্রামের একজন গরিব মানুষের কাছে এ জাতীয় জিনিসপত্রের প্রয়োজন খুবই। এবং সেটা নিয়ে আদালতের এই ঘরের মধ্যে বিতর্ক হতে পারে না। প্রসঙ্গত, এর আগে শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, আমি মনে করি না ভোটাররা নিখরচায় নানা পরিষেবা পেতে চান। সুযোগ পেলে তাঁরা সম্মানজনকভাবেই রোজগার করতে চাইবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Maharasthra Politics: শিন্ডে শিবিরকে স্বীকৃতি, লোকসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ ঠাকরের

    Maharasthra Politics: শিন্ডে শিবিরকে স্বীকৃতি, লোকসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ ঠাকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিন্ডে শিবিরকেই আসল শিবসেনার (Shiv Sena) স্বীকৃতি দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র (Maharasthra) বিধানসভার স্পিকার রাহুল নরবেকর। পরে উদ্ধব বিরোধী ওই শিবিরকে স্বীকৃতি দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও (Om Birla)। এবার সেই স্বীকৃতিকে দেশের শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) চ্যালেঞ্জ জানাল মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) গোষ্ঠী।

    শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসকে নিয়ে গঠিত মহাবিকাশ আগাড়ি জোট ছেড়ে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে তাতে রাজি না হওয়ায় অনুগত বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাটের সুরাট ও পরে আসামের গুয়াহাটি উড়ে যান শিন্ডে। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন তিনি। পতন হয় উদ্ধব ঠাকরে সরকারের।

    আরও পড়ুন : শিবসেনা কার? উদ্ধব, শিন্ডেকে তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    এর পরে পরেই শিন্ডে শিবিরকে আসল শিবসেনা হিসেবে স্বীকৃতি দেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নরবেকর। সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয় ১৮ জুলাই। অধিবেশনের প্রথম দিনই শিবসেনার ১২ জন সাংসদ শিন্ডে শিবিরের অংশ হিসেবে আসল শিবসেনার স্বীকৃতি পেতে আবেদন জানান লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে। লোকসভায় শিবসেনার সাংসদ সংখ্যা ১৮। তার সিংহভাগই শিন্ডে শিবিরে যোগ দেওয়ায় স্পিকার ওম বিড়লা তাঁদের স্বীকৃতি দেন। দক্ষিণ-মধ্য মুম্বই কেন্দ্রের সাংসদ রাহুল শেওয়ালেকে শিবসেনার লোকসভার নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেন স্পিকার। রাহুল শিন্ডে শিবিরের নেতা। খারিজ হয়ে যায় উদ্ধব গোষ্ঠীর নেতা বিনায়ক রাউতের এ সংক্রান্ত আবেদন। উদ্ধব গোষ্ঠীর নেতা রাজন বিচারের বদলে শিন্ডে শিবিরের ভাবনা গাওলিকে শিবসেনার চিফ হুইপ হিসেবেও স্বীকৃতি দেন লোকসভার স্পিকার। স্পিকারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিনায়ক ও রাজন। শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীর দাবি, এটি অবৈধ, অসাংবিধানিক এবং সংসদের রীতি বিরুদ্ধ। তাঁদের অভিযোগ, এটা করা হয়েছে স্রেফ শিবসেনার বিরোধী গোষ্ঠীকে মদত দিতে। তাঁরা বলেন, সংসদীয় দল একটি রাজনৈতিক দলের প্রোডাক্ট মাত্র। তাই শিন্ডে শিবিরকে মান্যতা দেওয়া ঠিক হয়নি।

    আরও পড়ুন : আসল শিবসেনা প্রমাণ করতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন শিন্ডে?

  • Mohammed Zubair: হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল, জানুন জুবের-জামিনকালে কী বলল আদালত

    Mohammed Zubair: হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল, জানুন জুবের-জামিনকালে কী বলল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্ম পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এবং সহনশীল ধর্ম। এই ধর্মে যাঁরা বিশ্বাস রাখেন, তাঁরাও সহনশীলতার পরিচয় দেন৷ অল্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেইরকে (Mohammed Zubair) জামিন দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন দিল্লি আদালতের বিচারক। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রে বিরোধী মত থাকাটাও প্রয়োজন৷ তাই শুধুমাত্র কোনও রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করার কারণে ১৫৩ (এ) বা ২৯৫ (এ)-র মতো গুরুতর ধারা প্রয়োগ করা উচিত নয়। তাই জুবেরের জামিন মঞ্জুর করছে আদালত।

    জামিনের আবেদন মঞ্জুর করার সময়ে আদালতের তরফে বলা হয়েছে, হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল। তাই সরকারের বিরোধিতা করার সঙ্গে ধর্মের যোগ টেনে আনা একেবারেই উচিত নয়। ২০১৮ সালে জুবেইরের (Mohammed Zubair) একটি ট্যুইট ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে, সেই মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে জুবেইরকে। ব্যক্তিগত বন্ডে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে তাঁকে। দেশ ছেড়ে বেরতেও পারবেন না তিনি। আদালত জানিয়েছে, জুবেইরের ট্যুইটের ফলে কার আবেগে আঘাত লেগেছে, তার বিবরণ দিতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। ট্যুইটের প্রভাব পড়েছে এমন কোনও ব্যক্তির বয়ানও আদালতে পেশ করতে পারেনি পুলিশ। 

    রায় দেওয়ার সময়ে পাটিয়ালা হাউস কোর্টের বিচারপতি বলেছেন, “সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য বিরোধী কন্ঠস্বরের উপস্থিতি খুবই প্রয়োজন। কোনও রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫৩এ বা ২৯৫এ ধারা কার্যকর করার মানেই হয় না।” প্রসঙ্গত, ধর্মের ভিত্তিতে অশান্তি তৈরির অভিযোগ দায়ের হয় ১৫৩এ ধারায়। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ দায়ের হয় ২৯৫এ ধারা অনুসারে। 

    আরও পড়ুন: জেলেই জুবের! ১৪ দিনের জেল হেফাজত অল্ট-নিউজের সহ-কর্ণধারের

    এরপরেই হিন্দু ধর্মের প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি বলেছেন, “সনাতন হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে বেশি সহনশীল। হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষও একইরকম সহনশীল। সাধারণ মানুষ অনেক সময়েই দেব দেবীর নামে নিজের সন্তানদের নাম রাখে। এমনকী কোনও প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গেও জড়িয়ে থাকে দেবতার নাম।” হিন্দুদের ভগবানের নামে কোনও প্রতিষ্ঠান বা শিশুর নাম রাখা হলে তা আইন ভাঙে না। যতক্ষণ না তার মধ্যে অপরাধ প্রবণতা থাকে। কোনও অসৎ উদ্দেশে এই কাজ হলে তা অপরাধ।

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পরে পাটিয়ালা হাউস কোর্টেও জামিন পেলেন মহম্মদ জুবেইর। তবে বৃহস্পতিবার হাথরস আদালতে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে আপাতত মুক্তি পাবেন না তিনি। উত্তরপ্রদেশে নতুন করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে জুবেইরের বিরুদ্ধে। মোট সাতটি মামলা ঝুলছে তাঁর উপরে। সবক’টি মামলা খারিজ করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন জুবেইর। সেই সঙ্গে জামিনের আরজিও জানিয়েছেন তিনি।

  • Vijay Mallya: বিজয় মালিয়াকে ৪ মাসের সাজা শোনালো শীর্ষ আদালত, সঙ্গে জরিমানা

    Vijay Mallya: বিজয় মালিয়াকে ৪ মাসের সাজা শোনালো শীর্ষ আদালত, সঙ্গে জরিমানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পলাতক শিল্পপতি বিজয় মালিয়াকে (Vijay Mallya) চার মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সেই সঙ্গে দুহাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে কিংফিসারের প্রাক্তন প্রধানকে। শর্ত না মানলে আরও ২ মাস জেল খাটতে হবে বলেও জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এছাড়াও বিদেশে পাচার করা ৪ কোটি মার্কিন ডলারও ফেরত দেওয়ার জন্যে শিল্পপতিকে চার সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত।

    তথ্য গোপন এবং আদালত অবমাননার দায়ে বিজয় মালিয়াকে ২ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৪ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইউইউ ললিত, রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: সোমবার বিজয় মালিয়া মামলার রায় ঘোষণা, সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ

    ২০১৭ সালে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নিজের ছেলে ও মেয়েকে প্রায় ৩১৭ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন বিজয় মালিয়া। সেই টাকা ৮ শতাংশ সুদে চার সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দিতে হবে তাঁকে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্যথায় ‘কিংফিশার কিং’ -এর সম্পত্তি বেঁচে পাওনাদার সংস্থাগুলিকে টাকা তোলার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: দেশে সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! অভিযুক্ত ওয়াধওয়ান ভাতৃদ্বয়

    ২০১৬ সালে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বিজয় মালিয়া। ২০১৭ সালের ১০ জুলাই বিজয় মালিয়াকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু হাজিরা তিনি দেননি। এছাড়াও নিজের সম্পত্তির সম্পূর্ণ খতিয়ান ব্যাঙ্কগুলির কাছে গোপন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে মালিয়ার বিরুদ্ধে। ব্যাঙ্কগুলির অভিযোগ, ২০১৭ সালের কর্ণাটক হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ছেলে সিদ্ধার্থ ও মেয়ে লীনাকে প্রায় ৪ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন মালিয়া।  

    ৫ বছর আগে আদালত অবমাননার অভিযোগে মালিয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা শুরু হয়। শীর্ষ আদালত জানায়, মালিয়া তথ্য গোপন করেছেন। কর্ণাটক হাইকোর্টের নির্দেশও অমান্য করে বিদেশে টাকা পাঠিয়েছেন। ভারত সরকারের হাত থেকে বাঁচতে ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকেই লন্ডনে গা ঢাকা দিয়ে বসে আছেন বিজয় মালিয়া। এখনও তিনি অধরা।

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে জানান, ঋণখেলাপি মামলায় অভিযুক্ত এবং পলাতক বিজয় মাল্য, নীরব মোদী এবং মেহুল চোকসির কাছ থেকে মোট ১৮,০০০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।  

  • Abu Salem: আবু সালেমের জেলের সাজা ২৫ বছরের বেশি নয়, নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

    Abu Salem: আবু সালেমের জেলের সাজা ২৫ বছরের বেশি নয়, নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবু সালেমকে (Abu Salem) ২৫ বছরের বেশি জেলে রাখা যাবে না। সোমবার একথা স্পষ্ট জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। ২০০২ সালে পর্তুগাল (Portugal) আদালতকে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল আবু সালেমকে ২৫ বছরের বেশি জেলে রাখা হবে না। সেকথাও এদিন স্মরণ করিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রকে সেই প্রতিশ্রুতির সম্মান রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল এবং বিচারপতি এমএম সুন্দরেশের বেঞ্চ জানিয়েছে, ২৫ বছরের জেলের পরে কেন্দ্র রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারে যাতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: সোমবার বিজয় মালিয়া মামলার রায় ঘোষণা, সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ

     ১৯৯৩ সালে মুম্বইতে একাধিক বোমা হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয় আবু সালেম। বোমা হামলার আগে গুজরাট থেকে মুম্বইতে অস্ত্র পাঠিয়েছিল আবু সালেম। সালেম দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পর্তুগালের সঙ্গে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে ভারত। শেষে ২০০৫ সালের ১১ নভেম্বর তাঁকে পর্তুগাল থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়। তখনই ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী (Lal Krishna Advani) পোর্তুগাল সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে আবু সালেমকে যেই সাজাই দেওয়া হোক না কেন তা ২৫ বছরের বেশি হবে না। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েছে সালেম। সে জানিয়েছে ২০৩০ সালেই তার সাজা শেষ হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: নূপুর শর্মাকে ভর্ৎসনার প্রতিবাদ, খোলা চিঠি ১১৭ প্রাক্তন আমলার

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল ও এমএম সুন্দরেশের বেঞ্চ জানিয়েছে, “ভারতের রাষ্ট্রপতিকে সংবিধানের ৭২ নম্বর ধারা মেনে চলার পরামর্শ দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। ২৫ বছরের সাজা শেষের এক মাসের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিপত্র জমা করতে হবে। এমনকী কেন্দ্র চাইলে ভারতীয় দণ্ডবিধি মেনে এই এক মাসও মকুব করতে পারে।” 

    সালেমের আইনজীবীর তরফে আবেদন করা হয়েছিল পর্তুগালে যতদিন জেলে ছিলেন আবু সালেম সেটাকেও যেন জেলবাসের মধ্যে ধরা হয়। তবে এই আবেদন মানতে চায়নি সুপ্রিমকোর্ট। আদালত জানিয়েছে ২০০৫ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২৫ বছর কারাদণ্ডের সময় গণনা করা হবে।  

    ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও অন্য একটি মামলায় আবু সালেমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল বিশেষ টাডা আদালত। ১৯৯৫ সালে মুম্বইয়ের নির্মাণ ব্যবসায়ী প্রদীপ জৈন ও তাঁর চালক মেহেদি হাসানকে খুন করার জন্য়ও তাকে সাজা পেতে হয়। 

     

     

     

     

  • SC on Bail Petition: জামিন নিয়ে নয়া আইন! জানুন কী বলল সুপ্রিম কোর্ট

    SC on Bail Petition: জামিন নিয়ে নয়া আইন! জানুন কী বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরে যাচ্ছে জেল! বন্দিদের জামিন নিয়ে নতুন বিধি ( new Act on bails) আনতে কেন্দ্রের (Central Government) কাছে আহ্বান জানালো শীর্ষ আদালত।  কোনও দিনও যেন দেশ ‘পুলিশ স্টেট’ হয়ে না যায়! এই বার্তা দিয়েই জামিনের বিধি নিয়ে বক্তব্য রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কেন্দ্রীয় সরকার যাতে জামিনের আইন নিয়ে নতুন করে ভাবনা চিন্তা করে তার আর্জি জানানো হয়েছে। শীর্ষ আদালতের তরফে, অপরাধীদের সুবিচারের দিকটিও বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে জামিন অল্ট নিউজের মহম্মদ জুবেরের, দিল্লি মামলায় থাকতে হচ্ছে জেলেই

    একটি মামলার রায়দানের সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কৌল, এমএম সুন্দরেশ দুঃখের সুরে জানিয়েছেন, দেশে সমস্ত জেল ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। আইন ভাঙার দায়ে গ্রেফতার হচ্ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ। একথা সরকারকে মাথায় রাখতে হবে।  যাতে দেশে অকারণে গ্রেফতারি এড়ানো যায়, সে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে হবে আইনসভায়। বিশেষত যে সমস্ত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর পর্যন্ত জেল রয়েছে, তার ক্ষেত্রে বিধি-সরলীকরণ করা উচিত। তাঁদের মতে দেশের বিভিন্ন আদালতে ‘নেতিবাচক’ ভাবে জামিনের আবেদনের শুনানি হয়। যা কখনওই কাম্য নয়। এভাবে চলতে থাকলে দেশ একদিন ‘পুলিশ স্টেট’ হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: আম্বানিদের কেন জেড প্লাস নিরাপত্তা? ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম-স্থগিতদেশ

    প্রসঙ্গত, দেশে যখন মহম্মদ জুবেরের (Mohammed Zubair) গ্রেফতারি সহ একাধিক ঘটনা ঘটছে, তখন সুপ্রিম কোর্টের এই বক্তব্য বেশ প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, অপরাধমূলক ঘটনায় দেশে ‘দোষী’র সংখ্যা খুবই অল্প। নানা মামলায় ‘অভিযুক্ত’ এর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে কঠোর এবং সুচিন্তিত মতামত নিতে হবে, বলে মনে করে শীর্ষ আদালত। দেশের সমস্ত কোর্টে অপরাধ নিয়ে সমানভাবে পদক্ষেপ করার কথাও বলা হয়েছে। 

     

  • Maharasthra Political Crisis: মহারাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট, সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধব শিবির

    Maharasthra Political Crisis: মহারাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট, সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধব শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মহাসংকট! বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে (Uddhav Thackeray) সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। আস্থা ভোটে যোগ দেবেন শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডেরও ( Eknath shinde)। রাজ্যপালের এই নির্দেশের বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আস্থাভোটের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল উদ্ধব শিবির।

    এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েই সরকার চালাতে আগ্রহী শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য শিন্ডের। এর পরেই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান শিন্ডে। সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে ওই বিধায়কদের নিয়ে তিনি উড়ে যান বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য আসামে। সেখানকারই একটি বিলাসবহুল হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। সোমবার রাতে গুজরাটে এসে শিন্ডে সাক্ষাৎ করেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন : দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

    এর পরে পরেই উদ্ধবকে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন উদ্ধব অনুগামী বিধায়করা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, উদ্ধবের পক্ষে এখন মহা বিকাশ আঘাড়ি জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা মুশকিল। তাই এখনই পরীক্ষায় যেতে চাইছেন না তাঁরা। উদ্ধর ঘনিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় রাউত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যপালের দেওয়া আস্থা ভোটের নির্দেশ বেআইনি। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি ও রাজ্যপাল মিলে আস্থা ভোট করানোর চেষ্টা করছে। তাঁর আশা, ন্যায় বিচার মিলবে সুপ্রিম কোর্টে। তিনি জানান, বিধায়কদের নিয়ে যে মামলা চলছে, সে সংক্রান্ত চিঠিও দেওয়া হবে রাজ্যপালকে। সঞ্জয় বলেন, আস্থাভোটের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি। এখনও শিবসেনার ১৬ জন বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সুতরাং এই আস্থা ভোট বেআইনি। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবসেনা। এই মর্মে একটি মামলাও দায়ের করেছেন দলের চিফ হুইপ সুনীল প্রভু।

    আরও পড়ুন : ‘বর্ষা ছাড়লেও ছাড়ছি না…’ বললেন বিদ্রোহ দমনে প্রত্যয়ী উদ্ধব

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধিবেশন আহ্বান করতে গিয়ে রাজ্যাপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। তার একটি হল, পুরো আস্থাভোট পর্ব ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। রাজ্যপাল সাফ জানিয়েছেন, এই অধিবেশনের একমাত্র আলোচ্যসূচি আস্থা ভোট। তা কোনওভাবেই স্থগিত করা যাবে না।

    এদিকে, আস্থাভোটের আগে উদ্ধবের চিন্তা বাড়িয়েছেন এনসিপির দুই বিধায়ক। সূত্রের খবর, তাঁরা দুজনেই সংক্রমিত হয়েছেন কোভিডে।

    অন্যদিকে, গুয়াহাটির হোটেল থেকে দ্রুত মহারাষ্ট্রে ফেরার কথা শিন্ডে ও তাঁর অনুগামী বিধায়কদের। এদিন কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন শিন্ডেবাহিনী। সেখানেই তিনি জানান, দ্রুত মহারাষ্ট্রে ফিরছেন তাঁরা।

     

  • Nupur Sharma: নূপুর শর্মাকে ভর্ৎসনার প্রতিবাদ, খোলা চিঠি ১১৭ প্রাক্তন আমলার

    Nupur Sharma: নূপুর শর্মাকে ভর্ৎসনার প্রতিবাদ, খোলা চিঠি ১১৭ প্রাক্তন আমলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদ (Prophet Muhammad) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) তীব্র সমালোচনা করেছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। কিন্তু এবার নূপুর শর্মার হয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিরোধিতায় কলম ধরলেন ১৫ জন প্রাক্তন বিচারপতি, ৭৭ জন প্রাক্তন আমলা এবং সশস্ত্র বাহিনীর ২৫ জন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার  (Bureaucrats)।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের আর্জি! নূপুরকে সমর্থন অনুপম খেরের   

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং জে বি পাদ্রিওয়ালা রীতিমতো ভর্ৎসনা করেন নূপুর শর্মাকে। দেশেজুড়ে হিংসার জন্য তাঁকেই দায়ী করেন তাঁরা। বিচারপতিরা বলেন, “সারা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।” এরপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন পাদ্রিওয়ালা।

    আরও পড়ুন: এবার অমরাবতী! নূপুর শর্মাকে সমর্থন করাতেই কি খুন? তদন্তে পুলিশ  

    নূপুর শর্মা সুপ্রিম কোর্টের কাছে এফআইআরগুলি একত্রিত করে দিল্লিতে স্থানান্তর করার আবেদন জানান। আদালত ১ জুলাই তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। এমনকি নূপুর শর্মার ‘লাগামহীন জিভ’ হিংসা ছড়ানোর জন্য দায়ী, এমনও মন্তব্য করেন বিচারপতিরা।   

    এই মন্তব্য ঠিক নয় বলে খোলা চিঠিতে জানান ১১৭ জন প্রাক্তন আমলা। তাঁরা লেখেন, “ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা, চেতনা এবং সারমর্মের উপর এই মন্তব্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের এই ধরনের পদ্ধতি কোনও সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য নয় এবং সর্বোচ্চ আদালতের পবিত্রতা এবং সম্মানকে প্রভাবিত করে এই মন্তব্য।”   

    চিঠিতে আরও লেখা হয়, “দুই বিচারপতির বেঞ্চের রায় দুর্ভাগ্যজনক ও নজিরবিহীন। এই মন্তব্যের সঙ্গে দেশের বিচারবিভাগের কোনও সামঞ্জস্য নেই। ইতিহাসের পাতা ওল্টালেও এমন তথ্য পাওয়া যাবে না। ইস্যুটির সঙ্গে পর্যবেক্ষণগুলির কোনও সংযোগ নেই।” 

    প্রাক্তনদের চিঠিতে নূপুর শর্মাকে কেন আলাদাভাবে বিবেচনা করা হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই ধরনের পদ্ধতি প্রশাংসা পাওয়ার যোগ্য নয় বলেও জানানো হয়েছে। নূপুর শর্মা ইস্যুতে মন্তব্য সর্বোচ্চ  আদালতের পবিত্রতা আর সম্মানকে প্রভাবিত করবে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।    

    এই চিঠিতে মোট ১১৭ জন স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন বোম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ক্ষিতিজ ব্যাস, গুজরাট হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এসএম সোনি, রাজস্থান হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আরএস রাঠোর, প্রশান্ত আগরওয়াল, দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এসএন ধিংরা। প্রাক্তন আইএএস অফিসার আরএস গোপালন এবং এস কৃষ্ণ কুমার, প্রাক্তন শীর্ষ পুলিশ অফিসার এসপি বৈদ এবং পিসি ডোগরা, অবসরপ্রাপ্ত  লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভি কে চতুর্বেদী ও প্রাক্তন এয়ার মার্শাল এসপি সিং।

     

  • Jagdeep Dhankar: সুপ্রিম কোর্টে বরাদ্দ চেম্বার ছাড়লেন জগদীপ ধনখড়, কেন জানেন?  

    Jagdeep Dhankar: সুপ্রিম কোর্টে বরাদ্দ চেম্বার ছাড়লেন জগদীপ ধনখড়, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদে প্রার্থী হয়েছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankar)। প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার দিন কয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) তাঁর নামে চেম্বার বরাদ্দ হয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যেহেতু তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন এবং জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী, তাই সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সেই চেম্বার ফিরিয়ে দিলেন ধনখড়। জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর নামে বরাদ্দ হওয়া চেম্বারটি যেন অন্য কোনও আইনজীবীকে দিয়ে দেওয়া হয়, যাঁর চেম্বারের আশু প্রয়োজন।

    এক সময় সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতেন জগদীপ ধনখড়। পরে বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসেন তিনি। সেই সময় তিনি আর সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করতে পারেননি। তবে রাজ্যপাল হয়ে এ রাজ্যে আসারও বছর দুয়েক আগে নিজস্ব একটি চেম্বারের জন্য আবেদন করেছিলেন ধনখড়। সুপ্রিম কোর্টে এই চেম্বার পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয় আইনজীবীদের। এ বছর ৪৬৮ জনকে চেম্বার দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন ধনখড়ও। শেষমেশ আবেদন করার বছর পাঁচেক পরে এই সেদিন চেম্বার বরাদ্দ হয় ধনখড়ের নামে। ডি ব্লকে নিউ ল’ ইয়ার্স চেম্বারের একটি ঘর বরাদ্দ হয় তাঁর নামে।

    আরও পড়ুন : প্রতীক্ষার অবসান, শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে চেম্বার পেলেন ধনখড়

    এদিকে, ধনখড়কে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করে এনডিএ। বিজেপি বিরোধী জোটের প্রার্থী কংগ্রেসের মার্গারেট আলভা। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বিজেপির যা শক্তি, তাতে ৬ আগস্ট ধনখড়ের জয় একপ্রকার নিশ্চিত। নিয়ম অনুযায়ী, উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হলে আদালতে প্র্যাকটিস করা যাবে না। তাই উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হলে পাঁচ বছরের জন্য তিনি আর আইনজীবী হিসেবে লড়তে পারবেন না। তাই আপাতত পাঁচ বছর তাঁর চেম্বারও প্রয়োজন হবে না। সেই কারণেই চেম্বারটি সারেন্ডার করলেন ধনখড়।

    আরও পড়ুন : “বাংলায় আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে”, রাজস্থানে ধনখড়

    সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিকাশ সিং বলেন, ধনখড়জি স্বেচ্ছায় তাঁর চেম্বারটি ছেড়ে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁর জন্য বরাদ্দ চেম্বারটি যেন অন্য কোনও আইনজীবীকে দিয়ে দেওয়া হয়, যাঁর এখনই চেম্বার প্রয়োজন। বিকাশ বলেন, ধনখড় তাঁর জন্য বরাদ্দ চেম্বারটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য রাখতেই পারতেন, কিন্তু তিনি সেটি ছেড়ে দিয়েছেন স্বেচ্ছায়।

     

  • Mukesh Ambani: আম্বানিদের কেন জেড প্লাস নিরাপত্তা? ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম-স্থগিতদেশ

    Mukesh Ambani: আম্বানিদের কেন জেড প্লাস নিরাপত্তা? ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম-স্থগিতদেশ

    মাধ্যম নিউড ডেস্ক: আম্বানিদের (ambani) জেড প্লাস নিরাপত্তা (Z Plus security) মামলায় ত্রিপুরা হাইকোর্টের (Tripura High Court) রায়েই স্থগিতদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সম্প্রতি এই মর্মে রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    বিশিষ্ট শিল্পপতি মুকেশ আম্বানিকে বর্তমানে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তাঁর স্ত্রী নীতা পান ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির (Y Plus security) নিরাপত্তা। সম্প্রতি বিকাশ সাহা নামে এক ব্যক্তি ত্রিপুরা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর প্রশ্ন, কী কারণে আম্বানি পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে? মহারাষ্ট সরকারের সুপারিশেই কেন্দ্রীয় সরকার বিশিষ্ট ওই শিল্পপতি ও তাঁর স্ত্রীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকে। জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে দুটি অন্তর্বর্তী অর্ডার পাশ করে ত্রিপুরা হাইকোর্ট। সেখানেই নির্দেশ দেওয়া হয় আম্বানি পরিবারকে কী কারণে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে, সেই সংক্রান্ত নথিপত্র পেশ করতে হবে আদালতে।

    আরও পড়ুন : পিছিয়ে পড়লেন আদানি! আবারও এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি আম্বানি

    ত্রিপুরা হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্র। মামলা গ্রহণ করে শুনানির নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। তিনি বলেন, গোয়েন্দাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে আম্বানিদের। তাঁরা মুম্বইয়ের বাসিন্দা। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে সেখানেই। এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও এক্তিয়ারই নেই ত্রিপুরা হাইকোর্টের। মামলার শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায়েই স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টে।

    আরও পড়ুন : বিবাদ মিটিয়েছিলেন দুই ভাইয়ের, চিনে নিন আম্বানি পরিবারের ‘ভাইশ্রী’-কে

    গত বছর আম্বানি পরিবারের বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি উদ্ধার হয়। তার পরেই নিরাপত্তা দেওয়া হয় মুকেশ এবং তাঁর স্ত্রীকে। যদিও তাঁর সন্তানরা ওই সুবিধা পান না। মুকেশ ও নীতা যে নিরাপত্তা পান, সেজন্য তাঁদের মোটা টাকা গুণতে হয়। মুকেশ যে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান, এদেশে তা পান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং হাতে গোণা কয়েকজন।

    ৫০-৫৫ জন সশস্ত্র কমান্ডো ২৪ ঘণ্টা প্রহরায় থাকেন আম্বানিদের বাড়ির সামনে। আম্বানিরা বুলেটপ্রুফ গাড়ি, এসকর্ট এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত বাহিনী পান। চাইলে পেতে পারেন এনএসজি (NSG) কমান্ডোদেরও। মহারাষ্ট্র তো বটেই, দেশের যে কোনও প্রান্তে গেলে মুকেশের সঙ্গে থাকে একটি পাইলট কার এবং তার পিছনে কয়েকটি গাড়ির কনভয়।

LinkedIn
Share