Tag: Supreme court

Supreme court

  • Sanjiv Khanna: ছেলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হোক চাইতেন হবু প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বাবা-মা!

    Sanjiv Khanna: ছেলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হোক চাইতেন হবু প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বাবা-মা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা-মা চেয়েছিলেন ছেলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হোক। কারণ তাঁরা মনে করতেন, আইনজীবীর পেশা চ্যালেঞ্জ ও কষ্টে ভরা। ছেলের দু’চোখে অবশ্য অন্য স্বপ্ন। কালো গাউন পরে সওয়াল করছেন কোনও বিচারপ্রার্থীর হয়ে! শেষমেশ জয় হয়েছিল ছেলের ইচ্ছে শক্তির। আইনজীবী হিসেবেই পেশা শুরু করেছিলেন। তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি (CJI)। তিনি সঞ্জীব খান্না। ১১ নভেম্বর শপথ নেবেন তিনি।

    কাকার প্রেরণাতেই আইনি পেশায় আসা (Sanjiv Khanna)

    তাঁর কাকা এইচআর খান্না ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। মূলত কাকার অনুপ্রেরণাতেই পেশা হিসেবে আইনকেই বেছে নেন সঞ্জীব। সঞ্জীবের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, তিনি (সঞ্জীব) সবসময় তাঁর কাকাকে আদর্শ মানতেন। তাঁর কাজ গভীর মনোযোগ সহকারে অনুসরণ করতেন। এটি কেবল আইনেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বিচারপতি এইচআর খান্না শুধু তাঁর নিজের নয়, পরিবারের অন্য সদস্যদেরও জুতো পালিশ করতেন। তিনি নিজের কাপড়ও নিজেই ধুতেন। সঞ্জীব বিচারপতি এইচআর খান্নার সমস্ত রায়, নোট, রেজিস্টার সংরক্ষণ করেছেন বলেও জানা গিয়েছে। অবসর নেওয়ার পর এগুলি তিনি সুপ্রিম কোর্টের গ্রন্থাগারে দান করতে চান সঞ্জীব।

    স্মৃতিমেদুর সঞ্জীব

    ২০১৯ সালে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে তাঁর প্রথম দিন কাটিয়েছিলেন সেই আদালত কক্ষে, যেখানে তাঁর কাকা বসে কাজ করেছিলেন। বিচারপতি এইচআর খান্নার প্রতিকৃতি সেই কক্ষে রয়েছে। তবে সঞ্জীব (Sanjiv Khanna) সেখানে কখনও নিজের ছবি তোলেননি। অবসর নেওয়ার আগে তিনি তা করতে পারেন বলেই অনুমান তাঁর পরিবারের। ১৩ মে ২০২৫ সালে অবসর নেওয়ার কথা সঞ্জীবের। দেশের হবু প্রধান বিচারপতি সঞ্জীবের মা সরোজ খান্না লেডি শ্রীরাম কলেজের লেকচারার ছিলেন। তাঁর বাবা দেবরাজ খান্না ছিলেন আইনজীবী। পরে তিনি হয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: “আমি ক্ষমতায় থাকলে…’’, বাংলাদেশে হিন্দু নিধন নিয়ে সরব ট্রাম্প, দিলেন ‘বন্ধু’ মোদিকে বিশেষ বার্তা

    ১৯৭৬ সালে হেবিয়াস কর্পাস মামলায় বিচারপতি এইচআর খান্না ভিন্নমত প্রদর্শন করে রায় দিয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালের জানুয়ারিতে যখন ইন্দিরা গান্ধীর সরকার (Sanjiv Khanna) বিচারপতি এমএইচ বেগকে দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) হিসেবে নিয়োগ করেন, তখন পদত্যাগ করেন বিচারপতি এইচআর খান্না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • DY Chandrachud: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    DY Chandrachud: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংবিধানিক আদালতের বিচারপতিদের এবং প্রশাসনিক প্রধানদের যথেষ্ট ম্যাচুউরিটি রয়েছে, যা বিচারবিভাগীয় বিষয়গুলোকে যে কোনও আলোচনার আওতার বাইরে দৃঢ়ভাবে রাখতে পারে।” গণেশপুজো বিতর্কে (Ganpati Puja Row) এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। তিনি বলেন, “বিচারবিভাগ ও এক্সিকিউটিভ বিভাগের মধ্যে যখন আলাপচারিতা হয়, তখন এটি এমন একটি ধারণার সৃষ্টি করে যে মনে হয় যেন চুক্তি করা হচ্ছে।”

    বিতর্কের সূত্রপাত (DY Chandrachud)

    বিতর্কের সূত্রপাত গণেশ পুজোর দিন। সেদিন চন্দ্রচূড়ের বাসভবনে গণেশ পুজো উপলক্ষে আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী সেই ছবি পোস্ট করেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তাঁকে চন্দ্রচূড় ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা দাসের সঙ্গে পুজায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। এর পরেই গেল গেল রব তোলে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, এতে বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার জবাব দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির মনে করিয়ে দেয় ২০০৯ সালের এক ইফতার পার্টির কথা। ওই পার্টিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণে যোগ দিয়েছিলেন সেই সময় দেশের প্রধান বিচারপতি কেজি বালকৃষ্ণণ। জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ংও। এবার মুখ খুললেন খোদ প্রধান বিচারপতি।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    তিনি বলেন, “এ ধরনের সাক্ষাৎগুলো নিয়মিত এবং এতে বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্তের পরিবর্তে পরিকাঠামো সম্পর্কিত বিষয়গুলি আলোচনায় আসে।” চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) বলেন, “মানুষ মনে করে যে কিছু চুক্তি হচ্ছে, কিন্তু তা আদৌ সত্য নয়। এটি সরকারের বিভিন্ন শাখার মধ্যে শক্তিশালী আলোচনার অংশ। তিনটি শাখার কাজ জাতির উন্নতির জন্যই নিবেদিত।”

    আরও পড়ুন: “বিকশিত ভারতের জন্যই প্রয়োজন বিকশিত মহারাষ্ট্রের”, বললেন জয়শঙ্কর

    তিনি বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। রাজনৈতিক প্রশাসকরা তাঁদের দায়িত্ব কী, তা জানেন। কোনও বিচারক, বিশেষ করে ভারতের প্রধান বিচারপতি বা প্রধান বিচারকরা, বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার প্রতি কোনও হুমকিই গ্রাহ্য করেন না।” প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) বলেন, “আপনি কখনওই জুডিশিয়াল আলোচনা করার জন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন না। আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থার (Ganpati Puja Row) ম্যাচুউরিটি হচ্ছে যে রাজনৈতিক শ্রেণিতেও বিচার বিভাগের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sushant Singh Rajput: ৪ বছর পর স্বস্তি রিয়ার, সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় ছাড়পত্র দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Sushant Singh Rajput: ৪ বছর পর স্বস্তি রিয়ার, সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় ছাড়পত্র দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪ বছর পর স্বস্তি পেলেন রিয়া চক্রবর্তী। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু মামলায় রিয়া এবং তাঁর পরিবারের আরও ২ সদস্যকে সম্পূর্ণ ছাড়পত্র দিল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তরুণ অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা বলিউড জগতে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। তবে এই মৃত্যুর মামলায় নাম জড়িয়েছিল অভিনেত্রী রিয়া এবং তাঁর বাবা ও ভাইয়ের।

    নির্দোষ ঘোষণা আদালতের (Sushant Singh Rajput)

    সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু ছিল রহস্যজনক ও আকস্মিক। এই মৃত্যুতে অভিযুক্তের তালিকায় ছিলেন রিয়া, বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী এবং ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। সুশান্তের মৃত্যুর পরে রিয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন মৃত অভিনেতার বাবা। এই অভিযোগের মামলা প্রথম দায়ের হয় পাটনাতে। এরপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের ভার নেয়। তারপর সিবিআইয়ের পক্ষ থেকেও রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। এবার আদালতের নির্দেশে সেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন রিয়া। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভাই এবং কেভি বিশ্বনাথন বিশেষ ছাড়পত্র দিয়েছেন। বিচারপতিদ্বয় তাঁদের পরিবারের দুই সদস্যকে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন। 

    আরও পড়ুনঃ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহারের ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল

    ঘটনা ঘটেছিল ২০২০ সালের মুম্বইতে। বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে রহস্যজনক ভাবে উদ্ধার হয় সুশান্তের (Sushant Singh Rajput) দেহ। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এই মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আঙুল ওঠে বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। যদিও মৃত্যুর মাত্র কিছু দিন আগেও উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছিল। রিয়ার বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। এরপর একমাস কারাবাসে ছিলেন তিনি। তবে মৃত্যু নিয়ে মুম্বই পুলিশ বলেন, “মানসিক অবসাদ থেকে সুশান্ত আত্মহত্যা করেছিলেন।” তবে পরিবারের দাবি এটা আত্মহত্যা নয়, গভীর ষড়যন্ত্র করে খুন করা হয়েছে। দিদি শ্বেতা সিংহ কীর্তি বলেন, “ভাইয়ের মৃত্যু রহস্যে মোড়া।” একইভাবে বলিউডে স্বজন পোষণ বা নেপোটিজেমের বিরুদ্ধে ব্যাপক আলোড়ন হয়। বড় বড় চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং অভিনেতাদের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। একই ভাবে তরুণ অভিনেতা সুশান্তের ভক্তরাও ন্যায় বিচারের দাবিতে প্রচুর পরিমাণে বিক্ষোভ-আন্দোলন করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC: এসএসসিতে ১৪০০০ শিক্ষক নিয়োগে আর বাধা নেই, হাইকোর্টের নির্দেশে সায় সুপ্রিম কোর্টের

    SSC: এসএসসিতে ১৪০০০ শিক্ষক নিয়োগে আর বাধা নেই, হাইকোর্টের নির্দেশে সায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ বছর পর। এসএসসিতে (SSC) ১৪,০০০ শিক্ষক নিয়োগে আর কোনও বাধা রইল না। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) স্পষ্ট জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ওই নিয়োগে সুপ্রিম কোর্ট কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবে না। এই রায়ে চাকরি প্রার্থীদের মনে ফের আশার আলো সঞ্চার হয়েছে।

    আবেদন খারিজ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের

    ২০১৫ সাল থেকে এই শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। কিন্তু নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার তেমন ভাবে সমাধানের পথে হাঁটেনি। আবার ২০২০ সালে হাইকোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিলে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া হয় ২০২৩ সালে। এরপর মামলা যায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। ফলে এইরকম ভাবে মামলা আটকে ছিল। 

    গত ২৮ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “উচ্চ প্রাথমিকে নতুন করে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC)। তার ভিত্তিতে তারা কাউন্সিলিং করে চাকরিতে নিয়োগ করতে পারবে।” ওই রায়ের ফলে প্রায় ৮ বছর পরে ১৪,০৫২ পদে নিয়োগ শুরু করেছিল এসএসসি। 

    সংরক্ষণ না মানার অভিযোগ

    কিন্তু, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করা হয়েছিল। ওই নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী, এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। তফশিলি জাতি এবং জনজাতি সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। একইভাবে মহিলা সংরক্ষণ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে কমিশনের বিরুদ্ধে। ফলে, ফের একবার অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পায়। 

    আরও পড়ুনঃ দানা’র দাপটে উত্তাল দিঘা-মন্দারমণি, ভোর-রাত থেকেই নাগাড়ে বৃষ্টি কলকাতায়

    ২১ নভেম্বরের মধ্যে নিয়োগ করবে

    কিন্তু, শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এই মামলা খারিজ করে দিয়েছে। অবশেষে ৯ বছর পর এই জটিলতার অবসান হতে চলেছে। এবার আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে ১৪,০৫২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে হবে আদালত নির্দেশ দিয়েছে। তবে কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ১৪,৩৩৯। প্রায় ৯ বছর পর চাকরির আশা দেখছেন প্রার্থীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justice Sanjiv Khanna: দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন সঞ্জীব খান্না, শপথ নেবেন ১১ নভেম্বর

    Justice Sanjiv Khanna: দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন সঞ্জীব খান্না, শপথ নেবেন ১১ নভেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন সঞ্জীব খান্না (Justice Sanjiv Khanna)। প্রসঙ্গত, আগামী ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি (CJI) ডিওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নিচ্ছেন। সূত্রের খবর, ঠিক এর পরের দিনই, ১১ নভেম্বর শীর্ষ আদালতের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। গতকাল বৃহস্পতিবারই, তাঁর নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সমাজমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল।

    আইনমন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়

    আগেই দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার (Justice Sanjiv Khanna) নাম প্রস্তাব করেছিলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকে নিজের উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করে পাঠান তিনি। সেই সময়ই জানা যায়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নাম প্রস্তাব করেছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

    আগামী বছরের ১৩ মে অবসর নেবেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না 

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি খান্না (Justice Sanjiv Khanna) ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার আগে অবশ্য তিনি কোনও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন না। এবার তিনিই শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন। তবে তাঁর কাজের মেয়াদ হবে ছ’মাস। আগামী বছরের ১৩ মে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা। ৩৭০ ধারা বিলোপ, নির্বাচনী বণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার বেঞ্চের সদস্য ছিলেন তিনি।

    বিচারপতি খান্না (Justice Sanjiv Khanna) আইন পেশায় যোগদান করেন ১৯৮৩ সালে

    জানা যায়, ফৌজদারি আইন বিষয়ে খুবই অভিজ্ঞ বিচারপতি খান্না দীর্ঘদিন আয়কর বিভাগ এবং দিল্লি সরকারের স্থায়ী আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। বিচারপতি খান্না আইন পেশায় যোগদান করেন ১৯৮৩ সালে। প্রথমে, দিল্লির নিম্ন আদালতে আইনজীবী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। বিচারপতি খান্নার আরও একটি পরিচয় হল, তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি হংসরাজ খান্নার ভাইপো। তাঁর পিতা দেবরাজ খান্না দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: বড় দুর্নীতি, পিছিয়ে গেল পার্থর জামিন মামলা! ইডির কাছে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    SSC Scam: বড় দুর্নীতি, পিছিয়ে গেল পার্থর জামিন মামলা! ইডির কাছে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ২০২২ সাল থেকে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বারবার তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করেছে আদালত। এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় ইডির কাছে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের কাছে সময় চেয়েছে ইডি। তার জন্য এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে শুনানি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি সিটি রবি কুমার এবং বিচারপতি উজ্জল ভুয়ানের বেঞ্চ কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থার কাছে হলফনামা চায়। 

    পিছিয়ে গেল শুনানি

    নিয়োগ-দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ২০২২ সালে পার্থকে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করেছিল ইডি। ওই মামলায় জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। সেই শুনানিতেই বৃহস্পতিবার ইডির আইনজীবী এসভি রাজু এই জামিনের বিরোধিতা করেন। সেই সঙ্গে তিনি এও দাবি করেন, এটি একটি বড় দুর্নীতির মামলা। এর পরেই ইডির কাছে হলফনামা চেয়েছে শীর্ষ আদালত। ইডি হলফনামা দেওয়ার জন্য সময় চাইলে এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি। 

    আরও পড়ুন: ‘মানবতা-বিরোধী অপরাধ’! হাসিনা-সহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি বাংলাদেশে

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ-দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থর (Partha Chatterjee) বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। পার্থর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি।  টালিগঞ্জের ‘ডায়মন্ড সিটি’ আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে, বেলঘরিয়ার ‘ক্লাব টাউন হাইট্‌স’ আবাসনে অর্পিতার নামে থাকা দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে মোট ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করে ইডি। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ। ইডির পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইও অভিযোগ আনে। দুই মামলাই এখনও বিচারাধীন। ইতিমধ্যে বহু বার জামিনের আবেদন করেছেন পার্থ। কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 6A Of The Citizenship Act: নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট

    6A Of The Citizenship Act: নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার (6A Of The Citizenship Act) সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার এই রায় দিল শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা।

    সাংবিধানিক বেঞ্চে দ্বিমত (6A Of The Citizenship Act)

    প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়-সহ চার বিচারপতি এই ধারার সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিলেও, দ্বিমত পোষণ করেন সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি পারদিওয়ালা। ৬-এ ধারাকে তিনি ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দেন। এদিন রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, অসম চুক্তি মেনে অবৈধ অভিবাসনের সমস্যার এটি একটি রাজনৈতিক সমাধান। বেআইনি অনুপ্রবেশ সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানসূত্র অসম চুক্তি। সেই চুক্তি সূত্রে নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার যৌক্তিকতা রয়েছে বলে রায় আদালতের। স্থানীয় জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে ও ভারসাম্য বজায় রাখতে এমন ধারা তৈরি করার আইনি ক্ষমতা সংসদীয় ব্যবস্থার রয়েছে।

    ৬-এ ধারা

    ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে ভিত্তি করে প্রয়োগ করা হয় ৬-এ ধারাটির। ওই দিনই শেষ হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ। তাই ওই ধারাটিকে বাংলাদেশ যুদ্ধের প্রেক্ষিতেই দেখতে হবে। সেই কারণে ওই তারিখটিকে ভিত্তি করে ধারাটির প্রয়োগ যথাযথ বলে অভিমত শীর্ষ আদালতের। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারির আগে যারা অসমে এসেছে, তাদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে ধরতে হবে। ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্যে যারা এসেছে, তারা অন্যান্য যোগ্যতা পূরণ করতে পারলে ভারতীয় নাগরিকত্ব চাইতে পারেন। কিন্তু ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরে আসা সবাইকেই বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে আটক করে ফেরত পাঠাতে হবে বাংলাদেশে।

    আরও পড়ুন: যত নষ্টের গোড়া ট্রুডো! নিজ্জর খুনে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা ভারতের

    অসমের জন্যই ৬-এ ধারা

    কেবলমাত্র অসম রাজ্যের জন্যই নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারাটি তৈরি করা হয়েছিল। অসমে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পরে ১৯৮৫ সালে ভারত সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে হওয়া অসম চুক্তির অঙ্গ হিসেবে নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা তৈরি করা হয়েছিল। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর যেসব বাংলাদেশি অসমে অনুপ্রবেশ করেছে, তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশে রূপান্তরিত হওয়ার পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ঘোষণা করেছিলেন, ১৯৭১ এর পর দেশ ছেড়ে যাওয়া সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। সেই জন্যই ৬-এ ধারায় ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে বেছে নেওয়া হয়েছে (Supreme Court)। কারণ (6A Of The Citizenship Act) বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ।

    সুপ্রিম কোর্টে আবেদন

    অসমে অবৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত ওই ধারা অসাংবিধানিক বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে মোট ১৭টি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। সেগুলিই একত্রিত করে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শুরুতে। আবেদনকারীদের বক্তব্য, অসম চুক্তিকে ২৫৩ ধারার অধীনে বৈধতা দিতে কোনও পদক্ষেপ করেনি সংসদ। তাই অসম চুক্তিরই বৈধতা নেই। কিন্তু এদিন কেন্দ্রের আবেদন মেনে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ সায় দিয়েছে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে সময়সীমা ধার্য করার ব্যবস্থাকেই।

    অসম চুক্তি

    অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন শুরু হয় অসমে। আন্দোলনে ইতি টানতে ১৯৮৫ সালে হয় অসম চুক্তি। চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় আন্দোলনকারী ও ভারত সরকারের মধ্যে। এই অসম চুক্তিরই অঙ্গ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা। এই ধারা অনুযায়ীই ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত অসমে অনুপ্রবেশ করা বাংলাদেশিদের ভারতীয় নাগরিকত্বের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলাদেশের সঙ্গে অসমের সীমান্তের দৈর্ঘ্য অনেক বেশি। অন্যান্য সীমান্তবর্তী রাজ্যের তুলনায় অসমে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা স্থানীয় জনগণের চেয়ে বেশি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অসমে মোট জমির পরিমাণ পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে কম। তাই পশ্চিমবঙ্গে ৫৭ লাখ অনুপ্রবেশকারী থাকলেও, অসমে ৪০ লাখ অনুপ্রবেশকারীর জন্য ওই ধারার প্রয়োগ যথাযথ, অভিমত আদালতের।

    আবেদনকারীদের অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, আবেদনকারীদের অভিযোগ, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করছে। ওই ধারা অনুযায়ী, অসমে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিকেই প্রমাণ করতে হয় তিনি ভারতীয় নাগরিক। ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায় সাম্যের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এই ধারা অনুয়ায়ী, দেশি, বিদেশি কিংবা অ-নাগরিক হয়েও যদি কেউ ভারতে বাস করেন, তিনিও সংবিধানে বর্ণিত সাম্যের অধিকার ভোগ করবেন। সুপ্রিম কোর্টের সাফ কথা, শরণার্থীদের আশ্রয়ের প্রসঙ্গ নয়, এ ক্ষেত্রে বিচার করা হয়েছে (Supreme Court) নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টির সাংবিধানিক বৈধতা (6A Of The Citizenship Act)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CJI DY Chandrachud: অবসর নেবেন চন্দ্রচূড়, উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি

    CJI DY Chandrachud: অবসর নেবেন চন্দ্রচূড়, উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময় ঘনিয়ে আসছে অবসর গ্রহণের। তার আগে প্রথা মেনে নিজের উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার (Sanjiv Khanna) নাম প্রস্তাব করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রককে চিঠিও দিয়েছেন চন্দ্রচূড়।

    বিচারপতি খান্না (CJI DY Chandrachud)

    ১০ নভেম্বর অবসর নেবেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি অবসর নেওয়ার পর দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন বিচারপতি খান্না। খান্নার কার্যকালের মেয়াদ খুবই অল্প সময়ের। ২০২৫ সালের ১৩ মে অবসর নেবেন তিনি। দিল্লির জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন খান্না। পরে হন দিল্লি হাইকোর্টের আইনজীবী। ২০০৪ সাল পর্যন্ত আয়কর বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন তিনি। পরের (CJI DY Chandrachud) বছরই নিযুক্ত হন দিল্লি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে। স্থায়ী বিচারপতি হন ২০০৬ সালে। ২০১৯ সালে হন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। ৩৭০ ধারা বিলোপ কিংবা নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের অন্যতম সদস্য ছিলেন বিচারপতি খান্না। তিনি সেই ব্যতিক্রমী কয়েকজন বিচারপতির অন্যতম, যাঁরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি না হয়েও, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছেন।

    কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন চন্দ্রচূড়

    সাধারণত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি অবসর গ্রহণ করলে সেই পদে বসেন শীর্ষ আদালতের প্রবীণতম বিচারপতি। তবে রীতি অনুযায়ী, উত্তরসূরির নাম জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি। গত সপ্তাহেই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করার আর্জি জানিয়ে চন্দ্রচূড়কে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক। সেই চিঠির প্রেক্ষিতেই বিচারপতি খান্নার নাম জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন চন্দ্রচূড়।

    আরও পড়ুন: যত নষ্টের গোড়া ট্রুডো! নিজ্জর খুনে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা ভারতের

    ১০ তারিখে অবসর নেবেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তার পরের দিনই প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন বিচারপতি খান্না। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রধান বিচারপতি হিসেবে চন্দ্রচূড়ের কার্যকাল ছিল দু’বছরের। সেই জায়গায় ওই পদে বিচারপতি খান্নার (Sanjiv Khanna) মেয়াদ হবে মাত্রই কয়েকটা মাসের (CJI DY Chandrachud)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ঘুচল অন্ধত্ব, হাতে তরোয়ালের জায়গায় সংবিধান, নব কলেবরে ‘লেডি অফ জাস্টিস’

    Supreme Court: ঘুচল অন্ধত্ব, হাতে তরোয়ালের জায়গায় সংবিধান, নব কলেবরে ‘লেডি অফ জাস্টিস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাপড়ের ফেট্টি দিয়ে চোখ বাঁধা। ডান হাতে দাঁড়িপাল্লা। বাঁ হাতে ধরা তরোয়াল। এতদিন ‘লেডি অফ জাস্টিসে’র (Lady Of Justice Statue) এই ছবিই দেখা গিয়েছে সর্বত্র (Supreme Court)। চির-চেনা এই ছবিটাই এবার গেল বদলে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের লাইব্রেরিতে বসানো হল ‘লেডি অফ জাস্টিসে’র নয়া মূর্তি। এই মূর্তির চোখ খোলা। ডান হাতে দাঁড়িপাল্লা ধরা রইলেও, বাঁ হাতে তরোয়ালের জায়গায় ধরা সংবিধান। লেডি অফ জাস্টিসের এই নয়া মূর্তি দেখলে আর কেউ বলতে পারবে না আইন ‘অন্ধ’, বরং খোলা চোখে সংবিধান মেনে তুল্যমূল্য বিচার করে আদালত।

    ‘লেডি অফ জাস্টিসে’র মূর্তি (Supreme Court)

    জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশে বদলে গিয়েছে ‘লেডি অফ জাস্টিসে’র মূর্তি। প্রধান বিচারপতি এর মাধ্যমে এই বার্তা দিতে চেয়েছেন, আইনের চোখ বাঁধা নয়। বরং আদালত সকলকে সমদৃষ্টিতে দেখে বিচার করে। ‘লেডি অফ জাস্টিসে’র বাঁ হাতে ধরা তরোয়ালের পরিবর্তে সংবিধান রাখার (Supreme Court) ক্ষেত্রেও কাজ করছে এই যুক্তি। তরোয়ালটি হিংসার দ্যোতক। প্রধান বিচারপতির বার্তা, আইনের চোখে হিংসার কোনও স্থান নেই। বরং আদালত বিচার করে সংবিধান অনুযায়ী, রায়ও দেয় সেই মতো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তরোয়ালের পরিবর্তে ‘লেডি অফ জাস্টিসে’র হাতে সংবিধান রেখে এই বার্তাও দেওয়া হয়েছে, দেশের আইন কেবল শাস্তির প্রতীক নয়, বরং ন্যায় বিচারের প্রতীক।

    হাতে ধরা দাঁড়িপাল্লা

    ‘লেডি অফ জাস্টিসে’র পুরানো মূর্তির ডান হাতে আগে যেমন দাঁড়িপাল্লা ছিল, নয়া মূর্তিতেও তেমনই রয়েছে। তাতে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। এই দাঁড়িপাল্লা সমাজের ভারসাম্যের প্রতিফলন ঘটায়। বাদী ও বিবাদী উভয়পক্ষের যুক্তি শুনে বিচার করে আদালত। পাল্লা কোনও একদিকে ঝুঁকে থাকে না। আইন যে নিরপেক্ষভাবে বিচার করে, এই ছবি তারই প্রতিফলন। 

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে দাঁড়িয়েই সন্ত্রাসবাদকে নিশানা করলেন জয়শঙ্কর

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রধান বিচারপতির এই পদক্ষেপে দেশের গা থেকে ঔপনিবেশিকতার গন্ধ মুছতে চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ ব্যবহার করতে শুরু করেছেন, যেভাবে ভারতীয় দণ্ডবিধির বদলে ন্যায় সংহিতা চালু করা হয়েছে, তেমনই (Supreme Court) বদলে ফেলা হল ‘লেডি অফ জাস্টিসে’র মূর্তি (Lady Of Justice Statue)।

    ক্রমেই ‘বিকশিত’ হচ্ছে ভারত!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: কোন প্রক্রিয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ? রাজ্যের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: কোন প্রক্রিয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ? রাজ্যের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের ভূমিকা নিয়ে। মূল অভিযুক্ত হিসেবে তাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। এবার কোন পদ্ধতিতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়, তা জানতে চাইলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

    কী কী জানতে চাইল কোর্ট? (Supreme Court)

    আরজি করের নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে খুনের মতো বীভৎস কাজ একজন সিভিক যে একা করতে পারে, তা মানতে নারাজ অনেকেই। বারবার সুর চড়িয়েছেন ডাক্তাররা। প্রশ্ন তুলেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। সন্দেহ দানা বেঁধেছে নাগরিক মহলের বড় অংশের মধ্যে। কিন্তু, কিছুদিন আগেই সদ্য জমা দেওয়া চার্জশিটে ধৃত সিভিককেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখিয়েছে সিবিআই। এরই মধ্যে এবার সিভিকদের নিয়ে কৌতূহলী হতে দেখা গেল দেশের শীর্ষ আদালতকে (Supreme Court)। রাজ্যে কত সংখ্যক সিভিক ভলান্টিয়ার আছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। অভিযুক্তকেই বা কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ করা হয়, জানতে চান তিনি। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের আইনি অধিকার কার, সিভিক ভলান্টিয়ারের যোগ্যতা, কোন কোন প্রতিষ্ঠানে তাঁদের ডিউটি দেওয়া হয়, দৈনিক নাকি মাসিক টাকা পান তাঁরা, এর বাজেটই বা কোথা থেকে আসে ইত্যাদি নানান প্রশ্ন। কোন পদ্ধতিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়, সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগকারী কে, কোন আইন বলে নিয়োগ করা হয়, মোট কত সিভিক ভলান্টিয়ার আছে, কোথায় কোথায় তাদের নিয়োগ করা হয়েছে, কীভাবে তাদের ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে। এদিনই এমনই নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

    আরও পড়ুন: ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    সিভিকদের ডিউটিতে নিষেধাজ্ঞা!

    হাসপাতাল এবং স্কুলের মত সংবেদনশীল জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা যাবে না। এই নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন আদালতে পঞ্চম স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বেশ কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নিয়মিত নির্যাতিতার অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান সলিসিটর জেনারেল। আরও কিছু জায়গা থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়েও তদন্ত চলছে বলে জানান। রাজ্য জানায়, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজ প্রায় ৯৮ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। যে টুকু কাজ বাকি রয়েছে, তা শেষ হবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। যদিও রাজ্য সঠিক তথ্য দিচ্ছে না, কাজ শুরু হলেও, এখনও প্রায় কিছুই হয়নি বলে দাবি করেন আইনজীবী করুণা নন্দী। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

    রাত্রের সাথি প্রকল্পে সিভিক নিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ

    এরই মধ্যে রাত্রের সাথি প্রকল্পে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ (Supreme Court) করতে দেখা যায় আইনজীবী করুণা নন্দীকে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রকল্পে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, সবটাই নিয়ম মেনে হয়েছে। প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সিস রেগুলেশন অ্যাক্ট, ২০০৫ এর ক্ষমতাবলেই চলেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share