Tag: Supreme court

Supreme court

  • RG Kar: সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ল সিবিআই স্টেটাস, জাতীয় টাস্ক ফোর্স নিয়ে রিপোর্ট

    RG Kar: সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ল সিবিআই স্টেটাস, জাতীয় টাস্ক ফোর্স নিয়ে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর দুদিন আরজি কর (RG Kar) মামলা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। অবশেষে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি শেষ হল। আগামী ১০ নভেম্বর অবসর নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। অর্থাৎ তিনি আর এই মামলার শুনানি করবেন না। পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এই মামলার শুনানি হবে। 

    সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ (RG Kar)

    হাসপাতাল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলানোর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। নির্দেশ মেনে সেই প্রশ্নের জবাব হলফনামা আকারে জমা দিয়েছে রাজ্য। যদিও বিষয়টি বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য ওঠেনি। আদালতে এদিন রাজ্যের তরফে উপস্থিত ছিলেন কপিল সিব্বল। তিনি দ্রুত তদন্ত এবং দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করার আর্জি জানান। আদালতে এদিন দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর চিকিৎসকদের আইনজীবী তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ৯০ দিন ধরে তদন্ত (RG Kar) চলছে, কিন্তু কিছু হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর পাল্টা প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর্যাপ্ত ক্ষমতা রয়েছে নিম্ন আদালতের। যদি তথ্যপ্রমাণ দেখে তাঁদের মনে হয়, তেমন নির্দেশ দিতে পারেন তাঁরা।” পাশাপাশি,  আদালতে এদিন সিবিআইয়ের ষষ্ঠ স্টেটাস রিপোর্ট জমা পড়ে। রিপোর্টে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে কী জানিয়েছে, তা যদিও খোলসা করেনি আদালত। তবে, ঘটনা নিয়ে সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সপ্তম স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে আগামী চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন হাসিনার, কৌশলী বার্তা আওয়ামী লিগের

    জাতীয় টাস্ক ফোর্স নিয়ে রিপোর্ট পেশ

    রাজ্যের বাইরে আরজি কর (RG Kar) মামলার বিচারপ্রক্রিয়া সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে আবেদন জমা পড়ে আদালতে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, রাজ্যের বাইরে বিচার প্রক্রিয়া সরিয়ে নিয়ে গেলে, নিম্ন আদালতের কার্যক্রম নিয়ে সন্দেহের পরিবেশ তৈরি হবে। বৃহস্পতিবার আদালতে জাতীয় টাস্ক ফোর্স নিয়ে রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকারও। দু’টি ক্যাটেগরিতে টাস্ক ফোর্সের অন্তর্বর্তী রিপোর্ট পেশ করা হয়। যৌন হিংসা ও শারীরিক হিংসা বন্ধের প্রস্তাব পেশ করা হয় রিপোর্টে। সমস্ত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলি যাতে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে, তা বলা হয়। সমস্ত কৌঁসুলি, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের কাছে রিপোর্টের কপি পাঠাতে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি জানান, রাজ্যের সচিবরা রিপোর্ট নিয়ে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি করতে বলা হয়। কী ভাবে একটি স্বাধীন নজরদারি ব্যবস্থা ভারতজুড়ে প্রয়োগ করা যায়, তা নিয়ে মতামতও চান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jet Airways: জেট এয়ারওয়েজের ওড়ার স্বপ্ন শেষ, সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ শীর্ষ আদালতের 

    Jet Airways: জেট এয়ারওয়েজের ওড়ার স্বপ্ন শেষ, সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ শীর্ষ আদালতের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর আকাশ ছোঁয়া হবে না জেট এয়ারওয়েজের (Jet Airways)। বৃহস্পতিবার দেশের এক সময়ের অন্যতম বড় বিমান সংস্থা জেট এয়ারওয়েজের সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত এদিন জানিয়ে দেয়, এছাড়া আর রাস্তা নেই। সংবিধানে উল্লিখিত ১৪২ ধারা প্রয়োগ করে জেটের সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Supreme Court)। ঝুলে থাকা ওই মামলায় ‘সম্পূর্ণ ন্যায়’ যাতে মেলে, তার জন্যই সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগ করেছে আদালত।

    শীর্ষ আদালতের নির্দেশ

    গত বছর জুলাই মাসে এয়ার অপারেশন সার্টিফিকেট পেয়েছিল জেট এয়ারওয়েজ (Jet Airways)। ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালের তরফে এর আগে বিমান সংস্থাকে পুনরুজ্জীবনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ না করলেও, যাতে মালিকানা হস্তান্তর করা যায়, তার স্বপক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালের সেই সিদ্ধান্ত এদিন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল, তা প্রয়োগ করা যেহেতু আর সম্ভব নয়, তাই সম্পত্তি বিক্রিতে বিনিয়োগকারীদেরও রাখতে হবে, শেষ অবলম্বন হিসেবে। বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক-সহ যারা সংস্থাকে ঋণ দিয়েছিল, তাদেরও এতে যুক্ত করতে বলেছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে চালু হয়েছিল জেট এয়ারওয়েজ। বিগত কয়েক দশকে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল এই উড়ান সংস্থা। ২০১৯ সালে যাত্রী পরিষেবা বন্ধের আগে ৬৫টি ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক রুট বিমান চালাত সংস্থাটি।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দুর্নীতি! হাইকোর্টে ব্যর্থতা মেনে নিল রাজ্য

    কেন এই অবস্থা

    প্রসঙ্গত, জেট এয়ারকে (Jet Airways) ফের আকাশে ওড়াতে ৪৭৮৩ কোটির প্যাকেজের দর হেঁকেছিল জালান-কালরক কনসোর্টিয়াম। পাঁচ বছরে দফায় দফায় সেই টাকা দেওয়ার কথা ছিল জালান-কালরকের। এদিকে এসবিআই-এর নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম জানায়, জালান-কালরকের সেই দর গৃহীত হওয়ার দুই বছর পরও প্রথম দফার ৩৫০ কোটি পায়নি তারা। পরে সেই মামলা গড়িয়েছিল আদালতে। এরই মাঝে গত মার্চ মাসে ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল নির্দেশ দিয়েছিল, পারফরম্যান্স ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি বাবদ ১৫০ কোটি টাকা দিতে হবে জালান-কালরক কনসোর্টিয়ামকে। আর ৯০ দিনের মধ্যে সম্পত্তি হস্তান্তরেরও নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইবুনাল। তবে ট্রাইবুনালের নির্দেশ খারিজ করে দিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, জেট এয়ারওয়েজের লিকুইডেশন করতে হবে এবং সম্পত্তি নিলাম করে দিতে হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে একদিন পিছিয়ে গেল আরজি কর মামলা, শুনানি হবে বুধবারই

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে একদিন পিছিয়ে গেল আরজি কর মামলা, শুনানি হবে বুধবারই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই মামলা পিছিয়ে গেল। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধবার সকালে মামলাটি শুনবেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ।

    বুধবার প্রথম শুনানি আরজি কর মামলার! (Supreme Court)

    মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্দেশনামা দিয়ে জানিয়েছে, বুধবার শুনানির তালিকায় প্রথম থাকবে আরজি কর মামলা। অর্থাৎ, বুধবার আদালত বসলে সবার প্রথম এই মামলাটি শুনানির জন্য ডাকা হবে। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক-পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই কাণ্ডে দু’টি বিষয়ে মামলা চলছে। একটি হল, মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের মামলা। অন্যটি আর্থিক দুর্নীতির মামলা। এই দু’টিরই তদন্ত করছে সিবিআই। মঙ্গলবার ওই দু’টি বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    শেষ বার আরজি কর মামলা শুনতে চলেছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচৃড়!

    ১০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করবেন চন্দ্রচূড়। আগামী ৯ এবং ১০ তারিখ যথাক্রমে শনি ও রবিবার হওয়ায় শুক্রবারই শেষ বারের মতো তাঁর বেঞ্চ বসবে। সেই হিসেবে দেখলে, বুধবারই শেষ বার আরজি কর মামলা শুনতে চলেছেন প্রধান বিচারপতি, যদি না বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারও মামলা শুনতে চান তিনি। উল্লেখ্য, আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর প্রধান বিচারপতিই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা গ্রহণ করেছিলেন। বুধবার সেই মামলা শুনতে চলেছে তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে।

    হলফনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল কার?

    সিবিআইয়ের পাশাপাশি হলফনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারেরও। হাসপাতাল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলানোর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগকে ‘রাজনৈতিক স্বজনপোষণের সুন্দর পন্থা’ আখ্যা দিয়ে আগের শুনানিতে ছ’টি প্রশ্ন তুলেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই প্রশ্নগুলির জবাব মঙ্গলবার হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের। আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি পুনর্গঠন করছে তারা। সেই ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে অনলাইনে ওপিডি টিকিট বুকিং, ই-প্রেসক্রিপশন, অনলাইন রেফারেল সিস্টেম। সেই প্রক্রিয়া কত দূর এগোল, তাও মঙ্গলবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে জানানোর কথা ছিল রাজ্য সরকারের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    RG Kar: ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল, স্কুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলিতে কীভাবে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হত? আরজি কর (RG Kar) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। গত শুনানিতেই রাজ্যের কাছে এনিয়ে হলফনামা তলব করেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই শুনানিতে রাজ্যের কাছে নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। এগুলি হল- সিভিক ভলান্টিয়ারদের কীভাবে নিয়োগ করা হয়? তাঁদের যোগ্যতার মান কী? কী পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়?  তাঁদের আগে কোনও অপরাধের ইতিহাস রয়েছে কি না, তা কীভাবে যাচাই করা হত? ইত্যাদি। এনিয়ে এদিন হলফনামা জমা করে রাজ্য। সেখানেই দেখা যাচ্ছে ধৃতকে নিয়োগ করেছিলেন খোদ পুলিশ সুপারই। রাজ্যের তরফে বলা হয়, সিভিক নিয়োগে রয়েছে কমিটি। কমিশনারেট এলাকায় সেই কমিটির প্রধান পুলিশ কমিশনার। জেলাস্তরে কমিটির চেয়ারম্যান হন পুলিশ সুপার। এছাড়া রাজ‍্য স্তরে ডিজি, আইজিপি’কে শীর্ষে রেখে রয়েছে অ‍্যাপেক্স কমিটি।

    উঠছে প্রশ্ন (RG Kar) 

    রাজ্যের জমা দেওয়া এই হলফনামা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। নিয়োগের এত কমিটি, এত ধাপ থাকা সত্ত্বেও ধৃতদের মতো সিভিক ভলান্টিয়ার কীভাবে নিয়োগ পেল? কারণ নিয়ম বলছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের স্থানীয় থানারই বাসিন্দা হতেই হবে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা জনিত কোনও কাজে সিভিকদের ব‍্যবহার করা হয় না। আরও নিয়ম হল, রাজ‍্যের কোনও থানায় সিভিক প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকা যাবে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক অভিযোগ ছিল। সেকথা তার পরিবারের সদস্যরাও জানিয়েছেন। তারপরও কীভাবে নিয়োগ করা হল এমন একজন অপরাধীকে? এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    সুপ্রিম শুনানি (RG Kar) হল না আজ মঙ্গলবার

    অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আজ মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানি হল না। প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবন যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধান বিচারপতির। আর সেই কারণেই শুনানি এদিন পিছিয়ে দেওয়া হয় আরজি কর মামলার। তবে, রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতে সিভিকদের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে হলফনামা (RG Kar)  জমা করেছে মঙ্গলবার। সেখানেই এই কথা উঠে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sanjiv Khanna: ছেলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হোক চাইতেন হবু প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বাবা-মা!

    Sanjiv Khanna: ছেলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হোক চাইতেন হবু প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বাবা-মা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা-মা চেয়েছিলেন ছেলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হোক। কারণ তাঁরা মনে করতেন, আইনজীবীর পেশা চ্যালেঞ্জ ও কষ্টে ভরা। ছেলের দু’চোখে অবশ্য অন্য স্বপ্ন। কালো গাউন পরে সওয়াল করছেন কোনও বিচারপ্রার্থীর হয়ে! শেষমেশ জয় হয়েছিল ছেলের ইচ্ছে শক্তির। আইনজীবী হিসেবেই পেশা শুরু করেছিলেন। তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি (CJI)। তিনি সঞ্জীব খান্না। ১১ নভেম্বর শপথ নেবেন তিনি।

    কাকার প্রেরণাতেই আইনি পেশায় আসা (Sanjiv Khanna)

    তাঁর কাকা এইচআর খান্না ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। মূলত কাকার অনুপ্রেরণাতেই পেশা হিসেবে আইনকেই বেছে নেন সঞ্জীব। সঞ্জীবের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, তিনি (সঞ্জীব) সবসময় তাঁর কাকাকে আদর্শ মানতেন। তাঁর কাজ গভীর মনোযোগ সহকারে অনুসরণ করতেন। এটি কেবল আইনেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বিচারপতি এইচআর খান্না শুধু তাঁর নিজের নয়, পরিবারের অন্য সদস্যদেরও জুতো পালিশ করতেন। তিনি নিজের কাপড়ও নিজেই ধুতেন। সঞ্জীব বিচারপতি এইচআর খান্নার সমস্ত রায়, নোট, রেজিস্টার সংরক্ষণ করেছেন বলেও জানা গিয়েছে। অবসর নেওয়ার পর এগুলি তিনি সুপ্রিম কোর্টের গ্রন্থাগারে দান করতে চান সঞ্জীব।

    স্মৃতিমেদুর সঞ্জীব

    ২০১৯ সালে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে তাঁর প্রথম দিন কাটিয়েছিলেন সেই আদালত কক্ষে, যেখানে তাঁর কাকা বসে কাজ করেছিলেন। বিচারপতি এইচআর খান্নার প্রতিকৃতি সেই কক্ষে রয়েছে। তবে সঞ্জীব (Sanjiv Khanna) সেখানে কখনও নিজের ছবি তোলেননি। অবসর নেওয়ার আগে তিনি তা করতে পারেন বলেই অনুমান তাঁর পরিবারের। ১৩ মে ২০২৫ সালে অবসর নেওয়ার কথা সঞ্জীবের। দেশের হবু প্রধান বিচারপতি সঞ্জীবের মা সরোজ খান্না লেডি শ্রীরাম কলেজের লেকচারার ছিলেন। তাঁর বাবা দেবরাজ খান্না ছিলেন আইনজীবী। পরে তিনি হয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: “আমি ক্ষমতায় থাকলে…’’, বাংলাদেশে হিন্দু নিধন নিয়ে সরব ট্রাম্প, দিলেন ‘বন্ধু’ মোদিকে বিশেষ বার্তা

    ১৯৭৬ সালে হেবিয়াস কর্পাস মামলায় বিচারপতি এইচআর খান্না ভিন্নমত প্রদর্শন করে রায় দিয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালের জানুয়ারিতে যখন ইন্দিরা গান্ধীর সরকার (Sanjiv Khanna) বিচারপতি এমএইচ বেগকে দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) হিসেবে নিয়োগ করেন, তখন পদত্যাগ করেন বিচারপতি এইচআর খান্না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • DY Chandrachud: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    DY Chandrachud: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংবিধানিক আদালতের বিচারপতিদের এবং প্রশাসনিক প্রধানদের যথেষ্ট ম্যাচুউরিটি রয়েছে, যা বিচারবিভাগীয় বিষয়গুলোকে যে কোনও আলোচনার আওতার বাইরে দৃঢ়ভাবে রাখতে পারে।” গণেশপুজো বিতর্কে (Ganpati Puja Row) এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। তিনি বলেন, “বিচারবিভাগ ও এক্সিকিউটিভ বিভাগের মধ্যে যখন আলাপচারিতা হয়, তখন এটি এমন একটি ধারণার সৃষ্টি করে যে মনে হয় যেন চুক্তি করা হচ্ছে।”

    বিতর্কের সূত্রপাত (DY Chandrachud)

    বিতর্কের সূত্রপাত গণেশ পুজোর দিন। সেদিন চন্দ্রচূড়ের বাসভবনে গণেশ পুজো উপলক্ষে আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী সেই ছবি পোস্ট করেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তাঁকে চন্দ্রচূড় ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা দাসের সঙ্গে পুজায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। এর পরেই গেল গেল রব তোলে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, এতে বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার জবাব দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির মনে করিয়ে দেয় ২০০৯ সালের এক ইফতার পার্টির কথা। ওই পার্টিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণে যোগ দিয়েছিলেন সেই সময় দেশের প্রধান বিচারপতি কেজি বালকৃষ্ণণ। জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ংও। এবার মুখ খুললেন খোদ প্রধান বিচারপতি।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    তিনি বলেন, “এ ধরনের সাক্ষাৎগুলো নিয়মিত এবং এতে বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্তের পরিবর্তে পরিকাঠামো সম্পর্কিত বিষয়গুলি আলোচনায় আসে।” চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) বলেন, “মানুষ মনে করে যে কিছু চুক্তি হচ্ছে, কিন্তু তা আদৌ সত্য নয়। এটি সরকারের বিভিন্ন শাখার মধ্যে শক্তিশালী আলোচনার অংশ। তিনটি শাখার কাজ জাতির উন্নতির জন্যই নিবেদিত।”

    আরও পড়ুন: “বিকশিত ভারতের জন্যই প্রয়োজন বিকশিত মহারাষ্ট্রের”, বললেন জয়শঙ্কর

    তিনি বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। রাজনৈতিক প্রশাসকরা তাঁদের দায়িত্ব কী, তা জানেন। কোনও বিচারক, বিশেষ করে ভারতের প্রধান বিচারপতি বা প্রধান বিচারকরা, বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার প্রতি কোনও হুমকিই গ্রাহ্য করেন না।” প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) বলেন, “আপনি কখনওই জুডিশিয়াল আলোচনা করার জন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন না। আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থার (Ganpati Puja Row) ম্যাচুউরিটি হচ্ছে যে রাজনৈতিক শ্রেণিতেও বিচার বিভাগের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sushant Singh Rajput: ৪ বছর পর স্বস্তি রিয়ার, সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় ছাড়পত্র দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Sushant Singh Rajput: ৪ বছর পর স্বস্তি রিয়ার, সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় ছাড়পত্র দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪ বছর পর স্বস্তি পেলেন রিয়া চক্রবর্তী। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু মামলায় রিয়া এবং তাঁর পরিবারের আরও ২ সদস্যকে সম্পূর্ণ ছাড়পত্র দিল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তরুণ অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা বলিউড জগতে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। তবে এই মৃত্যুর মামলায় নাম জড়িয়েছিল অভিনেত্রী রিয়া এবং তাঁর বাবা ও ভাইয়ের।

    নির্দোষ ঘোষণা আদালতের (Sushant Singh Rajput)

    সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু ছিল রহস্যজনক ও আকস্মিক। এই মৃত্যুতে অভিযুক্তের তালিকায় ছিলেন রিয়া, বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী এবং ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। সুশান্তের মৃত্যুর পরে রিয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন মৃত অভিনেতার বাবা। এই অভিযোগের মামলা প্রথম দায়ের হয় পাটনাতে। এরপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের ভার নেয়। তারপর সিবিআইয়ের পক্ষ থেকেও রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। এবার আদালতের নির্দেশে সেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন রিয়া। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভাই এবং কেভি বিশ্বনাথন বিশেষ ছাড়পত্র দিয়েছেন। বিচারপতিদ্বয় তাঁদের পরিবারের দুই সদস্যকে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন। 

    আরও পড়ুনঃ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহারের ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল

    ঘটনা ঘটেছিল ২০২০ সালের মুম্বইতে। বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে রহস্যজনক ভাবে উদ্ধার হয় সুশান্তের (Sushant Singh Rajput) দেহ। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এই মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আঙুল ওঠে বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। যদিও মৃত্যুর মাত্র কিছু দিন আগেও উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছিল। রিয়ার বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। এরপর একমাস কারাবাসে ছিলেন তিনি। তবে মৃত্যু নিয়ে মুম্বই পুলিশ বলেন, “মানসিক অবসাদ থেকে সুশান্ত আত্মহত্যা করেছিলেন।” তবে পরিবারের দাবি এটা আত্মহত্যা নয়, গভীর ষড়যন্ত্র করে খুন করা হয়েছে। দিদি শ্বেতা সিংহ কীর্তি বলেন, “ভাইয়ের মৃত্যু রহস্যে মোড়া।” একইভাবে বলিউডে স্বজন পোষণ বা নেপোটিজেমের বিরুদ্ধে ব্যাপক আলোড়ন হয়। বড় বড় চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং অভিনেতাদের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। একই ভাবে তরুণ অভিনেতা সুশান্তের ভক্তরাও ন্যায় বিচারের দাবিতে প্রচুর পরিমাণে বিক্ষোভ-আন্দোলন করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC: এসএসসিতে ১৪০০০ শিক্ষক নিয়োগে আর বাধা নেই, হাইকোর্টের নির্দেশে সায় সুপ্রিম কোর্টের

    SSC: এসএসসিতে ১৪০০০ শিক্ষক নিয়োগে আর বাধা নেই, হাইকোর্টের নির্দেশে সায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ বছর পর। এসএসসিতে (SSC) ১৪,০০০ শিক্ষক নিয়োগে আর কোনও বাধা রইল না। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) স্পষ্ট জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ওই নিয়োগে সুপ্রিম কোর্ট কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবে না। এই রায়ে চাকরি প্রার্থীদের মনে ফের আশার আলো সঞ্চার হয়েছে।

    আবেদন খারিজ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের

    ২০১৫ সাল থেকে এই শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। কিন্তু নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার তেমন ভাবে সমাধানের পথে হাঁটেনি। আবার ২০২০ সালে হাইকোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিলে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া হয় ২০২৩ সালে। এরপর মামলা যায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। ফলে এইরকম ভাবে মামলা আটকে ছিল। 

    গত ২৮ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “উচ্চ প্রাথমিকে নতুন করে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC)। তার ভিত্তিতে তারা কাউন্সিলিং করে চাকরিতে নিয়োগ করতে পারবে।” ওই রায়ের ফলে প্রায় ৮ বছর পরে ১৪,০৫২ পদে নিয়োগ শুরু করেছিল এসএসসি। 

    সংরক্ষণ না মানার অভিযোগ

    কিন্তু, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করা হয়েছিল। ওই নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী, এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। তফশিলি জাতি এবং জনজাতি সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। একইভাবে মহিলা সংরক্ষণ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে কমিশনের বিরুদ্ধে। ফলে, ফের একবার অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পায়। 

    আরও পড়ুনঃ দানা’র দাপটে উত্তাল দিঘা-মন্দারমণি, ভোর-রাত থেকেই নাগাড়ে বৃষ্টি কলকাতায়

    ২১ নভেম্বরের মধ্যে নিয়োগ করবে

    কিন্তু, শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এই মামলা খারিজ করে দিয়েছে। অবশেষে ৯ বছর পর এই জটিলতার অবসান হতে চলেছে। এবার আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে ১৪,০৫২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে হবে আদালত নির্দেশ দিয়েছে। তবে কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ১৪,৩৩৯। প্রায় ৯ বছর পর চাকরির আশা দেখছেন প্রার্থীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justice Sanjiv Khanna: দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন সঞ্জীব খান্না, শপথ নেবেন ১১ নভেম্বর

    Justice Sanjiv Khanna: দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন সঞ্জীব খান্না, শপথ নেবেন ১১ নভেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন সঞ্জীব খান্না (Justice Sanjiv Khanna)। প্রসঙ্গত, আগামী ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি (CJI) ডিওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নিচ্ছেন। সূত্রের খবর, ঠিক এর পরের দিনই, ১১ নভেম্বর শীর্ষ আদালতের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। গতকাল বৃহস্পতিবারই, তাঁর নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সমাজমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল।

    আইনমন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়

    আগেই দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার (Justice Sanjiv Khanna) নাম প্রস্তাব করেছিলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকে নিজের উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করে পাঠান তিনি। সেই সময়ই জানা যায়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নাম প্রস্তাব করেছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

    আগামী বছরের ১৩ মে অবসর নেবেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না 

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি খান্না (Justice Sanjiv Khanna) ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার আগে অবশ্য তিনি কোনও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন না। এবার তিনিই শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন। তবে তাঁর কাজের মেয়াদ হবে ছ’মাস। আগামী বছরের ১৩ মে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা। ৩৭০ ধারা বিলোপ, নির্বাচনী বণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার বেঞ্চের সদস্য ছিলেন তিনি।

    বিচারপতি খান্না (Justice Sanjiv Khanna) আইন পেশায় যোগদান করেন ১৯৮৩ সালে

    জানা যায়, ফৌজদারি আইন বিষয়ে খুবই অভিজ্ঞ বিচারপতি খান্না দীর্ঘদিন আয়কর বিভাগ এবং দিল্লি সরকারের স্থায়ী আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। বিচারপতি খান্না আইন পেশায় যোগদান করেন ১৯৮৩ সালে। প্রথমে, দিল্লির নিম্ন আদালতে আইনজীবী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। বিচারপতি খান্নার আরও একটি পরিচয় হল, তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি হংসরাজ খান্নার ভাইপো। তাঁর পিতা দেবরাজ খান্না দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: বড় দুর্নীতি, পিছিয়ে গেল পার্থর জামিন মামলা! ইডির কাছে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    SSC Scam: বড় দুর্নীতি, পিছিয়ে গেল পার্থর জামিন মামলা! ইডির কাছে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ২০২২ সাল থেকে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বারবার তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করেছে আদালত। এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় ইডির কাছে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের কাছে সময় চেয়েছে ইডি। তার জন্য এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে শুনানি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি সিটি রবি কুমার এবং বিচারপতি উজ্জল ভুয়ানের বেঞ্চ কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থার কাছে হলফনামা চায়। 

    পিছিয়ে গেল শুনানি

    নিয়োগ-দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ২০২২ সালে পার্থকে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করেছিল ইডি। ওই মামলায় জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। সেই শুনানিতেই বৃহস্পতিবার ইডির আইনজীবী এসভি রাজু এই জামিনের বিরোধিতা করেন। সেই সঙ্গে তিনি এও দাবি করেন, এটি একটি বড় দুর্নীতির মামলা। এর পরেই ইডির কাছে হলফনামা চেয়েছে শীর্ষ আদালত। ইডি হলফনামা দেওয়ার জন্য সময় চাইলে এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি। 

    আরও পড়ুন: ‘মানবতা-বিরোধী অপরাধ’! হাসিনা-সহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি বাংলাদেশে

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ-দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থর (Partha Chatterjee) বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। পার্থর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি।  টালিগঞ্জের ‘ডায়মন্ড সিটি’ আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে, বেলঘরিয়ার ‘ক্লাব টাউন হাইট্‌স’ আবাসনে অর্পিতার নামে থাকা দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে মোট ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করে ইডি। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ। ইডির পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইও অভিযোগ আনে। দুই মামলাই এখনও বিচারাধীন। ইতিমধ্যে বহু বার জামিনের আবেদন করেছেন পার্থ। কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share