Tag: Supreme court

Supreme court

  • Tirupati Laddu: তিরুপতি লাড্ডু বিতর্কে নতুন স্বাধীন সিট গঠনের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

    Tirupati Laddu: তিরুপতি লাড্ডু বিতর্কে নতুন স্বাধীন সিট গঠনের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু (Tirupati Laddu) বিতর্কে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট এই দিনই দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে তিরুপতি লাড্ডু বিতর্কে একটি স্বাধীন স্পেশাল ইনভেন্টিগেশন টিম বা বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হবে। জানা গিয়েছে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো এই এসআইটি-তে সিবিআই থেকে দুইজন তদন্তকারী অফিসার, রাজ্য পুলিশের দুইজন অফিসার এবং ফুড সেফটি এন্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া থেকে একজন আধিকারিক থাকবেন।

    কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?

    শুক্রবার সেই মামলার (Tirupati Laddu) শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বিআর গভাই এবং কেভি বিশ্বনাথন বলেন, ‘‘তিরুপতির (Tirupati Laddu) বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক নাটক একেবারেই কাম্য নয়। গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা কোটি কোটি ভক্তের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে এখানে। এমন গুরুতর অভিযোগে তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে। তাই সওয়াল-জবাব করে আদালতে রাজনৈতিক লড়াইয়ের মঞ্চ করে তোলার কোনও মানে হয় না।’’

    আগে সিট গঠন (Tirupati Laddu) করেছিলেন চন্দ্রবাবু

    উল্লেখ্য, আগেই লাড্ডুতে পশুর চর্বি এবং মাছের তেল ব্যবহারের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবুর নাইডুর সরকার সিট গঠন করে। কিন্তু সেই সিটের তদন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়। শুক্রবার ফের সিট গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট। সিট গঠনের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন চন্দ্রবাবু নাইডু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলে গণ্য করার প্রয়োজন নেই, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

    Supreme Court: বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলে গণ্য করার প্রয়োজন নেই, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈবাহিক ধর্ষণকে (Marital Rape) অপরাধ হিসেবে গণ্য করার জন্য একাধিক আবেদন জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)। এই সমস্ত মামলার বিভিন্ন সময় শুনানিও হয়েছে, শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণও সামনে এসেছে। ঠিক এই আবহে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে হলফনামা জমা দেওয়া হল শীর্ষ আদালতে। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার সাফ জানিয়েছে, ‘ম্যারিটাল রেপ’ বা বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলে গণ্য করার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ হল, ‘‘বিয়ে হওয়ার পর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক থাকবে, এই প্রত্যাশা স্বামীর থাকতেই পারে, তার মানে এই নয় যে স্ত্রীকে কেউ তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করবে। তবে বিবাহিত না হলে ধর্ষণের অভিযোগে যে শাস্তি হয়, একজন স্বামীকে সেই শাস্তি দেওয়া ঠিক নয়। বিবাহিত মহিলাদের সুরক্ষার জন্য কেন্দ্র ইতিমধ্যেই একাধিক উপায় রেখেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।’’

    বৈবাহিক সম্পর্কে সঙ্গীর কাছ থেকে যৌন সম্পর্ক নিয়ে কিছু প্রত্যাশা থাকেই

    কেন্দ্র শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) আরও জানিয়েছে, যে কোনও বৈবাহিক সম্পর্কে সঙ্গীর কাছ থেকে যৌন সম্পর্ক নিয়ে কিছু প্রত্যাশা থাকেই। তাই বলে ইচ্ছের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে কোনওভাবেই জোর করতে পারেন না স্বামী। তবে এই কারণে ধর্ষণ আইনে শাস্তি দেওয়া কিছুটা বাড়াবাড়ি এবং সামঞ্জস্যহীন বলেই মনে করছে কেন্দ্র। বিবাহিত মহিলাদের উপর নিষ্ঠুর আচরণ বন্ধ করতে, গার্হস্থ্য হিংসা রুখতে আইন রয়েছে, যা যথেষ্ট সহায়ক বলে মত কেন্দ্রের।

    বিষয়টা আইনি ইস্যুর থেকেও বেশি সামাজিক

    এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে বর্তমানে যে ধর্ষণ বিরোধী আইন রয়েছে সেটাই যথেষ্ট। এই আইনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার হলফনামায় উল্লেখ করেছে, ‘‘এই বিষয়টা আইনি ইস্যুর থেকেও বেশি সামাজিক। সমাজে এর সরাসরি প্রভাব রয়েছে।’’ তাই বৈবাহিক ধর্ষণকে (Marital Rape) যদি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করতেও হয়, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সেটা করা ঠিক নয় বলেই মনে করছে কেন্দ্র। হলফনামায় কেন্দ্র বলেছে, ‘‘সব রাজ্য ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, বিয়ে হলেই একজন মহিলার মতামতের গুরুত্ব খর্ব হয় না, তবে বিবাহিত হওয়ার পরও এই ধরনের অভিযোগ উঠলে অন্যরকম প্রভাব পড়ে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CJI Chandrachud: ‘‘এত সাহস হয় কী করে?’’ আদালত কক্ষে প্রধান বিচারপতির ধমক আইনজীবীকে

    CJI Chandrachud: ‘‘এত সাহস হয় কী করে?’’ আদালত কক্ষে প্রধান বিচারপতির ধমক আইনজীবীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এক আইনজীবী প্রধান বিচারপতির (CJI Chandrachud) রোষের মুখে পড়লেন। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘আইনজীবীদের মনে হয় সব বুদ্ধি লোপ পেয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এক আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে জানান যে একটি মামলায় শীর্ষ আদালতের রায় তিনি ক্রস চেক করেছেন অর্থাৎ মিলিয়ে দেখে নিয়েছেন কোর্ট মাস্টারের কাছে। এ কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন প্রধান বিচারপতি (CJI Chandrachud) এবং আদালত কক্ষে আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘অল্প সময়ের জন্য হলেও আমি এখন আদালতের ইনচার্জ। এইসব কাজ আমার সঙ্গে করার চেষ্টা করবেন না। আমি এসব বরদাস্ত করব না।’’

    আমি এসব বরদাস্ত করব না (CJI Chandrachud) 

    এর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ওই আইনজীবীকে আরও মনে করিয়ে দেন যে সময় কম হলেও দায়িত্বে তিনি এখনও রয়েছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনও আচরণ যাতে ওই আইনজীবী না করেন, সে বিষয়ে তিনি সতর্ক করে দেন। প্রধান বিচারপতির ভাষায়, ‘‘অল্প সময়ের জন্য হলেও আমি এখন আদালতের ইনচার্জ। এইসব কাজ আমার সঙ্গে করার চেষ্টা করবেন না। আমি এসব বরদাস্ত করব না।’’

    এত সাহস হয় কী করে? মন্তব্য প্রধান বিচারপতির (CJI Chandrachud)

    আদালত কক্ষে আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এত সাহস হয় কী করে? আমি কী নির্দেশ দিয়েছি, তা কোর্ট মাস্টারকে জিজ্ঞেস করলেন কী করে? কাল তো আমার বাড়িতে চলে আসবেন, আর আমার ব্যক্তিগত সচিব (পার্সোনাল সেক্রেটারি)-কে জিজ্ঞেস করবেন, আমি কী করছি!’’ আইনজীবীকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আইনজীবীরা কি সব বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছেন!’

    ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেওয়ার কথা ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের

    প্রসঙ্গত, আগামী ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেওয়ার কথা ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের। সুতরাং আর ২ মাসের কম সময়ের জন্যই তিনি সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির পদে রয়েছেন। দিন কয়েক আগেই কোনও এক জনস্বার্থ মামলায় প্রধান বিচারপতির মন্তব্য শুনে এক আইনজীবী বলেন ওঠেন, ‘ইয়া…ইয়া’। তা শুনেই প্রধান বিচারপতি আইনজীবীকে কার্যত ধমক দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘আপনি কি এটাকে কফি শপ ভেবে নিয়েছেন? ইয়া…ইয়া আবার কী? ইয়া…ইয়া শব্দের ওপর আমার অ্যালার্জি আছে। এসব চলতে দেওয়া হবে না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘‘মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে মন্দির-মসজিদ ভাঙা যাবে’, বলল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: ‘‘মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে মন্দির-মসজিদ ভাঙা যাবে’, বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জনসাধারণের নিরাপত্তাই শেষ কথা। সেক্ষেত্রে মন্দির, মসজিদ কিংবা দরগা-সহ কোনও ধর্মীয় স্থান যদি রাস্তা, রেললাইন বা কোনও জলাশয় দখল করে গড়ে ওঠে (Religious Structure), তাহলে তা ভাঙা যাবে।’ মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

    কী বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)

    শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, “ভারত একটি ধর্ম নিরপেক্ষে দেশ। সেক্ষেত্রে জবরদখল বিরোধী যদি কোনও অভিযান হয়, তাহলে তা ধর্ম বা নাগরিক দেখে হবে না। সবার ক্ষেত্রেই একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।” আদালতের মন্তব্য, “যদি রাস্তার মাঝে কোনও ধর্মীয় কাঠামো থাকে, সে গুরুদ্বার কিংবা দরগা অথবা মন্দির হোক, এটি পাবলিকের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।” বিচারপতি গাভাই বলেন, “অবৈধ নির্মাণের ক্ষেত্রে একটাই নিয়ম হবে। সেই নিয়ম কোনও ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করবে না।”

    ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ

    দেশের একাধিক রাজ্যে বিভিন্ন (Supreme Court) অভিযোগে অভিযুক্তদের সম্পত্তি ধ্বংস নিয়ে হওয়া একটি মামলার শুনানি হচ্ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, পাবলিকের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না কোনও ধর্মীয় কাঠামো। এই বেঞ্চই ১৭ সেপ্টেম্বর জানিয়ে দিয়েছিল, কোনও অভিযুক্তর সম্পত্তি ১ অক্টোবর পর্যন্ত ভাঙা যাবে না। আলাদত বলেছিল, কেউ কোনও মামলায় অভিযুক্ত হলেই তার সম্পত্তি ভেঙে দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ, উদ্বিগ্ন ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    বিচারপতি গাভাই বলেন, “পুরসভা এবং পঞ্চায়েত আইন অবশ্যই মেনে চলতে হবে।” স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে একটা অনলাইন পোর্টাল বাস্তবায়নের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি বলেন, “একটি অনলাইন পোর্টালও হওয়া উচিত, যাতে লোকজন সচেতন হয়।” তিনি বলেন, “একাবার আপনি এটিকে ডিজিটাইজড করলে (Religious Structure), একটা রেকর্ড থেকে যাবে (Supreme Court)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar: ‘‘এরকম ঘটনা বারবার ঘটলে তবেই কি সরকারের হুঁশ ফিরবে?’’ প্রশ্ন নির্যাতিতার বাবার

    RG Kar: ‘‘এরকম ঘটনা বারবার ঘটলে তবেই কি সরকারের হুঁশ ফিরবে?’’ প্রশ্ন নির্যাতিতার বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানির ছিল। শুনানি শেষে সন্ধ্য়ায় নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘আমরা সবসময় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এবং সিবিআই তদন্তের ওপর ভরসা রাখছি। আমরা আশা করছি কিছু একটা হবে।’’ একইসঙ্গে রাজ্য সরকারকে সরকারি হাসপাতালে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত, সেগুলি দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যাপারে আর্জিও জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এরকম ঘটনা বারবার ঘটলে তবেই কি সরকারের হুঁশ ফিরবে?’’

    সরকারের উচিত জুনিয়র ডাক্তারদের দিকে নজর দেওয়া (RG Kar)

    নির্যাতিতার (RG Kar) বাবা বলেন, ‘‘সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হলে এগুলো করা উচিত। আমার মেয়ের সঙ্গে একটা ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও গত ২-৩ দিনে এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সাগর দত্তে জুনিয়র ডাক্তারদের ওপরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটাও খুবই দুঃখজনক। ছাত্ররা একদিকে পরিষেবা দিচ্ছে, আবার পড়াশোনা করছে সুতরাং সরকারের উচিত তাঁদের দিকে নজর দেওয়া।’’

    আমার মেয়েটার সঙ্গে যা হয়েছে, ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতেই এই আন্দোলন

    প্রসঙ্গত, সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছিল রাজ্য সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যের অধীনে থাকা ২৮টি হাসপাতালেই সিসিটিভি বসানো যায়, শৌচাগার নির্মাণ করা যায় ও সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করা যায়। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করলে পুরো কর্মবিরতি যে কোনওভাবেই তোলা হবে না তা জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এনিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘জুনিয়র ডাক্তাররা যে ইস্যুতে কর্মবিরতি (RG Kar) ঘোষণা করছে বা করতে চাইছে, সেটা কি কোনও অন্যায়? আজকে আমার মেয়েটার সঙ্গে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে যাতে আর কোনওদিন এরকম ঘটনা না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতেই তাঁদের এই আন্দোলন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের স্ট্যাটাস দেখেছি এবং আমার সোশ্যাল মিডিয়া আমার মেয়ের ছবি যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এই নিয়ে মন্তব্য করেছে রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctors: রাজ‍্যজুড়ে ফের কর্মবিরতি শুরু জুনিয়র ডাক্তারদের, সিদ্ধান্ত জিবি বৈঠকে

    Junior Doctors: রাজ‍্যজুড়ে ফের কর্মবিরতি শুরু জুনিয়র ডাক্তারদের, সিদ্ধান্ত জিবি বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শনিবারই জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors) হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন যে, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে কী হয়, তা দেখে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ (Medical Colleges) এবং হাসপাতালগুলিতে ফের তাঁরা কর্মবিরতি শুরু করবেন। সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের ৮ ঘণ্টার জিবি বৈঠক হয়, তারপর সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবিষয়ে। জুনিয়র ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন তাঁরা কর্মবিরতিতে (Indefinite Cease Work) যাচ্ছেন।

    নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারেনি রাজ্য (Junior Doctors)

    প্রসঙ্গত, পানিহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে জুনিয়র ডাক্তার ও নার্সরা কর্মবিরতি চালাচ্ছেন। সেখানে তাঁরা মোট ১০ দফা দাবি পেশ করেছেন। সেই দাবি পুরো না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি (Indefinite Cease Work) যে চলবে তা জানিয়ে রেখেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors)। সোমবার জিবি বৈঠক শেষে চিকিৎসকদের দাবি, রাজ্যের তরফ থেকে বারবার নিরাপত্তার আশ্বাস মিলেছে কিন্তু কোনও নিরাপত্তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করতে পারেনি রাজ্য সরকার। এ নিয়ে তাঁরা সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে (Junior Doctors) ঘটে যাওয়া সম্প্রতি উদাহরণও টেনেছেন। আন্দোলনকারীরা জানান, সরকার নিরাপত্তা দিতে না পারায় পূর্ণ কর্মবিরতির (Indefinite Cease Work) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    ১০ দফা দাবি পেশ

    ডাক্তারদের (Junior Doctors) তরফ থেকে যে ১০ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে সেগুলি হল- আরজি করের নির্যাতিতার দ্রুত ন্যায়বিচার, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ, হাসপাতালগুলিতে পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা, সমস্ত সরকারি হাসপাতালে (Medical Colleges) কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করা, হাসপাতালের খালি বেডের মনিটরিং ব্যবস্থা চালু, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, হাসপাতালগুলিতে শূন্যপদ পূরণ করা, থ্রেট কালচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা, দ্রুত সমস্ত হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে টাস্ক ফোর্স গঠন করে সিসিটিভি, প্যানিক বোতামের ব্যবস্থা করতে হবে।

    সুপ্রিম শুনানিতে ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব

    অন্যদিকে, সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতে শুনানি চলাকালীন আরজি কর মামলায় ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব উঠে আসে। এর পাশাপাশি, তদন্তের আওতায় আসা হাসপাতালের সাত জনকে আপাতত সাসপেন্ড করারও দাবি জানান আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। তদন্তের অধীনে যাঁরা রয়েছেন সেই নামের তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তখন রাজ্যের আইনজীবী জানান, পাঁচ জনকে ইতিমধ্যে নিলম্বিত করা হয়েছে। কোন পাঁচ জনকে নিলম্বিত করা হয়েছে, সেই নামের তালিকাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘নির্যাতিতার চোখে আঘাত কী করে হল’? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

    Supreme Court: ‘নির্যাতিতার চোখে আঘাত কী করে হল’? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। মামলার শুনানিতে উঠে এল নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের প্রসঙ্গ। এদিন সিবিআই দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল। সিবিআইয়ের দেওয়া রিপোর্টে নির্যাতিতার চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তা দেখে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন।

    শুনানিতে ২০০ জন আইনজীবী (Supreme Court)

    এদিন দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার চতুর্থ শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ ফের ওই ঘটনার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। শুনানিতে ৪২টি পক্ষের ২০০-র বেশি আইনজীবী অংশ নেন। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, সাগর দত্ত হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় ওঠে আদালতে। দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। তা দেখেই নির্যাতিতার চোখের আঘাত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ইয়া ইয়া আবার কী কথা’’! আইনজীবীর ভাষা শুনে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি, করলেন ভর্ৎসনা

    ঘুমন্ত অবস্থায় কীভাবে এটি হল?

    সোমবার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ স্টেটাস রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরে জানিয়েছে, তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে সিবিআই। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য, ‘সিবিআই তদন্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তারা তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাক। ‘তবে এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, চশমার কারণে চোখে জখম হয়েছে। কিন্তু সে সময় কি তিনি চশমা পরে ছিলেন?” সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। তুষার জানান, ফরেন্সিক রিপোর্ট বলছে চশমা ভাঙা অবস্থায় পড়েছিল পাশে।

    প্রভাবশালীদের সাসপেন্ড করার আর্জি

    এরপরই জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, “দেবাশিস সোমের ভূমিকা কী ছিল সেটা দেখা হয়নি। উনি উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠ এবং মলয় চট্টোপাধ্যায় এবং কলেজের প্রধানের ঘনিষ্ঠ।” তুষার মেহেতা বলেন, “দেবাশিস সোমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে।” প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, “কে দেবাশিস সোম?” এডুলজি জানান, আরজি কর নির্যাতিতার ফরেন্সিক টিমের অন্যতম ডাক্তার দেবাশিস সোম। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং বলেন, “পুলিশ আসারও আগে ৪ জন ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁদের কয়েকজন মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য। যাঁদের আসার কোনও কারণ ছিল না সেখানে। আমরা বলতে চাই এটা শুধু ধর্ষণ এবং খুন নয়। এমনকী রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য পৌঁছে যান।” আইনজীবী করুণা নন্দী বলেন, “যাঁরা ওখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন, তাঁরা এখনও ক্ষমতার জায়গায় রয়েছেন। সেখান থেকেই থ্রেট কালচারের কথা আসছে। ওই ব্যক্তিদের কি তদন্ত চলা পর্যন্ত সাসপেন্ড করা যায়?”

    কী নির্দেশ দিল কোর্ট?

    প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, “যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, এবং ক্ষমতাসীন থেকে যাঁরা তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। তবে সিবিআই রাজ্যকে সহযোগিতা করবে, এরকম কোনও ব্যক্তির তথ্য তারা পেলে।”রাজ্যের তরফেও আদালতে আশ্বস্ত করা হয়, তদন্তকারী সংস্থা নামের তালিকা দিলে পদক্ষেপ করা হবে। রাজ্যের আইনজীবী জানান, কেউ যত প্রভাবশালীই হোন, সিবিআই তাঁদের নামের তালিকা দিলে পদক্ষেপ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সিসিটিভি বসানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে, জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: সিসিটিভি বসানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে, জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিসিটিভি বসানোর কাজে কতদূর এগিয়েছে রাজ্য। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে এই তথ্যই জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এদিন আরজি করকাণ্ড (RG Kar case) মামলার শুনানি হচ্ছিল শীর্ষ আদালতে। সেখানেই সিসিটিভি ইনস্টলেশনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

    রাজ্যের জবাব (Supreme Court)

    শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, যা প্রস্তাব ছিল, তার ২৬ পারসেন্ট সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। ১০ অক্টোবরের মধ্যে বাকিটা লাগানো হবে। রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্যই যে কাজে কিছুটা দেরি হচ্ছে, এদিন তাও জানান রাজ্যের আইনজীবী। গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশ ছিল, রাজ্য সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী টেন্ডার বেরনোর ১৪দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।

    কাজ শেষের আশ্বাস

    এদিন রাজ্যের আইনজীবী জানান, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ২৮টি হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো ও শৌচাগার নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ হয়ে যাবে। প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) নির্দেশ, রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যার জন্য কাজ শেষ করতে সময় লাগছে।” তিনি আরও বলেন, “৩১ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ করে ফেলব।” রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান, আরজি কর হাসপাতালের ডিউটি রুমের টেন্ডার হওয়ার পরেও কাজ আটকে রয়েছে। সিবিআই ছাড়পত্র দিলেই কাজ শুরু করা যাবে। সিবিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ঘটনার পরে পাঁচ দিন কাজ হয়েছে। তাই এখন আর তাদের কোনও আপত্তি নেই।

    আরও পড়ুন: মামলার পথে ইডি! কেজরি, সোরেনের পর এবার কি সিদ্দারামাইয়ার জেলে যাওয়ার পালা?

    এদিকে, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে দিন দুই আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে ওই হাসপাতালের কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরেই (RG Kar case) সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত হয় (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: প্রভাবশালীদের সাসপেন্ড করার আবেদন ইন্দিরার, নামের তালিকা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    RG Kar Incident: প্রভাবশালীদের সাসপেন্ড করার আবেদন ইন্দিরার, নামের তালিকা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যালে (RG Kar Incident) তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকা ব্যক্তিদের নামের তালিকা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার আরজি কর মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। কারা কারা তদন্তের আওতায় রয়েছেন, তা সিবিআই রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানাবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Supreme Court)। তদন্তের আওতায় থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করতে হবে রাজ্যকে, এমনই নির্দেশ দেশের শীর্ষ আদালতের।

    সুপ্রিম সওয়াল-জবাব

    এদিন আদালতে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার প্রসঙ্গে সওয়ালের সময় আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরলেও তাঁরা আতঙ্কিত। কারণ আরজি কর মেডিক্যালে যাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করছে, তাদের অনেকে এখনও গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন। তদন্ত চলাকালীন তাঁদের পদ থেকে সাসপেন্ড করা উচিত ছিল রাজ্য সরকারের। কিন্তু তারা তা করেনি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের সঙ্গেই জুনিয়র ডাক্তাররা কাজ করবেন, এটা কি করে হতে পারে? সাসপেন্ড করা না হোক, অন্তত ছুটিতে পাঠানো উচিত তাঁদের।’

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) এবার প্রভাবশালী প্রসঙ্গও উঠল সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে। জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং এদিন আদালতকে বলেন, “পুলিশ আসারও আগে ৪ জন ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁদের কয়েকজন মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য। যাঁদের আসার কোনও কারণ ছিল না সেখানে। আমরা বলতে চাই এটা শুধু ধর্ষণ এবং খুন নয়। এমনকী রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্যরা পৌঁছে যান এই ঘটনায়।” ইন্দিরা জয় সিং-এর পাশাপাশি এই প্রসঙ্গ তুলে চিকিৎসকদের আইনজীবী করুণা নন্দী বলেন, “যাঁরা ওখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন, তাঁরা এখনও ক্ষমতার জায়গায় রয়েছেন। সেখান থেকেই থ্রেট কালচারের কথা আসছে। ওই ব্যক্তিদের কি তদন্ত চলা পর্যন্ত সাসপেন্ড করা যায়?”

    আরও পড়ুন: ‘‘ইয়া ইয়া আবার কী কথা’’! আইনজীবীর ভাষা শুনে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি, করলেন ভর্ৎসনা

    সুপ্রিম নির্দেশ

    একথা শুনে প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, ‘কারা কারা তদন্তের আওতায় রয়েছে, সিবিআই রাজ্যকে নথি দিয়ে তা জানাবে। সেই অনুসারে পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যকে।’ রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ইতিমধ্যে ৫ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিযুক্তরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে সমস্যা নেই রাজ্যের। এর পর কাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, সেই নামের তালিকা তলব করে আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিচয় ফাঁস! নোডাল অফিসার নিয়োগের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    RG Kar: আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিচয় ফাঁস! নোডাল অফিসার নিয়োগের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ড (RG Kar) নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহের মধ্যে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হল আরজি কর-কাণ্ডের শুনানি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এদিন শুনানি হয়।

    কী ঘটেছে সুপ্রিম কোর্টে?(RG Kar)

    এদিন আরজি কর মামলা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) উঠতেই নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার শীর্ষ আদালতকে জানান, এই ঘটনা নিয়ে একটি শর্ট ফিল্ম মুক্তি পেতে চলেছে। তাতে প্রধান বিচারপতি স্পষ্টই জানিয়ে দেন, তাঁরা এই ছবির মুক্তি আটকাতে চাইলে যেন আইনি পদক্ষেপ করা হয়। মিনিস্ট্রি অফ ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেকনোলজির অফিসারের মাধ্যমে সেই কাজ করার কথাও ওঠে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ইয়া ইয়া আবার কী কথা’’! আইনজীবীর ভাষা শুনে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি, করলেন ভর্ৎসনা

    কেন্দ্রকে নোডাল অফিসার নিয়োগের নির্দেশ

    আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা পোস্টকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, আমরা আগেই এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিলাম। এখন আইন কার্যকর করার দায়িত্ব যাদের, তারা সেই কাজ করবে। আইনজীবী এর জবাবে বলেন, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্যাতিতার নাম-ছবি দিয়ে পোস্ট করা চলছে। এ ব্যাপারে কি একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা যায়! কৌঁসুলি করুণা নন্দী বলেন, হিন্দি গানের সঙ্গে রিলস তৈরি চলছে। এর জবাবে কেন্দ্রকে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

    সমাজ মাধ্যমে নির্যাতিতার ছবির প্রসঙ্গ

    বৃন্দা গ্রোভার বলেন, “চিঠি নিয়ে সিবিআই পদক্ষেপ করেছে। নির্যাতিতার ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ইউটিউব মুভিতেও এই কাণ্ড উঠে এসেছে। আগামিকাল তা মুক্তি পাবে। যেখানে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার জীবনের ওপর আধারিত এই ছবি।” সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “নির্যাতিতাকে (RG Kar) এভাবে অপমান করার অবসান হোক।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার সমস্ত মিডিয়া পোস্টের ব্যাপারে যোগাযোগ করুক।”  

    ছবি মুক্তি পিছিয়ে গেল!

    আগামী বুধবার অর্থাৎ ২ অক্টোবর মুক্তি পাওয়ার কথা রাজন্যা হালদার এবং প্রান্তিক চক্রবর্তীর ওই শর্ট ফিল্মের। কিন্তু এদিন আরজি কর মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠতেই সেটা নিয়ে চর্চা হয়। এদিনই ছবির মুক্তি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রান্তিকরা। এত কিছুর মধ্যে প্রান্তিক চক্রবর্তী জানিয়ে দেন, তাঁরা এখনই এই ছবির মুক্তি দিচ্ছেন না। বরং পিছিয়ে যাচ্ছে আগমনী: তিলোত্তমাদের ছবির মুক্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share