Tag: Supreme court

Supreme court

  • Supreme Court: মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং ট্রাইবুনাল গঠন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য, মিলল হুঁশিয়ারি

    Supreme Court: মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং ট্রাইবুনাল গঠন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য, মিলল হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিপাকে মমতা সরকার। এবার মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং ট্রাইবুনাল গঠন নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে বেকায়দায় পড়ল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। জানা গিয়েছে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং ট্রাইবুনাল গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের আরও নির্দেশ, সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ট্রাইবুনাল গঠন সম্পন্ন হল কি না তা জানাতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আরজি কর ইস্যুতে এমনিতেই সুপ্রিম কোর্টে ল্যাজে গোবরে অবস্থা হয়েছে শাসক দলের, তার সঙ্গে এবার জুড়ল মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং ট্রাইবুনাল।

    ট্রাইবুনাল গঠন না হলে আদালত অবমাননার (Supreme Court) মামলা শুরুর নির্দেশ

    শুধু তাই নয়। এই ইস্যুতে মমতা সরকারকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মানা না হলে কলকাতা হাইকোর্টকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৯৮০ সালের কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী, কোনও অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশের বিরুদ্ধে মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং ট্রাইবুনালে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ আছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং ট্রাইবুনাল এখনও যথাযথভাবে গঠিতই হয়নি বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: নিলামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার, রোজগারের টাকা ব্যয় হবে নমামি গঙ্গে প্রকল্পে

    ৯ অগাস্ট ট্রাইবুনাল গঠন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছিল

    এই মর্মে গত ৯ অগাস্ট ট্রাইবুনাল গঠন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে তাতে কর্ণপাত করেনি রাজ্য। বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চের বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকার ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সন নিয়োগ করলেও বিচার বিভাগীয় ও টেকনিক্যাল স্টাফদের নিয়োগ এখনও করেনি, যার ফলে ট্রাইবুনাল কার্যকর করা যাচ্ছে না।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সুপ্রিম-ধাক্কা খেল এয়ারটেল-ভোডাফোন, কেন্দ্রকে দিতে হবে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা

    Supreme Court: সুপ্রিম-ধাক্কা খেল এয়ারটেল-ভোডাফোন, কেন্দ্রকে দিতে হবে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বড়সড় ধাক্কা খেল দেশের ২ বৃহত্তম বেসরকারি টেলিকম সংস্থা। বিরাট অঙ্কের টাকা জরিমানার মুখে পড়ল এয়ারটেল ও ভোডাফোনের (Airtel-Vodafone) মতো সংস্থাগুলি। বুধবার এই টেলিকম সংস্থাগুলির অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভেনিউ (এজিআর) বা সামঞ্জস্যপূর্ণ মোট রাজস্ব পুনরায় গণনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশের  শীর্ষ আদালত।

    সংস্থাগুলি কি আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়বে (Supreme Court)?

    ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় এয়ারটেল, ভোডাফোন ইন্ডিয়া সহ একাধিক সংস্থাকে দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court) নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে ৯২ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। আবার ২০২০ সালে নির্দেশ দেওয়া হয়, অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভেনিউ বা এজিআর যদি ১০ বছর বা তার বেশি সময় বকেয়া থাকে তাহলে প্রতি বছর ৩১ মার্চের পর সেই অর্থের পরিমাণের উপরে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে। এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিল টেলিকম সংস্থাগুলি। সেইসময় তাঁদের দাবি ছিল, লাইসেন্স ফি ও স্প্রেকট্রাম চার্জের হিসেব করা হয়েছিল, তাতে একটা বড় ভুল করেছে টেলিকমিউনিকেশন দফতর। এই বিপুল অর্থ দিতে হলে সংস্থাগুলিকে আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়তে হবে। 

    কত টাকা দেওয়ার নির্দেশ?

    প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, টেলিকম মন্ত্রক এয়ারটেল-ভোডাফোন (Airtel-Vodafone) সহ একাধিক টেলিকম সংস্থাকে মোট ১ লক্ষ কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। এর মধ্যে এয়ারটেলের বকেয়া অর্থের পরিমাণ ৪৩,৯৮০ কোটি টাকা এবং ভোডাফোনের বকেয়া ছিল প্রায় ৫৮ হাজার ২৫৪ টাকা। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টে এয়ারটেল তাদের আবেদনে দাবি করে, তাদের বকেয়া অর্থের পরিমাণ ১৩ হাজার কোটি টাকা। একই ভাবে ভোডাফোন দাবি করেছিল, ২১ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা। এমনকী, আদালত (Supreme Court) এই বিপুল পরিমাণের টাকা টেলিকম সংস্থাকে জরিমানা স্বরূপ চাপিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল সংস্থাগুলির তরফে। কিন্তু, টেলিকম সংস্থাগুলির সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।

    আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের অনুরোধ ফেরাল ভারত, মার্কিন মুলুকে হচ্ছে না মোদি-ইউনূস বৈঠক

    অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভেনিউ কী?

    অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভেনিউ হল, টেলিকম সংস্থা ও সরকারের মধ্যে রাজস্বের হিসেব। লাইসেন্স দেওয়া ও স্প্রেকট্রাম ব্যবাহার জন্য সরকারকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। টেলিকম মন্ত্রক সরকারের এই শেয়ারের হিসেব করে। টেলিকম সংস্থাগুলিতে ৩ মাসের মধ্যে ৯২ হাজার কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অনেক দিন ধরে এজিআর-র হিসেব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও ২০১৯ সালে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) রায় দিয়েছিল সরকারের পক্ষেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ২৭ সেপ্টেম্বর আরজি কর মামলার সুপ্রিম-শুনানি, কোন কোন বিষয় উঠতে পারে?

    RG Kar: ২৭ সেপ্টেম্বর আরজি কর মামলার সুপ্রিম-শুনানি, কোন কোন বিষয় উঠতে পারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) মামলায় সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর। গত মঙ্গলবার, ছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি সেখানেই বেশ কিছু প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি, সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, কোনওভাবেই তদন্তের স্বার্থে সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা যাবে না। মঙ্গলবারের শুনানিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ওঠে। যার মধ্যে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিয়ে রাজ্য সরকারের বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তি, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি, আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা- ইত্যাদি নানা বিষয়ে সওয়াল জবাব চলে। ওই দিন যে একাধিক নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দেয়, সেগুলির অগ্রগতি কতটা হল? ২৭ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে শীর্ষ আদালত তা জানতে চাইবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    চিকিৎসকদের (RG Kar) নিরাপত্তার বিষয়টি অবিলম্বে সুনিশ্চিত করতে হবে 

    প্রসঙ্গত, রাতে মহিলাদের কর্মস্থল সংক্রান্ত বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তি মুছে ফেলার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। তিনি বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের আস্থা অর্জনের জন্য রাজ্যের সঙ্গে তাঁদের যে বোঝাপড়া, তা নথিবদ্ধ রাখা হোক। আমরা জানি, আমাদের সব দাবি এক দিনে পূরণ হবে না। জুনিয়র ডাক্তারেরা কাজে ফিরতে চান। এই বিষয়ে এখনই নজর দেওয়া দরকার।” অন্যদিকে, মঙ্গলবারের শুনানিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আদালতের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি অবিলম্বে সুনিশ্চিত করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশও দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। হাসপাতালে নিরাপত্তার কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ব্যবহারেও আপত্তি জানান প্রধান বিচারপতি।

    আরও ছ’দফা নির্দেশ (RG Kar)

    এগুলির পাশাপাশি  ছ’দফা নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। সেগুলি হল— 

    প্রথমত, উইকিপিডিয়া থেকে নির্যাতিতার নাম ও ছবি মুছে ফেলতে হবে। দ্বিতীয়ত, চলতি মাসের ১২ তারিখ তদন্ত সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয় নিয়ে সিবিআইকে চিঠি দিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা। ওই বিষয়গুলি গোপনীয়। তাই সেগুলি প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। সিবিআইকে সেগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলেছে শীর্ষ আদালত। তৃতীয়ত, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করে হাসপাতালে শৌচাগার এবং সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। চতুর্থত, মহিলা চিকিৎসকরা সেমিনার হলে (RG Kar) বিশ্রাম নিতে গেলে তাঁদের সুরক্ষায় দরজায় বায়োমেট্রিক বসাতে হবে। নিরাপত্তার জন্য রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে। পঞ্চমত, ওই ঘটনার পরে আরজি কর হাসপাতালের পুরো সিসিটিভি ফুটেজ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে পুলিশকে। ষষ্ঠত, জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠক করার পরে কাজে যোগ দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না মমতা সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: রাতে কেন কাজ করতে পারবে না মেয়েরা? রাজ্যকে বিজ্ঞপ্তি পাল্টাতে সুপ্রিম-নির্দেশ

    Supreme Court: রাতে কেন কাজ করতে পারবে না মেয়েরা? রাজ্যকে বিজ্ঞপ্তি পাল্টাতে সুপ্রিম-নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Incident) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের পরে রাজ্যে নারীসুরক্ষার জন্য রাজ্য সরকার যা যা করেছে, তাতে কর্মক্ষেত্রে নাইট শিফট থেকে মেয়েদের বাদ রাখার বিষয়টি আদৌ যুক্তিযুক্ত নয়। মঙ্গলবার রাজ্যের এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। ওই নির্দেশিকা সংশোধন করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। 

    প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Supreme Court) নির্দেশ, রাজ্যকে ওই বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করতে হবে। তাঁর মন্তব্য, “নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের। মহিলারা রাতে কাজ করতে পারবেন না, এ কথা বলতে পারেন না।” তিনি বলেন, “বিমান পরিষেবা, সেনায় অনেক মহিলা রাতে কাজ করেন। ফলে এই বিজ্ঞপ্তি কেন?” জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং এই বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তখনই প্রধান বিচারপতি বলেন, “মেয়েরা রাতে কাজ করবে না, একথা কী করে বলছেন? তাঁরা তো কোনও অতিরিক্ত সুবিধা চাননি এ বিষয়ে। তাঁরা পুরুষদের মতোই একই শিফটে কাজ করতে প্রস্তুত। প্রশ্নটা তাদের সুরক্ষা নিয়ে। ডিউটি আওয়ার নিয়ে নয়। সুরক্ষাবিধি নিয়ে এই বিজ্ঞপ্তিটি রাজ্য সরকারের সংশোধন করা উচিত। সরকারের দায়িত্ব নিরাপত্তা দেওয়া। রাজ্য কখনওই বলতে পারে না, মহিলা ডাক্তাররা রাতে কাজ করবে না।”

    আরও পড়ুন: চাপের কাছে নতিস্বীকার সরকারের, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এখনই উঠছে না

    বিস্মিত প্রধান বিচারপতি

    উল্লেখ্য, আরজি করে (RG Kar Incident) চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর যখন মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তার মধ্যেই রাজ্য সরকার বেশ কিছু নীতি সামনে আনে। ‘রাত্তিরের সাথী’ নামে সেই নিয়ম-বিধিতে বলা হয়, মহিলাদের যতটা সম্ভব কম নাইট ডিউটি দিতে হবে। এই নীতির কথা শুনে কার্যত অবাক হয়ে যান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমাদের দেশে রাতে কাজ না করার কথা কোনও মহিলাকে বলতে পারি না। মহিলারা রাতে কাজ করবে না, এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এটা তাঁদের কেরিয়ারে প্রভাব ফেলবে। পুরুষ ডাক্তার এবং মহিলা ডাক্তারদের আলাদা ডিউটি আওয়ার থাকা উচিত নয়।” প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশের পর রাজ্যের তরফেও আইনজীবী কপিল সিব্বল আশ্বস্ত করেন, বিজ্ঞপ্তির ওই অংশটুকু মুছে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার শুনানির সময় (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় রাজ্যের আইনজীবীকে জানিয়েছেন, মহিলা ডাক্তাররা বিশ্রাম নিতে গেলে সেখানে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা রাখার চেষ্টা করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Hearing: সিবিআইয়ের দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেখে ‘বিচলিত’ সুপ্রিম কোর্ট! কী আছে তাতে?

    RG Kar Hearing: সিবিআইয়ের দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেখে ‘বিচলিত’ সুপ্রিম কোর্ট! কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ মতো মঙ্গলবার আরজি করকাণ্ডে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট (RG Kar Hearing) জমা দিল সিবিআই। রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় স্বয়ং। তিনি জানান, তদন্ত নিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর রয়েছে এই রিপোর্টে। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, রিপোর্ট পড়ে তাঁরা ‘বিচলিত’। একইসঙ্গে, তদন্তের ক্ষেত্রে সিবিআইকে সময় দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

    ‘সিবিআই ঘুমোচ্ছে না’ (RG Kar Hearing)

    প্রধান বিচারপতি বলেন, “তদন্ত শেষ করার এখনও সময় আছে। সিবিআই ঘুমোচ্ছে না। আমরা সিবিআইকে তদন্ত করার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে চাই। তদন্তে তাড়াহুড়ো করলে যাবতীয় প্রক্রিয়া নষ্ট হয়ে যাবে। যদি সাধারণ মানুষের দাবি মেনে সাত দিনে তদন্ত শেষ করা হয়, তাহলে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে না।” প্রসঙ্গত, সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে বারবার সময় বেঁধে দেওয়ার কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, দ্রুত তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে তদন্তের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট যে তাড়াহুড়ো করার পক্ষপাতী নয়, এদিন তা সাফ জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।

    প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন (RG Kar Hearing) বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা। সিবিআইয়ের জমা দেওয়া স্ট্যাটাস রিপোর্ট খুঁটিয়ে দেখে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে।” এদিন প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, সিবিআইয়ের দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্টে ময়নাতদন্তের চালান দেওয়া হয়েছিল কিনা, ময়নাতদন্তের পদ্ধতি মানা হয়েছে কিনা, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট-সহ পুরো বিষয়টির বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। তিনি বলেন, “সিবিআই রিপোর্টে যা দিয়েছে, তা খুবই উদ্বেগের।” রিপোর্ট পড়ে তাঁরা ‘বিচলিত’ হয়ে পড়েন বলেও মন্তব্য করেন চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, “তদন্ত চলছে। এই অবস্থায় রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে তদন্তপ্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”

    আরও পড়ুন: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    তদন্তের অগ্রগতি দেখে খুশি শীর্ষ আদালত। তবে এই দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্টে কী রয়েছে, তা জানা যায়নি।সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে কারা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের নাম জমা দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। নির্যাতিতার বাবা যেসব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, খতিয়ে দেখতে হবে তা-ও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, তদন্তের স্বার্থে ওই বিষয়গুলি নিয়ে সিবিআইকে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ (Supreme Court) করতে হবে। তদন্তে সাহায্য করবে কলকাতা পুলিশও (RG Kar Hearing)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Hearing: “আরজি কর মামলার শুনানির সরাসরি সম্প্রচার চলবে’’, রাজ্যের আপত্তি উড়িয়ে সুপ্রিম-ঘোষণা

    RG Kar Hearing: “আরজি কর মামলার শুনানির সরাসরি সম্প্রচার চলবে’’, রাজ্যের আপত্তি উড়িয়ে সুপ্রিম-ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আরজি করকাণ্ড (RG Kar Hearing) মামলার শুনানির সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করা যাবে না।” মঙ্গলবার সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি সরাসরি সম্প্রচার বন্ধের আর্জি জানিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে চলছে এই মামলার শুনানি। সেখানে রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, “শুনানির সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ রাখা হোক।” এর পরেই প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দিলেন, “মামলার শুনানির সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করা যাবে না।”

    রাজ্যের আর্জি (RG Kar Hearing)

    এদিন শুনানি শুরু হতেই সিব্বল বলেন, “মামলা শুরুর আগে আমরা পাঁচ-দশ মিনিট বলতে চাই।” এই সময়ই সরাসরি সম্প্রচার বন্ধের আর্জি জানান প্রবীণ আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, “বাইরে বিষয়টি অন্যভাবে বলা হচ্ছে। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মহিলা আইনজীবীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সম্মান রয়েছে। বলা হচ্ছে, আমরা নাকি এজলাসে হাসাহাসি করছি।” এই কারণ দেখিয়েই রাজ্যের তরফে শুনানির (RG Kar Hearing) সরাসরি সম্প্রচার বন্ধের আবেদন করা হয়।

    আদালতের সাফ কথা

    যদিও প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, “সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করতে বলতে পারব না। এটা জনস্বার্থ মামলা।” এর পরেই শুরু হয়ে যায় শুনানি। আগের দিনের মতোই সরাসরি সম্প্রচারও চলছে এই মামলার শুনানির। এদিকে, এদিনই আদালতে সিবিআইয়ের তরফে জমা দেওয়া হয় দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট। মৃতার বাবা-মা একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে চলছে আরজি করকাণ্ড মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা। গত শুনানিতে সিবিআইয়ের দেওয়া তদন্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছিল শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ (Supreme Court)। সেদিনই প্রধান বিচারপতি সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ১৭ তারিখ (এদিন) শুনানিতে (RG Kar Hearing) দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করতে। সেই মতো, এদিন মুখবন্ধ খামে সেই রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই (CBI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Anti Rape Laws: স্কুলের পাঠ্যসূচিতে ধর্ষণ-বিরোধী আইন রাখা যায় কি? কেন্দ্রকে জানাতে বলল সুপ্রিম কোর্ট

    Anti Rape Laws: স্কুলের পাঠ্যসূচিতে ধর্ষণ-বিরোধী আইন রাখা যায় কি? কেন্দ্রকে জানাতে বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের পাঠ্যসূচিতে ধর্ষণ-বিরোধী আইন (Anti Rape Laws) এবং মহিলাদের অধিকার সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যায় কিনা, কেন্দ্রের কাছে তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এ ব্যাপারে দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে কেন্দ্রকে নোটিশও দেওয়া হয়েছে।

    জনস্বার্থ মামলা দায়ের (Anti Rape Laws)

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এই আইনগুলিকে পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে যেন নির্দেশ দেওয়া হয় স্কুলগুলিকে। সেক্স এডুকেশন, ধর্ষণ-বিরোধী আইন এবং পকসো আইন সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই পিটিশনে। পিটিশনে এও বলা হয়েছে, পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে মহিলাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে, মেয়ে হিসেবে কীভাবে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে হয়, তা বোঝাতে হবে। পাশাপাশি স্কুলস্তর থেকেই ছেলেদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই পিটিশনে। আবেদনকারীর দাবি, কেবল পাঠ্যক্রম নয়, সেমিনার করে, বিজ্ঞাপন দিয়ে আইন সম্পর্কে মহিলা ও পুরুষদের সচেতন করতে হবে।

    কী বলছেন আবেদনকারী

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণ করে (Anti Rape Laws) খুন করা হয় এক মহিলা চিকিৎসককে। ওই ঘটনায় তোলপাড় হয় দেশ। এই পরিস্থিতিতে ধর্ষণ নিয়ে সচেতনতার প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী আবাদ হর্ষদ পন্ডা। তিনি জানান, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যুর ঘটনার পর পরই তিনি আবেদন করেছেন। পিটিশনে তিনি উল্লেখ করেছেন, রাজ্য যখন ধর্ষণের আইন প্রণয়ন করছে, তখন সমাজে এই বিষয়ে সচেতনতাই তৈরি হয়নি।

    আরও পড়ুন: “রাহুল গান্ধী দেশের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদী,” তোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    এই মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালার বেঞ্চে। হর্ষদ পন্ডা বলেন, “সারা দেশে যা চলছে, তাতে দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ অর্থাৎ মহিলারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে সকলের ধর্ষণ বিরোধী আইন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা প্রয়োজন।” তাঁর মতে, দেশের (Supreme Court) বহু মানুষ এখনও এই সম্পর্কে সচেতন নন (Anti Rape Laws)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: মঙ্গলবার সুপ্রিম-শুনানি, জুনিয়র ডাক্তাররা নিয়োগ করলেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংকে

    RG Kar: মঙ্গলবার সুপ্রিম-শুনানি, জুনিয়র ডাক্তাররা নিয়োগ করলেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রয়েছে আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানি। তার আগেই বিরাট পদক্ষেপ জুনিয়র ডাক্তারদের। আন্দোলনকারী জিনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার তাঁদের হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করবেন বিশিষ্ট আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে শীর্ষ আদালতে হওয়া আগের শুনানিতে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের’ হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী গীতা লুথরা। তাঁর পরিবর্তে এবার সওয়াল করবেন ইন্দিরা। জানা গিয়েছে, চিকিৎসকদের সংগঠন, ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর হয়ে সওয়াল করবেন করুণা নন্দী এবং সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের প্রতিবাদে এই সংগঠনও ওই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল রবিবারই জানা যায়, ইন্দিরা জয়সিংকে নিজেদের আইনজীবী হিসাবে নিয়োগ করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এনিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে অনিকেত মাহাতো বলেন, “আমরা আইনজীবী হিসাবে ইন্দিরা জয়সিংকে নিয়োগ করেছি। আগামী মঙ্গলবার তিনি আমাদের হয়ে সওয়াল করবেন।”

    সুপ্রিম কোর্টে ‘লাইভ স্ট্রিমিংয়ের’ আর্জি জানিয়েছিলেন 

    প্রসঙ্গত, ইন্দিরা জয়সিং সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবীদের মধ্যে অন্যতম। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তিনি সওয়াল করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের শুনানি যাতে ‘লাইভ স্ট্রিমিংয়ের’ মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে যায় তার জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন ইন্দিরা। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ ‘লাইভ স্ট্রিমিংয়ের’ আর্জিকে মান্যতা দেওয়ার কথা জানায়।

    জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের ‘লাইভ স্ট্রিমিং’-এ কীসের আপত্তি মমতার?

    বর্তমানে ‘লাইভ স্ট্রিমিংয়ের’ মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মামলার শুনানি ঘরে বসেই দেখা যায়। আরজি করের (RG Kar) ঘটনা নিয়ে শীর্ষ আদালতের শুনানিও সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে। এদিকে ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ বিতর্কেই বার বার ভেস্তে যাচ্ছে রাজ্যের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক। অনেকেই বলছেন, লোকসভা অধিবেশন, রাজ্যসভার অধিবেশন, সুপ্রিম শুনানি যদি ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ হয়, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ‘লাইভ স্ট্রিমিং’-এ আলোচনা করছেন না? প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকে (RG Kar) বসার আগে জুনিয়র ডাক্তারেরা ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ বা সরাসরি সম্প্রচারের দাবি তোলেন। কিন্তু তারপরেও মমতা সরকার চিকিৎসক পড়ুয়াদের দাবি না মানায় ভেস্তে যায় বৈঠক। বাড়ি ডেকে কার্যত তাঁদের ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তেলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘বিচারাধীন বিষয়ে আলোচনা হলে লাইভে আপত্তি কেন?’’ প্রশ্ন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির

    RG Kar Incident: ‘‘বিচারাধীন বিষয়ে আলোচনা হলে লাইভে আপত্তি কেন?’’ প্রশ্ন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বলে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors Protest) সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের আলোচনার লাইভ স্ট্রিমিং করা যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই যুক্তির কোনও আইনি সারবত্তা নেই বলে দাবি করলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে, গত ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে বারবার তাঁদের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। রাজ্যের সদিচ্ছা নেই বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার একই সুর শোনা গেল সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির গলায়।

    কী বললেন অশোক 

    বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিচারাধীন বিষয়ের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে রাজি হননি, তা একেবারেই ওঁর মস্তিষ্কপ্রসূত যুক্তি। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে যদি আলোচনা হতে পারে, তা যদি রেকর্ড করা হতে পারে, তা হলে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তি থাকবে কেন? আইনে এ রকম কিছু নেই৷’’ অশোকের ব্যাখ্যা, সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে বলেছিল সরকার এবং চিকিৎসকদের মধ্যে আলোচনাসাপেক্ষে জট কাটুক। পরোক্ষে সুপ্রিম কোর্টই আলোচনার প্রসঙ্গের অবতারণা করেছিল। তাঁর কথায়, ‘‘সেই আলোচনা কী ভাবে হবে বা হবে না, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কিছু বলেছে বলে আমার অন্তত জানা নেই৷’’

    আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

    কর্মবিরতিতে আদালত অবমাননা! আইনজীবীদের যুক্তি

    সুপ্রিম কোর্ট কাজে যোগ দানের অনুরোধ করলেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, (RG Kar Incident) এক্ষেত্রে শাসকদলের অনেকেই বলছেন তাঁরা নাকি আদালত অবমননা করেছেন। তবে একথা একেবারেই মানছেন না আইন বিশেষজ্ঞরা। আইনজীবী তথা সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “যাঁরা বলছেন আদালত আবমাননা হচ্ছে, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না জেনেই বলছেন। সুপ্রিম কোর্ট কোথাও বলেনি, ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতেই হবে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors Protest)। আদালত বলেছিল, জুনিয়র ডাক্তাররা ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে রাজ্য সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে চাইলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।” এক্ষেত্রে একমত শাসকদল তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কল্যাণের কথায়, “এটাকে আদালত অবমাননা বলা যায় না। তবে নিশ্চিত ভাবেই বিচার ব্যবস্থার যে কাঠামো রয়েছে, তাতে সুপ্রিম কোর্টকে অসম্মান বা অপমান করা হয়েছে।” জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে সরকারের বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং প্রসঙ্গে বিকাশ বলেন, ‘‘চিত্রনাট্য অনুযায়ী বৈঠক হবে না বুঝেই মুখ্যমন্ত্রী লাইভ স্ট্রিমিংয়ে রাজি হননি। অন্য সময় তো প্রশাসনিক বৈঠক লাইভ হয়। এখন কেন করলেন না?’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: “পুরোটাই নাটক’’! জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    RG Kar Incident: “পুরোটাই নাটক’’! জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইভ স্ট্রিমিংয়ের জটে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে নবান্ন-বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার দাবি, মমতার মুখোশ খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, অনেক প্রশ্নের জবাব ওনার কাছে ছিল না, তাই ভয়ে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বিরোধিতা করেছেন। শুভেন্দুর এও জানান, সমাজমাধ্যমে ফাঁকা সভাঘরের ছবি প্রকাশ করে আসলে আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনাকে ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক’’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।

    আদালত অবমাননার প্রশ্ন নেই

    আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) বিচারের দাবিতে, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করে সমাধান সূত্র বার করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মমতার সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক (Suvendu Adhikari) ট্যুইট করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে ঘরে বসে অপেক্ষা করছিলেন, সেই ছবি সরকার প্রকাশ করল শুধুমাত্র আদালতকে প্রভাবিত করার জন্য।’’ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে ওই বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কোনও সম্পর্ক নেই, বলে জানান শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “লাইভ স্ট্রিমিংয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাই জুনিয়র ডাক্তারদের ন্যায্য দাবি মানলেন না। জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করতেন, তাতেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে যান। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই চান না এই অচলাবস্থা কাটুক।’’ 

    লাইভ স্ট্রিমিংয়ে কীসের আপত্তি?

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন, যেখানে প্রশাসনিক বৈঠকের সরাসরি স্ট্রিমিং হয়, সেখানে এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ে কীসের আপত্তি? এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘‘যে মুখ্যমন্ত্রী প্রসাশনিক বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করেন, তাহলে এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করতে তাঁর আপত্তি কোথায়?’’ কারণও ব্যাখ্যা করে দেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, মমতা জানতেন যে, তিনি অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে পারতেন না। তাই তিনি লাইভ স্ট্রিমিংয়ে রাজি হননি। শুভেন্দু লেখেন, ‘‘আইনের যে যুক্তি দিচ্ছেন তা পুরোপুরি ভুয়ো। মুখ্যমন্ত্রী আসলে লাইভ স্ট্রিমিং করতে ভয় পেয়েছিলেন এই ভাবনা থেকে যে প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে যে ফাঁকফোকর রয়েছে, তদন্তের (RG Kar Incident) নামে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা ও তাড়াহুড়ো করে দেহ দাহ করা হয়েছে, এই সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন উঠলে উনি জবাব দিতে পারতেন না।’’

    সুপ্রিম শুনানির আগে সিমপ্যাথি কার্ড

    সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) পরবর্তী শুনানির আগে রাজ্যের উকিল কপিল সিব্বলের হাতে ভুয়ো যুক্তির অস্ত্র তুলে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানা কৌশল অবলম্বন করছেন, বলেও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ‘সিমপ্যাথি কার্ড’ ব্যবহার করছেন এই বলে যে বৈঠক হলে নাকি নির্যাতিতার জন্য নীরবতা পালন করতেন, অথচ বিধানসভায় অপরাজিতা বিল আনার সময় নির্যাতিতার জন্য কোনও শোকপ্রস্তাব কেন ছিল না।’’ শুভেন্দুর প্রশ্ন, “উনি নাকি দু’দিন ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষা করেছেন, কিন্তু অভয়ার মা বাবা, সহকর্মীগণ, নাগরিক সমাজ আজ ৩৩ দিন অপেক্ষায় রয়েছেন, সে ব্যাপারে ওনার কী মতামত?’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share