Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের টাকায় বগটুই গণহত্যার ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের টাকায় বগটুই গণহত্যার ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিলের অর্থে বগটুই গণহত্যায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য! এদিন ঠিক এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে ফের একবার শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই অভিযোগ প্রথম তুলেছিলেন বীরভূমের বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা। তারপর সেইসব চেকের ছবি ট্যুইট করে সরব হন শুভেন্দু। ১০ মাস হয়ে গিয়েছে বগটুই গণহত্যার। গত বছর ২৪ মার্চ বগটুইয়ে মৃত ও ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েও অভিযোগ তুলল গেরুয়া শিবির। অভিযোগ, এই ক্ষতিপূরণের টাকা কেন্দ্রীয় প্রকল্প মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকে খরচ করেছে রাজ্য সরকার৷

    ঠিক কী অভিযোগ?

    অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্প মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা বগটুই কাণ্ডে মৃতদের পরিবারকে দেওয়া অনুদান হিসেবে খরচ করেছে রাজ্য সরকার৷ এই নিয়ে ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ সেই ট্যুইটে তিনি মেনশন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ আবার ট্যুইটের মাধ্যমেই এই নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন৷

    ট্যুইটে সরব শুভেন্দু

    এদিন সকালে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে বগটুই গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সেই আর্থিক সাহায্যের ভিডিও আপলোড করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এরপর রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, “স্কুলছাত্রীদের খাদ্য ও পুষ্টির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার মিড ডে মিল তহবিলে অর্থ দেয়৷ সেই অর্থ ছবি তোলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে! এটা একটা আর্থিক অপরাধ।” তিনি আরও লিখেছেন, বাংলার সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে৷ আপৎকালীন তহবিল ও মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে কোনও অর্থ নেই৷ তার পরও অর্থ-কম্বল প্রদান চলছে৷ সেগুলি মিড ডে মিলের তহবিল থেকে করা হচ্ছে৷ তিনি আবার এই নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে অভিযোগ জানানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন৷

    বীরভূমের বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহার অভিযোগ

    একই অভিযোগ নিয়ে প্রথমে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা সরব হয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি চেকের ছবি দিয়ে অভিযোগ করেছেন রাজ্য সরকার বগটুই কাণ্ডে যে আর্থিক সাহায্য দিয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া মিড ডে মিলের টাকা থেকে। এ ব্যাপারে তিনি দুটি চেকের ছবি দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন, অন্য সব কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মত মিড ডে মিলের প্রকল্পের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে আসছে ৩০ জানুয়ারি। তাঁরা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে থাকবেন। মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হচ্ছে। তবে তার আগে বগটুই কাণ্ডে ক্ষতিপূরণের টাকায় এই অভিযোগ আনায় ও শুভেন্দুর ট্যুইট নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চৰ্চা। তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবর্তন করা হল রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল গার্ডেনের নাম। এবার থেকে ‘অমৃত উদ্যান’ হিসেবে পরিচিতি পাবে রাষ্ট্রপতি ভবনের ঐতিহ্যশালী স্থান। আজই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অমৃত উদ্যানের উদ্বোধন করবেন। আর কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মুঘলরা অনেক হিন্দুকে হত্যা করেছে এবং মন্দির ধ্বংস করেছে। তাই তাদের নামে নামকরণ করা সমস্ত জায়গা চিহ্নিত করা উচিত এবং সেগুলোর নতুন নামকরণ করা উচিত। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেন ও মুঘলদের সঙ্গে যুক্ত সব জায়গার নাম পরিবর্তন করা হবে।

    মুঘল গার্ডেনের নাম এখন ‘অমৃত উদ্যান’

    জানা গিয়েছে, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষে বদলে ফেলা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনের ‘মুঘল গার্ডেন’-এর নাম। শনিবার একথা ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপতির ডেপুটি প্রেস সচিব নবিকা গুপ্তা। আর আজ রবিবার, ২৯ জানুয়ারি এই অমৃত উদ্যানের আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর পরেই সর্বসাধারণের জন্য এই উদ্যান খুলে দেওয়া হবে। তারপর আগামী দু-মাস অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত জনগণের জন্য খোলা থাকবে এই উদ্যান।

    আরও পড়ুন: নাম বদলে গেল জাতীয় ঐতিহ্য মুঘল গার্ডেনের, কী হল নতুন নাম?

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মুঘল গার্ডেনের নাম পরিবর্তনের কথা জানানো হলে সংবাদমাধ্যমে রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “তারা (মুঘলরা) অনেক হিন্দুকে হত্যা করেছে এবং মন্দির ধ্বংস করেছে। তাদের নামে নামকরণ করা সমস্ত জায়গা চিহ্নিত করা উচিত এবং নতুন নামকরণ করা উচিত। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব।”

    অন্যদিকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল গার্ডেনের নাম অমৃত উদ্যান করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতাকে ভালোভাবে উদযাপন করা উচিত।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যপালকে ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: রাজ্যপালকে ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাজ্যপাল থাকাকালীন মাননীয় জগদীপ ধনখড় (Ex Governor Jagdeep Dhankar) আইন-সংবিধানকে ভঙ্গ করার জন্য রাজ্য সরকারকে (state government) চেপে ধরেছিলেন। তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনৈতিক কাজে সমস্যা হয়েছিল’। তাই ‘এবার তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকে রাজ্যপালকে ম্যানেজের জন্য মরিয়া।’ এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য় করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। 

    রাজ্যপালের উপর আস্থা প্রকাশ

    বুধবার একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস একজন শিক্ষাবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে তাঁর স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। তবে তাঁর কাজ এবং চলার পথ ভিন্ন হতে পারে, সে ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে ওনাকে প্রথম দিন থেকে ম্যানেজ করতে মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছেন তা স্পষ্ট।” শুভেন্দুর দাবি, ‘‘কিছুদিন আগে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনের বৈঠকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে জানান যে, সিকিউরিটি কমিশন নোটিফিকেশন, লোকায়ুকত বিল ও অন্যান্য বেশ কিছু বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে এও বলেন, আপনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য যে বিল আনতে চাইছেন, তাতেও আমি ছাড়পত্র দিতে পারব না। কারণ এক্ষেত্রে ইউজিসি এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার প্রসঙ্গ জড়িয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের কাছে আত্মসমর্পণ করে বলেন, আমি লোকায়ুত প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আগের রাজ্যপালের সঙ্গে আমার বিরোধ ছিল, তাই আমি ওনাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে সরাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনার সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই, তাই আচার্য পদ পরিবর্তন বিল নিয়ে আমি আর আপনাকে কিছু বলব না।’’

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের, কবে?

    শুভেন্দু  প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বর্তমানে দেশের উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের প্রশংসাও করে বলেন, ‘‘উনি থাকাকালীন রাজভবনকে একটা উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।’’বর্তমান রাজ্যপালের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে বিরোধী দলনেতা জানান, ‘‘রাজ্যপালের সঙ্গে যে সমস্ত উপাচার্যরা বৈঠক করেছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই যোগ্যতা অনুযায়ী উপাচার্য হননি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টাকা দিয়ে উপাচার্য পদে অনেকেই নিয়োগ পেয়েছেন। সমস্ত  উপাচার্যদের নিয়োগ বেআইনিভাবে হয়েছে। সুযোগ পেলে রাজ্যপালকে আমি একথা জানাব। ওনাকে তৃণমূল সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করব। রাজ্যপালের উপর বিশ্বাস আছে যে, তিনি বেআইনি কাজে মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গ দেবেন না, যদি সেটা হয়, তাহলে সংবিধানের রীতি মেনে যেখানে অভিযোগ জানানোর জানাব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড-ডে মিলের (Mid Day Meal) টাকায় জেলা সফর করে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্তত এমনই অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এক আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে খরচ করা হচ্ছে অভিযোগ তুলেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এবার তাঁর অভিযোগ, মিড-ডে মিলের জন্য কেন্দ্র যে টাকা বরাদ্দ করে, সেই টাকা খরচ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে। গত শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের উপলক্ষে বারাকপুরে সাংগঠনিক জেলার অঞ্চল সম্মেলন করেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্মেলন শেষে তিনি বলেন, দু’বছর করোনা পর্বে সাড়ে ৯ কোটি কেজির চাল ও স্যানিটাইজার, মাস্ক কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্টের টাকা ভারত সরকারের। এই টাকা পড়ে থাকলে সুদ হয়। সেই সুদের টাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।

    ট্যুইট-বাণ…

    ফের একবার ট্যুইট-বাণে রাজ্য সরকারকে বিদ্ধ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, স্কুল পড়ুয়াদের খাবারের টাকা খরচ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে। গত নভেম্বরে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মিড-ডে মিলের লক্ষ লক্ষ টাকা সেই সফরে খরচ করা হয়েছে। এসসি, এসটি এবং ওবিসি ডেভেলপমেন্টের টাকাও নষ্ট করা হয়েছে ওই সফরে।

    অন্য একটি ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক ভিজিটের (যা আসলে রাজনৈতিক সফর) নামে যে টাকা খরচ করা হচ্ছে, তা মিড-ডে মিলের, এসসি, এসটি এবং ওবিসি ডেভেলপমেন্ট ফাইনান্স কর্পোরেশন, সিভিল ডিফেন্স মায় এমপি ল্যাডের।

    নন্দীগ্রামের বিধায়কের (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে যে রাজনৈতিক ইভেন্টগুলো হচ্ছে, তাতে সঙ্গত করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁরা যে খয়রাতির দ্রব্য হাতে তুলে দিচ্ছেন, তা হচ্ছে মিড-ডে মিলের টাকায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মতে, এটা অর্থনৈতিক অপরাধ, তদন্তের প্রয়োজন।

    শুভেন্দুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর দু দিনের ওই সফরে খরচ হয়েছে ১.৩৫ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং তার ওপরতলা থেকে বিডিও পর্যন্ত আধিকারিকরা অনৈতিকভাবে ফান্ড ডাইভার্ট করে চলেছেন। মিড-ডে মিলের টাকা চুরি কল্পনাও করা যাবে না। সেই কারণেই মিড-ডে মিলে মিলছে সাপ, টিকটিকি।

    মধ্য-এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শুভেন্দুর এই ট্যুইট-বাণ তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: আবাস যোজনার টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আবাস যোজনার টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনার টাকা ফেরত না দিলে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার, হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্য সরকারের (State Government) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ, মিড ডে মিলের জন্য পাঠানো কেন্দ্রের টাকা নিয়ে রাজ্য সরকার দুয়ারে সরকার ক্যাম্প (Duare Sarkar Camp) চালাচ্ছে। 

    আবাস যোজনা নিয়ে সরব

    বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় জেলায় জেলায় বঞ্চিতদের তালিকা তুলে ধরে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে শাসক দল তৃণমূল তথা সরকারকে কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। নির্দিষ্ট গাইডলাইন উপেক্ষা করে গরিব মানুষদের বঞ্চিত রেখে তথাকথিত বড় লোকরা আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী ঘনিষ্ঠরাই কাটমানির বিনিময়ে ঘর পেয়েছে শুধু নয়, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পঞ্চায়েত এলাকার অনেক তৃণমূল নেতাও বাড়ি নিয়েছে। যাঁরা আবাস যোজনার আসল দাবিদার তাঁদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরিবের বন্ধু, গরিবের জন্য বাড়ি, শৌচালয় দিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল, নিজের দলের লোক ছাড়া কাউকে আবাসের বাড়ি দেয়নি। যাঁদের পাকা বাড়ি, তাঁদের থেকে কাটমানি খেয়ে আবাসের তালিকায় নাম তুলেছে। প্রকৃত গরিবের সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে।” তিনি বলেন, মামলা করে বঞ্চিতদের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার লড়াই করবে বিজেপি। শুভেন্দুর কথায়, “কী করে টাকা ফেরত করাতে হয়,আমরা জানি। টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে।”

    আরও পড়ুন: গঙ্গা আরতি করতে হিন্দুদের কেন অনুমতি নিতে হবে? প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের

    মিড ডে মিল দুর্নীতি প্রসঙ্গ

    ব্যারাকপুরে সাংগঠনিক জেলার অঞ্চল সম্মেলনে শুভেন্দু মিড ডে মিল নিয়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন। এদিন তিনি বলেন, “দু’বছর করোনা পর্বে সাড়ে ৯ কোটি কেজির চাল,স্যানিটাইজার,মাস্ক কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্টের টাকা ভারত সরকারের। এই টাকা পড়ে থাকলে সুদ হয়। সেই সুদের টাকাতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার”। এই বিষয়ে এদিন শুভেন্দু বলেন, “অপেক্ষা করুন। একের পর এক সব দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে। এ নিয়ে কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধি দল আসছে। তারা মিড ডে মিল সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।” শুভেন্দু জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এই বিষয়ে অডিট টিম পাঠিয়ে অনুসন্ধান করবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dharmendra Pradhan: অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু, মিড-ডে মিলের ‘পর্যালোচনা’ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল

    Dharmendra Pradhan: অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু, মিড-ডে মিলের ‘পর্যালোচনা’ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকার ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিলে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল বাংলায়। তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে নালিশ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার জেরে রাজ্যে মিড-ডে মিলের পর্যালোচনা করতে টিম পাঠাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। দিন কয়েক আগে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এবার আসছে মিড-ডে মিল কেমন চলছে, তা দেখতে। চলতি মাসেই বৈঠক হবে রাজ্যের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) বলেন, সম্প্রতি জাতীয় স্তরের বেশ কিছু সংবাদপত্রে বাংলার মিড-ডে মিল (Mid-day meal) প্রকল্পে নানা অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়া বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বেশ কিছু তথ্য ভারত সরকারের গোচরে এনেছিলেন। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    কেন্দ্রের এই দল…

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই আসছে কেন্দ্রের এই দল। দলে থাকবেন পুষ্টিবিদ, কেন্দ্রীয় আধিকারিক এবং রাজ্যের আধিকারিকরা। রাজ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থ স্কুলগুলিতে ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে কিনা, প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি মিশন প্রকল্পে রাজ্যে পরিকাঠামো কেমন, রান্নাঘরের পরিকাঠামো সহ একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখতে এই দলটি আসছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, গত বছরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী পোষণ প্রকল্পের পক্ষে মত দেয়। এই প্রকল্পে দেশের ১১ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পড়ুয়াদের মিড-ডি মিল দেওয়া হয়। পাঁচ বছরের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ১ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকা খরচের কথাও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সরকারের মিড-ডে নামের যে প্রকল্প রয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত করা হয় এই প্রকল্পকে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের সিংহভাগ ব্যয় বহন করে কেন্দ্র। সেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আসছে কেন্দ্রীয় দল।

    কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (Dharmendra Pradhan) বলেন, মিড-ডে মিলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের দৈহিক বৃদ্ধি। যা সামগ্রিকভাবে বৌদ্ধিক বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে। তাই বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শুভেন্দু। এ নিয়ে ট্যুইটও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে রাজ্যে ‘গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই’ বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বাঁকুড়া (Bankura) জেলার বড়জোড়ায় (Borjora) এক প্রকাশ্য জনসভায় তিনি বলেন এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের হবে ‘ডু অর ডাই’ লড়াই। এই নির্বাচন জিততে হবে। প্রতিটা বুথকে দুর্গ বানানোর কথাও বলেন শুভেন্দু।

    মনোনয়ন দাখিল

    এই সভা থেকে দলীয় কর্মীদের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন দাখিল নিয়ে আশ্বাস দিতে দেখা গেল তাঁকে। এদিন তিনি বলেন, পঞ্চায়েতে মনোনয়ন করাবেন দলের বিধায়ক, সাংসদরা। তাঁর বক্তব্য, “আমরা এবার কথা দিতে পারি পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল আমরা করাবই। বাঁকুড়া জেলায় ৬ জন বিধায়ক, মন্ত্রী ও সাংসদ আছেন। তাঁদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। আমাদের বিধায়ক সাংসদরা প্রত্যেকটি BDO অফিসের ভিতরে থাকবেন। কথা দিতে পারি তাঁরা আপনাদের মনোনয়ন করাবেন এবং সঠিক ভাবে আপনাদের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। আপনারা বুথগুলিকে দূর্গ তৈরী করবেন। আর যদি চটি পরা পুলিশ বুথ লুঠ করতে যায়, তাহলে তাঁদের ধরবেন আর বক্স ফেলবেন পুকুরে।”

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদীদের আটকাতে রাজৌরিতে গ্রামবাসীরদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সিআরপিএফ

    ডু অর ডাই লড়াই

    শুক্রবার এই সভা থেকে শুভেন্দু শুধু জিততে হবে বলেই থেমে থাকেননি। তিনি কীভাবে জিতবেন, কীভাবে রণনীতি সাজাবেন, তাও খোসলা করেছেন দলীয় কর্মীদের কাছে। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন এবারের লড়াই কিন্তু ২০১৮-র মতো হবে না। এবার মনোনয়ন দাখিল করবেনই তাঁরা। আর তারপর বুথগুলিকে দুর্গ করে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন লড়াইয়ে। শুভেন্দু সাফ জানিয়েছেন, ‘এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই। এ লড়াই ডু অর ডাই লড়াই’। এবার করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে। এক চুল জমি ছাড়া হবে না। বিজেপির নেতা-কর্মীদের তিনি তৈরি থাকতে বললেন। কীভাবে তিনি সাংসদ ও বিধায়কদের কাজে লাগিয়ে মনোনয়ন পেশ করবেন তাও জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু। ছাড়াও তিনি বলেন, “আবাস যোজনার (Pradhan mantri Awas Yojana) তালিকায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। যোগ্য মানুষদের নাম আবাস যোজনায় ওঠেনি। অবস্থাপন্নদের নাম উঠেছে তালিকায়। আমরা যোগ্যদের নাম তালিকায় তুলে দিতে পারব না। তাই রাজ্য কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনস্বার্থ মামলা করে যোগ্যদের বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের দেওয়া ঋণের টাকাতেই চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের দেওয়া ঋণের টাকাতেই চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের টাকা নয়, কেন্দ্রের টাকাই ব্যবহার করে চালানো হচ্ছে মমতা সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল ট্যুইট করে তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে সেই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। শুভেন্দুর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে কোনও সরকার নয়, ‘পিসি ও ভাইপোর কোম্পানি’ চলছে। রাজ্য সরকারের এই আর্থিক অনিয়ম নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থসচিবকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।

    ট্যুইটে কী অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু?

    রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবাস যোজনার দুর্নীতির অভিযোগ আনার পর এবারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে মমতা সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। ট্যুইটারে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, “রাজ্যগুলিকে বিশেষ সহায়তা হিসাবে পশ্চিমবঙ্গকে ৬০০৮.২১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। সেই টাকা থেকে ১০০০ কোটি টাকা ঘুরপথে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বিতরণ করা হয়েছে।” তিনি আরও লিখেছেন, এতে স্পষ্ট হয় রাজ্যে অর্থ দফতর কতটা বেপরোয়া। তারা কোনও আর্থিক বিধি মানে না। পশ্চিমবঙ্গে পিসি-ভাইপোর কোম্পানি চলছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রক রাজ্যকে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও প্রকল্প রূপায়ণের জন্য কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে, কিন্তু রাজ্য তা বেআইনিভাবে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের মত প্রকল্পে ব্যবহার করছে।

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে নথি শেয়ার ট্যুইটে

    তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে যেসব অভিযোগ করেছেন, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ট্যুইটে কিছু নথিও শেয়ার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাতে টাকার হিসাব সংক্রান্ত যেমন তথ্য রয়েছে, তেমনই রয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতরের সচিবকে পাঠানো চিঠি। এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নিজের ট্যুইট কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকেও ট্যাগ করেছেন শুভেন্দু, একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থসচিব টিভি সোমনাথন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকেও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Suvendu Adhikari: একবছরে তৃণমূলের আয়বৃদ্ধি ১২০০ শতাংশ! ‘তালিকা আছে’, বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    Suvendu Adhikari: একবছরে তৃণমূলের আয়বৃদ্ধি ১২০০ শতাংশ! ‘তালিকা আছে’, বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূলের অডিট রিপোর্ট। আর তাতেই সামনে এসেছে চোখে কপালে ওঠার মত তথ্য। চলতি বছর ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের ভাঁড়ারে জমা পড়েছে ৫২৮.১৪ কোটি টাকা। যেখানে ২০২১ সালেই এই পরিমাণ ছিল ৪২ কোটি টাকা। তৃণমূল কংগ্রেসের এমন আয় বৃদ্ধিতে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের সামনে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রশ্ন করেন, কোন ‘জাদুবলে’ নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি হয়েছে? শুভেন্দুবাবুর দাবি, তৃণমূলের দুর্নীতিতে যুক্ত ব্যবসায়ীরাই তৃণমূলকে এই টাকা দিয়েছে। এর আগেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “তৃণমূল দল নয়, একটা চোরের কোম্পানি।” আজও এই নিয়ে ফের নতুন করে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

    শুভেন্দুবাবু আজ ত্রিপুরা যাওয়ার আগে বলেন, “একটা দল নির্বাচনী বন্ডে ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি করেছে। কোন কোন ব্যবসায়ী দিলো, কোন কোন শিল্পপতি দিলো, আয়করে দেখাতে হবে ওদের। ২০২১ সালে যেখানে মাত্র ৪২ কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তুলতে পেরেছিল তৃণমূল, সেখানে কোন যাদুবলে এবছর ৫২৮ কোটি টাকা তুলল?” তিনি দাবি করেছেন, “যারা টাকা দিয়েছে আমরা তো তাদের তালিকা দিয়ে দেব। সব চোর। বালির খাদান যারা পেয়েছে, পাথরের খাদান যারা চালায়, বেআইনি কাজ যারা করে, যারা কেন্দ্রীয় সরকারের সমগ্র শিক্ষা মিশনের টাকা খায়, স্কুলে নিম্নমানের ব্যাগ, জুতো, ইউনিফর্ম যারা সরবরাহ করে তারা সব টাকা দিয়েছে। আমি ধর্মেন্দ্র প্রধানজিকে বলব, অভিভাবকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে টাকা না দিতে। তারা সব আপাদমস্তক চোর।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের এক বছরে আয় বৃদ্ধি ১২ গুণ! ‘চোরের কোম্পানি’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    শাসকদলের আয়বৃদ্ধি

    প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তৃণমূলের আয় ছিল ৪২ কোটি টাকা আর ২০২২-এ তৃণমূলের বার্ষিক আয় হয়েছে ৫৪৫.৭৪ কোটি টাকা। তৃণমূলের এই পরিমাণ আয় বৃদ্ধি দেখে চক্ষু চড়কগাছ রাজ্যবাসীর। অর্থাৎ এক বছরে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৬%। আর এই তথ্য সামনে আসতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ইলেক্টোরাল বন্ডে রোজগার বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আগেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। আজ আবার শাসকদলকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Mithun-Suvendu in Tripura: ভোটমুখী ত্রিপুরায় প্রচারে আজ শুভেন্দু-মিঠুন, পৃথক সভার কর্মসূচি জানুন

    Mithun-Suvendu in Tripura: ভোটমুখী ত্রিপুরায় প্রচারে আজ শুভেন্দু-মিঠুন, পৃথক সভার কর্মসূচি জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। যদিও সেই ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। তবে ত্রিপুরায় গেরুয়া শিবিরের প্রস্তুতি তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই সেখানে ‘বিজয় সংকল্প সভা’, ‘জন বিশ্বাস যাত্রা’র মত কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। জনসভা শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। আর এবার ভোটের মুখে সভা করতে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু শুভেন্দুই নন, বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীও যাচ্ছেন ত্রিপুরায়। তবে বিজেপির এই দুই মহারথী একসঙ্গে ত্রিপুরায় গেলেও তাঁরা একাধিক জায়গায় পৃথক পৃথক কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। আজ এই দুই বিজেপি নেতার কী কী কর্মসূচি আছে, জেনে নিন।

    শুভেন্দুর অধিকারীর কর্মসচি

    সূ্ত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আগরতলা বিমানবন্দরে পৌঁছে যাচ্ছেন শুভেন্দু। সাড়ে ৯টায় হোটেলে ঢুকে জলখাবারের পরেই তিনি সোজা প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে বাগমায় যাবেন। গোমতি জেলায় বিজেপির ‘বিজয় সঙ্কল্প যাত্রা’য় যাবেন তিনি। সেখানে তিনি দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সামনে বক্তৃতা রাখবেন। এরপর চলে যাবেন চারিলামে। সেখানে ‘জন বিশ্বাস যাত্রা’য় পা মেলাবেন শুভেন্দু। সেখান থেকে বিশালগড়ে আরও একটি ‘জন বিশ্বাস যাত্রা’য় অংশগ্রহণের কথা রয়েছে তাঁর। পর পর ৩ জায়গায় উপস্থিত থাকার পর মঙ্গলবারই ফিরে আসবেন কলকাতায়।

    আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যেই হয়ে যাবে রাম মন্দির, ত্রিপুরায় ঘোষণা শাহের

    মহাগুরুর কর্মসূচি

    আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৭টার সময় আগরতলা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর কথা মিঠুনের। তবে আজ কোনও সভা থাকছে না তাঁর। বুধবার তেলিয়ামুড়ায় বিজয় সঙ্কল্প মিছিলে উপস্থিত থাকবেন মহাগুরু। মধ্যাহ্নভোজের পর মজলিশপুর মণ্ডলে ‘জন বিশ্বাস র‌্যালি’তে থাকবেন মিঠুন।

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে ত্রিপুরায় বিজেপির জন বিশ্বাস যাত্রার উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। নির্বাচনী প্রচারে এসে বিজেপির সুর বেঁধে দিয়েছেন তিনি। এবার সেখানে যাচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির দুই নেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share