Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • CAA: রাজ্যে সিএএ কার্যকর হবেই, হুঙ্কার শুভেন্দু-মিঠুন-নিশীথের

    CAA: রাজ্যে সিএএ কার্যকর হবেই, হুঙ্কার শুভেন্দু-মিঠুন-নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফলে রাজ্যজুড়ে প্রচার করছে গেরুয়া শিবির। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বীরভূমে পৌঁছে গিয়েছেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। প্রচারে বেরিয়ে গেরুয়া শিবির ফের সিএএ (CAA) ইস্যু নিয়ে সুর চড়িয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি গতকাল মহাগুরুকেও সিএএ নিয়ে সরব হতে দেখা গেল। সিএএ পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশেই লাগু হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। শুধু নিশীথ নন, এক কথা বার বার শোনা গিয়েছে আরও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কথায়, যাঁর অন্যতম হলেন শান্তনু ঠাকুর।

    কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    শনিবার শুভেন্দু অধিকারী ভোটের প্রচারে পৌঁছে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার মতুয়া অধ্যুষিত ঠাকুরনগরে। সেখানে গিয়ে তিনিও সিএএ (CAA) নিয়ে বলেন যে, রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হবেই। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে বললেন, “সাহস থাকলে সিএএ চালু করা আটকান।” তিনি সভায় মতুয়াদের উদ্দেশে বলেন, “মতুয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মতুয়ারা হলেন রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রদায়, যাঁরা বিজেপি এবং তৃণমূল দুই শিবিরে বিভক্ত।” তিনি দাবি করেন, এই আইন কারোরই নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। আর এরপরেই একই কথা রবিবার বলতে শোনা গেল মিঠুন চক্রবর্তীকেও।

    আরও পড়ুন:‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে কী বললেন মহাগুরু?

    তিনি গতকাল বলেন, ‘দেখি না, কে আপনাকে তাড়ায়! যদি হয়, আমি দাঁড়াব আপনার পাশে’। ভোটের মুখে তিনি রাজ্যবাসীকে এই বলেই আশ্বস্ত করলেন। তাঁর আক্ষেপ, ‘৭৫ বছর ধরে মুসলিম ভাইবোনদের এটাই বোঝানো হচ্ছে যে, তোমাদের বের করে দেবে! মুসলিম ভাইবোনদের কোনও উন্নতি হল না, সবাইকে ভয়েই রেখে দিলেন’। তিনি আরও দাবি করেছেন, রাজ্য সরকার সিএএ (CAA) নিয়ে জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। যাদের কাছে রিয়েল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড আছে, তাঁদের কাউকেই এ দেশ থেকে তাড়ানো হবে না। এটাই তাঁদের ঘর, এর মালিকানা তাঁদের। তিনি আরও দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত ভোটে যদি ফেয়ার ইলেকশন হয় তো গ্যারান্টি বিজেপি আসছে।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও একই কথা…

    সিএএ (CAA) নিয়ে ফের বলতে শোনা গেল নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুরকে। অনেক আগেই নিশীথ প্রামাণিককে সিএএ নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে। ফের তিনি ভোটের মুখে একই সুর চড়িয়েছেন। খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ-সহ সারা দেশে সিএএ কার্যকর হবে। কেউ আটকাতে পারবে না। হুঙ্কার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের। তিনি আরও বলেন, ‘কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য এই আইন নয়।’ আবার সিএএ নিয়ে বলেছেন শান্তনু ঠাকুরও। তিনি দাবি করেন, রাজ্য সরকার সিএএ নিয়ে সমাজের মানুষদের ভুল বার্তা দিচ্ছে। সিএএ তাঁদের অধিকার। সংবিধানে যখন সেটা পাশ হয়ে গেছে, তখন কারও অধিকার নেই এভাবে প্রকাশ্যে সেই সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলা। এই একই দাবি নিয়ে বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মেঘাওয়াল। ঠাকুরনগরে এসে মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাশাপাশি এখন  রাজ্য বিজেপি নেতা ও বিধায়কদের মুখেও একই দাবি শোনা যাচ্ছে বার বার।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?

    Suvendu Adhikari: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তবে পছন্দ হয়নি সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট। তাই নয়া রাজ্যপালের (Governor) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না শুভেন্দু। ওই অনুষ্ঠানে বসার ব্যবস্থা হয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশে। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)।  

    নেপথ্য কাহিনি…

    প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর অস্থায়ী রাজ্যপালের পদে বসেন লা গণেশন। সেবার আমন্ত্রণই জানানো হয়নি শুভেন্দুকে। মঙ্গলবার বিধানসভায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্য সরকারের তরফে অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দেখা যাক, এবার আমন্ত্রণ পাই কিনা। এরই কিছুক্ষণের মধ্যেই বিরোধী দলনেতার কাছে পৌঁছয় রাজভবনে নয়া রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র। এই অনুষ্ঠানেই যাচ্ছেন না শুভেন্দু। কেন যাচ্ছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা? এর উত্তর শুভেন্দু দিয়েছেন ট্যুইট বার্তায়। নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি শুভেন্দু লিখেছেন সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের নির্দেশে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তথ্য সংস্কৃতি দফতর। এই দফতরের কাজকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)) ‘অসাংস্কৃতিক আচরণ’ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ, শুভেন্দুর বসার ব্যবস্থা হয়েছে দুই দলবদলু কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বিশ্বজিৎ দাসের পাশে। কৃষ্ণ এবং বিশ্বজিৎ দুজনেই বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরতে ভিড়েছেন তৃণমূলে গিয়ে। তাঁদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই দুই দলবদলুর পাশে বসার আসন হওয়ায় ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। রাজ্য সরকারের এই আচরণকে ‘অসৌজন্যের রাজনীতি’ বলে অন্য একটি ট্যুইটে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, ১৯৫৬ ভোটে নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়া এখনও দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করে বেড়াচ্ছে ‘কম্পার্টমেন্টাল’ মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই হিংসা করে তিনি এভাবে সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছেন। শুভেন্দুর মতে, বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কারের বদলে তাঁকে (মুখ্যমন্ত্রীকে) দেওয়া উচিত প্রতিহিংসাপরায়ণ পুরস্কার। মুখ্যমন্ত্রীকে হতভাগ্য রাজনীতিবিদ বলেও উল্লেখ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পরেই শুভেন্দু লিখেছেন, আমার পক্ষে এই অনুষ্ঠানে যাওয়া সম্ভব নয়। রাজ্যপাল যদি তাঁকে আলাদা করে সময় দেন, এবং সেটা যদি আজই হয়, তাহলে ভাল হয় বলেও জানান শুভেন্দু। কোন প্রটোকল মেনে বিশ্বজিৎ দাস ও কৃষ্ণকল্যাণীকে রাজভবনে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে? প্রশ্ন শুভেন্দুর। এদিকে, শুভেন্দুকে দুই দলবদলুর পাশে ঠাঁই দেওয়া হলেও, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংসদ হলেও তাঁকে আসন দেওয়া হয়েছে তৃণমূল সাংসদের পিছনে। তাই অনুষ্ঠানে যাননি তিনি।  

     

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের পথে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের পথে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্লক প্রশাসনের থেকে বেশি সুযোগ পাচ্ছে তৃণমূল। এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ভোটের আগে পঞ্চায়েতের সর্বনিম্ন স্তরের পুনর্বিন্যাস ও আসন সংরক্ষণ নিয়ম মেনে হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাদের জবাব সন্তোষজনক নয় বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাই এবার আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী।

    কী অভিযোগ শুভেন্দুর? 

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে আসন পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণে অনিয়ম হয়েছে। পঞ্চায়েত স্তরে তপসিলি জাতি ও উপজাতি সংক্রান্ত তথ্যে গরমিল করার সুযোগ রয়েছে ব্লক প্রশাসনের। আর এই কাজ তারা করছে রাজ্যের শাসকদলকে সাহায্য করতে। এ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। তার প্রেক্ষিতে জবাবও দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাতেও সন্তুষ্ট নন বিরোধী দলনেতা।

    সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “একটি ট্যুইট করেছি। নির্বাচন কমিশনের ঠিক করে দেওয়া সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে চিঠি দিয়েছিলাম। আমায় জবাবি চিঠি দেওয়া হয়ছে। কিন্তু সেই জবাব সন্তোষজনক নয়। মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু পঞ্চায়েত নির্বাচন দ্রুত করতে চায় তাই রোস্টার দ্রুততর করতে গিয়েই এই গরমিল। আমরা আইনি পথে যাব।”

     



     

    সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আদালতেই জবাব দেবে বলে পাল্টা জানিয়েছে তারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sisir Adhikari: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    Sisir Adhikari: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বেফাঁস মন্তব্য তৃণমূল নেতা অখিল গিরির (Akhil Giri)। দিন কয়েক আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী। সেবারও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করতে গিয়ে আক্রমণ করে বসেছিলেন রাষ্ট্রপতিকে। এবারও তাঁর তির গিয়ে লাগল ভুল নিশানায়। এদিন শুভেন্দুকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের এই বিধায়ক নিশানা করলেন অশীতিপর নেতা শিশির অধিকারিকে (Sisir Adhikari)। মুগবেড়িয়ার সভা থেকে শিশিরকে ‘নেংটি মন্ত্রী’ বলে আক্রমণ করেন অখিল। যার জেরে ফের একপ্রস্ত রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। একজন অশীতিপর নেতাকে এই ভাষায় আক্রমণ কতটা শোভনীয়, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

    অখিল উবাচ…

    এদিনের সভায় অখিল বলেন, এই বিশ্বের অষ্টম এবং নবম আশ্চর্য হল শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) আর দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সাংসদ। দিল্লি থেকে টাকা নিচ্ছে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে তৃণমূলের ক্ষতি করে বিজেপি করছে। রাজ্যের এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে শিশির অধিকারীর। আগে নাতি-নাতনিকে নিয়ে ঘুরতেন। এখন ছেলের পাল্লায় পড়ে বাবাও মুখ্যমন্ত্রীকে গালাগাল করছে। তিনি বলেন, আমি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বলে আমাকে হাফপ্যান্ট মন্ত্রী বলা হচ্ছে। তাহলে শিশির অধিকারী কেন্দ্রের কী মন্ত্রী ছিলেন? হাফপ্যান্টের ছোট যেটা হয়, তাকে তো নেংটি বলে। উনি কি তাহলের নেংটি মন্ত্রী ছিলেন?

    আরও পড়ুন: শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের! গোসাবায় ফের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    শিশিরের (Sisir Adhikari) আগে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অখিল। একটি ভিডিও ফুটেজে তাঁকে বলতে শোনা যায়, বলে দেখতে ভাল নয়। কী রূপসী! কী দেখতে ভাল! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা? রাজ্যের এক মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জেরে হইচই শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদে শামিল হয় বিজেপি। অখিলের গ্রেফতারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের দাবিও জানায় পদ্ম শিবির। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পর্যন্ত বলতে হয়, রাষ্ট্রপতিকে অবমাননাকর মন্তব্য করা ঠিক হয়নি অখিলের। রাষ্ট্রপতিকে আমরা সম্মান করি। অন্যায় করেছে অখিল গিরি। অখিলের ওই মন্তব্যের রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগে ফের কুকথা রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রীর।

    কুকথায় পঞ্চমুখ অখিল!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: “রাজ্য মন্ত্রিসভার সবাই চোর, পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি চাই”! বিধানসভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “রাজ্য মন্ত্রিসভার সবাই চোর, পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি চাই”! বিধানসভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তাল বিধানসভা। গোটা ক্যাবিনেটের গ্রেফতারির দাবি তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিধানসভায় নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে আলোচনা এবং মুলতুবির প্রস্তাব দেয় বিজেপি। কিন্তু সেটা বিচারাধীন বিষয় বলে নাকচ করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরে বিধানসভায় শুরু হয় হট্টগোল। বিধানসভার ভিতরে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময়ই রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন শুভেন্দু। 

    উত্তাল বিধানসভা 

    বেনামি আবেদন মামলা, ইস্যুতে তোলপাড় বিধানসভা। সোমবার এই নিয়ে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তান আনেন তাঁরা। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তা খারিজ করে দেন। মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পরই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। এদিন বিধানসভার বাইরে এসে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা আজকে একটা মুলতুবির প্রস্তাব দিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পুরো মন্ত্রিসভা অযোগ্যদের চাকরির সুপারিশ করে হাইকোর্টে পাঠিয়েছিল। মন্ত্রিসভার দায়বদ্ধতা থাকে বিধানসভার কাছে। আমাদের বলা হল বিচারাধীন বিষয়, পড়তে দেওয়া হবে না। আমি নিশ্চিত এটা বড় দুর্নীতি। একটা মন্ত্রিসভা মেধাদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের সুপারিশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী সহ ৪০ জন মন্ত্রীর জেলে যাওয়া উচিত।” 

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    হাইকোর্টের কথা

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই বেনামি আবেদন মামলায় শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের সওয়াল জবাবের সময়ে কড়া ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার হাইকোর্টে মণীশ জৈন সরাসরি জানিয়েছেন, এই শূন্যপদ তৈরি করার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার। মন্ত্রিসভার বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “রাজ্য কেন বেআইনিভাবে নিযুক্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছে? গণতন্ত্র কি আদৌ সঠিক লোকের হাতে রয়েছে? সন্দেহ রয়েছে।”

    শুভেন্দুর দাবি

    হাইকোর্টের এই কথা তুলে ধরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানান, “মন্ত্রিসভা সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট চেপে ধরেছে। এই অযোগ্যদের নিয়োগের সুপারিশ কারা করল? পুরো মন্ত্রিসভার গ্রেফতারি চাই।” শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই একাধিক ইস্যুতে উত্তপ্ত থেকেছে রাজ্য বিধানসভা। এদিন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ককে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, “গতকাল মানিকচকের বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন তাঁরা নাকি মহিলাদের বস্ত্রহরণ করেন। আগামিকাল মহিলা বিধায়করা এ বিষয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনবেন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতাকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব’’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতাকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব’’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে ওঁকে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (CM) বানাব। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে যান শুভেন্দু। সেখানেই এই চ্যালেঞ্জ নেন তিনি।

    সিএএ…

    দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে সিএএ নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। এদিন বিজেপির ডাকে সিএএ (CAA) নিয়ে জনসমাবেশে যোগ দিতে ঠাকুরনগরে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এই ঠাকুরনগর মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রধান তীর্থক্ষেত্র। সেই ঠাকুরনগরে গিয়ে ঠাকুরবাড়িতে পুজো দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, যেমন কথা তেমন কাজ। সিএএ আইন পাশ হয়েছে। আপনারা দেখছেন সিএএ আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়নি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আপনারা শুভেন্দু অধিকারী, শান্তনু ঠাকুরের ওপর ভরসা রাখুন। সিএএ হবেই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মুখে সিএএ-র আশ্বাস পেয়ে প্রবল হাততালি পড়ে সমাবেশে। বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার হবে বলেও এদিন জানিয়ে দেন শুভেন্দু।

    এদিনের সমাবেশে পুরানো একটি সভার প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, উনি (মুখ্যমন্ত্রী) কিছুদিন আগে বলেছিলেন, বাংলার টাকা আটকাতে বিরোধী দলনেতা চিঠি দেন। কাল (শুক্রবার) সে কথা গিলেছেন। স্নেহের ভাই বলে উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দু বলেন, আসলে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এর পরেই নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিকভাবে হারিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব। ঠাকুরবাড়িতে দাঁড়িয়ে বলে গেলাম।

    আরও পড়ুন: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    শুক্রবারই সৌজন্যের রাজনীতির সাক্ষী ছিল বিধানসভা। সংবিধান দিবস উপলক্ষে এদিন ভাষণ দিচ্ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। পরে তাঁকে চায়ের নেমতন্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, অশোক লাহিড়ি এবং মনোজ টিগ্গাকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, চা খাওয়া হয়নি। তাঁর ভাষায়, এটি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরাশায়ী করেছিলেন শুভেন্দু। তার পর থেকে দুজনের মুখ দেখাদেখি এক প্রকার বন্ধই ছিল। শুক্রবার কেটেছিল জট। তবে শনিবার ফের শুভেন্দু স্পষ্ট করে দিলেন তাঁর অবস্থান। বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিকভাবে হারিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি করার অভিযোগে বার বার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্র এবং রাজ্যের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত হলফনামা তলব করেছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।   

    কী বলেছেন শুভেন্দু? 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করে বলেন, “কেন্দ্রের দেওয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা দলের লোকদের পাইয়ে দিতে ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করেছে তৃণমূল। ভুয়ো নথি বানিয়ে টাকা আত্মসাত্‍ করা হয়েছে।” গত ২১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রিপোর্ট তুলে ধরে শুভেন্দু দাবি করেন, ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে জেলাশাসক ও বিডিওর এফআইআরের সুপারিশ কার্যকর করা হয়নি। বহু ব্লকে জনসংখ্যার তুলনায় বেশি জবকার্ড রয়েছে। এমনকি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিরও জবকার্ড রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।   

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়ে বলে, “একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে এর আগেও অভিযোগ উঠেছে। তার প্রেক্ষিতে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যের হলফনামা পেশ করতে হবে।” কেন্দ্রের আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, “অভিযোগ গুরুতর, কেন্দ্রের টাকা তছরুপ করা সংবিধান বিরোধী।” রাজ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলে, এই ধরনের মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

    অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল অশোক চক্রবর্তী এ বিষয়ে বলেন, “অভিযোগ গুরুতর। কেন্দ্রের টাকা যেভাবে ইচ্ছেমতো তছরুপ করা হয়েছে তা আইন বিরুদ্ধ। সংবিধানকে লঙ্ঘন করা হয়েছে।” অ্যাডভোকেট জেনারেলের পাল্টা দাবি, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। মামলাকারী ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য। বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। এ ব্যাপারে আমরা হলফনামা দিয়ে সমস্ত বক্তব্য জানাতে চাই।” হলফনামা দেওয়ার জন্যে রাজ্যের আইনজীবী দুসপ্তাহের সময় চেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ফের জামিনের আবেদন খারিজ, কমপক্ষে আরও ১৪ দিন জেলেই থাকতে হবে পার্থ- সুবীরেশদের

    কী জানিয়েছে আদালত? 

    হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেলকেও নিজের বক্তব্য জানাতে বলে। ২০ ডিসেম্বর ফের শুনানি হবে এই মামলার।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।                  

     

  • Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) সরকারের হাতে রাজ্য পচছে। বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি। শনিবার এই ভাষায়ই রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন একটি ট্যুইট করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট ‘অপমানজনক’ হওয়ায় নয়া রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যাওয়া দুই দলবদলু বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং কৃষ্ণকল্যাণীর সঙ্গে একাসনে বসতে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এর পর শুক্রবার সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিধানসভায় ভাষণ দেন শুভেন্দু। পরে মমতাই চায়ের নেমতন্ন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন বিধায়ক বিজেপির অশোক লাহিড়ি, অগ্নিমিত্রা পল ও মনোজ টিগ্গা। তার পরেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ ভেবেছিলেন, যে শুভেন্দুকে চায়ের নেমতন্ন এবং স্নেহের ভাই সম্বোধন করে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, এই ডিসেম্বরেই পড়ে যাবে তৃণমূল সরকার। তিনি এও জানিয়েছিলেন, জোর করে সরকার ফেলবেন না তাঁরা। সরকার পড়ে যাবে আপনা থেকেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’-এর কারণেই শুভেন্দুকে চায়ের নেমতন্ন করেন মমতা।

    ট্যুইট-বাণ

    তবে চায়ের নেমতন্ন করে যে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) বাগে আনা যাবে না, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সাক্ষাৎকার পর্ব চব্বিশ ঘণ্টার চৌকাঠ পেরনোর আগেই রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণে বিদ্ধ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি লেখেন, দুর্নীতি করে কেনা অবৈধ নিয়োগকে যেভাবে মন্ত্রিসভা বাঁচানোর চেষ্টা করছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর। এটা যদি সাংবিধানিক সঙ্কট না হয়, তাহলে আর কী হবে? এর পরেই তিনি লেখেন, তৃণমূল সরকারের হাতে বাংলা পচছে। বাংলায় এক আল্ট্রা ইমার্জেন্সির পরিস্থিতি।

    এ নিয়ে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের লেটারহেডে মে মাসের একটি লেখাও নিজের ট্যুইটারে তুলে ধরেছেন তিনি। প্রতিলিপিগুলির একটি পাতায় লেখা রয়েছে, ৫ হাজার ২৬১টি সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরির প্রস্তাব। এর মধ্যে নবম দশমের জন্য ১ হাজার ৯৩২টি পদ, একাদশ-দ্বাদশের জন্য ২৪৭টি পদ।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীকে নন্দীগ্রামে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়েছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার পর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দুজনের মুখ দেখাদেখি। শুক্রবার সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক স্বয়ং!

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনার বরাদ্দ পেতে রাজ্যকে মানতে হচ্ছে কোন কোন শর্ত?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • C V Ananda Bose: নতুন রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস

    C V Ananda Bose: নতুন রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। শপথবাক্য পাঠে বাংলার মানুষের ভালো-মন্দের দেখভালের প্রতিশ্রুতি দিলেন নয়া রাজ্যপাল। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ রাজভবনে হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়,পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও। তবে সংঘাতের আবহে রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বসার জন্য আসনবিন্যাস নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এদিন সকালে ট্যুইটও করেন তিনি। নয়া রাজ্যপালের সময় অনুযায়ী, তিনি পরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে আসার কথা জানান।

    রসগোল্লা উপহার

    আগের রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না রাজ্যের।  সিভি আনন্দ বোসের পূর্বসূরি জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন নবান্ন ও রাজভবনের সংঘাত প্রায় রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এবারের নয়া রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্ক সুমধুর করতে বদ্ধ পরিকর রাজ্য। তাই শপথ গ্রহণের দিন সকাল সকাল এক হাড়ি রসগোল্লা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের নয়া ফার্স্ট সিটিজেনকে বিশেষ উপহার পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী। সি ভি আনন্দ বোসের জন্য নীল হাঁড়িতে ১০০টি রসোগোল্লা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে প্রথম দিন থেকেই তিক্ততা ভুলে মিষ্টি সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে নবান্ন। এমনটাই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মিষ্টি খাইয়ে লাভ নেই, তাঁর যোগ্যতা-অভিজ্ঞতাকে যেন কাজে লাগায় রাজ্য সরকার’। তিনি আরও বলেন,“আমরা চাইব এরকম একজন বিদ্বান, দূরদর্শী মানুষকে আমরা রাজ্যপাল হিসাবে পেয়েছি, তার যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা, সেটা যেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কাজে লাগায় ।” 

    আরও পড়ুন: সাংসদ ও বিধায়কেরা শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে আসতে চাইছেন! দাবি মহাগুরু মিঠুনের

    কালীঘাট মন্দির দর্শন

    শপথগ্রহণের আগের দিন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে গিয়ে মায়ের দর্শনও করেন নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ কালীঘাটে আসেন সি ভি আনন্দ বোস। প্রথমে কালীঘাট প্রসাদের দোকানগুলির সামনে দেখা যায় তাঁকে। তারপর মায়ের পুজো দেন। মায়ের পুজো দেওয়া পর গোটা মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন। পুরোহিতদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটান,মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে কথা বলেন । বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন কালীঘাট মন্দিরে। তবে মায়ের আরতির আগেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। ৭১ বছর বয়সি মালয়ালি, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার আনন্দ বোসের প্রশাসক হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা পদেও তিনি কাজ করেছিলেন। সূত্রের খবর, শীঘ্রই আনন্দ বোস দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ-পর্ব সেরে আসবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: বিধানসভা ভোটের পর ২৬টি মিথ্যা মামলা! নিজের বই ‘১৯৫৬’ প্রকাশ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বিধানসভা ভোটের পর ২৬টি মিথ্যা মামলা! নিজের বই ‘১৯৫৬’ প্রকাশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা ছিল আগেই। সেই মতোই মঙ্গলবার নিজের লেখা বই প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বইয়ের নামও আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি, ‘১৯৫৬’। মঙ্গলবার তিন ভাষায় প্রকাশিত হল সেই বই। শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘এই প্রথম একই কেন্দ্র থেকে জয়ী ও পরাজিত প্রার্থী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।

    বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ করা হচ্ছে, সেই অভিযোগ তুলে এ বার পুস্তিকা বার করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর জয়ের ব্যবধান ছিল ১৯৫৬, সেটাই বইয়ের শিরোনাম। মামলার তথ্য দিয়ে এবং নানা জায়গায় বিরোধী দলনেতাকে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগের ছবি-সহ ঘটনা উল্লেখ করে তিন ভাষায় লেখা ওই পুস্তিকা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতাকে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু।

    বইপ্রকাশের পর বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের গণতন্ত্র কেমন? আমি ১৯৫৬ নামে তিন ভাষায় একটি বই প্রকাশ করেছি। আমাকে কীভাবে দিনের পর দিন আটকানো হয়েছে তার ছবি দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৫ মে-র পর থেকে ২৬টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।  ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে আমি উপস্থিত ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে আগে কোনও মামলা ছিল না। সব হয়েছে ৫ মে’র পরে। যেগুলো হাইকোর্ট গিয়েছে, সেগুলি তুলে ধরেছি।” আগেই বইপ্রকাশের কথা বলে শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata) তাঁকে যে উপহারগুলি দিয়েছেন, সেগুলি পুস্তক আকারে তিনি প্রকাশ করবেন। 

    কী বলেছেন শুভেন্দু? 

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “৫-৭ বছরের পুরনো মামলাও রয়েছে। এমনকি হেয়ার স্ট্রিট থানাতেও আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ছাড়াও বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এবং অন্যান্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে পাঠাব এই বই।” এই বইয়ে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলাগুলির কথা তুলে ধরেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু স্মৃতিচারণ করে  বলেন, “প্রায় দশটির বেশি জায়গায় রাস্তায় শয়ে শয়ে পুলিশ দিয়ে আটকানো হয়েছে, সেই ছবিগুলি আমি দিয়েছি। আমি কয়েকটি ছবি দিতে পেরেছি। অত ছাপানোর আর্থিক ক্ষমতা আমার নেই।”

    আরও পড়ুন: ডিএলএডের প্রশ্ন ফাঁস, ‘বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে’ দাবি পর্ষদ সভাপতির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share