Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বকেয়া অর্থ আদায় করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঠিক তার পরের দিনই প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ পাতার একটি চিঠি পাঠালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু জানান, পশ্চিমবঙ্গে এই বিশাল আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নজরে আনার জন্যই চিঠি লেখা হয়েছে তাঁকে।

    প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দু লিখেছেন, দিনের পর দিন এই দুর্নীতি চলছে। একশো দিনের কাজ দিয়ে গরিব মানুষকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল। অথচ কোনও কাজ না দিয়েই টাকা খরচ করা হয়েছে। আর তা প্রমাণ করতে ভুল শংসাপত্রও দেওয়া হয়েছে। একশো দিনের কাজে বৃক্ষরোপণ করতে গিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পাঁচ পাতার ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, নথিতে রাজ্য সরকার দেখিয়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ ও অন্য চারা গাছ রোপণ করা হয়েছে। আধিকারিকরা যখন পরিদর্শন করতে যান, তখন রাজ্যের তরফে বলা হয় ইয়াস, আমপান এবং অন্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চারাগাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা গাছগুলিকে দেখিয়ে দাবি করা হয় একশো দিনের প্রকল্পের অধীনেই সে সব গাছ রোপণ করা হয়েছে। কুলতলি বিধানসভা কেন্দ্র, জয়নগর-২ ব্লক সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

    আরও পড়ুন : এটা তো সবে ট্রেলার, পুরো সিনেমা এখনও বাকি! ট্যুইটে কাকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    এই দুর্নীতির জন্য রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তিনি লিখেছেন, তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা এই একশো দিনের কাজের প্রকল্পকে টাঁকশালে পরিণত করেছেন।গরিব চাকরি প্রার্থীদের হয় টাকা দেওয়া হয়নি, নয় তো জব কার্ড ছিনিয়ে নিয়েছেন দুর্নীতিগ্রস্ত স্থানীয় নেতারা। ওই চিঠিতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, অন্য কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রেও একই দুর্নীতি হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম। বদলে নিজেদের ইচ্ছামতো নাম দিয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা তদারকি করতে গেলে রাতারাতি সেসব নামের ফলক, সাইনবোর্ড বদলে দেওয়া হয়েছে। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার নাম বদলে করা হয়েছে বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা।

    আরও পড়ুন : “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম রাজ্য সরকার বদলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতারা। এবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নানা দুর্নীতির অভিযোগও তুললেন শুভেন্দু।

     

  • Amit Shah Suvendu Meet: “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    Amit Shah Suvendu Meet: “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দিল্লিতে অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠক করলেন শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী। এসএসসি দুর্নীতির (SSC scam) তদন্তের বিষয়ে জানানোর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (Union Home Minister) বাংলার প্রায় ১০০ জন তৃণমূল (TMC) নেতার নাম জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (West Bengal Opposition Leader)। এছাড়া ওই বৈঠকে কথা হয়েছে বাংলায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) প্রয়োগ নিয়েও। এদিন বেলা বারোটায় সংসদ ভবনে অমিত শাহের অফিসে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু৷ প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে দু’ জনের মধ্যে একান্তে কথা হয়৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা ট্যুইট করে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা৷ তিনি নিজেই জানিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড এবং সিএএ নিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে৷

    আরও পড়ুন: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    বৈঠক শেষ করে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল নেতা-নেত্রী-সহ ১০০ জনের নাম জমা দিয়েছি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। ৪ বিধায়কের লেটারপ্যাড-সহ বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ জমা দিয়েছি’। বৈঠকের পর অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। তিনি আরও বলেন, ‘ আমি ১০০’র বেশি বিধায়ক এবং তৃণমূলের কালেক্টরের নাম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েছি। যারা বাংলায় এই ঘুষের চক্র চালিয়েছে, এবং টাকা তুলেছে।’ পরে ট্যুইটারে শুভেন্দু লেখেন, ‘সংসদ ভবনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ৪৫ মিনিট ধরে কথা বলতে পেরে আমি সম্মানিত৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকারী কীভাবে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে, তা তাঁকে জানিয়েছি৷ যত দ্রুত সম্ভব সিএএ চালু করার জন্যও তাঁকে অনুরোধ করেছি৷’

     

    সূত্রের খবর, বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফাতারি ও এসএসসি দুর্নীতি শাসকদলকে চাপে ফেলতে বিজেপির আগামীদিনের কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিজেপি (BJP) চাইছে রাজ্যের এসএসসি দুর্নীতি ইস্যুকে জাতীয় স্তরে নিয়ে যেতে। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির ঘটনাকে অস্ত্র করে কীভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা যায়, তা নির্ধারণ করার জন্য বিরোধী দলনেতাকে পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর সংসদে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) সহ বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু৷ এরপর প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু৷

    আরও পড়ুন: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

    আগামী ৭ অগাস্ট নীতি আয়োগের (Niti Aayog) বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দিল্লি (Delhi) সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আলাদা বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। বিরোধীদের অভিযোগ, বাংলায় (West Bengal) ইডি সক্রিয় হয়ে ওঠায়, গোপন বোঝাপড়ার জন্য দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “যখন উনি সংকটে পড়েন, ত্রাহি মধুসূদনম বলে দিল্লি চলে যান। নিজের লোকেরা বিগড়ে যাচ্ছে এইসব দেখতে ভালো লাগে না তাই একটু শান্তির জন্য দিল্লি যাচ্ছেন।

  • SSC Scam: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    SSC Scam: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। সেই টাকার উৎস খুঁজতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। এদিন ইডির হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) দাবি করলেন, ওই টাকা তাঁর নয়। তবে টাকাটা কার, তাও খোলসা করেননি তিনি।

    স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এদিন পার্থ এবং অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে ঢোকার মুখে পার্থ জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও টাকা নেই। কার টাকা?  জবাবে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, সময় এলেই বুঝবেন। বেরনোর সময় ফের উদ্ধার হওয়া টাকা সম্পর্কে একই প্রশ্নের উত্তরে পার্থ বলেন, আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি  টাকার ওপর। ঘটনাটিকে পার্থ ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন। টাকা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। হতে হয়েছে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডও। এসব সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিলেও, টাকা নিয়ে কোনও কথা এতদিন বলেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। এদিন বললেন। দু’বার দু’রকম। হাসপাতালে ঢোকার মুখে বললেন আমার কোনও টাকা নেই। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় বললেন, আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    পার্থের এই প্রতিক্রিয়ার পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভাইপো টাকাটা রাখতে দিয়েছেন। অপা সিন্ডিকেটের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নির্দেশ দিতেন ভাইপো, কয়লা ভাইপো। শুভেন্দুর কথায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অপা ওই টাকার কাস্টডিয়ান বা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। তাঁর দাবি, ভাইপোর নিজের, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বহু কালেক্টর রয়েছেন, যাঁরা টাকা সংগ্রহ করেন। শুভেন্দু বলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায় বিনয় মিশ্রের মাধ্যমে ১২ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন। ব্যানার্জি-চ্যাটার্জির যৌথ ষড়যন্ত্র এসব।

    এদিকে, পার্থ-অর্পিতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এদিন আরও ৮ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

  • Kaali Row: মা কালীর অপমান সহ্য করবে না হিন্দুরা, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    Kaali Row: মা কালীর অপমান সহ্য করবে না হিন্দুরা, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু দেবী কালীকে (Goddess Kali) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mohua Moitra)। সাংসদের সেই মন্তব্যের প্রতিবাদে সোমবার কৃষ্ণনগরে মিছিল করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP)  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মিছিলে অংশ নেন বিজেপির বিভিন্ন নেতাও। হিন্দুদের সেন্টিমেন্টে আঘাত করায় মহুয়ার গ্রেফতারিও দাবি করেন বিজেপি নেতারা।

    এদিনের মিছিলে বক্তৃতাও দেন শুভেন্দু। বলেন, কালী বিতর্কে মহুয়ার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার পরেও প্রশাসন নীরব দর্শকের মতো আচরণ করছে। দেবী কালিকার অপমান সহ্য করবে না এই দেশের লোকজন এবং মায়ের হিন্দু ভক্তরা। তিনি বলেন, এ রাজ্যের তৃণমূল সরকার এবং পুলিশ নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্রিয়। যদিও তারা মহুয়ার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না। আমরা আর কয়েকদিন দেখব। তার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হব।

    [tw]


    [/tw]

    সম্প্রতি দেবী কালীকে মদ-মাংস গ্রহণকারী এক দেবী বলে উল্লেখ করেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। তা নিয়েই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। মহুয়ার মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত বলে দায় ঝেড়ে ফেলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু বলেন, কালী শক্তির দেবী। তিনি আদ্যা শক্তি, জগৎ পালনকারী, অশুভ শক্তি দলনী। তিনি জগৎ কল্যাণকারী। তাঁর সম্পর্কে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ঘৃণ্য মন্তব্য করেছেন। তাঁর মন্তব্য হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। শুভেন্দু বলেন, পুলিশ মহুয়ার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে এটা প্রমাণ করে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল বাঙালি হিন্দুদের আবেগকে অশ্রদ্ধা করেছেন।

    আরও পড়ুন : উদয়পুরের মতো নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করা উচিত মুসলিমদেরও, জানাল আরএসএস

    এদিকে, এদিন হাওড়ার ডোমজুড়ে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি। ডোমজুড়ে যাওয়ার পথে রামরাজাতলায় রাম মন্দিরে পুজো দেন তিনি। স্মৃতি বলেন, তৃণমূল নেত্রীর পক্ষে মা কালীকে অসম্মান করা অসম্ভব কিছু নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, অতীতে নানা সময়ে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা হিন্দুদের দেবদেবীকে অপমান করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, যাঁরা হিন্দু ধর্মকে অপমান করছেন, তৃণমূল সুপ্রিমো তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ছিল তাঁদের দল অথবা পার্টি থেকে বহিষ্কার করা। হাওড়ায় রাম মন্দির দেখে আপ্লুত স্মৃতি। তিনি বলেন, হাওড়ায় রাম মন্দির দেখে আমি গর্বিত।

     

  • Suvendu Adhikari: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুর, দাবি এনআইএ তদন্তেরও

    Suvendu Adhikari: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুর, দাবি এনআইএ তদন্তেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে বিস্ফোরণ ও বীরভূমে বিস্ফোরক উদ্ধারের মতো ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিও জানান তিনি।

    গত সপ্তাহে পাণ্ডবেশ্বরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ৩০ জুন বীরভূমে প্রচুর পরিমাণ জিলেটিন স্টিক, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মতো বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। সোমবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাঘারপুর রমনা এলাকায় প্রবল বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা তল্লাট। মৃত্যু হয় সিরাজুল শেখ নাম বছর সাতাশের এক যুবকের। বিস্ফোরণের অভিঘাতে হাত উড়ে গিয়েছে তার সঙ্গী নাজমুল শেখের। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজমুল। স্থানীয়দের অভিযোগ, বোমা বাঁধতে গিয়েই বিস্ফোরণ হয়েছিল। পুলিশও ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করে।

    আরও পড়ুন : আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে বিজেপি-রাজ, শীঘ্রই দখলে বাংলাও, প্রত্যয়ী শাহ

    এই প্রথম নয়, জানুয়ারি মাসে বেলডাঙায়ও একইরকম ঘটনা ঘটেছিল। এরকম একের পর এক ঘটনার কথা স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) , মালদহ (Malda) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Pargana) নিয়মিত এমন ঘটনা ঘটছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন : আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    শুভেন্দু বলেন, গত সপ্তাহে বীরভূম থেকে ২৪ হাজার কোটি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও ৮১ হাজার টুকরো ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছে। যা গোটা বীরভূমকে উড়িয়ে দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট। এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরণ কাদের মারফত পাচার হয়েছিল, আর কোথা থেকে এল, তা জানতেই তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। 

    রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও চিঠিতে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। বলেন, পশ্চিমবঙ্গ বারুদের স্তূপে রয়েছে। জিলেটিন স্টিক বাজেয়াপ্ত করছেন তদন্তকারীরা। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছি এবং ই-মেইলও করেছি। একের পর এক ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চাই।

     

  • Presidential Poll 2022: আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Presidential Poll 2022: আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবকিছু পরিকল্পনা মতো চললে আগামী ৯ জুলাই এক দিনের ঝটিকা সফরে রাজ্যে আসতে পারেন এনডিএ জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী (NDA Candidate) শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। কলকাতায় এসে এনডিএ-র বিধায়ক এবং সাংসদদের সঙ্গে মিলিত হবেন তিনি। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটের প্রচার করতেই তিনি বাংলায় আসছেন বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে দ্রৌপদীর উপলব্ধি অসাধারণ: মোদি

    বিজেপি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর প্রচার পর্ব জাঁকজমকপূর্ণ করতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি (BJP) তথা এনডিএ (NDA) শরিক দলের জনজাতি বিধায়ক-সাংসদেরা সেদিন প্রচার পর্বের মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন। দ্রৌপদী দেবীর প্রচারের ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে দল। দেশের প্রথম জনজাতি মহিলা রাষ্ট্রপতির প্রতি সমর্থন চেয়ে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদদের চিঠি দিয়েছেন বিজেপির দুই নেতা। ভবানীপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata) চিঠি দিয়ে পূর্ব ভারতের প্রথম মহিলাকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে প্রচার পর্বে এসে দ্রৌপদী দেবী আদৌ তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে দেখা করবেন কি না তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

    এনডিএ-র লক্ষ্য, জনজাতি এই মহিলাকে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে রেকর্ড ভোটে জেতানোর। বিজেপি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে দেশের সবকটি রাজ্যে গিয়ে প্রচার করবেন দ্রৌপদী দেবী। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্তরে ধর্মেন্দ্র প্রধান, গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, সর্বানন্দ সোনওয়ালের মতো হেভিওয়েট মন্ত্রীদের নিয়ে বিশেষ কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর প্রচার পর্বের তদারকি করছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলপথ উন্নয়ন মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে এ নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক সেরে গিয়েছেন তিনি। আগামী ৯ জুলাই বিমান বন্দরে স্বাগত জানানো থেকে বিধায়ক-সাংসদদের সভা ঘিরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সম্ভাব্য বিজয়ী প্রার্থীকে ঘিরে কার্যত বিজয় উৎসবের চেহারা দিতে চায় রাজ্য বিজেপি।

    আরও পড়ুন: কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর কনভয়ে লরির ধাক্কা, কী হল জানেন?

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর কনভয়ে লরির ধাক্কা, কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় বিপদ থেকে বাঁচলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। বিরোধী দলনেতার কনভয়ে (Convoy) আচমকা ধাক্কা মারল লরি (Truck)। কাঁথির বাড়ি থেকে তমলুকে আসার পথে শুভেন্দুর কনভয়ে ধাক্কা মেরেছে লরিটি। শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ ১১৬বি জাতীয় সড়কে মারিশদার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর কোনও আঘাত লাগেনি। সুস্থ আছেন তিনি। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি তমলুকের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। লরিচালক পলাতক। ঘটনাস্থলে যায় মারিশদা থানার পুলিশ। আপাতত চালকের খোঁজ চলছে।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের    

    দুর্ঘটনার জেরে শুভেন্দুর কনভয়ে থাকা ওই গাড়ির সামনের অংশটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। মারিশদায় একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে শুভেন্দুর কনভয়ের গাড়িতে ধাক্কা দেয় লরিটি। কনভয়ের গাড়ির সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা লাগলেও শুভেন্দু অন্য গাড়িতে থাকায় সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। এদিন দুর্ঘটনার পর জাতীয় সড়কে সাময়িক যানজটও তৈরি হয়। পরে শুভেন্দু নিজের গন্তব্যে রওনা দেন। নিছকই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা, নাকি এর পিছনে রয়েছে কোনও ষড়যন্ত্র? তা খতিয়ে দেখছে মারিশদা থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের চাপে ‘বাংলা’ সরে ফের বসছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম? ট্যুইট শুভেন্দুর 

    দুর্ঘটনার জেরে বিরোধী দলনেতার কনভয়ের ওই গাড়ির চালকসহ আরও একজন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পরেই গাড়ি ফেলে চম্পট দেয় চালক। পরে গাড়িটি আটক করে মারিশদা থানার পুলিশ। চালকের খোঁজ শুরু হয়েছে।  

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রথযাত্রা উপলক্ষে আজ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। তমলুকের ইসকন মন্দিরে যাওয়ার জন্য এদিন দুপুরে বাড়ি থেকে রওনা দেন শুভেন্দু অধিকারী। ১১৬বি জাতীয় সড়ক দিয়ে শুভেন্দুর কনভয় যাচ্ছিল। সেই সময় আচমকা কনভয়ের একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে লরিটি। তার পরই গাড়িটিকে ধাওয়া করতে শুরু করে পুলিশ। যদিও লরি সমেত চালক পালিয়ে যান।   

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। তা সত্ত্বেও কীভাবে কনভয়ে লরিটি ঢুকল, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  

     

  • Primary TET Scam: ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তথ্য চাইল সিবিআই, স্কুলে স্কুলে গেল নির্দেশ

    Primary TET Scam: ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তথ্য চাইল সিবিআই, স্কুলে স্কুলে গেল নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে (Primary Teachers Recruitment) দুর্নীতির (Primary TET Scam) অভিযোগের তদন্তে কোমর কষে নামল সিবিআই (CBI)। ওই দুর্নীতির ঘটনায় তথ্য তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চলতি মাসের ১৬ তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের (Primary Education Board) তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, সিবিআইয়ের হাতে তথ্য তুলে দিতে হবে। সেই কারণে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় যাঁরা কৃতকার্য হয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের (Primary Teachers) চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সমস্ত নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে ‘সিট’ গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    সোমবার রাজ্য শিক্ষা দফতর (West Bengal Education Department) থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে পাঠানো এক নির্দেশিকায় ১০টি তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। এগুলি হল— নিয়োগপত্রের প্রতিলিপি, চাকরিতে যোগদানের নথি, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, টেটে যোগ্যতা অর্জনের তথ্য, সর্বস্তরের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রশিক্ষণের শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র (যদি থাকে), প্যারাটিচার এনগেজমেন্ট লেটার, আগে যদি কোনও কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তার শংসাপত্র এবং ২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত যদি কোনও তথ্য থেকে থাকে, তাও।

    শিক্ষক নিয়োগে যে ‘ভুল’ হয়েছে, বিধানসভায় তা স্বীকারও করে নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শিক্ষায় যদি এক লক্ষ চাকরি হয়ে থাকে, তাহলে তাতে ১০০টি ক্ষেত্রে ভুল রয়েছে। তা আমরা শুধরে নেব। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যই প্রমাণ করে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘স্বীকারোক্তি’কে হাতিয়ার করে আক্রমণ শানিয়েছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। সংগঠনের তরফে স্বপন মণ্ডল বলেন, শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রী প্রকারান্তরে বিধানসভায় স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রাথমিক বোর্ড থেকে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তাতেও প্রমাণিত নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। অপরাধীদের শাস্তি চাই।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি (BJP) বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী বলেন, আমাদের দাবি, যাঁরা ঘুরপথে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের নয়, যোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি দিতে হবে। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই যে তদন্ত করছে, তাতে গতি এনে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

    এদিকে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় এবার পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education) সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)।

     

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের চাপে ‘বাংলা’ সরে ফের বসছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম? ট্যুইট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের চাপে ‘বাংলা’ সরে ফের বসছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম? ট্যুইট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যবাসীকে বোকা বানাতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম নিজেদের নামে চালানোর চেষ্টা করেছিল। এখন কেন্দ্রের গুঁতোয় ফের নিজেদের দেওয়া নাম বাংলা আবাস যোজনা (Bangla Awaas Yojana) প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে মমতা সরকার। ট্যুইট করে এমনটাই জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    এই প্রেক্ষিতে, তিনি বিডিওদের পাঠানো একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। সেখানে জেলাশাসকের তরফে বিডিওদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়িতে উপযুক্ত লোগো যেন আঁকা থাকে তা যেন নিশ্চিত করা হয়। 

    [tw]


    [/tw]

    শুভেন্দু ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘বিডিওদের এই জরুরি বার্তা পাঠিয়েছেন জেলাশাসক। তাতে কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শনের আগে বিডিওদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ‘সঠিক’ নাম ও লোগো সাঁটতে বলা হয়েছে। সেই লোগোও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ এভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। তাই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের বিডিওর কথা না শুনে নিজেদের ইচ্ছামতো প্রকল্পের বাড়ি পরিদর্শনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বাংলা আবাস যোজনা নাম মুছলে তবেই মিলবে টাকা, রাজ্যকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে রাজ্য সরকার। এমন অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে জানানো হয়েছিল, আবাস যোজনায় প্রধানমন্ত্রীর নাম যুক্ত না করলে কেন্দ্র এই প্রকল্পে আর টাকা দেবে না। 

    সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল আবাস যোজনার বাড়ির বরাদ্দ কেন রাজ্যে আসছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) দ্বারস্থ হয়েছিল। মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগে বাংলা আবাস যোজনা নামটি বাতিল করলে ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করা হোক, তার পরেই টাকা দেওয়ার প্রশ্ন আসবে। এমনকি, কেন্দ্রের নতুন প্রকল্প ‘আবাস প্লাস’ বাবদও বাংলাকে কোনও টাকা দেওয়া হবে না বলে জানায় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।
     
    ২০১৭ সালের ২১ অগাস্ট এবং ২০২২ সালের ১২ মে রাজ্য সরকারকে দুটি চিঠি পাঠিয়ে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে জানিয়ে দেন। বলা হয়, রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর অবশ্য কেন্দ্রের চিঠির কোনও জবাব দেয়নি। বাংলা আবাস যোজনার নাম বদল করা হবে, সে কথাও জানায়নি। 

    আরও পড়ুন: কেন ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের টাকা আটকেছে কেন্দ্র? রইল ৮ কারণ

  • PMAY-G: বাংলা আবাস যোজনা নাম মুছলে তবেই মিলবে টাকা, রাজ্যকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    PMAY-G: বাংলা আবাস যোজনা নাম মুছলে তবেই মিলবে টাকা, রাজ্যকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY-G) নাম বদলে রাজ্য সরকার নাম দিয়েছে বাংলা আবাস যোজনা। কিন্তু এই নাম ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা না করলে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও টাকা দেবে না। যতক্ষণ না দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামে এই প্রকল্পের নাম ফের বদল হচ্ছে ততক্ষণ রাজ্যে আবাস-প্লাস প্রকল্পে একটি ঘরও আসবে না। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রেই এখবর জানা গিয়েছে।

    সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল আবাস যোজনার বাড়ির বরাদ্দ কেন রাজ্যে আসছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) দ্বারস্থ হয়েছিল। মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগে বাংলা আবাস যোজনা (Bangla Awaas Yojana) নামটি বাতিল করলে ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করা হোক, তার পরেই টাকা দেওয়ার প্রশ্ন আসবে। 

    ২০১৭ সালের ২১ অগাস্ট এবং ২০২২ সালের ১২ মে রাজ্য সরকারকে দুটি চিঠি পাঠিয়ে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে জানিয়ে দেন। রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর অবশ্য কেন্দ্রের চিঠির কোনও জবাব দেয়নি। বাংলা আবাস যোজনার নাম বদল করা হবে, সে কথাও জানায়নি। তার জেরে রাজ্যের প্রায় ১০-১২ লক্ষ গরিব মানুষ বাড়ি পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারীর কথায়,“পশ্চিমবঙ্গ তো দেশের বাইরে নয়। যদি সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা চলতে পারে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গে তার নাম কেন বদল হবে। আসলে রাজ্য সরকারের ম্যাচিং গ্রান্ট দেওয়ার টাকা নেই, সেই কারণে গরিব মানুষের পাকা বাড়ি তৈরি্র যে স্বপ্ন নরেন্দ্র মোদিজি (Modi) দেখিয়েছেন এ রাজ্যে তা পূরণ করতে দিচ্ছেন না মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়।” রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের এক কর্তা জানান, বাংলা আবাস যোজনা নাম বদলাতে রাজি নয় নবান্ন। সেই কারণেই জটিলতা অব্যাহত রয়েছে।

    এইভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করেছে মমতা প্রশাসন

     

    কেন পাকা বাড়ির টাকা পাচ্ছে না রাজ্য?

    গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রের দাবি, গত ১২ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে চিঠি লিখে জানান, ২০১৬-১৭ সাল থেকে রাজ্য সরকার ৩২ লক্ষ বাড়ি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তৈরি করেছে। দেশে এই প্রকল্পে প্রথম হয়েছে রাজ্য। তারপরেও কেন টাকা আটকে রাখা হয়েছে। মন্ত্রক জানাচ্ছে, ২০১১ সালের আর্থ সামাজিক জাতি সমীক্ষার পর বাংলায় ৩৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬০৮টি পাকা বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩৪ লক্ষ ৮৮ হাজার। এই প্রকল্পে রাজ্যের তহবিলে ১৩৩৮ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। গত ২৪ মার্চেও আবাস যোজনার জন্য ৬৮৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার সব কাজ শেষ করতে এই টাকা যথেষ্ঠ। 

    কেন রাজ্য সরকার ম্যাচিং গ্রান্টসহ উপভোক্তাদের টাকা পাঠাচ্ছে না সেই প্রশ্নও তুলেছে কেন্দ্রীয় কর্তারা। তবে ২০২১-২২ সাল থেকে আবাস-প্লাস (Awaas+) নামে নতুন প্রকল্প শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমেও আরও অন্তত ১০-১২ লক্ষ পরিবার পাকা বাড়ি হবে। কিন্তু ন্যাশনাল লেভেল মনিটররা রাজ্যে এসে এই প্রকল্পে ভুরি ভুরি অভিযোগ পেয়েছেন। কাটমানি খাওয়া, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবার তাদের বাড়ি দেওয়া, রাজনৈতিক রং দেখে বাড়ি দেওয়া এবং পর্বত প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে দেখা যায় নাম বদলে দেওয়ার ঘটনাও।

    আরও পড়ুন: কেন ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের টাকা আটকেছে কেন্দ্র? রইল ৮ কারণ

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন সচিব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ২২ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল দুটি ডিও লেটার লিখে প্রকল্পের অনিয়মের ব্যাপারে ১ মে-র মধ্যে জবাব চেয়েছিলেন। তার কোনও জবাব দেয়নি রাজ্য। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক (Ministry of Finance) কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল হলে তার টাকা না দেওয়ার কথাও রাজ্যগুলিকে জানিয়ে রেখেছে। তার পরেও নবান্ন (Nabanna) কোনও পদক্ষেপ করেনি। ফলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকও (Ministry of Urban Development) জানিয়ে দিয়েছে বাংলা আবাস যোজনা বদলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করলে তবেই মিলবে গ্রামে পাকা বাড়ির তৈরির বরাদ্দ।

LinkedIn
Share