Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu meets Meena Devi Purohit: পুলিশের আঘাতে আহত কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু 

    Suvendu meets Meena Devi Purohit: পুলিশের আঘাতে আহত কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhijan) কেন্দ্র করে  উত্তাল হয় কলকাতা এবং হাওড়া। বিজেপি কর্মীদের আটকাতে জল কামান, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। লাঠি চার্জ করা হয়। বচসায় জড়ায় বিজেপি এবং পুলিশ। এই অশান্তির মাঝেই এমজি রোডে পুলিশের লাঠির আঘাতে মাথা ফাটে কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের (Meena Devi Purohit)। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছাড়াও পেয়ে যান হাসপাতাল থেকে। বৃহস্পতিবার মীনাদেবীকে দেখতে তাঁর আত্মীয়ের বাড়ি গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয়ে অন্ধ হয়ে গিয়েছেন, পুলিশ পিসি-ভাইপোর দাস নয়’’, ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর 
     
    এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ওনাকে পুরুষ পুলিশ মেরেছে, আর আমার কাছে মহিলা পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছে। টি শার্ট জিন্স পরে একদম জগিং করতে করতে চলে এসেছে।” মঙ্গলবার অভিযান চলাকালীন বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, “আপনার লেডি অফিসার আমার গায়ে হাত দিয়েছে। ও কেন আমার গায়ে কেন হাত ধর বে! ছবিগুলো থাকল।” মহিলা পুলিশকে গ্রেফতার করার দাবি করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা, বিধায়কের রাস্তা আটকে পুলিশ মস্করা করছে বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। ভিডিওতে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “আমার শরীর স্পর্শ করবেন না। আপনি মহিলা, আমি পুরুষ। আপনার সিনিয়রকে ডাকুন।” ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক উত্তরে বলেন, “আমি স্পর্শ করছি না। আপনি চলুন।”

    আরও পড়ুন: ‘‘রাজ্যটাকে উত্তর কোরিয়া বানিয়ে দিয়েছেন ‘লেডি কিম’…’’, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর  

    কলকাতা পুরসভার ৪ নম্বর বরোর অন্তর্গত ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক দাবিতে ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনদিক থেকে নবান্নে রওনা হয় বিজেপির মিছিল। বড়বাজার থেকে শুরু হওয়া মিছিলের সামনেই ছিলেন বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। পুলিশ মিছিলে বাধা দিতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। মাথা ফাটে কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান মীনাদেবী পুরোহিত। নিজের বাড়িতে না গিয়ে সল্টলেকে ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছেন। বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এদিন সেখানে যান শুভেন্দু অধিকারী। মীনাদেবী পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলেন বিরোধী নেতা। শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নেন। সেখান থেকেই নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari Detained: আলিপুরে শুভেন্দুকে প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ, আটক লকেট-রাহুলও

    Suvendu Adhikari Detained: আলিপুরে শুভেন্দুকে প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ, আটক লকেট-রাহুলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হল। গণতান্ত্রিক মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে রুখতে বলপ্রয়োগ করল মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বিজেপির নবান্ন অভিযানের (BJP Nabanna Abhijan) শুরুতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করল পুলিশ (Suvendu Adhikari Detained)। একইসঙ্গে আটক করা হল বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) ও নেতা রাহুল সিনহাকেও (Rahul Sinha)। 

    এদিন, আলিপুর পুলিশ ট্রেনিং স্কুল বা পিটিএস (Alipore PTS) থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু (Vidyasagar Setu) হয়ে নবান্ন অভিমুখে রওনা দেন শুভেন্দু, লকেট এবং রাহুলরা। কিন্ত শুরুতেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সামনে পুলিশ ব্যারিকেডের কাছেই বাধা দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu)। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু, লকেটরা। শুরু হয় ধস্তাধস্তি।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি নয়, বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকাতেই সক্রিয় মমতার পুলিশ! কীসের ভয়?

    শুভেন্দুর অভিযোগ, মহিলা পুলিশরা তাঁর গায়ে হাত দিয়েছেন। এদিন পুলিশকর্মী শুভেন্দুকে ভ্যানে তুলতে এগোলে শুভেন্দু মহিলা পুলিশকর্মীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি মহিলা। আমার গায়ে হাত দেবেন না।’ নন্দীগ্রামের বিধায়কের রাস্তা আটকে পুলিশ মস্করা করছে বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এর পরই তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। একইসঙ্গে আটক করা হয় লকেট ও রাহুল সিনহাকেও। এই প্রেক্ষিতে পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন শুভেন্দু। তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।

    তবে শুভেন্দুকে তুললেও, তাঁর নেতৃত্বাধীনে থাকা মিছিল থেমে থাকেনি। শুভেন্দুকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ায় সাঁতরাগাছি থেকে শুরু হওয়া বিজেপির মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ()Saumitra Khan)। মিছিলে পা মেলাচ্ছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা বিজেপি বিধায়ক অশোক ডিন্ডা (Ashok Dinda)। অন্যদিকে, হাওড়া স্টেশন থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে নবান্নমুখী মিছিল শুরু হয়েছে। দক্ষিণ আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও (Agnimitra Pal) রয়েছেন এই মিছিলে। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষও (Former IPS Bharati Ghosh) এই মিছিলে পা মেলাচ্ছেন। কলেজ স্ট্রিট থেকে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “চোরেদের রানি কে?”, নবান্ন অভিযানের আগে আলিপুরদুয়ারের সভায় প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “চোরেদের রানি কে?”, নবান্ন অভিযানের আগে আলিপুরদুয়ারের সভায় প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্ন অভিযানের আগে ফের তৃণমূল (TMC) নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। আলিপুরদুয়ারে বিজেপির নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি সভায় তিনি প্রশ্ন তোলেন, চোরেদের রানি কে? শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের সভায় যাওয়ার পথে তিনি ফের বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই পড়ে যাবে রাজ্যের তৃণমূল সরকার।

    চলতি মাসের ১৩ তারিখে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি। এরই প্রস্তুতি সভা চলছে। আলিপুরদুয়ারের সভায় যোগ দিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমি পরিবর্তন যাত্রায় এসেছিলাম। আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত গিয়েছিলাম। তৃণমূলের লোকেরা ফালাকাটার সব লাইট অফ করে দিয়েছিল। কিন্তু মানুষ মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত গিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিল, যে এবারে পিসিমনিকে আলিপুরদুয়ার থেকে খালি হাতে ফিরতে হবে। পরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও এসেছি। এর পরেই তিনি বলেন, আজ কেন এসেছি জানেন তো? বলে দর্শকদের তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলতে বলেন, চোরেদের জেলে ভরো, ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন চলো। এর পরেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, চোরেদের রানি কে?

    আরও পড়ুন : চিকিৎসা ভাতা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী

    বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় কর্মী সম্মেলনে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলকে বীরের মতো ফেরাতে হবে। এদিন আলিপুরদুয়ার যাওয়ার পথে শিলিগুড়িতে মমতার মন্তব্যের জবাব দেন শুভেন্দু। বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাকে বীর বলছেন, তার সঙ্গে দেখা করতে দিল্লির তিহার জেলে যেতে হবে। শনিবার দু দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সে প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, কাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন টাকা তুলতে। শুভেন্দু বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস দলটা একটা সম্পূর্ণ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। দলটা পরিবারবাদ, তোষণ ও দুর্নীতির ওপর চলছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত একটা দল দুর্নীতিবাজদের সম্মান করবে, এটাই তো স্বাভাবিক। এখন আত্মবিশ্বাস না দেখালে তো পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন দিতে পারবে না। তিনি বলেন, কাল যারা দেখা করতে গিয়েছিল, পঞ্চায়েত প্রধানরা, তারা সব চোর। আর ভাইপো সহ ডাকাতরা বসেছিল মঞ্চে। শুভেন্দু বলেন, আত্মবিশ্বাস বজায় রাখার জন্য ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে পঞ্চায়েত ভোট করবে রাজ্য সরকার। এদিন কাওয়াখালি এলাকায় পোড়াঝাড় কাওয়াখালি ভূমি রক্ষা কমিটির আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাঁদের ধর্না মঞ্চে গিয়ে দেখা করেন শুভেন্দু। আশ্বাস দেন পাশে থাকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • BJP Nabanna Abhijan: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

    BJP Nabanna Abhijan: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক সরকারি দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্য। এক-এক করে রাজ্যের শাসক দলের (TMC) নেতা-মন্ত্রীদের কেলেঙ্কারি ফাঁস হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়ে পথে বিজেপি (BJP)। প্রবল বৃষ্টি, দুর্যোগ ও প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই আজ, মঙ্গলবার পূর্বঘোষণা অনুযায়ী নবান্ন অভিযান করছে বিজেপি (BJP Nabanna Abhijan)। দুর্নীতি ইস্যুতে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই রাজ্য বিজেপির আজকের নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan)। 

    ইতিমধ্যেই, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতা ও হাওড়ার দিকে আসতে শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। হাওড়ায় সকালেই এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে দিকে দিকে বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ, তার মধ্যেই যাঁরা হাওড়া এসে পৌঁছেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানালেন সুকান্ত।  এদিন কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে লড়াইয়ের ডাক দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবারও সারাদিন বৃষ্টি চলবে, নেমেছে তাপমাত্রার পারদ, বুধে বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘চারিদিকে পুলিশ দিয়ে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ রাজ্য সরকার বিজেপির ভয়ে থরহরি কম্প। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন। তাই বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। লড়াই হবে লড়াই!’’ পুলিশি তৎপরতা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘‘বিজেপি উৎশৃঙ্খলতাতে বিশ্বাসী নয়। পুলিশের কাছে আমাদের আবেদন, আপনাদের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে, সেটাই পালন করুন। নয়তো আইনশৃঙ্খলা কোনওভাবে বিঘ্নিত হলে সেই দায় পুলিশ প্রশাসনের উপরই পড়বে।’’

    আজ বিভিন্ন দিক দিয়ে বিজেপির মিছিল নবান্নমুখী (Nabanna) হবে। এক-এক দিকের নেতৃত্ব দেবেন এক-এক জন নেতা। যেমন, হাওড়া ময়দানের দিক থেকে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল এগোবে নবান্নর দিকে। আরেকচি মিছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu) নেতৃত্বে সাঁতরাগাছি থেকে আসবে। আবার দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে তৃতীয় মিছিল কলেজ স্কোয়ার থেকে মহাত্মা গান্ধী রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, হাওড়া ব্রিজ অ্যাপ্রোচ রোড হয়ে এগোনোর কথা। বিজেপির নবান্ন অভিযানের আগে সোমবার রাজ্যের বাকি বিরোধী দলগুলোর উদ্দেশে ইঙ্গিতপূর্ণ আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিএ দিয়ে দেব! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিএ দিয়ে দেব! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় এলে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ কর্মীদের বকেয়া ডিএ (DA) মিটিয়ে দেওয়া হবে। পাণ্ডবেশ্বরে এক জনসভায় এমনই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেছেন, ‘পুলিশ কর্মীরা দীর্ঘদিন প্রাপ্য ডিএ থেকে বঞ্চিত। একজন কনস্টেবল কমপক্ষে প্রায় দশ হাজার টাকা কম পাচ্ছেন। আর সাব ইন্সপেক্টরের ক্ষেত্রে সেটা প্রায় কুড়ি হাজার টাকা। আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে আরটিজিএস কিংবা এনইএফটি করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনাদের অ্যাকাউন্টে ডিএ পাঠিয়ে পাঠিয়ে দেব।’ একই সঙ্গে তিনি পুলিশকে পরামর্শ দেন, নবান্নে আমাদের আটকাবেন না। তিনদিক থেকে মিছিল করে যাব আমরা। আমি থাকব সাঁতরাগাছিতে।

    আরও পড়ুন: হঠাৎ মধ্যরাতে আইনজীবীকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির মেনকা গম্ভীর! কেন?

    উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারের কর্মীদের ডিএ’র দাবি বহুদিনের। তা নিয়ে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে (High Court)। তার পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কেন্দ্রীয় হারে (৩১ শতাংশ) দ্রুত ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই রায় মানতে রাজি নয়। এক্ষেত্রে যুক্তি দেখানো হয়, রোপা রুল অনুযায়ী ১৬ শতাংশ ডিএ বাকি রয়েছে। একই সঙ্গে তাই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানিও শেষ। রায় বেরনোর অপেক্ষা। রাজ্য সরকারি কর্মীরা আশা করছেন, এবারও রায় তাদের পক্ষেই যাবে। তবে অনেকে আশঙ্কা করছেন, হেরে গেলে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যেতে পারে রাজ্য। তাতে প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা পেতে আরও কিছু সময় লাগবে।

    আরও পড়ুন: নিম্নচাপের প্রভাব! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলছে বৃষ্টি

    এই দড়ি টানাটানির মধ্যেই বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারি ডিএ নিয়ে প্রতিশ্রুতি মাস্টারস্ট্রোক বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। যা শুধু পুলিশ কর্মীদের নয়, সব রাজ্য সরকারের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কারণ, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পেলে রাজ্য সরকারের কর্মীদের বেতন এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: অকৃতজ্ঞ! মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছে বুয়া-ভাতিজার সরকার, ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: অকৃতজ্ঞ! মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছে বুয়া-ভাতিজার সরকার, ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর নিরলস চেষ্টায় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে (Nandigram) পায়ের নীচে মাটি পেয়েছে তৃণমূল (TMC)। অথচ এতটুকুও কৃতজ্ঞতা বোধ নেই। তার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছে রাজ্যের বুয়া ভাতিজার সরকার। অন্তত এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্য সরকারের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি (CID) অযথা বিরোধীদের হেনস্থা করছে বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর। 
    বাম আমলে নন্দীগ্রামে হয় ভূমি আন্দোলন। সেই সময় প্রবল পরাক্রান্ত বামেদের একাই রুখে দিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে নন্দীগ্রামে যান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারেননি তিনি। শেষমেশ সহায় হন শুভেন্দু। তাঁরই নির্দেশে এক দলীয় কর্মীর বাইকে সওয়ার হয়ে নন্দীগ্রামে ঢোকেন মমতা। বাকিটা তো ইতিহাস। পরে দলনেত্রীর সঙ্গে মনান্তরের জেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। তার পর থেকেই জোড়াফুল শিবিরের তরফে নানাভাবে এই পদ্ম নেতাকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন : চিকিৎসা ভাতা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী

    তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর। ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু বলেন, আমার নিরলস পরিশ্রমে যে জেলায় পা রাখার জায়গা পেয়েছিল তৃণমূল, প্রথম তৃণমূলের পতাকা উত্তোলন করতে পেরেছিল আমার জন্য, সেখানেই আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যে মামলা করছে বুয়া-ভাতিজা সরকার। তিনি বলেন, ২০১৫ অগাস্ট থেকে ২০২০ নভেম্বর পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে আমার নিরাপত্তা রক্ষায় যেসব রক্ষীকে নিয়োগ করা হয়েছিল, ২০২২ এর সেপ্টেম্বর মাসে সিআইডি চেষ্টা করছে তাঁদের দিয়ে আমার নামে মিথ্যে বিবৃতি দেওয়াতে। যাতে করে আরও বেশি করে মিথ্যে মামলা সাজানো যায় আমার বিরুদ্ধে।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, এটা ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে যে বিরোধী দলের নেতাদের হেনস্থা করতে সিআইডি কত নীচে নামতে পারে। শুভেন্দু লেখেন, চালিয়ে যাও। রাজ্যবাসীকে হেনস্থা করতে মূল্যবান সময় এবং সম্পদ নষ্ট কর। অথচ যেখানে তদন্ত করার কথা তোমাদের, সেখানে হাত গুটিয়ে বসে থাক। তৃণমূল নেত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমার বিরুদ্ধে আপনার এই অশুভ সাধনা চালিয়ে যান। তবে মনে রাখবেন, শাসকের আইনের ওপরে শেষতক রাজ করবে আইনের শাসনই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • BJP Nabanna Abhijan: দুর্নীতি নয়, বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকাতেই সক্রিয় মমতার পুলিশ! কীসের ভয়?

    BJP Nabanna Abhijan: দুর্নীতি নয়, বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকাতেই সক্রিয় মমতার পুলিশ! কীসের ভয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (BJP Nabanna Abhijan) ঠেকাতে একেবারে উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্যের শাসক দল (TMC Government)। রাজ্যে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি (West Bengal Corruption) এবং তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীদের কেচ্ছা-কেলেঙ্কারি (TMC Minister Leaders Corruption) এক এক করে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এমনিতেই বেকায়দায় মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। 

    এই দুর্নীতির প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার, নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। প্রথম থেকেই তা বানচাল করার উদ্দেশে, পুলিশ এই গণতান্ত্রিক অভিযানের অনুমতি দেয়নি। উল্টে, দিকে দিকে থেকে নবান্নর দিকে আসা বিরোধী নেতা-কর্মীদের কোথাও আটক করা হয়েছে, তো কোথাও টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের যাবতীয় মেশানারিকে ব্যবহার করে যেনতেন প্রকারে গেরুয়া-ঝড় রুখতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে মিছিল আসবে সাঁতরাগাছি থেকে। তার আগে সকালেই গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় কোনা এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ। শুধু বসানো নয়, একেবারে গার্ড রেল ঝালাই করে রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। মজুত রয়েছে ২টি জল কামান। মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। হাওড়া ময়দান থেকে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল আসার কথা। সেখানে জিটি রোডের ওপর তৈরি করা হয়েছে পুলিশি ব্যারিকেড। এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে গঠিত একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে গুঁড়িয়ে দিতে তৎপর মমতার পুলিশ (West Bengal Police)। সাঁতরাগাছিতে ইস্পাতের ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট তিনি কতটা ভীত ও উদ্বিগ্ন। 

    অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের (Nandigram) ক্ষুদিরাম মোড়ে বিজেপির মিছিল ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিজেপির মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। তমলুক (Tamluk) টোল প্লাজার সামনেও বিজেপির মিছিল রুখে দেয় পুলিশ। নবান্ন অভিযান আটকাতে কাঁথি স্টেশনে মোতায়েন প্রচুর পুলিশ। পুলিশি বাধা টপকেই কাঁথি স্টেশন থেকে রওনা দেন বিজেপি কর্মীরা। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবারও সারাদিন বৃষ্টি চলবে, নেমেছে তাপমাত্রার পারদ, বুধে বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস

    রানিগঞ্জ স্টেশনে বিজেপি কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় উর্দিধারীদের। কয়েকজন জোর করে স্টেশনে ঢুকে পড়লে ৫ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কুলটির বরাকর স্টেশনেও বিজেপি কর্মীদের দেখে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায় পুলিশ কর্মীদের। একজনকে গ্রেফতার করা হয়। আবার, নবান্ন অভিযানে যাওয়ার আগে বোলপুর (Bolpur) স্টেশনে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাঁধে। স্টেশন চত্বর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করায় বোলপুর স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। 

    বিজেপির নবান্ন অভিযান প্রতিহত করতে শাসক শিবির যে কোনও কসুর রাখছে না, তা স্পষ্ট। বিরোধীদের কটাক্ষ, দুর্নীতি নয়, এরাজ্যের পুলিশ সদা-সক্রিয় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে। তাই তো বিজেপির নবান্ন অভিযান রুখতে হাজারে-হাজারে পুলিশ মোতায়েন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘সিআইডি রাজ্যের ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশন…’, বাগুইআটিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘সিআইডি রাজ্যের ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশন…’, বাগুইআটিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাগুইআটিতে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে অপহরণ ও খুনের (Baguiati Twin Kidnapping and Murder) ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মর্মান্তিক এই ঘটনায় বাগুইআটি থানার পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এদিন বাগুইআটি থানার সামনে বিজেপির প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানেই রাজ্যের পুলিশ ও পুলিশমন্ত্রীর উদ্দেশে তীব্র আক্রমণ শানান। বিক্ষোভে যোগ দিয়ে এক বিস্ফোরক দাবি করেন শুভেন্দু। বাগুইহাটির ওসি কল্লোল ঘোষ কে আক্রমণ করে ভাইপোর ‘পিএ’ বলে সম্বোধন করে শুভেন্দু দাবি করেন, কল্লোল ঘোষকে উত্তর ২৪ পরগনা যুব তৃণমূলের সভাপতি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে এই থানায় নিয়ে এসেছিলেন। শুভেন্দু বলেন, বাগুইআটি থানার বিদায়ী ওসি কল্লোল ঘোষ একজন চোর – ডাকাত। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট লুঠ করতে মোটা টাকা দিয়ে তাঁকে বাগুইআটিতে এনেছেন উত্তর ২৪ পরগনা যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তী।

    আরও পড়ুন: বাগুইআটিতে জোড়া খুন, নিহত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

    জোড়া খুনে সিবিআই তদন্তের দাবিও তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, ‘‘সিআইডি ওদের ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশন। তাদের দিয়ে তদন্ত করিয়ে কোনও লাভ নেই।’’ রাজ্য সরকার অবিলম্বে সিবিআই তদন্তের অনুমতি না দিলে তাঁরা যে জনস্বার্থে কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা করবে, সেই হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। দুই পড়ুয়ার পরিবারকে আইনি সাহায্য দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷  একইসঙ্গে বাগুইহাটির পুলিশের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে শুভেন্দু দাবি করেছেন, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের শোকজ কিংবা সাসপেন্ড নয়, তাদের গ্রেফতার করতে হবে।’’ 

    এদিন সকাল থেকেই বাগুইআটি থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে বিজেপি-র (BJP) মহিলা মোর্চার কর্মীরা৷ আজ দুপুরেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ আজ প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একের পর এক বিস্ফোরক বক্তব্য রেখে গেছেন এদিন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পুলিশ মন্ত্রীও বটে, তিনি যখন মিডিয়াতে ঝড় ওঠে, বিরোধী দল বিশেষ করে বিজেপি দল প্রতিবাদে সোচ্চার হয়, তখন ইস্যুটাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি অনেক রকম ছলাকলা করেন। কারণ আমরা জানি, মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা না বলে জলগ্রহণ করেন না। সারাদিন মিথ্যা কথা বলতে বলতে তাঁকে এগোতে হয়। এবং পশ্চিম বাংলায় তিনি গত বিধানসভায় জিতেছেন জেহাদিদের সমর্থনে আর পুলিশের সাহায্যে। এখন শুধুমাত্র পুলিশরা টিকে আছে। যে পুলিশের সাহায্যে চলে খেলা মেলা, রক্তদান, অস্ত্রদান  আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তার ভাইপোর মিটিংয়ে গাড়ি ভর্তি করে লোক পাঠানো।“

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Saradha Scam: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যে বয়ান দিতে দেবযানীকে চাপ সিআইডি-র! সিবিআইকে বিস্ফোরক চিঠি মায়ের

    Saradha Scam: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যে বয়ান দিতে দেবযানীকে চাপ সিআইডি-র! সিবিআইকে বিস্ফোরক চিঠি মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে প্রায় থিতু হয়ে যাওয়া সারদাকাণ্ড (Saradha scam)। এবার সিবিআইকে (CBI) চিঠি দিলেন সারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা শর্বরী মুখোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ওই সংস্থাকে শর্বরী জানিয়েছেন, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ছ’কোটি টাকা নিয়েছেন বলে যেন সিবিআইয়ের কাছে স্বীকার করেন দেবযানী। শর্বরীর অভিযোগ, ২৩ অগাস্ট জেলে গিয়ে সিআইডি দেবযানীকে চাপ দিয়ে একথা বলতে বলে। 

    মাসকয়েক আগে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন সিবিআইকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি নিজে কয়েক কোটি টাকা দিয়েছেন। সুদীপ্ত সেনের এই বক্তব্যকেই হাতিয়ার করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। নানা সময়ে তাঁরা আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দুকে। সারদাকাণ্ডের জেরে ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে গ্রেফতার করা হয় সুদীপ্ত সেন ও তাঁর সহকর্মী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে। বর্তমানে আলিপুর মহিলা সংশোধানাগারে বন্দি রয়েছেন দেবযানী। বাংলার পাশাপাশি ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডেও তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। বাংলায় রেহাই পেলেও, প্রতিবেশী দুই রাজ্যের মামলা থেকেও অব্যাহতি পেতে হবে তাঁকে। তা না পাওয়ায় বন্দি রয়েছেন তিনি।

    সারদা গ্রুপ অফ ইন্ড্রাস্ট্রিজের পদস্থ কর্তা ছিলেন দেবযানী। সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে এ পর্যন্ত ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। লগ্নিতে বেশি অর্থ ফেরতের আশ্বাস দিয়ে বাজার থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সারদার কোম্পানির বিরুদ্ধে। সেই মামলায়ই এবার এল নয়া মোড়। 

    শর্বরী বলেন, মেয়েকে মানসিক চাপ দিচ্ছে সিআইডি (West Bengal CID)। শুভেন্দু অধিকারী ও সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) নামে অভিযোগ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। সারদার কাছ থেকে দুজনেই নিয়েছেন ৬ কোটি করে টাকা। তাঁর সামনেই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে বয়ান দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে দেবযানীকে। অভিযোগ না করলে আরও ৯টি মামলায় ফাঁসানো হবে তাঁকে। ঘটনাটিকে ধিক্কার জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, এক সময়ের মর্যাদা সম্পন্ন সিআইডি বর্তমানে পিসি-ভাইপোর দারোয়ানে পরিণত হয়েছে।

    আরও পড়ুন : মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • PIL: বাম-বিজেপি নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নয়া মোড়! কী হল আদালতে?

    PIL: বাম-বিজেপি নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নয়া মোড়! কী হল আদালতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস-সহ রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলের প্রথম সারির ১৭ জন নেতার নামে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় সবরকম সহোযোগিতার আশ্বাস দিলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের আইনজীবী। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সময় সিপিএমের দুই নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য এবং মহম্মদ সেলিমের আইনজীবীরা জানান, তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন তাঁদের মক্কেলরা। কিন্তু তদন্ত করাতে হবে যে কোনও নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে। আইনজীবীরা এদিন স্পষ্টই জানান, মামলায় সবরকম সহযোগিতা করবেন তাঁরা। তবে মামলার নথি আদান প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় শুনানিপর্ব পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগামী মঙ্গলবার ৩০ অগাস্ট ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    এর আগে শাসকদলের ১৯ জন নেতামন্ত্রীর নামে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি মামলা হয়েছিল। যে মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তারই পাল্টা বিরোধীদের ১৭ নেতার বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টে জনৈক সুজিত গুপ্ত এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলাকারী জানান, ১৭ জন বিজেপি বিধায়ক-সাংসদ এবং অন্যান্য দলের নেতার আয় ও সম্পত্তি বৃদ্ধি নজরে রাখা উচিত। কারও কারও সম্পত্তি দ্বিগুণ বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেন মামলাকারী।

    আরও পড়ুন: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম

    এই মামলায় নাম রয়েছে তৃণমূলের কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। এছাড়া রয়েছে, বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের নামও। নাম রয়েছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত, বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ সিনহার (রাহুল সিনহা)। নাম রয়েছে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল মান্নান, সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ও সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের।

LinkedIn
Share