Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের চাপে ‘বাংলা’ সরে ফের বসছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম? ট্যুইট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের চাপে ‘বাংলা’ সরে ফের বসছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম? ট্যুইট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যবাসীকে বোকা বানাতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম নিজেদের নামে চালানোর চেষ্টা করেছিল। এখন কেন্দ্রের গুঁতোয় ফের নিজেদের দেওয়া নাম বাংলা আবাস যোজনা (Bangla Awaas Yojana) প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে মমতা সরকার। ট্যুইট করে এমনটাই জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    এই প্রেক্ষিতে, তিনি বিডিওদের পাঠানো একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। সেখানে জেলাশাসকের তরফে বিডিওদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়িতে উপযুক্ত লোগো যেন আঁকা থাকে তা যেন নিশ্চিত করা হয়। 

    [tw]


    [/tw]

    শুভেন্দু ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘বিডিওদের এই জরুরি বার্তা পাঠিয়েছেন জেলাশাসক। তাতে কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শনের আগে বিডিওদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ‘সঠিক’ নাম ও লোগো সাঁটতে বলা হয়েছে। সেই লোগোও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ এভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। তাই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের বিডিওর কথা না শুনে নিজেদের ইচ্ছামতো প্রকল্পের বাড়ি পরিদর্শনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বাংলা আবাস যোজনা নাম মুছলে তবেই মিলবে টাকা, রাজ্যকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে রাজ্য সরকার। এমন অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে জানানো হয়েছিল, আবাস যোজনায় প্রধানমন্ত্রীর নাম যুক্ত না করলে কেন্দ্র এই প্রকল্পে আর টাকা দেবে না। 

    সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল আবাস যোজনার বাড়ির বরাদ্দ কেন রাজ্যে আসছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) দ্বারস্থ হয়েছিল। মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগে বাংলা আবাস যোজনা নামটি বাতিল করলে ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করা হোক, তার পরেই টাকা দেওয়ার প্রশ্ন আসবে। এমনকি, কেন্দ্রের নতুন প্রকল্প ‘আবাস প্লাস’ বাবদও বাংলাকে কোনও টাকা দেওয়া হবে না বলে জানায় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।
     
    ২০১৭ সালের ২১ অগাস্ট এবং ২০২২ সালের ১২ মে রাজ্য সরকারকে দুটি চিঠি পাঠিয়ে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে জানিয়ে দেন। বলা হয়, রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর অবশ্য কেন্দ্রের চিঠির কোনও জবাব দেয়নি। বাংলা আবাস যোজনার নাম বদল করা হবে, সে কথাও জানায়নি। 

    আরও পড়ুন: কেন ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের টাকা আটকেছে কেন্দ্র? রইল ৮ কারণ

  • PMAY-G: বাংলা আবাস যোজনা নাম মুছলে তবেই মিলবে টাকা, রাজ্যকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    PMAY-G: বাংলা আবাস যোজনা নাম মুছলে তবেই মিলবে টাকা, রাজ্যকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY-G) নাম বদলে রাজ্য সরকার নাম দিয়েছে বাংলা আবাস যোজনা। কিন্তু এই নাম ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা না করলে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও টাকা দেবে না। যতক্ষণ না দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামে এই প্রকল্পের নাম ফের বদল হচ্ছে ততক্ষণ রাজ্যে আবাস-প্লাস প্রকল্পে একটি ঘরও আসবে না। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রেই এখবর জানা গিয়েছে।

    সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল আবাস যোজনার বাড়ির বরাদ্দ কেন রাজ্যে আসছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) দ্বারস্থ হয়েছিল। মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগে বাংলা আবাস যোজনা (Bangla Awaas Yojana) নামটি বাতিল করলে ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করা হোক, তার পরেই টাকা দেওয়ার প্রশ্ন আসবে। 

    ২০১৭ সালের ২১ অগাস্ট এবং ২০২২ সালের ১২ মে রাজ্য সরকারকে দুটি চিঠি পাঠিয়ে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে জানিয়ে দেন। রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর অবশ্য কেন্দ্রের চিঠির কোনও জবাব দেয়নি। বাংলা আবাস যোজনার নাম বদল করা হবে, সে কথাও জানায়নি। তার জেরে রাজ্যের প্রায় ১০-১২ লক্ষ গরিব মানুষ বাড়ি পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারীর কথায়,“পশ্চিমবঙ্গ তো দেশের বাইরে নয়। যদি সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা চলতে পারে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গে তার নাম কেন বদল হবে। আসলে রাজ্য সরকারের ম্যাচিং গ্রান্ট দেওয়ার টাকা নেই, সেই কারণে গরিব মানুষের পাকা বাড়ি তৈরি্র যে স্বপ্ন নরেন্দ্র মোদিজি (Modi) দেখিয়েছেন এ রাজ্যে তা পূরণ করতে দিচ্ছেন না মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়।” রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের এক কর্তা জানান, বাংলা আবাস যোজনা নাম বদলাতে রাজি নয় নবান্ন। সেই কারণেই জটিলতা অব্যাহত রয়েছে।

    এইভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করেছে মমতা প্রশাসন

     

    কেন পাকা বাড়ির টাকা পাচ্ছে না রাজ্য?

    গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রের দাবি, গত ১২ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে চিঠি লিখে জানান, ২০১৬-১৭ সাল থেকে রাজ্য সরকার ৩২ লক্ষ বাড়ি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তৈরি করেছে। দেশে এই প্রকল্পে প্রথম হয়েছে রাজ্য। তারপরেও কেন টাকা আটকে রাখা হয়েছে। মন্ত্রক জানাচ্ছে, ২০১১ সালের আর্থ সামাজিক জাতি সমীক্ষার পর বাংলায় ৩৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬০৮টি পাকা বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩৪ লক্ষ ৮৮ হাজার। এই প্রকল্পে রাজ্যের তহবিলে ১৩৩৮ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। গত ২৪ মার্চেও আবাস যোজনার জন্য ৬৮৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার সব কাজ শেষ করতে এই টাকা যথেষ্ঠ। 

    কেন রাজ্য সরকার ম্যাচিং গ্রান্টসহ উপভোক্তাদের টাকা পাঠাচ্ছে না সেই প্রশ্নও তুলেছে কেন্দ্রীয় কর্তারা। তবে ২০২১-২২ সাল থেকে আবাস-প্লাস (Awaas+) নামে নতুন প্রকল্প শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমেও আরও অন্তত ১০-১২ লক্ষ পরিবার পাকা বাড়ি হবে। কিন্তু ন্যাশনাল লেভেল মনিটররা রাজ্যে এসে এই প্রকল্পে ভুরি ভুরি অভিযোগ পেয়েছেন। কাটমানি খাওয়া, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবার তাদের বাড়ি দেওয়া, রাজনৈতিক রং দেখে বাড়ি দেওয়া এবং পর্বত প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে দেখা যায় নাম বদলে দেওয়ার ঘটনাও।

    আরও পড়ুন: কেন ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের টাকা আটকেছে কেন্দ্র? রইল ৮ কারণ

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন সচিব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ২২ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল দুটি ডিও লেটার লিখে প্রকল্পের অনিয়মের ব্যাপারে ১ মে-র মধ্যে জবাব চেয়েছিলেন। তার কোনও জবাব দেয়নি রাজ্য। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক (Ministry of Finance) কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল হলে তার টাকা না দেওয়ার কথাও রাজ্যগুলিকে জানিয়ে রেখেছে। তার পরেও নবান্ন (Nabanna) কোনও পদক্ষেপ করেনি। ফলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকও (Ministry of Urban Development) জানিয়ে দিয়েছে বাংলা আবাস যোজনা বদলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করলে তবেই মিলবে গ্রামে পাকা বাড়ির তৈরির বরাদ্দ।

  • Howrah Violence: অগ্নিগর্ভ হাওড়া, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি রাজ্য বিজেপির

    Howrah Violence: অগ্নিগর্ভ হাওড়া, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নূপুর শর্মা (Nupur Sharma) বিতর্কে অগ্নিগর্ভ হাওড়া (Howrah)। সেনা নামিয়ে মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার আবেদন জানিয়ে রাজ্যপালকে মেল করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। শুভেন্দুর সেই চিঠি ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সহ সভাপতি সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)।

    হজরত (Prophet) মহম্মদকে নিয়ে দিনকয়েক আগে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা। ঘটনার পরে পরেই তাঁকে সাসপেন্ড করে দল। কেড়ে নেওয়া হয় প্রাথমিক সদস্যপদও। তার পরেও শান্ত হয়নি বাংলার হাওড়া (Howrah)। জেলার উলুবেড়িয়া, ধুলোগড়, ডোমজুড়, শলপ সহ বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের গাড়ি, কিয়স্কে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। পাঁচলায় বিজেপির পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয়। হাওড়ার অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। শলপে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। রেল লাইনে অবরোধের জেরে হাওড়া দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল।

    আরও পড়ুন : অফিসে পুলিশি হানা কেন? বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির প্রতিবাদে সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে উলুবেড়িয়ার নিমদিঘি থেকে পাঁচলা পর্যন্ত কয়েকশো গাড়ি ভাঙা হচ্ছে, পোড়ানো হচ্ছে। তাতে নিরপরাধ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন। গোটা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে সকাল থেকে রাজ্যপালকে একাধিক ভিডিও, ট্যুইট করেছি। মেলেও সেনা নামিয়ে মানুষের জীবন সম্পত্তি রক্ষার আবেদন জানিয়েছি রাজ্যপালকে।

    [tw]


    [/tw]

    তাঁকে লেখা চিঠির কপি ট্যুইট করেছেন রাজ্যপাল। সেই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে (Chief Secretary) তিনি লেখেন, পূর্ব নির্ধারিত আলোচনার সময় সশস্ত্র বাহিনী বা আধা সেনা মোতায়েনের বিষয়ে যেন রাজ্য সরকারের অবস্থান তাঁর কাছে স্পষ্ট করা হয়। রাজ্য প্রশাসনের বক্তব্য, পুলিশ ওই এলাকায় আগে থেকেই সক্রিয়। প্রচুর পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet cut off)।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    এদিকে, রাজ্যের অশান্তির এই খণ্ডচিত্রের ছবি তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। রাজ্যের পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

  • Suvendu Adhikari: উঠল সাসপেনশন, বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন শুভেন্দুরা

    Suvendu Adhikari: উঠল সাসপেনশন, বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন শুভেন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ সাত বিজেপি (BJP) বিধায়কের (MLA)। সাসপেনশন (Suspension) প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ধর্নায় বসেছিল বিজেপি। এদিন সাসপেনশন তুলে নেওয়া হতেই উঠে যায় ধর্নাও। সাসপেনশন উঠে যাওয়ায় এবার বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন ওই সাত বিধায়ক।  

    বিধানসভায় বিশৃঙ্খলার অভিযোগে গত বাজেট অধিবেশনে সাসপেন্ড হয়েছিলেন শুভেন্দু সহ বিজেপির সাত বিধায়ক। সাসপেনশন জারি ছিল এই অধিবেশনেও। সাসেপনশন প্রত্যাহারের আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপির সাসপেন্ডেড বিধায়করা। সাসেপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে ধর্নায়ও বসেছিলেন তাঁরা। তার পরেও প্রত্যাহার করা হয়নি সাসপেনশন।

    আরও পড়ুন : সুকান্তর পর শুভেন্দু! এবার হাওড়া যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতাকে আটকাল পুলিশ!

    এর আগে একবার সাসেপনশন তোলার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার জানিয়েছিলেন, বিজেপির আনা প্রস্তাবে ভুল ছিল। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার পাল্টা দাবি, প্রস্তাবে কোনও ভুল ছিল না।

    এদিন শুভেন্দুদের নয়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয় অধিবেশনে। শুভেন্দুদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের প্রস্তাবে সায় দেয় তৃণমূলও। তার পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু সহ সাত বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন। শুভেন্দু ছাড়াও যাঁদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়েছে তাঁরা হলেন, শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মণ, মনোজ টিগ্গা, নরহরি মহাতো, সুদীপ মুখোপাধ্যায় এবং মিহির গোস্বামী।

    আরও পড়ুন : অফিসে পুলিশি হানা কেন? বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, এদিন বিএ কমিটির বৈঠকে হাজির ছিলেন না বিজেপির কোনও প্রতিনিধিই। তবে শাসকদলের বাকি সদস্যরা সম্মতি দিয়েছিলেন সাসপেনশন প্রত্যাহারের পক্ষে। তার পরেই সাসপেনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন স্পিকার।

    গত বাজেট অধিবেশনে সাসপেন্ড হয়েছিলেন শুভেন্দু সহ বিজেপির সাত বিধায়ক। এর মধ্যে আবার অসংসদীয় আচরণের জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিলেন স্পিকার। বিধানসভায় তাঁর অফিসে বসার ক্ষেত্রেও জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। এনিয়ে আদালতে যান শুভেন্দু। আদালত বিষয়টি মীমাংসার পরামর্শ দেয়। তার পর সোমবার পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা বলে বিজেপি বিধায়কদের প্রথম আবেদনপত্রটি খারিজ করে দেন স্পিকার। আদালতের নির্দেশে এদিন ফের একবার আবেদন করেন শুভেন্দুরা।

     

  • JP Nadda: “শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন”, রাজ্যে এসে বার্তা নাড্ডার

    JP Nadda: “শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন”, রাজ্যে এসে বার্তা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজনীতিতে কোনও কিছুই স্থির থাকে না, আজ যা আছে তা আগামীকাল থাকবে না, যা আগামীকাল হবে তা পরশু থাকবে না।” রাজ্যে এসে তৃণমূলকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন জগৎ প্রকাশ নাড্ডা।

    আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে, দলের মনোবল বাড়াতে মঙ্গলবার, ২ দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। দলের কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি, বিভিন্ন জনসংযোগ কর্মকাণ্ডে তিনি এদিন যোগ দেন।

    এদিন বিহার-উত্তরপ্রদেশের তুলনা টেনে এনে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি মনে করিয়ে দেন, কোনও রাজ্যে কোনও দলই চিরস্থায়ী থাকতে পারে না। তিনি বলেন, “২০ বছর আগেও কেউ ভাবেনি বিহার থেকে লালুপ্রসাদ যাদবের রাজত্ব শেষ হবে। কিন্তু বিজেপি সেখানেও পূর্ণ শক্তি নিয়ে এসেছে। উত্তরপ্রদেশে কেউ ভাবেনি যে মুলায়ম সিংয়ের শাসন শেষ হবে। আজ সেখানে বিজেপি সবাইকে সাফ করে দিয়েছে। সর্বত্র বিজেপি সরকার গঠিত হচ্ছে।” 

    আরও পড়ুন: বাংলার হারানো গৌরব ফেরাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, রাজ্য সফরে এসে নাড্ডা

    নাড্ডা বলেন, “আমাদের সবসময় সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সেই জন্য নিজেদের শক্তি সম্পর্কেও ধারণা থাকা উচিত।” নাড্ডার বিশ্বাস, আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও বিজেপি সরকার গঠনে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, “আমরা অন্ধ্রপ্রদেশে, তেলেঙ্গানায় এবং খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন করব।”

    রাজ্যের বর্তমান শাসক দলকে আক্রমণ করে নাড্ডা বলেন, “বাংলা সম্পর্কে একসময় বলা হতো যে Which Bengal thinks today, India thinks tomorrow. বাংলাকে এক সময় অর্থনৈতিক রাজধানী বলা হলেও আজ এখানে শোচনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।” 

    পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি যোগ করেন, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (NCRB)-এর মতে, আজ পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি অপহরণের ঘটনা ঘটছে। পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি নারী পাচার হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে রাজ্যের এই হাল?”

    আরও পড়ুন: কাশী-মথুরা নিয়ে কী ভাবছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন নাড্ডা

    এই প্রেক্ষিতে নাড্ডা জানান, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কী কী করেছে, তার খতিয়ান তুলে ধরেন নাড্ডা। বলেন, “স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে, ৭৪ লক্ষ পশ্চিমবঙ্গে নির্মিত হয়েছে। পাশাপাশি, জনধন যোজনার অধীনে পশ্চিমবঙ্গে ২.৮২ কোটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ লক্ষ বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।”

  • JP Nadda: “দেশ বদলেছে, রাজ্যেও বদল আসবে”, বার্তা নাড্ডার

    JP Nadda: “দেশ বদলেছে, রাজ্যেও বদল আসবে”, বার্তা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে বদল হয়েছে, এরাজ্যেও পরিবর্তন আসবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলামন্দিরে বিদ্বজ্জনদের সভায় এমনটাই জানালেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। 

    বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি রাজ্যের বর্তামান পরিস্থিতির সঙ্গে দেশে ২০১৪ সালের পূর্ববর্তী পরিস্থিতির তুলনা করেন। তিনি বলেন, “২০১৪’র আগে দেশের যেরকম পরিস্থিতি ছিল, আজ বাংলার পরিস্থিতিও একই রকম। লুঠপাট, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি সহ বিশ্বের দুর্নীতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় দেশের নাম নেওয়া হতো। কিন্তু আজ দেশ বদলাচ্ছে না, বদলে গিয়েছে। সেজন্য বাংলা নিয়েও আমি হতাশ হই না। হয়তো একটু সময় লাগবে কিন্তু এখানেও পরিবর্তন আসবে।”

    পরিবারতন্ত্র নিয়ে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে ফের একবার সুর চড়ান নাড্ডা। বলেন, “কাশ্মীর থেকে নীচ পর্যন্ত পরিবারতন্ত্র। এখানেও তো পিসি-ভাইপো। বাকিরা তো ল্যাম্পপোষ্ট। এখানে হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে সিবিআই (CBI) তদন্ত চলে।” তিনি মনে করিয়ে দেন, যারা বাংলার গর্বকে ক্ষতি করতে চাইবে, তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে।”

    কলামন্দিরে অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) কাজের খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “মোদিজির শাসনের ৮ বছর পর আমরা বলতে পারি মোদি থাকলে সব সম্ভব। আজ আমাদের নীতি সংস্কার, সুশাসন, গতি, দক্ষতা। এখন পর্যন্ত, বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের ২২ লক্ষ কোটি টাকা ডিজিটালভাবে সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে।” 

    নাড্ডা আরও বলেন, “আজ একটি বোতাম টিপেই ২৩ হাজার কোটি টাকা সরাসরি ১০ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে। আজ মোদি সরকারের অধীনে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY) আওতায় ২.৫ কোটি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। আজ ১২ কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনার (PMJJBY) সুবিধা পাচ্ছেন, যার মধ্যে ৭৬ লক্ষ সুবিধাভোগী বাংলার মানুষ। ২৮ কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার (PMSBY) সুবিধা পাচ্ছেন, যা নিজেই একটি রেকর্ড।”

    এর আগে নিউটাউনের হোটেলে বিজেপির বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন সর্বভারতীয় সভাপতি। সেখানে তিনি জানান, করোনা না এলে এবারই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি (BJP Bengal) ক্ষমতায় চলে আসত। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি মনে করিয়ে দেন, চতুর্থ দফার ভোটের পর ঠিকমত প্রচারই করতে পারা যায়নি। করোনার জন্য প্রায় প্রচার ছাড়াই বিজেপিকে ভোটে লড়তে হয়েছে। না হলে যে গতিতে বিজেপি এগোচ্ছিল, তাতে এবারই নিশ্চিত ছিল।

    আরও পড়ুন: “শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন”, রাজ্যে এসে বার্তা নাড্ডার

  • Suvendu Slams Mamata: “বৃথা চেষ্টা, একটা বিগ জিরো…”, মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    Suvendu Slams Mamata: “বৃথা চেষ্টা, একটা বিগ জিরো…”, মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election) ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরোধীদের একজোট করার প্রচেষ্টায় বৈঠককে অপ্রাসঙ্গিক বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিরোধী দলনেতা, মুখ্য সচেতকসহ সাত বিজেপি বিধায়ককে সাসপন্ড করেছেন। সেই কারণে বিধানসভার বাইরে ধর্না দেন বিজেপি বিধায়করা। সেখানেই শুভেন্দু বলেন, “ওই বৈঠকের কোনও গুরুত্ব নেই। জগনমোহন রেড্ডি, কে চন্দ্রশেখর রাও এবং নবীন পট্টনায়েকের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বৈঠকে যাচ্ছেন না।”

    রাজ্য থেকে বিজেপির মনোনীত প্রার্থীই বেশি ভোট পাবেন বলে নিশ্চিত শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “গতবার বিজেপির ৩ বিধায়ক থাকলেও এই রাজ্য থেকে রামনাথ কোবিন্দ ১৩ জনের ভোট পেয়েছিলেন। এবার বিজেপির ৭০ জন বিধায়ক। গতবার ২ সাংসদ রাজ্য থেকে এনডিএ প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন, এবার অন্তত ১৮ জনের ভোট ঝুলিতে আসবে। সংখ্যাটা ১৮-র বেশিও হতে পারে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের গণনার দিন সবাইকে লাড্ডু খাওয়াব।”

    আরও পড়ুন: ‘ছাপ্পাশ্রী’ পুরস্কার দেওয়া হোক, আচার্য বিল নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    তৃণমূলনেত্রীর প্রচেষ্টাকে ‘বিগ জিরো’ বলেও এদিন কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা।  বলেন,”উনি ১০ বছর ধরে দেশের নেত্রী হওয়ার বৃথা চেষ্টা করছেন।”  

    কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা নিয়েও এদিন মমতাকে একহাত নেন শুভেন্দু। প্রশ্ন করেন “স্টিকার লাগানোর ব্যবসা কতদিন চালাবেন?”
    হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ লিখতে হবে, তারপরেই কেন্দ্রীয় সাহায্য পাওয়া যাবে। আগে লিখতে হবে ‘জলজীবন মিশন’, তারপর পুলক রায় টাকা পাবেন। রাজ্যের দেওয়া নাম ‘জলস্বপ্ন’-এ টাকা দেওয়া হবে না।” 

    আরও পড়ুন: বিরোধীহীন অধিবেশন চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    এছাড়া এদিন আর্থিক তছ্রুপের অভিযোগে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন,”রাজ্য সরকার তিন বছর ধরে কেন্দ্রের পাঠানো টাকার হিসেব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ বনদপ্তর একটা নারকেল গাছ কেনে ৪২ টাকা দিয়ে। আর কিষাণ কল্যাণী ফার্ম আড়াইশো টাকা করে ৩২ কোটি টাকার নারকেল গাছ সরবরাহ করেছে এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে। পরে আর্থিক  তছরুপের তদন্ত হবে।”     

     

  • Siuri Sealdah New Train: চালু হয়ে গেল সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, জনতার মুখে জগন্নাথ-স্তুতি

    Siuri Sealdah New Train: চালু হয়ে গেল সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, জনতার মুখে জগন্নাথ-স্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার প্রহর গোণা শেষ হল সিউড়িবাসীর (Inhabitants of Siuri)। রবিবারের শুভক্ষণে চালু হয়ে গেল সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেসের (Siuri Sealdah Express)। এই ট্রেনে চড়েই খুব কম সময়ে সিউড়ি (Siuri) থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে কলকাতার (Kolkata) প্রাণকেন্দ্রে। তাই ট্রেনযাত্রার সূচনা হতেই সিউড়িতে শুরু হয়ে গেল উৎসব।

    এই উৎসবের নান্দীমুখ হয়েছিল আগেই। কিছুদিন আগেই রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৩১ জুলাই উদ্বোধন হবে সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেসের। তার পরেই একটু একটু করে ডানা মেলতে শুরু করেছিল সিউড়িবাসীর স্বপ্ন। সেই স্বপ্নই পূরণ হল রবিবার।

    সিউড়ি থেকে কলকাতা যাত্রার একটা দুরন্ত গতির ট্রেনের দাবি সিউড়িবাসীর দীর্ঘদিনের। সেই দাবি পূরণে ব্যর্থ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। উদাসীনতার অভিযোগও উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হন প্রাক্তন সাংবাদিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে জনতার নাড়ি বোঝেন। ভোটে অবশ্য হেরে যান সিউড়ির ভূমিপুত্র জগন্নাথ। জনতা তাঁকে চাইলে কী হবে, শাসক দলের ভোট মেশিনারির কাছে পরাস্ত হন তিনি। তা সত্ত্বেও সিউড়িবাসীর স্বপ্ন পূরণে উদ্যোগী হন জগন্নাথ। কথা বলেন রেলমন্ত্রীর সঙ্গে। আশ্বাস নিয়ে তবেই ফেরেন দিল্লি থেকে। সেই খবর আগেই মাধ্যম জানিয়ে দিয়েছে পাঠকদের। সিউড়িবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত সেই স্বপ্নই পূরণ হল এদিন।

    আরও পড়ুন : রবিবার থেকেই সিউড়ি-শিয়ালদহ নতুন ট্রেন

    রবিরার দুপুরে সিউড়ি ছিল আক্ষরিক অর্থেই উৎসবের মেজাজে। রঙিন বেলুন, ঢাক ও ব্যান্ড পার্টি সহযোগে বিজেপি কর্মীরা তরুণ তুর্কি নেতা জগন্নাথকে সঙ্গে নিয়ে যান সিউড়ি স্টেশনে। সেখানে তার পরে পরেই চলে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মেমু এক্সপ্রেসের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু, জগন্নাথ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বীরভূম এগোবে জগন্নাথের মতো তরুণ নেতার হাত ধরে। প্রকৃত শান্তিনিকেতন তৈরি হবে এখানে। ট্রেন চালু হওয়ায় যারপরনাই খুশি জগন্নাথ। বলেন, যা করার কথা ছিল বিধায়ক, সাংসদের, তাঁরা তা করেননি। আমি হেরে গিয়েও সিড়ড়িবাসীর দাবি পূরণ করার স্বপ্ন দেখা ছাড়িনি। সেই স্বপ্নই পূরণ হল এদিন। সিউড়িবাসীর স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগল ৭৫ বছর!    

    পয়লা আগস্ট থেকে প্রতিদিন ভোর ৫টা ২০-তে এই মেমু এক্সপ্রেস ছাড়বে সিউড়ি থেকে। পথে ট্রেনটি দাঁড়াবে পাণ্ডবেশ্বর, অন্ডাল, দুর্গাপুর, পানাগড়, বর্ধমান, ব্যান্ডেল এবং নৈহাটিতে। শিয়ালদহ পৌঁছবে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে। স্বাভাবিকভাবেই বিরাট সুবিধা হবে অফিস যাত্রীদের। বিকেলে ফের শিয়ালদহ থেকে ট্রেনটি ছাড়বে ৫টা ২৫ মিনিটে। সিউড়ি পৌঁছবে রাত ৯টা ৩২এ। ফলে ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দিনের দিন কলকাতায় কাজ সেরে ফের ঘরে ফেরার সুযোগ এবার সিউড়িবাসীর হাতের মুঠোয়। তাই সিউড়িবাসীর মুখে এখন কেবলই জগন্নাথ-স্তুতি।

    আরও পড়ুন : টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

  • Suvendu Sukanta: হাওড়ায় যেতে কেন বাধা? সুকান্ত-শুভেন্দুকে মামলায় অনুমতি হাইকোর্টের

    Suvendu Sukanta: হাওড়ায় যেতে কেন বাধা? সুকান্ত-শুভেন্দুকে মামলায় অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah) ঢোকার চেষ্টা করলে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে (BJP State President) গ্রেফতার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে (Leader of Opposition) বাধা কেন দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 

    রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসন ও সরকারের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu) এবং বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)৷ বিষয়টি নিয়ে মামলার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই নেতা৷ কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের সেই আবেদন মেনে নিয়ে মামলা রুজু করার অনুমতি দিয়েছে৷

    পয়গম্বরকে (Prophet Row) নিয়ে বিজেপির নিলম্বিত জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা (Howrah Violence)৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল হাওড়ায়। সোমবার তা পুনরায় চালু করা হয়। উলুবেড়িয়া সহ বেশ কিছু এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। 

    আরও পড়ুন: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে বিজেপি-র কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে৷ তারপরই হাওড়া যাওয়ার উদ্যোগ নেন শুভেন্দু ও সুকান্ত৷ কিন্তু, তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ৷ শনিবার সেই পার্টি অফিসে যেতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। কিন্তু, তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।

    নিউ টাউনের বাড়িতে বেরোতেই পুলিশ আটকায় সুকান্ত মজুমদারকে। কিন্তু পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই গাড়ি করে রওনা দেন হাওড়ার উদ্দেশে। কিন্তু মাঝ পথেই তাঁর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। তখন পায়ে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে।

    অন্যদিকে, রবিবার একইভাবে কাঁথি থেকে হাওড়ায় যেতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু পুলিশ হাওড়ায় যেতে দেয়নি তাঁকেও। নন্দীগ্রামে দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হওয়ার পর শুভেন্দু হাওড়া না গিয়ে কলকাতায় এসে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন শুভেন্দু। একই সঙ্গে তাঁকে ‘বেআইনি ভাবে’ হাওড়া যাওয়ায় বাধা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ ত্রিবেদীকেও চিঠি দেন শুভেন্দু। 

    আরও পড়ুন: বেথুয়াডহরি স্টেশনে ভাঙচুর বিক্ষোভকারীদের, প্রতিবাদে ৭২-ঘণ্টা ব্যবসা বন‍্‍ধ

    শুভেন্দু আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, হাওড়ায় ঢুকতে তাঁকে বাধা দেওয়া হলে, তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। এই দুই ঘটনায় পুলিশের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার অনুমতি চান সুকান্ত-শুভেন্দু। সোমবার, তাঁদের সেই আবেদন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালত।

  • JP Nadda: দুদিনের সফরে রাজ্যে জেপি নাড্ডা, আজ কোথায় কী কী কর্মসূচি?

    JP Nadda: দুদিনের সফরে রাজ্যে জেপি নাড্ডা, আজ কোথায় কী কী কর্মসূচি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দু’দিনের সফরে বঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (BJP National President) জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় পৌঁছোন তিনি। বুধবার তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। 

    দলীয় সূত্রের খবর, প্রথমে চুঁচুড়ায় ঋষি অরবিন্দের (Sri Aurobindo) স্মৃতিবিজড়িত বন্দেমাতরম ভবনে যাবেন নাড্ডা (Nadda)। এরপর তিনি চন্দননগরে রাসবিহারী বসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটে যাবেন। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে (National Library) রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে (state working committee) যোগ দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। 

    বৃহস্পতিবার সকালে তিনি যাবেন বেলুড় মঠে (Belur Math)। দুপুরে সায়েন্স সিটিতে (Science City) রাজ্যের সমস্ত মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেবেন নাড্ডা। এরপর বিকেলে কলামন্দিরে (Kala Mandir) কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। আগামীকাল সন্ধ্যায় বিমানে দিল্লি ফিরবেন নাড্ডা।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দমদমে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Netaji Subhas International airport) নাড্ডাকে স্বাগত জানান বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব (West Bengal BJP)। নাড্ডার বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের অনেক আগে থেকেই বিমানবন্দর চত্বরে ভিড় জমান দলীয় কর্মী সমর্থকরা। দলীয় পতাকা ফুল ঢাক ঢোল নিয়ে তাঁরা স্বাগত জানাতে হাজির হন।

    রাত নটার কিছু পরে তাঁর বিশেষ বিমান অবতরণ করে কলকাতা বিমানবন্দরে। জেপি নাড্ডা বিমানবন্দর থেকে বাইরে বের হতেই উৎসবের চেহারা নেয় এলাকা। পুষ্পবৃষ্টি, স্লোগানে তখন গমগম করে বিমানবন্দর। সেখানেই তাঁকে অভ্যর্থনা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ বঙ্গ বিজেপি (BJP Bengal) নেতৃত্বরা। 

    রাতেই নিউটাউনের বেসরকারি হোটেলে নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), অমিত মালব্য (Amit Malviya), লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee), অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) সহ বিজেপির (BJP) একাধিক নেতা-নেত্রী।

    আরও পড়ুন: কাশী-মথুরা নিয়ে কী ভাবছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন নাড্ডা

LinkedIn
Share