Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: রাজ্য সরকারের ‘অদক্ষতায়’ বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্য সরকারের ‘অদক্ষতায়’ বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue Situation in West Bengal) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী  মনসুখ মাণ্ডব্যকে (Mansukh Mandaviya) চিঠি পাঠালেন তিনি ৷ ট্যুইটারে নিজেই সেকথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। 

     

    সোমবার নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে সেই চিঠির ছবি পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷ লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অদক্ষতার জন্যই রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ৷ আমি সম্মানীয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ মনসুখ মাণ্ডব্যজিকে এই বিষয়ে একটি চিঠি লিখে পাঠিয়েছি ৷ রাজ্য সরকারকে দিশা দেখানোর জন্য এবং আমজনতার সুবিধার্থে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর আবেদন জানিয়েছি ৷”

    আরও পড়ুন: ‘দুধ দিলে ক্ষীর পাবে, কিন্তু…’, কাকে এমন হুঁশিয়ারি দিলেন সুকান্ত, জানেন?

    চিঠিতে বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। রাজ্য প্রশাসন ডেঙ্গি আক্রান্ত এবং ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান দিচ্ছে না বলেও দাবি করেন বিরোধী নেতা। বিরোধী নেতার অভিযোগ, রাজ্য সরকার তথ্য গোপন করছে। 

    চিঠিতে শুভেন্দু জানান, রাজ্য সরকারের কোষাগারে এই পরিস্থিতি সামলানোর যথেষ্ট টাকা নেই। রাজ্য সরকারকে ‘দেউলিয়া’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শুভেন্দু আরও লেখেন, কেন্দ্র সরকারের তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতে যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই টাকাও মাইনে দিতে খরচ করে ফেলেছে রাজ্য সরকার। তাই ড্রেন পরিষ্কার করার বা স্বাস্থ্য খাতে খরচ করার মতো টাকা সরকারের নেই। রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। 

    রাজ্যের ডেঙ্গি সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্যে স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতাকেও দায়ী করেছেন তিনি। এমতাবস্থায় বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে অনুরোধ করেন, যাতে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্যে  কেন্দ্রের তরফ থেকে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল পাঠানো হয়। শুভেন্দুর বক্তব্য, রাজ্য ডেঙ্গি সংক্রান্ত সমস্ত পরিসংখ্যান কেন্দ্রের কাছ থেকেও গোপন করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘পশ্চিমবঙ্গে কেউ নিরাপদ নন’, নিশীথের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘পশ্চিমবঙ্গে কেউ নিরাপদ নন’, নিশীথের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে কেউ নিরাপদ নন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার পর এই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপিশুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কয়লা ও গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে (Cattle Smuggling Case) তৃণমূলের (TMC) একাধিক নেতার নাম জড়িয়ে যাওয়ায়ও রাজ্যকে একহাত নিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    নভেম্বরের তিন তারিখে কোচবিহারে হামলা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের সিতাইয়ে। নিশীথের কনভয় যখন এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন একদল লোককে আচমকাই লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই এলাকায় জড়ো হতে দেখা যায়। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    এই ঘটনায়ই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি (BJP)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কেউই নিরাপদ নন। এমন কী জনপ্রতিনিধিরাও। পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করে। টাকা তোলে। পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, দিল্লিতে গরু পাচার মামলা দায়ের করেছে ইডি। এতে অনেকে জড়িত। যদি প্রমাণিত হয়, তাঁদের তিহাড় জেলে পাঠানো হবে। বাংলায় যেসব সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পান, তিহাড় জেলে তা মিলবে না। শুভেন্দুর তোপ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার  চোরেদের সরকার। এঁদের অনেকেই কয়লা ও গরু পাচার মামলা, পঞ্জি স্কিম এবং নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িত।

    আরও পড়ুন: ‘‘যে হাত দিয়ে চড় মেরেছেন, সেই হাত দিয়েই…’’ কাকে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথও। তিনি বলেন, যদি বাংলার সরকার কঠোর হত, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। তাঁর প্রশ্ন, কেন আমার কনভয় যাওয়ার রাস্তায় অত লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে? তিনি বলেন, আমরা (মন্ত্রীরা) পুলিশের বেঁধে দেওয়া রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করি। সেই রাস্তায় যেতে গিয়ে কেন আমাকে হুমকির মুখে পড়তে হবে? বিশেষত, যখন রাজ্য সরকারের পুলিশ আমার কনভয় যাওয়ার রাস্তা ছকে দিয়েছে!

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ওই জনতার হাতে লাঠির পাশাপাশি পাথরও ছিল। পুলিশের উপস্থিতিতেই তারা এগুলি নিয়ে জমায়েত হয়েছিল। তিনি বলেন, কোনও মন্ত্রী তাঁদের সামনে আক্রান্ত হবেন, আর বিজেপির কর্মীরা তা বসে বসে দেখবেন, তা হবে না। এলাকার পরিবেশ কেন বিষিয়ে তোলা হচ্ছে? প্রশ্ন নিশীথের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নাকা চেকিংয়ের আওতায় পড়ুক মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নাকা চেকিংয়ের আওতায় পড়ুক মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভিআইপি-দের গাড়িতে করে চলছে অস্ত্র পাচার। লেনদেন হচ্ছে টাকার। প্রশাসনিক বৈঠকে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। পুলিশকে নাকা চেকিং বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সমর্থন করেই পাল্টা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেলন, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও যেন নজরদারির আওতায় থাকে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য সেই কনভয়ও যেন বাদ না পড়ে।

    ভিডিওগ্রাফি করে চেকিংয়ের দাবি শুভেন্দুর

    নন্দীগ্রামে, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এক  কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “একবার নয়, ১০০ বার চেকিং করতে পারে। শুধু চেকিং করাই নয়, ভিডিওগ্রাফি করে চেকিং করতে হবে। আর অবশ্যই এই নজরদারি প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকেও রাখতে হবে। নাকা চেকিং চালু হলে নিয়ম সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। কারণ উনিও (মুখ্যমন্ত্রী) তো ভিআইপি।” উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বলেন, “ভিআইপি’দের গাড়িতে যেন অস্ত্র আমদানি না হয়। ভিআইপি’দের স্পেশাল প্রটোকশনের নাম করে অনেকে অস্ত্র ও নোট ক্যারি করে। তাই নাকা চেকিং বাড়াতে হবে। ” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একবার নয়, পুলিশ একশো বার বিরোধী দলনেতার গাড়িতে তল্লাশি করতে পারে। তবে ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে আইপিসি এবং সিআরপিসি মেনেই তল্লাশি করতে হবে। আর পুলিশকে তৃণমূল বেতন দেয় না। তারা সরকারের টাকায় বেতন পান। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার দাবি-পাল্টা দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক মহলে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    মমতার দাবি, সুকান্তের অভিযোগ

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,“একটা চক্রান্ত চলছে। স্পর্শকাতর জায়গাগুলো দেখে রাখুন। বিহার থেকে হাজার টাকায় অস্ত্র আসছে। ও-পার থেকে চলে আসছে। এখান-সেখান থেকে চলে আসছে। এগুলো সামলাতে হবে।” অশান্তির আশঙ্কা সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তের মন্তব্য, ‘‘উনি ভয় পেয়েছেন দেখে ভাল লাগছে। আমরা তো শুধু বলেছি ডিসেম্বরে ঠান্ডা পড়বে, ওঁর সরকার কাঁপবে। আর তো কিছু বলিনি। বাকি কথা তো উনিই বলছেন। বাংলার মানুষ ২ মে ২০২১ থেকে শান্তি দেখেছে। উনি কি সেই শান্তির কথা বলছেন? শ্মশানের শান্তি?’’ 

    আরও পড়ুন : নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মামলা করে টাকা ও সময় নষ্ট করছে দেউলিয়া সরকার! বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মামলা করে টাকা ও সময় নষ্ট করছে দেউলিয়া সরকার! বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মামলা করে টাকা ও সময় দুই নষ্ট করছে রাজ্য সরকার। সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য টাকা দিতে গেলেই যত সমস্যা। ডিএ মামলা নিয়ে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরই সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার শুধু সময় নষ্ট করছে, বকেয়া ডিএ দিতে পারবে না। এই সরকার দেউলিয়া সরকারে পরিণত হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ হচ্ছে তাদের অধিকার, হকের টাকা। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে সঠিক  রায় দেবে বলেই আমাদের বিশ্বাস”।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য! জানেন ডিএ-মামলায় কী বলল রাজ্য সরকার?

    ডিএ মামলায় রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যে যাবে, তা আগে থেকেই অনুমান করেছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সেইমতো প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন তাঁরা। আগে থেকেই তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখা হয়েছে। নিজেদের প্রাপ্য অধিকার পাওয়ার খাতিরে লড়াইয়ের জন্য তৈরি আছেন, বলে জানান রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারকে  নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভিখারির সরকার, স্যাটে হেরেছে, সিঙ্গল বেঞ্চে হেরেছে, ডিভিশন বেঞ্চে হেরেছে, সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। যাওয়ার কথাই ছিল। এর পিছনে কয়েক কোটি টাকা ধ্বংস হবে। তাতে রাজ্যের লক্ষ্য নেই। সরকারি কর্মীদের টাকা দিতে গেলেই সমস্যা।”

    আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কথায়, “দেনার দায়ে ডুবে রয়েছে সরকার। উন্নয়নমূলক কাজে নজর না দিয়ে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা স্রেফ রাজনৈতিক স্বার্থে  ব্যবহার করছে। বিজেপি সরকারে এলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারি কর্মীদের ডিএ-সহ সমস্ত বকেয়া একসঙ্গে মিটিয়ে দেওয়া হবে”। উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে ডিএ মামলা চলছে। একবার স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে (স্যাট) রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিপক্ষে রায় গিয়েছিল। তারপর থেকে প্রতিবার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয় তা সময় বলবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • MGNREGA: ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম, সিবিআই তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    MGNREGA: ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম, সিবিআই তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে একশো দিনের কাজ (MGNREGA) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে একাধিকবার সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারিকে (Suvendu Adhikari)। এবার ওই একই অভিযোগে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে (Giriraj Singh) চিঠি লিখলেন তিনি। দাবি করেছেন সিবিআই তদন্তেরও। চার পাতার ওই চিঠিতে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।

    গিরিরাজকে শুভেন্দু যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তাতে তারিখ রয়েছে সোমবারেরই। এদিন এনিয়ে একটি ট্যুইটও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানেই গিরিরাজকে পাঠানো চিঠিটি পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দুর দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানুষকে, বিশেষত গ্রাম বাংলার বাসিন্দাদের বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। যাঁদের জবকার্ড রয়েছে, তাঁদের তথ্যের অপব্যবহার করে রাজ্য সরকার ভুয়ো কর্মসংস্থানের তালিকা তৈরি করছে। নন্দীগ্রামের বিধায়কের বক্তব্য, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই এই ভুয়ো তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছে। যাতে রাজ্য সরকার আগামিদিনে বলতে পারে, একশো দিনের কাজে (MGNREGA) কেন্দ্রের পাঠানো টাকার পরিমাণ কমে গেলেও, তারা গ্রাম বাংলায় প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থান করতে পেরেছে। শুভেন্দুর অভিযোগ, এই অনৈতিক কাজে সরকারকে সাহায্য করছে রাজ্যের প্রশাসন।

    সম্প্রতি এই মর্মে রাজ্য প্রশাসনের তরফে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। (মাধ্যমে সে খবর প্রকাশিতও হয়েছে) চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর। সেই চিঠিতে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে বলা হয়েছে, তারা যেন তাদের অধীনস্থ প্রকল্পগুলি রূপায়ণের সময় কেবল জবকার্ড থাকা অসংগঠিত ক্ষেত্রের উপভোক্তাদেরই নিয়োগ করে। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, জবকার্ড হোল্ডাররা যাতে কাজ পান, তা নিশ্চিত করতে সরকার এই নির্দেশিকা জারি করেনি। তাদের উদ্দেশ্য হল, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত নথি প্রস্তুত করা। তাঁর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের আধিকারিকদের এক্ষেত্রে ভুয়ো তথ্য নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলার পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন স্তরে এই সীমাহীন দুর্নীতির তদন্ত সিবিআই (CBI) কিংবা অন্য কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে করানোর আর্জিও জানিয়েছেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা, ফের ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব শুভেন্দু

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal: ডিয়ার লটারিতে কোটি টাকা জয় অনুব্রতর, বিক্রেতাকে তলব সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: ডিয়ার লটারিতে কোটি টাকা জয় অনুব্রতর, বিক্রেতাকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু এবং কয়লাকাণ্ডের পর এবার লটারিকাণ্ডেও জড়াতে চলেছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)! বছরখানেক আগে ডিয়ার লটারিতে টিকিট কেটে এক কোটি টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত। বীরভূমের যে দোকান থেকে ওই লটারির টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল, সেই লটারির দোকানের মালিককে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। বুধবার বাপি গঙ্গোপাধ্যায় নামে ওই লটারি টিকিট বিক্রেতাকে ডেকে পাঠানো হয় নিজাম প্যালেসে। তাঁকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জেরা করা হয়।

    বোলপুরে রয়েছে বাপির লটারি টিকিট বিক্রির দোকান। নাম গাঙ্গুলি লটারি। জানা গিয়েছে, ওই দোকান থেকে ডিয়ার লটারির টিকিট কাটা হয়েছিল। প্রথম পুরস্কার বাবদ এক কোটি টাকা পেয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। এদিন বাপিকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন তদন্তকারীরা। অনুব্রত স্বয়ং গিয়ে টিকিট কিনেছিলেন, নাকি কারও মাধ্যমে টিকিট কাটা হয়েছিল, তাও জানতে চান তদন্তকারীরা। কীভাবে তিনি ওই পুরস্কার জিতলেন, এদিন তাও জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    অনুব্রত (Anubrata Mondal) একা নন, ডিয়ার লটারির প্রথম পুরস্কার জিতেছেন জোড়াসাঁকোর বিধায়ক তৃণমূলের বিবেক গুপ্তর স্ত্রী রুচিরাও। তার পরেই ডিয়ার লটারি নিয়ে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট-বাণে তিনি বিঁধেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্বকে। তিনি লিখেছিলেন, আমি অনেক দিন ধরেই বলছি এই ডিয়ার লটারি আসলে হচ্ছে ভাইপো লটারি। টাকা তছরুপের একটা বন্দোবস্ত। তিনি লিখেছিলেন, টিকিট কাটছে সাধারণ মানুষ আর বাম্পার প্রাইজ জিতছে তৃণমূলের লোকজন। প্রথমে অনুব্রত মণ্ডল। এবার রুচিরা গুপ্ত। এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য লটারি তুলে দিয়ে এই ডিয়ার লটারির মাধ্যমে আসলে ব্যবস্থা করা হয়েছে শাসকদলের কোষাগার ভরার।

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জেলার এক তৃণমূল নেতার ভাইয়ের বউও ডিয়ার লটারিতে কোটি টাকা পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীদের অনুমান, গরু পাচার বা কালো টাকা সাদা করতেই লটারি ইস্যু করা হয়ে থাকতে পারে। তবে ঠিক কী হয়েছে, তা জানতেই বাপিকে জেরা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “প্রকল্পের নামে প্রহসন”, দুয়ারে সরকার শুরুর ঠিক আগেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “প্রকল্পের নামে প্রহসন”, দুয়ারে সরকার শুরুর ঠিক আগেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১লা নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার শিবির (Duare Sarkar Camp)। তার আগেই এই প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারকে এক হাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এক প্রেস বিবৃতিতে এই প্রকল্পের বিভিন্ন খামতি তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দুয়ারে সরকার নামকরণ হল প্রহসন মাত্র। সরকার দুয়ারে আসছে না, মানুষকে ক্যাম্পের বাইরে লাইনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। প্রোলভন দেখিয়ে মানুষকে বিড়ম্বনায় ফেলা হচ্ছে।” তাঁর মতে, স্থানীয় প্রশাসনের দফতরগুলি থেকেই এই সুবিধা প্রদান করা যেত। তাহলে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য মানুষকে অপেক্ষা করতে হত না। শুভেন্দু রাজ্য সরকারের দুর্নীতির দিকে আঙুল তুলে বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনের দফতরগুলি দুর্নীতির আখড়া বলেই সেখান থেকে নাগরিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়।”

    দুয়ারে সরকার শিবিরে যেসব প্রকল্পগুলির সুবিধা পাওয়া যায়, সেই প্রকল্পগুলির নাম আলাদা আলাদা করে উল্লেখ করে তার খুঁত তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। তিনি এদিন প্রশ্ন তোলেন, “সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী- ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন ২৫ বছর বয়সী মহিলারা। তারপর বহু মহিলার বয়স ২৫ পেরিয়েছে। কিন্তু, এখনও নাম নথিভুক্তকরণের জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারিই রয়ে গিয়েছে কেন?” এর উত্তর নিজেই দিয়ে বলেন, “কোষাগারের অর্থে টান পড়েছে, তাই এই অবস্থা।”

    এছাড়াও তিনি প্রেস বিবৃতিতে দাবি করেন, “মৎসজীবী ক্রেডিট কার্ডও আসলে কেন্দ্রীয় প্রকল্প কিষান ক্রেডিট কার্ডের নামকরণ। ব্যাংকের মাধ্যমে লোনের জন্য কোনও কৃষক বা মৎসজীবী আবেদন করতে পারেন। ব্যাংকই অনুমোদনের জন্য সঠিক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, রাজ্য সরকার নিজের কতৃত্ব বজায় রাখার জন্য ক্ষমতার বহির্ভুতভাবে হস্তক্ষেপ করছে। ফলে, দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ঋণের জন্য নাম নথিভুক্তের সংখ্যা ও ব্যাংকের ঋণ অনুমোদনের সংখ্যায় বিপুল ফারাক ধরা পড়েছে। আসলে রাজ্য সরকার প্রেরিত ঋণের আবেদনের আলাদা করে কোনও গুরুত্ব নেই।” 

    তিনি আরও দাবি করেন, আর্টিসান ক্রেডিট কার্ড প্রদানের রাজ্য সরকারের উদ্যোগও কেন্দ্রীয় সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার মমতা প্রশাসনের সুপরিকল্পিত চাল। এছাড়া, এগ্রি ইনফ্রা ফান্ড স্কিম, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ক্রেডিট লিঙ্কেজ, বিদ্যুতের নয়া সংযোজক ও বিল পরিশোধের আবেদনেও বড় দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    আরও পড়ুন: “বাঁচতে দিন”, পার্থর করুণ আর্তি শুনল না আদালত, বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে নন্দিগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ দেউলিয়া, ইতিমধ্যে সবাই জানেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মনে হয়েছিল দুয়ারে সরকারের নামে সরাসরি মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে রাজ্য সরকার এই সমস্ত কর্মসূচিগুলো করছে। পরে কিছু মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে ভোটও দিয়েছেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের বাজনা যখন বাজতে চলেছে আবার পশ্চিমবঙ্গে একটি ধাপ্পাবাজি হতে চলেছে। চোরেদের রানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আবার কাল থেকে প্রচার শুরু হবে। এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে, যে যে স্কিমগুলি রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটা দুটো বাদ দিয়ে সবকটি স্কিম কেন্দ্রীয় সরকারের। নাম বদল করে দেখানো হবে। যাতে আবার ‘তোলামূলের’ চোররা পঞ্চায়েতে জেতার লাইসেন্স রিনিউ করতে পারে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন! অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন! অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আর এরই মাঝে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কমিশন প্রকাশিত খসড়া ‘রিজার্ভেশন রোস্টার’ নিয়ে আপত্তি জানাতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। আর তারপরেই তাঁকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করতে দেখা গেল। শুধু তাই নয়, এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যের শাসকদলের তাঁবেদার বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

    তিনি এদিন অভিযোগ করেছেন, “আগামী পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়ার লাইসেন্স করে দিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।” পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১৮ অক্টোবর ‘রিজার্ভেশন রোস্টার’ বের করেছে কমিশন। আর একে নিয়েই আপত্তি জানিয়েছেন শুভেন্দু। কমিশন প্রকাশিত খসড়ায় বলা হয়েছে, কোন আসন মহিলা এবং কোন আসন তপশিল জাতি এবং উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, এই খসড়া নিয়ম মাফিক তৈরি করা হয়নি। স্থানীয় ভাবে কোনও সমীক্ষা না করেই তৃণমূল নেতা এবং সরকার-ঘনিষ্ঠ আমলাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খসড়াটি তৈরি হয়েছে। তাই তিনি দাবি করেছেন, এই খসড়া সমীক্ষা বাতিল করে ওবিসি জনসংখ্যা ৭.৫ শতাংশ ধরে নতুন সংরক্ষণের তালিকা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বার করতে হবে।  

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    তিনি এদিন আরও অভিযোগ করেছেন, এই খসড়া নিয়ে যাতে বিরোধীরা কোনও আপত্তি না করতে পারে তার জন্য এই খসড়া ছুটির সময়ে প্রকাশ করা হয়েছে আর পরামর্শ দানের শেষ দিনও রাখা হয়েছে ২ নভেম্বর। আর ২ নভেম্বরও ছুটির দিন। ফলে এমন সময়ে কীভাবে খসড়া বের করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলনেতা। ফলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, এই ‘ড্রাফট সার্ভে’ বাদ দিয়ে নতুন করে সমীক্ষা করতে হবে। আর তা না হলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। বিজেপি নেতা আরও দাবি করেছেন “তৃণমূল ব্লকের নেতা, যারা একশো দিনের কাজের টাকা চুরি করেছেন, তাঁদের সঙ্গে মিলে বিডিওরা ‘ড্রাফট পাবলিকেশন’ করেছেন। একে চূড়ান্ত করলে আমি আদালতের দ্বারস্থ হব।”

    এর আগেও ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে৷ এমনকি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল ৷ আর এবার ভোটের আগে খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Citizenship Ammendment Act: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Citizenship Ammendment Act: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে না। গুজরাটের পর পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ (Citizenship Ammendment Act) প্রয়োগ হবে। এতে নমঃশুদ্রদের সুবিধা হবে। মঙ্গলবার এ কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    গুজরাটের (Gujarat) মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাসকারী পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জেলা আধিকারিকদের এই মর্মে শংসাপত্র দেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে এ দেশে অন্তত পাঁচ বছর বসবাস করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না। গুজরাটের এই খবরেই যারপরনাই উচ্ছ্বসিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act) নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, এটা তো সিএএ-র অংশ। সিএএ-র বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেল। ভারতবর্ষের অংশ পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গেও হয়ে যাবে। সিএএ আইন দুটো সংসদেই পাশ করা আছে। আমরা অপেক্ষা করছিলাম। নিশ্চয় রুল হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, এই একই রুলে পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া সমাজ, নমঃশুদ্র সমাজ তাঁরা ভিসা করতে গেলে, পারমিট করতে গেলে, চাকরির ক্লিয়ারেন্স নিতে গেলে বলা হয়, ৭১এর আগের দলিল আনো, সেই সমস্যা আর থাকল না। শুভেন্দু বলেন, এক যাত্রায় পৃথক ফল হয় না। গুজরাটে যখন বাস্তবায়ন হয়ে গিয়েছে, নিশ্চয় রুল ফ্রেম করে ফেলেছে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুন: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Ammendment Act) প্রয়োগ করা হবে বলে বারংবার বলেছে কেন্দ্র। উনিশের ভোটের আগে সিএএ প্রয়োগের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বিজেপি। তার পুরস্কারও পেয়েছিল পদ্ম শিবির। মতুয়াদের একটা বিরাট অংশের সমর্থন গিয়ে পড়েছিল গেরুয়া ঝুলিতে। ভোট পর্ব চুকে যাওয়ার পরেও সিএএ কেন লাগু হয়নি, সে প্রশ্নও ওঠে। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বনগাঁর সাংসদ বিজেপির শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু কেন্দ্রের মন্ত্রীও। পরে সিএএ প্রয়োগ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। শান্ত হন শান্তনু। প্রসঙ্গত, ৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুরু হবে সিএএ শুনানি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kiren Rijiju: ‘বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু

    Kiren Rijiju: ‘বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচার ব্যবস্থার কাছে গণতন্ত্র বাঁচানোর আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আইনের শাসনকে হরণ করেছে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের আস্থা সামান্যই। ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতেই এই কথাগুলো বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    রবিবার নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে পশ্চিমবঙ্গ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সসের ১৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমি বলছি না যে মানুষ বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে এটি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের কান্না শুনতে হবে। মানুষ দরজার আড়ালে কাঁদছে। আজকাল অনেক কিছুই চলছে। রায়ের আগে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। তারা যে কাউকে অভিযুক্ত করতে পারে? আমাদের সম্মান না থাকলে কিছু থাকে না। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে বাঁচান। অহেতুক হয়রানি চলছে, প্লিজ গণতন্ত্র বাঁচান।

    এর পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, মমতা দিদি পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে সত্য বলছেন। কারণ বিচারব্যবস্থার প্রতি তৃণমূলের (TMC) আস্থা সামান্যই। বিচারকদের প্রতি কোনও শ্রদ্ধাও নেই। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে আইনের শাসনের বদলে তৃণমূলের শাসন চলছে। রিজিজু বলেন, বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন শুভেন্দুও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতেই মুখ্যমন্ত্রী এই কথাগুলো বলছেন। এর আগেও তিনি বিচারপতিরা কীভাবে বিচার করবেন, সে পরামর্শ দিয়েছেন। এ রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির ইস্যু নিয়ে যেভাবে বিচার ব্যবস্থা অগ্রসর হয়েছে, তাতে তিনি ভীত এবং আতঙ্কিত। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী নন, গোটা তৃণমূল কংগ্রেস আতঙ্কিত। মিডিয়া ট্রায়াল প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, চাকরি বিক্রি সহ যেভাবে সংবাদ মাধ্যম বিভিন্ন দুর্নীতি জনসমক্ষে তুলে ধরছে, সেই কারণেই সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখাচ্ছেন উনি। সংবাদ মাধ্যম একের পর এক দুর্নীতি ফাঁস করাতেই মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত ও ভীত হয়েই এমন বক্তব্য পেশ করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share