Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ, বলেছেন রাজ্যপাল”, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ, বলেছেন রাজ্যপাল”, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তদের জন্য রাজভবনের দরজা খোলা থাকলেও, রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সেই দরজা বন্ধ।’ অন্তত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁকে একথা জানিয়েছেন বলেই দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “রাজ্যপাল বলেছেন এবার তিনি পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের বাঁচানোর জন্য কঠিন পদক্ষেপ করবেন।” তিনি বলেন, “রাজ্যপাল বলেছেন, রাজভবনের দরজা ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের জন্য সব সময় খোলা রয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর জন্য তা বন্ধ।” ঘাটাল-সহ রাজ্যের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্ত হয়েছেন শাসক দলের বহু কর্মী-সমর্থক। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর থেকে এমনতর অভিযোগ করে আসছেন বিরোধীরা। এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের আক্রান্ত বিজেপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ১১৫জনকে নিয়ে রাজভবনে যান। দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে।

    বিজেপি নেতার দাবি

    রাজ্যপালের সঙ্গে আক্রান্তদের নিয়ে শুভেন্দুর দেখা করার সময় উপস্থিত ছিলেন এক বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল আমাদের সঙ্গে কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। পুলিশ ও শাসকদল কীভাবে রাতের অন্ধকারে ঢুকে বাড়ির মহিলা ও বাচ্চাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে, তা শুনেই রাজ্যপাল আক্রান্তদের জন্য রাজভবনের দরজা খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায়ই রাজ্যপাল তাঁর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ করার কথাও বলেছেন।”

    আরও পড়ুন: “হিংসা শিক্ষার বিষয় হতে পারে না”, সাফ জানালেন এনসিইআরটি কর্তা

    এদিন ১০-১২ মিনিট ধরে রাজ্যপালকে সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা জানান শুভেন্দু। অভিযোগের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় নথি, ভিডিও ফুটেজ, স্টিল ছবিও তুলে দেন রাজ্যপালের হাতে। এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “বিচারব্যবস্থা বেঁচে আছে বলেই কেষ্ট মণ্ডল, হেমন্ত সোরেন, কেজরিওয়ালের মতো ডাকাতরা জেলের ভিতরে রয়েছেন। বিচারব্যবস্থা বেঁচে আছে বলেই, আমি লড়াই করে আবার আজ আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে এসে দেখা করলাম সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে (Suvendu Adhikari)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari Rajbhavan: আক্রান্তদের নিয়ে আজ সন্ধ্যায় ফের রাজভবনে যাচ্ছেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari Rajbhavan: আক্রান্তদের নিয়ে আজ সন্ধ্যায় ফের রাজভবনে যাচ্ছেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রবিবার পুনরায় রাজভবনে (Suvendu Adhikari Rajbhavan) যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে যাবেন ভোট-পরবর্তী হিংসায় শাসক দলের হাতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একাংশ। শনিবার বিরোধী দলনেতার দফতর সূত্রে রবিবারের কর্মসূচি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। দ্বিতীয় বারের কর্মসূচিতে পুলিশের ভূমিকা কী থাকে সেদিকে নজর থাকবে সকলের।  

    ফের রাজভবনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari Rajbhavan)

    এর আগে শুক্রবার ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। রাজভবনের সামনে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শিকার হন তিনি। রাজভবন অনুমতি দিলেও পুলিশের অনুমতি মেলেনি। যে রাজভবনের গেটে শাসক দলের রাজভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয় না, সেই পুলিশকেই দেখা গেল (Suvendu Adhikari Rajbhavan) রাজভবনের অনুমোদিত কর্মসূচিতেই বাধা দিতে। এরপরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়ে দেন, রাজভবন অনুমতি দিলে যেতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী।

    আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করার আগহ প্রকাশ রাজ্যপালের  

    শুক্রবার পুলিশের বাধার মুখে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari Rajbhavan) এই খবর পৌঁছেছিল রাজ্যপালের কাছেও। খানিক রাতের দিকে রাজ্যপালের (C.V. Anand Bose) তরফে প্রতিক্রিয়া মেলে। তিনি গোটা বিষয়টিতে আশ্চর্য হয়ে যান। শুধু তাই নয় শাসক দলের তরফে রাজ্যজুড়ে যে অত্যাচার চলছে, সে কথা তিনি জানেন বলে স্বীকার করে নেন। সময় পেলে পুনরায় আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। হিংসার জন্য পুলিশের কাছ থেকে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ চেয়ে পাঠাবেন বলে জানান। যদিও রাজ্যপালের পদক্ষেপ যথেষ্ট নয় বলে মত বিজেপি শিবিরের।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ভরাডুবি! সরকারি পদ গেল সৌরভের, ঘুম ছুটেছে নেতাদের

    তাঁদের মতে, রাজ্যপালের কাছে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে। তবু রাজ্যপাল আগের তুলনায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন, একথা মেনে নিচ্ছে বিজেপি শিবির। বিজেপির নেতাদের মন্তব্যে তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। রাজ্যপালও কোনও কারণে হয়ত চাপে রয়েছেন বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘বিজেপি কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে আত্মহত্যা করবে’, কেন এমন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘বিজেপি কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে আত্মহত্যা করবে’, কেন এমন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ পেয়েছে প্রায় ১০ দিন হয়ে গেল। কিন্তু জেলায় জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) থামার নাম নেই। বসিরহাট লোকসভার হাড়োয়াতে বিজেপি কর্মীকে বাইক থেকে নামিয়ে মারধর, গলায় দড়ি বেঁধে টেনে নিয়ে নদীতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের নিয়ে রাজ্য়পালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও দেখা করতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারী। এবার আক্রান্ত কর্মীদের হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রশ্ন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    সুকান্তর প্রশ্ন

    পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীরা আত্মহত্যা করুন, সেটাই কি চান মুখ্যমন্ত্রী? দিল্লিতে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আক্রান্তদের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্রের মাথা হেঁট করে দিয়েছেন বলেও এদিন দাবি করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কী চান বিজেপি কর্মীরা ডুবে মরুক, আত্মহত্যা করুক?  মুখ্যমন্ত্রী বলে দিন বিজেপি কর্মীরা ওঁর বাড়ির সামনে গিয়ে আত্মহত্যা করবে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা রাজ্যপালের কাছেও যেতে পারছে না। রাজ্যপালকে গিয়ে দেখা করতে হচ্ছে আক্রান্তদের সঙ্গে। গণতন্ত্রের পক্ষে এটা লজ্জার। মাননীয় রাজ্যপাল সঠিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তদের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্যপালকে রাজভবন থেকে বেরিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে হচ্ছে। গণতন্ত্রের মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে গিয়েছে। গণতন্ত্রে সংবিধানকে সংরক্ষণের দায়িত্ব রাজ্যপালের। সেখানেও যদি আক্রান্তরা পৌঁছতে না পারেন তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চানটা কী?’ 

    আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই, নিহত ৮ মাওবাদী, শহিদ ১ জওয়ান

    রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল

    উল্লেখ্য, এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তরা রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের আগাম অনুমতি ছিল আক্রান্তদের কাছে। তার পরও ব্যারিকেড করে তাদের আটকায় পুলিশ। প্রায় ১ ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফিরে আসেন শুভেন্দু-সহ আক্রান্তরা। এরপর কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। এরই  মধ্যে  রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসছে বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম। হিংসা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কেন্দ্রীয় টিম গঠন করেছেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা। টিমে আছেন ৪ সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, রবিশঙ্কর প্রসাদ, ব্রিজলাল এবং কবিতা পতিদার। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যে, ভোট পরবর্তী হিংসার খবর নেই বলে দাবি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “জেলা শাসক-আইপ্যাক চক্রান্ত করে নিশীথকে হারিয়েছেন”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “জেলা শাসক-আইপ্যাক চক্রান্ত করে নিশীথকে হারিয়েছেন”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের পর কোচবিহারে একাধিক জায়গায় তৃণমূলের অত্যাচারে বিজেপির কর্মীরা প্রাণের ভয়ে আতঙ্কিত। অপরদিকে জেলায় বিভিন্ন অঞ্চলগুলিতে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মীরাও তৃণমূল দুষ্কৃতীদের সন্ত্রাসের ফলে ঘর ছাড়া হয়ে রয়েছেন। অনেকেই জেলা পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়েছেন। ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে কোচবিহারে এলেন বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে তোপ দেগে বলেন, “জেলা শাসক-আইপ্যাক চক্রান্ত করে নিশীথকে হারিয়েছেন।”

    কী বলেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    কোচবিহারে আক্রান্ত নেতা কর্মীদের সাথে দেখা করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “আক্রান্ত নিপীড়িত মানুষেরা কেবল মাত্র বিজেপি কর্মী নয়, সকলে সনাতনী রাজবংশী এবং প্রান্তিক এলাকার মানুষ। লোকসভার পর থেকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা জেলায় জেলায় আক্রমণ করেছে। মানুষের জীবন এবং সম্পত্তিহানি ঘটিয়েছে। আমরা সকল কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁদের উপর হওয়া অত্যাচারের কথা শুনেছি। সকল মানুষকে আইনি সহযোগিতা, প্রয়োজনীয় খাবার এবং থাকার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। বিজেপির কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব, প্রাক্তন সাংসদ সহ বিধায়কেরা আক্রান্তদের পাশে রয়েছেন। যতজন আহত হয়েছেন তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসগুলিকে খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। বিডিও, জেলা শাসকদের চিঠি করা হচ্ছে। প্রশাসন যদি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে আমরা আগামী দিনে কোর্টে যাবো। পঞ্চায়েত পরিষেবাকে দ্রুত চালু করতে হবে। আমরা জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনার সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সময় দেননি। হিংসা কবলিত মানুষের জন্য প্রশাসন, তৃণমূল হয়ে এলাকায় কাজ করছে। এই জেলা শাসক তৃণমূলের জেলা সভাপতিতে পরিণত হয়েছেন। এটা খুব খারাপ দিক; রাজ্যের নির্বাচিত বিরোধী দলনেতা, জেলার বিধায়কের সঙ্গে জেলা শাসক হিংসা কবলিত মানুষের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হননি।”

    আরও পড়ুনঃ “দলে থেকে যাঁরা অন্য দলের হয়ে ভোট করিয়েছেন তাঁদের তাড়াব”, বিস্ফোরক শতাব্দী

    আর কী বললেন?

    এই হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে জোর করে হারানো হয়েছে। জেলা শাসক, আইপ্যাক এবং তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গণনায় কারচুপি করে হারিয়েছেন। গণনার আগে ইভিএম বদলে দিয়েছেন জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। ১৯ এবং ২০ রাউন্ডের গণনায় চুরি করে তৃণমূলকে জয়ী করেছে। গণনার সময় বিজেপি এজেন্টদের চুলের মুঠি ধরে, বাইরে বের করে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই ফলাফল প্রকৃত ফলাফল নয়। আর তাই তৃণমূল এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আমরা কোর্টে যাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যাচ্ছে বিজেপি

    Lok Sabha Election 2024: ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটাল লোকসভার ভোটের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা (Lok Sabha Election 2024) দায়ের করতে চলেছে বিজেপি। দলের তরফ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে ‘ইলেকশেন-পিটিশন’ দায়ের করা হবে। প্রধান অভিযোগ করা হবে কেশপুর এবং সবং কেন্দ্র নিয়ে। এই দুই বিধানসভায় ব্যাপক ভাবে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভোট লুট করেছে। আদালতে এই নিয়ে তথ্য দিয়ে অভিযোগ করা হবে।

    বিজপির বক্তব্য (Lok Sabha Election 2024)

    রাজ্যের চারটি লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে দলের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীরাই কোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করবেন। একই ভাবে ঘাটালের নির্বাচন নিয়ে আদালতে যাবে দল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার-বুধবারে আমরা কোর্টে যাবো। ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিস্পত্তি করতে হবে।” আবার ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ বলেছেন, “কেশপুরে প্রায় পুরোটাই ছাপ্পা করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এই বিধানসভার ভোট বাতিল করতে হবে। সবং এবং এই বিধানসভায় প্রচুর ভোট লুট হয়েছে। সব তথ্য আমরা সংগ্রহ করে রেখেছি। পিটিশন দিয়ে আমরা জানাবো।”

    হিরণের বক্তব্য

    বিজেপি নেতা হিরণ বলেন, “ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন কেশপুরে পাগলু ড্যান্স করেছে তৃণমূল। লুঙ্গি তুলে হাতে বাঁশ নিয়ে সর্বত্র তাণ্ডব চলেছে। এখানে ২৮২টি বুথ, ভোটের দিনে শতাধিক এজেন্ট বুথে বসতে পারেননি। নোটায় ভোট পড়লেও অনেক বুথে বিজেপিতে ভোট পড়েনি। ৩০টির বেশি বুথে ১-৯টি করে ভোট পড়ছে। তাই বিজেপি কোর্টে যাবে।”

    আরও পড়ুনঃ কাঁচরাপাড়ার বুকে যেন রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া, মৃত মেয়েকে আগলে বাবা!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলার তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি বলেছেন, “ঘটালে সুষ্ঠভাবে ভোট (Lok Sabha Election 2024) হয়েছে। দেব ১ লাখ ৮২ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন। কেশপুরে তিনি ১ লাখ ৩ হাজার এবং সবং বিধানসভায় ৩২ হাজার ৭০০ ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন। দুটি বিধানসভা বাদ দিলে তৃণমূল জয়ী হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের মতো একই জায়গায় ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু! কী নির্দেশ বিচারপতি সিনহার?

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের মতো একই জায়গায় ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু! কী নির্দেশ বিচারপতি সিনহার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিঃসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গত বছরের শেষ দিকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে ধর্নায় বসেছিলেন, ঠিক সেখানেই এবার ধর্নায় বসতে চান তিনি। ইতিমধ্যেই ধর্নার অনুমতি চেয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গয়ালকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, ভোটের ফল প্রকাশের পর কর্মীদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। একইসঙ্গে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফে। এসব ইস্যু সামনে রেখেই আগামী ১৯ জুন থেকে ধর্নায় বসার পরিকল্পনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    হাইকোর্টের নির্দেশ (Calcutta High Court) 

    এ প্রসঙ্গে, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে রাজ্যপালের কাছে নতুন করে আবেদন জানাতে পারেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। বিচারপতি জানিয়েছেন, রাজ্যপালের অনুমতি সাপেক্ষে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও নির্বাচন পরবর্তী অশান্তিতে ‘আক্রান্ত’ ব্যক্তিরা। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে কতজন দেখা করতে যাবেন, সেটা পুলিশকে জানাতে হবে। পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশ, যদি গাড়ি নিয়ে রাজ ভবনের (Raj Bhavan) ভেতরে যাওয়া হয়, তাহলে কতগুলি গাড়ি রাজভবনের ভিতরে ঢুকবে, সেটাও জানাতে হবে পুলিশকে। 
    তবে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষের আইনজীবী এদিন আদালতে জানিয়ে দেন, তাঁদের কোনও গাড়ি রাজভবনের ভিতরে ঢুকবে না। সকলেই হেঁটে রাজভবনের ভিতরে প্রবেশ করবেন। অন্যদিকে রাজ্যের তরফে আবার সওয়াল করা হয়, যাঁরা রাজভবনের ভিতরে প্রবেশ করবেন, তাঁদের শনাক্তকরণের কাজ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পক্ষ থেকে কোনও ব্যক্তিকে করতে হবে। রাজ্যের এই দাবিতে বিচারপতি সম্মতি দিলেও, তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কারও পরিচয় নথিবদ্ধ করা যাবে না। কারণ, সেরকম হলে পরে আবার তাঁদের হেনস্থা করার আশঙ্কা থেকে যায় বলেই মনে করছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    আরও পড়ুন: ছাত্রীকে ‘কপালে তিলক’ ও ‘গলায় মালা’ নিয়ে স্কুল প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা! শোরগোল রঘুনাথগঞ্জে

    কেন এই ধর্নার সিদ্ধান্ত? 

    বিজেপি জানিয়েছে, এ বছর লোকসভা ভোটের ফলাফলে কিছুটা আশাহত দলের নিচুতলার কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে দলের শীর্ষ নেতারা পাশে না থাকলে সংগঠন আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর এই ধর্নার উদ্যোগকে দলের কর্মীদের চাঙ্গা রাখার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে দলের নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়ানোই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)  নগরপালকে জানিয়েছেন, তিনি আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের নিয়েই ধর্নায় বসতে চান। তবে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের (kolkata police) পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো উত্তর মেলেনি।

    প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এবং রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবিতে রাজভবনের সামনে টানা ধর্নায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে ওই একই স্থানে ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু অধিকারী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ঘরছাড়াদের রাজভবনে ঢুকতে বাধা, অনড় শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ঘরছাড়াদের রাজভবনে ঢুকতে বাধা, অনড় শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় শাসক দলের কর্মীদের হাতে আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে ছুটলেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁদের। রাজভবনে (Rajbhawan) গিয়ে রাজ্যপালের কাছে তাঁরা অভিযোগ জানাবেন বলে ঠিক ছিল। কিন্তু বাধ সাধল পুলিশ। রাজভবন চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি আছে এই অজুহাতে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি কেন তাঁদের আটকানো হয়েছে তা পুলিশ জানায় নি।

    রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বাধা (Suvendu Adhikari)

    এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপও দাবি করতে যাওয়ার কথা ছিল শুভেন্দুর। এদিন দুপুর থেকেই রাজভবনের সামনের রাস্তা ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। এমনিতেই ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। জমায়েত আটকাতে ‘ব্যারিকেড’ করে রেখেছিল পুলিশ। শুভেন্দু চেয়েছিলেন আক্রান্তদের কথা শুনুন রাজ্যপাল। সেইকারণেই তাঁদের রাজভবনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত। অথচ পুলিশ তাঁদের কয়েকজন প্রতিনিধিকেও ভিতরে নিয়ে যেতে দিতে চায়নি বলে অভিযোগ। সেই কারণেই রাজভবনের সামনে নিজের গাড়িতে দীর্ঘক্ষণ বসে ছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) । বিজেপির অভিযোগ, লোকসভা ভোট মিটতেই রাজ্যে হিংসার শিকার হচ্ছেন তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা। ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বহু জন। ‘আক্রান্ত’দের সঙ্গে দেখা করতে ইতিমধ্যে ডায়মন্ড হারবার, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া গিয়েছেন শুভেন্দু। যাঁরা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে ‘ঘরছাড়া’, তাঁদের নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন তিনি। বিজেপি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে ‘আক্রান্ত’দের বিষয়ে বার বার সরব হয়েছে। ‘ঘরছাড়া’ মানুষজনের জন্য উত্তর কলকাতায় বিজেপির উদ্যোগে ধর্মশালা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনিও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন। দাবি করেছেন, ‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী’রাই এ সব করেছেন।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    প্রসঙ্গত রাজভবনে প্রবেশের তিনটি গেটই এদিন দুপুর থেকেই ঘিরে ফেলে পুলিশ। শুধু শুভেন্দু অধিকারীই নন তাঁর সহায়ককেও এদিন রাজভবনে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ এমনটাই অভিযোগ। কিন্তু ঘরছাড়াদের রাজভবনে (Rajbhawan) ঢুকতে বাধা কেন এনিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল ১৪৪ ধারা থাকাকালিনই ১০০ দিনের বকেয়ার দাবিতে দুদিন ধরনা ও কয়েক হাজার কর্মী রাজভবনে জমায়েত হয়েছিলেন তখন পুলিশের এই তৎপরতা চোখে পড়েনি। কাউকে সেবেলায় আটকায় নি পুলিশ এমনকি গোটা ধর্না মঞ্চের আশেপাশে সুরক্ষা দিয়েছিল পুলিশ।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক ক্রিকেটারের ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর

    আক্রান্তদের কণ্ঠরোধ করতে পুলিশের ততপরতা নিয়ে সমালোচনা করেন শুভেন্দু। এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, মমতা ব্যানার্জী আমাদের ডেপুটেশন দিতে দিলেন না। স্বাধীনতার পর এমন কখনও হয়নি। এভাবে পুলিশকে ব্যবহার করা যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ায়ের নিষ্ঠুর ভাবমূর্তি জনগণ আজ দেখতে পেল। আমি ১৮ তারিখ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে বিষয়টি তুলে ধরব।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে কারচুপি, আদালতে যাচ্ছে বিজেপি, জানালেন শুভেন্দু

    Lok Sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে কারচুপি, আদালতে যাচ্ছে বিজেপি, জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাজ্যের চার লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্র, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, জয়নগর, ঘাটাল নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানান, আগামী মঙ্গল বা বুধবার তাঁদের চার প্রার্থী হাইকোর্টে ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী ইলেকশন পিটিশন দাখিল করবেন।

    ডায়মন্ড হারবার প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    ডায়মন্ড হারবারে ভোটের ক্ষেত্রে বিপুল কারচুপি হয়েছে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন করা হবে বলে জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখানে তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস (ববি) অভিযোগ জানাবেন। ডায়মন্ড হারবারের পাশাপাশি জয়নগর এবং ঘাটালের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের ‘ওয়েব কাস্টিং’-এর ফুটেজ কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে পরীক্ষার জন্য হাই কোর্টে আর্জি জানাবে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘ফুটেজ যাচাই করে যদি অনিয়ম প্রমাণিত হয় তবে সিবিআই তদন্ত এবং পুরো নির্বাচন বাতিলের দাবি জানাবে বিজেপি।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, “ডায়মন্ডহারবারে ছাপ্পা হয়েছে ১০ লক্ষের বেশি। কেশপুরে ছাপ্পা দেড় লক্ষের বেশি। ক্যানিং পূর্ব পশ্চিমেও ছাপ্পা। গোটা রাজ্যে অন্তত ২৫ লাখ ভোট ছাপ্পা দেওয়া হয়েছে।”

    ঘাটাল-বসিরহাট নিয়ে

    শুভেন্দু জানান, বসিরহাট লোকসভার জয়ী তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুলের প্রার্থিপদ বাতিলের আবেদন করা হবে আদালতে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘তিনি নিয়ম মেনে বকেয়া শংসাপত্র তাঁর মনোনয়নের সঙ্গে দেননি। তাই তাঁর মনোনয়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করবেন বসিরহাট লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র।” শুভেন্দুর কথায়, ‘‘ঘাটালে আমাদের প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় (অভিনেতা হিরণ) ইলেকশন পিটিশন করবেন।’’ সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল শুনে রাখুক এই ইলেকশন পিটিশন চার-পাঁচ বছর ধরে ঝুলবে না। ছ’মাসের মধ্যে যাতে ডিসক্লোজার হয়, সেই ব্যবস্থা আমরা করব।’’

    আরও পড়ুন: আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অব্যাহত, বৃষ্টি হলেও কমবে না গরম! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    কোচবিহারে যাচ্ছেন শুভেন্দু

    কোচবিহার লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রের গণনা নিয়েও আসছে অভিযোগ। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শনিবার কোচবিহারে যাচ্ছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘শনিবারের পর কোচবিহার কেন্দ্র নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ১৮ রাউন্ড পর্যন্ত আমাদের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক এগিয়ে ছিলেন, ১৯-২০ রাউন্ডে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “তৃণমূলের অত্যাচারে বহু কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, দোকানে তালা”, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “তৃণমূলের অত্যাচারে বহু কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, দোকানে তালা”, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকায় বহু বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া। সোমবার ঘরছাড়া কর্মীদের সঙ্গে দেখা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের আমতলায় বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাসের বাড়িতে রয়েছেন ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা। সেখানে গিয়ে তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা শুনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)

    আক্রান্ত ঘরছাড়া কর্মীদের নামের তালিকা, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর নেতৃত্বের কাছ থেকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নিয়ে নেন। ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা যাতে সম্পূর্ণ নিরাপত্তায় বাড়ি গিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন, তার জন্য অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী স্বাধীনভাবে যাতে কাজ করতে পারে এবং আগামী দুর্গাপুজো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে রাখা হয়, সেই আবেদনও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে রাখা হয়েছে বলে বিরোধী দলনেতা জানান। শুভেন্দু বলেন, “এই লুটের ভোটের শেষ দেখে ছাড়ব। তবে, এই বিষয়টি আজকে বলছি না, আগামী বুধবার কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানাবো। চারটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করব।” তারমধ্যে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অভিজিৎ দাস থাকবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: “চায়ের পয়সাটুকু কর্মীদের দেননি”, দলের চেয়ারম্যানকে তোপ হুমায়ুনের

    এক হাজার কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, ছশো কর্মীর দোকানে তালা

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। সাংবাদিকরা পর্যন্ত নিজেদের ভোট দিতে পারেননি। এর আগেও এই কেন্দ্রে সৌমেন মিত্র, শমীক লাহিড়ীর মতো নেতারা ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁরা তো অত ভোট পাননি। আর তিনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) এত বড় নেতা যে তিনি ৭ লক্ষ ভোটে জয়ী হয়ে গেলেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না।” আর তৃণমূলের সন্ত্রাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ১০০০ বাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। ৬০০ কর্মীর দোকানে তালা ঝোলানো হয়েছে। বহু কর্মী ঘরছাড়া। আক্রান্ত সকল কর্মীর পাশে রয়েছে বিজেপি। এদিন সকলের অভাব-অভিযোগ শুনতে এসেছি। “

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “২ কোটি ৩৫ লাখ লোক বিজেপিকে সমর্থন করেছেন, আমাদের বিরাট দায়িত্ব”, মন্তব্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “২ কোটি ৩৫ লাখ লোক বিজেপিকে সমর্থন করেছেন, আমাদের বিরাট দায়িত্ব”, মন্তব্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ফল আশানুরূপ হয়নি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন, এইবারে জেতা আসনেও পরাজয় ঘটেছে। বিজেপি পেয়েছে ১২টি আসন, আগে থেকে ৬টি আসন কমে গিয়েছে। অপর দিকে তৃণমূল পেয়েছে ২৯টি আসন। কিন্তু কেন আসন কমে গেল? এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করলেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় বিজেপির প্রায় ১ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি পেয়েছে। দিকে দিকে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে তৃণমূলের অত্যাচারে বিজেপির কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই তাঁদের পাশে থাকাটাই এখন প্রধান কর্তব্য বলে মনে করেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    গতকাল নন্দীগ্রামের সোনাচুড়ায় মনসা বাজারে মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে গিয়ে বলেছেন, “আমাদের রাজনৈতিক লড়াই থামার লড়াই নয়। সংগ্রাম আমরা চালিয়ে যাব। বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়েছে বিজেপি। এই লোকসভা নির্বাচনে ৩৯ শতাংশ ভোট এসেছে। ভোট গতবারের বিধানসভার তুলনায় ৭ লাখ বেড়েছে বিজেপির। নিশ্চিতভাবে আমরা সংখ্যার লক্ষ্যে হয়তো পৌঁছাতে পারিনি। আমরা আশা করেছিলাম ৪২ শতাংশ ভোট পাব। আমরা খুশি হতাম যদি ১২ উল্টে ২১ হয়ে যেত। ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার ইমাম সাহেবদের কথায় বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। আমি ঠিক পথেই আছি, জনগণ আমার পথেই আছেন। ২ কোটি ৩৫ লাখ লোক বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। আমাদের বিরাট দায়িত্ব।”

    আরও পড়ুনঃলক্ষ্মীর ভান্ডার নিলে তৃণমূল করার ফতোয়া! বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, থানায় বিক্ষোভ

    আর কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, “যারা কথা বলছে, জ্ঞান দিচ্ছে তারা অতীতটা ভালো করে জানে না। ২০০৪ সালে মমতা, ৯টি আসন থেকে ১টিতে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই দিক থেকে রাজ্যে বিজেপির অবস্থা অনেক ভাল। ২০১৯ সালে আইপ্যাক ছিল না, লক্ষ্মীরভাণ্ডার ছিল না। এনআরসি, সিএএ-র মতো মিথ্যা প্রচারও ছিল না। পুলিশ দাঁত-নখ বের করে তৃণমূলের ক্যাডারদের মতো আচরণ করেনি।”    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share