Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সিরিয়াতে যা হচ্ছে বাংলাতেও তাই হচ্ছে’’, দিল্লিতে জেএনইউ-র সেমিনারে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘সিরিয়াতে যা হচ্ছে বাংলাতেও তাই হচ্ছে’’, দিল্লিতে জেএনইউ-র সেমিনারে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার বর্তমান পরিস্থিতিকে সিরিয়া’র সঙ্গে তুলনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার দিল্লিতে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সেমিনারে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘সিরিয়াতে যা হচ্ছে বাংলাতেও তাই হচ্ছে।’’ এর পাশাপাশি তৃণমূলের সংগঠনকে হামাস জঙ্গিদের সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি এবং বলেন, ‘‘হামাস যা করছে বাংলাতে তাই হচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ও দিদি নয়। দিদির নামের সঙ্গে এক মমতা জড়িয়ে, ওটা একটা মানবিক ব্যাপার। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুধু নিষ্ঠুরতা। আমি নন্দীগ্রামে ওনাকে হারিয়েছিলাম। তারপরে আমার বিরুদ্ধে তিনি ৪২টা কেস করেছেন। এতটাই নিষ্ঠুর মহিলা।’’

    ভোট পরবর্তী হিংসা

    বাংলার ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসাও এদিন জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে তুলে ধরেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘১৫ রাজ্যে ভোট হয়েছে। কিন্তু, একটা রাজ্যেও ভোট পরবর্তী হিংসার কথা বলতে পারেন? শুধু বাংলায় হয়েছে। ভোট গণনাকেন্দ্র লুঠ করা হয়েছে। ৫৭ বিজেপি কর্মীকে রেজাল্ট বের হওয়ার পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। ১ লক্ষ হিন্দু, বিশেষ করে তফসিলি জাতি উপজাতির লোকেদের ঘর ছাড়তে হয়েছে। অসমে সর্বানন্দ সোনওয়াল তখন মুখ্যমন্ত্রী। উনি আশ্রয় শিবির দিয়েছিলেন। বিহার, ওড়িশায় পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছিল।’’

    একযোগে আক্রমণ সিপিএম-তৃণমূলকে

    জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্রদের কার্যকলাপ বরাবরই বিতর্ক টেনেছে। উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগও। হিন্দু সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছেন বামপন্থী ছাত্র নেতারা। জেএনইউ-তে দাঁড়িয়ে সিপিএম-তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এবং বলেন, ‘‘সিপিএম-তৃণমূলের সেটিং রয়েছে। ডিওয়াইএফআই-এসএফআই মমতাকে চোর বলতে বলে, আর ওদের কাকা-জ্যাঠা সীতারাম-ইয়েচুরি বেঙ্গালুরুতে, পাটনা, দিল্লিতে মমতা-অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করে, খাওয়া-দাওয়া করে। সেটিং করে।’’

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    এদিন জেএনইউ-এর সেমিনারে বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালিকে দেশের মধ্যে অন্য দেশ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘অনেক আগে থেকেই সন্দেশখালিতে আসলে একটা দেশের মধ্যে অন্য একটা দেশ হয়ে গিয়েছিল। যেন দেশের মধ্যে অন্য একটা রাষ্ট্র।’’ সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, ‘‘আমাদের দেশে গণতন্ত্র আছে। জেএনইউ সর্বদা গণতন্ত্রের কথা বলা হয়। জোর গলায় এখানে গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করা হয়। কিন্তু এই গণতন্ত্র কীরকম? এখানে কিছু পড়ুয়া আছে যাঁরা নিজেরাই নিজেদের লেফট-লিবারেল বলে দাবি করে। কিন্তু, চোদ্দো সালের আগে লেফট-লিবারেলদের কতটা গণতন্ত্র এখানে ছিল তা সবাই জানাই। কত ছাত্রদের কত সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। এরকমই একটা পরিবেশ সন্দেশখালিতে তৈরি করে রাখা হয়েছিল।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar Card: মমতার কেন্দ্র-বিরোধী ‘ভুয়ো প্রচার’ কাজে এল না, সক্রিয় হল নিষ্ক্রিয় আধার কার্ড

    Aadhaar Card: মমতার কেন্দ্র-বিরোধী ‘ভুয়ো প্রচার’ কাজে এল না, সক্রিয় হল নিষ্ক্রিয় আধার কার্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে নিষ্ক্রিয় হওয়া আধার পুনরায় চালু হল। সপ্তাহ খানেক আগে যাঁদের আধার কার্ড (Aadhaar Card) নিষ্ক্রিয় হওয়ার চিঠি এসেছিল, বুধবার তাঁদের মোবাইলে আধার সক্রিয় হওয়ার মেসেজ এসেছে। সপ্তাহ খানেক আগে প্রায় ৬০ জনের বাড়িতে আধার নিষ্ক্রিয় করার চিঠি পৌঁছায়। এতে কপালে ভাঁজ পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। যদিও বিষয়টি নজরে পড়তেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হস্তক্ষেপ করেন। সংশ্লিষ্ট দফতরে বিষয়টি তাঁরা জানান। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। পরে, একের পর এক বাসিন্দার আধার কার্ড সক্রিয় হওয়ার মেসেজ আসতে শুরু করে।

    উল্লেখ্য, ‘আধার-বাতিল’ (Aadhaar Card) নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষকে ‘আতঙ্কিত’ করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চিঠিতে নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানিয়েছিলেন, তাঁর আশঙ্কা, বিষয়টি কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে। এ বিষয়ে তাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আর্জিও জানান বিরোধী দলনেতা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Aadhaar Card)

    আধার কার্ড (Aadhaar Card)নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে জানিয়ে ডাকযোগে এমন চিঠি পান জামালপুর ব্লকের বহু বাসিন্দা। জামালপুর ব্লকের জৌগ্রাম, আবুজহাটি এলাকায় প্রায় ৬০ জনের কাছে ডাকযোগে ‘ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (ইউআইডিএআই) রাঁচির আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়। আবুজহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জুতিহাটি গ্রামের প্রায় ৫০ জন এমন চিঠি পান, জৌগ্রামের অনেকের কাছেও এই চিঠি আসে। কয়েকদিন ধরে তাঁরা চরম দুশ্চিন্তায় ছিলেন। নতুন করে নিষ্ক্রিয় কার্ড ফের সক্রিয় হতেই স্বাভাবিকভাবেই খুশি এলাকার বাসিন্দারা। জুতিহাটি গ্রামের বাসিন্দা বিপুল বিশ্বাস, সজল দাসরা বলেন, সরকারি পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে বলে চিন্তায় ছিলাম। কারণ, আধার কার্ড না থাকলে তো কোনও সরকারি পরিষেবা মিলবে না। ব্যাঙ্কে টাকা তোলার ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে। আমরা চরম বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিলাম। এনিয়ে অনেক জায়গায় দরবার করেছি। অবশেষে, মোবাইলে  আধার সক্রিয় হবার মেসেজ পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।

    জেলা প্রশাসনের কর্তা কী বললেন?

    বুধবার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অমিয়কুমার দাস বলেন, নিষ্ক্রিয় হওয়ার পর সকলকেই অভয় দেওয়া হয়েছিল। এখন অনেকের আধার কার্ড (Aadhaar Card) সক্রিয় হয়ে গিয়েছে। যাদের হয়নি তাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্য করা হবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar: আধার নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন মমতা! ব্যবস্থার আর্জি শুভেন্দুর, চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে

    Aadhaar: আধার নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন মমতা! ব্যবস্থার আর্জি শুভেন্দুর, চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘আধার-বাতিল’ (Aadhaar) নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষকে ‘আতঙ্কিত’ করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চিঠিতে নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানিয়েছেন, তাঁর আশঙ্কা, বিষয়টি কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে। এ বিষয়ে তাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আর্জিও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    আসলে বিষয়টি ঠিক কী?

    প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দু, আসল বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘ইউনিক আইডেন্টিটিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই)-র রাঁচির আঞ্চলিক দফতর থেকে আধার কার্ড বাতিল নিয়ে চিঠি পান পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন। সেই সংখ্যাটা প্রায় ২৫০।’’ শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, বিষয়টি জানা মাত্র তিনি কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মন্ত্রী জানান, কোনও ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটি’-র কারণে এরকম হয়েছে। শুভেন্দুর মতে, যাঁদের আধার (Aadhaar) কার্ড বাতিল হয়েছে, তাঁদের কার্ড চালু করারও আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ইউআইডিএআইয়ের তরফে ইতিমধ্যে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, আধার ডেটাবেস আপডেট রাখার জন্য সময়ে সময়ে গ্রাহকদের অবগতির জন্য মেসেজ পাঠানো হয়। তবে কোনও কার্ড বাতিল করা হয়নি।

    ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন মমতা!

    শুভেন্দুর অভিযোগ, এত কিছুর পরেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি অকারণে খুঁচিয়ে তুলছেন। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘এত কিছুর পরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অকারণে খুঁচিয়ে চলেছেন। কেন্দ্রীয় সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত করার জন্য না জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আধার (Aadhaar) কার্ড বাতিল করছে বলে ভুয়ো গল্প বলছেন। শুভেন্দুর মতে, আধারকে-নিষ্ক্রিয় ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজ্যবাসীর মনে এনআরসি-র জুজু ঢোকানোই প্রধান উদ্দেশ্য মমতার। বিরোধী দলনেতার দাবি, মমতা মানুষকে এটা বলছেন যে, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) চালু করার জন্যই আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছে। যে কারণে তিনি (মমতা) পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি, ডিটেনশন শিবির চালু করতে দেবেন না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “গুন্ডারা জেলে যাবে, মমতার দিন শেষ”, সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “গুন্ডারা জেলে যাবে, মমতার দিন শেষ”, সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিভিশন বেঞ্চের অনুমতির পরেই সন্দেশখালিতে পৌঁছালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে পেয়ে নির্যাতিত মানুষ যেন বটবৃক্ষের আশ্রয় পেলেন। উলুধ্বনি, পুষ্পবর্ষণ করে স্বাগত জানালেন এলাকার মানুষ। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা। একে একে শুভেন্দু শুনলেন সব অত্যাচার, নির্যাতনের কথা। সেই সঙ্গে নিপীড়িত মানুষকে আশ্বাস দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আপনারা পাশে থাকুন। সন্দেশখালির সব কিছুর পরিবর্তন হবে।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    সন্দেশখলিতে পা রেখে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “সংবিধানের জয়, গণতন্ত্রের জয়, সন্দেশখালির মা-বোনের জয়। গুন্ডারা জেলে যাবে। মমতার দিন শেষ, ফিনিশ। পরিবর্তনের ভরকেন্দ্র হচ্ছে আজকের সন্দেশখালি। তৃণমূলের পিঠে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে এই জনজাগরণ। নন্দীগ্রামে আমরা ভয় পাইনি, আপনারাও ভয় পাবেননা। এলাকার মানুষ শান্তি চায়। শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চায় মানুষ। ওর পালানোর উপায় নাই।” শেখ শাহজাহান সম্পর্কে এলাকার মানুষ বলেন, “আমরা জীবন দেব, কিন্তু আন্দোলন থামাব না।” স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “আমার ৭ বিঘা জমি কেড়ে নিয়ে গেস্ট হাউস বানিয়েছে ওরা। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করেছে তৃণমূলের নেতারা। মমতা ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা কোনও ভোট দিতে পারিনি এলাকায়।”

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    এদিকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) যাওয়ার আগেই এলাকার ১২টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষ উঠল ১৪৪ ধারা। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশিন বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়ে বলেন, “রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন। তবে এলাকায় যাতে কোনও রকম শান্তিভঙ্গ না হয়, নজর রাখতে হবে। সবটাই দেখার দায়িত্ব পুলিশের।” অপর দিকে রাজ্যের পুলিশ শেখ শাহজাহানকে রক্ষা করছে বলে হাইকোর্টের বিচারপতি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। প্রধান বিচারপতি এই তৃণমূল নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না জানি না, তবে মনে হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে। তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ জারি করব। আশা করি পুলিশ আদালতকে সাহায্য করবে।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছালেন শুভেন্দু, ফুল ছড়িয়ে, শাঁখ বাজিয়ে নেতাকে বরণ

    Suvendu Adhikari: অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছালেন শুভেন্দু, ফুল ছড়িয়ে, শাঁখ বাজিয়ে নেতাকে বরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)  সন্দেশখালির পথে রওনা দেন। যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে পারেন বলে তিনি আশঙ্কা করেছিলেন। তাঁর সেই আশঙ্কা সত্যি হল। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ধামাখালিতে আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে শুভেন্দু অধিকারী কে আটকালো পুলিশ। সেখানেই দলের অন্যান্য বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসে যান বিরোধী দলনেতা। সন্দেশখালি যেতে বাধা নেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। শর্তসাপেক্ষে শুভেন্দু ঢুকতে পারবেন সন্দেশখালি। শুভেন্দুর সঙ্গে কেবল যেতে পারবেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আদালতের অনুমতি পেতেই শঙ্কর ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালি যান। বিরোধী দলনেতা বললেন, “এটি সংবিধানের জয়।” আর শুভেন্দু সন্দেশখালির পথে যেতেই উচ্ছাসে ফেটে পড়লেন বিজেপি কর্মীরা।

    শাঁখ বাজিয়ে শুভেন্দুকে বরণ সন্দেশখালিতে (Suvendu Adhikari)  

    সন্দেশখালি পৌঁছতেই ফুল ছড়িয়ে, শাঁখ বাজিয়ে বরণ শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। মানুষের ভিড়ে কার্যত এগোতে পাচ্ছেন না তিনি। টোটোয় চড়ে গ্রামের মানুষের কাছে যান বিরোধী দলনেতা। শোনেন অভাব অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারী গ্রামে প্রবেশ করতেই বেরিয়ে এলেন বাড়ির মহিলারা। নিজেদের অভাব-অভিযোগ জানালেন বিরোধী দলনেতাকে। একই সঙ্গে বরণ করে নিলেন তাঁকে। কেউ কেউ আবার পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। শুভেন্দু তাঁদের কাছে জানতে চাইলেন, তাঁরা এখন কেমন আছেন? লড়াই চালানোর বার্তাও দিলেন বিরোধী দলনেতা। এরপর সন্দেশখালির মাটিতে বসে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, শাহজাহান সিপিএমের প্রোডাক্ট। এর আগে বৃন্দা কারাট শাহজাহানের সঙ্গে মিটিং করে গিয়েছেন। বামেদের নিচুতলার কর্মীরা বিজেপিকে সমর্থন করে। জানা গিয়েছে, আদালতের অনুমতি পেতেই বৃন্দা কারাট ও সিপিএম-এম মহিলা ব্রিগেডও সন্দেশখালিতে যায়।

    সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আসার আগে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্দেশখালিতে নতুন করে ১২টা জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয় বলে জানালেন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার   মেহেদী হাসান রহমান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে সন্দেশখালি থানার পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯ টি পয়েন্টে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে চারটি জায়গা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। জানা গেছে , মঙ্গলবা আবার নতুন করে ১২টি জায়গায় ফের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে মোট ২৭ টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar Card: ‘‘রাতের মধ্যেই ফের সক্রিয় হবে নিষ্ক্রিয় হওয়া আধার’’, রাজ্যবাসীকে আশ্বাস সুকান্তর

    Aadhaar Card: ‘‘রাতের মধ্যেই ফের সক্রিয় হবে নিষ্ক্রিয় হওয়া আধার’’, রাজ্যবাসীকে আশ্বাস সুকান্তর

     

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক ব্যক্তির আধার (Aadhaar Card) নিষ্ক্রিয় হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি সমাধানে সক্রিয় গেরুয়া শিবির। সোমবার, রাজ্য বিজেপির তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে যাদের আধার নিষ্ক্রিয় হয়েছে, তা মঙ্গলবারের মধ্যেই পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠবে। বঙ্গ বিজেপি নেতাদের দাবি, পরিকল্পনামাফিক ষড়যন্ত্র করে ভোটের ঠিক আগে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর নেপথ্যে কারা রয়েছে, তদন্ত করে তার বের করা প্রয়োজন বলেও মনে করছে বঙ্গ বিজেপি।

    গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষের কাছে আধার-নিষ্ক্রিয় (Aadhaar Card) হওয়ার চিঠি ও বার্তা আসতে শুরু করেছে। এই নিয়ে তীব্র আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভোটের মুখে। সমস্যা যে গুরুতর হতে চলেছে, তা আগাম আঁচ করে তড়িঘড়ি আসরে নামেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। যোগাযোগ করা হয় কেন্দ্রের সঙ্গে। গোটা বিষয়টি বিস্তারিতভাবে পেশ করা হয়। এর পরই, কেন্দ্রের তরফে আশ্বাস পেয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি এদিন রাজ্যবাসীকে অভয় দেন। 

    ‘‘২৪-ঘণ্টার মধ্যে সক্রিয় হবে কার্ড’’

    এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘আধার কার্ড (Aadhaar Card) নিয়ে বেশ কিছু জেলায় বেশ কিছু সমস্যা হয়েছে। তাকে হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে, ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা করছে। আমি রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসাবে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমি রেলমন্ত্রী, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী ও আধারের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। কারও বিন্দুমাত্র ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। আজ রাতের মধ্যে সমস্ত তথাকথিত ডিঅ্যাক্টিভেটেড আধার কার্ড আবার চালু হয়ে যাবে। কোনও আধার কার্ড বাতিল হবে না।’’

    ‘‘অভিযোগ জানানোর প্রয়োজন নেই’’

    রাজ্যের বাসিন্দাদের কারও আধার (Aadhaar Card) নিষ্ক্রিয় হলে যাতে তারা অভিযোগ জানাতে পারে, তার জন্য একটি পোর্টাল তৈরির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে তিনি মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন। সেই প্রেক্ষিতে এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) জানিয়ে দেন, কোনও প্রয়োজন নেই কোথাও অভিযোগ করার। সোমবার রাতের মধ্যেই সব আধার সক্রিয় হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী একটা পোর্টাল খুলেছেন বলে শুনতে পাচ্ছি। কোনও পোর্টালে কোনও অভিযোগ জানানোর দরকার নেই। যদি আজ রাতের পরে কারও আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেটেড থাকে, বিজেপি পার্টি অফিসে যোগাযোগ করুন। আমরা দায়িত্ব নিচ্ছি, আমরা দায়িত্ব নিয়ে আপনাদের আধার কার্ড অ্যাক্টিভেট করে দেব। আমরা আঞ্চলিক আধার অফিসের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ করিয়ে দেব। আজ রাতের মধ্যে সবার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’

    কেন্দ্রের অগোচরে এমন কাজ?

    এদিকে, আচমকা রাজ্যবাসীর আধার-কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়ার ঘটনার নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়ে থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর দাবি, সমস্যা তৈরি হয়েছে আধার কার্ডের রাঁচি আঞ্চলিক দফতর থেকে। এদিন এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্ক্রিয় হওয়া আধার কার্ড সক্রিয় হয়ে যাবে।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘রাঁচির আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে যে এরকমটা করা হয়েছে, তা উচ্চপর্যায়ের আধিকারিক এবং মন্ত্রকের কেউ জানতেন না।’’

    ভোটের আগে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র?

    এই কাণ্ড ঘটিয়ে ভোটের আগে বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলেও মনে করছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ, যাঁদের আধার কার্ড (Aadhaar Card) নিষ্ক্রিয় হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই মতুয়া-সম্প্রদায়ভুক্ত। বিজেপির দাবি, ভোটের আগে সিএএ-এনআরসি জুজু দেখিয়ে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককে বিজেপি-বিরোধী করার একটা অপচেষ্টা করা হয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘সত্যটা কী, তা জানতে একটা তদন্ত করা হবে এবং এটাও খতিয়ে দেখা হবে যে ভোটের আগে কোনও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে কিনা।’’ এই প্রসঙ্গে শীর্ষস্তরে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য শুভেন্দু জাহাজমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বুট দিয়ে মেরেছে,’ সন্দেশখালির পথে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বুট দিয়ে মেরেছে,’ সন্দেশখালির পথে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিরর রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পর এবার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) চরম পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বার বার তাঁর পথ আটকেছে পুলিশ। গাড়িতে উঠে চলেছে তল্লাশি। সব বাধা পার করে এদিন বেলা সওয়া দুটো নাগাদ সন্দেশখালি পৌঁছন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে তিন বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি, তাপসী মণ্ডল, শঙ্কর ঘোষ। কিন্তু, সরবেড়িয়া পৌঁছতেই পুলিশ কর্তার সঙ্গে ব্যাপক তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। সেখানেই ব্যাপক গণ্ডগোল হয়।

    পুলিশ বুট দিয়ে মেরেছে, সরব শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    দুদিন আগেও বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) সন্দেশখালি বাসে করে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সায়েন্স সিটির কাছে পুলিশ বাধা দেয়। ফলে, বাসের চাকা আর এগোয়নি। বৃহস্পতিবার ফের তিনি সন্দেশখালি যাওয়ার পরিকল্পনা নেন। এদিনও প্রথমে সায়েন্স সিটির কাছে বাস আটকায় পুলিশ। কিন্তু, সেসব কাটিয়ে সরবেড়িয়া পর্যন্ত পৌঁছয় শুভেন্দুর বাস। সেখানে পুলিশের কড়া প্রহরা ছিল। সেখানে পুলিশের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর কথা কাটাকাটি হয়। মিনাখাঁ-র এসডিপিও-র সঙ্গে তিনি বচসায় জড়িয়ে পড়েন। বাস থেকে নেমে পড়তে বাধ্য হন শুভেন্দু। সেখানেই বিরোধী দলনেতা বলেন, পুলিশ বুট দিয়ে আমাকে মেরেছে। আমার পা চিপে দিয়েছে।” রাস্তায় বসে পড়েন শুভেন্দু। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বাসে বসেই শুভেন্দু বলেন, “আমরা ১৪৪ ধারা মেনেই যাচ্ছি। আমরা গ্রামের নির্যাতিত মহিলাদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব। যে সমস্ত বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করব। “বিধায়ক তাপসী মণ্ডল বলেন, “আমরা ওই সমস্ত মা-বোনেদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলার চেষ্টা করব, যাঁরা এতদিন ধরে অত্যাচারিত হয়েছেন। পুলিশ তো এখন তৃণমূলের ক্যাডার। তাই তারা গণতন্ত্র মানে না।”

    সন্দেশখালিতে কালো টাকা রয়েছে

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তিনি বলেন “এই সময়কালের মধ্যেই ওই মহিলাদের চুক্তিভিত্তিক কাজের লোভ, ভয় দেখিয়ে, প্রভাবিত করে চাপে রাখতে পারে। সরকার বলতেই পারে, ১০ হাজার টাকা দিচ্ছে, মুখ বন্ধ করো। কারণ, প্রচুর কালো টাকা রয়েছে।” পুলিশি বাধা প্রসঙ্গে শুভেন্দু চিৎকার করে বলতে থাকেন, “এটা আপনাদের (পুলিশ) নিয়ম নয়। এটা যা করছেন গায়ের জোরে করছেন।” রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আইসিইউ-তে ভর্তি সুকান্ত, বুকে-কোমরে ব্যথা, চলছে স্যালাইন, জানালেন শুভেন্দু

    Sukanta Majumdar: আইসিইউ-তে ভর্তি সুকান্ত, বুকে-কোমরে ব্যথা, চলছে স্যালাইন, জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীদের অত্যাচারে সাধারণ মহিলারা সোচ্চার। আর তাই এই তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার এবং কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবিতে জনআন্দোলনকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কিন্তু টাকিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়, এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত বসিরহাট থেকে কলকাতায় বাইপাসের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে নিউরোলজি বিভাগে চিকিৎসা চলছে তাঁর। গতকাল তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আইসিইউতে রয়েছেন সুকান্ত। বুকের পাঁজর এবং কোমরের ব্যথা রয়েছে তাঁর। স্যালাইন ছাড়া কিছুই নিতে পারেননি। সুকান্তর বমি ভাব রয়েছে, বিশ্রাম নিলে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।”

    হাসপাতাল সূত্রে খবর (Sukanta Majumdar)

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তের (Sukanta Majumdar) সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। তবে এখনও সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। একই ভাবে তাঁর এমআরআই সংক্রান্ত কিছু প্রয়োজনীয় স্ক্যান করা হবে। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তাঁকে ইতিমধ্যে দেখতে এসেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। 

    বিজেপি সূত্রে খবর

    বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। তবে এখনও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। শরীরে ব্যথা রয়েছে। ঘটনার সময় পুলিশের গাড়ির বনেটের উপর তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাপক ধস্তাধস্তি হলে পড়ে যান। এরপর তাঁকে কোলে করে নীচে নামানো হয়। ফলে ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এখন শরীরের ভিতরে কোনও অংশে আঘাত লেগেছে কিনা তাই পরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসেকরা। বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার বলেন, “অসুস্থ অবস্থায় যখন সুকান্তবাবুকে নিয়ে আসা হচ্ছিল সেই সময় অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে এক বারের জন্যও চোখ খোলেননি। তাকানোর মতো কোনও পরিস্থিতি ছিল না তাঁর। কোমরে এবং বুকে ব্যথা রয়েছে। গাড়িতে তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে টাকি থেকে তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।”

    এসপি অফিসে চলছিল ঘেরাও

    মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযান হয়েছিল সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে। গত মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতাদের দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে ঘটনায় বিজেপির ৭ জন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফলে তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির জন্য আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ধর্না শুরু করেন তিনি। পরে আবার রাতে তাঁকে আটক করলে কিছুক্ষণ পরেই ছেড়ে দেয় পুলিশ। এরপর বুধবার সকাল থেকেই আবার সরস্বতী পুজো করে আন্দোলনে যোগদান করলে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা রয়েছে বলে রাস্তায় বাধা দেওয়া হয়, এরপর শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ওই সময় সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে অবশ্য জ্ঞান ফেরে। এরপর দ্রুত হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির পথে শুভেন্দুদের বাস বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে আটকাল পুলিশ

    Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির পথে শুভেন্দুদের বাস বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে আটকাল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে পদে পদে তৃণমূলীদের বাধা পেয়ে সন্দেশখালি পৌঁচ্ছাতে হয়। সেখানে গিয়ে তিনি মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনেছেন। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দলের সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ছিল। বসে করেই তাঁরা রওনা দেন। সায়েন্স সিটির কাছে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের মুখে তাঁদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চা়ঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    পুলিশি বাধা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি বিধায়করা? (Suvendu Adhikari)

    এদিন তিনটি বাসে করে বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়করা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে সন্দেশখালির পথে রওনা দেন। কিন্তু, পুলিশ সায়েন্স সিটির কাছে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের মুখে ব্যারিকেড করে বিজেপি বিধায়কদের বাধা দেয়। সেখানে বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি, অগ্নিমিত্রা পল বলেন, সন্দেশখালিতে ৬০ কিলোমিটার দূরে আমাদের আটকে দেওয়া হল। এখানে ১৪৪ ধারা নেই। তারপরও তৃণমূলের দলদাস পুলিশ এটা করল। আমাদের কেন ভয় পাচ্ছে তৃণমূল? মহিলা বিধায়কদের তো যেতে দিতে পারে, সেটাও তারা দিচ্ছে না। আসলে শাহজাহানদের এই সরকার মদত দিচ্ছে। মহিলাদের ওপর যে অত্যাচার হত তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সেখানকার মানুষদের কথা শুনতেই আমরা সন্দেশখালি যেতাম। সেটাও পুলিশ করতে দিল না। শাহজাহানকে ধরতে পারছে না পুলিশ। আর আমাদের আটকানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।

    শাহজাহান নিয়ে কী বললেন অগ্নিমিত্রা?

    ইডি ওপর হামলার পর থেকে শাহজাহান ফেরার। এখনও পুলিশ তার টিকি ছুঁতে পারেনি। তবে, তাঁর এক শাগদের উত্তম সর্দারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এরই মধ্যে শাহজাহানের হদিশ দিলেন অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, রবিবার হেমনগর এলাকায় শাহজাহানকে দেখা গিয়েছে। ৬জন সঙ্গে নিয়ে স্পিড বোটে তাঁদের দেখা গিয়েছিল। তাঁরা জঙ্গলের দিকে তিনি চলে যান। আমরা সব জানতে পারছি, অথচ মমতার পুলিশ কিছুই জানতে পারছে না। আসলে শাহজাহানকে পুলিশ বাঁচাতে চাইছে। আর এসবই হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘সুন্দরী কম বয়সী বউদের পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিতে হত’, গর্জে উঠলেন মহিলারা

    Sandeshkhali: ‘সুন্দরী কম বয়সী বউদের পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিতে হত’, গর্জে উঠলেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ছিল না মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার! বাড়ির কম বয়সী বউদের তুলে নিয়ে যেত তৃণমূলের নেতারা। এরপর পার্টি অফিসে রাতভর চলত বাড়ির মাহিলাদের উপর অমানবিক পৈশাচিক অত্যাচার। যৌনশোষণ করে তৃণমূল নেতাদের মন ভরলে তবেই ছাড় মিলত।” এই ভাবেই অভিযোগ করেন জেলিয়াখালির গ্রামবাসীরা। রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের পলাতক নেতা শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ অনুগামি উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে গ্রামের মহিলারা ব্যাপকভাবে সরব হওয়ায় শোরগোল পড়েছে রাজ্যজুড়ে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার প্রথমে লাঠি, ঝাটা নিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদে এবং শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। সেই সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, গতকাল রাতভর প্রতিবাদী মহিলাদের টার্গেট করে ব্যাপক মারধর করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে কয়েকজন মহিলা গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    বাড়ির বউকে ছেড়ে দিতে হত!

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলাদের বক্তব্য বলেন, “তৃণমূল পার্টির লোকেরা আগে এসে দেখে যাবে কোন বাড়ির বউ বেশি সুন্দরী। এরপর তাঁদের মধ্যে যে কম বয়সী তাঁর বাড়িতে হুমকি চলে আসত। বাড়ির বউকে ছেড়ে দিতে হতো তাঁদের হাতে। তুমি স্বামী হতে পারো, কিন্তু তোমার কোনও অধিকার ছিল না। তুলে নিয়ে চলে যেত তৃণমূলের পার্টি অফিসে। এক দিনের জন্য নয়, রাতের পর রাত ভোগ করত নেতারা। ততক্ষণ পর্যন্ত রেহাই নেই ঠিক যতক্ষণ পর্যন্ত নেতাদের মন না ভরত। সারারাত পার্টি অফিসে রেখে, ভোর বেলায় ছেড়ে দেওয়া হতো বউদের। ঠিক এই ভাবে দিনের পর দিন আমাদের গ্রামবাসীর উপর অত্যাচার এবং যৌন নির্যাতন চালাতো সন্দেশখালির কুখ্যাত নেতা শাহজাহান বাহিনী।”

    সন্দেশখালি নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু

    শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরার বিরুদ্ধেই এলাকার মানুষের মূল অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে থানায় (Sandeshkhali) এফআইআর করা হয়েছে। প্রধান অভিযোগ হল, শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবিতে এদিনও আগের মতোই লাঠি, বাঁশ, দা এবং কাটারি হাতে রাস্তায় নামেন মহিলারা। মানুষের সম্পত্তি জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। প্রাপ্য টাকা চাইতে গেলে প্রাণের ভয় দেখানো হত। আর তাই জেলিয়াখালিতে মূল অভিযুক্ত শিবু হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে শুক্রবার উত্তেজিত জনতা আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেছেন, “চোর মমতার বিরুদ্ধে বাংলায় হিন্দু সমাজের জনজাগরণ ঘটেছে। বাংলার মায়েরাই সেই রাস্তা দেখিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share