Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • PM Modi: ‘‘রাজ্যে বিরোধীরা অবহেলিত হলেও বৈষম্যে বিশ্বাসী নয় কেন্দ্র’’, মোদি-মমতা বৈঠক নিয়ে শুভেন্দু

    PM Modi: ‘‘রাজ্যে বিরোধীরা অবহেলিত হলেও বৈষম্যে বিশ্বাসী নয় কেন্দ্র’’, মোদি-মমতা বৈঠক নিয়ে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিষয়ে কথা বলতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কাছে সময় চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সেই সময় দিয়েছেন এবং আগামী সপ্তাহেই দিল্লিতে বৈঠক হতে পারে মোদি-মমতার। ইতিমধ্যে এই বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া এসেছে শুভেন্দু অধিকারীর। বিরোধী দলনেতার মতে, ‘‘রাজ্যে বিরোধীরা অবহেলিত হলেও বৈষম্যে বিশ্বাসী নয় কেন্দ্র।’’ প্রসঙ্গত, বিরোধীদের প্রতি মমতা সরকারের অবহেলার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। উন্নয়নমূলক যে কোনও কাজকর্মে বিরোধীদের এড়িয়ে যাওয়া তো বটেই, আবার বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের ওপর শাসকদলের হামলার ঘটনাও ঘটতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গে। এই আবহে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বৈঠকের জন্য নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সময় দেওয়া, রাজনৈতিক সৌজন্যতার বড় নজির বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কবে বৈঠক? আলোচনা কী নিয়ে হবে?

    জানা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় সংসদ ভবনে মুখোমুখি হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এবং মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, চলতি মাসের ১৮, ১৯ এবং ২০ ডিসেম্বর দিল্লিতে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে রয়েছে বিরোধী ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি কলকাতায় এসে রাজ্যকে বিভিন্ন প্রকল্পে যে বিপুল পরিমাণে টাকা দেওয়া হয়েছে, তার হিসাব দিয়ে বুঝিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তা সত্ত্বেও মূলত রাজ্যের পাওনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সামনে দলের সাংসদদের নিয়ে যেতে চান মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে টাকা নয়ছয়ের। তারপরেও চলতি বছরের অগাস্ট মাসে অভিষেক ও তাঁর দলবল দিল্লিতে একই দাবিতে একপ্রস্থ নাটক করেন। ঠিক চার মাস পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই দাবিতে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে।

    কী বলছেন বিরোধী দলনেতা?

    মোদি-মমতার এই বৈঠক নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাৎ করতেই পারেন, কথা বলতে সময় চাইতেই পারেন। মুখ্যমন্ত্রী যতবারই প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে সময় দিয়েছেন। এব্যাপারে বঙ্গ বিজেপির না বা হ্যাঁ বলার কোনও জায়গা বা মানসিকতা নেই।’’ এনিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সৌজন্যতার পার্থক্যও টানেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর মতে, ‘‘এরাজ্যে বিরোধীদলের সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে যে ব্যবহার মুখ্যমন্ত্রী করেন সেটা নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) করেন না। কারণ দিল্লিতে সেটা চলে না। এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করেন না। তাঁদের চিঠির উত্তরও দেন না।’’ বিরোধী দলনেতার মতে, ‘‘রাজ্যে বিরোধীরা অবহেলিত, কেন্দ্রে বিরোধীদের গুরুত্ব যথেষ্টই রয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মমতার পুলিশ কাপুরুষ,’ মারিশদার পর গোঘাট থানায় দাঁড়িয়ে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মমতার পুলিশ কাপুরুষ,’ মারিশদার পর গোঘাট থানায় দাঁড়িয়ে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানায় হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশকে থানায় ঢুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। মারিশদার পর এবার হুগলির গোঘাট থানা। থানার ভিতরে ঢুকে রনং দেহি মূর্তি ধারণ করলেন বিরোধী দলনেতা।

    কেন গোঘাট থানায় বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান কেনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোঘাটের ভিকদাস ধান্য ক্রয় কেন্দ্রের সামনে। কৃষকরা অভিযোগ তোলে, প্রয়োজনের তুলনায় ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান বেশি বাদ দেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদেই রাজ্য সড়ক অবরোধ করে কৃষকরা। সেই অবরোধ তুলতে গিয়ে সম্প্রতি কৃষকদের উদ্যেশে গালিগালাজের অভিযোগ হুগলির আরামবাগ মহকুমার গোঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের অরূপ মন্ডলে বিরুদ্ধে । সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই আগেই সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।  শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার শ্রীনগরে দলীয় কর্মসূচিতে একটি জনসভা ছিল। সেই সভা শেষ করে সেখান থেকে সোজা আরামবাগের গোঘাট থানাতে এসে হাজির হন শুভেন্দু। কৃষকদের হয়ে প্রতিবাদ জানাতে । এদিন সন্ধ্যায় গোঘাট থানর গেটে বিরোধী দল নেতার কোন এসে পৌঁছাতেই বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকেরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। 

    থানায় গিয়ে কী করলেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) গোঘাট থানার  সামনে গাড়ি থেকে নামতেই দলীয় নেতা কর্মীরা গেটের সামনেই ফুলমালা দিয়ে সংবর্ধনা জানান। তারপর তিনি ওই এলাকার কয়েকজন কৃষক ও পুরশুড়ার বিধায়ক তথা আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ ও গোঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ কারককে সঙ্গে নিয়ে থানার ভিতরে ঢোকেন। এরপর থানায় ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জিজ্ঞাসা করেন থানার ওসি অরূপ মণ্ডল কোথায়?  তার সঙ্গেই কথা বলবো। যদিও ডিউটি অফিসার জানান, তিনি বিশেষ কাজে বাইরে আছেন। তবে এই কথা শোনার পর শুভেন্দু অধিকারী পুলিশ কর্মীদের ধমক চমক  দিতে থাকেন।

    মমতার পুলিশ কাপুরুষ

    থানায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এই অকথ্য ভাষায় কৃষকদের গালিগালাজ কখনো মেনে নেওয়া যায় না। আমিও একজন কৃষক পরিবারের ছেলে, আর এই এলাকায় মানুষ কৃষির উপরে নির্ভরশীল, তাই একজন কৃষককে গালিগালাজ করবে মমতা পুলিশ এট মানা যায় না। সতর্ক করে গেলাম। এই ধরনের কোনওরকম ব্যবহার কোনও মানুষের সঙ্গে যেন আর দ্বিতীয়বার করা না হয়। আমি ভেবেছিলাম, তিনি হয়তো নিজে আমার মাধ্যমে কৃষকদের জন্য ভুল স্বীকার করবেন। কিন্তু আমার আসার কথা শুনেই তিনি পালিয়ে গেছেন।  বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পর তিনি বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, মমতার পুলিশ কাপুরুষ। আমি আসবো বলে ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমি আবার আসবো, রেহাই কাউকে দেওয়া হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শিলিগুড়িতে শুভেন্দুর সভার ভবন অমিল, মিলল না পুলিশি অনুমতি

    Suvendu Adhikari: শিলিগুড়িতে শুভেন্দুর সভার ভবন অমিল, মিলল না পুলিশি অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। আগামী মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। আর সেদিনই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শিলিগুড়িতে পালটা সভা করবেন। কিন্তু, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার জন্য ভবন দিতে চাইছে না কেউ। এমনটাই অভিযোগ শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের। পুলিশি অনুমতিও নেই। এদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সামনে – মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন ধরনা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন শংকর ঘোষ। পুলিশ সেই কর্মসূচির অনুমতিও দেয়নি।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি পাওয়া নিয়ে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১২ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার আয়োজনের মূল দায়িত্ব শংকর ঘোষেরই। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, অন্তত ১০টি ভবনে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের মালিকেরা বলছেন, আপনাদের ভবন দিতে পারব না। নিষেধ রয়েছে। চোখ রাঙানো হচ্ছে। কেউ অন্য যুক্তি দিচ্ছেন। তৃণমূল রয়েছে এ সবের পিছনে।’ শংকর দাবি করেন, ‘বাড়ির মালিকেরা আমাদের বলছেন, তাঁদের সমস্যা বুঝতে চেষ্টা করার। কাউকে বিব্রত করতে চাই না। ‘ এদিন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক ধরনা কর্মসূচির অনুমতি না পাওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ‘সভার নামে স্টেডিয়ামকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। যেখানে রাজ্য সরকার ও পুরনিগমের তরফে অনেকদিন ধরেই বহুবার বলা হয়েছে স্টেডিয়ামের মাঠে কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না, সেই মাঠেই মুখ্যমন্ত্রীর সভা কী করে হয়, মেনে নেওয়া যায় না।’ শুধুমাত্র ১৪৪ ধারা বিরোধী দল বা সাধারণ মানুষদের জন্য, শাসকদলের জন্য কেন হয় না, তারও প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক। করছে

    এর আগেও শুভেন্দুর একাধিক সভায় পুলিশ অনুমতি দেয়নি

    প্রসঙ্গত, বিজেপির সভার অনুমতি নিয়ে সবসময় সমস্যা তৈরি  করছে প্রশাসন। সম্প্রতি ধর্মতলায় একুশের সভাস্থলে অমিত শাহের জন সভার জন্য প্রথমে বিজেপি পুলিশি অনুমতি পায়নি। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বিজেপি সভা করার অনুমতি পায়। এর ক’দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের তাঁর খেজুরিতে স্থানীয় প্রশাসন দিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি না দেওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে অনুমতি পায় বিজেপি। বাঁকুড়ার কোতুলপুরেও দু’দফায় বাধা পাওয়ার পরে আদালতের অনুমতি নিয়েই মিছিল ও পথসভা করেন শুভেন্দু। শেষ পর্যন্ত শিলিগুড়িতে কী হয় হয়, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রানিমার পারিবারিক বিয়েতে ব্যস্ত রাজ্য, তাই চাষিদের দুঃখে নজর নেই, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রানিমার পারিবারিক বিয়েতে ব্যস্ত রাজ্য, তাই চাষিদের দুঃখে নজর নেই, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানিমার পারিবারিক বিয়েতে ব্যস্ত রাজ্য, তাই খেয়াল নেই চাষীদের প্রতি, শুক্রবার এই ভাষাতেই সরকারকে তোপ দাগলেন শুভেন্দু। অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তেই রাজ্যেও পড়ে তার প্রভাব। শীতকালে দুদিন ধরেই অকাল বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন রাজ্যের চাষীরা। শুক্রবার উলুবেড়িয়াতে চাষীদের এই ক্ষতির জন্য সরাসরি রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠিও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    তিনি বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য আমি কাউকে দায়ী করব না। যদিও বর্তমানে রাজ্য সরকার রানিমার পারিবারিক বিয়েতে ব্যস্ত। অন্যান্য সময় এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগে মাইকিং থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম, গণমাধ্যমে যেভাবে প্রচার করা হতো, এবারে সেটা করা হয়নি। কৃষকদের পাকা ধানে মই ও আলু চাষীদের আগামী সাত দিন আলুর বীজ না ফেলার জন্য কোনও রকমের প্রচারও করা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সতর্কতামূলক প্রচার না করে কর্তব্যহীনতার পরিচয় দিয়েছে রাজ্য সরকার।’’

    মুখ্যসচিবকে চিঠি

    এই ইস্যুতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), এ রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠিও দিয়েছেন এবং সেখানে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিও করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি আরও বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলী কলকাতা, উত্তর ও  ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলাগুলিতে আলু চাষিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঋণের পুনঃমূল্যায়ন এবং পরিশোধ পদ্ধতিতে শিথিলতা প্রদান করা হোক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ধান কেনার জন্য একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে কুইন্টাল প্রতি ১০ থেকে ২০ কেজি ধান কেটে নেওয়া হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার আবেদন জানিয়েছি। এছাড়া আলু চাষের ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী একাধিক ব্যবস্থা করেছেন কৃষকদের স্বার্থে । মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে থাকা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর এরাজ্যে ঘুমোচ্ছে। সার ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাপক কালোবাজারি চলার ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মমতার ভাইপোর বিয়েতে কোটি কোটি টাকা খরচ কী করে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মমতার ভাইপোর বিয়েতে কোটি কোটি টাকা খরচ কী করে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়েতে কোটি কোটি টাকা খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন যে হোটেলে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে তার খরচ নিয়ে সরব শুভেন্দু। শুক্রবার নিজের ফেসবুক থেকে এক ভিডিও পোস্ট করে ফের মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের বিয়ে নিয়ে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলার মা মাটি মানুষ… এক ঝলক দেখে নিন, কেমন উড়ছে বিলাসিতার ফানুস।’

    কী বললেন শুভেন্দু

    শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, টালির চালায় থাকা পরিবার কোটি কোটি টাকা খরচ করে কী ভাবে সেটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বুঝতে হবে। এদিন তিনি বলেন, ‘টালির ঘরে থাকা পরিবার, অত টাকা আসে কোথা থেকে? আমি প্রত্যেকটা রুম ধরে ধরে ভাড়া এক্স হ্যান্ডেলে দিয়েছি। প্রেসিডেন্সিয়ার স্যুটের ভাড়া ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা। যারা বলেন, ছবি এঁকে আর বই লিখে আমার সংসার চলে। সেই লোকগুলো কী করে কোটি কোটি টাকা খরচ করে পশ্চিমবঙ্গের লোককে জানতে হবে, বলতে হবে, বুঝতে হবে’।

    গত ৬ ডিসেম্বর রাতে কার্শিয়ংয়ের বিলাসবহুল রিসর্টে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিকের ছেলে আবেশ। পেশায় তিনি চিকিৎসক। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বিয়েতে মোতায়েন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের হাজির রাখা, তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে দু’দিন আগেই ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে দীর্ঘ পোস্ট করে সমালোচনা শুরু করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিবাহ অনুষ্ঠানে সরকারি পরিকাঠামো ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এদিন পাহাড়ে হোটেল-খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। এরপর তিনি আরও লেখেন, ‘এখানেই তো নয় শেষ, বধূবরণ বাকি কলকাতাতেই বসবে আসর, হ্যাঁ ওই সেখানেই যেখানে শিল্পপতিদের ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় আরকি।’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “স্টেট স্পনসর্ড ওয়েডিং”! মমতার ভাইপোর বিয়ে নিয়ে ট্যুইটে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “স্টেট স্পনসর্ড ওয়েডিং”! মমতার ভাইপোর বিয়ে নিয়ে ট্যুইটে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠান সূত্রে মুখ্যমন্ত্রী দার্জিলিংয়ে রয়েছেন। আর এই বিয়ে নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি টুইট করে এই বিয়ের অনুষ্ঠানকে স্টেট স্পনসরড বিয়ে বলে তীব্র কটাক্ষ করেছেন।

    সিকিমের লেক বিপর্যয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা মেলেনি, তোপ রাজু বিস্তার

    ভাইপোর বিয়ে উপলক্ষে বুধবার বিকেলে কার্শিয়াং পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোট চারদিন তাঁর পাহাড়ে থাকার কথা। বৃহস্পতিবার সকালে  কার্শিয়াং ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই তিনি একটি চা বাগানে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ চা পাতা তোলার চেষ্টা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই পাতা তোলা নিয়েই সরব হয়েছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ। বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব ভুলে পর্যটকের মতো পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কার্শিয়াঙে একজন পর্যটকের মতো সময় কাটাচ্ছেন। গত ৪ অক্টোবর সিকিমের লেক বিপর্যয়ে তিস্তায় প্রবল জলোচ্ছাস দেখা দেয়। তাতে দার্জিলিং ও কালিম্পং এলাকায় বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ৫০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একজন সরকারিভাবেই মারা গিয়েছেন। ১১ জন এখনও নিখোঁজ। সেই বিপর্যয়ে মুখ্যমন্ত্রী। পদধূলি পাহাড়ে পড়েনি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য তিনি কোনও উদ্যোগও নেননি।  মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিপর্যস্ত পাহাড়বাসীর পাশে এসে তাঁর দাঁড়ানো উচিত ছিল। সেখানে তিনি এখন পারিবারিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে পাহাড়ে এসে পর্যটকদের মত চা বাগানে গিয়ে পাতা তুলছেন। বিজেপি সাংসদের পাশাপাশি ভাইপোর বিয়ে নিয়ে বিরোধী দলনেতাও (Suvendu Adhikari) তীব্র কটাক্ষ করেছেন।

    [tw]


    [/tw]

     মুখ্যমন্ত্রীর চা পাতা তোলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    রাজু বিস্তা বলেন, এদিন চা শ্রমিকদের  আপনজন প্রমাণের তাগিদে তাদের সঙ্গে পাতা তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন চা পাতা তুলে মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন কত কষ্টকর কাজ করেন চা শ্রমিকরা। সেই কাজে তারা ন্যায্য বেতন, সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সামান্য বেতনে কষ্টের মধ্যেই সংসার চালাচ্ছে চা শ্রমিকরা। আশা করবো সেই কষ্ট লাঘবের জন্য তিনি উদ্যোগ নেবেন। যদি চা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা তিনি করেন তাহলেই সার্থক হবে তাঁর এই কর্মকাণ্ড।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: শুভেন্দুর জেলায় রাম মন্দির নিয়ে সঙ্ঘের বৈঠক, হাজির তৃণমূল নেতারাও!

    Ram Mandir: শুভেন্দুর জেলায় রাম মন্দির নিয়ে সঙ্ঘের বৈঠক, হাজির তৃণমূল নেতারাও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) দরজা সাধারণের জন্য খুলে যাবে আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি। বলা বাহুল্য, লোকসভা ভোটের আগে এই রাম মন্দির বিজেপি’র বড় অস্ত্র হতে চলেছে। কারণ, বিষয়টি শুধু উদ্বোধনেই থেমে থাকবে না। একে ঘিরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। লক্ষ্য, এই বিরাট সাফল্যের বার্তা মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছে দেওয়া। বিজেপির এইসব কর্মসূচিতে ইতিমধ্যেই সিঁদূরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে তৃণমূল। আর তাই বাঙালির পর্যটনের প্রিয় সমুদ্রসৈকত দিঘায় শাসক দল জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কাজও জোর কদমে চালিয়ে যাচ্ছে। 
    ঠিক এরকম একটা সময়েই ঘটে গেল এমন একটি ঘটনা, যা তৃণমূলকে স্পষ্টতই বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছে। আবার বিড়ম্বনার একশেষ হওয়ার আরও একটি কারণ হল, সেই ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরেই।

    কী সেই ঘটনা?

    ঘটনাস্থল ওই জেলার এগরা। সেখানকার ভবানীচক বসুন্ধরা বাজার ভবনে আরএসএস-এর একটি বৈঠক ছিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। যার উদ্যোক্তা এগরা ২ খণ্ডের রাম মন্দির উদযাপন কমিটির বাসুদেবপুর শাখা। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন দেশ ব্যাপী বাড়ি বাড়ি ভোগ বিলির কর্মসূচি নিয়েছে সঙ্ঘ। এর লক্ষ্যমাত্রাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের প্রতিটি শাখা এই কর্মসূচি সফল করতে নিজেরা আলাদা আলাদা বৈঠক করছে। সেরকমই বৈঠক ছিল এটি (Ram Mandir)। সেখানে বিজেপি নেতৃত্বের পাশাপাশি গ্রামের সাধারণ মানুষও হাজির হয়েছিলেন। বৈঠক সবে মিনিট পনেরো হয়েছে। এমন সময় সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেখানে উদয় হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চন্দ্রশেখর জানা, বুথ সদস্য বিকাশ সাহু সহ তিন তৃণমূল নেতা। সঙ্ঘ সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতে পারে, এরকম একটা আশঙ্কা করেই বোধহয় সভা শেষ হওয়ার আগে তাঁরা বেরিয়ে যান। কিন্তু তাঁদের মূল প্রতিপক্ষের বৈঠকে জেনেবুঝে তাঁরা গেলেন কেন, এই প্রশ্নটা থেকেই গেল। আর স্বাভাবিকভাবেই জেলায় এই ঘটনা চাউর হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কী বললেন ওই নেতারা?

    চন্দ্রশেখর জানার যুক্তি, তিনি জানতেন এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক বৈঠক। আর সেই কারণেই গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর যখন বিজেপি নেতাদের দেখতে পান, তখনই বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও সূত্রের খবর, এই ব্যক্তি আগে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। তাই পুরনো টান কি উপেক্ষা করতে পারলেন না? 

    কী বলছেন বিকাশ সাহু। তিনি আবার আর এক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, সঙ্ঘের মিটিংয়ের গোপন খবর (Ram Mandir) নিতেই নাকি তিনি গিয়েছিলেন। যদিও এই যুক্তি শুনে অনেকেই হাসাহাসি করছেন। সবাই বলাবলি করছেন, প্রকাশ্যে এবং সশরীরে হাজির হওয়ার পরও কি গোপন কথাটি গোপন রবে?

    সব খবর যাঁর কাছে আগেই চলে আসে এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিতে যিনি অভ্যস্ত, তৃণমূলের সেই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বেগতিক বুঝে ছোট্ট প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, খোঁজ নেবেন।

    কী প্রতিক্রিয়া বিজেপি’র?

    বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক সম্পাদক তন্ময় হাজরা বলেছেন, রাম (Ram Mandir) তো কারও একার নয়, সবার। এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল, রামকে সবাই যেমন হৃদয়ে রাখেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও তার বাইরে নন। তিনি এর জন্য সাধুবাদ জানাতেও ভোলেননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিজেপির পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর! পুলিশকে সময় বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বিজেপির পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর! পুলিশকে সময় বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত তাণ্ডব চালানোর ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) পঞ্চায়েত অফিস পরিদর্শন করেন। তৃণমূলের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করা হয়। সেখানে তৃণমূল এবং পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা।

    তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)  

    প্রতিবাদ সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)  বলেন,  সরকারি পঞ্চায়েত অফিস কীভাবে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা ভেঙেছে তা আপনারা দেখেছেন। পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে জানিয়েছেন, সোমনাথবাবু ও স্থানীয় তৃণমূল কর্মী জাকিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে থানার সামনে বিক্ষোভ হবে। গুন্ডাদের কীভাবে সোজা করতে হয় জানি। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিয়ে তৃণমূলদের এই পঞ্চায়েত থেকে তাড়িয়েছেন। সোমনাথ একটা ডাকাত কুড়ি কোটি টাকা তুলেছে চাকরি দেওয়ার নাম করে। ভারত সরকারের ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকা অনাদায়ী হয়ে রয়েছে সবই জানা। এখানকার তৃণমূলীদের বলছি, জনগণের পঞ্চায়েত গড়ে তুলুন। প্রধান-উপপ্রধানদের সাহায্য করুন মানুষের সেবার জন্য। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, এই পঞ্চায়েতকে যারা কালিমালিপ্ত করল গঙ্গাজল ছিটিয়ে পবিত্র করে পুনরায় পঞ্চায়েতের কাজকর্ম শুরু করুন।

    পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, তমলুক থানাকে বলছি তিনদিনের মধ্যে সোমনাথ, জাকিরের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় বিক্ষোভ হবে। কীভাবে এই গুন্ডাদের জব্দ করতে হয় তা আমরা জানি। ভাঙচুরের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  পঞ্চায়েত অফিসের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুরের ছবি তোলা হয়েছে।  পুলিশ একটা জামিনযোগ্য ধারায় এফআইআর করেছে। সরকারি অফিস চলাকালীন ভাঙচুর করলে কী ধারা যোগ করতে হয় মমতা পুলিশ না জানলেও  সিআরপিসি , আইপিসিতে সেই বিষয়ে লেখা রয়েছে। প্রয়োজনে ধারা যোগ করার জন্য আদালতে যাব।

    তৃণমূলের সভা থেকে পঞ্চায়েত অফিসে হামলা!

    প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখল থেকে বিজেপির দখলে এনেছেন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। তাই ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার, এই ইস্যু তুলে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। ওই প্রতিবাদ সভায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক ও এলাকার তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা সোমনাথ বেরা উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল নেতার উস্কানিমূলক বক্তব্যের পর প্রায় ২০০ জন কর্মী ওই অঞ্চলের বিরোধী দলনেতা জাকির হোসেনের নেতৃত্বে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতে হামলা চালায়। অঞ্চল অফিসের চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট করে দেওয়া হয়। তাণ্ডবে এলাকার পাশের দোকানদাররা পর্যন্ত দোকান বন্ধ করে দিয়ে ছুটে পালান। উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিতরে সরকারি কর্মীরা কাজ করছিলেন। সেই সময় শাসক দলের কর্মীদের আক্রমণে তাঁরাও হেনস্তার শিকার। মঙ্গলবার রাত তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়িতে একই দিনে মমতা-শুভেন্দু! বিজেপি কর্মীদের হাত-পা ভাঙার নিদান গৌতমের

    Siliguri: শিলিগুড়িতে একই দিনে মমতা-শুভেন্দু! বিজেপি কর্মীদের হাত-পা ভাঙার নিদান গৌতমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) মাটিতে একই দিনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই দুই হেভিওয়েট নেতার সভা ঘিরে শিলিগুড়ির রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। যুযুধান দুই রাজনৈতিক দলের সভা ঘিরে গন্ডগোলের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল। ১২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বিজেপি এবং তৃণমূলের সভা, পাল্টা সভা হতে চলেছে। যা নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ফুটবল লিগের খেলা বন্ধ করে মমতার সভা, প্রতিবাদে বিজেপি (Siliguri)

    বুধবার শিলিগুড়ি (Siliguri) পৌঁছে কার্শিয়াং যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আগামী ৭ তারিখ অবধি পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এরপর আগামী ৮ তারিখ কার্শিয়াং, ১০ তারিখ আলিপুরদুয়ারে, ১১ তারিখ বানারহাটে এবং ১২ তারিখ শিলিগুড়িতে সভা করবেন। শিলিগুড়ির এই সভা নিয়েই যত প্রশ্ন। কারণ, এখন শিলিগুড়ি স্টেডিয়ামে লিগের খেলা চলছে। আর তা চলাকালীন খেলা বন্ধ করে স্টেডিয়ামে মমতার সভা করতে গিয়ে মাঠ খুঁড়ে নষ্ট করা হচ্ছে বলে বিরোধীদে অভিযোগ। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েই ওই দিন শিলিগুড়িতে পাল্টা সভার ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই সভায় হাজির থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী। যাত্রাপথে মুখ্যমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। ওই দিন বিজেপির সভায় আসবেন শুভেন্দু অধিকারী। আজই এ নিয়ে আবেদন করা হবে। অনুমতি মিলবে না ধরে নিয়েই আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে বিজেপি।

    বিজেপি কর্মীদের হাত-পা ভাঙার নিদান গৌতমের

    মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সভার পর মাঠ ঠিক করে দেওয়া হবে বলেছিলাম। খেলাধূলো আমার হৃদয়ে রয়েছে। তবে এটাকে নিয়ে রাজনীতি করা নিন্দাজনক। বিজেপির অধিকার আছে বিক্ষোভ দেখানোর। তবে তা কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় জানি। আমরা হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। হাত-পা ভেঙে দেব।’

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, এটা মুখ্যমন্ত্রীর গা জোয়ারি মনোভাব প্রকাশ পায়। এর আগে এই স্টেডিয়ামে (Siliguri) গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের গানের অনুষ্ঠানের সময় প্রতিবাদ করেছিলাম। তখন বলেছিলাম খেলা ছাড়া আর কোনও অনুষ্ঠান হবে না। এখন শুনছি তৃণমূলের প্রধান স্টেডিয়ামের মাঠে এসে কর্মসূচি করছেন। যদি সেটা হয় আমি নিজে এর প্রতিবাদ করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মোদি-শাহ সম্পর্কে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর রাজ্য বিজেপির

    BJP: মোদি-শাহ সম্পর্কে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের বিরুদ্ধে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! এই অভিযোগেই ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর দায়ের করল বিজেপি। এর আগে বিজেপির (BJP) বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ এনেছিল তৃণমূল, লালবাজারের তলব করা হয়েছিল বিজেপি বিধায়কদের। যদিও হাইকোর্ট এই মর্মে নির্দেশ দেয় যে এই মামলায় বিজেপি বিধায়কদের কোনওভাবেই গ্রেফতার করা যাবে না। তৃণমূলের করা মামালায় অতিসক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। এবার বিজেপির মামলায় পুলিশের ভূমিকা কী থাকে, সেটাই দেখার।

    হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের মামলা

    জানা গিয়েছে, হেয়ার স্ট্রিট থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজ্য বিজেপির দুই বিধায়ক। তাঁরা হলেন, তুফানগঞ্জের বিজেপি (BJP) বিধায়ক মালতি রাভা রায় এবং দেবগ্রাম ফুলবাড়ী কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই এফআইআর-এ নাম রয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বাবুল সুপ্রিয়, শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় সমেত প্রত্যেক প্রথম সারির নেতার।

    বিজেপির অভিযোগ

    বিজেপির (BJP) ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর বিকাল তিনটে নাগাদ বিধানসভায় অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে মোদি ও শাহের নামে কুরুচিকর স্লোগান দেন তৃণমূলের বিধায়করা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে করা এই এফআইআর নিয়ে ট্যুইটও করতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

    বিজেপির (BJP) দাবি, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এরকম কুরুচিপূর্ণ স্লোগান গুরুতর অপরাধ। দুই শীর্ষস্থানীয় পদমর্যাদার ব্যক্তিকে অপমানই নয়, দেশের অসংখ্য মানুষের ভাবাবেগেও আঘাত দিয়েছে এই স্লোগান। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share