Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: ‘ভোটের ফল দেখে ‘ইন্ডি’ জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ভোটের ফল দেখে ‘ইন্ডি’ জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জাতীয়তা বিরোধী’ বলে মন্তব্য করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার হাওড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে মমতা সরকারের ‘রাজ্য সংগীত’ চালু করার প্রসঙ্গে একথা বলেন তিনি। দলীয় সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৩৫ কোটি দেশবাসীর জন্য জাতীয় সংগীত লিখে গিয়েছেন, যা আমরা গেয়ে থাকি। আর তিনি পাকিস্তানে ভারত এয়ার স্ট্রাইক করলে তার প্রমাণ চান। রাজ্যে সেনাবাহিনী মহড়া করলে নবান্নে বসে বলেন আমার রাজ্য দখল করে নিচ্ছে। ওনার কাজে এটা প্রমাণিত উনি ‘জাতীয়তা বিরোধী’।

    ‘ইন্ডি’ জোট নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    ‘ইন্ডি’ জোট প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘তিন রাজ্যের ভোটের ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে। আমি ওই জোটের নেতাদের বলব গয়াতে গিয়ে পিন্ডি দেওয়ার কাজটা শেষ করে আসুন। আমরা বলছি মমতা চোর। রাজ্যে ও কেন্দ্রে মন্ত্রিসভার গঠন কাদের নিয়ে হবে সেটা সেই রাজ্যের বা কেন্দ্রের সাংবিধানিক প্রধান ঠিক করেন। এখানে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। রাজ্যে যে চুরি ও দুর্নীতি হয়েছে তার দায় মুখ্যমন্ত্রীকেও নিতে হবে। মমতার মন্ত্রিসভা বলে ক্ষীর খাব, আর তাঁর মন্ত্রীদের অধীনে থাকা দফতরে দুর্নীতি হলে তার দায় নেব না! এক যাত্রায় পথক ফল হয় না।’

    এনসিআরবি রিপোর্ট নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা

    সোমবার রাজ্যের মন্ত্রী এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ অপেক্ষাকৃত কম অপরাধপ্রবণ রাজ্য বলে দাবি করেন। এদিন সেই বক্তব্য কার্যত উড়িয়ে দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পালটা বলেন, ‘আমি থিয়োরিতে বিশ্বাসী নয়, বিশ্বাস করি বাস্তবকে। ২০২১-এর নির্বাচন হওয়ার পর এক লক্ষ হিন্দুকে কেন ঘর ছাড়া হতে হয়েছিল, কেন মানস সাহা-সহ ৫৭ জন বিজেপি কর্মীর হত্যা হয়েছিল? পঞ্চায়েত নির্বাচনে  ৫৫জনের মৃত্যু হয়েছে কেন? যেখানে দেশে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হলেও কারও মাথাও ফাটেনি, সেখানে এই রাজ্যে নির্বাচনে এত হিংসা কেন জানতে চাই।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: জেলায় জেলায় বিজেপির বিজয়োল্লাস, মিছিল, কালীমন্দিরে পুজো দিলেন সুকান্ত

    BJP: জেলায় জেলায় বিজেপির বিজয়োল্লাস, মিছিল, কালীমন্দিরে পুজো দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক লোকসভা ভোটের আগে মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থান-ছত্তিসগড় বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের উচ্ছ্বাস যেন বঙ্গেও দেখা গেল। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া বুথ ফেরত সমীক্ষাকে বিজেপি পালটে দিল এই নির্বাচনী ফলাফলে। জেলায় জেলায় চলছে গেরুয়া আবিরের খেলা। সেই সঙ্গে চলছে মিষ্টি মুখ। বিজেপির (BJP) নেতা, কর্মীরা একাবারে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে আনন্দ বিনিময় করলেন কীভাবে সেই দৃশ্য চোখে পড়ল আজ।

    উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র কলকাতা, মেদিনীপুর, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালাদায় লক্ষ্য করা গেল বিজেপি কর্মীদের জয়ের উল্লাস। কাঁথিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির জয় নিয়ে বললেন, “লোকসভার ভোটে বাংলাও গেরুয়াময় হবে। পিসি-ভাইপোকে বিদাই নিতে হবে।” অপর দিকে বিজেপির জয়ে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বোল্লাকালী মন্দিরে পুজো দিলেন। বঙ্গবাসীর জন্য প্রার্থনা করলেন। 

    কলকাতায় বিজেপির উচ্ছ্বাস (BJP)

    তিনরাজ্যে বিজেপি (BJP) জয়ের পর সাংগঠনিক জেলা উত্তর কলকাতায় পালিত হল দীপাবলির পর ফের একবার দীপ উৎসব। এই দীপ উৎসবে প্রদীপ জ্বালিয়ে বাংলার জন্য শুভ কামনা করা হল বিজেপির তরফ থেকে। এই বিজয় উৎসবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কলকাতা জেলার বিজেপি সভাপতি তমোগ্ন ঘোষ এবং বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ডাক্তার ইন্দ্রনীল খান। 

    বীরভূমে বিজয় উৎসব পালন

    মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থান-ছত্রিশগড় বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি (BJP) জয়ী হওয়ায় গেরুয়া আবির খেলা হল। এই বিজয় উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বীরভূম জেলা কার্যালয়ের কর্মীরা। এই বিজয় উৎসব পালনে যোগদান করলেন রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও মন্ডলের কর্মীরা। সিউড়িতে বের করা হয়েছে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল। একই ভাবে পূর্ব বর্ধমানের কালনাতে জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে করা হয় বিজয় মিছিল।

    বোল্লাকালীকে পুজো দিলেন সুকান্ত

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সংসদ সুকান্ত মুজাদার তিন রাজ্যের বিজেপির বিপুলজয়ের কারণে দক্ষিণ দিনাপুরের বিজয় মিছিল বের করেছিলেন। পাশাপাশি এই রাজ্যের দুর্নীতি, চুরি থেকে মুক্তি পেতে বোল্লাকালী মায়ের কাছে পুজো দিলেন তিনি। এরপর উপস্থিত জেলার কর্মীদের নিয়ে এলাকায় মিষ্টি বিলি করলেন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এ তো সবে ঝড়, লোকসভা নির্বাচনে মোদি সুনামি দেখবে দেশ’’, প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘এ তো সবে ঝড়, লোকসভা নির্বাচনে মোদি সুনামি দেখবে দেশ’’, প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন রাজ্যে গেরুয়া ঝড়ে কার্যত ধুলিস্যাৎ কংগ্রেস। কংগ্রেসের দখলে থাকা রাজস্থান ও ছত্তিসগড়ও এদিন ছিনিয়ে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। মধ্যপ্রদেশেও বেড়েছে গতবারের থেকে ব্যবধান। জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা গেরুয়া ব্রিগেড। বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন বিজেপির বিপুল জয়ের পরে বলেন, ‘‘এ তো সবে ঝড়। লোকসভা নির্বাচনে মোদি সুনামি দেখবে দেশ। তার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গেও।’’

    আগামীকাল বিধানসভায় লাড্ডু বিলি

    আগামী লোকসভা নির্বাচন থেকেই পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয়ের পথ প্রশস্থ হবে, এদিন একথা জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন আগামীকাল বিধানসভায় লাড্ডুবিলি করা হবে। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তিন রাজ্যের এই বিপুল জয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের রাস্তায় নেমে উল্লাস করতে দেখা যায়। এমন ছবি ধরা পড়েছে হাওড়ায়। হাওড়ার শিবপুর এলাকায় উচ্ছ্বাস করতে থাকা বিজেপি কর্মীদের দাবি, ‘‘এরাজ্যে পালাবদল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।’’

    ছত্তিসগড়ে শুভেন্দুর প্রচার করা আসনে বড় জয় বিজেপির

    কংগ্রেসের দখলে থাকা ছত্তিসগড় রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দু’ দফায়। ৭ এবং ১৭ নভেম্বর। এই নির্বাচনে সেখানকার বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে প্রচার করতে যান পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা। এদিন ফলাফল বের হওয়ার পরে দেখা যাচ্ছে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) প্রচার করা সে রাজ্যের মতুয়া অধ্যুষিত আনতাবার বিধানসভায় বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বিজেপি প্রার্থী বিক্রম উসেন্ডি।

    বড় জয় বিজেপির, প্রশ্নের মুখে ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যত

    লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। ট্রেন্ড অনুযায়ী ছত্তিসগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে বিপুল জয়ের পথে বিজেপি। ৩ রাজ্যেই গেরুয়া আবির নিয়ে বিজোয়ৎসব পালন করতে শুরু করেছেন বিজেপি কর্মীরা। বছর ঘুরলেই রয়েছে লোকসভা ভোট। তার আগে অ্যাসিড টেস্ট ছিল এই নির্বাচন। ৩ রাজ্যে বিজেপি ভালো ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। এরফলে ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যতও প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়ল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মৃত দেহে কেলেঙ্কারি! আরজিকর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ইডিকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মৃত দেহে কেলেঙ্কারি! আরজিকর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ইডিকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মৃত দেহগুলিকে বেআইনি কাজে লাগানো এবং ময়নাতদন্তে কেলেঙ্কারি সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে বদলির বিষয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে নানান দাবি উঠেছে। এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ জানিয়ে ইডিকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। অপর দিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, ২০১১ সালের স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আরটিআই করেছেন বলে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন।

    ঠিক কী কারণে চিঠি সুকান্তর (Sukanta Majumdar)?

    আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি এবং বেআইনী কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ইডিকে চিঠি লিখে জানান, “হাসপাতালের মৃত দেহগুলিকে বেআইনি কাজে লাগানো হচ্ছে এবং ময়নাতদন্তে কেলেঙ্কারি করছেন তিনি। জৈব আবর্জনার সিন্ডিকেট হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে হাসপাতালকে। মানুষকে হাসপাতালের সরকারি জিনিস বেশি দামে কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি টাকা পয়সার অপব্যবহার করছেন অধ্যক্ষ।” এছাড়াও সুকান্ত আরও বলেন, “হাসপাতালের ভিতরে বেআইনি খাবারের দোকান রয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে নিয়ম না মেনে যত্রতত্র টাকার বিনিময়ে পার্কিং। এমনকী পড়ুয়াদের ভর্তির কাউন্সিলে করছেন গোলমাল। অবশ্য অধ্যক্ষ নিজে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে রাজ্য প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়।” এই সকল গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানান সুকান্ত। তাই চিঠিতে ইডিকে মামলা রুজু করার অনুরোধ করেন তিনি।

    তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অধ্যক্ষ

    সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে অধ্যক্ষ পদে সন্দীপ ঘোষকে রাখা হবে কিনা এই নিয়ে তীব্র উত্তেজনা শোনা গিয়েছিল। হাসপাতালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত দেখা যায়। একপক্ষ সন্দীপ এবং অপর পক্ষে মানস বন্দ্যোপাধ্যায় নামক আরেক ডাক্তার। পড়ুয়াদের মধ্যে সন্দীপের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূলের মুখপাত্র ডাক্তার শান্তনু সেনকে কলেজে গিয়ে রফা করতে হয়। শেষ পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষকেই অধ্যক্ষ হিসাবে রাখা হয়। ফলে তিনি যে খুব তৃণমূল ঘনিষ্ঠ, তা তখন থেকেই প্রমাণিত ছিল। তাই তাঁর এই অনৈতিক কাজের পিছনে কোন তৃণমূল নেতা রয়েছেন, সেটাও ইডিকে তদন্ত করে দেখার অনুরোধ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, কেন বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, কেন বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পুলিশকে লেঠেল বাহিনীতে পরিণত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো অভিষেক। পুলিশের কাজ শুধু দড়ি দিয়ে মমতা এবং অভিষেককে পাহাড়া দেওয়া আর টাকা তোলা। শুক্রবার কল্যাণীতে আত্রান্ত বিজেপি কর্মীকে দেখতে এসে এই ভাষাতেই রাজ্য পুলিশ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    বিজেপি কর্মীর উপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে মিহির বিশ্বাস নামে এক বিজেপির সক্রিয় কর্মীকে কল্যাণী থানার উত্তর চাঁদমারি এলাকার একটি সেলুনের দোকানে ঢুকে আচমকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে ওই এলাকারই অভিযুক্ত দুই ভাই আরমান শেখ এবং আরবাজ শেখ। জানা যায়, আরমান এবং আরবাজ ওই এলাকার তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বে রয়েছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বিজেপি কর্মীকে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও চিকিৎসা চলছে তার। এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এরপরই শুক্রবার রাতে ঘটনার কথা জানতে পেরে হাসপাতালে আক্রান্ত ওই বিজেপি কর্মীকে দেখতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকার এবং পুলিশকে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, পুলিশকে কাজ না করতে দিলে যে ঘটনা ঘটার কথা সেটাই হয়েছে। পুলিশ এখন শুধুমাত্র দড়ি ধরে মমতা এবং অভিষেককে নিরাপত্তা দিতেই ব্যস্ত। গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ স্তরের নির্বাচন হলে ভোট লুট করে কীভাবে তৃণমূলকে জেতানো যাবে সেই কাজ করানো হয় পুলিশকে দিয়ে।

    মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    মতুয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, বাংলাদেশ থেকে জামাতদের কারণে মতুয়ারা অত্যাচারিত হয়ে এদেশে এসে এসেছিলেন। আজ তাদেরই নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের সম্পর্কে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তাতে করে কোনও মতুয়া তৃণমূলকে ভোট দেবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • High Court: ফের আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য, খেজুরিতে শুভেন্দুর সভারও অনুমতি দিল সেই হাইকোর্ট!

    High Court: ফের আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য, খেজুরিতে শুভেন্দুর সভারও অনুমতি দিল সেই হাইকোর্ট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির সভা হলেই তাতে অনুমতি না দেওয়া এবং শেষমেশ হাইকোর্টের (High Court) গুঁতোয় অনুমতি দিতে বাধ্য হওয়া। তৃণমূল শাসনে এটাই যেন দস্তুর। মাত্র কদিন আগে ধর্মতলায় বিজেপির সভা নিয়েও সেই হাইকোর্টের থাপ্পড় খেল সরকার। কিন্তু এত ঘটনা ঘটে গেলেও বোধোদয় তাদের হয়নি। তাই একের পর এক সভায় বাধা দিয়েই চলেছে পুলিশ এবং প্রশাসন। বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলির অভিযোগ অন্তত তেমনই। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এমনটাই তারা করেছিল খেজুরিতে শুভেন্দুর সভা নিয়ে। কিন্তু এখানেও একই পরিণতি। হাইকোর্ট দিয়ে দিল সভার অনুমতি। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করার কৌশল কাজে দিল না মমতার সরকারের। শুধু অনুমতি দেওয়াই নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাইকোর্ট এমন সব মন্তব্য করেছে, যা যে কোনও প্রশাসনের পক্ষেই লজ্জাজনক। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হাইকোর্ট প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে, শাসক দলের ক্ষেত্রে কি একই নিয়ম মেনে চলা হয়, যা বিজেপির ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে? হাইকোর্টের বিচারপতি রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, বিরোধী দলকে সভার অনুমতি পেতে এভাবে বারবার হাইকোর্টেই বা আসতে হবে কেন?

    অনুমতি দিতে টালবাহানা

    উল্লেখ্য, আগামীকাল, রবিবার খেজুরিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভা। এই সভার জন্য অনেক আগেই পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে চরম টালবাহানা শুরু করে। অনুমতি তো দেয়ইনি, আবেদন খারিজও করেনি। তাই বাধ্য হয়ে তৃণমূল হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হয়। মামলাটি এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাশে উঠেছিল শুনানির জন্য। সেখানেই রাজ্যের কাছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, ‘শাসকদল কি কর্মসূচির ১৫ দিন আগে পুলিশকে জানায়? সব সময় কেন বিরোধী দলকে অনুমতির জন্য আদালতে আসতে হবে?

    রাজ্যকে ভর্ৎসনা (High Court)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কতখানি এলাকা জুড়ে এই সভা করা হবে, তা রাজ্য জানতে চেয়েছিল। বিষয়টি উত্থাপন করে বিচারপতি (High Court) রাজ্যকে বলেন, ‘মঞ্চের আয়তন জানতে চাইছেন কেন? শেষবার যখন শাসকদল সভা করেছিল, তখন মঞ্চের আয়তন জানতে চেয়েছিলেন?’ তবে এদিন অনুমতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, শব্দ দূষণ যাতে না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। বজায় রাখতে হবে শান্তি। তাছাড়া উস্কানিমূলক বক্তব্যের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: আজ বিজেপির সভায় প্রথম বক্তা তফশিলি মুখ চন্দনা বাউড়ি, শেষে ভাষণ দেবেন অমিত শাহ

    BJP: আজ বিজেপির সভায় প্রথম বক্তা তফশিলি মুখ চন্দনা বাউড়ি, শেষে ভাষণ দেবেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় আজ বিজেপির ‘শাহি সভা’। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখতে গত কাল রাতেই মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কিছু পরে সেখানে হাজির হন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীও। বুধবার ঠিক দুপুর দুটোর সময় বিজেপির সভাতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।

    তফশিলি সমাজের প্রতিনিধি চন্দনা বাউড়ি

    বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, মঞ্চে প্রথম বক্তা হিসেবে দেখা যাবে শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরিকে। সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের চন্দনাকে গত বিধানসভা নির্বাচনে শালতোড়ার টিকিট দেয় বিজেপি। তিনি জিতেও আসেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে একাধিকবার রাজ্যে প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সময় প্রধানমন্ত্রীকেও বলতে শোনা যায় চন্দনার কথা। তফশিলি সমাজের এই মুখকে রাজ্য বিজেপি প্রথম বক্তা হিসেবে রেখেছে।

    বক্তব্য রাখার সময়সীমা

    জানা গিয়েছে, একেবারে শেষে বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মাঝখানে প্রত্যেক বিজেপি (BJP) নেতা, সাংসদ এবং বিধায়কদের বক্তব্য রাখতে দেখা যাবে। তবে প্রত্যেকেরই বক্তব্য রাখার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। বক্তাদের তালিকায় নাম রয়েছে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষেরও। উত্তরবঙ্গের কর্মীদের ট্রেনে চাপার ভিডিও ট্যুইট করেছেন বিজেপি নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী।

    অমিত শাহকে স্বাগত জানাবেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীকে প্রথম থেকেই মঞ্চে দেখা যাবে না। তার কারণ তাঁরা দুজনেই কলকাতা বিমানবন্দরে অমিত শাহকে স্বাগত জানাতে হাজির থাকবেন। কলকাতা বিমানবন্দরে অমিত শাহ নামবেন ঠিক বেলা ১টার সময়। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে তাঁর বিশেষ বিমান রওনা দেবে ১১ টা ৫ মিনিটে। কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পরে তিনি হেলিকপ্টারে আসবেন রেসকোর্সের মাঠে। সেখান থেকে সড়কপথে অমিত শাহের কনভয় ঠিক দুপুর দুটোর সময় যাবে সভার স্থলে। বিমানবন্দর থেকে সভাস্থল পর্যন্ত অমিত শাহের সঙ্গী হিসেবেই দেখা যাবে সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীকে। বেলা দুটোর সময় অমিত শাহ মঞ্চে আসার পরে বক্তব্য রাখবেন সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক দুপুর আড়াইটার সময় মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর জনসভা থেকে ফের রেসকোর্সের দিকে তিনি রওনা দেবেন বিকাল সওয়া তিনটে নাগাদ।

    সকাল ১০টা থেকে শুরু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান 

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিত উপভোক্তাদের নিয়ে বিজেপির সভা অবশ্য কাল ১০টা থেকেই শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দলের বিধায়ক তথা খ্যাতনামা কবিয়াল অসীম সরকার গান গাইবেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজেপির (BJP) কালচারাল সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পদাধিকারী তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ কবিতা আবৃত্তি করবেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হলে রাজ্য নেতারা (BJP) বক্তব্য রাখতে শুরু করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: আজ ধর্মতলায় ‘শাহি’ সভা, মঞ্চ ঘুরে দেখলেন শুভেন্দু, সুকান্ত রাঁধলেন খিচুড়ি

    BJP: আজ ধর্মতলায় ‘শাহি’ সভা, মঞ্চ ঘুরে দেখলেন শুভেন্দু, সুকান্ত রাঁধলেন খিচুড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ধর্মতলায় ‘শাহি সভা’। বিজেপি কর্মীরা গতকাল রাত থেকেই কলকাতায় পৌঁছাতে শুরু করেছেন। জেলাগুলি থেকে রাতের ট্রেন ধরেই আসছেন বিজেপি কর্মীরা। ধর্মতলায় মঙ্গলবার রাতেই সভামঞ্চ পরিদর্শন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে দেখা যায় বিজেপির (BJP) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে, শিয়ালদা স্টেশনেই করা হয়েছে দূর-দূরান্ত থেকে আগত বিজেপি কর্মীদের বিশ্রাম ও খাবারের ব্যবস্থা। সেই স্থান তদারকি করেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তাঁকে খিচুড়ি রান্নাতে হাত লাগাতেও দেখা যায়।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

    ধর্মতলার সভাস্থানে শুভেন্দু অধিকারী জানান, দূর-দূরান্ত থেকে যে সমস্ত বিজেপি (BJP) কর্মীরা আসছেন, তাঁদের থাকার ও খাবার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ছয় নম্বর মুরলিধর সেন লেনের রাজ্য দফতরের সামনেও রাতে কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। বাঁকুড়া থেকেই রাতে পৌঁছে যায় একটি বিশেষ ট্রেন। বিজেপির (BJP) বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত উপভোক্তাদের অমিত শাহের সভায় হাজির করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, ওই বিশেষ ট্রেনে এসেছেন ১৫ হাজার লোক। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহল থেকে আরও ন’টি ট্রেন ভাড়া করেছে বিজেপি। ধর্মতলায় অমিত শাহ ঠিক ৯ বছর আগে ২০১৪ সালে ৩০ নভেম্বর সমাবেশ করেছিলেন। তখন অবশ্য তিনি শুধুই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব ছিল না। সেই সময় বিজেপি রাজ্যে উত্থান দিবস পালন করে। তারপর থেকে যথেষ্ট সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে রাজ্যে। গেরুয়া শিবির বর্তমানে বিরোধী দলের জায়গায় রয়েছে। এইরকম অবস্থায় আজকের বিজেপির সভা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    সভা ঘিরে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক জনসংযোগ বিজেপির

    সভা ঘিরে ব্যাপক জনসংযোগের কর্মসূচিও গ্রহণ করে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুকান্ত মজুমদার, প্রত্যেকেই রাজ্য চষে বেরিয়েছেন সভা সফল করতে। নানা ছোট-বড় পথসভা, দেওয়াল লিখন সবটাই করেছে গেরুয়া শিবির। গতকাল মঙ্গলবারও বাংলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে মাইক বেঁধে টোটোতে প্রচার করে বিজেপি (BJP)। বিজেপির সভা সফল করতে কয়েকদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছিল একটি থিম সং। এবার প্রকাশিত হল একটি মিউজিক ভিডিও। ওই মিউজিক ভিডিওতে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ, রুদ্রনীল ঘোষ, তরুণজ্যোতি তেওয়ারি, প্রীতম দত্তদের দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে তরুণ নেতারা বিজেপির সভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় বিজেপির মেগা ইভেন্ট। আসবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এই সভা সফল করে তোলার উদ্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন কোণে কোণে ছুটছেন বিজেপি নেতারা। সোমবার রাতে ঠিক একই কারণে সিঙ্গুরে (Hooghly) যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপচে পড়া জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু সিঙ্গুরের বর্তমান অবস্থার জন্য শাসক দলকে দায়ী করে বলেন, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বোকামি এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এ রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Hooghly)?

    হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরে বুড়াশান্তির মাঠে শুভেন্দুর সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন চাকরি চুরি, রেশন চুরির ১০০ দিনের কাজ, বার্ধক্য, বিধবা ভাতা, আবাস যোজনা দুর্নীতির প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি নেতারা। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিঙ্গুর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “২০০৬ সালে সিঙ্গুরের যাঁরা জমির মালিক হিসাবে চেক নিয়ে নিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে থেকে সামান্য কজন বর্গাদারকে নিয়ে সিঙ্গুরে শিল্প-কারখানার বিরোধিতা করতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামের দুটো লড়াই এক লড়াই নয়। সিঙ্গুরের লড়াইতে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের এই সিঙ্গুরকে শ্মশানে পরিণত করেছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উদারতা এবং প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মতো মহান ব্যক্তির ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এই রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে। সিঙ্গুরকে ধ্বংস করেছেন তিনি।”

    তীব্র আক্রমণ বেচারাম মান্নাকে

    রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে এদিন আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, “সিঙ্গুর টাটার কারখানায় (Hooghly) চুনসুড়কি সাপ্লাই করতেন বেচারাম মান্না। আমি জানি তিনি একটা বিড়িকে নিভিয়ে নিভিয়ে কীভাবে খেতেন। আগে ফাটা পায়জামা পড়তেন। একটা পাঞ্জাবি পাঁচদিন পড়তেন, তারপর ধুতে দিতেন। তিনি এখন সারাদিনে তিনটে সিল্কের পাঞ্জাবি পরেন। পিছনে তুলো লাগানো লম্বা সিগারেট খান। অনেক কিছু করেছেন, কোথা থেকে হয়েছে জানি না। তবে আমাদের ভারতবর্ষে ইডি আছে। মাটির ভিতরে জিনিস থাকলেও খুঁজে বের করতে পারে ইডি। কেউ ভাবতে পেরেছিল দেড়শো কেজি ওজনের, পঁচাত্তর বছরের একটা বুড়োর নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যিনি মমতার একজন প্রিয় পার্থদা ছিলেন। অপার ঘরে ঢুকেই ৫১ কোটি মাল দুদিনে বেরিয়েছে। এই দুর্নীতির হিসাব নেবো আমারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, ৬০ ফুট লম্বা ও ২০ ফুট চওড়া মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন শাহ

    BJP: চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, ৬০ ফুট লম্বা ও ২০ ফুট চওড়া মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল বুধবার ধর্মতলায় রয়েছে বিজেপির (BJP) হাইভোল্টেজ সভা। হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই বিজেপির এই সমাবেশ হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন, সেটি হতে চলেছে ৬০ ফুট লম্বা এবং ২০ ফুট চওড়া। এর পাশাপাশি মঞ্চের উচ্চতাও যথেষ্ট বড় হবে বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। সমাবেশ ঘিরে গেরুয়া শিবিরে সাজো সাজো রব। আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছেন কর্মীরা। ফেসবুকের দেওয়াল থেকে বিল্ডিং-এর দেওয়াল, সর্বত্রই চলছে সমাবেশের প্রচার। ইতিমধ্যে সামনে এসেছে সমাবেশকে ঘিরে বিজেপির (BJP) থিম সং-ও। সভার সমর্থনে সর্বত্র ছোট-বড় নানা জনসভার আয়োজনও করছে বিজেপি। গতকাল রামপুরহাটে পদযাত্রা এবং জনসভায় অংশ নেন শুভেন্দু অধিকারী। বিকালে তাঁকে সভা করতে দেখা যায় হুগলির সিঙ্গুরে। এরপর সন্ধ্যার পরে সভা করেন কলকাতার শ্যামবাজারে। অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদারও সভা করেন ঠিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পাশে হাজরাতে। রবিবারই বিজেপির (BJP) রাজ্য নেতৃত্ব মঞ্চ বাঁধার স্থানে খুঁটিপুজো সম্পন্ন করেছেন। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল প্রমুখ।

    কখন ঢুকছেন অমিত শাহ?

    সমাবেশে যে বিপুল জনজোয়ার হতে চলেছে, তা বিজেপির পদযাত্রা এবং সমাবেশের সমর্থনে সভাগুলির ভিড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে। দিন কয়েক আগে, আরামবাগে মহিলা মোর্চার পদযাত্রা ঘিরে মহিলাদের ঢল নামতে দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে একই চিত্র গতকালই দেখা গেছে শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারের সভাতেও। গেরুয়া শিবির (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে সভা। দুপুর ২টো নাগাদ সভাস্থলে পৌঁছাবেন অমিত শাহ। জানা গিয়েছে বুধবার ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানে কলকাতায় পৌঁছাবেন তিনি। সকাল ১১টা ৫ মিনিটে দিল্লি থেকে উড়বে তাঁর বিশেষ বিমান। দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ কলকাতায় পৌঁছাবেন অমিত শাহ। এরপর তাঁর কনভয় যাবে মঞ্চের দিকে। সভাস্থলে তাঁর থাকার কথা রয়েছে ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত।

    কী বলছে রাজ্য বিজেপি?

    সভা নিয়ে বিজেপির (BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই সভা থেকেই লোকসভা ভোটের সুর বেঁধে দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেটাই তো স্বাভাবিক। আমরা এই নিয়ে আশাবাদীও। যিনি দলটাকে সামনে থেকে পরিচালনা করেন, নেতৃত্ব দেন, দলের কর্মীদের মনোবল বাড়ান, তাঁর নাম অমিত শাহ।’’ সভায় কত লোক হতে পারে? এই প্রশ্নের জবাবে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সভায় জনপ্লাবন হবে। কারণ এখানে শুধু পার্টির লোকই তো আসবে না। সর্বস্তরের মানুষের জমায়েত হবে। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর এভাবেই সমাবেশ করেছিলাম আমরা। তখন অমিত শাহ এসেছিলেন। আদালতের বদান্যতায় সেই সভা হয়েছিল। এবারেও তাই হল।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share