Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: ‘‘হাথরসের মতো স্বরূপনগরে কেন টিম পাঠাচ্ছে না তৃণমূল!’’ কেন বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘‘হাথরসের মতো স্বরূপনগরে কেন টিম পাঠাচ্ছে না তৃণমূল!’’ কেন বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার চাষের খেত থেকে যুবতীর পোড়া ও গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের গুণরাজপুর গ্রামে। যুবতীর পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিরোধী দলনেতা(Suvendu Adhikari) এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    গলার নলি কাটা, বাঁধা রয়েছে হাত-পা। ওড়না দিয়ে বাঁধা হয়েছে মুখ। তখনও ধোঁয়া বেরোচ্ছে। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের গোবিন্দপুর গ্রামে কাঁকরোল খেতের মধ্যে এভাবেই পড়েছিল অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ। ঘটনাস্থল থেকে মেরেকেটে ৪০০ মিটার দূরে বাংলাদেশ সীমান্ত। মঙ্গলবার সীমান্ত লাগোয়া এই গ্রামের ঘটনা ঘিরেই হুলস্থুল পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, তরুণীর দেহের পাশেই পড়েছিল বাংলাদেশের ফরিদপুরের ঠিকানা লেখা চশমার খাপ, উদ্ধার হয়েছে মোবাইল ফোনের ব্যাক কভার ও তাহলে কি সীমান্তের ওপার থেকে এসেছিলেন এই তরুণী? তবে, প্রশ্নগুলি রয়েই গিয়েছে, তরুণী কি রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে এপারে এসেছিলেন? নাকি, এপার থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাংলাদেশে? তবে কি দালালদের খপ্পরে পড়েছিলেন তরুণী? সূত্র সন্ধানে বিএসএফ-এর সাহায্য নিচ্ছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। বিষয়টি জানার পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সরব হয়েছেন।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চাষের জমিতে মিলল গলার নলি কাটা, হাত-পা বাঁধা, অর্ধদগ্ধ দেহ। হাথরসে গেলে স্বরূপনগরে কেন টিম পাঠাচ্ছে না তৃণমূল? খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।  বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘সরকার নেই। সবচেয়ে অপদার্থ পুলিশমন্ত্রী। আজকেও এরা হাথরসে টিম পাঠায়। স্বরূপনগরে টিম পাঠান। কীভাবে একটা মহিলাকে হাত-পা বেঁধে পোড়ানো হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণের শিকার হন দলিত পরিবারের বছর উনিশের এক তরুণী। পরে, দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। হাথরসকাণ্ডে নির্যাতিতার গ্রামে প্রতিনিধিদল পাঠায় তৃণমূল। স্বরুপনগরের ঘটনা তুলে ধরে তৃণমূলকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব”, বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব”, বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেনের সফরসঙ্গীদের জন্য কত টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করলেন? জানতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম বাংলাকে পথ দেখাবে। নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব। সিপিএমকে একটা সময় পর্যন্ত সরানো অসম্ভব মনে হলেও কার্যত নন্দীগ্রামই পথ দেখিয়েছে। এভাবেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটের আগে বার্তা দিলেন। রাজ্যে বিজেপির সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে কর্মীদের অনুপ্রেরণা জোগালেন বলে মনে করছেন রাজনীতির এক অংশের মানুষ।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    পূর্ব মেদিনীপুরের একটি সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “৩৪ বছরের বাম শাসনের পতন ঘটেছিল নন্দীগ্রাম থেকে। ভবিষ্যতে তৃণমূলের অবসান ঘটবে এই গ্রাম বাংলা থেকেই। নন্দীগ্রামের মানুষ হয়তো মমতাকে ভোট দিলে কয়েকটা চাকরি পেতেন। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষ বাংলার সঙ্গে ভারতের সুরক্ষার কথা ভেবে মমতাকে হারিয়েছেন। বাংলার মানুষ নন্দীগ্রামকে স্মরণ করলেই পরিত্রাণ পাবেন।”

    আর কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন, “রাজ্যে বিরোধী দলনেতার কী ভূমিকা, তা আগে মানুষ জানতেন না। আগে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতার নাম নিতেন না। এখন বাধ্য হয়ে নিতে হয়। ঠ্যালায় না পড়লে বিড়াল যেমন গাছে ওঠে না, ঠিক তেমনি মুখ্যমন্ত্রীও তাই করছেন। এই কাঁথি, তমলুক অঞ্চলের পঞ্চায়েতে যে সব কর্মীরা বিজেপির হয়ে জয়ী হয়েছেন, তাঁদের সকলকে আমি প্রশিক্ষণ দেবো। ”

    শিল্প প্রসঙ্গে কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও জানিয়েছেন, আগামী ১৫ ডিসেম্বর হলদিয়ার হেলিপ্যাড মাঠে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ হবে। কেন্দ্রে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি। রাজ্যে কী কী  শিল্প এসেছে তার হিসাব জানাতে চান। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, “রাজ্যে কোন কোন কারখানা বন্ধ হয়েছে, তার তালিকা দিয়ে দিতে পারব”। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের খরচ কত? রাজ্যে নেই মহার্ঘ্য ভাতা! চলছে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন। সফরসঙ্গীদের জন্য মমতা কত টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করলেন, তাও জানতে চান শুভেন্দু।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “জিতলে হলদিয়ার কারখানা থেকে তৃণমূলকে তিন ঘণ্টার মধ্যে উৎখাত করব” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “জিতলে হলদিয়ার কারখানা থেকে তৃণমূলকে তিন ঘণ্টার মধ্যে উৎখাত করব” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটে বিজেপি জয়ী হলে, তৃণমূলকে হলদিয়ার কারখানা থেকে উৎখাত করার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পূর্ব মেদিনীপুরের টাটা স্টিল এবং টাটা পাওয়ার মজদুর সঙ্ঘের শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে ঠিক এইভাবে রাজ্যের শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)?

    পূর্ব মেদিনীপুরে আজ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “লোকসভার ভোটে বিজেপি জয়ী হবে। হলদিয়া এবং কাঁথিতে কয়েক লাখ ভোটে জয়ী হব। তমলুকে তৃণমূল হারবে। আর তৃণমূল হারলেই মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে হলদিয়ার কারখানার গেট থেকে শাসক দলকে উৎখাত করবো”। এছাড়াও পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো লোকসভার ভোট হবে না। লোকসভার ভোটে তৃণমূল ভোট লুট করতে পারবে না”। এদিন বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক সভাপতি ও হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, আনন্দময় অধিকারী, সোমানাথ ভুঁইয়া সহ আরও অনেক মজদুর সঙ্ঘের নেতারা।

    আর কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, কলকাতার মানুষ হালদিয়ায় এসে মাতব্বরি করবে আর এই এলাকার মানুষ তাঁদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে, এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এই জেলার অনেক মানুষকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছি। পড়ুয়াদের শিক্ষার সামগ্রী, দুঃস্থদের আর্থিক সাহায্য, রাস্তাঘাট এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের উপর অনেক কাজ করেছি। এছাড়াও এলাকায় অনেক গাছ লাগিয়েছি। হলদিয়া পুরসভার নির্বাচন হলে তৃণমূলের পরাজয় সুনিশ্চিত। তাই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করতে আমাদের সকলকে আরও একত্রিত হতে হবে।

    উল্লেখ্য, তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দু হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে এই উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ইস্তফা দেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Situation: ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি, রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    Dengue Situation: ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি, রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue Situation)। স্বাস্থ্য দফতরের অভ্যন্তরীণ বৈঠকেও এ নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৭০৯ বলে জানা গিয়েছে। বিগত জুলাই থেকে অগাস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে ৫ গুণ। কলকাতা পুরসভা এবং শহরতলি এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজার (Dengue Situation)। সরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা ৩ হলেও বেসরকারি হিসাব বলছে এই সংখ্যা ৩১।

    রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    ডেঙ্গির এমন পরিস্থিতি (Dengue Situation) নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ‘‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ রাজ্য প্রশাসন। ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কলকাতার কোনও বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা নেই। ঠিক করে ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হচ্ছে না। বাড়িতে বাড়িতে জ্বর। ফেব্রুয়ারি-মার্চে ডেঙ্গি আসার আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই টাকা অন্য খাতে ব্যয় করে দিয়েছে। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সম্পূর্ণ ব্যর্থই রাজ্য সরকার (Dengue Situation)।’’ শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যে সিলমোহর দিতে দেখা গিয়েছে কলকাতার মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের যুগ্ম সম্পাদক চিকিৎসক কবিউল হককে। তিনি বলেন, ‘‘মশা বাহিত রোগ ঠেকানোর জন্য রাজ্য সরকারের যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল, তার কিছুই আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এক্ষেত্রে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।’’ 

    ডেঙ্গি প্রতিরোধে কী করতে হবে

    জানা গিয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশেও প্রচুর সংখ্যায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে বিশেষ সতর্ক থাকা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গির উপসর্গ (Dengue Situation) থাকলে কী করতে বলছেন চিকিৎসকরা? জ্বর এবং শরীরের ব্যথার জন্য শুধু প্যারাসিটামল খেতে বলছেন এবং পেইনকিলার খেতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে জল এবং ফলের রস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। দুই দিনের বেশি জ্বর থাকলে সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বর্জ্য সামগ্রী সাফাই অভিযান করতে বলা হয়েছে। জল কোথাও যেন জমা না থাকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: বেহালার সৌরভকে স্পেনে গিয়ে শালবনীতে শিল্প ঘোষণা করতে হচ্ছে! কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    West Bengal: বেহালার সৌরভকে স্পেনে গিয়ে শালবনীতে শিল্প ঘোষণা করতে হচ্ছে! কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিল্প আনতে স্পেন সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে বিদেশি বিনিয়োগ তো দূরের কথা, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন শালবনিতে (West Bengal) তিনি ইস্পাত কারখানা গড়বেন। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, শালবনিতে ইস্পাত কারখানা করার কথা সৌরভকে স্পেন থেকে কেন ঘোষণা করতে হল? তা তো কলকাতাতে বসেও করা যেত। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে একজন ক্রিকেট জগতের মানুষ। তিনি তো শিল্পপতি নন। তাই তাঁকে শিল্পপতি ভেবেই কি রাজ্যে শিল্প স্থাপন করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী! এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    রবিবারই বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা বাড়িতে বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘স্পেনে গিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে শিল্পের ঘোষণা করতে হল! কী কারণে আমি তো বুঝতে পারছি না। তিনি কলকাতা, দিল্লি কিংবা মুম্বইতে গিয়েও শিল্পের কথা ঘোষণা করতে পারতেন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন। আমরা আশা করছিলাম স্পেনের কোনও শিল্পপতি বলবেন তিনি শিল্প কারখানা কিংবা অ্যাকাডেমি করবেন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী এভাবেই রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন (West Bengal)। সৌরভ তো আর শিল্পপতি নন। তিনি একজন ক্রিকেটার। হয়তো এখন শিল্পপতি হয়েছেন।’’ এদিকে রাজ্যের বেহাল কর্মসংস্থান নিয়ে সরব হতে দেখা যায় বালুরঘাটের সাংসদকে। তিনি বলেন, ‘‘এটা তো সবাই জানে এই রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। সেই কারণে মানুষকে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অন্য রাজ্যে যেতে হয়। বাংলার মানুষের কাছে ভুল বার্তা আছে যে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী চালু করেছেন। আসলে এমন প্রকল্প অনেক আগে থেকেই মধ্যপ্রদেশ সরকার চালু করেছে। সেখানে লাডলি বেহেনা প্রকল্পে প্রতিমাসে মহিলাদের ১,২৫০ টাকা করে দেওয়া হয়।’’

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    অন্যদিকে এদিন নন্দীগ্রামে জানকিনাথ মন্দিরে দলীয় কর্মসূচিতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফর নিয়ে কটাক্ষ শোনা যায় নন্দীগ্রামের বিধায়কের মুখেও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শালবনিতে সৌরভের বিনিয়োগ (West Bengal) প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আপনি শালবনিতে ইনভেস্ট করবেন, তাহলে স্পেনে গিয়ে সেই কথা ঘোষণা করতে হচ্ছে কেন! উন্মাদদের সরকার চলছে এই রাজ্যে।’’ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘এর আগেও সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ছিলেন সৌরভ। সে সময়ে জমি নিয়েছিলেন অ্যাকাডেমি গড়বেন বলে। পরে মামলা হয় এবং জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: মগের মুলুক! পঞ্চায়েত অফিসে রাখতে হবে মমতার ছবি, বিজেপিকে হুমকি তৃণমূলের

    Purba Medinipur: মগের মুলুক! পঞ্চায়েত অফিসে রাখতে হবে মমতার ছবি, বিজেপিকে হুমকি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে কাঁথির মাজিলাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত নিরঙ্কুশ ভাবে দখল করে বিজেপি। বিজেপি পরিচালিত এই পঞ্চায়েতে রয়েছে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। বিগত দিনে তৃণমূল এই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় থাকলেও স্থান পায়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। কিন্তু এবার বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করতেই মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কেন নেই পঞ্চায়েত অফিসে, তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, হঠাৎ করে বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করতেই কেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের (Purba Medinipur) মনে হল মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙানোর কথা।

    তৃণমূলের হুমকি (Purba Medinipur)

    রাজ্যের কোনও অফিসেই স্থান পায় না সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। এ নিয়ে অবশ্য হেলদোল নেই শাসকদলের। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি জিতেছে, সেখানে ভারতমাতা, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি টাঙানোর কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী (Purba Medinipur)। সেই মতো পঞ্চায়েত প্রধানদের হাতে তিনি প্রতিকৃতিও তুলে দেন। এদিনের বিক্ষোভে তৃণমূল কংগ্রেসকে অবশ্য তাদের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে, যে ১৬ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে পঞ্চায়েত অফিসে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি না টাঙানো হলে জোর করে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি পঞ্চায়েত অফিসে লাগাবেন তাঁরা।

    পাল্টা কী বলছে বিজেপি (Purba Medinipur)?

    বিজেপির অবশ্য দাবি, যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে, সেখানে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে (Purba Medinipur) রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙানো হয়েছে কি? এ নিয়ে মাজিলাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপি নেতা প্রদীপ কুমার কুণ্ডুর বক্তব্য, ‘‘বিগত দিনে ওদের দখলে পঞ্চায়েত ছিল তখন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগানোর কথা মনে ছিল না! কিন্তু এখন ওদের বোধোদয় হয়েছে, এটা দেখে আমার খুব ভাল লাগছে! দেশের সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি সমস্ত অফিসে থাকা উচিত। কাঁথি-১ ব্লকের কথা বলব আমি বিশেষভাবে, সেখানে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙানোর ব্যবস্থা করুক ওরা, তাহলে আমিও এখানে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙিয়ে দেব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: “খেটে মরছেন মজুর, আর খেজুর খাচ্ছেন হুজুর!” অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “খেটে মরছেন মজুর, আর খেজুর খাচ্ছেন হুজুর!” অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “খেটে মরছেন মজুর, আর খেজুর খাচ্ছেন হুজুর! ২০১১ সালের আগে ভাইপো কোথায় ছিল? পশ্চিমবঙ্গের সবাই জানে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কে। যার স্ত্রীর নামে কয়লার টাকা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ঢোকে।” বৃহস্পতিবার নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘আমার মাটি আমার দেশ’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে গোটা দেশ জুড়ে মাটি সংগ্রহ করছে বিজেপি। এদিন নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় কৃত্তিবাস ওঝার জন্মস্থান থেকে মাটি সংগ্রহ করা হয় বিজেপির তরফ থেকে। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ইডি-সিবিআইকে ধন্যবাদ

    প্রথমে তিনি কৃত্তিবাস ওঝার মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এরপর কৃত্তিবাস ওঝার জন্মভিটা পরিদর্শন করেন এবং সেখান থেকে মাটি সংগ্রহ করেন। এরপরেই কিছুক্ষণের জন্য মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন (Suvendu Adhikari), কে ডি সিং-এর কাছ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা নিয়ে মামলা দায়ের করেছিল। এরপরেও আমি প্রায় সাড়ে ৮২ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছিলাম। যার স্ত্রীর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে কয়েক লাখ টাকা ঢোকে, যার শালি ভারত ছেড়ে পালিয়ে থাকে এবং যার বাবা-মায়ের নামে লিভস এন্ড বাউন্ডস কোম্পানি রয়েছে। শুধু তাই নয়, যে কোম্পানির প্রথম সারির কর্মচারী এখন জেল খাটছেন, সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালের আগে কোথায় ছিলেন? আর পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানে কীভাবে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে কাজ আমরা পারিনি, সেই কাজ বিচার ব্যবস্থা করে দেখাচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।

    শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ

    বুধবারই ইডির প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ইডির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “কয়লা পাচার, গরু পাচার, এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি, সবেতেই তাঁকে একই প্রশ্ন করা হচ্ছে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও হিসেবে তিনি প্রমাণ করুন দুর্নীতির টাকা ওই কোম্পানিতে ঢোকেনি!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “অভিষেক আলালের ঘরের দুলাল নন যে ইডি তাঁর মতামত নিয়ে ডাকবে”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “অভিষেক আলালের ঘরের দুলাল নন যে ইডি তাঁর মতামত নিয়ে ডাকবে”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিনই ইডির তলবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখে ইডি ফের ডেকেছে বলে ট্যুইটারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি এই তলবকে ঘিরে, হাওড়ার আন্দুলের সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বললেন, অভিষেক আলালের ঘরের দুলাল নন যে তাঁর মতামত নিয়ে ডাকবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঠিক এইভাবে আক্রমণ করে তীব্র কটাক্ষ করলেন নন্দীগ্রামের এই বিজেপি বিধায়ক।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    হাওড়ার দানেশ শেখ লেনের দলীয় সভা থেকে এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসনের কাছে তৃণমূল কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে পারেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে কেউ নন। আইনের চোখে সকলেই সমান। আর আইন বলছে, তিনি দুর্নীতি কাণ্ডে একজন প্রধান অভিযুক্ত। তাই তদন্তকারী সংস্থা কাকে কখন ডাকবে, তা কখনই জিজ্ঞাসা করে ডাকবে না। 

    পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে কী বললেন?

    পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, বোর্ড গঠনের আগেই রাজ্য পুলিশ, বিরোধী দলের নেতাদের পঞ্চায়েত অফিসের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে, জেলে দিনের পর দিন আটকে রাখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রাজ্যের শাসক দলের সব বড় চোরদের জেলে পাঠাবে।

    রাজ্যপালের চিঠি নিয়ে বক্তব্য

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান। আমি বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা। তাই আমি রাজ্যপালকে জিজ্ঞাসা করতে পারি না। আমি বলব, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই চিঠির বিষয়ে রাজ্যবাসীকে অবগত করুন। তিনি আরও বলেন, চিঠির মধ্যে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে কী বলেছেন রাজ্যপাল, সেই কথা অবিলম্বে রাজ্যবাসীর কাছে প্রকাশ করুন মাননীয়া। 

    ঘাটালের সভায় কী বললেন?

    ধূপগুড়ি উপনির্বাচন নিয়ে নাম না করে সিপিএমের কড়া সমালোচনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তৃণমূল এবং সিপিএম থেকে দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেন বিজেপি কর্মীদের। তিনি আরও বলেন, সিপিএম ১৩ হাজার ভোট সরাসরি তৃণমূলকে দান করে নির্বাচনের জয়কে সুনিশ্চিত করেছে। তাই মাকু এবং সেকু থেকে দূরে থাকতে হবে। সেকু মানে সেকুলার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সেকুলার হওয়ার আড়ালে তোষণের রাজনীতি করছেন। তিনি আরও বলেন, সিপিএম একটাও ভোট পায়নি মুসলমান সমাজের। বরং ১৩ হাজার ভোট কেটে তৃণমূলের চোরদের সহযোগিতা করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “পঞ্চায়েত বা উপনির্বাচন কোনও ভোটই নয়, সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হবে বিজেপিই” হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Howrah: “পঞ্চায়েত বা উপনির্বাচন কোনও ভোটই নয়, সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হবে বিজেপিই” হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাওড়ার (Howrah) বাঁধাঘাট মোড়ে শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপির এক জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বিজেপি ধূপগুড়ি মহকুমা চায় না’ বলে মিথ্যা প্রচার করেছে তৃণমূল। ৪ হাজার ভোটে জিতে ভাবছেন বিজেপি হামাগুড়ি দিচ্ছে! পঞ্চায়েত ভোট বা উপনির্বাচন কোনও ভোট নয়। ভোট তো হবে ২০২৪ সালের লোকসভার ভোট। তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

    কী বললেন শুভেন্দু (Howrah)?

    হাওড়ার (Howrah) সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, লোকসভা ও বিধানসভার একসঙ্গে ভোট হলে, তার আগেই এই তৃণমূলের সরকার পড়ে যাবে। তিনি দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ২০২৪ সালের ভোটের আগে জোট বাঁধুন। তিনি আরও বলেন, বাংলায় যাতে তৃণমূল চুরি করতে পারে, সেই কাজটাই মহম্মদ সেলিম এবং অধীর বাবুরা করে যাচ্ছেন। তাই নিচুতলার কমরেডরা আমাদের সঙ্গে চলে আসুন। বাংলাকে বাঁচাতে চাইলে ‘নো ভোট টু মমতা’ বলুন।

    উপনির্বাচন সম্পর্কে কী বললেন?

    ধূপগুড়ি উপনির্বাচন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই সভায় (Howrah) বলেন, পঞ্চায়েত বা উপনির্বাচন কোনও ভোটই নয়। সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিই জিতবে। তিনি আরও বলেন, সব ভোট একসঙ্গে হলে, তৃণমূল হারিয়ে যাবে। একদেশ একভোট যদি হয়, তাহলে ছাব্বিশের আগেই সরকার পড়ে যাবে মমতার। ওখানে মহকুমার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে জিতেছে তৃণমূল। তাই লোকসভার আগে সকল সাধারণ মানুষ একত্রিত হতে হবে। ওই সিটে ছয় মাস বাদে আবার বিজেপি লিড করবে। সাধারণ নির্বাচনে আমরাই জিতব। তিনি আরও বলেন, আমাদের ২৮-৩০ হাজার ভোটার ভোট দিতে আসেননি।

    রাম- বামের জোট গঠন করার আহ্বান

    হাওড়ার (Howrah) এই সভা থেকেই শুভেন্দু ফের রাম-বাম জোট গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নীচুতলার বাম সমর্থকরা আমাদের সঙ্গে চলে আসুন। বাংলায় তো তৃণমূলকে চোর বলে কংগ্রেস এবং সিপিএম! কিন্তু করলেন কী তাঁরা? তৃণমূল যাতে জিততে পারে, সেই ব্যবস্থাই করলেন বলে স্পষ্ট আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তাই নীচুতলার কর্মীদের বলব, আপনারা তো ধান্দাবাজ নন। যদি বাংলাকে বাঁচাতে চান, নিচুতলায় বিজেপির সঙ্গে মিটিং করুন। বিজেপির সঙ্গে একজোট হয়ে লড়াই করলে এই চোর তৃণমূলের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বেতন বৃদ্ধির সুবিধা নেবেন না বিজেপি বিধায়করা’’, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বেতন বৃদ্ধির সুবিধা নেবেন না বিজেপি বিধায়করা’’, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই মন্ত্রী এবং বিধায়কদের জন্য চারগুণ ভাতা বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে বিতর্ক কম শুরু হয়নি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আমরা সমর্থন করি না সরকারের এই সিদ্ধান্ত। আমরা আমাদের ভাতা বৃদ্ধি চাই না।’’ প্রসঙ্গত, ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সেই সমস্ত কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির বিষয়ে না ভেবে মন্ত্রী বিধায়কদের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি বিজেপি সমেত বিরোধী দলগুলি। এনিয়ে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে সরকারি কর্মচারিদের একাংশকেও।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আমরা আশাকর্মী, আইসিডিএস কর্মী, ভিলেজ রিসোর্স পার্সন, ভিলেজ পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার, ভোকেশনাল টিচার, কন্ট্রাকচুয়াল সকলের সমকাজে সমবেতন চাই। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী তা ঘোষণা করুন। আমরা চাই সরকারি কর্মচারি, পুলিশ, শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত পেনশনার সকলের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হোক।’’ অন্য়দিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বেশি অর্থ বরাদ্দ করার দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়,  ‘‘আমরা চাই ৫০০-১০০০ ভাগাভাগি না করে পশ্চিমবাংলার প্রত্যেক মাতৃসম্প্রদায়কে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক।’’

    মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন কত হল?

    বৃহস্পতিবারই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী, বিধায়কদের চল্লিশ হাজার টাকা করে বেতন বৃদ্ধি করেন। সরকারের বেতন কাঠামো অনুযায়ী বিধায়কদের বেতন প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ছিল এবং তা বেড়ে বর্তমানে হল ৫০ হাজার টাকা। রাজ্যের পূর্ণমন্ত্রীরা পেতেন ১১ হাজার টাকা অন্যদিকে প্রতিমন্ত্রীরা ১০ হাজার ৯০০ টাকা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, প্রতিমন্ত্রী, পূর্ণ মন্ত্রীরা ভাতা বাবদ পেতেন সব মিলিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা পেতেন। নতুন বেতন বৃদ্ধির ফলে তাঁরা এবার পাবেন দেড় লক্ষ টাকা প্রতিমাসে।  অন্যদিকে বৃহ্স্পতিবারই পশ্চিমবঙ্গ দিবস ইস্যুতে সরগরম হয়ে ওঠে বিধানসভা। বিজেপি বিধায়করা ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস লেকা গেঞ্জি পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share