Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: ‘অপেক্ষা করুন, সব ফাঁস করব’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘অপেক্ষা করুন, সব ফাঁস করব’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে ফোন করার জন্য আপনি একটি ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করেছেন। অপেক্ষা করুন। সঠিক সময়ে সব ফাঁস করব। আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) আমার উপযুক্ত উত্তরের জন্য অপেক্ষা করুন। বুধবার ট্যুইট-বার্তায় এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সিঙ্গুরের সভা থেকে এই মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিশানা…

    এর প্রেক্ষিতেই তৃণমূল সুপ্রিমোর পাল্টা দাবি, প্রমাণ করে দেখাতে পারলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেবেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরেই ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা। আপনি আমার জন্য কিম্ভূত, কিমাকার শব্দ ব্যবহার করেছেন। এটা লজ্জাজনক। এর আগে আপনি এরকমই অবমাননাকর শব্দ বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকেও। এর পরেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, দিল্লিতে ফোন করার জন্য আপনি একটি ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করেছেন। অপেক্ষা করুন। সঠিক সময়ে সব ফাঁস করব। আগামিকাল আমার উপযুক্ত উত্তরের জন্য অপেক্ষা করুন।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, আপনি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মালদা, মেদিনীপুরের কথা বারবার বলতে থাকেন কেন জানেন? কারণ অবচেতনে আপনি ঠিকই জানেন, ২০১১ সালে আপনি ক্ষমতায় এসেছিলেন, কারণ আমি তখন ওই জেলাগুলোর দায়িত্বে ছিলাম। আপনার মূল্যহীন ভাইপো তখন কোথাও ছিল না। ২০১১ সালের জুলাইয়ের পরে তাঁর প্রবেশ।

    আরও পড়ুুন: ‘কোনওদিন তৃণমূলে ছিলাম না, ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই’, বললেন মুকুল

    প্রসঙ্গত, বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ওই অভিযোগ (অমিত শাহকে ফোন) মিথ্যা। শুভেন্দুকে ভুঁইফোড় এবং কিম্ভূতকিমাকার সম্বোধন করে মমতা বলেন, দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পরিকল্পনামাফিক ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণের সমর্থন নেই বলেই এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট কোথায়? অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে জনসভায় আসা কর্মী, সমর্থকদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, চড়াম-চড়াম, নকুল দানার খাওয়ানোর কথা বলতেন। বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতেন না। এখন তিনি কোথায়? কর্মী, সমর্থকরা চিত্কার করে বলে তিহারে। এরপর তিনি মুরারইয়ের তৃণমূল নেতা আলী মুর্তজা খান, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ ভকত, মুরারই ১ নম্বর ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষের নাম নিয়ে চোর বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “এরা মাসে ৯ হাজার কোটি টাকা ডিসিআরের নামে আদায় করে পিসি- ভাইপোকে পাঠাচ্ছে। এই টাকা পাচারের জন্য আইপিএস শ্যাম সিং কে ডি আই জি পদে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই অফিসার সামনে পিছনে পুলিশ নিয়ে টাকা কলকাতায় পৌঁছে দিচ্ছে”। তিনি আরও বলেন,”তৃণমূলের সবাই চোর। এখনও এই জেলার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান, বিধায়ক রানা সিংহ তালিকায় রয়েছে। এরকম সমস্ত নেতা মন্ত্রী লাইনে আছেন। তবে ধেরে ইঁদুরদের আমরা দেখব”।

    এনআরসি নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    সাগরদিঘি নির্বাচনে সংখ্যালঘুরা শাসক দল তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কেষ্টহীন বীরভূমে শাসক দলের এখন নড়বড়ে অবস্থা। গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার তৃণমূল। এই অবস্থায় এবার মুর্শিদাবাদ লাগোয়া বীরভূমের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুরারইয়ের কেস্তারা গ্রামে সৌজন্য ও সম্প্রীতি জনসভা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আরও চাপে ফেলে দিলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কারণ, এদিনের জনসভায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। এদিন তিনি (Suvendu Adhikari) গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ ও আসামের উদাহরন দিয়ে বলেন, “তৃণমূল বলছে এনআরসি হলে মুসলিমদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে। ওই তিন রাজ্যে দেখান কতজন মুসলিমকে তাড়ানো হয়েছে? এসব বলে সংখ্যালঘু ভাইদের আর বিজেপি থেকে সরানো যাবে না। ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন”। তিনি আরও বলেন, “রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। সেই স্বজনহারারা আজ আমাদের সঙ্গে। আমরা বগটুই গ্রামে স্মরণ সভা করার প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমাদের দেখে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে গিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। এজন্য ধন্যবাদ জানায় বগটুই গ্রামের মানুষকে”।

    পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    এদিনের সভায় সভায় দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, হজ কমিটির সদস্যা মাফুজা খাতুন, রাজ্য সম্পাদক শ্যামা পদ মণ্ডল, মহিলা মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক সভাপতি রশ্মি দে, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা উপস্থিত ছিলেন। এদিন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)  বলেন, পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। আপনারা বুথ আগলে রাখুন। আর তোলামূলকে একটাও ভোট নয়। শুধু তাই নয়, তিনি নো ভোট টু মমতা লেখা গেঞ্জি মঞ্চে সকলের সামনে পড়েন। তিনি আরও বলেন,”সোমবার ঠাকুরনগরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলব”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack: বিজেপি-র যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা! কেন জানেন?

    Attack: বিজেপি-র যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় পতাকা খোলাকে কেন্দ্র করে বচসা। বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা (Attack) চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।  শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ধমান শহরের ঢলদীঘি মোড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রকাশ্যে বিজেপি নেতার উপর হামলার (Attack)  ঘটনা দেখে সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে, বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, একটি গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী নিয়ে গন্ডগোল?

    শুক্রবার বর্ধমান শহরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা ছিল। তারজন্য সভার আগে থেকে শহরের রাস্তা  বিজেপি কর্মীরা দলীয় পতাকায় মুড়ে দিয়েছিলেন। আক্রান্ত বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সভাপতি  পিন্টু শ্যামের বক্তব্য, শহর জুড়ে আমাদের দলীয় পতাকা ছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি কয়েকজন আমাদের পতাকা খুলে তৃণমূলের পতাকা লাগাচ্ছিল। আমি তার প্রতিবাদ করি। আর দলীয় পতাকা খুলতে তাদের বাধা দিই।  প্রথমে আমার সঙ্গে তাদের বচসা বাধে। পরে, একজন আমাকে তেড়ে আসে। সঙ্গে আরও দুজন ছুটে আসে। আমি তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ওরা আমাকে হামলা (Attack) করে। একজন আমাকে ছুরি চালিয়ে দেয়। আমি ছুটে একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নিই। ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তার ফুটেজ সংগ্রহ করলেই পুলিশ জানতে পারবে কারা হামলাকারী (Attack)। আমাদের দাবি, হামলাকারীদের(Attack)  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    হামলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি?

    দলীয় নেতা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা সহ দলীয় কর্মী সমর্থকরা। জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, শুক্রবার বর্ধমানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ছিল। রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি  শ্যামাপদ মণ্ডল কর্মসূচিতে ছিলেন। রাতে তিনি বর্ধমানেই ছিলেন। এদিন পিন্টু তাকে বর্ধমান স্টেশনে ট্রেনে তুলে বাড়ি ফিরছিল। ওই সময়ে পিন্টু দেখে ঢলদীঘি মোড়ে কয়েকজন আমাদের দলীয় পতাকা খুলে দিচ্ছে। এই নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তার উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও (Attack)  হয়। ধারাল অস্ত্র নিয়ে তৃণমূলের লোকজন রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুষ্কৃতীরাজ চলছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, এটা মিথ্যা অভিযোগ। শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর সভায় ওদের লোকজন হয়নি। তাই, এসব মিথ্যা অভিযোগ করে বাজার গরম করতে চাইছে। যেহেতু আজ আমাদের মিছিল রয়েছে, তাই ওরা এসব করছে। আসলে ওদের দলের কোন্দলের জন্যই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ছাড়পত্র দেয়নি পুলিশ, চন্দ্রকোনায় শুভেন্দুর শান্তিপূর্ণ সভায় অনুমতি হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: ছাড়পত্র দেয়নি পুলিশ, চন্দ্রকোনায় শুভেন্দুর শান্তিপূর্ণ সভায় অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে অনুমতি দেওয়ার পরেও পরে তা বাতিল করে পুলিশ। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে শুভেন্দু অধিকারীর সভা হচ্ছে চন্দ্রকোনায়। শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। 

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার ঝাঁকরায় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা সকাল থেকেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের তরফে প্রথমে সভার অনুমতি দেওয়া হলেও, পরে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির আপত্তির কথা উল্লেখ করে শুভেন্দুর সভার অনুমতি বাতিল করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে ট্যুইটারে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ট্যুইটে লিখেছেন, ‘‘ঝাঁকরা হাই স্কুলের মাঠে কৃষকদের সভার অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ স্কুলের পরিচালন কমিটির মনে হল, স্কুলের প্রধানশিক্ষক সভার অনুমতি দেওয়ার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নন।’’ তিনি আরও লিখেছেন, জনগণের অভিযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে যে পুলিশ সর্বদাই নিষ্ক্রিয় থাকে, সেই পুলিশই সভা বাতিল করার ক্ষেত্রে একেবারে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে। এটা আসলে বিজেপি ফোবিয়া। পুলিশ এবং মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস এখন এই ফোবিয়াতে আক্রান্ত।

    তবে বিজেপি সূত্রে খবর, স্কুলের মাঠে সভা না হলেও পথসভা করতে পারেন শুভেন্দু। তার জন্য হ্যান্ডমাইকও জোগাড় করা হয়েছে। জানা গেছে, চন্দ্রকোনার বিজেপি কার্যালয়ে তিনি উপস্থিত হবেন সোমবার বিকাল ৩:৩০ নাগাদ। এরপরেই তিনি কর্মীদের সম্বোধন করবেন সেখানে।

    কী লেখা রয়েছে চিঠিতে

    চিঠিতে লেখা রয়েছে, স্কুলের হেডমাস্টার স্কুলের মাঠে সভার অনুমতি দিলেও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সেই অনুমতি বাতিল করেছে। আর এই কারণেই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার পুলিশি অনুমতিও বাতিল করা হচ্ছে। এদিকে বিজেপির দাবি, সমস্ত নিয়ম মেনে আগেই পুলিশ-প্রশাসন থেকে স্কুলের কাছে সভার জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছে। পরে কী হয়েছে তাদের জানা নেই।

    স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতিই তৃণমূলের নেতা

    ঝাঁকরা হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি রয়েছেন চন্দ্রকোনা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ। তিনি আবার তৃণমূলের নেতা বলেই এলাকায় পরিচিত। স্কুলের রেজুলেশন কপি প্রকাশ্য আসতেই তা নিয়েও বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। প্রধান শিক্ষকের অনুমতিদানের পর সভা কীভাবে বাতিল হতে পারে , তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল।

    হিন্দমোটরে আহত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা

    এর আগে, এদিন দুপুরে হুগলির হিন্দমোটরে আহত বিজেপি কর্মীদের হাসপাতালে দেখতে যান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে গিয়ে স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তবে শুভেন্দু রিষড়ার দিকে আসেননি। তিনি জানিয়েছেন, ১৪৪ ধারা উঠে গেলে ওই এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে, বেড়েছে ভোটার”, রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে, বেড়েছে ভোটার”, রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার ট্যুইট করে তিনি অভিযোগ করেন যে, “পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় কি বেনো জল ঢুকছে?” ট্যুইটে তিনি পশ্চিমবঙ্গের ভোটারদের সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যারও তুলনা করেন৷ পোস্ট করেছেন একটি কার্টুনও৷ ওই কার্টুনের মাধ্যমেই তিনি ভোটার তালিকায় বেনোজল ঢোকার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ প্রসঙ্গত, এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছে হাইকোর্টও৷ বোর্ডকে পাঠ্যক্রম বদলানোর উপদেশও দিয়েছেন বিচারপতি। ফি বছরই মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে দেখা যায়৷ বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের পরিসংখ্যানকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখেন ৷ কিন্তু ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপকহারে কমেছে৷ প্রায় ৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী কমে গিয়েছে এবার৷ ‘স্কুল ড্রপআউট সংখ্যা’ প্রসঙ্গে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি৷ এ বিষয়ে সরকারকেই দুষেছেন বিরোধীরা।

     

    এবার এ নিয়েই তৃণমূল সরকারকে নিশানা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)৷ ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘‘২০২২ সালে পরীক্ষার্থী ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫৷ ২০২৩ সালে – ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪৷” আর এখানেই টেনে আনেন রাজ্যের ক্রমবর্ধমান ভোটার সংখ্যার প্রসঙ্গ৷ সম্প্রতি যে ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে দেওয়া ভোটারের সংখ্যার কথা উল্লেখ করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক৷ পাশাপাশি তুলে ধরেছেন ২০১৮ সালে এই রাজ্যের ভোটারের সংখ্যা৷ তিনি লিখেছেন, “২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৮ লক্ষ ৩৫ হাজার ৷ ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা ৫ কোটি ৬৬ লক্ষ ৮৬ হাজার৷”

    আরও পড়ুন: জেলের মধ্যেই কুন্তল-তাপসকে শাসানি পার্থর! আরও বিপাকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, “মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৬ শতাংশ কমছে আর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ১১.৫ শতাংশ বাড়ছে !” ট্যুইটে জড়িয়ে দিয়েছেন একটি কার্টুনও৷ সেখানেই ভোটার তালিকায় বেনো জল ঢোকার বিষয়টি বলেছেন৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘নওশাদের হয়ে পথে নামুন আমরা পাশে আছি’’! তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘নওশাদের হয়ে পথে নামুন আমরা পাশে আছি’’! তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির হয়ে পথে নামুন বিজেপি পাশে আছে, জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নওশাদ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থনের কথা বলেছে রাজ্য বিজেপি। এমনকী রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের প্রতিনিধিদের নওশাদের মুক্তির দাবিতে পথে নামতেও দেখা যায়। এবার তাঁর মুক্তির দাবিতে সরব হলেন শুভেন্দু। 

    নওশাদের জন্য আন্দোলন

    সাগরদিঘি উপনির্বাচনের আগে শুক্রবার সেখানে প্রচারে যান বিজেপি বিধায়ক। রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি এদিন বলেন, ‘নওশাদের জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে।’ একইসঙ্গে আইএসএফ-কেও বার্তা দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘নওশাদ ভাইয়ের জন্য আন্দোলনটা করতে হবে। আপনারা তো রাস্তায় নেমে সিএএ-এনআরসি-র বিরুদ্ধে মিছিল করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতিয়েছিলেন। রাস্তায় নেমে নওশাদের মুক্তি করান। আমাদের শুভেচ্ছা আছে। আমরা সরাসরি যেতে পারব না, কিন্তু আমাদের শুভেচ্ছা আছে।’ শুধুমাত্র নওশাদের গ্রেফতারি নয়, আনিস খানের মৃত্যুর প্রসঙ্গও এদিন উল্লেখ করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, বগটুই থেকে শুরু করে আনিস খানের মৃত্যু, রাজ্য সরকার যা করেছে, তা অনেকেই বুঝে গিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: বহু বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী বিজেপির বুথ এজেন্ট হতে চায়! সাগরদিঘিতে নির্বাচনী প্রচারে দাবি শুভেন্দুর

    ভাঙড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে গত ২১ জানুয়ারি কলকাতার ধর্মতলায় একটি জমায়েত করেন নওশাদ ও তাঁর দল আইএসএফের সদস্যেরা। যে জমায়েত ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে শহরের প্রাণকেন্দ্রে। ওই দিনের বিক্ষোভস্থল থেকে নওশাদ সহ মোট ৮৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে একের পর এক মামলায় জেল বা পুলিশ হেফাজতে যেতে হয়েছে বিধায়ককে। দুদিন আগেই নওশাদ সিদ্দিকি প্রসঙ্গে সুর নরম করেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছিলেন, “ওঁর জামিন হয়ে যাওয়া উচিত। এতদিন আটকে থাকার মতো বিষয় এটা নয়।” পরে অবশ্য নিজের অবস্থান থেকে সরে বিমান বলেন, “নওশাদ সিদ্দিকির জামিন পাওয়ার বিষয়টি আদালত বিচার করে দেখবে। আইন আইনের পথে চলবে। এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: বহু বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী বিজেপির বুথ এজেন্ট হতে চায়! সাগরদিঘিতে নির্বাচনী প্রচারে দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বহু বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী বিজেপির বুথ এজেন্ট হতে চায়! সাগরদিঘিতে নির্বাচনী প্রচারে দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির জেরে যাঁরা চাকরি পাননি, সেই বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের বিজেপির বুথ এজেন্ট হিসেবে বসাতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাগরদিঘিতে (Sagardighi) উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ঠিক এমনটাই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার সেখানে গিয়ে তৃণমূলের টাকার পাহাড়ের বিরুদ্ধে ভোট চাইলেন শুভেন্দু। তাঁর প্রশ্ন, যাঁদের বাড়িতে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে, তাঁদের কেন ভোট দেন?

    বহু মহিলা বুথে বসবেন

    মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির পোলিং এজেন্ট হিসেবে বহু মহিলা এগিয়ে এসেছেন। যাঁদের চাকরি না দিয়ে সর্বনাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁরা বলছেন আমরা বঞ্চিত, আমরা প্রথমবার ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে এজেন্ট হিসেবে বুথে বসব। ইতিমধ্যে ৯০ ভাগ বুথে বঞ্চিতদের এজেন্ট হিসেবে পেয়ে গিয়েছি আমরা। একশ শতাংশ বুথেই এজেন্ট দেওয়ার আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা নির্বাচন কমিশনারের অবজার্ভারের কাছে দাবি করেছি, বহিরাগতদের যেন ঢুকতে না দেওয়া হয়। ২৬ এবং ২৭ তারিখ কোথাও যাতে অবাঞ্ছিত জমায়েত না হয়। সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ২০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস এবং অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করেছে কি না, তা দেখতে হবে।”

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু ভোটও পাবে বিজেপি! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে থাকবে, দাবি শুভেন্দুর

    এদিন আম জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে শুভেন্দু বলেন, “যাদের বাড়িতে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে, তাদের কেন ভোট? তৃণমূলকে ভোট দিলে এই অর্পিতা, পার্থ, মোনালিসা, হৈমন্তীদের বাড়বাড়ন্ত হবে। আপনাদেরকেই ঠিক করতে হবে তৃণমূলকে হারাতে পারবেন কি না। এবার ভোট হবে তৃণমূলের চুরির বিরুদ্ধে। ২৭ তারিখে চুরির বিরুদ্ধে, টাকার পাহাড়ের বিরুদ্ধে ভোট দিন।” বিরোধী দলনেতা বলেন, “কারো কোনো সমস্যা হলে আমাদেরকে হোয়াটসঅ্যাপ করে জানান। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে সরাসরি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বিজেপি চায় অবাধ গণতান্ত্রিক ভয়মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন হোক। কিন্তু রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন এই নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভাইপোকে খুশি করার জন্য নিজেদের কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন।” তবে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর কড়া জোর দেওয়া হয়েছে বলে সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দেন বিরোধী দলনেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: সংখ্যালঘু ভোটও পাবে বিজেপি! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে থাকবে, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সংখ্যালঘু ভোটও পাবে বিজেপি! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে থাকবে, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয় স্থান দখল করবে। শুক্রবার সাগরদিঘিতে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়ে এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর দাবি, ‘‘সাগরদিঘির উপনির্বাচনের ফলাফলে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে থাকবে। মানুষ যেভাবে শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বিজেপির প্রতি আস্থা দেখাচ্ছেন তাতে অবাধে ভোট হলে বিজেপি প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। তৃণমূলের কোনও অস্তিত্বই থাকবে না।’’এদিন সাগরদিঘিতে ভোটপ্রচারে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখেও পড়েন শুভেন্দু।

    সংখ্যালঘু ভোটও পাবে বিজেপি

    প্রচার চলাকালীন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত একটি গ্রামে নেমে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন শুভেন্দু। সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের কে তাড়াবে? চার-পাঁচ পুরুষ ধরে আপনারা রয়েছেন। আপনারা ভারতমাতার সন্তান। কেউ তাড়াবে না!’ বিরোধী দলনেতা এও বলেন, “আপনাদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। তৃণমূল আপনাদের এসব ভুল বুঝিয়েই ভোট নিয়েছে”। শুভেন্দু বলেন, ‘‘সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই কেন্দ্রের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশের সমর্থনও আমরা পাব। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি করার জন্য এই জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার তৃণমূল প্রার্থীকে জেতানোর ব্যাপারে সম্পূর্ণ দায়িত্বটাই নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে।’’

    ভুয়ো ভোটের আশঙ্কা

    আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সেই উপলক্ষেই দলীয় প্রার্থী দিলীপ সাহার সমর্থনে কার্যত সাগরদিঘির মাটি কামড়ে টানা প্রচারাভিযানে অংশ নেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  শুভেন্দু আশঙ্কাপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘বাংলায় কাজ না পেয়ে অনেক ভোটাররাই পেটের তাগিদে বর্তমানে ভিন রাজ্যে রয়েছেন। ভোটের দিন সেই সমস্ত ভোটারদের সাগরদিঘিতে না আসার সম্ভাবনাই বেশি। শাসক দল চাইবে সেই সমস্ত ভোটারদের ‘ফলস’ ভোট করাতে। আমরা সব দিকটাই নজরে রাখছি। আমি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে দাবি জানিয়েছি যে, ফলস ভোট ঠেকাতে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে বিশেষ মহিলা আধা সামরিক বাহিনীও মোতায়েন করার।’’

    আরও পড়ুুন: ‘১২টা ৪৮ মিনিটেই হাতে এসে যায়’, মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্র নিয়ে বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

    সাগরদিঘি থানার ওসিকে সরাল কমিশন 

    মুর্শিদাবাদে উপনির্বাচনের দুদিন আগে সাগরদিঘি থানার ওসি অভিজিৎ সরকারকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। তিনি নির্বাচনের কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। সেইসঙ্গে অন্য জেলা থেকে সাগরদিঘিতে নতুন ওসি নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে, শুভেন্দু অধিকারী জানান, শুধু সাগরদিঘি থানার ওসিকে নয়, জঙ্গিপুর জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডেকেও সরানো দরকার। জেপি নাড্ডার উপরে পাথর ছোঁড়া-কাণ্ডে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে ক্লোজ ছিলেন। তার অর্ডার প্রত্যাহার করাও হয়নি। আমি দাবি করব জেলাশাসক এবং জঙ্গিপুর জেলা পুলিশ সুপার-এই দুজনকে ইতিমধ্যেই ক্লোজ করা হোক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য রাষ্ট্রবিরোধী ও ভিত্তিহীন! সব জানলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য রাষ্ট্রবিরোধী ও ভিত্তিহীন! সব জানলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ও ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাজেট ঘোষণার রাতেই ‘সরকার পড়ে যাচ্ছিল’—মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার মুরলিধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি বলেন,‘‘স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চাদের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরণের মন্তব্য করা একেবারেই উচিত হয়নি। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য। আমরা যাঁরা জাতীয়তাবাদী, তাঁরা এই মন্তব্যকে গ্রহণ করি না। সরকার পড়ে যাচ্ছিল— এই মন্তব্যের ভিত্তি কী? ওঁর (মুখ্যমন্ত্রী মমতা) কথা কেউ বিশ্বাস করে না।’’

    সত্য প্রকাশ করুন মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, বুধবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের পর বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমানের সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘কাল তো সরকার প্রায় পড়েই যাচ্ছিল! কেন পড়ে যাচ্ছিল? শেয়ার বাজারে ধস নেমে।’’তিনি আরও বলেন, ‘‘৬-৮ জনকে ফোন করে বলেছে টাকা দাও, মানে যাঁদের শেয়ার পড়ে যাচ্ছিল, তাঁদের দাও। কাউকে বলছে ২০ হাজার কোটি টাকা দাও, কাউকে বলেছে ২৯ হাজার কোটি টাকা দাও, কাউকে ১০ হাজার কোটি টাকা দাও, এই সব বলে সরকার আগলেছে… এই দিয়ে সরকার চলে?”  মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্যের নিন্দা করে বিরোধী দলনেতার দাবি, অনেক অবিজেপি দল শাসিত রাজ্য সরকারও এই বাজেটকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের প্রেস বিবৃতির কথাও তুলে ধরেন শুভেন্দু।  তিনি বলেন, ”কেবলমাত্র রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যারা বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রীকে সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের মতো মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ ছাড়া বাকি সকলেই এই বাজেটকে প্রশংসা করতে বাধ্য হবে।”

    আরও পড়ুুন: গরু পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই নজরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা, জানেন তাঁরা কারা?

    আধারশূন্য মন্তব্য

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে আধারশূন্য হিসেবেও ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘‘কাকে কোথায় টাকা বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনা হোক। এটা যদি উনি খুব সিরিয়াসলি বলে থাকেন একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে, তা হলে একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন না। কাকে কোথায় টাকা বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছিল, উনি জানান সেটা।’’ সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির একটি ছবিও প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: “স্বামীজি বেঁচে থাকলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন!”, সিমলা স্ট্রিট থেকে রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “স্বামীজি বেঁচে থাকলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন!”, সিমলা স্ট্রিট থেকে রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মদিনে সিমলা স্ট্রিট থেকে রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতা সরকারকে কটাক্ষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আজ রাজ্যে শিক্ষার যা অবস্থা তাতে, স্বামীজি বেঁচে থাকলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন। অন্য কোনও দেশে আশ্রয় নিতেন।” এদিন বিরোধী দলনেতা বিজেপি যুব মোর্চার ইয়ং ইন্ডিয়া রান কর্মসূচিতেও অংশ নেন। 

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন, “রাজ্যে শিক্ষার যা অবস্থা তাতে পুরো শিক্ষা দফতরটাই জেলে।” স্বামীজি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, “জন্মভিটায় আসার রাস্তায় স্বামীজির ছবিগুলি ছোট ছোট। সেখানে কোনও একজন কার্বাইড দিয়ে পাকানো রাজনৈতিক নেতার বড় বড় কাট আউট। এই সংস্কৃতি ভাল নয়। ভয়ঙ্কর সংস্কৃতি। স্বামীজির সঙ্গে ছবি দেওয়া তো দূরের কথা, নাম দেওয়ার আগে ভাবতে হয়।” বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, এই প্রথম স্বামীজির বাড়িতে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, যাঁদেরকে একটা কুকুরও চাঁটবে না, তাঁদের জন্য মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে, বলেন তিনি। 
     
    সাংবাদিকরা যাতে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) অভিষেকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে না ধরেন, সেই কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “অভিষেক আসেন বিকেলে। গত ২৫-২৬ বছর ধরেই ১২ জানুয়ারির সকালে আমি স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসি। আমি ওঁর কাউন্টার পার্ট নই। অ্যান্টিকে হারিয়েছি।” বিবেকানন্দের বাণী উল্লেখ করে বলেন, “আমি-আমি করিও না। আমরা আমরা করিও।”        

    এদিন স্বামীজির সিমলা স্ট্রিটে বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “স্বামীজি ছিলেন, যুব সমাজের আইকন। আর আজ যাঁদের যুব সমাজের আইকন বলে প্রচার করা হচ্ছে, তাঁদের কখনও ইডি আর কখনও সিবিআই ডাকে।”

    গঙ্গা আরতি বিতর্ক 

    গঙ্গাঘাটে আরতি প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আমরা যে ঘাটে গঙ্গা আরতি করার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম সেখানে আমাদের গঙ্গা আরতি করার বিষয়ে বাধা দিলেও মুখ্যমন্ত্রী সেই জায়গাতেই আরতি ঘাট চূড়ান্ত করলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছদ্মবেশ সবাই ধরে ফেলেছেন।” মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এদিন সুকান্ত আরও বলেন, “গেরুয়া বসন পরলেই হিন্দুত্ব প্রমাণ হয় না। ভোটের সময় গেরুয়া বসন পরলেই সবাই হিন্দু হয়ে যায় না। আমরা চাই রাজ্যের সব জায়গায় গঙ্গা আরতির ঘাট তৈরি করা হোক। তবে উনি সরকারি নোটিফিকেশন বের করুন যে, সবাই গঙ্গা আরতি করতে পারবে। শুধু বিজেপির কেউ করতে পারবে না। কারণ বিজেপির সব কিছুতেই তো উনি বাধা দেন।”

    প্রসঙ্গত, কলকাতার বাবুঘাট সংলগ্ন বাজাকদমতলা গঙ্গার ঘাটে গঙ্গা আরতি করার বিষয়ে জায়গা চূড়ান্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাণসীর ধাঁচে এবার কলকাতাতেও গঙ্গা আরতি শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিজেপি নেতারা। 

    আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, কারখানায় আয়কর হানায় উদ্ধার কোটি কোটি টাকা

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “নকল হিন্দুদের মানুষ বিশ্বাস করে না। মুখ্যমন্ত্রী সনাতনীদের কতটা ঘৃণা করেন তা বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধনে হাওড়া স্টেশনে এসে জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাই গঙ্গায় আরতি করুন আর গঙ্গায় ঝাঁপ দিন, কোনও কিছুতেই লাভ হবে না। বাংলার সনাতনীরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল, আজ তাদের জাগরণ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। আর কিছুটা বাকি আছে। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন হয়ে যাবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share