Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Nandigram dibas: নন্দীগ্রাম শহিদ দিবসে সন্দেশখালির নারী নির্যাতন প্রসঙ্গ টেনে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Nandigram dibas: নন্দীগ্রাম শহিদ দিবসে সন্দেশখালির নারী নির্যাতন প্রসঙ্গ টেনে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৪ মার্চ হল নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস (Nandigram dibas)। ২০০৭ সালে তৎকালীন বাম শাসনের রক্তচক্ষুর প্রত্যক্ষ শিকার হতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। খুন, ধর্ষণ, জমি লুট কী হয়নি। আজ এই দিনকে স্মরণ করে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে নন্দীগ্রামের নারী নির্যাতনের সঙ্গে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। পাশপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামজিক মাধ্যমে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।

    কী বলেন শুভেন্দু (Nandigram dibas)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নন্দীগ্রামে (Nandigram dibas) সেই দিন মা-বোনের ভূমিকা দেখেছি। এখন তৃণমূলের শাসনে সন্দেশখালিতে মা-বোনদের অবস্থা দেখেছি। সেই দিনও জোর করে জমি দখল করা হয়েছিল। আজও জোর করে চাষের জমি দখল করে নিয়েছে। খেজুরি থানায় কয়েকশ মিথ্যা মামলা দিয়েছে পুলিশ। মমতা পুলিশ আর বামশাসনের পুলিশের মধ্যে কোনও আচরণ গত পার্থক্য নেই। নির্যাতনই তাঁদের শেষ কথা।”

    কী ঘটেছিল

    ২০০৭ সালে রাজ্যে বাম শাসন চরম শিখরে। এরপর কেটে গিয়েছে ১৬ টি বছর। নন্দীগ্রামে (Nandigram dibas) ভূমি উচ্ছেদ কমিটির আন্দোলনকারীদের উপর বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশ নির্মম গুলি চালিয়েছিল। মারা গিয়েছে ১৪ জন মানুষ। কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এই দিনকে নন্দীগ্রাম শহিদ দিবস পালন করা হয়। কিন্তু রাজ্যের বিজেপি, তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলে, নন্দীগ্রামে যেমন বাম শাসকেরা অসহায় মা-বোনের উপর অত্যাচার, খুন, ধর্ষণ করেছে, ঠিক এক দশকের বেশি সময় ধরে মা-মাটি-সরকারও এই রাজ্যে একই আচরণ করে চলেছে। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের ছবিটাও নন্দীগ্রামের চিত্রকেই উপস্থাপন করে।

    কী বললেন মমতা?

    আজ নন্দীগ্রামের শহিদ (Nandigram dibas) দিবসে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে বলেন, “সিপিআইএমের হার্মাদ বাহিনীর অত্যাচারে নিহত সকল শহিদদের প্রণাম জানাই। কৃষক ভাইবোন এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। নন্দীগ্রামের এই শহিদ দিবস, কৃষক দিবস হিসাবেও পালিত হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদে, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: তৃণমূলকে হারিয়ে তমলুকের সমবায়ে বিজেপির বিরাট জয়

    Tamluk: তৃণমূলকে হারিয়ে তমলুকের সমবায়ে বিজেপির বিরাট জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তমলুক (Tamluk) লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি বনাম তৃণমূলের ব্যাপক লড়াই। আসন্ন লোকসভার দিন তারিখ ঘোষণা না হলেও রাজনৈতিক উত্তেজানার পারদ এখন চরম তুঙ্গে এই লোকসভা কেন্দ্রে। এই আবহের মধ্যে ধাক্কা খেল তৃণমূল, জয়ী হল বিজেপি। তমলুক শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পদুমপুর সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল বুধবার। মোট ১২টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিএম ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। এই নির্বাচনে বিজেপির জয় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। 

    ৮ আসনে জয় বিজেপির (Tamluk)

    শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পদুমপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর জানা গিয়েছে মোট ৮টি আসনে জয় লাভ করেছে বিজেপি। তৃণমূল পেয়েছে ৪ টি। তমলুকের (Tamluk) পদুমপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৪৫। মোট ৫ টি গ্রাম, যার মধ্যে হল পদুমপুর, ঘোড়াঠাকুরিয়া, ধূর্পা, রাজগোদা এবং পোলন্দা। সবকটাই এই সমবায় সমিতির মধ্যে পড়ে।

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলার (Tamluk) বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই জয় সম্পর্কে বলে হয়েছে, “আসন্ন লোকসভার আবহে এই জয় বিজেপির জন্য দারুণ খুশির খবর। লোকসভায় এই কেন্দ্রে বিজেপির ফল ভালো হবে। তৃণমূলকে ব্যাপক মার্জিনে হারতে হবে। তৃণমূলের দুর্নীতি এবং অত্যচার মানুষকে ভিতর থেকে জাগিয়ে তুলেছে। মানুষ তৃণমূলকে বর্জন করবে।”

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তমলুক সফর

    তৃণমূলের তরফ থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও বিজেপির তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও নাম ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্রাক্তন বিচারপতি তমলুকে (Tamluk) গিয়ে দলীয় একাধিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শুরু করেছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ‘তৃণমূলকে একটিও ভোট নয়’ বলে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ফলে এই সমবায়ের জয় বিজেপিকে ব্যাপক অক্সিজেন জোগাবে বলে রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।  

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: লাগু হল সিএএ, শুভেন্দু লিখলেন, ‘‘মোদির গ্যারান্টি মানে প্রতিশ্রুতি পূরণের গ্যারান্টি’’

    CAA: লাগু হল সিএএ, শুভেন্দু লিখলেন, ‘‘মোদির গ্যারান্টি মানে প্রতিশ্রুতি পূরণের গ্যারান্টি’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ (CAA) কার্যকর হল গোটা দেশে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে লোকসভা নির্বাচনের আগে বাড়তি অক্সিজেন পেল রাজ্য বিজেপি। সিএএ ঘোষণা হতেই ঠাকুরনগর সমেত মতুয়া অধ্যুষিত অন্যান্য জায়গাতেও শুরু হয়ে যায় উৎসব। কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি জারির পর পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘মোদির গ্যারান্টি মানে প্রতিশ্রুতি পূরণের গ্যারান্টি। ১৯৪৫ সাল থেকে ধর্মীয় কারণে উৎপীড়িত জনগোষ্ঠী মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রত্যেক ব্যক্তি সমনাগরিকত্বের দাবিতে সরব হয়েছেন। আজ অপেক্ষার অবসান হল।’’

    সল্টলেক অফিসে শান্তনু, কী বললেন মতুয়া নেতা?

    বনগাঁর সাংসদ তথা মতুয়া সমাজের নেতা শান্তনু ঠাকুর সল্টলেকের বিজেপি অফিসে পৌঁছান বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই। বিজেপির রাজ্য দফতরে এসে মিষ্টিমুখ করান অন্য নেতাদের। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘একটা ইতিহাস তৈরি হল আজ। আজ থেকে ১০০ বছর পরে সরকার বদলে যেতে পারে কিন্তু কেউ উদ্বাস্তু হয়ে আসা মানুষের নাগরিকত্ব (CAA) নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না। ভবিষ্যতের জন্য বড় নিরাপত্তার গ্যারান্টি মিলল।’’

    মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া জবাব শান্তনুর

    সিএএ-এর বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ছেলের হাতে মোয়া? কাউকে নাগরিকত্ব দিতে পারবে না। জাস্ট শো অফ!’’ এর জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তুনু পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা বলছেন কিন্তু তিনি কি এই জবাবটা দেবেন পাসপোর্ট বানানোর সময়ে তাঁর পুলিশ মতুয়া সমাজের সদস্যদের থেকে কেন ১৯৭১ সালের আগের জমির দলিল চায়?’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘আজ থেকে ১০০ বছর পরে কেউ প্রশ্ন তুলবেন কি না কথা দিতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ উদ্বাস্তু পরিবারের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নাগরিকত্বের নিশ্চয়তার গ্যারান্টি দিল মোদি সরকার।’’ শান্তনু ঠাকুর আরও বলেন, ‘‘সিএএ-র (CAA) মাধ্যমে কারও নাগরিকত্ব কাড়া হবে না। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের ১০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত, ইডির পদক্ষেপকে স্বাগত শুভেন্দুর

    TMC: তৃণমূলের ১০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত, ইডির পদক্ষেপকে স্বাগত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যালকেমিস্ট মামলার তদন্তে নেমে তৃণমূলের (TMC) ১০ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি।  সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। ইডির (ED)দিল্লি আঞ্চলিক দফতর তৃণমূলের এই টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। ইডির টাকা ‘আটক’ করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    ইডির বিবৃতি

    ইডি জানিয়েছে, চিটফান্ড সংস্থা অ্য়ালকেমিস্ট গ্রুপের আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্তে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকার একটি ডিমান্ড ড্রাফট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তার ঠিক আগে অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে ইডির এই পদক্ষেপ স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসক শিবিরের। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে প্রেস বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের থেকে ১৮০০ কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের অর্থ তুলেছিল অ্যালকেমিস্ট গ্রুপ। ওই সংস্থার মালিক রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কেডি সিং।  

    শুভেন্দুর বার্তা

    ডির দিল্লি অফিসের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি ইডি দিল্লি জোনাল অফিস কর্তৃক তৃণমূলের ১০.২৭ কোটি বাজেয়াপ্ত করাকে স্বাগত জানাচ্ছি। অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের সঙ্গে বেআইনি লেনদেনে জড়িত এই টাকা। তবে এটি হিমশৈলের চূড়ামাত্র। তবে ফাঁদটি যদি আরও শক্ত করা যায় তাহলে ১০ হাজার গুণ টাকা উদ্ধার হবে। ’

    এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অ্যালকেমিস্ট মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তলব করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই মামলায় প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ হিসাবেই অরূপকে তলব করা হয়েছে। তৃণমূলের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে ডাকা হয়েছিল তাঁকে। ২০১৪ সালের ভোটের প্রচারে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে অরূপের কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ‘বহিরাগত’ প্রার্থীর প্রশ্নে তৃণমূলকে আক্রমণ সুকান্ত, শুভেন্দু, মালব্য, দিলীপের

    Lok Sabha Election 2024: ‘বহিরাগত’ প্রার্থীর প্রশ্নে তৃণমূলকে আক্রমণ সুকান্ত, শুভেন্দু, মালব্য, দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুর কেন্দ্রে ইউসুফ পাঠান, আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিন্‌হা এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের জন্য কীর্তি আজাদকে প্রার্থী করার কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। শত্রুঘ্ন ও কীর্তি আদতে বিহারের বাসিন্দা, ইউসুফ গুজরাটের। তবুও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের বাংলা থেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এরপরই রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। 

    ভূমিপুত্রের অভাব

    সভার পরেই বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সমাজমাধ্যমে কটাক্ষ করেন, “ইউসুফ পাঠান গুজরাটের না বাংলার? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাঁদের বহিরাগত বলেন, তৃণমূলের তালিকা সেই রকম নামে ভরা। তৃণমূল কি যথেষ্ট ভূমিপুত্র খুঁজে পায়নি?” তিনি আরও বলেন, ‘‘তৃণমূলের তালিকা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায় ‘বহিরাগত’-তে বোঝাই। ওঁর এই বিভাজনের নীতিতে ধিক্কার জানাই, এর জন্যেই পশ্চিমবাংলা পিছিয়ে থাকে।’’

    তৃণমূলের প্রার্থী পদ বহিরাগতে ভরা

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ প্রসঙ্গে বলেন, “পবন সিংকে যখন বিজেপি প্রার্থী করেছিল, ‘বহিরাগত’ বলে তৃণমূল তোলপাড় করেছিল। উনি নিজে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করেছিলেন। কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিন্‌হা, ইউসুফ পাঠান কোন কালে বাংলার মানুষ ছিলেন, জানতে চাই।”

    রাজনৈতিক কর্মী নেই

    তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা (TMC Candidate List) প্রকাশ্যে আসতেই তোপ দাগলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন,”তৃণমূলের কাছে কোনও রাজনৈতিক কর্মী নেই। কিছু চ্যাংড়া ছেলে আছেন। কিছু দেব-দেবী আছেন।আর কিছু বাইরের থেকে এক্সপোর্ট করা হচ্ছে। তাঁরা নাকি খুব ভাল বাঙালি। তাঁর মধ্যে বড় বাঙালি হচ্ছেন শত্রুঘ্ন সিন্হা, ইউসুফ পাঠান, কীর্তি আজাদ। আর আমরা বাঙালি নই।” 

    আরও পড়ুন: হিন্দু বাঙালির দ্বিতীয় স্বাধীনতা, দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে গেল সিএএ

    কোনও বাঙালি মিলল না

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “যখন তৃণমূল কংগ্রেসের তালিকা বেরিয়েছে, তার একটু আগেই ভাগ্নে (নাম না করেই) বড়বড় কথা বলছিলেন। বিজেপি হল অ্যান্টি বেঙ্গলি। এদিকে যখন ক্যান্ডিডেট তালিকা সামনে এসেছে, তখন দেখা গেল বাইরে থেকে প্রার্থী এনেছে শাসকদল। কীর্তি আজাদ, ইউসুফ পাঠান এরা কি বাঙালি ? ইউসুফ পাঠান ও মোদি দুজনেই গুজরাতের। মোদি বহিরাগত যখন বলা হয়, তাহলে এদের ক্ষেত্রে কী করে সেই তকমা প্রযোজ্য নয়,  এবার গুজরাটি মুসলিমকে নিয়ে আসলেন, কোনও বাঙালি মিলল না এবার?”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শাহজাহানের ফোনের তথ্য নষ্ট করেছে রাজ্য পুলিশ, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: শাহজাহানের ফোনের তথ্য নষ্ট করেছে রাজ্য পুলিশ, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হদিশ মিলছে না শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) দুটি মোবাইল ফোনের। সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই তাঁর মোবাইলের খোঁজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গোয়েন্দা কর্তারা মনে করছেন এই দুটি ফোন মিললেই শাহজাহানের অজ্ঞাতবাস সম্পর্কিত একাধিক প্রশ্নের জবাব মিলবে। এরই মধ্যে বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করলেন, শাহজাহানের ফোনের তথ্য নষ্ট করেনি তো রাজ্য পুলিশ।

    শুভেন্দুর দাবি

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে বলেছেন, শেখ শাহজাহান যখন মমতার পুলিশের শেল্টারে ছিলেন, তার কথাকথিত গ্রেফতার হওয়ার আগে আমিনুল নামে একজন অফিসার তার আইফোন থ্রি অনুষ্ঠানিকভাবে বাজেয়াপ্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁর নির্ভরযোগ্য সূত্র ফোনটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত নয় কেউ। সেটি কি পুলিশের হেফাজতে আছে, নাকি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে সিবিআইকে ট্যাগ করে বলেছেন, এই বিষয়টি যেন খতিয়ে দেখা হয়। ওই ফোনে যে নম্বরটি ব্যবহারকরা হত তাও তিনি উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দুর দাবি, শেখ শাহজাহান এই ফোনটি ব্যবহার করত তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য।

    ফোনের খোঁজ নেই

    গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে যায় ইডি। সেখানেই শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) লোকজন ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ফোনে উস্কানি দিয়েই যে সেদিন শাহজাহান আক্রমণ সংগঠিত করেছিল তা গোয়েন্দাদের কাছে স্পষ্ট। এমনকি ফোনের টাওয়ার দেখেই ইডি আধিকারিকরা নিশ্চিত হন যে সেই সময় বাড়িতেই ছিল শাহজাহান।

    আরও পড়ুন: হাতির পিঠে জঙ্গল পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী, কাজিরাঙায় জিপ সাফারিও করলেন মোদি

    তারপরেই বেপাত্তা হয়ে যায় সে। ৫৬ দিন পর তাকে ধরা গেলেও দুটি মোবাইল ফোনের কোনও হদিশ মেলেনি। ফোন মিললেই সন্দেশখালির কোন কোন নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে সিবিআই। তাই এই দুটি ফোনের খোঁজ পেতে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’কে ‘চোরেদের বিসর্জন’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’কে ‘চোরেদের বিসর্জন’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকালই ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এ নিয়েই তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি শাসকদলের জনগর্জন সভাকে, চোরেদের বিসর্জন সভা বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় যোগ দিতে শনিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে এমন মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।

    ব্রিগেডে তৈরি হচ্ছে র‌্যাম্প, কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    ব্রিগেডে প্রথম কোনও রাজনৈতিক দলের জনসভায় র‌্যাম্প তৈরি হয়েছে। সাধারণত যা ফ্যাশন শো’ গুলিতে দেখা যায়। ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৩০০ ফুট প্রস্থের, যোগ চিহ্ন আকৃতির র‌্যাম্পে হাঁটতে দেখা যাবে তৃণমূল নেতাদের। এ নিয়ে বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘ওখানে ফ্যাশন শো হবে।’’ প্রসঙ্গত হাইকোর্টের নির্দেশে রবিবারই সন্দেশখালিতে জনসভা করবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ নিয়ে নন্দীগ্রামে বিধায়কের দাবি, ‘‘সভাতে ১৫ থেকে ২০ হাজার লোক হবে এবং তাঁরা প্রত্যেকেই স্থানীয় বাসিন্দা।’’ প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে সভা করার ডাক আগেই দিয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এর পরেই সন্দেশখালিতে সভা করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে সেই মামলারই শুনানি ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ অর্থাৎ রবিবার সন্দেশখালি গিয়ে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আদালত জানিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ন্যাজাটের দক্ষিণ আক্রাতলায় সভা করতে পারবেন শুভেন্দু।

    আগামিকাল পশ্চিমবঙ্গে কোনও চুরি হবে না!

    তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রবিবার সন্দেশখালিতে কর্মী – সমর্থকদের আনার জন্য আমরা বাস পাবো না। কারণ ওই দিন ব্রিগেডে একটা জলসা আছে। ফ্যাশন প্যারেড হবে, ব়্যাম্প তৈরি হয়েছে। ওটা শোক সভা। ওদের শেষ শোকসভা হচ্ছে। এটা জনগর্জন সভা না। এটা চোরেদের বিসর্জন সভা। কালকে সবাই জামা কাপড় বাইরে শুকাতে দিতে পারেন। গরু ছেড়ে রাখতে পারেন। কাল কোনও চোর বাড়িতে থাকবে না। কালকে পশ্চিমবঙ্গে কোনও চুরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনই সন্দেশখালিতে সভা শুভেন্দুর, অনুমতি হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনই সন্দেশখালিতে সভা শুভেন্দুর, অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনেই অর্থাৎ, ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দেশখালির পাশে ন্যাজাটের আক্রাতলায় শর্ত সাপেক্ষে ওই সভার আয়োজন করতে হবে। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) অনুমতি আদালতের

    আগামী ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে সভা করার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু । কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এর পরেই সন্দেশখালিতে সভা করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে সেই মামলারই শুনানি ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ অর্থাৎ রবিবার সন্দেশখালি গিয়ে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তবে কোনও ভাবেই উস্কানিমূলক কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। আদালত জানিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ন্যাজাটের দক্ষিণ আক্রাতলায় সভা করতে পারবেন শুভেন্দু। সন্দেশখালি অশান্ত হয়ে ওঠার পর দু’বার সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু। বারবারই তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। পরে আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালি যান তিনি।

    আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাটে বিজেপির প্রার্থী মহম্মদ শামি? রাজ্য রাজনীতিতে নয়া জল্পনা

    রাজ্যকে ধমক হাইকোর্টের

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভায় বাধা দিতে গিয়ে ফের একবার আদালতে ভর্ৎসনার শিকার হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে পুলিশ – প্রশাসনকে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের প্রশ্ন,‘‘এই মিটিং করতে না দিয়ে আপনারা কাকে রক্ষা করতে চাইছেন? সুন্দরখালিতে কোনও গোলমাল না থাকায় সেখানে কোনও ১৪৪ ধারা ছিল না। কিন্তু মামলা করার আগেই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।’’ সভা আটকাতেই এই ১৪৪ ধারা জারি কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত।  বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, নথি দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি সভার জন্য আবেদন করার কিছুক্ষণ আগে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সন্দেশখালিতে গত কয়েক সপ্তাহে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তাহলে এমন কী কারণ রয়েছে যে বিজেপির নির্দিষ্ট করা সভাস্থলে সাত তাড়াতাড়ি ১৪৪ ধারা জারি করে দিতে হল? রাজ্যের তরফে উপযুক্ত জবাব না পেয়ে এরপরই বিরোধী দলনেতাকে (Suvendu Adhikari) আগামী ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে সভা করার অনুমতি দেয় উচ্চ আদালত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ‘বাঘের’ চোখে জল! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের প্রশ্নবাণে কেঁদে ফেললেন শাহজাহান

    Sheikh Shahjahan: ‘বাঘের’ চোখে জল! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের প্রশ্নবাণে কেঁদে ফেললেন শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই-এর খাঁচায় কান্না শেখ শাহজাহানের! ইনিই কি সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা! যার ত্রাসে ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকত সন্দেশখালিবাসী! যাকে তার অনুগামীরা বলত ‘বাঘ’! এখন সিবিআইয়ের খাঁচাবন্দি হয়ে সব তেজ প্রায় উবে গিয়েছে শেখ শাহজাহানের। কদিন আগেও, পুলিশের সামনে আদালতে যে ভাবে তাঁকে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল, তা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। আজ কোথায় সেই প্রতাপ? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের প্রশ্নবাণে ভয়ে কাঁটা হয়ে গিয়েছেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। তাঁকে কটাক্ষও করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    শাহজাহানের চোখে জল

    সিবিআই সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা গতকাল শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) হেফাজতে পেতেই তাঁর চোখে জল চলে আসে। দু’দিনের টালবাহানা শেষে বুধবার শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই (CBI)। গতকাল প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ভবানী ভবনে অপেক্ষা করার পর সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে হাতে পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, হস্তান্তরের আগে অবধি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নেতা বুঝতে পারেননি তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সিবিআই তাঁকে নিয়ে যাবে এটা বুঝতে পারার পর কার্যত ভেঙে পড়েন তিনি। 

    খাবার নিয়ে বায়না শাহজাহানের

    সিবিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে গরম ভাত আর ঘি খেতে চেয়েছিলেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। অবশ্য শাহজাহানকে ভাত বা ঘি কোনওটাই দেওয়া হয়নি। শাহজাহানের শারীরিক পরীক্ষায় ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত মিলেছে। তাই তাঁকে রুটি দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল তরকারি। ভাত, ঘি, আলু সেদ্ধর বদলে এক প্রকার বাধ্য হয়ে সেই খাবার খান শাহজাহান। এর আগে গতরাতে নাকি শাহজাহানকে ভাত, ডাল, সব্জি দেওয়া হয়েছিল।

    সিবিআই-এর জেরায় কান্না!

    সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল প্রায় ২ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে তাঁকে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে ফের জেরা পর্ব শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে কী কী প্রশ্ন করা হবে তার জন্য ২৫০ প্রশ্নের একটি প্রশ্নমালা তৈরি করা হয়েছে। ইডির তল্লাশির সময় শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) কোথায় ছিলেন? কেন তল্লাশি চালানো যায়নি? তাঁর বাড়ির বাইরে এত লোক কীভাবে জড়ো হল? তাঁর ফোন কেন ব্যস্ত ছিল? তিনি কাকে ফোন করেছিলেন? গোলমাল থামানোর কোনও চেষ্টা কেন করেননি? তল্লাশি চালাতে না পেরে ইডি চলে যাওয়ার পর তিনি কোথায় যান? এতদিন অবধি কোথায় লুকিয়ে ছিলেন? এমনই একাধিক প্রশ্ন করা হবে বলে খবর। একইসঙ্গে মাছের ভেড়ি এবং ব্যবসা নিয়েও শাহজাহানকে একাধিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর কী কী ব্যবসা আছে? কোথায় কোথায় মাছের ভেড়ি আছে? কতদিন ধরে রাজনীতি করছেন? বর্তমান দলের সঙ্গে কতদিন ধরে যুক্ত? কার হাত ধরে যুক্ত হয়েছেন? এরকম শয়ে শয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আর তদন্তকারী সংস্থার এই সব প্রশ্নবাণেই নাকি সন্দেশখালির শেখের নয়ন ছলছল করে ওঠে! 

    আরও পড়ুন: নারী দিবসে মহিলাদের অনন্য সম্মান, লিঙ্গভেদ দূর করতে সক্রিয় বিআরও

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    ইডির ওপর হামলার ৫৫ দিনের মাথায় মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan)। তবে গ্রেফতারির পরেও তাঁর শরীরী ভাষায় ফুটে উঠছিল ‘ঔদ্ধত্য’। বিশেষত বসিরহাট আদালতে শাহজাহানের গটগট করে হাঁটা এবং তর্জনী নাড়ার দৃশ্য নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। তবে সিবিআই (CBI) হেফাজতে আসতেই বদলে গেল সেই চিত্র! এ নিয়ে সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ‘নেংটি ইঁদুর’ বলে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন এই বিজেপি (BJP) নেতা। সেখানে ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালত চত্বরে শাহজাহানের ‘মেজাজ’ এবং বুধবার সিবিআই হেফাজতে তাঁর মাথা নীচু করে হাঁটার দৃশ্য দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে আসতেই যেন উধাও হয়ে গিয়েছে সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’র ঔদ্ধত্য!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: সিবিআই-এর খাঁচায় সন্দেশখালির ‘বাঘ’, রাতেই কি শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ?

    Sheikh Shahjahan: সিবিআই-এর খাঁচায় সন্দেশখালির ‘বাঘ’, রাতেই কি শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানার পর শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) হেফজতে নিল সিবিআই। মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সন্ধ্যা, ৬টার পর শেখ শাহজাহানকে ভবানী ভবন থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়েই ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  হেফাজতে নেওয়ার পর জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শেখ শাহজাহানকে। জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর শেখ শাহজাহানকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যায় সিবিআই। রাতেই এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে একদা সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) দাপুটে তৃণমূল নেতাকে। 

    বাধ্য হয়ে সিবিআই-এর হাতে

    আদালতের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ শাহজাহানকে নিয়ে ভবানী ভবন থেকে বেরোন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট মামলার কাগজপত্র সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় সিআইডি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্ত এখন সিবিআইয়ের হাতে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, শাহজাহানকেও সিবিআইয়ের হাতেই তুলে দিতে হবে। বুধবার সারাদিন লুকোচুরি খেলার পর এক প্রকার বাধ্য হয়েই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে শাহজাহানকে তুলে দেয় রাজ্য। উল্লেখ্য, বুধবারই সিবিআই সন্দেশখালিকাণ্ডে তিনটি এফআইআর করেছে। তার মধ্যে একটিতে সন্দেশখালির অশান্তিতে মূল অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে শাহজাহানের।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    গত ৫ জানুয়ারি রেশন মামলার তদন্তে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়তে হয় ইডি আধিকারিকদের। তারপর থেকে দীর্ঘ ৫৫ দিন নিখোঁজ ছিল শাহজাহান। তারপর আদালতের কড়া নির্দেশে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এবারও হাইকোর্টে ধাক্কা, সুপ্রিম কোর্টে অস্বস্তি, তাও দু’দিনের টানাপোড়েন চলল শাহজাহানকে নিয়ে। কিছুতেই শেখ শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে রাজি হচ্ছিল না রাজ্য। “অভিযুক্তকে আড়াল করতেই কি লুকোচুরি খেলছিল পুলিশ?” কার নির্দেশেই বা শাহজাহানকে সামলে রাখা হচ্ছিল। প্রশ্ন তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

     

    আরও পড়ুন: ১২.৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! ইডির তালিকায় শাহজাহানের কোন কোন জমি?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share