Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: বহু বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী বিজেপির বুথ এজেন্ট হতে চায়! সাগরদিঘিতে নির্বাচনী প্রচারে দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বহু বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী বিজেপির বুথ এজেন্ট হতে চায়! সাগরদিঘিতে নির্বাচনী প্রচারে দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির জেরে যাঁরা চাকরি পাননি, সেই বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের বিজেপির বুথ এজেন্ট হিসেবে বসাতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাগরদিঘিতে (Sagardighi) উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ঠিক এমনটাই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার সেখানে গিয়ে তৃণমূলের টাকার পাহাড়ের বিরুদ্ধে ভোট চাইলেন শুভেন্দু। তাঁর প্রশ্ন, যাঁদের বাড়িতে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে, তাঁদের কেন ভোট দেন?

    বহু মহিলা বুথে বসবেন

    মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির পোলিং এজেন্ট হিসেবে বহু মহিলা এগিয়ে এসেছেন। যাঁদের চাকরি না দিয়ে সর্বনাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁরা বলছেন আমরা বঞ্চিত, আমরা প্রথমবার ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে এজেন্ট হিসেবে বুথে বসব। ইতিমধ্যে ৯০ ভাগ বুথে বঞ্চিতদের এজেন্ট হিসেবে পেয়ে গিয়েছি আমরা। একশ শতাংশ বুথেই এজেন্ট দেওয়ার আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা নির্বাচন কমিশনারের অবজার্ভারের কাছে দাবি করেছি, বহিরাগতদের যেন ঢুকতে না দেওয়া হয়। ২৬ এবং ২৭ তারিখ কোথাও যাতে অবাঞ্ছিত জমায়েত না হয়। সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ২০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস এবং অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করেছে কি না, তা দেখতে হবে।”

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু ভোটও পাবে বিজেপি! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে থাকবে, দাবি শুভেন্দুর

    এদিন আম জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে শুভেন্দু বলেন, “যাদের বাড়িতে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে, তাদের কেন ভোট? তৃণমূলকে ভোট দিলে এই অর্পিতা, পার্থ, মোনালিসা, হৈমন্তীদের বাড়বাড়ন্ত হবে। আপনাদেরকেই ঠিক করতে হবে তৃণমূলকে হারাতে পারবেন কি না। এবার ভোট হবে তৃণমূলের চুরির বিরুদ্ধে। ২৭ তারিখে চুরির বিরুদ্ধে, টাকার পাহাড়ের বিরুদ্ধে ভোট দিন।” বিরোধী দলনেতা বলেন, “কারো কোনো সমস্যা হলে আমাদেরকে হোয়াটসঅ্যাপ করে জানান। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে সরাসরি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বিজেপি চায় অবাধ গণতান্ত্রিক ভয়মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন হোক। কিন্তু রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন এই নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভাইপোকে খুশি করার জন্য নিজেদের কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন।” তবে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর কড়া জোর দেওয়া হয়েছে বলে সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দেন বিরোধী দলনেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: সংখ্যালঘু ভোটও পাবে বিজেপি! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে থাকবে, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সংখ্যালঘু ভোটও পাবে বিজেপি! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে থাকবে, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয় স্থান দখল করবে। শুক্রবার সাগরদিঘিতে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়ে এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর দাবি, ‘‘সাগরদিঘির উপনির্বাচনের ফলাফলে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে থাকবে। মানুষ যেভাবে শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বিজেপির প্রতি আস্থা দেখাচ্ছেন তাতে অবাধে ভোট হলে বিজেপি প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। তৃণমূলের কোনও অস্তিত্বই থাকবে না।’’এদিন সাগরদিঘিতে ভোটপ্রচারে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখেও পড়েন শুভেন্দু।

    সংখ্যালঘু ভোটও পাবে বিজেপি

    প্রচার চলাকালীন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত একটি গ্রামে নেমে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন শুভেন্দু। সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের কে তাড়াবে? চার-পাঁচ পুরুষ ধরে আপনারা রয়েছেন। আপনারা ভারতমাতার সন্তান। কেউ তাড়াবে না!’ বিরোধী দলনেতা এও বলেন, “আপনাদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। তৃণমূল আপনাদের এসব ভুল বুঝিয়েই ভোট নিয়েছে”। শুভেন্দু বলেন, ‘‘সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই কেন্দ্রের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশের সমর্থনও আমরা পাব। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি করার জন্য এই জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার তৃণমূল প্রার্থীকে জেতানোর ব্যাপারে সম্পূর্ণ দায়িত্বটাই নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে।’’

    ভুয়ো ভোটের আশঙ্কা

    আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সেই উপলক্ষেই দলীয় প্রার্থী দিলীপ সাহার সমর্থনে কার্যত সাগরদিঘির মাটি কামড়ে টানা প্রচারাভিযানে অংশ নেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  শুভেন্দু আশঙ্কাপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘বাংলায় কাজ না পেয়ে অনেক ভোটাররাই পেটের তাগিদে বর্তমানে ভিন রাজ্যে রয়েছেন। ভোটের দিন সেই সমস্ত ভোটারদের সাগরদিঘিতে না আসার সম্ভাবনাই বেশি। শাসক দল চাইবে সেই সমস্ত ভোটারদের ‘ফলস’ ভোট করাতে। আমরা সব দিকটাই নজরে রাখছি। আমি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে দাবি জানিয়েছি যে, ফলস ভোট ঠেকাতে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে বিশেষ মহিলা আধা সামরিক বাহিনীও মোতায়েন করার।’’

    আরও পড়ুুন: ‘১২টা ৪৮ মিনিটেই হাতে এসে যায়’, মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্র নিয়ে বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

    সাগরদিঘি থানার ওসিকে সরাল কমিশন 

    মুর্শিদাবাদে উপনির্বাচনের দুদিন আগে সাগরদিঘি থানার ওসি অভিজিৎ সরকারকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। তিনি নির্বাচনের কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। সেইসঙ্গে অন্য জেলা থেকে সাগরদিঘিতে নতুন ওসি নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে, শুভেন্দু অধিকারী জানান, শুধু সাগরদিঘি থানার ওসিকে নয়, জঙ্গিপুর জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডেকেও সরানো দরকার। জেপি নাড্ডার উপরে পাথর ছোঁড়া-কাণ্ডে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে ক্লোজ ছিলেন। তার অর্ডার প্রত্যাহার করাও হয়নি। আমি দাবি করব জেলাশাসক এবং জঙ্গিপুর জেলা পুলিশ সুপার-এই দুজনকে ইতিমধ্যেই ক্লোজ করা হোক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য রাষ্ট্রবিরোধী ও ভিত্তিহীন! সব জানলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য রাষ্ট্রবিরোধী ও ভিত্তিহীন! সব জানলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ও ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাজেট ঘোষণার রাতেই ‘সরকার পড়ে যাচ্ছিল’—মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার মুরলিধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি বলেন,‘‘স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চাদের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরণের মন্তব্য করা একেবারেই উচিত হয়নি। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য। আমরা যাঁরা জাতীয়তাবাদী, তাঁরা এই মন্তব্যকে গ্রহণ করি না। সরকার পড়ে যাচ্ছিল— এই মন্তব্যের ভিত্তি কী? ওঁর (মুখ্যমন্ত্রী মমতা) কথা কেউ বিশ্বাস করে না।’’

    সত্য প্রকাশ করুন মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, বুধবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের পর বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমানের সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘কাল তো সরকার প্রায় পড়েই যাচ্ছিল! কেন পড়ে যাচ্ছিল? শেয়ার বাজারে ধস নেমে।’’তিনি আরও বলেন, ‘‘৬-৮ জনকে ফোন করে বলেছে টাকা দাও, মানে যাঁদের শেয়ার পড়ে যাচ্ছিল, তাঁদের দাও। কাউকে বলছে ২০ হাজার কোটি টাকা দাও, কাউকে বলেছে ২৯ হাজার কোটি টাকা দাও, কাউকে ১০ হাজার কোটি টাকা দাও, এই সব বলে সরকার আগলেছে… এই দিয়ে সরকার চলে?”  মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্যের নিন্দা করে বিরোধী দলনেতার দাবি, অনেক অবিজেপি দল শাসিত রাজ্য সরকারও এই বাজেটকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের প্রেস বিবৃতির কথাও তুলে ধরেন শুভেন্দু।  তিনি বলেন, ”কেবলমাত্র রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যারা বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রীকে সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের মতো মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ ছাড়া বাকি সকলেই এই বাজেটকে প্রশংসা করতে বাধ্য হবে।”

    আরও পড়ুুন: গরু পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই নজরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা, জানেন তাঁরা কারা?

    আধারশূন্য মন্তব্য

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে আধারশূন্য হিসেবেও ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘‘কাকে কোথায় টাকা বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনা হোক। এটা যদি উনি খুব সিরিয়াসলি বলে থাকেন একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে, তা হলে একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন না। কাকে কোথায় টাকা বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছিল, উনি জানান সেটা।’’ সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির একটি ছবিও প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: “স্বামীজি বেঁচে থাকলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন!”, সিমলা স্ট্রিট থেকে রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “স্বামীজি বেঁচে থাকলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন!”, সিমলা স্ট্রিট থেকে রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মদিনে সিমলা স্ট্রিট থেকে রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতা সরকারকে কটাক্ষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আজ রাজ্যে শিক্ষার যা অবস্থা তাতে, স্বামীজি বেঁচে থাকলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন। অন্য কোনও দেশে আশ্রয় নিতেন।” এদিন বিরোধী দলনেতা বিজেপি যুব মোর্চার ইয়ং ইন্ডিয়া রান কর্মসূচিতেও অংশ নেন। 

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন, “রাজ্যে শিক্ষার যা অবস্থা তাতে পুরো শিক্ষা দফতরটাই জেলে।” স্বামীজি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, “জন্মভিটায় আসার রাস্তায় স্বামীজির ছবিগুলি ছোট ছোট। সেখানে কোনও একজন কার্বাইড দিয়ে পাকানো রাজনৈতিক নেতার বড় বড় কাট আউট। এই সংস্কৃতি ভাল নয়। ভয়ঙ্কর সংস্কৃতি। স্বামীজির সঙ্গে ছবি দেওয়া তো দূরের কথা, নাম দেওয়ার আগে ভাবতে হয়।” বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, এই প্রথম স্বামীজির বাড়িতে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, যাঁদেরকে একটা কুকুরও চাঁটবে না, তাঁদের জন্য মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে, বলেন তিনি। 
     
    সাংবাদিকরা যাতে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) অভিষেকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে না ধরেন, সেই কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “অভিষেক আসেন বিকেলে। গত ২৫-২৬ বছর ধরেই ১২ জানুয়ারির সকালে আমি স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসি। আমি ওঁর কাউন্টার পার্ট নই। অ্যান্টিকে হারিয়েছি।” বিবেকানন্দের বাণী উল্লেখ করে বলেন, “আমি-আমি করিও না। আমরা আমরা করিও।”        

    এদিন স্বামীজির সিমলা স্ট্রিটে বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “স্বামীজি ছিলেন, যুব সমাজের আইকন। আর আজ যাঁদের যুব সমাজের আইকন বলে প্রচার করা হচ্ছে, তাঁদের কখনও ইডি আর কখনও সিবিআই ডাকে।”

    গঙ্গা আরতি বিতর্ক 

    গঙ্গাঘাটে আরতি প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আমরা যে ঘাটে গঙ্গা আরতি করার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম সেখানে আমাদের গঙ্গা আরতি করার বিষয়ে বাধা দিলেও মুখ্যমন্ত্রী সেই জায়গাতেই আরতি ঘাট চূড়ান্ত করলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছদ্মবেশ সবাই ধরে ফেলেছেন।” মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এদিন সুকান্ত আরও বলেন, “গেরুয়া বসন পরলেই হিন্দুত্ব প্রমাণ হয় না। ভোটের সময় গেরুয়া বসন পরলেই সবাই হিন্দু হয়ে যায় না। আমরা চাই রাজ্যের সব জায়গায় গঙ্গা আরতির ঘাট তৈরি করা হোক। তবে উনি সরকারি নোটিফিকেশন বের করুন যে, সবাই গঙ্গা আরতি করতে পারবে। শুধু বিজেপির কেউ করতে পারবে না। কারণ বিজেপির সব কিছুতেই তো উনি বাধা দেন।”

    প্রসঙ্গত, কলকাতার বাবুঘাট সংলগ্ন বাজাকদমতলা গঙ্গার ঘাটে গঙ্গা আরতি করার বিষয়ে জায়গা চূড়ান্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাণসীর ধাঁচে এবার কলকাতাতেও গঙ্গা আরতি শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিজেপি নেতারা। 

    আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, কারখানায় আয়কর হানায় উদ্ধার কোটি কোটি টাকা

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “নকল হিন্দুদের মানুষ বিশ্বাস করে না। মুখ্যমন্ত্রী সনাতনীদের কতটা ঘৃণা করেন তা বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধনে হাওড়া স্টেশনে এসে জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাই গঙ্গায় আরতি করুন আর গঙ্গায় ঝাঁপ দিন, কোনও কিছুতেই লাভ হবে না। বাংলার সনাতনীরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল, আজ তাদের জাগরণ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। আর কিছুটা বাকি আছে। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন হয়ে যাবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) হেফাজতে থাকাকালীন রহস্যমৃত্যু হয়েছে বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh)। ওই ঘটনায় এবার রাজ্যের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, গরুপাচার সহ বিভিন্ন ঘটনায় সক্রিয় হয়েছে সিবিআই। তাই সিবিআইকে কোণঠাসা করতেই এ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে জলঘোলা করছে রাজ সরকার ও শাসক দল। এজন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দায়ী করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    শুভেন্দু উবাচ…

    পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে এক অনু্ষ্ঠানে বুধবার যোগ দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, এর আগেও রোজভ্যালি সহ বিভিন্ন মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে আদালতের নির্দেশে সেইসব মামলার শুনানি ও তদন্তের কাজ রাজ্যের বাইরে গিয়ে করতে হয়েছে। আদালতের নির্দেশে বগটুই গণহত্যা সহ বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। সত্যিটা সামনে চলে এলে বিপাকে পড়বে তৃণমূল। শুভেন্দুর বক্তব্য, এই অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। এবার সেটাকেই হাতিয়ার করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, লালন শেখের মৃত্যুর পর সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসের বাইরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল যাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার খাতিরে চূড়ান্ত কোনও পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। তাহলেই তাদের আরও ব্যাকফুটে ফেলা যেত।

    আরও পড়ুন: আসানসোলের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ শুভেন্দুর, আহত-নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা

    শুভেন্দুর দাবি, এ সব কিছুর পিছনেই রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি খুব খুশি হয়েছি যে আদালত এই মামলায় লালন শেখের স্ত্রীকে পার্টি করেছে। কারণ তাঁর নামে যে অভিযোগপত্র লেখা হয়েছে, সেটি আদতে তৃণমূলের দুই নেতা লিখেছেন। তাঁদের ওই অভিযোগপত্র লেখার নির্দেশ দিয়েছেন ববি। আর ববিকে নির্দেশ দিয়েছেন পিসি।

    এদিকে, আদালতের নির্দেশ ছাড়া সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না সিআইডি। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। লালন শেখের মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার নির্দেশও দেন তিনি। আদালতের নির্দেশ, লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় আপাতত সিআইডি তদন্ত চালিয়ে যাবে। তদন্তের ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। লালন শেখের মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে এইমস কল্যাণীতে। তবে এজন্য অনুমতি নিতে হবে লালনের স্ত্রীর। প্রসঙ্গত, লালনের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআইয়ের সাতজনের নামে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: শুভেন্দু ইস্যুতে হাইকোর্টে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?

    Calcutta High Court: শুভেন্দু ইস্যুতে হাইকোর্টে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ইস্যুতে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের! শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চাইলে রাজ্যকে যথাযথ বেঞ্চে যেতে হবে। এ নিয়ে এখনই কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেবে না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    শুভেন্দু অধিকারী…

    বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে কম্বলদান কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে আসার পরেই ঘটে দুর্ঘটনা। এই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি পেতে বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের সে আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চের নির্দেশ পরিবর্তন করার আর্জিও জানানো হয়। প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ২৬টি এফআইআরের স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।

    আরও পড়ুন: আসানসোলের দুর্ঘটনায় জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের, নাম নেই শুভেন্দুর

    আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট তাদের বলে হাইকোর্টে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে রাজ্য। সেই মামলাও গৃহীত হয়। তার পরেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নয়া এফআইআর করতে চেয়ে মামলা করে রাজ্য। এদিন সেই মামলাটিই ওঠে হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর একক বেঞ্চে।

    কম্বল বণ্টনের সময় মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অনির্বাণ রায় জানান, এটি (কম্বল দানে মৃত্যুর ঘটনা) একটি অপরাধমূলক অভিযোগ। এ ক্ষেত্রে এফআইআর করা জরুরি। রাজ্যের আইনজীবীর কথা শুনেই বিচারপতি সেনগুপ্তর প্রশ্ন, রাজ্য কী কোনও প্রাথমিক তদন্ত করছে? ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে?  এফআইআর করার আগেও এগুলি হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত আরও একটি মামলা প্রধান বিচারপতির এজলাসে বিচারাধীন। সেক্ষেত্রে এই বেঞ্চ কী করবে?  আপনারা কী ডিভিশন্ বেঞ্চে গিয়েছিলেন চ্যালেঞ্জ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “১৩ জানুয়ারির মধ্যে ধেড়ে ইঁদুর ধরা পড়বেই”, হাজরার সভা থেকে ‘হুঙ্কার’ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “১৩ জানুয়ারির মধ্যে ধেড়ে ইঁদুর ধরা পড়বেই”, হাজরার সভা থেকে ‘হুঙ্কার’ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় হাজরা মোড়ে সভা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির (BJP Rally in Hazra) এই সভা ঘিরে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। শুভেন্দুও তাঁর সমর্থকদের নিরাশ করেননি। মঞ্চে দাঁড়িয়ে শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। একের পর এক দুর্নীতি, কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ টেনে সুর চড়ালেন শাসকদলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে নাম না করেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। অভিষেককে ‘বাবুসোনা’ বলে সম্বোধন করে কটাক্ষ করেন তিনি। আবার পুলিশের ভূমিকা নিয়েও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা।

    হাজরার মঞ্চ থেকে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    কয়েকদিন আগেই শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) গড় কাঁথিতে সভা করতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই পালটা ডায়মন্ডহারবারে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এজন্যে কড়া ভাষায় বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ শানান অভিষেক। সেই বিষয়টিকে তুলে এনে এদিন শুভেন্দু বলেন, “বাবুসোনা আপনি আজ কোথায় আছেন? আমি আজ হাজরায়, আপনি কোথায় পালিয়েছেন? কাঁথিতে তো আমার বাড়ির কাছে পকেটে হাত দিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন। বিজেপির সভার পর কাল এখানে তৃণমূল সভা করবে, ইয়ে ডর আচ্ছা লাগা।”

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    আবার রাজ্যে উঠতে থাকা একের পর দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এই রাজ্যে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির পর সবথেকে বড় কেলেঙ্কারি হল কয়লা কেলেঙ্কারি। ২৪০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি। তার ১০০০ কোটি টাকা বাবুসোনা খেয়ে নিয়েছেন।” বিরোধী দলনেতা এদিন হাজরার সভার শুরু থেকেই বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন। এদিন রাজ্য পুলিশকেও ছেড়ে কথা বলেননি তিনি। তিনি রাজ্য পুলিশকে কটাক্ষ করে শাসকদলের উদ্দেশে বলেন, “পুলিশ আছে বলে আপনারা আছেন। সংসদে নতুন বিল এলে আইপিএসদের নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্রের সরকার। ‘ওয়ান নেশন ওয়ান পুলিশ’ যখন হবে, তখন কোথায় যাবেন?”

    আবার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) কয়েকমাস ধরেই দাবি করেছিলেন যে, ১২, ১৪ ও ২১ ডিসেম্বর মাসের এই তিনটি দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আজ, ১২ ডিসেম্বরে এখনও তেমন কিছু না হলে প্রশ্ন উঠতে শুরু হলে শুভেন্দু তার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “আমি তিনটি তারিখ আপনাদের বলেছিলাম। ১২,১৪ ও ২১ তারিখ। কেন বলেছিলাম? এই তিনটি তারিখ মানে সরকার পরিবর্তন হবে, একথা বলিনি। ৭০ জন নিয়ে আমরা অন্যের বিধায়কদের ভাঙিয়ে সরকার তৈরি করতে, এটা আমাদের দল মানে না, আমরা চাইও না। ১২ ডিসেম্বরটা ১৩ জানুয়ারি হতে পারে। তবে সেটা ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে না। আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে ধেড়ে ইঁদুর ধরা পড়বেই। শুধু সময়ের অপেক্ষা।”

  • Hooghly: “ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি”, বলাগড়ের সভায় স্পষ্ট ইঙ্গিত শুভেন্দুর

    Hooghly: “ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি”, বলাগড়ের সভায় স্পষ্ট ইঙ্গিত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ হুগলির (Hooghly) বলাগড়ে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের প্রচারের জন্য বিজয় সংকল্প সভা হয়। এই সভায় যোগদান করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি।” কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার হওয়ার কথা বলে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি এবং ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে, তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন।

    সভা থেকে কী বললেন (Hooghly)?

    বলাগড়ে (Hooghly) বিজেপির সভা থেকে শুভেন্দু তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “সবেমাত্র ভোর হয়েছে। অনেকে জেলে রয়েছেন। সন্ধ্যা এখনও বাকি। এসএসসি মামলায় গ্রেফতার অয়ন শীলের কাছ থেকে যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা ডাউনলোড করা হয়েছে। পুর নিয়োগ, ফায়ার ব্রিগেড সার্ভিস, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কীভাবে দুর্নীতি করা হয়েছে, তার তথ্য উদ্ধার হয়েছে। আমরা সারা দেশে ৫৪৩ সিটে লড়াই করছি। তৃণমূল লড়াই করছে বাংলায় ৪২, অসমে ১, মেঘালয়ে ১ এবং উত্তরপ্রদেশে ১ টি আসনে। সরকার গঠনে লাগবে ২৭২। ফলে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট করা, এটা আপনারা জেনে রাখুন। তোলামূল আগে জাতীয় দল ছিল। কিন্তু ত্রিপুরা-নাগাল্যান্ডে হারের পর আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়েছে। বাংলার মেয়েকে প্রধানমন্ত্রী চাই, এই কথা প্রথমে বললেও এখন আর বলে না। গরুর গাড়িতে হেডলাইট এবং স্যান্ডো গেঞ্জিতে যেদিন বুক পকেট লাগবে, সেই দিন পিসি প্রধানমন্ত্রী হবেন।”

    আর কী বললেন?

    হুগলির (Hooghly) সভা থেকে মমতাকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, “যতই করো কান্নাকাটি, ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি। হাওয়াই চটির অবস্থা কী হতে পারে সকলেই দেখতে পারবেন।” আবার সিপিএমকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “এদের কোথাও অস্তিত্ব নেই। কেবলমাত্র ভোট কাটার জন্য দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলকে সুবিধা দিতে সিপিএম কাজ করছে। ২০২১ সালের লোকসভা নির্বাচনে বলাগড়, তেলেনিপাড়া, চন্দননগর, আদি সপ্তগ্রামে আমাদের ভোট কেটে তৃণমূলকে জয়ী করে সুযোগ করে দিয়েছে। চোর ভাইপোর সঙ্গে মীনাক্ষী-শতরূপের জ্যাঠামশাই সীতারাম ইয়েচুরি পাটনা, দিল্লি, বেঙ্গালুরুতে কাটলেট খেয়েছেন। তাঁরা ইটিং মিটিং সেটিং করেন মাত্র। সিপিএমকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না। দেশটা যাতে ইউক্রেন না হয়, তাই শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী দরকার। তাই মোদি সরকার আরও একবার দরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ফের দিল্লিতে তলব সুকান্ত-শুভেন্দুকে, কেন জানেন?

    Lok Sabha Election 2024: ফের দিল্লিতে তলব সুকান্ত-শুভেন্দুকে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। ঘোষণা হয়ে গিয়েছে নির্ঘণ্ট। নির্বাচন হবে সাত দফায়। ইতি মধ্যেই তিন দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। তবে বাকি রয়ে গিয়েছে বাংলার ২৩টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা। এই ২৩টি আসনের মধ্যে রয়েছে জলপাইগুড়িও। যে আসনে নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল, প্রথম দফায়।

    দিল্লিতে তলব সুকান্ত-শুভেন্দুকে (Lok Sabha Election 2024)

    এমতাবস্থায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ফের দিল্লিতে তলব করলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বাংলার বকেয়া প্রার্থিতালিকা নিয়ে শনিবার আবারও বৈঠকে বসতে পারেন পদ্ম নেতৃত্ব। বাংলার প্রার্থিতালিকা নিয়ে গত সপ্তাহেই দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুকান্ত ও শুভেন্দুকে। সেখানেই আলোচনার পর গেরুয়া নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন, এবার প্রার্থী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলা হবে।

    তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা

    বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা (Lok Sabha Election 2024) প্রকাশ করেছে বিজেপি। তবে তাতে বাংলার কোনও আসনের নামগন্ধও নেই। এদিন যে ৯টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলির সবই তামিলনাড়ুর। জানা গিয়েছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠক এখনও হয়নি। শুক্র বা শনিবার সেই বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগেই তলব করা হল বঙ্গ বিজেপির দুই শীর্ষ নেতৃত্বকে।

    কেন এই অবস্থা? জানা গিয়েছে, লোকসভার কয়েকটি কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হচ্ছে পদ্ম নেতৃত্বকে। কারণ খোদ প্রধানমন্ত্রী বাংলা সফরে এসে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলার ৪২টি আসনেই এবার পদ্ম ফোটাতে হবে। সেই কারণেই বিজেপি নেতৃত্ব চাইছেন মেদিনীপুর, বর্ধমান-দুর্গাপুর, জলপাইগুড়ি, বারাসত, দক্ষিণ কলকাতা, ডায়মন্ড হারবারের (এখানে তৃণমূলের প্রার্থী দলের সাধারণ সম্পাদক তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) মতো আসনে হেভিওয়েট কোনও প্রার্থী দিতে চাইছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। যাতে করে এই আসনগুলিতে বিজেপির জয় নিশ্চিত হয়।

    আরও পড়ুুন: “বাংলায়ও আমরা এই দৃশ্য দেখতে পারি”, কাকে খোঁচা দিলেন সুকান্ত?

    উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং রায়গঞ্জ কেন্দ্রেও এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি। অথচ জলপাইগুড়ির মতো এই আসন দুটির রশিও রয়েছে বিজেপির হাতে। তাই প্রতিটি আসনে প্রার্থী দিতে গিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন (Lok Sabha Election 2024) গেরুয়া নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, সেই কারণেই বাংলায় বিলম্ব হচ্ছে প্রার্থী ঘোষণা করতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কলকাতায় কত বেআইনি নির্মাণ? কী করছে পুরসভা? প্রশ্ন শুভেন্দুর, ঠুকলেন আরটিআই

    Suvendu Adhikari: কলকাতায় কত বেআইনি নির্মাণ? কী করছে পুরসভা? প্রশ্ন শুভেন্দুর, ঠুকলেন আরটিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কলকাতা পুরসভাকে সতর্ক করে আরটিআই দাখিল করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কলকাতা পুরসভার অধীনে কতগুলি বেআইনি বাড়ি আছে? কতগুলির বিরুদ্ধে পুরসভা পদক্ষেপ করেছে? গার্ডেনরিচের ঘটনার পর তথ্য জানার অধিকার আইনে এমনই একগুচ্ছ প্রশ্ন তুললেন তিনি। পুরসভার কাছে ওই প্রশ্নগুলির উত্তর চেয়ে আবেদন করেছেন শুভেন্দু।

    বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন

    তথ্য জানার অধিকার আইনে কলকাতা পুরসভার কাছে মোট সাত দফা প্রশ্ন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর প্রশ্ন ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১৮ মার্চ পর্যন্ত কতগুলি বহুতল নির্মাণের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে? ওই আবেদনগুলির মধ্যে কতগুলিতে পুরসভা সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কতগুলি আবেদন নাকচ করে দিয়েছে? যে যে বহুতল নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়নি, তাদের ক্ষেত্রে কিসের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা? একই সময়সীমার মধ্যে কতগুলি বহুতল নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং পুরসভা তার শংসাপত্র দিয়েছে? কতগুলি বহুতলকে বেআইনি হিসাবে চিহ্নিত করেছে পুরসভা? যে বহুতলগুলি বেআইনি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে কতগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছে? বেআইনি ভাবে তৈরি কতগুলি বহুতল এখনও ভাঙা হয়নি?

    নানা মহলে প্রশ্ন

    গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যেই অস্বস্তিতে পুর প্রশাসন। কীভাবে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছিল, কোথায় ছিল পুর প্রশাসনের নজরদারি, সে সব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্টও। বেআইনি নির্মাণ ভাঙার জন্য পুরসভার প্রয়োজনীয় যন্ত্র রয়েছে কি না তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। গত রবিবার মধ্যরাতে কলকাতা পুরসভার অধীন গার্ডেনরিচ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ পাঁচ তলা বহুতল আচমকা ভেঙে পড়ে। তাতে চাপা পড়ে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই নির্মীয়মান বহুতলের পাশের টালির চালের ঝুপড়ি একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: এগিয়ে এল নিট পিজি পরীক্ষা, নয়া রুটিন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share