Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Sukanta Majumdar: ‘‘গোটা কলকাতায় অবৈধ নির্মাণের টেন্ডার তৃণমূল নেতারা দিয়ে রেখেছে’’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘গোটা কলকাতায় অবৈধ নির্মাণের টেন্ডার তৃণমূল নেতারা দিয়ে রেখেছে’’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার রাতেই গার্ডেনরিচে ঝুপড়ির ওপর ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আহত বহু মানুষ। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সোমবার সকালেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন সুকান্ত। কলকাতা বিমানবন্দরে এসে তিনি বলেন, ‘‘গোটা কলকাতায় অবৈধ নির্মাণের টেন্ডার তৃণমূল নেতারা দিয়ে রেখেছে।’’

    তৃণমূল নেতারা প্রতি স্কোয়ার ফিটে পয়সা নেয়

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) আরও দাবি, ‘‘তৃণমূল নেতারা প্রতি স্কোয়ার ফিটে পয়সা নেয়। প্রতি স্কোয়ার ফুটে যদি পয়সা নেন তাহলে আপনার মেরুদন্ডে প্রতিবাদ করার জোর থাকবে? আজকে একটা ভেঙেছে, ৩০ বছর পর আরও বাড়ি ভাঙবে। আপনি উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, চেতলা কোথায় যাবেন, সব জায়গায় কাউন্সিলররা স্কোয়ার ফুটে টাকা নেয়। এরা হচ্ছে স্কোয়ার ফুট কাউন্সিলর।’’ সুকান্তর দাবি, ‘‘এক এক জন কাউন্সিলরের এর সম্পত্তি দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে। এক কাউন্সিলর পিডব্লুডির জায়গা দখল করে বাইপাস ধাবা বানিয়ে বসে আছে। জায়গাটাই অবৈধ সরকারি জায়গা। এইতো তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর।’’

    শুভেন্দুর তোপ ফিরহাদকে

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই ইস্যুতে শাসক দলকে কটাক্ষ করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, ‘‘গার্ডেনরিচের (Kolkata News) ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ তলা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ওই এলাকা মেয়র ও পুরমন্ত্রীর তথাকথিত দুর্গ বলে পরিচিত। হতাহতর সংখ্যা নিয়ে একের পর এক ফোন আসছে। দুর্গতদের উদ্ধারে অবিলম্বে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পাঠান।’’ রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও কলকাতার সিপি-কে ট্যাগ করে এই পোস্ট করেন শুভেন্দু। প্রসঙ্গত, রবিবার রাত ১২টা নাগাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বহুতলের একাংশ। দুর্ঘটনার পরে অভিঘাত এসে পড়ে পাশের বাড়িগুলির উপরেও। পাশাপাশি বাড়িগুলোরও ছাদের একাংশ ভেঙে যায়। দেওয়ালে ফাটলও ধরেছে। এর ফলে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Dilip Ghosh: ‘‘কাউন্সিলর-এমএলএ-এমপিরা খুব টাকা খাচ্ছে, আর…’’ গার্ডেনরিচকাণ্ডে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘কাউন্সিলর-এমএলএ-এমপিরা খুব টাকা খাচ্ছে, আর…’’ গার্ডেনরিচকাণ্ডে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গার্ডেনরিচের বেআইনি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ায় মারা গিয়েছেন ৫ জন। আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মনে করা হচ্ছে নিচে এখনও চাপা পড়ে আছেন ৭ জন। মোট ২৩ জন ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। প্রতিদিনকার মতো সোমবারও নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বেআইনি বিল্ডিং ডেভেলপমেন্ট খুব হচ্ছে। আর কাউন্সিলর, এমএলএ ,এমপিরা খুব টাকা খাচ্ছে।’’

    যে কিনছে তার পুরো জীবনটাও কাটাতে পারবে না, মাঝখানে ভেঙে পড়বে

    তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘লোকাল নেতারাও টাকা খাচ্ছে। এখানে ব্রিজ ভেঙে পড়ে, নির্মীয়মাণ ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ে এখন বিল্ডিং ভেঙে পড়ছে। এই যে দুর্নীতি হচ্ছে, যেখানে অর্ধেক টাকা দিয়ে দিতে হচ্ছে লোকাল নেতা ও কাউন্সিলরদের। ফলে কোনও মতে ইট-বালি দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে বাড়ি। যে কিনছে তার পুরো জীবনটাও কাটাতে পারবে না, মাঝখানে ভেঙে পড়বে।’’ রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির (Dilip Ghosh) আরও মন্তব্য, ‘‘এই যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এর পিছনে রয়েছে ব্যাপক দুর্নীতি। সেই জন্য সরকারকে সতর্ক হতে হবে। এগুলো তদন্ত হওয়া দরকার আছে। নতুন নতুন ফ্ল্যাট-বিল্ডিং যেগুলো তৈরি হচ্ছে, বেশিরভাগ অবস্থা এরকম আছে।’’

    আতঙ্কিত স্থানীয়রা

    রবিবার রাত ১২টা নাগাদ নির্মীয়মান বহুতলের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১৫ জন। তার মধ্যে ৬ জন ভর্তি রয়েছে আইসিইউতে। তাদের মধ্যে ২ জন নাবালকও রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলাভূমি ভরাট করে একের পর এক নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে। ৩ ফুট সংকীর্ণ রাস্তাতেও গড়ে উঠছে বহুতল নির্মাণ। এই ঘটনায় কলকাতার পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। দুর্ঘটনার পরে অভিঘাত এসে পড়ে পাশের বাড়িগুলির উপরেও। পাশাপাশি বাড়িগুলোরও ছাদের একাংশ ভেঙে যায়। দেওয়ালে ফাটলও ধরেছে। এর ফলে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata News: খোদ মেয়রের এলাকায় নির্মীয়মাণ বেআইনি বহুতল ভেঙে হতাহত বহু, সরব শুভেন্দু

    Kolkata News: খোদ মেয়রের এলাকায় নির্মীয়মাণ বেআইনি বহুতল ভেঙে হতাহত বহু, সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল কলকাতার (Kolkata News) গার্ডেনরিচে। নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই ঘটনায় মৃত ২ এবং আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১৫ জন। তার মধ্যে ৬ জন ভর্তি রয়েছে আইসিইউতে। তাদের মধ্যে ২ জন নাবালকও রয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ২ জনই মহিলা। তাঁদের নাম  সামা বেগম ও হাসিনা খাতুন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলাভূমি ভরাট করে একের পর এক নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে। ৩ ফুট সংকীর্ণ রাস্তাতেও গড়ে উঠছে বহুতল নির্মাণ। এই ঘটনায় কলকাতার পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    শুভেন্দুর তোপ ফিরহাদকে

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন, ‘‘গার্ডেনরিচের (Kolkata News) ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ তলা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ওই এলাকা মেয়র ও পুরমন্ত্রীর তথাকথিত দুর্গ বলে পরিচিত। হতাহতর সংখ্যা নিয়ে একের পর এক ফোন আসছে। দুর্গতদের উদ্ধারে অবিলম্বে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পাঠান।’’ রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও কলকাতার সিপি-কে ট্যাগ করে এই পোস্ট করেন শুভেন্দু।

    আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা

    দুর্ঘটনার (Kolkata News) পরেই রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। চেষ্টা হয় ক্রেন এনে সিমেন্টের বড় বড় চাঙড় সরানোর। তবে সংকীর্ণ গলিপথের শেষপ্রান্তে যন্ত্রপাতি নিয়ে পৌঁছোনো যায়নি। রাত দুটো থেকে কাজ শুরু করে এনডিআরএফ। তাদের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে কংক্রিটের চাঁই কেটে কেটে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হয়। ধ্বংসস্তূপের নীচে আর কেউ চাপা পড়ে আছেন কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পরে অভিঘাত এসে পড়ে পাশের বাড়িগুলির উপরেও। পাশাপাশি বাড়িগুলোরও ছাদের একাংশ ভেঙে যায়। দেওয়ালে ফাটলও ধরেছে। এর ফলে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Thakur: লাগু হয়েছে সিএএ, নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর

    Shantanu Thakur: লাগু হয়েছে সিএএ, নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাগু হয়ে গিয়েছে সিএএ, এবার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁ লোকসভার সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। উল্লেখ্য সারা দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হতেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোয়াপধ্যায় আইনের ব্যাখ্যা নিয়ে অপপ্রচার করছেন বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই অভিযোগ করেছেন। এবার তৃণমূলের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে একাধাপ গিয়ে নিজেই সিএএ আইনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন বলে জানান মতুয়া সংঘের নেতা শান্তনু ঠাকুর।

    কী বললেন শান্তনু (Shantanu Thakur)

    লোকসভার ভোটে এই রাজ্যে বিজেপি ২২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে ভোটের প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সুফল পেতে ঠাকুর নগরের ঠাকুর বাড়িতে মতুয়া সমাজের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পরবার মতো। বনগাঁ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) গতকাল বাগদার হেলেঞ্চা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের একটি সমাবেশ করেন। সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের নথি বাধ্যতামূলক নয়, যদি কারও কাছে নথি নাও থাকে তাহলে যে কোনও রেজিস্টার্ড সংস্থা থেকে লিখিত কপি জমা দিতে পারেন। অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে এই গেজেট তৈরি হয়েছে। আগামী প্রজন্মের মানুষকে ভারতে সুরক্ষিত করতেই এই আইন ব্যাপক কার্যকরী হবে। ভারতের মানুষের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং দেশের প্রগতির জন্য আইন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।”

    নাগরিকত্ব আবেদন করবেন

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কার্যকর প্রসঙ্গে তৃণমূলের অপপ্রচারকে সমালোচনা করে শান্তনু (Shantanu Thakur) বলেন, “আমি আবশ্যই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করব। আমার না করলেও কিছু হবে না। কারণ আমার ঠাকুর দাদার নিজস্ব সিটিজেনশিপ কার্ড রয়েছে এদেশের। কিন্তু আমি তবুও আবেদন করব। কারণ তৃণমূল বিভ্রান্তি তৈরি করছে। আমি নাগরিকত্বে আবেদন করে দেখেব আমার কিছু বাদ হয় কি না।”

    সিএএ কি বলা হয়েছে?

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে বলা হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী মুসলমান রাষ্ট্র বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ধর্মের মানুষদের মধ্যে যাঁরা ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তাঁদের সকলকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু এই রাজ্যে হিন্দু উদ্বাস্তু শরণার্থীদের জন্য এই আইন সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকারকে সুরক্ষিত করবে। অপর দিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের জনসভায় প্রচার করছেন সিএএ-তে আবেদন করলে নাগরিকত্ব চলে যাবে। পাল্টা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, ‘নাগরিকত্ব গেলে বিধায়কপদ থেকে ইস্তফা দেবো’। এর মধ্যে সিএএ-তে শান্তনুর (Shantanu Thakur) নাগরিকত্বের আবেদনের কথায় শোরগোল পড়েছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আমি ইস্তফা দেব, আপনি দেবেন তো?’’ সিএএ ইস্যুতে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘আমি ইস্তফা দেব, আপনি দেবেন তো?’’ সিএএ ইস্যুতে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘সিএএ চালু হওয়ার পর কারোর নাগরিকত্ব গেলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব। না হলে আপনি দেবেন তো?’’ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এভাবেই নন্দীগ্রাম থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সম্প্রতি, সিএএ কার্যকর হওয়ার পরেই হাবড়ার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, এই আইন নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে ডিটেনশন ক্যাম্পের কথাও। যার সিএএ-র (CAA) সঙ্গে দূর দূরান্ত পর্যন্ত কোনও সম্পর্ক নেই। সিএএ নিয়ে মমতাকে রাজনীতি বন্ধ করার আর্জিও জানিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শরণার্থী এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ফারাকটাই বোঝেন না।’’

    কী বললেন শুভেন্দু?

    এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন যে, আপনারা দরখাস্ত করলে সব নাগরিকত্ব বাতিল করে দেবে। অধিকার বাতিল করে দেবে। এটা এনআরসি-র সঙ্গে যুক্ত। আপনাদের ডিটেনশান ক্যাম্পে নিয়ে যাবে। এই দরখাস্ত করার আগে বারবার ভাববেন বলে ভয় দেখাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ এর পরই মমতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি বিরোধী দলনেতা ও একজন বিধায়ক হিসাবে বলছি- সিএএ (CAA) চালু হওয়ার পর কারোর নাগরিকত্ব গেলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব। না হলে আপনি দেবেন তো? সিএএ লাগু হলে কারোর নাগরিকত্ব যাবে না।’’

    মমতাকে তোপ শাহের

    এদিকে বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও সিএএ (CAA) ইস্যুতে মমতাকে তোপ দেগে বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত এমন একটি ইস্যুতে আপনি রাজনীতি করছেন। আপনি যদি এভাবে তোষণের রাজনীতি করতে থাকেন আর শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে না চান, তাহলে মানুষ আপনার পাশে আর থাকবে না।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংসদে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। সই করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং পরেই তা আইনে পরিণত হয়। সিএএ আইনের মূল বিষয় হল ২০১৪ সালের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ও পারসিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram dibas: নন্দীগ্রাম শহিদ দিবসে সন্দেশখালির নারী নির্যাতন প্রসঙ্গ টেনে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Nandigram dibas: নন্দীগ্রাম শহিদ দিবসে সন্দেশখালির নারী নির্যাতন প্রসঙ্গ টেনে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৪ মার্চ হল নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস (Nandigram dibas)। ২০০৭ সালে তৎকালীন বাম শাসনের রক্তচক্ষুর প্রত্যক্ষ শিকার হতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। খুন, ধর্ষণ, জমি লুট কী হয়নি। আজ এই দিনকে স্মরণ করে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে নন্দীগ্রামের নারী নির্যাতনের সঙ্গে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। পাশপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামজিক মাধ্যমে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।

    কী বলেন শুভেন্দু (Nandigram dibas)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নন্দীগ্রামে (Nandigram dibas) সেই দিন মা-বোনের ভূমিকা দেখেছি। এখন তৃণমূলের শাসনে সন্দেশখালিতে মা-বোনদের অবস্থা দেখেছি। সেই দিনও জোর করে জমি দখল করা হয়েছিল। আজও জোর করে চাষের জমি দখল করে নিয়েছে। খেজুরি থানায় কয়েকশ মিথ্যা মামলা দিয়েছে পুলিশ। মমতা পুলিশ আর বামশাসনের পুলিশের মধ্যে কোনও আচরণ গত পার্থক্য নেই। নির্যাতনই তাঁদের শেষ কথা।”

    কী ঘটেছিল

    ২০০৭ সালে রাজ্যে বাম শাসন চরম শিখরে। এরপর কেটে গিয়েছে ১৬ টি বছর। নন্দীগ্রামে (Nandigram dibas) ভূমি উচ্ছেদ কমিটির আন্দোলনকারীদের উপর বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশ নির্মম গুলি চালিয়েছিল। মারা গিয়েছে ১৪ জন মানুষ। কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এই দিনকে নন্দীগ্রাম শহিদ দিবস পালন করা হয়। কিন্তু রাজ্যের বিজেপি, তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলে, নন্দীগ্রামে যেমন বাম শাসকেরা অসহায় মা-বোনের উপর অত্যাচার, খুন, ধর্ষণ করেছে, ঠিক এক দশকের বেশি সময় ধরে মা-মাটি-সরকারও এই রাজ্যে একই আচরণ করে চলেছে। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের ছবিটাও নন্দীগ্রামের চিত্রকেই উপস্থাপন করে।

    কী বললেন মমতা?

    আজ নন্দীগ্রামের শহিদ (Nandigram dibas) দিবসে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে বলেন, “সিপিআইএমের হার্মাদ বাহিনীর অত্যাচারে নিহত সকল শহিদদের প্রণাম জানাই। কৃষক ভাইবোন এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। নন্দীগ্রামের এই শহিদ দিবস, কৃষক দিবস হিসাবেও পালিত হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদে, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: তৃণমূলকে হারিয়ে তমলুকের সমবায়ে বিজেপির বিরাট জয়

    Tamluk: তৃণমূলকে হারিয়ে তমলুকের সমবায়ে বিজেপির বিরাট জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তমলুক (Tamluk) লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি বনাম তৃণমূলের ব্যাপক লড়াই। আসন্ন লোকসভার দিন তারিখ ঘোষণা না হলেও রাজনৈতিক উত্তেজানার পারদ এখন চরম তুঙ্গে এই লোকসভা কেন্দ্রে। এই আবহের মধ্যে ধাক্কা খেল তৃণমূল, জয়ী হল বিজেপি। তমলুক শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পদুমপুর সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল বুধবার। মোট ১২টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিএম ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। এই নির্বাচনে বিজেপির জয় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। 

    ৮ আসনে জয় বিজেপির (Tamluk)

    শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পদুমপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর জানা গিয়েছে মোট ৮টি আসনে জয় লাভ করেছে বিজেপি। তৃণমূল পেয়েছে ৪ টি। তমলুকের (Tamluk) পদুমপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৪৫। মোট ৫ টি গ্রাম, যার মধ্যে হল পদুমপুর, ঘোড়াঠাকুরিয়া, ধূর্পা, রাজগোদা এবং পোলন্দা। সবকটাই এই সমবায় সমিতির মধ্যে পড়ে।

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলার (Tamluk) বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই জয় সম্পর্কে বলে হয়েছে, “আসন্ন লোকসভার আবহে এই জয় বিজেপির জন্য দারুণ খুশির খবর। লোকসভায় এই কেন্দ্রে বিজেপির ফল ভালো হবে। তৃণমূলকে ব্যাপক মার্জিনে হারতে হবে। তৃণমূলের দুর্নীতি এবং অত্যচার মানুষকে ভিতর থেকে জাগিয়ে তুলেছে। মানুষ তৃণমূলকে বর্জন করবে।”

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তমলুক সফর

    তৃণমূলের তরফ থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও বিজেপির তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও নাম ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্রাক্তন বিচারপতি তমলুকে (Tamluk) গিয়ে দলীয় একাধিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শুরু করেছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ‘তৃণমূলকে একটিও ভোট নয়’ বলে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ফলে এই সমবায়ের জয় বিজেপিকে ব্যাপক অক্সিজেন জোগাবে বলে রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।  

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: লাগু হল সিএএ, শুভেন্দু লিখলেন, ‘‘মোদির গ্যারান্টি মানে প্রতিশ্রুতি পূরণের গ্যারান্টি’’

    CAA: লাগু হল সিএএ, শুভেন্দু লিখলেন, ‘‘মোদির গ্যারান্টি মানে প্রতিশ্রুতি পূরণের গ্যারান্টি’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ (CAA) কার্যকর হল গোটা দেশে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে লোকসভা নির্বাচনের আগে বাড়তি অক্সিজেন পেল রাজ্য বিজেপি। সিএএ ঘোষণা হতেই ঠাকুরনগর সমেত মতুয়া অধ্যুষিত অন্যান্য জায়গাতেও শুরু হয়ে যায় উৎসব। কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি জারির পর পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘মোদির গ্যারান্টি মানে প্রতিশ্রুতি পূরণের গ্যারান্টি। ১৯৪৫ সাল থেকে ধর্মীয় কারণে উৎপীড়িত জনগোষ্ঠী মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রত্যেক ব্যক্তি সমনাগরিকত্বের দাবিতে সরব হয়েছেন। আজ অপেক্ষার অবসান হল।’’

    সল্টলেক অফিসে শান্তনু, কী বললেন মতুয়া নেতা?

    বনগাঁর সাংসদ তথা মতুয়া সমাজের নেতা শান্তনু ঠাকুর সল্টলেকের বিজেপি অফিসে পৌঁছান বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই। বিজেপির রাজ্য দফতরে এসে মিষ্টিমুখ করান অন্য নেতাদের। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘একটা ইতিহাস তৈরি হল আজ। আজ থেকে ১০০ বছর পরে সরকার বদলে যেতে পারে কিন্তু কেউ উদ্বাস্তু হয়ে আসা মানুষের নাগরিকত্ব (CAA) নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না। ভবিষ্যতের জন্য বড় নিরাপত্তার গ্যারান্টি মিলল।’’

    মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া জবাব শান্তনুর

    সিএএ-এর বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ছেলের হাতে মোয়া? কাউকে নাগরিকত্ব দিতে পারবে না। জাস্ট শো অফ!’’ এর জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তুনু পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা বলছেন কিন্তু তিনি কি এই জবাবটা দেবেন পাসপোর্ট বানানোর সময়ে তাঁর পুলিশ মতুয়া সমাজের সদস্যদের থেকে কেন ১৯৭১ সালের আগের জমির দলিল চায়?’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘আজ থেকে ১০০ বছর পরে কেউ প্রশ্ন তুলবেন কি না কথা দিতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ উদ্বাস্তু পরিবারের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নাগরিকত্বের নিশ্চয়তার গ্যারান্টি দিল মোদি সরকার।’’ শান্তনু ঠাকুর আরও বলেন, ‘‘সিএএ-র (CAA) মাধ্যমে কারও নাগরিকত্ব কাড়া হবে না। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের ১০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত, ইডির পদক্ষেপকে স্বাগত শুভেন্দুর

    TMC: তৃণমূলের ১০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত, ইডির পদক্ষেপকে স্বাগত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যালকেমিস্ট মামলার তদন্তে নেমে তৃণমূলের (TMC) ১০ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি।  সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। ইডির (ED)দিল্লি আঞ্চলিক দফতর তৃণমূলের এই টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। ইডির টাকা ‘আটক’ করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    ইডির বিবৃতি

    ইডি জানিয়েছে, চিটফান্ড সংস্থা অ্য়ালকেমিস্ট গ্রুপের আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্তে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকার একটি ডিমান্ড ড্রাফট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তার ঠিক আগে অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে ইডির এই পদক্ষেপ স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসক শিবিরের। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে প্রেস বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের থেকে ১৮০০ কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের অর্থ তুলেছিল অ্যালকেমিস্ট গ্রুপ। ওই সংস্থার মালিক রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কেডি সিং।  

    শুভেন্দুর বার্তা

    ডির দিল্লি অফিসের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি ইডি দিল্লি জোনাল অফিস কর্তৃক তৃণমূলের ১০.২৭ কোটি বাজেয়াপ্ত করাকে স্বাগত জানাচ্ছি। অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের সঙ্গে বেআইনি লেনদেনে জড়িত এই টাকা। তবে এটি হিমশৈলের চূড়ামাত্র। তবে ফাঁদটি যদি আরও শক্ত করা যায় তাহলে ১০ হাজার গুণ টাকা উদ্ধার হবে। ’

    এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অ্যালকেমিস্ট মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তলব করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই মামলায় প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ হিসাবেই অরূপকে তলব করা হয়েছে। তৃণমূলের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে ডাকা হয়েছিল তাঁকে। ২০১৪ সালের ভোটের প্রচারে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে অরূপের কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ‘বহিরাগত’ প্রার্থীর প্রশ্নে তৃণমূলকে আক্রমণ সুকান্ত, শুভেন্দু, মালব্য, দিলীপের

    Lok Sabha Election 2024: ‘বহিরাগত’ প্রার্থীর প্রশ্নে তৃণমূলকে আক্রমণ সুকান্ত, শুভেন্দু, মালব্য, দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুর কেন্দ্রে ইউসুফ পাঠান, আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিন্‌হা এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের জন্য কীর্তি আজাদকে প্রার্থী করার কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। শত্রুঘ্ন ও কীর্তি আদতে বিহারের বাসিন্দা, ইউসুফ গুজরাটের। তবুও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের বাংলা থেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এরপরই রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। 

    ভূমিপুত্রের অভাব

    সভার পরেই বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সমাজমাধ্যমে কটাক্ষ করেন, “ইউসুফ পাঠান গুজরাটের না বাংলার? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাঁদের বহিরাগত বলেন, তৃণমূলের তালিকা সেই রকম নামে ভরা। তৃণমূল কি যথেষ্ট ভূমিপুত্র খুঁজে পায়নি?” তিনি আরও বলেন, ‘‘তৃণমূলের তালিকা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায় ‘বহিরাগত’-তে বোঝাই। ওঁর এই বিভাজনের নীতিতে ধিক্কার জানাই, এর জন্যেই পশ্চিমবাংলা পিছিয়ে থাকে।’’

    তৃণমূলের প্রার্থী পদ বহিরাগতে ভরা

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ প্রসঙ্গে বলেন, “পবন সিংকে যখন বিজেপি প্রার্থী করেছিল, ‘বহিরাগত’ বলে তৃণমূল তোলপাড় করেছিল। উনি নিজে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করেছিলেন। কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিন্‌হা, ইউসুফ পাঠান কোন কালে বাংলার মানুষ ছিলেন, জানতে চাই।”

    রাজনৈতিক কর্মী নেই

    তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা (TMC Candidate List) প্রকাশ্যে আসতেই তোপ দাগলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন,”তৃণমূলের কাছে কোনও রাজনৈতিক কর্মী নেই। কিছু চ্যাংড়া ছেলে আছেন। কিছু দেব-দেবী আছেন।আর কিছু বাইরের থেকে এক্সপোর্ট করা হচ্ছে। তাঁরা নাকি খুব ভাল বাঙালি। তাঁর মধ্যে বড় বাঙালি হচ্ছেন শত্রুঘ্ন সিন্হা, ইউসুফ পাঠান, কীর্তি আজাদ। আর আমরা বাঙালি নই।” 

    আরও পড়ুন: হিন্দু বাঙালির দ্বিতীয় স্বাধীনতা, দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে গেল সিএএ

    কোনও বাঙালি মিলল না

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “যখন তৃণমূল কংগ্রেসের তালিকা বেরিয়েছে, তার একটু আগেই ভাগ্নে (নাম না করেই) বড়বড় কথা বলছিলেন। বিজেপি হল অ্যান্টি বেঙ্গলি। এদিকে যখন ক্যান্ডিডেট তালিকা সামনে এসেছে, তখন দেখা গেল বাইরে থেকে প্রার্থী এনেছে শাসকদল। কীর্তি আজাদ, ইউসুফ পাঠান এরা কি বাঙালি ? ইউসুফ পাঠান ও মোদি দুজনেই গুজরাতের। মোদি বহিরাগত যখন বলা হয়, তাহলে এদের ক্ষেত্রে কী করে সেই তকমা প্রযোজ্য নয়,  এবার গুজরাটি মুসলিমকে নিয়ে আসলেন, কোনও বাঙালি মিলল না এবার?”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share