Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালির মহিলাদের দৈহিক গঠন ও বর্ণ নিয়ে মন্তব্য, বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    Sandeshkhali: সন্দেশখালির মহিলাদের দৈহিক গঠন ও বর্ণ নিয়ে মন্তব্য, বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ শিবু হজরা এবং উত্তম সর্দারের নারী নির্যাতন, যৌনশোষণ এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে গ্রামের নারীসমাজ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আগেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন। কীভবে বাড়ির সুন্দরী, কমবয়সী মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে পার্টি অফিসে ‘ভোগ’ করা হত, সে কথা জানিয়ে স্পষ্টভাবে অভিযোগও করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে একই বিষয়ে অভিযোগ করেন এলাকার মহিলারা। কিন্তু এর মধ্যেই গ্রামবাসীদের পরিচয়, মহিলাদের দৈহিক গঠন এবং গায়ের বর্ণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেছে রাজ্যের বিরোধী দল।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক (Sandeshkhal)?

    তৃণমূল নেতা নারায়ণ গোস্বামী সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রতিবাদী নারীদের সম্পর্কে বলেন, “একজন তফশিলি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে গঠন এবং দেহের রং দিয়ে বোঝা যায়। মনে রাখবেন, একজন মানুষ কোন সম্প্রদায়ের, তা শরীরের গঠন এবং রং তথাকথিত আমরা যা বলি ফর্সা, শ্যামবর্ণ এই দেখেই কিন্তু বোঝা যায়। কিন্তু ক্যামেরার সামনে যে সব মহিলা এসেছেন, তাঁরা সকলেই ধবধবে ফর্সা। তাহলে কি তাঁরা তফশিলি জনজাতি বা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর? যে মহিলারা সামনে এসেছেন, সকলে সিপিএমের মহিলা সংগঠনের সদস্য। যে বাচ্চাদের সামনে আনা হচ্ছে, সকলকে স্ক্রিপ্ট পড়িয়ে আনা হয়েছে। চিত্র পরিচালক এবং চিত্রনাট্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে সবটা। রাজ্যপালের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলতে দেখা গিয়েছে এক মহিলাকে। আবার সুকান্তের ধর্নামঞ্চে বোরখা পরা মহিলাকেও দেখা গিয়েছে। ওঁরা কি আদৌ সন্দেশখালির?”

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূল নেতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “জাতীয় তফসিলি জাতি এবং উপজাতি কমিশনের কাছে অভিযোগ করব। ওঁকে গ্রেফতার করা উচিত। সন্দেশখালির অপকর্ম ধরা পড়ে গিয়েছে। রুচিহীন মন্তব্য করেছেন তিনি। জনজাতি পরিবারে জন্ম হলেই গায়ের রং কালো হতে হবে?” আবার সিপিএমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আদিবাসীদের পোশাক দিয়ে চেনে তৃণমূল।” পাশাপাশি আজ বৃহস্পতিবার তফশিলি জাতীয় কমিশনের ভাইস চেয়রাম্যান অরুণ হালদার সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “চাইলেই বিধানসভায় ভাঙচুর করতে পারি, কিন্তু মানসিকতা নেই”, মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “চাইলেই বিধানসভায় ভাঙচুর করতে পারি, কিন্তু মানসিকতা নেই”, মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির মহিলাদের উপর তৃণমূল নেতাদের বর্বরোচিত অত্যাচারের প্রতিবাদে আন্দোলন চলাকালীন রাজ্য প্রশাসনের চূড়ান্ত অসহযোগিতায় অসুস্থ্ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার সরস্বতী পুজোর দিনে টাকিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে দ্রুত কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বৃদ্ধির জন্য হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বললেন, “চাইলেই বিধানসভায় ভাঙচুর করতে পারি, কিন্তু আমাদের সেই মানসিকতা নেই।”

    হুঁশিয়ারি দিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এই সময় অর্থাৎ বিগত তিন বছর ধরে আমাদের সঙ্গে যা ঘটছে, চাইলেই আমরা বিধানসভায় মমতার দেখানো পথে ভাঙচুর করতে পারতাম। সেই ক্ষমতা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি অর্জন করেছে। কিন্তু সেই রকম কোনও মানসিকতা আমাদের নেই। আর বিজেপি এই ধরনের কাজকে অনুমোদনও করে না। বাস ভাঙো, গাড়ি জ্বালাও, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করো, এইসবে আমরা বিশ্বাস করি না। তাবে শাসক দল ক্ষমতায় থাকলেও করে, আবার ক্ষমতায় না থাকলেও সম্পত্তি নষ্ট করে।”

    আর কী বললেন শুভেন্দু?

    বিজেপি নেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মমতাকে আক্রমণ করে আরও বলেন, “টাকিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অসুস্থ হওয়ার জন্য একমাত্র পুলিশের উৎপীড়ন দায়ী। শুধু বিজেপি নয়, বহু সাধারণ মানুষ আমাদের বলেছেন বনধ ডাকুন। আমরা সাধারণ মানুষের এই দাবিকে অস্বীকার করছি না। কিন্তু বিজেপি একটি দায়িত্বশীল দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আমরা কথায় কথায় অবরোধ করি না। আমরাও বিক্ষোভ দেখাই, কালো ব্যাজ পরি, মিছিল করি, প্রতিবাদ করি, কোথাও কোথাও পথ অবরোধ করি। কিন্তু আমরা মানুষকে বিপর্যস্ত করার ইচ্ছে রাখি না।” রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আবহের মধ্যে বনধের পথে না হেঁটে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরও তীব্র আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে পা গলিয়েছেন মমতা”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে পা গলিয়েছেন মমতা”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ব্যরাকপুরে আইনজীবী এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচির বাড়িতে গণেশ পুজো উপলক্ষে যান। তিনি বলেন, “মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি, কোনও রাজনৈতিকই কারণ নেই। তবে আমরা সংগ্রামী যৌথমঞ্চের পক্ষে থেকে একসঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্থ পিসি-ভাইপোর বিরুদ্ধে লড়াই করছি।”

    ঠিক কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    ব্যরাকপুরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই দিন সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে এসেছি কৌস্তভের বাড়িতে। তবে পিসি-ভাইপো যেখানে, কৌস্তভ নেই সেখানে। এখন কংগ্রেস, মমতা-অভিষেকের কাছে আত্ম সমর্পণ করেছে। তাই সেখানে কৌস্তভ নেই। বাকিটা তাঁকেই ঠিক করতে হবে। আগামী সময়ে বলবে কী হবে। চোরেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুখের মধ্যে অন্যতম মুখ হলেন কৌস্তভ। বাংলাকে বাঁচাতে হলে একমাত্র বিকল্প হল বিজেপি। সিপিএম-কংগ্রেস, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেছে। দেশে মোদির বিকল্প কিছুই নেই। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজে কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন। তিনিও বুঝতে পেড়েছেন বিকল্প একমাত্র বিজেপি। কৌস্তভকেও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজনৈতিক সৌজন্য এই রাজ্যে সিপিএম আগেই শেষ করে দিয়েছে, কিন্তু যে টুকু বাকি ছিল তৃণমূল এসে শেষ করে দিয়েছে। কৌস্তভ একজন রাষ্ট্রবাদী সৎ ছেলে এবং দেশপ্রেমী হিসাব পরিচিত।”

    আর কী বললেন?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “দুর্নীতি গ্রস্থ এই সরকার সকলের ফোন ট্যাপ করে। হোয়াটসঅ্যাপ কল করতে হয় সকলকে। কথা বলা যায় না ইচ্ছে থকালেও। ‘চোর মমতা’র শাসনে রাজনৈতিক সৌজন্য বলে কিছু নেই। অন্য রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটে না, কেবলমাত্র এই রাজ্যেই হয়ে থাকে। সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পা গলিয়েছেন। সিপিএম যা শুরু করেছিল মুখ্যমন্ত্রী সেই বৃত্ত পূর্ণ করেছেন। এই কালচারের বদল ঘটা দরকার। সরকারের দুর্নীতিগ্রস্থ পরিবার তন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলের সঙ্গে আমরা আছি। লক্ষ্য যেহেতু এক, তাই শুধু পুজোতে নয়, রাজনৈতিক মঞ্চেও একসঙ্গে কাজ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “কালীঘাটে রেড করলেই শাহজাহানকে পাওয়া যাবে”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “কালীঘাটে রেড করলেই শাহজাহানকে পাওয়া যাবে”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দিন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আমতলায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী কার্যালয় থেকে কিছুটা দূরে, দলের মন্ডল সভাপতিদের শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন ও কর্মীসভা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল সহ অন্যান্যরা। মূলত এদিনের এই জনসভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), মমতার ভাইপোকে ‘চোর’ বলে আখ্যায়িত করেন। আবার একই ভাবে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে শাহজাহান সম্পর্কে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাহজাহান একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া করছে তাই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করছেনা”।

    সন্দেশখালি নিয়ে কী বলেন (Suvendu Adhikari)?

    সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “পুলিশকে আর গ্রেফতার করতে হবে না। সন্দেশখালির মা-বোনেরা জেগে গিয়েছেন। এবারে তাঁরাই ধরবে তৃণমূলের দুষ্কৃতী শিবুকে। শাহজাহান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই রয়েছে। কালীঘাটে রেড করুক তাঁকে পাওয়া যাবে। প্রতিদিন রাতের ডিনার এবং মধ্যাহ্ন ভোজন করছেন একসঙ্গে। ২০১১ আগে নন্দীগ্রাম ছিল এবার তৃণমূলের আমলে সন্দেশখালি হল।” অন্যদিকে তৃণমূল নেতা দেবাশীষ হাজরাকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস এইসব নাটক করছে, এছাড়া অন্য কোনও কিছুই নয়।” অপর দিকে এদিনের সভাস্থল থেকে তিনি আরও বলেন, “শীঘ্রই সিএএ লাগু হবে বাংলায়।”

    দেব প্রসঙ্গে কী বলেন?

    ঘাটালের প্রার্থী হওয়া নিয়ে দেব ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক প্রসঙ্গের বিষয় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আমতলার সভায় বলেন, “কোনও লাভ হবে না, ঘাটালে বিজেপি ২ লাখ ভোটে জয়লাভ করবে। কেউ পাগল নয় যে দেশটাকে আফগানিস্তান-ইউক্রেন করতে চাইবে। মোদি জিকে সকলে ভোট দেবে।” পাশাপাশি বিশিষ্ট অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এবং আগামী লোকসভায় একসঙ্গে তাঁরা দুজনে প্রচার কর্মসূচি করবেন এমনটাও জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Violence: সন্দেশখালিতে শান্তি না ফিরলে ১৪৪ ধারা ভাঙার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Sandeshkhali Violence: সন্দেশখালিতে শান্তি না ফিরলে ১৪৪ ধারা ভাঙার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়িতে ইডি হানা দেওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান। তাঁর দুই শাগরেদ উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা সন্দেশখালি (Sandeshkhali Violence)। তৃণমূলের ২ নেতার বাগানবাড়ি থেকে পোল্ট্রি ফার্ম সবই জ্বলেছে ক্ষোভের আগুনে। গোটা এলাকা পুলিশে ছয়লাপ। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। অবস্থা এতটাই খারাপ যে সন্দেশখালিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। এই ইস্যুকে সামনে রেখে আন্দোলনে নেমেছে গেরুয়া শিবির। শনিবার সকালে বিজেপি প্রতিনিধিদলকে সন্দেশখালিতে ঢুকতে বাধা দেয় প্রশাসন। দুপুরেই বিজেপি বিধায়কদের দল সোজা রাজভবন চলে যান। তাঁদের সঙ্গে ছিল পোস্টার যাতে লেখা, ‘পাশে আছে সন্দেশখালি’, ‘সঙ্গে আছি সন্দেশখালি’। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Violence) শান্তি ফেরাতে ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, কালকের মধ্যে  শান্তি না ফিরলে সোমবার ১৪৪ ধারা ভাঙব।

    কী বললেন শুভেন্দু? 

    বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে এই মিছিলে দাবি জানানো হয় এবার হস্তক্ষেপ করতে হবে রাজ্যপালকেই। শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “জনগণের (Sandeshkhali Violence) মানবাধিকারকে, জনগণের রোষকে কোনওভাবেই পদদলিত করতে বিজেপি দেবে না। আমাদের মহিলা মোর্চা, যুব মোর্চা পথে নামতে চলেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়করা সোমবার বিধানসভায় জড়ো হয়ে ১৪৪ ভাঙার জন্য সন্দেশখালি যাব।” রাজভবনকে সময়সীমা (Sandeshkhali Violence) বেঁধেও দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “আমরা রাজ্যপালকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে গেলাম। কালকের মধ্যে যদি শান্তি ফিরিয়ে না আনা হয় তাহলে সোমবার ১৪৪ ভাঙব। কত ক্ষমতা আছে আমাদের গ্রেফতার করুন। কত ক্ষমতা আছে আমরা দেখতে চাই।”

    শনিবারও নতুন করে বিক্ষোভ সন্দেশখালিতে

    শনিবারও নতুন করে সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামের মহিলারা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ যে সন্দেশখালির সিতুলিয়া গ্রামে ভুজঙ্গ দাসের বাড়িতে গতকাল গভীর রাতে পুলিশ এবং তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা (Sandeshkhali Violence) একজোট হয়ে হামলা চালায়। ভুজঙ্গ দাসের বৃদ্ধা মা’কে মারধর করে বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে সিতুলিয়া গ্রামের মহিলারা। শনিবার সকালেই বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল সন্দেশখালিতে ঢুকতে যায়। সন্দেশখালি বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী অর্চনা মজুমদার ছিলেন সামনে। সেই দলকে আটকে দেয় পুলিশ। এরপরই সামনে আসে বিজেপির বিধায়ক দলের রাজভবন অভিযান। সেখানে ১৪৪ ধারার নোটিফিকেশন পোড়াতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বিধানসভায় ‘খুন’ হয়ে যেতে পারি আমরা’’, কী কারণে এমন আশঙ্কা শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: ‘‘বিধানসভায় ‘খুন’ হয়ে যেতে পারি আমরা’’, কী কারণে এমন আশঙ্কা শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় ‘খুন’ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি তিনি জানান যে শুধু তিনি নন বিজেপির যেকোনও বিধায়কই খুন হয়ে যেতে পারেন। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, ‘‘এরা আমাদের মুখ বন্ধ না করতে পেরে আমাদের শারীরিকভাবে নিগ্রহ এমনকি খুনও করতে পারে।’’ সংবাদ মাধ্যমের সামনে শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান যে, তাঁরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

    বৃহস্পতিবার বিধানসভায় নজিরবিহীন ঘটনা

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বাজেট অধিবেশন ছিল সে সময়েই বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। বিধানসভার ভিতরে জাতীয় সঙ্গীতের বদলে রাজ্য সঙ্গীত গাইতে থাকেন শাসকদলের বিধায়করা। এতেই পাল্টা জাতীয় সঙ্গীত শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। হই হট্টগোল শুরু হয়ে যায় বিধানসভার অন্দরে। এরপরে বিধানসভার বাইরে এক বিজেপি বিধায়কের গাড়ি আটকে যায় মুখ্যমন্ত্রী বের হওয়ার সময়। সে নিয়ে কলকাতা পুলিশকে ধমক দেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এমন সময় মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ‘চোর-চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। অভিযোগ, তৃণমূলপন্থী সরকারি কর্মচারীরা হামলার উদ্দেশ্যে তেড়ে যান বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশ্যে। এই সমস্ত কিছু নিয়েই শুভেন্দুর অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আশঙ্কা, তাঁরাও আক্রান্ত হতে পারেন অথবা যেকোনও সময় খুন হতে পারেন। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আমরাও আক্রান্ত হতে পারি, মার্ডার হতে পারি। এরা আমাদের মুখ বন্ধ করতে না পেরে আমাদের শারীরিকভাবে নিগ্রহ, এমনকী খুনও করতে পারে।’’

    শুক্রবার বিধানসভায় নিজের ঘরে বসে ফেসবুক লাইভে শুভেন্দু

    শুক্রবার দুপুরে বিধানসভায় নিজের ঘরে বসে ফেসবুক লাইভে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। সেইসঙ্গে যে সমস্ত তৃণমূলপন্থী কর্মী সেদিন বিজেপি বিধায়দের দিকে তেড়ে যায়, তাদের ছবি, পরিচয় এবং ভিডিও ফুটেজ সামনে আনেন তিনি। এ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘অধিকাংশ বিধানসভার কর্মী তৃণমূলের ক্যাডার। তাদেরকে দিয়ে পরিকল্পনা করে এই কাণ্ড ঘটানো হয়।’’ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আরও অভিযোগ, ‘‘নিরাপত্তা রক্ষীদের নামে স্পিকারের এলাকার নিয়োগপ্রাপ্ত তৃণমূল ক্যাডাররাই বিজেপির উপরে আক্রমণ করেছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP West Bengal: সরগরম বিধানসভা, মুখ্যমন্ত্রী বেরোতেই ‘চোর-চোর’ স্লোগান বিজেপির

    BJP West Bengal: সরগরম বিধানসভা, মুখ্যমন্ত্রী বেরোতেই ‘চোর-চোর’ স্লোগান বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সামনে ফের উঠল চোর চোর স্লোগান। গত নভেম্বর মাসের পরে ফের ‘চোর-চোর’ স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভা। রাজ্যের একাধিক চুরি-দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শাসক দলের। গ্রেফতার হয়েছেন মন্ত্রী-বিধায়করা। শাসক দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা-মন্ত্রীদের দেখে এর আগে রাস্তায় সাধারণ জনগণের গলায় ‘চোর-চোর’ স্লোগান শোনা গিয়েছে। সেই আওয়াজ ফের একবার উঠে এল রাজ্যের বিধানসভায়। ‘চোর-চোর’ স্লোগানের পাশাপাশি বিজেপি বিধায়করা (BJP West Bengal) মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনিও দেন।

    কলকাতা পুলিশকে ধমক বিরোধী দলনেতার

    এদিন মুখ্যমন্ত্রী যাবেন বলে পুলিশ বিধানসভার গেটে বিজেপি বিধায়কদের (BJP West Bengal) গাড়ি আটকে দেয়। অভিযোগ এরফলে বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল সমেত একাধিক বিজেপি বিধায়ক আটকে পড়েন। এই ঘটনার খবর কানে যেতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি কলকাতা পুলিশের অফিসারদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘কে আপনারা গাড়ি আটকানোর। এটা কি কলকাতা পুলিশের জমিদারি? আপনারা আমাদের নির্বাচিত করেননি। মানুষ আমাদের বিধানসভায় পাঠিয়েছেন। কোন হরিদাসের গাড়ি পাস করানোর জন্য আপনারা আমাদের বিধায়কদের গাড়ি আটকেছেন? তিনি হুমকি দেন, ভবিষ্যতে এ কাজ করলে পরিণতি খারাপ হবে।’’

    বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি 

    এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিধানসভার গেটের কাছে বিজেপি বিধায়করা (BJP West Bengal) ‘চোর-চোর’ স্লোগান তোলেন। নেতৃত্বে ছিলেন খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের বচসাও শুরু হয়। এরই মধ্যে তৃণমূল বিধায়করা এগিয়ে আসেন। তখনই বিজেপি-তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশ্য সে পরিস্থিতি এড়ানো গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal BJP: জাতীয় সঙ্গীতের বদলে রাজ্য সঙ্গীত বিধানসভায়, প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা

    West Bengal BJP: জাতীয় সঙ্গীতের বদলে রাজ্য সঙ্গীত বিধানসভায়, প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা বিধানসভা। জাতীয় সঙ্গীতের বদলে শাসক দলের বিধায়করা গাইলেন রাজ্য সঙ্গীত।  প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকমাস আগেই ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গ তো আলাদা কোনও দেশ নয়, তখন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত কেন বাদ দিতে চাইছে মমতা সরকার?  বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়করা রাজ্য সঙ্গীত শুরু করতেই পাল্টা জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করলেন শুভেন্দু অধিকারী সমেত অধিবেশনে উপস্থিত বিজেপি বিধায়করা (West Bengal BJP)। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বাজেট করা হয় শাসক দলের তরফে।

    বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদ

    রাজ্য সঙ্গীতের পরেই বাজেট ভাষণ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই সময়েই প্রতিবাদ জানাতে থাকেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা (West Bengal BJP), নেতৃত্ব দেন খোদ বিরোধী দলনেতা। বেশ কিছুক্ষণ তুমুল হইহট্টগোল চলতে থাকে বাজেট অধিবেশনে। এনিয়ে পরে, সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ওটা রাজ্য সঙ্গীত না বলে জাতীয় সঙ্গীত বলা হয়েছে। তাই আমরা জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছি। দেশকে দু’ভাগ করার চেষ্টা করছে। যা খুশি চাপিয়ে দিলে কোম্পানির লোকেরা মেনে নেবেন, বিজেপি বা জনগণ মানবে না। দেশপ্রেম, রাষ্ট্রবাদ ও ভারত মাতার অবমাননা হলে বিজেপি আপস করবে না।’’

    বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    বিধানসভার অধিবেশন শেষে বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিরোধী দলনেতা। সেখানেও নন্দীগ্রামের বিধায়ক (West Bengal BJP) বিধানসভায় রাজ্য় সঙ্গীত গাওয়ার বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘‘অধ্যক্ষ দাবি করেছেন বাংলার জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে। বাংলার জাতীয় সঙ্গীত কি হয়। বাংলার স্টেট সঙ্গীত আমরা মানব না। অধ্যক্ষ অত্যন্ত আপত্তিকর কথা বলেছেন। উনি যদি বলতেন একটা সুন্দর বাংলা গান গাইব, তাতে কোনও আপত্তির বিষয় ছিল না। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী দেশ একটাই৷ ভারতবর্ষকে এভাবে দু’টুকরো করা যাবে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • State Budget 2024: ‘ভোটের গিমিক, দিশাহীন’! রাজ্য বাজেট নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    State Budget 2024: ‘ভোটের গিমিক, দিশাহীন’! রাজ্য বাজেট নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিশা দেখাতে পারেনি রাজ্য বাজেট। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাজ্য বাজেট (West Bengal Budget 2024) পেশ করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তা শেষ হতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বাজেটকে ভোটের গিমক, বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখন তাঁর পাশে ছিলেন অর্থনীতিবিদ তথা বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি। 

    বাজেটে রাজ্যের অগ্রগতির দিশা নেই

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই বাজেট ভোটের প্রচার ছাড়া আর কিছু নয়। এতে বেকারদের কর্মসংস্থান, বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগ, শিল্প বাণিজ্যের পরিবেশ নিয়ে রাজ্যের অগ্রগতির কোনও দিশা নেই।’’ তাঁর মতে, ‘‘রাজ্য সরকার বাজেটের মাধ্যমে কিছু কিছু জায়গায় অর্থ বিলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু অসমে মহিলারা আড়াই হাজার টাকা করে পান। মধ্যপ্রদেশেও অনেক বেশি টাকা মহিলাদের দেওয়া হয়। এখানে মহিলাদের ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ১০০০ করা হচ্ছে মাত্র।’’ উল্লেখ্য, বাজেটে রাজ্য সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাসে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১০০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা। সেই ঘোষণাকেই কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এ তফসিলি জাতি উপজাতির মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়া হত। বাজেটে তাঁদের ১২০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। শুভেন্দু বলেন, ‘‘এটা ওঁদের অপমান। সাধারণ ক্যাটাগরির মহিলাদের তুলনায় ওঁদের দ্বিগুণ টাকা পাওয়ার কথা। ২০০ টাকা বাড়িয়ে ওঁদের অপমান করা হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই তীব্র প্রতিবাদ, রাজ্য বাজেটের আগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    বাজেটে উপেক্ষিত সব স্তরের মানুষ

    বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘এই বাজেটে সরকারের আয়ের উৎসের নির্দিষ্টভাবে কোনও উল্লেখ নেই। এই বাজেটে দার্জিলিংয়ের পাহাড়, জঙ্গলমহল, সুন্দরবন, কৃষক উপেক্ষিত। আমরা আশা করেছিলাম রাজ্য সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৫ হাজারের বদলে ১০ হাজার টাকা করবেন। আমরা আশা করেছিলাম উত্তরপ্রদেশের মতো পিএম কিষাণ সম্মান নিধি আরও ছ হাজার রাজ্য দিয়ে ১২ হাজার করবে রাজ্য। তাই কৃষকদের জন্য এই সরকার এই বাজেটে কিছু রাখেনি। শেষে ডিএ নামক বস্তুটিকে রেখে আবার রাজনীতি করার চেষ্টা হয়েছে। এই বাজেটে ৪ শতাংশ ডিএ দেওয়ার পরেও কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক ৪০ শতাংশ। তাছাড়া ডিএ পাওয়া যাবে মে মাস থেকে। মানে ভোট গণনার পর। বাজেটে ৫ লক্ষ চাকরির কথা ঘোষণা করা হলেও কবে কোন দফতরে কত নিয়োগ হবে তার কোনও উল্লেখ নেই। ’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • State Budget 2024: মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই তীব্র প্রতিবাদ, রাজ্য বাজেটের আগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    State Budget 2024: মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই তীব্র প্রতিবাদ, রাজ্য বাজেটের আগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বাজেট যদি জনমুখী না হয়, তাহলে বিজেপি বিধায়করা অধিবেশন কক্ষেই প্রতিবাদ জানাবেন। রাজ্য বাজেট পেশের আগেই এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটেয় বিধানসভায় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য বাজেট (State Budget 2024) পেশ করতে চলেছেন। 

    ভাল বাজেটের প্রত্যাশা

    শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ‘‘আমরা ভালো বাজেট (State Budget 2024) আশা করব। আশা করব যেন কেন্দ্রীয় হারে ডিএ ঘোষণা করা হবে। আশা করব আশা কর্মী থেকে অস্থায়ী কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে ভিলেজ পুলিশ, সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মী-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষদের সম কাজে সম বেতনের মাধ্যমে সকলের জন্য আর্থিক সুরক্ষা ঘোষণা করা হবে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করা হবে।’’ রাজ্য বাজেটে প্রত্যাশা প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এও বলেন, ‘‘আমরা আশা করব অন্যান্য রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গেও রান্নার গ্যাস সাড়ে চারশো টাকায় পাব। পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাসের যে কর রাজ্য সরকার নিচ্ছে সেটা নেবে না। তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই পেট্রোপণ্যের দাম কমে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থমন্ত্রী সমস্ত শূন্য পদ পূরণের ঘোষণা করবেন। আমরা এও আশা করব ওড়িশা, বিহারের মতো সমস্ত পার্ট টাইম শিক্ষক অধ্যাপক থেকে অন্যান্য শিক্ষা কর্মীদের স্থায়ীকরণের ঘোষণা করা হবে এই রাজ্য বাজেটে। উত্তর প্রদেশের মত যারা পেনশন পান তাদেরও স্পেশ্যাল ইনসেনটিভ ঘোষণা করা হবে। জমিনীতি বদল করে শিল্প ও  বাণিজ্যমুখী বাজেট হবে। সিঙ্গুরের জমিতে টাটা গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনার রোড ম্যাপ চূড়ান্ত হবে।’’

    আরও পড়ুন: দেশে প্রথম! উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পাশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী রয়েছে তাতে?

    মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলে বিরোধিতা

    সাধারণত রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বাজেট (State Budget 2024) অধিবেশন শুরু হয়। কিন্তু, এবার রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়নি। এই বিষয়টিকে ‘অষ্টম আশ্চর্য’ বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন সাধারণ মানুষের জন্য যদি বাজেট পেশ না হয়, যদি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সরকার, ভারতীয় জনতা পার্টি, তাঁদের সম্পর্কে অসংসদীয় কথা, রাজনৈতিক আক্রমণ এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সোচ্চার প্রতিবাদ জানাবে বিজেপি। উচ্চ কণ্ঠে বিরোধিতা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share