Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Akhil Giri: রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি ও তাঁর পুত্রকে নোটিশ আয়কর দফতরের

    Akhil Giri: রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি ও তাঁর পুত্রকে নোটিশ আয়কর দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, রাজ্যপালের নামে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। তার আগে, রাষ্ট্রপতির উদ্দেশেও কুমন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। এবার আয়কর দফতরের তরফে নোটিশ পাঠানো হল তাঁকে। আগামী ১৩ নভেম্বর অফিসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে মন্ত্রী পুত্র সুপ্রকাশ গিরিকেও।

    কী বলেছিলেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নন্দকুমার এবং কাঁথিতে পরপর দুটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি এবং তাঁর ছেলে সুপ্রকাশ গিরি আয়কর নোটিস পেতে চলেছেন। প্রকাশ্য জনসভা থেকে শুভেন্দু বলেন, “এমন কোনও দফতর নেই যেখানে হাত দিলে গন্ধ বেরবে না।” নাম উল্লেখ না করেই শুভেন্দু বলেন, “একজন অর্ধেক মন্ত্রী রয়েছেন। যিনি রাষ্ট্রপতির গায়ের রঙ নিয়ে কথা বলেছিলেন। উনি নেমতন্ন পেয়ে গিয়েছেন। আমার কাছে সব কাগজ রয়েছে।” পরে আবার অন্য একটি জনসভা থেকে তিনি দাবি করেছিলেন, অখিল গিরি ও তাঁর পুত্র নোটিস পেতে চলেছেন সেটি তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে শুনতে পেয়েছেন। তখন অবশ্য এমন জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ফের উদ্ধার হল ডায়েরি! কী লেখা রয়েছে তাতে?

    কী বললেন মন্ত্রী ও তাঁর পুত্র

    উল্লেখ্য, তৃণমূল পরিচালিত কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্য়ান হলেন সুপ্রকাশ গিরি। সূত্রের খবর, হাতে না পেলেও, মেল মারফত নোটিশ পেয়েছেন তিনি। নোটিশে তাঁকে স্বয়ং উপস্থিত হয়ে বা প্রতিনিধি পাঠিয়ে নথি জমা দিতে বলা হয়েছে। সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “বাবারটা বলতে পারব না। আমার কাছে হাজিরা দেওয়ার কোনও নোটিস আসেনি। তবে ইমেলে একটি নোটিস এসেছে। আগামী ১৩ তারিখ আমি বা আমার কোনও প্রতিনিধিকে আয়কর সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে যেতে বলা হয়েছে। আমি সহযোগিতা করব।” নোটিশ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন রাজ্যে কারামন্ত্রী অখিল গিরিও। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘নিয়ম মেনেই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে, অবশ্যই নোটিশের উত্তর দেব।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: এবার রাজ্যপালকে কুকথা অখিলের, বোসকে চিঠি লিখে কারামন্ত্রীকে সরানোর দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এবার রাজ্যপালকে কুকথা অখিলের, বোসকে চিঠি লিখে কারামন্ত্রীকে সরানোর দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে ক্ষমা চেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এ ব্যাপারে চিঠি লিখেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। কারামন্ত্রী অখিলকে বরখাস্ত করার আবেদনও জানিয়েছেন শুভেন্দু।

    কী বলছেন কারামন্ত্রী

    তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত দলে এক প্রকার ব্রাত্যই ছিলেন অখিল। পরে উজাড় গাঁয়ে তিনিই হন রাজা। তার পর থেকে একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করে চলেছেন তৃণমূল নেত্রীর গুডবুকে থাকতে চাওয়া অখিল। এক্স হ্যান্ডেলে অখিলের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখানে মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “এত হম্বিতম্বি কীসের? আমরা পারি না নাকি? আমরা পারি না? তোমার কলার ধরে তোমাকে ১০ মিনিটে জেলে ঢুকিয়ে দিতে পারি আমরা। আমরা পারি আমাদের কাছে যা কাগজ আছে। নবান্নয় যা কাগজ আছে, আমরা দেখছি। আমাদের হাতেও কাগজপত্র আছে।” অখিলের নিশানায় যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, তা স্পষ্ট।

    রাজ্যপালকে নিশানা অখিলের

    অখিলকে আরও বলতে শোনা যায়, “সেই জন্যই তো ১০ তারিখে আনন্দ বোস…আমরা কি আনন্দ বোস রাজ্যপালের ব্যাপারটা জানি না নাকি? কেন কুণাল ঘোষের পুজোর উদ্বোধন করতে গেছ, আমরা জানি না নাকি? হোয়াটসঅ্যাপে কী আছে তোমার? তুমি কেন ১০ তারিখে মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনার জন্য ডেকেছ? ১০০ দিনের কাজের কথা বলতে? আমরা জানি না! হোয়াটসঅ্যাপে কী আছে! তোমার কলঙ্ক আমরা ধরব। ছাড় পাবে না। আমাদেরও আইবি আছে, পশ্চিমবঙ্গের। আমাদেরও ফাইল রেডি।”

    রাজ্যপালকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “আপনার অধস্তন অখিল গিরি এর আগে রাষ্ট্রপতির নামে কুকথা বলে গোটা দেশের ধিক্কারের মুখে পড়েছিলেন। তার পরেও সংশোধন করেননি নিজেকে। এবার তিনি আপনাকে আক্রমণ করে বলেছেন, আপনার হোয়াটসঅ্যাপে রহস্যজনক কিছু রয়েছে। সেই জন্যই ১০০ দিনের কাজ নিয়ে আলোচনা করতে ১০ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করেছেন আপনি। এবার আপনার রাজ্য সরকারকে ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে সুপারিশ করা উচিত। রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালকে আক্রমণ করেন এমন কারও মন্ত্রী পদে থাকার অধিকার নেই। তাঁকে ওই পদ থেকে অপসারণ করা উচিত।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘জ্যোতিপ্রিয়র নির্দেশেই মন্ত্রীর সংস্থার ডিরেক্টর করা হয় মা ও স্ত্রীকে’’, দাবি প্রাক্তন আপ্ত-সহায়কের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: আয়কর রিটার্নের নথি প্রকাশ! ‘কালীঘাটে জমি দখল করে বাস করছেন,’ মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: আয়কর রিটার্নের নথি প্রকাশ! ‘কালীঘাটে জমি দখল করে বাস করছেন,’ মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়কর রিটার্নের নথি পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা চ্য়ালেঞ্জ ছুড়লেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, কারও নাম না করলেও বুধবার মমতা তাঁকেই নিশানা করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি লেখেন, ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আমাকেই টার্গেট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষিত সম্পত্তির থেকে এক পয়সা বেশি সম্পত্তি আছে প্রমাণ করুন।’

    কী বললেন শুভেন্দু

    হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ও দিঘা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভূমিকা নিয়ে বুধবার নবান্ন থেকে সুর চড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সময় এই দুই উন্নয়ন পর্ষদ কী করেছে, সেই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এরপরই  আয়কর রিটার্নের কপি তুলে ধরে এদিন মমতাকে পাল্টা জবাব দেন শুভেন্দু। সোশাল মিডিয়ায় বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, ‘গতকাল আপনি আমাকে আক্রমণ করেছেন এবং আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। যদিও আমার নাম নেওয়ার সাহস আপনার হয়নি।’ শুভেন্দু বলেন, “আমার ইনকাম ট্যাক্সে সব দেখানো আছে। পেট্রোল পাম্প ক’টা সব বৈধ। আপনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগের পেট্রোলপাম্প। ইনকাম ট্যাক্স দেখে নেবেন। ২০২১ সালে শুভেন্দু অধিকারীর হলফনামা দেখে নেবেন।”

    সোশাল মিডিয়ার পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী আরও লিখেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সিআইডি, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (EB), ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চকে (IB) দিয়ে তদন্ত করান। আয়কর রিটার্নের বাইরে ‘এক পয়সা’ও উপার্জন করেছি বা এরকম কোনও সম্পদ বা সম্পত্তি আছে কি না তা, প্রমাণ করুন।’ এরপরই চ্যালেঞ্জ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কালীঘাটে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে যেখানে আপনি জমি দখল করে বাস করছেন, তার চুক্তি প্রকাশ্যে আনুন। জমির দখল বৈধ না অবৈধ সেটা সবাইকে জানতে দিচ্ছেন না কেন? আশা করি, আপনি আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন।’ 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: “উর্দির সম্মানরক্ষা করুন”, শুভেন্দুর দাদার মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Justice Abhijit Ganguly: “উর্দির সম্মানরক্ষা করুন”, শুভেন্দুর দাদার মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দাসের মতো কাজ করেছে পুলিশ।” বুধবার এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দুকে পুলিশ যে নোটিশ পাঠিয়েছিল, তাও খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

    কৃষ্ণেন্দুকে তলব

    মেচেদা-দিঘা বাইপাসে বাতিস্তম্ভের সৌন্দর্যায়ন মিশনে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সাক্ষী হিসেবে নোটিশ পাঠানো হয় কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে। তিনি শিশির অধিকারীর বড় ছেলে। রাজনীতি করেন না। করেন ব্যবসা। এই কৃষ্ণেন্দুর পাশাপাশি শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দুর স্ত্রী সুতপাকেও নোটিশ পাঠায় পুলিশ। দিব্যেন্দু তমলুকের সাংসদ। বুধবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। এই মামলার শুনানিতেই পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় পুলিশ ঠিক কাজ করেনি।

    এসডিপিওর জরিমানা ৫ লক্ষ টাকা

    এগরার এসডিপিওকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করে আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) মন্তব্য, “উর্দিতে যে অশোকস্তম্ভ রয়েছে, তার সম্মানরক্ষা করেননি এসডিপিও। দাসের মতো কাজ করেছে পুলিশ।” তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মামলায় কৃষ্ণেন্দুকে আর কোনও নোটিশ পাঠাতে পারবে না পুলিশ। তিনি বলেন, “যদি পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে, তার বিরুদ্ধে আমি পদক্ষেপ করব।”

    বছর কয়েক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। তিনি যতদিন ঘাসফুল শিবিরে ছিলেন, ততদিন কোনও অভিযোগ ওঠেনি। ধারাবাহিক অভিযোগ উঠতে শুরু করে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু গোহারান হারান খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার পরেই বাড়তে থাকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগের মাত্রা। বিজেপির অভিযোগ, এর পরেই অধিকারী পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়।

    আরও পড়ুুন: রামমূর্তির অধিষ্ঠান হবে সোনার প্রলেপ দেওয়া সিংহাসনে, তৈরি হচ্ছে রাজস্থানে

    এমনই একটি মামলা হল, ‘গ্রিন সিটি মিশন’ প্রকল্পে দুর্নীতি। ২০১৭-১৮ সালে গ্রিন সিটি মিশনে মেচেদা-দিঘা বাইপাসে বাতিস্তম্ভের সৌন্দর্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয় কাঁথি পুরসভা। এই মিশনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রায় তিন কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগ। এই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয় কৃষ্ণেন্দুকে। ২০১১ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত আয়করের ফাইলও চেয়ে পাঠানো হয় তাঁর কাছে (Justice Abhijit Ganguly)। তলব করা হয় দিব্যেন্দুর স্ত্রীকেও। দুজনকেই ১৬০ এর নোটিশ পাঠান কাঁথি থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “টাটাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তৃণমূলের ফান্ড থেকে, না হলে আন্দোলন”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “টাটাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তৃণমূলের ফান্ড থেকে, না হলে আন্দোলন”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “টাটা গোষ্ঠীকে ক্ষতিপূরণ সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় নয়, দিতে হবে তৃণমূলের ফান্ড থেকে।” মঙ্গলবার এমনই দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “তৃণমূলের পার্টি ফান্ডে নির্বাচনী বন্ডে ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে। এর মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা দিয়েছে ডিয়ার লটারি। সেই টাকা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হবে। ওরা ডিএ-র মতো উচ্চ আদালতে যাবে। কিন্তু কিছু লাভ হবে না।”

    আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

    টাটাকে ক্ষতিপূরণের টাকা তৃণমূলের ফান্ড থেকে দেওয়া না হলে বিধানসভার ভিতরে-বাইরে আন্দোলন হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, “এই আজকে উনি (মুখ্যমন্ত্রী) নবান্ন যাচ্ছেন। পুজোয় মদ বিক্রি করে যে ৬০০ কোটি টাকা পেয়েছেন, তা এভাবেই বেরিয়ে যাবে।” তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকেও নিশানা করেছেন শুভেন্দু। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে। ৭০ জন চেয়ারম্যান ও ১৪ জন বিধায়ক সব ডুবে দুর্নীতিতে। বাংলায় বর্তমান সরকারের মন্ত্রী থেকে জনপ্রতিনিধিরা যেভাবে চুরির সঙ্গে যুক্ত, তা ইডি ও সিবিআই প্রকাশ্যে আনছে। শিক্ষা থেকে খাদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতৃত্ব যেভাবে ইডি ও সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হচ্ছেন, তাতে বর্তমান সরকারের সমালোচনা বেড়ে চলেছে। সামনে ২৪ লোকসভা নির্বাচন। তাতে কতটা প্রভাব পড়বে, তা বলবে সময়।”

    রাজ্যকে বাণ লকেটেরও

    সিঙ্গুর ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন হুগলির সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “শিল্প তাড়িয়ে দেওয়ার অভিশাপ পেতে হচ্ছে বাংলার মানুষকে। এই রায়ে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা রাজ্যকে দিতে হবে। এদিকে না হয়েছে শিল্প, না জমি ফেরত পেল কৃষকরা। সরকার এই টাকা কীভাবে দেবে? দিতে হলে তারা জনগণের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেবে। রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা প্রত্যেকটা দল যেমন সিপিএম নিজের মতো করে রাজনীতি করে গিয়েছে। এরপর তৃণমূল নিজের মতো করে রাজনীতি করছে। কিন্তু আখেরে রাজ্যের কোনও লাভ হয়নি। জমি ফেরত দেওয়ার নামে এরা শিল্পটাকে বন্ধ করেছে (Suvendu Adhikari)।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘এত বড় শিল্পপতিকে ওখান থেকে সরানো ঠিক হয়নি’’, সিঙ্গুর ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিলীপের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পরেই মমতার বাড়িতে গোপন বৈঠক! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পরেই মমতার বাড়িতে গোপন বৈঠক! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতার হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গোপন বৈঠক হয়েছিল। এমনই বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দুর বিস্ফোরক দাবি

    তাঁর অভিযোগ, ইডির তলব পাওয়া ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র দুই অধিকর্তাকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি সমন পাঠিয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা ও বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শুভেন্দুর অভিযোগের আঙুল এঁদের দিকেই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর রবিবার সন্ধ্যায় মমতার বাসভবনে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা জানা থাকলেও, আমি প্রকাশ্যে বলব না।” 

    কারা ছিলেন বৈঠকে?

    তাঁর দাবি, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মমতা, অভিষেক, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। শুভেন্দু বলেন, “বৈঠকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার একটি ল্যাপটপ নিয়ে ঢুকেছিলেন। অনেক রাত পর্যন্ত সেই বৈঠক চলেছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইডির সমন পাওয়া লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির দুই অধিকর্তা এখন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে থাকবেন। তাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির বাইরে বসেছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি সিসিটিভি। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি প্রহরা। অভিষেক এখন থেকে মমতার সমান নিরাপত্তা পাবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই বৈঠকে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘সোনাকে ছাইয়ে পরিণত করেছেন উনি’’, সিঙ্গুর ইস্যুতে মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি যে মিথ্যে নয়, তা স্বীকার করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো আগে থেকেই তদন্তের গতিবিধি সম্পর্কে আঁচ করতে পারেন। উনি আগের দিনই বলেছেন, অভিষেকের শরীর খারাপ। উনি আঁচ করতে পারছেন, তদন্তের অভিমুখ কোন দিকে। তাই রাজ্য পুলিশের ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে ভাইপোকে আগলাতে চাইছেন।” বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠক কোথায় হবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছি। শুনেছি, আরও কিছু মন্ত্রী জেলে যেতে পারেন। কলকাতায় বড় পুজো করেন, এমন মন্ত্রীরও জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: “বালুর হস্ত করে সমস্ত…” রেশন দুর্নীতিতে রাজ্যের মন্ত্রীর যোগ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: “বালুর হস্ত করে সমস্ত…” রেশন দুর্নীতিতে রাজ্যের মন্ত্রীর যোগ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার আঙ্গিকে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের একবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) নিয়ে সরব হলেন তিনি। এদিন এক কল্পিত ভাব সম্প্রসারণের কথা উল্লেখ করেন তিনি। শুভেন্দু লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, ভবিষ্যতে পরীক্ষার খাতায় ভাব সম্প্রসারণ আসতে পারে, “এ জগতে, হায়, সেই বেশি চায়, আছে যার ভুরি ভুরি; বালুর হস্ত করে সমস্ত রাজ্যবাসীর রেশন চুরি।’

    কী লিখলেন শুভেন্দু

    এই ভাব সম্প্রসারণের সারমর্মও তুলে ধরেন শুভেন্দু। রাজ্যোর বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘বালুর সম্পদের প্রাচুর্য আছে, তাই সে চায় তার সম্পদের পরিমাণ আরও বাড়াতে। এতে সে নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। পশ্চিমবঙ্গে তোলামূল নেতাদের বে-আইনি অর্থের তৃষ্ণা কখনও মেটে না। চুরি করে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েও তাদের বে-আইনী অর্থ স্পৃহার অবসান হয় না। তাদের ‘যত পাই, তত চাই’ অবস্থা। তারা সম্পদ বাড়ানোর নেশায় দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে। ভাল-মন্দ, হিত-অহিত, সত্য-মিথ্যা, নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে নিজেদের নামে, আত্মীয় স্বজনদের নামে, “বান্ধবীদের” নামে কেবলই ধন-সম্পদ, সোনা হীরা, ফ্ল্যাট, খামার বাড়ি ইত্যাদি আহরণ করতে থাকে। 

    এদিন বিধাননগরে ইডি দফতরে দেখা যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick)  দাদা দেবপ্রিয়কে। তাঁকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘পাবলিক সার্ভিস কমিশনটা লুট করেছে তো। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের দীর্ঘদিনের সদস্য দেবপ্রিয় মল্লিক। উনি দু’নম্বরির মাস্টার।’ শুভেন্দু জানান ইডির তদন্তে উঠে এসেছে দিঘায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বেনামে বিলাসবহুল ৪টি হোটেল রয়েছে। হোটেলের নাম, ছবি এবং লিজ হোল্ডারদের নাম প্রকাশ করে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সম্পত্তির খতিয়ানও তুলে ধরেন শুভেন্দু।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন দুর্নীতির উৎসে পৌঁছতে ইডির নজরে ২৫টি মোবাইলের তথ্য, কী আছে তাতে?

    Ration Scam: রেশন দুর্নীতির উৎসে পৌঁছতে ইডির নজরে ২৫টি মোবাইলের তথ্য, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশনের (Ration Scam) খাদ্য বণ্টন দুর্নীতির ছকের মূল কাণ্ডারি কে? এই তথ্য সন্ধান করতে, এবার ইডির নজরে ২৫টি মোবাইল। সূত্রের খবর, কীভাবে দুর্নীতির ছক কষা হয়েছিল? প্রকৃত মাথা কে? সেই সম্পর্কে জানতেই মোবাইলে থাকা তথ্যের খোঁজ করা হচ্ছে। এই মোবাইলগুলি হল, ধৃত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের। ইডির আরও দাবি, এই দুর্নীতির মাধ্যমেই কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।

    নজরে ২৫ টি মোবাইল (Ration Scam)

    ইডি সূত্রের দাবি, দুর্নীতির (Ration Scam) বড় পরিকল্পনা, উৎসের মাথা সন্ধানে এই মোবাইলগুলির চ্যাট এবং কলগুলি বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হতে পারে। তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের সময়, প্রশ্ন-উত্তর পর্বে, ব্যবহারকারীর মোবাইলগুলির কথোপকথন পরীক্ষা করা হবে। ইতিমধ্যে বাকিবুরের মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট বিষয়ে ফরেনসিক পরীক্ষার কথা আদালতে আগেই জানিয়েছে ইডি। চ্যাটে স্পষ্ট ভাবে লেখা ছিল, “এমআইসিকে পেমেন্ট করা হয়ে গিয়েছে।” টাকার অঙ্ক ছিল ৬৮ লাখ। সেই সঙ্গে আরও একটি মোবাইলের চ্যাটে ১২ লাখ টাকা পাঠানোর কথা বলা হয়ছে, বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই জ্যোতিপ্রিয়র আপ্তসহায়ক অমিত দে এবং প্রাক্তন পিএ অভিজিৎ দে-কে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়, তাঁদের মোবাইলগুলির চ্যাট এবং কলের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে ইডি। সেই সঙ্গে মন্ত্রী বালুর মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করছে ইডি। তাঁর মোবাইল থেকেও দুর্নীতির তথ্য মিলতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    বিস্ফোরক শুভেন্দু

    রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) কাণ্ডে, মমতার ক্যাবিনেট মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তীব্র আক্রমণ করেছেন তৃণমূলকে। তিনি বলেন, “এই রেশন দুর্নীতির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় রোজ নিজের রক্ষীর মোবাইল থেকে মমতাকে ফোন করতেন। আর তাই আমি বলবো, ইডি যেন এই মোবাইলগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে পরীক্ষা করে এবং দুর্নীতির মাথাকে খোঁজ করে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Distribution Scam: ‘রেশন কেলেঙ্কারিতে খতিয়ে দেখা হোক মমতার ভূমিকা’, ইডিকে আর্জি শুভেন্দুর

    Ration Distribution Scam: ‘রেশন কেলেঙ্কারিতে খতিয়ে দেখা হোক মমতার ভূমিকা’, ইডিকে আর্জি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Ration Distribution Scam) মামলায় এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে ইডিকে আর্জি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর। এক্স হ্যান্ডেলে ইডির ডিরেক্টরকে ওই আর্জি জানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    শুভেন্দুর নিশানায় মমতা

    শুক্রবার শুভেন্দু লেখেন, “২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতির পাহাড়ের সঙ্গে যুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজর থেকে বাঁচাতে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালে খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী করেননি।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, খাদ্য দফতর থেকে সরানো হলেও, দুর্নীতির টাকা সুবিধাভোগীদের হাত পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেন্সিয়াল কমোডিটিজ সাপ্লাই কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করা হয়। এই কমিশনের মাধ্যমেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্য দফতরের সঙ্গে যোগসাজশ রেখেছিলেন। শুভেন্দুর দাবি, ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেন্সিয়াল কমোডিটিজ সাপ্লাই কমিশনের এমডি পদে বসানো হয় অবসরপ্রাপ্ত এক আইএএস আধিকারিককে।

    মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হোক

    এ সুব্বিয়াহ নামে ১৯৯২ সালের আইএএস ব্যাচের এক অফিসারকে নিয়োগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আমলার বিরুদ্ধে আগে থেকেই সিবিআই তদন্ত চলছে (Ration Distribution Scam)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাজ্যের পার্সোনেল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ দফতরের মন্ত্রী। সুতরাং তাঁর অনুমতি ছাড়া ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেন্সিয়াল কমোডিটিজ সাপ্লাই কমিশনের এমডি পদে ওই আমলাকে বসানো সম্ভব নয়।

    তাই রাজ্যের রেশন বণ্টন দুর্নীতি নিয়ে ইডি যে তদন্ত করছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হোক। শুভেন্দুর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বেআইনিভাবে টাকা তুলুন এবং তার অংশ নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পাঠান। সেই জন্যই মুখ্যমন্ত্রী ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেন্সিয়াল কমোডিটিজ সাপ্লাই কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান করেন জ্যোতিপ্রিয়কে।

    আরও পড়ুুন: ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ, রায় শুনেই আদালতে জ্ঞান হারালেন জ্যোতিপ্রিয়

    বৃহস্পতিবার টানা কুড়ি ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয়কে। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর এবং তাঁর আপ্ত সহায়কের বাড়িতে। জ্যোতিপ্রিয়র কথায় অসঙ্গতি খুঁজে পান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। তার জেরে শুক্রবার কাকভোরে (Ration Distribution Scam) গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘‘চাল কেনার ভুয়ো হিসাব দেয় রাজ্য’’, জ্যোতিপ্রিয় ইস্যুতে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘চাল কেনার ভুয়ো হিসাব দেয় রাজ্য’’, জ্যোতিপ্রিয় ইস্যুতে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সাত সকালেই রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে হানা দেয় ইডি। টানা ২১ ঘণ্টা তল্লাশির পরে গভীর রাতেই গ্রেফতার করা হয় মমতা মন্ত্রিসভার এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া বাকিবুর রহমানের সূত্র ধরেই উঠে আসে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম। গতকাল মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলার সময়ে রাজ্যের বনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। 

    ‘‘চোরেদের বাঁচাতে সরব হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    গতকাল জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে ইডি পৌঁছতেই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে সরব হন মমতা। আক্রমণ করেন বিজেপিকে। বিকেলে এর জবাব দেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বলেন, ‘‘উনি তো এস্টাবলিশড লায়ার। আমি ওনাকে বলব যে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার যাওয়ার প্রতিবাদে সিজিও কমপ্লেক্সে ধর্নায় বসুন। এর আগে যেভাবে আপনি কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের জন্য ধর্না এবং ফিরহাদ হাকিমের ও অন্যান্যদের গ্রেফতারের সময় সিজিও কমপ্লেক্সে আইন ভেঙে আন্দোলন করেছিলেন।’’ এখানেই থেমে থাকেননি শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘ওনার যদি মনে হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কাউকে হেনস্তা করছে তার জন্য উনি শীর্ষ আদালতে যান না। তা না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ইডি কিংবা সিবিআই তদন্তে গেলেই চোরেদের বাঁচাতে সরব হচ্ছেন।’’

    কেন্দ্রের দেওয়া টাকা চুরি

    সাংবাদিক বৈঠকে জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা চুরির অভিযোগ আনেন শুভেন্দু। এর পাশাপাশি বাকিবুরকে চাল কেনার টেন্ডার জ্যোতিপ্রিয় পাইয়ে দিয়েছেন বলেও দাবি করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি বছর ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা যায়, যার মধ্যে ৫০ শতাংশই ভুয়ো। চাল কেনার জন্য অগ্রিম টাকা দেয় ভারত সরকার। কৃষকদের সর্বনাশ করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ২০২১-২২ সালে ৫ লক্ষ মেট্রিক টন চালের দরপত্র টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বাকিবুরকে।’’

    নিউ দিঘায় মন্ত্রীর স্ত্রীর নামে হোটেল

    ২০১৬ সালে নোটবন্দির সময় সল্টলেকের ব্যাঙ্কে ৪ কোটি টাকা জ্যোতিপ্রিয় বদল করেন বলে দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। জ্যোতিপ্রিয় ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, ‘‘নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনায় এমন কোনও অপকর্ম নেই, যা করেনি। মমতা ব্যানার্জিকে প্রশ্ন করতে চাই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর স্ত্রীর নামে নোটবন্দির সময় সল্টলেকের ব্যাঙ্কে ৪ কোটি টাকা বদল করা হয়েছে। সেটা কি আপনার টাকা? জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী এবং তাঁর পিএ নিউ দিঘা ও বিভিন্ন জায়গায় কতগুলি হোটেল করেছে, তার খবর কি আছে আপনার কাছে? নাকি আপনার পার্টির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন বলে সেই টাকা ৭৫-২৫ ভাগ করে দলেও আসত? এখন কোষাধ্যক্ষ রয়েছেন কি না জানি না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share