Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Fake Job Card: মনরেগা প্রকল্পে দুর্নীতির খোঁজ! ভুয়ো জব কার্ড ধরতে কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    Fake Job Card: মনরেগা প্রকল্পে দুর্নীতির খোঁজ! ভুয়ো জব কার্ড ধরতে কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনরেগা প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তে এবার তিন সদস্যের কমিটি গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। যাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় কাজ করছেন তাঁদের সকলের জব কার্ড (Fake Job Card) বৈধ কি না তা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। বৃহস্পতিবার জব কার্ড সংক্রান্ত মামলায় এই কমিটি তৈরি করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ওই কমিটিতে থাকবেন রাজ্য, কেন্দ্র, ক্যাগ বা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া এবং অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের এক জন করে প্রতিনিধি।

    কিসের ভিত্তিতে কমিটি

    ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এর মধ্যে একটি করেছিল শ্রমিকদের একটি সংগঠন। অন্যটি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ক্ষেত মজদুর সংগঠনের দাবি ছিল, তাঁরা ১০০ দিনের কাজ করেছেন। অথচ কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে এই নিয়ে টানাপড়েনের জন্য প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে, শুভেন্দু আদালতকে বলেছিলেন, ১০০ দিনের কাজের নামে বিপুল দুর্নীতি (Fake Job Card) হয়েছে বাংলায়। বৃহস্পতিবার এই দু’টি মামলারই শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। বেঞ্চ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছে।

    আরও পড়ুন: কালীঘাটে গেরুয়া শিবিরের রাম পুজোতে পুলিশের ‘না’, হাইকোর্ট দিল অনুমতি

    কী বলল আদালত

    এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানতে চান, বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক কী? প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “দুর্নীতি যতই থাক, যাঁরা প্রকৃত দরিদ্র, তাঁদের জন্য কী করা হয়েছে? কাউকে তো দায়িত্ব নিতে হবে।” কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই হলফনামা দিয়ে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, বিপুল দুর্নীতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুরুলিয়ায় এই দুর্নীতির সন্ধান পাওয়া যায়। আদালত যদি সিবিআইকে নির্দেশ দেয় তাহলে সিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে পারে। আদালত জানিয়েছে, অভিযোগের গভীরে পৌঁছতে হলে আগে দেখতে হবে যাঁরা প্রাপ্য অর্থের দাবি করছেন, তাঁদের জব কার্ড (Fake Job Card) বৈধ কি না। তাই ভুয়ো জব কার্ড ধরতে বা সঠিক জব কার্ড যাচাই করতেই বৃহস্পতিবার ওই কমিটি তৈরি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: আরও চাপে শাহজাহান! বিজেপি কর্মী খুনের মামলার কেস ডায়েরি চাইল হাইকোর্ট

    Sheikh Shahjahan: আরও চাপে শাহজাহান! বিজেপি কর্মী খুনের মামলার কেস ডায়েরি চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্ন আদালতে বিচারাধীন যে সমস্ত খুনের মামলায় নাম রয়েছে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan), সেগুলির বিচার প্রক্রিয়ার উপরে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনও রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না এই মামলাগুলিতে। বুধবার এমন নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তবে তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে পারবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

    বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে মামলা করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতার দাবি, পুলিশ সবকিছু জেনেও শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ধরেনি। সেই প্রেক্ষিতে সিআইডির চার্জশিট চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই বা এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলা করেন শুভেন্দু। বুধবার এই মামলার কেস ডায়েরিও চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট।  কলকাতা হাইকোর্টের এদিনের নির্দেশের পরে শাহজাহানের ওপরে চাপ অনেকটাই বেড়ে গেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ২০১৯ সালে সন্দেশখালিতে খুন ৩ জন বিজেপি কর্মী

    প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ৬ জুন সন্দেশখালিতে খুন হন বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। কিন্তু সিআইডি তদন্তে চার্জশিট থেকে বাদ পড়ে যায় শাহজাহানের নাম। সেই খুনের অভিযোগ সামনে এনে হাইকোর্টের নতুন করে সিবিআই এবং এনআইএ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে খুন হওয়া বিজেপি কর্মীদের পরিবারের তরফ থেকে। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে সম্প্রতি ইডি অফিসাররা আক্রান্ত হন। হামলা চালানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেও। তারপর থেকেই বেপাত্তা শাহজাহান।

    শাহজাহানের নাম বাদ পড়ে চার্জশিট থেকে

    জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীদের খুনের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ন্যাজাট থানায়। তদন্তের পরে শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) সমেত ২৫ জনের নাম বাদ পড়ে চার্জশিট থেকে। মামলার মূল অভিযুক্ত হিসেবে চার্জশিটে নাম ছিল মইজুদ্দিন মোল্লা ও জাভেদ আলি মোল্লার। জানা যায়, পরে এই দুই তৃণমূলের দুষ্কৃতীও জামিন পেয়ে যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি মমতার কর্মসূচিতে নষ্ট হবে সম্প্রীতির পরিবেশ, হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি মমতার কর্মসূচিতে নষ্ট হবে সম্প্রীতির পরিবেশ, হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারির রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন, সেদিনই আবার কলকাতাতে সংহতি যাত্রার ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর এই বিতর্কিত কর্মসূচি নিয়ে এবার জল গড়াল হাইকোর্ট পর্যন্ত। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন এই মর্মে যে সংহতি যাত্রা হলে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। বুধবারই জনস্বার্থ মামলার আবেদন জানান নন্দীগ্রামে বিধায়ক। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলায় অন্যতম পার্টি হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। বৃহস্পতিবারই শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি মমতার

    রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে রামভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সারা দেশ জুড়ে এই দিনটি উদযাপন হবে। ধর্মস্থানগুলিতে চলবে কীর্তন। এই দিনেই মমতার ঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ওই দিন কলকাতা সমেত প্রত্যেকটি জেলায় এবং ব্লকগুলিতে মিছিল করবে তৃণমূল। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ওয়াকিবহল মহলের ধারণা, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ওই দিনেই। এমন কর্মসূচি ২২ জানুয়ারির আগে বা পরে করা যেতেই পারতো। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের সঙ্গে সম্প্রীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগানোর উদ্দেশ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আশঙ্কা যে ওইদিন রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান (Ram Mandir) হবে, সেখানে বিভিন্ন জায়গায় সম্প্রীতির পরিবেশ বিঘ্নিত করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচি।

    সমালোচনায় দিলীপ ঘোষ

    অন্যদিকে ২২ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচির নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘সব রামের (Ram Mandir) ইচ্ছা। যারা চিরদিন জাতীয় সংহতির বিরুদ্ধে কাজ করে এসেছে, তারাই সংহতি মিছিল করছে। এর থেকে বড় বিড়ম্বনা আর কী হতে পারে। দেশে বা কেন্দ্রে যা অনুষ্ঠান হয়, তার সবসময় উনি বিরোধিতা করে এসেছেন। এটাকেই উনি রাজনীতি মনে করেন। তাই আজ উনি এমন জায়গায় পৌঁছে গেছেন, তার আলাদা জাতীয় সঙ্গীত চাই, আলাদা জাতীয় পতাকা চাই, আলাদা কোর্ট চাই, আলাদা পার্লামেন্ট চাইবেন। যার চিন্তাভাবনার মধ্যে সংহতি নেই, তিনি যতই সংহতি যাত্রা করুন, কিছু হবে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: তাঁর কাছে জমি চেয়েছিলেন অনুকূল ঠাকুর! মমতার মন্তব্যে বিতর্ক, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তাঁর কাছে জমি চেয়েছিলেন অনুকূল ঠাকুর! মমতার মন্তব্যে বিতর্ক, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেখানেই তিনি দাবি করেন, যুগাবতার অনুকুল ঠাকুর নাকি তাঁর কাছে জমি চেয়েছিলেন এবং তিনি তা দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর বয়ানের ওই ভিডিও ইতিমধ্যে নিজের এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কমেন্ট বক্সে ভেসে আসছে নানা মন্তব্য। মুখ্যমন্ত্রীর এধরনের মন্তব্য অবশ্য নতুন নয়। গতবছর দেশের চন্দ্রাভিযানের সময় তিনি বলেন, রাকেশ রোশন চাঁদে গিয়েছিলেন।

    কী লিখলেন শুভেন্দু?

    মুখ্যমন্ত্রীর বয়ানের ওই ভিডিওটি পোস্ট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং তিনি সেখানে লেখেন, “যুগাবতার পুরুষোত্তম্ শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ১৯৬৯ সালে দেওঘরে দেহ ত্যাগ করেন। উনি কি আপনাকে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন জমির ব্যাপারে? এই সব মিথ্যাচারের জন্য আপনি ক্ষমা চান এবং কোনও অভিজ্ঞ মানসিক চিকিৎসাবিদের তত্ত্বাবধানে নিজের মস্তিষ্কের চিকিৎসা করান। আপনার সুস্থতা কামনা করি।” 

    শুভেন্দুর সাংবাদিক বৈঠক

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মঙ্গলবার বিকেলে এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন এবং সেখানে তিনি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী এমনকাণ্ড নতুন করছেন না, এর আগে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরকেও তিনি অসম্মান করেছেন। এর আগে তিনি এও দাবি করেছেন ইসকনকেও নাকি তিনি জমি দিয়েছেন। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর মত হল যে তারা নাকি দাঙ্গা করে। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, অনুকুল ঠাকুরের ভক্তদের কথা চিন্তা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দেওঘরে এইমস-এর মতো হাসপাতাল বানিয়ে দিয়েছেন এবং বিমানবন্দর তৈরি করে দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: নবদ্বীপে আক্রান্ত এবিভিপি, সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

    ABVP: নবদ্বীপে আক্রান্ত এবিভিপি, সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজে তৃণমূলের বর্বরোচিত হামলার শিকার এবিভিপি-এর (ABVP) এক ছাত্র ও তিন ছাত্রী। মঙ্গলবার সকালের তৃণমূলের এই হামলার পরেই উত্তেজনা ছড়ায় গোটা শহরজুড়ে। ঘটনায় আক্রান্তদের গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো পরে অবস্থার অবনতি শুরু হয়। শক্তি নগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় পড়ুয়াদের। ঘটনার পরে ঠিক সন্ধ্যার সময় বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন।

    এটাই প্রথম নয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই এই সংঘর্ষ চলছে কলেজে। আসলে পায়ের তলায় মাটি হারিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এমনই শোনা গেল কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিভিপি (ABVP) নেত্রী সুজাতা বিশ্বাসের কথায়। তিনি আরও জানান, কলেজে প্রায়ই নেশাদ্রব্য উদ্ধার হয়, ছাত্রী পড়ুয়াদের প্রতিও ভেসে আসে কটূক্তি। এসবের প্রতিবাদ জানালেই তৃণমূলের হামলার শিকার হন আমাদের ছাত্র নেতৃত্ব। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    শুভেন্দু অধিকারীর ট্যুইট

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং লেখেন, ‘‘জাতীয়তাবাদী ছাত্র সংগঠন এবিভিপির ওপর এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’’

    উইকেট দিয়ে মার ছাত্রীদের

    মঙ্গলবার ছাত্রীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তৃণমূলের বাহিনী। উইকেট দিয়ে তাঁদেরকে মারধর করা হয়। এবিভিপির (ABVP) তরফ থেকে শুভ সাহা বলেন, “এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়েছে। মাটিতে ফেলে মারা হয়েছে ওদের। কলেদের ভিতরে এই ধরনের যে সব ঘটনা ঘটছে, তার দায় নিতে হবে কলেজের অধ্যক্ষকে। ওঁর জন্যই এই সব ঝামেলা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মোদির জনপ্রিয়তা বাড়ায় উজ্জ্বলা যোজনা বন্ধের ফন্দি আঁটছেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মোদির জনপ্রিয়তা বাড়ায় উজ্জ্বলা যোজনা বন্ধের ফন্দি আঁটছেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উজ্জ্বলা যোজনার জেরে ঊর্ধ্বগামী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার লেখচিত্র। তাই পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের এই যোজনা বন্ধ করার ফন্দি আঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্য প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন তিনি। মঙ্গলবার এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ট্যুইট-বাণ হানলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)। এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠিও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    কী বলছেন শুভেন্দু?

    সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত। আতঙ্কিত কারণ পশ্চিমবঙ্গের ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২২টি বাড়ি থেকে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তিনি রাজ্যের মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার মতো প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করছেন। এবার প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার জনপ্রিয়তা টের পেয়ে প্রকল্পটি রাজ্যে বন্ধ করতে তিনি প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন।”

    মুখ্যসচিবকে চিঠি

    রীতিমতো তথ্য দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, উজ্জ্বলা যোজনার প্রথম পর্বে মোট উপভোক্তার ১১ শতাংশ ও দ্বিতীয় পর্বে মোট উপভোক্তার ১৭.২৬ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। আমি এ ব্যাপারে মুখ্যসচিবের হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁকে চিঠি লিখেছি। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখার পর এই রাজ্যে প্রকল্পটি বন্ধ করতে প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন মমতা। ট্যুইটে পশ্চিমবঙ্গে উজ্জ্বলা যোজনার পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুুন: ‘পলাতক’ দুই ঋণখেলাপির খোঁজে লন্ডন যাচ্ছেন গোয়েন্দারা!

    চিঠিতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “অনেক গরিব মানুষ এলপিজি সংযোগের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার জন্য তাঁদের নিকটতম পরিবেশকদের সঙ্গে দেখা করলে তৎক্ষণাৎ তাঁদের আবেদনপত্র প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। একটি অযৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা বর্তমানে চালু নেই। এবং কোনও নতুন অ্যাপ্লিকেশনও গ্রহণ করা হচ্ছে না।

    কয়েকজন ডিস্ট্রিবিউটরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তাঁরা আমাকে গোপনে জানিয়েছেন যে, তাঁদের নিজ নিজ জেলার ম্যাজিস্ট্রেটরা নতুন সংযোগের জন্য আর কোনও আবেদন গ্রহণ না করার জন্য মৌখিক নির্দেশ জারি করেছেন। নির্দেশ না মানলে তার ফল ভালো হবে না বলেও তাঁদের শাসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন, এখনও অধরা শাহজাহান

    North 24 Parganas: সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন, এখনও অধরা শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন জন। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় মোট গ্রেফতারে সংখ্যা দাঁড়াল সাত। তবে যাঁকে কেন্দ্র করে ইডির রেশন দুর্নীতি তদন্তের তল্লাশি অভিযান হয়েছিল সেই তৃণমূল নেতা শাহজাহানকে এখনও পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এই নিয়ে পুলিশ প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী দল বিজেপি।

    শাহজাহানের অনুগামীরা আক্রমণ করেছিল (North 24 Parganas)

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির (North 24 Parganas) সরবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি রেশন দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করতে যায়। উল্লেখ্য রাজ্যের রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে প্রথমে বাকিবুর রহমান এবং এরপর তৃণমূলের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আর্থিক লেনদেনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে ইডি। আর এই নিয়ে তদন্তে করতে গেলে সরবেড়িয়ায় আক্রান্ত হতে হয় তদন্তকারী অফিসারদের। তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মার খেতে হয়। ভাঙা হয় গাড়ি এবং সংবাদ মাধ্যমকেও করা হয় মারধর। এলাকায় ৮০০ থেকে ১০০০ লোক যারা শাহজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত তারা হামলা চালায়। এরপর ঘটনায় প্রতিক্রিয়তা স্বরূপ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বলেন ‘রাজ্যে জঙ্গল রাজত্ব’ চলেছে। একই ভাবে রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার, শাহজাহানকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গে আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা দেখা যায়নি। ঘটনায় নেজাট থানায় ইডি প্রথম একটি এফআইআর দায়ের করে। এরপর পুলিশ নিজে থেকে অপর আরেকটি মামলা করে এবং ইডির তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে এলাকার মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ জানিয়ে অতিরিক্ত আরও একটি এফআইআর করা হয়। এই ঘটনায় মোট এখনও পর্যন্ত তিনটি মামলা করা হয়েছে।

    ইডি সূত্রে দাবি

    সন্দেশখালি (North 24 Parganas) ঘটনার পর থেকে শাহজাহানের কোনও রকম সন্ধান না পাওয়া গেলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানিয়েছে, আক্রমণের দিনে তৃণমূল নেতা নিজের বাড়িতে ছিলেন। ইডির তদন্ত থেকে বাঁচতে বিক্ষোভ-হামলার ঘটনা ঘটিয়ে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। যদিও আইনজীবীর মাধ্যেম এই তৃণমূল নেতা কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে সন্দেশখালি মামলায় যুক্ত হতে চান বলে আবেদন করেছেন তিনি। এই মামলায় তাঁর বক্তব্য কোর্ট যেন শোনে, একথাও আবেদনে উল্লেখ করেন। এই মামলায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপির বিধায়ক এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, “শাহজাহান পুলিশের সংরক্ষণেই রয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মহিলাকে ব্যাপক বাঁশপেটা করলেন  তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য! মারধরের ভিডিও ভাইরাল

    North 24 Parganas: মহিলাকে ব্যাপক বাঁশপেটা করলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য! মারধরের ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি। জমি সংক্রান্ত বিবাদের মীমাংসা করতে গিয়ে খোদ শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধেই উঠল মহিলাকে বাঁশপেটানোর অভিযোগ। চলল সেই সঙ্গে লাথি এবং ঘুষিও। মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর মেয়েও। তৃণমূল নেতার মারধরের সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) দত্তপুকুরে।

    বাঁশ তুলে মার মহিলাকে (North 24 Parganas)

    দত্তপুকুর (North 24 Parganas) দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়পুল মেঠোপাড়া এলাকার ২৪২ নম্বর পার্টির তৃণমূল পঞ্চায়েত মেম্বারকে দেখা যায়, এই তৃণমূল নেতা কীভাবে তেড়ে গিয়ে মহিলাকে ধাক্কা মারতে মারতে নিয়ে যাচ্ছেন জমির মধ্যে। এরপর রেগেমেগে জমির মধ্যে পড়ে থাকা একটি বাঁশও তুলে নিয়ে কার্যত নিজের হাতেই মহিলাকে ব্যাপক মারধর শুরু করেন। আর সেই ভিডিয়ো সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    কে এই তৃণমূল নেতা?

    স্থানীয় (North 24 Parganas) সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিডিয়োয় মহিলাকে প্রকাশ্যে মারধর করছেন যে তৃণমূল নেতা, তিনি হলেন তাজউদ্দিন। তিনি দত্তপুকুরের জয়পুল মেঠোপাড়ার বাসিন্দা। তিনি শাসকদলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য। সূত্রের আরও খবর, মোসলেমা বিবির স্বামী নাসিরউদ্দিন মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর ভাইদের জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। পৈতৃক জমি নাসিরউদ্দিনকে না জানিয়ে সেই জমির বিক্রি বাবদ অগ্রিম টাকা নিয়ে নেয় তাঁর ভাইয়েরা। সেই কথা জানতে পেরে জমি ঘিরতে বাঁধা দেয় নাসিরউদ্দিনের পরিবার। এরপর বিবাদের উত্তাপ পৌঁছায় স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং থানাতেও।

    বিরোধী দলনেতার তীব্র আক্রমণ

    স্থানীয় (North 24 Parganas) তৃণমূল নেতার এই দাদাগিরির ভিডিয়ো নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে শাসকদলকে রীতিমতো বিঁধেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি টুইট করে লিখেছেন, “ওরাই তৃণমূলের রত্ন। দত্তপুকুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তাজউদ্দিন কীভাবে একজন মহিলাকে মারধর করছে দেখুন! এটা ভাবাই যায় না। ঘটনার পরেও আক্রান্ত মহিলা মোসলেমা বিবিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তারপরও দত্তপুকুর থানার পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি এখনও পর্যন্ত। যার জেরে ভয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে এখন অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন মহিলার পরিবারের সদস্যরা।”

    আক্রান্তের বক্তব্য

    ঘটনায় অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত মোসলেমা বিবি ও তাঁর মেয়ে হাসিনা বেগম। তাঁরা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই ঘটনার সুবিচার চাই আমরা।” পালটা যদিও মারধরের ঘটনা স্বীকার করেও গোটা পরিস্থিতির জন্য ওই মহিলাকেই দায়ী করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাজউদ্দিন। ঘটনার পরেও এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ফলে মহিলাকে মারধরের পরেও সে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায় (North 24 Parganas)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: ‘‘ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন’’, ইডি হানায় খোঁচা শুভেন্দুর, ‘‘খেলা শুরু হয়েছে’’, কটাক্ষ দিলীপের

    ED Raid: ‘‘ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন’’, ইডি হানায় খোঁচা শুভেন্দুর, ‘‘খেলা শুরু হয়েছে’’, কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Recruitment Scam) মামলায় শুক্রবার সকালে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়ক, কাউন্সিলরদের বাড়িতে হানা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। সব জায়গায় একযোগে চলছে তল্লাশি (ED Raid)। এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। একদিকে যেমন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা খোঁচা দিয়ে বললেন, ‘‘ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন’’। অন্যদিকে, দলেরই আরেক নেতা তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘খেলা শুরু হয়েছে’’। 

    আরও পড়ুন: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    ইডি হানায় তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দু-দিলীপের

    শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘‘ইডি আধিকারিকরা তথ্য প্রমাণ পেয়েছে বলেই আজকের এই পুণ্য দিনে পুণ্য কাজ করতে বেরিয়ে পড়েছে।’’ তিনি অভিযোগ করেন, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু সরাসরি পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Municipality Recruitment Scam) যুক্ত। শুভেন্দু বলেন, ‘‘সুজিত বসুর দুই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, দুই শ্যালকের দুই স্ত্রী কামারহাটিতে পুরসভায় চাকরি পেয়েছে। ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন। সঙ্গে শীতের জিনিসও রাখবেন।’’ গেরুয়া শিবিরের আরেক নেতা তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষও খোঁচা দেন। তিনি বলেন, ‘‘স্লোগান শুনতাম খেলা হবে, খেলা হবে। কবে হবে? এখন খেলা শুরু হয়েছে। খেলা চলবে। এই যে দুর্নীতি রন্দ্রে রন্ধ্রে ছেয়ে গেছে পশ্চিমবাংলায় যারা করেছে তারা তো ছাড় পাবে না। দুর্নীতি মুক্ত বাংলা করার জন্য যে লড়াই চলছে, তা চলতে থাকবে।’’

    তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কদের বাড়িতে অভিযান

    পুর নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Recruitment Scam) মামলায় শুক্রবার সাতসকালে রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রী-বিধায়ক-কাউন্সিলরের বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডির (ED Raid) একাধিক দল একদিকে, রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) লেকটাউনের দু’টি বাড়িতে হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। অন্যদিকে, বউবাজারে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের (Tapas Roy) বাড়িতেও উপস্থিত হয়েছে একটি টিম। সেখানেও চলছে তল্লাশি। পাশাপাশি, বিরাটির খলিসাকোটা পল্লীতে উত্তর দমদম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সলির সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। সব জায়গায় একযোগে চলছে অভিযান। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ কর্মসূচিতে খরচ কোটি-কোটি, উৎস কী? আয়করকে চিঠি শুভেন্দুর

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ কর্মসূচিতে খরচ কোটি-কোটি, উৎস কী? আয়করকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি প্রকল্প হিসেবে বার্ধক্য ভাতা চালু রয়েছে। তবে তাঁর নিজের লোকসভা কেন্দ্রের জন্য চলতি জানুয়ারি মাস থেকে আলাদাভাবে আলাদা বার্ধক্য ভাতা চালুর কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছিল ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’। যে সমস্ত প্রবীণ ব্যক্তি বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না, তাঁদের প্রতি মাসে হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তিনি যে বিপুল সংখ্যক মানুষকে বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন, তাতে দেখা যাচ্ছে প্রতি মাসে খরচ হবে সাড়ে ৭ কোটিরও বেশি। এ নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, এই কর্মসূচির নাম করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের চুরির টাকা বিলি করছেন। তিনি এ নিয়ে ইতিমধ্যে আয়কর দফতরের গোয়েন্দা এবং ফৌজদারি বিভাগে চিঠিও পাঠিয়েছেন।

    চিঠিতে কী লিখলেন শুভেন্দু?

    আয়কর দফতরে লেখা চিঠিতে বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ হাজার ৩৮০ জন বড় হৃদয়ের স্বেচ্ছাসেবককে পেয়েছেন, যাঁরা প্রতি মাসে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ডোনেশন দিতে সম্মত হয়েছেন অনির্দিষ্টকালের জন্য। প্রসঙ্গত, ১৬ হাজার ৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর ভার ছিল প্রবীণদের খুঁজে বের করার। ওই চিঠিতে শুভেন্দু আরও জানিয়েছেন, কয়লা পাচার এবং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তের আওতায় রয়েছেন ওই সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো হওয়ার সুবাদে তিনি রাজ্য প্রশাসনের উপর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখেন।

    উঠছে প্রশ্ন

    বিভিন্ন মহলের মতে, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতার মতো প্রকল্পগুলি সরকারি প্রকল্প, এসব বাদ দিয়ে কোনও জনপ্রতিনিধি কীভাবে মানুষকে টাকা বিলি করতে পারেন। এভাবে টাকা বিল করা যায় না। নির্বাচনের সময়ে টাকা বিলি করাকে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের তালিকায় ফেলা হয়। অথচ অভিষেকে বলছেন তাঁর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতি মাসেই মিলবে টাকা। এই টাকার উৎস নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী নেতৃত্বরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share