Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: ‘‘স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বাংলায়’’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বাংলায়’’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে দিল্লিতে প্রতিবাদ-আন্দোলনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভাঙার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল, দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর কথায়, “মনরেগা প্রকল্পে ইউপিএ আমলে বাংলা পেয়েছিল ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আর এনডিএ আমলে সেই বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা।” কেন্দ্রের মঞ্জুর করা এত টাকা কোথায় গেল? প্রশ্ন শুভেন্দুর। নানান তথ্য সামনে রেখে তিনি দাবি করেন, “তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পকেটেই গিয়েছে অধিকাংশ টাকা।” 

    স্বাস্থ্যসাথী ও জব কার্ড নিয়ে শুভেন্দু

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যে মিথ্যা প্রচার করা হয়, বলে জানান বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)তোপ, “আয়ুষ্মান ভারত বাংলায় চলতে দেওয়া হয় না। রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেশের অন্যান্য হাসপাতালে কাজ করে না। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য প্রকল্প নিয়ে রাজনীতি হয়।” ভুয়ো জব কার্ড নিয়েও রাজ্য সরকারকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “৩ কোটি ৮৮ লক্ষ জবকার্ড ইস্যু হয়েছিল। তার মধ্যে বাতিল হয়েছে ১ কোটি ৩২ লক্ষের বেশি ভুয়ো জব কার্ড। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সবচেয়ে বেশি ভুয়ো জবকার্ড। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে, নয়ছয় হয়েছে টাকা। মনরেগা প্রকল্পের সেকশন ২৭ অনুযায়ী কেন্দ্র কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে।”  

    আবাস যোজনায় দুর্নীতি

    শুভেন্দুর দাবি, “সব রাজ্যের মতো, পশ্চিমবঙ্গেও আবাস যোজনার টাকা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় অসংখ্য ভুয়ো নাম রয়েছে। এই ভুয়ো নামের তালিকা আমি কৃষি ও গ্রামন্নোয়ন দফতরে পাঠিয়েছি। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে প্রশাসনিক প্রধানদের আঁতাঁতে এই দুর্নীতি হয়েছে।”

    ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি

    এদিন দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে নানান তথ্য তুলে ধরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে বাংলায় সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হয়েছে তৃণমূলের আমলে। ১০০ দিনের কাজে দেশ সবচেয়ে বড় দুর্নীতির হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাবেন বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর অভিযোগ, “বিদেশে পাচার হয়েছে দুর্নীতির টাকা। বাংলার শাসকদলের তিনটি এজেন্ডা পরিবারতন্ত্র-দুর্নীতি-তোষণ।” 

    মিথ্যার রাজনীতি তৃণমূলের

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগে হারিয়ে যাওয়া জনসমনর্থন ফিরে পেতে এই নাটক করছে তৃণমূল। দিল্লিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছে। আঞ্চলিক দল তৃণমূল দেশের রাজধানীতে মিথ্যা দাবি নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছে। জাতীয় স্তরে ওদের এই আন্দোলনের কোনও প্রভাব পড়েনি। প্রভাব পড়েনি পশ্চিমবঙ্গেও। মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘আজ তলবে সাড়া দেবেন না, ইডিকে আগে জানাননি কেন?’’ অভিষেকের আইনজীবীকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    এদিন সন্ধেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন শুভেন্দু। বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শাহকে তথ্য দেবেন তিনি। কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর সঙ্গেও বৈঠক রয়েছে। তৃণমূল যেমন কৃষিভবনের উদ্দেশে রওনা দেবে, শুভেন্দুও কৃষি ভবনে গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন সেখানে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে সাধ্বী নিরঞ্জনকে স্মারকলিপি দেবেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: আজ দিল্লিতে বিশেষ কর্মসূচি বিজেপির, কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আজ দিল্লিতে বিশেষ কর্মসূচি বিজেপির, কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দিল্লিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সকাল ১১টা ও বিকাল ৪টেয় তাঁর বিশেষ কর্মসূচি আছে, বলে বিজেপি সূত্রে খবর। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার আগেই শুভেন্দুকে সময় দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সোমবার রাতেই শুভেন্দুর সঙ্গে রাজধানীতে পৌঁছে যান বাংলার বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা। 

    কেন দিল্লিতে শুভেন্দু

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ”যাঁরা প্রকৃত জবকার্ড হোল্ডার, তাঁদের নিয়ে তো বিজেপির আপত্তি নেই। বিজেপি চুরি আটকাতে চায়। ১ কোটি ৩২ লাখ ভুয়ো জব কার্ড পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে। আমি দিল্লিতে গিয়ে সুনিশ্চিত করব নকল জব কার্ড বানিয়ে যারা টাকা তুলেছে তার যাতে আইনের আওতায় আসে। তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনানুগ ব্যবস্থা হয়। জব কার্ড ইস্যু করার অধিকার রয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও, জেলাশাসকের। আমি চেষ্টা করব দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাক্তন জেলাশাসক, পঞ্চায়েত সচিবের মতো যারা মনরেগা-এর টাকা লুট করেছেন তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই এক কোটি ৩২ লাখ নকল জব কার্ড দেখিয়ে যারা টাকা তুলেছে তারা দেশের টাকা মেরেছে, সম্পদ চুরি করেছে, জনগণের করের টাকা, জিএসটির টাকা লুট করেছে। এই লুটেরাদের বিরুদ্ধে যাতে কঠিন কঠোর ব্যবস্থা হয়, এই জন্যই আমি দিল্লি যাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: ‘‘দেশে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে’’, বিহারের জাতিগত সমীক্ষা নিয়ে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    শুভেন্দু যা বললেন

    আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়িয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ”পিসি করেছেন পরনির্ভর বাংলা, আর নরেন্দ্র মোদি করেছেন আত্মনির্ভর ভারত। স্বাধীনতার অমৃতকালে ভারতবর্ষের সংসদ ভারতীয়রাই তৈরি করবে। ক্ষতি কী হয়েছে! উনি শান্তিনিকেতনে বাড়ি বানিয়েছেন কয়লা গরু পাচারের টাকায় আর নরেন্দ্র মোদি দেশের জন্য সংসদ বানিয়ে দিয়েছেন। আগামী শত শত বছর ধরে, দশকের পর দশক ধরে, যাঁরা আইন সভায় আসবেন তাঁরাই এই সংসদ পরিচালিত করবেন। নরেন্দ্র মোদি দেশের স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি করেছিলেন। সেখানে অভিষেকের বউ, ওর শ্যালিকা আর ওর পরিবার পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষের টাকা বিদেশে পাচার করছেন। সেই জন্য ওর স্ত্রীর নামে তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে কাশি কর্ণ শাখাতেও কয়লার টাকা পাওয়া গিয়েছে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “কেন্দ্রের টাকা ঝেড়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার”, রাজ্যকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “কেন্দ্রের টাকা ঝেড়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার”, রাজ্যকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মোদিজি আবাস যোজনার টাকা দিলেও, বাড়ি পায়নি গরিব মানুষরা। সেই টাকা তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ঝেড়ে দিয়েছে। তাই কেউ বাড়ি পায়নি।” সোমবার মেয়ো রোডে কথাগুলি বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একশো দিনের কাজ প্রকল্প সহ নানা ক্ষেত্রে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তার জেরে সোম ও মঙ্গলবার দু’ দিন ধরে দিল্লিতে ধর্নায় বসছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    এই কর্মসূচির পুরোভাগে রয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা ও মেয়ো রোডে তারই পাল্টা জমায়েত করে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “এক দিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি, ১০০ দিনের প্রকল্পে এক কোটিরও বেশি ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করে বাংলার মানুষের টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছে তৃণমূল।” তিনি বলেন, “এই বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা নয়াদিল্লিতে গিয়েছেন। কিন্তু ওঁদের মুখে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা মানায় না। কারণ তৃণমূলের সরকার উন্নয়নের নামে অর্থ লুট করেছে।”

    বিজেপির বিক্ষোভ

    শুভেন্দুর দাবি, ইউপিএ জমানার তুলনায় মোদির আমলে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ কয়েকগুণ বেড়েছে। তৃণমূলের নীতির জেরেই টাকা আটকে রয়েছে। এদিন প্রথমে বিধানসভার বাইরে ধর্নায় বসেন বিজেপি বিধায়করা (Suvendu Adhikari)। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য সহ ধৃতদের জেলবন্দি কাটআউট পাশে রেখে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা।

    রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে সেখানে গান গাইতে দেখা যায় হরিণঘাটার বিধায়ক বিজেপির অসীম সরকারকে। মেয়ো রোডে ধর্নায় বসেছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা। পরে বিধানসভা থেকে মেয়ো রোড পর্যন্ত গান করতে করতে আসেন বিজেপি বিধায়করা।

    আরও পড়ুুন: “লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সিবিআই চাই”, দাবি গিরিরাজের 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Police: লাঠি উঁচিয়ে দিল্লি পুলিশ! তড়িঘড়ি রাজঘাট ছাড়লেন অভিষেক ও তাঁর দলবল

    Delhi Police: লাঠি উঁচিয়ে দিল্লি পুলিশ! তড়িঘড়ি রাজঘাট ছাড়লেন অভিষেক ও তাঁর দলবল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বাজার গরম করতে রাজঘাটে ধরনায় বসে ছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অবস্থান কর্মসূচির কোনও লিখিত অনুমতি ছিল না, তাই ধরনার মাঝপথেই লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে এল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। আর এতেই বেআইনি জমায়েত ছত্রভঙ্গ হল তৃণমূলীদের। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে তৃণমূল কর্মীদের সরানোর তোড়জোড় শুরু করে, তখনই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় রাজ্যের শাসক দলের কর্মীদের। সেই সময়ে বাধ্য হয়ে জায়গা ছেড়ে পালিয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    লাঠি উঁচিয়ে পুলিশ

    তৃণমূল দাবি করছে যে সাংবাদিক বৈঠকও করতে দেওয়া হয়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার আগেই জোর করে গাড়িতে তুলে রাজঘাট থেকে নাকি বের করে দিয়েছে তাঁকে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। শাসকদলের নেতৃত্বের এহেন আচরণকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বাংলার বাঘ দিল্লিতে ইঁদুর।’’ এ নিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড দিন কমান্ডের বক্তব্য, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই ধরনায় বসে ছিলাম কিন্তু পুলিশ (Delhi Police) এসে আমাদের এখান থেকে উঠে যেতে বলে। অনুমতি ছাড়া যে রাজঘাট এভাবে অবরোধ করে রাখা যায়না, তা কি জানেনা রাজ্যের শাসক দল! প্রশ্ন বিভিন্ন মহলের। দিল্লির পুলিশ এবং সিআরপিএফ অবশ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে বলতে থাকে যে রাজঘাটে এভাবে ধরনায় বসার কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। তাতেও কর্ণপাত না করাতে এই সক্রিয় হয় প্রশাসন।

    শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ

    কলকাতাতে বিজেপির কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। সাংবাদিকরা তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করতেই নন্দীগ্রামের বিধায়কের জবাব, ‘‘বিক্ষোভ করতে গিয়েছিল ওরা। ২০ মিনিট পরই লাঠি উঁচিয়েছে সিআইএসএফ আর দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সকলে চলে গিয়েছে। ওরা বাংলায় বাঘ, সিংহ। দিল্লিতে লাঠি দেখাতেই ইঁদুর।’’ শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘মমতা ব্যানার্জী টাকা চুরি করেছে, তাই যাননি। প্রশ্ন তুলুন ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়ো জবকার্ডগুলো কোথায়?’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাংলায় বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য মোদি ও গিরিরাজকে ধন্যবাদ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বাংলায় বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য মোদি ও গিরিরাজকে ধন্যবাদ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য নরেন্দ্র মোদি ও গিরিরাজ সিংহকে ধন্যবাদ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একশো দিনের কাজ সহ নানা প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ তুলে সোমবারই দিল্লিতে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল। এহেন আবহে শুভেন্দুর এই দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    শুভেন্দু উবাচ

    এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লিখেছেন, “বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য নরেন্দ্র মোদি ও গিরিরাজ সিংহকে ধন্যবাদ। ১০০ দিনের প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইউপিএ-এনডিএ আমলের সঙ্গে যদি তুলনা করা হয়, তাহলে মোদি সরকারের আমলে বাংলার জন্য বরাদ্দ অনেক বেশি। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি ও মাননীয় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিংহকে।

    এমজিএনআরইজিএ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মতো রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের স্কিমগুলি বাস্তবায়নের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে কেন্দ্রীয় তহবিলের বরাদ্দ যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানোর জন্য। যদি ইউপিএ এবং এনডিএ শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া তহবিলের তুলনা করা হয়, তাহলে এটা স্পষ্ট হবে যে মোদি সরকার কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বহুগুণ বাড়িয়েছে। শুধু যদি এই টাকা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার ও প্রশাসন বাংলার গ্রামের মানুষের কাজে ঠিক মতো ব্যবহার করত…।”

    বঞ্চনা করেছেন মমতা 

    বিজেপির (Suvendu Adhikari) দাবি, বাংলার মানুষের সঙ্গে যদি কেউ বঞ্চনা করে থাকে তাহলে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই করেছে। শুভেন্দু এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “ইউপিএ জমানায় এমজিএনআরইজিএতে বাংলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। সেখানে এনডিএ সরকার এই প্রকল্পে বরাদ্দ করেছে ৫৪ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। পিএমএওয়াইতে ইউপিএ সরকার বরাদ্দ করেছিল ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সেখানে মোদি সরকার বরাদ্দ করেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা।” এদিকে, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সুকান্ত দেখান খরচ করতে না পারায় কীভাবে দিল্লিতে ফেরত গিয়েছে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ (Suvendu Adhikari)। মোদি জমানায় যে আগের চেয়ে বাংলার জন্য বরাদ্দ বেড়েছে, তাও দেখিয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, চোর না ধরে দিল্লিতে ধর্নায় তৃণমূল!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে’’! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে’’! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের অবস্থান চলছে দিল্লিতে। ধরনা নিয়ে নানা প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীদের দাবি, ব্লক স্তরের নেতাদেরও প্লেনে করে উড়িয়ে আনা হয়েছে দিল্লিতে। এছাড়া ১০০টি ভল্ভো বাসে করে কর্মীদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানীর উদ্দেশে। রাজ্যের শাসক দলের এই বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস ঠিক কী! তা নিয়েও চলছে জোর চর্চা। অন্যদিকে দিল্লিতে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ধনী দল বলেও মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর মতে ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে তৃণমূলের।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী 

    রবিবারই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, “যন্তর মন্তরে যা খুশি করুন এপাং ওপাং ঝপাং! আমরা সবাই কোলা ব্যাঙ! যন্তর মন্তরের বাইরে কিছু করতে যাবেন না। ওখানে কিন্তু বিনীত গোয়েল নেই! অমিত শাহের পুলিশ, লাঠির সাইজ ৬ ফুট।” শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন “তৃণমূল কংগ্রেস তো ভারতের তৃতীয় ধনীতম দল। বর্তমানে তাদের তহবিলের পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। সেই টাকা দিয়ে ২০-২৫টা চার্টার্ড ফ্লাইট বুক করে তো ওরা কর্মীদের সরাসরি দিল্লি নিয়ে যেতে পারত। একেকটা বড় বিমানে ২৫০-৩০০ লোক যেতে পারতেন।”

    ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

    সোমবারই তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে দিল্লি এবং কলকাতায় দু’ জায়গাতেই কর্মসূচি রয়েছে নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। দিল্লিতে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে সাংসদদের দল যাবেন পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয়-এর প্রতিবাদে কলকাতার সড়কে ধরনা অবস্থান করবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজে বারংবারই দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বেশ কয়েক মাস আগে উত্তর দিনাজপুরের একটি মামলাতে দেখা যায় তৃণমূলের নেতারা যেখানে পুকুর খননের কাজ দেখিয়েছেন, সেখানে রয়েছে আস্ত একটি ভুট্টার খেত। এই ঘটনায় রীতিমতো আশ্চর্য হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। অভিযোগ, কাজ না করেও মেলে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সরাসরি অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ভুয়ো প্রকল্পের মাধ্যমেও চলে একশ দিনের কাজের টাকা নয়ছয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Group D Agitation: অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়েই গেল চাকরি প্রার্থীদের মিছিল, একসঙ্গে হাঁটলেন শুভেন্দু, কৌস্তুভ

    Group D Agitation: অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়েই গেল চাকরি প্রার্থীদের মিছিল, একসঙ্গে হাঁটলেন শুভেন্দু, কৌস্তুভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছিল রাজ্য সরকারের আবেদন। তাই পূর্ব নির্ধারিত রাস্তায় মিছিল করতে বাধা ছিল না গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের (Group D Agitation)। বুধবার ক্যামাক স্ট্রিট দিয়েই গেল তাঁদের মিছিল। এই রাস্তায়ই রয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস। তার সামনে দিয়েই নির্বিঘ্নে চলে যায় মিছিল।

    শুভেন্দু-কৌস্তুভে জল্পনা

    মিছিলের সামনে সারিতে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন কংগ্রেস নেতা পেশায় আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচিও। বিজেপির শুভেন্দুর সঙ্গে কংগ্রেসের কৌস্তুভের পা মেলানোর কারণ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে এদিন দিনভর মজে রইল রাজ্যরাজনীতি। এদিন মিছিলে পা মিলিয়েই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন (Group D Agitation) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “এঁরা পরীক্ষায় পাশ করার পরেও এঁদের চাকরি না দিয়ে সেই চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চে লড়ে এঁদের মিছিল করতে হয়েছে। আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সরকার ও সরকারি দলের দ্বারা যাঁরাই অত্যাচারিত, তাঁদের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত বিরোধী দলনেতা থাকবে। ক্যামাক স্ট্রিট থেকে নিজাম প্যালেস পর্যন্ত হেঁটে এঁদের দাবিকে সমর্থন করলাম। আগামী তিন তারিখে এঁদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমার সভা হবে কলকাতায়। আইনি লড়াই করে এঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে রাজ্যের (Group D Agitation) বিরোধী দলনেতা অঙ্গীকারবদ্ধ।”

    মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী স্পেনে ছুটি কাটাতে যান আর রাজ্যের ১০টি সংগঠনের ব্যানারে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা বছরের পর বছর চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে আন্দোলন করেন। তাই নৈতিক সমর্থন জানাতেই এই মিছিলে অংশ নিয়েছি।” বিজেপি নেতা শুভেন্দুর সঙ্গে মিছিলে শামিল হওয়া প্রসঙ্গে কৌস্তুভ বলেন, “এখানে কংগ্রেসের পতাকা নেই, বিজেপিরও কোনও পতাকা নেই। তাই এখানে না হাঁটার কোনও কারণ নেই। আমি ব্যক্তি কৌস্তুভ বাগচি হিসেবে, আইনজীবী হিসেবে এখানে এসেছি। তাই এটা নিয়ে আলাদা করে জল্পনা করার কিছু নেই।” এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “এটা অরাজনৈতিক আন্দোলন। আন্দোলনকারীরা (Group D Agitation) কাকে মিছিলে ডাকবেন, সেটা ওঁদের ব্যাপার। যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, তাঁদের মধ্যে কৌস্তুভ বাগচি একজন। আজ মিছিলের জন্য আদালত থেকে যে অনুমতি মিলেছে, তার নেপথ্যেও কৌস্তুভের অবদান রয়েছে। তাই এক সঙ্গে হাঁটতে আপত্তি নেই।”

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘করোনার থেকেও ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি’’! স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

    Suvendu Adhikari: ‘‘করোনার থেকেও ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি’’! স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য ভবনে বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বেলার দিকে বিজেপি বিধায়কদের একাংশকে নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। ‘ডেঙ্গির সরকার, আর নেই দরকার’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগানও দেন বিজেপি বিধায়কেরা। স্বাস্থ্যভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বিরোধী দলনেতাকে। 

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    এদিন শুভেন্দুর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ২২ জন বিজেপি বিধায়ক। বিরোধী দলনেতাকে গেটে আটকে দেয় পুলিশ। স্বাস্থ্য ভবনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁদের স্মারকলিপি দিতে বাধা দেওয়া হয়। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে একশো জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। শুভেন্দু বলেন, “দেশের বাকি সব রাজ্য ডেঙ্গি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিলেও পশ্চিমবঙ্গ তথ্য লুকোচ্ছে।” 

    স্মারকলিপি দিতেও বাধা

    শুভেন্দুর অভিযোগ, করোনার থেকেও ভয়াবহ রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। তাঁর কথায়, “কেন ডেঙ্গি মোকাবিলায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়নি? কেন চিকিৎসকেরা ডেঙ্গি লিখতে ভয় পাচ্ছেন? এই সব জিজ্ঞাসা করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই স্বাস্থ্যভবনে গিয়েছিলাম।” সরকারের ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠককে আইওয়াশ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমরা সচিবের কাছে যাচ্ছি না। স্মারকলিপি রিসিভ করিয়ে চলে যেতাম। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ডেঙ্গির ভয়াবহতার এই খবর পৌঁছে দিতে চাই। এটা মমতার, তৃণমূলের স্বাস্থ্য ভবন নয়। বিধায়কদের মমতার পুলিশ কীভাবে আটকাতে পারে?’

    আরও পড়ুন: চাপের মুখে ডেঙ্গি-তথ্য প্রকাশ রাজ্যের! ভয় ধরাচ্ছে পরিসংখ্যান, কী আছে তাতে?

    বিজেপির প্রতিবাদ

    এদিনই বিজেপির পক্ষে  কাল থেকে আগামী ৭ দিন রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। ডেঙ্গি পরিস্থিতির (Dengue Scare) অবনতির প্রতিবাদে এবার রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। একসঙ্গে আন্দোলনে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা, টিচার সেল, ডক্টর সেল ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সেল। বিভিন্ন পুরসভা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Health Centres) সামনে চলবে বিজেপির প্রতিবাদ। ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। ডেঙ্গিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্ত ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই।

    ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু

    অন্যদিকে, মঙ্গলবারই বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু হল ডেঙ্গি আক্রান্ত ২৮ বছরের এক তরুণীর। তিনি নেতাজি নগরের বাসিন্দা। মৃতার নাম প্রিয়া রায়। সোমবার সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সিসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই তরুণীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় আনা হয়েছিল। ডেঙ্গি শক সিনড্রোমও ছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লগ্নি ধরতে ১১ দিনের বিদেশ সফর মমতার, খরচ কত? জানতে চেয়ে আরটিআই শুভেন্দুর   

    Suvendu Adhikari: লগ্নি ধরতে ১১ দিনের বিদেশ সফর মমতার, খরচ কত? জানতে চেয়ে আরটিআই শুভেন্দুর   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের কার্যকালে যা করেননি নরেন্দ্র মোদি, এক যুগের মুখ্যমন্ত্রিত্বে তাই করে দেখালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! টানা এগারো দিন ধরে করলেন বিদেশ সফর। মমতার এই বিদেশ সফরে লগ্নি কত আসবে, তা বলবে সময়। তবে তাঁর এই সফরে যে জনগণের টাকার আদ্যশ্রাদ্ধ হয়েছে, তা বলতে শুরু করেছেন নিন্দুকরা।

    আরটিআই শুভেন্দুর   

    মুখ্যমন্ত্রীর চলতি সফরে কত খরচ হয়েছে, তা জানতে চেয়ে আরটিআই করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সফরসঙ্গী কারা, কোন মানদণ্ডে তাঁদের নির্বাচন করা হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন শুভেন্দু। সোশ্যাল সাইটে শুভেন্দু লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়নের লক্ষ্যে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ দিনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও স্পেন সফরে গিয়েছেন। ওঁর এই সফর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মনে যথেষ্ট বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ওঁর সফরসঙ্গী  কারা এবং কোন পদাধিকার বলে ওঁরা এই সফরে সঙ্গী হয়েছেন? কিছু বিশেষ ব্যক্তির একাধিক পরিচয় থাকায়, পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মনের মধ্যে ধন্দ সৃষ্টি হয়েছে যে, এই সফরে ওঁরা ঠিক কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন এবং কী বিশেষ যোগদান রাখলেন?”

    ‘রাজ্যের কী লাভ হল?’

    বিজেপি নেতা (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রায় সব জায়গায়ই গত বেশ কয়েক বছর ধরে বলে আসছেন যে তাঁর সরকারের কাছে অর্থ নেই। যে কারণে তিনি সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য মহার্ঘ ভাতাটুকুও দিতে পারছেন না। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এই ১১ দিনের বিদেশ সফরের খরচের পরিমাণ কত? মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের জন্য কত ব্যয় করা হয়েছে সরকারি কোষাগার থেকে ? কোন কোন খাতে খরচ করা হয়েছে? ইত্যাদি…” তিনি লিখেছেন, “এই সফরে কত টাকা খরচ করা হল এবং তা থেকে রাজ্যের কী লাভ হল, তার মূল্যায়ন করার অধিকার নিশ্চয়ই পশ্চিমবঙ্গের জনগণের রয়েছে। তাই রাজ্যের দায়িত্বশীল বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি তথ্য জানার অধিকার আইন ২০০৫ এর ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির আধিকারিকদের কাছে এই তথ্যগুলি জানতে চেয়েছি, যার প্রতিলিপি এখানে দিলাম।”

    আরও পড়ুুন: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন রাজ্যপালের, ক্রমেই শক্ত হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীর দুর্নীতির ফাঁস!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বকেয়া নিয়ে উদাসীন রাজ্য! বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের দেওয়ার ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বকেয়া নিয়ে উদাসীন রাজ্য! বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের দেওয়ার ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার উদাসীন। মুখ্যমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন, বকেয়া ডিএ দিতে গেলে তাঁর অন্য দফতর চলবে না। এদিকে, রাজ্য সরকার বিভিন্ন ভাতা-দান-খয়রাতি করেই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের হাজার হাজার সরকারি কর্মীদের অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতের ধাক্কা খেতে খেতে ক্লান্ত আন্দোলনকারীরা। এই পরিস্থিতিতে বিধায়ক হিসেবে নিজের বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    আন্দোলনকারীদের পাশে শুভেন্দু

    সম্প্রতি মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। প্রতি মাসে সকলের বেতন বৃদ্ধি হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। কর্মচারীদের বকেয়া টাকা না দিয়ে মন্ত্রী, বিধায়কদের এই বেতন বৃদ্ধির বিরোধিতা করে বর্ধিত ওই টাকা নেবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু সরকারি নিয়মেই অন্যদের মতো শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অ্যাকাউন্টেও ঢুকবে বর্ধিত ওই বেতন। বেতন বৃদ্ধির ওই টাকা সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথমঞ্চকে (joint platform) দেওয়ার ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “নিজেদের প্রাপ্য বকেয়া টাকা আদায় করতে কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে কর্মচারীদের আইনি লড়াই করতে হচ্ছে। এজন্য অর্থও ব্যয় হচ্ছে তাঁদের। কর্মচারীদের এই আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন জানাতেই বর্ধিত বেতন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।”

    কী বলছেন আন্দোলনকারীরা

    শুভেন্দুর সহযোগিতাকে অভিনন্দন জানিয়ে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “বিধায়ক কিংবা মন্ত্রীদের যে ভাতা বাড়ানো হয়েছে তার বিরোধিতা আমরা করছি না। আমরা শুধু আমাদের সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকারটুকু চাই। রাজ্যে কোষাগার শূন্য, সরকারের তরফে আর্থিক কোনও রিপোর্টে সেকথা বলা হচ্ছে না। তবে অর্থ খরচের ক্ষেত্রে এই সরকারের কোনও ডিসিপ্লিন নেই, আমরা চাই রাজ্যের আর্থিক শৃঙ্খলা ফেরানো হোক।” 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে জেরবার রাজ্যবাসী, আর প্রশাসন ব্যস্ত তথ্য গোপন করতে!

    শুভেন্দুর তোপ

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, “ডিএ মামলা এখনও বিচারাধীন। আগেও কয়েকবার এই মঞ্চে এসেছি। কিন্তু কোনওদিন এঁদের বলিনি, আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শে চলতে হবে। আমাদের রাজনৈতিক প্রচার করে সাহায্য করতে হবে। আমরা মনে করি, এই সরকারি কর্মচারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কেন্দ্রের হারে মহার্ঘভাতা দেওয়ার বিষয়টি অন্য রাজ্য মেনে নিচ্ছে। কিন্তু আমাদের রাজ্য সেটা বুঝতে পারছে না। ‌এই রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা বেহাল। শিক্ষা শেষ। আজ উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে গেলে অর্থ লাগে। এই রাজ্যে চাকরি নেই। ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেতে হচ্ছে এখানকার ছেলেমেয়েদের। পুরোটাই দোলাচল।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share