Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: ‘চা বাগানগুলিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে দিতে চায়’ চালসাতে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘চা বাগানগুলিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে দিতে চায়’ চালসাতে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উত্তরবঙ্গের বন্ধ চা বাগানে কখনোই অধিগ্রহণ করতে পারবে না তৃণমূল সরকার। চা বাগানগুলিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে দিতে চায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল টি কর্পোরেশন ২০১৮ সালেই উঠে গেছে। রাজ্য সরকার লাটাগুড়ির চা বাগান হর্ষ নিয়োগীকে দিয়ে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের চা বাগান নিয়ে কোনও সদর্থক ভাবনাই নেই। সিপিএম যেমন চাঁদবণিক নামক চা বাগান করেছিল ঠিক তৃণমূল এই চালসায় চা বাগান  করেছে। সব বাগানগুলি বন্ধ করে দিয়েছে। মমতাও চা বাগানকে পুরোপুরি তুলে দিতে চাইছেন।” চালসা  (Jalpaiguri) সভায় করতে এসে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঠিক এই ভাবেই তোপ দাগলেন মমতাকে।

    চা বাগানের জমি পাট্টা হয় না(Suvendu Adhikari)

    চালসায় সভায় করতে এসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “কোনও জায়গা যদি খাস ঘোষণা না হয় তাহলে পাট্টা হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা বাগানের জমিকে অনৈতিক ভাবে পাট্টা দিয়েছেন। চা সুন্দরীর বাড়িগুলি হয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকারের টাকায়। সেখানে কেউ যাচ্ছে না। সব বাড়ি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। আগে মালিকরা এখানে চা শ্রমিকদের বাড়ি সারিয়ে দিত কিন্তু এখন দিচ্ছে না। কারণ তাঁদের কাছ থেকে তৃণমূল নেতারা কোটি কোটি টাকা লুট করেছে। চা বাগানের শ্রমিকদের ভাওতা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। চা বাগানের জমিকে কখনোই অধিগ্রহণ করতে পারে না রাজ্য সরকার। চা বাগানের জমি কেন্দ্রের বিষয়। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পত্তি। চা বাগানের জন্য বিজেপি লাগাতার মিটিং-আন্দলন করবে।”

    আর কী বলেন শুভেন্দু?

    জলপাইগুড়ির চালসাতে এই দিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র নিজে সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন যারা চাকরি পায়নি তারাই সংসদে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু এটা প্রতিবাদ নয় রীতিমতো আক্রমণ! বিকশিত ভারত যাত্রা হোক বা ফসল বীমা যোজনা, তৃণমূল সরকার এই রাজ্যে ঢুকতে দিচ্ছে না। কারণ ঢুকতে দিলেই কেন্দ্রিয় প্রকল্পের সুবিধার কথা সকলে জেনে যাবেন। আর এটাই মমতার ভয়। এসএসকেএম হল সারকারি খোঁয়াড়। তৃণমূলের চোরদের সেখানে লালন-পালন করা হয়। চালসা-নাগরাকাটা থেকে কোনও মানুষ অসুস্থ হয়ে ভর্তি হতে চাইলে বেড পাবেন না। চোর ডাকাতদের বিরিয়ানি খাইয়ে রাখা হয় সেখানে। হাসপাতাল হল ইডি-সিবিআইয়ের তদন্ত থেকে বাঁচার নিরাপদ আশ্রয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Haldia: “মোদিজির পা ধরে লাভ নেই, কিছুই পাবেন না”, দিল্লিতে বৈঠকের আগে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Haldia: “মোদিজির পা ধরে লাভ নেই, কিছুই পাবেন না”, দিল্লিতে বৈঠকের আগে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২০ ডিসেম্বর, সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সময় দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূল নেত্রী কেন্দ্রের কাছে বড় অঙ্কের বকেয়া দাবি করে বঞ্চনার রজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন বার বার। সেই প্রেক্ষাপটে ওই বৈঠকে বকেয়া নিয়েই আলোচনা হবে, এটাই স্বাভাবিক। তার আগে এই বৈঠক নিয়ে মমতাকে কটাক্ষবাণে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার হলদিয়ার (Haldia) এক সভা থেকে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, মমতার আশা আদৌ পূরণ হবে না। তিনি সরাসরি আক্রমণ হেনে বলেন, “মোদিজির পায়ে ধরে লাভ নেই। কিছুই পাবেন না।” শুভেন্দুর সংযোজন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনও মুখ্যমন্ত্রী সময় চাইলে উনি দেবেন, এটাই সৌজন্য। কিন্তু এভাবে দরবার করে কোনও আর্থিক সাহায্য মিলবে না।

    টাকা ফেরত পাবেন, আশ্বাস শুভেন্দুর (Haldia)

    শুভেন্দু এদিনের সভা থেকে আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘোষণা করেন। তৃণমূলের ক্যাডাররা যেভাবে বিভিন্ন প্রকল্পে মানুষকে বঞ্চিত করে নিজেদের আখের গুছিয়েছে, তা নিয়ে সরব হন তিনি। বলেন, “সব চোর জেলে যাবে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল, জনগণের টাকা যারা মেরেছে, তাদের জেলে পোরা।” বঞ্চিত এবং হতাশ মানুষকে আশার কথাও শুনিয়েছেন তিনি। বিরোধী দলনেতা বলেন, “আপনারা সব কাগজ গুছিয়ে রাখবেন। সব টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করব। আবাস যোজনায় চোরেদের নাম কেটে প্রকৃত উপভোক্তার নাম ঢোকাতে হবে।” এদিন তিনি ঘোষণা করেন, আগামী ২০ ডিসেম্বরও শাসক দলের অন্যায় এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। উল্লেখ্য, সতীশ সামন্তর জন্ম বার্ষিকীতে এদিন দলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল হলদিয়ায় (Haldia)।

    তৃণমূলকে সরিয়ে দিল পুলিশ (Haldia)

    এদিনই আর একটি উলট পুরাণের সাক্ষী থাকল হলদিয়া (Haldia)। বিজেপির সভামঞ্চের কাছেই দু’দিন ধরে ধর্না কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিল তৃণমূল। শুক্রবার আচমকাই তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এই ধর্নার জন্য পুলিশের কোনও অনুমতি ছিল না বলে প্রশাসনের বক্তব্য। যদিও এই বিষয় নিয়ে এদিন শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোটে। তাই কি আদালতের তিরস্কার আটকাতেই আগেভাগে অতি সক্রিয়তা দেখালো পুলিশ? স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের এই নজিরবিহীন পদক্ষেপে আদালত অবশ্য সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছেন, এই ধরনের সমস্যায় পুলিশকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। বহু বছর পর তিনি দেখলেন, তারা এই ধরনের ব্যাবস্থা নিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর নিরাপত্তায় বিস্তর ত্রুটি! রাজ্যের থেকে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর নিরাপত্তায় বিস্তর ত্রুটি! রাজ্যের থেকে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তায় ফাঁক রাখছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রিপোর্ট জমা দেওয়ার ডেডলাইনও বেঁধে দিয়েছে আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    তাঁর নিজের নিরাপত্তায় ফাঁক থাকার অভিযোগে রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে সেই মামলা ওঠে। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা দিয়ে থাকে। শুভেন্দু অধিকারীরর আইনজীবীরা অভিযোগ জানিয়েছেন, বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতার পদ ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমতুল্য। সেক্ষেত্রে শুভেন্দুর আইনজীবীদের বক্তব্য, বিরোধী দলনেতার পাইলট কার পাওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে নানাভাবে পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকী বিরোধী দলনেতার কনভয়ে থাকা সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গেও কোনওরকম সহযোগিতা করা হয় না বলেও অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: ৩০ হাজারের বিনিময়ে সদ্যোজাতকে হস্তান্তর! কলকাতায় শিশুপাচার চক্রের হদিশ

    কী বলল আদালত

    আদালত (Calcutta High Court) বিষয়টি শুনে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, আাগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এব্যাপারে রাজ্য সরকারকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কী কী নিরাপত্তা পাওয়ার কথা এবং বর্তমানে তাঁকে কী কী নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে? সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আদালতে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৮ নভেম্বর রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: লোকসভা থেকে মহুয়ার বহিষ্কার নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর! কী বললেন সুকান্ত?

    Mahua Moitra: লোকসভা থেকে মহুয়ার বহিষ্কার নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর! কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা থেকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বহিষ্কারের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করে তাঁকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে মহুয়া দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করেছেন। তাঁর আরও কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত, অভিমত  রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। 

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    মহুয়ার কালী বিতর্ক অত্যন্ত পুরনো। কানাডার একটি তথ্য চিত্রের পোস্টারে কালীর ছবি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। মহুয়া মৈত্র কালীর শাক্ত আচারে পুজো সম্পর্কে একটি মন্তব্য করেছিলেন। তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। এদিন পরোক্ষে সেই প্রসঙ্গ উসকে দিয়ে  বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সমাজ মাধ্যমে লেখেন, ‘ভগবানকে নিয়ে অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করবেন না। তাঁর ক্রোধ আপনাকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারে। জয় মা কালী। তুমি তাঁর মহিমাকে ছোট করতে পারবে না। বরং তাঁর প্রকোপে তুমি মুছে যাবে।’ টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করায় শুক্রবার লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। ২ ঘণ্টা আলোচনার পর ধ্বনীভোটে গৃহীত হয় সহবৎ সমিতির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকরের পেশ করা প্রস্তাব।

    সুকান্তর অভিমত

    এদিন সুকান্ত বলেন, ‘মহুয়াকে বহিষ্কার অনৈতিক হয়ে থাকলে দেশের সমস্ত সাংসদের বাড়ির দরজায় রেট চার্ট টাঙিয়ে দেওয়া উচিত। সুকান্ত মজুমদারকে দিয়ে প্রশ্ন করাতে হলে প্রশ্নপ্রতি ১০ হাজার। সৌগত রায় যেহেতু অনেক দিনের সংসদ তাই তাঁর ১৫ হাজার। মহুয়া মৈত্র যখন দেশে ছিলেন তখন তাঁর আইডি দিয়ে বিদেশ থেকে লগ ইন হয়েছে। উনি নিজে স্বীকার করেছেন যে উপহারের বিনিময়ে প্রশ্ন করেছেন। ওনাকে সহবৎ সমিতির সামনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে উনি নিজের সমর্থনে বক্তব্য রেখেছেন। তার পর ওনাকে প্রশ্ন করা হলে উনি পালিয়ে গিয়েছেন। এখন উনি দাবি করছেন সংসদে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। লোকসভা চলে রুল বুক অনুসারে। মহুয়া মৈত্রের ইচ্ছায় লোকসভা চলে না। লোকসভার রুল বুকে এরকম কোনও অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ওখানে গিয়ে আমরা মুখোশ খুলব”, মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ওখানে গিয়ে আমরা মুখোশ খুলব”, মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারিবারিক বিবাহ  অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ছ’ দিন থাকবেন তিনি। অনুষ্ঠান ছাড়াও একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে থাকাকালীনই সেখানে কর্মসূচি ঘোষণা করে দিল বিজেপি। ১২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিজেপি।

    উত্তর উত্তরণের খোঁজে

    বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওখানে গিয়ে আমরা মুখোশ খুলব। আমাদের কোনও ওপেন মাঠ দেওয়া হয়নি। তাই ইন্ডোর কনভেনশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আলোচনা সভার নাম দেওয়া হয়েছে উত্তর উত্তরণের খোঁজে।” তিনি বলেন, “এই কনভেনশনের জন্য আগে থেকে ফেসবুক লাইভের লিঙ্ক দেওয়া থাকবে। উত্তরবঙ্গের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ যাতে আমাদের বক্তব্য শুনতে পান, সেই ব্যবস্থা করব। আমরা সেদিন তুলে ধরব উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা। এই সরকারের মুখোশ খুলব আমরা।”

    কোন রানিমাকে ভোট দিয়েছেন আপনারা?

    শুভেন্দু বলেন, “এই ১২ বছরে ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে মমতা ব্যানার্জি ১৫টা গেস্ট হাউস করেছেন। এগুলোর চাবি থাকে ওঁর বাড়িতে, না হয় নবান্নের ১৪ তলায় গৌতম সান্যালের কাছে। কেউ থাকতে পারবেন না।” তিনি বলেন, “শুধুমাত্র উত্তরকন্যায় যে গেস্ট হাউস বানিয়েছেন থাকার জন্য, হাঁটার জন্য, ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য তার জন্য খরচ হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। সেবক রোডে প্রাসাদের মতো গেস্ট হাউস তৈরি হয়েছে। এ কোন রানিমাকে ভোট দিয়েছেন আপনারা? সততার মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ান? কোন চিটিংবাজ, ফোর টোয়েন্টি, ফেরেপবাজকে ভোট দিয়েছেন?”

    পাট্টা দেওয়ার নামে প্রতারণা! 

    আলিপুরদুয়ারে পাট্টা দেওয়ার নামে চা শ্রমিকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রতারণা করেছেন বলেও অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ভোটের আগে উনি ৬০ হাজার জনকে পাট্টা দেবেন বলেছিলেন। আগেরটা তো হয়নি, চা সুন্দরী। ওটা ভুয়ো সুন্দরী হয়ে গিয়েছে। জীবনে একটা সত্যি কথা বলেননি মুখ্যমন্ত্রী!”    

    “আইসিডিএস কর্মীদের ফোনের টাকা চুরি”

    এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১৫০ কোটি টাকা চুরির অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দু বলেন, “আইসিডিএস কর্মীদের মোবাইল ফোন কিনে অ্যাপ চালু করতে চার বছর আগে কেন্দ্র ১৫০ কোটি টাকা দিয়েছিল। এই অ্যাপের নাম আয়ুষ্মান ভারত হেল্থ অ্যাকাউন্ট। রাজ্য সরকার ওই টাকা চুরি করেছে বা অন্য খাতে খরচ করেছে। তাই অ্যাপ চালু হয়নি।” তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন, আইসিডিএস কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।”

    আরও পড়ুুন: “স্টেট স্পনসর্ড ওয়েডিং”! মমতার ভাইপোর বিয়ে নিয়ে ট্যুইটে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতদেশ দিলেন বিচারপতি শম্পা সরকার। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়। হাইকোর্টের নির্দেশ নিম্ন আদালতে আপাতত ওই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতাকে মামলাকারীর কাছে নোটিস পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছে উচ্চ আদালত।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পের একাধিক বিষয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়ের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘ফেরুল’ অর্থাৎ মূল পাইপ থেকে মুখ জোড়ার যন্ত্রাংশ কেনা-সহ একাধিক বিষয়ে বেনিয়মের অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। পুলকের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, খোলা বাজারে যে ফেরুলের দাম ২১৩ টাকা, সেটাই কেনা হয়েছে ৫৭০ টাকায়। এ ছাড়া, নির্দিষ্ট কিছু সংস্থাকে দিয়ে ফেরুল কেনা হয়েছে। ১,০৮৬ কোটি টাকার প্রকল্পে নূন্যতম ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে, বলে জানান শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা অসত্য তথ্য সামনে এনেছেন এই অভিযোগ তুলে ৫ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন পুলক। 

    আরও পড়ুন: ১ বছরেই বৃদ্ধি ৪০ শতাংশ! পর পর ৫ বছর অ্যাসিড হামলায় শীর্ষে বাংলা

    কী বলল আদালত

     প্রথমে রাজ্যের মন্ত্রী পুলক, শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) আইনি নোটিস পাঠান। অভিযোগ, ওই নোটিসের কোনও জবাব দেননি বিরোধী দলনেতা। এর পরে গত ৩ জানুয়ারি উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতের দেওয়ানি বিভাগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়। নিম্ন আদালত এক পক্ষ শুনেই শুভেন্দু অধিকারীকে লিখিত জবাবি হলফনামা দিতে বলে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী সেই নির্দেশে জানিয়েছিলেন, হলফনামা জমা করবেন না। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। তার প্রক্ষিতেই শুনানি ছিল হাইকোর্টে। বিচারপতি শম্পা সরকার আপাতত নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। বিচারপতির নির্দেশ, আপাতত ওই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। হাইকোর্টে মামলার বিষয়টি জানিয়ে মন্ত্রী পুলককে আগে নোটিস দেবেন শুভেন্দু। মামলাকারী মন্ত্রী শুভেন্দুর কাছ থেকে নোটিস পাওয়ার পরেই মামলাটি হাইকোর্টে আবার উঠবে। আগামী ১১ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: চিকিৎসক-নার্সদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন! মমতার পাহাড় সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: চিকিৎসক-নার্সদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন! মমতার পাহাড় সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কার্শিয়ংয়ের কন্যার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিবাহের আসরে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিয়ের পর কলকাতায় নিউটাউনের একটি হোটেলে ভোজের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বিয়ের এলাহি আয়োজন নিয়ে এবার সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    কী বললেন শুভেন্দু

    শুভেন্দুর কথায়, ‘আগামী পরশু পিসির ভ্রাতুষ্পুত্র শ্রীমানের বিবাহবাসর বসতে চলেছে শৈলশহরে। প্রীতিভোজ দিন কয়েক পরে, নিউটাউনের বিলাসবহুল ব্যাঙ্কুয়েট হলে, যেখানে বিশিষ্ট শিল্পপতিদের সন্তানদের বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।’ শুভেন্দু দাবি করছেন, আগামী রবিবার পর্যন্ত অনুষ্ঠানের এই কয়টা দিন কার্শিয়াং হাসপাতালের আঠাশজন চিকিৎসককে, সঙ্গে প্রায় সমসংখ্যক নার্স, ফার্মাসিস্ট ও অ্যাটেন্ড্যান্টদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে দুই শিফটে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশক কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘রাজবৈদ্যদের নিশিযাপনের জন্য যে শয্যা বরাদ্দ করা হয়েছে তা নাকি নিম্নমানের লজের বিছানারও অধম, এবং মধ্যাহ্নভোজনে যে ‘মিড-ডে মিল’ পরিবেশন করা হয়েছে, তা দেখে লজ্জা হয়।’ 

    এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকেও শুভেন্দু বলেন, ‘উনি নাকি গরীবের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আত্মীয়ের বিয়েবাড়িতে এই রকমের আয়োজন। মানুষ তো সব দেখছে।’ তাঁর কথায়, ‘পিসির পরিবার, জ্ঞাতি, আত্মীয় ও কুটুম্বদের বেশ কয়েকদিনের অস্থায়ী ঠিকানা হয়েছে চা-বাগিচা এলাকার পাঁচতারা হোটেল’ তবে অন্যদিকে, চিকিৎসকদের মোতায়েন করার বিষয়টি নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, ‘এলাহি আয়োজনের ছিটেফোঁটা ভাগ কি এই ব্যাক্তিদের দেওয়া যেত না, যাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাধ্য করা হয়েছে ওখানে যেতে।’ এরই সাথে খাবারের একটি ছবিও দিয়েছেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! তাণ্ডব অন্ধ্রপ্রদেশে, বাংলায় বুধবার থেকে বৃষ্টি

    উল্লেখ্য, বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন মমতার ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক্তার পুত্র আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় (Abesh Banerjee)। পারিবারিক সূত্রে খবর, নিজের সহপাঠী প্রেমিকার সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তিনি। বরকর্তা হচ্ছেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের এই রাজ-বিয়ে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চা চলছে। এর মধ্যেই বিয়েতে সাহায্য করা সাধারণ কর্মীদের হাল নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘গেরুয়াময়’ বিধানসভায় লাড্ডু বিলি, মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ‘চোর’ স্লোগান, ওয়াকআউট বিজেপির

    BJP: ‘গেরুয়াময়’ বিধানসভায় লাড্ডু বিলি, মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ‘চোর’ স্লোগান, ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-দুপুরে কিছুক্ষণের জন্য রাজ্যের বিধানসভা হয়ে গেল গেরুয়াময় (BJP)। কারও মাথায় গেরুয়া টুপি, তো কারও মাথায় একই রংয়ের পাগড়ি। এক মহিলার হাতে আবার গেরুয়া লাড্ডুও। সোমবার দেশের তিন রাজ্যের জয় এভাবেই বিধানসভায় পালন করলেন বিজেপি বিধায়করা।

    পুলিশকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর 

    স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করায় এক পুলিশ কর্মীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা পদ্ম-বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় পুলিশ কর্মীকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “ডিএ পান না। তিরিশ হাজার টাকা করে মাসে কম পান। লজ্জা করে না আপনাদের!” বিধানসভায় জয়োৎসব পালন করার সময় পদ্ম বিধায়কদের বাধা দেন বিধানসভার এক কর্মী। তাঁকে লক্ষ্য করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “আপনি কার দয়ায় এক্সটেনশনে কাজ করছেন, সব জানি।”

    বিজেপির জয়ে লাড্ডু বিলি

    নভেম্বর মাসে নির্বাচন হয় পাঁচটি অঙ্গরাজ্যের বিধানসভার। তার মধ্যে রবিবার গণনা হয়েছে চারটি রাজ্যের বিধানসভার ভোট। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে জয়ী হয়েছে বিজেপি (BJP)। এদিন বিধানসভায় সেই জয়ই উদযাপন করেন বিজেপির বিধায়করা। বিতরণ করা হয় লাড্ডুও। এদিকে, এদিন অধিবেশনের শুরুতেই তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তার জেরে যে মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করা হবে, সেই ইঙ্গিত বিজেপির তরফে মিলেছিল আগেই। সেই মতো সোমবার প্রশ্নোত্তর-পর্বে মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ‘চোর’, ‘চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। পরে ওয়াকআউট করেন বিধানসভা থেকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সনাতন ধর্মকে সম্মান না জানানোর পরিণতি’’! কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ ভেঙ্কটেশ প্রসাদের

    এর আগে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে পদ্ম-বিধায়করা গিয়ে বসতেন বিধানসভার সিঁড়িতে। এদিন তা না করে তাঁরা চলে যান বিজেপি বিধায়কদের নিজেদের পরিষদীয় দলের ঘরে। সেখানেই স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বিধানসভার ভেতরে ও বাইরে যে কোনও ধরনের বিক্ষোভ ও কর্মসূচির ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে বিধানসভা। তাই বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হলে তাতে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বিধায়করা। সেই কারণেই এদিন পরিষদীয় দলের ঘরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান পদ্ম বিধায়করা। তাঁরা জানিয়ে দেন, তাঁরা আর বিধানসভায় ঢুকবেন না। কারণ আজ মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করেছেন তাঁরা (BJP)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও নিয়োগ দুর্নীতি! রাজ্য হেলথ্ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও নিয়োগ দুর্নীতি! রাজ্য হেলথ্ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শিক্ষাক্ষেত্রে, পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে, হেলথ্ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে ২০১১ সাল থেকে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন শুভেন্দু। সোশ্যাল সাইটে এই মর্মে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। 

    কী বললেন শুভেন্দু

    বিরোধী দলনেতার দাবি, বিশ্বস্ত সূত্র মারফত তিনি জানতে পেরেছেন, ২০১১ সাল থেকে রাজ্যের হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড মারফত নিয়োগে বিস্তর বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, বদলির ক্ষেত্রেও প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির হাত জড়িয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে শুভেন্দুর কাছে। এই নিয়ে আরও বিশদ তথ্য জোগাড় করতে আরটিআই আইনের আওতায় আবেদনও করেছেন বিরোধী দলনেতা। আরটিআই আবেদনের ছবি-সহ শুক্রবার এক্স হ্য়ান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘রাজ্যের হেলথ্ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের নিয়োগ পদ্ধতিতে গুরুতর অনিয়ম হয়েছে। ২০১১ সাল থেকেই নিয়মিত অনিয়ম হয়েছে নিয়োগের পদ্ধতিতে। বদলিও করা হয়েছে কিছু প্রভাবশালী লোকের ইচ্ছে মতো।’

    করোনার সময় স্বাস্থ্য দফতরে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও স্বাস্থ্য দফতরে নিয়োগে ব্য়াপক দুর্নীতির অভিযোগে কিছুদিন আগেই সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার রাজ্য়ের হেলথ্ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন তিনি। ২০১১ সাল থেকে হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড মারফত কতজন নিয়োগ পেয়েছেন, সেই তথ্য জানতে চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা। কোন সালে, কতজন, কোন পদে চাকরি পেয়েছেন (ডাক্তার, নার্স, ক্লার্ক, সাফাইকর্মী ইত্যাদি) সেটাও জানতে চান শুভেন্দু। তাঁরা প্রথমে কোথায় নিয়োগ পেয়েছিলেন, বর্তমানে কোন হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত, সেটিও জানতে চান তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অম্বেডকর মূর্তির তলায় মমতার বিক্ষোভ, গঙ্গাজল দিয়ে সেই স্থান ধুলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অম্বেডকর মূর্তির তলায় মমতার বিক্ষোভ, গঙ্গাজল দিয়ে সেই স্থান ধুলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় শাহি সমাবেশ ছিল ২৯ নভেম্বর। সেদিনই বিধানসভায় অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল বিধায়করা। কালো পোশাক পরে তৃণমূলের এই বিক্ষোভে সমাবেশে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ হলেও ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকেই রীতিমত পরিসংখ্যান পেশ করে তৃণমূলের এই মিথ্যা দাবিকে নস্যাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার শুক্রবার অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশ গঙ্গা জল দিয়ে ধুতে দেখা গেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, ‘‘চোরেরা বসে ওই স্থান অপবিত্র করেছে। তাই গঙ্গাজল দিয়ে তা ধুতে হবে।’’ এদিন মাথায় কলসি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) গঙ্গা জল আনতেও দেখা যায়। তারপরে তিনি সেই জল ঢালেন এবং পরে নিজে গামছা দিয়ে মোছেন।

    ২৯ নভেম্বর তৃণমূলের পাল্টা ধরনা বিজেপির 

    প্রসঙ্গত, ২৯ নভেম্বর তৃণমূলের এই ধর্না কর্মসূচির মধ্যেই বিধানসভায় পাল্টা অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে স্লোগান উঠতে থাকে ‘পিসি চোর ভাইপো চোর, তৃণমূলের সবাই চোর’। বিরোধী বিধায়কদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআরও করে শাসক দল। শুক্রবার পলিথিনের জারে করে প্রথমে গঙ্গা জল নিয়ে আসা হয়, তারপর তা পিতলের কলসিতে ভরা হয়। সেই জল দিয়েই অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশ পরিষ্কার করা হয়।

    রাস্তা থেকে বিধানসভা প্রতিবাদে সামিল বিজেপি বিধায়করা

    শুভেন্দুর এই অম্বেডকর-এর মূর্তি শুদ্ধিকরণ নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে বিধানসভার অন্দরে। বিধানসভায় এদিন স্পিকার আবার ডেকে পাঠান মার্শালকে। কিভাবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই কর্মসূচি পালন করলেন, তা জানতে চান তিনি। বিধানসভা চত্বরে যাবতীয় ধর্না বিক্ষোভ তথা প্রতিবাদ কর্মসূচির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার জানিয়ে দেন, এ বার থেকে বিধানসভা চত্বরে কোনও রকম প্রতিবাদ কর্মসূচি, বিক্ষোভ বা মিটিং, মিছিল করা যাবে না। যদিও, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদ থামাতেই স্পিকার এমন ঘোষণা করেছেন। নির্দেশের কপি হাতে পেলে তিনি এ বিষয়ে যা করণীয়, তাই করবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share