Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Group D Agitation: অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়েই গেল চাকরি প্রার্থীদের মিছিল, একসঙ্গে হাঁটলেন শুভেন্দু, কৌস্তুভ

    Group D Agitation: অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়েই গেল চাকরি প্রার্থীদের মিছিল, একসঙ্গে হাঁটলেন শুভেন্দু, কৌস্তুভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছিল রাজ্য সরকারের আবেদন। তাই পূর্ব নির্ধারিত রাস্তায় মিছিল করতে বাধা ছিল না গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের (Group D Agitation)। বুধবার ক্যামাক স্ট্রিট দিয়েই গেল তাঁদের মিছিল। এই রাস্তায়ই রয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস। তার সামনে দিয়েই নির্বিঘ্নে চলে যায় মিছিল।

    শুভেন্দু-কৌস্তুভে জল্পনা

    মিছিলের সামনে সারিতে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন কংগ্রেস নেতা পেশায় আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচিও। বিজেপির শুভেন্দুর সঙ্গে কংগ্রেসের কৌস্তুভের পা মেলানোর কারণ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে এদিন দিনভর মজে রইল রাজ্যরাজনীতি। এদিন মিছিলে পা মিলিয়েই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন (Group D Agitation) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “এঁরা পরীক্ষায় পাশ করার পরেও এঁদের চাকরি না দিয়ে সেই চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চে লড়ে এঁদের মিছিল করতে হয়েছে। আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সরকার ও সরকারি দলের দ্বারা যাঁরাই অত্যাচারিত, তাঁদের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত বিরোধী দলনেতা থাকবে। ক্যামাক স্ট্রিট থেকে নিজাম প্যালেস পর্যন্ত হেঁটে এঁদের দাবিকে সমর্থন করলাম। আগামী তিন তারিখে এঁদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমার সভা হবে কলকাতায়। আইনি লড়াই করে এঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে রাজ্যের (Group D Agitation) বিরোধী দলনেতা অঙ্গীকারবদ্ধ।”

    মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী স্পেনে ছুটি কাটাতে যান আর রাজ্যের ১০টি সংগঠনের ব্যানারে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা বছরের পর বছর চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে আন্দোলন করেন। তাই নৈতিক সমর্থন জানাতেই এই মিছিলে অংশ নিয়েছি।” বিজেপি নেতা শুভেন্দুর সঙ্গে মিছিলে শামিল হওয়া প্রসঙ্গে কৌস্তুভ বলেন, “এখানে কংগ্রেসের পতাকা নেই, বিজেপিরও কোনও পতাকা নেই। তাই এখানে না হাঁটার কোনও কারণ নেই। আমি ব্যক্তি কৌস্তুভ বাগচি হিসেবে, আইনজীবী হিসেবে এখানে এসেছি। তাই এটা নিয়ে আলাদা করে জল্পনা করার কিছু নেই।” এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “এটা অরাজনৈতিক আন্দোলন। আন্দোলনকারীরা (Group D Agitation) কাকে মিছিলে ডাকবেন, সেটা ওঁদের ব্যাপার। যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, তাঁদের মধ্যে কৌস্তুভ বাগচি একজন। আজ মিছিলের জন্য আদালত থেকে যে অনুমতি মিলেছে, তার নেপথ্যেও কৌস্তুভের অবদান রয়েছে। তাই এক সঙ্গে হাঁটতে আপত্তি নেই।”

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘করোনার থেকেও ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি’’! স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

    Suvendu Adhikari: ‘‘করোনার থেকেও ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি’’! স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য ভবনে বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বেলার দিকে বিজেপি বিধায়কদের একাংশকে নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। ‘ডেঙ্গির সরকার, আর নেই দরকার’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগানও দেন বিজেপি বিধায়কেরা। স্বাস্থ্যভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বিরোধী দলনেতাকে। 

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    এদিন শুভেন্দুর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ২২ জন বিজেপি বিধায়ক। বিরোধী দলনেতাকে গেটে আটকে দেয় পুলিশ। স্বাস্থ্য ভবনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁদের স্মারকলিপি দিতে বাধা দেওয়া হয়। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে একশো জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। শুভেন্দু বলেন, “দেশের বাকি সব রাজ্য ডেঙ্গি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিলেও পশ্চিমবঙ্গ তথ্য লুকোচ্ছে।” 

    স্মারকলিপি দিতেও বাধা

    শুভেন্দুর অভিযোগ, করোনার থেকেও ভয়াবহ রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। তাঁর কথায়, “কেন ডেঙ্গি মোকাবিলায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়নি? কেন চিকিৎসকেরা ডেঙ্গি লিখতে ভয় পাচ্ছেন? এই সব জিজ্ঞাসা করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই স্বাস্থ্যভবনে গিয়েছিলাম।” সরকারের ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠককে আইওয়াশ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমরা সচিবের কাছে যাচ্ছি না। স্মারকলিপি রিসিভ করিয়ে চলে যেতাম। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ডেঙ্গির ভয়াবহতার এই খবর পৌঁছে দিতে চাই। এটা মমতার, তৃণমূলের স্বাস্থ্য ভবন নয়। বিধায়কদের মমতার পুলিশ কীভাবে আটকাতে পারে?’

    আরও পড়ুন: চাপের মুখে ডেঙ্গি-তথ্য প্রকাশ রাজ্যের! ভয় ধরাচ্ছে পরিসংখ্যান, কী আছে তাতে?

    বিজেপির প্রতিবাদ

    এদিনই বিজেপির পক্ষে  কাল থেকে আগামী ৭ দিন রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। ডেঙ্গি পরিস্থিতির (Dengue Scare) অবনতির প্রতিবাদে এবার রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। একসঙ্গে আন্দোলনে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা, টিচার সেল, ডক্টর সেল ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সেল। বিভিন্ন পুরসভা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Health Centres) সামনে চলবে বিজেপির প্রতিবাদ। ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। ডেঙ্গিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্ত ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই।

    ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু

    অন্যদিকে, মঙ্গলবারই বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু হল ডেঙ্গি আক্রান্ত ২৮ বছরের এক তরুণীর। তিনি নেতাজি নগরের বাসিন্দা। মৃতার নাম প্রিয়া রায়। সোমবার সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সিসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই তরুণীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় আনা হয়েছিল। ডেঙ্গি শক সিনড্রোমও ছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লগ্নি ধরতে ১১ দিনের বিদেশ সফর মমতার, খরচ কত? জানতে চেয়ে আরটিআই শুভেন্দুর   

    Suvendu Adhikari: লগ্নি ধরতে ১১ দিনের বিদেশ সফর মমতার, খরচ কত? জানতে চেয়ে আরটিআই শুভেন্দুর   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের কার্যকালে যা করেননি নরেন্দ্র মোদি, এক যুগের মুখ্যমন্ত্রিত্বে তাই করে দেখালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! টানা এগারো দিন ধরে করলেন বিদেশ সফর। মমতার এই বিদেশ সফরে লগ্নি কত আসবে, তা বলবে সময়। তবে তাঁর এই সফরে যে জনগণের টাকার আদ্যশ্রাদ্ধ হয়েছে, তা বলতে শুরু করেছেন নিন্দুকরা।

    আরটিআই শুভেন্দুর   

    মুখ্যমন্ত্রীর চলতি সফরে কত খরচ হয়েছে, তা জানতে চেয়ে আরটিআই করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সফরসঙ্গী কারা, কোন মানদণ্ডে তাঁদের নির্বাচন করা হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন শুভেন্দু। সোশ্যাল সাইটে শুভেন্দু লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়নের লক্ষ্যে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ দিনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও স্পেন সফরে গিয়েছেন। ওঁর এই সফর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মনে যথেষ্ট বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ওঁর সফরসঙ্গী  কারা এবং কোন পদাধিকার বলে ওঁরা এই সফরে সঙ্গী হয়েছেন? কিছু বিশেষ ব্যক্তির একাধিক পরিচয় থাকায়, পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মনের মধ্যে ধন্দ সৃষ্টি হয়েছে যে, এই সফরে ওঁরা ঠিক কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন এবং কী বিশেষ যোগদান রাখলেন?”

    ‘রাজ্যের কী লাভ হল?’

    বিজেপি নেতা (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রায় সব জায়গায়ই গত বেশ কয়েক বছর ধরে বলে আসছেন যে তাঁর সরকারের কাছে অর্থ নেই। যে কারণে তিনি সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য মহার্ঘ ভাতাটুকুও দিতে পারছেন না। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এই ১১ দিনের বিদেশ সফরের খরচের পরিমাণ কত? মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের জন্য কত ব্যয় করা হয়েছে সরকারি কোষাগার থেকে ? কোন কোন খাতে খরচ করা হয়েছে? ইত্যাদি…” তিনি লিখেছেন, “এই সফরে কত টাকা খরচ করা হল এবং তা থেকে রাজ্যের কী লাভ হল, তার মূল্যায়ন করার অধিকার নিশ্চয়ই পশ্চিমবঙ্গের জনগণের রয়েছে। তাই রাজ্যের দায়িত্বশীল বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি তথ্য জানার অধিকার আইন ২০০৫ এর ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির আধিকারিকদের কাছে এই তথ্যগুলি জানতে চেয়েছি, যার প্রতিলিপি এখানে দিলাম।”

    আরও পড়ুুন: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন রাজ্যপালের, ক্রমেই শক্ত হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীর দুর্নীতির ফাঁস!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বকেয়া নিয়ে উদাসীন রাজ্য! বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের দেওয়ার ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বকেয়া নিয়ে উদাসীন রাজ্য! বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের দেওয়ার ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার উদাসীন। মুখ্যমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন, বকেয়া ডিএ দিতে গেলে তাঁর অন্য দফতর চলবে না। এদিকে, রাজ্য সরকার বিভিন্ন ভাতা-দান-খয়রাতি করেই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের হাজার হাজার সরকারি কর্মীদের অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতের ধাক্কা খেতে খেতে ক্লান্ত আন্দোলনকারীরা। এই পরিস্থিতিতে বিধায়ক হিসেবে নিজের বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    আন্দোলনকারীদের পাশে শুভেন্দু

    সম্প্রতি মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। প্রতি মাসে সকলের বেতন বৃদ্ধি হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। কর্মচারীদের বকেয়া টাকা না দিয়ে মন্ত্রী, বিধায়কদের এই বেতন বৃদ্ধির বিরোধিতা করে বর্ধিত ওই টাকা নেবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু সরকারি নিয়মেই অন্যদের মতো শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অ্যাকাউন্টেও ঢুকবে বর্ধিত ওই বেতন। বেতন বৃদ্ধির ওই টাকা সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথমঞ্চকে (joint platform) দেওয়ার ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “নিজেদের প্রাপ্য বকেয়া টাকা আদায় করতে কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে কর্মচারীদের আইনি লড়াই করতে হচ্ছে। এজন্য অর্থও ব্যয় হচ্ছে তাঁদের। কর্মচারীদের এই আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন জানাতেই বর্ধিত বেতন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।”

    কী বলছেন আন্দোলনকারীরা

    শুভেন্দুর সহযোগিতাকে অভিনন্দন জানিয়ে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “বিধায়ক কিংবা মন্ত্রীদের যে ভাতা বাড়ানো হয়েছে তার বিরোধিতা আমরা করছি না। আমরা শুধু আমাদের সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকারটুকু চাই। রাজ্যে কোষাগার শূন্য, সরকারের তরফে আর্থিক কোনও রিপোর্টে সেকথা বলা হচ্ছে না। তবে অর্থ খরচের ক্ষেত্রে এই সরকারের কোনও ডিসিপ্লিন নেই, আমরা চাই রাজ্যের আর্থিক শৃঙ্খলা ফেরানো হোক।” 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে জেরবার রাজ্যবাসী, আর প্রশাসন ব্যস্ত তথ্য গোপন করতে!

    শুভেন্দুর তোপ

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, “ডিএ মামলা এখনও বিচারাধীন। আগেও কয়েকবার এই মঞ্চে এসেছি। কিন্তু কোনওদিন এঁদের বলিনি, আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শে চলতে হবে। আমাদের রাজনৈতিক প্রচার করে সাহায্য করতে হবে। আমরা মনে করি, এই সরকারি কর্মচারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কেন্দ্রের হারে মহার্ঘভাতা দেওয়ার বিষয়টি অন্য রাজ্য মেনে নিচ্ছে। কিন্তু আমাদের রাজ্য সেটা বুঝতে পারছে না। ‌এই রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা বেহাল। শিক্ষা শেষ। আজ উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে গেলে অর্থ লাগে। এই রাজ্যে চাকরি নেই। ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেতে হচ্ছে এখানকার ছেলেমেয়েদের। পুরোটাই দোলাচল।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “যেদিন ভাইপো কেষ্টর সঙ্গে যাবে, সেদিন থেকে তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে”, তোপ শুভেন্দুর

    Birbhum: “যেদিন ভাইপো কেষ্টর সঙ্গে যাবে, সেদিন থেকে তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে পঞ্চায়েতরাজ সম্মেলনের সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন। তিনি বলেন, তৃণমূল আমাদের জয়ী প্রার্থীদের ১ কোটি টাকার লোভ দেখিয়ে দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে। নাম না করে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু। বীরভূমের বালি, পাথর, কয়লা, মাটি পাচারের টাকা কালীঘাটে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এদিন এই সম্মেলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা, বীরভূমের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সহ জেলার অন্যান্য নেতারা।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Birbhum)?

    বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রাজ্যের শাসকদলের সমালোচনা করে বলেন, “তৃণমূলে যোগদান করার জন্য জয়ী প্রার্থীদের ১ কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূল আর থাকবে না। যেদিন ভাইপো কেষ্টর সঙ্গে যাবে, সেদিন থেকে তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে। তৃণমূল বলে কিছুই থাকবে না। বীরভূমের বালি, পাথর, কয়লা সব পাচার হচ্ছে। পাচারের টাকা যাচ্ছে কয়লা ভাইপোর কাছে। গত দেড় বছরে আমি এই জেলায় ১৭ বার এসেছি। তৃণমূলের কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা জেলের বাইরে থাকবে না। এই জেলায় কেষ্ট মণ্ডল নেই বটে, কিন্তু সবটাই পরিচালিত হচ্ছে কাজল শেখের মাধ্যমে। আর কাজল শেখের গুরু হলেন কয়লা ভাইপো। মানুষ বদলে গেলেও সিস্টেমটা একই রয়েছে। সরকারের ব্যবস্থা একই রকম ভাবে দুর্নীতির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জেলায়। শাসক দলের নেতারা বারবার বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা কেস দিচ্ছে। শাসক দলের সঙ্গে রাজনীতির মতভেদ হলে, তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ করছে বাড়িতে গিয়ে। তবে আমি সকলকে বলব, ব্যবস্থার বদল অবশ্যই ঘটবে।”

    জেলা সভাপতির বক্তব্য

    বীরভূমের (Birbhum) জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, রাজ্যের শাসক দলের তীব্র হিংসার মধ্যেও আমরা আমাদের রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আজ আমরা সিউড়িতে পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলন করছি, এটাও আমাদের বড় সাফল্য। আমাদের জয়ী প্রার্থীদের তৃণমূলের পক্ষ থেকে টাকার লোভ দেখানো হচ্ছে। চোখে চোখ রেখে আমরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এই জেলার সনাতনী হিন্দুদের সংস্কৃতিকে বাঁচানোর শপথ নিয়েছি আমরা। তিনি আরও বলেন, যদি আপনারা বীরভূমের জেলা পরিষদের দফতরে যান, দেখবেন সেটা সরকারি দফতর না হজ হাউস, কিছুই বুঝতে পারবেন না।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ইন্ডি’ জোটকে ফের নিশানা, দেশরক্ষায় মোদিজির হাত শক্ত করার বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ইন্ডি’ জোটকে ফের নিশানা, দেশরক্ষায় মোদিজির হাত শক্ত করার বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, রাহুল গান্ধী, শেখ আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে দূরে থাকুন। স্বাধীন ভারতে দু’জন প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার ছিলেন। তাই, দু’ভাগ হয়েছে দেশ। এখন ২৬ জন প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার। তাই, দেশকে আফগানিস্থান তালিবান হতে দেবেন না। দেশরক্ষার জন্য মোদিজির হাত শক্ত করুন। শুক্রবার পাণ্ডবেশ্বরের শীতলপুর মারে জনসভা থেকে ‘ইন্ডি’ জোটকে এভাবেই নিশানা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফর নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    আগামী ২০২৪ লোকসভাকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবির। পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি করে জনসভা করার টার্গেট নিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার ছিল পাণ্ডবেশ্বরের শীতলপুর মাঠে জনসভা। এদিন কেন্দ্রের সুশাসন তুলে ধরে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কু-শাসন বলে আখ্যা দেন। তাঁর বক্তব্যের আগাগোড়া ছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফরকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘২০ কোটি টাকা খরচ করে শিল্প আনতে গিয়েছেন। আর রাজ্যের সিঙ্গুরে ডিনামাইট ফাটিয়ে টাটাদের গুজরাটে পাঠিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী খেলা আর মেলার বাইরে বেরোতে পারেননি। এ রাজ্যে রেল নিজস্ব ফান্ডে প্রকল্প করতে চিঠি দিয়েছিল। ৬১টি প্রকল্পের জমি দেয়নি রাজ্য। দমদমের পাশে ভাঙড়ে নতুন বিমানবন্দর করতে চাওয়া হয়েছিল। জমি দেয়নি রাজ্য। ১২ বছর অতিক্রান্ত, নতুন শিল্প নেই। রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প হতে দেয়নি। ভুয়ো স্বাস্থ্যসাথি কার্ড চালু করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে ফসল বিমা যোজনা বন্ধ করে রেখেছেন। নতুন করে দামোদরে বালি তুলে গতিপথটাই বদলে দিয়েছেন। খনিজ থেকে রাজ্যের রাজস্ব লোকসান হয়। রাজস্বের ২০ শতাংশ রাজকোষে জমা পড়ে। আর বাকি ৮০ শতাংশ তোলামূলে চলে যায়।’’

    কেষ্ট প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘বীরভূমে ডিসিআরের নামে পাথর লুট হচ্ছে। কেষ্ট নেই তো কী হয়েছে। কাজল শেখ আছে। নতুন বোতলে পুরোনো মদ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে বেআইনি কয়লার সিন্ডিকেট হয়েছে। ওই সিন্ডিকেট উপড়ে ফেলার কাজ চলছে। রাজ্য সরকার পুলিশ সরিয়ে নিক। কোনও রাষ্ট্রপতি শাসন লাগবে না। কোনও ৩৫৬ ধারা লাগবে না। গান্ধীমূর্তির নিচে আর শহিদ মিনারের নীচে যাঁরা বসে আছেন, তাঁরাই কালীঘাটের সব ইট খুলে নিয়ে চলে আসবেন।’’

    ডিয়ার লটারি নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘ডিয়ার লটারির মালিক মুখ্যমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে বাংলায় লটারি ব্যাবসার জন্য বেশ কয়েক কোটি টাকা দিয়েছেন। মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে এই ডিয়ার লটারিকে নিয়ে, সব সত্যি এবার সামনে আসবে। উপাচার্য্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয় এটা পিসির লজ্জা। বিচারপতি এজলাসে মামলা আসার ব্যাপারটাকে নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তুলোধোনা করেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “এটা চোরেদের জোট”, ‘ইন্ডিয়া’-কে ফের নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “এটা চোরেদের জোট”, ‘ইন্ডিয়া’-কে ফের নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা জোট নয়। আই ডট এন ডট ডি ডট আই ডট অ্যালায়েন্স। এটা চোরেদের জোট।” এই ভাষাতেই ফের একবার ‘ইন্ডি’-জোটকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই জোটের জন্যই লোকসভা নির্বাচনে মোদিজি ৪০০ আসন পেরিয়ে যাবেন বলেও দাবি করেন তিনি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “এটা দুর্নীতিবাজ, বংশবাদী, পরিবারবাদী ও তুষ্টিকারীদের জোট। এটা কোনও জোটই নয়। দেখবেন, মোদিজি পরের বার ৪০০ পেরিয়ে যাবেন।”

    শুভেন্দুর নিশানায় অভিষেক

    বুধবারই ইডির প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ইডির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “কয়লা পাচার, গরু পাচার, এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি, সবেতেই তাঁকে একই প্রশ্ন করা হচ্ছে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও হিসেবে তিনি প্রমাণ করুন দুর্নীতির টাকা ওই কোম্পানিতে ঢোকেনি!” 

    এদিকে, এদিনই ‘ইন্ডি’ জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয়েছে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের দিল্লির বাসভবনে। ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ায় ওই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি অভিষেক। বৈঠকের সময় তাঁর জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছিল চেয়ার। এনিয়ে বেজায় চটেছে জোটের শরিক সিপিএম।

    বৈঠকে বিজেপি

    বিজেপিকে হারাতে দিল্লিতে যখন ছক কষছেন ‘ইন্ডি’ জোটের নেতারা, সেই সময় বৈঠকে বসেন  বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিও। বৈঠক হয় এদিন সন্ধ্যায়। দিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয়ের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ প্রমুখ। উপস্থিত (Suvendu Adhikari) ছিলেন ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির সদস্য তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষে হবে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচন। সেই কারণে ইন্ডিয়ার প্রথম জনসভা হবে এই রাজ্যেই, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে।

    আরও পড়ুুন: এবার আর জি করের হস্টেলে র‌্যাগিং! অভিযোগ দায়ের থানায়

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: “আমাকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টায় রাজ্য খরচ করেছে ২৯৫ কোটি টাকা”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “আমাকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টায় রাজ্য খরচ করেছে ২৯৫ কোটি টাকা”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চন্দ্রযান চাঁদে পাঠাতে ভারত সরকারের খরচ হয়েছে ৬১৫ কোটি টাকা। আর আমাকে জেলে ঢোকানোর প্রচেষ্টার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার এ পর্যন্ত হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আমার জন্য ২৯৫ কোটি টাকা খরচ করেছে।” সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার’

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে পরাজিত করেন তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ, এই দুই কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা করে তাঁকে জেলে ঢোকানোর প্রাণপণ চেষ্টা করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) জানান, ব্রিটিশ আমলেও তাঁর পরিবার জেল খেটেছেন। তাই তিনি যে সহজে মাথা নোয়াবেন না তা বারংবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন শুভেন্দু।

    পুলিশের খাতায় এফআইআরের পরিসংখ্যান

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথা যে নিছকই ফাঁপা নয়, তার প্রমাণ মেলে পুলিশের খাতার পরিসংখ্যানেই। জানা গিয়েছে, শুভেন্দু যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে মাত্র একটি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই ক’ বছরে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে ২৭টি। দিন কয়েক আগে এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে এখনই আর কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না। এর প্রেক্ষিতে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে উঠেপড়ে লেগেছিল বাংলার শাসক দল তথা সরকার। এতে ফের ওদের মুখ পুড়ল।”

    আরও পড়ুুন: এই বছরেই হবে টেট! প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার তারিখ এবং নিয়ম জানাল পর্ষদ

    শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করার যৌক্তিকতা কোথায়, সে প্রশ্নও তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। তাদের প্রশ্ন, সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা আইনজীবীদের পিছনে খরচ করে কলকাতা হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টে বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় লড়াই করার যৌক্তিকতা কোথায়? এ নিয়ে এতদিন চুপ থাকলেও, এদিন মুখ খোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। জানান, মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে তাঁর পিছনে রাজ্য সরকার ঠিক কত টাকা ব্যয় করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই’’!  মমতার বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই’’! মমতার বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনগণের করের টাকায় মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ সফরে (Mamata Foreign Tour) যাচ্ছেন। আগেও বহুবার গিয়েছেন কিন্তু রাজ্যে শিল্পের প্রসার চোখে পড়েনি, অভিমত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, “টাকার সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট হল দুবাই। যা আগেই রেডি করেছেন ভাইপো ও তাঁর স্ত্রী। এবার মুখ্যমন্ত্রী সেখানে যাচ্ছেন।”  তিনি বলেন, ভোটের আগে ডাবল ডাবল চাকরি, ছয়মাসে শিল্প এনে দেখিয়ে দেবো, এইসব প্রতিশ্রুতির তিনি কিছুই করতে পারেননি। এবার সেই আবারও মিথ্যার আশ্রয়। 

    টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই!

    স্পেন যাওয়ার আগে একদিন দুবাইতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Foreign Tour)। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন, পাশ্চাত্যের দেশে যেতে দুবাইকেই কেন ট্রানজিট পয়েন্ট করছেন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘দুবাইয়ে টাকা সাইফন হচ্ছে। দুবাইতে কিছু আইন আছে যেখানে বেআইনি টাকা সাইফন হয়। এর আগে ভাইপো, ভাইপোর স্ত্রী ও ভাইপোর শ্যালিকা প্লট রেডি করেছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্লটের সাক্ষী। তিনি দুবাইকে ট্রানজিট পয়েন্ট করেছেন স্পেনে যাওয়ার জন্য নয়, পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাওলার মাধ্যমে হুন্ডির মাধ্যমে যে টাকা তার পরিবার সরাচ্ছে সেই টাকাকে ওখানে সুরক্ষিত করার জন্য’। উল্লেখ্য, গত মাসেই বিদেশ সফর থেকে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও দুবাই হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন। 

    রাজ্যের দায়িত্বে স্বরাষ্ট্রসচিব গোপালিকা

    নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের (Mamata Foreign Tour) সময় রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব গোপালিকাকে। এব্যাপারে তীব্র কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “তৃণমূল দলের একটাই পোস্ট আর বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। বিধান রায়, সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু বিদেশ সফরে গেলে সিনিয়র মোস্ট সদস্যকে দায়িত্ব দিয়ে যেতেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকেই বিশ্বাস করেন না, তাই এক শীর্ষ আমলাকে দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন।” শুভেন্দু আরও বলেন, “চন্দ্রযান চাঁদে পাঠাতে ভারত সরকারের ৬১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর আমাকে জেলে ঢোকাতে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এখনও পর্যন্ত ২৯৫ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে। যা পুরোটাই জনসাধারণের। কিন্তু আমার বাড়ির লোক ব্রিটিশের জেলে ছিল, আমি সহজে মাথা নত করব না।” 

    আরও পড়ুুন: ‘কনভয়ের গতিবিধির ওপর নজরদারি করছে রাজ্য’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    কেন বিদেশ সফরে মমতা

    মঙ্গলবার সকালে ১২ দিনের বিদেশ সফরে দুবাই, স্পেনের মাদ্রিদ গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Foreign Tour)। মূলত বিনিয়োগ টানতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই বিদেশ সফর বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন দুবাইয়ে একটি বাণিজ্য সম্মেলন ও প্রবাসীদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। স্পেনেও একটি বিজনেস সামিটে যোগ দেবেন তিনি। জানা যাচ্ছে, স্পেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বৈঠক ফুটবল নিয়ে। ১৪ সেপ্টেম্বর, মাদ্রিদে লা লিগার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি দলের বৈঠক। বাংলা ফুটবলের উন্নতির স্বার্থে সরকারের সঙ্গে কোনও বিশেষ চুক্তি হতে পারে লা লিগার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘কনভয়ের গতিবিধির ওপর নজরদারি করছে রাজ্য’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘কনভয়ের গতিবিধির ওপর নজরদারি করছে রাজ্য’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকার তাঁর কনভয়ের রাখা যাতায়াতের গতিবিধির ওপর নজরদারি রাখে, এই দাবি তিনি প্রায় বেশ কয়েক মাস আগে করেছিলেন। সোমবার তা হাতেনাতে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতা এদিন তোপ দাগেন। এমনকী জেলা পুলিশ সুপারকেও তিনি নিশানা করেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    এদিন উত্তর ২৪ পরগনায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটের হলদিয়া মোড় পেরিয়ে বেশ খানিকটা পথ অতিক্রম করার পর বিশেষ কাজে তিনি ফিরে আসেন হলদিয়া মোড়ের কাছে। তখন তিনি দেখতে পান জাতীয় সড়কের কোলাঘাটে জাতীয় সড়কের পাশে স্পিডোমিটার সরিয়ে নিচ্ছেন পুলিশ কর্মচারীরা। গাড়ি থেকে নেমে হাতেনাতে ধরে ফেলেন শুভেন্দু এবং একগুচ্ছ অভিযোগ করেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) কী অভিযোগ?

    শুভেন্দু বলেন, ‘বেশ কয়েক মাস আগে তিনি যে অভিযোগ করেছিলেন সেই অভিযোগের সত্যতা প্রকাশ পেল। বিরোধী দলনেতার যানবাহনের গতিবিধির নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকার স্পিডোমিটার যে ব্যবহার করছিল এটাই তার প্রমাণ। আমি চলে যাওয়ার পর ফিরে আসব ওরা বুঝতে পারেনি। আসলে রাজ্য সরকার বিরোধী দলনেতাকে দমিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন দিক থেকে চেষ্টা করে চলেছে। কিন্তু, সম্পূর্ণটাই বিফলে পরিণত হয়।’

    পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে তিনি কী বললেন?

    বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘প্রশাসন তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুক।’ জাতীয় সড়কের ওপর বিভিন্ন বেআইনি বিষয়গুলিও তুলে ধরেন স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সমস্তটাই দায়ভার চাপিয়ে দেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা পুলিশ  সুপার অমরনাথ কে-র উপর। স্থানীয় প্রশাসন থেকে জানা যায়, ‘যাই অভিযোগ আসুক না কেন বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে রেখেই স্পিডোমিটার বসানো হয়েছিল সাধারণ মানুষের স্বার্থে।’

    কিন্তু, প্রশ্ন হল, সাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থেই যদি স্পিডোমিটার বসানোই হয়ে থাকে, তাহলে, আচমকা কেন তা গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছিল?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share