Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    Suvendu Adhikari: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের অস্ত্রেই রাজ্য সরকারকে ঘায়েল করার পরিকল্পনা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)! মণিপুরে দুই তরুণীকে নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। তাকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত তৃণমূল সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও, তা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। অথচ বুধবার মণিপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত হতে পারে বিধানসভা।

    প্রসঙ্গ মণিপুর

    মঙ্গলবারই এ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে এদিন ধূপগুড়ির বিধায়ক বিজেপির বিষ্ণুপদ রায় প্রয়াত হন এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে এদিন মুলতুবি ঘোষণা করা হয় বিধানসভা। তাই এদিন আর কোনও আলোচনা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই ওঠেনি মণিপুর প্রসঙ্গও। তাই বুধবার এনিয়ে শাসক-বিরোধী তরজায় উত্তপ্ত হতে পারে বিধানসভার কক্ষ। তৃণমূল সূত্রে খবর, মণিপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার সভায় নিন্দা প্রস্তাব আনবে ঘাসফুল শিবির। তবে বিজেপি বিধায়করা যে তা হতে দেবেন না, তা স্পষ্ট রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কথায়ই।

    শুভেন্দুর হাতিয়ার

    তিনি বলেন, “মণিপুর নিয়ে কোনও প্রস্তাব আনতে পারে না। কারণ এডুকেশন স্ক্যাম নিয়ে আমরা আগে যখন বলেছিলাম, তখন বলা হয়েছিল সাব জুডিস ম্যাটার। আলোচনা করা যাবে না। মণিপুরও সাব জুডিস ম্যাটার। সুপ্রিম কোর্ট হয়েছে। ফলে একই যুক্তিতে এটাও আলোচনা করা যায় না।” শুভেন্দু বলেন, “তবুও জোর করে আনলে আলোচনা হবে। আমাদের মহিলা সদস্যরা অংশ নেবেন। আমরা হাউস (বিধানসভা) বন্ধ করে নয়, সচল রেখেই প্রতিবাদ জানাব।”

    তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে এদিন আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং ডেঙ্গি রোধে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে এদিন বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনবে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রামপুরহাটের বগটুই থেকে মালদহ, গোটা রাজ্যে নারী নির্যাতন চলছেই। নিয়োগ দুর্নীতির মাঝেই বাড়ছে বেকারত্ব। বর্ষার শুরুতেই মহামারির আকার নিয়েছে ডেঙ্গি। এরই প্রতিবাদে সরব হবেন আমাদের প্রতিনিধিরা।”

    আরও পড়ুুন: সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মার, গ্রেফতার ৪, এলাকায় শোরগোল

    প্রসঙ্গত, জরুরি ভিত্তিতে মঙ্গলবারই দিল্লি গিয়েছেন শুভেন্দু। তার আগে তিনি করেন পরিষদীয় দলের বৈঠক। তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা চাইব। না হলে প্রতিবাদে শামিল হব।” বুধবারই বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনবেন বিজেপির মহিলা বিধায়করা। শ্যামবাজারে অবস্থানও করবেন। রাজ্যে বিভিন্ন বিস্ফোরণের ঘটনায় দাবি করবেন এনআইএ তদন্তও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ফের তড়িঘড়ি দিল্লি গেলেন শুভেন্দু, আবার কী হল?

    Suvendu Adhikari: ফের তড়িঘড়ি দিল্লি গেলেন শুভেন্দু, আবার কী হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন সোমবার গভীর রাতে। ২৪ ঘণ্টাও পার হয়নি, ফের দিল্লি গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার রাত ৯টায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়িতে গিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন শুভেন্দু। রাতেই ফেরেন কলকাতা।

    শুভেন্দুর দিল্লিযাত্রা

    মঙ্গলবার বিধানসভার পরিষদীয় দলের বৈঠক শেষে ফের ধরেন দিল্লির উড়ান। কেন হঠাৎ দিল্লি যাত্রা, সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তবে বিজেপির একটি সূত্রের খবর, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতেই ফের একবার দিল্লি গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত দশটা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীদের। তবে, বৈঠকের সময়সীমা আরও বাড়তে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ২০২৪ লোকসভার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। বুধবার দুপুরে ফিরবেন শুভেন্দু অধিকারী। এখনও পর্যন্ত তাই স্থির রয়েছে। এদিন যাওয়ার আগে বিধানসভার কাজকর্ম দেখভালের দায়িত্ব তিনি দিয়ে গেলেন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে। পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিজেপির পরিষদীয় দল। শুভেন্দু বলেন, “এই বিষয়ে আমরা আলোচনা চেয়েছি।”

    দিন কাটল ব্যস্ততায় 

    এদিন দিল্লি যাওয়ার আগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ব্যস্ত ছিলেন ধূপগুড়ির বিধায়ক বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়ের শেষ যাত্রার প্রস্তুতিতে। সোমবার বিষ্ণুপদ মারা যান এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁর দেহ নিয়ে লোকজন ধূপগুড়ি রওনা দিতেই বিধানসভায় পরিষদীয় দলের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তার পরেই রওনা দেন দিল্লির উদ্দেশে। এদিন শাহ-শুভেন্দু বৈঠকে যোগ দিতে পারেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

    এদিকে, এদিন দুপুরে সংসদে সপরিবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করলেন সুকান্ত। স্ত্রী ছাড়াও তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই মেয়ে। সেই ছবি ট্যুইটও করেছেন সুকান্ত। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “বাংলার ব্যাপারে (Suvendu Adhikari) খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    পঞ্চায়েতে হিংসা ও অশান্তির ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের উন্নয়নের বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। পঞ্চায়েতে হিংসার ঘটনা সত্ত্বেও বিজেপি যে ১১ হাজার আসনে জিতেছে, তা জেনে খুশি প্রধানমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুুন: ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে তুলনা! ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: অভিষেকের ‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়ে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অভিষেকের ‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়ে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে এই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। 

    কেন মামলা

    গত শুক্রবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে ‘বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘোরও’-এর ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যের জেরেই দায়ের হয়ে এফআইআর। পরে তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল নেত্রী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ওই মন্তব্যে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপি। বিজেপির আইনজীবী সূর্যনীল দাস সোমবার আদালতকে বলেন, এই ধরনের কর্মসূচি একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে। এই মর্মেই আদালতে মামলা রুজু করার অনুমতি চান তাঁরা। একই সঙ্গে মামলর দ্রুত শুনানির অনুরোধও করেন। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ প্রথম আর্জিটি মেনে নিলেও দ্বিতীয় আবেদনটি খারিজ করে দেয়।

    আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকলেই আন্দোলন কেন?’ ধনখড়ের নিশানা কাদের দিকে

    বিজেপির দাবি

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বক্তব্য অনুযায়ী বিজেপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে আগামী ৫ অগাস্ট। মূলত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও করার নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলার অবনমন এবং বিজেপি নেতা, কর্মীদের সুরক্ষার দিক থেকে যথেষ্ট বিপজ্জনক বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। এরকম কর্মসূচি আরও বিপদ ডেকে আনবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে মানুষের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে তুলে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বিজেপি নেতাদের বাড়ি ‘ঘেরাও’য়ের ডাক মমতা-অভিষেকের, তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Sukanta Majumdar: বিজেপি নেতাদের বাড়ি ‘ঘেরাও’য়ের ডাক মমতা-অভিষেকের, তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাবেশের পোশাকি নাম শহিদ দিবস। সেখানে শহিদদের স্মৃতিতর্পণের চেয়ে বেশি ছিল বিজেপিকে আক্রমণ। মণিপুর এবং ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে আক্রমণ শানানো হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। ২১ জুলাইয়ের এই মঞ্চ থেকে মমতার দাওয়াই, “৫ অগাস্ট ব্লকে ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে প্রতীকী ঘেরাও করতে হবে।”

    সুকান্তর নিশানায় মমতা

    তৃণমূল নেত্রীর এহেন নিদানকে নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “এটা কেমন রাজনীতি! এটা কেমন গণতন্ত্র! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল বাংলার গণতন্ত্র পুরো শেষ করে দিয়েছে। চুরিতে একের পর এক রেকর্ড। আজ সেই দল বলছে কিনা যে বিজেপির ব্লক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বাড়ি ঘেরাও করতে হবে। আর তাঁদের আট ঘণ্টা বাড়ি থকে বেরোতে দেওয়া যাবে না। বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। পুরো ভারতে আমাদের বিপক্ষ দলের সামনে আমরা প্রশ্ন ছুড়ে দিতে চাই, এটা কেমন রাজনীতি?” মণিপুরের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “মণিপুরের ঘটনা ভীষণ দুঃখের। কিন্তু বাংলার হালও তো ভাল নয়। এখানে শুধু নারী নির্যাতনের ভিডিও করতে দেয় না। বাংলায়ও বিজেপির মহিলা কর্মীকে নগ্ন করে হেনস্থা করা হয়েছে।”

    শুভেন্দুর নিশানায় অভিষেক

    এদিন তৃণমূল নেত্রীর আগে প্রায় একই রকম কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন তাঁর ভাইপো তথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁকে পাল্টা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “ডিম-ভাতের উৎসবে তাঁর অহঙ্কার, দম্ভ দেখুন। বলছে, ৫ অগাস্ট বিজেপির ছোট থেকে বড় নেতাদের বাড়ি ঘিরবে। বিজেপি বিধায়ক বলেন, “ভাইপো শুনে রাখুন, আপনার বিরুদ্ধে এফআইআরের আবেদন নিয়ে আমরা কোর্টে যাচ্ছি। আপনি আমার মৌলিক অধিকার ২২৬, বাবা সাহেব আম্বেদকর দিয়ে গেছেন— আমার বাড়িতে কে ঢুকবে, কে বেরোবে। একটা বিজেপি কর্মীর বাড়ি ঘেরাও করে দেখুন, দিল্লিতে পার্লামেন্টে আপনাদের এমপিদের ঢুকতে দেব না।” শুভেন্দু যোগ করেন, “পরে মমতা সংশোধন করে বলেছেন, একটু ভুল বলে ফেলেছেন (অভিষেক)। আমরা গ্রামে গ্রামে করব না, ব্লকে করব। ১০০ মিটার দূরে করব। এটাও কিন্তু বলতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুুন: মমতার ভাষণে ২১ জুলাইয়ের কোনও কথাই নেই, শুধুই মণিপুর আর ১০০ দিনের বকেয়া!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: ‘‘নাচগান-পাগলু ড্যান্সের মঞ্চ, সঙ্গে ডিম-ভাত’’! তৃণমূলের সমাবেশকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘নাচগান-পাগলু ড্যান্সের মঞ্চ, সঙ্গে ডিম-ভাত’’! তৃণমূলের সমাবেশকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একুশের মঞ্চ এক কাটমানির মঞ্চ। পাগলু ডান্সের মঞ্চ। ওখানে যাওয়ার জন্য সকাল-দুপুর-রাত তিনবেলা শুধু ডিম-ভাত।” ২১ জুলাই উপলক্ষে ধর্মতলায় তৃণমূল আয়োজিত সমাবেশকে এই ভাষায়ই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার ফের একবার চিটফান্ডকাণ্ডে তিনি নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবি

    শুভেন্দু বলেন, “চিটফান্ডকাণ্ডে গ্রেফতার সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডুরা মুখ্যমন্ত্রীর ফান্ডে টাকা দিতেন। একমাত্র উপেন বিশ্বাস ছাড়া তৃণমূলের সব বিধায়ককেই ২০ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়কে জেরা করা উচিত।” চিটফান্ডকাণ্ডে মেইন বেনিফিসিয়ারি হিসেবে তৃণমূল সুপ্রিমোকে গ্রেফতারির দাবিও জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকরণের সামনে থেকে যে অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধন করেছিলেন, তার টাকা কোথা থেকে এল, ডেলোর বৈঠকে কী হয়েছিল, এই সব তথ্য প্রমাণ আমি সিবিআইকে দিয়েছি।”

    ‘ইটিং ফিটিং সিটিং’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “একুশের মঞ্চ মানে তৃণমূলের মঞ্চ, জনগণের নয়। একুশে জুলাইয়ের আন্দোলন যুব কংগ্রেসের আন্দোলন, তৃণমূলের কিছু নয়। আর গুলি করেছিল সিপিএম। অর্থাৎ ২১ জুলাই যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে কংগ্রেসের সমাবেশ করা উচিত। যদিও এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায় জগাই-মাধাই-বিদায় তিনজন বেঙ্গালুরুতে বসে ইটিং ফিটিং সিটিং সব করে ফেলেছে। ফলে কে কার সঙ্গে আছেন, বলা মুশকিল।”

    আরও পড়ুুন: ‘ভোট-সন্ত্রাস’-এর তদন্তে ফের রাজ্যে বিজেপির প্রতিনিধি দল

    চিটফান্ড সংস্থা সারদা কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জড়িত বলে একাধিকবার দাবি করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কাছে এ ব্যাপারে প্রমাণও রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। সেই তথ্য প্রমাণ তিনি সিবিআইয়ের কাছে জমা দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার সারদাকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানিয়ে সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে চিঠি দিলেন তিনি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ওই চ্যানেলকে (একটি বেসরকারি চ্যানেলের নাম উল্লেখ করেন) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা দিতেন। টাকা দিতেন সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুন্ডুরাও। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনায্য ভাবে আই-প্যাককে ১২০ কোটি টাকার টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে (IPAC)। এই দুর্নীতির সঙ্গে রাজ্য সরকারি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ওয়েবল জড়িত রয়েছে বলে দাবি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুঠের প্রতিবাদে বুধবার কলকাতায় মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদিন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী জোটের নেতৃত্বকে এদিন আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তাঁর তোপ, ‘সব দুর্নীতিপরায়ণ নেতারা এক হয়েছেন।’ এ কথা বলেই শুভেন্দু আই-প্যাকের টেন্ডার পাওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ভোট লুঠ করতে ব্যালটও খেয়ে ফেলেছে তৃণমূল। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে ত্রিস্তরীয় লুঠ করেছে তৃণমূল। আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সেই তথ্য ফাঁস করব।’ এদিন সভা মঞ্চে শুভেন্দুর পাশে ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

    আরও পড়ুন: গ্রামীণ ভারতীয় মহিলার মতো সাজতে প্রশিক্ষণ নেন সীমা! দাবি গোয়েন্দাদের

    তথ্য-প্রমাণ পেশের দাবি

    গত সোমবার বিধানসভা ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, তিন দিনের মধ্যে তিনি সিবিআই ও ইডি দফতরে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িত ছিলেন তা নিয়ে তথ্য ও প্রমাণ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দেবেন। গত লোকসভা ভোটের পর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার কৌশল নির্ধারণের দায়িত্ব নিয়েছিল আইপ্যাক। এই সংস্থার অন্যতম মুখ হলেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)। তবে প্রশান্ত দাবি করেন এই সংস্থার পরিচালনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই। আই প্যাক তৃণমূলের প্রচারের দায়িত্ব নেওয়ার পরই বাংলার বিরোধীরা নানান সমালোচনা করেছিল। কেউ কেউ বলেছিল, আইপ্যাককে তৃণমূল চারশ কোটি টাকা দিয়েছে। তবে সেই সব দাবির সমর্থনে কেউ তথ্য বা প্রমাণ দিতে পারেনি। শুভেন্দু অবশ্য এদিন দাবি করেছেন, তাঁর কাছে এই দুর্নীতি সংক্রান্ত কাগজপত্র রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Poll Violence: হাওড়ায় দলের মহিলা প্রার্থীকে নিগ্রহের অভিযোগ নিয়ে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Poll Violence: হাওড়ায় দলের মহিলা প্রার্থীকে নিগ্রহের অভিযোগ নিয়ে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের মতোই বাংলাতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। হাওড়ার পাঁচলায় দলের এক মহিলা প্রার্থীকে নিগ্রহ করার অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। তবে, পঞ্চায়েত ভোটের (Poll Violence) দিনের সেই ঘটনার কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়ে দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। ওই মন্তব্যের জন্য ডিজির সমালোচনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    সুকান্তর দাবি

    শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আজকে মণিপুরের ঘটনা নিয়ে সকলে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। মণিপুরে খুব দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। আমরা তার নিন্দা করছি।’ এরপরেই হাওড়া জেলার দক্ষিণ পাঁচলা এলাকার একটি ঘটনার কথা তুলে ধরেন তিনি। সুকান্ত জানান, হাওড়া জেলার পাঁচলায় বিজেপির এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীকে নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছে। বিজেপির প্রার্থী হওয়ার জন্য তাঁর সঙ্গে এরকম করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘এটা কি মণিপুরের থেকে কম দুঃখজনক ঘটনা? এই ঘটনার কোনও ভিডিয়ো নেই। কারণ, রাজ্যের পুলিশ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ রাজ্যের মানুষকে ভিডিয়ো করতে অনুমতি দেয় না।’

    পুলিশের বক্তব্য

    শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের ডিজি মনোজ  মালব্য বলেন, ‘১৩ তারিখে এক মহিলা ইমেইল মারফত আমাদের কাছে অভিযোগ করেন, ৮ তারিখ বুথের ভিতর তাঁকে মারধর করা হয়। তারপর তাঁর কাপড় ছিড়ে সম্মানহানিও করা হয়। কিন্তু তার আগে কোনও অভিযোগ আসেনি। এরপর এসপি রুরাল থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয় এফআইআর করার জন্য। ১৪ তারিখ এফআইআর করে পুলিশ। তারপর থেকে আমরা তদন্ত করে দেখেছি। কিন্তু এরকম কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। সব বুথে পুলিশ ছিল। ভোটের দিন চারদিকে মানুষও ছিল। ওই এলাকার মানুষকেও জিজ্ঞাসা করা হয়, কিন্তু কেউ বলতে পারেনি এইরকম কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে।’

    আরও পড়ুন: ভারত সফরে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি! এবার থেকে দ্বীপরাষ্ট্রেও চালু ইউপিআই

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    ডিজির এই বক্তব্যের পরই এনিয়ে ট্যুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, হাওড়ার পাঁচলার (Poll Violence) ঘটনা নিয়ে মিথ্যে বলছেন মমতা পুলিশের ডিজি। বিজেপির ওই মহিলা প্রার্থীর ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা শুনুন। আর তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে যা বলা হচ্ছে তা বলার কারণ হল ওইসব তথ্যপ্রমাণ পেলে তা রাজ্য সরকারের বিড়ম্বনার কারণ হতো। তাই পুলিশ সেই তথ্যপ্রমাণ খুঁজে পায়নি।

    ট্যুইটে শুভেন্দু ওই মহিলা প্রার্থীর বয়ানও জুড়ে দেন। সেখানে ওই মহিলা বিজেপি প্রার্থীর দাবি, ‘বিজেপির প্রার্থী ছিলাম। আমার শাড়ি ছিঁড়ে দিয়েছে। উল্টে আমাকে চড়ও মেরেছে। থানায় অভিযোগ করতে পারিনি কারণ ওরা আমার বাড়িতে হুমকি দিচ্ছে। টিএমসির লোকেরা থ্রেট করছে। এখনও করে চলেছে। সকাল এগারোটা থেকে ছাপ্পা চালু হয়েছিল। আমাদের লোকজন ভোট দিতে পারেনি। চুলের মুঠি ধরে আমাকে বের করে দিয়েছে’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP Rally: ‘‘২১ জুলাই বিডিও অফিস ঘেরাও’’! মহা মিছিলের মঞ্চ থেকেই ঘোষণা সুকান্তর

    BJP Rally: ‘‘২১ জুলাই বিডিও অফিস ঘেরাও’’! মহা মিছিলের মঞ্চ থেকেই ঘোষণা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজ স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত বিজেপির মহা মিছিল শুরু হল। বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে ১১জন দলীয় কর্মী খুন হয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৩ হাজার কর্মী। তাঁদের মধ্যে ৬৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটে ১২ হাজার ৪৯২টি বুথ দখল হয়েছে এবং ২১ হাজার বুথে ভোটই না হওয়ার অভিযোগ তুলছে বিজেপি। মিছিল শুরুর আগে মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রথমে বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ, তারপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ প্রমুখ।

    দিলীপ ঘোষের কথায়

    বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের নামে রাজ্যজুড়ে প্রহসন হয়েছে। আমাদের কর্মীদের মনোনয়ন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। বহু কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। গোটা বিষয়টি কোর্টে জানিয়েছি। বিচার চলছে। জনগণ আমাদের পাশে রয়েছে। জনগণকে পাশে নিয়ে আমরা পথে নেমেছি। ভোটকেন্দ্রে সরকারি ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লুঠ করা হয়েছে। আমাদের কর্মীদের গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। বিডিও-র নেতৃত্বে ভোট লুঠ হয়েছে। ওসি পর্যন্ত ভোট লুঠে সাহায্য করেছে। এই সমস্ত ওসি, বিডিও-দের চাকরি খেয়ে আমরা ভিখারি করে ছাড়ব, যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তাই আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পথে নেমেছি। এর জন্য যতদূর যেতে হয় যাব।” তিনি আরও বলেন, “দু-দিন পরে এখানে একটা নাটক হবে শহিদ দিবসের নামে। সারা বছর রাজ্যজুড়ে লোককে মারা হয়, আর ২১ জুলাই শহিদ দিবসের নামে নাটক করা হয়। এখানে লোক আসবে না। তাই পুলিশ আর সিভিক পুলিশ ফোন করে জানছে, কত বাস লাগবে, কত লোক আসবে। মেদিনীপুরের কাউন্সিলারকেও ফোন করে কত বাস লাগবে জানছে পুলিশ।”

    শুভেন্দু অধিকারীর মত

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চে উঠেই ‘ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দিয়ে এবং তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন—“মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিশে হাজার-হাজার বিজেপি কর্মী রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই মেগা মিছিলে হাজির হয়েছেন। যদি বুকের পাটা থাকে তো এই মিছিল আটকে দেখাও। গত লোকসভা ভোটের আগেও ১৯ জানুয়ারি কলকাতায় এরকমই একটা সার্কাস হয়েছিল। সেই সময় নাম দিয়েছিলেন ইউনাইটেড ইন্ডিয়া। তার পরিণতি গোটা দেশের মানুষ দেখেছে। বাংলাতে তৃণমূল ৩৪ থেকে ২২-এ নেমেছে। আর বিজেপি ২ থেকে বেড়ে ১৮-এ পৌঁছেছে। এই পরিবারবাদী লোকেরা, দুর্নীতিগ্রস্ত পার্টিরা ইডি, সিবিআই থেকে বাঁচতে বেঙ্গালুরুতে ফাইভ স্টার মিটিং করেছে।” বিরোধী-জোটকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “একদিকে মোদিজি আর অন্যদিকে, দুর্নীতিগ্রস্তরা। আগলিবার মোদিজি ৪০০ পার। আর ইন্ডিয়া নাম দিলেই স্বদেশপ্রেমী হওয়া যায় না। তাহলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও ভারতে থাকত। তাই ইন্ডিয়া নাম দিয়ে বিভ্রান্ত করা যাবে না। মানুষ মোদিজির হাতেই দেশ আগামী কয়েক দশক রাখবে।”

    আরও পড়ুন: পার্থর বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদন রাজ্যপালের! বাধাহীন বিচারপ্রক্রিয়া

    সুকান্ত মজুমদারের দাবি

    শুভেন্দুর মতো সুকান্ত মজুমদারও ‘ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন এবং ভোটে সন্ত্রাসের পরেও বিজেপি যে ভোট পেয়েছে তার জন্য দলীয় কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। সিপিএম-কংগ্রেস সেটিং নিয়েও কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “ওখানে গিয়ে শুধু মিটিং-সেটিং-ইটিং করলেই হবে না। একবার গিয়ে খোঁজ নিন বাংলা থেকে কত মানুষ ওখানে কাজের জন্য যাচ্ছেন। যদি গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হয় তাহলে এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে হবে। আমাদের লড়াই এখান থেকেই শুরু হচ্ছে। যে সরকার নিজেদের পুলিশকে সুরক্ষা দিতে পারে না, সেই সরকার রাজ্যবাসীকে কি সুরক্ষা দেবে!” মেগা মিছিলের মঞ্চ থেকে তৃণমূলের শহিদ দিবসেই অর্থাৎ ২১ জুলাই বিডিও অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিলেন সুকান্ত মজুমদার। সকলকে এই লড়াইয়ে নামার আহ্বান জানান সুকান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ করে ট্যুইট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বেঙ্গালুরুতে ২৬টি বিরোধী দলের বৈঠককে কটাক্ষ করে এদিন ট্যুইট করলেন শুভেন্দু। সদ্য শেষ হয়েছে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাতে সন্ত্রাস হয়েছে বলে বিস্তর অভিযোগ সব বিরোধী দলের। সেখানে কংগ্রেস–সিপিএম ওই বৈঠকে তৃণমূলের সঙ্গে একসারিতে আসায় বাম-কংগ্রেসের ওপর তলার নেতাদের  কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু। ২০২৪ লোকসভা ভোটে বিজেপিকে পরবর্তী দফায় ঠেকাতে একজোট হচ্ছে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস-এনসিপি-আপ-সমাজবাদী পার্টি সহ ২৬টি দল। পাটনার প্রথম বৈঠকের পর আজ বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় মেগা বৈঠক বিরোধী জোটের। তাকেই কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    বিরোধীদের খোঁচা

    শুভেন্দু এদিন বিরোধী বৈঠক প্রসঙ্গে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘কর্মীরা খাবে পেটো, গুলি, রড-লাঠি; আর নেতাদের বরাদ্দ মুচমুচে ফিশ ফ্রাই ? কী রাজনীতি রে ভাই ! পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলার শাসকদলের তাণ্ডব আটকাতে প্রাণ দিয়েছেন দলীয় কর্মীরা। তাঁদের মৃতদেহকে উপেক্ষা করছে এই সুবিধাবাদী জোট। বহু আহত কর্মী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে কী যুক্তি দেবেন নেতারা ? সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের (CPM and Congress Worker) প্রতি আমার করুণা হচ্ছে। নেতারাই তাঁদের পিঠে ছুরি মারলেন।’

    বিরোধী জোট নিয়ে গতকাল ট্যুইটে তোপ দাগতে ছাড়েননি  বাংলায় বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক  অমিত মালব্য (Amit Malviya)। তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে ৫০-এর বেশি প্রাণহানি, তালিকায় কংগ্রেস কর্মীরাও। রাহুল গান্ধী কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হবেন? এত মৃত্যুর জন্য রাহুল কি অনুশোচনা করবেন, নাকি আত্মসমর্পণ করবেন? এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নিয়ে রাহুলের নীরবতা তাঁর কাপুরুষতা ও সুযোগ সন্ধানী রাজনীতির উদাহরণ’। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

  • Bengal BJP: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস! ১৯ জুলাই কলকাতায় বিজেপির মহামিছিল

    Bengal BJP: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস! ১৯ জুলাই কলকাতায় বিজেপির মহামিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী বাংলায় ফের মিছিলের ডাক রাজ্য বিজেপির (Bengal BJP)। রাজ্যে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আগামী ১৯ জুলাই কলকাতায় মহা মিছিলের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির।  চূড়ান্ত পরিকল্পনা না হলেও ঠিক হয়েছে কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হবে মিছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাস ও গণনায় কারচুপির অভিযোগ এই মিছিলের সামনে থাকবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক

    পঞ্চায়েত ভোটের পর রবিবার বিজেপির (Bengal BJP) পর্যালোচনা বৈঠক ছিল। আলোচনায় বারবার ভোটের সন্ত্রাস যেমন উঠে এসেছে, উঠে এসেছে বিজেপির সামগ্রিক ফল নিয়েও কাটাছেঁড়া। এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “সাংগঠনিক বৈঠক নিয়ে বাইরে আমি বলতে পারব না। এটুকু বলতে পারি এতদিন কী কাজ হয়েছে তার পর্যালোচনা, পঞ্চায়েত ভোটের পর্যালোচনা এবং তাকে পাথেয় করে আগামী লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরুকে সামনে রেখে এই বৈঠক হয়েছে।” সুকান্ত জানান, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বহু কর্মসূচি বিজেপি পালন করে উঠতে পারেনি। এবার তা শুরু হবে। নরেন্দ্র মোদির সরকারের ৯ বছর পূর্ণ হওয়ার নানা কর্মসূচি রয়েছে তালিকায়। এদিনের বৈঠকে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা ৪২ থেকে ৪৫ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে মোদি সরকারের ৯ বছরের উদযাপনে ১৬ অগাস্ট ১ হাজার সভা করার সিদ্ধান্তও হয়েছে। একইসঙ্গে পঞ্চায়েতে লড়াই দিয়েছেন এমন জয়ী বিজিত সমস্ত প্রার্থীকেই দলের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। জেলায় জেলায় সেখানকার প্রার্থীদের নিয়ে সংবর্ধনা সভা আয়োজন করার নির্দেশও দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত যাত্রী পরিবহণ! উত্তর হাওড়া থেকে কলকাতা গামী বহু বাসরুট বন্ধ

    মিছিল নিয়ে নানা পরিকল্পনা

    আগামী শুক্রবার, ২১ জুলাই তৃণমূলের ‘শহিদ দিবস’ রয়েছে। তার আগেই শহরের রাজপথে মিছিলের ডাক দিল বিজেপি (Bengal BJP)। রবিবার বিজেপির  বৈঠকে ছিলেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও। রবিবারের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল দলের বিভিন্ন মোর্চার নেতাদেরও। সেখানেই আগামী বুধবারের কর্মসূচি ঠিক হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে হাওড়া ও শিয়ালদহে জড়ো হবেন কলকাতার আশপাশের জেলা থেকে আসা কর্মী, সমর্থকরা। সেখান থেকে মিছিল আসবে কলেজ স্ট্রিটে। কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণের কর্মীরা সরাসরি কলেজ স্ট্রিটে চলে আসবেন। সেখান থেকেই মূল মিছিল শুরু হয়ে ধর্মতলার দিকে যাবে। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আগামী ১৯ তারিখ আমরা কলকাতায় একটা মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সন্ত্রাসের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই এই বিরোধিতা হবে। পরে সবটাই জানিয়ে দেওয়া হবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share