Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু, করলেন ‘বড়’ অভিযোগও

    Suvendu Adhikari: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু, করলেন ‘বড়’ অভিযোগও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘পোষ্য’ বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার বিকেলে কলকাতায় কমিশনের দফতরে জমায়েত করে বিজেপি। প্রথমে জেলায় জেলায় অশান্তি এবং মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে যান শুভেন্দু। বেরিয়ে এসে নয়া কমিশনারের বিরুদ্ধে উগরে দেন ক্ষোভ। কমিশন তৃণমূলকে সুবিধা করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যে ১৪৪ ধারা সত্ত্বেও রক্ত ঝরছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

    বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

    তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল, কমিশন ও পুলিশ মিলে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। ২০ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়াই এদের লক্ষ্য। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি, তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা নিতে হবে কমিশনের দফতরেই। আদালত স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু স্পর্শকাতর এলাকা বলে কিছু যে রয়েছে, তা মানতেই চাইছে না কমিশন। তাঁর অভিযোগ, হাইকোর্ট অভিযোগ জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বললেও, কমিশনে তেমন কিছু নেই।

    ‘ভোট লুঠ করতে দেব না’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজ করছেন কমিশনার রাজীব সিনহা। আদালতের নির্দেশ এখানে অভিযোগ গ্রহণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব জায়গায় বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি, তাঁরা কাল থেকে এখানে আসবেন। অভিযোগ জমা দেবেন। ২০১৩ ও ২০১৮ সালের মতো পঞ্চায়েত নির্বাচন এবার হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনওভাবেই এবার আমরা ভোট লুঠ করতে দেব না।”

    আরও পড়ুুন: গভীর রাত পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, প্রকাশ্যে কোন্দল

    নির্বাচনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নামানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল হাইকোর্ট। যদিও শুভেন্দুর দাবি, পুলিশের উর্দি পরিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাঠে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিভিক ভালান্টিয়ারদের গায়ে চাপানোর জন্য বীরভূমে সাড়ে তিন হাজার পুলিশের উর্দি অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বর্ধমানেও উর্দি বানানোর কাজ চলছে।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। বলেন, “২০১৯ এবং ২০২১ সালে যে এলাকায় বিজেপি লিড পেয়েছিল, এখন সেখানে প্রার্থীই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শাসকদল যেভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে, তাতে ২০ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রক্ত দেব, তৃণমূলকে কোনও জায়গা দেব না’’! হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘রক্ত দেব, তৃণমূলকে কোনও জায়গা দেব না’’! হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটিতে ঠাঁই না হওয়ায় শেখ সুফিয়ান ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আন্দোলনের মাটি নন্দীগ্রামে শাসকদলের ছন্নছাড়া অবস্থা। মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীরা বিক্ষিপ্তভাবে বাধার মুখে পড়েছেন। দলীয় প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করলেন ভূমিপুত্র তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu adhikari)।

    নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu adhikari)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে রেয়াপাড়া ব্লকের বিজেপির মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন জমা করতে যাওয়ার পথে ঠাকুরচক থেকে  রেয়াপাড়া পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu adhikari)। তিনি বলেন, “রক্ত দেব, তবু নন্দীগ্রামে তৃণমূল চোরেদের জায়গা দেব না। “নন্দীগ্রামে বিজেপি কতগুলি গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করবে, তার পরিসংখ্যান দিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের ১৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২ টি আমরা দখল করব। বাকি ৫ টি পঞ্চায়েতে ত্রিশঙ্কু হবে। সেটা পরে আমরা দখল করবো।” এদিন বাদ্যযন্ত্র সহকারে বিজেপির মিছিল বের হয়। মিছিলে দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রেয়াপাড়া ব্লক অফিসের আগে পর্যন্ত মিছিল যায়। তার পর নিয়ম মেনে বিজেপির মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে যান।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu adhikari)?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu adhikari) আরও  বলেন, “যেখানেই ভোট হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবে। নো ভোট টু মমতায় আস্থা রাখছে সাধারণ মানুষ।” রেয়াপাড়া ব্লকে মোট ৭ টি অঞ্চল রয়েছে। এই সাতটি অঞ্চলে মোট ১১৪ জন গ্রাম পঞ্চায়েতর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। পাশাপাশি ২১ জন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেবে্ন। দুটি জেলা পরিষদের আসনে আগামী কাল তাঁরা মহকুমা শাসকের অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। ২০২১ বিধানসভা ভোটে রাজ্য রাজনীতির পাখির চোখ ছিল নন্দীগ্রাম। এবারেও ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাখির চোখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই নন্দীগ্রামেরই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লোডশেডিংয়ে জেরবার রাজ্যবাসী! আচমকা বিদ্যুৎ ভবনে ‘হানা’ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: লোডশেডিংয়ে জেরবার রাজ্যবাসী! আচমকা বিদ্যুৎ ভবনে ‘হানা’ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টিতে কিছু রেহাই মিললেও অস্বস্তিকর গরম এখনও যায়নি। তার দোসর আবার লোডশেডিং। শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্রই একই ছবি ধরা পড়ছে। সেই অভিযোগ নিয়েই এবার সোজা বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে হাজির হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে তাঁকে বিদ্যুৎ উৎপাদন দফতরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলে তিনি সেখানে যান। এদিন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের মুখে স্লোগানও শোনা যায়, ‘‘লোডশেডিং এর সরকার আর নেই দরকার।’’ তৃণমূল আমলে বিদ্যুতের ঘাটতি যে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে, দফতরে দাঁড়িয়ে সেই তথ্যও তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। সোমবার অগ্নিমিত্রা পাল সহ ৪ বিজেপি বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেছেন বলে অভিযোগ। অন্য এক আধিকারিককে শুভেন্দু বলেন, “এসি কে বসাল, তা জেনে আপনাদের কী লাভ? লোড কী করে বাড়াবেন? ১২ বছরে পাওয়ার প্লান্টের কোনও কাজ হয়নি।”

    আরও পড়ুন: বারাকপুরে মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না তৃণমূল

    কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দুর অভিযোগ মমতা জমানায় নতুন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হয়নি বরং বন্ধ হয়েছে কোলাঘাট ব্যান্ডেলের মতো ইউনিট। বিরোধী দলনেতা এদিন বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সারা দিনে ৩ থেকে ৪-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা তথ্য দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটাও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে পারেননি। উল্টে কোলাঘাট, ব্যান্ডেলে বন্ধ করেছেন।’’ আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রীকেও। তাঁর সংযোজন, ‘‘এই ঘাটতি মেটাতে লোডশেডিং করে বাংলার মানুষকে গরমে কষ্টে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’

    আন্দোলনের পথে বিজেপি?

    এদিন আধিকারিক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেছে বলে জানান শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘লোডশেডিং বন্ধ করতে সমাধান চেয়ে কথা বলতে এসেছিলাম। কিন্তু কথা বলতে চাননি কেউ। সিএমডি বাথরুমে ঢুকে গিয়েছেন। এর থেকে লজ্জার কিছু হয় না।’’ একই সঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আগামী দিনে জনগণ এবং বিদ্যুৎ গ্রাহকরা রাস্তায় নামবেন।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বাংলায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বাংলায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গণতন্ত্রকে পশ্চিমবাংলায় ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। এবার মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন হবে, এ ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।” কথাগুলি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “সোনামুখীতে দিবাকর ঘরামি তিনবার আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল ন্যাজাটের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসপি ডায়মন্ড হারবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধমক দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া আটকাতে বলেছেন। হিঙ্গলগঞ্জে রাতে গিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করতে বলেছেন এসপি নিজে। বিজেপি বুঝিয়ে দেবে লড়াই কাকে বলে। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই হবে। সশস্ত্র পুলিশ কীভাবে দেওয়া হয়, আমরা দেখব।”

    জেলায় জেলায় অশান্তি

    এদিকে, পঞ্চায়েতে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে অশান্তি। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার (Suvendu Adhikari) অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল। জখম দলীয় কর্মীর ছবি পোস্ট করে রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। রাজ্যপাল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ট্যাগ করে ট্যুইট করেছেন তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ, বাইকে চড়ে প্রায় ১০০ জন গুন্ডা এলাকা ঘিরে ফেলে। বিজেপি কর্মীরা বাধা দিতে এলে তাঁদের মারধর করা হয়। ফোনে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, কেউ ফোন ধরেনি।

    অশান্তি নদিয়ায়

    অন্য দিকে, পঞ্চায়েতে মনোনয়নপত্র পেশকে ঘিরে ব্যাপক অশান্তি নদিয়ায়। নাকাশিপাড়ার হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীতলায় কংগ্রেস প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস প্রার্থী জামান মণ্ডলের এক আত্মীয়ের বাড়িতেও হামলা হয়েছে। তাঁর কাকার হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    অশান্তি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপেও। কংগ্রেস প্রার্থী শিবানী দাসকে মনোনয়নপত্র (Suvendu Adhikari) পেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর নথিপত্র। অভিযুক্ত তৃণমূল। মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদেরও রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রেও অভিযোগের অভিমুখ তৃণমূলের দিকে। ভাঙড়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে ডিসিআর নিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশের সামনেই করা হয় মারধর। কংগ্রেস প্রার্থী আশরফ আলি মোল্লার অভিযোগ, মনোনয়নপত্র পেশে বাধা দেন তৃণমূল কর্মীরা। বিডিও অফিসের ভিতরেও মারধর করা হয়।

    আরও পড়ুুন: “পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক ১৪ জুলাই”, প্রস্তাব কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

    রক্তাক্ত হয়েছিল গত পঞ্চায়েত নির্বাচন। হয়েছিল ভোটের বলি। এবারও ঝরেছে প্রাণ। ভোট ঘোষণা হওয়ার পরে পরেই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হন এক কংগ্রেস কর্মী। কাঠগড়ায় তৃণমূল। অশান্তির খবর এসেছে মনোনয়নপত্র পেশের তৃতীয় দিনেও। মনোনয়নে অশান্তি রুখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার পরেও যে সমস্যা মেটেনি, সোমবারের বিভিন্ন ঘটনাই তার প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের বৈষম্য ও অপদার্থতার নিদর্শন তুলে ট্যুইট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের বৈষম্য ও অপদার্থতার নিদর্শন তুলে ট্যুইট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফের সরব পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। “পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসনের বৈষম্য ও অপদার্থতার নিদর্শন” – সোশ্যাল মিডিয়ায় এই শীর্ষক একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন তিনি। রবিবার ভিডিও ফুটেজ সহ ‘নজিরবিহীন’ ঘটনার কথা সামনে আনেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। 

    শুভেন্দুর ট্যুইটে বর্ণিত প্রথম ঘটনা

    দীর্ঘ পোস্টে দুটি ঘটনার ছবি তুলে ধরেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি লিখেছেন, “চিত্র ১: রাজেশ মাহাতো, শিবাজী মাহাতো-সহ কুড়মি আন্দোলনের ৯ নেতা-কর্মীকে বিনা অপরাধে, তথ্য প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও, শুধুমাত্র ভাইপোকে (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে) তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে এবং হেফাজতে নিয়ে ওনাদের ওপর অকথ্য মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করার লক্ষ্যে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিল সিআইডি। ঝাড়গ্রাম বিশেষ দায়রা আদালত সিআইডি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন।”

    শুভেন্দুর ট্যুইটে বর্ণিত দ্বিতীয় ঘটনা

    এরপর দ্বিতীয় ঘটনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, “চিত্র ২: মুর্শিদাবাদের ডোমকলে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বের দ্বিতীয় দিনে সমাজবিরোধীদের একত্রিত করে, গুন্ডামি করে তৃণমূল ৷ সেই উত্তেজক পরিস্থিতির মধ্যেই তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বশির মোল্লার কোমর থেকে প্রকাশ্যেই পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ ৷ তৃণমূল নেতার কোমর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে নেওয়ার ভিডিও সংবাদমাধ্যমে দেখা যায়৷” এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু জানান, “কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার, বশির মোল্লাকে বলছেন; “পালিয়ে যাননি কেন, আমার সামনে ধরা পড়েছেন যখন আর কিছু করার নেই।”

    আরও পড়ুুন: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, “আমার ধারণা এই দৃশ্য সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা না পড়লে, বশির মোল্লাকে পুলিশ এমনিই ছেড়ে দিত আগ্নেয়াস্ত্র সহ। আদালতে সরকারি আইনজীবী বশির মোল্লার পুলিশি হেফাজতের আবেদনই জানাননি। অর্থাৎ অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করতে বাধ্য হলেও, বশির মোল্লাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার প্রয়োজনই বোধ করল না পুলিশ। এই বেআইনি অস্ত্র বশির মোল্লা জোগাড় করলো কোথা থেকে?” শুভেন্দুর কথায়, “তা জানার আগ্রহ নেই পুলিশের এবং তার অস্ত্রভাণ্ডারে এই রকম আর কত অস্ত্র মজুত রয়েছে তার খোঁজও চালাতে নারাজ পুলিশ! আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশি হেফাজতকে, তদন্তের স্বার্থে ব্যবহার না করে হিটলারের নাৎসি জমানার গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছেন, সরকার বিরোধী যে কোনও গণতান্ত্রিক আওয়াজের কণ্ঠরোধ করার জন্য। তা সে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদেরই হোক অথবা কোনও সামাজিক সংগঠনের নেতা কর্মীদেরই হোক।” 

    শুভেন্দুর আশা

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আশা, “মহামান্য উচ্চ আদালত, নিম্ন আদালতে নিত্যদিন ঘটে চলা পুলিশ ও সরকারি আইনজীবদের এই দ্বৈত ভূমিকা নিজেদের পর্যবেক্ষণে আনবেন৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: ‘বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নে ভয় পেয়েছেন মমতা’, ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ শুভেন্দুর

    Panchayat Election 2023: ‘বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নে ভয় পেয়েছেন মমতা’, ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে বৃহস্পতিবার। নির্বাচন হবে ৮ জুলাই। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব। চলবে এ মাসেরই ১৫ তারিখ পর্যন্ত। শুক্রবার মনোনয়নপত্র পেশ-পর্বের প্রথম দিনেই রক্তাক্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এক কংগ্রেস কর্মীকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের আক্রমণে জখম হয়েছেন ওই পরিবার ও প্রতিবেশীদের চারজন। রাজ্যে অশান্তি অব্যাহত ছিল শনিবারেও। এই ইস্যুতেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Panchayat Election 2023) বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দুর ট্যুইট-বাণ

    ট্যুইট-বার্তায় তিনি বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের ডোমকলে শাসন করছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। অস্ত্র হাতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাকে। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার। বিরোধীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে সিভিক ভলান্টিয়াররা। বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নে ভয় পেয়েছেন মমতা। তাই বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে’।

    মনোনয়ন পেশে জারি অশান্তি

    এদিকে, মনোনয়নপত্র পেশ করাকে কেন্দ্র করে অশান্তির খবর এসেছে রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে। এদিন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় বিজেপিকে মনোনয়নপত্র পেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় পদ্ম-প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের। এক্ষেত্রেও অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে। বীরভূমের লাভপুরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে প্রহৃত হয়েছেন বিজেপির মণ্ডল সহ-সভাপতি সোমনাথ মণ্ডল। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর হাত-পা ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে ব্যাপক অশান্তি হয় লাভপুরে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোট করতেই হবে’’, নির্বাচন কমিশনারকে কড়া নির্দেশ রাজ্যপালের

    বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরেও মনোনয়ন (Panchayat Election 2023) পেশ করতে গিয়ে তৃণমূলের হামলার শিকার হয়েছেন পদ্ম-প্রার্থীরা। এদিন মনোনয়নপত্র পেশ করতে গিয়েছিলেন বিজেপির ৫০ জন প্রার্থী। তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, বিষ্ণুপুর গ্রামীণ মণ্ডল ১ এর সভাপতি তপন মাজুরি। বিডিও অফিসে ঢোকার আগেই তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ করেছেন নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর নায়ক শুভেন্দু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: সিভিককে উর্দি পরিয়ে পুলিশ করার ছক রাজ্যের! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সিভিককে উর্দি পরিয়ে পুলিশ করার ছক রাজ্যের! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুটের পরিকল্পনা করছে তৃণমূল সরকার। এমনই গুরুতর অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগাতে স্বরাষ্ট্র দফতরের পরিকল্পনা ফাঁস করলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল যেসব জায়গায় জমি হারিয়েছে সেই সব স্পর্শকাতর জেলায় প্রশাসন দ্বিমুখী কৌশল নিচ্ছে। ভোটের সময় বিরোধীদের উপর চাপ তৈরিতেই এই পদক্ষেপ। 

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    ট্যুইটারে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘সূত্র মারফৎ জানতে পেরেছি, রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর সিভিক ভলিন্টিয়ারদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজে লাগাতে চাইছে। আসলে যেখানে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস হারবে বুঝতে পারছে, সেখানে ওই সিভিক ভলিন্টিয়ারদের ব্যবহার করা হবে। যাতে সহজে ওরা ভোট লুঠ করতে পারে। আমার কাছে খবর রয়েছে, যে সব জেলা উত্তেজনা প্রবণ, যেমন জলপাইগুড়ি, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, বীরভূমে সিভিক ভলিন্টিয়ারদের শিখণ্ডি করে ভোট লুঠের চেষ্টা করবে শাসক দল। তবে আমরা সেটা হতে দেব না। সব কিছুর উপর নজর রাখা হচেছ।’

    আরও পড়ুন: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট পঞ্চায়েত মামলার শুনানিতে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘একদিনে নির্বাচন পরিচালনা করতে দরকার বিপুল পুলিশ কর্মী। কিন্তু তা নেই রাজ্যে। তাই সেই অভাব ঢাকতেই ঘুর পথে হাইকোটের্র পর্যবেক্ষণকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতর পুলিশের পোশাক পরিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যবহার করতে চাইছে। কিন্তু আমরা এত সহজে সেটা হতে দেব না। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ডাটা বেস আমাদের কাছে রয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছি। যদি কোনও অন্যায় কাজ করা হয়, তাহলে ইটের বদলে পাটকেল পাবে রাজ্য সরকার। আমরা সব তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রয়োজনে তা হাইকোর্টে জমা দেওয়া হবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ফাইল নিয়ে শাহি দরবারে শুভেন্দু, কী আলোচনা হল বৈঠকে?

    Suvendu Adhikari: ফাইল নিয়ে শাহি দরবারে শুভেন্দু, কী আলোচনা হল বৈঠকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তৎপর ইডি-সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার বেজেছে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ডংকাও। এহেন আবহে শুক্রবার ভোরে দিল্লি পৌঁছলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নর্থ ব্লকে শাহের দফতরে মিনিট পঁয়তাল্লিশেক ধরে দুজনের বৈঠক হয়েছে বলেও খবর। তবে ঠিক কী বিষয় নিয়ে দু পক্ষে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি।

    ঘটনার ঘনঘটা

    বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। আবার এদিনই কয়লা পাচার মামলায় সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ঘণ্টা চারেক ধরে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ১৩ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে খোদ অভিষেককে। এসব ঘটনার ঘনঘটার আবহেই দিন কয়েক আগে ইডি গ্রেফতার করেছে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। এহেন আবহে দিল্লিতে শুভেন্দু-শাহ বৈঠক যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) তলব শাহের

    এদিন বেশ কিছু ফাইল নিয়ে শাহি দরবারে হাজির হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। পৌনে এক ঘণ্টা ধরে বৈঠকের পর ফাইল নিয়েই বেরিয়ে যান তিনি। বিজেপি সূত্রে খবর, এদিনই কলকাতায় ফিরবেন শুভেন্দু। তবে কেনই বা শুভেন্দুকে জরুরি তলব করলেন শাহ, আলোচনাই বা কী হল, তা জানা যায়নি।

    নির্বাচনের দিণক্ষণ ঘোষণা হতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, বাংলায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। রাজ্য, ব্লক, জেলাস্তরে একটিও সর্বদলীয় বৈঠক না করে কীভাবে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যটা খুব পরিষ্কার। হঠাৎ করে এভাবে ভোট ঘোষণা থেকে এটা খুব পরিষ্কার কমিশন তৃণমূলের আঞ্চলিক শাখা সংগঠন হিসেবে কাজ করছে’। এরই মধ্যে শুভেন্দুর শাহি সাক্ষাতে দানা বাঁধছে নানা জল্পনা।

    আরও পড়ুুন: ‘দিদিকে বলো’র ফোন নম্বর কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচিতে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Saugata Roy: “শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম”, তৃণমূলের সৌগতর মন্তব্যে স্তম্ভিত রাজ্য

    Saugata Roy: “শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম”, তৃণমূলের সৌগতর মন্তব্যে স্তম্ভিত রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রবীণ রাজনীতিবিদ। প্রাক্তন অধ্যাপক। বর্তমানে তৃণমূলের (TMC) সাংসদ। তবে সম্প্রতি দলীয় নেতৃত্বকে খুশি করতে গিয়ে কুকথার ছররা ছড়াচ্ছেন তৃণমূলের সৌগত রায় (Saugata Roy)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) চটি পেটা করতেন বলে প্রকাশ্য সভায় জানিয়ে দিলেন তিনি। একজন শিক্ষকের মুখের এহেন ভাষায় স্তম্ভিত রাজ্যের শিক্ষককুল।

    সৌগতর (Saugata Roy) কুবাক্য

    বুধবার বরাহনগরে সভা হচ্ছিল তৃণমূলের। সভার পোশাকি নাম নবজোয়ার যাত্রার প্রস্তুতি সভা। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মতো নেতারা। এমন সময় ভাষণ দিতে উঠলেন সৌগত। তিনি প্রথমেই নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, “শুভেন্দু বলছেন, করমণ্ডল দুর্ঘটনার পিছনে তৃণমূল! ওঁর কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে? কোথায় বালেশ্বর, অন্য রাজ্যে গিয়ে তৃণমূল অন্তর্ঘাত করবে?” এর পরেই সৌগত (Saugata Roy) বলেন, “বয়স কম হলে শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম।” প্রবীণ রাজনীতিবিদের মুখে এহেন কুবাক্য শোনার পরেও মঞ্চে উপস্থিত তৃণমূল নেতারা ছিলেন নির্বিকার।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। পদ্ম-নেতা রাহুল সিনহা বলেন, একজন অধ্যাপকের মুখের ভাষা শুনলে লজ্জা লাগে। আসলে তৃণমূলের পচা পুকুরে নামলে এসব কুকথা বলাই অভ্যাসে পরিণত হয়। শুক্রবার বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয়েছে ২৮০ জনেরও বেশি যাত্রীর। জখম হয়েছেন হাজারেরও বেশি। যাঁরা মারা গিয়েছেন কিংবা জখম হয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই বাংলার। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। দুর্ঘটনার কারণ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেছিলেন, “বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূল। তাই সিবিআই তদন্তে ভয় পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল।” এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দুর প্রতি কুবাক্য-বাণ নিক্ষেপ করেন সৌগত।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    এক প্রবীণ রাজনীতিবিদের (Saugata Roy) মুখের ভাষা যে এমন হতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারছেন না রাজনীতির কারবারিরা। প্রত্যাশিতভাবেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছে তৃণমূল। দলের সহ সভাপতি দলবদলু জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “সৌগতবাবু হয়তো উত্তেজনার বশে বলে ফেলেছেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রে তৃণমূল এ ধরনের মন্তব্যকে সমর্থন করে না। হিংসার পথে চলে না তৃণমূল।”

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে বোমা বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে সৌগত (Saugata Roy) বলেছিলেন, “এই গরমে পটাশিয়াম ক্লোরেট ও আর্সেনিক ট্রাইসালফাইড বাইরে রাখলে তা বিস্ফোরণ হতেই পারে। রাজ্যে ৩৮ হাজার গ্রাম রয়েছে। কোথায় বোমা রয়েছে, সেটা পুলিশের পক্ষ জানা সম্ভব নয়।” প্রাক্তন অধ্যাপকের এহেন মন্তব্যেও অস্বস্তিতে পড়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের বিধানসভা কেন্দ্রেই মিছিল করার অনুমতি মিলছে না। পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামে মিছিল ও জনসভার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার আদালতের মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুক্রবারই শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    শুভেন্দুর মিছিলের প্রস্তুতি

    আগামী ১৬ জুন নন্দীগ্রাম বিধায়ক কার্যালয় থেকে জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত বিরোধী দলনেতা মিছিল এবং পরে সভা করতে চান। অভিযোগ, সেই মিছিল ও সভার জন্য আবেদন জানানো হলেও কোনও উত্তর মেলেনি পুলিশ-প্রশাসনের তরফে। আদালতে বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, ১৬ জুন ওই মিছিলের বিশদ জানিয়েই অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল প্রশাসনের কাছে। কিন্তু প্রশাসনের তরফে সেই আবেদনের কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। বিজেপি নেতা (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন, মিছিলের সাত দিন আগেও জবাব না পাওয়ায় শেষ মুহূর্তে ওই কর্মসূচি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাই আদালত বিষয়টি দেখুক। শুভেন্দুর এই আর্জির শুনানি শুক্রবার হতে পারে বলে আদালত সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন, দেহ টুকরো করে প্রেসার কুকারে ফোটাল প্রেমিক

    আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    উল্লেখ্য, গত ১ জুন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল করে নন্দীগ্রামে যাওয়ার পরই পাল্টা এই মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ১৬ জুন বিকেল ৩টেয় নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা-কর্মীদের মিছিলে সামিল হতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। প্রকাশ্যে অভিষেকের পদযাত্রাকে পাত্তাও দিতে চাইছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। অভিষেকের সভা প্রসঙ্গে শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, বাইরে থেকে, এমনকী কলকাতা থেকেও লোক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অভিষেকের পদযাত্রাকে টেক্কা দিতেই সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। তবে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই ধোঁয়াশা কাটাতেই কলকাতা হাইকোর্টে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share