Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: উদাসীন রাজ্য,  জল পাচ্ছেন না গ্রামের গরিব মানুষ, কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: উদাসীন রাজ্য,  জল পাচ্ছেন না গ্রামের গরিব মানুষ, কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের একটা বড় অংশ পানীয় জল সংকটে ভুগছে। আমাদের রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত আমলাতন্ত্র, বিশেষ করে উচ্চস্তরের আমলাতন্ত্রের একটি অংশ গ্রামের দরিদ্র মানুষের প্রতি চরম উদাসীনতা দেখাচ্ছে। ফলে যাঁরা হর ঘর জলের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁদের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। এই ভাষায়ই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে নিজের দত্তক নেওয়া গ্রামে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিধায়ক সুকান্ত মজুমদার। সেখানে জল নিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তার ঠিক পরের দিনই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    হর ঘর নলসে জল…

    ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ বলেছিলেন, ‘হর ঘর নলসে জল’ প্রকল্পে ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে উপকৃত হবে ৩.৮ কোটি পরিবার। প্রতি ঘরে নলবাহিত পানীয় জল প্রকল্পে (Suvendu Adhikari) ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৩.৮ কোটি পরিবারের জন্য বিপুল বরাদ্দ করা হল। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের উন্নয়ন সাধনে সব রকমভাবে নজর দিয়েছে সরকার। এমন সব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, যা আবাসন, বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাস এবং পানীয় জলের পরিষেবা প্রদান করেছে। প্রতি ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সফলতা এসেছে।

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম প্রসাদে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে রাস্তা ও পানীয় জলের দাবি জানান। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় কল থাকলেও, তা দিয়ে জল (Suvendu Adhikari) পড়ে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, যেহেতু আমার দত্তক নেওয়া গ্রাম, তাই এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ডিএ দিতে গেলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী’, বেফাঁস কৃষিমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই ইডি-র সঙ্গে অসহযোগিতা করেছেন সুকন্যা, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই ইডি-র সঙ্গে অসহযোগিতা করেছেন সুকন্যা, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে অসহযোগিতা করেছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। বৃহস্পতিবার কেষ্ট গড়ে একটি অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে একটি প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এর আগে সুকন্যার বাবা অনুব্রতকে ডুবিয়েছিলেন। একজন বিধায়ক, সাংসদ না হয়েও এই জেলার তাকে সম্রাট তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের কেষ্টর কথা শোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল। দুর্নীতির তদন্তে সুকন্যা সহযোগিতা করলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে নিয়ে হয়তো ভাবনা চিন্তা করত। আসলে তিনি তা করেননি। তিনি বাবার কাছে থাকতে চেয়েছিলেন, তাঁর ইচ্ছা পূর্ণ হল। তবে, এটা বলতে পারি, সুকন্যার ফোনের কললিস্ট খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, মুখ্যমন্ত্রী নিজে বা ফিরহাদ হাকিম, রানা সিংহ, বিকাশ রায়চৌধুরীকে দিয়ে হোক কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে না যাওয়ার জন্য সুকন্যাকে বলেছিলেন। নিজে তো ডুববেন, অন্যদের তিনি এভাবে ডুবিয়ে ছাড়বেন। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, বাবার পাপের ফল মেয়েকে ভুগতে হচ্ছে। আসলে দুর্নীতির জন্য মানিক ভট্টাচার্য এবং অনুব্রত মণ্ডলের গোটা পরিবার জেলে রয়েছেন। রাজ্যে এই ধরনের সংস্কৃতি নতুন। এই লজ্জা রাখার জায়গা নেই।

    সন্ন্যাসীর মৃত্যু নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    কয়েকদিন আগেই বীরভূমের সিউড়ির পুরন্দরপুরে বাহিরি কালীতলা এলাকায় ভুবন ব্রহ্মচারী নামে এক সন্ন্যাসীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে, ময়না তদন্তের রিপোর্টে ওই সন্ন্যাসী আত্মহত্যা করেছে বলে উল্লেখ রয়েছে। যদিও গ্রামবাসীরা ওই সন্ন্যাসী আত্মহত্যা করেছে বলে মানতে নারাজ। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের একাধিক মঠের মহারাজ, সন্ন্যাসীরা বৃহস্পতিবার হাজির হন। প্রতিবাদ মিছিল করেন। সেই কর্মসূচিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সামিল হয়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, যে ভাবে তাঁর দেহ ঝুলছিল তাতে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হয় না। আমরা তাঁর ওই মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি। এদিন একজন সনাতনী হিসেবে ওই সন্ন্যাসীকে শ্রদ্ধা জানাতেই এখানে হাজির হয়েছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘এই চোরদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হবে’, জামালপুরের সভায় বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘এই চোরদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হবে’, জামালপুরের সভায় বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী এক বছরের মধ্যে রাজ্যে দুটো নির্বাচন। মোকাবিলা করতে হবে। এই চোরদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হবে। জামালপুরের জনসভায় এ কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, এক বছরের মধ্যেই পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচন। আর ২০১৮ সালের মতো লুঠ নয়। এবার গণতান্ত্রিক পরিবেশে, মানুষের পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্যে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, এ রাজ্যে বিজেপিই একমাত্র বিরোধী দল। সেই বিরোধী দল হিসাবেই আমরা বাংলাজুড়ে কাজ করছি। দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মী জেলায় জেলায় নির্বাচনের আগে লাগাতার আন্দোলন চালাবেন। বিজেপির মিটিং-মিছিল টানা চলবে।

    পিসি-ভাইপো সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)…

    শুভেন্দু বলেন, পিসি-ভাইপোর দুর্নীতির আঁতুড়ঘর ভেঙে দিতে হবে। সিপিএমের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, জামালপুরে ২০১৬ সালে সিপিএমের প্রার্থীকে আপনারা জিতিয়েছিলেন। তৃণমূলকে হারিয়েছিলেন। সূর্যকান্ত মিশ্র হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই সময় বিরোধী দল সিপিএমের ভূমিকা ও বর্তমানে ৭৭টি সিট জেতা রাজ্যের আসল বিরোধী দল বিজেপির ভূমিকা আপনারা বলুন। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ওটা ছিল সেটিং অপজিশন। শুভেন্দু বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে একেবারে ঘরে ঢুকে গিয়েছিল। এখন মাঝেমধ্যে ঝান্ডা হাতে বেরিয়ে পড়ে। দুনিয়ার মজদুর এক হও বলে গলা ছাড়ে। শুভেন্দু বলেন, ওদের ফাঁদে পা দেবেন না। রাষ্ট্রবাদী ডবল ইঞ্জিন সরকার ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের পরিত্রাণ নেই। কারণ ৩৪ বছরের সিপিএম নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের চাকরি দিয়েছে। আর প্রতি মাসে আড়াই শতাংশ করে লেভি নিয়েছে। তৃণমূল চাকরি নিয়ে বেচে দিচ্ছে। এখন শুধু পচা দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘তিহাড় জেলে তৈরি হবে তৃণমূলের নয়া ইউনিট টিটিএমসি’, ফের বললেন সুকান্ত

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল যে ভয় পেয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ২০০-র বেশি আসন নিয়েও ভীত তৃণমূল। তাই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রাসাদের মতো বাস নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। সেখানে আবার ব্যালটবাক্স উল্টে দিয়েছে এক দল। তিনি বলেন, ভাইপো ব্যালটবাক্স নিয়ে গিয়েছিল। সিতাই ও সাহেবগঞ্জে ব্যালটবাক্স ভেঙে দিয়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, মোদিজি বাংলায় ৫০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছে। যতক্ষণ না হিসেব দেবে রাজ্য, ততক্ষণ পর্যন্ত ভারত সরকার টাকা দেবে না। তিনি বলেন, ধেড়ে ইঁদুর, জনজোয়ার যাত্রা হবে না, হবে তিহাড় যাত্রা। কয়লা ঝেড়ে শেষ তৃণমূল। তাই তো তৃণমূল ভয় পেয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের ‘এক রাতের তাঁবু তৈরির খরচ ৯২ লক্ষ টাকা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের ‘এক রাতের তাঁবু তৈরির খরচ ৯২ লক্ষ টাকা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক এক রাতের তাঁবু তৈরির খরচ ৯২ লক্ষ টাকা। বুধবার তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি সম্পর্কে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব যে বাস ব্যবহার করছেন, সে প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, বিলাসবহুল সেই বাস পাঁচতারা হোটেলকেও হার মানাবে। ওই বাসে যা যা ব্যবস্থা আছে, তা অনেক পাঁচতারা হোটেলেও থাকে না।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের আগুনে ধামাচাপা দিতে জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়েছেন অভিষেক। জনসংযোগ এই যাত্রার পোশাকি নাম নবজোয়ার। মঙ্গলবার কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। সেই কর্মসূচি পালন করতে গিয়েই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, এই টাকার সিংহভাগ অংশ খরচ করছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর। ফান্ডের অভাবে যেখানে সরকারি কর্মচারিদের বকেয়া ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না, সেখানে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে জনসংযোগ যাত্রা কর্মসূচি পালনের মানে কি? প্রশ্ন তাঁদের।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ…

    অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ও (অভিষেক) যত ঘুরবে, ততই লাভ হবে বিজেপির। ভোট বাড়বে বিজেপির। অতীতেও হয়েছে, আগামী দিনেও হবে। তিনি বলেন, তাই এ ব্যাপারে বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, খুব খেলা হবে, খেলা হবে বলছিলেন। এখন উল্টো খেলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, কালিয়াগঞ্জ যাবেন নাকি? আপনি তো পুলিশমন্ত্রী, যান না একবার ঘুরে আসুন।

    আরও পড়ুুন: মমতার ঘাড়ে দিল্লির ‘ভূত’! মালদহকাণ্ডে বিজেপির চক্রান্ত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    এদিকে, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) গড়ে নবজোয়ার কর্মসূচি পালন করতে আসছেন অভিষেক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তিনি থাকবেন চারদিন। তার ঠিক আগে আগেই কার্যত ধস নামল ঘাসফুল শিবিরে। মঙ্গলবার সকালে পটাশপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে পদত্যাগ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান, অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতি সহ ৩০ জন পদাধিকারী। পটাশপুর ২ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অমিত মণ্ডল বলেন, প্রধান হিসেবে আমি একা পদত্যাগ করিনি। অধিকাংশ পঞ্চায়েত সদস্যই পদত্যাগ করেছেন। ব্লকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও দ্বিচারিতার জন্যই পদত্যাগ করলাম। কোনও সিদ্ধান্ত আলোচনা না করেই আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্লক নেতৃত্বের নির্দেশে পুলিশকে দিয়ে আমাদের পদাধিকারীরাই দলের কর্মীদের গ্রেফতার করাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার করবে না বিজেপি!

    Mukul Roy: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার করবে না বিজেপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে আবেদন করেছিল বিজেপির (BJP) পরিষদীয় দল। তৃণমূল (TMC) ঘুরে বিজেপিতে ফিরতে মরিয়া মুকুল দিল্লিতে পড়ে রয়েছেন হত্যে দিয়ে। যদিও বিজেপির কোনও শীর্ষ নেতা দেখা করেননি মুকুলের সঙ্গে। এমতাবস্থায় পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের যে আবেদন করা হয়েছিল, তা ফিরিয়ে নেওয়া হবে না।

    মুকুল রায়ের (Mukul Roy) ভোলবদল…

    দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধের জেরে বছর কয়েক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তরে তাঁকে প্রার্থী করে পদ্মশিবির। তৃণমূল প্রার্থীকে পরাজিত করে পদ্ম চিহ্ন নিয়ে ওই আসনে হইহই করে জিতে যান মুকুল (Mukul Roy)। এর পর ১১ জুন, ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূল ভবনে গিয়ে যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। সপুত্র মুকুলের ঘর ওয়াপসির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এবং তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলবদলের পুরস্কার স্বরূপ মুকুলকে দেওয়া হয় পিএসি-র চেয়ারম্যানের পদ।

    এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে চিঠি দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পরে বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের। স্পিকার তাঁর রায় ঘোষণা করলেও, আদলতে বিচারাধীন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন। এহেন আবহে গত ১৭ এপ্রিল আচমকাই ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান মুকুল। বীজপুর থানা এবং দমদমের এয়ারপোর্ট থানায় মিসিং ডায়েরি করেন শুভ্রাংশু। পরে জানা যায়, মুকুল গিয়েছেন দিল্লিতে। সেখানেই রয়েছেন। এর পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুকুল বলেন, তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন। কোনওদিন তৃণমূলে ছিলেন না। তিনি এও জানিয়েছিলেন, বিজেপির সঙ্গে থেকেই কাজ করতে চান। তাই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে এসেছেন।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    মুকুলের (Mukul Roy) বিজেপিতে ফেরার প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুকুল যখন দলত্যাগ করেছিলেন, তখন তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন। তাই তাঁর বিষয়ে সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার তা নেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই। মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দফতর জানিয়েছে, আবেদন প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রাজ্যের ৯০ শতাংশ মুসলিম বাংলা-ভাষী, তাও কেন হিন্দিতে ভাষণ’’,  মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘রাজ্যের ৯০ শতাংশ মুসলিম বাংলা-ভাষী, তাও কেন হিন্দিতে ভাষণ’’, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেড রোডে ইদের সমাবেশে ‘মুখ্যমন্ত্রী হিন্দিতে কেন ভাষণ দেবেন? এবার এই প্রশ্ন তুললেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যা সাড়ে ৩ কোটি এবং এদের মাত্র ১০ শতাংশ উর্দুতে কথা বলেন। রাজ্যে বসবাসকারী ৯০ শতাংশ মুসলিম বাংলায় কথা বলেন। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী হিন্দিতে ভাষণ দিলেন। শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, আগে রেড রোডের নামাজ আয়োজন করত খিলাফৎ কমিটি। কিন্তু এবার দেখা গেল পূর্ত দফতর টেন্ডার ডেকে সব খরচ করেছে।

    শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, আগে খিলাফৎ কমিটি চালাতেন ধর্মপ্রাণ মানুষরা। এখন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলের ছত্রচ্ছায়ায় আনার জন্য খিলাফতের মাথায় জাভেদ খানকে বসানো হয়েছে। অন্যদিকে এবার রাজ্যে মুসলিম সমাবেশের পথে বিজেপি। প্রসঙ্গত,  গত মাসের ২৯ ও ৩০ তারিখ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রেড রোডে আম্বেদবকর মূর্তির সামনে ধর্না কর্মসূচি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই জায়গাতেই মুসলমান সমাবেশ করতে চলেছে বিজেপি। সোমবার রাজ্য বিজেপি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কোন ইস্যুতে হবে এই সমাবেশ

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বক্তব্য, পবিত্র ইদের দিন মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে যেভাবে রেড রোডের নামাজে বিভাজনের কথা বলেছেন, মুসলমান ভোট ভাগাভাগি নিয়ে কথা বলেছেন তা বাংলার সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করতে পারে। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই বক্তব্যকে বড় অংশের মুসলিমরা সমর্থন করেন না। উনি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মঞ্চে গিয়ে সরাসরি রাজনৈতিক বিভাজনের কথা বলেছেন। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা এই সমাবেশ আয়োজন করবে। সার্বিকভাবে গোটা দল সেই কর্মসূচির পাশে থাকবে।  তাঁর আরও সংযোজন, তিনি বলেন, ‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে যিনি বিভাজনের রাজনীতি করতে চান তাঁর মুখোশ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় জনতা সংখ্যালঘু মোর্চা।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta-Suvendu-Abhishek: সরকারি অর্থের অপচয়! অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Sukanta-Suvendu-Abhishek: সরকারি অর্থের অপচয়! অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সুকান্ত বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ কেমন দেখতে উনি আগে কোনওদিন দেখেননি। তাই এসি বাস, এসি তাঁবু দেখতে যাচ্ছেন’। শুভেন্দুর দাবি, সরকারি অর্থ অপচয় করে এই যাত্রার ডাক দেওয়া হচ্ছে।

    তৃণমূলের নব জোয়ার যাত্রা

    সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘তৃণমূলের নব জোয়ার’ যাত্রা। টানা ২ মাস ধরে, কোচবিহার থেকে সাগর….জনসংযোগ যাত্রা (Trinamoole Nabo Jowar) করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক যেখানে রাত্রিবাস করবেন, তার মধ্যে রয়েছে এমন ১৩টি বিধানসভা, যেখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে। যেমন কোচবিহারের মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, আলিপুরদুয়ার, মালদা, জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর, বীরভূমের দুবরাজপুর, বাঁকুড়ার কোতুলপুর, ছাতনা, পুরুলিয়ার কাশিপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, হুগলির গোঘাট এবং উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণ। অভিষেকের কথায়, ‘এত বড় একটা কর্মসূচি কোনওদিন ভারতবর্ষে কেউ নেয়নি, বাংলা তো ছেড়ে দিন।’

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    অভিষেকের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘এই কর্মসূচির সঙ্গে মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই’ বলে মত শুভেন্দুর। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, ‘প্রথমত বিপুল সরকারি অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে এই প্রচারে। ডিসি পদমর্যাদার ৫ জন পুলিশ আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়েছে যাতে, কয়লা ভাইপোকে চোর স্লোগান শুনতে না হয়।’ অভিষেককে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি ‘গাড়ির স্পিড একশোর নিচে নামাবেন না, তাহলেই চোর স্লোগান শুনতে হবে।’

    সুকান্তর অভিমত

    সোমবার অভিষেকের প্রচার-যাত্রাকে কটাক্ষ করেই, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই করতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য ও জেলা স্তরে কমিটি গঠন প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মত, ‘তার মানে এতদিন গ্রামের মানুষের মতামত না নিয়ে চলেছেন। তারা গ্রামের মানুষের মতামত কোথা থেকে নেবেন, গ্রামের মানুষের মতামত দেওয়ার সাহস নেই তৃণমূল কংগ্রেসের সম্বন্ধে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যে ধরনের গুন্ডামি করেন কোনও মানুষ সাহস দেখাতে পারবেন না। এক সে এক চোর বসে আছে তৃণমূল কংগ্রেসে’। 

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

    পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘আমরা স্বাগত জানাবো এই নির্দেশকে। প্রত্যেকটি পুরসভায় তদন্ত হওয়া উচিত। তাহলে আরও বেশ কিছু চোর এই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেরোবে এবং জেলে থাকবে’। মমতা-নীতীশ বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আবার জোট পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে। আগেরবার চেষ্টা হয়েছিল নীতিশ কুমার একবার ধোঁকা দিয়েছে এনডিএ-কে। আরও একবার দিল। নীতিশ কুমারের রাজত্ব বিহার থেকে শেষ হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্ব শেষ করব’।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অস্তিত্বহীন দলের নোটিশ অবৈধ! পাল্টা আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: অস্তিত্বহীন দলের নোটিশ অবৈধ! পাল্টা আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় দলের তকমা পুনরায় ফিরে পেতে মুখ্যমন্ত্রী চারবার ফোন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) এই দাবিকে অপপ্রচার বলে তাঁর কাছে বুধবার আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। বুধবার শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তাঁর আইনজীবী মারফত সেই নোটিসের জবাব দিলেন। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী সরাসরি নোটিশের বৈধতাকেই চ্যালেঞ্জ করেছেন। লিখেছেন, ‘‘অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস নামে কোনও দল এখন নেই। তৃণমূল নামে আঞ্চলিক একটি দল রয়েছে। তাই অস্তিত্বহীন কোনও সংগঠনের তরফে এমন নোটিস পাঠানোই যায় না!’’ আইনের দৃষ্টিতে এই নোটিশকে ‘অবৈধ’ দাবি করে শুভেন্দুর আইনজীবী সূর্যনীল দাস অবিলম্বে সেটি প্রত্যাহারও করতে বলছেন। শুধু তাই নয় নোটিস প্রত্যাহার করা না হলে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছে জবাবি চিঠিতে। পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানহানির যে অভিযোগ তাঁর মক্কেল শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ডেরেক তুলেছিলেন, তা ‘ভিত্তিহীন’ বলেছেন শুভেন্দুর আইনজীবী।

    ঘটনাক্রম…

    প্রসঙ্গত, যোগ্যতা শর্ত পূরণ না করতে পারার কারণে জাতীয় দলের তকমা চলে তৃণমূলের। এরপর পরই সিঙ্গুরের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, তৃণমূল সর্বভারতীয় তকমা হারানোর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি চারবার অমিত শাহকে ফোন করেন এই তকমা ফিরিয়ে দেওয়া আরজি জানান। কিন্তু অমিত শাহ জানিয়ে দেন তা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, এই অভিযোগ মিথ্যা। বিরোধী দলনেতা তা প্রমাণ করতে পারলে তিনি পদত্যাগ করবেন। তখনই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, নোটিশ পাঠান। নোটিসে বিরোধী দলনেতার সিঙ্গুরের মন্তব্য তুলে দিয়ে ডেরেক লেখেন,’আমাদের দলের চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে মন্তব্য অত্যন্ত অবমাননাকর। জনসমক্ষে এই ধরনের অসত্য করা বলে আমাদের দলের ভাবমূর্তিকে আপনি নষ্ট করতে চেয়েছেন।’
     পরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)  বলেন, কথোপকথনের রেকর্ডিং সামনে আনলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। কিন্তু তা সম্ভব নয় প্রোটোকলের কারনেই। শুভেন্দু এও জানান, মামলা কোর্ট অবধি গেলে ভালই হবে, তখন কোর্ট সংশ্লিষ্ট টেলিকম সংস্থাগুলির কাছে  এই কথোপকথনের রেকর্ড চাইবেন। সর্বসমক্ষে প্রমাণ হবে সবটা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tweet War: ‘‘কীভাবে কাজ হয় জানুন’’! অভিষেককে গিরিরাজের দায়িত্বের ‘পাঠ পড়ালেন’ সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    Tweet War: ‘‘কীভাবে কাজ হয় জানুন’’! অভিষেককে গিরিরাজের দায়িত্বের ‘পাঠ পড়ালেন’ সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-এর চিঠি নিয়ে শুরু হয়েছে ট্যুইট-যুদ্ধ। নিজে মন্ত্রী হয়েও কোন দফতরে তৃণমূলের চিঠি পাঠানোর কথা বললেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিং? এই প্রশ্ন তুলে ট্যুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।  কিন্তু আসলে গিরিরাজ একই সঙ্গে দুটি মন্ত্রক সামলান তাই তাঁর জবাবে কোনও ভুল নেই। নিয়ম মেনেই চিঠি সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করছেন বিজেপি নেতারা। ট্যুইট করে মন্ত্রীর দায়িত্ব রীতিমতো ছকের আকারে বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট বার্তায় তৃণমূলকে প্রশাসনিক নিয়ম-নীতির পাঠ নিতে বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    ট্যুইট-যুদ্ধ

    একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনা খাতে বাংলায় বকেয়া পাওনা চাইতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ে সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সাক্ষাৎ হয়নি। এরই মাঝে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে চিঠি লিখেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন মন্ত্রী। সেখানে লেখা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে চিঠিটা ফরওয়ার্ড করা হচ্ছে।’ গিরিরাজের ওই চিঠি নিয়ে ট্যুইটে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, আপনি নিজেই যদি সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী হন, তা হলে চিঠিটা ফরওয়ার্ড করলেন কাকে?

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, শহিদ ৫ জওয়ান, জখম ১

    শুভেন্দুর ট্যুইট 

    অভিষেকের ওই টুইট মেনশন করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আবার ট্যুইটে (tweet war) লিখেছেন, অর্ধশিক্ষিত বারো ক্লাস পাশ ভাঁড়েরা চিঠির মানে বোঝেনি। গিরিরাজ সিং দুটি দফতরের মন্ত্রী। গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ। উনি সংশ্লিষ্ট দফতরকে চিঠিটা পাঠিয়ে দিয়েছেন।

    সুকান্তর ট্যুইট 

    অভিষেকের এই ঠাট্টার জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি অভিষেকের টুইট বার্তাকে রিটুইট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘এনডিএ সরকারের মন্ত্রীরা তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে আলাদা। একাধিক মন্ত্রণালয়ের দেখাশোনা করা মন্ত্রীরা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলিকে কর্তব্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেন। যেহেতু ‘জামির লেন-কা আমির বাবু’র লেটারহেডে চাকরির সুপারিশ দেখতে অভ্যস্ত, তাই এটা তাঁর কাছে হিব্রু বলে মনে হচ্ছে।’

  • Suvendu Adhikari: বাধা নিরাপত্তা, তাই মমতার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাধা নিরাপত্তা, তাই মমতার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দায়িত্বশীল বিধায়কও। তাই নিরাপত্তার খাতিরে মুখ্যমন্ত্রীর কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আপনি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনেক রকম ব্যাপার থাকে। নিরাপত্তার জন্যই আপনার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনা যায় না। তাই আনছি না।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)…

    মঙ্গলবার সিঙ্গুরের এক জনসভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা চলে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে চারবার ফোন করে হাতে পায়ে ধরেছিলেন। শুভেন্দুর সেই দাবিকে মিথ্যাচার বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বলেছিলেন, সত্যি প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।

    এদিনই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেছিলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মমতার কল রেকর্ডিং প্রকাশ্যে এনে সব ফাঁস করবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দিকটির কথা ভেবে কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যদিও তাঁর দাবি যে নিছক ভুয়ো নয়, তাও জানান শুভেন্দু। তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, আপনারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। সেই মামলা করুন। কারণ সে ক্ষেত্রে মামলার সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রীর কল রেকর্ডিংয়ের তথ্য প্রকাশ্যে আনতে বাধ্য হবে সংশ্লিষ্ট টেলি যোগাযোগ সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: ঈদের জন্য রেড রোড ও ময়দানের প্রস্তুতির যাবতীয় খরচ এবার করছে মমতার সরকার!

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শুভেন্দুর ওই মন্তব্যের পর বুধবারই তৃণমূলের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। সেই চিঠির সারমর্ম হল, শুভেন্দু ওই মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, আদালতে মামলা হলেই দুধ আর জল স্পষ্ট হয়ে যাবে। এদিন নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, আপনি প্রশাসনিক কর্ত্রী। আপনার ফোনের ডিটেল, কলের ডিটেল জনসমক্ষে আনা যায় না। আমি তা জনসমক্ষে আনতেও চাই না। একমাত্র আইন বা আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া তা জনসমক্ষে আসে না।

    তিনি বলেন, আপনি মামলা করুন। ট্রাইকেও (TRAI) আমি পার্টি করব। ৪ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল আপনার দুটি ল্যান্ড ফোনের কল রেকর্ড আদালতের কাছে তারা দিতে বাধ্য হবে। তাহলেই দুধ ও জল স্পষ্ট হয়ে যাবে। শুভেন্দু বলেন, আমি আপনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম, আপনিও আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share