Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পুকুরচুরি! ‘প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পুকুরচুরি! ‘প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের নানা প্রকল্পে এ রাজ্যে পুকুর চুরি হয়েছে বলে বারংবার অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার ট্যুইট-বার্তায় তার ‘প্রমাণ’ দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PMYA) যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, তাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দুর্নীতির নাগাল পেতে এ রাজ্যের সাত জেলায় তদন্ত করেছিল ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং টিম।

    চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    এই টিমের সদস্য ছিলেন আইএএস মনোজ পন্থ এবং আইএএস পি উলগানাথন। এই টিমের রিপোর্টেই স্পষ্ট, আক্ষরিক অর্থেই পুকুর চুরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। পূর্ব বর্ধমানে অবৈধভাবে দখল করা এক জমিতে গড়ে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর। দেওয়ালে অবশ্য লেখা, বাংলা আবাস যোজনা। মুর্শিদাবাদে আবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৫৩১ জন। দেখা গিয়েছে, এর মধ্যে যোগ্য মাত্রই ২৫ জন।

    আবাস প্লাস যোজনায় ঘর

    পূর্ব মেদিনীপুরে (Suvendu Adhikari) আবার চুরি হয়েছে অন্যভাবে। যাঁর পাকা বাড়ি রয়েছে, আবাস প্লাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন তিনিও। সুবিধাভোগীর তালিকায় এমন অনেকেরই নাম রয়েছে, যাঁদের আদৌ ওই সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। ৪ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যোগ্য নন এমন সুবিধাভোগীর সংখ্যা এই জেলায় ১,৯৮০ জন। কিছু বাড়ির দেওয়ালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লেখা থাকলেও, অনেক ক্ষেত্রেই তা লেখা নেই।

    পশ্চিম মেদিনীপুরে আবার অন্য ছবি। এখানে ভেরিফিকেশন টিম যাঁদের নাম প্রস্তাব করেছে, তাদের এই সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। আবাস যোজনায় যাঁরা বাড়ি পেয়েছেন, সেখানে এই প্রকল্প সম্পর্কে উচ্চবাচ্য করা হয়নি। কালিম্পংয়ের ছবিটাও প্রায় একই রকম। ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং টিমের আসার খবর পেয়েই লেখা হয়েছে দেওয়াল। দার্জিলিংয়েও প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন এমন অনেকে, যাঁদের তা পাওয়ার কথা নয়। প্রধানমন্ত্রী (Suvendu Adhikari) আবাস যোজনায় বাড়ি পেলেও, দেওয়াল থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে লোগো। নদিয়ায়ও এমন অনেকেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন, যাঁদের পাকা বাড়ি রয়েছে। এখানেও অনেক সুবিধাভোগীর দেওয়ালেও লোগো কিংবা অন্য কোনও চিহ্ন নেই, যা দেখে মনে হয় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা পেয়েছেন তিনি।

     

    আরও পড়ুুন: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী ও বিজয়কৃষ্ণের ছেলেকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু! কোথায় হল নিয়োগ?

  • Suvendu Adhikari: “মুখ্যমন্ত্রী, পোড়া লাশের গন্ধ পাচ্ছেন?” বজবজ-বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মুখ্যমন্ত্রী, পোড়া লাশের গন্ধ পাচ্ছেন?” বজবজ-বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাজি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এগরার পর বজবজ। ৫ দিনের ব্যবধানে আবার বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে এক নাবালিকা-সহ ৩ জনের। বজবজ বিস্ফোরণকাণ্ডেও এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    ট্যুইটবার্তা শুভেন্দুর

    ট্যুইটবার্তায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন, ‘খাদিকুল গ্রামে পোড়া মাংসের গন্ধ আর বিস্ফোরকের অবশিষ্টাংশ এখনও বাতাসে ভাসছে। আহতদের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। সেই রেশ মেলানোর আগেই বজবজের নন্দরামপুরের দাসপাড়ায় আরও একটা বিস্ফোরণ। এখনও পর্যন্ত ৩ জনের পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এটা পুনরাবৃত্তি মনে হতে পারে, কিন্তু এক্ষেত্রেও আমি এনআইএ তদন্ত চাইছি। মুখ্যমন্ত্রী, আপনি ঘুম থেকে উঠে পোড়া লাশের গন্ধ পাচ্ছেন? আর কত মৃত্যু আপনার বিবেককে নাড়া দেবে?’ 

    সরব দিলীপ ঘোষ

    রবিবার রাত পৌনে ৮টা নাগাদ, একটি বাড়ির ছাদে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ভেঙে পড়ে অস্থায়ী ছাউনি। তাতেই চাপা পড়েছিলেন তিনজন। পরে তাঁদের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দিলীপ ঘোষও। সোমবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে আসেন দিলীপ ঘোষ। ইকোপার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই এগরার পর বজবজের বাজি কারখানায় আগুন প্রসঙ্গে তিনি জানান, যেখানে বাজির কারখানা সেখানেই ভয়ের পরিবেশ থাকে। বলেন, ‘এটা অনেকদিন ধরে চলছে। বেশিরভাগ বাজি কারখানা বেআইনি ভাবে চলে। তাদের ক্যাপাসিটি বা নিয়মকানুন কিছুই মানা হয় না। বেশিরভাগ গরিব লোক এখানে কাজ করে, তাদের জীবনহানি হয়। যেখানে বাজির কারখানা সেখানেই এইরকম ভয়ের পরিবেশ থাকে। এগরাতে অনেক মহিলা কাজ করতেন, ৭-৮ জন মহিলা যারা মারা গিয়েছেন, তাদের বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। তারা অনাথ হয়ে গিয়েছে। পুলিশ সব জানে। সব জায়গা থেকে টাকা খাওয়ার এইরকম অভ্যাস হয়ে গেলে এই সমস্যার কোনদিন সমাধান হবে না।’

    আরও পড়ুন: এগরার পর বজবজ! বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর সিবিআই জেরা থেকে ছাড়া পেলেন অভিষেক, কী বললেন?

    Abhishek Banerjee: ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর সিবিআই জেরা থেকে ছাড়া পেলেন অভিষেক, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করেছিল সিবিআই। ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট জেরার পর ছাড়া পেলেন তিনি। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে নিজের ঘড়ির দিকে সময় দেখে বললেন, ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। মুখে না বললেও সিবিআই জেরার পর তিনি যে হাফ ছেড়ে বাঁচলেন, তা তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট।

    কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    দিনভর সিবিআই জেরার পর তিনি বাইরে বেরিয়ে সেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তোপ দাগলেন। একইসঙ্গে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিজেপিকে। তিনি (Abhishek Banerjee) বলেন, “২০১৪ সাল থেকে আমি টার্গেট হয়ে রয়েছি। রাজ্যে নবজোয়ার কার্যত জনপ্লাবনে পরিণত হয়েছে। আর তাতে আতঙ্কিত হয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে। একদিনের নোটিসে আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে ওরা যে সব প্রশ্ন করেছে, সব প্রশ্নের আমি উত্তর দিয়েছি। নিয়োগ দুর্নীতিতে কয়েকজন এজেন্টের কথা বলা হয়েছে। ৯০ শতাংশ পূর্ব মেদিনীপুর আর মুর্শিদাবাদের লোক। আর ওই দুটি জেলার দায়িত্বে কে ছিলেন আপনার সকলেই তা জানেন। তাঁকে সিবিআই ডাকবে না। হাতে করে তাঁকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তবুও তাঁকে সিবিআই ডাকবে না। কারণ, তিনি বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক।” এরপর কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিরপেক্ষতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “কুন্তলের চিঠির জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে। তাহলে সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে অধীর চৌধুরী, শুভেন্দু অধিকারী এবং সুজন চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। তাদের সিবিআই, ইডি ডাকল না কেন? এসব সিবিআই, ইডি আমাকে দেখিয়ে কোনও লাভ নেই। সোমবার থেকে দ্বিগুণ উত্সাহে ফের নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হবে। আগের থেকে অনেক বেশি কর্মী-সমর্থক হাজির হবেন।”

    অভিষেকের বক্তব্য নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

    মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব থাকা নিয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee) যে অভিযোগ তুলেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুর্শিদাবাদে আমি দায়িত্বে ছিলাম বলে তৃণমূল ক্ষমতায় ছিল। আমি এখন নেই। তাই, সাগরদিঘিতে তৃণমূল হেরেছে। এরপর সিবিআই জেরা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “তোলাবাজ ভাইপো ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সিবিআই জেরায় কেমন লাগলো? দেখ কেমন লাগে। ভাইপো নবজোয়ার করতে যে যে জেলায় যাবে, তৃণমূলের ভোট হু হু করে কমবে। বিজেপির ভোট বাড়বে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ফাঁসির দড়ি পরার দরকার নেই, তদন্তে সহযোগিতা করুক’’! অভিষেক প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘ফাঁসির দড়ি পরার দরকার নেই, তদন্তে সহযোগিতা করুক’’! অভিষেক প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘কোর্টে গিয়ে অনেক চেষ্টা করেছেন, আটকাতে পারেন নি। ফাঁসির দড়ি পরার দরকার নেই, তদন্তে সহযোগিতা করুক।’’ শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে এসে অভিষেক প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আদালত থেকে কোনও রক্ষাকবচ পাননি। শনিবার বেলা ১১ টায় সিবিআই নিজাম প্যালেসে হাজিরার ব্যাপারে নোটিশ দিয়েছে তাঁকে। এ প্রসঙ্গে কালিয়াগঞ্জে এসে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী৷

    এগরা বিস্ফোরণ নিয়ে মমতাকে আক্রমণ বিরোধী দলনেতার

    অন্যদিকে ভানু বাগের মৃত্যু প্রসঙ্গেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা৷ তিনি বলেন, ‘‘ভানু বাগের মৃত্যুতে পরিবারের যা ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷’’ উল্লেখ্য ক’দিন আগে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এগরা। মৃত্যু হয় ৮ জনের। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয়। যদিও ওড়িশায় পালিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে সিআইডির হাতে। কিন্তু ঘটনার সময় শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যাওয়ায় সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়৷ 

    কালিয়াগঞ্জ প্রসঙ্গে কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    এদিন কালিয়াগঞ্জে এসে নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ঘটনার প্রায় একমাস পর উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে মৃত নাবালিকা ও গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার দুপুরে  বিরোধী দলনেতা প্রথমে কুনোরে অবস্থিত ভারত সেবাশ্রমে যান এবং স্বামীজিদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়া এলাকায় মৃত নাবালিকার বাড়িতে যান। কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ শোনেন তাঁদের কাছ থেকে। উল্লেখ্য গত ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন পালোই বাড়ি এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার হয় এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মৃতদেহ। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় দফায় দফায় উত্তাল হয় কালিয়াগঞ্জ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘আপনার দলকে বোমা সাপ্লাই দিত ভানু’! এগরাকাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘আপনার দলকে বোমা সাপ্লাই দিত ভানু’! এগরাকাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণকাণ্ডের জন্য পুলিশমন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার তিনি এগরার খাদিকুল গ্রামে যান। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার তিনি আশ্বাস দেন। খাদিকুলে বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘বগটুই থেকে এখনও পর্যন্ত যে সব ঘটনা ঘটেছে তারজন্য রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী দায়ী। তাই, পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। আর এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছি। দু-তিনদিনের মধ্যেই এই দাবিতেই এগরায় ২৫ হাজার কর্মী নিয়ে মহা-মিছিল করা হবে।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে বলি, শুধু বাজি কারখানাই নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আপনার পার্টিকে বোমা সাপ্লাই (সরবরাহ) করার জন্য এই কারখানা তৈরি হয়েছিল। আর আপনার পুলিশ প্রতি মাসে এখান থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়ে যেতেন।’’

    পুলিশকে মাসোহারা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাজি কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁর বউমাকে ২০১৮ সালে ভোটে দাঁড় করিয়েছিলেন। এই বাজি কারখানার মালিক প্রতিমাসে এগরা আইসি-কে ৫০ হাজার টাকা করে পাঠাতেন। বিশ্বজিৎ নামে এক এএসআই এই টাকা নিয়ে যেতেন। সব হিসেব হবে। তোলাবাজ পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। পুলিশ দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হলে সমস্ত তথ্য তারা লোপাট করে দেবে। তাই, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ন্যাশনাল ফরেনসিক টিম দিয়ে তদন্ত করতে হবে।’’

    ক্ষতিপূরণ নেওয়া নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে, সেটা ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের টাকা। প্রত্যেক নিহত ব্যক্তিদের ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’’ এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: এগরায় বিস্ফোরণ হওয়া সেই বাজি কারখানার মালিক তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য

    এনআইএ-র দাবিতে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মামলা হাইকোর্টে

    এগরায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের ঘটনায় আগাগোড়াই এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব বিজেপি নেতারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়ে ইতিমধ্যেই সেই দাবির কথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার ওই একই দাবিতে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি পি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে মামলা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার মতো এগরা কাণ্ডের জলও গড়ালো আদালতে। শুভেন্দুর আর্জি আদালতে গৃহীত হয়েছে। খুব সম্ভবত বৃহস্পতিবারই এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, বেকায়দায় পড়ে ইতিমধ্যেই এনআইএ-র দাবিতে সহমত পোষণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra Blast: বাজির আড়ালে বোমা! এগরায় বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Egra Blast: বাজির আড়ালে বোমা! এগরায় বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Egra Blast) ইতিমধ্যেই ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।

    সুকান্তর দাবি

    এই ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠল বলে অভিমত সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বলেন, ‘এটাই তো পশ্চিমবঙ্গের শিল্প। তৃণমূল তো গোটা রাজ্যে বোমা বন্দুকের কারখানা করেছে। গোটা দেশে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে এই ধরণের ঘটনা ঘটে। আর মুখ্যমন্ত্রীর কোনও লজ্জাও নেই। এরকম নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রী আমরা জীবনে দেখিনি যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। এতো পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি হচ্ছে। আমি দেখলাম ক্ষতবিক্ষত দেহাংশ পড়ে আছে। ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ লোপাট হবে। আমরা দাবি করছি এর এনআইএ তদন্ত হোক। এই দাবিতে আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখছি’।

    এনআইএ তদন্তের দাবি

    মঙ্গলবার দুপুরে কেঁপে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রাম। বিস্ফোরণের তীব্রতায় একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে গ্রামে পুলিশ ঢোকার চেষ্টা করতেই তাদের ঘিরে ধরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাস্তায় ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে কয়েকটি দেহ। জখম হয়েছে আরও কয়েকজন। তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। সূত্রের খবর, বাজি তৈরির আড়ালে বোমা তৈরি হত। সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে এগরা থানার পুলিশ।

    এ দিন সকাল এগারোটা নাগাদ কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগের বাড়িতে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে৷ বিস্ফোরণের জেরে গোটা বাড়িটি উড়ে যায়৷ ওই বাড়ির চারপাশেই ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে পড়েছিলেন মৃত এবং আহতরা। এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-কে দেওয়া হয়েছে৷ যদিও বিরোধীরা এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, এনআইএ তদন্তে রাজ্য সরকারের আপত্তি নেই৷

    আরও পড়ুন: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এগরার খাদিকুল গ্রামে একাধিক বাড়িতে অবৈধভাবে তৈরি হয় বাজি। প্রত্যেকটি বাড়িতে বেআইনিভাবে মজুত থাকে বাজির মশলা। কোন বৈধ লাইসেন্স নেই তাদের। পরিবারগুলি বাজি তৈরি করেই টাকা উপার্জন করে। বেশিরভাগ বাড়িতে এভাবেই বছরের পর বছর বাজি তৈরির কাজ চলছে। কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগের বাড়িতে বিস্ফোরণ হতেই অবৈধ কারবার সামনে আসে।

    কে এই কৃষ্ণপদ বাগ?

    বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। পুলিশ এই ব্যক্তিকে আগেও গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু সে জামিন পেয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এটি বেআইনি বাজি কারখানা। যার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ। তাকে ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে আদালত থেকে জামিন পায় সে। এই বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই পলাতক কৃষ্ণপদ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliyaganj: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরলেন গরিব বাবা! এটাই কি এগিয়ে বাংলার মডেল? কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Kaliyaganj: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরলেন গরিব বাবা! এটাই কি এগিয়ে বাংলার মডেল? কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অমানবিকতার ছবি! বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের দাবি মতো টাকার জোগাড় করতে না পেরে, মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরলেন কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা। ঘটনায় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গাফিলতির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এটাই কি এগিয়ে বাংলার মডেল? কটাক্ষে ভরা প্রশ্ন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

    অমানবিকতার ছবি

    কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মার যমজ সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন পেশায় দিনমজুর অসীম। দু’জনেরই বয়স ৫ মাস। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। তবে সন্তানের মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে অ্যাম্বুল্যান্স চালক অসীমের কাছ থেকে আট হাজার টাকা চান। তত টাকা অবশ্য ছিল না অসীমের কাছে। বাধ্য হয়ে ব্যাগে করে শিশুর মৃতদেহ নিয়ে বাসে চেপে গ্রামে আসেন অসীম। পরে তিনি কালিয়াগঞ্জে ফিরে এলে গোটা বিষয়টি জানাজানি হয়। তিনি বলেন, ‘সন্তানদের চিকিৎসা করাতে গিয়েই ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স আট হাজার টাকা চেয়েছিল। সেকারণে বাসে করেই মৃত সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছি।’ এদিকে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কালিয়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে ডাঙিপাড়া গ্রাম পর্যন্ত একটি অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে দেন কালিয়াগঞ্জের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার গৌরাঙ্গ দাস।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে শিশুর দেহ ব্যাগে পুরে বাবার কালিয়াগঞ্জের বাড়িতে ফেরার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা ট্যুইটারে লিখেছেন, অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়ার টাকা না থাকায় একজন বাবাকে তাঁর ৫ মাসের শিশুসন্তানের মৃতদেহ ব্যাগে করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে যেতে হল। কীসের জন্য স্বাস্থ্যসাথী? দুর্ভাগ্যবশত এটাই এগিয়ে বাংলা মডেল। এটাই রাজ্যের বাস্তব ছবি। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হয়ে শিলিগুড়ির মেডিক্যাল কলেজ। প্রায় একসপ্তাহ ধরে শিশুর চিকিৎসায় ১৬ হাজার টাকা খরচ করে ফেলেছেন বাবা। তাহলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবহার কোথায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    সুকান্তর তোপ

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে ট্যুইট করে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, “এই হতদরিদ্র ব্যক্তি নিজের সন্তানের মৃতদেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য কোনও অ্যাম্বুলেন্স খুঁজে পাননি। এই আবহে তাঁকেই তাঁর সন্তানকে বয়ে নিয়ে আসতে হয়। এই হল পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা। এই ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার। দুঃখজনক হলেও পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় এটাই বাস্তব। রাজ্যের প্রশাসনই যখন অমানবিক, তখন অমানবিক ছবি তো ধরা পড়বেই।”

    কালিয়াগঞ্জ পুরসভার বিজেপি নেতা ও কাউন্সিলার গৌরাঙ্গ দাস বলছেন, গরিব মানুষের কাছে টাকা না থাকলে এই সরকারের আমলে এই হাল হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত থেকে রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত থেকে রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত থেকে রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার বিকেলে পটাশপুরের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, বাংলায় পরিবর্তন হবে তো? কর্মী-সমর্থকরা সকলেই তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেন। এরপরই বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, পঞ্চায়েত থেকেই পরিবর্তন শুরু করতে হবে। জোরদার লড়াই করতে হবে। আমরা এই রাজ্যে নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদধন্য রাষ্ট্রবাদী সরকার গঠন করব।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কর্ণাটক নির্বাচনের ফল দেখে স্লোগান ধার করে মমতা বলছেন, নো ভোট টু বিজেপি। আমরা আগেই বলেছি, আবারও বলছি নো ভোট টু মমতা। তৃণমূল মানেই চোর। এরপর তিনি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে স্লোগান দিয়ে বলেন, চোর ধরো জেলে ভরো।

    রাজ্য পুলিশকে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই এদিন পটাশপুরের সভা হয়। সেই সভা থেকে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। এদিন পটাশপুরের সভা থেকে বিরোধী দলনেতা বলেন, মমতা পুলিশ তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। আমি অনেক মাতব্বরকে সাইজ করেছি। এখানকার চুনোপুঁটিদের কী ওষুধ দিতে হবে তা আমার জানা আছে। পটাশপুরের একটা ওসি আছে কি নাম তার যেন রাজু কুণ্ডু না হুন্ডু, এর তো বাচ্চা বয়স এখনও কাটেনি। একেও আমি টাইট করে দিয়েছি। এর পুলিশ বাবা অমরনাথও ওঁকে বাচাঁতে পারবে না। আবারও আমি পটাশপুরের সিংদাতে সভা করবো। আপনারা ভয় পাবেন না। আমি রাস্তায় আছি। মিথ্যে মামলা দিয়ে, ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ হবে না। আমি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছি। আপনারা প্রস্তুত থাকুন পঞ্চায়েতও আমরা জিতব। পূর্ব ঘোষণা মতো পটাশপুরে বিশাল পদযাত্রা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেই পদযাত্রায় প্রায় হাজার দশেক বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা পা মেলান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “আপনারা আদতে আঞ্চলিক দল তৃণমূলেরই একটি শাখা”! পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “আপনারা আদতে আঞ্চলিক দল তৃণমূলেরই একটি শাখা”! পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারবার তাঁর সভা বাতিল করতে চাইছে পুলিশ। যদিও আদালত অনুমতি দেওয়ায় সভা হচ্ছেই। এবার পুলিশ প্রশাসনের সততা ও কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে পুলিশকে তোপ দাগলেন শুভেন্দু। আগামী ২১ মে দার্জিলিংয়ে সভা বাতিল করার চেষ্টার অভিযোগ নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ, শুক্রবার বিকেলে সরব হলেন নন্দীগ্রামের সাংসদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্টে শুভেন্দু লিখেছেন, “মমতা পুলিশের এখন একমাত্র কাজ হল বিরোধী দলনেতাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা সমাবেশে বাধা দান করা। লেডি কিমের নির্দেশেই আমাকে বাঁকুড়ার সিমলাপালে ও পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে সভা করতে বাধা দেওয়া হয়।”

    অভিষেককে নিশানা

    বিরোধী দলনেতা লেখেন, “ধন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ! ২১ মে দার্জিলিং-র জনসভাতেও আপনারা আমাকে আটকানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করুন। কিন্তু আমার কাছে ১৫ সিণ্ডিকেট এবং আরও একাধিক সংগঠনের ছাড়পত্র রয়েছে।” এরপরেই অভিষেককে নিশানা করে শুভেন্দু লেখেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ৭২ ঘন্টা ধরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন, তখন কি আপনারা দেখতে চেয়েছিলেন যে তাঁর কাছে জাতীয় সড়ক দফতরের ছাড়পত্র রয়েছে কিনা? কিছুদিন আগেই তো তিনি উত্তরপূর্ব ভারতের প্রধান যোগসূত্র যে জাতীয় সড়ক তা বন্ধ করে মিছিল বের করেন, তখন কি তিনি অনুমতি নিয়েছিলেন?” শুভেন্দু আরও লেখেন, “যদি অভিষেক অনুমতি নিয়ে থাকেন, তাহলে সেই ছাড়পত্রের কপি আপনাদের সরকারি ট্যুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করুন। যদি আপনারা তা না করতে পারেন, তাহলে আপনাদের দ্বৈত সত্ত্বা সকলের সামনে প্রকাশ পাবে। তাহলে সকলে বুঝতে পারবেন, আপনারা আদতে আঞ্চলিক দল তৃণমূলেরই একটি শাখা।”

    আরও পড়ুন: হাকিম বদলেও হুকুম বহাল! পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইতে আস্থা বিচারপতি সিনহার

    এরপর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হুমকির সুরে লেখেন, “দয়া করে মনে রাখবেন, দার্জিলিং-র মোটর স্ট্যান্ডে যদি বিজেপি সভা করতে না পারে তাহলে ভবিষ্যতে কোনও রাজনৈতিক দলকেই আর ওখানে সভা করতে দেওয়া হবে না। এই বার্তাটা আপনাদের রাজনৈতিক মালকিনকে পাঠিয়ে দেবেন।” শুভেন্দুর কথায়, “আমাকে যে মমতা পুলিশ ও তাদের ‘রাজনৈতিক মনিব’ এত ভয় পায় তা জেনে কিন্তু বেশ ভাল লাগল; ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা….”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পুলিশ অনুমতি দেয়নি! বাঁকুড়ার সিমলাপালে শুভেন্দুর সভায় সম্মতি হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: পুলিশ অনুমতি দেয়নি! বাঁকুড়ার সিমলাপালে শুভেন্দুর সভায় সম্মতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার জন্য অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বাঁকুড়ার সিমলাপালে বিজেপি-র সভায় আপত্তি জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু আদালত সম্মতি দিল। ফলে আগামী ১৭ মে দুপুর ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সভা করায় অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    সিমলাপালে শুভেন্দুর সভা

    বাঁকুড়ার সিমলাপালে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মিছিল ও সভার (Public Meeting in Bankura) জন্য অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তা দেয়নি রাজ্য পুলিশ। তাই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) বলেন, রাজ্য সরকার যদি মনে করে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিরাপত্তার জন্য আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে হবে, তাহলে তাই করতে হবে। কিন্তু সভা করতে দিতে হবে। বিচারপতি মান্থা এদিন নির্দেশে বলেন, এর পর থেকে কোথাও সভা বা মিছিল করতে চাইলে অন্তত ১৫ দিন আগে আবেদন করতে হবে। পুলিশের কোনও বক্তব্য থাকলে তা ওই আবেদন জানানোর চার দিনের মধ্যে জানাতে হবে। এর অন্যথা যেন না হয়।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    উল্লেখ্য, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার জন্যেই সরকারের নির্দেশে পুলিশ বাঁকুড়ায় সভা করার জন্য অনুমতি দেয়নি। এমনটাই অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এদিন বলেন, “পুলিশের এখন প্রধান কাজ বিজেপিকে আটকানো। বিজেপির কর্মসূচী দেখে এ রাজ্যের শাসক দল আতঙ্কিত।” আগামী দিনে এর প্রভাব পঞ্চায়েত নির্বাচনে পড়বে বলে জানান তিনি। এটাই প্রথম নয়, এর আগেও শুভেন্দু অধিকারীর সভায় অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত এপ্রিল মাসে শুভেন্দু অধিকারীর চন্দ্রকোনার সভার অনুমতি নিয়েও তৈরি হয়েছিল জটিলতা। পরে শর্তসাপেক্ষে সেই সভা করার অনুমতি দেয় হাইকোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share