Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: ‘রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব’, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব’, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব। বুধবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের জনসভায় এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, রায়গঞ্জ কোনওদিন তৃণমূলের ছিল না, আগেও ছিল না, এবারও থাকবে না। এর পরেই তিনি বলেন, রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বিজেপি ১৮টি লোকসভা আসন জেতার পরে তৃণমূলের (TMC) দোকান বন্ধ হয়েছিল। আমি বেরনোর পরে তৃণমূলের দোকান খুলেছিল। এজন্য ক্ষমা চাইছি। সম্প্রতি জাতীয় দলের মর্যাদা খুইয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    এদিনের জনসভায় শুভেন্দু বলেন, পয়লা বৈশাখের আগে বাংলায়ই সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র, তোষণের রাজনীতির তোপও দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, পরিবারতন্ত্র, তোষণের রাজনীতি আর দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বে বিজেপি। এনআরসি নিয়ে তৃণমূল যে কেবল রাজনীতি করেছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, এনআরসি নিয়ে আর ধাপ্পাবাজিতে যাবেন না। রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়ার কাজিপাড়া, শিবপুর, হুগলির রিষড়া। কোথাও শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বোমা। কোথাও আবার অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। রিষড়ায় রেললাইনে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। যার জেরে রাতে ঘণ্টা তিনেক ওই রুটে বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল।

    আরও পড়ুুন: ‘অতিচালাকি বরদাস্ত করা যাবে না’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কুন্তলের চিঠি নিয়ে মন্তব্য বিচারপতির

    ওই ঘটনার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল করে জানেন এই সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন তিনি করতে পারেননি। তাই ২০২১ সালে এনআরসির মিথ্যে ভয় দেখিয়ে তাঁদের ব্যাপক ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। এদিনের জনসভায় রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তির প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, বাংলায় কেন এই অবস্থা? দায়ী কে? পরক্ষণেই তিনি বলেন, সাফ করতে হবে।

    গত বিধানসভা নির্বাচনে গণনাকেন্দ্রে ভোট লুঠ হয়েছে বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, এখানে মনোনয়ন হয়েছিল আশি ভাগ জায়গায়। গণনাকেন্দ্রে লুঠ হয়েছে। এই জেলায় জেলা পরিষদের ২৬টার মধ্যে আপনাদেরকে ২টো দেওয়া হয়েছে মাত্র। অথচ আপনারা জিতেছেন ৮-১০টায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, পদ্মফুলের বান্ডিলকে জোড়াফুল দেখিয়ে এই জেলার গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন আগের জেলাশাসক আয়েশা রানি। আর এখন তৃণমূলকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এই জেলার জেলাশাসক অরবিন্দ মিনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mid Day Meal: মিড ডে মিলে ৬ মাসে ১০০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ! রাজ্যকে তুলোধোনা শুভেন্দু-অমিতের

    Mid Day Meal: মিড ডে মিলে ৬ মাসে ১০০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ! রাজ্যকে তুলোধোনা শুভেন্দু-অমিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিলে ৬ মাসে ১০০ কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের (Mid Day Meal)। রাজ্যে মিড ডে মিল প্রকল্পের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে যে রিভিউ মিশন গঠন করা হয়েছিল, সেই মিশনের রিপোর্টে এমন দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গত বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এই বিপুল টাকার দুর্নীতি হয়েছে। হিসেব চাইলে ১৬ কোটি অতিরিক্ত মিড ডে মিল দেখানো হয় (Scam)। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ৭০ শতাংশ কম মিড ডে মিল খাবার সরবরাহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। 

    প্রধানমন্ত্রী পুষ্টি প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগ

    প্রধানমন্ত্রী পুষ্টি প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি প্যানেল তৈরি করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে শিক্ষা মন্ত্রকের জয়েন্ট রিভিউ প্যানেল একটি রিপোর্ট তৈরি করে। সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। তাতেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, গত বছর প্রথম দুই অর্থবর্ষে রাজ্যের তরফে ১৪০ কোটি ২৫ লক্ষ মিড ডে মিলের রিপোর্ট পেশ করা হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের রিপোর্টে  ১২৪ কোটি ২২ লক্ষ মিড ডে মিলের উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগ, ভাত-ডাল এবং সবজি রান্নার ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ কম খরচ করা হয়েছে। ওই প্রকল্পের টাকা অন্যান্য খাতে ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: রোজগার মেলায় ফের ৭১ হাজার নিয়োগপত্র বিলি করবেন প্রধানমন্ত্রী

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    মিড ডে মিল প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধোনা করেছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়ে ট্যুইট করে লেখেন, “রাজ্য সরকার মিড ডে মিলে ১০০ কোটি টাকা বেশি দেখিয়েছে, জয়েন্ট রিভিউ মিশনের রিপোর্টে উল্লেখ। আগেই বলেছিলাম, পড়ুয়াদের খাবারের প্লেট থেকেও চুরি করতে ইতস্তত করে না তৃণমূল সরকার”। তাঁর কথায়, “মাত্র ২টি অর্থবর্ষেই ১০০ কোটির তছরুপ, গত ১২ বছরে কত টাকা চুরি হয়েছে ভাবুন। প্রশাসন চালানোর নামে দিনেদুপুরে ডাকাতি করছে রাজ্য সরকার”।

    অমিত মালব্যর ট্যুইট

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ট্যুইটে লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে দুর্নীতি ব্যাপক। এমনকী তার প্রশাসন প্রধানমন্ত্রী পোষণ তহবিলও ছাড়েনি। রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে পশ্চিমবঙ্গ অন্য উদ্দেশে ১০০ কোটি টাকা সরিয়েছে! শিশুদেরকে কম খাওয়ানো হয়েছে। সরবরাহ কাটা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ দায়ের করেছিলেন’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Party: ‘‘সর্বভারতীয় শব্দটি কবে মুছবে?’’ প্রশ্ন শুভেন্দুর, তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্ত-দিলীপের

    National Party: ‘‘সর্বভারতীয় শব্দটি কবে মুছবে?’’ প্রশ্ন শুভেন্দুর, তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্ত-দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় দল (National Party) হিসাবে আর গণ্য করা যাবে না তৃণমূল কংগ্রেসকে। নির্বাচন কমিশন-এর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সর্বভারতীয়’ তকমা নিয়ে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন, তৃণমূলের নাম থেকে ‘সর্বভারতীয়’ শব্দটি কবে মুছবে? 

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারানোর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমারকে ট্যুইট করে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি শুভেন্দু লেখেন, ‘‘ত্রিপুরা ভোটের ফলাফলের পরপরই আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় তকমা কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে সরব হয়েছিলাম।’’

    ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর পরই তৃণমূলকে নিশানা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে ভোটে লড়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। ত্রিপুরায় একটি আসনেও জিততে পারেনি জোড়াফুল শিবির। ট্যুইট করে শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক দলকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে হলে যে সমস্ত শর্ত পূরণ করতে হয়, তৃণমূল কংগ্রেস তা করতে ব্যর্থ। এই কারণে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়া হোক।

    সুকান্তর ট্যুইট

    তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারানোয় তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘তৃণমূল জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়ে এখন আঞ্চলিক দল। মানুষ জানে তৃণমূল সরকার সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত। তোষণ ও সন্ত্রাসের সরকার তৃণমূলের। তাই তৃণমূলের বিস্তারে দিদির আকাঙ্খা বাস্তবায়িত হল না। এখন সরকারের পতনও সময়ের অপেক্ষা। মানুষ বেশিদিন আর এই সরকারকে বরদাস্ত করবে না’।

    দাবি-পাল্টা দাবি

    বঙ্গ বিজেপির অপর নেতা তথা রাজ্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছিল। কিন্তু, তাদের সর্বভারতীয় তকমাই ধরে রাখতে পারল না।’

    আরও পড়ুন: জাতীয় দলের তকমা হারাল তৃণমূল, কুয়োর ব্যাঙে পরিণত মমতার দল!

    তৃণমূল নেতা সৌগত রায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা আইনিভাবে এই তকমা হারানোর জবাব নির্বাচন কমিশনকে দেবেন। পার্টির তরফে সৌগত রায়ের দাবি, ‘উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই কাজ করছে কমিশন।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ২ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, খেজুরির সভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ২ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, খেজুরির সভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ মে পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে চায় তৃণমূল (TMC) সরকার। ভোট হবে এক দফায়। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির ঠাকুরনগরের সভায় এমন দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ২ মে পঞ্চায়েত ভোট করাবে রাজ্য সরকার। সব খবর আমার কাছে থাকে। একটা ফেজে ভোট করাবে। পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে চাইছে। যাতে রক্তগঙ্গা বওয়াতে পারে, তার ব্যবস্থা করছে।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    তিনি বলেন, এক দফায় ভোট করার কারণ যাতে শত শত মানুষ মারা যায়। এই ব্যবস্থা করছে অত্যাচারী অহংকারী ভাইপোর একমাত্র পিসি। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অশান্তির আশঙ্কা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে শুভেন্দুর আবেদনে সাড়া দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করুন না, দেখবেন জেলায় ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন আছে। তার মধ্যে ২০টি আসন পাবেন না। গত বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় বিজেপি যে তৃণমূলের চেয়ে এক শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছিল, তাও মনে করিয়ে দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় এনআইএ তদন্তের দাবি, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

    লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে খেলা দেখাবেন বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, আপনাকে তো খেলা আমি দেখাব লোকসভায়। গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে তমলুক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তিনি বলেন, ঘাটাল নেব, তমলুক দেড় লাখে জিতব, কাঁথি তিনের ওপরে যাবে। লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সব কটি আসনই বিজেপির ঝুলিতে যাবে বলেও দাবি শুভেন্দুর।

    তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটে এজেন্ডা। প্রথম হল পরিবারবাদ, যেন তেন প্রকারেণ ভাইপোকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দ্বিতীয় তোষণ। সংখ্যালঘু বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রিষ্টান, মুসলিমদের উন্নয়নের ভাবনা তাঁর নেই। তাঁর ভাবনা হচ্ছে তুষ্টিকরণ করে কী করে ভোটব্যাঙ্কটা ঠিক রাখব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, শিবপুর, রিষড়ায় দাঙ্গা কোনও সম্প্রদায়ের লোক করেনি। দাঙ্গা করেছে তৃণমূলের মুসলিম নেতারা। দাঙ্গাবাজ কারা? তৃণমূল। দাঙ্গাবাজদের নেত্রী কে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দাঙ্গাবাজদের হঠাতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Calcutta High Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় এনআইএ তদন্তের দাবি, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় এনআইএ তদন্তের দাবি, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল রাজ্যে। তার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তিনি। সোমবার রায়দান হওয়ার কথা ছিল ওই মামলার। তবে এদিন রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এনআইএর তরফে আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা এই ঘটনার তদন্ত করতে প্রস্তুত।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ…

    হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, কারা এই অশান্তির ঘটনায় জড়িত, কারাই বা উসকানি দিয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। হাইকোর্টের এও পর্যবেক্ষণ, পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট যে অশান্তি হয়েছে। পুলিশের রিপোর্টে কোথাও কোনও বোমার উল্লেখ নেই, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। ইসলামপুরের গন্ডগোলে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। পুলিশ সুপার সহ অনেক পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন। মামলা দায়ের হয়েছে, গ্রেফতারও হয়েছে বলে রাজ্য জানিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত বিচারপতির প্রশ্ন, এই ধরনের গন্ডগোল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক বছর ৬,৭, ৮টা করে ঘটনা ঘটছে। এটা কীভাবে আটকানো সম্ভব?

    আরও পড়ুুন: প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি! বালুরঘাটের দণ্ডি-কাণ্ড নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর

    ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, বোমাবাজি, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়া, অশান্তির সব ঘটনাই সাধারণ মানুষকে উদ্বিগ্ন করে। তাঁর প্রশ্ন, আদালতের (Calcutta High Court) আগের নির্দেশও কার্যকর হয়নি কেন? পুলিশের অদক্ষতা? গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা? নাকি অন্য কিছু? রিষড়া ও শিবপুর সহ রাজ্যের সর্বত্র গোলমালে এনআইএ অনুসন্ধানের পক্ষে সওয়াল কেন্দ্রের। বোমা বিস্ফোরণের কোনও ঘটনার উল্লেখই নেই রাজ্যের রিপোর্টে। বিস্ফোরণ ও নাশকতা যোগ খতিয়ে দেখতে এনআইএ অনুসন্ধান কেন্দ্রীয় আইনসঙ্গত। নাশকতা ও বিস্ফোরণের কিছু পাওয়া না গেলে সেখানে এনআইএ তদন্ত করবে না। সওয়াল কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এবং ডেপুটি সালিসিটর জেনারেলের। পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ জনস্বার্থ মামলায় প্রথম দিন থেকেই।

    হাওড়া সিপির রিপোর্টে তার কোনও উল্লেখই নেই! পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট অবশ্যই অর্থবহ হওয়া উচিত, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। রাজ্যকে দু দিন সময় দেওয়া হোক। সর্বশেষ তদন্তের অগ্রগতি সহ রিপোর্ট পেশ করবে রাজ্য। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ শুভেন্দুর আর্জি, পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে?

    Suvendu Adhikari: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ শুভেন্দুর আর্জি, পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) খারিজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আর্জি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) সংরক্ষণ তালিকার প্রক্রিয়াগত ত্রুটি নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর সেই আবেদনই খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে কলকাতা হাইকোর্ট যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রেখেছিল, সুপ্রিম কোর্টও তাই বহাল রাখল।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আর্জি…

    পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত এই মামলা দ্রুততার সঙ্গে শোনা হোক বলে বুধবার শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেই মতো ঠিক হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে ৪৪ নম্বর আইটেম হিসেবে এই মামলা শোনা হবে। বৃহস্পতিবার আদালতে যখন লাঞ্চের বিরতি হয়, তখন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ৪৪ নম্বর আইটেমে যে মামলা ছিল, তা খারিজ করে দেওয়া হল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা আটকাতে পারি না।

    আরও পড়ুুন: ‘কেস ডায়েরিতে রয়েছে প্রভাবশালীর নাম’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দাবি ইডির

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা। তাঁর দাবি, রাজ্যের ওবিসি আসন সংরক্ষণের কাজ ঠিকভাবে হয়নি। সংরক্ষণের কাজে সমীক্ষা ঠিকভাবে হয়নি বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। এসব ব্যাপারেই আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, আইনে ওবিসি আসন সংরক্ষণের কাজ হয়েছে নিয়ম মেনেই। তার পরেই হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ তারা করবে না। আদালত এও জানিয়েছিল, নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ করা হয়ে গিয়েছে। তাই আদালত ভোটে কোনও বাধা দেবে না। কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। সেখানে খারিজ হয়ে গেল তাঁর আর্জি।

    প্রসঙ্গত, হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। হাইকোর্ট এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, শুভেন্দুর মামলার বিষয়টি এই মুহূর্তে কমিশনের ওপরই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কোনও বক্তব্য থাকলে তা কমিশনে জানাতে পারেন। কমিশন আইন অনুযায়ী সে বিষয়ে পদক্ষেপ করবে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের জেরে জট কাটল পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rishra: রিষড়া নিয়েও হাইকোর্টে শুভেন্দু, রাজ্যের রিপোর্ট তলব আদালতের, শুনানি বুধবার

    Rishra: রিষড়া নিয়েও হাইকোর্টে শুভেন্দু, রাজ্যের রিপোর্ট তলব আদালতের, শুনানি বুধবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতে ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রিষড়া (Rishra)। যার জেরে ব্যাহত হয় হাওড়া-বর্ধমান ট্রেন চলাচলও। ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। সোমবারের ওই ঘটনা নিয়ে পুনরায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে

    জানা গেছে, হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মামলাকারীকে রিষড়ার অশান্তির ঘটনা উল্লেখ করে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, রাজ্যকেও এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    হাওড়া, উত্তর দিনাজপুরের পর রিষড়াতেও (Rishra) রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলার অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, শিবপুর এবং ডালখোলার পরে রবিবার রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় রিষড়া (Rishra)। সেই শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষও। সূত্রের খবর, তিনি শোভাযাত্রায় থাকাকালীনই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আহত হন দুপক্ষের বেশ কয়েকজন। নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দিলীপ ঘোষকে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি হয়।
    এরপর সোমবার রাতে ফের অশান্তি শুরু হয়। রিষড়ার (Rishra) ৪ নম্বর রেলগেট এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভকারীদের সরাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামে। ট্রেন লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ারও অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করেও পাথর বৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তবে মঙ্গলবার সকালেও এলাকা থমথমে। প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা।

    সোমবার রিষড়া (Rishra) গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী

    সোমবার রিষড়ায় (Rishra) গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁকে ওই এলাকা পরিদর্শনে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারী রিষড়ায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, “আমরা রিপোর্ট পেয়েছি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান গিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আইনটা ওঁদের জন্য একরকম, বাকিদের জন্য অন্য রকম। কল্যাণবাবুরা তাঁদের নেত্রীর লাইনেই কথা বলেন। ১৪৪ ধারা যদি জারি থাকে, তাহলে সবার ক্ষেত্রেই আইনটা একইরকম হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Mahesh Jethmalani: ছদ্ম-ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি বিপজ্জনক তৃণমূল, বললেন জেঠমালানি

    Mahesh Jethmalani: ছদ্ম-ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি বিপজ্জনক তৃণমূল, বললেন জেঠমালানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছদ্ম-ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। মঙ্গলবার এই ভাষায়ই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন প্রবীণ আইনজীবী তথা বিজেপি (BJP) সাংসদ মহেশ জেঠমালানি (Mahesh Jethmalani)। রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তি হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূলকে নিশানা করেন জেঠমালানি।

    মহেশ জেঠমালানি (Mahesh Jethmalani) বলেন…

    ট্যুইট-বার্তায় প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, দেশের সব ছদ্ম-ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসই বিপজ্জনকভাবে সাম্প্রদায়িক। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিন্দুদের রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসায় অনুপ্রাণিত করেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি সমর্থকদের ওপর আক্রমণের ঘটনাও ঘটছে। রাজ্যসভার এই সাংসদের (Mahesh Jethmalani) মতে, বাংলায় হিংসার ঘটনার জন্য দায়ী মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মুখ্যমন্ত্রীর মরিয়া প্রচেষ্টা। অন্য একটি ট্যুইট-বার্তায় এই বিজেপি নেতা বলেন, রামনবমীর শোভাযাত্রা থেকে প্ররোচনা দেয়নি বিজেপি। মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকতে মমতার মরিয়া চেষ্টার জেরে হিংসার ঘটনা ঘটেছে।

    প্রসঙ্গত, রামনবমীর শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে হাওড়ায় ইটপাটকেল ছুড়েছে দুষ্কৃতীরা। কাজিপাড়ায় ঘটেছে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও। শুক্রবারের পর শনিবারও অশান্তি হয়েছে হাওড়ায়। রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তি হয়েছে হাওড়ার শিবপুরেও। কেবল হাওড়া নয়, হুগলিতেও হয়েছে অশান্তি। রামনবমী উপলক্ষে রবিবার শোভাযাত্রা বের হয় হুগলির রিষড়ায়। শোভাযাত্রা সন্ধ্যাবাজার এলাকায় এলে অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এখানেও ঘটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। রবিবারের পর সোমবারও অশান্তি হয়েছে রিষড়ায়। চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। তার জেরে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুুন: ‘‘রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছে’’! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছেন। রিষড়ার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। তিনি বলেন, এটা চলতে দেওয়া যায় না। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ হবে। বাংলার মানুষ অনেক সহ্য করেছেন, আর নয়। বাংলার মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকার রয়েছে। যেকোনও মূল্যে শান্তি ফেরাতে হবে। দুষ্কৃতীদের কোনও মতেই ছাড় দেওয়া হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছে’’! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছে’’! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিষড়ায় অশান্তির জন্য রাজ্য প্রশাসনকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা ট্যুইটে লেখেন, রিষড়া জ্বলছে, আর গোটা রাজ্য প্রশাসন দিঘার সমুদ্র সৈকতে ছুটি কাটাচ্ছে। ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘আজ কেন বোমাবাজি, তাণ্ডব? আজ তো কেউ মিছিল বের করেনি। রাজ্য সরকার দাবি করছে, সব ঠিক আছে। এই সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বাংলার শান্তিকামী মানুষের রক্ষায় কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীই একমাত্র উপায়। উল্লেখ্য, রামনবমীর পর থেকে বার বার দফায় দফায় অশান্তি ছড়িয়েছে রিষড়ায়। তারই মধ্যে ঘটনাস্থলে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় রয়েছেন। এ নিয়ে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। 

    নো ভোট টু মমতা

    আগেই ‘নো ভোট টু মমতা’ টি শার্ট পরে প্রচারে নেমেছিলেন শুভেন্দু। সোমবার চন্দ্রকোনায় সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “একমাত্র এই রাজ্যের বিজেপি সরকারই এই রাজ্যের উন্নয়ন করতে পারে। কারণ বিজেপি যদি এই রাজ্যে সরকার গঠন করে তাহলে কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় গঠন করে কাজ করবে।” তাতেই রাজ্যের দ্রুত উন্নতি সম্ভব বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি রাজ্যের জনগণকে এই দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেসকে একটিও ভোট না দেওয়ার অনুরোধ করব। আপনারা পছন্দের কোনও দল বা প্রার্থীকে ভোট দিন। কিন্তু দয়া করে এই চোরের দলকে আপনার মূল্যবান ভোট দেবেন না।’ 

    ভোটের রাজনীতি

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “তৃণমূলকে (TMC) একদম তুলে ফেলতে হবে, একদম ভয় পাবেন না। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটে রামনবমীর এত মিছিল হয়েছে, কোথাও এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূলের পাশ থেকে সংখ্যালঘুরা সরে যাচ্ছেন। বগটুই, আনিস খান ও সাগরদিঘির উপনির্বাচনের পর সংখ্যালঘুরা ভুল বুঝতে পেরেছেন। এনআরসির নামে তাঁদের ব্যবহার করেছে এটা সংখ্যালঘুরা বুঝতে পেরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন। হাওড়া ও রিষড়ার হিংসার ঘটনায় তৃণমূলের গুন্ডারা যুক্ত। হাত থেকে ভোট বেরিয়ে যাচ্ছে তাই এই কাজ করানো হচ্ছে”।

    আক্রমণাত্মক সুরে এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘জোঁকের মুখে নুন কেমন করে দিতে হয় তা আমরা মেদিনীপুরের পান্তাখাওয়া লোকেরা জানি। এনেছিও আমরা, সরাবও আমরা। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে লড়ে আমরা এই সভা করছি আজ৷ গত বছর ও এ বছর চার জন আলু চাষি আত্মহত্যা করেছেন।’

    আরও পড়ুন: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন! সুকান্তকে ফোন জেপি নাড্ডার

    কৃষকদের হয়ে সওয়াল

    এদিন কৃষকদের হয়ে সওয়াল করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই কর্মসূচি কৃষকদের জন্য। এই এলাকায় আলু চাষ সবচেয়ে বেশি হয়। কিন্তু নিম্নমানের আলু বীজ, ব্ল্যাক করে সার কেনা। আলু চাষিরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। বিধানসভায় আমি এই বিষয়ে সরব হয়েছিলাম।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।     

  • Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে হামলা, শুভেন্দুর মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

    Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে হামলা, শুভেন্দুর মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা রাজ্যে ঘটেই চলেছে। সেসব ঘিরে অশান্তিও কম হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হাওড়ার ঘটনার পরই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সেই আবেদনের জেরেই কড়া পদক্ষেপ করল হাইকোর্ট। হাওড়া, হুগলি ও উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় অশান্তির ব্যাপারে ৫ এপ্রিল, বুধবারের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

    সিসিটিভি এবং অন্যান্য সমস্ত ভিডিও ফুটেজও জমা করতে হবে বলে হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে। তবে শুধু রিপোর্ট তলব করেই আদালত থেমে থাকেনি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এদিনও মামলাকারী অবশ্য ঘটনার এনআইএ তদন্ত এবং অশান্ত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন। আগামী ৬ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।

    রামনবমীর (Ram Navami) মিছিল নিয়ে আবেদনকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার কী বললেন?

    সোমবার শুভেন্দুবাবুর আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে। আবেদনকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদারের সাফ কথা, ৩০ মার্চ হাওড়া এবং ডালখোলায় রামনবমীর (Ram Navami) যে মিছিল করা হয়েছিল, তাতে পুলিশের অনুমতি আগেভাগেই নেওয়া ছিল। তাহলে সেইসব মিছিলে হামলা হল কী করে? রাজ্য সরকারের উদাসীনতার পাশাপাশি  রাজভবন এবং কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছে, সে কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এতকিছুর পরেও রবিবার হুগলির রিষড়াতেও যে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, জানিয়ে দেন সেকথাও। তাঁর অভিযোগ, ওই সব এলাকার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। 

    রামনবমীর (Ram Navami) মিছিল নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের জবাব—

    হাইকোর্টের একের পর এক প্রশ্নবাণের মুখে পড়ে আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, শিবপুরে শান্তিপূর্ণ মিছিল করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু মিছিল শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যেই মিছিলকারীরা পুলিশের সেই নির্দেশ মানেনি। তারা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। হাওড়ার পরিস্থিতি আপাতত পুলিসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করে তিনি জানান, ঘটনায় ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আদালত এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্যও পদক্ষেপ নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share