Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রাজ্যের ৯০ শতাংশ মুসলিম বাংলা-ভাষী, তাও কেন হিন্দিতে ভাষণ’’,  মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘রাজ্যের ৯০ শতাংশ মুসলিম বাংলা-ভাষী, তাও কেন হিন্দিতে ভাষণ’’, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেড রোডে ইদের সমাবেশে ‘মুখ্যমন্ত্রী হিন্দিতে কেন ভাষণ দেবেন? এবার এই প্রশ্ন তুললেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যা সাড়ে ৩ কোটি এবং এদের মাত্র ১০ শতাংশ উর্দুতে কথা বলেন। রাজ্যে বসবাসকারী ৯০ শতাংশ মুসলিম বাংলায় কথা বলেন। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী হিন্দিতে ভাষণ দিলেন। শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, আগে রেড রোডের নামাজ আয়োজন করত খিলাফৎ কমিটি। কিন্তু এবার দেখা গেল পূর্ত দফতর টেন্ডার ডেকে সব খরচ করেছে।

    শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, আগে খিলাফৎ কমিটি চালাতেন ধর্মপ্রাণ মানুষরা। এখন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলের ছত্রচ্ছায়ায় আনার জন্য খিলাফতের মাথায় জাভেদ খানকে বসানো হয়েছে। অন্যদিকে এবার রাজ্যে মুসলিম সমাবেশের পথে বিজেপি। প্রসঙ্গত,  গত মাসের ২৯ ও ৩০ তারিখ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রেড রোডে আম্বেদবকর মূর্তির সামনে ধর্না কর্মসূচি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই জায়গাতেই মুসলমান সমাবেশ করতে চলেছে বিজেপি। সোমবার রাজ্য বিজেপি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কোন ইস্যুতে হবে এই সমাবেশ

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বক্তব্য, পবিত্র ইদের দিন মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে যেভাবে রেড রোডের নামাজে বিভাজনের কথা বলেছেন, মুসলমান ভোট ভাগাভাগি নিয়ে কথা বলেছেন তা বাংলার সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করতে পারে। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই বক্তব্যকে বড় অংশের মুসলিমরা সমর্থন করেন না। উনি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মঞ্চে গিয়ে সরাসরি রাজনৈতিক বিভাজনের কথা বলেছেন। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা এই সমাবেশ আয়োজন করবে। সার্বিকভাবে গোটা দল সেই কর্মসূচির পাশে থাকবে।  তাঁর আরও সংযোজন, তিনি বলেন, ‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে যিনি বিভাজনের রাজনীতি করতে চান তাঁর মুখোশ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় জনতা সংখ্যালঘু মোর্চা।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta-Suvendu-Abhishek: সরকারি অর্থের অপচয়! অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Sukanta-Suvendu-Abhishek: সরকারি অর্থের অপচয়! অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সুকান্ত বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ কেমন দেখতে উনি আগে কোনওদিন দেখেননি। তাই এসি বাস, এসি তাঁবু দেখতে যাচ্ছেন’। শুভেন্দুর দাবি, সরকারি অর্থ অপচয় করে এই যাত্রার ডাক দেওয়া হচ্ছে।

    তৃণমূলের নব জোয়ার যাত্রা

    সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘তৃণমূলের নব জোয়ার’ যাত্রা। টানা ২ মাস ধরে, কোচবিহার থেকে সাগর….জনসংযোগ যাত্রা (Trinamoole Nabo Jowar) করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক যেখানে রাত্রিবাস করবেন, তার মধ্যে রয়েছে এমন ১৩টি বিধানসভা, যেখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে। যেমন কোচবিহারের মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, আলিপুরদুয়ার, মালদা, জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর, বীরভূমের দুবরাজপুর, বাঁকুড়ার কোতুলপুর, ছাতনা, পুরুলিয়ার কাশিপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, হুগলির গোঘাট এবং উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণ। অভিষেকের কথায়, ‘এত বড় একটা কর্মসূচি কোনওদিন ভারতবর্ষে কেউ নেয়নি, বাংলা তো ছেড়ে দিন।’

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    অভিষেকের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘এই কর্মসূচির সঙ্গে মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই’ বলে মত শুভেন্দুর। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, ‘প্রথমত বিপুল সরকারি অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে এই প্রচারে। ডিসি পদমর্যাদার ৫ জন পুলিশ আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়েছে যাতে, কয়লা ভাইপোকে চোর স্লোগান শুনতে না হয়।’ অভিষেককে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি ‘গাড়ির স্পিড একশোর নিচে নামাবেন না, তাহলেই চোর স্লোগান শুনতে হবে।’

    সুকান্তর অভিমত

    সোমবার অভিষেকের প্রচার-যাত্রাকে কটাক্ষ করেই, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই করতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য ও জেলা স্তরে কমিটি গঠন প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মত, ‘তার মানে এতদিন গ্রামের মানুষের মতামত না নিয়ে চলেছেন। তারা গ্রামের মানুষের মতামত কোথা থেকে নেবেন, গ্রামের মানুষের মতামত দেওয়ার সাহস নেই তৃণমূল কংগ্রেসের সম্বন্ধে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যে ধরনের গুন্ডামি করেন কোনও মানুষ সাহস দেখাতে পারবেন না। এক সে এক চোর বসে আছে তৃণমূল কংগ্রেসে’। 

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

    পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘আমরা স্বাগত জানাবো এই নির্দেশকে। প্রত্যেকটি পুরসভায় তদন্ত হওয়া উচিত। তাহলে আরও বেশ কিছু চোর এই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেরোবে এবং জেলে থাকবে’। মমতা-নীতীশ বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আবার জোট পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে। আগেরবার চেষ্টা হয়েছিল নীতিশ কুমার একবার ধোঁকা দিয়েছে এনডিএ-কে। আরও একবার দিল। নীতিশ কুমারের রাজত্ব বিহার থেকে শেষ হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্ব শেষ করব’।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অস্তিত্বহীন দলের নোটিশ অবৈধ! পাল্টা আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: অস্তিত্বহীন দলের নোটিশ অবৈধ! পাল্টা আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় দলের তকমা পুনরায় ফিরে পেতে মুখ্যমন্ত্রী চারবার ফোন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) এই দাবিকে অপপ্রচার বলে তাঁর কাছে বুধবার আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। বুধবার শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তাঁর আইনজীবী মারফত সেই নোটিসের জবাব দিলেন। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী সরাসরি নোটিশের বৈধতাকেই চ্যালেঞ্জ করেছেন। লিখেছেন, ‘‘অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস নামে কোনও দল এখন নেই। তৃণমূল নামে আঞ্চলিক একটি দল রয়েছে। তাই অস্তিত্বহীন কোনও সংগঠনের তরফে এমন নোটিস পাঠানোই যায় না!’’ আইনের দৃষ্টিতে এই নোটিশকে ‘অবৈধ’ দাবি করে শুভেন্দুর আইনজীবী সূর্যনীল দাস অবিলম্বে সেটি প্রত্যাহারও করতে বলছেন। শুধু তাই নয় নোটিস প্রত্যাহার করা না হলে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছে জবাবি চিঠিতে। পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানহানির যে অভিযোগ তাঁর মক্কেল শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ডেরেক তুলেছিলেন, তা ‘ভিত্তিহীন’ বলেছেন শুভেন্দুর আইনজীবী।

    ঘটনাক্রম…

    প্রসঙ্গত, যোগ্যতা শর্ত পূরণ না করতে পারার কারণে জাতীয় দলের তকমা চলে তৃণমূলের। এরপর পরই সিঙ্গুরের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, তৃণমূল সর্বভারতীয় তকমা হারানোর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি চারবার অমিত শাহকে ফোন করেন এই তকমা ফিরিয়ে দেওয়া আরজি জানান। কিন্তু অমিত শাহ জানিয়ে দেন তা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, এই অভিযোগ মিথ্যা। বিরোধী দলনেতা তা প্রমাণ করতে পারলে তিনি পদত্যাগ করবেন। তখনই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, নোটিশ পাঠান। নোটিসে বিরোধী দলনেতার সিঙ্গুরের মন্তব্য তুলে দিয়ে ডেরেক লেখেন,’আমাদের দলের চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে মন্তব্য অত্যন্ত অবমাননাকর। জনসমক্ষে এই ধরনের অসত্য করা বলে আমাদের দলের ভাবমূর্তিকে আপনি নষ্ট করতে চেয়েছেন।’
     পরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)  বলেন, কথোপকথনের রেকর্ডিং সামনে আনলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। কিন্তু তা সম্ভব নয় প্রোটোকলের কারনেই। শুভেন্দু এও জানান, মামলা কোর্ট অবধি গেলে ভালই হবে, তখন কোর্ট সংশ্লিষ্ট টেলিকম সংস্থাগুলির কাছে  এই কথোপকথনের রেকর্ড চাইবেন। সর্বসমক্ষে প্রমাণ হবে সবটা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tweet War: ‘‘কীভাবে কাজ হয় জানুন’’! অভিষেককে গিরিরাজের দায়িত্বের ‘পাঠ পড়ালেন’ সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    Tweet War: ‘‘কীভাবে কাজ হয় জানুন’’! অভিষেককে গিরিরাজের দায়িত্বের ‘পাঠ পড়ালেন’ সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-এর চিঠি নিয়ে শুরু হয়েছে ট্যুইট-যুদ্ধ। নিজে মন্ত্রী হয়েও কোন দফতরে তৃণমূলের চিঠি পাঠানোর কথা বললেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিং? এই প্রশ্ন তুলে ট্যুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।  কিন্তু আসলে গিরিরাজ একই সঙ্গে দুটি মন্ত্রক সামলান তাই তাঁর জবাবে কোনও ভুল নেই। নিয়ম মেনেই চিঠি সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করছেন বিজেপি নেতারা। ট্যুইট করে মন্ত্রীর দায়িত্ব রীতিমতো ছকের আকারে বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট বার্তায় তৃণমূলকে প্রশাসনিক নিয়ম-নীতির পাঠ নিতে বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    ট্যুইট-যুদ্ধ

    একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনা খাতে বাংলায় বকেয়া পাওনা চাইতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ে সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সাক্ষাৎ হয়নি। এরই মাঝে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে চিঠি লিখেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন মন্ত্রী। সেখানে লেখা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে চিঠিটা ফরওয়ার্ড করা হচ্ছে।’ গিরিরাজের ওই চিঠি নিয়ে ট্যুইটে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, আপনি নিজেই যদি সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী হন, তা হলে চিঠিটা ফরওয়ার্ড করলেন কাকে?

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, শহিদ ৫ জওয়ান, জখম ১

    শুভেন্দুর ট্যুইট 

    অভিষেকের ওই টুইট মেনশন করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আবার ট্যুইটে (tweet war) লিখেছেন, অর্ধশিক্ষিত বারো ক্লাস পাশ ভাঁড়েরা চিঠির মানে বোঝেনি। গিরিরাজ সিং দুটি দফতরের মন্ত্রী। গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ। উনি সংশ্লিষ্ট দফতরকে চিঠিটা পাঠিয়ে দিয়েছেন।

    সুকান্তর ট্যুইট 

    অভিষেকের এই ঠাট্টার জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি অভিষেকের টুইট বার্তাকে রিটুইট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘এনডিএ সরকারের মন্ত্রীরা তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে আলাদা। একাধিক মন্ত্রণালয়ের দেখাশোনা করা মন্ত্রীরা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলিকে কর্তব্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেন। যেহেতু ‘জামির লেন-কা আমির বাবু’র লেটারহেডে চাকরির সুপারিশ দেখতে অভ্যস্ত, তাই এটা তাঁর কাছে হিব্রু বলে মনে হচ্ছে।’

  • Suvendu Adhikari: বাধা নিরাপত্তা, তাই মমতার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাধা নিরাপত্তা, তাই মমতার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দায়িত্বশীল বিধায়কও। তাই নিরাপত্তার খাতিরে মুখ্যমন্ত্রীর কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আপনি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনেক রকম ব্যাপার থাকে। নিরাপত্তার জন্যই আপনার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনা যায় না। তাই আনছি না।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)…

    মঙ্গলবার সিঙ্গুরের এক জনসভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা চলে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে চারবার ফোন করে হাতে পায়ে ধরেছিলেন। শুভেন্দুর সেই দাবিকে মিথ্যাচার বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বলেছিলেন, সত্যি প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।

    এদিনই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেছিলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মমতার কল রেকর্ডিং প্রকাশ্যে এনে সব ফাঁস করবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দিকটির কথা ভেবে কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যদিও তাঁর দাবি যে নিছক ভুয়ো নয়, তাও জানান শুভেন্দু। তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, আপনারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। সেই মামলা করুন। কারণ সে ক্ষেত্রে মামলার সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রীর কল রেকর্ডিংয়ের তথ্য প্রকাশ্যে আনতে বাধ্য হবে সংশ্লিষ্ট টেলি যোগাযোগ সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: ঈদের জন্য রেড রোড ও ময়দানের প্রস্তুতির যাবতীয় খরচ এবার করছে মমতার সরকার!

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শুভেন্দুর ওই মন্তব্যের পর বুধবারই তৃণমূলের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। সেই চিঠির সারমর্ম হল, শুভেন্দু ওই মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, আদালতে মামলা হলেই দুধ আর জল স্পষ্ট হয়ে যাবে। এদিন নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, আপনি প্রশাসনিক কর্ত্রী। আপনার ফোনের ডিটেল, কলের ডিটেল জনসমক্ষে আনা যায় না। আমি তা জনসমক্ষে আনতেও চাই না। একমাত্র আইন বা আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া তা জনসমক্ষে আসে না।

    তিনি বলেন, আপনি মামলা করুন। ট্রাইকেও (TRAI) আমি পার্টি করব। ৪ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল আপনার দুটি ল্যান্ড ফোনের কল রেকর্ড আদালতের কাছে তারা দিতে বাধ্য হবে। তাহলেই দুধ ও জল স্পষ্ট হয়ে যাবে। শুভেন্দু বলেন, আমি আপনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম, আপনিও আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: জাতীয় দলের তকমা বাঁচাতে শাহকে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: জাতীয় দলের তকমা বাঁচাতে শাহকে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে এক মাসের মধ্যে সিঙ্গুরে (Singur) টাটাকে (TATA) এনে শিল্প হবে। মঙ্গলবার সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে এ কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কৃষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে এবং সিঙ্গুরে শিল্প গড়ে তোলার দাবিতে আয়োজন করা হয়েছিল ওই সভার। তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, এরকম স্ট্রং অপজিশন গত ১২ বছরে দেখেনি মমতা সরকার। এর আগে সিপিএমের অপজিশন লিডার সূর্যকান্ত মিশ্র ছিলেন, সেটিং করে নিয়েছিলেন। কংগ্রেস ছিল তাকেও সেটিং করা গিয়েছিল। কিন্তু বিজেপিকে করা যায়নি। তিনি বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় যদি কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসা করা যায়, তাঁর অফিসের সবাইকে জেরা করা যায়, তাহলে যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মমতা ব্যানার্জির ওপর কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সিবিআই?

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    এদিন সভা হয়েছে সিঙ্গুর বিধানসভার অন্তর্গত বড়া হাওয়াখানা ময়দানে। সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ শুভেন্দু যখন জনসভায় পৌঁছন তখন মাঠে উপচে পড়া ভিড়। এদিনের মঞ্চে ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, বিধায়ক বিমান ঘোষ, খগেন মুর্মুর মতো বিজেপির হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, কৃষি জমি ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশে মমতা সিঙ্গুর আন্দোলন করেননি। তিনি সব থেকে বড় সর্বনাশ করে গিয়েছেন টাটার কারখানা ধ্বংস করে। সিপিএমের জমি নীতির বিরোধিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৮৯৪ সালের ব্রিটিশদের জমি আইন বস্তাপচা ছিল। আমরা কিন্তু শিল্পের পক্ষে। শুভেন্দু বলেন, ১৬ দিন এখানে বসে ড্রামা করে টাটাকে তাড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপি যদি রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তাহলে টাটাকে ফুলের মালা পরিয়ে রাজ্যে আনা হবে।

    আরও পড়ুুন: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    তিনি বলেন, ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি ধরা পড়েছে। জলজীবন প্রকল্পকে নিজেদের নামে করতে চায় তৃণমূল সরকার। তিনি বলেন, এখন তৃণমূলের দুয়ারে সিবিআই চলছে। শুভেন্দু বলেন, সর্বভারতীয় তকমা সরতেই মরিয়া তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে ফোন করেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জাতীয় তকমা ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অমিত শাহজি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন যা করেছে, নিয়ম মেনেই করেছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহকে গুন্ডা বলেছেন। ওদিকে তাঁকে চারবার ফোন করে পা ধরেছেন। বলছেন, ২০২৪ পর্যন্ত আমার রাষ্ট্রীয় তকমাটা রাখা যাবে না? জবাবে অমিত শাহজি স্পষ্ট বলেছেন, আপনি তো ভোট পাননি। সেই নিয়মে আপনি আর সর্বভারতীয় নন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
  • Suvendu Adhikari: উদ্যোগ শুভেন্দুর! ১৩ বছর আটকে থাকা রেলপথের কাজ সম্পূর্ণ হতে চলেছে নন্দীগ্রামে

    Suvendu Adhikari: উদ্যোগ শুভেন্দুর! ১৩ বছর আটকে থাকা রেলপথের কাজ সম্পূর্ণ হতে চলেছে নন্দীগ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নতুন করে সূর্যোদয় হতে চলেছে নন্দীগ্রামে। হ্যাঁ, সেই নন্দীগ্রাম, যেখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে এককালের সহযোদ্ধার (Suvendu Adhikari) কাছে শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হতে হয়েছিল বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলা বাহুল্য, পরিবর্তনের আঁতুড়ঘর এই নন্দীগ্রাম শুভেন্দুর দখলে চলে যাওয়ায় এখানকার উন্নয়ন নিয়ে মমতাকে আর মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি। এলাকায় কান পাতলে এমনটাই শোনা যায়। এলাকার মানুষের আরও অভিযোগ, দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নন্দীগ্রামের উন্নয়নের জন্য যে রেলপথের সূচনা মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজে হাতে করেছিলেন, সেদিকে আর তিনি ফিরে তাকাননি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে ফের প্রাণ ফিরে পেতে চলেছে ওই রেলপথ। নন্দীগ্রামের অসম্পূর্ণ রেলপথ এবার সম্পূর্ণ হওয়ার পথে।  

    শুভেন্দুর উদ্যোগে কীভাবে এটা সম্ভব হচ্ছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশন সহ বিভিন্ন কিছু তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে নয় নয় করে প্রায় ১৩ বছর। এই রেলপথ চালু হলে কলকাতা বা হাওড়ার সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা যে উন্নত হবে এবং এলাকার অর্থনীতিতে একটা জোয়ার আসবে, তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আর তাই তৃণমূল সরকারের কাছে অবহেলিত এই রেলপথ নিয়ে তিনি দিল্লিতে রেলমন্ত্রকে দরবার শুরু করে দেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে যেমন ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে প্রকল্পের ব্যাপারে আলোচনা করেছেন, তেমনি বারবার চিঠি দিয়েও রেলমন্ত্রককে মনে করিয়ে দিয়েছেন। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে নড়েচড়ে বসেছে রেল মন্ত্রক। রেল সূত্রে খবর, ওই রেলপথের কাজ সম্পন্ন করার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব রেলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    আশার আলো দেখছেন নন্দীগ্রামবাসী

    এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আনন্দ এবং আবেগে ভাসতে শুরু করেছেন নন্দীগ্রামবাসী। দীর্ঘ ১৩ বছর তা পড়ে রয়েছে অনাদরে এবং অবহেলায়।  দেশপ্রাণ (বাজকুল) থেকে নন্দীগ্রাম-এই ১৭.২ কিলোমিটার রেলপথ তাঁদের কাছে আশার আলো। এই প্রকল্পের জন্য যাঁরা জমি দিয়েছিলেন, শুভেন্দুর  উদ্যোগে (Suvendu Adhikari) রূপায়ণ হওয়ার খবর জেনে তাঁরাও যারপরনাই খুশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে প্রয়োজনে ‘গুন্ডামি’ করতেও রাজি। সোমবার বাঁকুড়ার জনসভা থেকে জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সরাসরি মমতার নাম না করে শুভেন্দু বলেন, ‘আপনার মতো অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য যদি গুন্ডামি করতে হয় তবে একবার নয়, এক হাজার বার করব।’

    শুভেন্দু যা বললেন

    সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে নাম না করে শুভেন্দুকে ‘ডাকু’ বলেছেন মমতা। এমন ইঙ্গিতও করেন যে, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ইশারাতেই চলছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওন্দার সভায় তার পাল্টা দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “খুব বড় বড় কথা না! বলছেন অমিত শাহকে পশ্চিমবঙ্গে একটা গুণ্ডা পরামর্শ দেয়। সাহস থাকলে নামটা বলুন না।” অহঙ্কারী, দুর্নীতির মক্ষীরানি, চোরেদের সর্দারনী বলেও এদিন মমতাকে কটাক্ষ করেন তিনি। এর সঙ্গেই শুভেন্দু বলেন, পরিবারবাদ, কাটমানি, তোষণ যাঁর একমাত্র অ্যাজেন্ডা, তাঁকে যদি গণতান্ত্রিকভাবে ধ্বংস করতে হয়, ভোটের মাধ্যমে যদি উপড়ে ফেলতে হয় তাহলে যে কোনওরকম পথ অবলম্বন করতে প্রস্তুত তিনি।

    অভিষেককে কটাক্ষ

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেককেও সোমবারের সভা থেকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। গত বুধবার ওন্দায় এসে অভিষেক বলেছিলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে জিতিয়ে ‘পাপ’ করেছেন বাঁকুড়ার মানুষ। তাঁরা এ বার ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করবেন। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার মানুষ আপনার মতো চিকিৎসা করাতে আমেরিকায় যেতে পারেন না। কারণ, ওঁদের অত টাকা নেই। বাঁকুড়ার দরিদ্র মানুষ পান্তাভাত, মুড়ি, ছোলা, ডাল-ভাতে জীবন যাপন করেন। তাঁরা পাপী নন।’’

    আরও পড়ুন: সোমবার রাতে আচমকাই দিল্লিতে মুকুল! বাড়ছে জল্পনা

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘তৃণমূল একটা মডেল তৈরি করেছে। সেই মডেলে কারা আছেন? পার্থ-অর্পিতা, অনুব্রত-সায়গল, কুন্তল-শান্তনু!” এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘তৃণমূল এখন কোথায় আছে জানেন? দুটো জায়গায় আছে। পাঁচিলের উপরে আর পচা পুকুরে!’ বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘তোলামূলের জীবন ভিতরে চলে গেছেন। কিন্তু তিনি পাঁচিল টপকে পালাতে চেষ্টা করেছিলেন, পারেননি। মোবাইল ছুড়ে ফেলেছিলেন পুকুরে। পাঁকের তলা থেকে তা বের করা হয়েছে! এই হল এখন তৃণমূলের অবস্থা।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের চাল চুরি করতেই গরমের ছুটি ঘোষণা রাজ্যের! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের চাল চুরি করতেই গরমের ছুটি ঘোষণা রাজ্যের! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে রাজ্যের স্কুলগুলিতে সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এর মধ্যে অন্য চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মতে, আসলে মিড ডে মিলের চাল চুরি করার জন্যই এই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মতে, ছুটি কোনও সমাধান নয়, ক্ষতিকারক সংস্কৃতি।

    কী অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা?

    মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি মনে করেন, এই ঘোষণা আসলে মিড ডে মিলের চাল চুরি করার জন্যই করা হয়েছে। যেসব স্কুলে সকালে ক্লাস হয়, সেগুলিও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদের টাকা কামানোর কোনও সীমা-পরিসীমা নেই। ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়ার পরও তাই এরা থেমে থাকতে চায় না। আরও টাকা কামানোর লক্ষ্যেই এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এইভাবে পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়ার কোনও অর্থই হয় না। তাছাড়া বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা যেতেই পারত। সকালে স্কুল খুলে পঠন-পাঠন চালু রাখা যেতেই পারত। আসলে এই সরকারের কাছে শিক্ষাটা বড় ব্যাপার নয়, বড় ব্যাপার হল দলের নেতা-কর্মীদের চুরির ব্যবস্থা করে কিছু পাইয়ে দেওয়া।

    ছুটি কোনও সমাধান নয়, বললেন সুকান্ত

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মতোই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইটবার্তায় বলেছেন, গরমের ছুটি যেন আরামের না হয়। বেসরকারি স্কুলে অনলাইন বা মর্নিং ক্লাস হলে সরকার পারবে না কেন? বাংলার আগামী প্রজন্মকে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত সফল হতে দেবেন না। ছাত্র-ছাত্রীদের বলব, বাড়িতে লেখাপড়া যেন বন্ধ না হয়। অভিভাবকরা নজর রাখুন, না হলে বড্ড ক্ষতি হয়ে যাবে। রাষ্ট্রবাদী শিক্ষকরা যতটা, যেভাবে সম্ভব পড়ুয়াদের পাশে থাকুন। ছুটি কোনও সমাধান নয়, ক্ষতিকারক সংস্কৃতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    SSC Scam: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে আবারও একহাত নিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, তৃণমূলের ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন। এই একশো জনের তালিকায় কয়েকজন প্রাক্তন বিধায়কও রয়েছেন। যাঁরা, ২০১৬ সালে টিকিট পাননি। আজ, সোমবার ভোরেই নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই নিয়ে তিন তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ১০০-য় নেমে যেতে পারে, বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর।

    শুভেন্দুর দাবি

    রাজ্যের বিরেধী দলনেতা, শুভেন্দু বলেন, ‘আমি ওদের (তৃণমূল) সঙ্গে ২১ বছর ছিলাম। এই পার্টির সম্পর্কে অন্য অনেকের থেকে বেশি ধারণা আমার রয়েছে। তৃণমূলের অন্তত ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের (SSC Scam) কাজ করেছেন। তবে, সব তদন্ত কোমরের নীচে হচ্ছে, এবার কোমরের উপরে উঠতে হবে।’ শুভেন্দুর অভিযোগ, ওই জনপ্রতিনিধিরা চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন। এক এক জন নেতা কেউ ১৫ লাখ, কেউ ১৬ লাখ, কেউ ১৮ লাখ টাকা করে তুলেছেন বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দুর কথায়,‘সব টাকা তাঁরা পাননি। কলকাতায় ৮-১০ লাখ টাকা করে পৌঁছে দিয়েছেন। আর বাকি কেস পিছু ৫-৬ লাখ টাকা করে নিজেরা রেখেছেন।’

    মেধা চুরি হয়েছে

    শুভেন্দু বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য জেলে রয়েছেন। জীবন কৃষ্ণ সাহা, কানাই মণ্ডল, তাপস সাহার তদন্ত চলছে। অখিল গিরি প্রায় হাইকোর্টের দরজার কাছে ঘোরাঘুরি করছেন। উত্তর দিনাজপুরে গৌতম নামে একজন বিধায়ক, পুরুলিয়ায় সুশান্ত নামে একজন বিধায়ক… অসংখ্য বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন। নিজের পরিবারের লোককে চাকরি দিয়েছে এবং চাকরি বিক্রি করেছেন। মেধা চুরি হয়েছে।’ 

    আরও পড়ুন: ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার! আজই আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে

    অগাধ সম্পত্তি জীবনকৃষ্ণের

    প্রসঙ্গত, এর আগে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক (অপসারিত) পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দু’জনেই বর্তমানে জেলবন্দি। সেই তালিকাতেই নয়া সংযোজন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ। সম্পত্তির নিরিখে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও পিছনে ফেলে দিতে পারেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, অন্তত পক্ষে ৩ হাজার চাকরি প্রার্থী থেকে টাকা নিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। এই প্রার্থীদের থেকে ৬ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত টাকা নিয়েছিলেন তিনি। বিধায়ক একাই ৩০০ কোটি টাকার ওপরের দুর্নীতি করে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share