Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Panchayat Election: ফের বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ, পঞ্চায়েত ভোট কবে?

    Panchayat Election: ফের বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ, পঞ্চায়েত ভোট কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) নিয়ে আবারও বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ। বুধবার এই মেয়াদ বাড়িয়ে করা হল ৯ মার্চ পর্যন্ত। যার অর্থ হল, ৯ মার্চ পর্যন্ত ভোট ঘোষণা করা যাবে না। আদালতের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)…

    কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর দাবির পাশাপাশি আসন পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণে অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি ছিল, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। তাই ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হোক। অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর আর্জিও জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাছাড়া তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গণনার যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তাতে ত্রুটি রয়েছে। তাই নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে প্রত্যেক বাড়ি গিয়ে সংরক্ষণের তালিকা খতিয়ে দেখা হোক। তার পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর সুইসাইড নোটে নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র! তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে

    এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠলে শুভেন্দুর আনা প্রস্তাবের বিরোধিতা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Panchayat Election)। তারা আদালতকে বলে, এখনই যেন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া না হয়। এদিন শুভেন্দুর তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন না কোনও আইনজীবী। তার জেরে পিছিয়ে যায় শুনানি। পরে স্থগিতাদেশের কথা জানায় আদালত।

    প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল ৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) নিয়ে কোনও ঘোষণা করতে পারবে না। ৯ জানুয়ারি মামলার শুনানি হয়নি। ১৫ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে ফের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচন নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করতে পারবে না কমিশন। তার পর এদিনও বাড়ানো হল অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: বিধানসভা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন শুভেন্দু, শোনা হবে ৬ মার্চ

    Suvendu Adhikari: বিধানসভা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন শুভেন্দু, শোনা হবে ৬ মার্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই প্রস্তাব বিধানসভায় আগামী ৬ মার্চ শোনা হবে বলে জানানো হয়েছে বিধানসভা সূচিতে। পরিষদীয় দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভায় ওই প্রস্তাব পাশ করতে পরে বিজেপির তরফে ৩০ জন উপস্থিত বিধায়কের সম্মতি লাগবে। সেই প্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    দলত্যাগ-বিরোধী আইন, বিরোধীদের সম্মান-সহ একাধিক ইস্যুতে বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিজেপির পরিষদীয় দল। এই অনাস্থা প্রস্তাবে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মোট ১৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, পিএসি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে অধ্যক্ষ অনিয়ম করেছেন, দলত্যাগবিরোধী আইন নিয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট নয়, বিধানসভায় বিরোধী নেতাদের যথোপযুক্ত সম্মান দেওয়া হচ্ছে না, শাসকদলের অঙ্গুলি হেলনে তিনি চলছেন।

    গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার সচিবালয় স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই প্রস্তাব আদৌ গৃহীত হবে কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ ছিল রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু সোমবারের বিধানসভার বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়, স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে। জানা গিয়েছে, বুলেটিনে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার ইঙ্গিত পেয়েই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল। যে দিন ওই প্রস্তাবটি পেশ করা হবে সে দিন যাতে কমপক্ষে ৩০ জন বিধায়ক সদনে উপস্থিত থাকেন সেই দিকে লক্ষ্য রাখছে গেরুয়া দল।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরি পণ্ডিত-হত্যার দুদিন পরেই সেনার পাল্টা! পুলওয়ামায় এনকাউন্টারে খতম জঙ্গি

    স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেস-সিপিএম অনাস্থা প্রস্তাব আনার চেষ্টা করেছিল। যদিও কোনও লাভ হয়নি। জানা গিয়েছে, স্পিকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) আনা অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনা হবে কি না, তার সিদ্ধান্ত হবে ৬ মার্চেই। সোমবার বিধানসভার তরফে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যে অনাস্থা জমা দিয়েছিলেন, তাতে অন্য বিধায়কদের আস্থা আছে কি না তা যাচাই করা হবে। যেহেতু অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন বিরোধী দলনেতা সে কারণে আলোচনার ক্ষেত্রে ৩০ জন বিধায়কের এতে সম্মতি থাকতে হবে। শেষ পর্যন্ত, বিধানসভা থেকে অনাস্থা আনার অনুমতি প্রস্তাব সামনে এলে কবে এই নিয়ে আলোচনা হবে, বা আদৌও আলোচনার অনুমতি মিলবে কি না তা জানিয়ে দেবেন স্পিকার নিজেই। বিধানসভা সূত্রের খবর, প্রস্তাব উঠলে আলোচনার অনুমতি দিতে পারেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে এবার রাজভবনের দ্বারস্থ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এ বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানালেন শুভেন্দু। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, “এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিরাপদ নন। তাঁর  কনভয়ে রাজ্য পুলিশের সামনেই হামলা হল। তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?”

    কী বললেন বিজেপি নেতারা?    

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “নিশীথ প্রামাণিকের উপর হামলার বিষয়টি আমি মাননীয় রাজ্যপালকে জানিয়েছি। মাননীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের এলাকায় সুরক্ষিত নন। তাহলে আইন শৃঙ্খলা কোথায় গিয়েছে? দিনহাটার ওসি দাঁড়িয়ে দেখেছেন। তাহলে এবার তো সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। একজন মন্ত্রী জেড ক্যাটাগরির পান, তাঁর সঙ্গে স্টেট পুলিশ আছে তা সত্ত্বেও যেভাবে বোমা ছোড়া হয়েছে তা উদ্বেগের।”

    আরও পড়ুন: ভুয়ো কলেজ, জাল ডিগ্রি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাজ্জব ইডি

    এই ঘটনায় সরাসরি পুলিশ ও পুলিশমন্ত্রীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “অপদার্থ পুলিশ ও পুলিশমন্ত্রী। ভারতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছে। শুধু হামলা নয়, পাথর, বোমা ছোড়া হয়েছে। পুলিশমন্ত্রীর ইস্তফা দেওয়া উচিত।” এই হামলার ঘটনায় তৃণমূল জড়িত অভিযোগ তুলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, “এই ঘটনায় আমরা গণতান্ত্রিকভাবে জবাব দেব। তৃণমূলের হার্মাদবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করব।” ‘রাজ্যে ৩৫৬ জারির পরিস্থিতি রয়েছে’ বলে দাবি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের। 

    প্রসঙ্গত, শনিবার দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মিছিলের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মিছিলে বোমা, গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Sukanta Majumdar: ‘রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কুকথা বললে কান ধরে বের করে দিতাম’, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কুকথা বললে কান ধরে বের করে দিতাম’, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কুকথা বলেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। তার পরেও তিনি দিব্যি রয়েছেন মন্ত্রীর চেয়ারে। এদিন সেই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকারকে একহাত নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, এটা যদি বিজেপির কোনও মন্ত্রী হতেন, তাহলে আমরা কান ধরে বার করে দিতাম দল থেকে।

    সুকান্ত বলেন…

    নীতি যাত্রা শেষে সোমবার পুরুলিয়া শহরের একটি সভায় যোগ দেন সুকান্ত। সেখানেই তিনি নিশানা করেন তৃণমূলকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, নিজেদের আদিবাসী দরদি হিসেবে পরিচয় দেওয়া তৃণমূল আদিবাসী রাষ্ট্রপতিকে সমর্থন করেনি, উল্টে আদিবাসীদের সঙ্গে নৃত্য করার সময় হাতে গ্লাভস পরে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সুকান্ত বলেন, যিনি রাষ্ট্রপতিকে অসম্মানজনক কথা বলেছিলেন, তিনি এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন তৃণমূলের মন্ত্রিসভায়। এর পরেই তিনি বলেন, এটা যদি বিজেপির কোনও মন্ত্রী হতেন, তাহলে আমরা কান ধরে বার করে দিতাম দল থেকে। লাথি মেরে তাড়িয়ে দিতাম মন্ত্রিসভা থেকে।  

    আরও পড়ুুন: ‘মমতার সরকার লুঠের সরকার হয়ে গিয়েছে’, এ কথা কেন বললেন গিরিরাজ সিং?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির দূত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তৃণমূল। এদিন সে প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, দেখবেন, গ্রামে গিয়ে আপনার গরুটা, ছাগলটা যেন না চুরি করে নিয়ে যায় দূতেরা। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ওই নির্বাচনে পুলিশ যাতে তৃণমূলের হয়ে কাজ না করে সে ব্যাপারেও তাদের সতর্ক করে দিয়েছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুলিশ যদি তৃণমূলের হয়ে কাজ করে, তাহলে তাঁরা যেন টুপি থেকে অশোকস্তম্ভ খুলে ফেলেন এবং হাওয়াই চটি লাগিয়ে নেন।

    মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডুকেও এদিন একহাত নেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বলেন, রাষ্ট্রপতিকে অসম্মানজনক কথা বলার সময় চুপ ছিলেন সন্ধ্যারানি। কারণ তাঁর পরিবারের লোকজনকে তিনি চাকরি করে দিয়েছেন। দুর্নীতিগ্রস্তরা কোনওভাবেই রেহাই পাবে না বলেও এদিন সাফ জানিয়ে দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, যদি কর চুরি, যত বড় হও দিদির ভাই, ধরবে তোমায় সিবিআই। তিনি বলেন, চাটার্ড অ্যাকাউন্টেটকে দিয়ে সম্পত্তির হিসেব করিয়ে নিন। দরজায় সিবিআই, দুয়ারে সিবিআই চলে আসবে এবার। তখন বিজেপির পতাকা ধরলেও বাঁচা যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Suvendu Adhikari: ডিএ-র দাবি আদায়ে সরকারি দফতরে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনের ডাক শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ডিএ-র দাবি আদায়ে সরকারি দফতরে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনের ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াল বঙ্গ বিজেপি (BJP)। ডিএ-র দাবি আদায়ে সরকারি দফতরে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনের যাওয়ার ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। জরুরি পরিষেবা বাদ দিয়ে সমস্ত দফতরে তালা ঝোলানো হবে বলে জানান শুভেন্দু। ডিএ-র দাবিতে সোমবার বিধানসভায় সোচ্চারও হন বিজেপি বিধায়করা।

    ডিএ আন্দোলন…

    রাজ্য বাজেট পেশের দিন ৩ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। যদিও বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করে চলেছেন সরকারি কর্মীরা। সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। ২৬ দিন ধরে অবস্থান করছেন সরকারি কর্মীরা। টানা ১২ দিন ধরে চলছে অনশনও। ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতিতেও দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে বলেও জানান আন্দোলনকারীরা। এমতাবস্থায় আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দু বলেন, যতক্ষণ না ডিএ এবং বকেয়া ডিএ দিচ্ছে, ততক্ষণ স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, পানীয় জল ছাড়া সব জায়গায় তালা লাগিয়ে রাখা হোক।

    আরও পড়ুুন: ‘মমতার সরকার লুঠের সরকার হয়ে গিয়েছে’, এ কথা কেন বললেন গিরিরাজ সিং?

    বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এদিন বিধানসভায় সরব হন পদ্ম বিধায়করা। ওই দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিধানসভায় এসেছিলেন তাঁরা। অধিবেশন শেষে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে তাঁরা আম্বেদকর মূর্তির নীচে অবস্থানে বসেন। সেখানেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, কর্মচারীদের দাবি ন্যায্য। আমরা সর্বতোভাবে তাঁদের দাবি ও আন্দোলনকে সমর্থন করছি। এর পরেই তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, পানীয় জল, দমকলের মতো জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্যান্য দফতরে তালা ঝুলিয়ে দিতে হবে। শুভেন্দু বলেন, সরকারকে বাধ্য করতে হবে দাবি পূরণে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, সব রাজ্য সরকারই তাদের রাজস্ব থেকে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেয়।

    এদিন বিধানসভায় এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনিও বলেন, অন্যান্য জায়গায় ৪২ শতাংশ, ৩৮ শতাংশ বা ৩৬ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন সরকারী কর্মীরা। এখানে ঘোষণা হয়েছে মাত্র ৩ শতাংশ। তিনি বলেন, কর্মবিরতি একটা সূচনা মাত্র। আন্দোলন আরও বড় আকার নেবে কি না, তার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকেই। দিলীপ বলেন, পেন ডাউন করে একটা সংকেত দিয়েছেন কর্মীরা। অনেক জায়গায় যেতে পারেন তাঁরা। সরকারের ক্ষমতা নেই আটকানোর। কারণ সরকারকে কেউ ভয় পায় না। তিনি বলেন, সরকার নিজের পায়ে দাঁড়াতেও পারছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Giriraj Singh: ‘মমতার সরকার লুঠের সরকার হয়ে গিয়েছে’, এ কথা কেন বললেন গিরিরাজ সিং?

    Giriraj Singh: ‘মমতার সরকার লুঠের সরকার হয়ে গিয়েছে’, এ কথা কেন বললেন গিরিরাজ সিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা সঠিক খাতে খরচ না করে খয়রাতির কাজে খরচ করা হচ্ছে বলে নানা সময় অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার প্রায় একই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের টাকার অপব্যবহার করছে রাজ্য সরকার। বেআইনিভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।

    গিরিরাজের দাবি…

    গিরিরাজের দাবি, আবাস যোজনা থেকে ১০০ দিনের কাজ, সর্বত্র দুর্নীতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ৮ লক্ষ বাড়ি তৈরিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্বচ্ছতা না থাকলে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। অভিযোগ এলে তদন্ত করতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দিয়েছে বাংলার সরকার, যা আইনত অন্যায়। মন্ত্রী (Giriraj Singh) বলেন, যাঁর তিনতলা বাড়ি রয়েছে, তাঁকেও আবাস যোজনায় টাকা দেওয়া হয়েছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা যেভাবে লুঠ হয়েছে, তা সীমাহীন। তিনি বলেন, মমতার সরকার লুঠের সরকার হয়ে গিয়েছে।

    কেন্দ্র প্রাপ্য বঞ্চনা থেকে বঞ্চিত করছে বলে নানা সময় অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁরও জবাব দিলেন বেগুসরাইয়ের সাংসদ গিরিরাজ। তিনি বলেন, আমি শুধু স্বচ্ছতা চাই। এখনও পর্যন্ত বাংলার সরকারকে ৮ লক্ষ বাড়ি তৈরির জন্য অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, কেন্দ্রের উদ্দেশ্য যদি খারাপই হয়ে থাকে, তা হলে টাকা কেন দেবে? রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। সে প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, অভিযোগ এলে তদন্ত করতে হয়। বাংলার মন্ত্রীরা এসে ভাল কথা বলে গেলেন। অথচ রাজ্যে গিয়ে তাঁদের পরিবর্তন হয়ে যায়। ফের লুঠ শুরু হয়। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা লুঠের জন্য নয়, গরিবের জন্য।

    আরও পড়ুুন: পনির ছাড়াই, বাটার মশালা! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের সিবিআইকে তোপ আদালতের

    গিরিরাজ (Giriraj Singh) বলেন, আপনাদের বলছি, গরিবের টাকা দিতে চাই। কিন্তু বাংলার লুঠের সরকারকে কাজ দেখাতে হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, দেশের মধ্যে কয়েকটি রাজ্য রয়েছে তার মধ্যে মমতাজির রাজ্য অন্যতম যেখানে কেন্দ্রের টাকার অপব্যবহার হয়েছে। উনি শুরু থেকেই বেআইনিভাবে ভারত সরকারের সব প্রকল্পের নাম বদলে দিয়েছেন। ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনার অর্থ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। গিরিরাজ বলেন, দুর্নীতি সব ক্ষেত্রেই সীমা পেরিয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • West Bengal BJP: ‘বিজেপি কারও বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে’, সাফ জানালেন সুকান্ত

    West Bengal BJP: ‘বিজেপি কারও বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে’, সাফ জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারও বাড়ি টার্গেট করে আন্দোলন করে না বিজেপি (West Bengal BJP)। আমরা কারও বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রবিবার কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও করা হয়। সেই প্রেক্ষিতেই এই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রবিবার নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র বালুরঘাটে এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানেই তিনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য কাঠগড়ায় তোলেন তৃণমূলকে।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি…

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই তৃণমূলের একমাত্র লক্ষ্য। নোংরা রাজনীতি আর দুর্নীতি করা ছাড়া ওদের আর কোনও কাজ নেই। কারও সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে। তার জন্য আন্দোলন করার অনেক পথ রয়েছে। সুকান্ত বলেন, আমরাও ডিএম অফিস কিংবা অন্য কোনও সরকারি অফিস ঘেরাও করি। কিন্তু কারও বাড়ি টার্গেট করে আন্দোলন বিজেপি (West Bengal BJP) করে না। আমরা কারও বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে। আমরা এর অবসান চাই। তিনি বলেন, তা না হলে আগামী দিনে আমরাও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও করব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এই বাড়ি ঘেরাওয়ের রাজনীতি যদি বন্ধ না হয়, তাহলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিগুণ লোক নিয়ে অভিষেকের বাড়ি ঘেরাও করব।

    আরও পড়ুুন: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    এদিন শ্রীরামপুরে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, রাজ্য সভাপতি যখন বলেছেন, তখন নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তে বলেছেন। মডেল তো ভালোই। ইট মারলে পাটকেল তো খেতেই হয়! তৃণমূলের নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ওই কর্মসূচিতে ১২০০ লোকও হয়নি। তিনি জানান, তাঁর একটা মিটিংয়ে এর চেয়ে ঢের বেশি লোক হয়। বিধাননগরে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বিজেপির (West Bengal BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, যদি ওরা মনে করে আমার নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের-বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করবে, তাহলে আমরাও পারি। অভিষেক কেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িও ঘেরাও করব আমরা।  


    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
     

     

      

  • Suvendu Adhikari: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক সভার নামে খরচ হচ্ছে গুচ্ছের টাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল (TMC) সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয়। তবে এবার রীতিমতো হিসেব দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানিয়ে দিলেন বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বাসের জন্য খরচ হয়েছে ৭৮ লক্ষ টাকা। বাঁকুড়ার জেলাশাসকের কাছে ওই খরচের সূত্র জানতে চেয়েছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর অভিযোগ…

    জেলায় জেলায় নিয়মিত প্রশাসনিক সভা করে বেড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে নিয়ে চলেন বিস্তর লোকলস্কর। সেখানে গিয়ে সুবিধাভোগীদের নানা সুবিধা দেন। তার আড়ালে ভোটের প্রচারও চলে বলে অভিযোগ। ১৭ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক সভা করেন মমতা। রাজ্য সরকারের এই কর্মসূচিতে স্কুল পড়ুয়া ও বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। বাঁকুড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসারের স্বাক্ষর করা কয়েকটি কাগজ তুলে ধরে শুভেন্দুর অভিযোগ, ৭০০ বাসে করে এই স্কুল পড়ুয়া ও সুবিধাভোগীদের নিয়ে আসা হয়েছে।

    ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় ছাত্রছাত্রী ও গরিব সুবিধাভোগীদের ৭০০ বাসে করে আনতে ৭৮ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। ওই ট্যুইটেই তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, জনগণের টাকা খরচ করে ছাত্রছাত্রীদের রাজনৈতিক বক্তৃতা শুনতে বাধ্য করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে…’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের

    মুখ্যমন্ত্রীর ওই সভায় যে লোক আনা হয়েছে, তাদের নিয়ে আসা হয়েছে বাঁকুড়ার বিভিন্ন ব্লক ও পুরসভা থেকে। শুভেন্দুর ট্যুইট থেকে জানা যাচ্ছে, সব চেয়ে বেশি বাস এসেছে বড়জোড়া এলাকা থেকে। সেখান থেকে ৫২টি বাস আনতে খরচ করা হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক আনতে বাস প্রতি খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) ট্যুইট থেকেই জানা গিয়েছে, সভার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল ৮ হাজার পুলিশ কর্মী, তৈরি করা হয়েছিল উন্নত ধরনের স্টেজ। সব মিলিয়ে মাত্র ৪০ মিনিটের সভার জন্য খরচ হয়েছে ৩-৪ কোটি টাকা। তাঁর প্রশ্ন, এই টাকা এল কোথা থেকে? বাঁকুড়ার ডিএম ব্যাখ্যা দিন। তাঁর আরও প্রশ্ন, রাজ্যের এই আর্থিক সংকটের সময় ওই টাকা কি মিড-ডে মিলের টাকা থেকে এসেছে?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sisir Adhikari: শিশিরের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সাংসদ অনুগামীদের

    Sisir Adhikari: শিশিরের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সাংসদ অনুগামীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ। শিশির কাঁথির সাংসদ। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। সেটি হল, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর বাবা। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট (Fake Bank Account) খোলা হয়েছে শিশিরের নামে। শনিবার সেই ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খবর পাওয়া মাত্রই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের কাছে অভিযোগ জানান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

    ভুয়ো অ্যাকাউন্ট…

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শিশিরের বাড়িতে চিঠি আসে ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের মেচেদার মাছনা শাখা থেকে। এই চিঠি পাওয়ার পরেই তাঁর নামে থাকা ওই অ্যাকাউন্টটির কথা জানতে পারেন শিশির। আইনি পরামর্শ নিয়ে, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে চিঠি পাঠান তিনি। জানা গিয়েছে, মাছনা শাখায় শিশিরের (Sisir Adhikari) নামে যে অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে, তার অ্যাকাউন্ট নম্বর হল ১২০৯০১০০০০৫৩০৪৫। শিশিরের ছবি, স্বাক্ষর ও নথি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ।

    যার অর্থ ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি রয়েছে। এই ব্যাঙ্ক থেকে শিশিরের কাছে চিঠি যাওয়ার পরেই শুরু হয়েছে হইচই। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে শিশির লিখেছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়াই এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অ্যাকাউন্টটি খুলতে কোনও তথ্য বা নথিও তিনি দেননি। কে বা কারা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক অর্থমন্ত্রক। অশীতিপর এই সাংসদের দাবি, তাঁর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই এ সব করা হয়েছে। শিশিরের অনুগামীরাও জানাচ্ছেন, কাঁথির তিনবারের সাংসদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই খোলা হয়েছে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট।

    আরও পড়ুুন: পশ্চিমবঙ্গের আমলার রামায়ণ ব্যাখ্যায় মুগ্ধ মোদি, নিয়ে গেলেন পিএমও-তে

    শিশিরের (Sisir Adhikari) পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারী তমলুকের সাংসদ। তিনি বলেন, বাবা এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা জানতে পেরেই অর্থমন্ত্রীকে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন। আমরা চাই, যাঁরা তাঁর নাম ব্যবহার করে এ সব করেছেন, তাঁরা ধরা পড়ুন। কারণ এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বাবার মতামত যেমন নেওয়া হয়নি, তেমনই বাবা কোনও তথ্য, নথি বা স্বাক্ষরও দেননি। তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্রের বিহিত চাইছি আমরা। তৃণমূলের টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছেন শিশির। পরে তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। শিশির পুত্র শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ভাবাদর্শ বদলের জেরে তৃণমূল ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিযোগ, এসব কারণেই শিশিরকে ফাঁসানোর চেষ্ট চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘ট্রেডমিলে তৈরি করা, কাঁচা কাজ’, রাজ্যের বাজেট নিয়ে তুমুল সমালোচনায় শুভেন্দু অধিকারী

    Suvendu Adhikari: ‘ট্রেডমিলে তৈরি করা, কাঁচা কাজ’, রাজ্যের বাজেট নিয়ে তুমুল সমালোচনায় শুভেন্দু অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেই জ্বলন্ত ইস্যু, নেই মানুষের আকঙ্খা পূরণের ব্যবস্থা, নেই উন্নয়নের প্যাকেজ, নেই কর্মসংস্থানের কথা, বাংলার বাজেটে দেখা গিয়েছে শুধুমাত্র রাজ্যের অর্থনৈতিক দেউলিয়া অবস্থার প্রতিফলন, এমনটাই বলতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য বাজেট পেশ করার পর এমনটাই বলে রাজ্য বাজেটের সমালোচনা করলেন শুভেন্দু। আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, এই বাজেট ট্রেডমিলে তৈরি করা। ৩০ মিনিটেই যা শেষ হয়েছে। তাঁর কথায় “কাঁচা কাজ হয়েছে।”

    রাজ্য বাজেট নিয়ে কী কী বললেন শুভেন্দু?

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এবারের বাজেটকে নিরর্থক অনুশীলন বলে বর্ণনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, “এই বাজেটে পশ্চিমবঙ্গের যে সব জ্বলন্ত ইস্যু আছে, মানুষের যে আকঙ্খা আছে, তা পূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। রাজ্যের অর্থনৈতিক দেউলিয়া অবস্থার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে।” তাঁর কথায় বাজেটে অনেকগুলি ছিদ্রপূরণের চেষ্টা করা হয়েছে।

    এছাড়াও তিনি বলেছেন, “কিছুটা ভোটমুখী করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কাঁচা কাজ হয়েছে। সামগ্রিকভাবে আমাদের রাজ্যে যে বিষয়গুলো সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেমন- রাস্তা, বিমানবন্দর, সেতু, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা বাজেটে রাখা হয়নি। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করার কথা বলা হয়নি। চা বাগানে পাট্টা দেওয়ার কথা আবার বলা হয়েছে। কিন্তু পাট্টা দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট উল্লেখ রাখা হয়নি। এই রাজ্যের উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, জঙ্গল মহল, রাঢ়বঙ্গ ও উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে থাকা রাজ্যগুলির জন্য কোনও প্যাকেজের ঘোষণা নেই। বাজেটে হোমগার্ড, জুনিয়র কনস্টেবল, আশা কর্মী, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়নি। কয়েক লক্ষ এমন কর্মীদের বঞ্চনা করেছে সরকার। পরিযায়ী শ্রমিকরা বাইরে চলে যাচ্ছেন। তাঁদের এ রাজ্যে কীভাবে কাজ দেওয়া হবে, তার কোনও উল্লেখ নেই। অর্থমন্ত্রী বললেন ডিএ বাড়াবেন। কবে বাড়াবেন, তার কোনও তথ্য নেই। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আয়ুস্মান ভারত চালু করা হবে কি না, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে এখনও পর্যন্ত কতজন পরিষেবা পেয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে কি না তা জানানো হয়নি। রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে শূন্যপদ রয়েছে, তা কীভাবে পূর্ণ করা হবে, ২ কোটির বেশি বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের দিশা কী হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি।” 

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মুখ্যমন্ত্রীকেও কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা। মমতা ব্যানার্জিকে তোপ দেগে বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘ট্রেড মিলে হাঁটতে-হাঁটতে ৩০ মিনিটে বাজেট তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’ এদিন অর্থমন্ত্রীর রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্তদের জন্য ৩ শতাংশ মহার্ঘভাতা ঘোষণা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু। এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘১৫ মার্চ ডিএ মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তা থেকে বাঁচতেই এই ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছে সরকার। এর সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই।’ ফলে রাজ্য বাজেটে কোন কোন বিষয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি, সেই নিয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন ও তার সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কীভাবে বেকারত্ব দূর করা হবে সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

LinkedIn
Share