Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: ‘পথই পথ দেখাবে, আন্দোলন চালিয়ে যান’, ডিএ আন্দোলনকারীদের বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘পথই পথ দেখাবে, আন্দোলন চালিয়ে যান’, ডিএ আন্দোলনকারীদের বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথই পথ দেখাবে। তাই আপনারা পথ ছাড়বেন না। আন্দোলন চালিয়ে যান। বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বকেয়া ডিএর (DA) দাবিতে মাস দুয়েক ধরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীরা। শহিদ মিনারে অবস্থান করছেন তাঁরা। এদিন হয় মহাসমাবেশ। এই মঞ্চেই ফের গেলেন শুভেন্দু। দিলেন আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাসও। ওই মঞ্চে শুভেন্দু বলেন, পথই পথ দেখাবে। তাই আপনারা পথ ছাড়বেন না। আন্দোলন চালিয়ে যান।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, এই আন্দোলনে আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা যাতে জিততে পারেন, তার জন্য ভাল ভাল আইনজীবী দিয়েছি। আরও ভাল আইনজীবী দেব। আপনাদের জয় নিশ্চিত। আপনারা নিজেদের দাবি থেকে সরবেন না। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, এই সরকার দেউলিয়া। ৬ লক্ষ কোটি টাকার দেনা রয়েছে। সরকার আপনাদের ডিএ আটকানোর জন্য আইনজীবীদের পিছনে খরচ করছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, রেড রোডের আওয়াজ বেড়ে গিয়েছে। দিন শেষ হয়ে এসেছে। আপনাদের মেরুদণ্ড যে বিক্রি নেই, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন আপনারা। আমার সামনে ক্যাবিনেটে ৬ লক্ষ স্থায়ী পদের অবলুপ্তি ঘটানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এ কাজ করেছেন। এসএসসি পাঁচটা জোনে ভাগ ছিল। সেটাকে কালীঘাট কেন্দ্রিক ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘তিহাড়ই হবে তৃণমূলের পার্টি অফিস’! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    নন্দীগ্রামের (Suvendu Adhikari) বিধায়ক বলেন, প্রশাসনিক কাজ সামলাতে ৬০ হাজার পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। এই সব অস্থায়ী পদে তৃণমূলের লোকজনকে বসানো হয়েছে। সিভিকদের দিয়ে রাজ্য চলছে। শুভেন্দু বলেন, সরকার যদি বলে ডিএ দেওয়ার মতো পয়সা নেই, তবে বলুন পয়সা জোগানোর দায়িত্ব আমাদের নয়। তিনি বলেন, এ রাজ্যের একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে বলছি, আপনারা ট্রাইব্যুনালে যেমন জয় পেয়েছেন, যেমন পেয়েছেন হাইকোর্টে, তেমনই নিশ্চিতভাবেই সুপ্রিম কোর্টেও জয় পাবেন।

    বুধবার ধর্নামঞ্চ থেকে ডিএর দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো সরকারি কর্মীদের চোর ডাকাত বলে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের জেরে ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। কয়েকজন আন্দোলনকারী বলেন, আমাদের চোর-ডাকাত বলার যোগ্য জবাব পাবেন। উনি আমাদের প্রতি অশালীন মন্তব্য করেছেন। ওঁর রাজ্যের কর্মীরা চোর ডাকাত হলে উনি তো পুলিশমন্ত্রী। আমাদের গ্রেফতার করছেন না কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘তিহাড়ই হবে তৃণমূলের পার্টি অফিস’! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘তিহাড়ই হবে তৃণমূলের পার্টি অফিস’! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিহাড়ই হবে তৃণমূলের (TMC) পার্টি অফিস। অপেক্ষা করুন। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই। বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি ও কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে দু দিনের অবস্থান বিক্ষোভ করে বঙ্গ বিজেপি। এই কর্মসূচিতে সুকান্তের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের অন্য নেতানেত্রীরা।

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) উবাচ…

    এদিন সেখানেই ভাষণ দেন সুকান্ত। বুধবারই রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে শহিদ মিনারের সভা থেকে দিল্লি অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গেই সুকান্ত বলেন, অনুব্রত মণ্ডল ইতিমধ্যেই তিহাড় গিয়েছেন। এরপর বাকিরাও যাবেন। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, এবার তিহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একটা ইউনিট খুলতে হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তিহাড়ই হবে তৃণমূলের পার্টি অফিস। অপেক্ষা করুন। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই। আপাতত তিহাড় জেলে রয়েছেন অনুব্রত। পরিস্থিতি যা, তাতে মাস চারেক তাঁকে থাকতে হবে তিহাড়েই। বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের নেতাদের। এদিন সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস আগামিদিনে তিহাড় কংগ্রেসে পরিণত হবে।

    কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দু দিন ধরে রেড রোড ধর্নায় বসেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চ তৈরি করেছে রাজ্য পূর্ত দফতর। অথচ পিছনে তৃণমূলের প্রতীক জ্বলজ্বল করছে। ওটা দলের নাকি সরকারের বোঝা যাচ্ছে না। পুরো মাখামাখি হয়ে ঘেঁটে ঘ হয়ে গিয়েছে। ভাইপোর মঞ্চ কারা করেছে, জানি না। শুধু এটুকু বুঝতে পারছি, নন্দলালের চুরির টাকায় মঞ্চ করে সাধু সাজার ভান। সুকান্ত বলেন, তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা, ধুন্ধুমার হাওড়ায়

    তাঁর প্রশ্ন, কেন্দ্র নাকি টাকা দিচ্ছে না? কেন দেবে? আপনার নেতার বান্ধবীর বাড়িতে ৫০ কোটি করে জমাবেন, সেই চুরির জন্য টাকা দেওয়া হবে? সুকান্ত বলেন, সাদা শাড়ি আর হাওয়াই চটি পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে বোকা বানিয়েছেন। এদিনের মঞ্চে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় পুকুর চুরি যাঁরা করেছেন, যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা কেউই ছাড় পাবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: হাওড়ায় গণ্ডগোলের জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী! ট্যুইটবার্তায় দাবি শুভেন্দু, অমিত মালব্যর

    Suvendu Adhikari: হাওড়ায় গণ্ডগোলের জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী! ট্যুইটবার্তায় দাবি শুভেন্দু, অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ায় গণ্ডগোলের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শিবপুর এবং ডালখোলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্যুইটও করেছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    পুলিশের অনুমতি নিয়েই সমস্ত মিছিল হয়েছিল কিন্তু তারা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বলে ট্যুইটবার্তায় দাবি করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি লিখছেন, হাওড়ার ঘটনায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়া উচিৎ। রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে আবেদন, যাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবিলম্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন রাজ্য পুলিশ সঠিক ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। গোটা এলাকাতে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে বলেও দাবি বিরোধী দলনেতার। এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে আছেন! পুলিশ সঠিক ব্যবস্থা করতে পারেনি যাতে সমস্ত মিছিল বিনা বাধায় এগিয়ে যেতে পারে।

    অমিত মালব্যর ট্যুইট

    এই ঘটনায় (Howrah Incident) সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই দায় ঠেলছে পদ্ম শিবির। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইটে দাবি করেছে, হিন্দু ভাবাবেগকে অবজ্ঞা করেন বলেই রামনবমীর দিন ধর্নায় বসেছেন মমতা। বিজেপি নেতার আরও দাবি, ”মুখ্যমন্ত্রী রামনবমীতে মুসলিম এলাকাগুলি এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন যেহেতু রমজান চলছে। কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন নবরাত্রির জন্য হিন্দুরাও উপবাসে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে এই ঘটনার দায় সরাসরি মমতার। যখন ১০ হাজার মিছিল বের হচ্ছে, তখন তিনি ধরনায় ছিলেন। যখন তাঁর পুলিশি ব্যবস্থাপনা দেখার কথা তিনি তখন রাজনীতি করছিলেন।”

    মুখ্যমন্ত্রীর দাবি

    অন্যদিকে রামের দেশে রাম নবমীর শোভাযাত্রা আক্রান্তের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, হাওড়ায় গতবছর যে জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে। এই বছরও ঠিক একই জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। যদিও অশান্তির ঘটনায় নাম না করে বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী মিছিলের রুট পরিবর্তন করারও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা, ধুন্ধুমার হাওড়ায়

    উল্লেখ্য, হাওড়ায় শিবপুরের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনায় ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। রামনবমীর মিছিলে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে। আর সেই অভিযোগ ঘিরেই একেবারে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শিবপুর এলাকায়। একের পর এক গাড়ি এবং দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু, কী আর্জি জানালেন?

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু, কী আর্জি জানালেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls) নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করবে না হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    সুপ্রিম কোর্ট…

    ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই কলকাতা হাইকোর্টে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণায় স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় শুনানি হতে পারে মামলাটি। এর আগে শুভেন্দুর মামলা প্রসঙ্গে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, বিরোধী দলনেতার মামলার সারবত্তা থাকলেও, এই অবস্থায় হাইকোর্ট কমিশনের ওপরই বিষয়টি ছেড়ে দিচ্ছে। এর পরেও শুভেন্দুর কোনও বক্তব্য থাকলে তিনি তা জানাতে পারেন নির্বাচন কমিশনে। তা খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

    আরও পড়ুুন: সাংসদ পদ ফিরে পেলেন এনসিপি সাংসদ, আশার আলো দেখছে কংগ্রেস

    এর পরেই ফের আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আগামী সাতদিন যেন নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা না হয়, সেই আর্জি জানিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দুটি বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। একটি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর আর্জি জানিয়ে, অন্যটি ওবিসি সম্প্রদায়ের গণনা সংক্রান্ত বিষয়ে। দ্বিতীয় বিষয়ে রায় দিলেও, প্রথমটি নিয়ে কোনও রায় দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। এ নিয়ে ফের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে আদালতে।

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালে তফশিলি জাতি ও উপজাতির গণনা করা হলেও, ওবিসি সম্প্রদায়কে গণনা করা হয়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই গণনা করা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মমতার দফতরেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ! ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মমতার দফতরেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ! ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির নীচে ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁকে ট্যুইট-বাণে বিদ্ধ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার পুলিশ কর্মী নিয়োগ না করে অস্থায়ী হোমগার্ড নিয়োগ করছে, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও চুক্তিভিত্তিক উপদেষ্টা, প্রফেসরের জায়গায় অস্থায়ী লেকচারার। সস্তার লেবার পেতে চাইছে সরকার। তিনি বলেন, এভাবে টাকা বাঁচাচ্ছে, কিন্তু ডিএ দিচ্ছে না। এটাই কি যুব সমাজের ভবিষ্যৎ?  এভাবে একটা অসম্মানজনক কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ…

    এদিন একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনও তুলে ধরেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। একটিতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের হোম ও হিল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টে পাঁচজন উপদেষ্টা নিয়োগ করার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। পারিশ্রমিক মাসে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। মাস্টার্স ডিগ্রি বা এমবিএ পাশ হতে হবে। কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে পাঁচ বছর। ওই দফতরেই পাঁচটি শূন্য পদে চুক্তিভিত্তিক জুনিয়র কনসালট্যান্ট নিয়োগের বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। সেখানেও মাস্টার্স ডিগ্রি বা এমবিএ চাওয়া হয়েছে। কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন দু বছরের। প্রতি মাসে পারিশ্রমিক ৭৫ হাজার টাকা।

    রাজ্য সরকারের তথ্য প্রযুক্তি দফতরে ১০ জন চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নেওয়ার বিজ্ঞাপনও রয়েছে। এখানে পারিশ্রমিক বাবদ প্রতি মাসে দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা। অস্থায়ী হোমগার্ড পদেও নিয়োগ হবে। প্রতিদিন মাথা পিছু ৫৬৫ টাকা করে দেওয়া হবে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ট্যুইটে উল্লেখ করা সব পদই অস্থায়ী। ভবিষ্যতের কোনও নিশ্চয়তা নেই। চুক্তি পুনর্নবীকরণ না হলে কাজ চলে যাবে। সেই ভয়াবহ ও অনিবার্য পরিস্থিতির কথাই তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ধর্নামঞ্চে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন জানেন?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিজেপির ধর্নামঞ্চে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: বিজেপির ধর্নামঞ্চে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির নীচে দু দিনের ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এদিকে, শ্যামবাজারে তৃণমূলের (TMC) পাল্টা দু দিনের ধর্নায় বসেছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বিজেপির এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) প্রমুখ। এদিনের ধর্না মঞ্চে দিলীপ বলেন, আলিপুর সংশোধনাগার, দমদম সংশোধনাগার দিয়ে হচ্ছে না, তাই এখন তিহাড় জেলে যেতে হচ্ছে।

    অভিযোগের বাণ…

    তিনি বলেন, আসানসোল থেকে তুলে তিহাড়ে নিয়ে চলে গেল। আইনের হাত কত লম্বা দেখলেন? তিনি বলেন, মোদি আর যোগী যত শক্তিশালী হচ্ছেন, আইনের হাত তত লম্বা হচ্ছে। দিলীপ বলেন, ঘাটালের সাংসদ গতকাল সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন বাংলার টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না। মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে সব থেকে বেশি দুর্নীতি। কোনও টাকার হিসেব আসে না। তাই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মীদের ডিএর দাবি যে অন্যায্য নয়, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন দিলীপ।

    বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, সরকার সিঙ্গুরে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী সরষের বীজ ছড়িয়ে এসেছিলেন। মানুষ ওখানে চোখে সরষে ফুল দেখছেন, কিন্তু সরষের চাষ দেখতে পাননি। তিনি বলেন, সিঙ্গুর একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব হতে পারত, সেই সিঙ্গুরে আজ শ্মশানের স্তব্ধতা। রাজ্যের শিল্পপতিরা ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন।

    এদিনের মঞ্চে ভাষণ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যে কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রেড রোডে ধর্না দিচ্ছেন। কোনও রাজ্যের মন্ত্রী বা কেন্দ্রের মন্ত্রী যাঁরা সংবিধানকে সামনে রেখে শপথ নিয়েছেন, তাঁরা এভাবে ধর্না দিতে পারেন না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কিছু মানেন না। উনি শুধু মানেন, এপাং-ওপাং-ঝপাং, আমরা সবাই ড্যাং-ড্যাং। তিনি বলেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ঢালাও অর্থ দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নে। দেখা গেল, প্রত্যেকটা প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনাকে খাদ্যসাথী বলে চালানো হয়।

    আরও পড়ুুন: হতে পারে কারাদণ্ড! জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় মমতার আবেদন খারিজ বম্বে হাইকোর্টে

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গে জব কার্ড হোল্ডার ছিল ৩ কোটি ৬০ লক্ষ। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে সেই সংখ্যা ২ কোটি ৬০ লাখ হয়ে গেল কেন?  তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, মোদিজি যখন বললেন, আধারের সঙ্গে জবকার্ড লিঙ্ক করতে হবে, তখনই ১ কোটি জবকার্ড বাদ পড়ে গেল। তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে এরা ভুয়ো জব কার্ড দিয়ে কেন্দ্রের টাকা লুঠ করেছে। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ৪৫ লক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Dharna: আজ শহরে ধর্নায় বিজেপি! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে পথে সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপরা

    BJP Dharna: আজ শহরে ধর্নায় বিজেপি! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে পথে সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার রাজপথ সরগরম। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ধর্নায় বসছে বিজেপি। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দু’দিনের ধর্নায় বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন তো চলছেই। আর সেখান থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে আজই তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের সমাবেশ। যেখানে প্রধান বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ পথে নামছে বাম-কংগ্রেসও। সপ্তাহের মধ্যে কর্মব্যস্ত দিনে শহরের রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

    বিজেপির ধর্না

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নার দিনই রাজ্যের বিরুদ্ধে পাল্টা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে অবস্থানে বসছে বঙ্গ বিজেপি।  শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের গেটের কাছে ৪০ ফুটের ধর্না মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ধর্নায় বসছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী,বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষও। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ধর্না চলবে। শ্যামবাজারে দলীয় ধর্না মঞ্চে হাজির থাকার কথা রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। থাকতে বলা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের দলীয় বিধায়কদেরও। 

    বিজেপির প্রশ্ন, রাজ্য সরকার এখনও কেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের হিসেব দিচ্ছে না দিল্লিকে? কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন থেকে শুরু করে কাটমানি৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে আবাস যোজনা৷ এইধরনের নানান ইস্যুকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এদিন সুর সপ্তমে তুলতে চাইছেন শুভেন্দু- সুকান্ত- দিলীপরা। শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের সামনে কর্মসূচি হবে বিজেপির। গাড়ি বন্ধ হবে না। তবে দুপুরের দিকে রাস্তার একাংশ বন্ধ করে যানযট নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মোতায়েন থাকবে প্রচুর পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: ‘লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’, বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে বললেন মোদি

    তৃণমূলের অবস্থান

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুধবারই ধর্না দেবেন আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে। সেখানে নিরাপত্তায় উপস্থিত থাকবেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ধর্মতলা চত্বরে যান নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাড়ি যাবে সভাস্থলের দিকে। ধর্মতলায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের শহিদ মিনারের সভার জন্য একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। থাকছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার একজন অফিসার, ২ জন যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার, ৪ জন ডিসি। এছাড়াও ৫০০-র বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকছে। পুলিশ সভাস্থলে ৩০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাবে। এছাড়া আরও বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে আয়োজকদের তরফে। অন্যদিকে, ডিএ-র ধর্নামঞ্চে থাকছেন ডিসি পদমর্যাদার অফিসার একজন। এছাড়াও বেশ কিছু পুলিশ মোতায়েন থাকবে শহিদ মিনারে।

    বাম-কংগ্রেসের মিছিল

    একই দিনে দুপুর আড়াইটে নাগাদ পথে নামছে বাম-কংগ্রেস। বুধবার বিকেলে রামলীলা ময়দান থেকে মিছিল শুরু করে মৌলালীর দিকে এগিয়ে যাবে। মল্লিক বাজার হয়ে পার্ক সার্কাসের সেভেন পয়েন্ট পার করে লেডি ব্র্যাবর্ন কলেজের সামনে শেষ হবে মিছিল। ফলে ওই সময় মৌলালি, এন্টালি, শিয়ালদহ, এপিসি রোড, পার্ক সার্কাস এলাকায় প্রবল যানজট হতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমাহীন দুর্নীতির কারণেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের তরফে। মঙ্গলবার একথা জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার রাজ্যে কৃষক মৃত্যুর প্রতিবাদে মিছিল করেন শুভেন্দু। তার পরেই বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার সেকশন ২৭ লাগু করেছে। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা বা প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার আর কোনও টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার পাবে না।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ…

    তিনি বলেন, সীমাহীন দুর্নীতির কারণেই সেকশন ২৭ লাগু করা হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের তরফে। একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে অর্থনৈতিকভাবে সিল করে দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, গোটা দেশের মধ্যে কেবল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষেত্রেই এই নিষেধাজ্ঞা লাগু করা হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, মূলত গ্রামীণ এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য যে বিপুল পরিমাণ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করেছিল, তাতে ব্যাপক দুর্নীতির জন্যই ২০২৩-২৪ সালে আর কোনও টাকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে পাবে না রাজ্য।

    তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পতন নিশ্চিত। কারও ক্ষমতা নেই তা আটকানোর। সেই কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, তৃণমূল সাংসদ দেবের এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে অনিয়মের কারণে পশ্চিমবঙ্গের টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।

    আরও পড়ুুন: ‘‘১৫-২০ দিন অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়’’, বাংলার বিজেপি সাংসদদের কেন বললেন শাহ?

    রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ধান কেনায় দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, রাইস মিল মালিকদের একাংশকে নিয়ে দুর্নীতি করেছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। শুভেন্দু বলেন, আমরা কাগজপত্র সব রেডি করে ফেলেছি। তদানীন্তন খাদ্যমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার ধান কেনায় কত বড় দুর্নীতি করেছে রাইস মিল মালিকদের একটা অংশকে নিয়ে, তার প্রমাণ বিরোধী দলনেতা দেবে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, গত এক মাসে বাংলায় ৪ জন আলুচাষি আত্মহত্যা করেছেন। চন্দ্রকোণা, আমলাশোল, হুগলির ফুরফুরার খানাকুল ২ নম্বর ব্লকে। কৃষকদের আত্মহত্যা বসে দেখতে পারি না। তাই পথে নেমে প্রতিবাদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদি নন, আজ শাহি দরবারে বাংলার বিজেপি সাংসদরা, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হবে কথা?

    PM Modi: মোদি নন, আজ শাহি দরবারে বাংলার বিজেপি সাংসদরা, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হবে কথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল বাংলার বিজেপি (BJP) সাংসদদের। সেই মতো দিল্লি গিয়েছেন তাঁরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে দিল্লি গিয়েছেন বিজেপি সাংসদরা। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন বাংলার সাংসদদের ওই বৈঠক হচ্ছে না। তবে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক বাতিল হওয়ার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলার বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাত ৯টায় শাহি সাক্ষাৎ হতে পারে বিজেপির বঙ্গ সাংসদদের। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষ কারণেই মঙ্গলবার রাতে বাংলার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী।

    নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, বাংলার সাংসদরা বারবার বলছিলেন তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সময় দিয়েছেন। আমরা তাঁর সামনে জবকার্ডের দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, সড়ক যোজনার দুর্নীতির বিষয় সহ নানা বিষয় বিশদে তুলে ধরব।

    দোরগোড়ায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয়বার মোদির নেতৃত্বে সরকার গড়তে ইতিমধ্যেই নানা পরিকল্পনা করেছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা। সেই মতো পদক্ষেপও করছেন তাঁরা। বিভিন্ন লোকসভার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। মোদিকে (PM Modi) মুখ করে কেন্দ্রীয় সরকারের জনমুখী বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েও জোর কদমে প্রচারে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। বুথস্তরের সংগঠন কীভাবে সাজাতে হবে, তারও দিশা দিয়েছেন পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এসব নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে। তবে শাহের সঙ্গে বৈঠক হবে স্থির হওয়ায় এগুলো নিয়েই আলোচনা হতে পারে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের রণনীতি নিয়েও হতে পারে আলোচনা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে…’’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    প্রসঙ্গত, সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নানা বিষয়ে আলোচনা হয় দুজনের। রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার আশঙ্কা নিয়েও আলোচনা হয় শাহ-শুভেন্দু বৈঠকে। এদিকে, ২৯ মার্চ বুধবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে পাল্টা ধর্নায় বসতে চলেছে রাজ্য বিজেপিও। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ধর্নায় বসবে পদ্ম শিবির। ধর্নায় নেতৃত্ব দেওয়ার কথা সুকান্ত ও শুভেন্দুর। তাই শাহের সঙ্গে বৈঠক শেষে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কলকাতায় ফিরে আসবেন বিজেপি সাংসদরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: শুভেন্দুর অভিযোগকে মান্যতা দিয়েও পঞ্চায়েত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    Panchayat Election: শুভেন্দুর অভিযোগকে মান্যতা দিয়েও পঞ্চায়েত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) দিন ঘোষণা করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আর কোনও বাধা থাকল না৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিবর্গের গণনার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই অভিযোগকে মান্যতা দিয়েও নির্বাচন নিয়ে আপাতত হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার সেই মামলার রায়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপাতত কোনও বাধা নয়। এই পর্যায়ে আদালত নির্বাচনে (Panchayet Election) কোনও বাধা দেবে না। তবে মামলাকারী চাইলে নতুন আবেদন করতে পারেন। নির্বাচনী আইন মেনে কমিশন যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে।

    আদালতের রায়

    রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালে তফসিলি জাতি এবং উপজাতির গণনা করা হলেও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-র গণনা হয়নি। পাল্টা কমিশন বলেছিল, তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই গণনা করছেন। শুভেন্দু সেই প্রক্রিয়াকেও চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। মঙ্গলবার শুভেন্দুর সেই জনস্বার্থ মামলাটিই ওঠে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) আগে মূলত দু’টি বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের মামলা করেছিলেন শুভেন্দু। অন্যটি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর আর্জি জানিয়ে। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, শুভেন্দু চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়টি নিয়ে আলাদা মামলা করতে পারেন। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে…’’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    জট আপাতত কাটল

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election) ঘিরে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল,আদালতের এদিনের রায়ের পর সেই জট আপাতত কাটল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এক্ষেত্রে নিয়ম মেনে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার ক্ষেত্রে আপাতত কোনও বাধা থাকল না কমিশনের হাতে। রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উভয়ের ক্ষেত্রেই হাইকোর্টের এই রায় কিছুটা স্বস্তির বলেই মনে করা হচ্ছে। এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করার ইঙ্গিত রয়েছে কমিশনের দিক থেকে। আদালতের রায় প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, আদালতের রায়কে অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। তবে আদালত মামলাকারীর আবেদন পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে এমন নয়। আদালত জানিয়েছে, মামলাকারী যদি পুনরায় আবেদন করতে চান, তা তিনি করতে পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share