Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: ‘যাঁরা তাঁকে হারাতে চেয়েছিলেন, তাঁরা আজ সম্মান জানাচ্ছেন’! কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘যাঁরা তাঁকে হারাতে চেয়েছিলেন, তাঁরা আজ সম্মান জানাচ্ছেন’! কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম বার রাজ্যে পা রেখেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁকে নাগরিক সম্মান প্রদান করা হয়েছে। তৃণমূল শাসিত রাজ্য সরকারের এই সম্মান প্রদর্শন নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদীর বিরুদ্ধে যাঁরা ভোট দিয়েছিলেন, সেই তাঁরাই এখন তাঁকে সম্মান জানাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। অথচ যে বিজেপি বিধায়করা দ্রৌপদীকে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরাই অনুষ্ঠানে ব্রাত্য।

    রাষ্ট্রপতিকে সম্মান

    সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ কলকাতায় পৌঁছন রাষ্ট্রপতি। রেসকোর্সে রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। দ্রৌপদী মুর্মুকে উত্তরীয় পরিয়ে, পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, রাষ্ট্রপতিকে সম্মান জানাতে রাজ্যের তরফে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘সরকারের আমন্ত্রণপত্রে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর নাম রাখা হয়েছে। আমায় কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’’ এর পরই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের অবস্থান কী ছিল, তা স্মরণ করিয়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকেরা দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেননি। যাঁরা ভোট দেননি, তাঁরা আজ তাঁকে ধামসা-মাদল উপহার দিচ্ছেন, ফুল দিচ্ছেন, শাল পরাচ্ছেন। আর বিজেপির যে ৭০ জন বিধায়ক ভোট দিয়েছেন, তাঁরা আমন্ত্রণ পাননি।’’

    আরও পড়ুুন: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    এই নিয়ে একটি ট্যুইটও করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু বলেন,  ‘‘যাঁরা জনজাতির এক প্রান্তিক মানবীকে হারাতে চেয়েছিলেন, যাঁরা তাঁর ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেই তাঁরা আজ তাঁকে সম্মান জানাচ্ছেন। এটা দেখে ভাল লাগছে।’’ 

    দিল্লিতে শুভেন্দু

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন দিল্লিতে ছিলেন। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন শুভেন্দু। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দুর দিল্লিযাত্রা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। এদিন দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠক করে  শুভেন্দু জানান, রাম নবমী সনাতনীদের বড় উৎসব। ওই দিন ছুটি দেয়নি রাজ্য সরকার। উল্টে ধর্নায় বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর কথায়, ‘জঙ্গলরাজের চেয়েও খারাপ অবস্থা বাংলার। রাজনীতি করার জন্য উৎসবের দিন এই ধরনের আন্দোলন করে এজেন্সিকে ভয় দেখানো, বিচারব্যবস্থাকে চাপে রাখাই উদ্দেশ্য। দুর্নীতি থেকে বিভ্রান্ত করার জন্য অগণতান্ত্রিক ধর্নার আয়োজন করা হয়েছে। বিজেপি বিরোধিতা করবে।’  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শাহি দরবারে শুভেন্দু, পঞ্চায়েতের আগে কী আলোচনা হল দু’ জনের?

    Suvendu Adhikari: শাহি দরবারে শুভেন্দু, পঞ্চায়েতের আগে কী আলোচনা হল দু’ জনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শাহি দরবারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অফিসে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শুভেন্দু। বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও উপরাষ্ট্রপতি তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রাজ্যের বাংলার সাংসদরা। তাঁদের নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তার ঠিক আগের দিন শাহ-শুভেন্দু বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শুভেন্দু প্রথমে দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। দুজনে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে কথাবার্তা বলেন। পরে শুভেন্দু সাক্ষাৎ করে নাড্ডার সঙ্গে।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ…

    গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যে ওঠা একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানাতেই বেশ কিছুদিন ধরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সময় চাইছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। অমিত শাহ সময় দিতেই রবিবার রাতে তড়িঘড়ি দিল্লির উড়ান ধরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সোমবার সকালে সংসদ ভবনে পৌঁছে যান শুভেন্দু। রাহুল গান্ধীকাণ্ডের জেরে বিরোধীদের হইহট্টগোলের ফলে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের অধিবেশন। ওই সময়ই শুভেন্দু সাক্ষাৎ করেন শাহের সঙ্গে। সূত্রের খবর, ওই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেন্দুর ওই বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে কীভাবে দলের কাজকর্ম চালানো যায়, কীভাবে রাজ্যজুড়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কাছে দলীয় বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায়, তাঁদের কীভাবে উজ্জ্বীবিত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। এদিন বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফের একবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুুন: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনও করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখানে নিশানা করেন রাজ্য সরকারকে। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। তা সে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাই হোক কিংবা স্বচ্ছ ভারত মিশন, বুয়া ভাতিজার সরকার এই কাজ করছে। শুভেন্দু বলেন, রাজ্য সরকার জমি দিতে না পারায় কলকাতার কাছে আর একটি বিমানবন্দর তৈরি করা যায়নি। তিনি বলেন, বাংলার পরিস্থিতি জঙ্গলরাজের থেকেও খারাপ। দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সময় ঋণ ছিল ২ লক্ষ কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬ লক্ষ কোটি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে বাংলায় বেকার ছিল ১ কোটি। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২ কোটিরও বেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কমব্যাট ফোর্সের পোশাক দেওয়া হচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের! ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কমব্যাট ফোর্সের পোশাক দেওয়া হচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের! ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিভিক ভলান্টিয়ার ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvednu Adhikari)। আইন শৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা যাবে না সিভিক ভলান্টিয়ারদের, এমনই নির্দেশ দিয়েছে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত থেকে এই নির্দেশ সামনে আসার পর সিভিক ভলান্টিয়ারদের কমব্যাট ফোর্সের পোশাক পড়া ছবি ও তথ্য ট্যুইট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    কী লিখলেন বিরোধী দলনেতা ট্যুইটে

    এদিন সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে শুভেন্দু (Suvednu Adhikari) লেখেন, ‘সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিরদের দেওয়া যাবে না। মহামান্য আদালতের নির্দেশের পর সিভিক ভলান্টিয়ারদের উদ্দেশ্যে একটি নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য পুলিস। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, সিভিক ভলান্টিয়াররা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিসকে সহযোগিতা করতে পারবেন।’

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvednu Adhikari) আরও লেখেন, ‘এছাড়াও বিভিন্ন উৎসবে ভিড় সামলানো, বেআইনি ভাবে গাড়ি পার্কিং এবং মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশকে সাহায্যকারীর ভূমিকা পালন করবেন। নির্দেশিকা যাই হোক বাস্তব পরিস্থিতি কিন্তু ভিন্ন। মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া পুলিস স্টেশন তার উদাহরণ। মুর্শিদাবাদের ২৬ টি থানার প্রতিটি থেকে পুলিস কর্তাদের ঘনিষ্ঠ ও তল্পিবাহক, তৃণমূল কংগ্রেস ঘেঁষা প্রায় ১৫ জন সিভিক ভলান্টিয়ারদের মধ্যে কমব্যাট ফোর্স-এর মতো দেখতে ইউনিফর্ম বিতরণ করা হয়েছে।’

    নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, কমব্যাট ফোর্সের মতো দেখতে ইউনিফর্ম পরায় আলাদা করে সিভিক ভলান্টিয়ার বলে চেনা যাবে না। ফলে তাদের দিয়ে অনৈতিক ভাবে টাকা আদায় সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের চমকানো, ভয় দেখানো খুব সহজ হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকেও সাহায্য করা যাবে বলেই মনে করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvednu Adhikari) এদিন আরও দাবি করেন, ‘অতীতে কীভাবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের একটি অংশ বিরোধী দলগুলির বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে আমরা দেখেছি। এই সকল তৃণমূল ঘেঁষা, পুলিস কর্তাদের ঘনিষ্ঠ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুট করার জন্য এই সাগর পাড়া এবং মুর্শিদাবাদ পুলিসের মডেলটি পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আগামিদিনে চালু করার প্রচেষ্টা হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Udayan Guha: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Udayan Guha: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিতৃদেব হচ্ছে মহাগুরু। কিন্তু মমতা-অভিষেকের কাছে ভাল হওয়ার জন্য নিজের স্বর্গীয় পিতৃদেবকেও চোর বলে চিহ্নিত করছেন ছেলে। এর থেকে আর লজ্জার কিছু হতে পারে না। কথাগুলি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বাম জমানার মন্ত্রী ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রয়াত কমল গুহ সম্পর্কে বেনজির মন্তব্য করেছেন ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে এসে মন্ত্রী হওয়া তাঁরই ছেলে উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। তার প্রেক্ষিতেই কথাগুলি বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দু বলেন…

    শুভেন্দু বলেন, রাজনীতি অনেক পরের বিষয়। যাঁরা আপনাকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন সেই পিতামাতারা হচ্ছেন মহাগুরু। তাঁদের সম্পর্কে যেভাবে উদয়ন গুহ (Udayan Guha) মন্তব্য করলেন, তা ক্ষমার অযোগ্য। আমার বাবাকে নিয়ে কেউ ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করলে আমি সব সময়ই তার প্রতিবাদ করি। আর সেখানে উদয়ন গুহ নিজের বাবাকেও চোর আখ্যা দিলেন। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, নিজের রাজনৈতিক উত্থান, মন্ত্রিত্ব বাঁচানো, দাদাগিরি করা, অপকর্মের ছাড়পত্র নেওয়া আর মমতা-অভিষেকের গুডবুকে থাকতেই উনি (উদয়ন গুহ) বাবাকেও চোর বলে চিৎকার করছেন। শুভেন্দু বলেন, এটাই তৃণমূলের নয়া সংস্কৃতি।

    দিন দুয়েক আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে উদয়ন (Udayan Guha) বলেন, আমি আবারও বলছি, বাম আমলে কোটা সিস্টেম ছিল। সেই সিস্টেমে বাম আমলে চাকরি হয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লক তার ভাগ পেয়েছে। কোচবিহারের জেলা সম্পাদক হিসেবে বাবাকেও সেই লিস্ট এনডোর্স করতে হয়েছে। তিনি বলেন, এরপর আমি যখন জেলা সম্পাদক ছিলাম তখন আমাকেও এনডোর্স করতে হয়েছে। জেনেবুঝেই করেছি। ভাল প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও দলের স্বার্থেই এটা করতে হয়েছে। তাদের চাকরি দিতে হয়েছে। আবারও বলছি, সুযোগ পেলে দলের ছেলেদের চাকরি এখনও আমরা দিই।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত, তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে মামলা হাইকোর্টে

    দলবদলু উদয়ন বলেন, আমি মন্ত্রী হিসেবে দলের তিনজনকে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে নিয়োগ করেছি। যদিও কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিশানা করেন উদয়নকে। তিনি বলেন, এই পৃথিবীর আলো যিনি দেখিয়েছেন, তাঁর সম্পর্কে এভাবে বলা যায় না। তিনি স্বর্গত। তিনি এর সাফাই দিতে পারবেন না। তিনি এর কাউন্টারও করতে পারবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ ডিএ আন্দোলনকারীরা! লড়াইয়ে পাশে থাকার বার্তা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    DA Protest: রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ ডিএ আন্দোলনকারীরা! লড়াইয়ে পাশে থাকার বার্তা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনকারী সরকারী কর্মচারী (DA Protest) বা শিক্ষকদের গায়ে আঁচড় লাগলে মাঠে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সব শোকজ লেটার ছিড়ে ফেলার বার্তা দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই আবহেই ডিএ মামলায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন আন্দোলনকারীরা। 

    শুভেন্দু যা বললেন

    রবিবার নন্দীগ্রামের একটি অনুষ্ঠান থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মচারী, ডিএ আন্দোলনকারীদের (DA Protest) পাশে থাকার বার্তা দেন শুভেন্দু। আগামী বুধবার ডিএ আন্দোলন মঞ্চের ১০০ মিটারের মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, “কলকাতায় সভা করার অনেক জায়গা ছিল। ব্রিগেডে সভা হতে পারত। যদি কোনও আন্দোলনকারী সরকারী কর্মচারী বা শিক্ষকদের গায়ে আঁচড় লাগে, তাহলে বিরোধী দল হিসাবে আমরা তাঁদের পাশে থাকব। আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে মাঠে নামব।”

    সুকান্তের বার্তা

    অন্যদিকে, কলকাতা থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের লড়াই চালিয়ে (DA Protest) যাওয়ার বার্তা দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “সব শোকজ লেটার ছিড়ে ফেলে দিন। সমস্ত আইনি সুরক্ষা আমরা দেব। বিজেপি ক্ষমতায় এলে আমরা সার্ভিস ব্রেক হতে দেবো না। আপনারা আপনাদের লড়াই চালিয়ে যান।” ধর্মতলায় শহিদ মিনারে ডিএ-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল চলতি সপ্তাহে। কিন্তু তা পিছিয়ে গিয়ে নয়া তারিখ দেওয়া হয়েছে ১১ এপ্রিল। 

    আন্দোলন বাড়ছে

    একদিকে বদলির নির্দেশ, অন্যদিকে বেতনে কোপ। কিন্তু তাতেও দমে যাচ্ছেন না ডিএ আন্দোলনকারীরা (DA Protest) বরং আরও তেজ বাড়াচ্ছেন আন্দোলনের। আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটছেন তাঁরা। রাজ্য সরকারের বেতন কাটার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যেই আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আন্দোলনকারীদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২৯ তারিখ গণ অনশন হবে। ৩০ তারিখ মহা মিছিল হবে। শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন মহামিছিল বার করবেন আন্দোলনকারীরা। এপ্রিলের ১০ ও ১১ তারিখ দিল্লিতেও অবস্থান করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

    রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ

    উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন (DA Protest) চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। অরাজনৈতিক সংগঠন, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতৃত্বে আন্দোলনে বসেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ডিএ আন্দোলনকারীরা একদিনের ধর্মঘট করেছেন। যার বিরুদ্ধে বিশেষ পদক্ষেপ করেছে নবান্ন। শোকজ করা হয়েছে, বেতন কাটা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ, সোমবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থও হতে চলেছেন আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে তাঁর কাছেও বকেয়া ডিএ-র দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথমঞ্চের কর্মীরা সরাসরি জানান, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে গণ-ইমেল করবেন তাঁরা। 

  • Suvendu Adhikari: ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, বাম আমলে স্বজনপোষণের অভিযোগ

    Suvendu Adhikari: ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, বাম আমলে স্বজনপোষণের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ (DA) ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মহার্ঘ ভাতা ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। ৪৭ লক্ষ ৫৮ হাজার কর্মী এবং ৬৯ লক্ষ ৭৬ হাজার পেনশনভোগী উপকৃত হবেন। এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির ক্যারিশমা। এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন বৈষম্য আরও বাড়ল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করেছে, সেখানে দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রতারণা করে ৬ শতাংশ বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে ফারাক ৩৬ শতাংশ। ট্যুইট-বার্তায় অন্য রাজ্যের ডিএর হারও তুলে ধরেন তিনি।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ…

    এদিকে, বাম জমানায় নিয়োগে স্বজন-পোষণ নিয়েও মুখ খুললেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, বাম আমলে (DA) আমিও রাজনীতি করেছি। কিন্তু শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নীতি হয়নি। সেই সময় প্রাথমিকে আর শিক্ষাকর্মী পদে ব্যাপক নিয়োগ হয়েছিল। বামেরা টাকা নিয়ে চাকরি দেয়নি। শুধু দলের ক্যাডারদের চাকরি দিয়েছে। তিনি বলেন, সেই সময় নিয়োগের দায়িত্বে থাকত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি। সেই সুযোগই নিয়েছিল বামেরা। তাঁর দাবি, কলেজে চাকরির ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছিল। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরিতে অনিয়ম হয়ে থাকলেও, যা যে প্রমাণ করা সম্ভব নয়, তাও জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। হাতে লেখা চাকরির নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরির দুর্নীতি যে প্রমাণ করা সম্ভব নয়, তাও জানান তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা পাঠাব! ছাড়পত্র না মিললে…’ মুখ্যমন্ত্রীকে হঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের

    শুভেন্দুর দাবি, সিপিএম হোলটাইমারদের আত্মীয়দের চাকরির ব্যবস্থা করে দিত। যাতে তারা দলকে আরও বেশি সময় দিতে পারে। শুভেন্দুর বক্তব্যের সারমর্ম হল, বাম জমানায় টাকা নিয়ে চাকরি হয়নি। তবে স্বজনপোষণ হয়েছিল। প্রসঙ্গত, বাম আমলে স্বজনপোষণ যে হয়েছিল তার বড় প্রমাণ জলপাইগুড়িতে বাম আমলে (DA) প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির প্যানেল বাতিলের ঘটনা। সেই সময় জেলা বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃত্বের একের পর এক আত্মীয়ের চাকরির বিষয়টি সামনে আসে। তার সঙ্গেই সামনে এসেছিল একাধিক বাম নেতার আত্মীয়-স্বজনদের ঘুরপথে চাকরি দেওয়ার বিষয়টিও।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
     
  • Bogtui: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    Bogtui: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের বগটুইয়ের (Bogtui) ঘটনা নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। বগটুইয়ে নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘শাসক দল খুন করল, আবার তারাই শহিদদের স্মরণ করল। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুইয়ের (Bogtui) নিহত সংখ্যালঘুদের নিয়ে নীরব থাকলেন।’’ বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যের পরই আক্ষেপ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কী করিনি ওদের জন্য। চাকরি দিয়েছি, ক্ষতিপূরণ দিয়েছি, সমাজিক প্রকল্পের সুযোগ দিয়েছি। তারপরেও ওরা অন্য দলের সংস্পর্শে যাচ্ছে।”

    শুভেন্দুর দাবি

    প্রসঙ্গত, বীরভূমের বগটুইয়ে (Bogtui) গত বছরের ২১ মার্চ আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ১০ জনের। ঘটনায় বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে। তার এক বছর পার। নিহতদের স্মরণ করতেও রাজনৈতিক টানাপোড়েন। প্রথমে শহিদ বেদি তৈরি করে বিজেপি। তার কাছেই আবার রাতারাতি শহিদ বেদি তৈরি করে তৃণমূলও। পরে সেখানে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘আমি রাজনীতি করতে এখানে আসিনি। বগটুইয়ে (Bogtui) আমরা বিগত নির্বাচনে মাত্র ১৭টি ভোট পেয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি যে আগামী দিনেও নিঃস্বার্থভাবে আপনাদের পাশে থাকব। আপনাদের পরিবারের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার দায়িত্ব আমার।’’ সেদিনই বগটুই গ্রামের শহিদ বেদি সংলগ্ন মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা যায় অন্যান্য শহিদ পরিবারের সদস্যদেরও। এমনকী নিহতদের পরিবারের সদস্য মিহিলাল শেখকেও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপির মঞ্চে দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না! নয়া নির্দেশিকা রাজ্য পুলিশের

    মমতার আক্ষেপ

    বীরভূম নিয়ে শুক্রবার কালীঘাটে দলীয় বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা জানান বগটুই (Bogtui) নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন মমতা। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বগটুইয়ের বাসিন্দারা এখন বিজেপির সঙ্গে রয়েছে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাগের কারণ। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে যদি পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় তাহলে বীরভূমের বাসিন্দারা এখনই জবাব দিয়ে দেবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dharna: মমতার পাল্টা ধর্নায় বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    Dharna: মমতার পাল্টা ধর্নায় বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনে বুধ এবং বৃহস্পতিবার কলকাতায় আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় (Dharna) বসবেন তৃণমূল নেত্রী (TMC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসছেন তিনি। ওই দু দিনই ধর্নায় বসছে বঙ্গ বিজেপিও (BJP)। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, ওই দু দিন তারা ধর্নায় বসবে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারে। বিজেপির ওই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দক্ষিণবঙ্গের সব বিধায়ককেও ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। থাকতে বলা হয়েছে রাজ্যস্তরের নেতানেত্রীদেরও। পুলিশের অনুমতি না মিললে আদালতে যাবেন বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের হিসেব দিল্লিকে না দেওয়ার অভিযোগে ধর্নায় বসছে বিজেপি।

    তৃণমূল ও বিজেপির ধর্না (Dharna)…

    বিরোধী ঐক্যে শান দিতে মঙ্গলবার ওড়িশা গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, একশো দিনের কাজের বকেয়া সহ নানা বিষয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বুধ ও বৃহস্পতিবার আম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় (Dharna) বসবেন তিনি। বিজেপির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে পাওয়া টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য। বিভিন্ন খাতের টাকা প্রকৃত খাতে ব্যয় না করে খরচ করা হয়েছে খয়রাতি প্রকল্পে। পদ্ম শিবিরের দাবি, সেই কারণেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা পাচ্ছে না রাজ্য। তাই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের হিসেব দিল্লিকে না দেওয়ার অভিযোগে ধর্নায় বসছে বিজেপি।

    গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত দশ বছরে পাওয়া কেন্দ্রীয় বরাদ্দের ৫ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য। রাজ্যের উচিত অবিলম্বে এই হিসেব দেওয়া। তিনি বলেন, এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। সেই সঙ্গে আমরা পথেও নামতে চলেছি। টানা আন্দোলন চলবে। জগন্নাথ বলেন, পুলিশ ওই দিন ধর্নায় (Dharna) বসার অনুমতি না দিলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।

    আরও পড়ুুন: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    তৃণমূলের মোকাবিলায় গুচ্ছ কর্মসূচি পালন করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। ২৭ মার্চ, সোমবার রাজ্যের সব জেলাশাসকের দফতরে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির অভিযোগে স্মারকলিপি দেবে বিজেপি। পরের দিন বিজেপির কিসান মোর্চার নেতৃত্বে কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হবে মিছিল। বৃহস্পতিবার রামনবমী। এদিন রাজ্যে শোভাযাত্রা করবে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এর উদ্যোক্তা বিজেপি না হলেও, দলের কর্মী-সমর্থকরা যোগ দেবেন ওই সব মিছিলে। এপ্রিলেও একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পদ্ম শিবির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পার্থ কী বলবেন তা আলিপুর জেল সুপারের কেবিনে বসেই ঠিক হয়! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পার্থ কী বলবেন তা আলিপুর জেল সুপারের কেবিনে বসেই ঠিক হয়! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দিকে আঙুল তুলেছিলেন। এবার তার যোগ্য জবাব দিলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এই নাটক জেলে থাকা সুদীপ্ত সেনকে দিয়েও লেখানো হয়েছিল। সেখানে বিমানবাবু থেকে শুরু করে আমার নামও ছিল।’ পার্থ কী বলবেন, সেটা বুধবার আলিপুর জেলের সুপারের কেবিনে বসে ঠিক হয় বলেও দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দু যা বললেন

    প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই বর্তমানে রয়েছেন পার্থ। শুভেন্দুর দাবি, এই চিত্রনাট্যর প্লট তৈরি হয়েছিল গতকাল। প্রেসিডেন্সির সুপারের দুটি ফোন নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসটাইমে কার কার সঙ্গে কথা হয়েছে, তা খুঁজে বের করার দাবি তুলেছেন তিনি। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, ‘গতকাল বিকেলে দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর আইনজীবী ছিলেন। সেই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক।’ বিরোধী দলনেতার দাবি, এগুলি মিলিয়ে দেখলেই স্পষ্ট হবে কীভাবে জেলের ভিতরে থাকা একজনের বক্তব্যের সঙ্গে জেলের বাইরে থাকা একজনের বক্তব্য মিলে যায়। বললেন, ‘এগুলি খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এসব করে কিছু হবে না।’

    যুক্ত জেল সুপারও

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে এক জন মহিলা আইনজীবী ছিলেন। সেই কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও আনা হয়েছিল। বিকেল ৪টে থেকে সওয়া ৪টের মধ্যে প্রেসিডেন্সি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হোক।’’ এখানেই না থেমে চ্যালেঞ্জের সুরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিধানসভার মধ্যেও বলেছিলাম। একটা ফাঁকা কাগজও যদি দেখাতে পারেন, তা হলে মেনে নেব। ২০১৬ সাল থেকে আমি বিধায়ক। তার আগে সাংসদ ছিলাম। এই সময় কালে তাঁর কাছ থেকে চক, ডাস্টার, ব্ল্যাকবোর্ড পর্যন্ত নিইনি। এই লোকটাকে আমি ঘৃণা করি। কারণ, তিনি দুশ্চরিত্র, লম্পট, দুর্নীতিপরায়ণ। আর এই সবের পিছনে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’

    আরও পড়ুুন: ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ওই চিত্রনাট্য ১৮ মিনিটের ব্যবধানে যাঁরা টুইট করেছেন এবং বলেছেন তাঁরা দু’জনেই ‘জেলখাটা’। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪২ মিনিটে কুণাল টুইট করেন, ‘‘শিক্ষায় নিয়োগ বিতর্ক: দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য ও আরও কয়েক জন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ কাজ করুক।’’ এর পরে দুপুর ১২টা নাগাদ আদালত চত্বরে মন্তব্য করেন পার্থ। শুভেন্দুর দাবি, এটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: অনুব্রত তিহাড় যেতেই বীরভূমের ‘ছোট কেষ্ট’দের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কী বললেন তিনি?

    Suvendu Adhikari: অনুব্রত তিহাড় যেতেই বীরভূমের ‘ছোট কেষ্ট’দের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই ইডি হেফাজত থেকে তিহাড় যাত্রা হয়েছে অনুব্রতর। সেইদিনেই জেলবন্দি নেতার জেলাতে দাঁড়িয়ে বীরভূমের ‘ছোট অনুব্রত’দের জন্য ‘অন্য ব্যবস্থা’ করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার ছিল বগটুই গণহত্যার প্রথম বর্ষপূর্তি। বগটুই গ্রামে গিয়ে নিহতদের শ্রদ্ধা জানান তিনি। তার পরই তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে আক্রমণ শানান তিনি।

    বিরোধী দলনেতা বগটুইতে কী বললেন এদিন

    এদিন বগটুইয়ে বিজেপির শহিদ স্মরণ মঞ্চ থেকে শুভেন্দুবাবু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘আজকে যেমন আমাদের শোকের দিন তেমন গোটা বীরভূমের আনন্দের দিন। আজ বীরভূমের বেতাজ বাদশা তিহাড়  জেলে গিয়েছেন। আমি সিউড়িতে বলেছিলাম কেষ্ট মণ্ডল তিহাড়ে যাবেন। আজ তিনি গেছেন। আর যে সব ছোট কেষ্টগুলো আছে তাদের জন্য আমার অন্য ব্যবস্থা আছে।’ তবে কী ব্যবস্থা তা খোলসা করেননি শুভেন্দুবাবু (Suvendu Adhikari)। এদিন মঞ্চ থেকে তিনি জানান, আগামী ৪ এপ্রিল মুরারইয়ে জনসভা করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত বছর ২০ মার্চ রাতে বীরভূমের বগটুই গ্রামে খুন হন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ। এর পর ভাদুর অনুগামীরা গ্রামে একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাতে শিশু ও মহিলাসহ মৃত্যু হয় ১০ জনের। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখ গত জানুয়ারিতে সিবিআই হেফাজতে আত্মঘাতী হন।

    বগটুইতে বিজেপির ভোট নেই তবুও আমরা এসেছি

    এদিন বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, নন্দীগ্রামে সংখ্যালঘুদের সমস্ত ভোটই পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি জিতেছিলাম শুধু হিন্দু ভোটে। তৃণমূল সুপ্রিমোর ঝুলিতে যায় ৬৫ হাজার সংখ্যাালঘু ভোট। বগটুই সম্পর্কে শুভেন্দু বাবু বলেন, ”এখানে বিজেপির কোনও ভোট নেই।” শহিদ দিবস পালনে এসে এদিন স্থানীয় মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েন বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিরোধী দলনেতা বলেন, এখানে বিধানসভা তৃণমূলের, জেলা পরিষদ তৃণমূলের, পুলিশ থেকে এসডিও, জেলা শাসক সব তৃণমূলের। তবুও একবারও কেউ একবছরে খবর নিতে আসেনি। আমরা সারাবছর এদের পাশে থেকে শহিদ বেদি তৈরি শুরু করতেই এদের টনক নড়ে।”

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share