Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: বিপুল জনসমাগম! নেতাইয়ের সভা থেকে মমতা-অভিষককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বিপুল জনসমাগম! নেতাইয়ের সভা থেকে মমতা-অভিষককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল জনসমাগমের মধ্য দিয়ে মাত্র তিন কিলোমিটার রাস্তা হাঁটলেন ৫০ মিনিট ধরে। তৃণমূলের গড়ে নিজের জাত চেনালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার ভিড়ে ঠাসা লোকজনের মাঝে লালগড় থেকে নেতাই পর্যন্ত মাত্র তিন কিমি রাস্তা শুভেন্দুর হেঁটে পৌঁছতে ৫০ মিনিট সময় লেগে যায়। শহিদ বেদির পাশে বিজেপির দলীয় পতাকা দেওয়া সভামঞ্চের ব্যাকড্রপে ছিল শুভেন্দু, নরেন্দ্র মোদি, জেপি নাড্ডা, সাংসদ কুনার হেমব্রম-সহ রাজ্য সভাপতি ও জেলা সভাপতির ছবি। 

    শুভেন্দু যা বললেন

    এদিনের সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘কে রুখে দেয় আমি দেখব। আমিও জানি কী ভাবে সোজা করতে হয়। অনেক বড় বড় মাতব্বরকে সোজা করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোদ্দ পুরুষও আমাকে আটকাতে পারবে না।’’ নেতাই কাণ্ডের জেলমুক্ত অভিযুক্তদের নাম না করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘যাঁরা দশ-বারো বছর জেল খেটে ফিরে এসেছেন, তাঁরা ভদ্র থাকুন, ভাল থাকুন। বেশি আর লাল ঝান্ডা নিয়ে উৎপাত করবেন না। এসব করতে যাবেন না। আবার বিপদে পড়বেন। পাশে কেউ দাঁড়াবে না। এখন সব গেরুয়া ঝান্ডা হয়ে গিয়েছে। আপনারা পারবেন না তৃণমূলকে টাইট দিতে। আমরা ছাড়া কেউ পারবে না।’’ 

    সভা শেষে শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের মঞ্চে ডেকে নেন শুভেন্দু। এসেছিলেন নেতাই শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি দ্বারকানাথ পন্ডাও। শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‘শহিদবেদিতে আমাকে মালা দিতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি দ্বারকাবাবু ও নেতাইবাসী মানেননি। তাই দ্বারকাবাবুকে স্মৃতিরক্ষা কমিটি থেকে সরানো হয়েছিল। এটা বিজেপির কর্মসূচি। উনি বিজেপির সদস্য নন, তাই তাঁকে আহ্বান করতে পারি না। কিন্তু উনি নিজে এসে পুরো গ্রামের মানুষের মনের কথা বলে দিলেন।’’ এদিন অমর্ত্য সেনের উদ্দেশে বিজেপির আক্রমণের বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ বাড়িভাড়া ভাতা পান কীভাবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশংসা

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মাননীয় বিচারপতি সমাজ সংস্কারের কাজ করছেন। ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখে পড়েও তিনি যে সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন, দুর্নীতির একেবারে মূল উপড়ে ফেলতে চাইছেন তাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি’। এদিনের সভায় শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে হাজির ছিলেন খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এদিন নিজের উত্তরীয় খুলে তা দিয়ে নেতাইয়ের ‘শহিদ বেদি’ পরিষ্কার করতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। তার পর মাল্যদান করেন তিনি। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ বাড়িভাড়া ভাতা পান কীভাবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ বাড়িভাড়া ভাতা পান কীভাবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ ‘এইচআরএ’ বা বাড়িভাড়া ভাতার সুবিধা ভোগ করছেন কী ভাবে, প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের অর্থসচিব মনোজ পন্থকে এ নিয়ে চিঠি লিখেছেন শুভেন্দু। এ ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    পন্থকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দুর অভিযোগ, সরকারি বাসভবনে থাকলে তার ভাড়া সংশ্লিষ্ট পদাধিকারীদের দিতে হয় না। সরকারের তরফেই সেই বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। কিন্তু সরকারি বাসভবনে থেকেও কিছু সংখ্যক ‘প্রিয়’ অফিসারকে হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স বা বাড়ি ভাড়া ভাতা দেওয়া হচ্ছে। কোনও সরকারি নির্দেশিকা ছাড়াই এই ধরনের ‘অবৈধ’ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে কেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর। এই ধরনের কাজ বন্ধ করার পাশাপাশি অর্থসচিবকে এই খাতে টাকা উদ্ধারের অনুরোধও করেছেন বিধানসভার বিরোধী দল নেতা। অন্যথায় এই দায় যে অর্থ দফতরের উপরেও বর্তাবে, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

    আরও পড়ুন: ‘মোদির জন্যেই সম্ভব হয়েছে’, কাশ্মীরে রাহুলের পতাকা উত্তোলনের পর দাবি বিজেপির

    এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং এগুলো বন্ধ করার জন্য সরকারের কোনও নির্দেশিকা আছে কি না, তা-ও সাত দিনের মধ্যে জানতে চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপের বার্তাও দেওয়া হয়েছে তাঁর চিঠিতে। এই বিষয়ে রাত পর্যন্ত অর্থসচিব, ডিজি বা কলকাতার পুলিশ কমিশনার কারুর তরফেই কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। সরকারি ভাবে নবান্নের তরফে সেই সব প্রশ্নের কোনও জবাব এখনও পর্যন্ত মেলেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: জেলায় জেলায় মিড ডে মিলের পরিদর্শনে বেরল কেন্দ্রীয় দল, রিপোর্টের দিকে বিশেষ নজর শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: জেলায় জেলায় মিড ডে মিলের পরিদর্শনে বেরল কেন্দ্রীয় দল, রিপোর্টের দিকে বিশেষ নজর শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিল তদন্তে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সোমবার অভিযানে দিল্লির ১১ জনের একটি দল। চার জেলায় গিয়ে বিভিন্ন স্কুলে খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, সোমবার সকালে পরিদর্শনে বেরনোর আগে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন তাঁরা। এরপর জেলায় জেলায় মিড ডে মিল প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে বেরিয়ে পড়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ৪ জেলার সফর শুরু আজ উত্তর ২৪ পরগনা দিয়ে। মিড ডে মিল নিয়ে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পর কেন্দ্রকে রিপোর্ট জমা দেবে তাঁরা। অন্যদিকে এই ইনস্পেকশন নিয়ে উৎসাহী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এ ব্যাপারে কী রিপোর্ট জমা পড়ে সে দিকে নজর রাখবেন তিনি।

    মিড ডে মিলের পরিদর্শনে বেরল কেন্দ্রীয় দল

    সূত্রের খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ন’টার কিছুটা সময় পর তাঁরা বিকাশ ভবনের উদ্দেশে রওনা হন। এর পর বিকাশভবনে পৌঁছন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন তাঁরা। এরপরেই তদন্তে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। জানা গিয়েছে, আজ উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি স্কুলে যাবেন। এর পর আরও ৩ টি জেলায় যাবেন তাঁরা। নজরে রয়েছে শিলিগুড়িও। তবে এই তালিকায় আরও বেশ কিছু জেলার সংযোজন করতে পারেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা, সেটা জানা যাচ্ছে। ১১ জনের প্রতিনিধি দল কয়েকটি ভাগে বিভিন্ন জেলাতেও যেতে পারে বলে খবর। সূত্রের খবর, চার জেলা ঘোরার পর কলকাতা হয়ে এই টিম দিল্লি যাবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সুপারিশ পাঠাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

    মিড ডে মিল নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে মিড ডে মিলের খাবারের গুণমান নিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন উঠেছে। কখনও শিশুদের খাবারে মিলেছে সাপ, কখনও আবার টিকটিকি, ইঁদুর। আবার আর্থিক দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠে এসেছে। গত সপ্তাহে ট্যুইটে শুভেন্দু দাবি করেন, বগটুইয়ে মৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে মিড ডে মিলের টাকা থেকে। এর পরই রাজ্যে মিড ডে মিল প্রকল্পের অগ্রগতিতে কেন্দ্রীয় দল আসছে বলে জানান তিনি।

    এদিন তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল কী রিপোর্ট দেয় সে দিকে তাকিয়ে থাকব। মিড ডে মিলের টাকা থেকে বগটুইতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা নয়। এটা ফাইনানসিয়াল ক্রাইম। বিডিও, ডিএমদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া দরকার। অডিটের পর কেন্দ্র সরকার এমনটা করবে। আমি যখন অভিযোগ করেছি তখন তা প্রমাণের দায়িত্ব আমার। আমি প্রমাণ দেওয়ার পর নিশ্চয় কেন্দ্র সরকার ব্যবস্থা নেবে।”

    ফলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তদন্ত করার পর মিড ডে মিলের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে অবশেষে কেন্দ্রকে কী রিপোর্ট দেয় তাঁরা, সেটার অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

  • Suvendu Adhikari: জিটিএ চুক্তি ‘অশ্ব ডিম্ব’, পাহাড়ের বঞ্চনা দূর করতে পারে বিজেপিই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: জিটিএ চুক্তি ‘অশ্ব ডিম্ব’, পাহাড়ের বঞ্চনা দূর করতে পারে বিজেপিই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের জিটিএ (GTA) চুক্তিকে ‘অশ্ব ডিম্ব’ আখ্যা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ২০১১ সালের ১৭ জুলাই জিটিএ তৈরির সময় কেন্দ্র, রাজ্য এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়। এই চুক্তি থেকেই সরে দাঁড়িয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ফের দাবি জানাল পৃথক গোর্খাল্যান্ডের। এই দাবিতে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে মোর্চা। শুক্রবার শিলিগুড়ির দাগাপুরে মোর্চার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। জিটিএকে কেন্দ্র করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার যে সমর্থন ছিল, ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে তা প্রত্যাহার করা হল।

    শুভেন্দু উবাচ…

    এ প্রসঙ্গেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যাতেই হাত দেবেন, সেটাই ব্যর্থ হবে। তা সে সুন্দরবন হোক, জঙ্গলমহল হোক, শিল্প হোক, কৃষি হোক, কর্মসংস্থান হোক কিংবা পাহাড়। পাহাড় সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ২০১১ সালে ঢাক ঢোল বাজিয়ে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পাহাড় হাসছে, জঙ্গলমহল হাসছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্য করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে ভারত সরকারের মধ্যস্থতায় ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু আজকে এগারো বছর পর ওই চুক্তি যে অশ্ব ডিম্ব ছিল, তা প্রমাণ হল।

    আরও পড়ুুন: আইএসএফ বিধায়ককে গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে বিজেপিও, কী বললেন সুকান্ত?

    শুভেন্দু বলেন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তির প্রধান স্টেক হোল্ডার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছে। মোর্চার সম্পাদক রোশন গিরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে বলেছেন, সেই চুক্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের যেসব বিষয় ছিল, তার একটাও রাজ্য সরকার কার্যকর করেনি। পাহাড়ের বঞ্চনা দূর করতে যে একমাত্র বিজেপিই পারবে, এদিন তাও স্মরণ করিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, বিগত দিনে যেভাবে পাহাড়ের মানুষ বিজেপির ওপর আস্থা রেখেছে, আগামী দিনেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর ভরসা রাখুন। তিনি বলেন, একমাত্র বিজেপিই পারবে পাহাড়কে শান্ত রাখতে এবং উন্নয়ন ঘটাতে। সেই সঙ্গে পাহাড়ের মানুষের বঞ্চনা দূর করতে। 

    এদিকে, রোশনের জিটিএ ছাড়ার ঘোষণার পর কার্যত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছে পাহাড়ের রাজনৈতিক মহল। মোর্চার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন হামরো পার্টির চেয়ারম্যান অজয় এডওয়ার্ড। বিরোধিতা করেছে অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক পার্টি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Sisir Adhikari: ‘বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে শুভেন্দু’, ছেলেকে সার্টিফিকেট বাবা শিশিরের

    Sisir Adhikari: ‘বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে শুভেন্দু’, ছেলেকে সার্টিফিকেট বাবা শিশিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়ক ছেলেকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন সাংসদ বাবা শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। বললেন, “বাংলার মানুষকে গণতান্ত্রিকভাবে আলো দেখাচ্ছে শুভেন্দু।” কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ সংলগ্ন ময়দানে নাতি দেবদীপ অধিকারীর ক্লাব ‘আন্তরিকের’ সরস্বতী পুজো প্যাণ্ডেলের উদ্বোধন করতে এসে পুলিশ প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন সাংসদ শিশির অধিকারী। অনুষ্ঠানে শিশির ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কুমার দাস এবং করে কাঁথি পৌরসভার বিজেপি কাউন্সিলররা। 

    সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) বলেন, “রামচন্দ্র পণ্ডা এখন রাষ্ট্র নেতা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর নামে যদি ২৮টি মামলা হয়, সৌমেন্দু অধিকারীর নামে ১০টি মামলা হয়, তাহলে রামের নামে ৪টে মামলা হবে। গত দেড় বছর ধরে কাঁথি শহরে পুলিশকে স্যালুট করে চলতে হয়। পুলিশের বড়ো বাবুটা ভালো কাজ করছেন। কেউ কোথাও অন্য পার্টি করলে তাকে ডেকে আনছেন থানায়। হাজিরা দিতে হচ্ছে। পয়সার তো একবারে বন্যা বইছে। কত টাকা ঘুষ নিয়েছেন? এরকম জিনিস কোথাও শুনিনি। আমি আগে কখনও দেখিনি। কিছু মানুষ টাকা দিচ্ছেন।” তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি তাঁকে লন্ডন থেকে এক সাংবাদিক ফোন করছিলেন। কলকাতার একটি জনপ্রিয় পেপারে কাঁথির ইতিহাস বেরিয়েছে। বুকটা ফেটে যায়৷ পবিত্র কাঁথি৷ শুভেন্দুকে কাঁথি জন্ম দিয়েছে। এখান থেকে গিয়ে বাংলার মানুষকে গণতান্ত্রিকভাবে আলো দেখাচ্ছে শুভেন্দু।”

    কে এই রামচন্দ্র? 

    কাকে ‘রামচন্দ্র’ বললেন এই বর্ষীয়ান সাংসদ?‌ নানা দুর্নীতির অভিযোগে শুভেন্দু–সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেও মামলা করেছে পুলিশ। সরাসরি নাম না করে নরেন্দ্র মোদিকে রামচন্দ্রের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “‌রামচন্দ্র এখন রাষ্ট্রনেতা হয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর (Sisir Adhikari) নামে যদি ২৮টি মামলা হয়, সৌমেন্দু অধিকারীর নামে ১০টি মামলা হয়, তাহলে রামের নামে ৪টি মামলা হয়।”‌

    আরও পড়ুন: ২০৪৭ সালের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চাইছে ভারত

    এতদিন অবধি খাতায় কলমে তৃণমূলের সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে গেরুয়া শিবিরেই ঝুঁকেছেন শিশির এবং তাঁর বাকি ছেলেরা। যদিও বাবা শিশির এবং ছেলে দিব্যেন্দু বারবার দাবি করে এসেছেন এখনও তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। তাহলে কী এবার পাকাপাকিভাবে পদ্ম শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন শিশির? জল্পনা এখন তা নিয়েই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য এই অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হওয়া মামলায়  রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একই সঙ্গে যে কেন্দ্রীয় সংস্থা ক্যাগ (কম্পট্রোলার এবং অডিট জেনারেল)-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদেরও এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।  আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    মামলাকারীদের দাবি

    নবান্নের বিরুদ্ধে হিসেব ও সিবিআই তদন্ত চেয়ে  আদালতে জনস্বার্থ মামলাটি করেন বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য বিজেপি নেতা হিসাবে নয় একজন সাংবাদিক হিসাবে মামলা করেছেন।  তিনি ছাড়াও মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী সুমনশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ঋত্বিক পাল। রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ আনা হয়। একই সঙ্গে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তেরও দাবি করেছিলেন তিনি। 

    এর আগে রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রের অর্থ অন্য খাতে খরচ করা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। মামলাকারীরা জানিয়েছেন, পুরসভা ও নগরোন্নন দফতরের ৩০ হাজার কোটি টাকার কোনও হিসাব মেলেনি। অন্য দিকে পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রেও ৮১ হাজার ৮৩৯ কোটির হিসাব দেওয়া হয়নি। শিক্ষাক্ষেত্রেও হিসাব না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের বিরুদ্ধে ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকার খরচের হিসাবে গরমিলের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে বিজেপি নেতা

    কেন্দ্রের তরফ থেকে যে সব টাকা পাঠানো হয়েছে, তা কোন কোন খাতে খরচ হয়েছে, তার কোনও নথি নেই বলে দাবি করেছেন মামলাকারীরা। মামলাকারীর দাবি, ক্যাগ রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই এই মামলা করা হয়েছে। তাই ক্যাগ-কে যুক্ত করার কথা বলেছে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের টাকায় বগটুই গণহত্যার ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের টাকায় বগটুই গণহত্যার ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিলের অর্থে বগটুই গণহত্যায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য! এদিন ঠিক এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে ফের একবার শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই অভিযোগ প্রথম তুলেছিলেন বীরভূমের বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা। তারপর সেইসব চেকের ছবি ট্যুইট করে সরব হন শুভেন্দু। ১০ মাস হয়ে গিয়েছে বগটুই গণহত্যার। গত বছর ২৪ মার্চ বগটুইয়ে মৃত ও ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েও অভিযোগ তুলল গেরুয়া শিবির। অভিযোগ, এই ক্ষতিপূরণের টাকা কেন্দ্রীয় প্রকল্প মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকে খরচ করেছে রাজ্য সরকার৷

    ঠিক কী অভিযোগ?

    অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্প মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা বগটুই কাণ্ডে মৃতদের পরিবারকে দেওয়া অনুদান হিসেবে খরচ করেছে রাজ্য সরকার৷ এই নিয়ে ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ সেই ট্যুইটে তিনি মেনশন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ আবার ট্যুইটের মাধ্যমেই এই নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন৷

    ট্যুইটে সরব শুভেন্দু

    এদিন সকালে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে বগটুই গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সেই আর্থিক সাহায্যের ভিডিও আপলোড করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এরপর রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, “স্কুলছাত্রীদের খাদ্য ও পুষ্টির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার মিড ডে মিল তহবিলে অর্থ দেয়৷ সেই অর্থ ছবি তোলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে! এটা একটা আর্থিক অপরাধ।” তিনি আরও লিখেছেন, বাংলার সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে৷ আপৎকালীন তহবিল ও মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে কোনও অর্থ নেই৷ তার পরও অর্থ-কম্বল প্রদান চলছে৷ সেগুলি মিড ডে মিলের তহবিল থেকে করা হচ্ছে৷ তিনি আবার এই নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে অভিযোগ জানানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন৷

    বীরভূমের বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহার অভিযোগ

    একই অভিযোগ নিয়ে প্রথমে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা সরব হয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি চেকের ছবি দিয়ে অভিযোগ করেছেন রাজ্য সরকার বগটুই কাণ্ডে যে আর্থিক সাহায্য দিয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া মিড ডে মিলের টাকা থেকে। এ ব্যাপারে তিনি দুটি চেকের ছবি দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন, অন্য সব কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মত মিড ডে মিলের প্রকল্পের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে আসছে ৩০ জানুয়ারি। তাঁরা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে থাকবেন। মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হচ্ছে। তবে তার আগে বগটুই কাণ্ডে ক্ষতিপূরণের টাকায় এই অভিযোগ আনায় ও শুভেন্দুর ট্যুইট নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চৰ্চা। তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবর্তন করা হল রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল গার্ডেনের নাম। এবার থেকে ‘অমৃত উদ্যান’ হিসেবে পরিচিতি পাবে রাষ্ট্রপতি ভবনের ঐতিহ্যশালী স্থান। আজই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অমৃত উদ্যানের উদ্বোধন করবেন। আর কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মুঘলরা অনেক হিন্দুকে হত্যা করেছে এবং মন্দির ধ্বংস করেছে। তাই তাদের নামে নামকরণ করা সমস্ত জায়গা চিহ্নিত করা উচিত এবং সেগুলোর নতুন নামকরণ করা উচিত। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেন ও মুঘলদের সঙ্গে যুক্ত সব জায়গার নাম পরিবর্তন করা হবে।

    মুঘল গার্ডেনের নাম এখন ‘অমৃত উদ্যান’

    জানা গিয়েছে, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষে বদলে ফেলা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনের ‘মুঘল গার্ডেন’-এর নাম। শনিবার একথা ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপতির ডেপুটি প্রেস সচিব নবিকা গুপ্তা। আর আজ রবিবার, ২৯ জানুয়ারি এই অমৃত উদ্যানের আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর পরেই সর্বসাধারণের জন্য এই উদ্যান খুলে দেওয়া হবে। তারপর আগামী দু-মাস অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত জনগণের জন্য খোলা থাকবে এই উদ্যান।

    আরও পড়ুন: নাম বদলে গেল জাতীয় ঐতিহ্য মুঘল গার্ডেনের, কী হল নতুন নাম?

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মুঘল গার্ডেনের নাম পরিবর্তনের কথা জানানো হলে সংবাদমাধ্যমে রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “তারা (মুঘলরা) অনেক হিন্দুকে হত্যা করেছে এবং মন্দির ধ্বংস করেছে। তাদের নামে নামকরণ করা সমস্ত জায়গা চিহ্নিত করা উচিত এবং নতুন নামকরণ করা উচিত। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব।”

    অন্যদিকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল গার্ডেনের নাম অমৃত উদ্যান করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতাকে ভালোভাবে উদযাপন করা উচিত।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যপালকে ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: রাজ্যপালকে ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাজ্যপাল থাকাকালীন মাননীয় জগদীপ ধনখড় (Ex Governor Jagdeep Dhankar) আইন-সংবিধানকে ভঙ্গ করার জন্য রাজ্য সরকারকে (state government) চেপে ধরেছিলেন। তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনৈতিক কাজে সমস্যা হয়েছিল’। তাই ‘এবার তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকে রাজ্যপালকে ম্যানেজের জন্য মরিয়া।’ এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য় করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। 

    রাজ্যপালের উপর আস্থা প্রকাশ

    বুধবার একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস একজন শিক্ষাবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে তাঁর স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। তবে তাঁর কাজ এবং চলার পথ ভিন্ন হতে পারে, সে ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে ওনাকে প্রথম দিন থেকে ম্যানেজ করতে মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছেন তা স্পষ্ট।” শুভেন্দুর দাবি, ‘‘কিছুদিন আগে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনের বৈঠকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে জানান যে, সিকিউরিটি কমিশন নোটিফিকেশন, লোকায়ুকত বিল ও অন্যান্য বেশ কিছু বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে এও বলেন, আপনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য যে বিল আনতে চাইছেন, তাতেও আমি ছাড়পত্র দিতে পারব না। কারণ এক্ষেত্রে ইউজিসি এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার প্রসঙ্গ জড়িয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের কাছে আত্মসমর্পণ করে বলেন, আমি লোকায়ুত প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আগের রাজ্যপালের সঙ্গে আমার বিরোধ ছিল, তাই আমি ওনাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে সরাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনার সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই, তাই আচার্য পদ পরিবর্তন বিল নিয়ে আমি আর আপনাকে কিছু বলব না।’’

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের, কবে?

    শুভেন্দু  প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বর্তমানে দেশের উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের প্রশংসাও করে বলেন, ‘‘উনি থাকাকালীন রাজভবনকে একটা উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।’’বর্তমান রাজ্যপালের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে বিরোধী দলনেতা জানান, ‘‘রাজ্যপালের সঙ্গে যে সমস্ত উপাচার্যরা বৈঠক করেছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই যোগ্যতা অনুযায়ী উপাচার্য হননি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টাকা দিয়ে উপাচার্য পদে অনেকেই নিয়োগ পেয়েছেন। সমস্ত  উপাচার্যদের নিয়োগ বেআইনিভাবে হয়েছে। সুযোগ পেলে রাজ্যপালকে আমি একথা জানাব। ওনাকে তৃণমূল সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করব। রাজ্যপালের উপর বিশ্বাস আছে যে, তিনি বেআইনি কাজে মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গ দেবেন না, যদি সেটা হয়, তাহলে সংবিধানের রীতি মেনে যেখানে অভিযোগ জানানোর জানাব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড-ডে মিলের (Mid Day Meal) টাকায় জেলা সফর করে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্তত এমনই অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এক আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে খরচ করা হচ্ছে অভিযোগ তুলেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এবার তাঁর অভিযোগ, মিড-ডে মিলের জন্য কেন্দ্র যে টাকা বরাদ্দ করে, সেই টাকা খরচ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে। গত শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের উপলক্ষে বারাকপুরে সাংগঠনিক জেলার অঞ্চল সম্মেলন করেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্মেলন শেষে তিনি বলেন, দু’বছর করোনা পর্বে সাড়ে ৯ কোটি কেজির চাল ও স্যানিটাইজার, মাস্ক কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্টের টাকা ভারত সরকারের। এই টাকা পড়ে থাকলে সুদ হয়। সেই সুদের টাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।

    ট্যুইট-বাণ…

    ফের একবার ট্যুইট-বাণে রাজ্য সরকারকে বিদ্ধ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, স্কুল পড়ুয়াদের খাবারের টাকা খরচ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে। গত নভেম্বরে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মিড-ডে মিলের লক্ষ লক্ষ টাকা সেই সফরে খরচ করা হয়েছে। এসসি, এসটি এবং ওবিসি ডেভেলপমেন্টের টাকাও নষ্ট করা হয়েছে ওই সফরে।

    অন্য একটি ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক ভিজিটের (যা আসলে রাজনৈতিক সফর) নামে যে টাকা খরচ করা হচ্ছে, তা মিড-ডে মিলের, এসসি, এসটি এবং ওবিসি ডেভেলপমেন্ট ফাইনান্স কর্পোরেশন, সিভিল ডিফেন্স মায় এমপি ল্যাডের।

    নন্দীগ্রামের বিধায়কের (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে যে রাজনৈতিক ইভেন্টগুলো হচ্ছে, তাতে সঙ্গত করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁরা যে খয়রাতির দ্রব্য হাতে তুলে দিচ্ছেন, তা হচ্ছে মিড-ডে মিলের টাকায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মতে, এটা অর্থনৈতিক অপরাধ, তদন্তের প্রয়োজন।

    শুভেন্দুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর দু দিনের ওই সফরে খরচ হয়েছে ১.৩৫ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং তার ওপরতলা থেকে বিডিও পর্যন্ত আধিকারিকরা অনৈতিকভাবে ফান্ড ডাইভার্ট করে চলেছেন। মিড-ডে মিলের টাকা চুরি কল্পনাও করা যাবে না। সেই কারণেই মিড-ডে মিলে মিলছে সাপ, টিকটিকি।

    মধ্য-এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শুভেন্দুর এই ট্যুইট-বাণ তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share