Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: “২ মাস ছিলেন বিজেপিতে, এখন আর নেই”, বনি প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “২ মাস ছিলেন বিজেপিতে, এখন আর নেই”, বনি প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়াল টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর (Bonny Sengupta)। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে তলব করেছিল ইডি। তবে তলবের একদিন আগেই হাজিরা দিলেন তিনি। তলব করা হয়েছিল শুক্রবার। তার একদিন আগেই ইডির দফতরে হাজির হলেন বাংলা সিনেমার অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। তলবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরেই তিনি পৌঁছলেন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে। আর বনির প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সাফ জানালেন, ভোটের সময় বিজেপিতে এসেছিলেন বনি সেনগুপ্ত। গত দুবছর পার্টির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁর। তিনি যদি টাকা নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকেই এটা দেখতে হবে। এরসঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।

    কী সম্পর্ক রয়েছে বিজেপির সঙ্গে বনির?

    ২০২১-এ রাজ্যের ‘হাই ভোল্টেজ’ বিধানসভা নির্বাচনের আগে টলিপাড়ার অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীকে রাজনৈতিক দলের পতাকা হাতে নিয়ে দেখা গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। মা পিয়া সেনগুপ্ত তৃণমূলের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন বনি। উল্লেখ্য, ২০২১-এ বিজেপিতে যোগ দেওয়া বনি, দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার কথা তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন ২০২২-সালেই। তাঁর বক্তব্য ছিল, প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি, তাই এক বছরেই মোহভঙ্গ। এবারে বিজেপির সঙ্গে অভিনেতার আর কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) ।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত, তলবের একদিন আগেই ইডি দফতরে হাজিরা

    বিরোধী দলনেতা কী বললেন?

    এদিন যখন সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেও গিয়েছেন বনি, অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সংবাদমাধ্যমে বনিকে নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “বনি যদি টাকা নিয়ে থাকেন তাহলে তাকেই ব্যক্তিগতভাবে তার জবাব দিতে হবে। বিজেপি এইসব ‘অ্যালাউ’ করে না। ভোটের সময় ওরকম অনেক তারকারাই দলে যোগ দেন। ২ মাস ছিলেন বিজেপিতে, এখন আর নেই।”

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের দেওয়া নথিতে বনি সেনগুপ্তের নামও রয়েছে। সে বিষয় নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতে বনিকে ডেকে পাঠিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। বনির কয়েকজন এজেন্টকেও তলব করা হয়েছে বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থবিল নিয়ে আলোচনার আগে ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করলেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। স্পিকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা নিয়ে আলোচনা করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে হই হট্টগোল শুরু করে বিজেপি। পরে বিধানসভা কক্ষে কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ দেখানোর পর ওয়াকআউট করেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। 

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)… 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, ১৬টি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলাম। স্পিকার জানালেন, ওঁর পক্ষে প্রস্তাব জমা পড়েছে। কিন্তু এটা নিয়মবিরুদ্ধ। আমরা আইন মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ যা নেওয়ার আমরা নেব। বিধানসভায় বেআইনি কার্যকলাপের প্রতিবাদ করেছি আমরা।    

    কেন স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র নিয়ে কোনও আলোচনা নয়?

    এদিন অধিবেশনের শুরুতে অধিবেশন কক্ষে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর প্রশ্ন, কেন স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র নিয়ে কোনও আলোচনা নয়? এটা কি গণতন্ত্র? এর পাশাপাশি তাঁরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলির বাজেট নিয়ে ১২ বছর কোনও আলোচনা হয়নি। বাজেট আলোচনায় এই দফতরগুলোকেও রাখতে হবে বলে জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত, ৬ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব চলবে। সেখানে মোট ৬টি দফতরের বাজেট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এদিন বিধানসভা থেকে হেঁটে শহিদ মিনারে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু সহ বিজেপি বিধায়করা। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারী ও অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।

    বিধানসভায় পুলিশবাহিনী কেন?

    বিধানসভায় বিনা অনুমতিতে পুলিশবাহিনী কেন? এ প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন দাবি মঞ্চ থেকে হেঁটেই বিধানসভায় ফেরেন শুভেন্দু। বিধানসভায় প্রবেশের পরেই দেখতে পান কয়েকজন উর্দিহীন পুলিশ কর্মীকে। হাতে লাঠি থাকা ওই পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু প্রশ্ন করেন, আপনারা কারা? তৃণমূলের ক্যাডার বাহিনী? বিধানসভায় ঢোকার অনুমতি কে দিয়েছে আপনাদের? যদিও তার সঙ্গে কথা না বাড়িয়ে ওই পুলিশকর্মীরা বিধানসভা চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যান। শুভেন্দুর অভিযোগ, এভাবে কোনওরকম পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারে না। অথচ ওখানে যাঁরা দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁদের কাছে কোনওরকম পরিচয়পত্র ছিল না। আর গুন্ডাদের পেটানোর লাঠি ছিল তাদের হাতে।

    আরও পড়ুুন: সারদাকাণ্ডে মমতাকে ডাকতে ‘অনীহা’ সিবিআইয়ের! মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • DA Protest: প্রাপ্য ডিএ দিতেই হবে! ধর্নামঞ্চে গিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পাশে থাকার বার্তা শুভেন্দুর

    DA Protest: প্রাপ্য ডিএ দিতেই হবে! ধর্নামঞ্চে গিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পাশে থাকার বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ্যভাতা ফেরানোর আন্দোলন আরও জোরদার হল। সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ দিতেই হবে। সোমবার বিধানসভা থেকে বেরিয়ে ধর্মতলায় অনশনরত কর্মচারীদের ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’-এ গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিনই আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানাতে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে হাজির হলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। 

    ডিএ- নিয়ে শুভেন্দুর বার্তা

    সোমবার বিধানসভা অধিবেশন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়করা হেঁটেই চলে যান ধর্মতলার শহিদ মিনারের কাছে অনশন মঞ্চে। সেখানে আন্দোলনরত কর্মচারীদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, ‘‘অনেকের মতো আমরাও আপনাদের পাশে আছি। হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চে আপনারা মামলা জিতেছেন। আজ না হোক, কাল প্রাপ্য ডিএ দিতে হবে। শর্ত ছাড়া আমরা আপনাদের পাশেই রয়েছি।’’শুভেন্দু এ-ও বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল। আন্দোলনকারীদের ন্যায্য অধিকারের লড়াই জয়যুক্ত হোক। সেটাই চাই। আমাদের নৈতিক সমর্থন ওঁদের সঙ্গে থাকবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের কর্মচারি এবং শিক্ষক সংগঠনও এঁদের সঙ্গে যুক্ত আছেন। রাজনীতির বাইরে থেকে এই আন্দোলনকে আমরা সমর্থন জানাচ্ছি।’’

    আরও পড়ুন: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    ডিএ আন্দোলন ছড়ানোর কথা নওশাদের মুখে

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি জানিয়ে শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। ৩৯ দিনে পড়েছে ধর্মতলায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অনশন। এদিন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও গেলেন সেখানে।  আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন তিনি। জানান, এই আন্দোলন কলকাতা থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁরা শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত। ওঁদের পরামর্শ দেওয়ার মতো কিছুই নেই। তবে বলব, নিজেদের দাবি বুঝে নিতে হবে। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ভাবে এবং গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করুন।’’নওশাদ আরও বলেন, ‘‘এখন শুধু কলকাতায় এই আন্দোলন চলছে। আগামিদিনে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে। বৃহত্তর আন্দোলন করতে হবে। তবে সেটা কোন উপায়ে হবে, সেটা আমার থেকে ভাল মাস্টারমশাইরা জানেন। আন্দোলনরত সরকারী কর্মচারীরা ভালই জানবেন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Central Vigilance Commission: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    Central Vigilance Commission: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব। অভিযোগ, অনৈতিকভাবে তিনি বাড়িভাড়া ভাতা নিয়েছেন। হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর (Hari Krishna Dwivedi) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের (Central Vigilance Commission) কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চিঠি পাঠানো হয়েছিল ৩১ জানুয়ারি। ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু জানান, সেই অভিযোগ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন। কমিশনের তরফে তাঁকে পাঠানো ই-মেইলও প্রকাশ্যে এনেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাতে বলা হয়েছে, তাঁর করা অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন (Central Vigilance Commission)…

    শুভেন্দুর দাবি যে নিছক অমূলক নয়, তার প্রমাণ মিলেছে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের (Central Vigilance Commission) পোর্টালেও। এমন কোনও অভিযোগ গ্রহণ করা হলে, অভিযোগকারীকে সেই বার্তা ই-মেইল করে জানানো হয়। শুভেন্দুকেও তেমনই বার্তা মেইল করে পাঠানো হয়েছে। ওই মেইলে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী শুভেন্দুর অভিযোগপত্র খতিয়ে দেখে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। তবে তারা তদন্ত শুরু করবে নাকি রাজ্য সরকারকে সুপারিশ করবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

    শুভেন্দুর উদ্দেশে পাঠানো মেইল-বার্তায় বলা হয়েছে, আপনার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেই বার্তা প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, আমার অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বিরুদ্ধে আমি অভিযোগ করেছিলাম। যিনি রাজ্য সরকারের বাংলোয় থেকেও নিয়ম ভেঙে ১৬.৪ লক্ষ টাকা হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স নিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মুখ্যসচিবের দায়িত্ব নেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আলিপুরের আট কামরার সরকারি বাংলোয় থাকেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, তার পরেও তিনি বেআইনিভাবে বাড়িভাড়া ভাতা বাবদ টাকা নিয়েছেন। এর ফলে ইল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুল ভেঙেছেন দ্বিবেদী। শুভেন্দুর দাবি, এটা ক্ষমতার অপব্যবহার। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, দ্বিবেদী এখন আর বাড়িভাড়া বাবদ ভাতা নিচ্ছেন না।

    প্রসঙ্গত, আইএএস কিংবা আইপিএস আধিকারিকদের নিয়োগপত্র কেন্দ্র দিলেও, তাঁরা যখন কোনও রাজ্যে কর্মরত থাকেন, তখন তাঁদের কারও বিরুদ্ধে সার্ভিস রুল লঙ্ঘনের (Central Vigilance Commission) অভিযোগ উঠলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখায় লিখিতভাবে জানাতে হয়। তাই শুভেন্দুর অভিযোগ কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন খতিয়ে দেখলেও, এই অভিযোগের তদন্তের এক্তিয়ার রয়েছে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার হাতেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সারদাকাণ্ডে মমতাকে ডাকতে ‘অনীহা’ সিবিআইয়ের! মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সারদাকাণ্ডে মমতাকে ডাকতে ‘অনীহা’ সিবিআইয়ের! মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, সারদা চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির সব থেকে বড় সুবিধাভোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেতে সিবিআই-এর অনিচ্ছা রয়েছে। গত ১০ বছর ধরে রাজ্যের মানুষ কাঙ্খিত দিনটির জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু প্রশ্ন করেছেন, “কেন্দ্রের সংস্থা সিবিআই কি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদকে ভয় পাচ্ছে? তা না হলে সারদা মামলার দশ বছর পরও কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত শুরু করছে না!”

    প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)

    সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর সেই চিঠিতে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সারদা চিটফান্ড সংক্রান্ত সব মামলার তদন্ত যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে, সেই প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, অসম, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলা সারদা চিটফান্ড সংক্রান্ত নানা ঘটনার জেরে বিষয়টিকে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, বিভিন্ন কেলেঙ্কারি সুবিধা নিয়েছিলেন ক্ষমতার শীর্ষে থাকা লোকজনও। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এছাড়াও সারদার সঙ্গে মমতার সম্পর্ক তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বহু আগে থেকে, এমনটাও অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সিবিআই-এর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেখানে বলেছেন, ‘মমতার কাছে পৌঁছতে কেন দ্বিধা করছে সিবিআই। চেয়ারের জন্যই কি সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না?’ এছাড়াও এদিন পাঁচ পাতার চিঠিতে তিনি একে একে জানিয়েছেন, সারদা মামলায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ উঠেছিল, তার প্রেক্ষিতে সিবিআই কী বলেছিল এবং মামলার দশ বছর পরেও কোন কোন ক্ষেত্রে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

    মমতাই সারদা কেলঙ্কারির সবচেয়ে বড় সুবিধাপ্রাপ্ত!

    আবার মমতার আঁকা ছবি সারদা গোষ্ঠীর তরফে কোটি টাকায় কেনা হয়েছে বলে জানিয়েছিল সিবিআই, এ কথাও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। এ ছাড়াও মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেলের ক্যাটারিং এবং অন্যান্য যাত্রী পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা আইআরসিটিসির সঙ্গে সারদার ট্যুরের প্রসঙ্গও টেনেছেন তিনি (Suvendu Adhikari)। সারদা মামলায় নাম না করে সারদার সংবাদ মাধ্যমগুলির প্রাক্তন গ্রুপ সিইও তথা তৃণমূলের তৎকালীন সাংসদ কুণাল ঘোষের গ্রেফতারির কথাও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু ওই চিঠিতে। তিনি লিখেছেন, ওই সাংসদ গ্রেফতার হওয়ার পর বার বার বলেছিলেন, ‘মমতাই সারদা কেলঙ্কারির সবচেয়ে বড় সুবিধাপ্রাপ্ত। কেন তা শুনেও শোনেনি সিবিআই?’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপের

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। আদালতের নির্দেশের পরও নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে একে অপরের দিকে দায় ঠেলছে ইডি ও রাজ্য পুলিশ। এরই মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা নিয়ে কার্যত এক সুরে কথা বললেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম দুই প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “বিষয়টা অনেকদিন ধরেই চলছে। হয়ত আর একটাই জায়গায় যাওয়া বাকি আছে, সেটা হল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে যাওয়ার জন্যই হয়ত অপেক্ষা করছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তো ১৩ মার্চের আগে খুলবে না। এখন ছুটি চলছে। দিল্লি যেতেই হবে অনুব্রতকে।”

    ইডি-রাজ্য পুলিশ দ্বন্দ্ব

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা নিয়ে টানাপড়েন চলছে জেল কর্তৃপক্ষ, আসানসোল কমিশনারেটের পুলিশ ও কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ED-র মধ্যে। শনিবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দেন, শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে, অনুব্রত মণ্ডলকে বিমানে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে। কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কোনও হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ফিট সার্টিফিকেট দিলে, তারপরই তাঁকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া যাবে। কিন্তু আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কে অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে আসবে ইডি না আসানসোল কমিশনারেট তাই নিয়েই জল্পনা চলে রবিবার সারাদিন।

    আরও পড়ুন: ইডি না আসানসোল পুলিশ! আজ আদালতই ঠিক করবে অনুব্রতকে কারা নিয়ে যাবে দিল্লি?

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, “সরকার ও শাসকদল ওঁকে ক্রমাগত আড়াল করে চলেছে। তদন্তে সব ধরনের অসহযোগিতা করছে। যাঁকে বীর, বাঘ বলা হচ্ছিল তাঁকে এখন একা ছেড়ে দিচ্ছে। কোনও সুরক্ষা দিচ্ছে না। এই চালাকি বেশিদিন চলবে না। তিহার জেলে অনুব্রত মণ্ডলকে যেতেই হবে।” অনুব্রতের (Anubrata Mondal) প্রসঙ্গে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও কটাক্ষ, ”রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে, তার ভাইপোকে, নেতা মন্ত্রীদের সুরক্ষা দিতে পারছে, বাড়ি বাড়ি পুলিশ দিতে পারছে। আর অনুব্রত যখন সিবিআই এর হাতে আছে তখন সুরক্ষা দিতে পারছে না। তাহলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন। রাজ্যের আইন কানুনের যা অবস্থা তা পুলিশ আর সামাল দিতে পারছে না। শুধু অনুব্রত না গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Suvendu Adhikari: ‘নো ভোট টু তৃণমূল বললে এই দিন দেখতে হত না’, অধীরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘নো ভোট টু তৃণমূল বললে এই দিন দেখতে হত না’, অধীরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের পাশাপাশি এবারে বাম-কংগ্রেসকেও নিশানা করতে ছাড়লেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাগরদিঘি উপনির্বাচন বঙ্গ রাজনীতিকে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি তাতে এক অন্যমাত্রা যোগ করেছে। কৌস্তভের গ্রেফতারিতে রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার ডাক দিলেও, এ বার বাম-কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাম-কংগ্রেসকে মনে করিয়ে দিলেন, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান। তাঁর মন্তব্য, তখন ‘নো ভোট টু তৃণমূল’ বললে আজ এই দিন দেখতে হত না।

    অধীরকে তোপ শুভেন্দুর

    রবিবার মহিষাদল ব্লকের ইটামগরা-২ অঞ্চল বিজেপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কেশবপুর জালপাই বাজার সংলগ্ন ময়দানে। সেই সম্মেলন থেকেই বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, “মীনাক্ষী, কৌস্তভকে এখন জেলে ভরছে। তখন সিপিএম, কংগ্রেস বলেছিল নো ভোট টু বিজেপি। সেই সময় নো ভোট টু তৃণমূল বললে আজ এই দিন দেখতে হতো না।”

    আরও পড়ুন:ইডি না আসানসোল পুলিশ! আজ আদালতই ঠিক করবে অনুব্রতকে কারা নিয়ে যাবে দিল্লি?

    অধীরকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি মমতাকে। ভবানীপুরে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ভবানীপুরে অধীর চৌধুরী কংগ্রেসের প্রার্থী দিলেন না। আজ সেই অধীর চৌধুরীকেই ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব থেকে বড় গদ্দার।”

    তিনি সেদিন আরও বলেন, “সিপিএম-কংগ্রেস বেরিয়ে পড়েছে। ২০১১ সাল থেকে বিরোধী দল ছিল সিপিএম। ২০১৬ সাল থেকে বিরোধী আসনে ছিল কংগ্রেস। কখনও কোনও কিছু প্রতিবাদ করেছে? চোর ধরা পড়েছে? ফাঁদ পাতবে বিজেপি আর খই খাব আমি! সেগুড়ে বালি, এটা হবে না। সিপিএম ও কংগ্রেস কয়েনের এপিঠ আর ওপিঠ। বামফ্রন্ট নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়ে কৃষক মেরেছে আর তৃণমূল বগটুইয়ে মুসলমান পুড়িয়েছে। তাই বিজেপি ছাড়া গতি নেই।” 

    শুভেন্দুর নিশানায় রাজ্য

    গতকাল বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করার পাশাপাশি শুভেন্দু কটাক্ষ করেছে রাজ্যকেও। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে রাজ্যের নামে চালানো হচ্ছে এই নিয়ে ফের সরব হয়েছেন শুভেন্দু। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার পর এবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার মতই প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রের কৃতিত্ব খাটো করে দেখাতেই রাজ্য সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করছে বলে তাঁর অভিযোগ।

    আবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করা নিয়েও রাজ্যকে একহাত নেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের নিয়ম মানা হয়নি অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “ইতিমধ্যে বিচার ব্যবস্থা এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছে। জামিন অযোগ্য ধারা লাগলে হয় না। বিচার ব্যবস্থা নিরাপত্তা দিচ্ছে। পুলিশ অপদস্ত হচ্ছে। পুলিশের গরিমা মান সম্মান নষ্ট হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ওনারা আতঙ্কিত, ভয় পেয়ে চিঠি দিয়েছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ওনারা আতঙ্কিত, ভয় পেয়ে চিঠি দিয়েছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দেশের ৯জন বিরোধী নেতা কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। আর এবারে সেই চিঠিরই কড়া জবাব দিলেন বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী। এর পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) সেই সব নেতাদের নিশানা করে বলেন, ‘ওনারা আতঙ্কিত, ভয় পেয়ে চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠির কোনও মূল্য নেই।’

    বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী কী বললেন?

    রবিবার দেশের ৯টি বিরোধী দলের নেতার খোলা চিঠির পাল্টা জবাব দিয়ে কটাক্ষের সুরে সুধাংশু বলেন, “আমরা দেশের অগ্রগতির পক্ষে। বিরোধী দলগুলি প্রত্যেকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে একে অপরকে সমর্থন করছে। এই চিঠি দিয়ে বিরোধী দলগুলি প্রমাণ করতে চাইছে যে, তারা ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতিকে সমর্থন করছে।” বিরোধীদের নাম না করে বিজেপি মুখপাত্র বলেন, “চিঠিতে যে সমস্ত নেতারা স্বাক্ষর করেছেন তাঁদের অনেকেই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। এমনকী যাঁরা সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত থাকার সময় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁরা এখন বলছেন যে তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত করা উচিত নয়।” আম আদমি পার্টির অধিকাংশ নেতাই দুর্নীতিতে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আবার বালগঙ্গাধর তিলকের ‘আত্ম-নিয়ম আমাদের জন্মগত অধিকার’ শ্লোগান তুলে ধরে দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষও করেন সুধাংশু ত্রিবেদী।

    আরও পড়ুন: সিঙ্গুরের মতো আবারও কি জমি আন্দোলন দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী, কোথায় দেখে নিন?

    শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া

    এদিন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, “একদিকে দুর্নীতির প্রশ্নে মণীশ সিসোদিয়ার জন্য আম আদমি পার্টি ভয় পেয়ে রয়েছে, অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের আত্মীয়-স্বজনের জন্য আতঙ্কিত। তাই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীকে চাপে রাখতে বিরোধীরা যে চিঠি দিয়েছেন, তার কাছে মোদিজি নতি স্বীকার করবেন না।”

    প্রসঙ্গত, দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই কংগ্রেস ছাড়া অন্য বিরোধী দলগুলির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠানো যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: মমতা সরকার স্বৈরাচারী! কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মমতা সরকার স্বৈরাচারী! কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বগটুই গণহত্যা, আনিস খান খুন কিংবা পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ইস্যুর মতোই কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার বাইরে বেরিয়ে আন্দোলন জোরদার করার ডাক দিলেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু যা বললেন

    শুভেন্দু বলেন, ‘সম্প্রতি মমতা সরকারের দুর্নীতি, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যে কয়েকজন যুবক সোচ্চার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে কৌস্তভ অন্যতম। তাঁর দ্রুত মুক্তির দাবি করি। পুলিশ যে কায়দায় রাত তিনটের সময় ওঁর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়েছে তার প্রতিবাদ করছি। আমরা সোচ্চার হব।’ একই সঙ্গে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে স্মরণ করাতে চায়, ২০২১ সালে নন্দীগ্রামের জনগণ যখন আমাকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিল, তার পরে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কম্পার্মেন্টাল চিফ মিনিস্টার হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন, এমএলএ হওয়ার জন্য, মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদ বাঁচানোর জন্য৷ তখন এই প্রদেশ কংগ্রেস প্রকাশ্যে প্রার্থী না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন ঘোষণা করেছিল৷ সঠিক সময়ে তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেসকে সেই প্রতিদান ফিরিয়ে দিচ্ছেন!’’

    কেন গ্রেফতার কৌস্তভ

    উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর আত্মহত্যা এবং তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে ‘অনেক কথা’ জানেন, বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জেরেই শুক্রবার পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। সেখানে তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ব্যক্তি আক্রমণ’ করেন বলে অভিযোগ। এরপরই শুক্রবার গভীর রাতে কৌস্তভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে বড়তলা থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    কৌস্তভের পাশে থাকার কথা বললেও এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা কপিল সিব্বল এবং মনু সিংভি যেভাবে প্রতিদিন মমতার সরকারকে সাহায্য করছেন, ঠিক একইভাবে কৌস্তভ বাগচীকেও নিজেদের সহকর্মী হিসেবে তাঁরা সাহায্য করবেন, দ্রুত জামিনের বিষয়ে লড়বেন এটা আমি ওনাদের কাছে আশা করব৷’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Sukanta Majumdar: ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’, মমতার অস্ত্রেই তৃণমূল বধ সুকান্তর!

    Sukanta Majumdar: ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’, মমতার অস্ত্রেই তৃণমূল বধ সুকান্তর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার অস্ত্রেই মমতা বধ! তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) একটি কবিতার লাইন উদ্ধৃত করে মমতাকেই বিঁধলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তৃতীয়বার বাংলা জয়ের পর তৃণমূল (TMC) নেত্রী পাখির চোখ করেছিলেন ত্রিপুরাকে। ত্রিপুরা পুরনির্বাচনের মতো বিধানসভা নির্বাচনেও গোহারা হেরেছে মমতার দল। তার পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির মুখে তৃণমূল নেত্রীর কবিতার লাইন, ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)…

    অথচ ত্রিপুরেশ্বরীর রাজ্য জয়ে চেষ্টার কম কসুর করেনি তৃণমূল। দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা ত্রিপুরা উড়ে গিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। খোদ তৃণমূল নেত্রীর পদযাত্রাও মাঠে মারা গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ত্রিপুরায় সাকুল্যে এক শতাংশ ভোটও পায়নি তৃণমূল। নোটার চেয়েও কম ভোট গিয়েছে ঘাসফুলের ঝুলিতে। তার পরেই ধেয়ে এল সুকান্তের (Sukanta Majumdar) খোঁচা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে সুকান্ত ত্রিপুরার ভোটের ফলের শতাংশের হিসেব তুলে ধরে বিঁধেছেন রাজ্যের শাসক দলকে।

    অন্য একটি ট্যুইট-বার্তায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি লিখেছেন, ত্রিপুরা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য মানিক সাহা এবং ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির কার্যকর্তাদের অভিনন্দন। ত্রিপুরা আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উন্নয়ন সূচিতে পরিচালিত সরকারকে নির্বাচিত করেছে। এই জয় বিজেপির প্রতি জনগণের ক্রমবর্ধমান আস্থা দেখায়।

    পদ্ম ফুটেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যুইটারে যুক্ত করে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বিজেপির তথ্য প্রযুক্তি শাখার সর্বভারতীয় প্রধান এবং পশ্চিমবঙ্গের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, বাম-কংগ্রেস জোট এবং উচ্চাভিলাষী টিএমসি থাকা সত্ত্বেও বিজেপি ত্রিপুরাকে ধরে রেখেছে। টিএমসি নোটার চেয়ে কম ভোট পেয়েছে। টিএমসি মেঘালয়ে কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ককে নিয়েছিল। সংখ্যাটা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ এ। উত্তর পূর্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রত্যাখান করেছে। এর পর হবে পশ্চিমবঙ্গে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কেবল উত্তর পূর্বের তিন রাজ্য নয়, বাংলায়ও মুখ থুবড়ে পড়েছে তৃণমূল। হাত ছাড়া হয়েছে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভার রাশও।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ওরা বলছে, মর যা মোদি, দেশ বলছে, মৎ যা মোদি’’, একথা কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share