Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: আবাস যোজনার টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আবাস যোজনার টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনার টাকা ফেরত না দিলে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার, হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্য সরকারের (State Government) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ, মিড ডে মিলের জন্য পাঠানো কেন্দ্রের টাকা নিয়ে রাজ্য সরকার দুয়ারে সরকার ক্যাম্প (Duare Sarkar Camp) চালাচ্ছে। 

    আবাস যোজনা নিয়ে সরব

    বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় জেলায় জেলায় বঞ্চিতদের তালিকা তুলে ধরে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে শাসক দল তৃণমূল তথা সরকারকে কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। নির্দিষ্ট গাইডলাইন উপেক্ষা করে গরিব মানুষদের বঞ্চিত রেখে তথাকথিত বড় লোকরা আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী ঘনিষ্ঠরাই কাটমানির বিনিময়ে ঘর পেয়েছে শুধু নয়, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পঞ্চায়েত এলাকার অনেক তৃণমূল নেতাও বাড়ি নিয়েছে। যাঁরা আবাস যোজনার আসল দাবিদার তাঁদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরিবের বন্ধু, গরিবের জন্য বাড়ি, শৌচালয় দিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল, নিজের দলের লোক ছাড়া কাউকে আবাসের বাড়ি দেয়নি। যাঁদের পাকা বাড়ি, তাঁদের থেকে কাটমানি খেয়ে আবাসের তালিকায় নাম তুলেছে। প্রকৃত গরিবের সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে।” তিনি বলেন, মামলা করে বঞ্চিতদের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার লড়াই করবে বিজেপি। শুভেন্দুর কথায়, “কী করে টাকা ফেরত করাতে হয়,আমরা জানি। টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে।”

    আরও পড়ুন: গঙ্গা আরতি করতে হিন্দুদের কেন অনুমতি নিতে হবে? প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের

    মিড ডে মিল দুর্নীতি প্রসঙ্গ

    ব্যারাকপুরে সাংগঠনিক জেলার অঞ্চল সম্মেলনে শুভেন্দু মিড ডে মিল নিয়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন। এদিন তিনি বলেন, “দু’বছর করোনা পর্বে সাড়ে ৯ কোটি কেজির চাল,স্যানিটাইজার,মাস্ক কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্টের টাকা ভারত সরকারের। এই টাকা পড়ে থাকলে সুদ হয়। সেই সুদের টাকাতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার”। এই বিষয়ে এদিন শুভেন্দু বলেন, “অপেক্ষা করুন। একের পর এক সব দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে। এ নিয়ে কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধি দল আসছে। তারা মিড ডে মিল সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।” শুভেন্দু জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এই বিষয়ে অডিট টিম পাঠিয়ে অনুসন্ধান করবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dharmendra Pradhan: অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু, মিড-ডে মিলের ‘পর্যালোচনা’ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল

    Dharmendra Pradhan: অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু, মিড-ডে মিলের ‘পর্যালোচনা’ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকার ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিলে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল বাংলায়। তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে নালিশ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার জেরে রাজ্যে মিড-ডে মিলের পর্যালোচনা করতে টিম পাঠাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। দিন কয়েক আগে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এবার আসছে মিড-ডে মিল কেমন চলছে, তা দেখতে। চলতি মাসেই বৈঠক হবে রাজ্যের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) বলেন, সম্প্রতি জাতীয় স্তরের বেশ কিছু সংবাদপত্রে বাংলার মিড-ডে মিল (Mid-day meal) প্রকল্পে নানা অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়া বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বেশ কিছু তথ্য ভারত সরকারের গোচরে এনেছিলেন। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    কেন্দ্রের এই দল…

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই আসছে কেন্দ্রের এই দল। দলে থাকবেন পুষ্টিবিদ, কেন্দ্রীয় আধিকারিক এবং রাজ্যের আধিকারিকরা। রাজ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থ স্কুলগুলিতে ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে কিনা, প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি মিশন প্রকল্পে রাজ্যে পরিকাঠামো কেমন, রান্নাঘরের পরিকাঠামো সহ একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখতে এই দলটি আসছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, গত বছরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী পোষণ প্রকল্পের পক্ষে মত দেয়। এই প্রকল্পে দেশের ১১ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পড়ুয়াদের মিড-ডি মিল দেওয়া হয়। পাঁচ বছরের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ১ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকা খরচের কথাও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সরকারের মিড-ডে নামের যে প্রকল্প রয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত করা হয় এই প্রকল্পকে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের সিংহভাগ ব্যয় বহন করে কেন্দ্র। সেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আসছে কেন্দ্রীয় দল।

    কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (Dharmendra Pradhan) বলেন, মিড-ডে মিলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের দৈহিক বৃদ্ধি। যা সামগ্রিকভাবে বৌদ্ধিক বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে। তাই বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শুভেন্দু। এ নিয়ে ট্যুইটও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে রাজ্যে ‘গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই’ বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বাঁকুড়া (Bankura) জেলার বড়জোড়ায় (Borjora) এক প্রকাশ্য জনসভায় তিনি বলেন এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের হবে ‘ডু অর ডাই’ লড়াই। এই নির্বাচন জিততে হবে। প্রতিটা বুথকে দুর্গ বানানোর কথাও বলেন শুভেন্দু।

    মনোনয়ন দাখিল

    এই সভা থেকে দলীয় কর্মীদের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন দাখিল নিয়ে আশ্বাস দিতে দেখা গেল তাঁকে। এদিন তিনি বলেন, পঞ্চায়েতে মনোনয়ন করাবেন দলের বিধায়ক, সাংসদরা। তাঁর বক্তব্য, “আমরা এবার কথা দিতে পারি পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল আমরা করাবই। বাঁকুড়া জেলায় ৬ জন বিধায়ক, মন্ত্রী ও সাংসদ আছেন। তাঁদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। আমাদের বিধায়ক সাংসদরা প্রত্যেকটি BDO অফিসের ভিতরে থাকবেন। কথা দিতে পারি তাঁরা আপনাদের মনোনয়ন করাবেন এবং সঠিক ভাবে আপনাদের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। আপনারা বুথগুলিকে দূর্গ তৈরী করবেন। আর যদি চটি পরা পুলিশ বুথ লুঠ করতে যায়, তাহলে তাঁদের ধরবেন আর বক্স ফেলবেন পুকুরে।”

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদীদের আটকাতে রাজৌরিতে গ্রামবাসীরদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সিআরপিএফ

    ডু অর ডাই লড়াই

    শুক্রবার এই সভা থেকে শুভেন্দু শুধু জিততে হবে বলেই থেমে থাকেননি। তিনি কীভাবে জিতবেন, কীভাবে রণনীতি সাজাবেন, তাও খোসলা করেছেন দলীয় কর্মীদের কাছে। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন এবারের লড়াই কিন্তু ২০১৮-র মতো হবে না। এবার মনোনয়ন দাখিল করবেনই তাঁরা। আর তারপর বুথগুলিকে দুর্গ করে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন লড়াইয়ে। শুভেন্দু সাফ জানিয়েছেন, ‘এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই। এ লড়াই ডু অর ডাই লড়াই’। এবার করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে। এক চুল জমি ছাড়া হবে না। বিজেপির নেতা-কর্মীদের তিনি তৈরি থাকতে বললেন। কীভাবে তিনি সাংসদ ও বিধায়কদের কাজে লাগিয়ে মনোনয়ন পেশ করবেন তাও জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু। ছাড়াও তিনি বলেন, “আবাস যোজনার (Pradhan mantri Awas Yojana) তালিকায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। যোগ্য মানুষদের নাম আবাস যোজনায় ওঠেনি। অবস্থাপন্নদের নাম উঠেছে তালিকায়। আমরা যোগ্যদের নাম তালিকায় তুলে দিতে পারব না। তাই রাজ্য কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনস্বার্থ মামলা করে যোগ্যদের বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের দেওয়া ঋণের টাকাতেই চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের দেওয়া ঋণের টাকাতেই চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের টাকা নয়, কেন্দ্রের টাকাই ব্যবহার করে চালানো হচ্ছে মমতা সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল ট্যুইট করে তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে সেই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। শুভেন্দুর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে কোনও সরকার নয়, ‘পিসি ও ভাইপোর কোম্পানি’ চলছে। রাজ্য সরকারের এই আর্থিক অনিয়ম নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থসচিবকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।

    ট্যুইটে কী অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু?

    রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবাস যোজনার দুর্নীতির অভিযোগ আনার পর এবারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে মমতা সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। ট্যুইটারে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, “রাজ্যগুলিকে বিশেষ সহায়তা হিসাবে পশ্চিমবঙ্গকে ৬০০৮.২১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। সেই টাকা থেকে ১০০০ কোটি টাকা ঘুরপথে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বিতরণ করা হয়েছে।” তিনি আরও লিখেছেন, এতে স্পষ্ট হয় রাজ্যে অর্থ দফতর কতটা বেপরোয়া। তারা কোনও আর্থিক বিধি মানে না। পশ্চিমবঙ্গে পিসি-ভাইপোর কোম্পানি চলছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রক রাজ্যকে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও প্রকল্প রূপায়ণের জন্য কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে, কিন্তু রাজ্য তা বেআইনিভাবে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের মত প্রকল্পে ব্যবহার করছে।

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে নথি শেয়ার ট্যুইটে

    তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে যেসব অভিযোগ করেছেন, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ট্যুইটে কিছু নথিও শেয়ার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাতে টাকার হিসাব সংক্রান্ত যেমন তথ্য রয়েছে, তেমনই রয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতরের সচিবকে পাঠানো চিঠি। এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নিজের ট্যুইট কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকেও ট্যাগ করেছেন শুভেন্দু, একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থসচিব টিভি সোমনাথন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকেও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Suvendu Adhikari: একবছরে তৃণমূলের আয়বৃদ্ধি ১২০০ শতাংশ! ‘তালিকা আছে’, বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    Suvendu Adhikari: একবছরে তৃণমূলের আয়বৃদ্ধি ১২০০ শতাংশ! ‘তালিকা আছে’, বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূলের অডিট রিপোর্ট। আর তাতেই সামনে এসেছে চোখে কপালে ওঠার মত তথ্য। চলতি বছর ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের ভাঁড়ারে জমা পড়েছে ৫২৮.১৪ কোটি টাকা। যেখানে ২০২১ সালেই এই পরিমাণ ছিল ৪২ কোটি টাকা। তৃণমূল কংগ্রেসের এমন আয় বৃদ্ধিতে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের সামনে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রশ্ন করেন, কোন ‘জাদুবলে’ নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি হয়েছে? শুভেন্দুবাবুর দাবি, তৃণমূলের দুর্নীতিতে যুক্ত ব্যবসায়ীরাই তৃণমূলকে এই টাকা দিয়েছে। এর আগেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “তৃণমূল দল নয়, একটা চোরের কোম্পানি।” আজও এই নিয়ে ফের নতুন করে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

    শুভেন্দুবাবু আজ ত্রিপুরা যাওয়ার আগে বলেন, “একটা দল নির্বাচনী বন্ডে ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি করেছে। কোন কোন ব্যবসায়ী দিলো, কোন কোন শিল্পপতি দিলো, আয়করে দেখাতে হবে ওদের। ২০২১ সালে যেখানে মাত্র ৪২ কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তুলতে পেরেছিল তৃণমূল, সেখানে কোন যাদুবলে এবছর ৫২৮ কোটি টাকা তুলল?” তিনি দাবি করেছেন, “যারা টাকা দিয়েছে আমরা তো তাদের তালিকা দিয়ে দেব। সব চোর। বালির খাদান যারা পেয়েছে, পাথরের খাদান যারা চালায়, বেআইনি কাজ যারা করে, যারা কেন্দ্রীয় সরকারের সমগ্র শিক্ষা মিশনের টাকা খায়, স্কুলে নিম্নমানের ব্যাগ, জুতো, ইউনিফর্ম যারা সরবরাহ করে তারা সব টাকা দিয়েছে। আমি ধর্মেন্দ্র প্রধানজিকে বলব, অভিভাবকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে টাকা না দিতে। তারা সব আপাদমস্তক চোর।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের এক বছরে আয় বৃদ্ধি ১২ গুণ! ‘চোরের কোম্পানি’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    শাসকদলের আয়বৃদ্ধি

    প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তৃণমূলের আয় ছিল ৪২ কোটি টাকা আর ২০২২-এ তৃণমূলের বার্ষিক আয় হয়েছে ৫৪৫.৭৪ কোটি টাকা। তৃণমূলের এই পরিমাণ আয় বৃদ্ধি দেখে চক্ষু চড়কগাছ রাজ্যবাসীর। অর্থাৎ এক বছরে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৬%। আর এই তথ্য সামনে আসতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ইলেক্টোরাল বন্ডে রোজগার বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আগেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। আজ আবার শাসকদলকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Mithun-Suvendu in Tripura: ভোটমুখী ত্রিপুরায় প্রচারে আজ শুভেন্দু-মিঠুন, পৃথক সভার কর্মসূচি জানুন

    Mithun-Suvendu in Tripura: ভোটমুখী ত্রিপুরায় প্রচারে আজ শুভেন্দু-মিঠুন, পৃথক সভার কর্মসূচি জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। যদিও সেই ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। তবে ত্রিপুরায় গেরুয়া শিবিরের প্রস্তুতি তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই সেখানে ‘বিজয় সংকল্প সভা’, ‘জন বিশ্বাস যাত্রা’র মত কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। জনসভা শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। আর এবার ভোটের মুখে সভা করতে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু শুভেন্দুই নন, বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীও যাচ্ছেন ত্রিপুরায়। তবে বিজেপির এই দুই মহারথী একসঙ্গে ত্রিপুরায় গেলেও তাঁরা একাধিক জায়গায় পৃথক পৃথক কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। আজ এই দুই বিজেপি নেতার কী কী কর্মসূচি আছে, জেনে নিন।

    শুভেন্দুর অধিকারীর কর্মসচি

    সূ্ত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আগরতলা বিমানবন্দরে পৌঁছে যাচ্ছেন শুভেন্দু। সাড়ে ৯টায় হোটেলে ঢুকে জলখাবারের পরেই তিনি সোজা প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে বাগমায় যাবেন। গোমতি জেলায় বিজেপির ‘বিজয় সঙ্কল্প যাত্রা’য় যাবেন তিনি। সেখানে তিনি দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সামনে বক্তৃতা রাখবেন। এরপর চলে যাবেন চারিলামে। সেখানে ‘জন বিশ্বাস যাত্রা’য় পা মেলাবেন শুভেন্দু। সেখান থেকে বিশালগড়ে আরও একটি ‘জন বিশ্বাস যাত্রা’য় অংশগ্রহণের কথা রয়েছে তাঁর। পর পর ৩ জায়গায় উপস্থিত থাকার পর মঙ্গলবারই ফিরে আসবেন কলকাতায়।

    আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যেই হয়ে যাবে রাম মন্দির, ত্রিপুরায় ঘোষণা শাহের

    মহাগুরুর কর্মসূচি

    আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৭টার সময় আগরতলা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর কথা মিঠুনের। তবে আজ কোনও সভা থাকছে না তাঁর। বুধবার তেলিয়ামুড়ায় বিজয় সঙ্কল্প মিছিলে উপস্থিত থাকবেন মহাগুরু। মধ্যাহ্নভোজের পর মজলিশপুর মণ্ডলে ‘জন বিশ্বাস র‌্যালি’তে থাকবেন মিঠুন।

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে ত্রিপুরায় বিজেপির জন বিশ্বাস যাত্রার উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। নির্বাচনী প্রচারে এসে বিজেপির সুর বেঁধে দিয়েছেন তিনি। এবার সেখানে যাচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির দুই নেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঘুষ নিয়ে হোমগার্ড নিয়োগ করে ক্যাডার গড়ছে তৃণমূল, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঘুষ নিয়ে হোমগার্ড নিয়োগ করে ক্যাডার গড়ছে তৃণমূল, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফের দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অভিযোগ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েই। এবার অভিযোগের তীর হোমগার্ড নিয়োগের দিকে। সোমবার একটি ট্যুইট করে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, গোপনে রাজ্যে অস্থায়ী হোমগার্ড নিয়োগ করছে স্বরাষ্ট্র দফতর। এই নিয়োগেও দুর্নীতি হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। 

    কী বললেন শুভেন্দু?

    ট্যুইটে শুভেন্দুবাবু (Suvendu Adhikari) লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র দফতর দৈনিক ৫৬৫ টাকা বেতনে ৬ মাসের চুক্তিতে হাজার হাজার হোমগার্ড নিয়োগ করেছে। কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই হয়েছে এই নিয়োগ। সম্ভবত পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের ক্যাডারদের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করা হচ্ছে। কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হলে ইতিমধ্যে যারা এই পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা খবর পেলেন কোথা থেকে? স্বরাষ্ট্র দফতর কি এই নিয়োগপ্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারবে? এদের কি ইচ্ছামতো বাছাই করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে? তাহলে কে এদের বাছাই করল? কী যোগ্যতার ভিত্তিতে বাছাই করা হয়েছে?”

     

    এই ট্যুইটে একটি নথিও প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সরকারি নথিতে দেখা যাচ্ছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় ১৬১৫ জন অস্থায়ী হোমগার্ড নিয়োগ করা হয়েছে। ৬ মাসের চুক্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে তাদের।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিমকোর্টে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ফিরল হাইকোর্টে

    হাওড়ার উলুবেড়িয়া থানায় নিয়োগ হওয়া অস্থায়ী হোমগার্ডদের নামের তালিকাও পোস্ট করেছেন তিনি (Suvendu Adhikari)। সেই ট্যুইটে শুভেন্দু প্রশ্ন করেন, “কেউ জানে না এদের কীভাবে, কে ও কীসের ভিত্তিতে নিয়োগ করেছে।”  

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় দলের হয়ে সাফাই দিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “দফতর মনে করলে কর্মী নিয়োগ করতেই পারে। এতে বিরোধী দলনেতার কী বলার থাকতে পারে?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট বদলেছিলেন ‘ভাইপো’! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট বদলেছিলেন ‘ভাইপো’! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোট-বাতিলের সময়ে অন্তত এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট ‘ভাইপো’ বদল করিয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অতীতের মতো এ বারও সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেননি তিনি, সামনে রেখেছেন ‘ভাইপো’কেই। খড়গপুরের ইন্দা এলাকায় রবিবার একটি স্বাস্থ্যমেলার অনুষ্ঠানে অভিষেককে লক্ষ্য করে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু

    খড়্গপুরের অনুষ্ঠানে অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমে সমবায় ব্যাঙ্কের ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রতের যদি একশো কোটির নোট বদল হয়ে থাকে, ভাইপোর এক হাজার কোটি টাকা তাঁর পি এ করিয়েছেন! কাকে কাকে এজেন্ট লাগিয়েছিলেন, তার তালিকা আমার কাছে আছে।’’ শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘পুরনো নোট বদল করেছে ভাইপো। আমি এক হাজার লোকের নাম দিয়ে দেব। পেট্রল পাম্পের মালিক, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন থানার আইসি-দের মাধ্যমে বস্তা বস্তা পাঁচশো-হাজার টাকার পুরনো নোট বদল করা হয়েছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে দেব!’’ পরে পূর্ব বর্ধমানে একটি সভার পরেও প্রশ্নের জবাবে এ দিন শুভেন্দু ফের বলেছেন, ‘‘মোদিজি বেআইনি টাকা আটকানোর জন্য নোটবন্দি করেছিলেন। ভাইপো তাঁর পি এ এবং ক্যাডারদের মাধ্যমে টাকা বদল করিয়েছে।’’ 

    আরও পড়ুন: শীতে জবুথবু রাজ্যবাসী, একাধিক জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি

    অভিযোগের আঙুল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দিকেও

    খড়্গপুরের পর বর্ধমানের ষষ্ঠী পল্লীর মাঠে জনসভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সভায় তিনি বলেন,  গোটা পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা নোট বদল করেছেন। সিউড়ি কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক কাণ্ড তারই উদাহরণ। এই ঘটনায় বর্ধমানের এক যুবনেতার দিকেও ইঙ্গিত করেন তিনি। অভিযোগ তোলেন, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী এবং প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতির দিকেও। শুভেন্দুর কথায়,‘‘এই বর্ধমানেও একজন বারের মালিক আছেন যিনি তৃণমূল পার্টির যুব নেতা। তার মাধ্যমেও এখানে টাকার বদল ঘটানো হয়েছে। এটা গোটা রাজ্য জুড়েই হয়েছে। আমি তো দু’টো নাম বলছি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর নামে ৪ কোটি টাকা পরিবর্তন করা হয়েছে বিধাননগরের ব্যাঙ্কে। প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি তৃণমূলের নেতা, তিনি ১৫ কোটি টাকা মুগবেড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে বদল করেছেন। আমি তো নাম নিয়ে বলছি। আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে। সব সময়মতো দেখিয়ে দেব।’’

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে একটা বড় অংশ যাঁরা হিন্দু, তাঁদের ভোটে আমি জিতেছি, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে একটা বড় অংশ যাঁরা হিন্দু, তাঁদের ভোটে আমি জিতেছি, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) একটা বড় অংশ যাঁরা হিন্দু (Hindu), তাঁরা ভোট দিয়েছেন বলে আমি জিতেছি। শনিবার নন্দীগ্রাম দিবসে একথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জন্যই যে রাজ্যে পালাবদল হয়, এদিন পরোক্ষে তাও জানিয়ে দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, উনি দিদি থেকে দিদিমা হয়ে যেতেন, যদি নন্দীগ্রাম না থাকত। এর পরেই শুভেন্দু বলেন, এদের (তৃণমূল) থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল সিপিএম। অনেক বেশি ক্ষমতা ছিল বামফ্রন্ট সরকারের। শুভেন্দু বলেন, বামপন্থীরা সবাই খারাপ নন। আমাদের সঙ্গে প্রচুর বামপন্থী এসেছেন। নন্দীগ্রামে একটা বড় অংশ যাঁরা হিন্দু, তাঁরা ভোট দিয়েছেন বলে আমি জিতেছি। আমি তা অকপটে স্বীকার করি।

    নন্দীগ্রাম…

    দীর্ঘ দিন নন্দীগ্রামের রাশ ছিল সিপিআইয়ের হাতে। পালাবদল হয় ২০১১ সালে। সেবার জিতেছিল তৃণমূল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) হারাতে লড়াইয়ের ময়দানে অবতীর্ণ হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এই কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হন সিপিএমের মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ১৯৫৬ ভোটে নন্দীগ্রামে জয়ী হন শুভেন্দু। এর পর গণনা প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের শরণাপন্ন হন পরাজিত মমতা। এই ভোটের প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বামপন্থীদের আবেদন করেছিলেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য ছিল, তৃণমূল জয়লাভ করলে কোনও বিরোধী শক্তিকেই মাথা তুলতে দেবে না। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে বিজেপিকে ভোট দিন বামেরা। শনিবার নন্দীগ্রাম দিবসে বামেদের ধন্যবাদ জানালেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপি ছাড়ুন, নাহলে…’, লস্কর-ই-খালসার হুমকি আরএসএস এবং সেনাকেও

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে ফি বছর ৭ জানুয়ারি দিনটি পালিত হয়ে আসছে নন্দীগ্রাম দিবস হিসেবে। সেই উপলক্ষে এদিন সকালে নন্দীগ্রামে যান তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। পরে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বিজেপির শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, যাঁদের দেখছেন, তাঁরা হালি নেতা। তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনের কোনও সম্পর্কই নেই। ওরা পতাকা টাঙিয়েছে। নীচে ওই শহিদ বেদিটা আমার বানানো। সরকারি জায়গায়, কিন্তু বেদিটা সরকারি টাকায় তৈরি নয়। শুভেন্দু বলেন, ইট-সিমেন্ট-বালি সব আমার দেওয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Kanthi: কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে তলব সিবিআইয়ের! কী জানতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা?

    Kanthi: কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে তলব সিবিআইয়ের! কী জানতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার উল্টো হাওয়া বইতে শুরু করল কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায়। কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে তলব করল সিবিআই। তাঁকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে ঠিক কী কারণে তাঁকে তলব করা হয়েছে, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, কাঁথি পুরসভার ঠিকাদার রামচন্দ্র পান্ডার বয়ানের ভিত্তিতেই অমলেন্দু বিশ্বাসকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই।

    মিথ্যা অভিযোগ

    রামচন্দ্রবাবু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিজেপি নেতাকে ফাঁসানোর জন্য পুলিশ রাম পান্ডাকে গ্রেফতার করে জোর জবরদস্তি মিথ্যে বয়ান লিপিবদ্ধ করতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে জামিন পান ওই ঠিকাদার। পরে তিনি সাংবাদিকদের সামনে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন পুলিশের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর নাম বলার জন্য আমার উপর প্রবল চাপি তৈরি করা হয়। কলকাতা থেকে অফিসাররা এসে টেবিলের উপর রিভলবার রেখে জেরা করেন। বলা হয়, আমি যদি শুভেন্দুবাবুর নাম না বলি তাহলে তিন বছর জেলে ভরে রেখে দেবে।’ এখানেই থামেননি কাঁথির ঠিকাদার রামচন্দ্র পাণ্ডা। তিনি বলেছেন, ‘জেলের ভিতরে আমাকে জল দেওয়া হয়নি। ভয় দেখানো হয়েছিল আমার স্ত্রীকে গ্রেফতার করার। ওরা আগে থেকে একটা বয়ান লিখে এনেছিল। সেখানে জোর করে সই করাতে চাইছিল আমাকে। কিন্তু আমি কোনওভাবেই রাজি হইনি।’ এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তাই মনে করা হচ্ছে, রাম পান্ডার অভিযোগের ভিত্তিতেই কাঁথি থানার আইসিকে তলব করেছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: আরও একমাস জেল হেফাজতে মানিক, আদালতে আত্মসমর্পণ স্ত্রী-পুত্রের

    কে এই অমলেন্দু

    এর আগে, ২০২০ সালে মালদার ইংরেজবাজার থানার আইসি থাকাকালীন ঘুষ নিয়ে বাংলাদেশিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে ক্লোজ করা হয়েছিল এই অমলেন্দু বিশ্বাসকে। ঘটনায় প্রকাশ, মালদা শহরের নেতাজি সুভাস রোড সংলগ্ন একটি ট্রাস্ট বোর্ডের মালিকানায় এক বাংলাদেশির নাম জড়িয়ে পড়ে। সেই ব্যক্তির কাছ থেকে ভারতীয় নাগরিকত্বের পরিচয়পত্রও উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একই সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের ভোটার কার্ড ও অন্যান্য নথি উদ্ধার হয় ওই বাংলাদেশির কাছ থেকে। এমনকী ট্রাস্টের মালিকানাও না কি ছিল ওই ব্যক্তির নামেই। অভিযোগ, ট্রাস্টের অধীনস্থ জমি বিক্রি করে ভারতীয় টাকা সে বাংলাদেশেও নিয়ে গিয়েছিল। ওই ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। কিছুদিন পুলিশি হেফাজতে থাকার পরেই জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় ওই ব্যক্তি। ঘটনায় পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। তদন্তে জানা যায়, ওই বাংলাদেশির কাছ থেকে মোটা টাকা (সূত্রের খবর ১ কোটি ৩০ লক্ষ) ঘুষ নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনায় নাম জড়ায় থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসেরও। যার জেরে কর্তব্যে গাফিলতির কারণে অমলেন্দুকে সেই সময় ক্লোজ করা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share