Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: ভুয়ো জব কার্ড আছে প্রায় চার লক্ষ ৯ হাজার! সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ভুয়ো জব কার্ড আছে প্রায় চার লক্ষ ৯ হাজার! সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল পরিমাণ ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করে একশো দিনের টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য সরকার। এমনই দাবি করলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান,কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে এই বিষয়ে তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়েছেন তিনি ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলাও চলছে, এর পরে তাঁরা এই কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্ত চাইবেন।

    শুভেন্দুর কথা

    শুভেন্দু বলেন, ‘আমরা চাই আধার কার্ডের সঙ্গে একশো শতাংশ সংযোগ থাকা ত্রুটিমুক্ত জব কার্ডের তালিকা প্রস্তুত করে একশো দিনের বকেয়া টাকা রাজ্যকে দেওয়া হোক।’ গত ১ বছর ধরে একশো দিনের কাজে রাজ্যকে অর্থ দেওয়া বন্ধ রেখেছে বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজ্যের। সম্প্রতি, সংসদে এক প্রশ্নের জেরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, একশো দিনের কাজে রাজ্যকে  বকেয়া ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরপরেই গত ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই তারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে রাজ্যকে একশো দিনের কাজে বকেয়া টাকা দেওয়ার আগে,  ভুয়ো জব কার্ড থেকে রাজ্যের ভাঁড়ারে যাওয়া টাকার হিসাব নেওয়ার জন্য দাবি জানান। 

    আরও পড়ুন: ১৪৫৮ পদে নিয়োগ করতে চলেছে সিআরপিএফ, জানুন বিস্তারিত

    শুভেন্দুর অভিযোগ, ভুয়ো জব কার্ড আছে প্রায় চার লক্ষ ৯ হাজার। তৃণমূলের নেতারা ১৮ বছরের নীচে বয়স হওয়া সত্ত্বেও বহু নামে, বেনামে জব কার্ড তৈরি করে সেই কার্ডের ভিত্তিতে টাকা তুলতেন। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নামে জব কার্ড তৈরি করে একশো দিনের টাকা আত্মস্যাৎ করার ঘটনাও সামনে এসেছে। কাজের জন্য ভিন রাজ্যে চলে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিক এমনকী মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বাসিন্দা যিনি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশি, তার নামেও জব কার্ড করে একশো দিনের অর্থ লুঠ করেছে তৃণমূল। এখন, জব কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তি করতে গিয়েই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ছে। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ যাতে বাংলার গ্রামে-গঞ্জে প্রভাব না ফেলতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই কেলেঙ্কারি বা নয়ছয়ের অভিযোগ নিয়ে বিজেপির পাল্টা প্রচার চললেও ‘ন্যায্য বরাদ্দ’ বন্ধ করার রাস্তায় হাঁটতে চায় না কেন্দ্রীয় সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Vande Bharat: ‘আমি আসছি পশ্চিমবঙ্গে’, মোদির বাংলা সফরে কেন এহেন প্রচার বিজেপির জানেন?

    Vande Bharat: ‘আমি আসছি পশ্চিমবঙ্গে’, মোদির বাংলা সফরে কেন এহেন প্রচার বিজেপির জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুক্রবার। এদিন বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর সফরকে ঘিরে সাজো সাজো রব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে হাতিয়ার করতে উদ্যোগী বঙ্গ বিজেপি (BJP)। সেজন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফে। তাতে বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেস এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবির পাশে লেখা ‘আমি আসছি পশ্চিমবঙ্গে’।

    মোদি মানেই…

    কেন এভাবে প্রচার? বিজেপির একটি সূত্রের খবর, মোদি মানেই উন্নয়ন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। নানা কারণে বাংলায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে উন্নয়ন। মোদি যদি মিস্টার ক্লিনের প্রতীক হন, তবে রাজ্য সরকারের গায়ে লেগেছে কেলেঙ্কারির পাঁক। কয়লা ও গরুপাচারকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের এক হেভিওয়েট নেতার। তিনি এখনও বন্দি রয়েছেন জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নাম। বন্দিদশা ঘোঁচেনি তাঁরও। কেন্দ্রীয় সরকারের একশো দিনের প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় টাকা নয়ছয়ের গুরুতর অভিযোগও উঠেছে বঙ্গের তৃণমূল পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যের চলতি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মোদির স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে ক্যাশ করতেই দলের তরফে এহেন উদ্যোগ।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার হাওড়া স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসের। এদিনই উদ্বোধন করবেন জোকা-তারাতলা মেট্রো রেলের। এছাড়া নমামি গঙ্গার বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাসও করবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথের দুপাশে যেসব হোর্ডিং, ফেস্টুন লাগানো হবে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর ছবির পাশেই থাকবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের ছবি।

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বাংলা সফরে তাঁকে কীভাবে স্বাগত জানানো হবে, তা স্থির করতে বুধবার রাতে বৈঠকে বসে বিজেপির বঙ্গ শিবির। বৈঠকে সুকান্ত, শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, অমিত মালব্য প্রমুখ। এই বৈঠকে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, আমি নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীকে প্রণাম জানাতে যাব। তবে কোথায়, সেটা দলই ঠিক করব।

    আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ রুখতে সক্রিয় কেন্দ্র, কলকাতায় জনসভা বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘শীত যেমন দেরিতে পড়ছে তেমনি কেষ্ট দেরিতে হলেও তিহার যাবে’’! কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘শীত যেমন দেরিতে পড়ছে তেমনি কেষ্ট দেরিতে হলেও তিহার যাবে’’! কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের গড় থেকেই তাঁকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত ও তাঁর দলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন,”বীরভূমে আজ এতটা রাস্তা এলাম কোথাও তো ঢাকের আওয়াজ শুনলাম না। উন্নয়নও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম না কেউ গুড়-বাতাসাও দিল না। একবছর আগেও ভাবতে পেরেছিলেন এটা? মিটিং মিছিল করতে দিত না। গাঁজা কেসে জেলে ঢোকাত। আজ দেখুন সেই অনুব্রতর হাল। কেমন লাগছে অনুব্রত বাবু?”

    কী বললেন অনুব্রত

    ডিসেম্বর প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ”আজ ২৭ ডিসেম্বর। ভরসা রাখুন। শীত যেমন একটু দেরিতে পড়ছে তেমনি এই ডাকাতটাও একটু পরে জেলে যাবে। আগে যাবে চড়াম চড়াম অনুব্রত।”তৃণমূলকে ঠোকা দিয়ে তিনি বলেন, ”যদি কেষ্ট মণ্ডলের নিরাপত্তারক্ষী, সামান্য ৩০-৩৫ হাজার টাকা মাইনে পাওয়া লোকের ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি হয়, তাহলে ভাবুন মালিকের কত টাকা? মাছ বিক্রেতা তিহারে যাচ্ছে। তাঁর ভাই ভাইপো আরও অনেকে যাবে পিছনে। আপনারা ব্লিচিং দিয়ে এলাকায় এলাকায় গ্রামে গ্রামে ছোট চোর সাফাই করুন। আমরা বড় চোরদের তিহারে পাঠাব।”

    অনুব্রতর গড়ের হানা দিয়ে শাসক তৃণমূল থেকে বীরভূমের  বেতাজ বাদশার বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানান শুভেন্দু। শুভেন্দুর দাবি, অনুব্রত ব্রিগেডের হাতে নষ্ট হচ্ছে বীরভূমের ভাবমূর্তি। নলহাটির সভায় ঐতিহ্যবাহী বীরভূমের কথাও বলেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি,“আমরা আগে বীরভূমকে বলতাম তারাপীঠ খ্যাত বীরভূম, শান্তিনিকেতন খ্যাত বীরভূম, কবিগুরুর বীরভূম, ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্মস্থান বীরভূম। আর আজকে সেই বীরভূমে জঙ্গলের রাজত্ব দেখা যাচ্ছে। যার নেপথ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।”

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-গড়ে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ কেষ্টর ডেপুটির

    পুলিশকে তোপ

    এদিন নলহাটির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, আসানসোল জেলে বসে অনুব্রত মণ্ডল ফোন করেছেন। যার প্রমাণ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সেই খবর তাঁরাও জানতে পেরেছেন বলেও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। একইসঙ্গে পুলিশকে একহাত নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “পুলিশের কী নগ্ন চেহারা! এবার কোথায় যাবেন পুলিশবাবারা? কোর্ট তো চেপে ধরেছে। পুরনো এফআইআরকে হাতিয়ার করে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। এই মমতাই এই জেলাতেই ১০টা প্রশাসনিক সভাতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জেলাশাসক, এসপিকে, মুখ্যসচিবকে, ডিজিপিকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন কেষ্ট যা বলবে তাই করতে হবে। আর এখন কেষ্টকে এখানে রাখতে চাইছে।” এখানেই না থেমে অনুব্রতর তিহাড় যাত্রা নিয়ে কটাক্ষবাণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এখানে থেকে কচি পাঁঠার ঝোল, অষ্টমীর দিন লুচি আর ছোলার ডাল খাচ্ছে। কিন্তু, তিহাড়ে গেলে এসব জিনিস পাবে না। আর তখন বলবে ১০০ টাকার মধ্যে ৭৫ টাকা আমি কলকাতায় পাঠিয়েছি আর ২৫ চাকা রেখেছি নিজের কাছে। তাই কেষ্টকে দিল্লিতে যেতে দেওয়া হবে না।”

  • Suvendu Adhikari: অনুব্রতর গড়ে শুভেন্দুর সভা! কী বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: অনুব্রতর গড়ে শুভেন্দুর সভা! কী বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের গড় হিসেবে পরিচিত বীরভূমের নলহাটিতে সভা করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবাস যোজনায় দুর্নীতি, ১০০ দিনের কাজে বেনিয়ম-সহ শাসক দলের নেতাদের একাধিক দুর্নীতি ইস্যুকে হাতিয়ার করে নলহাটির হরিপ্রসাদ হাই স্কুল ময়দানে বেলা দুটোয় সভার আয়োজন করেছে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা। ‘অনুব্রতহীন’ বীরভূমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চাপ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

    তৃণমূল ছাড়লেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ

    শুভেন্দুর সভার ঠিক আগে দল ছাড়লেন বীরভূমের অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা বিপ্লব ওঝা। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই নেতা আচমকা দল ছাড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা তুঙ্গে। ২০০৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল যোগ দেন তিনি। সেই সময়ে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। দলবদলের জেরে নলহাটি পুরসভা কংগ্রেস থেকে তৃণমূল হয়ে যায়। ২০১২ সাল পর্যন্ত পুরপ্রধান ছিলেন বিপ্লব। তিনি বলেন, “আমি ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত আছি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আজ থেকে আমি তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করব। আমি রাজনীতির লোক। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে ভালবাসি। কিন্তু দীর্ঘদিন দল আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না।” অন্য দলে যোগ দেবেন কিনা, সেই প্রশ্নে কিছুটা ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবেই বিপ্লব ওঝা বলেন, “রাজনীতি যখন করি তখন অনেক রাস্তা খোলা থাকছে।” এরপরই মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতেই যোগ দিতে চলেছেন বিপ্লব। 

    আরও পড়ুন: ঝটিকা সফরে শুক্রবার শহরে প্রধানমন্ত্রী! বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন মোদি

    একুশের নির্বাচনের পর সব জেলার মতো বীরভূমেও বিজেপির কর্মী–সমর্থকরা বসে গিয়েছেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, অনুব্রতহীন বীরভূমের দখল নিতে মরিয়া বিজেপি। তাই দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে মঙ্গলবার রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখান থেকে শুভেন্দু অধিকারী এখন ঠিক কি বার্তা দেন সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে সবাই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Birbhum: অনুব্রত-গড়ে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ কেষ্টর ডেপুটির

    Birbhum: অনুব্রত-গড়ে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ কেষ্টর ডেপুটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন জেলে। আর অন্যদিকে তাঁরই গড়ে ভাঙন! দল ছাড়লেন তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতা। এদিন সকালেই তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের এই নেতা। আর বিকালেই তাঁকে দেখা গেল বীরভূমের (Birbhum) নলহাটিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভায়। এখানে বলা হচ্ছে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিপ্লব ওঝার কথা। দলের প্রতি ক্ষোভ, অভিমান উগরে দিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন বিপ্লব ওঝা। শুধু তাই নয়, দল ছাড়ার দু-তিন ঘণ্টার মধ্যেই সভার মঞ্চে শুভেন্দুর একটি আসন পরেই বসে থাকতে দেখা গেল বিপ্লব ওঝাকে। আর এই নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।  

    বিজেপির পতাকা তুলে নিলেন তৃণমূলের বিপ্লব ওঝা

    আজ, মঙ্গলবার সকালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিমান ও ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছাড়েন জেলা সহ সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য বিপ্লব ওঝা। আবার এদিনই শুভেন্দু অধিকারীর সভা ছিল বীরভূম (Birbhum) জেলার নলহাটিতে। আর তাঁকে সেখানকার সভাতেই উপস্থিত থাকতে দেখা গেল। এর পরেই বিজেপিতে যোগদানের সমস্ত জল্পনা সত্যি হয়ে গেল।

    এদিন বিপ্লব ওঝা দাবি করেন, গত একবছর ধরে দলের কাছে তিনি ব্রাত্য। দল কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে ডাকে না। তার মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলও জেলে। দলের কাছে তাঁর কোনও দাম নেই। আর এ সবের কারণেই তাঁর দলত্যাগ। তিনি দল ছাড়ার পর বলেন, “এই মুহূর্তে বলতে পারি, তৃণমূলের সংস্পর্শ ত্যাগ করছি। বিগত এক বছর ধরে আমি দেখছি যে তৃণমূল আমার সম্পর্কে একটা অন্য মনোভাব পোষণ করছে। মিটিং, মিছিল কোনও কর্মসূচিতে আমাকে ডাকা হয় না। আমাকে বাদ রেখেই কাজ করছে। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিলাম।”

    বিপ্লবকে স্বাগত জানান শুভেন্দু অধিকারী

    মঙ্গলবার বিকেলে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটিতে শুভেন্দুর সভায় গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন বিপ্লব। শুভেন্দু অধিকারীর একটি আসন পরে একেবারে প্রথমের সারিতে তিনি বসেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে তিনি পতাকা তুলে নেন। তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী।

    কে এই বিপ্লব ওঝা?

    একসময় বীরভূম (Birbhum) জেলা কংগ্রেসের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি ছিলেন বিপ্লব ওঝা। এরপর ২০০৭ সালে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন তিনি। ২০০৯ বীরভূম লোকসভায় তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ শতাব্দী রায় জেতার পরেই ওই সালে প্রথম সমস্ত কাউন্সিলর নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন বিপ্লব ওঝা। গোটা রাজ্যের মধ্যে সেই সময় একমাত্র নলহাটি পুরসভা তৃণমূলের প্রথম দখলে আসে। পরবর্তী সময়ে তিনিই নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন। এরপর নলহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছিল বিপ্লববাবুকে। কিন্তু বামফ্রন্টের কাছে পরাজিত হন তিনি। পরবর্তীকালে তৃণমূলের টিকিটে জেলা পরিষদের সদস্য হন। কিন্তু তাঁকে কোনও পদে রাখা হয়নি। এর পর বছরখানেক ধরে দলে ব্রাত্য করে রাখা হয় বলে জানিয়েছেন বিপ্লববাবু নিজেই। আর এতেই তাঁর এমন সিদ্ধান্ত। 

     
  • Suvendu Adhikari: মমতাকে প্রাক্তন করার দায়িত্ব তাঁর! রানাঘাটের সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মমতাকে প্রাক্তন করার দায়িত্ব তাঁর! রানাঘাটের সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন করার দায়িত্ব তাঁর। শুক্রবার রানাঘাটের সভায় বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এ দিন প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু কড়া হুঁশিয়ারির সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে। এ দিন রানাঘাটের ফ্রেন্ডস ক্লাব ময়দানে সভা করে বিজেপি। সেখানে শুভেন্দু দাবি করেন, “দল একটা দায়িত্ব দিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে হবে। হারিয়েছি। আর একটা কাজ বাকি আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। সে কাজটা আমি করব। আপনাদের নিয়েই করব।”

    অভিষেকের পাল্টা সভা

    শুক্রবার রানাঘাটে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (Abhishek Banerjee) সভা ছিল। পরে একই দিনে সেখানে পাল্টা সভা করেন শিশির পূত্র শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। নদিয়ার মতুয়া গড় রানাঘাটে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ভোট লুঠ করে ২০১৮ সালে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তার জবাব দেওয়ার পালা। এদিন শুভেন্দু বলেন, “বাংলায় দুর্নীতির সরকার চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবাস যোজনার নাম বদলে দুর্নীতি করেছে, একশো দিনের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করেছে। এখন বলছে একশো দিনের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের সরকার। আমি আর আমাদের রাজ্য সভাপতি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছি, যে অবৈধভাবে টাকা নেবে তাঁর টাকা ফেরত নিয়ে ছাড়ব।”

    আরও পড়ুন: হঠাৎ মধ্যরাতে আইনজীবীকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির মেনকা গম্ভীর! কেন?

    আসল চোর

    এদিনও শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মূল নিশানায় ছিলেন মমতা। এ দিন তাঁর বক্তব্য, ‘‘আসল চোর কোথায় বসে আছে? চোদ্দো তলায় (নবান্ন)। টেনে নামাতে হবে।’’ একই সঙ্গে নদিয়ার সভা থেকে দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে অভিষেককে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের বড় ডাকাত, যাঁকে আমি ‘হালি নেতা’ বলি, তিনি যার আলোকে আলোকিত তাকে শুভেন্দু অধিকারী হারিয়েছে। এখানে এসে বলছে, প্রধান চোর?” কাঁথির মতো এখানেও ‘পার্থ-কেষ্ট চুনোপুঁটি, সব খেয়েছে হাওয়াই চটি’ স্লোগান দিয়ে দুর্নীতির জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে শুভেন্দু বলেন, “হাওয়াই চটিকে ধরতে হবে। রানি মৌমাছি নিজে মধু সংগ্রহ করে না। শ্রমিক মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে আর রানি মৌমাছি সেই মধু উপভোগ করে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

  • Bengal BJP: রাজ্যকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার আর্জি সুকান্ত-শুভেন্দুর! আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Bengal BJP: রাজ্যকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার আর্জি সুকান্ত-শুভেন্দুর! আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গকে বরাদ্দ টাকা দ্রুত দিয়ে দেওয়া হবে, এমনই আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তবে তার দিনক্ষণ জানাননি তিনি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যকে শীঘ্র ১০০ দিনের কাজের  টাকা দেওয়ার আবেদন জানান  বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ১০০ দিনের কাজে  টাকা দেওয়ার আবেদন 

    এর আগে, দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের ব্যাখ্যা না দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গকে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যদিও তা নিয়ে রাজ্যের শাসক দল মিথ্যা প্রচার করছিল। বলা হচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে কেন্দ্র। এর জবাব দিতেই একশো দিনের কাজের টাকা অবিলম্বে রাজ্যকে দেওয়ার জন্য গিরিরাজের কাছে দরবার করেন রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির দুই নেতা। বৈঠকে ওই প্রকল্পের টাকা দ্রুত ছাড়া হবে বলে আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এছাড়াও গিরিরাজ আশ্বাস দেন এত দিন ভুয়ো জব কার্ড দেখিয়ে যাঁরা টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং যে সব সরকারি কর্মীর সহায়তায় ওই ভুয়ো কার্ড বানানো হয়েছে, সেই সরকারি কর্মী ও উপভোক্তাদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈঠকের পরে সুকান্ত জানান, ওই টাকা কাদের পাঠানো হত, এখন পর্যন্ত কত টাকার নয়ছয় হয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখার জন্য মন্ত্রকের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন গিরিরাজ। 

    আরও পড়ুন: শাহী সাক্ষাতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ, তুলে ধরলের তাঁর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা

    আবাস যোজনায় দুর্নীতি

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অনেক পাকা বাড়ির মালিককেও গৃহহীন দেখানো হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে অভিযোগ জানান সুকান্ত ও শুভেন্দু। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘কী ভাবে তৃণমূলের নির্দেশে দুর্নীতি হয়েছে তা আমরা মন্ত্রীকে জানিয়েছি। সব শুনে তিনি জানিয়েছেন, এই দুর্নীতিতে যুক্ত সরকারি অফিসার, কর্মীদের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হবে।’’ অভিযোগ, আবাস যোজনার তালিকায় প্রকৃত প্রাপকদের নাম নেই। তার বদলে পাকা বাড়ি রয়েছে এমন তৃণমূল নেতা এবং তাঁদের আত্মীয়দের নাম আছে। এ নিয়ে গিরিরাজকে লিখিত ভাবেও কিছু তথ্য সুকান্তরা তুলে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter 

     

  • Modi-Suvendu Meet: “ক্যায়সে হো আপ?” শুভেন্দুর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী?

    Modi-Suvendu Meet: “ক্যায়সে হো আপ?” শুভেন্দুর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিমন্ত্রণে দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Modi-Suvendu Meet)। সফরের মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয় বিরোধী দলনেতার। মঙ্গলবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে দেখা হয় দুজনের। দেখা হতেই শুভেন্দুর কুশল জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। জিজ্ঞেস করেন, “ক্যায়সে হো আপ?”

    শুভেন্দুর দিল্লি সফর 

    এই দিল্লি সফরে বিজেপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক ছিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের (Modi-Suvendu Meet)। সংসদের সেন্ট্রাল হলে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি হন শুভেন্দু। জানা যায়, শুভেন্দুকে দেখেই কথা বলতে এগিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী। জানতে চান, কেমন আছেন তিনি। প্রায় তিন মিনিট ধরে কথা বলেন দুজন। কী বিষয়ে দুজনের কথা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কেই প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন শুভেন্দু। আবার অনেকেই মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীও রাজ্যের খোঁজখবর নিতে পারেন। শাহী আমন্ত্রণে শুভেন্দুর দিল্লি যাওয়া স্বার্থক হয়েছে।

    আরও পড়ুন: পয়গম্বর মন্তব্যের বদলা নিতে অমরাবতীর কেমিস্ট খুন করেছে তাবলিঘি জামাত, চার্জশিটে দাবি এনআইএ- র  

    উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তলবে আপাতত দিল্লিতে রয়েছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা (Modi-Suvendu Meet)। সোমবার রাতে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের বাসভবনে বাংলার সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় বিজেপি। এদিন সংসদ ভবনে অমিত শাহর সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট একান্তে বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা সহ আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে। বৈঠক শেষে তিনি ‘১৯৫৬ বুকলেট’-ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এরপর পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন শুভেন্দু। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter 

     
     

     

     

  • Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রীকে কাঁথি লোকসভা উপহার দেবেন, সভার আগে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রীকে কাঁথি লোকসভা উপহার দেবেন, সভার আগে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মানুষের সামনে তুলে ধরবেন আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ-সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি, সন্ত্রাস, খুন, তোলাবাজির কথা। এমনটাই দাবি করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। কাঁথি রেল স্টেশনে হবে এই সভা।  

    মঙ্গলবারই দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরেছেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের মাটিতে পা রেখেই বিজেপি সমর্থকদের জন্যে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন ২ লক্ষের বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে জিতিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কাঁথি লোকসভা উপহার দেবেন। দুদিনের দিল্লি সফরে শুভেন্দু দেখা করেছেন স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং- এর সঙ্গে। দিল্লি সফর ও অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে বিভিন্ন কেস দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে সেটা দেশের সকলের জানা উচিত, সেই ব্যবস্থা করতেই গিয়েছিলেন। দিল্লিতেই  দেখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। হয়েছে সৌজন্য বিনিময়ও। তাই এবার দিল্লি থেকে ফিরেই চার্জড আপ শুভেন্দু। 

    কী চমক থাকবে সভায়? 

    আজ সভাতেই দেখা যাবে তার ঝলক। রাজনৈতিকমহলের দাবি, এই সভা থেকে ফের একবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করবেন তিনি। ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ এই কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির কাছেই সভা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই একই দিনে ডায়মন্ড হারবারে সভা ছিল শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু-সহ গোটা অধিকারী পরিবারকে নিশানা করে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ৷ আর আজ জবাব দেওয়ার দিন। নিজের গড়ে দাঁড়িয়ে অভিষেককে জবাব দেবেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর দাবি, তৃণমূলের শত চেষ্টা সত্ত্বেও বিজেপির এদিনের সভা সফল হবে। 

    এদিকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ডিসেম্বর রহস্য নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে ক্রমাগত খোঁচা দিয়ে চলেছে ঘাসফুল শিবির। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই ডিসেম্বর মাসে রাজ্যে বড় কিছু ঘটার দাবি করে আসছিল পদ্ম শিবির। ডিসেম্বর মাস যত এগিয়ে আসে, তত বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারি নিয়ে জল্পনা বাড়ে রাজ্য রাজনীতিতে। ডিসেম্বর মাসের শুরুতে শুভেন্দু অধিকারীর তরফে একেবারে তিনটি তারিখ ঘোষণায় শোরগোল পড়ে যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘‘ডিসেম্বরের ১২, ১৪, ২১… তিনটে দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ।’’ আজ ডেডলাইনের তৃতীয় দিন। আজ ২১ ডিসেম্বর। শুভেন্দু অধিকারীর দেওয়া ডেডলাইনের তৃতীয় দিন।

    আরও পড়ুন: ‘ডাকাতকে বাঁচাতে সরকার যা করছে, তাতে বিপদ বাড়ছে’ অনুব্রত প্রসঙ্গে শুভেন্দু 

    যদিও, মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী সাফ জানালেন, ‘‘আমি যে তিনটি দিনের কথা উল্লেখ করেছিলাম তাতে আমি একবারও বলিনি যে সরকার পড়ে যাবে। তবে অপেক্ষা করুন সব হবে। প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।  দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তরাও কেউই  ছাড় পাবে না।’’ আজ কাঁথির সভা থেকে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) কোন বার্তা দেন, সেখান থেকে তিনি কী খোলসা করেন, সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Bengal BJP: সকলকে নিয়ে কাজ করার পরামর্শ নাড্ডার! বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের সাংসদদের

    Bengal BJP: সকলকে নিয়ে কাজ করার পরামর্শ নাড্ডার! বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের সাংসদদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন, তারপর ২০২৪ লোকসভা ভোট। এই দুই নির্বাচনে ভাল ফল করার লক্ষ্যে সোমবার দিল্লিতে রাজ্য বিজেপির সব সাংসদদের ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সোমবার রাতের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, শান্তনু ঠাকুর-সহ উপস্থিত ছিলেন বাংলার সব সাংসদেরা।  বিজেপি সূত্রে খবর, দলগতভাবে গেরুয়া শিবির রাজ্যে কোন পথে এগোবে, সেই নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তী ভোটগুলোয় যাতে বিজেপি ভাল ফল করতে পারে, তার দিকে লক্ষ্য রেখেই আলোচনা হয়।

    বৈঠকে শুভেন্দুর দাবি

    রাজ্যের বহু নেতার উপরে অনেক মামলার চাপ রয়েছে। ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক সংঘর্ষের মামলায় জড়িয়েছেন জেলা স্তরের নেতা থেকে বুথকর্মীরা। সে সব মামলা লড়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাহায্য চেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি সূত্রে খবর, দিল্লিতে দলের এ রাজ্যের সাংসদদের বৈঠকে হাজির হয়ে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে এমনটাই দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু। সংসদে অধিবেশন চলায় এখন বাংলার বিজেপি সাংসদেরা সকলেই দিল্লিতে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের বাড়িতে হওয়া ওই বৈঠকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষের থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি বলেই জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আজ শাহী দরবারে শুভেন্দু, সুকান্তরা! দেখা হতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গেও

    নাড্ডার পরামর্শ

    দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারাও। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশল ছাড়াও ছিলেন এই রাজ্যের পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে এবং দুই সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য এবং আশা লকড়া। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কেমন প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে জানান। কী কী সমস্যার মুখে দলকে পড়তে হচ্ছে, তা নিয়ে কথা বলেন দিলীপ ঘোষ-সহ অন্য সাংসদেরাও। সকলের কথাই মন দিয়ে শুনেছেন নাড্ডা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে রাজ্য বিজেপিকে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। সব বিরোধ মিটিয়ে সকলকে নিয়ে কাজ করার পরামর্শও দেন। যেখানে যত বিক্ষুব্ধ নেতা রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং ক্ষোভের কারণ জানারও পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। একইসঙ্গে বলেছেন, পরিষদীয় দল তথা বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে কাজ করতে হবে। নিয়মিত ভাবে বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক এবং সাংসদদের একসঙ্গে বসার উপরেও জোর দিয়েছেন নাড্ডা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share