Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দিতে বলেছিল পুলিশ! বিস্ফোরক অভিযোগ রামচন্দ্র পান্ডার

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দিতে বলেছিল পুলিশ! বিস্ফোরক অভিযোগ রামচন্দ্র পান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতিতে (Contai Municipality Tender Scam) অভিযুক্ত ঠিকাদার রামচন্দ্র পণ্ডা। গ্রেফতারের পর পুলিশ নাকি তাঁকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বয়ান দিতে হুমকি দিয়েছিল। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কাঁথি পুরসভার ঠিকাদার রামচন্দ্র পান্ডার আরও অভিযোগ টেবিলে রিভলভার রেখে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে (Suvendu Adhikari) বয়ান দিতে জোর করেছিল পুলিশ। কিছু না বললে পরপর মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

    রামচন্দ্রকে গ্রেফতার

    গত ২৮ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল রামচন্দ্র পাণ্ডাকে। দারুয়া ফ্রেন্ডস সমবায় সমিতির সভাপতি কাকলি পাণ্ডার অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ গ্রেফতার করেছিল রামচন্দ্রকে। তাঁর আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জামিন চাওয়ার পাশাপাশি অভিযোগ করেন, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস কাকলি পাণ্ডার উপর চাপ তৈরি করে মিথ্যে অভিযোগ করতে বাধ্য করে। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় রামচন্দ্রকে। তাঁর গ্রেফতার নিয়ে ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। জামিনও মিলেছে কাঁথি (Kanthi) পুরসভার ঠিকাদার তথা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পাণ্ডার (Ramchandra Panda)। 

    মিথ্যা অভিযোগ 

    গত বুধবার সশরীরে কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হন কাকলি পাণ্ডা। তিনি বলেন, কেউ বা কারা তাঁকে জোর করে একটা কাগজে সই করিয়ে নেয়। তারপর থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করে। এরপরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে রামচন্দ্র পাণ্ডার জামিন মঞ্জুর করা হয়। এখানেই থামেনি আদালত। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ বলে, রামচন্দ্র পাণ্ডা ও কাকলি পাণ্ডাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিয়ে রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন: এবার ‘ভুয়ো’ এফআইআর! কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী বললেন রামচন্দ্র

    জামিন পাওয়ার পরই  রামচন্দ্র পণ্ডা বলেন, তদন্তে বসিয়ে বাজে প্রশ্ন করা হয়। শুভেন্দু অধিকারীর টাকা কোথায় তা জানতে চাওয়া হয়। রীতিমতো থ্রেট করে কাঁথি থানার আইসি বলেন,নবান্ন থেকে বড় অফিসাররা এসেছেন। সেই তিনজন অফিসার এসে বসে টেবিলে রিভলভার রাখেন, রিভলভার দেখিয়ে বলা হয় টাকা কোথায় না বললে ৮৭ টা কেস দেওয়া হবে। ৮৭ টা কেসে ৭ দিন করে জেল খাটানো হবে বলেও শাঁসানো হয়েছে। এরকম কিছু ঘটেনি, অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি করেন কাঁথির এসডিপিও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TMC: শুভেন্দুর দাবিতেই শিলমোহর তৃণমূল বিধায়কের! দল ‘কোম্পানি’, মমতা ‘ব্র্যান্ড’, বললেন গৌতমও

    TMC: শুভেন্দুর দাবিতেই শিলমোহর তৃণমূল বিধায়কের! দল ‘কোম্পানি’, মমতা ‘ব্র্যান্ড’, বললেন গৌতমও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবিতেই শিলমোহর দিলেন তৃণমূলের (TMC) বিধায়ক! তৃণমূলকে তিনি কোম্পানি বলে অভিহিত করলেন। তিনি এও জানালেন, এই কোম্পানির ব্র্যান্ড স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিজের দলকে কোম্পানি এবং দলের জন প্রতিনিধিদের মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক তৃণমূলের গৌতম চৌধুরী। গৌতমের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে শাসক দলকে নিশানা করতে শুরু করেছে বিজেপি।

    শুভেন্দু অধিকারী…

    ২০২০ সালে ভাবাদর্শ বদলের জেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পর থেকেই তৃণমূলকে তিনি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে কটাক্ষ করে আসছেন। বৃহস্পতিবার হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের দক্ষিণ ঝাঁপড়দহে দলের এক কর্মিসভায়ও তিনি ফের বলেন, তৃণমূল একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। ওই কোম্পানির মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ভাইপো ম্যানেজিং ডিরেক্টর।

    শুক্রবার হাওড়ায়ই দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন গৌতম। ওই বৈঠকে শুভেন্দুর সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনিও বলেন, তৃণমূল একটা কোম্পানি। এর পরেই গৌতমের সংযোজন, যার ব্র্যান্ড হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা কেউ কিছু নই। আমরা জন প্রতিনিধিরা একটা ওষুধ কোম্পানির মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের মতো। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সব।

    আরও পড়ুুন: ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়’, কেন একথা বললেন বিজেপি নেতা?

    গৌতমের মন্তব্যের জেরে অস্বস্তিতে তৃণমূল (TMC)। গৌতমকে ইতিমধ্যেই দল সতর্ক করেছে বলে জানান হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। তিনি বলেন, গৌতম চৌধুরীর সঙ্গে রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের এ বিষয়ে কথা হয়েছে। উনি জানিয়েছেন, ভুলবশত এই মন্তব্য করেছেন। গৌতমের মন্তব্যকেই হাতিয়ার করেছে বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, সত্যি কথাটাই উনি বলে ফেলেছেন। ওই দলে যাঁরা রয়েছেন, সকলেই বসের কথা শুনে কাজ করেন। তিনি বলেন, তৃণমূল দল গণতন্ত্র মানে না। ওই দলে গণতন্ত্র নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jalpaiguri: মায়ের মৃতদেহ কাঁধে ছেলে, ‘মমতাকে ক্ষমা চাওয়া উচিত’, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    Jalpaiguri: মায়ের মৃতদেহ কাঁধে ছেলে, ‘মমতাকে ক্ষমা চাওয়া উচিত’, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক! মায়ের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে চলছে ছেলে। পাশে বৃদ্ধ বাবা। অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাড়া দিতে না পারায় এই পরিস্থিতি। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির। বৃহস্পতিবার এমন ঘটনায় লজ্জায় মাথা হেঁট বাংলার। শিউরে উঠেছে রাজ্যবাসী। এই নিয়ে নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র। পাশাপাশি শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি বাংলার স্বাস্থ্যমন্ত্রীও, তাঁর দিকে আঙুল তুলছেন বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “২০০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা স্বীকার করা উচিত। লজ্জা রাখার জায়গা নেই।”

    মায়ের দেহ কাঁধে তুলেই রওনা দিলেন ছেলে

    জলপাইগুড়ির ক্রান্তি এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা লক্ষ্মীরানি দেওয়ান। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতার ছেলের দাবি, জলপাইগুড়ির হাসপাতাল থেকে ক্রান্তির দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। মৃতার ছেলের দাবি, মায়ের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ করেছিলেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স চালক ৩০০০ টাকা দাবি করে। কিন্তু ওই টাকা দেওয়ার মত ক্ষমতা ছিল না তাঁদের। সে কারণে কাঁধে করেই দেহ নিয়ে হেঁটে বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাবা ও ছেলে। যদিও পরে তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাঁরা অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে লক্ষ্মীরানির মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেন।

    আরও পড়ুন: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    এই ঘটনার পরেই বিরোধীরা সরব হয়েছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলা হয়েছে, যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ২০০ শতাংশ কাজ করে দিয়েছেন বলে দাবি করেন, সেখানে এমন ঘটনা গ্রাম বাংলার দুর্দশার ছবিই প্রকট ভাবে তুলে ধরছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, “অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ঘটনা। সকালেই দেখেছি আমি। ২০০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা স্বীকার করা উচিত। লজ্জা রাখার জায়গা নেই।”

    বিরোধীদের আরও বক্তব্য

    শুভেন্দুর পাশাপাশি এদিন রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেসও। সিপিএম থেকে বলা হয়েছে, “জলপাইগুড়ি থেকে যে ছবি উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। কোথায় প্রশাসন, কোথায় কী! টাকা দিতে পারেনি বলে মায়ের দেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে হবে বাংলায়! সরকারি হাসপাতালের কী মর্মান্তিক, বীভৎস চেহারা!”  কংগ্রেস থেকে বলা হয়েছে, “সব হাসপাতালে এই কারচুপি রয়েছে। রক্ত নিয়ে, অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নিয়ে, ওষুধ নিয়ে দুর্নীতি চলছে দেদার।”

  • Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে  ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের সভা থেকে এই হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছোট ডাকাতকে আপনারা উপড়ে নেবেন তো? এদিন রাজ্য সরকারকেও একহাত নিয়েছেন শুভন্দু। তিনি বলেন, চোরদের গ্রাম থেকে তাড়াতে হবে, রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে। আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগেও এদিন সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, যাঁরা ঘর পাননি, তাঁদের একজোট করুন, জনস্বার্থ মামলা করব। এক সপ্তাহের মধ্যে তালিকা তৈরি করতে হবে, টাকা ফেরত করাবই।

    শুভেন্দু বলেন…

    নানা দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্য সরকার। রাজ্যে কয়লা পাচার, গরু পাচার মামলার তদন্ত করছে সিবিআই, ইডি। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল  (Anubrata Mondal)। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। এহেন আবহে এদিন শুভেন্দু বলেন, এই চোরদের সাফাই  করতে হবে। বড় চোর-ডাকাতটাকে ডিসেম্বরে পারিনি, এর মধ্যে ধরব। বড় ডাকাতটাকে আমরা তুলব। ছোটগুলোকে আপনারা উপড়াবেন তো? সব গ্রাম রেডি তো? নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন (Suvendu Adhikari), সব গ্রাম থেকে চোরেদের তাড়াতে হবে। চোরদের তাড়াতে হবে। চোরদের তাড়িয়ে পশ্চিমবাংলায় রাষ্ট্রবাদী সরকার, ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘মুকুল রায় বিরোধী দলনেতা হোন, চেয়েছিলেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গ আবাস যোজনায় স্টিকার মেরে দিয়েছে। আশাকর্মীর ইজ্জত লুঠ করেছে তৃণমূল গুন্ডা শাহজাহানের বাহিনী। টাকা অনেকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। আমরা জনস্বার্থ মামলা করব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বঞ্চিতদের একজোট করুন। আইন হাতে না তুলে এগোতে হবে। যাতে পশ্চিমবঙ্গের ছাদহীন মানুষ এই সুবিধা পান। তৃণমূলের বড়লোক গীতাঞ্জলি, ইন্দিরা আবাস পেয়েছেন। চাকরি করেন, অর্থনৈতিকভাবে উন্নত এমন তালিকা তৈরি করুন। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikar) অভিযোগ, ৪ লক্ষ ৯ হাজার ভুয়ো জবকার্ড হয়েছে। আমি কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে মামলা করেছি। শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ডবল ইঞ্জিন সরকার করতে হবে। সামনে পঞ্চায়েত, ২৪ এ লোকসভা। আমরা কাঁথি, তমলুক মোদিজিকে উপহার দেব। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি আমরা খতম করবই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Sukanta Majumdar: ‘এমন ঘটনা ঘটলে রেলমন্ত্রক হয়তো অন্য কিছু ভাববে’, বন্দে ভারতে পাথর প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘এমন ঘটনা ঘটলে রেলমন্ত্রক হয়তো অন্য কিছু ভাববে’, বন্দে ভারতে পাথর প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে আরও দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) আসার কথা। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটলে রেলমন্ত্রক হয়তো অন্য কিছু ভাববে। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি বিজেপির (Sukanta Majumdar) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সুকান্ত এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপিরই শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বেরিয়ে এদিন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেন সুকান্ত।

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেস…

    মালদহের কুমারগঞ্জে ও নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। পাথরের ঘায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রেনটি। এদিন সেই প্রসঙ্গেই তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত  (Sukanta Majumdar) বলেন, সিএএ আইন বিরোধী আন্দোলনের সময় দেখা গিয়েছিল, এনআরসির ভয় দেখিয়ে ট্রেনে-ট্রেনে হামলা হয়েছিল। এখন বন্দে ভারতের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠার প্রতিশোধ নিতে এই ঢিল ছোড়া হচ্ছে না তো? এরপরেই সুকান্ত বলেন, আরও দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন পাওয়ার কথা  ছিল বাংলার। সারা দেশে মোট ৪৭৫টি বন্দে ভারত চলার কথা। তিনি বলেন, কিন্তু এরকমভাবে এত সুন্দর একটা ট্রেন যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন রেলও হয়তো এ ব্যাপারে ভাববে।

    আরও পড়ুুন: নতুন বছরে রেলমন্ত্রকের উপহার পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন ট্রেন

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, বিজেপি বিধায়ক বা সাংসদরা যেখানে আছেন সেখানকার প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাচ্ছে রাজ্য সরকার। পুলিশের এসপি কে হবেন, তাও ঠিক হয় ১৪তলা থেকে। এমন কী থানার ওসি কে হবেন, সেটাও ফিররহাদবাবুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন। তাই ঢিল উপযুক্ত জায়গায় মারুন।

    রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার কারণ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এ রাজ্যের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি আবাস যোজনা থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনে যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, তা জানিয়েছি। সঙ্গে এও বলেছি, এলাকার বিডিওরা নিপীড়িত বঞ্চিত মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন।  তাঁদের ঘেরাও করা হচ্ছে। এই সব কিছুই তাঁর সামনে তুলে ধরেছি। সুকান্ত  (Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দীর্ঘ সময় প্রশাসনিক পদে আসীন ছিলেন। ফলত তিনি জানেন, রাজ্যের ঠিক কোথায় কী ঘটছে। বোমাচার থেকে শুরু করে গণধর্ষণ সমস্ত বিষয়ে নজর রাখছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

      

  • Suvendu Adhikari: কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও হাইকোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও হাইকোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগের পাঁচটি মামলার মতোই কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ‘রক্ষাকবচ’ আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আগামী ৫ জানুয়ারি টেন্ডার দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি।

    শুভেন্দুর আইনজীবী যা বললেন 

    এদিন মামলার শুনানিতে শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, গত ২৮ নভেম্বর তাঁর মক্কেলের পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছিল। অথচ ২৮ নভেম্বর নতুন মামলা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। আইনজীবীর অভিযোগ, সেই তথ্য রাজ্য সরকার গোপন করেছে আদালতে। উল্লেখ্য, তাঁর বিরুদ্ধে মোট ২৬টি এফআইআর রয়েছে বিভিন্ন থানায়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। আদালতে বিরোধী দলনেতার আইনজীবী জানান, এই সমস্ত মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুভেন্দুবাবুর প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনও মামলারই কোনও ভিত্তি নেই। অকারণে হেনস্থা করতে পুলিশকে ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল ও রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুুন: ‘নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ’, জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    শুভেন্দু মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ ছিল, শুভেন্দু অধিকারী একটা সময়ে তৃণমূলে ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিরোধী দলেনতা। মানুষের ভোটে নির্বাচিত। ফলে পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে বিরোধী দলনেতার কাজ স্তব্ধ করার চেষ্টাও করতে পারে। এই ইস্যুতে ২৬টি এফআইআরেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। স্পষ্ট বলা হয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন করে আরও কোনও এফআইআর করা যাবে না।  এরপরেও তাঁর নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দুর আইনজীবী। যদিও এব্যাপারে নিজের বক্তব্য এদিন জানায়নি রাজ্য সরকার। আগামী ৫ জানুয়ারি মামলাটির শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ রাখবেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘মুকুল রায় বিরোধী দলনেতা হোন, চেয়েছিলেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মুকুল রায় বিরোধী দলনেতা হোন, চেয়েছিলেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বোমা ফাটালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবারও তিনি নিশানা করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের (TMC) সর্বময় কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে  (Mamata Banerjee)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পান মুকুল রায়। তিনি বলেন, এ বিষয়ে জগদীপ ধনখড়কে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধও করেছিলেন মমতা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, ধনখড় নিজেই একথা জানিয়েছিলেন তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের আগেই এই অনুরোধ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী।

    শুভেন্দু উবাচ…

    সোমবার হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় এক জনসভায় যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। ওই সভার পরে সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, আমি একটি অকথিত তথ্য বলব। এর পরেই বোমা ফাটান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, উনি(মুখ্যমন্ত্রী) তৎকালীন রাজ্যপাল মহোদয়, বর্তমানে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে বলেছিলেন যে আপনি দিল্লিকে বোঝান। মুকুল রায়কে বিরোধী দলনেতা করতে বলুন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর ৫ মে শপথ নেন মমতা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, ৩ মে তিনি (মমতা) রাজভবনে গিয়ে ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই ধনখড়কে একথা বলেন মমতা। শুভেন্দুর আরও দাবি, তিনি বেরিয়ে আসার পরে আমি ও তৎকালীন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন, যিনি এখন আমাদের দলে নেই, তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে যাই। রাজ্যপাল বললেন, অনেক কথার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা অনুরোধ করে গিয়েছেন-যাতে মুকুল রায়কে বিরোধী দলনেতা করা হয়। সেটা বিজেপি করেনি।

    আরও পড়ুুন: ‘নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ’, জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, তাই ওঁর (মমতার) অব্যক্ত ব্যথা, বেদনা এবং চুরি আটকে যাওয়ায় মানসিক অবসাদ প্রকাশ করেছেন নজরুল মঞ্চ থেকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা করতে পারেননি বলেই এত রাগান্বিত বিজেপির প্রতি। তিনি পরবর্তী সময়ে মুকুল রায়কে দলে নিয়ে অন্য খেলা খেলতে চেয়েছিলেন। তাঁকে পিএসি চেয়ারম্যান করেছিলেন। কিন্তু আমি তা হতে দিইনি। তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগে তৎপর হয়েছি আমি।  

    প্রসঙ্গত, বিজেপির টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জয়ী হন মুকুল রায়। তার পর এক মাস কাটতে না কাটতেই তৃণমূলে ফিরেছিলেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচন পর্বেও মুকুলের প্রতি নমনীয় ছিলেন তৃণমূল নেত্রী। শুভেন্দুকে নিশানা করতে নানা সভায় মুকুলের সঙ্গে তাঁর তুলনাও টেনেছিলেন তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

      

     

  • Suvendu Adhikari: ‘নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ’, জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ’, জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ উদ্বোধন হল বাংলার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়েও শুরু হল বিতর্ক। হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারতের (Vande Bharat Express) উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সামনে বিজেপির একাংশের জয় শ্রীরাম (Jay Sree Ram) স্লোগান ঘিরে জোর বিতর্ক চলছে। এই স্লোগানের জেরে মঞ্চেই উঠলেন না মুখ্যমন্ত্রী। ফলে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করেই চলছে জোর রাজনৈতিক তরজা। আর এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী নাকি বিরোধী দলনেতাকে স্বীকার করেন না। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, “নিম্নমানের, নিম্নরুচির এক রাজনীতিবিদ।”

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কী ঘটেছিল?

    শুক্রবার নাটকীয়তায় ভরপুর ছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী মঞ্চ। এদিন প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। এছাড়া সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মন্ত্রী নিশীথ অধিকারী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এর পর দর্শকদের একাংশ জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শুরু করেন। এর পর বিরক্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চেই ওঠেননি। পুরো সময়টাই গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। হাতজোড় করে তাঁকে মঞ্চে ওঠার অনুরোধ জানান রেলমন্ত্রী স্বয়ং। তার পরেও পুরো অনুষ্ঠান পর্ব মমতা বসে রইলেন মঞ্চের পাশের একটি চেয়ারে। রাজ্যপালের অনুরোধে অবশ্য বক্তব্য রাখতে রাজি হন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়েই ভাষণ দেন তিনি। সেখান থেকেই সবুজ পতাকা নেড়ে সূচনা করেন বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসের যাত্রার।

    কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন শুভেন্দু

    সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অযথাই মনে করেছেন তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে। মমতা আসলে শুভেন্দুর সঙ্গে একই মঞ্চে বসতে চাননি বলেই মনে করছেন তিনি। একই সুর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও। এর পর শুভেন্দু ক্ষোভ উগরে বলেন, “নিম্নমানের, নিম্নরুচির এক রাজনীতিবিদ। দুর্ভাগ্যবশত যাঁকে আমি সহ ৪০ হাজার লোক খেটে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলাম। ওনাকে আমি প্রাক্তন করেই ছাড়ব। একরম ঘটনা আরও হবে, যেটা ওনাকে পরে ঘরে বসে দেখতে হবে। একইরকম ভাবে ড্রামা আগেও করেছিলেন। আসলে নন্দীগ্রামে আমার কাছে হারটা ভুলতে পারেননি। যতদিন রাজনীতি করবেন এই হারটা মাথায় নিয়েই থাকতে হবে।”

  • Suvendu Adhikari: ভুয়ো জব কার্ড আছে প্রায় চার লক্ষ ৯ হাজার! সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ভুয়ো জব কার্ড আছে প্রায় চার লক্ষ ৯ হাজার! সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল পরিমাণ ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করে একশো দিনের টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য সরকার। এমনই দাবি করলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান,কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে এই বিষয়ে তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়েছেন তিনি ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলাও চলছে, এর পরে তাঁরা এই কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্ত চাইবেন।

    শুভেন্দুর কথা

    শুভেন্দু বলেন, ‘আমরা চাই আধার কার্ডের সঙ্গে একশো শতাংশ সংযোগ থাকা ত্রুটিমুক্ত জব কার্ডের তালিকা প্রস্তুত করে একশো দিনের বকেয়া টাকা রাজ্যকে দেওয়া হোক।’ গত ১ বছর ধরে একশো দিনের কাজে রাজ্যকে অর্থ দেওয়া বন্ধ রেখেছে বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজ্যের। সম্প্রতি, সংসদে এক প্রশ্নের জেরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, একশো দিনের কাজে রাজ্যকে  বকেয়া ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরপরেই গত ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই তারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে রাজ্যকে একশো দিনের কাজে বকেয়া টাকা দেওয়ার আগে,  ভুয়ো জব কার্ড থেকে রাজ্যের ভাঁড়ারে যাওয়া টাকার হিসাব নেওয়ার জন্য দাবি জানান। 

    আরও পড়ুন: ১৪৫৮ পদে নিয়োগ করতে চলেছে সিআরপিএফ, জানুন বিস্তারিত

    শুভেন্দুর অভিযোগ, ভুয়ো জব কার্ড আছে প্রায় চার লক্ষ ৯ হাজার। তৃণমূলের নেতারা ১৮ বছরের নীচে বয়স হওয়া সত্ত্বেও বহু নামে, বেনামে জব কার্ড তৈরি করে সেই কার্ডের ভিত্তিতে টাকা তুলতেন। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নামে জব কার্ড তৈরি করে একশো দিনের টাকা আত্মস্যাৎ করার ঘটনাও সামনে এসেছে। কাজের জন্য ভিন রাজ্যে চলে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিক এমনকী মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বাসিন্দা যিনি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশি, তার নামেও জব কার্ড করে একশো দিনের অর্থ লুঠ করেছে তৃণমূল। এখন, জব কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তি করতে গিয়েই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ছে। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ যাতে বাংলার গ্রামে-গঞ্জে প্রভাব না ফেলতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই কেলেঙ্কারি বা নয়ছয়ের অভিযোগ নিয়ে বিজেপির পাল্টা প্রচার চললেও ‘ন্যায্য বরাদ্দ’ বন্ধ করার রাস্তায় হাঁটতে চায় না কেন্দ্রীয় সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Vande Bharat: ‘আমি আসছি পশ্চিমবঙ্গে’, মোদির বাংলা সফরে কেন এহেন প্রচার বিজেপির জানেন?

    Vande Bharat: ‘আমি আসছি পশ্চিমবঙ্গে’, মোদির বাংলা সফরে কেন এহেন প্রচার বিজেপির জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুক্রবার। এদিন বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর সফরকে ঘিরে সাজো সাজো রব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে হাতিয়ার করতে উদ্যোগী বঙ্গ বিজেপি (BJP)। সেজন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফে। তাতে বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেস এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবির পাশে লেখা ‘আমি আসছি পশ্চিমবঙ্গে’।

    মোদি মানেই…

    কেন এভাবে প্রচার? বিজেপির একটি সূত্রের খবর, মোদি মানেই উন্নয়ন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। নানা কারণে বাংলায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে উন্নয়ন। মোদি যদি মিস্টার ক্লিনের প্রতীক হন, তবে রাজ্য সরকারের গায়ে লেগেছে কেলেঙ্কারির পাঁক। কয়লা ও গরুপাচারকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের এক হেভিওয়েট নেতার। তিনি এখনও বন্দি রয়েছেন জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নাম। বন্দিদশা ঘোঁচেনি তাঁরও। কেন্দ্রীয় সরকারের একশো দিনের প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় টাকা নয়ছয়ের গুরুতর অভিযোগও উঠেছে বঙ্গের তৃণমূল পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যের চলতি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মোদির স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে ক্যাশ করতেই দলের তরফে এহেন উদ্যোগ।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার হাওড়া স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসের। এদিনই উদ্বোধন করবেন জোকা-তারাতলা মেট্রো রেলের। এছাড়া নমামি গঙ্গার বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাসও করবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথের দুপাশে যেসব হোর্ডিং, ফেস্টুন লাগানো হবে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর ছবির পাশেই থাকবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের ছবি।

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বাংলা সফরে তাঁকে কীভাবে স্বাগত জানানো হবে, তা স্থির করতে বুধবার রাতে বৈঠকে বসে বিজেপির বঙ্গ শিবির। বৈঠকে সুকান্ত, শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, অমিত মালব্য প্রমুখ। এই বৈঠকে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, আমি নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীকে প্রণাম জানাতে যাব। তবে কোথায়, সেটা দলই ঠিক করব।

    আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ রুখতে সক্রিয় কেন্দ্র, কলকাতায় জনসভা বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share