Tag: terrorism

terrorism

  • Ruchira Kamboj: সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি ভারতের, ফের জানালেন রুচিরা

    Ruchira Kamboj: সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি ভারতের, ফের জানালেন রুচিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ভারত যে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে, বিশ্বমঞ্চে ফের একবার তা জানিয়ে দিলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj)। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখছিলেন রুচিরা। ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ সলিডারিটি উইথ প্যালেস্তাইন পিপল’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল এদিন। সেই উপলক্ষেই বক্তৃতা দিচ্ছিলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি।

    ‘তামাম বিশ্বে মানবতার সঙ্কট’

    তিনি বলেন, “প্যালেস্তাইনে নাগরিকদের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক ঐতিহাসিক। দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যেও সম্পর্ক রয়েছে। প্যালেস্তাইনের বাসিন্দারা যাতে রাষ্ট্র ও শান্তি-সমৃদ্ধি পান, সেজন্য তাঁদের পাশে রয়েছে ভারত।” এর পরেই রুচিরা (Ruchira Kamboj) বলেন, “সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে ভারত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে। আমরা এটাও বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক মানবতা আইন সকলেরই মেনে চলা উচিত।” বর্তমান বিশ্বে যে মানবতার সঙ্কট চলছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন রুচিরা। তিনি বলেন, “মানবতার এই সঙ্কটের দিনে মানবতা রক্ষায় চূড়ান্ত দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন বিশ্বের প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই।”

    গাজার অসহায়দের পাশে ভারত

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের জেরে বিপর্যস্ত গাজা স্ট্রিপের বাসিন্দারা। এই গাজা স্ট্রিপেই ঘাঁটি গেড়েছিল প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র সংগঠন। এই সংগঠনই প্রথম হামলা চালায় ইজরায়েলে। প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েল। এই যুদ্ধের জেরেই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাজা স্ট্রিপ। গাজার অসহায় নাগরিকদের পাশে দাঁড়াতে সেখানে ত্রাণ পাঠায় ভারত। এদিন সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে রুচিরা বলেন, “গাজা স্ট্রিপে ৭০ টন মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে ১৬.৫ টন ওষুধ ও মেডিকেল সরঞ্জাম।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘কলকাতার ‘প্রতিবাদ সভা’য় যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়…’’, ট্যুইট-বার্তায় অমিত শাহ

    রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “৭ অক্টোবর, প্রথম যেদিন ইজরায়েলের ওপর হামলা হয়েছিল, সে সম্পর্কেও আমরা জানি। আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সন্ত্রাসবাদের পক্ষে কোনও যুক্তিই খাড়া করা যায় না। আবার গাজায় যেসব নিরীহ মানুষ যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের নিয়েও ভারত উদ্বিগ্ন।” রুচিরা (Ruchira Kamboj) বলেন, “ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন ইস্যুতে ভারত বরাবরই আলোচনার পক্ষে। প্যালেস্তাইন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক, ভারত তা চায়। দুই দেশের সীমান্তেই বজায় থাকুক কাঙ্খিত শান্তি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Terror Funding Racket: ভূস্বর্গে টেরর ফান্ডিং চক্রের হদিশ, কীভাবে জঙ্গিদের হাতে অর্থ যেত জানেন?

    Terror Funding Racket: ভূস্বর্গে টেরর ফান্ডিং চক্রের হদিশ, কীভাবে জঙ্গিদের হাতে অর্থ যেত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে মিলল টেরর ফান্ডিং (Terror Funding Racket) চক্রের হদিশ। এই চক্রের পান্ডারা ৮৫ কোটি টাকা জোগাড় করে জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এই চক্রে কাশ্মীর পুলিশের এক কর্তা এবং শ্রীনগরের এক ব্যবসায়ী জড়িত বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ওই পুলিশ কর্তার বাড়িতেও চালানো হয়েছে তল্লাশি।

    জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি চালায় এসআইএ

    কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে তল্লাশি চালায় স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এসআইএ)। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি চালায় এসআইএ। তখনই ফাঁস হয় এই টেরর ফান্ডিং চক্রের। এসআইএ সূত্রে খবর, বিভিন্ন গোপন চ্যানেলের মাধ্যমে এই টাকা লেনদেন করা হত। তদন্তকারীদের দাবি, বিপুল পরিমাণ এই টাকা উপত্যকা সহ দেশের অন্যান্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নাশকতার কাজে লাগানোর জন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক অতীতে এত বড় টেরর ফান্ডিং চক্রের ধরা পড়ার নজির নেই বলেও দাবি তাঁদের। তিন দিনের ওই অভিযানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল ভূস্বর্গের ২২টি জায়গায়।

    টেরর ফান্ডিংয়ে দুবাই যোগ!

    এর মধ্যে রয়েছে একজন প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক ও একজন ব্যবসায়ীর বাড়িও। শুক্রবার সকালে তল্লাশি চালানো হয় শ্রীনগর, পুলওয়ামা এবং অনন্তনাগ জেলার ১০টি জায়গায়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে (Terror Funding Racket) প্রচুর পরিমাণ বৈদ্যুতিন যন্ত্র সহ নানা সামগ্রী। তদন্তকারীদের আরও দাবি, টেরর ফান্ডিং এই চক্রের সঙ্গে রয়েছে দুবাই যোগ। এসআইএ জানিয়েছে, সোনার চোরা চালান ও অন্যান্য পথে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হত। কারা অর্থ সংগ্রহ করত, কোথা থেকে ভারতে জঙ্গি হামলার জন্য অর্থ সরবরাহ করত, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের কড়া সাজা হবে বলে আশ্বাস এসআইএ-র। তারা জানিয়েছে, ভূস্বর্গ থেকে সন্ত্রাসবাদ নিশ্চিহ্ন করতে বদ্ধ পরিকর তারা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হিন্দুদের জন্যই ভারতবর্ষে গণতন্ত্র রয়েছে’’, মত জাভেদ আখতারের

    একটি বিবৃতি জারি করে এসআইএ জানিয়েছে, “এটি জঙ্গিদের আর্থিক মদত দেওয়ার একটি মামলা। যেখানে ৮৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং গোপন মাধ্যমে সেই টাকা জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, টেরর ফান্ডিংয়ে (Terror Funding Racket) মদত দেওয়ার অভিযোগে অগাস্ট মাসে একটি মামলা দায়ের হয়। তার পরেই তদন্তে নামে এসআইএ। ফাঁস হয় টেরর ফান্ডিংয়ের পর্দা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “তামাম বিশ্ব বুঝতে পারছে সন্ত্রাসবাদের বিপদ”, জি২০ স্পিকার সম্মেলনে বললেন মোদি

    PM Modi: “তামাম বিশ্ব বুঝতে পারছে সন্ত্রাসবাদের বিপদ”, জি২০ স্পিকার সম্মেলনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন গোটা বিশ্ব বুঝতে পারছে সন্ত্রাসবাদ কত বড় চ্যালেঞ্জ। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে জি২০ স্পিকার সম্মেলনে কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলের ওপর আঘাত হেনেছে শিয়া মুসলমানদের দেশ প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। গাজা ভূখণ্ড থেকে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে চালাচ্ছে ধ্বংসাত্মক হামলা।

    সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু

    প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তেল আভিভও। হামাস-ইজরায়েলের এই যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে প্রায় চার হাজার ইজরায়েলবাসীর। এমতাবস্থায় সন্ত্রাসবাদ যে তামাম বিশ্বের পক্ষে মাথাব্যথার কারণ, তা জানিয়ে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এখন গোটা বিশ্ব বুঝতে পারছে সন্ত্রাসবাদ কত বড় চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাস যেখানেই ঘটুক না কেন, যে কারণেই ঘটুক না কেন, যেভাবেই ঘটুক না কেন, তা মানবতার শত্রু। সন্ত্রাস দমনে সবাইকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।”

    বসুধৈব কুটুম্বকম 

    ইজরায়েলে হামাসের হানাদারির বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বার্তা দিয়েছেন ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর। তিনি (PM Modi) বলেন, “এটা সকলের উন্নয়ন ও কল্যাণের সময়। বৈশ্বক সঙ্কট কাটিয়ে মানবকেন্দ্রিক চিন্তাধারায় এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের পৃথিবীকে এক পৃথিবী, এক পরিবার এবং এক আত্মার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। ভারত কয়েক দশক ধরে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের মুখোমুখি হচ্ছে। এখানে সন্ত্রাসবাদীরা হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। বছর কুড়ি আগে আমাদের সংসদকেও টার্গেট করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। সেই সময় সংসদ অধিবেশন চলছিল। সন্ত্রাসবাদীরা সাংসদদের হত্যা করতে চেয়েছিল। এই ধরনের সন্ত্রাসী হামলার মোকাবিলা করে ভারত এখানে পৌঁছেছে।”

    আরও পড়ুুন: তদন্ত করতে পারবেন ইডির অপসারিত অধিকর্তা মিথিলেশ, নির্দেশ বিচারপতি সিনহারই

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আজ যা কিছু ঘটছে, তা থেকে কেউ বাদ পড়েনি। আজ বিশ্ব সঙ্কটের মুখোমুখি। এই সঙ্কটে পূর্ণ বিশ্ব কারও স্বার্থের পক্ষে নয়। মানবতার মুখোমুখি প্রধান চ্যালেঞ্জগুলির সমাধান করতে পারে না বিভক্ত বিশ্ব। এটি বিশ্বকুম্ভ। শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের সময়। এক সঙ্গে চলার এবং এক সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সময়।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আজও ইনকামবেন্ট টেররিজমের আন্তর্জাতিক কনভেনশনে ঐক্যমত্যের জন্য অপেক্ষা করছে বিশ্ব। বিশ্বের এই মনোভাবের সুযোগ নিচ্ছে মানবতাবাদের শত্রুরা। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে আমরা কীভাবে এক সঙ্গে কাজ করতে পারি, তা নিয়ে বিশ্বের সংসদ ও প্রতিনিধিদের ভাবতে হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • G20 Summit: সন্ত্রাসবাদকে এক ইঞ্চিও জমি নয়, জানানো হল জি২০ সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে

    G20 Summit: সন্ত্রাসবাদকে এক ইঞ্চিও জমি নয়, জানানো হল জি২০ সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের কোনও রূপকেই এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না। নয়াদিল্লিতে আয়োজিত জি২০ সম্মেলনের (G20 Summit) ঘোষণাপত্রে দ্ব্যর্থহীনভাবে জানিয়ে দেওয়া হল একথা। শনিবার ওই সম্মেলনে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করা হয়েছে। কোনও দেশ যাতে জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় না হয়, জঙ্গিরা যাতে কোনও দেশ থেকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং রসদ না পায়, নতুন সদস্য নিয়োগ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেও আন্তর্জাতিক সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়ানোর ডাকও দেওয়া হয়েছে এই সম্মেলনে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    ঘোষণাপত্রে (G20 Summit) বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের সমস্ত ধরনের কাজকর্মই ক্রিমিনাল এবং অসমর্থনযোগ্য, তাদের উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, যে কোনও জায়গায়ই হোক না কেন, যেই করুক না কেন। প্রসঙ্গত, জি২০ লিডার্স সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এই সুরই বেঁধে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্ত্রাসবাদের নেপথ্যে থাকা আর্থিক বল-ভরসা এখন গুরুত্বপূর্ণ। এই লক্ষ্যে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF) এর মতো আঞ্চলিক সংস্থাগুলির আরও বেশি করে সহায়তা দিতে অঙ্গীকার করেছে জি২০-এর সদস্য দেশগুলি।

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জি২০ 

    জি২০ নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের (G20 Summit) ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, আমরা যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। বিদেশি আতঙ্ক, জাতিগত বিরোধ কিংবা অসহিষ্ণুতার অন্য কোনও রূপ, ধর্মীয় কিংবা ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে যেসব সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম হচ্ছে, আমরা তার বিরুদ্ধে। কারণ এগুলি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি স্বরূপ, বড় বিপদগুলির মধ্যে অন্যতম।

    আরও পড়ুুন: অক্ষরধাম মন্দিরে পুজো দিলেন ‘গর্বিত হিন্দু’ ঋষি সুনক, হাঁটু মুড়ে করলেন প্রণামও

    সন্ত্রাসবাদের শিকার কাউকে সাহায্য করা এবং মানবাধিকার রক্ষা পরস্পর বিরোধী লক্ষ্য নয় বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছে নয়াদিল্লি সম্মেলন। এরা যে একটি অন্যটির পরিপূরক এবং একটি অন্যটিকে শক্তিশালী করবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সম্মেলনে। স্মল আর্মস ও লাইট ওয়েপনস পাচার রুখতে বিভিন্ন দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কথাও বলা হয়েছে জি২০ সম্মেলনে (G20 Summit)। সম্মেলনে এও জানানো হয়েছে, এফএটিএফ দুর্বৃত্তদের সম্পদের হদিশ পাচ্ছে, সেসব সম্পদ উদ্ধারও করছে। এ ব্যাপারে এফএটিএফের প্রভাব দুনিয়াজুড়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • SCO Summit: “যে দেশ সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে…”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    SCO Summit: “যে দেশ সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে…”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যে দেশ সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে, এসসিও যেন তাদের সমালোচনা করতে দ্বিধা না করে।” মঙ্গলবার সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO Summit) ভার্চুয়াল সম্মেলেন একথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ বছর এসসিও সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি। এবার হয়েছে ভার্চুয়াল সম্মেলন। এই সম্মেলনেই নাম না করেই প্রধানমন্ত্রী একযোগে নিশানা করেন পাকিস্তান ও চিনকে। 

    সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে মোদি

    এদিনের ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, রাশিয়ার প্রতিনিধি ভ্লাদিমির পুতিন সহ মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। এক সঙ্গে এক মঞ্চে (SCO Summit) চিন ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানকে পেয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত নিয়ে পড়শি দুই দেশকে আক্রমণের সুযোগ হাতছাড়া করেননি প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “যে দেশ সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে, এসসিও যেন তাদের সমালোচনা করতে দ্বিধা না করে।”

    সীমান্তপার সন্ত্রাস 

    তিনি বলেন, “কিছু দেশ সীমান্তপার সন্ত্রাসকে তাদের নীতির হাতিয়ার হিসেবে দেখে। তারা সন্ত্রাসবাদীদের প্রশ্রয়ও দেয়।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ আঞ্চলিক ও বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি মোকাবিলা করার জন্য কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, সন্ত্রাসবাদ যে কোনও আকারে প্রকাশিত হতে পারে।”

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুম্বই হামলায় জড়িত লস্কর জঙ্গি সাজিদ মীরকে বিশ্ব জঙ্গি তালিকাভুক্ত (SCO Summit) করতে চেয়ে রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাব পেশ করেছিল ভারত। তাতে ভেটো প্রয়োগ করে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চিন। কেবল সাজিদ নয়, নানা সময় পাক জঙ্গিদের আড়াল করে এসেছে চিন। এদিন নাম না করে তাকেই নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি বলেন, “আমরা এসসিওকে (SCO Summit) একটি বর্ধিত প্রতিবেশী হিসেবে দেখি না, বরং একটি বর্ধিত পরিবার হিসেবেই দেখি। নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সংযোগ, ঐক্য, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা ও পরিবেশ সুরক্ষার মতো ইস্যুগুলিকে এসসিও-র স্তম্ভ হিসেবে দেখি।”

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ‘বিষদাঁত’ ভাঙতে পারে বিজেপি, কোন কোন জেলায়?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এসসিও দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতার পাঁচটি স্তম্ভ স্থাপন করেছে: স্টার্টআপ এবং উদ্ভাবন, প্রথাগত ওষুধ, যুব ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং বৌদ্ধ ঐতিহ্য। গত দু দশকে এসসিও সমগ্র ইউরেশিয়া অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই অঞ্চলের সঙ্গে ভারতের হাজার বছরের পুরনো সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের দেশের (SCO Summit) মানুষ এই ঐতিহ্যের জীবন্ত সাক্ষ্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu And Kashmir: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিশানায় হিন্দু! এবার হত্যা ভিন রাজ্যের সার্কাস কর্মীকে

    Jammu And Kashmir: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিশানায় হিন্দু! এবার হত্যা ভিন রাজ্যের সার্কাস কর্মীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কাশ্মীরে জঙ্গিদের শিকার হল হিন্দুরা। এবার জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক সার্কাসকর্মীর (Circus Performer)। জম্মু-কাশ্মীরের (Jaamu & Kashmir) অনন্তনাগ (Anantnag) জেলায় সোমবার রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

    জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি

    পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম দীপক কুমার। বাবার নাম মাসুক কুমার। উধমপুরের বাসিন্দা দীপক একটি সার্কাসদলে কাজ করতেন। তাঁকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। জানা গেছে, অনন্তনাগের (Jammu And Kashmir) একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সামনে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পর পর গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানান, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ঘটনার পরই এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশিও শুরু হয়েছে।  যদিও মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জঙ্গিদের হদিশ মেলেনি। 

    আরও পড়ুন: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর, আহত অন্তত ৫৭ জন

    এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা ফারুক আবদুল্লা এবং ওমর আবদুল্লা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শ্রীনগরে অনুষ্ঠিত হয়েছে জি-২০ বৈঠক। সেই বৈঠকের আগে থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করে। যদিও বাঠক নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে। গত বছর মে মাসে বেশ কয়েক জন সাধারণ নাগরিককে খুনের ঘটনা ঘটে কাশ্মীরে। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন আবার কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের। কুলগামে বিনয় কুমার নামে এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর আগে কুলগামের স্কুলে ঢুকে শিক্ষিকাকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। বিহারের কয়েকজন শ্রমিককেও গুলি করে খুন করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dangri: “রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের মত শত্রুদের সঙ্গে লড়াই করব”, জঙ্গি দমনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ডাংরির রেখা শর্মা

    Dangri: “রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের মত শত্রুদের সঙ্গে লড়াই করব”, জঙ্গি দমনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ডাংরির রেখা শর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুর থেকেই রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। ১ জানুয়ারি, বছরের প্রথম দিন রাজৌরির ডাংরি গ্রামে ৭ জন হিন্দুকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। এরপর গ্রামবাসীরা সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে লড়তে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার দাবি জানায়। ফলে আপার ডাংরি গ্রামের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকের একটি দলকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সিআরপিএফ। তাঁদের মধ্যে ৪৭ বছরের এক মহিলা রেখা শর্মা জানিয়েছেন, ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের মত শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন তিনি। তিনি সংবাদমাধ্যমে শেয়ার করেছেন, হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার পিছনে তাঁর কী কাহিনী রয়েছে।

    বন্দুক হাতে ডাংরির রেখা শর্মা

    রেখা তাঁর বাড়ির আশেপাশের পরিস্থিতি দেখে উপত্যকায় জঙ্গি হামলা রুখতে হাতে তুলে নিয়েছেন বন্দুক। একদিকে পাকিস্তানে যেমন মহিলাদের সন্ত্রাসী হিসাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে ভারতে, মহিলাদের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। তাঁদের গ্রাম প্রতিরক্ষা কমিটির (ভিডিসি) সদস্য হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। রেখা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ যেমন তাঁর শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, আমরা ডাংরির মহিলারাও পাকিস্তানের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করব।” তিনি আরও বলেন, “জঙ্গিরা আমার বাড়ি, আমার গ্রাম এবং আমার মাতৃভূমি রক্তাক্ত করেছে… আমরা এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেব।” তিনি জানিয়েছেন, ডাংরির কোন ঘটনা তাঁকে ভাবুক করে তুলেছিল ও কোন ঘটনার জন্যই জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদীদের আটকাতে রাজৌরিতে গ্রামবাসীরদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সিআরপিএফ

    তিনি জানিয়েছেন, তাঁর প্রতিবেশী সুরজ দেবী কয়েক বছর আগে তাঁর স্বামীকে হারান, তাঁর দুই সন্তান দীপক শর্মা এবং প্রিন্স শর্মা ছিল। দুজনেই শিক্ষিত ও ভাল চাকরিও করতেন। কিন্তু দুজনেই চলতি বছর জঙ্গি হানায় নিহত হন। এরপর তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, এই মৃত্যুর বদলা তাঁকে নিতেই হবে। সদ্য সন্তানহারা মায়ের কান্না সহ্য করতে পারেননি রেখাদেবী। আর সেই থেকেই জঙ্গিদের শেষ করে দেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন ও হাতে বন্দুক তুলে নিয়েছেন রেখাদেবী। 

    রেখা শর্মা আসলে দিল্লির বাসিন্দা ছিলেন। এরপর  ১৯৯৭ সালে বিয়ের পর ডাংরিতে আসেন। তাঁর স্বামী রণধীর কুমার শর্মা একজন ব্যবসায়ী। তাঁর বড় ছেলে স্নাতক শেষ করে ব্যবসা করছে, মেয়ে জম্মু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি করছে এবং ছোট ছেলে নবম শ্রেণিতে পড়ছে। রেখার বাবা প্রয়াত কৃষ্ণ লাল দিল্লি পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

    রেখা আরও জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদী হামলায় দীপক ও প্রিন্সসহ সাতজন সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার পর আবারও অস্ত্রের চাহিদা বাড়ছে। তিনি নিজে বন্দুক চালানো শিখবেই, অন্যদিকে গ্রামের অন্যান্য মহিলাদেরকেও অস্ত্র ধরতে এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রশিক্ষণ নিতে রাজি করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    গ্রাম প্রতিরক্ষা কমিটি গঠনের আশ্বাস

    আপার ডাংরি গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার পর, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট-গভর্নর মনোজ সিনহা গ্রামবাসীদের গ্রাম প্রতিরক্ষা গার্ড নামে ডোডা-টাইপ গ্রাম প্রতিরক্ষা কমিটি গঠনের আশ্বাস দিয়েছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গ্রাম প্রতিরক্ষা কমিটির এসপিওদের প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা ও প্রতিটি ভিডিজি প্রতি মাসে ৪০০০ টাকা পাবে। যে ব্যক্তি ভিডিজির প্রধান হবেন তাঁকে প্রতি মাসে ৪৫০০ টাকা দেওয়া হবে।

  • S Jaishankar: ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’! ‘‘পাকিস্তান নিয়ে আরও কড়া কথা বলতে পারি’’, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’! ‘‘পাকিস্তান নিয়ে আরও কড়া কথা বলতে পারি’’, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) নাম উচ্চারণ না করেই আমি আবারও এই কথা বলতে পারি। সন্ত্রাসের এপিসেন্টারের (Epicentre) চেয়েও কর্কশ কথা আমি বলতে পারি। এক অস্ট্রিয়ান সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে একথা বললেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘে বক্তৃতা দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে এক হাত নিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টার।

    জয়শঙ্কর বলেন…

    এদিন সেই প্রসঙ্গেই প্রশ্ন করেন এক অস্ট্রিয়ান সাংবাদিক। তিনি জয়শঙ্করকে বলেন, আপনি একজন কূটনীতিক। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগে আপনি পাকিস্তানকে, আপনার প্রতিবেশী দেশকে সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টার বলেছিলেন। এটা কূটনীতিসুলভ শব্দ নয়। তাই না? অস্ট্রিয়ান ওই সাংবাদিকের এহেন প্রশ্নের উত্তরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, পাকিস্তানের নাম না করেই আমি আবার এই শব্দটি ব্যবহার করতে পারি। তিনি বলেন, একজন কূটনীতিক হওয়ার মানে এই নয় যে আপনি অসত্য বলবেন। এর পরেই জয়শঙ্কর যোগ করেন, আমি এপিসেন্টারের চেয়েও কর্কশ শব্দ প্রয়োগ করতে পারি। তিনি বলেন, আমাদের প্রতি যা ঘটছে, তাতে আমার মনে হয় এপিসেন্টার কূটনৈতিক শব্দই।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) মনে করিয়ে দেন, কীভাবে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্টে হামলা চালিয়েছিল। ২০০৮ সালে হামলা চালিয়েছিল মুম্বইয়ে। তিনি বলেন, ভারতীয় ভূখণ্ডে নিত্য অনুপ্রবেশের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে তারা। জয়শঙ্কর বলেন, পাকিস্তান হল সেই দেশ যারা মুম্বই শহরে হামলা চালিয়েছে। মুম্বইয়ের হোটেলে বিদেশি পর্যটকদের ওপর হামলা করেছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, যদি দিনের আলোয় কোনও দেশে সন্ত্রাসবাদীদের শিবির চলতে থাকে, তাতে অর্থায়ন করা হয়, তার পরেও কি বলা যায়, পাকিস্তান এর বিন্দুবিসর্গও জানে না। জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ওই দেশে যে সন্ত্রাসবাদ চলছে, তা নিয়ে গোটা বিশ্ব রয়েছে উদ্বেগে। তারা এটা দেখছেও। বিশ্ব এটাও ভাবে, যে এটা আমাদের সমস্যা নয়, কারণ এটা ঘটছে অন্য একটি দেশে।

    আরও পড়ুুন: ‘মোদি বিশ্বের কণ্ঠস্বর, উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বর ভারত’, বললেন জয়শঙ্কর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Jaishankar: সীমান্ত-সন্ত্রাস বন্ধ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা নয়! জানালেন বিদেশমন্ত্রী

    Jaishankar: সীমান্ত-সন্ত্রাস বন্ধ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা নয়! জানালেন বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সীমান্ত পার সন্ত্রাস বন্ধ না করলে আলোচনা শুরু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। নয়াদিল্লিতে জার্মানির বিদেশমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবককে এই কথা স্পষ্ট করে দেন তিনি। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি ও সীমান্ত পার সন্ত্রাসে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা নিয়ে এদিন জার্মানির বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় জয়শঙ্করের।

    ভারত-জার্মান চুক্তি

    সোমবার রাজধানীতে হায়দরাবাদ হাউসে মোবিলিটি পার্টনারশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত-জার্মানি। এই অংশীদারিত্বের চুক্তিতে সই করেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী। এর মাধ্যমে দুই দেশের বাসিন্দার পরস্পরের দেশে গিয়ে গবেষণা, পড়াশোনা এবং চাকরি করার প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ভারত এবং জার্মানির মধ্যে এই চুক্তি প্রকৃতপক্ষে আগামিদিনে আরও বেশি করে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের ভিত্তির সংকেত বলা যেতে পারে। একই সুর জার্মান বিদেশমন্ত্রীর মুখেও। তিনি বলেন, ‘গোটা বিশ্ব কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। এমন সময়ে আমাদের একসঙ্গে চলাটা গুরুত্বপূর্ণ।’রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক স্তরে তৈরি হওয়া অশোধিত তেল সঙ্কট নিয়েও এদিন কথা হয় ভারত এবং জার্মানির।  রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির বিষয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের পক্ষে ফের একবার সওয়াল করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন ভারতীয়দের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    সীমান্ত-সন্ত্রাস নিয়ে কথা

    আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং পাকিস্তান-সৃষ্ট আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়গুলি নিয়েও এদিন জার্মান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নিয়ে যথেষ্ট বিস্তারিত কথা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা কথা বলেছি। পাকিস্তানকে আমরা দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলিতে সংযুক্ত করি, কিন্তু সন্ত্রাস চললে কথা এগোনো যায় না। জার্মানি বিষয়টি বুঝেছে।” চিন প্রসঙ্গে সরব হয়ে জার্মানির বিদেশমন্ত্রী বেয়ারবক বলেছেন, “গোটা অঞ্চলই দেখেছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে চিন কী ভাবে বদলে গিয়েছে। আমরা নতুন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নীতি তৈরি করছি, সেখানে চিনের ভূমিকাকে নতুন করে দেখা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, “ভারতের সঙ্গে জার্মানি নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়াতে চায়। ভারত বিশ্বের অনেক দেশের কাছে এখন রোল মডেল।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Modi Anti-Terror Meet: সন্ত্রাসের প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই সমতুল প্রত্যাঘাত প্রয়োজন, বললেন মোদি

    Modi Anti-Terror Meet: সন্ত্রাসের প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই সমতুল প্রত্যাঘাত প্রয়োজন, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই সমতুল ক্রোধ ও প্রত্যাঘাত প্রয়োজন। নয়াদিল্লিতে (New Delhi) সন্ত্রাস বিরোধী এক কনফারেন্সে (Modi Anti-Terror Meet) যোগ দিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, বিভিন্ন আক্রমণের প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা ঘটনাটি কোথায় ঘটল, তার ওপর ভিত্তি করে করা যায় না।

    সন্ত্রাসবাদ…

    সন্ত্রাসবাদ (Terrorism) যে এই মুহুর্তে গোটা বিশ্বের কাছেই মাথাব্যথার কারণ, তা নানা সময় বারংবার মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিনও সন্ত্রাসবাদের বিপদ সম্পর্কে ফের একবার অবহিত করিয়ে দেন তিনি। সন্ত্রাসবাদের বলির ক্ষতি যে অপূরণীয়, এদিন তাও একবার মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, একটা আঘাতও যে অনেক বেশি, তা আমরা মনে করি। যদি একটা প্রাণও বলি হয়, তা অনেক বেশি। তিনি বলেন, তাই আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত বিশ্রাম নেব না, যতক্ষণ না সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই কনফারেন্স হচ্ছে ভারতে। তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব যখন সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে উদাসীন ছিল, তারও ঢের বেশি আগে থেকে আমাদের দেশ সন্ত্রাসের মুখোমুখি হয়েছে। মোদি বলেন, দশকের পর দশক ধরে নানা আকারে ভারতে আঘাত হানার চেষ্টা হয়েছে। যদিও আমরা সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা?

    এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের আঘাত হানতে হবে সন্ত্রাসে অর্থায়নের মূলে। তিনি বলেন, যে জায়গাটা সব সময় হুমকির, সেখানে কেউ চিরকাল থাকতে চাইবে না। এবং সেই কারণে এই সমস্ত মানুষের জীবিকা চুরি যাচ্ছে। তাই আমাদের সর্বাগ্রে প্রয়োজন সন্ত্রাসে অর্থায়নের মূলে কুঠারাঘাত করা।

    তিনি বলেন, আজকের বিশ্বে কাউকে আলাদা করে সন্ত্রাসবাদের বিপদ সম্পর্কে মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এখনও কোনও কোনও সার্কেলে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করা হচ্ছে। এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসের প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই সমতুল ক্রোধ ও প্রত্যাঘাত প্রয়োজন। বিভিন্ন আক্রমণের প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা ঘটনাটি কোথায় ঘটল, তার ওপর ভিত্তি করে করা যায় না। সন্ত্রাসবাদ মানবতা, স্বাধীনতা এবং সভ্যতার ওপর আঘাত, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share