Tag: terrorism

terrorism

  • Pak MBBS seats: “পাকিস্তানে যাচ্ছে এমবিবিএস পড়তে, ভারতে ফিরছে জঙ্গি হয়ে!” চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়েন্দাদের

    Pak MBBS seats: “পাকিস্তানে যাচ্ছে এমবিবিএস পড়তে, ভারতে ফিরছে জঙ্গি হয়ে!” চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দেশে সন্ত্রাস চালানোর জন্য শিক্ষিত ভারতীয় তরুণদেরই (Indian Youths) ব্যবহার করা হচ্ছে! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন গোয়েন্দারা। তাঁদের মতে,  যে সব কাশ্মীরি (Kashmiri) তরুণরা ডাক্তারি (MBBS) পড়তে বা অন্য কোনও বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য পাকিস্তানে (Pakistan) যাচ্ছেন, তাঁদেরই একাংশের মগজধোলাই করে জঙ্গি শিবিরে টেনে নেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনায় এর প্রমাণ পেয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।

    ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা জাফর ভাট নামে এক হুরিয়ত নেতা-সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, ওই ব্যক্তি কাশ্মীরি যুবকদের সুলভে উচ্চশিক্ষার টোপ দিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের সিট (Pak MBBS seats) বিক্রি করেছেন! পাকিস্তানে পৌঁছনোর পর এই যুবকদের মধ্যে থেকেই একাধিক জনকে বাছাই করে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের মাধ্যমে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারপর এই যুবকদের আবার ভারতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। প্রতিবছর এরকম অন্তত ১০০ জন কাশ্মিরী যুবক পাকিস্তানে যায় উচ্চশিক্ষার জন্য।

    বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) এবং সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পর্ষদ (AICTE) এই প্রসঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, “যদি কোনও ভারতীয় নাগরিক বা ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিক পাকিস্তান থেকে উচ্চশিক্ষার পাঠ নিয়ে আসেন, তাহলে তাঁরা সেই শংসাপত্রের ভিত্তিতে ভারতে উচ্চশিক্ষা বা চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন না।” বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই কারণেই ওই শিক্ষিত ও মেধাবী তরুণদের নিশানা করে তাঁদের মগজধোলাই করছে পাক গুপ্তচর সংস্থা (ISI)। তাঁদের বোঝানো হচ্ছে, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ভারতে বঞ্চিত এবং অবহেলিত। 

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে আসা তথ্য বলছে, কাশ্মীর উপত্যকায় সাম্প্রতিক জঙ্গিদমন অভিযানে নেমে এমন অন্তত ১৭ জন তরুণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা পাকিস্তানে গিয়েছিল পড়াশোনা করতে। কিন্তু, দেশে ফেরত আসে সন্ত্রাসবাদী হয়ে। এই ১৭ জনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে, কারণ, এদের সকলেই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। 

    নিহত এই জঙ্গিদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, এঁরা সকলে বৈধ ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে পড়তে গিয়েছিলেন। এবং সকলেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ২০১৫ সাল থেকেই কাশ্মীরি তরুণদের পাকিস্তানের যাওয়ার প্রবণতা নজরে আসার মতো বেড়ে গিয়েছে। এঁদের অধিকাংশই পড়াশোনা করতে গেলেও কেউ কেউ আবার আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে কিংবা বিয়ের মতো পারিবারিক কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতেও বৈধভাবে সীমান্তে পেরিয়ে ওদেশে গিয়েছেন। সেখান থেকেই নতুন করে তদন্ত শুরু করেন গোয়েন্দারা।

    সূত্রের দাবি, এই বাছাই করা মেধাবী যুবকদের জঙ্গি বানানোর পিছনে রীতিমতো একটি লবি কাজ করছে। এমনকী, এই যুবকদের কাশ্মীর (Kashmir) থেকে পাকিস্তানে (Pakistan) যেতে যাতে কোনও আইনি সমস্যা না হয়, তার জন্য ভারতের পাক দূতাবাসও (Pak High Commission in India) পূর্ণ সহযোগিতা করছে বলে খবর রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।

  • New Pak PM Shehbaz Sharif: গদি রাখতে গেলে শেহবাজকে জিইয়ে রাখতেই হবে কাশ্মীর ইস্যু

    New Pak PM Shehbaz Sharif: গদি রাখতে গেলে শেহবাজকে জিইয়ে রাখতেই হবে কাশ্মীর ইস্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই শান্তির বুলি আওড়েছেন পাকিস্তানের (pakistan) নয়া প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (prime minister shehbaz sharif)। তবে আদতে তা কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে সন্দিহান কূটনৈতিক মহল। কারণ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। পাল্টা টুইটে তিনিও মোদির সাফল্য কামনা করেছেন। এর পরেই শান্তির বার্তা দিয়েছেন শেহবাজ। যদিও উসকে দিয়েছেন কাশ্মীর ইস্যু। 

    পাক পার্লামেন্টে (Pakistan National Assembly) বিরোধীদের আনা অনাস্থায় (no confidence or trust vote) গোহারা হেরে যান পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Former Pak PM Imran khan)। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন শেহবাজ। তিনি পাকিস্তানের ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী। ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে পরেই তাঁকে টুইট করে শুভেচ্ছা জানান মোদি। তিনি লেখেন, ভারত চায় সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে শান্তি এবং স্থায়িত্ব, যাতে করে আমরা উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারি। দেশবাসীর উন্নতি এবং সমৃদ্ধিও নিশ্চিত করতে পারি।
    মোদিকে পাল্টা টুইট করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রীও। তিনি লেখেন, জম্মু-কাশ্মীরের মতো বিতর্কিত ইস্যুগুলির শান্তিপূর্ণ সমাধানও অপরিহার্য। দেশবাসীর উন্নতি ও সমৃদ্ধিও যে নয়া পাক প্রধানমন্ত্রীর মূল ফোকাস, টুইটে তাও জানিয়ে দিয়েছেন শেহবাজ।

    [tw]


    [/tw]

    বস্তুত, কাশ্মীর ইস্যুই যে শেহবাজের মূল হাতিয়ার হবে, প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই তিনি তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এর কারণও রয়েছে। পাকিস্তানের সরকার ব-কলমে চালনা ও পরিচালনা করে সে দেশের সেনাবাহিনী এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। শেহবাজ যে পাক প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন, তার পেছনেও সেনার একটা অদৃশ্য হাত রয়েছে। এই সেনাই জিইয়ে রাখতে চায় কাশ্মীর ইস্যু।

    কাশ্মীর ইস্যু জিইয়ে রাখতে পারলে আদতে লাভ সরকারেরই। কারণ, তখন দারিদ্র, অশিক্ষা, অপুষ্টির মতো জ্বলন্ত ইস্যুগুলির দিক থেকে পাক নাগরিকদের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে। তখন সরকার চলবে মসৃণ গতিতে। সেই কারণেই কাশ্মীর ইস্যুকেই হাতিয়ার করেন পাকিস্তানের সব প্রধানমন্ত্রীই। সেই কারণেই মুখে শান্তির বার্তা দিলেও, তলায় তলায় মদত দিতে থাকে লস্কর-ই-তৈবা (lashkar-e-taiba) সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে। তার জন্য কনকনে ঠান্ডায়ও হিংসার তাপে পোড়ে ভূস্বর্গ। বাতাস ভারী হয় বারুদের গন্ধে। আচমকাই লাশ হয়ে যান জলজ্যান্ত কোনও কাশ্মীরি।

     

  • Jammu & Kashmir: ফের জঙ্গিদের নিশানায় পরিযায়ী শ্রমিক! পুলওয়ামায় গুলিবিদ্ধ বিহারের দুই বাসিন্দা

    Jammu & Kashmir: ফের জঙ্গিদের নিশানায় পরিযায়ী শ্রমিক! পুলওয়ামায় গুলিবিদ্ধ বিহারের দুই বাসিন্দা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। জঙ্গিদের হামলার শিকার ফের দুই পরিযায়ী শ্রমিক। সূত্রের খবর, শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় দুই পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। ফলে আহত অবস্থায় তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আহত দুই শ্রমিক আদতে বিহারের বাসিন্দা।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার রত্নিপোরার খারপোরা এলাকায় দুই শ্রমিককে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালায়। ঘটনার পর দুই শ্রমিককে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, যেখানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা বিহারের বাটিয়া জেলার বাসিন্দা শামশাদ এবং ফাইজান কাসরি। এই বিষয়ে গতকালই কাশ্মীর পুলিশ ট্যুইট করে জানিয়েছে।


    [/tw]

    আরও পড়ুন: কাশ্মীর পুলিশের এনকাউন্টারে খতম বাংলার শ্রমিক হত্যাকারী দুই জঙ্গি

    কিন্তু তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। ঘটনার পর থেকে এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে, এখনও হামলাকারী জঙ্গিদের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলেই খবর। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে জম্মু-কাশ্মীরে বারবার জঙ্গি হামলার মুখে পড়তে হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। গত মাসেই কাশ্মীরের বান্দিপোরায় এক পরিযায়ী শ্রমিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ওই শ্রমিকের। ওই শ্রমিকও বিহারের বাসিন্দা ছিলেন। চলতি মাসেও বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিককে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ২ সেপ্টেম্বর এই ঘটনাটি ঘটেছিল। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, আহত ওই শ্রমিক বাঙালি। তাঁর নাম মুনিরুল ইসলাম। পুলওয়ামার উগারগুন্ড এলাকায় জঙ্গিহামলার এই ঘটনাটি ঘটেছিল। চিকিৎসার পর তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। বাঙালি শ্রমিককে মেরে ফেলার ঘটনায় যুক্ত ছিল দুই জঙ্গি, পরে তাদেরকে শ্রীনগরের নওগাম এলাকায় এনকাউন্টারে খতম করা হয়। 

LinkedIn
Share