Tag: Terrorist

Terrorist

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ে ২০ জন পর্যটকের নিম্নাঙ্গের পোশাক খোলা হয় ধর্ম যাচাই করতে, উঠে এল তদন্তে

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ে ২০ জন পর্যটকের নিম্নাঙ্গের পোশাক খোলা হয় ধর্ম যাচাই করতে, উঠে এল তদন্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ঘটে। নিজেদের বয়ানে মৃতদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছিলেন হিন্দু পুরুষদের বেছে বেছে হত্যা করে জঙ্গিরা। আরও দাবি ছিল, নিম্নাঙ্গের পোশাক পর্যন্ত খোলা হয় ধর্ম যাচাই করতে। এমন বয়ানের সঙ্গে মিলে গেল প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসা তথ্য। অর্থাৎ, জঙ্গিরা নির্দিষ্ট করেই হিন্দু পুরুষদের (Pahalgam) হত্যা করতেই এসেছিল। সেটাই ছিল হামলার মূল ছক। বিশ্লেষকদের মতে, এর থেকে পরিষ্কার, এই হামলা আরও বৃহৎ কোনও ষড়যন্ত্রের অঙ্গ। এককথায় টার্গেটেড কিলিং।

    ২০ জনের প্যান্টের চেইন খুলে তাঁদের খৎনা পরীক্ষা করা হয় (Pahalgam Attack)

    প্রসঙ্গত, নিহতদের পরিবারের সদস্যদের বয়ানে উঠে এসেছিল উদ্বেগজনক তথ্য। যে ২৬ জন নিহত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ২০ জনের প্যান্টের চেইন খুলে তাঁদের খৎনা পরীক্ষা করা হয় এবং দেখা হয় তাঁরা কোন ধর্মের। প্রাথমিক তদন্তেও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের এমন দাবিতে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। তদন্তে বলা হয়েছে, ধর্ম পরিচয় দেখার জন্য হিন্দু পুরুষদের প্যান্টের চেইন খোলা হয়েছিল।

    সন্ত্রাসবাদীরা পর্যটকদের কোরানের আয়াত অথবা কলেমা পড়তে বাধ্য করেছিল

    একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীরা পর্যটকদের (Pahalgam Attack) কোরানের আয়াত অথবা কালমা পাঠ করতে করেছিল। যাঁরা সেটা করতে পেরেছিলেন, তাঁদেরকে সন্ত্রাসবাদীরা ভেবেছিল যে তাঁরা মুসলিম। এভাবেই ছাড় পান অসমের এক হিন্দু। অন্যদিকে যাঁরা সেটা করতে পারেননি, সেখানে সন্ত্রাসীরা নিশ্চিত হয়ে যায় যে তাঁরা অমুসলিম এবং তাঁদেরকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রসঙ্গত, ঘটনার তদন্তে মৃতদেহগুলিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি প্রশাসনিক আধিকারিকদের দল। তখনই এভাবে মৃতদেহগুলির অবস্থান সামনে আসে। যেখানে তাঁদের খৎনা পরীক্ষা করার জন্য নিম্নাঙ্গের পোশাক পর্যন্ত খুলে ফেলেছিল জঙ্গিরা।

    হামলাকারীরা আধার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও চেয়েছিল

    পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) সেদিন উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। জঙ্গিরা বারবার তাঁদের ধর্মীয় পরিচয় যাচাই করছিল বলে জানিয়েছেন পর্যটকরা। শুধু তাই নয় হামলাকারীরা আধার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও চাইছিল। একইসঙ্গে কালমা পাঠ করতেও বলছিল জঙ্গিরা। এর পাশাপাশি খৎনা পরীক্ষা করার জন্য তাঁদের নিচের পোশাকও খুলে ফেলতে বাধ্য করেছিল। পর্যটকরা হিন্দু না মুসলিম- এই পরিচয় জানার জন্য এই তিন ধরনের পরীক্ষা করে ইসলামিক জঙ্গিরা। এর মাধ্যমে তারা নিশ্চিত হয় এবং খুব কাছ থেকে হিন্দু পুরুষদের গুলি করে। মঙ্গলবারই নিহত হন ২৬ জন। যার মধ্যে ২৫ জনকেই হিন্দু হিসেবে শনাক্ত করা গিয়েছে। এঁদের প্রত্যেকেই পুরুষ।

    ৭০ জন মাঠ কর্মী নজরদারির মধ্যে

    জানা যাচ্ছে, পহেলগাঁও হামলার তদন্ত বর্তমানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ভারতের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির সবাই একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তদন্ত করছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, ‘র’ সমেত অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত তদন্তের জন্য প্রায় দেড় হাজার ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স (জঙ্গিদের সয়াহতা প্রদানকারী) একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জড়ো করা হয়েছিল। এর মধ্যে বর্তমানে ৭০ জন সন্দেহভাজনকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। যাদেরকে হামলার সঙ্গে জড়িত হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, হামলাকারীদের দলটিকে লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করেছিল ওই কর্মীরাই। এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। তিনি আরও জানিয়েছেন, অতি দ্রুত এই তদন্ত সম্পূর্ণ হবে।

    ২০ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, পহেলগাঁও হামলার সন্ত্রাসীরা প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালায়। তাদের হাতে থাকা একে-৪৭ রাইফেল থেকে কমপক্ষে ৫০ রাউন্ড গুলি চালায় জঙ্গিরা। এই সময়ই তারা পর্যটকদের নাম ও ধর্ম জিজ্ঞাসা করে। যারা হিন্দু বলে শনাক্ত হন, তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলায় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের স্কেচ এবং ছবি প্রকাশ করেছে। তদন্তকারীরা এই আক্রমণকারীদের আসিফ ফৌজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা নামে চিহ্নিত করেছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তে উঠে এসেছে, এই হামলাকারীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার একটি ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফাউন্ডেশন (টিআরএফ)-এর সদস্য। পহেলগাঁওয়ের বৈসরন তার মনোরম দৃশ্য এবং বিস্তীর্ণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য মিনি সুইৎজারল্যান্ড নামেই পরিচিত। পহেলগাঁও থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই পর্যটক স্থান। এই স্থানটি দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের কাছে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল। বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে এখানে পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম দেখা যায়।

  • Tulsi Gabbard: জঙ্গিদের খুঁজতে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা, জানালেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান

    Tulsi Gabbard: জঙ্গিদের খুঁজতে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা, জানালেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ালেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)। শুক্রবারই জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি, জঙ্গিদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    সমাজমাধ্যমে কী লিখলেন তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)

    মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard) নিজের সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘পহেলগাঁওতে ২৬ জন হিন্দুকে হত্যা করেছে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীরা (Pahalgam Attackers)। এর নিন্দা করছি এবং আমরা ভারতের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। যাঁরা তাদের প্রিয়জন হারালেন তাঁদের প্রতি আমার প্রার্থনা এবং গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতের সমস্ত নাগরিকের পাশে আছে আমেরিকা। এই জঘন্য হামলার জন্য দোষীদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতের পাশে আছে আমেরিকা।’’

    বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসও নিন্দা জানিয়েছেন

    অন্যদিকে, মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসও জঙ্গি হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। পহেলগাঁও হামলা (Pahalgam Attackers) নিয়ে এক পাক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি কোনও উত্তর দেননি। পরে নিজের বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং সেক্রেটারি রুবিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আমেরিকা ভারতের পাশে আছে। সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করছি আমরা।’’

    আগেই ভারতের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প

    প্রসঙ্গত, আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার নিন্দা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ভারতের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকা ভারতের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা নিহতদের আত্মার শান্তি এবং আহতদের আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন এবং গভীর সহানুভূতি রয়েছে।’’

    বুধবারই মোদিকে ফোন করেন ট্রাম্প

    গত বুধবারই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন করে শোক প্রকাশ করেন ট্রাম্প। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এবিষয়ে বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং এই জঘন্য হামলার অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছেন। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একসঙ্গে আছে।’’

  • Pahalgam Attack: দেড় বছর আগে জম্মু-কাশ্মীরে আসে ২ পাক জঙ্গি মুসা ও আলি, পথ চেনায় আদিল

    Pahalgam Attack: দেড় বছর আগে জম্মু-কাশ্মীরে আসে ২ পাক জঙ্গি মুসা ও আলি, পথ চেনায় আদিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত হাশিম মুসা এবং আলি ভাই ওরফে তালহা দেড় বছর আগে পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, সীমান্ত পেরিয়ে প্রথমে ভারতে ঢোকে মুসা। তার পরে আসে আলি। এই দুই জঙ্গিকে পথঘাট চিনিয়েছিল দক্ষিণ কাশ্মীরের বাসিন্দা আদিল হুসেন ঠোকর। আদিল নিজেও পহেলগাঁও হামলায় জড়িত। এছাড়াও রয়েছে আরেক হামলাকারী আসিফ শেখ। এই জঙ্গির বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে। আসিফের বাড়ি ইতিমধ্যে বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আদিলের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বুলডোজার দিয়ে।

    জম্মু-কাশ্মীরের দুই জঙ্গি পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসে (Pahalgam Attack)

    সূত্রের খবর, জঙ্গি আসিফ জম্মু-কাশ্মীরের যে এলাকায় থাকত, সেটি ছিল লস্কর কমান্ডার বুরহান ওয়ানির এলাকা। তাকে বছর খানেক আগে খতম করে নিরাপত্তা বাহিনী। গোয়েন্দাদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল আসিফ। এর ঠিক তিন বছর পরে সে কাশ্মীরে ফিরে আসে সে। জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালেই পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত আর এক জঙ্গি আদিল। পাকিস্তানে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে কাশ্মীরে ফিরে আসে সে। মাঝেমধ্যেই দক্ষিণ কাশ্মীরে আদিলকে দেখা যেত বলে জানা যাচ্ছে।

    দেড় বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয় ছিল ২ পাক জঙ্গি মুসা এবং আলি

    অন্যদিকে, প্রায় দেড় বছর ধরে কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে সক্রিয় ছিল পাকিস্তানি জঙ্গি মুসা এবং আলি। এমনটাই জানা যাচ্ছে গোয়েন্দা সূত্রে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ ভারতে প্রবেশ করেছিল মুসা। মূলত বদগাঁও এলাকায় সক্রিয় ছিল সে। অন্যদিকে অপর পাক জঙ্গি (Terrorists) আলি শ্রীনগরের উপকণ্ঠে দাচিগাঁও জঙ্গলে সক্রিয় ছিল। প্রসঙ্গত, এখানকার ঘন পাহাড়ি জঙ্গল পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) পর্যন্ত বিস্তৃত। মনে করা হচ্ছে এই জঙ্গলের পথ ধরেই পহেলগাঁও পর্যন্ত যাতায়াত করত জঙ্গিরা। যাতায়াতের পথে তাদের সাহায্য় করত আদিল।

  • Amit Shah: পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠান, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ অমিত শাহের

    Amit Shah: পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠান, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি রাজ্যে থাকা পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে দ্রুত তাঁদের দেশে ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। সেখানেই তিনি জানান, রাজ্যগুলিতে কোনও পাকিস্তানের নাগরিক আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। যদি কেউ থেকে থাকেন, তবে তাঁকে শনাক্ত করে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে অমিত শাহের এই কথোপকথনের বিষয়ে কেন্দ্র বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে একাধিক সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

    বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানকে

    সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানকে। তাদের রাজ্যে কত পাকিস্তানি রয়েছে, তা চিহ্নিত করে, সকল পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠাতে বলেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। পহেলগাঁওয়ে হামলার পরেই দুই দেশের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “প্রত্যেকটা জঙ্গিকে শনাক্ত করে শাস্তি দেওয়া হবে। যারা এর নেপথ্যে রয়েছে, তাদেরও ছাড়া হবে না।”

    রণংদেহী মোদি সরকার

    পাকিস্তানকে যে ছেড়ে কথা বলবে না ভারত, তা মোদি সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপেই বোঝা যাচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার জবাবে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। এই আবহে এবার আরও এক ধাপ কঠোর হল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Amit Shah) নির্দেশ দিল রাজ্য থেকেও পাকিস্তানিদের (Pakistanis) উৎখাতের। আগামী ২ দিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সকল পাকিস্তানিকে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্যেই বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে সহযোগিতা করার কথা বলেন।

    হামলায় পাক-যোগ, বিভিন্ন দেশ প্রমাণ দিয়েছে দিল্লি

    প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতেই তাঁদের ওপর গুলি চালায় ইসলামিক জঙ্গিরা। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানের (Pakistanis) দিকেই আঙুল তুলেছে। নিজেদের দাবির সপক্ষে দিল্লি তথ্যপ্রমাণও দিয়েছে আমেরিকা, ইটালি, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চিনের বিদেশি কূটনীতিকদের।

  • Pakistan Defence Minister: ‘‘তিন দশক ধরে সন্ত্রাসকে সমর্থন এবং ফান্ডিং করে চলেছে পাকিস্তান’’, স্বীকারোক্তি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    Pakistan Defence Minister: ‘‘তিন দশক ধরে সন্ত্রাসকে সমর্থন এবং ফান্ডিং করে চলেছে পাকিস্তান’’, স্বীকারোক্তি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘গোপনে সন্ত্রাসকে সমর্থন এবং ফান্ডিং করে পাকিস্তান।’’ এমনই স্বীকারোক্তি করলেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Pakistan Defence Minister) খাজা আসিফ। ব্রিটেনের স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, তাঁর দেশ কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে সমর্থন করছে এবং তাদেরকে অর্থায়ন করছে। পহেলগাঁও হামলার পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই আবহে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন বিস্ফোরক দাবি সিলমোহর পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এমন কাজ করেছে পাকিস্তান, দাবি আসিফের

    পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Pakistan Defence Minister) আসিফের আরও দাবি, বিগত ৩০ বছর ধরে তাঁর দেশ এই কাজ করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। তিনি (Khawaja Asif) আরও বলেন, ‘‘আমাদের বেশ কিছু সিদ্ধান্তে ভুল ছিল। আমরা যদি সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এবং পরবর্তীতে ৯/১১-র পরে যুদ্ধে যোগ না দিতাম। তাহলে পাকিস্তানের ইতিহাস হয়ত অন্যরকম হতে পারত।’’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘‘ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়াই করা জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করত।’’

    লস্করের নাকি অস্তিত্ব নেই তাদের দেশে (Pakistan Defence Minister)

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Pakistan Defence Minister) ওই সাক্ষাৎকারে জানান, বর্তমানে তাদের দেশে নাকি লস্কর-ই-তৈবা শেষ হয়ে গিয়েছে। অতীতে পাকিস্তানের সঙ্গে এই সংগঠনের বেশ খানিকটা সম্পর্ক ছিল বলে জানান তিনি। তবে বর্তমানে এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের অস্তিত্ব আর নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর আরও স্বীকারোক্তি, ‘‘পাকিস্তানের (Pakistan Defence Minister) সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার যখন কোনও সম্পর্কই নেই, তখন আমরা কিভাবে তাদেরকে সাহায্য করব?’’ এ সময় তাঁকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়, লস্করের একটি শাখা সংগঠন নাকি পহেলগাঁও হামলার দায় নিয়েছে। তখন আসিফ (Khawaja Asif) উত্তর দেন, ‘‘যখন তাদের মূল সংগঠনের অস্তিত্বই নেই, তখন ছায়া সংগঠন কোথা থেকে আসছে।’’

  • Jammu Kashmir Attack: বিস্ফোরণে উড়ল পহেলগাঁওয়ের ২ জঙ্গির বাড়ি, এনকাউন্টারে খতম লস্কর কমান্ডার

    Jammu Kashmir Attack: বিস্ফোরণে উড়ল পহেলগাঁওয়ের ২ জঙ্গির বাড়ি, এনকাউন্টারে খতম লস্কর কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের ভয়ঙ্কর জঙ্গি হানায় (Jammu Kashmir Attack) জড়িত আসিফ শেখের বাড়ি ধূলিসাৎ করা হল বিস্ফোরণে। জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে ছিল আসিফের বাড়ি। সেই বাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অন্যদিকে, আরেক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির বাড়িও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রশাসনের তরফেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, গত ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হানায় যে চারজন জঙ্গি যুক্ত ছিল, তার মধ্যে দুইজন কাশ্মীরেরই বাসিন্দা ছিল বলে জানতে পারে প্রশাসন। এরা হল হুসেন ঠোকর ও আসিফ শেখ। জানা যাচ্ছে, এদের মধ্যে আদিল অনন্তনাগের বাসিন্দা। অন্যদিকে আসিফের বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে।

    বৃহস্পতিবার রাতেই তল্লাশি জঙ্গি আসিফের বাড়িতে (Jammu Kashmir Attack)

    সেনা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আদিলের বাড়িটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। আর শুক্রবার আসিফের বাড়িটিও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। পহেলগাঁওয়ের (Terrorist) জঙ্গিহানায় দুজনই যুক্ত ছিল বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে বান্দিপোরায় শুরু হয়েছে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই। ইতিমধ্যে ১ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে খবর। খতম জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম কমান্ডার আলতাফ লালি (Jammu Kashmir Attack)। এদিকে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুই সেনা জওয়ান। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গুলির লড়াই চলছে বলেই জানা গিয়েছে।

    পহেলগাঁওয়ের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই চলছে এই তল্লাশি

    ধর্ম দেখে ২৬ জন হিন্দুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় পহেলগাঁওয়ে। জঙ্গিদের (Jammu Kashmir Attack) খুঁজতে চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। মূলত পহেলগাঁওয়ের আশেপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই চলছে এই তল্লাশি অভিযান। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই এলাকাতেই লুকিয়ে থাকতে পারে জঙ্গিরা। আজ শুক্রবার সকালেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বান্দিপোরার কুলনার বাজিপোরায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয় জঙ্গিদের খোঁজে। জঙ্গলে ঢুকতেই জঙ্গিরা সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। এই সংঘর্ষে দুই জওয়ান আহত হন। আপাতত চারিদিক ঘিরে ফেলেছে সেনা।

  • Jammu And Kashmir: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা, “জঙ্গিদের রেয়াত করা হবে না,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Jammu And Kashmir: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা, “জঙ্গিদের রেয়াত করা হবে না,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পর্যটকদের ওপর হামলা চালাল জঙ্গিরা (Terrorist Attack)। মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর হামলা চালানো হয়। পর্যটকদের ভিড়েই মিশেছিল জঙ্গিরা। আচমকাই তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০ জনের। জখম পর্যটকদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।

    ট্রেকিংয়ের সময় হামলা (Jammu And Kashmir)

    এদিন বেশ কয়েকজন পর্যটক ট্রেকিং করছিলেন। সেই সময় হামলা চালানো হয় তাঁদের ওপর। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সেনা ও পুলিশ। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, জখম পর্যটকদের মধ্যে তিনজন স্থানীয় বাকি তিনজন রাজস্থানের বাসিন্দা। জম্মু-কাশ্মীরের আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলগুলির মধ্যে পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় পহেলগাঁও। ফি বছর প্রচুর পর্যটক বেড়াতে আসেন এখানে। এদিন সেরকমই এক পর্যটক দলকে নিশানা করে জঙ্গিরা। বর্তমানে সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর পেয়ে তিনি ফোন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। নেন ভূস্বর্গের সামগ্রিক পরিস্থিতির খবর। প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে দ্রুত কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন শাহ।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া

    এদিকে, ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন (Jammu And Kashmir) প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “এই জঘন্য অপরাধের পিছনে যারা রয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। যাঁরা আপনজনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুন, এই প্রার্থনা করি। আক্রান্তদের সব রকমের সাহায্য করা হচ্ছে।” তিনি লেখেন, “এই নারকীয় ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের রেয়াত করা হবে না। তাদের অসৎ উদ্দেশ্য কখনওই সফল হবে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অটল প্রতিজ্ঞা অটুট, বরং আরও দৃঢ় হবে।”

    পর্যটকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “পর্যটকদের ওপর এই ধরনের হামলা নিন্দনীয়। এই ঘটনা বর্বরোচিত। হামলাকারীরা পশুর সমান, নির্মম, ঘৃণার যোগ্য। তাদের জন্য কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি।” তিনি বলেন, “মৃতের সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পরিষ্কার হলে সরকারিভাবে জানানো হবে। সম্প্রতি বছরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যেসব হামলা হয়েছে, তার মধ্যে এটিই সব চেয়ে বড় (Terrorist Attack)।” ঘটনার নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও।

  • Mumbai Attacks: ‘‘নিহত লস্কর জঙ্গিদের বীরত্বের পুরস্কার দিক পাকিস্তান’’, মুম্বই হামলার পর হেডলিকে বলেছিলেন তাহাউর!

    Mumbai Attacks: ‘‘নিহত লস্কর জঙ্গিদের বীরত্বের পুরস্কার দিক পাকিস্তান’’, মুম্বই হামলার পর হেডলিকে বলেছিলেন তাহাউর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার এই জঙ্গিদের বীরত্বের জন্য পুরস্কার দিক পাকিস্তান।” মুম্বই হামলায় (Mumbai Attacks) জঙ্গিদের মৃত্যুর পর বন্ধু ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে বলেছিলেন মুম্বই হামলার চক্রী তাহাউর রানা (Tahawwur Rana)। আমেরিকা রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত নথিতে এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার সংক্রান্ত দফতর। রানা ও তাঁর সহ-ষড়যন্ত্রী ডেভিড হেডলির মধ্যে যে কথোপকথন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার সময় যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছিলেন, রানা লস্কর ই-তৈবার সেই জঙ্গিদের প্রশংসা করেছিলেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ওই জঙ্গিদের পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরস্কার নিশান–ই-হায়দার দেওয়া উচিত। যুদ্ধক্ষেত্র কিংবা প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় নিহত হলে পাকিস্তান সরকার সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিশান-এ-হায়দর পুরস্কার দেয়। আমেরিকার দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পুরস্কার মৃত ৯ জঙ্গিকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন রানা।

    নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর উল্লাস প্রকাশ! (Mumbai Attacks)

    উল্লেখ্য, মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৯ জন জঙ্গির। জীবিত অবস্থায় ধরা পড়েন কেবল আজমল কাসভ। পরে ২০১২ সালে তিহাড় জেলে ফাঁসি হয় তার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় ১০ জন লস্কর-ই-তৈবার সদস্যের হামলার পর রানা হেডলিকে বলেছিলেন, ‘‘ভারতীয়দের এটা পাওনা ছিল।’’ ১৬৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর তিনি উল্লাসও প্রকাশ করেছিলেন বলেও জানিয়েছে মার্কিন বিচারবিভাগ।

    এনআইএ হেফাজতে তাহাউর

    প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের ওই হামলায় বিভিন্ন দেশের মোট ১৬৬ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল (Mumbai Attacks)। পাক বংশোদ্ভূত রানা বর্তমানে কানাডার নাগরিক। বছর চৌষট্টির রানা ১৯৯০ সালে পাকাপাকিভাবে কানাডায় চলে যান। পরে সেখানকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি রয়েছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার(এনআইএ) হেফাজতে। তার আগে রানা বন্দি ছিলেন আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের জেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ রানাকে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁকে ভারতে ফেরানোর পরে এনআইএর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ওই জঙ্গি হানার মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন রানা। বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, ২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হানার মূলচক্রী তাহাউর হুসেন রানাকে বৃহস্পতিবার ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে (Tahawwur Rana)। ২০০৮ সালের ওই ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রীকে বিচারের আওতায় আনার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চলছিল।

    মুম্বই হামলার পরিকল্পনা

    রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এনআইএর সদর দফতরে ইতিমধ্যেই বিশেষ কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে, ১২ জন আধিকারিক মুম্বই হামলার এই চক্রীকে জেরা করবেন। লস্কর জঙ্গিদের হামলার আগে আলাদা আলাদা সময়ে মুম্বইয়ে রেকি করে গিয়েছিলেন ডেভিড হেডলি ও তাহাউর রানা। কানাডায় বাস করলেও, পাক সেনা ও আইএসআইয়ের সঙ্গে তাহাউর রানার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। হেডলিকে তিনি ভুয়ো ভিসার ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন। মুম্বই হামলার পরেও তাহাউরের বড় পরিকল্পনা ছিল। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, মুম্বইয়ে তাঁর ইমিগ্রেশন ব্যবসার শাখা খোলা। হেডলিকে সেই অফিসের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগও করতে চেয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার দুবছর আগে শিকাগোয় একাধিকবার ডেভিড হেডলির সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাহাউর। সেই সময়ই মুম্বই হামলার পরিকল্পনা করেছিল তারা।

    হেডলি এখনও আমেরিকায়

    জানা গিয়েছে, তাহাউর রানা ও ডেভিড হেডলি ছোটবেলার বন্ধু। বছরের পর বছর অপেক্ষার পর রানাকে শেষ পর্যন্ত ভারত হাতে পেলেও, হেডলি এখনও আমেরিকায়ই রয়েছে। এই হেডলিই ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী ও সরাসরি ভারতে এসে কমপক্ষে আটবার দফায় দফায় রেকি করে গিয়েছে (Tahawwur Rana)। কিন্তু রানাকে প্রত্যর্পণ করলেও, নানা অজুহাতে হেডলিকে এখনও ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ করেনি আমেরিকা। মার্কিন আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে সেখানকার গারদে পুরে রাখা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, হেডলিকে প্রত্যর্পণ করা যাবে না। হেডলির আসল নাম দাউদ গিলানি। ভারত তাকে এই মামলায় নয়াদিল্লির হাতে তুলে দেওয়ার বারংবার দাবি জানালেও, আমেরিকা (Mumbai Attacks) প্রতিবারই ভারতের সেই অনুরোধে কান দেয়নি। এর কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব জিকে পিল্লাই। তাঁর মতে, জঙ্গি হেডলি ডাবল এজেন্টের কাজ করতেন। তিনি একই সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর হয়ে কাজ করতেন।

    প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে মুম্বই হামলার ভূমিকা ও পৃথক ষড়যন্ত্রের জন্য বর্তমানে আমেরিকায় ৩৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন হেডলি। তাঁর সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার মধ্যে যে সরাসরি যোগাযোগ (Tahawwur Rana) ছিল, তাও বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে (Mumbai Attacks)।

  • Jammu Kashmir Encounter: বাহিনীকে সাহায্য স্থানীয়দের, জম্মু-কাশ্মীরে সংঘর্ষে খতম ৩ জঙ্গি, নিহত ৩ পুলিশকর্মীও

    Jammu Kashmir Encounter: বাহিনীকে সাহায্য স্থানীয়দের, জম্মু-কাশ্মীরে সংঘর্ষে খতম ৩ জঙ্গি, নিহত ৩ পুলিশকর্মীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কাঠুয়া জেলায় (Kathua district) জঙ্গিদমন অভিযানে (anti-terrorist action) তিন পাকিস্তানি জঙ্গি (Pakistani militant) নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে তিন পুলিশ কর্মীরও। এছাড়া পুলিশের একজন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার-সহ সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। জঙ্গি দমন অভিযানে অংশ নেয় স্থানীয় তরুণেরাও। তারা অস্ত্রসহ সংঘর্ষে রসদ সরবরাহ করে নিরাপত্তা বাহিনীকে সাহায্য করে।

    গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে আশ্রয়

    কাঠুয়ার ঘতি যুথানা এলাকার জাখোলা গ্রামে গত রবিবার থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর (Jammu Kashmir Encounter) লড়াই চলছে। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর জঙ্গিরা গত শনিবার সেখানে ঢুকে পড়ে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে আশ্রয় নেয় তারা। জঙ্গলের ভিতরে থাকা গ্রামের মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীকে খবর দিলে বড় আকারে সংঘর্ষ শুরু হয়। তার আগে জঙ্গিরা গ্রামবাসীদের কাছে আশ্রয় চেয়ে ভয় দেখাতে শুরু করে। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই কাঠুয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী গ্রাম সানিয়ালের কাছের এক জঙ্গলে জঙ্গিদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। স্থানীয় এক দম্পতি প্রথম সশস্ত্র জঙ্গিদের দেখতে পেয়েছিলেন। প্রায় পাঁচ-ছয় জন জঙ্গির একটি দল ওই জঙ্গলে জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করছিল। তাদের দেখতে পেয়েই গ্রামবাসীরা খবর দিয়েছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীকে। তার পরি শুরু হয় অভিযান।

    পাঁচ দিন ধরে অভিযান

    গত পাঁচ দিন ধরে, জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir Encounter) পুলিশের ডিআইজি নলিন প্রভাতের নেতৃত্বে সেনা এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী হিরানগর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে। এই জঙ্গিরা পাকিস্তানের দিক থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গিদের এই দলটি একেবারে নতুন বলে অনুমান নিরাপত্তা বাহিনীর। রবিবার হীরানগর সেক্টরে জঙ্গি এবং নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে গুলিযুদ্ধ হয়েছিল। তাতে আহত হয়েছিল এক কিশোরী। বৃহস্পতিবার ওই হীরানগর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে রাজবাগের ঘতি যুথানার জাখোল গ্রামে নতুন করে গুলিযুদ্ধ শুরু হয়। তাতেই দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। মনে করা হচ্ছে, রবিবার যাঁরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিলেন, তাঁরাই বৃহস্পতিবার আবার হামলা চালিয়েছেন।

    পাক জঙ্গিদের খোঁজে শুক্রবারও অভিযান

     হীরানগর এলাকায় জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ, সেনা, বিএসএফ, সিআরপিএফ, এনএসজি। শুক্রবার সকাল (Kathua Gunfight) থেকে ফের অভিযান শুরু হবে বলে বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট নামে জইশ-ই মহম্মদ পরিচালিত একটি সংগঠন সংঘর্ষে তাদের যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনও এই ঘটনার বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর নিহত পুলিশ কর্মীদের মধ্যে একজন সিলেকশন গ্রেড কনস্টেবল এবং বাকি দু’জন সীমান্তের এসডিপিও-র নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।

  • Terrorist Organisations: ৬৭টি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ও বেআইনি সংস্থার তালিকা প্রকাশ কেন্দ্রের, জানুন বিশদে

    Terrorist Organisations: ৬৭টি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ও বেআইনি সংস্থার তালিকা প্রকাশ কেন্দ্রের, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ ৬৭টি জঙ্গি সংগঠন (Terrorist Organisations) ও বেআইনি সংস্থার তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)। এই সংগঠনগুলি হয় জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত, নয়তো ভারতের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি স্বরূপ। সেই কারণে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ)-র আওতায় ওই জঙ্গি সংগঠন ও বেআইনি সংস্থাগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

    ইউএপিএ-র ধারা ৩৫ (Terrorist Organisations)

    জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রকাশিত তালিকায় ৪৫টি সংগঠনকে ইউএপিএ-র ধারা ৩৫-এর অধীনে আনুষ্ঠানিকভাবে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এদের এই আইনটির প্রথম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাকি ২২টি সংগঠনকে ইউএপিএর ধারা ৩(১) অনুযায়ী বেআইনি সংস্থা হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যেসব সংগঠন ও সংস্থাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলির অনেকগুলিই ভারতে বিদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এবং সহিংস কার্যকলাপে জড়িত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়মিত এই তালিকা আপডেট করে। সেই তালিকায় হল প্রকাশিত। এই প্রক্রিয়া ভারতের জঙ্গিবাদ ও উগ্রপন্থা দমনের চেষ্টার একটি অঙ্গ। ইউএপিএ-র আওতায় যে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়। এর মধ্যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এবং বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত সদস্যদের গ্রেফতার করাও অন্তর্ভুক্ত।

    জঙ্গি সংগঠনের তালিকা

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে সংগঠনগুলিকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেগুলি হল – বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল, খালিস্তান কমান্ডো ফোর্স, খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স, ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশন, লস্কর-ই-তৈবা বা পাসবান-এ-আহলে হাদিস বা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট এবং এদের সকল শাখা ও সহযোগী সংগঠন, জইশ-ই-মহম্মদ বা তাহরিক-ই-ফুরকান বা পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (PAFF) এবং এদের সকল শাখা ও সহযোগী সংগঠন, হরকত-উল-মুজাহিদিন বা হরকত-উল-আনসার বা হরকত-উল-জেহাদ-ই-ইসলামি বা আনসার-উল-উম্মাহ, হিজবুল মুজাহিদিন বা হিজবুল মুজাহিদিন পীর পাঞ্জাল রেজিমেন্ট, আল-উমর-মুজাহিদিন, জম্মু ও কাশ্মীর ইসলামিক ফ্রন্ট, ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম (ULFA), অসমের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অফ বডোল্যান্ড (NDFB), পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA), ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (UNLF), পিপলস রেভল্যুশনারি পার্টি অব কাংলেইপাক (PREPAK), কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (KCP), কাংলেই ইয়াওল কানবা লুপ (KYKL), মণিপুর পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (MPLF), অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স (ATTF), ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (NLFT), লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (LTTE), স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (SIMI), দিনদার আনজুমান, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)-পিপলস ওয়ার এবং এর সমস্ত শাখা, মাওবাদী কমিউনিস্ট সেন্টার (MCC), এর সমস্ত গঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি। তালিকায় (Terrorist Organisations) রয়েছে আল বদর, জামিয়াত-উল-মুজাহিদিন, আল-কায়েদা বা ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়দা (AQIS) এবং এর সমস্ত রূপ, দুখতারান-ই-মিলাত (DEM); তামিলনাড়ু মুক্তি বাহিনী (TNLA); তামিল ন্যাশনাল (MHA) রিট্রিভাল ট্রুপস (TNRT); অখিল ভারতীয় নেপালি একতা সমাজ (ABNES); এবং ২০০৭ সালের রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও দমন (নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন) নির্দেশের তফসিলে তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলি, যা ১৯৪৭ সালের রাষ্ট্রসংঘ (নিরাপত্তা পরিষদ) আইন অনুসারে তৈরি এবং সময়ে সময়ে সংশোধিত হয়েছে; তেমনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) এবং এর সমস্ত সংগঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; গারো ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (GNLA) এবং এর সমস্ত গঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন এবং এর সমস্ত গঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; ইসলামিক স্টেট বা ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক ও লেভান্ত বা ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক ও সিরিয়া বা দাইশ এবং এর সমস্ত রূপ; ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড (খাপলাং) এবং এর সমস্ত গঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; খালিস্তান লিবারেশন ফোর্স এবং এর সমস্ত রূপ; তেহরিক-উল-মুজাহিদিন (TuM); জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জামাত-উল-মুজাহিদিন ভারত বা জামাত-উল-মুজাহিদিন হিন্দুস্তান এবং এর সমস্ত রূপ; জম্মু ও কাশ্মীর গজনবি ফোর্স (JKGF) এবং এর সমস্ত রূপ ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; খালিস্তান টাইগার ফোর্স (KTF) এবং এর সমস্ত রূপ ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি;
    এবং হিজব-উত-তাহরির (HuT) এবং এর সমস্ত রূপ ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি।

    অবৈধ সংগঠন

    অবৈধ সংগঠন হিসেবে ঘোষিত গোষ্ঠীগুলি হল, শিক্ষার্থী ইসলামী আন্দোলন, ভারত (SIMI), ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম (ULFA), অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স (ATTF), ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (NLFT), হ্নিউত্রেপ ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল (HNLC), লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (LTTE), ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড (খাপলাং) (Terrorist Organisations), ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (IRF), জম্মু ও কাশ্মীর জামাত-এ-ইসলামি, জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (মোহাম্মদ ইয়াসিন মালিক গোষ্ঠী), শিখস ফর জাস্টিস (SFJ), জম্মু ও কাশ্মীর ডেমোক্রেটিক ফ্রিডম পার্টি, মুসলিম লিগ জম্মু ও কাশ্মীর (মাসরাত আলম গোষ্ঠী), তেহরিক-ই-হুরিয়ত, জম্মু ও কাশ্মীর, মুসলিম কনফারেন্স জম্মু ও কাশ্মীর (ভাট গোষ্ঠী), মুসলিম কনফারেন্স জম্মু ও কাশ্মীর (সুমজি গোষ্ঠী), জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল ফ্রন্ট, জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ফ্রিডম লিগ।

    আরও অবৈধ সংগঠন

    এছাড়াও, সাতটি মৈতেই চরমপন্থী সংগঠনকেও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলি হল, পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) এবং এর রাজনৈতিক শাখা, রেভোলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট (RPF), ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (UNLF) এবং এর সশস্ত্র শাখা ‘রেড আর্মি’, পিপলস রেভোলিউশনারি পার্টি অফ কাংলেইপাক (PREPAK) এবং এর সশস্ত্র শাখা ‘রেড আর্মি’, কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (KCP) এবং এর সশস্ত্র শাখা, যা ‘রেড আর্মি’ নামে পরিচিত, কাংলেই ইয়াওল কানবা লুপ (KYKL), কোঅর্ডিনেশন কমিটি (CorCom), অ্যালায়েন্স ফর সোশ্যালিস্ট ইউনিটি কাংলেইপাক (ASUK)। এছাড়াও, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) এবং এর সহযোগী, অধিভুক্ত বা শাখাগুলিকেও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলি হল: রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, রিহ্যাব ফাউন্ডেশন, কেরালা। জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস লিগের চারটি গোষ্ঠী, যথা জেকেপিএল (মুখতার আহমদ ওয়াজা), জেকেপিএল (বশির আহমেদ টোটা), জেকেপিএল (গুলাম মোহাম্মদ খান (MHA) ওরফে সোপোরি) এবং জেকেপিএল (আজিজ শেখ), যা ইয়াকুব শেখের নেতৃত্বে রয়েছে, তাদের নামও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ইউএপিএ ১৯৬৭ ভারতের প্রধান সন্ত্রাসবিরোধী আইন, যা সরকারকে বিভিন্ন সংগঠন জঙ্গি গোষ্ঠী বা অবৈধ সংস্থা (Terrorist Organisations) হিসেবে ঘোষণা করার ক্ষমতা দেয়, যাতে সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এই আইনটি একাধিকবার সংশোধন করা হয়েছে। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার পর এটি আরও কঠোর করা হয়েছে।

    একটি সংগঠনকে জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণার অর্থ হল ভারতের অভ্যন্তরে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, তাদের আর্থিক সম্পদ ফ্রিজ করা, সদস্যদের তহবিল সংগ্রহ বা নিয়োগ প্রতিরোধ করা এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। ভারত সরকার নিয়মিত এই তালিকা আপডেট করে, যাতে দেশ ও দেশের বাইরে সক্রিয় জঙ্গি, বিদ্রোহী এবং চরমপন্থী (MHA) গোষ্ঠীগুলোর হুমকির মোকাবিলা করা যায় (Terrorist Organisations)।

LinkedIn
Share