Tag: Terrorist

Terrorist

  • Hizbul Terrorist: কাশ্মীরে বিস্ফোরক-সহ গ্রেফতার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি, ছক কষেছিল নাশকতার?

    Hizbul Terrorist: কাশ্মীরে বিস্ফোরক-সহ গ্রেফতার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি, ছক কষেছিল নাশকতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮ বছর ধরে পালিয়ে বেড়ানোর পরেও শেষ রক্ষা হল না। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) পুঞ্চ থেকে গ্রেফতার হিজবুল জঙ্গি (Hizbul Terrorist)। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়ানো এই জঙ্গিকে শেষমেশ গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা এবং জম্মু-কাশ্মীরের কাঠগড় থানার পুলিশ। শনিবার উলফত হুসেন নামের ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় ছিল হুসেনের নাম। তার মাথার দাম ছিল ২৫ হাজার টাকা।

    পুঞ্চে ঘোরাফেরা জঙ্গির (Hizbul Terrorist)

    জানা গিয়েছে, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সাহারনপুরের সন্ত্রাসদমন শাখার কাছে খবর আসে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে হুসেনকে। খবর পেয়েই পুঞ্চে পৌঁছে যান সন্ত্রাসদমন শাখার কর্তারা। তাঁরা যোগাযোগ করেন কাঠগড় থানার সঙ্গে। তার পরেই মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গিকে ধরতে অভিযানে নামে সন্ত্রাসদমন শাখা ও কাঠগড় থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় হুসেনকে। তার কাছ থেকে একটি একে ৪৭, একে ৫৬, দুটি পিস্তল, ১২টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৩৯টি টাইমার, ৫০টি ডিটোনেটর, ৩৭টি ব্যাটারি, ২৯ কেজি বিস্ফোরক, ৫৬০টি তাজা কার্তুজ এবং ৮টি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়েছে। ২০০২ সালে চার সঙ্গী-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল হুসেনকে।

    পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল হুসেন

    ২০০৮ সালে জেল থেকে ছাড়া পায়। তার পর থেকেই পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল হুসেন। আদালতে হাজিরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হুসেনকে। তবে বারবারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছে সে (Hizbul Terrorist)। এর পরেই হুসেনের বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। ঘোষণা করা হয় পুরস্কারও। হুসেনের খোঁজে চলতে থাকে তল্লাশি। অবশেষে পুঞ্চ থেকে গ্রেফতার করা হয় হুসেনকে। জানা গিয়েছে, পলাতক এই জঙ্গির কাছ থেকে যে পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে দেশে বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করেছিল মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গি। এক বছর ধরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণও নিয়েছিল হুসেন।

    ১৯৯১ সালে জম্মু-কাশ্মীর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই হুসেন ধর্মীয় শিক্ষার পাঠ নিতে কাশ্মীর থেকে উত্তরপ্রদেশের বারেলিতে আসে হুসেন। পরে রামপুরে এবং তারও (Jammu And Kashmir) পরে মোরাদাবাদে যায় সে। সেখানেই সে মৌলবী ‘সেজে’ ছিল (Hizbul Terrorist)।

  • Tahawwur Rana: ভারতে আসতেই হচ্ছে! ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর রানার আর্জি খারিজ আমেরিকায়

    Tahawwur Rana: ভারতে আসতেই হচ্ছে! ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর রানার আর্জি খারিজ আমেরিকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে আসতেই হচ্ছে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। রানার ভারতে প্রত্যর্পণে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তাহাউর জানিয়েছিলেন, সে পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত মুসলিম হওয়ায় ভারতে নির্যাতনের শিকার হতে পারেন। কিন্তু তাহাউর রানার সেই আশঙ্কাকে গুরুত্ব দেননি বিচারপতি। তাঁর প্রত্যর্পণের উপর কোনও স্থগিতাদেশ চাপায়নি মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে তাহাউর রানার ভারতে প্রত্যর্পণ কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল।

    মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে রানার আর্জি

    পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তাহাউর রানা (Tahawwur Rana) মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে ‘প্রত্যর্পণ স্থগিতের জরুরি আবেদন’ দাখিল করেছিলেন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, তাঁর প্রত্যর্পণের অর্থ হল আন্তর্জাতিক আইন ও রাষ্ট্রসংঘের নির্যাতন-বিরোধী কনভেনশন লঙ্ঘন করা। কারণ ভারতে তাঁকে নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হতে পারে। তাঁর আবেদনে আরও বলা হয়, ‘পাকিস্তানি মুসলিম হিসেবে মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় ভারতে নির্যাতনের ঝুঁকি আরও বেশি।’ এছাড়া, তিনি তাঁর শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখিয়ে উল্লেখ করা হয়, তাহাউর একাধিক প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত। তাঁর আইনজীবীরা আদালতে জানান, তিনি একাধিক হার্ট অ্যাটাক, পার্কিনসনস ডিজিজ, ব্লাডার ক্যান্সারের আশঙ্কা, স্টেজ ৩ ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, অ্যাজমা এবং কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় জেলে বন্দি হওয়া তার জন্য ‘প্রকৃত অর্থে মৃত্যুদণ্ড’ হবে বলে তিনি দাবি করেন।

    আবেদন খারিজ

    মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট রানার এই আবেদন গ্রহণ করেনি এবং ভারতীয় প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রানা পাল্টা যুক্তি দিয়েছিলেন, ‘যদি এই প্রত্যর্পণ স্থগিত করা না হয়, তাহলে মার্কিন আদালতের এক্তিয়ার থাকবে না এবং আমি শিগগিরই মারা যাব।’ এর আগে একাধিক নিম্ন আদালতে আইনি লড়াই হেরে যায় সে। স্যান ফ্রান্সিসকোতে নর্থ সার্কিট আমেরিকান কোর্ট অফ আপিলেও হেরে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মার্কিন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর দিনই তাহাউর রানার রিট পিটিশন খারিজ করে দিয়েছিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। এ বার আমল দিল না তার জরুরি ভিত্তিতে করা আবেদনেও। বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে রয়েছেন তিনি। শীঘ্রই তাঁকে ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    রানার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া

    উল্লেখ্য, ভারত ও আমেরিকা দুই দেশের মধ্যে ১৯৯৭ সালে প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই আবহে ভারতের অনুরোধে আমেরিকার প্রশাসন রানাকে গ্রেফতার করেছিল। ২০১১ সালে শিকাগোর আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল রানা। তার বিরুদ্ধে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগ ছিল। প্রসঙ্গত, তাহাউর রানার বন্ধু পাকিস্তানি-আমেরিকান নাগরিক ডেভিড কোলম্যান হেডলি। এই আবহে ২০২৩ সালের মে মাসে একটি মার্কিন আদালত পাক বংশোদ্ভূত রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের পক্ষে রায় দিয়েছিল। তবে সেই রায়ের বিরুদ্ধে রানা আবেদন করেছিল। তারপর রানার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল। তবে ২১ জানুয়ারি তাহাউর রানার প্রত্যর্পণে ছাড়পত্র দেয় আমেরিকার শীর্ষ আদালত।

    ভারতের দাবিতে সিলমোহর

    প্রসঙ্গত, তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana) ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় ধরেই সওয়াল করে আসছিল নয়াদিল্লি। ভারতের দাবি, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার এই নাগরিকই হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার ঘটনায় অন্যতম চক্রী। তাই ভারতের বিচারব্যবস্থার অধীনেই তাঁর বিচার হওয়া উচিত। গত ১৬ ডিসেম্বর মার্কিন সলিসিটর জেনারেল এলিজাবেথ বি প্রিলগার মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেন, যাতে শীর্ষ আদালত রানার আবেদন খারিজ করে দেয়। এদিকে রানার আইনজীবী ২৩ ডিসেম্বর সরকারের প্রস্তাব চ্যালেঞ্জ করেন এবং সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানান, যাতে এই মামলায় রানার রিট পিটিশন গ্রহণ করা হয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত মার্কিন শীর্ষ আদালত রানার আবেদনের বিরুদ্ধেই রায় ঘোষণা করে দেয়।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগ

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরকালে রানার প্রত্যর্পণে অনুমোদন দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ‘খুব শিগগিরই রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হবে এবং তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’ এর পরেই শুরু হয় প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া। কিন্তু ফের মার্কিন শীর্ষ আদালতে শেষ চেষ্টা করেন রানা। তবে তাঁর সেই চেষ্টায়ও জল ঢালল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ের আটটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা চালায় পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিরা। এই হামলায় ১৬৬ জন নিহত হন এবং বহু মানুষ আহত হন। যাঁদের মধ্যে ছ’জন মার্কিন নাগরিকও ছিলেন। হামলা চালিয়েছিল ১০ জন পাকিস্তানি জঙ্গি।

  • Joe Biden: ইউএসএআইডির টাকা গিয়েছে হামাস, তালিবান, আল কায়েদার হাতে! কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    Joe Biden: ইউএসএআইডির টাকা গিয়েছে হামাস, তালিবান, আল কায়েদার হাতে! কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা গিয়েছে জঙ্গিদের হাতে! বিশ্বের মার্কামারা জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতে পৌঁছেছে এই টাকা। জঙ্গিদের এই তালিকায় রয়েছে কুখ্যাত হামাস, তালিবান এবং আল কায়েদাও। ঘটনাটিকে মার্কিন কংগ্রেসের আইনপ্রণেতারা ‘জাতীয় লজ্জা’ এবং ‘মার্কিন করদাতাদের সঙ্গে বিপজ্জনক বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে অভিহিত করেছেন (Joe Biden)।

    অর্থ সাহায্যে উদ্বেগ (Joe Biden)

    জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (USAID) মাধ্যমে বিলি করা বৈদেশিক সাহায্য খরচ হয়েছে ওই খাতে। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে এক শুনানি হয়। শিরোনাম ছিল ‘আমেরিকা লাস্ট: কীভাবে বিদেশি সাহায্য সারা বিশ্বে মার্কিন স্বার্থকে দুর্বল করেছে’। ইউএসএআইডি কীভাবে করদাতাদের অর্থ খরচ করেছে, তা খতিয়ে দেখতেই আয়োজন করা হয়েছিল শুনানির। এই শুনানিতে প্রতিনিধি টিম বারচেট এবং মার্জোরি টেলর গ্রিন ইজরায়েলের ওপর হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় দেওয়া ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

    করদাতার অর্থ হামাসকে বাঁচিয়ে রেখেছে!

    বাইডেন প্রশাসনকে নিশানা করে বারচেট বলেন, “করদাতার অর্থ হামাসকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমাদের সরকার অন্ধভাবে কোটি কোটি ডলার সেই অঞ্চলে পাঠাচ্ছে, যা আদতে একটি জঙ্গি সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি অবমাননাকর ব্যাপার। এই প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এটা নিশ্চিত করতে যে আমাদের সাহায্য সেই লোকরাই অপব্যবহার করছে, যারা আমেরিকা ও ইজরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চায়।” এক্সপার্ট উইটনেস রোমান সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বলেন, “শিথিল তদারকি এবং জরুরি অনুমোদনের কারণে ইউএসএআইডি তহবিল গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এড়িয়ে গিয়েছে।”

    কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “‘জরুরি ব্যবহার’ বিধানের কারণে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এর ফলস্বরূপ, গাজার দিকে পাঠানো প্রায় ৯০ শতাংশ মার্কিন সাহায্য হামাস-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে চলে গিয়েছে। এটি অযৌক্তিক। সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির আগে পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কার্যত হামাসের টিকে থাকায় ইন্ধন জুগিয়েছে।” বারচেট বলেন, “বাইডেন প্রশাসন এখনও আফগানিস্তানে প্রতি সপ্তাহে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠাচ্ছে। এই অর্থের প্রধান উপভোক্তা তালিবান এবং আল কায়েদা।”

    তালিবানের কাছে নিলামে তোলা হয়

    এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন (Joe Biden), “প্রতি সপ্তাহে চার্টার জেটের মাধ্যমে আফগানিস্তানে করদাতাদের ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ পাঠানো হচ্ছে। এই নগদ অর্থ এরপর তালিবানের কাছে নিলামে তোলা হয়, যারা তাদের অংশ কেটে নেওয়ার পর বাকি অর্থ এনজিওগুলির মধ্যে বিলি করে। এই এনজিওগুলি পরে তালিবানকে ‘কর’ দিতে বাধ্য হয়, যা আদতে জঙ্গি শাসনব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে।” রোমানও বলেন, “আমাদের কাছে এমন প্রমাণও রয়েছে যেখানে মার্কিন সহায়তা পরোক্ষভাবে সোমালিয়ার আল-শাবাব, সুদানের হামজি নেটওয়ার্ক, হামাস, ইসলামিক জিহাদ, হিজবুল্লা, কাতাইব হিজবুল্লা এবং সিরিয়ার হায়াত তাহরির আল-শামকে সমর্থন করেছে।” তিনি বলেন, “ইউএসএইড কার্যত বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সংগঠনগুলোর জন্য একটি নগদ অর্থের পাইপলাইন হয়ে উঠেছে।” গ্রিনের অভিযোগের আঙুল আবার ইউক্রেনের দিকে।

    “আমরা একে দুর্নীতি বলি”

    তিনি জানান, জো বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন ইউএসএইড (USAID) তহবিল ব্যবহার করে তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনকে ইউক্রেনে দুর্নীতির তদন্ত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেন, “যখন জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তাঁর ছেলে হান্টার ইউক্রেনের একটি জ্বালানি কোম্পানি, বুরিসমার বোর্ডে ছিলেন, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় প্রসিকিউটর জেনারেল ভিক্টর শোকিন বুরিসমার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “তখন বাইডেন (Joe Biden) হুমকি দেন যে শোকিনকে বরখাস্ত না করলে ১ বিলিয়ন ডলার ইউএসএআইডি অনুদান আটকে দেওয়া হবে। এটা সব ভিডিওতে ধরা আছে।” সাক্ষী প্রিমোরাক বলেন, “আমরা একে দুর্নীতি বলি।”

    ইউএসএআইডির ভূমিকার নিন্দা

    ইউএসএআইডির ভূমিকার নিন্দা করে গ্রিন বলেন, “ইউএসএআইডি-প্রণোদিত শাসন পরিবর্তনের সবচেয়ে বিস্তৃত উদাহরণগুলোর একটি হল বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার জন্য সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করা।” তিনি বলেন, “আমেরিকাকে নিরাপদ করার পরিবর্তে ইউএসএআইডির অর্থ শেষ পর্যন্ত এমন কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে পৌঁছে যায়, যারা পরবর্তীকালে মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে চলে যায় (Joe Biden)।”
    রিপাবলিকান প্রতিনিধি এরিক বার্লিসন বলেন, “এটি আমেরিকান করদাতাদের প্রতি একটি লজ্জাজনক বিশ্বাসঘাতকতা। ইউএসএআইডি (USAID) সম্পূর্ণভাবে তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে এবং এর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “আমরা এটা কখনওই মেনে নেব না যে আমেরিকান নাগরিকরা যখন জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে সংগ্রাম করছেন, তখন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার চলে যাচ্ছে জঙ্গিদের অর্থায়নে।”

  • Hamas: পাক জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মেলাল হামাস, কাশ্মীরকে অশান্ত করার ছক?

    Hamas: পাক জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মেলাল হামাস, কাশ্মীরকে অশান্ত করার ছক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পাক জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মেলাল প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Hamas)! বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) পালিত হয়েছে ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’। সেখানে আয়োজন করা হয়েছিল ভারত-বিরোধী এক জঙ্গি সম্মেলনেরও। অভিযোগ, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন যোগ দিয়েছিল ওই সম্মেলনে। জানা গিয়েছে, সম্মেলনে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তইবার নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হামাসের প্রবীণ নেতারাও।

    কাশ্মীর সংহতি দিবস (Hamas)

    এদিন রাওয়ালকোটের শহিদ সাবির স্টেডিয়ামে কাশ্মীর সংহতি ও হামাস অপারেশন আল আকসা বন্যা শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথিদের মধ্যে ছিলেন জইশের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই তালহা সইফ, জইশের কমান্ডার আসগর খান কাশ্মীরি ও মাসুদ ইলিয়াস। লস্করের শীর্ষ স্থানীয় নেতারাও ছিলেন। এই সম্মেলনেই যোগ দিয়েছিলেন ইরানে হামাসের প্রতিনিধি খালিদ আল কাদুমি।

    জইশ এবং লস্কর

    বৈঠকে খালিদ ছাড়াও হামাসের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন প্যালেস্তাইনি নেতাও উপস্থিত ছিলেন। এই জঙ্গি নেতারা আলাদা করে বৈঠক করেন জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের প্রধান মওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গেও। ভারতের (Hamas) মাটিতে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ এবং লস্করের সদস্যরা। ভারত-বিরোধী এই সব জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হামাস নেতাদের বৈঠকে ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এই হামাসই অতীতে একাধিকবার কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল। সেই সময় জল্পনা ছড়িয়েছিল, দক্ষিণ এশিয়ার জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে হামাসের যোগসূত্র থাকতে পারে। কাশ্মীর সংহতি দিবসের এই অনুষ্ঠানই ফের উস্কে দিল সেই জল্পনাই।

    কাশ্মীর সংহতি দিবস পালনের সূচনা

    ১৯৯১ সালে কাশ্মীর সংহতি দিবস পালনের সূচনা করেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সেই থেকে ফি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটি পালন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। পাকিস্তানের (POK) সব সরকারি প্রতিষ্ঠানেও ছুটি থাকে এদিন। সাম্প্রতিক অতীতে দিনটিকে ভারত বিরোধী প্রচারের কাজে ব্যবহার করছেন পাকিস্তানের রাজনীতির কারবারিরা। প্রতিবারই আপত্তি জানিয়ে আসছে ভারত। ভারতের সেই আপত্তি অগ্রাহ্য করে এবারও কাশ্মীর সংহতি দিবস পালন করেছে পাকিস্তানের সরকার। ভারতের হাতে নিপীড়িত কাশ্মীরবাসীর পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Hamas)।

    ‘আল আকসা ফ্লাড’-এর ব্যানারে সম্মেলন

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এবার যে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল, তা করা হয়েছিল ‘আল আকসা ফ্লাড’-এর ব্যানারে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর এই নামেই ইজরায়েলে অপারেশন চালিয়েছিল হামাস। প্যালেস্তাইনের এই জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে সেদিন প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭০০ জন নিরীহ মানুষ। আল আকসা হল জেরুজালেমের এক মসজিদ। এই মসজিদের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব দাবি করেছে একই সঙ্গে মুসলিম ও ইহুদি দু’পক্ষই। হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যে লড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল তার অন্যতম নেপথ্য কারণ এটিও। ইজরায়েল ইহুদি রাষ্ট্র। আর হামাস মুসলিম। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আল আকসা ফ্লাডের ব্যানারে সম্মেলন হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত। কারণ এই নামকে হাতিয়ার করেই মুসলিম ভাবাবেগকে উস্কে দিতে চাইছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেটাকে কাজে লাগিয়েই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঘাঁটি গাড়ছে বিভিন্ন দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলি (Hamas)।

    পাক চেষ্টা ব্যর্থ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই চাইছে জম্মু-কাশ্মীরের ইস্যুকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরতে। যদিও সেই মঞ্চে মিথ্যাচার চালিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি ইসলামাবাদ। এবার হামাস কমান্ডারকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়ে এসে পাক (POK) প্রশাসন বিশ্বের দরবারে এই বার্তাই পৌঁছে দিতে চাইছে, প্যালেস্তাইন এবং কাশ্মীরের সমস্যা একই। মধ্য প্রাচ্যে গাজার মতোই কাশ্মীরে চলছে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার। কাশ্মীর ইস্যুতে বিশ্বের মুসলমান দেশগুলিকে পাশে পেতে বহু কাঠখড় পুড়িয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। তবে বেশিরভাগ মুসলিম দেশই রয়েছে ভারতের সঙ্গে। সৌদি আরব, ইউএই, কাতার এবং কুয়েত তো রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে বরাবর ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক ও মালয়েশিয়া।

    তিনটি জঙ্গি সংগঠনের মাথারা

    বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে সম্মেলন হয়েছে, সেখানে জড়ো হয়েছিলেন তিনটি জঙ্গি সংগঠনের মাথারা। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এই তিন জঙ্গি সংগঠনকে একত্রিত করে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতার ছক কষছে পাক সেনাবাহিনী এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। মোদি জমানায় শান্ত হয়েছে ভূস্বর্গ কাশ্মীর। সেই কাশ্মীরেই জেহাদের স্বপ্ন ফেরি করে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ফের রক্তাক্ত করে তুলতে চাইছে কাশ্মীরকে। সেই কারণেই সীমান্তের ওপারের জঙ্গি ঘাঁটিগুলির ওপর কড়া নজর রাখছে ভারত। সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

    ঘটনাচক্রে, এদিন যখন সম্মেলন চলছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে, ঠিক তখনই মুজফফরাবাদে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ভাষণ শেষে তিনি স্লোগান দেন, ‘কাশ্মীর বনেগা পাকিস্তান’। আরও একধাপ এগিয়ে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির আহমেদ দাবি করেন, একদিন গোটা কাশ্মীর হবে পাকিস্তানের অংশ (POK)। পাক সেনা কাশ্মীরের স্বাধীনতা লড়াইয়ের সঙ্গেই আছে বলেও জানান তিনি (Hamas)।

  • Justin Trudeau: মুখ পুড়ল ট্রুডোর! নিজ্জর হত্যায় ভারত-যোগের প্রমাণ নেই, বলছে কানাডার রিপোর্টই

    Justin Trudeau: মুখ পুড়ল ট্রুডোর! নিজ্জর হত্যায় ভারত-যোগের প্রমাণ নেই, বলছে কানাডার রিপোর্টই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ ছাড়াই নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এবার নিজের দেশের রিপোর্টেই জানা গেল ট্রুডোর দাবি ভিত্তিহীন। স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়ল কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রীর। কানাডার রিপোর্টেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিজ্জর হত্যায় (Nijjars Killing) কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের যোগের নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।

    নিজ্জর খুনে কানাডার অভিযোগ (Justin Trudeau)

    ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার সারেতে একটি গুরুদ্বারের বাইরে খুন হন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং পুরী নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ট্রুডো। কেবল দাবি করাই নয়, কানাডার সংসদেও এমন দাবি করেছিলেন তিনি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করেছিল ভারত। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, নিজ্জর খুনে ভারতের কোনও হাত নেই। এবার কানাডা কমিশনের নয়া রিপোর্টেও জানিয়ে দেওয়া হল, খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনে ভারতের হাতই নেই। মঙ্গলবার ‘পাবলিক ইনকোয়ারি ইনটু ফরেন ইন্টারফেয়ারেন্স ইন ফেডারেল ইলেক্টোরাল প্রসেসেস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউশনস’ শীর্ষক রিপোর্টেই এ কথা জানানো হয়েছে।

    ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি

    খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনের জেরে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ছ’জন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতও বহিষ্কার করে কানাডার ছ’জন কূটনীতিককে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের জেরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। পরবর্তীকালে দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। ১২৩ পাতার ওই রিপোর্টে কমিশনার মেরি জোসি হোগ বলেন (Justin Trudeau), “বিভ্রান্তিমূলক তথ্যকে এখানে একটি প্রতিশোধমূলক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী সিদ্ধান্তগুলির জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।” অর্থাৎ ভারতের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে কমিশনের রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় সন্দেহভাজন ভারতীয় জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পরে পাল্টা ভারতের তরফে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হয়েছে। তবে রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে বিদেশের যোগ নেই (Nijjars Killing)।

    কী বলছে কমিশনের রিপোর্ট

    জানা গিয়েছে, কানাডার নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সে দেশের গণতান্ত্রিক সংগঠনগুলির ওপর বিদেশিদের হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করছিল ওই কমিশন। সেই কমিশনের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, নিজ্জর খুনে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অথচ কানাডার প্রধানমন্ত্রী ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলার পরে পরেই গত মে মাসে নিজ্জর খুনের অভিযোগে চারজন ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে গ্রেফতার করে কানাডা পুলিশ। চলতি মাসেই জামিন পান তাঁরা। এঁরা হলেন করণ ব্রার, আমনদীপ সিং, কমলপ্রীত সিং এবং করণপ্রীত সিং। অবশ্য জামিন মিললেও, জেলমুক্তি হয়নি তাঁদের। জানা গিয়েছে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বন্দিদশা ঘুঁচবে না ওই চার অভিযুক্তের (Justin Trudeau)। ঘরে-বাইরে অসন্তোষের জেরে ইতিমধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ট্রুডো। তবে এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায় প্রকাশ্যে এল কমিশনের রিপোর্ট। যে রিপোর্টের জেরে আদতে মুখ পুড়ল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর।

    উপযুক্ত জবাব দিয়েছিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    গত অক্টোবরেই কানাডা সরকার অভিযোগ করেছিল, বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে খুনের ঘটনায় ভারত জড়িত। কিন্তু বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, এই বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। আছে কেবল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত কিছু ধারণা। সেই সব সম্ভাবনার কথা ভারতকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন ট্রুডো। ট্রুডোর ওই স্বীকারোক্তির পরে পরেই বিবৃতি দেয় বিদেশমন্ত্রক। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ (Nijjars Killing) দেগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্ত্রক জানায়, তারা যা বলে আসছিল, তা-ই অবশেষে সত্যি হল (Justin Trudeau)। সেই সময় বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল (Justin Trudeau), অভিযোগের প্রেক্ষিতে কানাডা আমাদের কাছে কোনও প্রমাণ দেয়নি। তার পরেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর রুক্ষ আচরণের নিন্দা করে নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়, ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে প্রভাব পড়েছে, তার দায় কেবল ট্রুডোর।

    নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা

    ২০২০ সালে খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে ভারত। এর ঠিক তিন বছর পর খুন হন খালিস্তানপন্থী ওই নেতা। তার পরেই ভারতকে কাঠগড়ায় তোলেন ট্রুডো স্বয়ং। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে দলের মধ্যেই সমালোচনার শিকার হন ট্রুডো। তিনি যতই ভারতকে নিশানা করেছেন, ততই তাঁর দলের মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে বিদ্রোহ। যার জেরে তাঁকে সরতে হয় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। চলতি বছরের শেষের দিকে কানাডায় সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ট্রুডোকে সামনে রেখে লড়তে রাজি নয় তাঁর দল। সেটাও ট্রুডোকে সরিয়ে দেওয়ার একটা বড় কারণ। এমতাবস্থায় ট্রুডোর মুখোশ খুলে দিল তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট (Nijjars Killing)।

    এর পর ফের প্রার্থী হলে আদৌ জিততে পারবেন তো কানাডার প্রধানমন্ত্রী (Justin Trudeau)?

  • Jammu Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি-বাহিনী গুলির লড়াই, ওড়ানো হল সন্ত্রাসীদের ডেরা, শহিদ জওয়ান

    Jammu Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি-বাহিনী গুলির লড়াই, ওড়ানো হল সন্ত্রাসীদের ডেরা, শহিদ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হলেন এক জওয়ান (Jammu Kashmir)। সোমবার দুপুরে ওই জওয়ানের শহিদ হওয়ার (Army Personnel Killed) খবর জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। রবিবার গভীর রাত থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোরের জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায়।

    জঙ্গিদের ডেরায় হানা (Jammu Kashmir)

    জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায় জঙ্গিদের একটি ডেরার সন্ধান পেয়ে রবিবার গভীর রাতে হানা দেয় সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়েই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। ছুড়তে শুরু করে গ্রেনেডও। গুলিবিদ্ধ হন ওই জওয়ান। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। তবে জঙ্গিদের ওই আস্তানা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে সেনা। সোমবার সকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় গুলির লড়াই চলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জঙ্গিদের সন্ধানে এলাকা ঘিরে তল্লাশি শুরু করেছে সেনা, আধাসেনা ও পুলিশ।

    ৬ মাসে খতম ২৩ জঙ্গি

    ডিসেম্বরের ২১ তারিখ সন্ধ্যায় সোপোরের ডাঙ্গিওয়াচা এলাকায় জঙ্গিদের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি একে সিরিজের রাইফেল, একটি পিস্তল এবং ২৫০ রাউন্ড গুলি। জানা গিয়েছে, গত বছরের মে মাস থেকে পয়লা নভেম্বর পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে ২৩ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। শহিদ হয়েছেন বাহিনীর ২৪ জন জওয়ান। এঁদের মধ্যে কাশ্মীরে শহিদ হয়েছেন ৬ জন। আর জম্মুতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন।

    আরও পড়ুন: ভারতের শক্তি অন্তর্নিহিত রয়েছে একতার মধ্যে, মনে করেন মোহন ভাগবত

    এদিকে, ফি বার (Jammu Kashmir) শীতে তুষারপাতের আগে রাজৌরি এবং পুঞ্চের জঙ্গল দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। সেই কারণেই প্রতিবারের মতো এবারও গত কয়েক মাস ধরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ওই সব অঞ্চলের জঙ্গলে। অনুপ্রবেশ রুখতে প্রাণপণ করেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তার পরেও নিরাপত্তার ফাঁক গলে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কাশ্মীরে অশান্তি জিইয়ে রাখতেই পাকিস্তান মদত (Army Personnel Killed) দেয় এই অনুপ্রবেশে (Jammu Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jammu Kashmir: উপত্যকায় দফায় দফায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ! অনন্তনাগে খতম ২ জঙ্গি, শ্রীনগরে চলছে অভিযান

    Jammu Kashmir: উপত্যকায় দফায় দফায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ! অনন্তনাগে খতম ২ জঙ্গি, শ্রীনগরে চলছে অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত উপত্যকা। দফায় দফায় চলছে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ। শনিবার সকাল থেকেই জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) অনন্তনাগে জঙ্গি দমন অভিযান শুরু হয়। সেই অভিযানে মৃত্যু হল দুই জঙ্গির। শ্রীনগরেও চলছে এনকাউন্টার। বান্দিপোরাতেও অভিযান চলে শুক্রবার সন্ধ্যায়। 

    তল্লাশি জারি অনন্তনাগে

    সেনা সূত্রে খবর, শনিবার সকালে অনন্তনাগের হল্কান গলি এলাকায় জঙ্গিদমন অভিযান শুরু করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। ওই অভিযানেই দু’জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। যে দুই জঙ্গিকে (Jammu Kashmir) নিকেশ করা হয়েছে, তারা এ দেশের নয়। অন্য দেশ, সম্ভবত পাকিস্তান থেকে এসেছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই এ দিন সকালে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ঘণ্টাখানেক ধরে সেই সংঘর্ষ চলে। শেষ আপডেট অনুযায়ী, দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। এখনও তল্লাশি জারি রয়েছে। আরও জঙ্গির উপস্থিতি আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই জঙ্গিরা কোন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত, তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

    শ্রীনগরে অভিযান

    অন্যদিকে, শনিবার শ্রীনগরেও (Jammu Kashmir) এনকাউন্টার শুরু হয়েছে বলে খবর। বড়সড় জঙ্গি দমন অভিযান চলছে দোদা, কিস্তেওয়ার, পুঞ্চ, রাজৌরি সহ জম্মু-কাশ্মীরের ৩০ জায়গায়। সেনা সূত্রে খবর, শনিবার সকালে শ্রীনগরের খানিয়ার এলাকাতেও জঙ্গিদের খোঁজে একটি অভিযান শুরু হয়েছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযান চলছে সেখানে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছেন তাঁরা। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, খানিয়ারে এখনও জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলছে সেনার। বান্দিপোরায়ও জঙ্গি দমন অভিযান চলছে। 

    জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপ ঘটেছে উপত্যকায়। কখনও সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। কখনও হামলা চালিয়েছে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের উপর। শুক্রবারও কাশ্মীরের বদগাঁওয়ে ভিন্‌ রাজ্যের দুই শ্রমিককে লক্ষ্য করে গুলি করে জঙ্গিরা। তার পর থেকেই জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, জঙ্গিরা হামলার পর নিকটবর্তী একটি জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। পরে সেনার কাছে খবর আসে নগরের খানিয়ারে একদল জঙ্গি আশ্রয় নিয়েছে। সেই খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযানে যায় সেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনী। উপত্যকায় যেকোনও মূল্যে শান্তি ফেরাতে সক্রিয় সেনা ও প্রশাসন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: ভোটের মুখে ফের রক্তাক্ত উপত্যকা, কিস্তওয়ারে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত দুই জওয়ান

    Jammu Kashmir: ভোটের মুখে ফের রক্তাক্ত উপত্যকা, কিস্তওয়ারে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত দুই জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের আগে দফায় দফায় উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir)। শুক্রবার কিস্তওয়ারে (Kishtwar) জঙ্গিদের গুলিতে ভারতীয় সেনার দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আরও দু’জন গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এদিন রাতেই কাঠুয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দু’জন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে খবর। সেখানেও গুলির লড়াই চলেছে দীর্ঘ ক্ষণ। এ ছাড়া, বারামুলায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেখানেও রাতভর জঙ্গিদের সঙ্গে জওয়ানদের গুলির লড়াই চলেছে। সকালেও চলছে তল্লাশি অভিযান।

    রাতভর সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের আগে উপত্যকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণ কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) অনন্তনাগ জেলার পাশাপাশি কিস্তওয়ারকে সংযোগকারী ছাতরু বেল্টের নাইদঘাম এলাকায় একটি কর্ডনে কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর মেলে৷ এর পরই, সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়৷ গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছিল বাহিনী। তাদের দেখে জঙ্গলের দিক থেকে গুলিবর্ষণ করে জঙ্গিরা। তখনই চার জওয়ান গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়। এঁরা হলেন নায়েব সুবেদার বিপন কুমার এবং জেসিও সিপাহি অরবিন্দ সিং৷ বাকি দু’জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আকাশপথে সেনা হাসপাতালে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেনার তরফে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টের সময় জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার গুলির লড়াইয়ের খবর জানানো হয়৷ 

    বিক্ষিপ্ত অভিযান

    ভোটের মুখে উপত্যকা (Jammu Kashmir) ক্রমে উত্তপ্ত হচ্ছে। প্রায় প্রতি দিনই জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার গুলির লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়ে গিয়েছে কাশ্মীরে। পাকিস্তানের সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাও চলছে। শুক্রবার রাতেই কাঠুয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দু’জন জঙ্গি খতম হয়েছে বলে খবর। সেখানে এখনও বিক্ষিপ্তভাবে গুলির লড়াই চলছে। উত্তপ্ত বারামুলাও। জম্মু ও কাশ্মীরে শেষ বার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। দীর্ঘ ১০ বছর পর আবার সেখানে ভোট হতে চলেছে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু। তার আগে উপত্যকাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দিয়েছে সেনা।

     

    শের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর! কুলগামে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, হত এক জওয়ান

    Jammu Kashmir: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর! কুলগামে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, হত এক জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) কুলগামে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে (Jammu Kashmir) শহিদ হলেন এক সেনা জওয়ান। শনিবার কুলগাম (Kulgam) জেলার মদেরগাম গ্রামে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে যৌথ অভিযান শুরু করেছিল সিআরপিএফ জওয়ান এবং স্থানীয় পুলিশ। গ্রামে বাহিনী ঢোকার খবর পেয়েই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। সেই সময় এক সেনা জওয়ান গুরুতর জখম হন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি নিহত হন। 

    চলছে তল্লাশি অভিযান (Kulgam)

    পুলিশ সূত্রে খবর, কুলগাম জেলায় মোদারগাও গ্রামে দুই, তিনজন জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পায় গোয়েন্দা বিভাগ। এরপর সিআরপিএফ, সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ একসঙ্গে অভিযান চালায়। জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এই ঘটনা প্রসঙ্গে কাশ্মীর (Jammu Kashmir) জোন পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানান হয় যে, ‘‘কুলগামে গুলি চলেছে। পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত।’’ সেনা সূত্রে খবর, সাময়িকভাবে গুলির লড়াই বন্ধ থাকলেও জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে সেনা।

    আরও পড়ুন: তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ ২৩ জুলাই

    জঙ্গি দমনে অভিযান (Jammu Kashmir)

    সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) জঙ্গিদের দাপট বেড়েছে। গত জুন মাসেও ডোডা জেলায় সেনা ও জঙ্গিদের গুলির লড়াই হয়। আর তাতে ৩ সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, কুলগাম-সহ (Kulgam) দক্ষিণ কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশে সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই অঞ্চলকে জঙ্গিদের প্রভাবমুক্ত করতে একের পর এক অভিযানে নামছে সেনাও। গত মাসেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ‘রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর দু’জন কম্যান্ডার সেনার সঙ্গে গুলির লড়াই চলার সময়ে পুলওয়ামা জেলার একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist: জঙ্গি-যোগে চেন্নাইয়ে এসটিএফের জালে মঙ্গলকোটের আনোয়ার!

    Terrorist: জঙ্গি-যোগে চেন্নাইয়ে এসটিএফের জালে মঙ্গলকোটের আনোয়ার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তবে সেইবার তথ্য প্রমাণ না মেলায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত শুক্রবার মঙ্গলকোটের কুলসোনা গ্রামের অভিযুক্ত আনোয়ার শেখকে চেন্নাই থেকে জঙ্গি-যোগে (Terrorist) আরেক বার গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের শাখা ‘শাহদাত’-এর সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। চেন্নাইতে একটি লন্ড্রিতে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করত বলে জানা গিয়েছে। শনিবার তাকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে, ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

    গোয়েন্দা সূত্রের দাবি (Terrorist)

    মঙ্গলকোটের (Mangalkot) কুলসোনা গ্রামে আগেই জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে আনয়ারের বিরুদ্ধে। শিমুলিয়া মাদ্রাসার নাম উঠে আসে গোয়েন্দাদের হাতে। তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে খবর, এই মাদ্রাসায় যাতায়েত ছিল কালাম শেখের। তবে কালাম তখন পালাতক ছিল। কালামের খোঁজ পেতে আনোয়ারকে প্রথমে আটক করা হয়েছিল। পরে আনোয়ারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে খাগড়াগড়কাণ্ডে অভিযুক্ত কালামের খোঁজ পেতে তিন লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল এনআইএ। পরবর্তী সময়ে তাকে কেরল থেকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে দোষী প্রমাণিত হয়ে জেলে বন্দি কালাম। এবার একই গ্রামের যুবক আনোয়ারকে আবার গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, খাগড়াগড়কাণ্ডের (Mangalkot) সঙ্গে যোগ থাকা এক জঙ্গি (Terrorist) চাঁইয়ের সঙ্গে আনোয়ারের যোগ ছিল বলে সন্দেহ করেছিলেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুনঃ চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    পরিবারের বক্তব্য

    আনোয়ারের স্ত্রী রেজিনা বিবি বলেন, ‘‘আমার স্বামী জঙ্গি (Terrorist) সংগঠনের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত থাকতে পারে না। শুক্রবার বিকেলে পুলিশ ফোন করে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে। গ্রামে কাজ ছিল না বলে আমার স্বামী মাস ছয়েক আগে চেন্নাইয়ে কাজে গিয়েছিল। ওকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share