Tag: Terrorist

Terrorist

  • Pakistan: নির্বাচনের ৪ দিন আগে পাকিস্তানের থানায় জঙ্গি হামলা, হত ১০ পুলিশকর্মী

    Pakistan: নির্বাচনের ৪ দিন আগে পাকিস্তানের থানায় জঙ্গি হামলা, হত ১০ পুলিশকর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সন্ত্রাসবাদীদের হামলার শিকার হলেন পাকিস্তানের (Pakistan) ১০ পুলিশ অফিসার। গুরুতর জখম হয়েছেন ৬ জন। সোমবার উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি থানায় ঢুকে অতর্কিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় ওই পুলিশ আধিকারিকদের। পাকিস্তান পুলিশ জানিয়েছে, এদিন স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ থানায় হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। প্রথমে কনস্টেবলদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয় স্নাইপার রাইফেল দিয়ে। তার পরেই হামলা চালানো হয় থানার ভেতরে। হামলার দায় স্বীকার করে এদিন দুপুর পর্যন্ত বিবৃতি দেয়নি কোনও জঙ্গি সংগঠন। ঘটনার নেপথ্যে তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) হাত রয়েছে বলে অনুমান পাকিস্তান পুলিশের একাংশের।

    কী বলছে পুলিশ?

    দ্রাবানের ডেপুটি পুলিশ সুপার মালিক আনীশ আল হাসান বলেন, “থানার ভেতরে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। অতর্কিত হানায় ব্যাপক ক্ষতি হয়।” খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পুলিশ প্রধান হয়াত গন্দাপুর বলেন, “দেরা ইসমাইল খান জেলার চুওয়াধোয়াঁ থানায় হামলা হয়। তিরিশজনেরও বেশি জঙ্গি এক সঙ্গে তিন দিক থেকে হামলা চালায়। আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গুলি বিনিময় হয় দু’পক্ষে।” থানায় হামলার নিন্দা করেছেন খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী আরশাদ হোসেন শাহ। মৃত পুলিশকর্মীদের (Pakistan) শ্রদ্ধাজ্ঞাপনও করেছেন তিনি। সমবেদনা জানিয়েছেন নিহতদের পরিবারবর্গকে। আহতদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেছেন আরশাদ।

    টিটিপির শক্তি বৃদ্ধি

    গত কয়েক বছর ধরে খাইবার পাখতুনখোয়ায় শক্তি বৃদ্ধি করেছে টিটিপি। গত দু’বছর ধরে পাকিস্তানে একাধিক হামলার নেপথ্যে কারা রয়েছে, তার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সিংহভাগ হামলার নেপথ্যে রয়েছে আফগানিস্তান মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠন। গত ডিসেম্বরেও সামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। আত্মঘাতী সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছিল পাক সেনাবাহিনীর অন্তত ২৩ সদস্যের। সেই ক্ষত ভালো করে শুকোবার আগেই ফের ঘটল সন্ত্রাসী হামলা। যার বলি হলেন ১০ পুলিশ কর্মী।

    আরও পড়ুুন: “কামাখ্যা করিডর হবে উত্তর-পূর্ব ভারতে পর্যটনের প্রবেশদ্বার”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বৃহস্পতিবার সাধারণ নির্বাচন পাকিস্তানে। তার আগে থানায় ঢুকে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ত্রস্ত সাধারণ মানুষ। দিন চারেক আগে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে খুন হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের নেতা রেহান জাইব খান। খাইবার পাখতুনখোয়ার সিদ্দিকাবাদ ফটক বাজার (Pakistan) এলাকায় খুন হন তিনি। অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীদের গুলিতে জখম হয়েছেন পিটিআইয়ের আরও তিন সমর্থক। সব মিলিয়ে নির্বাচনের আগে পাকিস্তানের এই অঞ্চলটির আকাশে কেবলই গোলা-বারুদের গন্ধ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Maldives: মলদ্বীপে বাড়তে পারে মৌলবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ, মাদক পাচার, বলছেন গোয়েন্দারা

    Maldives: মলদ্বীপে বাড়তে পারে মৌলবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ, মাদক পাচার, বলছেন গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের (Maldives) রাষ্ট্রপতি পদে রয়েছেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক। তার জেরে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি জোরালো হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রে। দেশের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে মুসলমান অধ্যুষিত এই দেশে মাথাচাড়া দিতে পারে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, বেড়ে যেতে পারে মাদক পাচারের মতো ঘটনাও।

    একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর ডেরা 

    মলদ্বীপে ইরাক এবং সিরিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএসের ডেরা রয়েছে। ঘাঁটি গেড়েছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা। এই অঞ্চলে মাদক পাচারকারীদের অন্যতম বড় আখড়াও এই দ্বীপরাষ্ট্র। গোয়েন্দাদের দাবি, মলদ্বীপের নির্জন দ্বীপগুলিতে মাদক কারবার চলে রমরমিয়ে। দ্বীপরাষ্ট্রের জেলগুলিতে বসে ব-কলমে এগুলি চালায় গ্যাংস্টারেরা। ভারত মহাসাগরের বুকের এই দ্বীপরাষ্ট্রে (Maldives) ইসলামিক মৌলবাদের রমরমা। এই মৌলবাদীরাই ফান্ডিং করছে বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে।

    ফান্ডিং করছে চিন, পাকিস্তান

    দেশের শাসনের রাশ যাতে ভারতের মতো মিত্র দেশপন্থী কোনও নেতার হাতে চলে না যায়, তাই এই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে নানাভাবে প্রলোভিত করছে চিনা সরকার এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা এখানে আখড়া গড়ে চালাচ্ছে গ্লোবাল কার্যকলাপ। ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে ঘটে ২৬/১১-র ঘটনা। তার ঠিক দু’ বছর পরে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে গিয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম। তখনই তিনি মলদ্বীপ সরকারকে লস্করকে ঠাঁই না দিতে অনুরোধ করেছিলেন। কয়েক বছর সেসব বন্ধ থাকার পর মলদ্বীপে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী।

    আরও পড়ুুন: “এই কংগ্রেস নেহরুর, গান্ধীর নয়”, অযোধ্যার আমন্ত্রণ ফেরানোয় ‘হাত‘কে নিশানা পদ্মের

    সূত্রের খবর, মলদ্বীপের কুর্সিতে চিনপন্থী মুইজ্জু বসতেই বাড়তি ইন্ধন পায় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি। তারপর থেকে ক্রমেই বাড়ছে রমরমা। সূত্রের খবর, দক্ষিণ এশিয়ায় মাদক পাচার এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হাত ধরাধরি করে চলে। আইএসআইএস-কে-র অন্যতম মাথা উমর নাসির ভাট গ্রেফতার হয়েছিল ২০২১ সালে। গোয়েন্দাদের জেরায় এই জঙ্গি নেতা কবুল করেছিল, বাংলাদেশ ও মলদ্বীপ ভিত্তিক মুসলমান আমিরদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। এদের মাধ্যমে সে সন্ত্রাসবাদী প্রচার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলত। গোয়েন্দারা জেনেছেন, জঙ্গি নাসির মলদ্বীপের সেনাবাহিনীতে চাকরি নিতে গিয়েছিল স্রেফ মলদ্বীপ ভিত্তিক আইএসআইএসের চাঁইকে মেটিরিয়াল সরবরাহ করবে বলে। তবে ধরা পড়ে যাওয়ায় সে স্বপ্ন আর সফল হয়নি নাসিরের (Maldives)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hafiz Saeed: পাক জেলে বন্দি মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সঈদ, জানাল রাষ্ট্রসংঘ

    Hafiz Saeed: পাক জেলে বন্দি মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সঈদ, জানাল রাষ্ট্রসংঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের জেলে বন্দি মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সঈদ (Hafiz Saeed)। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার সাতটি আলাদা আলাদা মামলায় তাকে ৭৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। এমনই জানাল রাষ্ট্রসংঘ।

    গ্লোবাল টেররিস্ট

    মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে তাকে গ্লোবাল টেররিস্ট বলে দেগে দেয় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায়ও রয়েছে লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজের নাম। তার মাথার দাম এক কোটি ডলার ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গি পাকিস্তানে বহাল তবিয়তে রয়েছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। পাকিস্তানের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনেও সে অংশ নিতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। এহেন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘ জানিয়ে দিল, ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তানে জেল খাটছে হাফিজ (Hafiz Saeed)।

    হাফিজকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ

    গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানকে হাফিজকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়েছিল ভারত। তবে যেহেতু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই, তাই হাফিজকে যে ভারত তার জিম্মায় পাবে না, তা এক প্রকার জানাই ছিল। সম্প্রতি সে কথা জানিয়ে দিয়েছে পাক বিদেশমন্ত্রকও। মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেন, “ভারত সরকারের অনুরোধ গ্রহণ করেছে পাকিস্তান। তারা তথাকথিত আর্থিক তছরুপ মামলায় জড়িত হাফিজ সঈদের প্রত্যর্পণ চাইছে। কিন্তু এটাও মনে রাখা প্রয়োজন যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই।”

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ। ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গেও যোগ ছিল হাফিজের। হাফিজের বিরুদ্ধে নাশকতার ৭টি অভিযোগ রয়েছে। মুম্বই হামলার প্রধান ষড়যন্ত্রী যে হাফিজ, ভারত একাধিকবার তার স্বপক্ষে প্রমাণও দিয়েছে পাকিস্তানকে। তার পরেও হাফিজকে ভারতের হাতে তুলে দেয়নি পাক সরকার। মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হাফিজকে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে পাকিস্তান তাকে নাশকতায় মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। হাফিজের বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে নালিশও জানিয়েছিল ভারত। সেসবে অবশ্য বিশেষ কাজ হয়নি। পাকিস্তানের নিরাপদ আশ্রয়েই রয়েছে হাফিজ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, হাফিজ বাইরে থাকলে প্রাণহানির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তাকে ‘আশ্রয়’ দেওয়া হয়েছে জেলে। যেখানে কারাদণ্ড ভোগ করার নামে বহাল তবিয়তে রয়েছে কুখ্যাত এই জঙ্গি (Hafiz Saeed)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Hafiz Saeed: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজকে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের  

    Hafiz Saeed: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজকে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসের মূল চক্রী (Hafiz Saeed)। পাকিস্তানের আদালতে দোষী সাব্যস্তও হয়েছেন লস্কর-ই-তৈইবার প্রতিষ্ঠাতা। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের শাস্তি থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন ও প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি নির্বাচনে লড়তে নেমেছে তাঁর সমর্থিত দল ‘পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ’। এহেন হাফিজ মহম্মদ সঈদকে চেয়ে ইসলামাবাদকে চিঠি দিল নয়াদিল্লি। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় হাফিজকে ভারত পাবে না বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের। মুম্বই হামলার এত বছর পর এই প্রথম (Hafiz Saeed) হাফিজকে বিচারের জন্য ভারতে পাঠানোর দাবি জানিয়ে পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে ওই বার্তা পাঠানো হয়েছে।

    হাফিজের মাথার দাম

    হাফিজ রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদী। আমেরিকা তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছে এক কোটি টাকা। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের গোপন ডেরায় তাঁকে রাখা হয়েছে বলে জল্পনা। হাফিজের ছেলে তলহাও বাবার মতোই সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে জড়িত। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় রয়েছেন তিনিও। এহেন মোস্ট ওয়ান্টেড হাফিজের দল লস্করের সামাজিক শাখা জামাত-উদ-দাওয়া সমর্থিত রাজনৈতিক দল পিএমএমএলের টিকিটে লাহোরের একটি আসন থেকে তলহা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে খবর।

    সন্ত্রাসবাদের তকমা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা!

    ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির পাশাপাশি নির্বাচন হবে প্রাদেশিক আইনসভাগুলিরও। সেই নির্বাচনেই জিতে দলের গা থেকে সন্ত্রাসবাদী দলের তকমা ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও একবার সন্ত্রাসবাদীর তকমা ঝেড়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন হাফিজ। সেটা ২০১৮ সাল। সেবারও পাকিস্তানের সাধারণ ও প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি মিলিয়ে মোট ২৬৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল হাফিজ সমর্থিত আল্লাহ-উ-আকবর তেহরিক নামে একটি দল।

    আরও পড়ুুন: “ধান্দাবাজ, জমি মাফিয়া, চোর, তোলাবাজ”, পোস্টারে তৃণমূল বিধায়কের ‘কাজের স্বীকৃতি’

    সেবার অবশ্য খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে হাফিজের সমর্থন নিয়ে ভোটে দাঁড়ানো দলটিকে। এবার অবশ্য ছেলে তলহার জয় নিশ্চিত করতে চাইছেন হাফিজ। হ্যাঁ, গোপন ডেরায় বসেই। তবে সেটা কতটা মসৃণ হবে, তা বলবে সময়। কারণ চলতি মাসের গোড়ার দিকে হাফিজ ঘনিষ্ঠ লস্কর জঙ্গি হাঞ্চলা আদনানকে করাচিতে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। তার পরেই আইএসআইয়ের গোপন ডেরায় থাকা হাফিজের (Hafiz Saeed) নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। কে জানে, কখন কী হয়!

    পাপ যে বাপকেও ছাড়ে না!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISIS: আইএস জঙ্গিদের তহবিলে টাকা দিতেন ভারতীয় রেলের ক্লার্ক! তদন্তে এনআইএ

    ISIS: আইএস জঙ্গিদের তহবিলে টাকা দিতেন ভারতীয় রেলের ক্লার্ক! তদন্তে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি করেন ভারতীয় রেলে। অথচ নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গির সঙ্গে! শুধু তাই নয়, ভুয়ো মেডিকেল বিল তৈরি করে রেলের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সেই টাকা জমা করতেন জঙ্গিদের তহবিলে। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রেলের এক ক্লার্কের বিরুদ্ধে।

    তদন্তে এনআইএ

    রেলকর্মীর জঙ্গিযোগের মূলে পৌঁছতে তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। দিল্লির একটি থানায় ওই ক্লার্কের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। অক্টোবর মাসে তিন আইএসআইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এরা হল, শাহনওয়াজ আলম, মহম্মদ আশরাফ এবং মহম্মদ আরশাদ ওয়ারসি। ধৃতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে তাজ্জব বনে যান তদন্তকারীরা। তাঁরা জানতে পারেন, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে কিছু সোর্স থেকে নিয়মিত টাকা ঢুকছে। এর পরেই কোমর কষে নামে পুলিশ।

    রেলের ওই কর্মী ফাইনান্স বিভাগে কর্মরত

    জানা যায়, নয়ডার বাসিন্দা পেশায় রেলকর্মী ওই জঙ্গিদের নিয়মিত টাকার জোগান দিতেন। ওই কর্মীর বিরুদ্ধে (ISIS) এফআইআর দায়ের করেছে উত্তর রেলওয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অর্থ জালিয়াতির মামলা। রেলের ওই কর্মী ফাইনান্স বিভাগে কর্মরত। অর্থ সংগ্রহ করতে একাধিকবার ভুয়ো মেডিকেল বিল জমা দেন তিনি। এই টাকাই তিনি পাঠাচ্ছিলেন জঙ্গিদের তহবিলে। তদন্তে নেমেছে এনআইএ। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

    আরও পড়ুুন: অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে দেশজুড়ে কর্মসূচি বিজেপির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    ৯ ডিসেম্বর দেশজুড়ে আইএসআইএসের খোঁজে মহারাষ্ট্র সহ দেশের ৪৪টি ঠিকানায় হানা দেয় এনআইএ। গ্রেফতার করা হয় ১৫ জনকে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মহারাষ্ট্র মডিউলের চাঁই হল সাকিবা নাচান। এই মডিউলই গোটা দেশে জঙ্গি হামলার ছক কষছিল। বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, তদন্তে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র মডিউলের সব আইএসআইএস সদস্যরা কাজকর্ম চালাচ্ছিল পদ্ম-বোরিভালি এলাকা থেকে। এখানে বসেই তারা দেশজুড়ে হামলার ছক কষছিল। জিহাদ, খিলাফত এসবের নামে জঙ্গিরা (ISIS) নষ্ট করতে চাইছিল দেশের শান্তি। এভাবেই তারা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জারি করতে চেয়েছিল।

    মহারাষ্ট্র মডিউলের নাচান নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে পরিচিত একটি নাম। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার মামলা রয়েছে এক ডজনেরও বেশি। তার ছেলে শামিল নাচানও সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে যুক্ত ছিল। গ্রেফতার করা হয়েছে শামিলকে (ISIS)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dawood Ibrahim: আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে দাউদ ইব্রাহিম, বিষ খাওয়ানো হল বিশ্বমানের জঙ্গিকে?

    Dawood Ibrahim: আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে দাউদ ইব্রাহিম, বিষ খাওয়ানো হল বিশ্বমানের জঙ্গিকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরুতর অসুস্থ বিশ্বমানের জঙ্গি দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে করাচির একটি হাসপাতালে। পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এ খবর মিললেও, পাকিস্তান সরকারের তরফে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে, করাচির হাসপাতালে কড়া নিরাপত্তার বলয়ে রাখা হয়েছে দাউদকে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মাছি গলারও জো নেই। হাসপাতালের যে অংশে দাউদকে রাখা হয়েছে, সেখানে আর কোনও রোগীকে রাখা হয়নি। কাউকে ধারেকাছেও ঘেঁসতে দেওয়া হচ্ছে না।

    মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী!

    মুম্বইয়ের এক পুলিশ কনস্টেবলের ছেলে দাউদ আটের দশকে ভারত থেকে পালিয়ে দুবাইয়ে যান। সেখান থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বইয়ে যে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার মূল চক্রী দাউদ বলেই শোনা যায়। ওই হামলায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন হাজারেরও বেশি মানুষ। অপরাধ জগতে দাউদের (Dawood Ibrahim) হাতেখড়ি সাতের দশকে। মুম্বইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডে দাউদের নাম উঠতে থাকে সামনের সারিতে। আগে কাজ করতেন হাজি মাস্তানের দলে। সেখান থেকেই ক্রমশ প্রভাব বাড়িয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের ‘হিরো’ হয়ে ওঠেন। লোকজন তাঁর দলকে ‘ডি-কোম্পানি’ বলে ডাকতে শুরু করে। এই কোম্পানিরই মালিক হিসেবে পরিচিত হন বিশ্বত্রাস এই জঙ্গি।

    আল কায়েদার সঙ্গে যোগ!

    পাকিস্তানে বসেই এই অপারেশন পরিচালনা করেছিলেন দাউদ। আল কায়েদা, তালিবানের সঙ্গেও বিশ্বমানের এই জঙ্গির যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গেও কাজ করেছেন। বিশ্বজুড়ে নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রও চালান তিনি। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের সহকারী ডিরেক্টর জেনারেলের পদে বসানো হয়েছে দাউদকে। জানা গিয়েছে, পাক গুপ্তচর ব্যবস্থায় দাউদের অবদানের জন্য এই পদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: শিল্পপতি জিন্দালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ অভিনেত্রীর

    বছর পঁয়ষট্টির দাউদের অসুস্থতার কারণ জানা যায়নি। যেমন জানা যায়নি কী সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। অনেকের মতে, বিষ খাওয়ানো হয়েছে বিশ্বমানের এই জঙ্গিকে। তবে পাক সরকার কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এ ব্যাপার কিছু জানানো হয়নি। দাউদের অসুস্থতার খবর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য পাকিস্তানের একাধিক এলাকায় ইন্টারনেট সার্ভার ডাউন করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এক্স, ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামের মতো সমাজমাধ্যম কাজ করছে না। পাক সংবাদ মাধ্যমের দাবি, দাউদকে (Dawood Ibrahim) তাঁর ঘনিষ্ঠ কেউ বিষ প্রয়োগ করেন। এর পরেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Canada: ভারত মাতা মন্দিরের পর কানাডার ‘খালিস্তান গড়ে’ বসছে ৫৫ ফুট হনুমানজির মূর্তি

    Canada: ভারত মাতা মন্দিরের পর কানাডার ‘খালিস্তান গড়ে’ বসছে ৫৫ ফুট হনুমানজির মূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের জেরে ঘটেছিল ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি। তবে সম্পর্কে সুসময় বোধহয় ফিরছে। খুব শীঘ্রই কানাডায় (Canada) বসতে চলেছে ৫৫ ফুট উঁচু হনুমানজির মূর্তি। আগামী বছরের এপ্রিলে ওই মূর্তি বসবে। রাজস্থানের ভাস্কর নরেশ কুমায়ত তৈরি করছেন মূর্তিটি। খরচ জোগাবে স্থানীয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। কানাডার ব্রাম্পটনে রয়েছে হিন্দু সভা মন্দির। ২৩ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তী। এদিনই একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন হবে নরেশের হাতে গড়া ওই মূর্তির।

    খালিস্তানপন্থী কার্যকলাপ

    ব্রাম্পটন এলাকাটি গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার অন্তর্ভুক্ত। এলাকাটি সম্প্রতি পরিচিতি পেয়েছে খালিস্তানপন্থীদের কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়ায়। দীপাবলি পালনকে কেন্দ্র করে দীপান্বিতা অমাবস্যার দিন স্থানীয় হিন্দুদের সঙ্গে খালিস্তানপন্থীদের মধ্যে উত্তেজনাও ছড়িয়েছিল (Canada)। তার আগে ভারত মাতা মন্দির চত্বরে ভারতীয় কূটনীতিক ও গৌরী শঙ্কর মন্দিরের গায়ে ভারত বিরোধী স্লোগান লেখাকে কেন্দ্র করেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। কানাডার এই হনুমানজির মূর্তিই শুধু নয়, রাজস্থানের নরেশের রয়েছে আরও একাধিক উল্লেখযোগ্য কীর্তি। বিশ্বের ৮০টি দেশে ২০০-র বেশি স্থাপত্যকীর্তি ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর।

    নরেশের কীর্তি 

    কানাডারই ‘ভয়েস অফ বেদাস’ মন্দিরে রয়েছে নরেশেরই গড়া ৫০ ফুটের হনুমানজির একটি স্ট্যাচু। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্টে দিল্লিতে ৭৫ ফুট উঁচু সমুদ্র মন্থনের যে ম্যুরাল রয়েছে, সেটিও নরেশেরই তৈরি। স্বামী বিবেকানন্দ, ডঃ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইন্দিরা গান্ধী, মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং এবং নেলসন ম্যান্ডেলার মূর্তিও তৈরি করেছেন রাজস্থানের এই শিল্পী। রাজস্থানের নাথওয়াড়ায় শোভা পাচ্ছে তাঁর তৈরি ৩৬৯ ফুটের শিবের স্ট্যাচু। এই মূর্তির নাম লেখা হয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। হিমাচল প্রদেশের সোলানের ১৫৬ ফুটের হনমানজির মূর্তিটিও তৈরি নরেশের হাতে।

    আরও পড়ুুন: সংসদের বাইরে গায়ে আগুন লাগানোর ছক কষেছিল লোকসভাকাণ্ডে ধৃত সাগর!

    লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে ঠাঁই করে নিয়েছে নরেশের এই কীর্তি। শিমলার জাকু মন্দিরে রয়েছে নরেশেরই হাতে গড়া ১০৮ ফুটের হনুমানজির মূর্তি। কেবল স্বদেশ নয়, রাজস্থানের এই শিল্পীর ভাস্কর্য শোভা পাচ্ছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, সিসিলিস, মরিশাস, দুবাই, ওমান এবং রাশিয়ায়ও। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকুলামে রয়েছে ১৮০ ফুট হনুমানজির মূর্তি। এটিরও (Canada) রূপদান করেছেন নরেশ। প্রসঙ্গত, কানাডায় খুন হন নিজ্জর। অভিযোগের আঙুল ওঠে ভারতের দিকে। তার পরেই অবনতি হয় ভারত-কানাডা সম্পর্কে।

    ভারত-কানাডা তলিয়ে যাওয়া সম্পর্কে সুদিন ফিরছে নরেশের হাত ধরে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • UEFA Euro Qualifiers: ব্রাসেলসে দুই সুইডিশ সমর্থককে হত্যা আইএস জঙ্গিদের! বাতিল বেলজিয়াম-সুইডেন ম্যাচ

    UEFA Euro Qualifiers: ব্রাসেলসে দুই সুইডিশ সমর্থককে হত্যা আইএস জঙ্গিদের! বাতিল বেলজিয়াম-সুইডেন ম্যাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রাসেলসের রাস্তায় দুই সুইডিশ সমর্থককে গুলি করে খুন করল আইএস জঙ্গিরা। বেলজিয়ামের (Belgium vs Sweden) জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়াম থেকে সামান্য দূরে (৫ কিলোমিটার) বেলজিয়াম-সুইডেন ম্যাচ শুরু হওয়ার প্রায় মিনিট ৪৫ আগে এই ঘটনা ঘটে। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিতভাবে এখনও কিছু জানা না গেলেও, খবর অনুযায়ী মৃত দুই ব্যক্তিই সুইডেনের জাতীয় ফুটবল দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে ছিলেন। স্টেডিয়াম থেকে সামান্য দূরে এই ঘটনাটি ঘটায় মনে করা হচ্ছে ও দুই ব্যক্তি এই ম্যাচ দেখতেই এসেছিলেন। অভিযুক্তরা এখনও অধরা।

    ম্যাচের আগে কী ঘটেছিল

    ইউরো ২০২৪-এর কোয়ালিফায়ারের (UEFA Euro 2024 Qualifiers) ম্যাচে গতরাতে মুখোমুখি হয়েছিল বেলজিয়াম এবং সুইডেন। ম্যাচটি হচ্ছিল বেলজিয়ামের (Belgium vs Sweden) রাজধানী ব্রাসেলসে। হাফটাইমে ম্যাচের ফল তখন ১-১। তবে জঙ্গি হামলার গুঞ্জনের মাঝে প্রথমে ম্যাচটি স্থগিত করা হয়। পরে পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ম্যাচ চলাকালীন একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, ব্রাসেলসের রাস্তায় দুই সুইডিশ সমর্থককে গুলি করে খুন করা হচ্ছে। আততায়ীরা নিজেদের আইএস জঙ্গি হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে।

    এরপরই ম্যাচ বাতিল করা নিয়ে এক বিবৃতি জারি করে ইউয়েফার (UEFA Euro 2024 Qualifiers) তরফে বলা হয়, ‘আজ সন্ধ্যায় ব্রাসেলসে একটি সন্ত্রাসী হামলা হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপর দুই দল এবং স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, বেলজিয়াম বনাম সুইডেনের ইউয়েফা ইউরো ২০২৪ বাছাইপর্বের ম্যাচটি বাতিল করা হচ্ছে।’

    আরও পড়ুন: “বাজে কথা নয়”! পাক টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থারের মন্তব্যের সমালোচনায় আক্রমরা

    কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা

     ম্যাচ বাতিল হওয়ার পরে দর্শকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত স্টেডিয়ামের মধ্যেই থাকতে বলা হয়। স্টেডিয়ামে দুই পক্ষের ৩৫ হাজারের বেশি সমর্থকদের সুরে সুর মিলিয়ে ‘অল টুগেদার, অল টুগেদার’ অর্থাৎ সকলে এই সময়ে একসঙ্গে থাকার ধ্বনি তুলতে শোনা যায়। ‘সুইডেন, সুইডেন’ ধ্বনিতেও স্টেডিয়াম মুখরিত হয়। ব্রাসেলসে সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই! কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ২ লস্কর জঙ্গি খতম

    Jammu and Kashmir: নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই! কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ২ লস্কর জঙ্গি খতম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সোপিয়ানে জঙ্গিদমন অভিযানে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার ভোরে সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত দুই লস্কর জঙ্গি খতম হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশ সমাজমাধ্যমে এই সংঘর্ষের কথা জানিয়েছে। 

    ভোরেই শুরু হয় অভিযান

    কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) জোন পুলিশ এদিন জানিয়েছে, মৃত ২ জঙ্গির নাম মোরিফত মকবুল ও জাজমিন ফারুখ ওরফে আবরার। দুজনেই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় কাশ্মীরি পণ্ডিত সঞ্জয় শর্মাকে হত্যার ঘটনায় এই দুই জঙ্গি জড়িত ছিল।পুলিশ সূত্রে খবর, সোপিয়ান জেলার আলশিপোরা এলাকায় জঙ্গিদের আত্মগোপন করার খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোররাতে সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে অভিযানে নামে। সেনা-পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই জঙ্গিরা গোপন ডেরা থেকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। দু-পক্ষের গুলির লড়াই চলার সময়ই ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, আরও জঙ্গি আলশিপোরা এলাকায় রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে।

    আরও পড়ুন: হাতাকাটা জামা পরে পুরীর মন্দিরে প্রবেশ নয়! জানুন কবে থেকে নতুন পোশাকবিধি

    ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ওই ২ জঙ্গি

    কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশ জানিয়েছে, লস্কর-ই-তৈবার ওই দুই জঙ্গি কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ছিল। সেনা ও পুলিশের তালিকায় তারা ছিল ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’। অস্ত্র মজুত করা, নাশকতার পরিকল্পনা করার দায়িত্ব ছিল তাদের উপর। গত বছর, ভূস্বর্গে জঙ্গিদের মোট ২৯টি হামলায় তিন জন কাশ্মীরি পণ্ডিত, রাজস্থানের একজন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এবং আটজন ভিন‌ রাজ্যের বাসিন্দা-সহ মোট ১৮ জন নিহত হন। ওই ঘটনার তিনদিন পরই পুলওয়ামার পাদদামপোরা গ্রামে জঙ্গি অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় সঞ্জয় শর্মা খুনে জড়িত আরও এক জঙ্গি, আকিব মুস্তাক ভাটের। মকবুল ও ফারুক পলাতক ছিল। তাদের খোঁজে সোপিয়ানের নানা জায়গায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছিল সেনা ও পুলিশ। অবশেষে সাফল্য মিলল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক ফাঁস! কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার পাঁচ লস্কর জঙ্গি

    Jammu and Kashmir: উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক ফাঁস! কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার পাঁচ লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। জন্মু ও কাশ্মীর পুলিশ (Jammu And Kashmir Police) এবং সিআরপিএফের (CRPF) যৌথ অভিযানে ফাঁস হয়েছে লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি (LeT Terrorist Module) মডিউল। জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলা থেকে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সংগঠনের পাঁচ জন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি নিরাপত্তাবাহিনীর। প্রসঙ্গত, আজই জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপির কোর গ্রুপের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    জঙ্গিদের কাছ থেকে কী কী মিলল

    জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) যৌথ প্রয়াসে এই অভিযানে সাফল্য এসেছে, বলে সেনাবাহিনী সূত্রে খবর। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের নাম আদিল হুসেন ওয়ানি, সুহেল আহমেদ দার, আইতমাদ আহমেদ লাওয়ে, মেহরাজ আহমেদ লোন, সাবজার আহমেদ খার। পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গিদের কাছ থেকে দু’টি পিস্তল, তিনটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি ইউবিজিএল গ্রেনেড লঞ্চার, দু’টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, পিস্তল এবং একে-৪৭ এর গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে থানার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: বিদেশ যাচ্ছেন রাজ্যপাল! কেন, উপাচার্যদের কী বললেন আচার্য?

    প্রসঙ্গত, মাত্র দিন দশেক আগেই কাশ্মীরের অনন্তনাগে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে জঙ্গি এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে। মোট ৪ জন জওয়ান এবং এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয় এই ঘটনায়। কাশ্মীরের প্রত্যন্ত এলাকায় ৩ জন জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েই অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। এই জঙ্গিরা অনন্তনাগের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। রবিবার ধৃত জঙ্গিদের থেকে জেরায় জানা গেছে, সামনে আরও ২টি বড় নাশকতার ছক কষা হয়েছিল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share