Tag: Terrorist

Terrorist

  • PM Modi: উষ্ণ আলিঙ্গন বাইডেনকে, খালিস্তানি সমস্যার মধ্যেও ট্রুডোর হাতে হাত রেখে সৌজন্য মোদির

    PM Modi: উষ্ণ আলিঙ্গন বাইডেনকে, খালিস্তানি সমস্যার মধ্যেও ট্রুডোর হাতে হাত রেখে সৌজন্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের পর ফের মুখোমুখি মোদি-ট্রুডো। খলিস্তানি ইস্যুতে সংঘাতের মধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দেখা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে আপাতত বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ইটালিতে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে (G7 Summit) যোগ দিয়েছেন মোদি। এখানেই সকলের সঙ্গে খোশ মেজাজে ধরা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পোপ ফ্রান্সিস থেকে শুরু করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মতো অনেক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। 

    ট্রুডো -মোদি সাক্ষাত

    তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) আসনে বসার পর এটাই মোদির প্রথম বিদেশ সফর। ইটালির প্রধানমন্ত্রীর জর্জিয়া মেলোনির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসাবে ৫০তম জি-৭ সামিটে যোগ দিয়েছেন তিনি। এই সম্মেলনের ফাঁকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর হাতে হাত রেখে কথা বলতে দেখা গেল মোদিকে। তবে তার মধ্যে ছিল শীতলতার ছোঁয়া। অন্য রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এবং ব্যক্তিগত রসায়ন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন মোদি। কিন্তু ট্রুডোর ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শুধু লেখেন, ‘জি৭ সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দেখা হল।’  

    খালিস্তানি ইস্যু নিয়ে বিরোধ

    কানাডার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক বিরোধ গত বছরের মাঝামাঝি সময় তীব্র হয়েছে। কানাডার বাসিন্দা খালিস্তানপন্থী হরদীপ সিং গুজ্জরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের দিকে আঙুল তোলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি অভিযোগ করেন, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টরা যুক্ত। ট্রুডোর এই মন্তব্যের পর দুই দেশই কূটনৈতিক সম্পর্কে রাশ টানে। কানাডা কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় ভারতীয় কূটনীতিককে দেশ থেকে বের করে দেয়। ভারতও নয়াদিল্লিতে অবস্থিত কানাডার দূতাবাসের ৪০ জন অফিসারকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে। দুই দেশই ভিসা প্রদান বন্ধ করে দিলেও পরে তা চালু হয়। নয়াদিল্লির অভিযোগ, কানাডার মাটি ভারত বিরোধী শক্তি ব্যবহার করছে। বিশেষ করে পাঞ্জাবের খলিস্থানপন্থীরা ওই দেশকে আশ্রয় করে গোটা বিশ্বে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তথ্যপ্রমাণ-সহ বলা সত্ত্বেও ট্রুডো সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। 

    মোদি-বাইডেন সাক্ষাৎ

    জি-৭ সম্মেলনের (G7 Summit) মাঝেই শুক্রবার বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন মোদি (PM Modi)। দীর্ঘদিন পর বন্ধুকে দেখে জড়িয়ে ধরেন তিনি। এর পর বৈঠকে বসেন দুজনে। যা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ সবসময়ই খুব আনন্দের। আগামী দিনে দুদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে ও বিশ্বের উন্নতি সাধনে আমরা একযোগে কাজ করব।’ প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে হাসিমুখে দেখা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকেও।

    প্রযুক্তিকে সৃজনশীল করার আহ্বান

    এদিন  জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের একটি অধিবেশনে সারা বিশ্বের  প্রযুক্তি ক্ষেত্রে একচেটিয়া আধিপত্যের অবসানের কথা বলেন মোদি। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রযুক্তিকে সৃজনশীল করার আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপরও বিশেষ জোর দেন। মোদি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে জাতীয় কৌশল তৈরি করা প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে। শনিবারই দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Al Sham Padgha: মুম্বইয়ের অদূরের এই গ্রামেরই পরিচয় ভারতের জঙ্গি হাব হিসেবে, কেন জানেন?

    Al Sham Padgha: মুম্বইয়ের অদূরের এই গ্রামেরই পরিচয় ভারতের জঙ্গি হাব হিসেবে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাণিজ্য নগরী মুম্বই। দেশ তো বটেই, বিদেশেরও অনেকেই রয়েছেন এই টিনসেল টাউনে। নিত্যদিন যেখানে লেনদেন হয় কয়েকশো কোটি টাকা, জীবন যেখানে বর্ণিল, তারই অদূরে সবার অগোচরে গড়ে উঠেছিল আইএসআইএসের নার্ভ সেন্টার (Al Sham Padgha)। সম্প্রতি এমনই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। মুম্বইয়ের ৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ব্যাকওয়াটার টাউন পাদঘা। সেখানকারই একটি গ্রামে তৈরি হয়েছে ভারতের ‘আইএসআইএসের হাব’।

    কুখ্যাত জঙ্গি শাকিব নাচান (Al Sham Padgha)

    এই গ্রামকে জঙ্গি হাবে পরিণত করার নেপথ্য কারিগর কুখ্যাত জঙ্গি শাকিব নাচান। তারই নির্দেশে পাদগার নাম বদলে হয়েছিল অল সাম (Al Sham Padgha)। এলাকায় লাগু হয়েছিল শরিয়া শাসন। চলছিল সমান্তরাল প্রশাসনও। এই শাকিবই পাদঘাকে জঙ্গিদের ঘাঁটিতে পরিণত করেছে। এক সময় শান্ত এই গ্রামেই একে একে ভিড় করতে থাকে অচেনা কিছু মুখ। তাদের কর্তাবার্তায়, চালচলনে সন্দেহও হয়েছিল স্থানীয়দের। তবে তাঁরা যতক্ষণে পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছিলেন, তার ঢের আগেই এলাকায় মাথাচাড়া দিয়েছে মৌলবাদ। ভয়ে আর মুখ খোলার সাহস দেখাননি স্থানীয়রা। এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে আস্ত একটি গ্রাম পরিণত হয়েছিল ভারতে জঙ্গিদের নার্ভ সেন্টারে।

    এনআইএ-র তল্লাশি অভিযান

    গত বছর পাদঘায় তল্লাশি অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। উদ্ধার হয় ৪৪টি ড্রোন, বাণিজ্য নগরীতে হামলা চালানোর জন্য মজুত করা হয়েছিল সেগুলি। এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়, বাইরে থেকে সাহায্য পাচ্ছিল জঙ্গিরা। কেবল ড্রোন নয়, লুকানো কিছু অস্ত্রও সেই অভিযানে খুঁজে পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। জঙ্গিদের ডেরায় মিলেছিল ইজরায়েলি পতাকাও। তা থেকেই ইঙ্গিত মিলেছিল, কেবল মুম্বই নয়, জঙ্গিদের নজর আরও উঁচুতে। দেশের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি, বড় ধরণের কোনও অশান্তি পাকানোর ছক কষেছিল এই গ্রামে ডেরা বাঁধা সন্ত্রাসবাদীরা।

    আর পড়ুন: “টার্গেটে ছিল ইহুদি, খ্রিস্টান, বিজেপি ও আরএসএস” জেরায় স্বীকার করল জঙ্গিরা

    মুম্বইয়ে একাধিক সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের নেপথ্যে শাকিবের হাত ছিল বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। মুম্বই সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশনে বিস্ফরণেও অভিযুক্ত সে। ২০০২ সালের ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় জখম হয়েছিলেন ২৫ জন। ভিলে পার্লে এলাকায় বিস্ফোরণেও হাত ছিল তার। মুলুন্দ স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় উঠে এসেছিল শাকিবের নাম। ২০০৩ সালে গ্রেফতার হয়ে সাত বছর জেল খেটেছিল এই কুখ্যাত জঙ্গি। গত ডিসেম্বরের ওই অভিযানে ১৫ জন জঙ্গি গ্রেফতার হয় এই গ্রাম থেকে। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে জঙ্গি ডেরার এই গাঁয়ের কথা (Al Sham Padgha)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল সরকার দেশকে ধ্বংস করতে চায়”, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল সরকার দেশকে ধ্বংস করতে চায়”, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি গ্রেফতার প্রসঙ্গে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দিনরাত এক করে চুটিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। শনিবার জেলার গঙ্গারামপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার করেন তিনি। প্রচারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাঁচ বছরে কী কী কাজ করেছেন তা তিনি সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরেন।

    তৃণমূল সরকার দেশকে ধ্বংস করতে চায় (Sukanta Majumdar)

    বেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণ করে বাংলায় একমাস লুকিয়ে ছিল আইএস দুই জঙ্গি। কলকাতা থেকে দিঘা পর্যন্ত অবাধ বিচরণ জঙ্গিদের। পুলিশি ব্যর্থতা ঢাকতে মরিয়া পুলিশমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, যে দুজন ধরা পড়েছে। তারা যে কর্মকান্ড করেছে বিগত এক মাসে, তাতে তো লোকাল সাহায্য ছাড়া এইসব করতে পারে না। লোকালে তো স্লিপারসেল নিশ্চয় আছে। যারা সামনে আসে না, যারা তথ্য দেয়, পুলিশ এলো কিনা,পুলিশ জানতে পারলো কি না, পুলিশ কে বোকা বানিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি জানতে পারলো কিনা এই সব চেষ্টা করে তারা। এর আগেও তো আমরা দেখলাম মুজিবর রহমানকে যারা হত্যা করেছিল তাদের মধ্যে একজন কলকাতায় ২৬  বছর এসে থেকে গিয়েছে।ধ রতেই পারেনি কলকাতা পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এখন একটাই কাজ, কোথায় থেকে বিজেপি নেতাদের কেস দেওয়া যাবে তার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। আমি এতটুকুই বলতে চাই, তৃণমূল সরকার দেশকে ধ্বংস করতে চায়।

    আরও পড়ুন: “সবই তো আমি দিয়েছি, কেন বিজেপিকে ভোট দেন?,” আক্ষেপ মমতার

    রেশন দুর্নীতির মামলায় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    রেশন দুর্নীতি মামলায় আরও ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেক ও বোলপুরের বাড়ি বাজেয়াপ্ত প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন,বিদেশের টাকা ফিরবে কিনা সেতো সময় বলবে। এইটুকু বলতে পারি অতি লোভে তাঁতি নষ্ট। পেপার টাকা পিঁপড়ে খায়। বাকিবুল সারাজীবন কষ্ট করে যা টাকা আয় করেছিলেন, তাতে তিনি সিরাজউদৌল্লা হয়ে গিয়েছিলেন, সেখানে থেকে যেন ফকিরউদৌল্লা না হয়ে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Killed J&K: উত্তাল ভূস্বর্গ নিকেশ ৪ আতঙ্কবাদী জঙ্গি

    Terrorist Killed J&K: উত্তাল ভূস্বর্গ নিকেশ ৪ আতঙ্কবাদী জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) অমিত শাহর (Amit shah) কাশ্মীর যাত্রা ঘিরে বিগত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল ভূস্বর্গ কাশ্মীর। শাহের সফরের আগেই কাশ্মীরে হামলা চালাল জঙ্গিরা (Terrorist), জঙ্গিদের পালটা আক্রমনে প্রাণ হারিয়েছেন কাশ্মীরের এক পুলিশকর্মী এবং আহত হয়েছেন সি আর পি এফ (CRPF) এর একজন জওয়ান। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরের দিন শাহের সফরের মাঝেই সন্ধ্যায় শোপিয়ানের ডাচ এলাকায় ভারতীয় সেনা জম্মু-কাশ্মীরে দুটি স্থানে এনকাউন্টার চালিয়ে নিকেশ করেছে চার জঙ্গিকে। এর মধ্যে তিন জন নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Mohammed) সাথে যুক্ত এবং আজ ভোরে শোপিয়ানেরই(Sopian) মুলু এলাকায় নিকেশ করা হয়েছে আরও এক জেহাদিকে।

    [tw]


    [/tw]

    কাশ্মীরের এডিজিপি বিজয় কুমার ট্যুইট করে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে রয়েছে হানান-বিন-ইয়াকুব-জামশেদ নামে এক জঙ্গি।২-ই অক্টোবর পুলওয়ামায় পুলিশ কর্তা জাভেদার আর ২৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ থেকে উপত্যকায় কাজ করতে যাওয়া শ্রমিক খুনে যুক্ত ছিল সে।

    [tw]


    [/tw]

    শাহর উপত্যকা সফর ঘিরেই বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে প্রস্তুতি। গোয়েন্দা সূত্র (Intelligence agency) মারফত জানা যায় যে, শাহর সফর ঘিরেই জঙ্গি আক্রমণের সম্ভাবনা ছিল, তাই প্রশাসনের তৎপরতা দেখা যায় উপত্যকা জুড়ে। ভারতীয় সেনার লাগাতার খানা-তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র ,গ্রেনেড, গোলাবারুদ সহ বেশ কিছু নথি। উদ্ধার হওয়া নথি পুলিশ রেকর্ডে যুক্ত করা হয়েছে, যা পরবর্তীতে তদন্তের কাজে ব্যবহার করা হবে। প্রশাসনের তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে সেনা আর পলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় বড়সড় জঙ্গি হামলা থেকে রক্ষা পেল কাশ্মীর উপত্যকা (Kashmir Valley)।

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনার হাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’

    প্রসঙ্গত, ৩৭০ ও ৩৫এ হঠানোর পর থেকেই কাশ্মীরে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।প্রায় দু বছরের মতো কার্ফু জারি করা হয় জন্মূ কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে। কেন্দ্র সরকার কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে ও যুবসমাজকে সমাজের মূল স্ত্রোতে ফেরাতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিনই উপত্যকার পাহাড়ি মানুষদের তফসিলী উপজাতির মর্যাদা দিয়েছেন। এছাড়াও জন্মুতে ১৯৬০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ঘোষণা করেন।

    [tw]


    [/tw]

    শাহের সফরের আগেই জম্মুতে ডিজি খুনের ঘটনায় কাশ্মীর উপত্যকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিরাপত্তাজনিত (Security) কারণেই সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই ফের জঙ্গি কার্যকলাপ ভূস্বর্গ-এ ফের মাথা চাঁড়া দেওয়ায় ওয়াকিবহাল মহলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Pakistan: নির্বাচনের ৪ দিন আগে পাকিস্তানের থানায় জঙ্গি হামলা, হত ১০ পুলিশকর্মী

    Pakistan: নির্বাচনের ৪ দিন আগে পাকিস্তানের থানায় জঙ্গি হামলা, হত ১০ পুলিশকর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সন্ত্রাসবাদীদের হামলার শিকার হলেন পাকিস্তানের (Pakistan) ১০ পুলিশ অফিসার। গুরুতর জখম হয়েছেন ৬ জন। সোমবার উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি থানায় ঢুকে অতর্কিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় ওই পুলিশ আধিকারিকদের। পাকিস্তান পুলিশ জানিয়েছে, এদিন স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ থানায় হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। প্রথমে কনস্টেবলদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয় স্নাইপার রাইফেল দিয়ে। তার পরেই হামলা চালানো হয় থানার ভেতরে। হামলার দায় স্বীকার করে এদিন দুপুর পর্যন্ত বিবৃতি দেয়নি কোনও জঙ্গি সংগঠন। ঘটনার নেপথ্যে তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) হাত রয়েছে বলে অনুমান পাকিস্তান পুলিশের একাংশের।

    কী বলছে পুলিশ?

    দ্রাবানের ডেপুটি পুলিশ সুপার মালিক আনীশ আল হাসান বলেন, “থানার ভেতরে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। অতর্কিত হানায় ব্যাপক ক্ষতি হয়।” খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পুলিশ প্রধান হয়াত গন্দাপুর বলেন, “দেরা ইসমাইল খান জেলার চুওয়াধোয়াঁ থানায় হামলা হয়। তিরিশজনেরও বেশি জঙ্গি এক সঙ্গে তিন দিক থেকে হামলা চালায়। আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গুলি বিনিময় হয় দু’পক্ষে।” থানায় হামলার নিন্দা করেছেন খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী আরশাদ হোসেন শাহ। মৃত পুলিশকর্মীদের (Pakistan) শ্রদ্ধাজ্ঞাপনও করেছেন তিনি। সমবেদনা জানিয়েছেন নিহতদের পরিবারবর্গকে। আহতদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেছেন আরশাদ।

    টিটিপির শক্তি বৃদ্ধি

    গত কয়েক বছর ধরে খাইবার পাখতুনখোয়ায় শক্তি বৃদ্ধি করেছে টিটিপি। গত দু’বছর ধরে পাকিস্তানে একাধিক হামলার নেপথ্যে কারা রয়েছে, তার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সিংহভাগ হামলার নেপথ্যে রয়েছে আফগানিস্তান মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠন। গত ডিসেম্বরেও সামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। আত্মঘাতী সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছিল পাক সেনাবাহিনীর অন্তত ২৩ সদস্যের। সেই ক্ষত ভালো করে শুকোবার আগেই ফের ঘটল সন্ত্রাসী হামলা। যার বলি হলেন ১০ পুলিশ কর্মী।

    আরও পড়ুুন: “কামাখ্যা করিডর হবে উত্তর-পূর্ব ভারতে পর্যটনের প্রবেশদ্বার”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বৃহস্পতিবার সাধারণ নির্বাচন পাকিস্তানে। তার আগে থানায় ঢুকে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ত্রস্ত সাধারণ মানুষ। দিন চারেক আগে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে খুন হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের নেতা রেহান জাইব খান। খাইবার পাখতুনখোয়ার সিদ্দিকাবাদ ফটক বাজার (Pakistan) এলাকায় খুন হন তিনি। অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীদের গুলিতে জখম হয়েছেন পিটিআইয়ের আরও তিন সমর্থক। সব মিলিয়ে নির্বাচনের আগে পাকিস্তানের এই অঞ্চলটির আকাশে কেবলই গোলা-বারুদের গন্ধ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Maldives: মলদ্বীপে বাড়তে পারে মৌলবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ, মাদক পাচার, বলছেন গোয়েন্দারা

    Maldives: মলদ্বীপে বাড়তে পারে মৌলবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ, মাদক পাচার, বলছেন গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের (Maldives) রাষ্ট্রপতি পদে রয়েছেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক। তার জেরে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি জোরালো হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রে। দেশের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে মুসলমান অধ্যুষিত এই দেশে মাথাচাড়া দিতে পারে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, বেড়ে যেতে পারে মাদক পাচারের মতো ঘটনাও।

    একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর ডেরা 

    মলদ্বীপে ইরাক এবং সিরিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএসের ডেরা রয়েছে। ঘাঁটি গেড়েছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা। এই অঞ্চলে মাদক পাচারকারীদের অন্যতম বড় আখড়াও এই দ্বীপরাষ্ট্র। গোয়েন্দাদের দাবি, মলদ্বীপের নির্জন দ্বীপগুলিতে মাদক কারবার চলে রমরমিয়ে। দ্বীপরাষ্ট্রের জেলগুলিতে বসে ব-কলমে এগুলি চালায় গ্যাংস্টারেরা। ভারত মহাসাগরের বুকের এই দ্বীপরাষ্ট্রে (Maldives) ইসলামিক মৌলবাদের রমরমা। এই মৌলবাদীরাই ফান্ডিং করছে বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে।

    ফান্ডিং করছে চিন, পাকিস্তান

    দেশের শাসনের রাশ যাতে ভারতের মতো মিত্র দেশপন্থী কোনও নেতার হাতে চলে না যায়, তাই এই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে নানাভাবে প্রলোভিত করছে চিনা সরকার এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা এখানে আখড়া গড়ে চালাচ্ছে গ্লোবাল কার্যকলাপ। ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে ঘটে ২৬/১১-র ঘটনা। তার ঠিক দু’ বছর পরে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে গিয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম। তখনই তিনি মলদ্বীপ সরকারকে লস্করকে ঠাঁই না দিতে অনুরোধ করেছিলেন। কয়েক বছর সেসব বন্ধ থাকার পর মলদ্বীপে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী।

    আরও পড়ুুন: “এই কংগ্রেস নেহরুর, গান্ধীর নয়”, অযোধ্যার আমন্ত্রণ ফেরানোয় ‘হাত‘কে নিশানা পদ্মের

    সূত্রের খবর, মলদ্বীপের কুর্সিতে চিনপন্থী মুইজ্জু বসতেই বাড়তি ইন্ধন পায় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি। তারপর থেকে ক্রমেই বাড়ছে রমরমা। সূত্রের খবর, দক্ষিণ এশিয়ায় মাদক পাচার এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হাত ধরাধরি করে চলে। আইএসআইএস-কে-র অন্যতম মাথা উমর নাসির ভাট গ্রেফতার হয়েছিল ২০২১ সালে। গোয়েন্দাদের জেরায় এই জঙ্গি নেতা কবুল করেছিল, বাংলাদেশ ও মলদ্বীপ ভিত্তিক মুসলমান আমিরদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। এদের মাধ্যমে সে সন্ত্রাসবাদী প্রচার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলত। গোয়েন্দারা জেনেছেন, জঙ্গি নাসির মলদ্বীপের সেনাবাহিনীতে চাকরি নিতে গিয়েছিল স্রেফ মলদ্বীপ ভিত্তিক আইএসআইএসের চাঁইকে মেটিরিয়াল সরবরাহ করবে বলে। তবে ধরা পড়ে যাওয়ায় সে স্বপ্ন আর সফল হয়নি নাসিরের (Maldives)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hafiz Saeed: পাক জেলে বন্দি মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সঈদ, জানাল রাষ্ট্রসংঘ

    Hafiz Saeed: পাক জেলে বন্দি মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সঈদ, জানাল রাষ্ট্রসংঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের জেলে বন্দি মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সঈদ (Hafiz Saeed)। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার সাতটি আলাদা আলাদা মামলায় তাকে ৭৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। এমনই জানাল রাষ্ট্রসংঘ।

    গ্লোবাল টেররিস্ট

    মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে তাকে গ্লোবাল টেররিস্ট বলে দেগে দেয় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায়ও রয়েছে লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজের নাম। তার মাথার দাম এক কোটি ডলার ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গি পাকিস্তানে বহাল তবিয়তে রয়েছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। পাকিস্তানের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনেও সে অংশ নিতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। এহেন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘ জানিয়ে দিল, ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তানে জেল খাটছে হাফিজ (Hafiz Saeed)।

    হাফিজকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ

    গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানকে হাফিজকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়েছিল ভারত। তবে যেহেতু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই, তাই হাফিজকে যে ভারত তার জিম্মায় পাবে না, তা এক প্রকার জানাই ছিল। সম্প্রতি সে কথা জানিয়ে দিয়েছে পাক বিদেশমন্ত্রকও। মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেন, “ভারত সরকারের অনুরোধ গ্রহণ করেছে পাকিস্তান। তারা তথাকথিত আর্থিক তছরুপ মামলায় জড়িত হাফিজ সঈদের প্রত্যর্পণ চাইছে। কিন্তু এটাও মনে রাখা প্রয়োজন যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই।”

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ। ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গেও যোগ ছিল হাফিজের। হাফিজের বিরুদ্ধে নাশকতার ৭টি অভিযোগ রয়েছে। মুম্বই হামলার প্রধান ষড়যন্ত্রী যে হাফিজ, ভারত একাধিকবার তার স্বপক্ষে প্রমাণও দিয়েছে পাকিস্তানকে। তার পরেও হাফিজকে ভারতের হাতে তুলে দেয়নি পাক সরকার। মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হাফিজকে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে পাকিস্তান তাকে নাশকতায় মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। হাফিজের বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে নালিশও জানিয়েছিল ভারত। সেসবে অবশ্য বিশেষ কাজ হয়নি। পাকিস্তানের নিরাপদ আশ্রয়েই রয়েছে হাফিজ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, হাফিজ বাইরে থাকলে প্রাণহানির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তাকে ‘আশ্রয়’ দেওয়া হয়েছে জেলে। যেখানে কারাদণ্ড ভোগ করার নামে বহাল তবিয়তে রয়েছে কুখ্যাত এই জঙ্গি (Hafiz Saeed)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Hafiz Saeed: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজকে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের  

    Hafiz Saeed: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজকে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসের মূল চক্রী (Hafiz Saeed)। পাকিস্তানের আদালতে দোষী সাব্যস্তও হয়েছেন লস্কর-ই-তৈইবার প্রতিষ্ঠাতা। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের শাস্তি থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন ও প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি নির্বাচনে লড়তে নেমেছে তাঁর সমর্থিত দল ‘পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ’। এহেন হাফিজ মহম্মদ সঈদকে চেয়ে ইসলামাবাদকে চিঠি দিল নয়াদিল্লি। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় হাফিজকে ভারত পাবে না বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের। মুম্বই হামলার এত বছর পর এই প্রথম (Hafiz Saeed) হাফিজকে বিচারের জন্য ভারতে পাঠানোর দাবি জানিয়ে পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে ওই বার্তা পাঠানো হয়েছে।

    হাফিজের মাথার দাম

    হাফিজ রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদী। আমেরিকা তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছে এক কোটি টাকা। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের গোপন ডেরায় তাঁকে রাখা হয়েছে বলে জল্পনা। হাফিজের ছেলে তলহাও বাবার মতোই সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে জড়িত। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় রয়েছেন তিনিও। এহেন মোস্ট ওয়ান্টেড হাফিজের দল লস্করের সামাজিক শাখা জামাত-উদ-দাওয়া সমর্থিত রাজনৈতিক দল পিএমএমএলের টিকিটে লাহোরের একটি আসন থেকে তলহা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে খবর।

    সন্ত্রাসবাদের তকমা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা!

    ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির পাশাপাশি নির্বাচন হবে প্রাদেশিক আইনসভাগুলিরও। সেই নির্বাচনেই জিতে দলের গা থেকে সন্ত্রাসবাদী দলের তকমা ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও একবার সন্ত্রাসবাদীর তকমা ঝেড়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন হাফিজ। সেটা ২০১৮ সাল। সেবারও পাকিস্তানের সাধারণ ও প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি মিলিয়ে মোট ২৬৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল হাফিজ সমর্থিত আল্লাহ-উ-আকবর তেহরিক নামে একটি দল।

    আরও পড়ুুন: “ধান্দাবাজ, জমি মাফিয়া, চোর, তোলাবাজ”, পোস্টারে তৃণমূল বিধায়কের ‘কাজের স্বীকৃতি’

    সেবার অবশ্য খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে হাফিজের সমর্থন নিয়ে ভোটে দাঁড়ানো দলটিকে। এবার অবশ্য ছেলে তলহার জয় নিশ্চিত করতে চাইছেন হাফিজ। হ্যাঁ, গোপন ডেরায় বসেই। তবে সেটা কতটা মসৃণ হবে, তা বলবে সময়। কারণ চলতি মাসের গোড়ার দিকে হাফিজ ঘনিষ্ঠ লস্কর জঙ্গি হাঞ্চলা আদনানকে করাচিতে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। তার পরেই আইএসআইয়ের গোপন ডেরায় থাকা হাফিজের (Hafiz Saeed) নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। কে জানে, কখন কী হয়!

    পাপ যে বাপকেও ছাড়ে না!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISIS: আইএস জঙ্গিদের তহবিলে টাকা দিতেন ভারতীয় রেলের ক্লার্ক! তদন্তে এনআইএ

    ISIS: আইএস জঙ্গিদের তহবিলে টাকা দিতেন ভারতীয় রেলের ক্লার্ক! তদন্তে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি করেন ভারতীয় রেলে। অথচ নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গির সঙ্গে! শুধু তাই নয়, ভুয়ো মেডিকেল বিল তৈরি করে রেলের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সেই টাকা জমা করতেন জঙ্গিদের তহবিলে। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রেলের এক ক্লার্কের বিরুদ্ধে।

    তদন্তে এনআইএ

    রেলকর্মীর জঙ্গিযোগের মূলে পৌঁছতে তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। দিল্লির একটি থানায় ওই ক্লার্কের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। অক্টোবর মাসে তিন আইএসআইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এরা হল, শাহনওয়াজ আলম, মহম্মদ আশরাফ এবং মহম্মদ আরশাদ ওয়ারসি। ধৃতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে তাজ্জব বনে যান তদন্তকারীরা। তাঁরা জানতে পারেন, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে কিছু সোর্স থেকে নিয়মিত টাকা ঢুকছে। এর পরেই কোমর কষে নামে পুলিশ।

    রেলের ওই কর্মী ফাইনান্স বিভাগে কর্মরত

    জানা যায়, নয়ডার বাসিন্দা পেশায় রেলকর্মী ওই জঙ্গিদের নিয়মিত টাকার জোগান দিতেন। ওই কর্মীর বিরুদ্ধে (ISIS) এফআইআর দায়ের করেছে উত্তর রেলওয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অর্থ জালিয়াতির মামলা। রেলের ওই কর্মী ফাইনান্স বিভাগে কর্মরত। অর্থ সংগ্রহ করতে একাধিকবার ভুয়ো মেডিকেল বিল জমা দেন তিনি। এই টাকাই তিনি পাঠাচ্ছিলেন জঙ্গিদের তহবিলে। তদন্তে নেমেছে এনআইএ। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

    আরও পড়ুুন: অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে দেশজুড়ে কর্মসূচি বিজেপির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    ৯ ডিসেম্বর দেশজুড়ে আইএসআইএসের খোঁজে মহারাষ্ট্র সহ দেশের ৪৪টি ঠিকানায় হানা দেয় এনআইএ। গ্রেফতার করা হয় ১৫ জনকে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মহারাষ্ট্র মডিউলের চাঁই হল সাকিবা নাচান। এই মডিউলই গোটা দেশে জঙ্গি হামলার ছক কষছিল। বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, তদন্তে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র মডিউলের সব আইএসআইএস সদস্যরা কাজকর্ম চালাচ্ছিল পদ্ম-বোরিভালি এলাকা থেকে। এখানে বসেই তারা দেশজুড়ে হামলার ছক কষছিল। জিহাদ, খিলাফত এসবের নামে জঙ্গিরা (ISIS) নষ্ট করতে চাইছিল দেশের শান্তি। এভাবেই তারা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জারি করতে চেয়েছিল।

    মহারাষ্ট্র মডিউলের নাচান নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে পরিচিত একটি নাম। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার মামলা রয়েছে এক ডজনেরও বেশি। তার ছেলে শামিল নাচানও সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে যুক্ত ছিল। গ্রেফতার করা হয়েছে শামিলকে (ISIS)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dawood Ibrahim: আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে দাউদ ইব্রাহিম, বিষ খাওয়ানো হল বিশ্বমানের জঙ্গিকে?

    Dawood Ibrahim: আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে দাউদ ইব্রাহিম, বিষ খাওয়ানো হল বিশ্বমানের জঙ্গিকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরুতর অসুস্থ বিশ্বমানের জঙ্গি দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে করাচির একটি হাসপাতালে। পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এ খবর মিললেও, পাকিস্তান সরকারের তরফে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে, করাচির হাসপাতালে কড়া নিরাপত্তার বলয়ে রাখা হয়েছে দাউদকে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মাছি গলারও জো নেই। হাসপাতালের যে অংশে দাউদকে রাখা হয়েছে, সেখানে আর কোনও রোগীকে রাখা হয়নি। কাউকে ধারেকাছেও ঘেঁসতে দেওয়া হচ্ছে না।

    মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী!

    মুম্বইয়ের এক পুলিশ কনস্টেবলের ছেলে দাউদ আটের দশকে ভারত থেকে পালিয়ে দুবাইয়ে যান। সেখান থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বইয়ে যে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার মূল চক্রী দাউদ বলেই শোনা যায়। ওই হামলায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন হাজারেরও বেশি মানুষ। অপরাধ জগতে দাউদের (Dawood Ibrahim) হাতেখড়ি সাতের দশকে। মুম্বইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডে দাউদের নাম উঠতে থাকে সামনের সারিতে। আগে কাজ করতেন হাজি মাস্তানের দলে। সেখান থেকেই ক্রমশ প্রভাব বাড়িয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের ‘হিরো’ হয়ে ওঠেন। লোকজন তাঁর দলকে ‘ডি-কোম্পানি’ বলে ডাকতে শুরু করে। এই কোম্পানিরই মালিক হিসেবে পরিচিত হন বিশ্বত্রাস এই জঙ্গি।

    আল কায়েদার সঙ্গে যোগ!

    পাকিস্তানে বসেই এই অপারেশন পরিচালনা করেছিলেন দাউদ। আল কায়েদা, তালিবানের সঙ্গেও বিশ্বমানের এই জঙ্গির যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গেও কাজ করেছেন। বিশ্বজুড়ে নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রও চালান তিনি। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের সহকারী ডিরেক্টর জেনারেলের পদে বসানো হয়েছে দাউদকে। জানা গিয়েছে, পাক গুপ্তচর ব্যবস্থায় দাউদের অবদানের জন্য এই পদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: শিল্পপতি জিন্দালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ অভিনেত্রীর

    বছর পঁয়ষট্টির দাউদের অসুস্থতার কারণ জানা যায়নি। যেমন জানা যায়নি কী সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। অনেকের মতে, বিষ খাওয়ানো হয়েছে বিশ্বমানের এই জঙ্গিকে। তবে পাক সরকার কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এ ব্যাপার কিছু জানানো হয়নি। দাউদের অসুস্থতার খবর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য পাকিস্তানের একাধিক এলাকায় ইন্টারনেট সার্ভার ডাউন করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এক্স, ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামের মতো সমাজমাধ্যম কাজ করছে না। পাক সংবাদ মাধ্যমের দাবি, দাউদকে (Dawood Ibrahim) তাঁর ঘনিষ্ঠ কেউ বিষ প্রয়োগ করেন। এর পরেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share