Tag: Terrorist

Terrorist

  • Perfume Bomb: ধৃত জঙ্গি আগে স্কুলশিক্ষক ছিল! প্রথমবার ‘পারফিউম বম্ব’ উদ্ধার কাশ্মীরে

    Perfume Bomb: ধৃত জঙ্গি আগে স্কুলশিক্ষক ছিল! প্রথমবার ‘পারফিউম বম্ব’ উদ্ধার কাশ্মীরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুগন্ধির বোতলে ভরে রাখা হয় বিস্ফোরক। সেটি বসিয়ে রাখা হয় রাস্তায়। কৌতূহল বশে সুগন্ধীর বোতল কুড়িয়ে নিয়ে খুলতে গেলেই ঘটবে বিস্ফোরণ। যার জেরে হয় মৃত্যু নয় চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাওয়া। কাশ্মীরের সরকারি স্কুল শিক্ষক থেকে জঙ্গি বনে যাওয়া আরিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকেই মিলেছে পারফিউম বম্ব (Perfume Bomb)। জানা গিয়েছে, ধৃত আরিফ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই তৈবার সদস্য। এই ধরনের বিস্ফোরক এর আগে কোনওদিন জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) দেখা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

    সুগন্ধির বোতলে…

    চলতি মাসের ২১ তারিখে জম্মু-কাশ্মীরের নারওয়ালে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হন ৯ জন। বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে আরিফের হদিশ পায় পুলিশ। তদন্ত করে দেখা যায়, সুগন্ধির বোতলে আইইডি ভরে ঘটানো হয়েছিল বিস্ফোরণ।

    জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিং বলেন, ধৃত আরিফের কাছে ডিসেম্বরের শেষ দিকে তিনটি আইইডি আসে। এর মধ্যে দুটি ২০ জানুয়ারি মারওয়াল এলাকায় পুঁতে রেখেছিল আরিফ। ২১ তারিখ ২০ মিনিটের ব্যবধানে ওই দুটি আইইডি (Perfume Bomb) বিস্ফোরণ হয়। প্রথমটির বিস্ফোরণের ফলে ৯ জন জখম হয়েছিলেন। তদন্তে নেমে আরিফকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত আরিফ কাসিম নামে পাকিস্তানের এক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির সঙ্গে গত তিন বছর ধরে যোগাযোগ রেখে চলছিল। জেরায় নিজের কাছে থাকা পারফিউম আইইডি-র কথা জানায় আরিফ।

    আরও পড়ুুন: গরু পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই নজরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা, জানেন তাঁরা কারা?

    জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের প্রধান বলেন, পাকিস্তান তার মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ প্রচার করার জন্য এবং সারা বিশ্বে হাজার হাজার প্রাণ কেড়ে নেওয়ার জন্য কুখ্যাত। জম্মু-কাশ্মীর বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের টার্গেটে রয়েছে। পাকিস্তানিরা জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করতে চায়। দিলবাগ জানান, এই ধরনের সুগন্ধির বোতলে (Perfume Bomb) বিস্ফোরক ভরে নাশকতা চালানোর ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তিনি জানান, জেরায় আরিফ স্বীকার করেছে গত বছর ২৪ মে বৈষ্ণোদেবীগামী তীর্থযাত্রীদের বাসের ওপর হামলার ঘটনায়ও হাত ছিল তার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Pakistan: ‘আমাদের তৈরি মুজাহিদিন এখন জঙ্গি হয়েছে’, স্বীকারোক্তি পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর

    Pakistan: ‘আমাদের তৈরি মুজাহিদিন এখন জঙ্গি হয়েছে’, স্বীকারোক্তি পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুজাহিদিন তৈরির কোনও প্রয়োজন আমাদের ছিল না। আমরা মুজাহিদিন সৃষ্টি করেছিলাম। তারাই এখন জঙ্গি হয়েছে। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি আর কেউ নন, পাকিস্তানের (Pakistan) অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ স্বয়ং। এবং বললেন পাক সংসদের উচ্চ কক্ষে। ঘটনার জন্য সানাউল্লাহ দুষছেন ইমরান খানের সরকারকে। তিনি বলেন, ইমরান খানের সরকার তেহেরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের কয়েকজনকে জেল থেকে মুক্ত করে দিয়েছিল। এদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

    বিস্ফোরণ…

    গত সোমবার পেশোয়ারে পাক (Pakistan) পুলিশের সদর দফতর লাগোয়া মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় এলাকায় অন্তত ৪০০ পুলিশ কর্মী উপস্থিত ছিলেন। নমাজ পড়ার সময় হওয়ায় আরও বহু পুলিশ কর্মী মসজিদে এসেছিলেন। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ভেঙে পড়ে মসজিদের দেওয়াল। ধসে পড়ে মসজিদের ছাদও। খাইবার পাখতুনখোয়ার পুলিশ প্রধান মোজাজ্জম জাহ আনসারি বলেন, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ১০ থেকে ১২ কেজি বিস্ফোরক বেঁধে অতিথির ছদ্মবেশে মসজিদে এসেছিলেন আত্মঘাতী জঙ্গি। নমাজ শুরু হতেই বিস্ফোরণ ঘটান তিনি। পাক পুলিশের দাবি, জঙ্গি দমন অভিযানে যাওয়া পুলিশ বাহিনীর মনোবল ভাঙতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে মসজিদে। পেশোয়ার পুলিশের প্রধান মহম্মদ ইজাজ খান বলেন, জঙ্গি দমন কার্যকলাপে আমরা প্রথম সারিতে রয়েছি। এই জন্যই আমাদের নিশানা করা হল। উদ্দেশ্য ছিল, বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া।

    আরও পড়ুুন: এ কোন সংস্কৃতি! সুকান্ত-সুভাষকে কুরুচিকর আক্রমণ তৃণমূলের, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী (Pakistan) ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিকে জানান, মৃতদের মধ্যে ৯৭ জনই পুলিশ আধিকারিক। বাকি তিনজন সাধারণ মানুষ। আহত ২৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি স্বীকার করেছেন, টিটিপি, আগে যে সংগঠন তেহেরিক-ই-তালিবান-ই পাকিস্তান একটি ছাতার মতো, যার তলায় রয়েছে একাধিক ইসলামিস্ট সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী। এরাই আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে সক্রিয় রয়েছে। এরা অস্ত্র সমর্পণ করে আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করবে, এটা ভাবাই ভুল ছিল।

    প্রসঙ্গত, পেশোয়ারের ওই মসজিদে বিস্ফোরণের পর টিটিপির একটি অংশ ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল। যদিও কয়েক ঘণ্টা পরেই টিটিপির মুখপাত্র ট্যুইটবার্তায় জানান, মসজিদে আক্রমণের কোনও উদ্দেশ্য তাঁদের ছিল না। পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, যাঁরা পাকিস্তানকে রক্ষা করছিলেন, জঙ্গিরা তাঁদেরই টার্গেট করল!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Delhi Terror: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দিল্লিতে নাশকতার ছক! আরও চার জঙ্গির খোঁজ

    Delhi Terror: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দিল্লিতে নাশকতার ছক! আরও চার জঙ্গির খোঁজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে, জাহাঙ্গীরপুরী এলাকা (Delhi Terror) থেকে জঙ্গি সন্দেহে আরও চার সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীরা ড্রপডেড পদ্ধতির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র পেয়েছে এবং একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের মাধ্যমে সীমান্তের ওপারে তাদের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত।

    কী জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ?          

    পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “দিল্লি (Delhi Terror) পুলিশ আরও ৪ সন্দেহভাজনকে খুঁজছে। তারা ড্রপ-ডেড পদ্ধতির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র পেয়েছিল এবং সিগন্যাল অ্যাপে পাক হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তারা উত্তরাখণ্ডের একটি অজ্ঞাত স্থান থেকে অস্ত্র পেয়েছে। বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে।”  

    জানুয়ারির শুরুতে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরী এলাকা থেকে দুই সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেপ্তার করার পর, পুরো বিষয়টি সামনে আসে। পুলিশের মতে এই সন্ত্রাসীরা রাজ্যের বিভিন্ন নামীদামী ব্যক্তিত্বের ওপর হামলা চালানোর বরাত পেয়েছিল। 

    এই ঘটনায় ৮ জনের জড়িত থাকার অনুমান করছে পুলিশ। এদের মধ্যে চার জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “সীমান্তের ওপারে থাকা হ্যান্ডলাররা সিগন্যাল অ্যাপে নির্দেশ পাঠাত। তারপরে তারা গুগল ম্যাপের মাধ্যমে অস্ত্র ভর্তি ব্যাগের অবস্থান একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করে নিত। সন্ত্রাসীদের এই মডিউলে প্রায় ৮ জন জড়িত থাকতে পারে। যার মধ্যে ৪ জন এখনও ভারতে রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ২ জন অস্ত্র সরবরাহ করত এবং ২ জন অস্ত্রগুলিকে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে তাদের বসদের কাছে অস্ত্রের গুগল লোকেশন পাঠাত।”

    আরও পড়ুন: চলতি বছরের অক্টোবরেই সম্পন্ন হবে রাম মন্দিরের প্রথম তলার নির্মাণ!

    সূত্রের মতে, সন্ত্রাসবাদীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলি উত্তরাখণ্ডের একটি অজানা স্থানে পাওয়া গিয়েছে। এখন তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

    সম্প্রতি রাজধানীর (Delhi) রাস্তায় উদ্ধার (Delhi Terror) হয়েছে এক ব্যক্তির ছিন্নভিন্ন দেহ। ধৃতদের নাম জগজিৎ সিং এবং নৌসাদ। অভিযোগ, ধৃত এই দুই জঙ্গি সেই ব্যক্তিকে খুন করে  তাঁর দেহ আট টুকরো ছড়িয়ে দিয়েছিল রাস্তার মাঝে। এক চাঞ্চল্যকর তথ্যও এসেছে দিল্লি পুলিশের হাতে। ৩৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এসেছে পুলিশের হাতে। মৃতদেহের ভিডিও করে সোহেল বলে এক ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। লস্কর-ই-তৈবা- র সঙ্গে যোগ রয়েছে এই সোহেলে। এই সোহেলের অ্যাকাউন্ট থেকেই নৌসাদের অ্যাকাউন্টে ২ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Terrorist: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে হাওড়ায় এসটিএফের জালে ২ জঙ্গি , আইএস যোগ?

    Terrorist: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে হাওড়ায় এসটিএফের জালে ২ জঙ্গি , আইএস যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই প্রজাতন্ত্র দিবস। তার আগে আইএসআইএসের (ISIS) সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহে (Terrorist) দুজনকে গ্রেফতার করল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। শুক্রবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হল বছর আঠাশের মহম্মদ সাদ্দাম এবং বছর তিরিশের সঈদ আহমেদ। হাওড়ার বিদ্যাসাগর সেতু থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের।

    সাদ্দাম ও আহমেদ…

    পুলিশের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, সাদ্দাম এমটেক ছুট। সে গুরগাঁও ভিত্তিক এক সফটওয়্যার কোম্পানিতে কর্মরত। আর আহমেদ কাজ করে তার বাবার ফার্মে। জানা গিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১ ও ১২২ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশের অন্য এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ধৃতেরা তরুণদের নিয়োগ করার কাজে লিপ্ত ছিল। তারা অস্ত্র সংগ্রহ করত। জোগাড় করত বিস্ফোরক। সংগ্রহ করত অর্থও। তারা খলিফার শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিল।

    পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুজনকে গ্রেফতারের পর তাদের ডেরায় (Terrorist) হানা দেওয়া হয়েছিল। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু জিনিস। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, হার্ড ড্রাইভ, পেন ড্রাইভ, নোটবুক, ডেবিট কার্ড এবং একটি টু-হুইলার। জিহাদি সাহিত্য, কয়েকটি জিহাদি চ্যানেলের তালিকা এবং কয়েকটি কোম্পানির নাম লেখা কাগজপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে সাদ্দামকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, তা জানেন না বলেই দাবি তাঁর পরিবারের। সাদ্দামের এক আত্মীয় বলেন, তারা (পুলিশ) এল, তার মোবাইল এবং কম্পিউটারটা নিয়ে চলে গেল। আমরা জানি না কেন তাকে গ্রেফতার করা হল।

    আরও পড়ুুন: অপরাধী ধরতে গিয়ে ফের আক্রান্ত পুলিশ, ছিনিয়ে নিয়ে গেল ২ অভিযুক্তকে

    এসটিএফ সূত্রে খবর, সাদ্দামের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে মিলেছে আইএস জঙ্গিদের নৃশংস খুনের ভিডিও। বিদেশ যাওয়ার ছক কষেছিল সাদ্দাম। সেই মতো তৈরি করেছিল পাসপোর্টও। এসটিএফের দাবি, সুইসাইড স্কোয়াড সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করছিল সাদ্দাম। মিলেছে পাকিস্তান-যোগও। পাকিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত সাদ্দাম। টেলিগ্রাম, সোশ্যাল মিডিয়ার চলত সাংকেতিক ভাষায় কথাবার্তা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • NIA Raid: সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সংযোগকারীদের খুঁজতে তল্লাশি এনআইএ-র, আইনজীবী সহ গ্রেফতার ২

    NIA Raid: সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সংযোগকারীদের খুঁজতে তল্লাশি এনআইএ-র, আইনজীবী সহ গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা অপরাধী এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সংযোগকারীদের (Gangster Nexus) খুঁজে বের করা। তা করতে গিয়ে মঙ্গলবার একই সঙ্গে অন্তত ৫০টি জায়গায় অভিযান চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA Raid)। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার অভিযান চলেছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি সহ উত্তর ভারতের (India) পাঁচ রাজ্যে। এনআইয়ের (NIA) এক পদস্থ কর্তা বলেন, ভারত থেকে পালানো বেশ কয়েকজন গ্যাংস্টার এখন পাকিস্তান, কানাডা, মালয়েশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশে থেকে ছক কষছে। তাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্তদের খোঁজে নেমেছে এনআইএ।

    এনআইএ সূত্রে খবর, এদিন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দুজন। একজন আইনজীবী আশিফ খান। তিনি দিল্লির (Delhi) বাসিন্দা। অন্যজন রাজেশ ওরফে রাজু মোটা। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে হরিয়ানা থেকে। এনআইএ-র এক মুখপাত্র জানান, চারটি অস্ত্র এবং গুলি সহ কয়েকটি পিস্তল বাজেয়াপ্ত হয়েছে ধৃত আইনজীবীর বাড়ি থেকে। তিনি জানান, তদন্ত (NIA Raid) চালানোর সময় এটা জানা গিয়েছে যে আইনজীবী আশিফ খান গ্যাংস্টারদের সংস্পর্শে ছিলেন। যেসব গ্যাংস্টার জেলে বন্দি রয়েছে কিংবা জেলের বাইরে রয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁর। বিভিন্ন অবৈধ কাজকর্ম করতে অপরাধীদের সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করতেন ওই আইনজীবী। এনআইএ-র মুখপাত্র জানান, রাজেশের ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। তার নামে প্রচুর ক্রিমিনাল কেস রয়েছে।

    ওই আধিকারিক আরও জানান, রাজু অবৈধভাবে মদ-মাফিয়া নেটওয়ার্কও চালায় তার মহল্লায়। কয়েকজন সাগরেদকে নিয়ে এই কারবার চালায় সে। সে হরিয়ানার কুখ্যাত গ্যাংস্টার সন্দীপ ওরফে কালা জাঠেদির সহযোগী। এনআইএ সূত্রে খবর, মদের ব্যবসায় রাজু মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে। অবৈধ নানা উপায়েও রোজগার করে সে।

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর অভিযোগের তদন্তে জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি এনআইএ-র, গ্রেফতার ১

    এনআইএ এদিন তল্লাশি চালিয়েছে রাজস্থানের চুরুর সম্পত নেহ্রা চত্বরে। হরিয়ানার কুখ্যাত গ্যাংস্টার নরেশ শেঠীর ডেরাও তল্লাশি চালিয়েছে। হরিয়ানারই সুরেন্দর ওরফে চিকুর ডেরায়ও এদিন চালানো হয়েচছে তল্লাশি। উত্তর পূর্ব দিল্লির সন্দীপ ওরফে বান্দার এবং সেলিম ওরফে পিস্তলের বাড়িতেও হানা দেন এনআইএ-র গোয়েন্দারা। পাঞ্জাবের ভাতিন্দায়ও এক আইনজীবীর বাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা। গুরপ্রীত সিং সিধু নামে ওই আইনজীবী তা স্বীকারও করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Terrorist killed in Kashmir: কাশ্মীর পুলিশের বড় সাফল্য! খতম পরিযায়ী শ্রমিক হত্যাকারী লস্কর জঙ্গি

    Terrorist killed in Kashmir: কাশ্মীর পুলিশের বড় সাফল্য! খতম পরিযায়ী শ্রমিক হত্যাকারী লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য পেল কাশ্মীর পুলিশ। গত সোমবারের গ্রেনেড হামলায় জড়িত এক জঙ্গিকে গুলি করে খতম করা হল (Terrorist killed in Kashmir)। সোমবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সোপিয়ান (Shopian) জেলার হারমেন এলাকায় গ্রেনেড হামলা (grenade attack) চালায় জঙ্গিরা। আর এতে প্রাণ হারিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের দুই শ্রমিকও। তাঁদের নাম মনীশ কুমার ও রাম সাগর। তাঁদের দুজনেরই বাড়ি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কনৌজ (Kanooj) জেলায়। ফলে এই হামলার সঙ্গে জড়িতে দুই জঙ্গিকে গতকালই গ্রেফতার করা হয়েছিল, আর আজ তাদের মধ্যে একজনকে নিকেশ করা হয়েছে। 

    কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল, মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছিল যে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের কমান্ডারদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত জঙ্গির নাম ইমরান বাসির গনি এবং সে লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। একেই আজ খতম করা হয়েছে (Terrorist killed in Kashmir) বলে কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে। 

    শুধুমাত্র সোমবারের এই গ্রেনেড হামলাই নয়, এই বছরে একাধিক বার পরিযায়ী শ্রমিকদেরকে নিশানায় রেখেছে সন্ত্রাসবাদীরা। ফলে বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতমাসের ২ তারিখে পুলওয়ামায় মুনির উল ইসলাম নামে পশ্চিমবঙ্গের এক পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গি। এর আগে ১১ আগস্ট বান্দিপোরা জেলার সুম্বলে বিহারের মাধেপোরার পরিযায়ী শ্রমিক মোহাম্মদ আমরেজও জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, এই বছর, কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিক সহ ১৭ জন লোক জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! কাশ্মীরি পণ্ডিতের পর সোপিয়ানে জঙ্গি হামলায় নিহত ২ পরিযায়ী শ্রমিক

    এছাড়াও কাশ্মীরি পণ্ডিতরাও রয়েছেন সন্ত্রাসবাদীদের নিশানায়। সোমবারের গ্রেনেড হামলার দুদিন আগেই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কাশ্মীরি পণ্ডিত পূরণ কৃষ্ণন ভাট। তিনি দক্ষিণ কাশ্মীর জেলার চৌধুরী গুন্ড এলাকার বাসিন্দা। পণ্ডিত খুনের দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘কাশ্মীর ফ্রিডাম ফাইটার’। এই ঘটনার পরেই উপত্যকায় প্রতিবাদে নেমেছেন কাশ্মীরা পণ্ডিতরা। পুনর্বাসনের দাবিতে ফের গর্জে উঠেছেন তাঁরা। এ বছর এর আগে একাধিক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে হত্যা করা হয়েছে। মে মাসেই বুদগামে তেহসিলদারের অফিসে ঢুকে ৩৬ বছর বয়সী রাহুল ভাটকে খুন করে সন্ত্রাসবাদীরা।

  • India Army Dog: কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযানে আহত হয়েও যোদ্ধার মত লড়াই করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুকুর ‘জুম’

    India Army Dog: কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযানে আহত হয়েও যোদ্ধার মত লড়াই করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুকুর ‘জুম’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের নিকেশ করতে সবসময়ই ভারতীয় জওয়ানদের বীরত্বের কথা শোনা যায়। তবে এবারে বীরত্বের এক নজির গড়ল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুকুর (India Army Dog), ‘জুম’ (Zoom)৷ সোমবার জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় জঙ্গি দমনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় ভারতীয় সেনার অ্যাসল্ট ডগ জুম৷ গুরুতর আহত হয়েও নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে লড়ে গিয়েছেন জঙ্গিদের সঙ্গে। বর্তমানে তার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। শ্রীনগরে সেনাবাহিনীর (Indian Army) পশু হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার (India Army Dog)। তার আরোগ্য কামনা করছে ভারতীয় সেনা। এই অভিযানে গুলিতে খতম হয়েছে লস্কর-ই-তৈবার দুই জঙ্গি।

    [tw]


    [/tw]

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেই সময়ই গুরুতর আহত হয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর কুকুরটি (India Army Dog)। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় জঙ্গিরা আশ্রয় নিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর এসে পৌঁছয়। সেই মতো রবিবার গভীর রাতেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে তারা। অপারেশন তাংপাওয়াস কমব্যাটের অংশ ছিল কুকুরটি। ফলে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে সঙ্গী হয় সে। জানা গিয়েছে, সে বীর সৈনিকের মত জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করেছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেও জঙ্গিদের ওপর আক্রমণ করেই চলেছিল সে। জঙ্গিদের ছোঁড়া দু’টি গুলিতেই গুরুতর আহত হয় সে।

    এরপর তাকে (India Army Dog) তড়িঘড়ি তাকে পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেনাবাহিনীর চিনার কর্পসের তরফে জানানো হয়েছে, জুমের বীরত্বের কারণেই খতম করা গিয়েছে দুই লস্কর জঙ্গিকে। আহত হওয়ার পরেও সে তার লক্ষ্যে অবিচল ছিল ও তার কর্তব্য পালন করেছে। ট্যুইটারে জুমের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এই ভিডিও-তে কুকুরের প্রশিক্ষণ সেশন এবং তার দক্ষতার ঝলক দেখানো হয়েছে।

    সেনা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সোমবার পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিরা অনন্তনাগে লুকিয়েছিল বলে দাবি সেনার। তাদের বিরুদ্ধেই অভিযান শুরু হয়। আর তাতে এই কুকুরের (India Army Dog) পাশাপাশি দুই সেনাকর্মীও আহত হন। তবে অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগের তাংপাওয়া গ্রামে আরও একজন সন্ত্রাসী লুকিয়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই এখনও তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনা আধিকারিকরা।

  • Kashmir: কাশ্মীরে অগ্নিবীর নিয়োগ র‍্যালিতে নাশকতার ছক,পুলিশি অভিযানে খতম দুই জঙ্গি

    Kashmir: কাশ্মীরে অগ্নিবীর নিয়োগ র‍্যালিতে নাশকতার ছক,পুলিশি অভিযানে খতম দুই জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত এক সপ্তাহ ধরেই জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীকে খতম করছে ভারতীয় সেনা। ফের মিলেছে সাফল্য। শুক্রবার ভোররাতে বারামুল্লায় সন্ত্রাসবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে সাথে যুক্ত দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে বলেই কাশ্মীরের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, অগ্নিপথ নিয়োগ র‍্যালিতে নাশকতা করতেই এই জঙ্গিদের বরাত দেওয়া হয়েছিল। আর সেই উদ্দেশ্যেই ওঁত পেতে বসে বসে ছিল ওই দুই জঙ্গি। কিন্তু তাদের সব পরিকল্পনা বানচাল করে দিল পুলিশ। জঙ্গিদের থেকে ২টি একে ৪৭ এবং একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।  

    আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগেই জোড়া বিস্ফোরণে কাঁপল উপত্যকা 

     

    বারামুল্লার ইয়েদিপোরা, পাত্তান এলাকায় এনকাউন্টার শুরু হয়েছিল। কাশ্মীর জোন পুলিশ টুইট করে জঙ্গি দমনের খবর নিশ্চিত করেছে। প্রথমে একজন জইশ জঙ্গির মৃত্যুর খবর জানানো হয়। তারপরেই আরও একজনের মৃত্যু হয়। কাশ্মীরের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল বলেছেন, “বারামুল্লা এনকাউন্টার আপডেট: আরও একজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। উভয় স্থানীয় সন্ত্রাসী নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন জেএম-এর সাথে যুক্ত। অনুসন্ধান অভিযান চলছে। আরও বিশদ বিবরণ জানানো হবে।” বারামুল্লার আগে আজ শুক্রবারেই শোপিয়ান জেলার চিত্রগাম এলাকায় সন্ত্রাসবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে আরেকটি এনকাউন্টার শুরু হয়। এনকাউন্টার সাইটে অনুসন্ধান করে দুটি একে সিরিজের রাইফেল, গ্রেনেড এবং অন্যান্য যুদ্ধের দোকান উদ্ধার করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ফের জঙ্গিদের নিশানায় পরিযায়ী শ্রমিক! পুলওয়ামায় গুলিবিদ্ধ বিহারের দুই বাসিন্দা 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Al Qaeda Terrorist: বাংলাদেশি ব্লগার হত্যায় জড়িত? আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার মালদার যুবক

    Al Qaeda Terrorist: বাংলাদেশি ব্লগার হত্যায় জড়িত? আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার মালদার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি (Terrorist) সন্দেহে গ্রেফতার মালদহের সুজাপুরের নাজিরপুর এলাকার যুবক। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হল হাসনাত শেখকে। সাহারানপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের (Calcutta Police) এসটিএফ (STF)। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত হাসনাত আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের (Al Queda Indian Sub Continent) সদস্য। ২০১৫ সালে খুন হন বাংলাদেশি ব্লগার (Blogger) অভিজিৎ রায়। ওই ঘটনায় হাসনাতের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। ধৃতকে জেরা করে এ রাজ্যে জঙ্গিদের শেকড় কতটা গভীরে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।  

    পুলিশ সূত্রে খবর, বছর পঁচিশের হাসনাত প্রথমে সুজাপুরের লাল মহম্মদ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। পরে পড়াশোনা করে বর্ধমানের একটি মাদ্রাসায়। বছর সাতেক আগে ধর্মশিক্ষার জন্য সে চলে যায় উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের একটি মাদ্রাসায়। মাস চারেক পরে মৌলবী হয়ে ফেরার কথা ছিল তার। ঘটনার জেরে বিস্মিত হাসনাতের প্রতিবেশীরা। নাজিরপুর এলাকায় ভদ্র ও মৃদুভাষী হিসেবেই পরিচিত ছিল সে। তাই তার সঙ্গে জঙ্গিযোগের খবর মেনে নিতে পারছেন না হাসনাতের পরিবারও। হাসনাতের মা রেজি বিবি বলেন, কিছু দিন আগেই ছেলে বাড়ি ঘুরে গেল। ওর কাছে ফোন ছিল না। প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার মাদ্রাসা হস্টেলের সুপারের ফোন থেকে বাড়িতে কথা বলত। আমি বিশ্বাস করি না জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে ওর আছে।   

    আরও পড়ুন : বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    তবে এসটিএফ সূত্রে খবর, হাসনাত আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের সদস্য। সূত্র মারফত তদন্তকারীরা খবর পেয়েছিলেন, বাংলাদেশি ব্লগার অভিজিৎ রায় খুনের নেপথ্যে ছিল আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট নামক জঙ্গি সংগঠনের হাত। ওই ঘটনায় সম্প্রতি ফয়জল আহমেদ নামে ধৃত এক বাংলাদেশিকে জেরা করে হাসনাতের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এর পরেই হাসনাতকে গ্রেফতার করতে উঠপড়ে লাগে পুলিশ। প্রথমে তদন্তকারীরা যান সুজাপুরে। সেখানে তার নাগাল পাননি তাঁরা। পরে তাঁরা জানতে পারেন, হাসনাত রয়েছে সাহারানপুরে। এর পরেই তদন্তকারীদের একটি দল চলে যায় সেখানে। দিন কয়েক ধরে কড়া নজর রাখা হয় হাসনাতের গতিবিধির ওপর। শেষমেশ বুধবার গ্রেফতার করা হয় তাকে। নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়।

    উত্তর ২৪ পরগনার শাসন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর। গত এক মাসেরও কম সময়ে এই এলাকা গুলি থেকে এসটিএফের হাতে গ্রেফতার সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন জঙ্গি। এবার সেই তালিকায় উঠল মালদহের সুজাপুরের নামও। কারণ সাহারানপুরে ধৃত হাসনাত এখানকারই বাসিন্দা।  

    বাংলা কি তবে ক্রমেই জঙ্গিদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে?

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • NIA raid: সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে দক্ষিণের দুই রাজ্যে ৩৮ জায়গায় তল্লাশি এনএইএ-র

    NIA raid: সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে দক্ষিণের দুই রাজ্যে ৩৮ জায়গায় তল্লাশি এনএইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদীদের সন্ধানে এবার দক্ষিণের দুই রাজ্যে তল্লাশি শুরু করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। রবিবার দিনভর অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) এবং তেলাঙ্গানায় (Telangana) সব মিলিয়ে মোট ৩৮টি জায়গায় হানা দিল এনআইএ-র দল। এর মধ্যে শুধু মাত্র অন্ধ্রপ্রদেশেই ২৩টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। তেলঙ্গানার নিজামাবাদে এক ব্যক্তির বাড়িতেও হানা দেন গোয়েন্দারা। তাঁকে সোমবার এনআইএ দফতরে তলব করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।  

    রবিবার সকালে একসঙ্গে এনআইএ-র ২৩টি দল অন্ধ্রপ্রদেশের ২৩টি জায়গায় হানা দিয়েছে। সন্ত্রাসে মদত এবং বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (PFI) সদস্যদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদও করেন  এনআইএ গোয়েন্দারা। কুর্নুল, গুন্টুর, নেল্লোরের পাশাপাশি নিজ়ামাবাদেও হানা দেন গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুন: বৃহত্তর বেঞ্চের রায় সবসময় প্রাধান্য পাবে, অভিমত শীর্ষ আদালতের

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পিএফআই-এর জেলা আহ্বায়ক সাদুল্লাহ, ও সংগঠনের সদস্য মহম্মদ ইমরান এবং মহম্মদ আবদুল মোবিনকে জেরার জন্য পাকড়াও করে আনা হয়েছে। ক্যারাটে শেখানোর  নাম করে অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং হিংসা ছড়ানোর মতো অভিযোগে রয়েছে এই কজনের বিরুদ্ধে। সেই বিষয়েই জেরা করা হয়। আড়াই মাস আগেই ক্যারাটে শিক্ষক আব্দুল কাদের এবং আরও তিনজনকে যুবকদের সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ দেওয়া এবং বেআইনিভাবে অস্ত্র শিক্ষা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করে নিজামাবাদ পুলিশ। গত ৪ জুলাই নিজামাবাদ থানায় মামলা দায়ের হয়। এরপরে এই মামলায় তদন্তের দায়িত্ব পায় এনআইএ। 

    তেলাঙ্গানার নিজ়ামাবাদে শাহিদ চৌসি নামে এক ব্যক্তির বাড়ি গিয়ে তাঁর মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট এবং ব্যাঙ্কের পাসবই বাজেয়াপ্ত করেছেন এনআইএ গোয়েন্দারা। তাঁকে হায়দ্রাবাদে  এনআইএ দফতরে সোমবার ডাকা হয়েছে। শাহিদের দাবি, তিনি কোনওবেআইনি লেনদেন বা হিংসার সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি একটি পরিষেবা কেন্দ্র চালান। কিন্তু তদন্তকারীরা তাঁর কোনও কথাই শুনতে চাননি বলেও অভিযোগ।  

    আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক! দীর্ঘ ৩০ বছর পর কাশ্মীরে খুলল সিনেমা হল 

     নানদয়াল এবং কুর্নুলে স্থানীয় বাসিন্দারা গোয়েন্দাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অশান্তিও ছড়ায়। পুলিশের অনুমান ওই এলাকাতে বেশ কিছু পিএফআই সদস্যের বাড়ি। আর সেই কারণে তল্লাশি অভিযানে ব্যাঘাত ঘটাতেই পূর্ব পরিকল্পিত এই অশান্ত। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান ওই এলাকার অনেক যুবককে মার্শাল আর্ট এবং অস্ত্র বিদ্যায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হিংসা ছড়ানোর কথা বলতেও শেখানো হয়েছে তাদের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share