Tag: tmc

tmc

  • Ghatal: মগের মুলুক! ঘাটাল সেচ দফতরের এসডিও-র অফিস রাতারাতি দখল করে নিল পুলিশ!

    Ghatal: মগের মুলুক! ঘাটাল সেচ দফতরের এসডিও-র অফিস রাতারাতি দখল করে নিল পুলিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বানভাসি পশ্চিম মেদিনীপুরে (Ghatal) অবাক কাণ্ড। ঘাটাল সেচ দফতরের এসডিও-র অফিস জোর করে দখল নিয়েছে পুলিশ। এসডিও’র নেমপ্লেট খুলে রাতারাতি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘাটাল থানার ওসি-র নাম। বন্যার সময় উদ্বাস্তু হয়ে গেলেন খোদ সেচ দফতরের অফিসার-কর্মীরাই। বন্যা কবলিত মানুষের পাশে না থেকে তৃণমূল প্রশাসনের এই আচরণকে সামজিক মাধ্যমে তুলে ধরে বিস্ফোরক রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পুলিশ কেন এমন করল? কোনও ষড়যন্ত্র নেই তো? এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে।

    কী বললেন বিজেপি নেতা (Ghatal)?

    তৃণমূল প্রশাসনের বিরুদ্ধে কটাক্ষ হেনে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সামজিক মাধ্যমে  বলেন, “রাজ্যে মগের মুলুক চলছে। ঘাটাল (Ghatal) মাস্টার প্ল্যানের যাবতীয় নথিপত্রও পুলিশ দখল নিয়ে নিয়েছে। বোঝো কাণ্ড। বেচারা সেচ দফতরের কর্তারা এখন নিরুপায় হয়ে দফতরের উচ্চ আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ করে বিহিত চেয়েছেন। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কোনও নথি যে আর সেচ দফতরের কাছে নেই, তাও জানিয়ে দিয়েছেন সেচ দফতরের কর্তারা। একেই বলে শাসকের আইন। পুলিশ মানে রাজ্য আর রাজ্য মানে পুলিশ। দেখুন আপনারা সেচ দফতরের ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদার চিঠিটি নীচে দিলাম।”

    আরও পড়ুনঃ মমতা ব্যস্ত উৎসবে, পুজোর মুখে সবজির আগুন বাজারে পুড়ছে আমজনতা!

    তৃণমূল কি বাস্তবে মাস্টার প্ল্যান চায়?

    রাজ্যে নিম্নচাপের কারণে অতিবর্ষণ এবং ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বার বার ডিভিসিকে কাঠগড়ায় তুললেও রাজ্যকে না জানিয়ে যে জল ছাড়া হয়নি, সেকথা কেন্দ্রীয় সেচ দফতর থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। এদিকে ভোটের আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ঘাটাল মহকুমাকে বন্যামুক্ত করতে মাস্টার প্ল্যানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে তা করতে দেখা যায়নি। পরপর তিন বারের তৃণমূল সাংসদ দেব এবারের বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে ফের একবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, “আমাকে আরও ৫ বছর সময় দিলে মাস্টার প্ল্যান হবে।” এখানেই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, রাজ্যে মমতার শাসন প্রায় ১৩ বছর ধরে চলছে, তারপরও কেন বন্যা নিয়ন্ত্রণের কোনও পদক্ষেপ নেয়নি সরকার? বিরোধী দল বিজেপির দাবি, তৃণমূল বার বার পশ্চিম মেদিনীপুরের মানুষের সঙ্গে প্রবঞ্চনা করছে। তৃণমূল সরকারের কোনও ইচ্ছে নেই। এদিকে শাসকের উদাসীন মনোভাবের সামালোচনা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মমতা সরকার দুর্গতদের পাশে নেই, কেবল ছবি তোলাতে ব্যস্ত। আমারা ঘটাল (Ghatal) মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপিকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস”, হাজরায় বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বিজেপিকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস”, হাজরায় বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপিকে (BJP) ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।” বুধবার বিকেলে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিজেপির তরফে ‘কালীঘাট চলো’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই উপলক্ষেই হাজরায় ছিল সভা। সেই সভায়ই তৃণমূলকে আক্রমণ শানান শুভেন্দু। বলেন, “আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিজেপি যেভাবে আন্দোলন সংগঠিত করেছে, তা দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব আতঙ্কিত”।

    বিজেপির দাবি (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু বলেন, “দফা এক, দাবি এক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ। এই দাবিকে সামনে রেখেই আমাদের আন্দোলন। এই আন্দোলনকেই ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।” তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়েছে বলেই তারা জানে বিজেপিকে আটকাতে হবে। কারণ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে বিজেপি। মগরাহাটের প্রার্থী মানস শ-সহ আমাদের ৫৭ জন কর্মী আত্মবলিদান দিয়েছেন। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের ৩৭ জন কর্মী আত্মবলিদান দিয়েছেন।”

    দিকে দিকে কর্মীদের আত্মবলিদান

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari) বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের পর আমাদের পাঁচজন কর্মী আত্মবলিদান দিয়েছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির হাজার হাজার কর্মী ঘরছাড়া হয়েছেন। রাজ্যের বাইরে গিয়ে তাঁদের আশ্রয় নিতে হয়েছে। তার পরেও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র চিকিসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি ও সাংসদ জগন্নাথ সরকার, রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায় ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী সামনে থেকে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তা দেখে চমকে গিয়েছে তৃণমূল।” তিনি বলেন, “বিজেপিকে ওরা ভয় পেয়েছে বলেই লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে। কিন্তু আমরা সমস্ত আক্রমণের মোকাবিলা করে লড়াই চালিয়ে যাব।”

    আরও পড়ুন: জল ছাড়া নিয়ে ‘অসত্য’ বলছেন মুখ্যমন্ত্রী, ফাঁস করে দিল কেন্দ্র

    প্রসঙ্গত, পুলিশের কাছে আগেই এই সভার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতির আবেদন জানানো হলেও, কলকাতা পুলিশ সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হয় পদ্মশিবির। শর্ত সাপেক্ষে হাজরা মোড়ে সভা করার অনুমতি দেয় আদালত (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘হাজরা চলো’ কর্মসূচিতে পুলিশের ‘না’, প্রতিবাদ সভা করতে হাইকোর্টে বিজেপি

    BJP: ‘হাজরা চলো’ কর্মসূচিতে পুলিশের ‘না’, প্রতিবাদ সভা করতে হাইকোর্টে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) ‘হাজরা চলো’ কর্মসূচিতে পুলিশের ‘না’। রাজ্যে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার হওয়ার কথা এই বিক্ষোভ সভা। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও সদর্থক অনুমতি মেলেনি। বিজেপির অভিযোগ, শাসক দলের নির্দেশে পুলিশ এই ন্যায় বিচারের জন্য সভার অনুমতি দেয়নি। মঙ্গলবার, তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পদ্ম শিবির।

    অনুমতি না দিয়ে নীরব দর্শক পুলিশ(BJP)

    ডাক্তার তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের তদন্তে রাজ্য পুলিশ এবং মমতা সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি (BJP)। ধর্মতালায় টানা ধর্না অবস্থানের শেষ দিনে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দলের পক্ষ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ‘হাজরা চলো’ অভিযানের কথা ঘোষণা করেছিলেন। উল্লেখ্য সুকান্ত এটাও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে, তবে অনুমতি না দিলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন। বিজেপির পক্ষে ওই দিনের সভা নিয়ে প্রথমে লিখিত ভাবে অনুমতি চাওয়া হলেও, পুলিশ এখনও পর্যন্ত সাড়া করেনি। এরপর দল আদলাতের দ্বারস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ১ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বিজেপি পথসভা, বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল, থানা শুদ্ধিকরণ সহ একাধিক কর্মসূচি পালন করবে। পদ্ম শিবিরের তরফে দাবি করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও। 

    আরও পড়ুনঃকেষ্টর বাড়ি ফেরার দিনেই মমতার বীরভূম সফর! ‘‘বড় মিলন উৎসব’’, কটাক্ষ দিলীপের

    একাধিক কর্মসূচি বিজেপির

    উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি (BJP) লাগাতার স্বাস্থ্য ভবন অভিযান, লালবাজার অভিযান, জেলা শাসকের দফতর অভিযান, ব্লক অফিস ঘেরাও, থানা ঘেরাও-সহ একাধিক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। তবে এই ‘হাজরা চলো’ অভিযানের নেতৃত্বে শুভেন্দু এবং সুকান্ত থাকার কথা। বিজেপির পক্ষ থেকে এদিন আরও বলা হয়, আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। আদালত মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সুরক্ষিত করবে। অপর দিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য দফতরে দুর্নীতি, শিক্ষা দফতরে দুর্নীতি, পুরসভায় দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, সন্দেশখালিকাণ্ড সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে ব্যাকফুটে রয়েছে দল। ধর্ষণকাণ্ডে ক্ষতিপূরণ নিয়ে মমতার মন্তব্য, সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। শুধু রাজনৈতিক সংগঠনই নয়, একাধিক সামজিক সংগঠনও নারী সুরক্ষা এবং ন্যায় বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে। সর্বত্র একটাই স্লোগান ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তৃণমূলের হিংসার বিরুদ্ধে সরব, বাঁকুড়ায় সুকান্তর উপস্থিতিতে কাউন্সিলর বিজেপিতে

    Sukanta Majumdar: তৃণমূলের হিংসার বিরুদ্ধে সরব, বাঁকুড়ায় সুকান্তর উপস্থিতিতে কাউন্সিলর বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মার খেয়ে কাঁদতে কাঁদতে আমার কাছে আসবেন না। পাল্টা মার দিয়ে আসুন। বাকিটা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বুঝে নেবে। বিজেপিকে ফোঁস করতে এলে ডান্ডা নিন।” তৃণমূলের (TMC) সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এমনই নিদান দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার বাঁকুড়ায় নারী সুরক্ষা মিছিল শেষে একটি প্রতিবাদ সভায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের চরম হুঁশিয়ারি দেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হলেও এরাজ্যের কোনও নারী সুরক্ষিত নন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি।

    উল্লেখ্য আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার পর থেকে ন্যায় বিচারের দাবিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করেছে বিজেপি। প্রাক্তন সিপি বিনীত গোয়েল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয়েছে দলের তরফ থেকে।

    তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একহাত সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    রাজ্যের নারী সুরক্ষার দাবিতে শনিবার বাঁকুড়ার হিন্দু হাইস্কুল থেকে মাচানতলা পর্যন্ত বিজেপির একটি বিরাট পদযাত্রা করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মিছিল শেষ করে, রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের (TMC) সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একহাত নিয়েছেন তিনি। শাসকদল আশ্রিত সমাজ বিরোধীদের বিরুদ্ধে কড়া দাওয়াই দিয়েছেন। তিনি বলেন, “সকলকে মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নিজেদের অসহায়বোধ করবেন না। প্রয়োজনে ডান্ডা ধরবেন, এরপর সুকান্ত মজুমদার যা করার বুঝে নেবে।” অপর দিকে নির্দল হয়ে পুরভোটে লড়াই করেছিলেন অনন্যা রায় চক্রবর্তী। জয়ী হয়ে মমতার বিজয় মিছিলেও যোগদান করেছিলেন তিনি। এবার তৃণমূলের ক্রমবর্ধমান হিংসা এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে, মিছিলের শেষে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁর সঙ্গে আরও যোগদান করেন বেশ কিছু লোকজন। সুকান্তর হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে বলেন, “আরজি কর নিয়ে রাজ্যে যা চলছে তা অত্যন্ত অন্যায়। এভাবে আর তৃণমূল করা যায় না। এখন থেকে নারী সুরক্ষার জন্য বিজেপির হয়ে কাজ করব।”

    আরও পড়ুনঃ আন্দোলনের চাপে দিশাহারা মমতা সরকার, পিছিয়ে দেওয়া হল ‘দুয়ারে উদ্যম’ শিবির

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাঁকুড়া সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এই লোকসভায় বিজেপি হেরেছে। হারের পর আমাদেরকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) অসত্য বলছেন। কাউন্সিলরের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। লোভের জন্য এই কাজ করেছেন। জমি মাফিয়াদের সঙ্গে ওঁর প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC: ব্যবসায়ীকে অপহরণ! সিআইডির হাতে গ্রেফতার বারাসতের তৃণমূল কাউন্সিলর

    TMC: ব্যবসায়ীকে অপহরণ! সিআইডির হাতে গ্রেফতার বারাসতের তৃণমূল কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে, দু’দফায় ন’কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক তৃণমূল নেতাকে (TMC)। জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ওই তৃণমূল নেতার নাম মিলন সর্দার। তিনি বারাসত (Barasat) পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আর্থিক প্রতারণা এবং অপহরণের মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার বাসিন্দা দেবব্রত দে বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনাতেই থাকেন। তাঁকেই কিডন্যাপ করার অভিযোগ রয়েছে মিলনের বিরুদ্ধে। 

    আটকে রাখা হয় বারাসতের একটি ফ্ল্যাটে (TMC)

    মোটা অঙ্কের মুক্তিপণের জন্যই ওই ব্যাবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই কাজে মিলন (TMC) নামায় তাঁর শাগরেদদের। মিলনের পরিকল্পনা অনুযায়ীই, বারাসতে (Barasat) আটকে রাখা হয়েছিল খড়দা থানা এলাকার ওই ব্যবসায়ীকে। প্রথম দফায় মুক্তিপণ হিসেবে ব্যবসায়ীর কাছে নেওয়া হয় ৬ কোটি টাকা, পরবর্তীকালে আরও তিন কোটি টাকা নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার ব্যবসায়ী দেবব্রত দে’কে বারাসতের একটি পার্কিং লট থেকে অপহরণ করা হয়। সেখানে এক আবাসনে তাঁর পরিচিতের বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। ঘটনার দিন মিলনের শাগরেদরা অস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে সেখান থেকে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এরপরে তাঁকে আটক করে রাখা হয় বারাসাতের একটি ফ্ল্যাটে।

    উদ্ধার করে সিআইডি

    প্রথমে ঘটনার তদন্ত শুরু করে খড়দা থানা। পরে দায়িত্বভার গ্রহণ করে সিআইডি। তদন্ত শুরু করার পরেই, একদিনের মাথায় সিআইডির স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের গোয়েন্দাদের একটি দল, বারাসতের সেই আবাসনে পৌঁছে যায়। যেখানে দেবব্রত বাবুকে অপহরণ করে রাখা হয়েছিল। সেখানে তাঁরা ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন এবং ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয় ছয় জনকে। এরা প্রত্যেকেই মিলনের (TMC) শাগরেদ বলে পরিচিত। জানা গিয়েছে, ধৃতদের বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। জানা যাচ্ছে গ্রেফতার হওয়া ওই দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজন প্রাক্তন পুলিশ কর্মী। ধৃতদের জেরা করেই মলনের নাম উঠে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh: ডাক্তারি পেশায় ইতি! সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল

    Sandip Ghosh: ডাক্তারি পেশায় ইতি! সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতলের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) আর্থিক দুর্নীতি এবং চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আগেই গ্রেফতার করেছে। এখন তিনি জেলে বন্দি। এবার তাঁর নামের আগে ‘ডাক্তার’ লেখার অধিকার কেড়ে নেওয়া হল। রোগী দেখার প্রেসক্রিপশনেও তিনি লিখতে পারবেন না ‘ডাক্তার’ শব্দ। বৃহস্পতিবার, পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল তাঁর রেজিস্ট্রেশন (Registration) বাতিল করেছে। যদিও অনেক দিন ধরেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের একটা বড় অংশের মধ্যে এই দাবি উঠেছিল। এই পদক্ষেপে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    নোটিশের জবাব দেননি সন্দীপ (Sandip Ghosh)

    গত ৯ অগাস্ট হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং আত্মহত্যার তত্ত্ব দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এই সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই রেজিস্ট্রেশন (Registration) বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে কারণ দর্শানোর কথা বলে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এই নোটিশের জবাব দেননি সন্দীপ। এই জন্য নথিভুক্ত চিকিৎসকদের রেজিস্টার থেকে তাঁর নাম বাতিল করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ সিবিআইয়ের নজরে আরজি করের হাউজস্টাফ, নথি নিয়ে সিজিওতে সল্টলেকের হোটেল কর্মী

    আর কি রোগী দেখতে পারবেন?

    চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-র রাজ্য শাখার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এই কাউন্সিলের সভাপতি হলেন তৃণমূল সমর্থক চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়। চিঠিতে স্পষ্ট করে আবেদন করা হয়, ব্যক্তিগত পরিচয়কে ঊর্ধে রেখে সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন যেন অবিলম্বে বাতিল করা হয়। একই ভাবে চিঠিতে সই রয়েছে আরেক তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনের। আরজি কর-কাণ্ডের শুরু থেকেই শান্তনু এবং তাঁর স্ত্রী-কন্যাকে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল। উল্লেখ্য, সন্দীপ (Sandip Ghosh), হত্যাকাণ্ডের পর নিজেই অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, “আমি অর্থোপেডিক সার্জেন। আমার দু’টো হাত রয়েছে। আমি কিছু করে খেতে পারব।” কিন্তু এখন তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল হওয়ার পর ডাক্তারদের একাংশ বলছে, “আর কি রোগী দেখতে পারবেন? খাবেন কী”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengal Economy: আর্থিক মাপকাঠিতে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে বাংলা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট

    Bengal Economy: আর্থিক মাপকাঠিতে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে বাংলা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে ভালো নেই বাংলা! আর্থিক মাপকাঠিতে অন্য রাজ্যের তুলনায় ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ (Bengal Economy)। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের (PM-EAC Report) প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, পশ্চিম ভারত ও দক্ষিণের রাজ্যগুলি যখন অর্থনীতির দিক দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে, তখন পশ্চিমবঙ্গ ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছে।

    অর্থনীতির বেহাল দশা (Bengal Economy) 

    বঙ্গ অর্থনীতির এই হাঁড়ির হাল কেবল তৃণমূলের জমানায়ই হয়নি। বাম আমলেরও একটা বড় সময়ে এই ‘ক্ষয়’ শুরু হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ১৯৬০-৬১ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপিতে পশ্চিমবঙ্গের অবদান ছিল ১০ শতাংশের বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে (PM-EAC Report) দেশের জিডিপিতে পশ্চিমবঙ্গের অবদান মাত্রই ৫ শতাংশের ঘরে (Bengal Economy)। এক সময় অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় ঢের পিছিয়ে ছিল বিহার। গত দু’দশকে কিছুটা থিতু হয়েছে। পিছিয়ে ছিল আর এক পড়শি রাজ্য ওড়িশা। তারা বরাবর পিছিয়ে থাকলেও, সম্প্রতি যথেষ্ট উন্নতি করেছে। ব্যতিক্রম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গ। এক সময় এগিয়ে থাকলেও, এখন ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে।

    কী বলছে রিপোর্ট (PM-EAC Report)?

    রিপোর্টটি তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অর্থনীতিবিদ সঞ্জীব স্যান্যাল এবং যুগ্ম অধিকর্তা আকাঙ্খা অরোরা। তাতে বলা হয়েছে, ১৯৬০-৬১ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের মাথাপিছু আয় জাতীয় গড় আয়ের চেয়ে বেশি। মাথাপিছু আয়ের এই অবস্থা ধরে রাখতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ (Bengal Economy)। সময় বদলেছে, বদলেছে শাসকও। তবে বদলায়নি মাথাপিছু আয়। বরং তা ক্রমেই ক্ষয়িষ্ণু (PM-EAC Report)। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের মাথা পিছু আয় কমে গিয়েছে রাজস্থান, ওড়িশার মতো পিছিয়ে পড়া রাজ্যের তুলনায়ও। ছয়ের দশকে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং বিহার থেকে জিডিপি হত ৫৪ শতাংশ। শিল্পের দিক থেকে এগিয়ে ছিল মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ু। মহারাষ্ট্র সাফল্য ধরে রাখলেও, শিল্পে পশ্চিমবঙ্গের ভাগ ক্রমশ কমেছে। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ভারতের অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় ব্যাপক উন্নতি করেছে তামিলনাড়ু।

    আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে প্রথম দফা নির্বাচন নির্বিঘ্নেই, ভোট পড়ল ৫৮ শতাংশ

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলার এই পিছিয়ে পড়ার (Bengal Economy) অন্যতম একটি কারণ হল রাজ্যের হা-শিল্প দশা। শিল্প না থাকায় চাকরি-বাকরিও নেই (PM-EAC Report)। ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে চলছে খয়রাতির রাজনীতি। সব মিলিয়ে অর্থনীতির জটিল আবর্তে ঘুরছে বঙ্গ অর্থনীতির চাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saket Gokhale: তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখেলের মিথ্যার ফানুস চুপসে দিল রেলমন্ত্রক

    Saket Gokhale: তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখেলের মিথ্যার ফানুস চুপসে দিল রেলমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিব্যি ‘ফেক নিউজ’ ছড়িয়ে যাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখেল (Saket Gokhale)। বন্দে ভারত ট্রেনের স্লিপার ক্লাস নিয়ে বেমালুম মিথ্যে কথাগুলো বলে যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর সেই মিথ্যার ফানুস চুপসে দিল রেলমন্ত্রক (Railways Ministry)।

    রেলের দাবি (Saket Gokhale)

    ট্যুইট-বার্তায় রেলমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “প্রতি কোচের খরচকে যত কোচ তৈরি হয়েছে তাকে দিয়ে গুণ করলেই ট্রেন তৈরির খরচের সমান হয়ে যাবে। আমরা ট্রেনের কোচের সংখ্যা ১৬ থেকে বাড়িয়ে ২৪ করেছি। ট্রেনকে লম্বা করতেই এটা করা হয়েছে। মোট কোচের সংখ্যা অবশ্য একই রাখা হয়েছে।” রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, এটা করে মন্ত্রক কনট্রাক্টের খরচ কমাতে সক্ষম হয়েছে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে কমানো হয়েছে সর্বমোট কন্ট্রাক্ট ভ্যালু বা চুুক্তি মূল্য। কারণ যেহেতু ট্রেনের দৈর্ঘ্য বাড়ানো হয়েছে, তাই খরচের দিকটাও মাথায় রাখতে হয়েছে। বন্দে ভারত ধনীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, রেলমন্ত্রক তাও খারিজ করে দিয়েছে। মন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা রেকর্ড সংখ্যক (১২ হাজার) নন-এসি কোচ তৈরি করেছি। রেলভ্রমণকারীদের কথা মাথায় রেখেই এটা করা হয়েছে (Saket Gokhale)।

    আরও পড়ুন: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু হচ্ছে মোদি সরকারের এই মেয়াদেই!

    সাকেতের ‘মিথ্যার বেসাতি’

    সোমবার সকালে ট্যুইট-বার্তায় সাকেত দাবি করেন, এই ট্রেনগুলির (বন্দে ভারত) নির্মাণ ব্যয় ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। তিনি মোদি সরকারের পক্ষ থেকে একটি ‘কুইড প্রো কো’ দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। ট্যুইটে তাঁর দাবি, মোদি সরকার বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন তৈরির জন্য ৫৮ হাজার কোটি টাকার কনট্রাক্ট সংশোধন করেছে। যে ট্রেনের দাম আগে ২৯০ কোটি টাকা ছিল, এখন সেজন্য খরচ হবে ৪৩৬ কোটি টাকা। এটি শুধু একটি এসি কোচ সহ একটি ট্রেন, যা দরিদ্ররা বহন করতে পারে না। সাকেতের প্রশ্ন, বন্দে ভারত চুক্তিতে এই ৫০ শতাংশ খরচ বৃদ্ধির ফলে কারা উপকৃত হচ্ছে? তিনি বলেন, “প্রাথমিক চুক্তিতে ৫৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০টি বন্দে ভারত তৈরির কথা ছিল।” তার পরেই বস্তুত সাকেতকে (Saket Gokhale) ধুয়ে দিল রেলমন্ত্রক (Railways Ministry)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: সন্দীপ-অভিজিতের পর কি বিনীত গোয়েল? সিবিআই এবার এগচ্ছে মাথার দিকে

    RG Kar Case: সন্দীপ-অভিজিতের পর কি বিনীত গোয়েল? সিবিআই এবার এগচ্ছে মাথার দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-হত্যাকাণ্ডে (RG Kar Case) এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা ৩। শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করেছে ওঁই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। তাঁদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। অপরাধের মূল মাথাকে সন্ধান করতে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তোলা হয়েছিল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রী মমতাকে গ্রেফতার করার কথাও বলেছিলেন। অপর দিকে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সিপি বিনীত গোয়েল (Vineet Goyal) এবং মমতাকে নিশানা করে তথ্য লোপাটের অভিযোগ তুলেছেন। অবিলম্বে তাঁদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুলেছেন তিনি। আবার সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর সিপি বিনীত গোয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্তকারী অফিসাররা তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।

    পুলিশ কমিশনার ধামাচাপা দিয়েছেন (RG Kar Case)?

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন, “টালা থানার ওসিকে গ্রেফতারের পর আরও স্পষ্ট হল, ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার ক্রাইম সিনকে সম্পূর্ণ ভাবে পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত তথ্য লোপাট করে দেওয়া হয়েছে। দোষীদের বাঁচাতে প্রত্যক্ষ মদত করছে পুলিশ।” একই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “অভিজিৎ মণ্ডল সেই ব্যক্তি যাকে বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। গ্রেফতারকে উপেক্ষা করতে হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু চিত্রনাট্যের বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের এক প্রমোটারকে ফোন করে ধমক দিয়েছিলেন মমতা। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন, নৃশংস অপরাধটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির ফল। কার্যত পশ্চিমবঙ্গের জনস্বাস্থ্যকে ধ্বংস করেছে। কলকাতা পুলিশের কমিশনারও (Vineet Goyal) মৃত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করতে এবং অপরাধ ধামাচাপা দিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।”

    আরও পড়ুনঃ সিজিও থেকে বের করতেই টালা থানার সেই ‘করিতকর্মা’ ওসিকে জুতো দেখিয়ে বিক্ষোভ

    ওসিকে প্রশ্ন, কার নির্দেশ ছিল?

    সূত্রের খবর, ধৃত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে (RG Kar Case) জেরা করে বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা মনে করছেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে কর্তব্যে গাফিলতি রয়েছে। গোটা তদন্তকে ভুল পথে পরিচালনা করেছেন ওসি। কিন্তু অভিজিৎ কেন করলেন? কার নির্দেশ? ইতিমধ্যে ডিসি ডিডি স্পেশাল, ডিসি নর্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশের প্রধান হিসেবে বিনীত গোয়েলের ভূমিকা তাই প্রশ্নের মুখে।

    জুনিয়র ডাক্তাররা গত ৯ অগাস্ট থেকে ন্যায় বিচারের (RG Kar Case) জন্য টানা রাজপথে আন্দোলন করছেন। সন্দীপ-অভিজিৎ গ্রেফতারের পর তাঁরা বলেন, “আমাদের বোন অভয়ার মৃত্যু একটি সংগঠিত প্রাতিষ্ঠানিক অপরাধ। সন্দীপ ঘোষ অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত লোক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কুর্নিশ জানাই। কান ধরা পড়েছে এবার মাথাও সমানে আসবে। যতক্ষুণ ন্যায় বিচার না পাব, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: জালনোটের ‘কিংপিন’ থেকে খুন! দিল্লি থেকে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মালদার তৃণমূল নেতা

    Malda: জালনোটের ‘কিংপিন’ থেকে খুন! দিল্লি থেকে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মালদার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে গ্রেফতার করা হল রাজ্যের প্রভাবশালী তৃণমূল (TMC) নেতা আসাদুল্লাহ বিশ্বাসকে। আন্তঃরাজ্য জালনোট পাচার চক্রের ‘কিংপিন’ ছিলেন তিনি। গতমাসেই মালদার (Malda) কালিয়াচকের একটি খুনের মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসে রাজ্যের মালদা জেলার ‘কালিয়াচকের ত্রাস’ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা আসাদুল্লাহ বিশ্বাসের। 

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে, ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) এম. হর্ষবর্ধনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল বৃহস্পতিবার আসাদুল্লাহকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির পাহাড়গঞ্জের একটি পানশালায় বসে বসে বেশ জমিয়ে মদ খাচ্ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। তখনই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদার রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল’ হিসেবে পুলিশের খাতায় নাম রয়েছে আসাদুল্লাহর। তারপরেও তিনি কালিয়াচক তৃণমূলের শেষ কথা বলে পরিচিত।

    খুনের পরই দিল্লিতে আত্মগোপন করেন আসাদুল্লাহ

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, মালদার (Malda) খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত আসাদুল্লাহ বিশ্বাস নিজের গ্রেফতারি এড়াতে দিল্লিতে গিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন। কালিয়াচক থানা ইতিমধ্যে আসাদুল্লাহর ছেলে সরফরাজ বিশ্বাস সহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে এই খুনের ঘটনায়। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে তৃণমূলের (TMC) প্রধান মহম্মদ সারিউলও। গত ১৮ অগাস্ট অহেদুল শেখ নামে এক যুবককে খুন করার অভিযোগ ওঠে আসাদুল্লাহর বিরুদ্ধে। এর আগেও কালিয়াচক থানা পোড়ানোর মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিন বছর জেল খেটেছিলেন আসাদুল্লাহ। কিন্তু পরে জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফিরে আসেন তিনি। এবার ঝাড়খণ্ড হয়ে দিল্লিতে জালনোট পাচার করতে গিয়ে সেই রাজ্যের পুলিশের জালে ধরা পড়লেন  আসাদুল্লাহ।

    একাধিক অভিযোগ (Malda) 

    ২০১৭ সালেও এনআইএ আসাদুল্লাহকে গ্রেফতার করে বলে জানা যায়। তার আগে, ২০১৬ সালে এই তৃণমূল নেতাকে বিধানসভা ভোটে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি), ইডি’র খাতায় আশাদুল্লাহ বিশ্বাসের নামে অন্তত ৫০টি মামলা নথিভুক্ত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মালদার জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে মালদায় (Malda) নিয়ে আসা হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share