Tag: tmc

tmc

  • Siliguri: ভুয়ো জিএসটি অফিসার পরিচয় দিয়ে ‘তোলাবাজি’! গ্রেফতার তিন যুব তৃণমূল নেতা

    Siliguri: ভুয়ো জিএসটি অফিসার পরিচয় দিয়ে ‘তোলাবাজি’! গ্রেফতার তিন যুব তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণত কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অনেক জায়গায় এই বিষয় নিয়ে এলাকাবাসী সরব হন। তবে, এবার জিএসটি অফিসার পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করতে গিয়ে তিনজন যুব তৃণমূলের নেতা গ্রেফতার হলেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) এলাকায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Siliguri)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই শিলিগুড়ি-সহ ফুলবাড়ির বিভিন্ন এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে জিএসটি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি এবং তোলা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছিল তিনজন যুবক। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির শহর সংলগ্ন ফুলবাড়ি বাইপাস টোলগেট এলাকায় একটি সাদা গাড়িতে জিএসটির বোর্ড লাগিয়ে তিন যুবক যানবাহন দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করছিল। এমন সময় নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশের সাদা পোশাকের টিম ওই তিন যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তাঁরা যুব তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়িতে (Siliguri)। অভিযুক্ত তিন যুবকের বাড়ি বাগডোগরাতে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের নাম শুভজিৎ ঘোষ, রুপেশ তিরকি ও পার্থ ঘোষ। ধৃতদের নিয়ে আসা জিএসটি বোর্ড লাগানোর সাদা রংয়ের একটি চারচাকা গাড়িও আটক করা হয়েছে। ধৃতরা এর আগেও এমন কাজ করেছে বলে স্বীকারও করেছে। ধৃত তিনজনই দলের জেলা সভানেত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাঁরা বাগডোগরায় নেতৃত্ব দিতেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    জেলা তৃণমূলের মুখপত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, আমরা এই ধরনের কাজকে সমর্থন করি না। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। যদি কেউ এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে পুলিশ পদক্ষেপ করবে। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, চুরি, তোলাবাজি তৃণমূলের সংস্কৃতি। তাই লুটে খাচ্ছে। পুলিশ বুঝতে না পেরে ধরে ফেলেছে। এখন গ্রেফতার পর তাদের পরিচয় সামনে এসে বিড়ম্বনায় পড়েছে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: সন্দেশখালির ‘দুর্গা’দের শক্তিবৃদ্ধি কামনায় শিলিগুড়িতে হোম-যজ্ঞ

    Siliguri: সন্দেশখালির ‘দুর্গা’দের শক্তিবৃদ্ধি কামনায় শিলিগুড়িতে হোম-যজ্ঞ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ‘দুর্গা’দের শক্তিবৃদ্ধি কামনায় শিলিগুড়িতে হোম-যজ্ঞ করা হল। বুধবার শিলিগুড়ির (Siliguri) ঝংকার মোড় এলাকার একটি মন্দিরে মা ভবানীর আরাধনায় এলাকার নারী-পুরুষকে নিয়ে এই যজ্ঞের উদ্যোক্তা বঙ্গীয় হিন্দু সমাজ। মন্দিরে দেবী মূর্তির সামনে দু’জন পুরোহিত এই হোম-যজ্ঞ করেন। তাতে অংশ নেন প্রায় ১০০ জন নারী ও পুরুষ।

    কেন এই যজ্ঞ? (Siliguri)

    শিলিগুড়ির (Siliguri) বঙ্গীয় হিন্দু সমাজের সভাপতি বিক্রমাদিত্য মণ্ডল বলেন, সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের অসুর বাহিনী মহিলাদের সম্মান ভুলুন্ঠিত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় নোয়াখালির পর সন্দেশখালির নাম উঠে এসেছে। এটা আমাদের সকলের লজ্জা। এই ঘটনায় সন্দেশখালি মহিলারা অবশেষে তৃণমূল নেতা শাহজাহান অসুর বধে ঝাড়ু-লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। সাহস নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে মুখ খুলেছেন। কিন্তু, যতক্ষণ না পর্যন্ত আইনের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ততদিন এ লড়াইয়ে জয় আসবে না। যখন কোনও কিছুতে ভরসা পাওয়া যায় না তখন আমরা ঈশ্বরের শরণাপন্ন হই। সেই জায়গা থেকে আমরা এদিন হোম-যজ্ঞ করলাম। যাতে সন্দেশখালির শাহজাহান অসুর বাহিনী বধে সেখানকার ‘ দুর্গা’দের অর্থাৎ নারীশক্তির শক্তিবৃদ্ধি হয়, তাঁরা ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে সন্দেশখালির মা-বোনেদের জয় হয়। শাহজাহান ‘অসুর’ বাহিনীর কঠোর শাস্তি হোক আমরা চাই।

    যজ্ঞের মাধ্যমে কী বার্তা দিতে চাইছে বঙ্গীয় হিন্দু সমাজ?

    গোটা রাজ্যে মহিলারা নিরাপদ নয়। আদিবাসী সহ সাধারণ মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে তৃণমূলের রাজত্বে। একথা জানিয়ে বিক্রমাদিত্য মণ্ডল আরও বলেন, এই যজ্ঞের মধ্য দিয়ে আমরা এই বার্তা দিতে চাইছি, সন্দেশখালির মতো রাজ্যের প্রত্যেক মহিলার নিরাপত্তার জন্য আমরা পাশে রয়েছি। সর্বত্র নির্যাতিতারা যেন সন্দেশখালির মা-বোনেদের মতো সাহস নিয়ে তৃণমূলের অসুরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তির জন্য আমরাও আন্দোলনে রয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: উদয়নের এলাকাতেও রাত ১২ টায় তৃণমূল পার্টি অফিসে ডাক পড়ত মহিলাদের

    Cooch Behar: উদয়নের এলাকাতেও রাত ১২ টায় তৃণমূল পার্টি অফিসে ডাক পড়ত মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির পর এবার জানা গেল, রাতে পার্টি অফিসে মহিলাদের ডাক পড়ত কোচবিহারেও (Cooch Behar)। পিঠে বানানোর নামে রাত ১২ টায় তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত, আর না গেলেই বাড়ি ভাঙচুর করা হত বলে অভিযোগ মহিলাদের। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর এলাকা দিনহাটায় এই অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। পাল্টা মন্ত্রী বলেছেন, “বিজেপি নতুন কাহিনি নির্মাণ করছে।”

    মূল অভিযোগ কী (Cooch Behar)?

    দিনহাটা (Cooch Behar) বুড়িরহাট অঞ্চলের স্থানীয় নিপীড়িত এক মহিলা অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূল নেতা বিশু ধর, দিলীপ ভট্টাচার্যের গুন্ডাবাহিনী আমাকে রাত ১২ টার সময় পার্টি অফিসে ডাকত। আমি প্রতিবাদ করে বলি, রাত ১২ টায় কেন যাবো? আমি রাজি হইনি। আমার কি কোনও সম্মান নেই। আমাকে কি বাঁচতে দেওয়া হবে না! বাড়িতে বিকেল ৪ টের সময় তৃণমূল বুথ সভাপতি আসেন এবং আমার উপর ফরমান জারি করেন। আমি হাত জোড় করে না বলে দিই, সমাজে আমার একটা সম্মান রয়েছে নষ্ট করবেন না। আমি ওই ধরনের মহিলা নই। কিন্তু পার্টি অফিসে না যাওয়ার জন্য রাতে গুন্ডারা এসে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িঘর ভাঙচুর করে।” তবে এই রকম ঘটনার শিকার এই মহিলা নন, আরও অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

    মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি

    এই গ্রামের (Cooch Behar) আরও এক মহিলা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “পার্টির গুন্ডারা রাতবিরেতে আমাদের পার্টি অফিসে যেতে বলে। পার্টি অফিসে পিঠে বানানোর নামে আমাদের ভোগ করতে চায়। ওদের মতলব অত্যন্ত খারাপ। আমি ঘটনা অস্বীকার হলে রাত ৯ টার সময় আমাদের বাড়িতে এসে আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আক্রমণ করে এবং তারপর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।” ঠিক এমনই অভিযোগের কথা বলে আরও এক মহিলা বলেন, “ভোটের গণনার পর দিন আমাদের বাড়ির দরজা ভাঙে। এরপর আমার স্বামীকে না পেয়ে আমাকে ধরে।” গত কয়েক মাসের এই অভিযোগে ব্যাপকভাবে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি। সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলাদের সাহসে দিনহাটায়ও প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে এদিন।

    উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর বক্তব্য

    ঘটনায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ (Cooch Behar) বলেন, “সন্দেশখালির প্রসঙ্গে বিজেপি নতুন পিঠেকাহিনি নির্মাণ করেছে। পিঠে খাওয়ার বয়স এখন নেই। কোনও নেতা ১০ টার পর বাড়ির বাইরে থাকেন না। যদি মনে হয় আমি করতে পারি, তাহলে আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “কোচবিহারের (Cooch Behar) অভ্যন্তরে অনেক জায়গায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। উদয়নবাবু প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেন। অভিযোগ খতিয়ে না দেখে অভিযোগ করছেন। নিজেরাই সর্বত্র সন্দেশখালি মডেল তৈরি করেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বিজেপি কর্মীর চোখের মণিতে গুলি! অভিযুক্ত শাহজাহানের ফাঁসি চান স্ত্রী

    Sandeshkhali: বিজেপি কর্মীর চোখের মণিতে গুলি! অভিযুক্ত শাহজাহানের ফাঁসি চান স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali), ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। জমিজমা, বাড়ি-ঘর, চাষের জমি থেকে শুরু করে মাছের ভেড়ি লুট করে অত্যাচার চালিয়েছে তৃণমূলের নেতা শেখ শাহজাহান-শিবু-উত্তমরা। শুধু তাই নয়, নিজেদের শারীরিক চাহিদা মেটাতে বাড়ির সুন্দরী বউদের রাতবিরেতে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে দিনের পর দিন যৌননিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামের মহিলারা। ঠিক একই অত্যাচারের কথা মনে করিয়ে দেয় ২০১৯ সালে এক বিজেপি কর্মীর নির্মম হত্যার ঘটনা। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব হলেন এবার বিজেপির নির্যাতিত পরিবার। চোখের মণিকে লক্ষ্য করে পরপর ৮টি গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডলকে। এখন নিহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী কঠোর শাস্তি চান এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

    জামাইষষ্ঠীর দিনেই নৃশংস হত্যাকাণ্ড (Sandeshkhali)

    নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে স্বামীহারা পত্নী এদিন বলেন, “দিনটি ছিল ২০১৯ সালের জামাইষষ্ঠী। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ৫৬ নম্বর বুথের হাটগাছি অঞ্চলের ঘটনা। শেখ শাহজাহান প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার লোক নিয়ে আক্রমণ করে আমাদের বাড়িতে। চারজন পুলিশ অন ডিউটি ছিল। আমার স্বামী প্রদীপকে লক্ষ্য করে চোখের মণিতে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। শরীরের সব জায়গায় অজস্র ভোজালির কোপ। আমার স্বামী এই ভয়ানক অত্যাচারের শিকার হন। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হলেন শেখ শাহজাহান, কাদের মোল্লা, আখের আলি গাইন, জিয়াউদ্দিন মোল্লা, আইফুল মোল্লা সহ আরও অনেকে।” কিন্তু পরে মামলার চার্জশিট হলে নিহত প্রদীপবাবুর স্ত্রী বলেন, “সিআইডি মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে, এফআইআর-এ এক নম্বরে নাম ছিল শাহজাহানের। কিন্তু এই নাম বাদ দেওয়া হয়েছে ষড়যন্ত্র করে। খুব নগণ্য দুই ব্যক্তির নাম দেওয়া হয়েছে। আর তাই সিআইডি-কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।”

    শাহজাহানের ফাঁসি চাই

    কিন্তু কেন স্বামীকে এইভাবে খুন হতে হল? প্রশ্ন প্রদীপের স্ত্রীর। প্রদীপ মণ্ডল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভায় হাটগাছি অঞ্চলে বুথে বিজেপি জয়ী হয়েছিল। এই নির্বাচনের ফলাফলের পরই শাহজাহান বাহিনী আক্রমণ করে। স্বামীর এই নৃশংস হত্যার পর নিহত প্রদীপের স্ত্রী আতঙ্কে ছিলেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন প্রদীপের স্ত্রী। সেখানে মাছের ভেড়িতে ফিশারি চালাতেন। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচনের ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে তাঁদের ফিশারিতে ব্যাপক লুটপাট চালায় তৃণমূলের গুন্ডারা। এরপর বাড়িছাড়া হন তাঁরা। দুই সন্তান নিয়ে অন্যত্র আত্মগোপন করে আছেন তাঁরা। শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চান নিহত বিজেপি কর্মী প্রদীপবাবুর পত্নী।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “পানীয় জলের টাকাও হজম করেছে শাহজাহান-উত্তম-শিবু”, শাস্তির দাবি গ্রামবাসীদের

    Sandeshkhali: “পানীয় জলের টাকাও হজম করেছে শাহজাহান-উত্তম-শিবু”, শাস্তির দাবি গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল দুষ্কৃতীরা পানীয় জলটুকুও দেয়নি বলে অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক হয়েছেন গ্রামের প্রতিবাদী মহিলারা। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দাড়ির জঙ্গলের মানুষের পানীয় জল আনতে যেতে হয় প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে। বাড়ির কাছে কল বসলেও এক বছরের বেশি সময় ধরে জল আসছে না বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। ঘরে ঘরে জল পৌঁছানোর প্রকল্পের গোটা টাকাটাই হজম করে নিয়েছে তৃণমূলের পলাতক নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর অনুগামী শিবু-উত্তমরা।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ কী (Sandeshkhali)?

    এলাকার মানুষের অভিযোগ, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরকারি জলের প্রকল্পের গোটা টাকা হজম করেছে শাহজাহান-উত্তম-শিবুরা। গ্রামবাসীরা হাতেনাতে প্রমাণ দিয়ে বলছেন, “এই যে কল আছে, পাইপ আছে কিন্তু নেই জল। সন্দেশখালির বিরাট এলাকা জুড়ে একই অবস্থা। এলাকার মানুষের পানীয় জলের সুবিধার কোনও বিশেষ ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন এবং তৃণমূলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। গ্রীষ্মের গরমে এই জলের সঙ্কটে হাহাকার ব্যাপক মাত্রা নেবে। কিন্তু প্রশাসনকে বলে কী লাভ? প্রশাসন চলে শাহজাহানের কথায়।”

    মুখ খুললেই রক্ষা নেই

    এলাকার (Sandeshkhali) বাসিন্দাদের বক্তব্য হল, “এক বছরের বেশি সময় হয়ে গেল পাইপ বসানো হয়েছে। কিন্তু জল নেই। আগেও পাইপ বসানো হয়েছিল কিন্তু জল নেই। মাত্র একটাই টিউবওয়েল। আর এলাকার ১০০টি পরিবার জল খায়। এলাকার নেতা হলেন শিবু-উত্তম। অভিযোগ, সমস্যার কথা বলে বলে লাভ নেই। রাত হলেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করে ওরা। মুখ খুললেই রক্ষা নেই। আমরা নিরুপায়।”

    শিবু-উত্তমরাই মেরে খাচ্ছে টাকা

    আরও এক বাসিন্দা (Sandeshkhali) বলেন, “এলাকায় জলের ভীষণ সমস্যা। পানীয় জল নেই। অনেক দূর থেকে জল আনতে হয়। নির্বাচনের সময় নিজেদের পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করার জন্য ভোট দিতে দেয় না এই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আমাদের জন্য সরকারের বরাদ্দ টাকা শিবু-উত্তমরাই মেরে খাচ্ছে। পানীয় জলের টাকা, ঘরের টাকা সব কিছু লুট করেছে এই তৃণমূলের নেতারা। গ্রেফতার হয়েছে, এবার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই ওদের।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: সন্দেশখালির আঁচ লাগল হাওড়ায়! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঝাঁটা-লাঠি হাতে মহিলারা

    Howrah: সন্দেশখালির আঁচ লাগল হাওড়ায়! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঝাঁটা-লাঠি হাতে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বুথে লাইনে দাঁড়িয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোটে জিতিয়েছিলেন। আশা ছিল উন্নয়ন করবেন। কিন্তু, জেতার কয়েক মাসের মধ্যেই পঞ্চায়েত সদস্য শেখ খলিল স্বমূর্তি ধারণ করেছেন। উন্নয়ন তো দূরের কথা, এলাকার মানুষের নিত্য প্রয়োজনের ব্যবহার করা দিঘি ভরাট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) পাঁচলার দিঘির পাড় এলাকায়। সন্দেশখালির মতো তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এলাকার মহিলারা গর্জে উঠেছেন।

    তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঝাঁটা-লাঠি হাতে মহিলারা (Howrah)

    হাওড়ার (Howrah) পাঁচলায় ৩৬০ বিঘা এলাকা জুড়ে দিঘিটি রয়েছে। এই দিঘির ওপর ভর করেই আশপাশের এলাকায় চাষবাস হয়। কারণ, আশেপাশের তিন ফসলি জমির চাষবাস থেকে শুরু করে পুজোর সমস্ত জলের সরবরাহ এই দিঘি থেকেই করা হয়। সেই দিঘি বুজিয়ে দিলে সমস্যায় পড়বেন বাসিন্দারা। দিঘির জলই দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, দিঘি ভরাটের প্রতিবাদ করায় খলিলের গুন্ডাবাহিনী গ্রামের মহিলাদের ওপর নির্যাতন শুরু করে। এমনকী মহিলা ও বৃদ্ধাদের মারধর করা হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় শাড়ি-ব্লাউজ। দিঘি ভরাটের প্রতিবাদ করায় তাঁদের ক্ষেতের ফসল নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন বাসিন্দারা। পাশপাশি এলাকার মহিলা ও পুরুষদের মারধর করা হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার বলেন, রবিবার তৃণমূল নেতা খলিল এসে আমার চাষের জমি নষ্ট করে দিয়ে গেছে। দিঘি থেকে জল নিতে পারছি না। সারা বছর আমাদের সব কাজ এই দিঘির জল দিয়েই করতে হয়। এই অবস্থায় বড় সমস্যাতে পড়েছি আমরা। মহিলাদের ওপর তৃণমূল বাহিনী নির্যাতন করায় সোমবার হাতে লাঠি, ঝাঁটা নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন স্থানীয় মহিলারা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পাঁচলা থানার পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এই দিঘি ভরাট বন্ধ করতে হবে। এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিও জানান বাসিন্দারা। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “গুন্ডারা জেলে যাবে, মমতার দিন শেষ”, সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “গুন্ডারা জেলে যাবে, মমতার দিন শেষ”, সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিভিশন বেঞ্চের অনুমতির পরেই সন্দেশখালিতে পৌঁছালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে পেয়ে নির্যাতিত মানুষ যেন বটবৃক্ষের আশ্রয় পেলেন। উলুধ্বনি, পুষ্পবর্ষণ করে স্বাগত জানালেন এলাকার মানুষ। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা। একে একে শুভেন্দু শুনলেন সব অত্যাচার, নির্যাতনের কথা। সেই সঙ্গে নিপীড়িত মানুষকে আশ্বাস দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আপনারা পাশে থাকুন। সন্দেশখালির সব কিছুর পরিবর্তন হবে।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    সন্দেশখলিতে পা রেখে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “সংবিধানের জয়, গণতন্ত্রের জয়, সন্দেশখালির মা-বোনের জয়। গুন্ডারা জেলে যাবে। মমতার দিন শেষ, ফিনিশ। পরিবর্তনের ভরকেন্দ্র হচ্ছে আজকের সন্দেশখালি। তৃণমূলের পিঠে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে এই জনজাগরণ। নন্দীগ্রামে আমরা ভয় পাইনি, আপনারাও ভয় পাবেননা। এলাকার মানুষ শান্তি চায়। শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চায় মানুষ। ওর পালানোর উপায় নাই।” শেখ শাহজাহান সম্পর্কে এলাকার মানুষ বলেন, “আমরা জীবন দেব, কিন্তু আন্দোলন থামাব না।” স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “আমার ৭ বিঘা জমি কেড়ে নিয়ে গেস্ট হাউস বানিয়েছে ওরা। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করেছে তৃণমূলের নেতারা। মমতা ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা কোনও ভোট দিতে পারিনি এলাকায়।”

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    এদিকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) যাওয়ার আগেই এলাকার ১২টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষ উঠল ১৪৪ ধারা। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশিন বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়ে বলেন, “রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন। তবে এলাকায় যাতে কোনও রকম শান্তিভঙ্গ না হয়, নজর রাখতে হবে। সবটাই দেখার দায়িত্ব পুলিশের।” অপর দিকে রাজ্যের পুলিশ শেখ শাহজাহানকে রক্ষা করছে বলে হাইকোর্টের বিচারপতি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। প্রধান বিচারপতি এই তৃণমূল নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না জানি না, তবে মনে হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে। তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ জারি করব। আশা করি পুলিশ আদালতকে সাহায্য করবে।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: তৃণমূল নেতাদের ‘কাটমানি’ না দেওয়ার অপরাধে বন্ধ হয়ে গেল আবাস যোজনার বাড়ি

    Durgapur: তৃণমূল নেতাদের ‘কাটমানি’ না দেওয়ার অপরাধে বন্ধ হয়ে গেল আবাস যোজনার বাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম মেনে আবেদন করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের (Durgapur) ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের রায়ডাঙার একাধিক বাসিন্দা। তালিকায় নাম দেখে তাঁরা খুশিও হয়েছিলেন। বাড়ি তৈরির জন্য তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকাও ঢোকে। শুরু হয় ঘর তৈরির কাজ। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের ‘কাটমানি’ না দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Durgapur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দুর্গাপুরের (Durgapur) রায়ডাঙার প্রায় ২০ জন বাসিন্দা পুরসভায় চিঠি দেন। তাঁদের বক্তব্য, আবাস যোজনায় আমাদের নাম চূড়ান্ত হওয়ার পরে পুরসভা পরিদর্শন করে। এর পরে পুরসভা থেকে বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। বাড়ির নির্মাণকাজও শুরু হয়। কিন্তু, একতলার কিছুটা দেওয়াল গাঁথার কাজ হওয়ার পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। আসলে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই এলাকার চারজন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাঁদের কাছে টাকা চাইতে শুরু করেন। কাজ কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের সবার কাছে ২০ হাজার টাকা করে চাওয়া হয়। তাঁরা দাবি মতো সেই টাকা দিতে রাজি হননি। তারপর থেকে তাঁদের গালিগালাজ করা হয়। এমনকী বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আর তাঁদের সেই হুমকি সত্যি হল। সরকারি প্রকল্পের কাজ কাটমানি না দেওয়ায় বন্ধ হয়ে গেল। এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা ভাঙা টালির চালের ঘরে বসবাস করি। পাকা বাড়ি পেলে নিশ্চিন্ত হব। কাটমানি দিতে পারিনি বলে আমাদের বাড়ি হবে না।” পুর কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূল নেতৃত্ব কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দুর্গাপুর (Durgapur) পুরসভার প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি পুলিশকে খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। পুরসভার সচিব ও সংশ্লিষ্ট দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদেরও খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা আমরা সমর্থন করি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: মিষ্টি-মাংসের দোকানে শিবু-উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার টাকা বাকি, শিবিরে শুনলেন আধিকারিকরা

    Sandeshkhali: মিষ্টি-মাংসের দোকানে শিবু-উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার টাকা বাকি, শিবিরে শুনলেন আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডি আধিকারিকরা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন। তারপর থেকে বিভিন্ন ঘটনায় গত দেড় মাস ধরে খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি। অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। পরিস্থিতি সামাল দিতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনার জন্য রবিবার থেকে সন্দেশখালির বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকছে সেই ক্যাম্প। সরকারি আধিকারিকরা সেখানে থাকছেন। সংগ্রহ করা হচ্ছে অভিযোগ। সকাল সাধারণ মানুষের বক্তব্য সেই অভিযোগের খাতায় নথিভুক্ত করা হচ্ছে।

    কী অভিযোগ জানালেন বাসিন্দারা? (Sandeshkhali)

    গত কয়েক দিনের গণআন্দোলনে গোটা দেশ সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের দৌরাত্ম্যের কথা জেনে গিয়েছে। শাহজাহানের শাগরেদ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মিষ্টি জলের পুকুরে তাঁরা নোনাজল ঢুকিয়ে দিয়েছেন, জমি কেড়ে নিয়েছেন, লিজের টাকা দেননি, ভেড়িতে কাজ করার টাকা দেননি। কেউ বলছেন, আমি ৪০ হাজার টাকা পাই, কেউ বলছেন ১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা পাই। টাকার কথা বললে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হত। সরকারি অফিসাররাও এমন সব অভিযোগ শুনে চমকে যাচ্ছেন। বিনিময়ে চাকরির দুর্নীতি হয়েছে। দেশবাসী নিশ্চয়ই এগুলি ভুলে যাননি।’ অভিযোগ শুনে হতবাক হয়ে যান অফিসাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সন্দেশখালির এক বাসিন্দা এদিন ওই ক্যাম্পে হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার কাছ থেকে উত্তম সর্দার ৬০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। উত্তম বলেছিলেন, একমাস পরে আমাকে ফেরত দিয়ে দেবেন। তারপর আর আমি সেই টাকা পাইনি।’ ওই ব্যক্তির আরও অভিযোগ, জবকার্ডের জন্য তাঁর অ্যাকাউন্টে ২৪ হাজার টাকা ঢুকেছিল। তার মধ্যে ২২ হাজার টাকাই উত্তমকে দিয়ে দিতে হয়েছিল।

    সরকারি আধিকারিক কী বললেন?

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) বিডিও অফিসের এক আধিকারিক বলেন, ‘কলকাতা শহরের থেকে সামান্য দূরত্বে এই সন্দেশখালি। এলাকার মানুষের এত দুর্দশা! অথচ আমরা এতদিন তা জানতামই না। এবার সব বুঝতে পারছি। সকাল থেকে একের পর এক অভিযোগ এসেছে। ওই সব অভিযোগ শুনে আমরা অবাক হয়ে যাচ্ছি। সমস্ত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেওয়া হবে।’

    মিষ্টি-মাংসের দোকানে বাকি শিবু-উত্তমের!

    শুধু তাই নয়, সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকার বিভিন্ন পোশাকের দোকান, মিষ্টি দোকান, মাংসের দোকানে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, সেসব দোকানে শিবু, উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার  টাকা বাকি রয়েছে। টাকা চাইলেই হুমকি শুনতে হত। ওই দোকানদাররা সেই খাতা নিয়ে ক্যাম্প অফিসে চলে আসছেন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘ক্যাম্প খোলা হয়েছে সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনার জন্য। অভিযোগ জানাতে অনেকেই আসছেন। কেউ বলছেন টাকা পাননি, কেউ বলছেন, টাকা চাইলেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কথা বলতে বলতে অনেকেই কেঁদে ফেলছেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের দাদাগিরি! তেরঙ্গা ঝান্ডা লাগিয়ে অসহায় বৃদ্ধার জমি দখল, হুঁশ নেই পুলিশের

    South 24 Parganas: তৃণমূলের দাদাগিরি! তেরঙ্গা ঝান্ডা লাগিয়ে অসহায় বৃদ্ধার জমি দখল, হুঁশ নেই পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতাদের দাদাগিরি জেরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে এক বৃদ্ধার তাঁর বাস্তু-সহ ২৬ শতক মূল্যবান জমি হারাতে বসেছে। জমিতে বেড়া দিয়ে ঘিরে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দখল নেওয়ার অভিযোগ। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে প়ড়েছে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন কমলা প্রধান নামে ওই বৃদ্ধা।

    ঠিক কীভাবে তৃণমূল দখল নিল জমি? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কমলাদেবীর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপের বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর-শ্রীনাথ গ্রামে। দু’বছর আগে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। বাড়িটিও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর অসুস্থতার জন্য বাড়ি ছেড়ে পাথরপ্রতিমায় বাপেরবাড়ি চলে যান তিনি। অভিযোগ, তাঁর বাস্তু ও লাগোয়া চাষজমির ওপর নজর পড়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের। কারণ,জমিটি স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড ও বাজার লাগোয়া হওয়ায় বাজারদর বেশ চড়া। সবমিলিয়ে জমির পরিমান ২৬ শতক। এই জমির মূল্য অনেক। অভিযোগ,সেই মূল্যবান জমিটি দখল করার জন্য বারে বারে চাপ দিচ্ছিলেন শাসকদল তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। কিন্তু, ওই বৃদ্ধা সেই জমি দিতে রাজি হননি। অভিযোগ, তাতেই বাড়ি, জমি বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে জোর করে দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ। অসহায় বৃদ্ধা বলেন, থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ এলাকা থেকে ঘুরে গিয়েছে। কিন্তু জমির বেড়া ও পতাকা কিছুই সরানোর উদ্যোগ নেয়নি তারা।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বুধাখালি অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি বাবলু প্রধান বলেন, এই ঘটনা আমার জানা নেই। এরকম হয়ে থাকলে দল যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। এই ধরনের অন্যায় কাজকে দল সমর্থন করে না। বিজেপির কাকদ্বীপ মণ্ডল ২ ইনচার্জ শিবপ্রসাদ প্রামাণিক বলেন, সন্দেশখালির মতো শেখ শাহজাহান সব জায়গায় রয়েছে। সন্দেশখালিতে যেভাবে জমি হাতানো হয়েছে, এখানেও সেই চেষ্টা করছে তৃণমূল নেতারা। আমরা চাইছি অবিলম্বে এফআইআরে নাম থাকা নেতাদের গ্রেফতার করুক পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share