Tag: tmc

tmc

  • Bankura: “আমরা চুড়ি পরে বসে নেই”, প্রকাশ্য সভায় বিজেপিকে হুমকি তৃণমূলের

    Bankura: “আমরা চুড়ি পরে বসে নেই”, প্রকাশ্য সভায় বিজেপিকে হুমকি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, কুকথা বলার যেন প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। এক প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে বিজেপিকে হুমকি দিয়ে বলতে শোনা গেল, “গাছে বেঁধে রাখবো”। পাশাপাশি আর এক তৃণমূল নেতা বলেন, “আমরা হাতে চুড়ি পরে বসে নেই”। বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, তাঁর স্বামী এবং উপ-প্রধানকে হুমকি দিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) ছাতনা ব্লকের ভগবানপুর এলাকায়। পাল্টা বিজেপির বক্তব্য, “তৃণমূল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।” এই নিয়ে জেলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    কী বলল তৃণমূল (Bankura)?

    ভগবানপুর পঞ্চায়েত মোড়ে তৃণমূলের একটি সভা ছিল গতকাল শনিবার। সেখানে প্রকাশ্য সভায় বাঁকুড়া (Bankura) জেলা পরিষদদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মৌ সেনগুপ্ত নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, “এবার চোখ রাঙাতে এলে মা বোনেরা আপনাদেরকে গাছে বেঁধে রাখবে।” আবার তৃণমূলের ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বঙ্কিম মিশ্র বলেন, “এভাবে আগামী দিনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না। আমরা কেউ চুড়ি পরে বসে নেই।” তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, প্রধানের স্বামী এবং উপ-প্রধান দাদাগিরি করেছেন। বিডিওর কাছে এই বিষয়ে তারা অভিযোগও জানিয়েছে।

    বিজপির বক্তব্য

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়ার (Bankura) ছাতনা ব্লকের তেঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে সমান সমান আসন পায় বিজেপি এবং তৃণমূল। পরবর্তী সময়ে টস হলে জয়ী হয় বিজেপি। এরপর বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করে। আর সেখান থেকেই শাসক দল তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের টার্গেট করতে শুরু করেন। পঞ্চায়েতের বিজেপি উপ-প্রধান তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের হুমকির প্রেক্ষিতে বলেন, “আমরা কোনও মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করিনি। আমাদের আপত্তি ছিল, কারণ তাঁদের কাছে বৈধ কাগজ ছিল না। কোনও খারাপ ভাষা প্রয়োগ করিনি আমরা। শাসক দল আমাদের উপর রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে হামলার ছক করছে।”     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপি কর্মীর নামে থাকা বার্ধক্য ভাতা হাতিয়ে নিতেন তৃণমূল নেতা!

    South 24 Parganas: বিজেপি কর্মীর নামে থাকা বার্ধক্য ভাতা হাতিয়ে নিতেন তৃণমূল নেতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার্ধক্য ভাতা নিয়ে বড়সড় দুর্নীতি অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল পঞ্চায়েতকে হাত করে একসঙ্গে দুটি বার্ধক্য ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন এক তৃণমূল নেতা। হাতিয়ে ছিলেন অন্যের আবাস যোজনার বাড়িও। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি বিধানসভার বাবুরমহল গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর গ্রামে। এতদিন এই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ক্ষমতায় ছিল। এবার পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। আর তার পরই দুর্নীতি পর্দাফাঁস হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি বিধানসভার বাবুরমহল গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর গ্রামে স্থানীয় তৃণমূল নেতার নাম বাসুদেব মাইতি। তাঁর দাদা বসুদেব মাইতি বিজেপি কর্মী। তৃণমূল নেতা নিজের নামে বার্ধক্য ভাতার ব্যবস্থা করেন। আর তাঁর দাদা বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু, তাঁর নামে কোনও টাকা এলেও তিনি তা পেতেন না। সরাসরি সেই টাকা তৃণমূল নেতার অ্যাকাউন্টে ঢুকে যেত। বিজেপি কর্মী বসুদেব মাইতি বলেন, বহুবার এই বিষয়ে পঞ্চায়েতে আবেদন করেছি। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। এমনকী তাঁর আরও অভিযোগ, আমার নামে আসা আবাস যোজনার বাড়িও হাতিয়ে নিয়ে তৃণমূল নেতা ভাই। তবে, এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা বাসুদেব মাইতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে তিনি কোনও কিছুই বলতে রাজি হননি। বিজেপি বোর্ড ক্ষমতায় এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে জানতে পারেন, তালিকায় নাম আলাদা হলেও অ্যাকাউন্ট নম্বর তৃণমূল নেতার ছিল। ফলে, বিজেপি কর্মী ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কুলপির বিডিও সৌরভ গুপ্ত বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই বিষয়ে কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা কুলপি ব্লকের শিক্ষার কর্মাধ্যক্ষ সুপ্রিয় হালদার বলেন, এই ধরনের কোনও অভিযোগ এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। তবে, ওই ব্যক্তি ব্লকে এসে যোগাযোগ করলে অবশ্যই তিনি তাঁর টাকা ফেরত পাবেন। বিজেপি নেতা বিকাশ মণ্ডল বলেন, ওই বৃদ্ধ আমাদের দলের কর্মী বলে তাঁর বার্ধক্য ভাতা পরিকল্পিতভাবে বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া অন্য কোনও কিছুই কারণ নয়। আমাদের দাবি, বকেয়া সমস্ত টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘গুন্ডারাজ চলছে’, কড়া বার্তা রাজ্যপালের, রিপোর্ট তলব তফসিলি কমিশনের

    Sandeshkhali: ‘গুন্ডারাজ চলছে’, কড়া বার্তা রাজ্যপালের, রিপোর্ট তলব তফসিলি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইতিমধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। ঘটনার প্রতিবাদে সরব রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। শনিবারই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল করে রাজভবনে গিয়েছিল বিজেপি। সন্দেশখালি ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের পদক্ষেপ দাবি করেন তিনি। এর পরই রাজ্যের থেকে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরইমধ্যে আবার শাহজাহান-উত্তম-শিবুদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় তফসিলি কমিশন। সবমিলিয়ে সন্দেশখালি এখন রাজ্য রাজনীতিতে হটকেক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    গুন্ডাগিরি বন্ধ করতে হবে (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিওবার্তায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “সভ্য সমাজে কতটা কুৎসিত ঘটনা ঘটতে পারে তা সন্দেশখালিতে দেখা যাচ্ছে। মহিলাদের হেনস্থা এবং নিগ্রহ করা হচ্ছে। গুন্ডারাজ চলছে সেখানে। নির্বাচিত সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। কার্যকরী পদক্ষেপ করতে হবে। কেউ আইনকে নিজের হাতে নিতে পারে না। গুন্ডাগিরি সেখানে বন্ধ করতে হবে। তা বন্ধ করতে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমাকে সরকারের থেকে রিপোর্ট পেতে দিন। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”এ বিষয়ে রিপোর্টের পাশাপাশি দ্রুত ব্যবস্থা নিতেও রাজ্য সরকারকে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

    রিপোর্ট তলব জাতীয় তফসিলি কমিশনর চেয়ারম্যান

    এরইমধ্যে এবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কেসে নড়েচড়ে বসল ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডিউলড কাস্ট কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে খবর। তিনদিনের মধ্যে তার জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রিপোর্ট সন্তোষজনক না হলে কমিশনের ফুল বেঞ্চ সন্দেশখালি যাবে বলে জানান জাতীয় তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। প্রসঙ্গত, এখনও খোঁজ মেলেনি শেখ শাহজাহানের। এদিকে তাঁর দুই শাগরেদ উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা সন্দেশখালি। তৃণমূল মাথা থেকে হাত তুলতেই চাপে পড়ে অবশেষে পুলিশ গ্রেফতার করেছে উত্তমকে। শাসক নেতাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন সন্দেশখালির মহিলারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান এখনও অধরা! তৃণমূল মুখ ফেরাতেই গ্রেফতার সাগরেদ উত্তম সর্দার

    Sandeshkhali: শাহজাহান এখনও অধরা! তৃণমূল মুখ ফেরাতেই গ্রেফতার সাগরেদ উত্তম সর্দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহান ফেরার। তাঁর অন্যতম দুই সাগরেদ শিবু হাজরা আর উত্তম সর্দারের নেতৃত্বে চলত তাণ্ডব। আর তার জেরেই গত তিনদিন ধরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। আর এই সব ঘটনার জন্য আদতেই মুখ পুড়ছিল তৃণমূলের। তাই, তড়িঘড়ি শনিবার সকালে সাসপেন্ড করা হল উত্তমকে। দল মাথা থেকে হাত তুলে নিতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠল পুলিশ। গত তিনদিন ধরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া তৃণমূল নেতা উত্তমকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পাশাপাশি সন্দেশখালিতে অশান্তির ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিকাশ সিংহ নামের এক বিজেপি নেতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশ বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার অন্যতম পর্যবেক্ষক পদে ছিলেন।

    সাসপেন্ডের পরই গ্রেফতার উত্তম (Sandeshkhali)

    শনিবার দুপুরে রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে পার্থ ভৌমিক ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ছ’বছরের জন্য তৃণমূল থেকে উত্তমকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরই এবার তাঁকে সাসপেন্ড করা হল। আর দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হন উত্তম। তবে, সবটাই লোক দেখানো বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ৭ জানুয়ারি জনরোষ আছড়ে পড়েছিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। উত্তমকে ধরে ফেলেছিলেন উত্তেজিত জনতা। পুলিশই তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে, ছেড়ে দেয়। তারপর থেকে রহস্যজনকভাবে তিনি ফেরার ছিলেন। কেউ তাঁর আর হদিশ পাচ্ছিলেন না। অনেকের মতে, পুলিশের নিরাপত্তায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন উত্তম। দল মাথা থেকে হাত তুলে নিতেই উত্তম গ্রেফতার হয়ে যায়।

    গ্রামবাসীদের জমি দখল করে উত্তমের ভেড়ি!

    শাহজাহান শেখ এবং তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ নেতা শিবু হাজরা আর উত্তমের বিরুদ্ধেও এলাকায় ‘অত্যাচার’-এর অভিযোগ রয়েছে। পার্টি অফিসে সুন্দরী মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর নির্যাতন চালানো হত। প্রকাশ্যেই তৃণমূল নেতাদের এই অত্যাচারের বিষয়ে মহিলারা গর্জে ওঠেন। উত্তম-শিবুর গ্রেফতারের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামেন তাঁরা, ঘেরাও করা হয় থানা। বিক্ষোভে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মহিলারা। বাঁশ, কাটারি, দা, হাতা, খুন্তি, লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অলিগলিতে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক পোলট্রি ফার্ম, বাগানবাড়িতে। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের জমি জোর করে দখল করে ওই ফার্ম তৈরি করেছিলেন উত্তমেরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ৯০ শতাংশ ভেড়ি গ্রামবাসীদের জমি দখল করে তৈরি করা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যাজ খুলে নেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা, শোরগোল

    Birbhum: সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যাজ খুলে নেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইন মেনে কাজ করতে গিয়ে তৃণমূল নেতার হুমকির মুখে পড়তে হল এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অনুব্রতের গড় বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি এলাকায়। প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’ দেখলেন এলাকাবাসী। হুমকি সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। সিভিক ভলান্টিয়ারকে হুমকি দিলেও কোনও পুলিশ আধিকারিক তার প্রতিবাদ করার সাহস দেখায়নি। এই ঘটনা নিয়ে জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালবেলা বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি শহরে দুজন বাইক আরোহী হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তা দেখতে পেয়ে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার কৃষ্ণ গোপাল মণ্ডল ওই বাইক আরোহীদের জরিমানা করার জন্য গাড়ির ছবি তোলেন। অভিযোগ, এরপর বাইক থেকে নেমে অভিযুক্তরা কৃষ্ণকে হেনস্থা করে। শুধু তাই নয়, যে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার আইএনটিটিইউসির সাধারণ সম্পাদক শেখ ডালিম কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বিষয়টি জানার পরই সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যাজ খুলে নেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। সিভিক ভলান্টিয়ার কৃষ্ণ গোপাল মণ্ডল বলেন, “রাস্তা দিয়ে বাইক চড়ে হেলমেট ছাড়া যাচ্ছিল দেখে আমি ছবি তুলছিলাম। তখন ওরা বলল ভাল করে ছবি তোল। দেখে নেব বাকিটা। তারপর ডালিম বলে একজন এসে আমাকে বললেন, তোর ব্যাজ খুলে নেব। আমায় চিনিস তুই। আমি বললাম, না চিনি না। আইন মেনে কাজ করার জন্য আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হল। আমি বিষয়টি ওপরতলায় জানিয়ে দেব।”

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    সিউড়ির ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের আইএনটিটিইউসির সাধারণ সম্পাদক শেখ ডালিম বলেন, “আমাদের ড্রাইভার বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওর গাড়ির ছবি তোলে ওই সিভিক। তারপর ড্রাইভার বলেন দাদা আমি ভুলে গিয়েছি হেলমেট নিতে। ও স্বীকারও করে। তারপরও ওই সিভিক তাকে ছাড়েনি। আমি কোনও হুমকি দিইনি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘সুন্দরী কম বয়সী বউদের পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিতে হত’, গর্জে উঠলেন মহিলারা

    Sandeshkhali: ‘সুন্দরী কম বয়সী বউদের পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিতে হত’, গর্জে উঠলেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ছিল না মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার! বাড়ির কম বয়সী বউদের তুলে নিয়ে যেত তৃণমূলের নেতারা। এরপর পার্টি অফিসে রাতভর চলত বাড়ির মাহিলাদের উপর অমানবিক পৈশাচিক অত্যাচার। যৌনশোষণ করে তৃণমূল নেতাদের মন ভরলে তবেই ছাড় মিলত।” এই ভাবেই অভিযোগ করেন জেলিয়াখালির গ্রামবাসীরা। রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের পলাতক নেতা শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ অনুগামি উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে গ্রামের মহিলারা ব্যাপকভাবে সরব হওয়ায় শোরগোল পড়েছে রাজ্যজুড়ে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার প্রথমে লাঠি, ঝাটা নিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদে এবং শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। সেই সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, গতকাল রাতভর প্রতিবাদী মহিলাদের টার্গেট করে ব্যাপক মারধর করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে কয়েকজন মহিলা গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    বাড়ির বউকে ছেড়ে দিতে হত!

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলাদের বক্তব্য বলেন, “তৃণমূল পার্টির লোকেরা আগে এসে দেখে যাবে কোন বাড়ির বউ বেশি সুন্দরী। এরপর তাঁদের মধ্যে যে কম বয়সী তাঁর বাড়িতে হুমকি চলে আসত। বাড়ির বউকে ছেড়ে দিতে হতো তাঁদের হাতে। তুমি স্বামী হতে পারো, কিন্তু তোমার কোনও অধিকার ছিল না। তুলে নিয়ে চলে যেত তৃণমূলের পার্টি অফিসে। এক দিনের জন্য নয়, রাতের পর রাত ভোগ করত নেতারা। ততক্ষণ পর্যন্ত রেহাই নেই ঠিক যতক্ষণ পর্যন্ত নেতাদের মন না ভরত। সারারাত পার্টি অফিসে রেখে, ভোর বেলায় ছেড়ে দেওয়া হতো বউদের। ঠিক এই ভাবে দিনের পর দিন আমাদের গ্রামবাসীর উপর অত্যাচার এবং যৌন নির্যাতন চালাতো সন্দেশখালির কুখ্যাত নেতা শাহজাহান বাহিনী।”

    সন্দেশখালি নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু

    শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরার বিরুদ্ধেই এলাকার মানুষের মূল অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে থানায় (Sandeshkhali) এফআইআর করা হয়েছে। প্রধান অভিযোগ হল, শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবিতে এদিনও আগের মতোই লাঠি, বাঁশ, দা এবং কাটারি হাতে রাস্তায় নামেন মহিলারা। মানুষের সম্পত্তি জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। প্রাপ্য টাকা চাইতে গেলে প্রাণের ভয় দেখানো হত। আর তাই জেলিয়াখালিতে মূল অভিযুক্ত শিবু হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে শুক্রবার উত্তেজিত জনতা আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেছেন, “চোর মমতার বিরুদ্ধে বাংলায় হিন্দু সমাজের জনজাগরণ ঘটেছে। বাংলার মায়েরাই সেই রাস্তা দেখিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ১০০ দিনের তালিকায় স্কুল ছাত্রের নাম, সরকারি কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ

    South 24 Parganas: ১০০ দিনের তালিকায় স্কুল ছাত্রের নাম, সরকারি কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি বিধানসভার করঞ্জলী গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের জব কার্ডের বেনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার মহিলারা। শনিবার দিন করঞ্জলী গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটাবেনিয়া এলাকায় কুলপি ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের প্রতিনিধিরা ১০০ দিনের জব কার্ডের লিস্ট নিয়ে যায়। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। সরকারি কর্মীদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান।

    এলাকাবাসীর কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি বিধানসভার করঞ্জলী পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের তালিকায় রয়েছে একাধিক বেনিয়ম। যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের অনেকেরই নাম নেই, আবার যাঁরা কাজ করেননি এমন অনেকের নাম রয়েছে তালিকায়। তালিকায় নাম রয়েছে, বরণ হালদার। সে একাদশ শ্রেণির ছাত্র। স্কুলে যায়। কখনও কোদাল হাতে ধরেনি। অথচ তার নাম রয়েছে। আর চন্দনা সরকার, প্রভুরানি শিকারির মতো বাসিন্দার তালিকায় নাম নেই। আর তালিকার বিষয়টি জানতে পেরেই মহিলারা রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের বক্তব্য, যাঁরা কাজ করেছেন অবিলম্বে তাঁদেরকে বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে হবে। আমরা এই তালিকা মানি না।

    দলের প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে সরব পঞ্চায়েত সদস্য

    করঞ্জলী পঞ্চায়েতেরই কাটাবেনিয়া এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যার পাশাপাশি তাঁর  স্বামী বুবুন চক্রবর্তী বলেন, প্রাক্তন প্রধান ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে নিজের স্বার্থে লাগিয়েছে। এমনকী নিজের ব্যক্তিগত কাজ এই ১০০দিনের মাধ্যমে তিনি করিয়েছেন। আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির টাকাও আমরা পাইনি। কুড়ি হাজার টাকা করেও তিনি দেননি। পরে,  ঘটনাস্থলে কুলপি থানার পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করলে বিক্ষোভ ওঠে। করঞ্জলী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শান্তনু কয়াল বলেন, এলাকার মানুষ যে অভিযোগ করছেন তা সম্পূর্ণ সঠিক নয়।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী  আম্বিয়া বিবি বলেন, তৃণমূল টাকা লুটের জন্য এই তালিকা তৈরি করেছে। প্রশাসন ওদের হয়ে কাজ করছে। মানুষ আর ওদের মেনে নিচ্ছে না। তাই, ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। যারা এই তালিকা তৈরি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ‘কেষ্ট’র নাকি শনির দশা চলছে! ৫০ কেজি ঘি দিয়ে বিরাট হোম-যজ্ঞের আয়োজন বোলপুরে

    Birbhum: ‘কেষ্ট’র নাকি শনির দশা চলছে! ৫০ কেজি ঘি দিয়ে বিরাট হোম-যজ্ঞের আয়োজন বোলপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনির দশা কাটাতে শনিবারে কেষ্টর নামে বিরাট যজ্ঞের আয়োজন। এই যজ্ঞ মহোৎসবের মহাপ্রসাদ খাবেন ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে বীরভূমের (Birbhum) জেলা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার এবং কয়লা পাচার মামলায় দিল্লির তেহার জেলে বন্দি রয়েছেন। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, কেষ্ট বিহনে জেলা তৃণমূল কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। আর তাই তাঁর অনুগামীরা মঙ্গল কামনায় বিশেষ হোম-যজ্ঞের আয়োজন করেছেন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারিতে হবে এই মহাযজ্ঞ। জেলায় এই নিয়ে তীব্র শোরগোল।

    কোথায় অনুষ্ঠিত হবে যজ্ঞ (Birbhum)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর রেলওয়ে ময়দানে সর্বজনীন দুর্গামন্দিরে করা হবে এই মহাযজ্ঞ। তাকে ঘিরেই এখন জেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি, সেই সঙ্গে চলছে বিশাল আয়োজন। দুর্গামন্দিরের সামনে যে পোস্টার দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল হলেন বীরভূমের রূপকার। তাঁর মঙ্গল কামনা করে দীর্ঘায়ুর জন্য শুভাকাঙ্খীগণ এই যজ্ঞের আয়োজন করেছেন। তাই সকলকে বিশেষ ভাবে আমন্ত্রণ।

    আয়োজকদের বক্তব্য

    বোলপুরের (Birbhum) স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনীল সিংহ এই মহাযজ্ঞ সম্পর্কে জানিয়েছেন, “৫০ কেজি ঘি, ৫ কুইন্টাল বেলকাঠ প্রজ্বলন করে যজ্ঞ করা হবে। সকাল ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত চলবে এই যজ্ঞ। এরপর শুরু হবে মহাপ্রসাদ বিতরণ। প্রথমে ভেবেছিলাম ৫ থেকে ৬ হাজার লোকসমাগম হবে। কিন্তু দাদার ভক্তদের প্রবল উৎসাহে মনে হচ্ছে সংখ্যাটা ১০ হাজারের বেশি হবে।” তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “আমরা দাদার অন্ধভক্ত, তিনি আমাদের অভিভাবক। মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এজেন্সি জোর করে তাঁকে ধরে রেখেছে। কেষ্টদার মঙ্গল কামনায় আমরা মা দুর্গার কাছে যজ্ঞের আয়োজন করেছি। আমরা আশা করছি তিনি যেন দ্রুত আমাদের কাছে ফিরে আসেন।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ব্যালটের পর এবার বিজেপি কর্মীর কান কামড়ে গিলে খেলেন তৃণমূল কর্মী!

    Jalpaiguri: ব্যালটের পর এবার বিজেপি কর্মীর কান কামড়ে গিলে খেলেন তৃণমূল কর্মী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক হিংসা কতটা নৃশংস হতে পারে, তা তৃণমূল নেতার আচরণে স্পষ্ট হল। এবার বিজেপি কর্মীর কান কামড়ে গিলে খাওয়ার ঘটনা ঘটল। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে জলাপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার মহকুমা ধূপগুড়ি এলাকায়। উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ছাপ্পা, লুট, মারধর, বোমাবাজির পাশপাশি গননা কেন্দ্রে ব্যালট গিলে খেয়ে নিজের জয়কে সুনিশ্চিত করেছিলেন এক তৃণমূল প্রার্থী। এবার ফের মানুষের কান খেয়ে নেওয়ার মতো অমানবিক ঘটনা ঘটেছে এই রাজ্যে। বিজেপির বক্তব্য, “আগে বালি, কয়লা, ব্যালট খেত, এখন মানুষের কান কামড়ে খাচ্ছে। দোষীর শাস্তি চাই।”

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Jalpaiguri)?

    স্থানীয় (Jalpaiguri) সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি স্টেশন মোড়ের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে এই অমানবিক ঘটনা ঘটে। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হয়েছেন এলাকার এক তৃণমূল কর্মী রাশিদুল রহমান। স্টেশনের পাশে থাকা এক চপের দোকানে এসেছিলেন অপর এক যুবক। এরপর এই যুবককে নানা ভাবে উত্যক্ত করেছিলেন তৃণমূল নেতা। অভিযোগ এটাও ছিল যে তাঁকে উলঙ্গ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এরপর পাশেই বিনয় রায় নামে এক ব্যক্তি রশিদুলকে এই আচরণ করতে বাধা দেন। বিনয় নিজে এলাকায় বিজেপি করেন। এরপর ঘটনায় লাগে রাজনৈতিক রঙ। উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। ঠিক এরপর পরস্পরের মধ্যে মারামারি বাধে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, বিনয়ের কান কামড়ে ছিড়ে খান রশিদুল। এরপর অসুস্থ বিজেপি কর্মীকে স্থানীয় হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়।

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য

    ঘটনায় আহত বিজেপি কর্মী বিনয় জানিয়েছেন, “একজনের প্যান্ট জোর করে খুলে দেওয়া হচ্ছিল। আমি বাধা দিতেই আমার কানের অংশ কামড়ে ছিড়ে খেয়ে নিয়েছে। আগে এই তৃণমূল নেতা হকারি করত, এখন এই সব করছে। আমি বিজেপি করি, তাই এই আচরণ করল।” আবার এক স্থানীয় (Jalpaiguri) প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “কানের একটা অংশ ছিল না। কান সেলাই করার মতো অবস্থায় ছিল না।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Jalpaiguri) তৃণমূল নেতা বিপুল ইসলাম বলেন, “ওরা কী খেয়ে নিজেদের মধ্যে মজা করছিল আমি জানি না। আমার জানার কথাও নয়।” তবে ঘটনার পর থেকে তৃণমূল নেতা এখন পলাতক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arabul Islam: গ্রেফতার হলেন ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল, নিয়ে যাওয়া হল লালবাজার

    Arabul Islam: গ্রেফতার হলেন ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল, নিয়ে যাওয়া হল লালবাজার

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ের বেতাজ বাদশা আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে, সঠিক কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, দাপুটে এই নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে একাধিক ঝামেলার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন ভাঙড়ের এই দাপুটে নেতা। বোমাবাজি, তোলাবাজি, খুনের চেষ্টার অভিযোগ ছিল। লোকসভা ভোটের আগে আরাবুলের গ্রেফতারি নিয়ে জোর চর্চা শুরু।

    কেন গ্রেফতার আরাবুল? (Arabul Islam)

    সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে ঝামেলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় তাঁকে। একইসঙ্গে আইএসএফ কর্মী খুনের ঘটনাতেও আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) গ্রেফতার বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দু’টি ঘটনাতেই আরাবুলের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার সময় ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে যে ঝামেলা হয়েছিল তাতেই এই গ্রেফতারি বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি বৈদিক ভিলেজে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বামনঘাটায় রেজ্জাক মোল্লাকে মাথা ফাটানোর অভিযোগ রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে খুন হয়। তাতেও নাম জড়ায় তাঁর। গত বছর ১৫ জুন বিজয়গঞ্জ বাজারে গন্ডগোলের ঘটনায় খুন, অস্ত্র আইন, খুনের চেষ্টা, সরকারি কর্মচারীদের কাজে বাধা-সহ একাধিক ধারায় মামলা হয়। সেই সূত্রে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর কাশীপুর থানায় তাঁকে ডাকা হয়। আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে আসেন উত্তর কাশীপুর থানায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষ। মূলত, ১৫ জুন সেই পুরানো মামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় আরাবুলকে। গ্রেফতারের পর লালবাজারে আনা হয় তাঁকে। পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। শুক্রবার তাঁকে বারুইপুর আদালতে পেশ করা হবে।

    নিছক লোক দেখানো গ্রেফতারি, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আরাবুল (Arabul Islam) প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই বিষয়টিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেননি। বরং, তিনি বলেন, “এই গ্রেফতারিকে নিছক লোক দেখানো। পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একটু বিরিয়ানি দেবে, ভাল কম্বল দেবে। ও ওখানে ভালভাবেই থাকবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share